আগামী বৃহস্পতিবার থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ২০২৪ সালের ২য় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে সংসদে অধিবেশন চলাকালে জাতীয় সংসদ ভবন ও এর পাশ্ববর্তী এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আজ মঙ্গলবার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়, আগামীকাল বুধবার রাত ১২টা থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সব ধরণের অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়াও যে কোন প্রকার সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষেধ করা হয়েছে।
যেসব এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে–
ময়মনসিংহ রোডের মহাখালী ক্রসিং থেকে পুরাতন বিমান বন্দর হয়ে বাংলামোটর ক্রসিং পর্যন্ত, বাংলামোটর লিংক রোডের পশ্চিম প্রান্ত থেকে হোটেল সোনারগাঁও রোডের সার্ক ফোয়ারা পর্যন্ত, পান্থপথের পূর্বপ্রান্ত থেকে গ্রীন রোডের সংযোগস্থল হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত, মিরপুর রোডের শ্যামলী মোড় থেকে ধানমন্ডি-১৬ (পুরাতন-২৭) নম্বর সড়কের সংযোগস্থল, রোকেয়া সরণির সংযোগস্থল থেকে পুরাতন ৯ম ডিভিশন (উড়োজাহাজ) ক্রসিং হয়ে বিজয় সরণির পর্যটন ক্রসিং, ইন্দিরা রোডের পূর্ব প্রান্ত থেকে মানিক মিয়া এভিনিউ এর পশ্চিম প্রান্ত, জাতীয় সংসদ ভবনের সংরক্ষিত এলাকা এবং এই সীমানার মধ্যে অবস্থিত সবগুলো রাস্তা ও গলিপথ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ২য় অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
রাজধানীর কালশীতে দিনভর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন ও বিকেলের দিকে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শেষে এখন কালশীর পরিস্থিতি স্বভাবিক রয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর থেকে কালশীতে স্বাভাবিক যান চলাচল শুরু হয়।
ডিএমপির ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. জসিম উদ্দীন গণমাধ্যমকে জানান, কালশীর পরিস্থিতি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর স্বাভাবিক হয়েছে। বর্তমানে যান চলাচল শুরু হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন পুনরায় না ঘটে সেজন্য পুলিশ সদস্যরা রাস্তায় রয়েছেন।
কালশীতে পুলিশ বক্স পোড়ানোর ঘটনায় মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে অবশ্যই মামলা হবে। মিরপুর ট্রাফিক বিভাগ বাদী হয়ে একটি মামলা করবে। এরই মধ্যে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
রোববার দুপুরের পর থেকে রাজধানীর কালশী এলাকায় প্রচণ্ড তাণ্ডব চালায় অটোরিকশা চালকরা। একপর্যায়ে তারা বিকেলের দিকে কালশীর রাস্তা অবরোধ করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তারা বিভিন্ন পরিবহনের একাধিক বাসে ভাঙচুর করেন। এ ছাড়া, সর্বশেষ কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনরত অটোরিকশা চালকরা।
এর আগে, আজ রোববার সকাল থেকে রাজধানীর মিরপুরের বেশ কিছু এলাকায় লাঠিসোটা নিয়ে সড়ক অবরোধে নামেন ব্যাটারিচালিত অটো রিকশার চালকরা। এ সময় ব্যহত হয় স্বাভাবিক যান চলাচল।
ঢাকা মহানগরে ব্যাটারি অথবা মোটরচালিত রিকশা-ভ্যান এবং রংচটা, জরাজীর্ণ, লক্কড়-ঝক্কড় মোটরযান চলাচল বন্ধ করা বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
আজ রোববার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান বিআরটিএ উপপরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) হেমায়েত উদ্দিন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ব্যাটারি অথবা মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলার ঢাকা মহানগরে চলাচলের কারণে সড়কে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ অনুযায়ী ব্যাটারি অথবা মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলার এবং ফিটনেসের অনুপযোগী, রংচটা, জরাজীর্ণ ও লক্কড়-ঝক্কড় মোটরযান চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ পরিস্থিতিতে ঢাকা মহানগরে ব্যাটারি অথবা মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি- হুইলার এবং ফিটনেসের অনুপযোগ মোটরযান চলাচল বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায়, এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বিআরটিএ।”
