রোববার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

ইলিশের উৎপাদন বেড়ে ৫.৭১ লাখ টন: মন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৬ মে, ২০২৪ ১৯:৪৮

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ইলিশের উৎপাদন বেড়ে ৫ দশমিক ৭১ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সদস্য পংকজ নাথের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

আব্দুর রহমান বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮-০৯ অর্থবছরে সরকার গঠনের সময় ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ দশমিক ৯৯ লাখ মেট্রিক টন। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে জেলেদের ভিজিএফের পরিমাণ মাসিক ১০ কেজি থেকে ৪০ কেজিতে উন্নীতকরণসহ বিভিন্ন বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেবে, যা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ৫ দশমিক ৭১ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়।

তিনি আরও বলেন, মা ইলিশ ও জাটকা ইলিশ সংরক্ষণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর ভেতর মোবাইল কোর্ট, অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে মৎস্য আইন বাস্তবায়ন এবং মা ইলিশ ও জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালীন জেলেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলেদের ভিজিএফ (চাল) বিতরণ কার্যক্রম অন্যতম।

বিষয়:

টানা বৃষ্টিতে ঢাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত

ছবি: ইউএনবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

টানা ভারি বর্ষণে শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা ও যানজট সৃষ্টি হওয়ায় নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১টা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত শনিবার দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকায় গ্রিন রোড, ধানমন্ডি, মালিবাগ, মৌচাক, নিউমার্কেট, মিরপুরসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গলিগুলো ডুবে গেছে। শহরের নীচু এলাকাগুলোও বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মানুষের চলাচলে বেশ কষ্ট করতে দেখা গেছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানান, আজ সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকায় দুই মিলিমিটার ও সিলেটে ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও জলাবদ্ধতার কারণে রাজধানীর কিছু এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।

শনিবার অনেক বেসরকারি অফিস খোলা থাকায় পরিবহন সংকটনের কারণে গন্তব্যে পৌঁছাতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে অফিসগামীদের।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে।

ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসও হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে পূর্বাভাসে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থানে রয়েছে।

দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


রাজধানীতে ২০ হাজার অটোরিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল ডিএমপি

সড়ক-মহাসড়কে চলামান ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বিরুেদ্ধ ব্যবস্থা নিচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে নতুন আতঙ্কের নাম ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। বেপরোয়া গতির এ যানবাহনের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। যেমন খুশি চলাচল, হুটহাট ঘোরানো, উল্টোপথে চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

এসব কারণে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে গত এক সপ্তাহে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১৯ হাজার ৯৬২ টি ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

আজ সোমবার (৩০সেপ্টেম্বর) ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ অভিযান পরিচালনা করে ১৯ হাজার ৯৬২টি ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। অভিযানকালে ৯ হাজার ৩০১টি রিকশার বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ৪ হাজার ১৫৯ টি অটোরিকশার সিট জব্দ করা হয়।

এছাড়া, ৬৬০টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ডাম্পিং করা হয় ও ৩টি রিকশার ব্যাটারি জব্দ করা হয় এবং ৫ হাজার ৮৩৯ টি রিকশার বিরুদ্ধে অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

বিষয়:

জেনেভা ক্যাম্পে বিপুল অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩৫

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে র‌্যাব-২ এবং যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, দুটি পিস্তল, ২০ রাউন্ড গুলি ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী পিচ্চি রাজাসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন ৩৫ জন।

রোববার ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত জেনেভা ক্যাম্পে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শিহাব করিম।

তিনি বলেন, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে র‌্যাব ২ এ যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, দুটি পিস্তল, ২০ রাউন্ড গুলি ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া অভিযানে ৩১ জন দুর্বৃত্ত, তিনজন নারী মাদক কারবারি ও শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী পিচ্চি রাজাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসার দখল নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে বহু দিন ধরে। গত জুলাই থেকে দেশের অস্থিরতার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায় সেখানকার দুটি পক্ষ। সাম্প্রতিক কয়েকটি সংঘাতে বড়সড় অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে ও গুলি ছুড়তে দেখা গেছে দুই পক্ষকে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, থানা ও পুলিশের কাছ থেকে লুট করা অস্ত্র জেনেভা ক্যাম্পে ঢুকেছে। এসব অস্ত্র ব্যবহার করে গোলাগুলির সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সাদ্দাম হোসেন সনু নামে এক অটোরিকশাচালক নিহত হওয়ারও ঘটনা ঘটে।

