মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১৫ আশ্বিন ১৪৩২

কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারছে না

ড. মোস্তাফিজুর রহমান
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ১০:১৪

কয়েক বছর ধরে ব্যাংক খাত থেকে বেনামে ঋণ সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। বিষয়টি শুধু নির্দিষ্ট কোনো গ্রুপ করছে না, বরং এটি ব্যাংক খাতের সার্বিক চিত্র। বাইরের নানা চাপের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারছে না। সম্প্রতি ব্যাংক খাতে বিভিন্ন অনিয়ম সংঘটিত হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় রিসার্চ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান। দৈনিক বাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেছেন। এ ছাড়া খেলাপি ঋণ, ডলার সংকট, সুদের হারসহ দেশের ব্যাংকিং খাতের নানা বিষয় নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন দৈনিক বাংলার প্রতিবেদক এ এস এম সাদ।

ইসলামী ধারার কয়েকটি ব্যাংকে ঋণ বিতরণে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে, বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
ব্যাংক জালিয়াতির বিষয়টি কোনো একটি নির্দিষ্ট ঘটনা নয়। কয়েক বছর ধরে দেশের ব্যাংকগুলোতে এক রকম অনিয়মের চর্চা হয়ে আসছে। ব্যাংক বড় অঙ্কের টাকা গ্রাহককে ঋণ দিচ্ছে, কিন্তু তা আর ফেরত পাচ্ছে না। নির্দিষ্ট সময় পর এসব গ্রাহক খেলাপি করছে। এতে ধীরে ধীরে খেলাপির সংখ্যা বাড়ছে। ফলে সামগ্রিকভাবে দুর্বল হচ্ছে দেশের ব্যাংক খাত। অনেক ব্যক্তি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয় কারণ সেই টাকা আর ফেরত দেবে না। এসব ব্যক্তি বড় অঙ্কের টাকা ঋণ নিয়ে দেশের বাইরে পাচার করে দিচ্ছে। এ ধরনের অনিয়ম দীর্ঘদিনের। ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার পর সেই টাকা পরিশোধ না করার চর্চা কোনো একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক বা গ্রুপের ক্ষেত্রে ঘটছে এমন নয়। ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী গ্রুপ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আর ফেরত দিচ্ছে না। ফলে ঋণখেলাপির এই চর্চাকে থামানোর জন্য এখনই এদের বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। খেলাপিদের বিষয়ে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এ অনিয়ম চলতে থাকবে। সিপিডি ২০২০ সালে ব্যাংক খাতে সংস্কারের জন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে বলেছে। দেশের সার্বিক ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় অরাজকতার জন্য সে সময় সিপিডির পক্ষ থেকে একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। কোন ব্যক্তিদের দিয়ে এ কমিশন গঠন করে কত সময়ের মধ্যে সুপারিশ দিতে হবে সে বিষয়ে সিপিডি থেকে একটি রূপরেখা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা দেখতে পারছি, সাম্প্রতিক সময় ব্যাংকে খেলাপিদের কারণে এ খাতে এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে এ খাতে টাকার পরিমাণ কমে যাচ্ছে। উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য ব্যাংক সঠিকভাবে ঋণ দিতে পারছে না। বিনিয়োগকারীদের ব্যবসা করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ সরবরাহ করতে হয়। তবে এ কাজটি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। সামগ্রিক দিক বিবেচনা করলে অর্থনীতিতে ব্যাংক খাতের এক ধরনের অবদান দরকার। সেটি যথাযথভাবে ব্যাংক খাত থেকে আসছে না।

