সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪

হঠাৎ বন্ধ মেট্রোরেল চলাচল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৫ মে, ২০২৪ ২১:৩৭

মেট্রোরেল চলাচল হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিভিন্ন স্টেশনে হাজারও যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিভিন্ন স্টেশনে ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, যাত্রীদের তাড়া থাকলে বিকল্প পথে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এ সময় যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়।

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের ঘোষণার পর রাজধানীর কারওয়ান বাজার স্টেশন থেকে কয়েকশ যাত্রী বের হয়ে যান। জয় ঘোষ নামের এক শিক্ষার্থী জানান, উত্তরা (উত্তর) স্টেশনে যেতে সন্ধ্যা ৭টায় কারওয়ান বাজার স্টেশনে উঠেছিলেন। কিন্তু ট্রেন না ছাড়ায় তিনি বেরিয়ে যাচ্ছেন। তিনি তার টিকিটের টাকা ফেরত পেয়েছেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্টেশনে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল আর চলবে না।

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র গতকাল সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই মুহূর্তে লাইনে ১০টি ট্রেন আটকে আছে। মূলত মেট্রোরেল সিগন্যালিং সিস্টেম ফেল করার কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। সিগন্যালিং সিস্টেম ছাড়া ট্রেনগুলো আনা যাবে, তবে সেটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

কত সময় লাগতে পারে জানতে চাইলে সূত্রগুলো জানায়, সিগন্যালিং সিস্টেমের সঙ্গে টেলিকম সিস্টেমেরও ঝামেলা দেখা দিয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার এই মুহূর্তে লাইনে আছে। সমাধান হওয়া মাত্রই চালু হবে।

কেন্দ্রীয় সার্ভারে জটিলতার কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার কথা জানিয়ে এমআরটি পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মাহমুদ খান বলেন, ‘আমরা জেনেছি সেন্ট্রাল সার্ভারে জটিলতার কারণে যেখানে যেখানে মেট্রোরেল আছে সবখানে আটকে আছে। তারা চেষ্টা করছে বলে আমাদের জানিয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে সমাধান হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উত্তরা (উত্তর) স্টেশন ও বাংলাদেশ সচিবালয়সহ কয়েকটি স্টেশনে চলাচলরত ট্রেন থেমে রয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে অনেকে গন্তব্যে যেতে ট্রেনের মধ্যে রয়েছেন। কেউ চাইলে তাকে ট্রেন থেকে নামতে সহায়তা করা হচ্ছে।’


একই স্থানে ৫০০ পশু কোরবানির উদ্যোগ নিয়েছে ডিএনসিসি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীকাল ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে একই স্থানে পাঁচ শতাধিক পশু কোরবানির উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসির ৩নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত মিরপুর সেকশন-১১, ব্লক-সি, প্যারিস রোড সংলগ্ন মাঠে পশু কোরবানির এ আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও ৭নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত এলাকায় আরও পাঁচটি নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির আয়োজন করা হয়েছে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, একটি নির্দিষ্ট স্থানে একসঙ্গে পশু কোরবানি দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। ডিএনসিসির ওয়ার্ড-৩ এ প্যারিস রোড মাঠে একসঙ্গে পাঁচ শতাধিক পশু কোরবানির উদ্যোগ নিয়েছি। ৭ নম্বর ওয়ার্ডেও পাঁচটি নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ বছর দুটি ওয়ার্ডে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করেছি। পরবর্তীতে সব ওয়ার্ডে এটি বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

মেয়র বলেন, নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি হলে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমটা সহজ হয়ে যাবে। পাশাপাশি অনেক মানুষ একসঙ্গে মাঠে থাকলে ঈদের আনন্দও অনেক বেড়ে যাবে।

নগরবাসীকে উৎসাহ দিতে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে প্যারিস রোড মাঠে কোরবানি দিতে আসলে প্রতিটি পশুর জন্য এক হাজার টাকা প্রণোদনা দেওয়া হবে। এছাড়াও মাংস পরিবহনের জন্য ৫০টি ভ্যান রাখা হয়েছে।

ঈদের দিন দুপুরে প্যারিস রোড মাঠে ৫ শতাধিক পশু কোরবানি কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন বলেও জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম।

বিষয়:

ঈদের দিন সকালে বন্ধ থাকবে রাজধানীর যেসব সড়ক

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীকাল সোমবার দেশজুড়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে। ঈদে রাজধানীর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে।

জামাতে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবর্গ, ঢাকাস্থ মুসলিম দেশের কূটনৈতিকবৃন্দ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নামাজ আদায় করবেন।তাই নামাজের আগে ও নামাজচলাকালীন সময়ে আশপাশের কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখবে ডিএমপি।

আজ রোববার ডিএমপি ট্রাফিক রমনা বিভাগের পক্ষ থেকে এই ট্রাফিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, সকাল থেকে মৎস্য ভবন ক্রসিং, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, কাঁটাবন ক্রসিংয়ে যান চলাচল করতে পারবে না। এসব সড়কে ডাইভারশন দিয়ে অন্য সড়ক দিয়ে যান চলাচল করবে। তবে হেঁটে এসব পয়েন্ট দিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করা যাবে।

