শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১১ আশ্বিন ১৪৩২

ফ্লোর প্রাইস তুললে নিঃস্ব হবে সাধারণ মানুষ

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম। ছবি: সৈয়দ মাহামুদুর রহমান
আপডেটেড
৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ১০:২৮
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৯:৩৬
  • শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম-এর সাক্ষাৎকার

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষক। একাধিকবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিএসইসির চেয়ারম্যান হওয়ার আগে তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা কোম্পানি সাধারণ বিমা করপোরেশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। পুঁজিবাজার নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন হাসান ইমাম রুবেলফারহান ফেরদৌস

দৈনিক বাংলা: ২০২৪ সালে দেশের পুঁজিবাজারকে কী অবস্থায় দেখতে চান?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: আমি যেটা প্রথম বলে শুরু করতে চাই, সেটি হলো- একটি দিনও আমি পাইনি স্বাভাবিক। বিএসইসিতে যোগ দিয়েছি করোনার মধ্যে। দুই বছর ছিল করোনভাইরাস। এরপর যুদ্ধ। সামনে আসছে নির্বাচনের বছর। সব সময়ই থাকলাম একটি ঝামেলার মধ্যে। কখনো সুস্থ সুন্দর পরিবেশ পাইনি। সব সময়ই একটা না একটা বাধা কাজ করেছে।

দৈনিক বাংলা: এসব বাধা পুঁজিবাজারে কী ধরনের প্রভাব ফেলছে?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: পুঁজিবাজার খুব সংবেদনশীল একটি জায়গা। আমাদের অনেক বড় বড় ইমপ্যাক্টের মধ্য দিয়ে পার হতে হচ্ছে। দৈনিক সমস্যা তো আছেই, এখন বার্ষিক সমস্যা এসেও আমাদের ওপরে পড়ছে। আমরা বিভিন্ন কৌশলে চেষ্টা করছি বাজারটা ধরে রাখতে। বিনিয়োগকারীদের যাতে ক্ষতি না হয় সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি।

দৈনিক বাংলা: এ সময় বিশ্বের অন্যান্য বাজারের সঙ্গে দেশের বাজারকে কীভাবে তুলনা করবেন?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্বের কোনো কোনো দেশের পুঁজিবাজারে বেশি অস্থিরতা দেখা গেছে, কোনো কোনো দেশে কম। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে অস্থিরতা ছিল কম। করোনাভাইরাসের সময় তো আমাদের পুঁজিবাজার সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ভালো করেছে। আর ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে আমাদের পুঁজিবাজার সারা বিশ্বের তুলনায় কম অস্থিরতা দেখিয়েছে। এটা করতে অনেক কৌশল করতে হয়েছে।

দৈনিক বাংলা: এসব বাধা টপকে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে আপনি কতটা আশাবাদী?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: আগামীতে আমরা যা চাচ্ছিলাম তার পুরোটা সম্ভব না হলেও, অনেক কিছু হবে। যেমন আমরা ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড করে দিয়েছি। আমাদের সিসিবিএলে হয়তো ইকুইটি এবং বন্ড পার্টটা হয়ে যাবে। বিশ্বব্যাংকের যে ৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প, সেটা আশা করা যাচ্ছে আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে টেন্ডার হয়ে যাবে। ফান্ড আমরা পেয়ে গেছি। এটার টেন্ডার হয়ে গেলে আমাদের পরিকল্পনা আছে পুরো ক্যাপিটাল মার্কেটকে হাতের মুঠোয় (পামটপ) নিয়ে আসার। আমরা ক্যাপিটাল মার্কেটকে ডিজিটালাইজ করব। সিসিবিএল, ‍সিডিবিএল, ডিএসই, সিএসই, বিএসইসিসহ আরও যেসব সংগঠন আছে এটা এই স্কিমের মধ্যে চলে আসছে। সেই সঙ্গে আরও যেসব লক্ষ্য আমাদের ছিল যেমন- এটিবি মার্কেট চালু করা, সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেন চালু করা সেগুলো আমরা করেছি।