এসব ঘটনার পর রোববার ক্যাম্পে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের নির্দেশনায় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের সমন্বয়ে এই অভিযান চালানো হয় বলে জানা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, মাদক ব্যবসায়ী পিচ্চি রাজা ও তার অনুসারীরা দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে জানা যায়, যৌথ অভিযানে জেনেভা ক্যাম্প থেকে দুটি পিস্তল, ২০ রাউন্ড গুলি, ৬টি চায়নিজ কুড়াল, ৩৯টি ছুরি, ১৬টি রামদা, ৮টি চাপাতি, ১২ প্যাকেট স্প্লিন্টার, ৫৩টি পেট্রোল বোমা ও ৫০টি হেলমেট উদ্ধার করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের সেনাবাহিনীর মাধ্যমে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানায় আইএসপিআর।


গ্যাসের চুলা বিস্ফোরণ হয়ে একই পরিবারে দগ্ধ ৩ জন

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর শুক্রাবাদ এলাকায় গ্যাসের চুলা বিস্ফোরণ হয়ে শিশুসহ তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। পরে দগ্ধদের দ্রুত উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

দগ্ধরা হলেন, মোহাম্মদ টোটন (৩৫), তার স্ত্রী মোছা. নিপা আক্তার (৩০) ও তাদের ছেলে মো. বায়জিদ (৩)

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পানি গরম করতে গিয়ে গ্যাসের চুলা জ্বালানোর সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

তিনি আরও বলেন, তাদের মধ্যে টোটন ৫০ শতাংশ, নিপা ৩২ শতাংশ ও শিশু বায়জিদ ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। দগ্ধের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তাদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।


গুলশান থেকে ২ জনের মরদেহ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে গুলশান-২ রোড নাম্বার ১০৮ এর ২১ নম্বর প্লটের একটি চায়ের দোকানের ভেতর থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদ আহমেদ।

তিনি জানান, নিহত রফিকের (৬২) বাড়ি বরিশালের দবদবিয়া গ্রামে এবং সাব্বিরের (১৫) বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানার রায়গঞ্জ বাজার বেপারী পাড়া এলাকায়। ধারণা করা হচ্ছে কয়েক দিন আগেই তাদের কুপিয়ে হত্যা করে এখানে ফেলে রেখেছে দুর্বৃত্তরা। দুইজনের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল।

স্থানীয়দের ধারণা দুইজনকে গত বৃহস্পতিবার কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে। আজকে মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ বেরিয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদ আহমেদ আরও জানান, মরদেহ দুটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।

বিষয়:

টানা বৃষ্টিতে ব্যাহত ঢাকার জনজীবন

ছবি: ইউএনবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবারে সকাল থেকে ভারি সৃষ্টিপাত। এতে করে রাজধানীবাসীর যাতায়াতে বিড়ম্বনায় ফেলে তাদের কর্মদিনকে বিঘ্নিত করেছে।

সকালে বৃষ্টির সময় সড়কে যানবাহন সংকট ও ধীরগতির যানবাহনের কারণে অফিস ও স্কুলগামীদের দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপের প্রভাবে সৃষ্ট এ বৃষ্টিপাত বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

বৃষ্টিতে মালিবাগ, মৌচাক ও মালিবাগ চৌধুরী পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পানিতে ডুবে গেছে গলিগুলো।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম এনজমুল হক জানান, বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ মিলিমিটার এবং বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ছয় ঘণ্টায় ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

তবে আগামীকাল শুক্রবার থেকে বৃষ্টিপাত কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কুমারখালীতে দেশের সর্বোচ্চ ১০৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

মৌসুমী বায়ুর অক্ষ ভারতের মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর সঙ্গে সম্পর্কিত একটি খাত উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।

মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।

পশ্চিম-মধ্য ও সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি নিষ্ক্রিয় হয়ে মৌসুমি অক্ষের সঙ্গে মিশে গেছে।