গত বুধবার রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ কার্যালয়ে এক সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত কোনো গাড়ি (তিন চাকার) যেন ঢাকা সিটিতে না চলে। আমরা ২২টি মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছি। শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চালাতে যেন না পারে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ বিআরটিএ ভবনে মন্ত্রীর সঙ্গে ওই সভায় ঢাকার দুই মেয়রও শহরের মধ্যে এসব ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধের বিষয়ে তাদের সম্মতি জানান।
রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহারের দাবিতে আগামীকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি দিয়েছে রিকশা, ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির কথা জানায় সংগঠনটি।
এ দিকে, আজ রোববার রাজধানীর মিরপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের ঘোষণার প্রতিবাদে সকাল থেকে আন্দোলনে নেমে সড়ক অবরোধ করেন অটোরিকশা চালকেরা। রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে দুপুরে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পাশাপাশি বিকেলে কালশী পুলিশ বক্সে আগুন দেন আন্দোলনকারীরা। এই সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশের রাবার বুলেট লেগে আহত হয়েছেন সাগর নামে এক পথচারী।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে চার বছরের দায়িত্বে সফলতার সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানিয়েছে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, ‘গত বছরের জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ডিএসসিসি এলাকায় ৯ হাজার ৭৬৪ জন ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি। তখন সারা দেশে রোগী ছিল ২ লাখ ৭১ হাজার ১৭৫ জন। সুতরাং বলা যায়, আমরা সফলতার সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি।’
আজ রোববার ডিএসসিসির নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মেয়র হিসেবে শেখ তাপসের দায়িত্বভার গ্রহণের চার বছর অতিক্রম উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ডিএসসিসি।
তাপস বলেন, ‘যদিও গত বছর দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। কেবল ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে যত মৃত্যু হয়েছে, তা আগের ২২ বছরে হয়নি। অর্থাৎ আগের ২২ বছরের চেয়ে গত বছর রোগীর সংখ্যা ছিল বেশি।’
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সফলতা তুলে ধরে মেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে আমূল পরিবর্তন সাধন করেছি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আধুনিকায়নে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তরকেন্দ্র অন্যতম একটি অনুষঙ্গ। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর বিগত চার বছরে নতুন ৪১টি অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তরকেন্দ্র নির্মাণ করেছি। বাকি ওয়ার্ডগুলোতেও নির্মাণকাজ চলমান।’
তিনি জানান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আধুনিকায়নে চার বছরে নতুন ২৫টি ডাম্প ট্রাক ক্রয়, প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রাথমিক বর্জ্য সংগ্রহকারী নিবন্ধন, পুরোনো পাঁচটি অঞ্চলে চিকিৎসা-বর্জ্য সংগ্রহকারী নিবন্ধন করেছি। নতুন পাঁচটি অঞ্চলে চিকিৎসা-বর্জ্য সংগ্রহকারী নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান। সর্বোপরি সূচি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে বিভিন্ন সড়ক, অলিগলি ঝাড় দেওয়া ও রাতের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তরকেন্দ্র থেকে মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে বর্জ্য স্থানান্তর নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি নতুন ১৫টি ডাম্প ট্রাক ও ১০টি পে- লোডার কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সামষ্টিকভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে আধুনিকায়ন নিশ্চিত হয়েছে। এতে শহরের সৌন্দর্য যেমন বেড়েছে, তেমনি নগরবাসীকে এখন আর যত্রতত্র উপচেপড়া বর্জ্যের উৎকট গন্ধে পথ চলতে হয় না।
বিগত চার বছরে কোনো খাতে কোনো ধরনের কর বাড়ানো হয়নি জানিয়ে মেয়র বলেন, ঢাকাবাসীর ওপর করের বোঝা না চাপিয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছিলাম। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিগত চার বছরে আমরা কোনো খাতে কর বাড়াইনি। এ সময়ে ২৫টি নতুন খাত সৃষ্টি করা হয়েছে এবং ১৪টি নতুন খাত থেকে আমরা রাজস্ব আদায় শুরু করেছি। করোনাভাইরাস মহামারির মতো বৈশ্বিক সংকটের মাঝেও রাজস্ব আদায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ইতিহাস সৃষ্টি করে চলেছে, যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