দৈনিক বাংলা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুর্বল কোম্পানি নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: আমরা বন্ধ কোম্পানিগুলো চালু করছি। যেসব কোম্পানিতে মানুষের টাকা-পয়সা আটকে গেছে, জমিজমা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, মেশিনারিজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, ব্যাংকে এনপিএল বেড়ে যাচ্ছে, সেগুলোকে চালু করে আমরা মুক্ত করতে চাচ্ছি। তাতে হয়তো সব খাত বেঁচে যাবে। ব্যাংক এবং অন্যান্য যেসব ঋণদাতা আছে তারা কিছুটা রেহাই পাবে। নতুন একটি কোম্পানি তৈরি না হয়ে যদি পুরোনো কোম্পানিগুলোকে আবার চালু করা যায় তাহলে অনেক কম খরচে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ করা যায়। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে আমাদের একটি বড় উদ্যোগ।

দৈনিক বাংলা: খারাপ কোম্পানি যদি পুঁজিবাজার থেকে বের হয়ে যেতে চায় কী ব্যবস্থা আছে?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: আমরা এক্সিট পলিসি তৈরি করে দিয়েছি। আমরা ওটিসি কোম্পানিগুলো রিভাইভ করাচ্ছি। বলে দিয়েছি, হয় তোমরা ব্যবসা কর, না হয় বের হয়ে যাও। যা নিয়েছে মানুষের কাছ থেকে সেটা ফেরত দিয়ে চলে যাও। চার-পাঁচটি কোম্পানি আমাদের কাছে দরখাস্ত করেছে বের হয়ে যাওয়ার জন্য।

দৈনিক বাংলা: আপনার নেতৃত্বে বিএসইসি কান্ট্রি ব্র্যান্ডিংয়ের উদ্যোগ হাতে নিয়েছিল, সেটির কী অবস্থা?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: কান্ট্রি ব্র্যান্ডিং আমরা প্রথম দিন থেকে শুরু করেছি। বিদেশের এয়ারপোর্টে গেলে পাসপোর্ট দেখে আমাদের দিকে কেমন কেমন দৃষ্টিতে তাকায়। সেখান থেকে আমরা বের হয়ে আসতে চাই। আমরা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ, কেরোনাভাইরাসের মধ্যেও যারা ৫ থকে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। সেই দেশের দিকে মানুষ যেন অন্যভাবে না তাকায় সে জন্য কান্ট্রি ব্র্যান্ডিংয়ের কাজটা শুরু করেছিলাম। যুদ্ধের কারণে আবার স্লো হয়ে গেল। আমাদের আশা, আমরা যদি কান্ট্রি ব্র্যান্ডিংটা ঠিকভাবে করতে পারি, তাহলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের কূটনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগগুলো আরও অনেক বাড়বে। তার বহুমুখী প্রভাব পুঁজিবাজারে আসবে।

দৈনিক বাংলা: আপনার নেয়া সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত কী, যেটি আপনাকে ভালো অনুভূতি দেয়?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: অনেক ভালো সিদ্ধান্ত আছে যেগুলো আমাকে তৃপ্তি দেয়। যেমন প্লেসমেন্ট বাণিজ্যটা বন্ধ করে ফেলেছি। আইপিওতে আগে প্লেসমেন্ট বাণিজ্য হতো। সেটা এখন হয় না। আইপিওতে লটারি পদ্ধতি ছিল। সেটা উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন সব মানুষ শেয়ার পাচ্ছে। তারপর ধরুন বিভিন্ন ইস্যু ম্যানেজার, অডিটর কাগজপত্রে যে কারসাজি করত সেটা বন্ধ করা হয়েছে। আইপিও রিলেটেড এখন কিন্তু বেশি বদনাম নেই। ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড একটি ভালো কাজ হয়েছে। যেখানে হাজার হাজার কোটি টাকা বিভিন্নভাবে অব্যবহৃত ছিল, সঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছিল না, সেই টাকা এখন মার্কেটে সাপোর্ট দিচ্ছে। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মতো মানুষের টাকা ফেরত দিতে পেরেছি।

