আগামী শনিবার ১ জুন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে ৫৪টি ওয়ার্ডের ১৯০৪ কেন্দ্রে আনুমানিক ৫ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৮ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সকাল ৮ টায় শুরু হয়ে এই ক্যাম্পেইন চলবে বিকেল ৪টা অবধি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান-২ নগরভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন-এ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক অনুপুষ্টি। ভিটামিন-এ চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টি শক্তি ও শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখে এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে থাকে। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী, বছরে দুবার ভিটামিন-এ’র অভাব পূরণে সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ১ জুন সারা দেশে জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত হবে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সকল শিশুদের একটি নীল রঙের ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি লাল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল বিনামূল্যে খাওয়ানো হবে। এছাড়া শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মতো ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বার্তা প্রচার করা হবে।’
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১০টি অঞ্চলের আওতাধীন ৫৪টি ওয়ার্ডে জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে। এই ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের পক্ষে এ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকেই ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে তদারকির জন্য কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে ভিজিলেন্স টিম নিয়োজিত থাকবেন।
উত্তর সিটি কর্পোরেশন জানায়, এবারের ক্যাম্পেইনে মোট ৫ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৮ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সের শিশুর ১ লাখ ৩ হাজার ৮৮৮ ও ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সের ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৩৭৯ শিশু। এ কার্যক্রমটি মোট ১ হাজার ৯০৪টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এ কাজ পরিচালনা করতে স্বাস্থ্যকর্মী, স্বাস্থ্যসেবী হিসেবে ৩ হাজার ৮০৮ জন নিয়োজিত থাকবে।
ব্যাপক ব্যবসায়িক সম্ভাবনায় পর্দা উঠল দেশের প্রথম প্রসাধনী, পার্সোনাল কেয়ার ও হাইজিন পণ্যের দুই দিনব্যাপী প্রদর্শনীর।
আজ শুক্রবার রাজধানীর কুড়িলের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ‘কসমেটিকা: পার্সোনাল কেয়ার অ্যান্ড হাইজিন শো ২০২৫’-এর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রিপাবলিক অব কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ংশিক।
বাংলাদেশে প্রসাধনী ও ব্যক্তিগত পরিচর্চার পণ্য নিয়ে প্রথমবারের মতো এটাই সবচেয়ে বড় আসর। বাংলাদেশ ছাড়াও এই প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে কোরিয়া, থাইল্যান্ডসহ বেশকিছু দেশের প্রখ্যাত সব প্রসাধনী ব্র্যান্ড, প্রস্তুতকারক, সরবরাহকারী, খুচরা বিক্রেতা ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
আয়োজনটির পৃষ্ঠপোষকতা করছে বাংলাদেশে অবস্থিত রিপাবলিক অব কোরিয়ার দূতাবাস, কোরিয়া ট্রেড-ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সি (কেওটিআরএ) এবং ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড প্রোমোশন (ডিআইটিপি), থাইল্যান্ড। টাইটেল স্পন্সর স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড, গোল্ড স্পন্সর হিসেবে রয়েছে কিউট এবং প্লাটিনাম স্পন্সর ইঞ্জিনিয়াস রিসোর্সেস।
দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে রয়েছে শতাধিক পণ্যের স্টল, লাইভ ডেমো, বিউটি কনসালটেশন, স্কিনকেয়ার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা এবং উদ্যোক্তাদের জন্য নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ। এতে দেশের পার্সোনাল কেয়ার খাতে নতুন বিনিয়োগ, প্রযুক্তি ও ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের পথ তৈরি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত রিপাবলিক অব কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ংশিক বলেন, ‘কোরিয়া ২০২৪ সালে ১০ বিলিয়ন ডলারের প্রসাধনী পণ্য রপ্তানী করেছে। কসমেটিকস্ ও পারসোনাল কেয়ার অ্যান্ড হাইজিন পণ্যের বড় বাজার বাংলাদেশ। আমরা সবসময় বাংলাদেশের ব্যবসায়িক অংশীদার। এই খাতে কোরিয়া বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। এই এক্সপো থেকে আমরা বাজার সম্পর্কে নতুন ধারণা পাবো বলে প্রত্যাশা করছি।’
