শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণে সরকারি-বেসরকারি সাহায্য চান তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২১ মে, ২০২৪ ১৭:৫৭

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকাগুলোতে ডেঙ্গু মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে ‌‘এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় মতবিনিময় সভা’য় তিনি এ সহযোগিতা চান।

মেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা কারো ওপর দায় চাপাতে চাই না। কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে দায়ি করতে চাই না। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাই। ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে সকলের সহযোগিতা চাই।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ডেঙ্গু রোগীর সঠিক ও নির্ভুল তথ্য সরবরাহ করার অনুরোধ জানিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগীর সঠিক ও নির্ভুল তথ্য সরবরাহ করা হলে আমরা মাঠ পর্যায়ে আরও ফলপ্রসূ ও কার্যকর সেবা নিশ্চিত করতে পারব। যেমন, গতবছর আমাদের অনেক রোগীর তথ্য দেওয়া হয়েছে কিন্তু আমরা যাচাই-বাছাই করে গতবছরের অক্টোবর পর্যন্ত ৯ হাজার ৭৬৪ জন ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি। এ ছাড়াও যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন আমাদের শুধু তাদের তথ্য দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যারা হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছেন তাদের তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। তাদের তথ্যও অত্যন্ত জরুরি। কারণ যিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন। আবার যিনি ডেঙ্গু রোগী কিন্তু বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছেন, তার তথ্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মেয়র এ সময় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাজউক প্রতিনিধির কাছে নির্মাণাধীন ভবনের তালিকা চেয়ে বলেন, ‘আপনাদের কাছে নির্মাণাধীন ভবনের তালিকা থাকে। রিহ্যাবের বাইরেও অনেক ভবন নির্মাণ করা হয়। সেজন্য আপনারা যদি সেসব নির্মাণাধীন ভবনের তালিকাটা আমাদের কাছে সরবরাহ করেন, তাহলে আমরা যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করতে পারব।’

জবাবে রাজউক পরিচালক বলেন, ‘রাজউক আগামী ১০ দিনের মধ্যে নির্মাণাধীন ভবনের তালিকা সরবরাহ করা হবে।

অনুষ্ঠানে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আমরা গতবারের ন্যায় এবারও আমাদের আওতাধীন এলাকার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ একবার পরিষ্কার করে দেব। পরবর্তীতে যদি আপনারা সপ্তাহে একদিন শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার ব্যবস্থা করেন তাহলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আরও সহজ হবে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেমন সচেতনতা সৃষ্টি হবে তেমনি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণও নিরাপদ থাকবে।’

অনুষ্ঠানে রিহ্যাব প্রতিনিধি জানান, এখন থেকে করপোরেশনের অভিযানকালে রিহ্যাব থেকে প্রতিনিধি দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা বিভাগের ডিআইজি প্রিজন মো. আলতাব হোসাইন, করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, বর্ডার গার্ড হাসপাতাল ঢাকার পরিচালক লে. কর্নেল শফিউল আশরাফ রুবেল, রাজউক পরিচালক শামসুল হক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. হাফিজ আহমেদ, বাংলাদেশ বেতারের উপ-পরিচালক মাহফুজুল হক প্রমুখ।

বিষয়:

প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে: ডিএসসিসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে স্বাধীনতা বিরোধী দুষ্কৃতিকারীদের তাণ্ডবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (ডিএসসিসি) প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার নাশকতার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ডিএসসিসির এক বিবৃতিতে বলে, রাষ্ট্রীয় সম্পদের মালিক দেশের আপামর জনসাধারণ। কিন্তু সম্প্রতি কতিপয় সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতিকারী তথা দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অতৃপ্ত ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি যেন রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের তাণ্ডবলীলায় মেতেছিল। এ ধরনের ঘৃণ্য রাজনৈতিক অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ডিএসসিসি তীব্র নিন্দা জানায়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বস্তুত এসব ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের হীন অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্র দেশবাসীর কাছে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে ভয়াবহ নাশকতা চালিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করায় ঢাকাবাসীর আস্থার আশ্রয়স্থল ডিএসসিসি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। ঢাকাবাসী বিশ্বাস করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র যথাযথ ও দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী ভূমিকা পালন করবে।