দৈনিক বাংলা: দায়িত্ব নেয়ার পর স্বাভাবিক পরিস্থিতি না পাওয়া নিয়ে আপনার মধ্যে কি কোনো হতাশা কাজ করে?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: আমি এখন চার বছরে যে ফল চাচ্ছি, সেটা আসলে ২ বছরে আসত। তখন আমি পরের দুই বছরে অন্য কিছু করতে পারতাম। আমি তো একা মার্কেট চালাই না। এখানে যারা সিসিবিএল, সিডিবিএলের কাজ করছে, এর পরে নাসডাকটাটা ইনফো এরা আসছে কাজ করতে, এরা আসতেই পারে না। হয় করোনাভাইরাস, না হয় যুদ্ধ। এসব কারণে কাজ এগোয়নি। করোনার কারণে মানুষ অফিস করত না। আমরা একা অফিস করতাম। যুদ্ধের সময় এখন বিদেশের লোকদের সঙ্গে কাজ করতে পারছি না। বিদেশের ফান্ড আসা-যাওয়ায় দেরি হয়ে যাচ্ছে। গতি ধীর হয়ে গেছে। আমি যদি এই মেয়াদের পরে না থাকি, যেই জিনিসগুলো এই চার বছরে দিতে পারতাম, সেগুলো হয়তো দিতে পারব না। কারণ সময়মতো শেষ করার যে একটি পরিকল্পনা ছিল সেটা আমার ইচ্ছা থাকার সত্ত্বেও সময়মতো করা সম্ভব হবে না।

দৈনিক বাংলা: এত কিছুর পরও একটি কথা সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়, সেটি হলো বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা, এ বিষয়টাকে কীভাবে দেখেন?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: আমি এখন আর ব্যাখ্যা করতি পারি না। আমার কাছে কেউ যখন বলে যে আস্থা নেই, তখন আমি বলি যে আস্থার জন্য কী করতে হবে। তিনি আর তখন উত্তর দিতে পারেন না। আমি বলি আমি তো সব কাজ করে ফেলেছি। এখন আর কী করলে আপনাদের আস্থা আসবে বলুন। এটার উত্তর কেউ দিতে পারেন না। বাজারে টাকা বিনিয়োগ করতে বলে। শেয়ারের দাম বাড়ানো-কমানোর পরামর্শ দেয়। সেকেন্ডারি মার্কেট নিয়ে সবাই কথা বলে। সেকেন্ডারি মার্কেটই তো কেবল পুঁজিবাজার না। প্রাইমারি মার্কেট আছে, বন্ড মার্কেট আছে। অন্য কত মার্কেট আছে। সেগুলো নিয়ে কথা বলতে কেউ আসে না। সবাই আস্থা বলতে বোঝে, পুঁজিবাজারে সব সময় সূচক বাড়তে থাকবে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আস্থার সংজ্ঞাটা কী? আমরা আর কী করলে আস্থা আসবে সেটা বলুক।

দৈনিক বাংলা: বাজারে কারসাজি বন্ধে আপনার পদক্ষেপকে যথেষ্ট মনে করেন না বিশেষজ্ঞদের অনেকে।

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: এর উল্টো মতও আসছে। বিভিন্ন পত্রিকায় লেখা দেখবেন যে, আমরা নাকি অতিরিক্ত ফাইন করছি। এ জন্য নাকি সবাই চলে যাচ্ছে। ফাইনের কারণে যারা ভালো বিনিয়োগকারী তারা ভয় পেয়ে চলে যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় বলা হচ্ছে। এ রকমভাবে ফাইন করলে এই জায়গায় আর কেউ থাকবে না। এটা এখন আমাদের দোষ। আমরা কোন দিকে যাব। বিষয়গুলো আমাদের একার ওপর না। এটার প্রাথমিক রেগুলেটর ডিএসই, সিএসই। তারা যে ফাইল আমাদের কাছে পাঠায়। আমরা সেটা নিয়ে কাজ করি। সুতরাং এই জরিমানার বিষয় আমাদের হাতে না। আর যেটা বলা হয় কম জরিমানা। এখানে সবাই হয়তো দেখে তার রিয়েলাইজ গেইন আর আন রিয়েলাইজ গেইন। অনেকে বলে যে দুটো যোগ করে কেন ফাইন করা হয় না। অনেক সময় বাজার ভালো থাকে অনেক সময় বাজার খারাপ থাকে। আমরা আন রিয়েলাইজ ধরি না এই কারণে যে, দেখা গেছে যে সময় ফাইন করা হয়েছে, ততদিনে তার আন রিয়েলাইজ গেইনের টাকা নাই হয়ে গেছে। যেটা রিয়েলাইজ ছিল সেটাও নাই হয়ে গেছে। আমরা তারপরও জরিমানা করছি।