আয়োজক প্রতিষ্ঠান স্কোয়াডমাইন্ড গ্লোবাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম ফয়সাল মুনিম বলেন, ‘আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, কারণ তারা ছাড়া এই আয়োজন সম্ভব হতো না। দেশে প্রথমবারের মতো কসমেটিকস ও পারসোনাল হাইজিন পণ্য নিয়ে এমন আয়োজন থেকে আমরা চেষ্টা করছি এই খাতের সব ধরনের স্টেকহোল্ডারকে একত্রে করার। প্রশাধনী সামগ্রী ও পারসোনাল হাইজিন পণ্যের সঠিক ব্যবহার, এই খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানসহ নানা বিষয় প্রদর্শনীতে উঠে আসবে। আমাদের প্রত্যাশা, এই প্রদর্শনী দেশে বিদেশি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করবে।’
দেশে মানসম্মত পণ্য ব্যবহারের ওপরও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে এই প্রদর্শনী থেকে। সেই সঙ্গে নকল ও কালোবাজারি পণ্যের রোধেও চ্যালেঞ্জ নিয়েও আলোচনা হবে। সব মিলিয়ে, সম্ভাবনাময় এ খাতের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার কথা উঠে আসবে। ‘পার্সোনাল কেয়ার অ্যান্ড হাইজিন শো ২০২৫’ এই খাতে গুণগত উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের নতুন দিগন্ত উন্মোচনে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিডেটের সিইও মালিক মোহাম্মদ সাঈদ, এসিআই কনজিউমার ব্র্যান্ডের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) মো. কামরুল হাসান, ইঞ্জিনিয়াস রিসোর্সেস-এর ফখরুল আলম, সাশ্রম-এর চেয়ারম্যান ও এমডি মনোজ আরোরা, ডিআইএএ-এর প্রেসিডেন্ট একেএম আজাদ।
প্রদর্শনীটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ১৭২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৮৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
রাজধানী ঢাকার বস্তির শিশুদের দেহে নীরব ঘাতক সিসার বিপজ্জনক মাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব শিশুদের ৯৮ শতাংশের দেহে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসা শনাক্ত করা হয়েছে।
আইসিডিডিআরবির (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ) এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার আইসিডিডিআরবির সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) শিশুদের দেহে প্রতি লিটারে ৩৫ মাইক্রোগ্রামের উপস্থিতিকে উদ্বেগজনক মাত্রা বলে বিবেচনা করে। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সিসার কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। সিসার যেকোনো মাত্রাই শিশুর জন্য ক্ষতিকর।
আইসিডিডিআরবি ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে থাকা বস্তির শিশুদের ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। ওই গবেষণায় ২ থেকে ৪ বছর বয়সী ৫০০ শিশুর রক্তের নমুনা নেওয়া হয়।
আইসিডিডিআরবির অ্যাসিস্ট্যান্ট সায়েন্টিস্ট ডা. জেসমিন সুলতানা জানান, এসব শিশুর রক্তে প্রতি ডেসিলিটারে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে তাদের মধ্যে অর্ধেকের শরীরের এই মাত্রা ছিল ৬৭ মাইক্রোগ্রামের বেশি। গবেষণায় দেখা যায়, সিসা পোড়ানো, গলানো বা রিসাইক্লিংয়ের (পুনঃচক্র) মতো কাজগুলো যেখানে হয়, সেসব এলাকার শিশুদের মধ্যে সিসায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।
উদাহরণ দিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, গবেষণায় চিহ্নিত সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী শিশুদের রক্তে সিসার মাত্রা ছিল পাঁচ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে বসবাসকারী শিশুদের তুলনায় ৪৩% বেশি। সিসার অন্যান্য উৎসের মধ্যে রয়েছে ঘরের ভেতর ধূমপান, দূষিত ধূলিকণা, সিসাযুক্ত প্রসাধনসামগ্রী ও রান্নার পাত্র।
এই আলোচনা সভা থেকে লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি বানানো বা রিসাইক্লিং করার কারখানা বা স্থান, অথবা যেসব কারখানা বা স্থাপনায় সিসা গলানো বা পোড়ানো হয়, এমন সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিলে বা দূষণ কমানোর ব্যবস্থা নিলে সেসব এলাকার শিশুদের সিসা দূষণ থেকে বাঁচানো সম্ভব।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আইসিডিডিআরবির রিসার্চ ট্রেইনি ডা. সানজিদা তাপসি আদিবা। স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিডিডিআরবির হেলথ সিস্টেম অ্যান্ড পপুলেশন স্টাডিজ ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ড. সারাহ স্যালওয়ে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আবারও সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এর আগেও এমন নিষেধাজ্ঞা একাধিকবার দিয়েছে ডিএমপি।