কয়েক বছর ধরে ব্যাংক খাতে নানা অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে। এ খাতে কি সঠিক সংস্কার করা হচ্ছে?
ব্যাংক খাতে নানা দিক সংস্কার করার সুপারিশ করলেও, উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। বরং এ খাতের সংস্কার সামনের দিকে অগ্রসর না হয়ে পেছনের দিকে ধাবিত হয়েছে। পরিবারের কতজন সদস্য একটি ব্যাংকের পরিচালকের আসনে থাকতে পারবেন, সেটি নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছিল। এ পদে একই পরিবার থেকে দুজন থাকার নিয়ম ছিল। পরে চারজন করা হয়। আবার প্রথমে পরিচালক পদে ছয় বছর বহাল থাকার নিয়ম ছিল, পরে তা বাড়িয়ে করা হলো নয় বছর। ফলে একটা সময় ব্যাংকের মালিকানা চলে যায় সেই পরিবারটির কাছে। পরবর্তী সময় অভিযোগ ওঠে এসব পরিচালক নিজেরাই নামে-বেনামে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে থাকেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ক্ষমতা এবং নিয়ম অনুযায়ী সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণেই ব্যাংক থেকে বেনামে ঋণ বেরিয়ে যাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত?
ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশে যেসব ব্যাংক গড়ে উঠেছে সেখানে আগে কোনো রকমের নিয়মবহির্ভূত কর্মকাণ্ড বা অনিয়ম সংঘটিত হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শক্ত পদক্ষেপ দেখা যেত। তবে গত কয়েক বছর ধরে আর্থিক খাতে ঋণ কেলেঙ্কারিসহ নানা অনিয়মের ঘটনা সংঘটিত হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর কোনো রকমের পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি। ব্যাংকগুলোতে বিভিন্ন ঋণ অনিয়মের পরও সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না পারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয়। কারণ আগে কোন ব্যাংকে অনিয়ম সংঘটিত হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেখানে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিত। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনিয়মের বিরুদ্ধে কোনো রকমের শক্ত পদক্ষেপ নেয় না। কোনো গোষ্ঠী ব্যাংক থেকে অনিয়মের মাধ্যমে ২০-৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে চলে যাচ্ছে- এ ঋণ একসঙ্গে নেয়া সম্ভব নয়, বরং ধাপে ধাপে ব্যাংক থেকে নিয়েছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক এই রকম ঋণ নেয়ার বিষয়ে আঁচ করতে পারলে, তখনই যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যারা ঋণ নিয়েছে শুধু তাদের নয়, যারা ঋণ বিতরণ করছে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তবে বাইরের নানা রকমের প্রভাবের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারছে না। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্ষমতা এবং সক্ষমতা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠছে। ব্যাংক থেকে টাকা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া শুধু ব্যাংকিং খাতের জন্য ক্ষতি নয়, এ অনিয়ম অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাকেও দুর্বল করে দেয়। এই অনিয়মের কারণে শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। ফলে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।