দৈনিক বাংলা: কাজ করতে গিয়ে বাইরের কোনো চাপ অনুভব করেন?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: এটা আসলে ব্যালান্স করতে হয়। বইয়ে যেভাবে পড়ে আসে মানুষ, সেটা এখানে হয় না। আমি একজন অপরাধীকে যখন ধরতে পারি, আমি যদি দেখি তার অপরাধ করার প্রবণতাটা বন্ধ হয়ে গেছে, তখন তাকে সুযোগ দিচ্ছি। যদি দেখি ভালো হয়নি, হবেও না, তাদের সঙ্গে কঠোর হচ্ছি। এখানে বাস্তবতা একদম আলাদা। আপনারা দূর থেকে যেটা দেখেন আসল চিত্র তা না। এটার ভেতরে অনেক স্টোরি থাকে। অনেক সুবিধা-অসুবিধা থাকে। এখানে মানুষকে টার্গেট করেও বিপদে ফেলা হয়। তাদের বাঁচাতে গিয়ে আমাদের অনেক কিছু করতে হয়।

দৈনিক বাংলা: আপনার কি কখনো মনে হয় কাজ করতে গিয়ে আপনাকেও টার্গেট হতে হচ্ছে?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: সেটা হচ্ছে, হবেই। অনেক পত্রিকার সঙ্গে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় জড়িত। পত্রিকা, টেলিভিশন তারা এগুলোকে ব্যবহার করে।

দৈনিক বাংলা: এ ব্যাপারে পাঠক বা বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে কিছু বলার আছে আপনার?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: তাদের বলব, যারা সরকারের কোনো বড় দায়িত্বে থাকে, তাদের বিভিন্ন কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেই সিদ্ধান্তগুলো কারও পক্ষে যায়, কারও বিপক্ষেও যায়। বিপক্ষ শক্তি সব সময় প্রতিশোধপ্রবণ হয়। অনেক সময় মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অনেকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়। তাই সব সংবাদ বিশ্বাস না করে সত্য-মিথ্যা যাচাই করে তারপর যেন মানুষ তা গ্রহণ করে। সাংবাদিক ভাইদের কাছে আমার অনুরোধ, আমাদের কাজ-কর্মে যদি কোনো ভুল-ত্রুটি থাকে সেটা তুলে ধরলে আমরা খুব খুশি হবো। নিজেদের কারেকশন করতে পারব। কিন্তু কারও ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের উদ্দেশ্য যদি থাকে সেটা সুস্থ সাংবাদিকতা না।

দৈনিক বাংলা: এখন যে ফ্লোর প্রাইস আছে সেটাতে একটি ডেড লকের মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে বাজারে। এখান থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা কী?

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: এই মুহূর্তে বিনিয়োগকারীর সুরক্ষা আমার প্রথম লক্ষ্য। আমি যদি ফ্লোর প্রাইস এখন তুলে দেই আর বাজারে যদি বড় মূল্য সংশোধন হয়, ফোর্স সেল শুরু হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাবে। আমার আগে এটা ঠেকাতে হবে। আমার এখন লেনদেন কম হচ্ছে। এই যুদ্ধকালে লেনদেন একটু কম হোক। ব্যাংকিং খাতে তো অনেক এলোমলো হয়ে যাচ্ছে যুদ্ধের কারণে। সেখানে কিন্তু কেউ কিছু বলে না। ব্রোকারেজ হাউসে লেনদেন কম হওয়ায় লোকসান হচ্ছে। সেটা তো ব্যবসা বেড়ে গেলে কভার হয়ে যাবে দুদিন পরে। কিন্তু সাধারণ বিনিয়োগকারীর যে ক্ষতি হবে সেটা কভার করা যাবে না।