‘সুজন বন্ধু’ ঢাকা জেলা কমিটি গঠন

অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় গত শনিবার ড. বদিউল আলম মজুমদারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় ‘সুজন বন্ধু’ ঢাকা জেলার কমিটির পক্ষ থেকে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সহযোগী সংগঠন ‘সুজন বন্ধু’ ঢাকা জেলার কমিটি গঠিত হয়েছে। গত শনিবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সুজনের কেন্দ্রীয় সচিবালয়ে এক মতবিনিময়সভায় ২৭ সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটি গঠন করা হয়।

সভায় উপস্থিত সবার মতামতের ভিত্তিতে আবু সাঈদ জয় সভাপতি, কালের কণ্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক শেখ আব্দুল্লাহ আল নোমান সাধারণ সম্পাদক, ফয়সাল হাসান সহসভাপতি এবং সানজিদা পারভিন সহসাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।

‘সুজন বন্ধু’ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সজলের সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব জারিফ অনন্তের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুজনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দীলিপ কুমার সরকার। এ ছাড়াও ছিলেন ‘সুজন বন্ধু’ কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অলিউল ইসলামসহ অন্য সদস্যরাও।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুজনের প্রেক্ষাপট ও ‘সুজন বন্ধু’ তৈরির প্রয়োজনীয়তা এবং সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করেন দীলিপ কুমার সরকার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণতন্ত্র ও সুশাসন সুসংহত করার পাশাপাশি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে তরুণদের সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান ড. বদিউল আলম মজুমদার। অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় ড. বদিউল আলম মজুমদারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে ‘সুজন বন্ধু’।


সাবেক এমপির শ্বশুর বাড়ি থেকে কোটি টাকা উদ্ধার

উদ্ধার হয়েছে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটও
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা পশ্চিম থানা ও সেনাবাহিনীর একটি দল যৌথ অভিযান চালিয়ে রাজধানীর উত্তরা এলাকার একটি বাড়ি থেকে নগদ ১ কোটি ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ও দুটি প্রাইভেটকারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- শাহজাদা খান সাজ্জাদ, মো. তৌজিদুল ইসলাম ও মো. সাইফুল ইসলাম। পুলিশ বলছে, উদ্ধার করা এসব টাকা ও প্রাইভেটকার সাবেক সংসদ মোহাম্মদ হাবিব হাসান ও তার পরিবারের সদস্যদের।
আজ সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ডিসি বলেন, গোপস তথ্যে জানা যায়, উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ২৩ নম্বর রোডের ৭ নম্বর বাড়িতে পুলিশের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটসহ অস্ত্র-গুলি রয়েছে। এমন তথ্যে গত রোববার সেনাবাহিনী ও উত্তরা পশ্চিম থানার একটি যৌথ টিম ওই বাসায় স্থানীয় সাক্ষীসহ প্রবেশ করে। সেখানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা ও বৈদেশিক মুদ্রাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, তাদের কাছ থেকে ১ কোটি ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা, ৬৫টি ১০০ ইউএস ডলারের নোট, ৪টি ২০ ইউএস ডলারের নোট,একটি এক ইউএস ডলার নোট, ৪১টি ১ হাজার থাইবাথের নোট, ২টি ৫০০ থাইবাথের নোট, ২৮ টি ২০ বাথের নোট, তিনটি ৫০ বাথ নোট, বিশটি ৫০০ দিরহামের নোট, একটি ১০০ দিরহামের নোট, একটি ২০ দিরহামের নোট, তিনটি ১০ দিরহামের নোট, দুটি ৫ দিরহামের নোট, পাঁচটি ১০০ কানাডিয়ান ডলারের নোট, দুটি ১০ সিঙ্গাপুর ডলারের নোট, একটি ২ সিঙ্গাপুর ডলারের নোট, একটি ১০০ রিয়ালের নোট, দুটি ৫০ রিয়ালের নোট, দুটি ১০ রিয়ালের নোট, তিনটি ৫ রিয়ালের নোট, একটি ১ রিয়ালের নোট, একটি ২ হাজার রুপির নোট, ৬০টি ৫০০ রুপির নোট, একটি ২০০ রুপির নোট, পাঁচটি ১০০ রুপির নোট, পাঁচটি ৫০ রুপির নোট, চারটি ২০ রুপির নোট, ছয়টি ১০ রুপির নোট এছাড়াও তিনটি নেভি ব্লু রঙের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট যার সামনে ও পেছনে ইংরেজিতে পুলিশ লেখা এবং দুটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটগুলো ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য পলাতক মোহাম্মদ হাবিব হাসান ও তার ছেলে আবির হাসান তামিমসহ (পলাতক) গ্রেপ্তাররা গত ৫ আগস্টের আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন সময় ব্যবহার করতো। যে বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয় সেটি সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের ছেলে আবিরের শ্বশুর বাড়ি বলে জানা গেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানিয়েছে, জব্দ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ও গাড়ি দুটি সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান ও তার পরিবারের সদস্যদের।