ডিএমপি জানায়, ঈদ জামাতে আগত গাড়িগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়াম মাঠ, ফুলার রোড, মুহসীন হল মাঠে পার্কিং করতে হবে।


জাতীয় ঈদগাহে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে: ডিএমপি কমিশনার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৬ জুন, ২০২৪ ১৯:০৩
বাসস

পবিত্র ঈদুল আজহার জামাতে জাতীয় ঈদগাহে পাঁচ স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান ।

তিনি আজ রোববার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে ঘিরে আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় চারটি আলাদা পার্কিং ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং কিছু রাস্তায় ডাইভারশন দেয়া হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। এই জামাতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবর্গ, ঢাকাস্থ মুসলিম দেশের কূটনৈতিকবৃন্দ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নামাজ আদায় করবেন। সে জন্য এখানে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ ছাড়া জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পাঁচটি জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের প্রধান জামাতটি বাইতুল মোকাররমে স্থানান্তর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের প্রধান জামাতসহ রাজধানীর সকল মসজিদ ও ইদগাহে ঈদের জামাতকে ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ ও আশপাশের এলাকা ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও ড্রোন পেট্রোলিং, সাইবার পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।

তিনি বলেন, পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্মধারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে জাতীয় ঈদগাহের চারপাশে বহিঃবেষ্টনী ও আন্তঃবেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। প্রবেশ গেটে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবায় মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোনো ধরনের দাহ্য বস্তু, বিস্ফোরক জাতীয় বস্তু ও ধারালো কিছু সঙ্গে আনা যাবে না।'

তিনি বলেন, চামড়া যাতে পাচার হতে না পারে এবং দালাল চক্র যাতে কোন অব্যবস্থাপনা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য ডিএমপির প্রত্যেকটি থানা কেন্দ্রিক ব্যবস্থা রয়েছে। চামড়া বেচা-কেনায় কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে নিকটস্থ থানাকে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি।

ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রিয়জনদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা থেকে প্রায় এক কোটি মানুষ গ্রামের বাড়িতে গেছে। এই সময়ে বাসাবাড়ি, রাস্তাঘাট, অফিস-আদালত ফাঁকা থাকে। প্রতি বছরই পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়ে ঢাকাকে নিরাপদ রাখতে সক্ষম হয়। এবারও পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

সাংবাদিকদেরে অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় কোনো ধরনের জঙ্গি তৎপরতার তথ্য নেই। তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সব বিষয় বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, চামড়া বেচা- কেনায় যাতে কেউ সিন্ডিকেট তৈরি করতে না পারে সে ব্যাপারেও আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে। চামড়া বেচা- কেনায় চাঁদাবাজি বা কেউ প্রভাব বিস্তার করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত),অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।


মালিবাগে ট্রেনে কাটা পড়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মালিবাগে রেললাইন পারাপারের সময় ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। রেলগেট এলাকায় রোববার দুপুর পৌনে ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো মো. আলম হোসেনের (৫০) বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে। তিনি খিলগাঁও নন্দীপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় সপরিবারে থাকতেন।

খিলগাঁও ফায়ার সার্ভিসের লিডার কামরুল ইসলাম মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছেলে মোহাম্মদ আবু বক্কার সিদ্দিকী বলেন, ‘আমার বাবা পান-সুপারির ব্যবসা করেন। আজ দুপুরে তিনি দোকানের জন্য শান্তিনগর বাজারে পান-সুপারি আনতে যাওয়ার সময় মালিবাগে রেললাইন পারাপারের সময় ট্রেনে কাটা পড়ে।’

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানাকে জানানো হয়েছে।’


ঈদে ফাঁকা রাস্তায় রেসিং করলে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাঁকা ঢাকার সড়কে রেসিং করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে এসে আজ রোববার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, ফাঁকা ঢাকায় বাইক রাইডিংয়ের নামে কেউ যেন এই মরণ খেলায় মেতে না উঠেন। আমরা অতীতে অনেক দুর্ঘটনার কথা জানি। এবার পুলিশের পক্ষ থেকে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যাতে কেউ রেসিং করতে না পারে।

চাঁদাবাজির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এরইমধ্যে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি, অনেককেই গ্রেপ্তার করেছি। পরে এ ধরনের কাজ যারা করবেন, তারা সতর্ক হবেন এবং ভবিষ্যতে এসব থেকে তারা নিবৃত থাকবেন।

তিনি বলেন, আমরা সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। আমরা সব সময় সর্বাত্মক এবং সর্বোচ্চ ব্যবস্থাটাই নিয়ে থাকি। এবারও সেটি করা হয়েছে।