ডিএসসিসি বলে, সাম্প্রতিক সহিংস দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে দুষ্কৃতিকারীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য অপসারণ কাজে নিয়োজিত ৩টি ড্রাম্প ট্রাক ও মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর টোলপ্লাজা জ্বালিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া, কর্মকর্তাদের বহনকারী ৩টি গাড়ি ভাংচুর, যাত্রাবাড়ী-শনির আখড়া এলাকাসহ কর্পোরেশনের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকার সড়ক বিভাজকের বেষ্টনী উপড়ে ফেলে সড়ক বিভাজক ধ্বংস ও তৎপরবর্তী সেসব স্থানের সড়ক খনন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সড়ক খনন কাজে ব্যবহৃত ম্যাকাডাম দিয়ে পিকেটিং, আজিমপুর ও এলিফ্যান্ট রোডে দুইটি যাত্রী ছাউনি ভাংচুর, সায়েন্সল্যাব মোড়ের হাতি ভাষ্কর্যের বেষ্টনী ক্ষতিগ্রস্ত, অঞ্চল-৯ ও ১০ এর বিপুল পরিমাণ ম্যানহোল কাভার লুটপাট এবং নীলক্ষেত থেকে ল্যাবএইড হয়ে ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের মিরপুর রোড হতে শংকর হয়ে ধানমন্ডি ১৯ নম্বর রোড, গ্রীন রোড, সায়েদাবাদ জনপদ মোড় থেকে যাত্রাবাড়ী-কাজলা হয়ে শনির আখড়া এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার হেঁটে চলার পথ (ফুটপাত) বিনষ্ট করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ও বাল্ব, ধলপুর সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রসহ কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমে ব্যবহৃত মালামাল লুটপাট ও ধ্বংস করা হয়েছে।

বিষয়:

ডিএনসিসিতে অন্তত ২০৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে

ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসি একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। আমাদের কাজ হচ্ছে নগরবাসীকে সেবা দেওয়া, শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। নগরবাসীকে যেন সেবা দিতে না পারি সন্ত্রাসীরা সেই লক্ষ্য নিয়ে নাশকতা চালিয়েছে ডিএনসিসির বিভিন্ন অফিসে এবং স্থাপনায়। সহিংসতায় ঢাকা ডিএনসিসির মোট ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের জন্য কমিটি করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের জন্য কাজ করছে। তবে প্রাথমিকভাবে আমরা যে হিসাব করেছি ডিএনসিসিতে অন্তত ২০৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

আজ বুধবার রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত ডিএনসিসির আঞ্চলিক অফিস পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, সন্ত্রাসীরা ডিএনসিসির মোট ৬৭টি গাড়ির ক্ষতি করেছে। এর মধ্যে বর্জ্যবাহী ২৯টি গাড়ি সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত করে দিয়েছে, অফিসারদের ব্যবহারের ২১টি পাজেরো জিপ পুড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়াও আরও ১৭টি গাড়ি ভেঙে দিয়েছে। এই গাড়িগুলো নগরবাসীর ট্যাক্সের টাকায় কেনা। নগরবাসীকে সেবা যেন দেওয়া না যায় সেই ষড়যন্ত্র করেই এই নাশকতা চালায় সন্ত্রাসীরা। জনগণের দুর্ভোগ বাড়াতে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ডিএনসিসিতে সন্ত্রাসীরা নাশকতা চালিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িত সকলের বিচারের দাবি জানাই।

এ সময় ডিএনসিসির আঞ্চলিক অফিসের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

আগুনে পুড়ে যাওয়া বর্জ্যবাহী গাড়ি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় যখন একের পর উন্নয়ন কার্যক্রম হচ্ছে তখনই সন্ত্রাসীরা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সন্ত্রাসীরা ডিএনসিসি, ডিএসসিসি, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে। নৃশংস হামলা চালিয়ে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে।

মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ উন্নত দেশের পথে ঠিক তখনই দেশ বিরোধী অপশক্তি ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছি। এই অপশক্তি ১৯৭১ সালেও দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। তারা আজ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কোটার গণতান্ত্রিক দাবির আন্দোলনকে পুঁজি করে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালায় দেশ বিরোধীরা। সন্ত্রাসীরা সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য পরিবহনের গাড়িগুলোতে অগ্নিসংযোগ করে। তারা মেট্রোরেলে অগ্নিসংযোগ করেছে। মেট্রোরেলে অগ্নিসংযোগ করায় আজ ঢাকায় অলরেডি তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। যারা এই নাশকতা চালিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে ৩২টি ডাম্প ট্রাক এবং ৮টি আধুনিক কম্প্যাক্টর ট্রাক আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গাড়ি বহরে যুক্ত করেছিলাম। জাপান থেকে আনা হয়েছিল কম্প্যাক্টর ট্রাক। একটি কম্প্যাক্টর ১০টি ট্রাকের সমান কাজ করে। আমাদের বর্জ্য পরিবহনের মোট যানবাহনের চারভাগের একভাগ তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। মিরপুর-১০ নম্বর ফুটওভার ব্রিজে অগ্নিসংযোগ করে এটি পুড়িয়ে দিয়েছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন এবং অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করেছিলাম। উত্তরা কমিউনিটি সেন্টার ও মোহাম্মদপুর সূচনা কমিউনিটি সেন্টার সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। এগুলো জনগণের সম্পদ। সন্ত্রাসীরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অহিংস আন্দোলনকে ব্যবহার করে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে জনগণের সম্পদ বিনষ্ট করেছে।

ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা রামপুরায় পাম্প হাউজে হামলা চালিয়ে সেটি ধ্বংস করেছে, এমনকি পাম্প হাউজ মেরামতের উদ্দেশ্যে আমাদের কর্মীরা গেলে তাদের উপরেও আক্রমণ করেছে সন্ত্রাসীরা। আমরা স্ট্রিট লাইট মেরামতের জন্য অত্যাধুনিক ল্যাডার এনেছিলাম। সেই ল্যাডারগুলোও তারা ধ্বংস করেছে। ফুটপাত, মিডিয়ানে আমরা অনেক বৃক্ষরোপণ করেছিলাম। তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে যে গাছ লাগিয়েছিলাম সেই গাছগুলোও তারা ধ্বংস করেছে।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের হামলায় অনেক ড্রাইভার, পরিচ্ছন্নতা কর্মী আহত হয়েছে। অনেক সাংবাদিক ভাই-বোনদের উপরে তারা আক্রমণ করেছে। অনেক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। বহু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আহত ও নিহত হয়েছেন। আমি জনগণের কাছে বিচার চাই, যারা এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন তাদের প্রতিহত করতে হবে। এই সন্ত্রাসীদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে।

এ সময় অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান প্রমুখ।

বিষয়:

বিকেল সাড়ে ৫টার পর পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে মেট্রোরেল

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৮ জুলাই, ২০২৪ ১৭:৪৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জরুরি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সর্বশেষ মেট্রো ট্রেন ছেড়ে যাবে মতিঝিল থেকে। এরপর আর কোনো ট্রেন এদিন চলবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত জননিরাপত্তার স্বার্থে মতিঝিল মেট্রোরেল স্টেশন থেকে সর্বশেষ মেট্রো ট্রেন বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এরপর আজ আর কোনো মেট্রো ট্রেন চলাচল করবে না।

মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া মেট্রোরেল স্টেশন বন্ধ রয়েছে। যাত্রীসাধারণের সাময়িক অসুবিধার জন্য মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

কোটা সংস্কারসহ আন্দোলনে হামলার বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী কমপ্লিট শাটডাউন পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে কয়েজনের প্রাণও গেছে।


মেট্রোরেলের চার স্টেশন বন্ধ, চলছে দুই ভাগে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৮ জুলাই, ২০২৪ ১৬:২২
নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের কারণে মেট্রোরেলের চারটি স্টেশনের ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। বন্ধ থাকা স্টেশনগুলো হলো- মিরপুর-১০, মিরপুর-১১, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ।

তিনি জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বেলা ২টা ২৫ মিনিট থেকে সাময়িক সময়ের জন্য মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া স্টেশনগুলোতে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ আছে।

তবে উত্তরা উত্তর থেকে পল্লবী পর্যন্ত এবং মতিঝিল থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত দুই ভাগে মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বন্ধ স্টেশনগুলো চালু হলে তাৎক্ষণিক কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেবে।


অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করল ডেসকো

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) উদ্যোগে বিদ্যুতের বকেয়া আদায় ও সিস্টেম লস কমিয়ে আনার লক্ষ্যে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আজ সোমবার অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধের অভিযান পরিচালনা করেন ডেসকোর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শংকর বিশ্বাস।