যৌথবাহিনীর অভিযানে কলাবাগান থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৩

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সারা দেশে গত ৪ সেপ্টেম্বর শুরু হয় যৌথবাহিনীর অভিযান। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর কলাবাগান থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল যৌথ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. শুভ, মো. শাকিল হোসেন ও শরীফ মো. আবদুল্লাহ।

গোয়েন্দা তথ্যে গতকাল শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কলাবাগান থানার লাল ফকিরের মাজারের পাশের একটি বাসায় এ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ডিএমপি জানায়, গোপন সংবাদে জানা যায়, কয়েকজন লোক কলাবাগান থানার লাল ফকিরের মাজারের পাশে বিপুল পরিমাণ দেশি ও বিদেশি অস্ত্রসহ অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই স্থানে কলাবাগান থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।

অভিযানে তাদের কাছ থেকে দুইটি ম্যাগাজিন ও ১৩ রাউন্ড তাজা গুলিসহ দুইটি পিস্তল, ১২ বোর কার্তুজসহ একটি দেশীয় পাইপগান, একটি এয়ারগান, একটি ইলেকট্রিক শক (টিজার), দুইটি চাপাতি, তিনটি ছুরি, একটি চায়নিজ কুড়াল, একটি দেশীয় দা, তিনটি মুঠোফোন ও একটি ওয়েব ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তাররা একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে। তারা দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।


বিশেষ পরিস্থিতিতে আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করি: ডিএমপি কমিশনার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর এক বিশেষে পরিস্থিতিতে আমি ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করি। তখন সড়ক ও গণপরিবহনে এক ধরনের অব্যবস্থাপনা ছিল। অল্প সময়ের মধ্যে সে পরিস্থিতি থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছি। আমরা এ অবস্থা ধরে রাখতে চেষ্টা করছি।

আজ শনিবার সকালে ডিএমপি সদর দপ্তরে গণপরিবহনে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলা কার্যকর করতে বাস মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।

মতবিনিময়ের সময় রাস্তায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় বাস মালিকদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানো, রাস্তার মাঝখানে ও যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো এবং এলোমেলোভাবে রাস্তায় গাড়ি রাখা বন্ধ করতে হবে।

বাস মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ড্রাইভার ও বাস শ্রমিকদের এ বিষয়ে আরও সচেতনতা ও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। তাদের আরও বেশি মনিটরিং করা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করলে মহানগরীর যানজট সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সক্ষম হব। যেকোনো প্রয়োজনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সব সময় আপনাদের পাশে থাকবে।

সভায় বাস মালিকদের পক্ষ থেকে আরও সহযোগিতা ও বাস শ্রমিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সচেতনতামূলক সভা করার আহ্বান জানানো হয়।


রাজধানীতে ৩০০ অটোরিকশা ডাম্পিং ও ব্যাটারি জব্দ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোসহ সব সড়কে চলছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, যা হয়ে উঠেছে এক আতঙ্কের নাম। এতে সড়কে বাড়ছে বিশৃঙ্খলা। তেমনি যানজটের ভোগান্তি বেড়েছে অনেক বেশি। অবৈধ এই ৩ চাকার দ্রুত গতির বাহনটির কারণে প্রতিদিনেই বিভিন্ন সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়া ঘণ্টার পর ঘণ্টায় সড়কেই সময় নষ্ট হচ্ছে নগরবাসীদের।
সম্প্রতি ঢাকা শহরের মূল সড়ক থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। অভিযানের অংশ হিসেবে ডিএমপির মিরপুর বিভাগ তিন শতাধিক অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। ৩০০ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে ডাম্পিং ও ব্যাটারি জব্দ করা হয়েছে। গত শুক্রবার সকাল থেকে এ অভিযান শুরু করে ডিএমপির মিরপুর ট্রাফিক বিভাগ।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক মিরপুর বিভাগ অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মিরপুরের ১৬টি পয়েন্টে চেকপোস্টের মাধ্যমে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে তিন শতাধিক অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে ডাম্পিং ও ব্যাটারি জব্দসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ অভিযান মিরপুর ট্রাফিক বিভাগে চলমান থাকবে বলে জানা গেছে।