জঙ্গি হামলার সুনির্দিষ্ট কোনো থ্রেট নেই, তারপরেও আমরা সবকিছু মাথায় রেখেই আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজিয়ে থাকি, যোগ করেন তিনি।

বিষয়:

মিরপুরে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে গোলারটেক মাঠে

গোলারটেক মাঠে ঈদের জামাতের প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন ডিএনসিসির কর্মকর্তারা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর গোলারটেক মাঠে। আগামীকাল সোমবার ঈদের দিন প্রধান জামাত শুরু হবে সকাল ৮টায়। এলাকাবাসীর সঙ্গে নামাজের জামাতে অংশ নেবেনে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, ডিএনসিসির কাউন্সিলর এবং কর্মকর্তারা।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে প্রতিটি ওয়ার্ডে পাঁচটি করে ঈদের জামাত আয়োজন করা হয়েছে। কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ৫৪টি ওয়ার্ডে মোট ২৭০টি ঈদের জামাত আয়োজন করা হচ্ছে ডিএনসিসির উদ্যোগে। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো মিরপুর গোলারটেক মাঠে ডিএনসিসির ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা উত্তরে বসবাসরত নগরবাসীর মধ্যে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে এবার ঈদে গোলারটেক মাঠে ডিএনসিসির প্রধান জামাত আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে এলাকাবাসীর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে। আমি নিজেও এই জামাতে অংশগ্রহণ করব।’

‘এর ফলে ঢাকা উত্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার সুযোগ হবে। ওয়ার্ড ভিত্তিক ঈদের জামাত আয়োজনের পাশাপাশি এবার প্রথম বড় পরিসরে মিরপুরে ডিএনসিসির প্রধান জামাত আয়োজন হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নগরবাসীকে সম্পৃক্ত করে বিভিন্ন জাতীয় দিবস উদযাপন এবং সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য উৎসব আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গুলশানে এ বছর পহেলা বৈশাখ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসও উদযাপন করা হয়েছে।’

বিষয়:

শেষ মুহূর্তে জমজমাট কোরবানির পশুর হাট, দামে সন্তুষ্ট ক্রেতারা

কোরবানির জন্য বিক্রি হয়ে যাওয়া গরুটিকে শেষবারের জন্য আদর করে দিচ্ছেন এক বিক্রেতা। রাজধানীর দক্ষিণ শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি হাট থেকে তোলা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনে স্থায়ী ২টিসহ মোট ২০টি পশুর হাটে শেষ মুহূর্তে বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে। পশুর হাটগুলোতে দামও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানী দুই সিটিতে পশুর হাট বসেছে। চলবে ১৭ জুন অর্থাৎ ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত মোট ৫ দিন। বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিক হাট বসলেও হাটগুলোতে মূলত কয়েক দিন আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসতে শুরু করে পশুর পিকআপ ও ট্রাক। ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত হাট থাকলেও এখন আর ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না। হাটে ঘুরেফিরে দর-দামে মিলে গেলেই নিয়ে নিচ্ছেন পছন্দের পশুটি।

আগামীকাল রোববার রাত পার হলেই পরের দিন সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহা। রাজধানীজুড়ে মানুষ ও কোরবানির পশুতে একাকার। উত্তরার দিয়াবাড়ী ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টরের পাশের খালি জায়গায় বসেছে বড় দুটি পশুর হাট। এই পশুর হাটগুলোতে রয়েছে পর্যাপ্ত গরু, ছাগল, ভেড়া। শেষ মুহূর্তে বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে। গতকাল পর্যন্ত পশুর দাম একটু কম থাকলেও আজ দাম কিছুটা চড়া। তবে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের মতে দাম এখনো সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

শনিবার উত্তরার গরুর হাট সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, হাটভর্তি বিভিন্ন জাতের দেশীয় ছোট, মাঝারি ও বড় জাতের অসংখ্য গরু উঠেছে, হাটে ক্রেতাদের প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে পশুর হাটে আসা অধিকাংশ ক্রেতাই স্থানীয়ভাবে খামারে লালন-পালন করা দেশি গরুই পছন্দ করছেন। অনেক ক্রেতা মনে করছেন শেষ দিনে দাম কমে যাবে। তখন কোরবানির পশু তারা সস্তায় কিনবেন। তবে বেশির ভাগ ক্রেতাই আজকের মধ্যেই পশু কিনে নেবেন বলে জানিয়েছেন।

বিভিন্ন জায়গা থেকে গরু নিয়ে উত্তরার হাটে এসেছেন মোস্তফা মাতাব্বর, মো. রাসেল ও রফিক নামে তিন গরু ব্যবসায়ী। তারা জানান, এ বছর পশুর হাটে ভারতীয় গরু নেই বললেই চলে। হাটে যেসব ক্রেতা আসছেন তারা দেশীয় জাতের গরু এবং স্বাভাবিক খাবার দিয়ে খামারে লালন-পালন করা গরুই বেশি পছন্দ করছেন। উত্তরার হাটে গরুর সরবরাহ বেড়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ হাটে এলেও দর-দাম করেই তাদের পছন্দের গরু কিংবা ছাগল কিনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। সেই সঙ্গে বাজারে বড় গরুরও কমতি নেই। তবে ছোট ও মাঝারি জাতের গরুর চাহিদাই বেশি।