অভিযানে আগারগাঁয়ে ৯৬নং পশ্চিম কাফরুল তালতলা কাঁচাবাজারে দুটি মিটার, শ্যামলী ২নং রোড থেকে ২ কেজি ও বিএনপি বাজার মুরগির মার্কেট থেকে ১৩ কেজি তার জব্দ করা হয়।

ডেসকোর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর নাহিদ আহসান বলেন, আমরা ডেসকোর পক্ষ থেকে নিয়মিত অবৈধ সংযোগ বন্ধে অভিযান পরিচালনা করছি এবং এটা অব্যাহত থাকবে। রাতের আঁধারে কিংবা মধ্যরাতে কিছু অসাধু চক্র অবৈধভাবে হুকিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকে। আমাদের টিম রাতেও নিয়মিত টহলে থাকে। তারপরও চক্রগুলো সুযোগ পেলেই এ ধরনের কাজ করে থাকে।

তিনি আরও বলেন, আমি এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ করছি এবং কেউ যদি এ ধরনের কাজ দেখে থাকেন তাহলে আমাদের ডেসকোর কল সেন্টারে জানালে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারব। তথ্য দানকারীর পরিচয় গোপন করা হবে। আমরা চাই গ্রাহকদের মানসম্মত এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ডেসকো অঙ্গীকারবদ্ধ। স্মার্ট গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে ডেসকোর পাশাপাশি গ্রাহকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

বিষয়:

এ সপ্তাহে প্রচণ্ড চাপ থাকবে রাজধানীর সড়কে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৪ জুলাই, ২০২৪ ০০:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

উল্টো রথযাত্রা, এইচএসসি পরীক্ষা, পবিত্র আশুরা ও তাজিয়া মিছিলের কারণে এ সপ্তাহে রাজধানীর সড়কে প্রচণ্ড চাপ থাকবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

এর মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলমান থাকলে সড়কে সে চাপ আরও বাড়তে পারে। এসব কার্যক্রমকে এ সপ্তাহের জন্য ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মনে করছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।

গতকাল শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে পরিকল্পনার কথাও জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) এস এম মেহেদী হাসান।

তিনি বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এ সপ্তাহে তিনটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকালও পরীক্ষা আছে। রোববার সপ্তাহের প্রথম দিন। আবার আগামীকাল সোমবার ১৫ জুলাই উল্টো রথযাত্রা আছে। ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে শুরু করে স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে গিয়ে শেষ হবে। স্বাভাবিকভাবেই ঢাকা শহরে গমনাগমন বাড়বে, সড়কে চাপ বাড়বে।

তিনি বলেন, পাশাপাশি আগামী বুধবার ১৭ জুলাই পবিত্র আশুরা আছে। লালবাগ ইমামবাড়া থেকে শুরু হয়ে ধানমন্ডি লেক পর্যন্ত যাবে। এ ছাড়া লালবাগ, মোহাম্মদপুর, মিরপুরসহ তাজিয়া মিছিল হবে নানা স্থানে। এসব এলাকায় যানজটের শঙ্কা আছে। এর মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলন তো চলছেই। এই সপ্তাহে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে এসব চ্যালেঞ্জ। ট্রাফিকের ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা সেভাবেই কাজ করছেন। আমরা যাতে জনভোগান্তি কমাতে পারি সে জন্য ট্রাফিক বিভাগগুলো নিজ নিজ পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে।

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে দায়িত্ব পালন করছে। আমরা যেটা শুনছি, আগামীকালও ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি আসতে পারে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কাজটা করে থাকি। আমরা ক্রাইম বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করব। শাহবাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়ও কোটা সংস্কার আন্দোলন চলছে। সারাদিন ধরে সেখানে জনভোগান্তি হচ্ছে। আপনারা কিছুই বলছেন না, মাঝে মধ্যে হুঙ্কার দেন; কিন্তু আইন প্রয়োগ করছেন না।

আইন প্রয়োগ না করে কি দৃশ্যত ভোগান্তি বাড়াচ্ছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে মেহেদী হাসান বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে ট্রাফিকের আটটি বিভাগ সমন্বিতভাবে কাজ করে। পাশাপাশি ক্রাইম বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে টিম ডিএমপি একযোগে কাজ করে থাকি। আমরা চেষ্টা করি জনভোগান্তি যতটা কমিয়ে আনা যায়।