আলোচিত তোফাজ্জল হত্যা: অভিযুক্ত আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার

প্রাধ্যক্ষকে অব্যাহতি
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আট শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া হলটির প্রাধ্যক্ষ পদ থেকে অধ্যাপক ড. শাহ্ মো. মাসুমকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। হলটির নতুন প্রাধ্যক্ষ হিসেবে ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস আল-মামুনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কার হওয়া ওই ৮ শিক্ষার্থী হলেন- পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মো. মোত্তাকিন সাকিন শাহ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের জালাল মিয়া এবং আবদুস সামাদ, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের সুমন মিয়া, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের আল হোসাইন সাজ্জাদ, গণিত বিভাগের আহসান উল্লাহ, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ওয়াজিবুল আলম, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ফিরোজ কবির ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আবদুস সামাদ। এদের মধ্যে ফিরোজ কবির ও আবদুস সামাদ ছাড়া বাকি ছয় শিক্ষার্থীকে হল প্রশাসনের সহযোগিতায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে গতকাল অভিযুক্ত এই আট শিক্ষার্থীর আবাসিক সিট বাতিল করে হল কতৃপক্ষ।

তোফাজ্জল হত্যায় হল প্রাধ্যক্ষের অবহেলার অভিযোগ ছিলো। সেদিন এই ঘটনার সময় এবং ঘটনার পরে পুরো রাত পেরিয়ে গেলেও ঘটনাস্থলে আসেননি হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শাহ মো. মাসুম। ঘটনার সময় বা এর পরে তাকে কয়েকবার ফোন দেওয়া হয়েছেও বলে জানান শিক্ষার্থীরা। তারপরও রিচ করা যায়নি প্রাধ্যক্ষকে। ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদও একাধিকবার ফোন দিয়ে পাননি এই প্রাধ্যক্ষকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ এবং সহকারি প্রক্টররা আসার খবর পেয়ে ঘটনার পরদিন সকাল সাতটার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন অধ্যাপক ড. শাহ মো. মাসুম। ঘটনার আগে বা পরে হল প্রাধ্যক্ষের হলে না আসা এবং ফোনে পাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অবহিত করবেন বলে জানিয়েছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন। এরপর আজ পদ থেকে শাহ মাসুমকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।


৭৫০ কোটি টাকা ব্যয়ের পরও ডুবছে ঢাকা, কাজে আসেনি কোনো মহাপরিকল্পনা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকায় জলাবদ্ধতার মূল সমস্যা ড্রেনেজ, খাল ও বক্স কালভার্ট পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়া
ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ঢাকায় কয়েক ঘণ্টা ভারী বৃষ্টি হলেই সড়কগুলো যেন পরিণত হয় জলাশয়ে। দীর্ঘ সময়ের জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে। কোথাও হাঁটুপানি-কোথাও বা কোমর পানি মাড়িয়ে দৈনন্দিন কাজ করতে হয়। রাজধানীর বাসিন্দা হলেও অনেকের ঘর-বাড়িতে ঢুকে যায় বৃষ্টির পানি।

প্রায় চারদিকেই নদীবেষ্টিত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন গত ৪-৫ বছরে জলাবদ্ধতা নিরসনে হাতে নিয়েছে একাধিক মহাপরিকল্পনা। খাল ও ড্রেনেজ সিস্টেম সংস্কারে ব্যয় করেছে ৭৫০ কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু যার কোনো ইতিবাচক ফল দেখা যায়নি। বরং জলাবদ্ধতার মাত্রা বাড়ছে দিনকে দিন।