হাটে পাবনা থেকে গরু নিয়ে আসা সালাম বেপারী বলেন, পরিবহনে করে গরুর নিয়ে আসা, হাটে তোলা, খাওয়ানো ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলা- এই পুরো সময়টাজুড়ে তাদের হাড়ভাঙা পরিশ্রম করতে হয়। এ ছাড়া সব সময় গরুর দড়ি ধরে থাকা, গরুকে সামলানো এবং গরুর গোবর তোলাসহ নানান কারণে হাতও পরিচ্ছন্ন রাখা যাচ্ছে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম শিশির হাটে এসেছেন গরু কিনতে। তিনি বলেন, ‘যতটুক ঘুরে দেখেছি, আমার কাছে মনে হয়েছে এবার গরুর দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় একটু কমই আছে।’

গরুর পাশাপাশি হাটে প্রচুর ছাগল, ভেড়াও উঠেছে। ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে কোরবানির একটি ছাগল ক্রয় করা সম্ভব। বগুড়ার নবাব, লাট বাহাদুর, কালো মানিক ও লাল বাদশা নামে ৪টি বড় জাতের বিশাল গরু উত্তরার হাটে আনা হয়েছে। এগুলোর দাম চাওয়া হচ্ছে ১২-১৫ লাখ টাকা।

উত্তরার শ্রমিক নেতা রুবেল জানান, ‘গতকাল রাতে আমার বন্ধু উত্তরার গরুর হাট থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে দুটি বেশ বড় আকৃতির গরু কিনেছেন। আমার কাছে মনে হলো হাটে হঠাৎ গরুর দাম কমে গেছে। এতে আমি বেশ খুশি এ কারণে যে, এ বছর অনেকেই তার সাধ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি দিতে পারবেন।’

রাজধানীর গাবতলীর স্থায়ী পশুর হাটে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন শুধু ছোট সাইজের গরুগুলো বিক্রি হচ্ছে বেশি। এ ছাড়া বাজারে প্রচুর পরিমাণ ছাগলও উঠেছে। বেচাকেনাও বেশ জমে উঠেছে। ছোট খাসির দাম ১০-১৫ হাজার টাকা। মাঝারি খাসি ২০-২৫ হাজার এবং বড় জাতের খাসি ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

গাবতলী পশুর হাটে ভারতের রাজস্থান থেকে আনা উট তোলা হয়েছে। উট দেখতে ভিড় করছেন দর্শনার্থী ও ইউটিউবাররা। মো. মাহফুজুর রহমান অপু দুটি উট এক মাস আগেই কিনেছেন। এরপর সড়কপথে উট দুটি বাংলাদেশে আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

উটের মালিক মো. মাহফুজুর রহমান অপু বলেন, ‘প্রতি উটে ১৪-১৫ মণ মাংস হবে। আমার পরিবার উটের ব্যবসার সঙ্গে ২০-৩০ বছর ধরে জড়িত। আমার বাবাও এই ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। পরিচর্যা হিসেবে ঘাস, কুড়া ও ভুসি খাওয়ানো হচ্ছে উট দুটিকে। রাজস্থান থেকে দুটি উট নিয়ে আসা হয়েছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য কোরবানির সময় বিক্রি করা। আমরা দুটি উটের দাম চাচ্ছি ৬০ লাখ টাকা। তবে কিছু কমে হলেও বিক্রি করব।’

উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর বৃন্দাবন পশুর হাটের ইজারাদার মো. কফিল উদ্দিন মেম্বার বলেন, ‘হাটে এবার দেশি গরুর প্রাধান্যই বেশি। হাটে গরুতে সয়লাব হয়ে গেছে। প্রচুর পরিমাণ গরু উঠেছে। তবে পশুর হাটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। আশা করছি, আজ রোববার আবহাওয়া ভালো থাকলে বিকেল থেকে হাটে পশুর বেচাকেনা তুলনামূলকভাবে বাড়বে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কোরবানির পশু আসা অব্যাহত রয়েছে। এই হাটে শতকরা ৫ টাকা হারে হাসিল নেওয়া হচ্ছে। হাটে নিরাপত্তার কোনো অভাব নেই।’

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় গাবতলীর স্থায়ী হাটসহ ৯টি হাট এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় সারুলিয়া স্থায়ী পশুর হাটসহ ১১টি হাট বসেছে। তবে এ বছর আদালতের নির্দেশনার কারণে আফতাবনগরে হাট বসেনি।