এ সময় উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার সারাদিন ঢাকা শহর থমকে গিয়েছিল সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে। বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় যানবাহন বিকল হয়ে পড়েছিল। এর মধ্যে সমন্বয়হীন খোঁড়াখুঁড়ির কারণে অনেক জায়গায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। সঙ্গত কারণেই আমরা কাল নগরবাসীকে সময় নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ করেছিলাম।

তাজিয়া মিছিল ও আশুরা ঘিরে কোনো হুমকি বা ঝুঁকি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সমন্বয় করে কাজ করি। আমরা ট্রাফিক পার্টটা দেখছি। ঝুঁকি পর্যালোচনার বিষয়ে অন্য বিভাগ আছে।


রাজধানীতে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তিনজনের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পৃথক স্থানে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর পল্লবী ও কোতোয়ালি থানার সিএমএম আদালতের পাশে গতকাল শুক্রবার এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. আলাউদ্দিন (২৭), মো. রাসেল (১৮) ও মো. আইউব আলী (৪৫)।

আলাউদ্দিন ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানার মেঘেরা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার সন্তান। রাসেল চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার কেলিশহর দারোগার হাট গ্রামের রতন দাসের সন্তান। দুজনই পল্লবী এলাকায় থাকতেন। মো. আইউব আলী পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার তারাবুনিয়া গ্রামের বেলায়েত শেখের সন্তান।

এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার দুপুরে পল্লবীর আজিজ মার্কেটের পাশে আসবাব কারখানায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান মো. আলাউদ্দিন (২৭) ও মো. রাসেল (১৮)। তারা দুজনই আসবাব কারখানায় মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন। অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে পল্লবী থানার উপপরিদর্শক এসআই আব্দুল আজিজ বলেন, খবর পেয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ট্রলির ওপর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি-প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, বৃষ্টির কারণে আসবাব কারখানায় পানি জমে যায়। মালপত্র রেখে পানি সরানোর সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় দুজন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের উদ্ধার করে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুজনেরই মৃত্যু হয় বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবুও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

এদিকে ঢাকার সিএমএম আদালতের পাশে আগরবাতি গলিতে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান মো. আইউব আলী (৪৫)। শুক্রবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মধ্যরাতে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আইউব আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম জানান, তার বাবা মিস্ত্রির কাজ করতেন। রাতে কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে ওই এলাকার পাশে আগরবাতি গলি এলাকায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে খবর পেয়ে প্রথমে ন্যাশনাল হাসপাতাল নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে এলে বাবার মৃত্যু হয়।

কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজীব ঢালী জানান, খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে থেকে মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি-প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়।


এবার কোটা পুনর্বহালসহ ৭ দাবি নিয়ে শাহবাগে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা বাতিল আন্দোলনের নামে বঙ্গবন্ধু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ ৭ দফা দাবিতে শাহবাগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন তারা।

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ৭ দফা দাবি হলো-

১. ২০১৮ সালের অসাংবিধানিক ও অবৈধ পরিপত্র বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করে বঙ্গবন্ধুর উপহার ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল, সংরক্ষণ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে।

২. সম্প্রতি কোটা বাতিল আন্দোলনের নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তিকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে ছাত্রত্ব বাতিলসহ বিশেষ ট্রাইব্যুনালে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি হলোকাস্ট ডিনায়াল অ্যাক্টের মতো নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে।

৩. রাজাকারদের নামের তালিকা প্রকাশ করে দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ বোর্ডে তালিকা প্রদর্শনপূর্বক নাগরিকত্ব বাতিলসহ এদের বংশধরদের চিহ্নিত করে চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি সব সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে হবে।

৪. কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীরা সবাই মেধাবী, কেউ অমেধাবী নয়। সাধারণ প্রার্থীদের সঙ্গে একই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রিলি, লিখিত ও ভাইভায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোটা প্রয়োগ হওয়ার কারণে বৈষম্যমূলক মেধা শব্দ পরিবর্তন করে সাধারণ শব্দ সংযোজনপূর্বক সাধারণ প্রার্থী নামকরণ করে সব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।