সামগ্রিক অর্থনীতির বিবেচনায় আমানত ও ঋণের সুদের হারকে ৯-৬-এর মধ্যে না রেখে বাজার ব্যবস্থার ওপর ছেড়ে দিতে বলছেন অর্থনীতিবিদরা, বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
সময়ের সঙ্গে সঠিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। কারণ আগে ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের সুদের হার বেশি ছিল। একটা সময় ঋণের সুদের হার ১৫ শতাংশ পর্যন্ত নেয়া হতো। অন্যদিকে আমানতের সুদের হার ছিল ৮-৯ শতাংশ। তখন বিনিয়োগ করা কঠিন ছিল। যদিও সে সময় কম ছিল দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি। মূল্যস্ফীতির বিবেচনায় ও বিনিয়োগ অধিক পরিমাণে বাড়ানোর জন্য আমানত ও ঋণের সুদের হারকে ৯-৬ এর মধ্যে আনা হয়। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগে থেকেই বলছে, মূল্যস্ফীতির ওপর আমানতের সুদ প্রদান করতে হবে। এ রকম সিদ্ধান্ত সে সময়ের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্য সঠিক ছিল। কারণ সে সময়ে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায় ছিল। বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করলে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপর। ফলে আমানত ও ঋণের সুদের হার নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিবেচনা করতে হবে। কারণ জনগণ সঞ্চয়ের উৎসাহ না পেলে ব্যাংকে টাকা আসবে না। এতে ব্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সঙ্গে প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক অর্থনীতিতে। ব্যাংকে পর্যাপ্ত আমানত না এলে বিপাকে পড়বেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ তাদের ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য ব্যাংকগুলোকে ঋণ প্রদান করতে হবে। ভোক্তাঋণ ১২ শতাংশ করে দিতে পারবে, এমন একটি খবর শোনা যাচ্ছে। তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বচ্ছতার প্রয়োজন রয়েছে। ভোক্তাঋণ ও আমানতের সুদের হার সামগ্রিক অর্থনীতি ও মূলস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। অন্যদিকে উৎপাদনের জন্য নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এতে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়বে। ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাজারকে স্থিতিশীল করতে পারবে। ব্যবসায়ীদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ করা গেলে মোট সার্বিক অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলছেন জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ডলার সংকট কমবে। আপনি কী মনে করছেন?
সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য ডলারকে এক দরে নিয়ে আসতে হবে। ডলারের দর বাফেদা-এবিবি ঠিক করবে নাকি সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থার চাহিদা-জোগানের ওপর নির্ভর করবে সেটি বিবেচ্য বিষয়। বাফেদা-এবিবি এক দর ঠিক করল, আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক কয়েকটি দর ঠিক করল, এতে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হবে। ফলে বাজার ব্যবস্থার ওপর ডলার দর নির্ধারণ করলে রপ্তানির সক্ষমতা বাড়বে। অন্যদিকে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানো বাড়াবে। সম্প্রতি বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করলে আমদানিকৃত পণ্যের দাম বেড়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ডলারের বিপরীতে টাকা অতি মূল্যায়িত রাখার বিষয়টি। চার-পাঁচ বছর আগের থেকে আমাদের পরামর্শ ছিল, ডলারের বিপরীতে টাকার মান কত হবে, সেটি বাজার ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অবমূল্যায়ন করার। বলা হয়েছিল ধীরে ধীরে অবমূল্যায়ন করতে। কিন্তু তখন ডলারের বিপরীতে টাকার মানকে ধরে রেখেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আবার চলতি বছর অনেকবার টাকার মান কমানো হয়। ফলে সামগ্রিক অর্থনীতির বিবেচনায় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বাড়ছে, এদিকে টাকার মানও প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোতে অর্থনীতি এক ধরনের চাপের মধ্যে পড়েছে। বাংলাদেশের মতো দেশের ডলার নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। রিজার্ভ গঠিত হয় ডলার দিয়ে। আর এ সময় বৈধপথে ডলার নিয়ে আসার জন্য প্রবাসীদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করতে হবে। গত বছর থেকে চলতি বছর পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ কর্মী প্রবাসে গেছে। তবে সে পরিমাণে রেমিট্যান্স আসা কমেছে। হুন্ডির মাধ্যমে বড় অঙ্কের রেমিট্যান্স দেশে আসছে। এ ক্ষেত্রে হুন্ডি বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট ইউনিটকে (বিএফআইইউ) কড়া নজরদারি বাড়াতে হবে। রেমিট্যান্স যত আসবে ততই আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিতে হবে। শুধু এ খাতের জন্য সরকারের কোষাগার থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। প্রণোদনা কত দিতে পারবে সেটিরও একটা সীমা নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

নিত্যপণ্যের দাম কমাতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া জরুরি?
আমদানিকৃত মূল্যস্ফীতি বাড়বে, এটি অস্বীকার করার উপায় নেই। বাজারকে স্থিতিশীল রাখার জন্য কাস্টমস ডিউটিকে সমন্বয় করতে হবে। ভোগ্যপণ্য আমদানি থেকে ভোক্তা পর্যায় সরবরাহে নানা ধরনের কারসাজি হয়। এ অনিয়মগুলো কমিয়ে আনলে ভোক্তা পর্যায় নিত্যপণ্যের দাম সহনশীল থাকবে। রপ্তানি বৃদ্ধি ও রেমিট্যান্স সরবরাহ বাড়াতে পারলে সামাজিক সুরক্ষা খাতকে সর্বসাধারণের জন্য সমৃদ্ধ করা সম্ভব হবে। ফিসক্যাল ও মনিটরি পলিসির সমন্বয় করে আমদানিকৃত মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে হবে। এ বিষয়গুলোতে সমন্বয় করতে ভূমিকা পালন করতে হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর)।