ঢাকা উত্তরে অস্থায়ী ৮টি হাটের মধ্যে রয়েছে- উত্তরা দিয়াবাড়ীর ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টরের পাশের খালি জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাশের খালি জায়গা, মস্তুল চেকপোস্ট এলাকা, মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা, ভাটারার সুতিভোলা খালের কাছের খোলা জায়গা, মোহাম্মদপুরের বছিলায় ৪০ ফুট সড়কের পাশের খালি জায়গা, ভাটুলিয়া সাহেব আলী মাদ্রাসা থেকে রানাভোলা স্লুইচগেট পর্যন্ত খালি জায়গা ও দক্ষিণখানের জামুন এলাকার খালি জায়গা।

ঢাকা দক্ষিণে অস্থায়ী ১০টি হাটের মধ্যে রয়েছে- খিলগাঁও রেলগেট মৈত্রী সংঘ ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, হাজারীবাগের ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজসংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, বনশ্রীর মেরাদিয়া বাজারসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাবসংলগ্ন খালি জায়গা, কমলাপুর স্টেডিয়ামসংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনালসংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, লালবাগে রহমতগঞ্জ ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা।


`চামড়া বেচা-কেনায় প্রভাব বিস্তার করলে কঠোর ব্যবস্থা'

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পবিত্র ঈদ-উল-আজহায় কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিপণন, কাঁচা চামড়া বহনকারী যানবাহনের নিরাপত্তায় পুলিশ আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে। পশুর চামড়া কেনা-বেচায় চাঁদাবাজি বা কেউ প্রভাব বিস্তার করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
এছাড়া, ভারতের কলকাতায় নিহত ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলার তদন্তে কোন চাপ নেই বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তরে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ, কাঁচা চামড়া বহনকারী যানবাহনের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহার কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিপণন, কাঁচা চামড়া বহনকারী যানবাহনের নিরাপত্তায় পুলিশ আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে। চামড়া সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে থাকবে পুলিশের কঠোর নজরদারি।
তিনি বলেন, চামড়া কেনাবেচায় যাতে কেউ সিন্ডিকেট তৈরি করতে না পারে সে ব্যাপারে আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে। কোরবানির পশুর চামড়া কেনা-বেচায় চাঁদাবাজি বা কেউ প্রভাব বিস্তার করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হাবিবুর রহমান বলেন, ঈদের দিন যাত্রাবাড়ী, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট, গাবতলী ও অন্যান্য এলাকার ব্রিজের ওপর বা রাস্তার ওপর চামড়া বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। লবণের মূল্য যেন বৃদ্ধি না পায় এবং কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে।
সমন্বয় সভা শেষে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পরিবার-প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে প্রতি বছর ঢাকা থেকে প্রায় এক কোটি মানুষ গ্রামের বাড়িতে যায়। সেই সময়ে বাসাবাড়ি, রাস্তাঘাট, অফিস-আদালত ফাঁকা থাকে। প্রতি বছরই পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়ে ঢাকাকে নিরাপদ রাখতে সক্ষম হয়। এবারও পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চেকপোস্ট, টহল, ফুট প‌্যাট্রল ও গোয়েন্দা নজরদারি। সেই সঙ্গে প্রত্যেকটি বাসাবাড়িতে এক বা দুজন প্রহরী থাকেন, তারাও আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করবেন।
কোরবানির চামড়া পাচার বন্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কাঁচা চামড়া পাচার রোধে ঢাকা থেকে বহির্গমন পথগুলোতে চেকপোস্ট ও পুলিশের টহল বসানো হবে। শুধু গাবতলী হয়ে চামড়ার গাড়িগুলো হেমায়েতপুর পর্যন্ত যেতে পারবে। এছাড়াও সব জেলার চামড়া যাতে সীমানা দিয়ে বাইরে যেতে না পারে সে ব্যাপারেও আইজিপি মহোদয়ের নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়া এমপি আনার হত্যা মামলায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা গ্রেপ্তারের পর তদন্তে কোনো চাপ আছে কি না জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, মামলা তদন্তে কারো হস্তক্ষেপ নেই। স্বাধীনভাবে আমরা তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ভারতের কলকাতায় নিহত ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবু। একই মামলায় এর আগে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, একই মামলায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে গ্রেপ্তারের পর আট দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। তবে এমন একটি চাঞ্চল্যকর মামলা তদন্তে ঢাকা মহানগর পুলিশ কোনো চাপবোধ করছে না।
তিনি আরও বলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণ বিষয়ে করা মামলার তদন্ত সঠিকভাবে এগিয়ে চলছে। মামলা তদন্তে কারও হস্তক্ষেপ নেই। স্বাধীনভাবে আমরা তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) বিপ্লব কুমার সরকারের সঞ্চালনায় সমন্বয় সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ; যুগ্ম পুলিশ কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি এবং সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি, চামড়া ব্যবসায়ীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।


রাজধানীতে চলছে লাবিবার ‘ঈদ নেইল আর্ট এন্ড মেহেদি ফেস্ট’