টানা কিছু সময় বৃষ্টি হলে শহরের বুকে জলাবদ্ধতার সঙ্গে যুক্ত হয় অপরিকল্পিত সড়ক ব্যবস্থার বিপর্যয়। যানবাহনের অভাব, জলাবদ্ধ রাস্তায় গাড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়া, বৃষ্টি ও পানির অজুহাতে ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়াসহ নানা দুর্ভোগে নাজেহাল হতে হয় ঢাকাবাসীকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতার মূল সমস্যা মনিটরিং ও রক্ষণাবেক্ষণ না করা। বিশেষ করে যথাযথভাবে ড্রেনেজ, খাল ও বক্স কালভার্ট পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়া। পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার না করায় এসব আটকে নালা ও ড্রেনেজ সিস্টেমে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

নগর পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে, সেগুলোও সুপরিকল্পিতভাবে হয়নি। আর বিভিন্ন কার্যক্রমে সিটি করপোরেশন ও সরকারের অন্য সংস্থার মধ্যে তেমন সমন্বয়ও থাকে না। ফলে জলাবদ্ধতার জন্য একে অন্যকে দায়ী করেই বছরের পর বছর পার করছে সংস্থাগুলো।’

তিনি আরও বলেন, ‘খাল সংস্কার, ড্রেনেজ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজ করার পর তা মনিটরিং ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। কিন্তু সিটি করপোরেশন কাজ শেষ হওয়ার পর তা আর রক্ষণাবেক্ষণ না করার কারণে খাল ও ড্রেনের মুখ আবার ভরাট হয়ে যায়। তাই কাজ বাস্তবায়নের পর রক্ষণাবেক্ষণ ও জবাবদিহি থাকা দরকার।’

আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘আমরা নিজেরা নদী ও খালগুলো গলা টিপে হত্যা করেছি। প্রাকৃতিকভাবে আমাদের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছিল খালগুলো। তা আমরা ভরাট করেছি বক্স কালভার্ট বানিয়ে। এখন আবার খাল উদ্ধার নামে নতুন নতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। শুধু প্রকল্পের মাধ্যমে টাকার অঙ্ক বাড়ালেই জলাবদ্ধতা নিরসন হবে না।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) জানায়, বিভিন্ন সময় খাল ও ড্রেনেজ সংস্কার বাবদ প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিটি বাজেটে ড্রেনেজ সংস্কার ও ময়লা পরিষ্কারে আরও অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলেও সমাধান হয়নি জলাবদ্ধতার। সর্বোচ্চ ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তা দ্রুত সময়ে নিষ্কাশন করার সক্ষমতা রয়েছে কিন্তু এর বেশি বৃষ্টি হলে নিরুপায় সিটি করপোরেশন।

পানি নিরসনে একাধিক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তারপরও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে। খরচের মধ্যে খাল সংস্কার, ড্রেনেজ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্পে এ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মেলেনি নগরবাসীর।

ডিএসসিসি কর্মকর্তারা জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। ঢাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এমন ১৩৬টি পয়েন্টের মধ্যে ১০৪টি পয়েন্টের কাজ শেষ হয়েছে।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির খালগুলো সংস্কারের মাধ্যমে পানি প্রবাহ সৃষ্টি করা গেলে ঢাকার জলাবদ্ধতা পুরোপুরি নিরসন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা কর্মকর্তারা।

ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্ষা মৌসুমের আগেই ড্রেনেজ পরিষ্কার করা হয়। তারপরও বেশি সময় ধরে বৃষ্টি হলে জলাববদ্ধতা তৈরি হয়। এর মধ্যে অনেক স্থানে ড্রেনের ময়লা পরিষ্কার করেই জলাবদ্ধতা নিরসন করা হয়েছে। এ ছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসনে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া। এক পয়েন্টের কাজ শেষ হলে আবার নতুন পয়েন্ট যুক্ত হয়। তাই ঢাকার খালগুলো সচল না হলে জলাবদ্ধতা পুরোপুরি নিরসন করা সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নির্দিষ্ট কোনো প্রকল্প নেই। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নের খাল ও ড্রেনেজ সংস্কার করে জলাবদ্ধতা নিরসন করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৫০ থেকে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে কিছু খরচ হয়েছে আরও কিছু বাকি আছে।

২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন চারটি খালের সৌন্দর্যবর্ধনে ‘খাল পুনরুদ্ধার, সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন পায়। ৮৯৮ কোটি টাকার এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৭ সালের জুনে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঢাকা দক্ষিণের জলাবদ্ধতা অনেকটাই নিরসন হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।


banner close