দৈনিক বাংলা: আমাদের সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম: আপনাদেরও ধন্যবাদ।


পুঁজিবাজার : সূচক বেড়ে চলছে লেনদেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।

এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।

সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।

অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।

এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।


সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।


ছুটি শেষে বড় উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।

প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।

এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।


পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের উত্থান, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।

দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।

প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।


সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।


পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।


পুঁজিবাজারে উত্থানের মুখ দেখলো ঢাকা, পতন চট্টগ্রামে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

টানা দুই দিন পতনের পর ঢাকার পুঁজিবাজারে উত্থান হলেও সূচক কমেছে চট্টগ্রামে। তবে দুই বাজারেই বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৮ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস ৫ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯০ কোম্পানির দাম বেড়েছে বেশিরভাগের। ২২১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১০৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেড়েছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ২১৩ কোম্পানির মধ্যে ১০৬ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ৭০ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ১৩ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩ কোম্পানির।

৩১ কোম্পানির ২৩ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড সর্বোচ্চ ১১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৯৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৮৮ কোটি টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফুওয়াং ফুড। অন্যদিকে ৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইউসিবি ব্যাংক।

চট্টগ্রামে পতন

ঢাকায় উত্থান হলেও সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৭ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেয়া ১৭৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৬৯, কমেছে ৬৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ১৬ কোটি ১০ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার শমরিতা হাসপাতাল এবং ১০ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।


পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।

বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।


সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।

লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।

এই সম‌য়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯‌টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২‌টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, ‌সেখা‌নে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।

চট্টগ্রা‌মে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩‌টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬‌টির, কমেছে ৪৪‌টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।


পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।

২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।

৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।


পুঁজিবাজার: লেনদেন শেষে সূচকের উত্থান, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির দর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

পতন দিয়ে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। দাম বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৯ পয়েন্ট। তবে প্রধান সূচক বাড়লেও বাকি দুই সূচকের সুবিধা করতে পারেনি ঢাকার বাজার।

শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৪ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ১৮৯ কোম্পানির দর বাড়লেও কমেছে ১৬০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেড়েছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২১৬ কোম্পানির মধ্যে ১২২ কোম্পানির দর বেড়েছে। দর কমেছে ৮০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারমূল্য।

দাম বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরে পতন হয়েছে ৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩ কোম্পানির।

২১ কোম্পানির ৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। বেকন ফার্মা সর্বোচ্চ ২ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সূচক এবং কোম্পানির শেয়ারের দাম সন্তোষজনক হলেও লেনদেনে সুবিধা করতে পারেনি ডিএসই। সারাদিনে মোট ৩৬৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৬ কোটি টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার নর্দান ইসলামি ইনস্যুরেন্স। অন্যদিকে সাড়ে ৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে বে-লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

চট্টগ্রামেও উত্থান

ঢাকার মতো সূচক বেড়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮২ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৯১, কমেছে ৭১ এবং অপরিবর্তিত আছে ২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২১ কোটি টাকার ওপরে।

৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফিনিক্স ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং ১০ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে রয়েছে গ্রিন ডেলটা ইনস্যুরেন্স পিএলসি।


বড় পতনের পর উত্থান দিয়ে শুরু শেষ কার্যদিবসের লেনদেন

আপডেটেড ৮ মে, ২০২৫ ১২:৩৭
ইউএনবি

গত দিনের দেড়শ পয়েন্ট সূচকের পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে উত্থান দিয়ে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ২৫ এবং বাছাইকৃত ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২২ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। ৩৬৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৯ কোম্পানির এবং দাম অপরিবর্তিত আছে ১২ কোম্পানির শেয়ারের।

দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৫০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো লেনদেনের ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় আছে চট্টগ্রামের বাজারেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ৬৬ পয়েন্ট।

লেনদেন হওয়া ১২৭ কোম্পানির মধ্যে ৮০ কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৩১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ১২ কোটি ৯০ লাখ টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।


ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।

এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।

সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।

দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।


banner close