তাপস বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে করপোরেশনের রাজস্ব আদায় ছিল মাত্র ৫১৩ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা, যা ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেড়ে যথাক্রমে ৭০৩ দশমিক ৩১ কোটি, ৮৭৯ দশমিক ৬৫ কোটি ও এক হাজার ৩১ দশমিক ৯৭ কোটি টাকা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত যে রাজস্ব আদায় হয়েছে, তা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫৪ কোটি টাকা বেশি।
মিরপুরের কালশীতে ব্যাটারিচালিত অটো রিকশাচালকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় সাগর (২৩) নামে এক পথচারী বুকে রাবার বুলেট লেগে আহত হয়েছেন। আহত সাগরকে চিকিৎসার জন্য আজ বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়।
সাগরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা তার সহকর্মী রাকিবুল মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, তাদের বাসা মিরপুর ১১ নম্বর, বাউনিয়াবাদ এলাকায়। এলাকাতে একটি টেইলার্সে কাজ করেন সাগর। তারা দুজন আজ সকালে একটি কাজে উত্তরায় গিয়েছিলেন। বিকেলে সেখান থেকে মিরপুরের বাসায় ফিরছিলেন। পথে কালশী মোড়ে এসে দেখেন, পুলিশের সঙ্গে অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষ হচ্ছে। তখন সেই সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গেলে পুলিশের বেশ কয়েকটি গুলি সাগরের গলায় ও বুকে এসে লাগে।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, সাগর নামে ওই যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসা চলছে।
উল্লেখ্য যে, আজ রোববার দুপুর মিরপুরে বেনারসি পল্লীর ৪ নম্বর সড়কে ২টা ৫০ মিনিটের দিকে পুলিশ ও আন্দোলনরত অটো রিকশাচালকেদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আন্দোলনরত রিকশাচালকদের পুলিশ সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এরই জেরে কয়েকবার পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এর আগে আজ সকাল ৯টা থেকেই অটোরিকশা চালাবার অনুমতি চেয়ে মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় লাঠিসোটা হাতে নিয়ে আন্দোলনে নামেন অটো রিকশাচালকরা। এ সময় ওই এলাকার সড়কগুলোতে তীব্র যানজট দেখা দেয়। পাশাপাশি ভোগান্তীতে পড়েন জনসাধারণরা।
অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করার প্রতিবাদে রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে আন্দোলনরত অটোরিকশা চালকরা।
আজ রোববার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘কালশীতে আন্দোলনকারীরা সহিংস আন্দোলন করছে। তারা কালশী মোড়ে অবস্থিত একটি পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। এটি ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্স। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
এর আগে অটোরিকশা চালকরা এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে আগুন ধরিয়ে দেন। এ ছাড়া মিরপুর বেনারসি পল্লীর ৪ নম্বর সড়কে অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে কয়েকট গাড়িও ভাঙচুর করে অটোরিকশা চালকরা। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে বাস থেকে নেমে পড়েন।
দুপুর সোয়া ১ দিকে অটোরিকশা চালকরা কালশী সড়ক আটকে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেন। এ সময় অনেকের হাতে লাঠি দেখা যায়। তারা গাড়ি ভাঙচুর করতেও উদ্যত হয়। তারা সড়কের মাঝখানে রশি টানিয়ে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়।
এক পর্যায়ে সড়কে তারা গাড়ি আড়াআড়িভাবে রাখতে বাস চালকদের বাধ্য করেন। এতে ওই সড়ক ব্যবহারকারী হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। গন্তব্যে যেতে মানুষজনকে পায়ে হেঁটে রওনা দিতে দেখা যায়।
রাজধানীর মিরপুরে বেনারসি পল্লীর ৪ নম্বর সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার দুপুর ২টা ৫০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আন্দোলনরত রিকশাচালকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এরই জেরে কয়েকবার পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এর আগে, আজ সকাল ৯টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতির দাবিতে আন্দোলনে নামেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা। এতে দুর্ভোগে পড়েন শত শত মানুষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির জয়েন কমিশনার (ট্রাফিক উত্তর) আবু সালেহ মো. রায়হান জানান, মিরপুর-১০ থেকে ১১, ২, ১৩ ও শেওড়াপাড়া রোডে যানবাহন চলতে বাধা দেন আন্দোলনকারীরা।