উদ্যোক্তা তাসনিম মঞ্জুর লাবিবা ও তার ডিজাইন করা ১৮ ক্যারেট গোল্ডের কারুকাজ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৫ জুন, ২০২৪ ১৮:৪৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের তরুণ মেধাবী উদ্যোক্তা তাসনিম মঞ্জুর লাবিবা। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখে আসছেন দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিজ উদ্যোগে কিছু করার। এরই মধ্যে সেই স্বপ্ন সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছেন তিনি। বর্তমানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে মাইক্রো বায়োলোজিত অধ্যয়নরত এই ছাত্রী পড়াশোনার পাশাপাশি গত কয়েক বছর আগে নিজ প্রচেষ্টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘নেইল আর্ট ডিজায়ার’ নামের একটি পেইজ চালু করেছেন। সময়ের সঙ্গে ফ্যাশন ও সৌন্দর্য পিপাসুদের আগ্রহের তালিকায় চলে এসেছে এর রকমারি প্রোডাক্টগুলো। ১৩ জুন ছিল অনলাইন প্রোডাক্ট বেইজড পেইজটির ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।

পেইজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী তথা ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাজধানীর ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডের সেলিব্রেটি কনভেনশন সেন্টারে (আই হসপিটালের পাশে) চার দিনব্যাপী রকমারি এক মেলার আয়োজন করে। মেলার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ঈদ নেইল আরর্ট এন্ড মেহেদি ফেস্ট’। সোল সিস্টারর্স-এর আয়োজনে ১৩ জুন থেকে এই মেলা চলবে আগামীকাল ১৬ জুন পর্যন্ত। শুরু থেকেই জমে উঠেছে এই মেলা।

এখানে নেইলের উপর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ১৮ ক্যারেট গোল্ডের বিভিন্ন কারুকাজ দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি বাহারি মেহেদির কাজ করা নেইলও শোভা পাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ‘নেইল আর্ট ডিজায়ার’ তাসনিম মঞ্জুর লাবিবা বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমার বিশ্বাসও হচ্ছে না এতটা জমে যাবে মেলাটি। শেষের দিকে আরও ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সবার ভালোবাসা এবং এমন সহযোগিতা পেলে আমি দেশ ও দেশের ফ্যাশন সচেতন মানুষদের আগামীতে আরও ভালো কিছু উপহার দিতে পারব।’

লাবিবার কাছ থেকে জানো গেল, আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে নেইল বিউটিফিকশনের উপর একটা কোর্স করবেন তিনি।

উল্লেখ্য, তাসনিম মঞ্জুর লাবিবা বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী ইলা খানের ভাগ্নি।


বনানীতে বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বনানীতে বিনিময় পরিবহন নামের একটি বাস এক মোটরসাইকেল আরোহীকে চাপা দিয়ে কিছুদূর টেনে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন ওই মোটরসাইকেলের চালক।

আজ শরিবার বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর বনানী ২৭ নম্বর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের নাম আক্কাস আলী। তার বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়া। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাজপাতালে নেওয়া হয়েছে।

গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাহান হক।

তিনি বলেন, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে একটি মোটরসাইকেল বনানীর ২৭ নম্বর থেকে ইউটার্ন নিয়ে উত্তরার দিকে যাচ্ছিল। হঠাৎ বিনিময় পরিবহনের বাসটি মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিয়ে কিছুদূর টেনে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন।

তিনি আরও বলেন, বিনিময় পরিবহনের বাসটি ট্রাফিক সিগন্যান অমান্য করে বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে পেছন থেকে ওই বাইকে ধাক্কা দেয়। এতে বাইকের চালক বাসের নিচে চলে যান।


ছুটির দিনে ঈদযাত্রায় ফুরফুরে সদরঘাট

লঞ্চে চাহিদা বেশি কেবিনের, ভাড়া বেশি অভিযোগ যাত্রীদের
ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ, জবি প্রতিনিধি

ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি শুরুর প্রথম দিনই রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট নৌ-টার্মিনালে বেড়েছে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। পদ্মা সেতু কারণে স্বাভাবিক সময়ে যাত্রী ভাটা থাকলেও ঈদকে ঘিরে সড়ক ও রেলের পাশাপাশি ফের প্রাণ ফিরেছে নৌপথে। দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের নৌপথে বাড়ি পৌঁছে দিতে বাড়ানো হয়েছে দৈনিক চলাচলকারী লঞ্চের সংখ্যাও। অনেকটা স্বস্তি নিয়েই যাত্রীরা নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছেন বলে জানান লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা। তবে টার্মিনালে প্রবেশের সড়কে তীব্র যানজট ও পন্টুনে হকারদের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

শুক্রবার সারাদিন সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পুরো টার্মিনাল ও পল্টন এলাকাজুড়ে যাত্রীদের ভীড়। যাত্রীবোঝাই করে দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চগুলো ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে। এদিন সকালে চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, হাতিয়া, পটুয়াখালীগামী পল্টুনে দেখা যায় স্বাভাবিকের চেয়ে ভিড় একটু বেশি। সবথেকে ভিড় ছিল ইলিশা রুটে। বিকেলে যাত্রীদের মোটামুটি একটি অংশ বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলাগামী লঞ্চগুলোতে ভিড় করেছেন।