সময় মতো সঠিক অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হচ্ছে না কেন?
সময় মতো সঠিক অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত না নেয়া দুর্বলতার বহির্প্রকাশ। গত কয়েক বছর দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। সময়ের সঙ্গে নতুন প্রজন্মের জন্য নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জ আসছে। নতুন প্রজন্মের জন্য শুধু নয়, মানসম্মত স্বাস্থ্য। শুধু শিক্ষা নয়, মানসম্মত শিক্ষা। শুধু শাসন নয়, সুশাসন নিশ্চিত করার মতো চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে। পরবর্তী প্রজন্মের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য যেসব প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা গঠন করা জরুরি, কিন্তু বাস্তবিক অর্থে তা সমান্তরালভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে না। ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নানা ভুল পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। আবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও বাস্তবায়ন করতেও সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ফলে এ-সংকটগুলো নানা সম্ভাবনাকে সীমিত করে দিচ্ছে। ডলার বিনিময় হার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, চার-পাঁচ বছর আগ থেকে ধীরে ধীরে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন করলে সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক প্রভাব বয়ে আনত। অর্থনীতিবিদরা গত কয়েক বছর ধরে দাবি করছে টাকার মান অতি মূল্যায়িত ছিল। ভারত, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, তুরস্ক, চীন- এসব দেশ তাদের কারেন্সিকে (মুদ্রা) অবমূল্যায়িত করেছে। ফলে এসব দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে রপ্তানিকারকরা সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। এ ছাড়া আমরা বলেছিলাম, টাকার মান কমানো হলে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানোও বাড়াবে। কিন্তু তখন একদর্শীভাবে টাকার মানকে ধরে রেখেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারা অবমূল্যায়ন করা হলে আমদানি পণ্যের মূল্য বেড়ে মূল্যস্ফীতিও চড়া হওয়ার আশঙ্কা করেছিল। তবে মূল্যস্ফীতি বাড়লেও শ্লথ গতিতে বাড়ত। কিন্তু এতদিন পর এসে টাকার মান কমাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যখন আন্তর্জাতিক বাজারে সব নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে।

দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি নাগাদ সহনশীল পর্যায় আসবে?
অর্থনীতিবিদ হিসেবে আমি মনে করি, আমদানি কমিয়ে দিলে ব্যালেন্স অব পেমেন্টের অবস্থা তুলনামূলকভাবে ভালো হবে। এটাই স্বাভাবিক। কারণ আমদানি কমিয়ে রপ্তানি অব্যাহত ও রেমিট্যান্স সংগ্রহ করলে ব্যালেন্স অব পেমেন্টের অবস্থা ইতিবাচক দিকে ধাবিত হবে। এতে রিজার্ভও বাড়বে। এই প্রক্রিয়া অর্থনীতিকে স্বাভাবিক করতে ব্যাহত করবে। কারণ নিত্যপণ্য আমদানি কমিয়ে দেয়া কোনো স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নয়। ফলে আমদানি কমিয়ে দেয়ার কারণে সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়ল সেটি বিবেচনায় আনতে হবে। বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রতিডলার ১০৭ টাকার সঙ্গে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা মিলিয়ে ১১০ টাকা পাওয়া যায়। ফলে কার্ব মার্কেট দরের কাছাকাছি। ফলে বৈধপথ ও কার্ব মার্কেটের দরে পার্থক্য খুব বেশি না থাকলেও প্রবাসীরা হুন্ডির মাধ্যমে ডলার পাঠাচ্ছে। নভেম্বরে রেমিট্যান্সে ডলারসংকট তুলনামূলকভাবে কমেছে। সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য গ্রোস রপ্তানি চিন্তা করলে হবে না, নিট রপ্তানিকে বিবেচনায় নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। আগের ঋণপত্র খোলার বিষয়ে এক ধরনের চাপ তৈরি হয়েছিল। তবে ব্যাংকে এলসি খোলার চাপ আগের চেয়ে কমেছে। ফলে কয়েক মাস ধরে চলমান ডলারসংকট জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে কমে আসবে বলে ধারণা করা যায়। এ ছাড়া আইএমএফ ও অন্যান্য দাতা সংস্থা থেকে ২০২৩ সালে ঋণ পাবে বাংলাদেশ। বর্তমানে এলসি খোলা কমিয়ে দিলেও ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধির জন্য আমদানি বাড়াতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বছর দুর্ভিক্ষের আভাস দিয়েছেন। দেশে এ রকম পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?
প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব খাদ্যসংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশও এ প্রভাবের বাইরে নয়। যুদ্ধের কারণে কয়েকটি প্রধান খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বেড়েছে। আবার কিছু জিনিসপত্রের সংকট তৈরি হয়েছে। আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে। আবার বোরো ধানের ফসল যদি ঠিকমতো হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। ফলে চালের সরবরাহ ঠিক থাকলে সামগ্রিক অর্থনীতি ঠিক থাকবে। নিত্যপণ্য ও খাদ্যের দাম কমে আসবে। তবে সরকারকে নানা ধরনের খাদ্য প্রকল্পে সুবিধা দিয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দেয়া অব্যাহত রাখতে হবে।