অন্যদিকে, পল্লবী এলাকার পুরবী সিনেমা হলের সামনেও আজ সকালে রিকশাচালকরা রাস্তায় নেমেছিলেন। পরে সেখান থেকে সবাই মিরপুর-১০ এলাকায় এসে জড় হন।
মিরপুর, পল্লবী, আগারগাঁও, তালতলা, কালশি ও মিরপুর ১৩ এলাকায় একযোগ আন্দোলন করেছেন রিকশাচালকরা। সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের প্রতিবাদে মিছিল, মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন তারা।
ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতির দাবিতে রাজধানীর মিরপুর-১০ ও পল্লবী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকেরা।
আজ রবিবার সকাল ৯টা থেকে তারা রাস্তায় আন্দোলনে নামেন। আন্দোলনের কারণে এ সময় সড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন শত শত মানুষ। দুপুর ১টার পর থেকেও ওই এলাকার যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি বলে জানা যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির জয়েন কমিশনার (ট্রাফিক উত্তর) আবু সালেহ মো. রায়হান জানান, মিরপুর-১০ থেকে ১১, ২, ১৩ ও শেওড়াপাড়া রোডে যানবাহন চলতে বাধা দেন আন্দোলনকারীরা।
পল্লবী থানার ডিউটি অফিসার এসআই মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘মিরপুর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা রাস্তা অবরোধ করেছে। এ সময় সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। এখনও তারা রাস্তা ছাড়েননি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকেই মিরপুর-১০ গোল চত্ত্বরে শত শত ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক অবস্থান নেন। তাদের শান্ত করার জন্য সেখানে থানা পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হন।
অন্যদিকে, পল্লবী এলাকার পুরবী সিনেমা হলের সামনেও আজ সকালে রিকশাচালকরা রাস্তায় নেমেছিলেন। পরে সেখান থেকে সবাই মিরপুর-১০ এলাকায় এসে জড় হন।
মিরপুর, পল্লবী, আগারগাঁও, তালতলা, কালশি ও মিরপুর ১৩ এলাকায় একযোগ আন্দোলন করেছেন রিকশাচালকরা। সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের প্রতিবাদে মিছিল, মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন তারা।
রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস সম্প্রতি বলেছিলেন, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগী ৪২ হাজার কম ছিল। এই তথ্যকে মনগড়া বলে জানিয়েছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘এগিয়ে ছিল দক্ষিণ ঢাকা, স্মৃতির পাতায় ফিরে দেখা’- শীর্ষক মিট দ্য প্রেসে তিনি এ কথা বলেন। মিট দ্য প্রেসটি আয়োজন করে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসির সাবেক মেয়র বলেন, ‘আমি মেয়র থাকার সময়ে হয়ত আহামরি ট্যাক্স-ভ্যাট আদায় করতে পারিনি। কিন্তু নগরবাসীর ভোগান্তি কমাতে চেষ্টা করেছি। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী জনদুর্ভোগ কমানো ছিল আমার মূল দায়িত্ব। কিন্তু এখন নগর কর্তৃপক্ষ রাজস্ব আদায় বা সিটি টোলের নামে রিকশা, সিএনজি ও সবজি বহনকারি ট্রাক-লরি থেকে চাঁদাবাজি করছে। আমার সময়ে এমনটা ছিল না।’
রাজধানীতে ডেঙ্গু নিয়ে মেয়র তাপস মনগড়া তথ্য দিয়েছেন উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। এর মধ্যে ঢাকা শহরে রোগীর সংখ্যা ছিল ৫১ হাজার ৮১০, আর বাইরে ৪৯ হাজার। অন্যদিকে গত বছর (২০২৩) দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। কেবল ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে যত মৃত্যু হয়, তা আগের ২২ বছরে হয়নি।’
‘গত বছর (২০২৩) দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে আক্রান্ত হন ১ লাখ ১০ হাজার ৮ জন। আর বাকি ২ লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন আক্রান্ত হন ঢাকার বাইরে। এ ছাড়া গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতেই ৯৮০ জন মারা যান। এই হিসেবে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ৫৮ হাজার ১৯৮ জন রোগী বেশি ছিল। তার (তাপস) এমন তথ্য নাগরিকদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে’- যোগ করে বললেন সাঈদ খোকন।
ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে ইঙ্গিত করে সাঈদ খোকন আরও বলেন, ‘দুঃখজনক বিষয় হলো দক্ষিণ সিটি কর্তৃপক্ষের এক দায়িত্বশীল ব্যক্তি কয়েকদিন আগে ডেঙ্গু আক্রান্তের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন। তিনি (মেয়র তাপস) বলেছেন, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ঢাকা শহরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজারের কম ছিল। পরে তার বক্তব্য যে ভুল ছিল, তা নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।’
সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, আমি দক্ষিণ সিটির মেয়র থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালে ঢাকা শহরে ব্যাপক হারে এডিস মশার বিস্তার ঘটে। তখন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। এ চেষ্টায় কোনো ত্রুটি রাখিনি। ডেঙ্গু আক্রান্ত নগরবাসীকে রেখে পরিবার নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করিনি।’
ঢাকার ওয়ারীর বনগ্রামে বালতির পানিতে পড়ে এক বছর বয়সের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশুটি সবার অগোচরে বাথরুমে ঢুকে পানিভর্তি বালতিতে উপুড় হয়ে পড়ে যায় বলে জানা গেছে।
আজ সকালে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান।
শিশুটির বাবা তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার স্ত্রী রান্নায় ব্যস্ত ছিলেন। সবার অগোচরে তাদের এক বছরের মেয়ে আমেনা হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে বাথরুমে প্রবেশ করে।’
‘খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তাকে বাথরুমে পানিভর্তি বালতিতে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম বনগ্রাম রোডের পানির ট্যাংকের পাশে একটি ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় থাকেন। তার দুই সন্তানের মধ্যে আমেনা ছিল ছোট।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে কোন ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি বা হুমকি নেই। সুনির্দিষ্ট কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি না থাকলেও সবকিছু মাথায় রেখে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে আসন্ন শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘২২ মে শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে সকল ধরণের নিরাপত্তামূলক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ডিএমপি। কেউ যাতে কোন প্রকার নাশকতা করতে না পারে এ জন্য ডিএমপির সকল অফিসার ও ফোর্সদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি আয়োজকদেরও সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, একাধিক জায়গায় অনুষ্ঠান হবে এবং প্রত্যেক জায়গায় আয়োজক আলাদা। প্রত্যেকটা জায়গায় আয়োজকদের পক্ষ থেকে একজন ফোকাল পয়েন্ট থাকবেন। আমাদের পুলিশের পক্ষ থেকে একজন ফোকাল পয়েন্ট অফিসার থাকবেন। তারা পারস্পরিক সমন্বয়ে কাজ করবেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশে যে সমস্ত ঘটনা ঘটে বা ধর্মীয় সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে এর বেশিরভাগই গুজব ও তুচ্ছ ঘটনা। এগুলো সংগঠিত কিছু নয়, ধর্মীয়ও কিছু নয়। সেগুলোকে যেন শুরুতেই দমন করতে পারি সে জন্য আমাদের সবাইকে তৎপর থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, যে সকল রাস্তায় শোভাযাত্রা যাবে, সেই সব রাস্তায় আগের দিন থেকেই পুলিশের তৎপরতা জোরদার করা হবে। বুদ্ধ পূর্ণিমার অনুষ্ঠান ঘিরে পুলিশের পক্ষ থেকে সিসিটিভি, আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর থাকবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান. অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম ও পুলিশ কমিশনারগণ, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, এসবি ও এনএসআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু, নবায়ন এবং ডিএনসিসির মালিকাধীন মার্কেটের ভাড়া পরিশোধের সুবিধার্থে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কার্য দিবস ছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারও খোলা থাকবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) রাজস্ব বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক একটি অফিস আদেশ জারি করে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, কার্য দিবস ছাড়াও সরকারি সাপ্তাহিক ছুটির দিন ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের রাজস্ব বিভাগসহ প্রধান রাজস্ব বিভাগ সকাল ৯টা হতে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