৫. সারা দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের ওপর হামলা, মামলা, হত্যা, নির্যাতন ও কটূক্তি স্থায়ীভাবে প্রতিরোধ করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।

৬. ২০১৮ সালে কোটা বাতিল আন্দোলনের নামে পুলিশের ওপর নগ্ন সন্ত্রাসী হামলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

৭. বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের অধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করতে হবে।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলতি মাসের শুরু থেকে সড়ক-মহাসড়ক, রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে তারা এ সপ্তাহব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন।

এরপর হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে আপিল বিভাগের আদালতের পর গত বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল সরকার। এরই অংশ হিসেবে ওইদিন বিকালে শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করতে এলে ঢাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা। এ ছাড়া কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে পুলিশ তাদের ওপর হামলা করে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।


ঢাকার প্রধান প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিষিদ্ধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগরীর প্রধান প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ ধীরগতির যানবাহন আর চলাচল করতে পারবে না বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

আজ শনিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আইন প্রয়োগের পাশাপাশি এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমরা এ যানবাহনগুলোর জন্য কিছু ছোট রাস্তা নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ধানমন্ডি এলাকার কিছু সড়ক নির্বাচন করা হয়েছে। মিরপুরের প্রধান সড়কে এসব যানবাহন এখন আর চলছে না। প্রগতি সরণি ও ভিআইপি রোডের মতো প্রধান সড়কে অটোরিকশাসহ ধীরগতির যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না। আমরা পরিকল্পনা ও প্রয়োগ দুটিই একসঙ্গে সমন্বয় করছি।’

মেহেদী হাসান বলেন, ‘অটোরিকশা শুধু ছোট রাস্তায় চলবে। প্রধান সড়কে তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। তবে এতে অটোরিকশা চালকদের মধ্যে কিছুটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।’

বিষয়:

বৃষ্টির পানি সরাচ্ছেন ৫ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী: ডিএনসিসি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগরে আজ শুক্রবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ভারি বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। আর এই জলাবদ্ধতা নিরসনে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পাঁচ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী।

এছাড়াও ১০টি অঞ্চলে কাজ করছে ১০টি কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি)। প্রতিটি কুইক রেসপন্স টিমে রয়েছেন ১০ জন কর্মী। ইতোমধ্যে প্রধান প্রধান সড়কগুলি থেকে পানি নিষ্কাশন করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনের জন্য কল্যাণপুরে ডিএনসিসির পাঁচটি পাম্প সকাল থেকে একযোগে কাজ করছে। অল্প সময়ে নিরবচ্ছিন্ন ভারী বৃষ্টি হওয়ায় পানি অপসারণ হতে কিছুটা সময় লেগেছে। এখনো যেসব অঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা যাচ্ছে, কুইক রেসপন্স টিম পাঠিয়ে সেসব অঞ্চলের ড্রেন পরিষ্কার করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে। প্রতিটি অঞ্চলের শাখা রাস্তাগুলো থেকে পানি সরাতে কাজ করে যাচ্ছেন ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ কুইক রেসপন্স টিম। কোথাও কোনো পানি জমে থাকলে ডিএনসিসির হটলাইন-১৬১০৬ নম্বরে কল করে জানালে কুইক রেসপন্স টিম ব্যবস্থা নেবে।

তিনি আরও জানান, ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের নির্দেশে প্রকৌশল বিভাগ, বর্জ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ ভোর থেকে কাজ করছে। জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক তদারকি করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজধানীতে ভোর থেকে তিন ঘণ্টায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এখন পর্যন্ত যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে তাতে এটি আজ সকালে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।

বিষয়:

জাল সার্টিফিকেট ও তৈরীর সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে জাল সার্টিফিকেট ও জাল সার্টিফিকেট তৈরীর সরঞ্জামসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১০। তারা হলেন, রাকিব হাসান (২৫) ও শাহ আলম মিজি (৩৯)। র‌্যাব বলছে, তারা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের জাল সনদ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল সনদ এবং জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রস্তুতকারি চক্রের সদস্য।
গতকাল বুধবার বাকুশাহ মার্কেট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি কম্পিউটার, ২টি সাউন্ড বক্স, ১টি প্রিন্টার, ১ মোবাইল ফোন, ১টি শিক্ষা সনদ, ১টি মার্কশীটসহ অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার র‌্যাব-১০ এর সহকারি পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি এম. জে. সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যে বুধবার বিকেলে রাজধানীর নিউমার্কেট থানাধীন বাকুশাহ মার্কেট এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের জাল সনদ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল সনদ এবং জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রস্তুতকারি চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের এসএসসি, এইচএসসি, দাখিল, আলিম এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ও মাস্টার্সের জাল সার্টিফিকেট এবং জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করে আসছিলেন।
গ্রেপ্তার ২ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানান এ র‌্যাব কর্মকর্তা।