এদিকে আগামীকাল শনিবার ও রোববার যাত্রীর চাপ আরও বাড়তে পারে বলে জানান লঞ্চ স্টাফরা। নাড়ির টানে বাড়ির পথে বের হয়ে এই ভীড়ের মুখোমুখি হলেও যাত্রীরা বলছেন এই যাত্রা নির্বিঘ্নের। এদিকে বিভিন্ন পেশার মানুষের ঈদের ছুটি আগে শুরু হলেও সরকারি চাকরিজীবীদের শেষ কর্মদিবস ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। কর্মদিবস শেষ করে মোট পাঁচ দিনের ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন অনেকে।

লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা জানান, শুক্রবার থেকে সরকারি ছুটি শুরু হওয়ায় অনেকেই বাড়ি ফিরছেন। নিয়মিত চলাচলকারী লঞ্চগুলোর কেবিনের অগ্রিম টিকিট প্রায় শতভাগ বিক্রি আগেই শেষ হয়েছে। তবে সব রুটেই কমবেশি লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানোয় এখনও কেবিনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন যাত্রীরা। যদিও কেবিনের তুলনায় ডেকের যাত্রীর চাপই বেশি বলে জানান তারা। তবে কেবিনের চাহিদা বেশি বলে জানিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিওটিএ) সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের নৌপথ ৪১টি। তবে নাব্য সংকট ও যাত্রী স্বল্পতার কারণে বড় আয়তনের ও বিলাসবহুল লঞ্চ চলাচল না করায় অন্তত ১৫টি নৌপথ এর মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। বাকি ২৬টি নৌপথে প্রায় ৭০টি লঞ্চ নিয়মিত আসা-যাওয়া করে। ঈদ ঘিরে লঞ্চের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১৮০টি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯০টি লঞ্চ প্রতিদিন সদরঘাট থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন স্থান থেকে সদরঘাটে আসছে ৯০টি।

ঈদের আগে অগ্রিম টিকিট বিক্রিও অনেকটা শেষের পথে। কোনো কোনো রুটে ১৬ জুন পর্যন্ত কেবিনের অগ্রিম টিকিট শেষ হয়ে গেছে। তবে ঢাকা-বরিশাল রুটে অগ্রিম টিকিট বিক্রির হার কিছুটা কম। তবে যাত্রী চাপ বাড়তে থাকায় লঞ্চের ভাড়া কিছুটা বেশি নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।

যাত্রীদের অভিযোগ, বরিশালগামী লঞ্চের ডেকের টিকিটে ৫০ থেকে ১০০ টাকা ও কেবিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে।

ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী সুন্দরবন ১৫ এর পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, ‘প্রতিদিনই যাত্রীর চাপ বাড়ছে। অগ্রিম বুকিং করা হয়েছে ১৬ তারিখ পর্যন্ত। ১৫-১৬ তারিখের কোনো কেবিন আমাদের ফাঁকা নেই।’

পটুয়াখালীগামী যাত্রী শামসুল আলম বলেন, ‘ঘাটে এসেই লঞ্চ পেয়েছি। ঈদে একটু বাড়তি ভাড়া নিবে এটাই স্বাভাবিক। আশা করছি ভালোভাবেই বাড়ি পৌঁছাতে পারব। যাত্রাপথে ঝড়-বৃষ্টি না হলেই ভালো।’

লঞ্চে উঠে ব্যাগ টানছিলেন রামপুরা থেকে আসা আহনাফ খানম আসিফ। এই ব্যাংকার জানান, ‘আমি বরগুনা যাবো। যাওয়ার কথা ছিল গতকাল রাতেই। কিন্তু ওই দিনের জন্য কেবিন বুকিং করতে পারিনি। এজন্য আজ যেতে হচ্ছে। ঘাটে এসে কেবিন পাবো কিনা চিন্তায় ছিলাম, তবে কেবিন পেয়েছি, ভাড়াটা একটু বেশি নিয়েছে।’

ইলিশাগামী যাত্রী শামীম হোসেন বলেন, ‘ঘাটে আগের মতো ভিড় নেই, এসে ডেকেই বসেছি, ডেকেও চাপ কম। ভাড়াও অতিরিক্ত না।’

সার্বিক বিষয়ে লঞ্চ মালিক সমিতির মহাসচিব শহিদুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‌‘কিছু রুটে অগ্রিম টিকিট অনেকটাই বিক্রি হয়েছে। বরিশালসহ কয়েকটি রুটে যাত্রী অনেক কম। তবে আমাদের লঞ্চ সংকট নেই। প্রয়োজনে আমরা যেকোনো রুটে স্পেশাল সার্ভিস দিতে পারবো। যাত্রীরা লঞ্চে উঠে ডেক ও কেবিনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারবে।’

বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কিছুটা কম নিচ্ছি। এমন অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো।