বিষয়:

"সাউথইস্ট ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক জনাব আজিম উদ্দিন আহমেদ ইন্তেকাল করেছেন ”

আপডেটেড ২ আগস্ট, ২০২৫ ১২:৫০

সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি গভীর শোকের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, ব্যাংকের সম্মানিত স্পনসর পরিচালক ও সাবেক চেয়ারম্যান জনাব আজিম উদ্দিন আহমেদ ০১ আগস্ট ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুতে সাউথইস্ট ব্যাংক পরিবার গভীরভাবে শোকাহত।

জনাব আজিম উদ্দিন আহমেদ ১৯৪০ সালের ৩০ জুন এক সম্মানিত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একজন সম্মানিত সদস্য এবং পর্ষদের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান।

তিনি বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য জগতে একজন খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি মিউচুয়াল গ্রুপ এবং এডি হোল্ডিংস লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও, তিনি আর্লা ফুডস বাংলাদেশ লিমিটেড-এর পরিচালক ও সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।

শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ-এর একজন প্রতিষ্ঠাতা আজীবন সদস্য ছিলেন। তিনি এই বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ফাউন্ডেশনেরও একজন প্রতিষ্ঠাতা আজীবন সদস্য ছিলেন।

শিক্ষা ও সমাজসেবায়ও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি নিজ জিলা ফেনীতে প্রতিষ্ঠা করেছেন মসজিদ,মাদ্রাসা | এছাড়াও বিভিন্ন সমাজ হিতৈষী কাজে জড়িত ছিলেন তার উদার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে |

সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি. পরিবার জনাব আজিম উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছে এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।


জুলাই মাসের প্রথম ২৭ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহ ৩৩.৬ শতাংশ বৃদ্ধি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, জুলাই মাসের প্রথম ২৭ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহ ৩৩ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

গত বছরের একই সময়ে, দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ১ হাজার ৫৭২ মিলিয়ন ডলার।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ পরিমাণ।

আগের অর্থবছরে (অর্থবছর ২০২৩-২৪) প্রাপ্ত ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় রেমিট্যান্স ২৬ দশমিক ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।


আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সব ব্যাংক খোলা থাকবে

আপডেটেড ৩০ জুন, ২০২৫ ১৭:৩১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে অর্থবছরের শেষ দিন আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের সব ব্যাংকের শাখাগুলোতে ব্যাংকিং লেনদেন চলবে।

সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৩০ জুন সকাল ১০টা পর্যন্ত ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯২২ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান। তিনি বলেন, গত অর্থবছরের চেয়ে এবার বেশি রাজস্ব আদায় হওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে।


বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর ২৯ তম বার্ষিক সাধারন সভা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর ২৯ তম বার্ষিক সাধারন সভা ২৪ জুন ২০২৫ইং তারিখে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ২০২৪ইং সালের নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদন এবং ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জনাব মোস্তফা কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীর পরিচালক মিসেস বিউটি আক্তার, ব্যারিষ্টার হাসান রাজিব প্রধান, জনাব মনজুর মো: সাইফুল আজম এফসিএমএ, মিসেস তাহমিনা বিনতে মোস্তফা, জনাব তায়েফ বিন ইউসুফ, মিসেস তানজিমা বিনতে মোস্তফা, জনাব ওয়াশিকুর রহমান, জনাব তানভীর আহমেদ মোস্তফা , মিসেস সামিরা রহমান, মিসেস তাসনিম বিনতে মোস্তফা, জনাব মোঃ বেলায়েত হোসেন ভূইয়া, জনাব মোহাম্মদ সাইদ আহমেদ রাজা এবং মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সানা উল্লাহ, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা শেখ বিল্লাল হোসেন এফসিএ, কোম্পানীর অডিটর এ.কে.এম. আমিনুল হক এফসিএ, সিনিয়র পার্টনার মেসার্স এ.হক এন্ড কোং চাটার্ড একাউন্টেন্টস এবং আবদুর রহিম মিয়া, এফসিএ, পার্টনার মেসার্স ইসলাম জাহিদ এন্ড কোং, চাটার্ড একাউন্টেন্টস, মোঃ ফিরোজুল ইসলাম সিনিয়র এক্সিঃ ভাইস প্রেসিডেন্ট (অর্থ ও হিসাব) ও কোম্পানী সচিব মো: মাসুদ রানা এবং কোম্পানীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার সভায় সংযুক্ত ছিলেন।