ঢাকার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না আজ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১১ জুলাই, ২০২৪ ০০:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি প্রতিস্থাপন কাজের জন্য আজ বৃহস্পতিবার নগরীর বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। গতকাল বুধবার এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

বার্তায় জানানো হয়, গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি প্রতিস্থাপন কাজের জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মোট ১০ ঘণ্টা কলাবাগান, কাঁঠালবাগান, পূর্ব রাজাবাজার, গ্রিন রোড ও পান্থপথ এলাকায় বিদ্যমান সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

আরও জানানো হয়, এ ছাড়া, আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখিত।


ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অংশীজন সংস্থা যথার্থ দায়িত্ব পালন করছে না

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অংশীজন কর্তৃপক্ষ-সংস্থা যথার্থ দায়িত্ব পালন করছে না বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ বুধবার দুপুরে টিকাটুলির শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ে ‘বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম’ পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ অভিযোগ করেন।

মেয়র তাপস বলেন, ‘নিয়মিতভাবে সকালে-বিকালে আমাদের মশককর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। অ্যাডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসের মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে আমরা গত মে মাসে সব সংশ্লিষ্ট সংস্থা, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। দিক-নির্দেশনা দিয়েছি। মন্ত্রণালয় থেকেও সভা করে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজ এখানে পরিদর্শনে এসে দেখলাম, আমরা সংশ্লিষ্ট অংশীজন, কর্তৃপক্ষ, সংস্থার সঙ্গে মতবিনিময় করে যে দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিই, সে অনুযায়ী তারা কাজ করছে না। যে নির্দেশনা দেওয়া হয় তা সঠিকভাবে পরিপালন হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে নির্মাণাধীন যে শিক্ষা ভবন রয়েছে, তার বেহাল দশা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, কর্তৃপক্ষের কোনো কর্মকর্তা এখানে নেই। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট অংশীজন কর্তৃপক্ষ-সংস্থা যথার্থ দায়িত্ব পালন করছে না। যার ফলে আমাদের জন্য কাজ করা দুরূহ হয়ে পড়ছে।’

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট অংশীজন সংস্থা-কর্তৃপক্ষকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমি আশা করি, গণমাধ্যমের মাধ্যমে তারা বিষয়টি অনুধাবন করবে। তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করবে, নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান নিজেরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবে। পানি জমতে দেবে না। নিয়মিত জমা পানি ফেলে দেবে। এ জন্য ব্লিচিং পাউডার, কেরোসিন, লার্ভিসাইডিং, অ্যাডাল্টিসাইডিং- যা যা প্রয়োজন তা আমরা দিতে প্রস্তুত। আমাদের জানানোর সঙ্গে সঙ্গে কর্মিবাহিনীর মাধ্যমে সহযোগিতা করা হবে। কিন্তু তাদের সে দায়িত্ব অবশ্যই নিতে হবে।’

অ্যাডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে করপোরেশনের সামষ্টিক কার্যক্রমের সুফল ঢাকাবাসী পাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা আমলে নিয়ে মশক নিধন কার্যক্রমকে আমরা আরও জোরদার করেছি। আমরা ইতোমধ্যে সব হাসপাতাল, পুলিশ ফাঁড়ি-থানায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। এখন সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মহাবিদ্যালয়ের স্থাপনা ও এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছি। ফলে, গত বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত রোগীর যে সংখ্যা ছিল, এবার তার চেয়ে অনেক কম রাখতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের এসব কার্যক্রমের সুফল ঢাকাবাসী পাচ্ছে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের রোকন উদ্দিন আহমেদ, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সারোয়ার হাসান আলো, সংরক্ষিত আসনের লাভলী চৌধুরীসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বিষয়:

banner close