তিনি আরও জানান, রাজস্ব বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ছুটি মঞ্জুর করা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে চিঠি সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে ইতোমধ্যে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঢাকার কেরাণীগঞ্জ এলাকা থেকে বিপুল পরিমান নকল ও ভেজাল ওষুধ এবং ভেজাল ওষুধ তৈরির সরঞ্জামসহ ২ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১০। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আলী আকবর (২০) ও মো. দূর্জয় (২০)। মঙ্গলবার রাতে কেরাণীগঞ্জের জিঞ্জিরা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ২ হাজার ৩৫০ পিস নকল ওষুধ এবং ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহৃত ২৫টি পাঞ্চস্টিক, ৩টি প্লাস্টিকের নীল রংয়ের ড্রামে ৮০ কেজি ট্যাবলেট ও পাউডার উদ্ধার করা হয়। আজ বুধবার র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি এম.জে সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গোয়েন্দা সংবাদে গতকাল মঙ্গলবার দিনগত রাতে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার জিঞ্জিরা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বিপুল পরিমানে নকল ওষুধ ও ওষুধ তৈরির সরঞ্জামসহ মো. আলী আকবর (২০) ও মো. দূর্জয় নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ২ হাজার ৩৫০ পিস নকল ও ভেজাল ওষুধ এবং ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহৃত ২৫টি পাঞ্চস্টিক, ৩টি প্লাস্টিকের নীল রংয়ের ড্রামে ৮০ কেজি ট্যাবলেট ও পাউডার উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ভেজাল ওষুধ প্রস্তুতকারি চক্রের সদস্য। তারা বেশ কিছুদিন ধরে মেসার্স বোটানিক ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) ওষুধ কোম্পানীর নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন নকল ও ভেজাল ওষুধ তৈরি করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল। যা ওই কোম্পানির সুনাম বিনষ্ট ও কোম্পানিটির ক্ষতি করে আসছে। এছাড়া, তাদের উৎপাদিত নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন, সরবরাহ ও বিক্রির ফলে জনসাধারণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে।
গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এ র্যাব কর্মকর্তা।
রাজধানীর কদমতলী ও কেরাণীগঞ্জ এলাকায় অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং নকল রং উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রির অপরাধে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে ৪৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া, জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় একটি প্রতিষ্ঠানের দশজনকে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ১০ টা থেকে দিনগত রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান চালানো হয়। আদালত পরিচালনা করেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলাম। আদালতকে সহায়তা করে র্যাব-১০ ও বিএসটিআই এ প্রতিনিধি।
আজ বুধবার র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি এম.জে সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে এই অসাধু ব্যবসায়ীরা অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং নকল রং উৎপাদন, মজুদ ও বাজারজাত করে আসছিল। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে ৪৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া, জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় একটি প্রতিষ্ঠানের দশজনকে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে প্যাটেলকো কোম্পানি লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা, সিরাজ ট্রেডিংকে ৩ লাখ টাকা, ইউনিলাইক প্রডাক্টস্ লিমিটেডকে ৫ লাখ টাকা, কিনবো ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ৪ লাখ টাকা, ইউনাইটেড ইলেকট্রিকাল এক্সেসরিজকে ৫ লাখ টাকা, আলিফ পেইন্টস্ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ২ লাখ টাকা, বিআইডব্লউি এন্ড মায়ের দোয়া সোলার পাওয়ারকে ৩ লাখ টাকা, গৌরনদী পেইন্টসকে ২ লাখ টাকা, ম্যাক্স এনার্জি ইন্টারন্যাশনালকে ৪ লাখ টাকা, ইভানা ক্যাবলস্ ইন্ডাস্ট্রিজকে ৫ লাখ টাকা ও কোয়ালিটি ক্যাবলস্ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া, প্যাটেলকো কোম্পানি লিমিটেডের ১০ ব্যক্তিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়, তবে জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় তাদেরকে ১ মাসের করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।