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের নিরাপত্তায় নৌপুলিশ, র‍্যাব, আনসার, বিআইডব্লিউটিএ এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন। সদরঘাট নৌ-পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে প্রতিটি লঞ্চ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। কোনও লঞ্চে যেন অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই না করে সেজন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ‘যাত্রীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছি। পুলিশ, নৌ-পুলিশের পাশাপাশি লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় র‌্যাবের একটি টিম আলাদাভাবে কাজ করছে। আনসার সদস্যরাও কাজ করছে। যাত্রীরা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে, সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি।’


গাবতলী হাটের আকর্ষণ পাকিস্তানি উট আর মিরপুরের দুম্বা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর গাবতলীর পশুর হাট দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ও জনসমাগমপূর্ণ একটি হাট। কোরবানির ঈদ ছাড়াও এখানে সারা বছরই পাওয়া যায় গরু-ছাগল-মহিষ। বলতে গেলে কোরবানির মৌসুমে রাজধানীর ভেতরে এই হাটের দিকেই বিশেষ নজর থাকে ক্রেতাদের।

এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হাটে এ বছরের আকর্ষণ পাকিস্তান থেকে আনা উট আর মিরপুরের বিভিন্ন আকৃতির দুম্বা। এসব প্রাণী দেখতে দূরদূরান্ত থেকে আসা ক্রেতারা ভিড় করছেন এ হাটে।

আজ শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেলে গাবতলীর পশুর হটে গিয়ে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে এখনও সেভাবে পশু কেনাকাটা শুরু হয়নি বলে দাবি করেছেন বিক্রেতারা। তবে বাজারের আকর্ষণ হিসেবে ইতোমধ্যে সাড়া ফেলেছে পাকিস্তান থেকে আনা দুটি উট।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশাল আকৃতির উট দুটি দেখতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। সাধারণ মানুষের ভিড়ের কারণে অন্য ব্যবসায়ীরা কিছুটা বিরক্ত। তবে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত একটি উটও বিক্রি করা যায়নি।

অন্যদিকে, রাজধানীর মিরপুর থেকে দুটি দুম্বা আনা হয়েছে গাবতলীতে। লোকজন এসে দুম্বা দেখে দাম করে চলে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ দামও বলছে। তবে এখনও সেই দুম্বাগুলো বিক্রি করা যায়নি।

উটের দায়িত্বে থাক পলাশ নামে এক কিশোর জানান, আপাতত উটের দায়িত্বে আমি আছি। উটগুলো পাকিস্তান থেকে আনা হয়েছে। এর বাইরে আমি আর কিছু বলতে পারব না।

উটের দাম প্রসঙ্গে এই কিশোর জানায়, বড় উটের দাম ২৮ লাখ টাকা আর ছোট উটের দাম ২৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে এক ক্রেতা বড় উট নিতে ২১ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন। কিন্তু আমাদের লাভ না থাকায় বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। ছোট উটের দাম এখন কেউ বলেনি।

দুইটি দুম্বা নিয়ে গাবতলীতে এসেছেন ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন। তিনি বলেন, মিরপুর-১ নম্বরে দুম্বার খামার আছে। এই খামার থেকে আমি দুম্বাগুলো কিনে এনেছি। দু’টি দুম্বার দাম দিয়েছি ৭ লাখ টাকা। কিন্তু ক্রেতারা এখন পর্যন্ত ৪ লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা দাম বলছে।


কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে ডিএসসিসির হটলাইন নম্বর

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসছে কোরবানির ঈদ। রাজধানীর মোড়ে মোড়ে এখন জমজমাট কোরবানির পশুর হাট। কোরবানির ঈদ এলেই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় হাট ও পশুর বর্জ্য অপসারণ। কোথাও কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে দেরি হলে এবার সরাসরি কল দিয়ে দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষকে জানানো যাবে।

হাট ও পশুর বর্জ্য অপসারণে তাই হটলাইন চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। আজ শুক্রবার বিকেলে ডিএসসিসির মুখপাত্র আবু নাছের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, কোরবানির হাট ও পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকিতে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ প্রতিষ্ঠা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। বর্জ্য যথাসময়ে অপসারণ না হলে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০১৭০৯৯০০৮৮৮ ও ০২২২৩৩৮৬০১৪ নম্বরে জনসাধারণকে ফোন করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এদিকে, কোরবানির বর্জ্য অপসারণের সঙ্গে জড়িত সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠুভাবে বর্জ্য অপসারণের জন্য ডিএনসিসিতে কন্ট্রোল রুম স্থাপনের ওয়ার্ডভিত্তিক তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে বর্জ্য অপসারণ করতে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

গত বছর বর্জ্য অপসারণে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে সফলতার কথা তুলে ধরে আতিকুল ইসলাম বলেন, আট ঘণ্টারও কম সময়ে বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এ বছর টার্গেট ৬ ঘণ্টায়। সব কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও পরিচ্ছন্নকর্মীর সার্বক্ষণিক মাঠে থাকতে হবে।


banner close