মেঘনা ব্যাংকের ১২তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

মেঘনা ব্যাংক পিএলসি’র ১২তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ২৩ জুন ২০২৫, সোমবার রাজধানীর মহাথালীতে অবস্থিত ম্যাডোনা টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের সম্মানিত চেয়ারপার্সন মিসেস উজমা চৌধুরী।

বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান জনাব তানভীর আহমেদ, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মো. আলী আক্তার রেজভী, এফসিএ এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ মামুনুল হক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক জনাব রজব আলী, জনাব এম. নজরুল ইসলাম এবং জনাব হাবিবুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব কাজী আহ্সান খলিল এবং ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি সচিব জনাব সজিব কুমার সাহা, এফসিএ এবং ব্যাংকের সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ।

সভায় ব্যাংক নিজেদের পরিষেবা বৃদ্ধি, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি প্রচারণা, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।


লীড ব্যাংক হিসেবে সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি. এর তত্ত্বাবধানে বরিশাল জেলায় “স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স-২০২৫” আয়োজন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

সম্প্রতি সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি. বরিশাল জেলায় অবস্থিত বিভিন্ন স্কুল থেকে আগত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকদের নিয়ে লিড ব্যাংক হিসেবে ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা এর নির্দেশনায় “স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স-২০২৫” আয়োজন করেছে।

উক্ত কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ইমতিয়াজ আহমেদ মাসুম, নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব), বাংলাদেশ ব্যাংক, বরিশাল এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আবিদুর রহমান চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব), সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি., জনাব মোঃ আলী হোসেন, অতিরিক্ত পরিচালক, ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা, জনাব মোঃ হারুনুর রশিদ, জেলা শিক্ষা অফিসার, বরিশাল এবং সম্মানিত অতিথি জনাব মোঃ মাহাবুব-উল আলম, উপপরিচালক, ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা।

উক্ত কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন সাউথইস্ট ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোহাম্মদ রাশেদুল আমিন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের মধ্য হতে উক্ত কনফারেন্সে জাহানারা ইসরাইল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বরিশাল থেকে রাবিয়া কামাল (দশম শ্রেণী) এবং বরিশাল জেলা স্কুল, বরিশাল থেকে মোঃ হাসনাইন বিন কবির (দশম শ্রেণী) বক্তব্য রাখেন।

উক্ত কনফারেন্সে বরিশাল জেলার ৪৫ টি তফসিলী ব্যাংকের ৪৫ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বরিশাল জেলার বিভিন্ন স্কুল থেকে ১৮০ জন শিক্ষার্থী ও ৪৫ জন শিক্ষক এবং অতিথি সহ সর্বমোট ৩৫০ জন অংশগ্রহণ করেন। কনফারেন্সে বক্তারা শৈশব থেকেই সঞ্চয়, বিনিয়োগ ও দায়িত্বশীল অর্থ ব্যবস্থাপনার অভ্যাস গড়ে তোলা ও আধুনিক ব্যাংকিং প্রযুক্তির সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের পরিচিত করানোর লক্ষ্যে স্কুল ব্যাংকিং এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন।

এছাড়াও স্কুল ব্যাংকিং এর উপর নির্মিত ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী, র‌্যালী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিক্ষার্থীদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কনফারেন্সের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।


পূবালী ব্যাংক পিএলসি’র ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

পূবালী ব্যাংক পিএলসি’র ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ১৮ জুন ২০২৫ তারিখে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পূবালী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান মনজুরুর রহমান। বার্ষিক সাধারণ সভায় পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকবৃন্দ- মনির উদ্দিন আহমদ, হাবিবুর রহমান, এম. কবিরুজ্জামান ইয়াকুব এফসিএমএ (ইউকে), সিজিএমএ; আজিজুর রহমান, মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল, রানা লায়লা হাফিজ, মুস্তফা আহমদ, আরিফ আহমেদ চৌধুরী ও স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ নওশাদ আলী চৌধুরী এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়াররহোল্ডারগণ ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। এসময় ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী, সিএফও ও মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ লিটন মিয়া এফসিএ এবং কোম্পানী সচিব ও মহাব্যবস্থাপক মোঃ আনিসুর রহমান ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।

৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় পূবালী ব্যাংক পিএলসি’র সম্মানিত শেয়ার হোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সালের জন্য ১২.৫০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড ও ১২.৫০% স্টক ডিভিডেন্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়।

বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং এই মাইলফলক অর্জনে অক্লান্ত অবদান রাখায় পূবালী ব্যাংকের নিবেদিতপ্রাণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান। সবশেষে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মহোদয় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।


ময়মনসিংহে জনতা ব্যাংক পিএলসি. টাউন হল মোড় শাখার উদ্বোধন

আপডেটেড ৪ জুন, ২০২৫ ১৮:১৫

৪ জুন’২৫ রোজ বুধবার ময়মনসিংহ শহরে জনতা ব্যাংক পিএলসি. টাউন হল মোড় শাখা (পূর্ব নাম মহিলা শাখা) নতুন ভবনে স্থানান্তর উপলক্ষে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান। ময়মনসিংহ এরিয়া অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক মোঃ জাহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক ফারজানা খালেক ও স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান খান। এ সময় ব্যাংকের অন্যান্য নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীগণ উপস্থিত ছিলেন।


জনতা ব্যাংকের ফরিদপুর বিভাগীয় শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জনতা ব্যাংক পিএলসি’র ফরিদপুর বিভাগীয় শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন ৩০ মে’২৫ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান এবং উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আশরাফুল আলম। ফরিদপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের ইনচার্জ মোঃ সহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে ফরিদপুর বিভাগের এরিয়া প্রধানগণ ও অন্যান্য নির্বাহীবৃন্দ এবং শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।


ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হওয়ার সংবাদ সঠিক নয়: কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ইসলামী ধারার ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হওয়ার যে খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এই ধারার ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান শুক্রবার (৩০ মে) দেওয়া এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে ৬টি দুর্বল ব্যাংক একীভূত হয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসছে। ৬টি ব্যাংকের মধ্যে ৫টি ইসলামী ধারার ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

তিনি জানান, ‘এনবিএল প্রচলিত ধারার ব্যাংক। ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো সংস্কারের সঙ্গে এনবিএল সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এর আগে, একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আহসান এইচ মনসুর জানান, নানা অনিয়ম ও ঋণ জালিয়াতির কারণে দুর্বল হওয়ায় ছয়টি ব্যাংককে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে একীভূত করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো একীভূত করে সাময়িক সময়ের জন্য সরকারি মালিকানায় নেওয়া হবে।

পরবর্তীতে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হবে এই মর্মে নানা সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে- যা সঠিক নয় বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ ছাড়া, একীভূত হওয়ার পর সাময়িক সরকারি মালিকানার সিদ্ধান্ত থেকেও সরে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সবশেষ ২৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে বিএফআইইউর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে গভর্নর জানান, ‘একীভূতকরণের আগেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর ওপর সরকার মালিকানা প্রতিষ্ঠা করবে। এতে আমানতকারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ তারা একটি অধিকতর শক্তিশালী ব্যাংকের অংশ হয়ে যাবেন। তবে মোট কতটি ব্যাংক একীভূত হবে এ ব্যাপারে এখনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’

গভর্নর জানান, সব দুর্বল ব্যাংক একবারে একীভূত হবে না। প্রথম দফায় কয়েকটি ব্যাংক একীভূত হবে। পরে পরিস্থিতি বিবেচনায় বাকি দুর্বল ব্যাংক নিয়ে সিদ্ধান্ত নিবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।


জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজে শুরু হলো ছয় দিনের ক্রেডিট ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ

নবীন ও মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে স্টাফ কলেজে ‘ক্রেডিট ম্যানেজমেন্ট কোর্স’ এর উদ্বোধন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জনতা ব্যাংক পিএলসি এর মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ মজিবর রহমান গত শনিবার (২৪/০৫/২০২৫) জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজ, ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত ০৬ কর্মদিবস ব্যাপী ক্রেডিট ম্যানেজমেন্ট কোর্স (ব্যাচ ০১/২৫) শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন করেন।

উক্ত প্রশিক্ষণ কোর্সে জনতা ব্যাংকের অফিসার থেকে সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার পর্যায়ের ২৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজের ডিজিএম-স্টাফ কলেজ ইনচার্জসহ অন্যান্য নির্বাহী ও অনুষদ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।


ইসলামিক ব্যাংকিং বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশ ব্যাংকের ইসলামিক ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (IBRPD) এর উদ্যোগে ২৫ মে, ২০২৫ তারিখ রবিবার প্রধান কার্যালয়ের মূল ভবনের কনফারেন্স রুমে Governance Framework on Islamic Banking Division in Bangladesh Bank এবং Islamic Banking Financial Systems in Bangladesh: The Need for Education শীর্ষক দু’টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন প্রথিতযশা ইসলামিক অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ কবির হাসান।

আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন ডেপুটি গভর্নর ড. মোঃ কবির আহাম্মদ এবং স্বাগত বক্তব্য দেন নির্বাহী পরিচালক মোঃ মেজবাউল হক। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নিউ অরলিনস্ এর ইকোনমিকস্ এন্ড ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ও প্রখ্যাত ইসলামিক অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ কবির হাসান তার বক্তব্যে ইসলামিক ফাইন্যান্সের অগ্রগতির জন্য গবেষণার কোনো বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় ইসলামিক ফাইন্যান্সে ঈর্ষণীয় অগ্রগতি লাভ করেছে মূলত গবেষণার ওপর জোর দেয়ায়। বাংলাদেশেও এ বিষয়ে একাডেমিক জ্ঞান অর্জনে মনোযোগ দিতে হবে এবং আন্তর্জাতিক ইসলামিক ফাইন্যান্স সংস্থাগুলোর নীতিমালা ও আইনকানুন অনুসরণ করতে হবে। তিনি তার বক্তব্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামিক ফাইন্যান্স আইন প্রণয়ন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে সেন্ট্রাল শরীয়াহ্ বোর্ড স্থাপন, ইসলামি ব্যাংকিং পরিচালনায় একজন ডেডিকেটেড ডেপুটি গভর্নর নিয়োগ এবং দক্ষ জনবল ক্সতরি করা জরুরি বলে উল্লেখ করেন।

এক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। সেমিনারে দেশের ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থার অগ্রগতি তুলে ধরে বিশিষ্ট ব্যাংকার এবং ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বর্তমান ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, সঠিকভাবে এগোলে পুরো ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় ইসলামী ব্যাংকিং ৫০ শতাংশে উন্নীত হতো। এজন্য এখাতে কর্মরত ২৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ৪ কোটি গ্রাহককে ইসলামি ব্যাংক সম্পর্কিত একাডেমিক জ্ঞানে শিক্ষিত করা জরুরি। এ লক্ষ্যে একটি আলাদা ইনস্টিটিউটের যে দাবি উঠেছে তা অত্যন্ত যৌক্তিক বলেও মত দেন তিনি।নির্বাহী পরিচালক মোঃ মেজবাউল বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্সের প্রসারে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় আইনগত কাঠামো ও স্বতন্ত্র নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করছে বলে জানান। সেমিনারে বিশেষ অতিথির দিকনির্দেশনা ও মতামত ইসলামি ব্যাংকিং কার্যক্রমে জড়িত কর্মকর্তাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করবে জানিয়ে এমন অনুষ্ঠান নিয়মিত করার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন। সেমিনারে বক্তারা বাংলাদেশ ব্যাংক ও দেশের ইসলামিক ব্যাংকগুলোর অংশগ্রহণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি ডেডিকেটেড ইন্সটিটিউশন প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

সেমিনার দু’টিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ব্যাংকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং, আরবি ও ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যানগণ এবং নীতি নির্ধারকগণ অংশগ্রহণ করেন।


দুবাইয়ে প্রবাসীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জনতা ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের যৌথ অংশগ্রহণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে প্রবাসীদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৫ মে বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর . আহসান এইচ মনসুর প্রধান অতিথি এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। জনতা ব্যাংক সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান, ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশিদ ওহাব, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান এবং ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক খান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর . আহসান এইচ মনসুর অনুষ্ঠানে বলেন, দেশের দুর্বল ব্যাংকগুলোয় সরকারি হস্তক্ষেপের কথা ভাবছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিদেশে অর্থ পাচারে জড়িতদের ধরতে প্রয়োজন বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা নেওয়াসহ অর্থ পাচারকারীদের সম্পদ জব্দের লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ সাম্প্রতিক সময়ে বিপুল পরিমান রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য প্রবাসীদের সাধুবাদ জানান।

জনতা ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন শহরে ১৩ টি বুথ স্থাপনের ঘোষণা দেন। এ সময় জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানান।


banner close