গতকাল বুধবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনশৃঙ্খলা এবং প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী শুক্রবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় (সংলগ্ন এলাকাসহ) এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং, অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং ও মিন্টু রোড ক্রসিং এর মধ্যবর্তী এলাকা) যে কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট, শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫ পালন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান মাস উদযাপন উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ৫ আগস্ট ২০২৫ইং তারিখে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) প্রশাসনের উদ্যোগে বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবা ও ফ্রি রুটিন ইনভেস্টিগেশন, রোগীদেরকে উন্নমমানের খাবার পরিবেশন, বাদ জোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া-মোনাজাতসহ বিভিন্ন মহতী কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। বিএমইউ বহির্বিভাগ-১ ও বহির্বিভাগ-২ এ সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ বিনামূল্যে পরামর্শ সেবা প্রদান করেন। একই সাথে এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাম, সিবিসি, আরবিএস, এস ক্রিয়েটিনাইন, ইউরিন আর/এম/ইসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাসেবাও রোগীদেরকে বিনামূল্যে দেয়া হয়। আজকের এই মহতী দিনে প্রায় ৩ হাজার জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়।
বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) এর মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দীন, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) খন্দকার শফিকুল হাসান রতন, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা অফিসের পরিচালক মোঃ মাসুদ রানা প্রমুখ। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫ হলো বৈষম্যহীন অধিকারপূর্ণ সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দিন। এই দিনে অমাদের অঙ্গীকার হলো উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা ও গবেষণায় বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের বুকে মর্যাদার আসনে সু প্রতিষ্ঠিত করা।
এ সকল কর্মসূচীতে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের একান্ত সচিব-১ সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব, অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মোঃ বদরুল হুদা, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. মোহাম্মদ আবু নাছের, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. শরিফ মোঃ আরিফুল ইসলাম, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, উপ-রেজিস্ট্রার সাবিনা ইয়াসমিন, মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের একান্ত সচিব-২ উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ লুৎফর রহমান, উপ-রেজিস্ট্রার এটিএম আমিনুল ইসলাম, উপ-রেজিস্ট্রার মোঃ মারুফ হোসেন, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ হুমায়ুন কবীর, সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান আমিন, সেকশন অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব-জনসংযোগ শাখা) শামীম আহম্মদ, কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াছ খাঁন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা ও ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত বাসসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-বিভাগ (ডিবি)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. বাবু মিয়া (৩৬) ও মো. রাকিবুল হাসান (২৮)। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিবি-মতিঝিল বিভাগ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কতিপয় মাদক কারবারি একটি যাত্রীবাহী বাসে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ যাত্রাবাড়ীর আসমা আলী সিএনজি রিওয়েলিং অ্যান্ড ওয়ার্কশপ লি. এর পূর্ব পাশে হামজা বডিবিল্ডারের সামনে অবস্থান করছে বলে জানতে পারে।
পরে দুপুর পৌনে ৩ টার দিকে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত একটি বাসসহ বাবু ও রাকিবুলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন মাদক কারবারিদের কাছে বিক্রি করত বলে স্বীকার করে।
বিএনপির ছাত্রসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (ছাত্রদল) হাজার হাজার নেতাকর্মী সকাল থেকেই রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় ছাত্রসমাবেশে যোগ দিতে জড়ো হতে শুরু করেছেন।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে এই সমাবেশে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শাহবাগে জড়ো হচ্ছেন।
সমাবেশটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বিকেল ২টা ৩০ মিনিটে, পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা এই সমাবেশে ভাষণ দেবেন।
শাহবাগ মোড় ও আশপাশের সড়কগুলো এখন ছাত্রদলকর্মীদের উপস্থিতিতে সরগরম, যার কারণে ওই এলাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ছাত্রদল ইতিমধ্যে শাহবাগ মোড়ে একটি বড় মঞ্চ স্থাপন করেছে এবং সমাবেশের জন্য লাউডস্পিকার বসিয়েছে।
স্থানটিতে কয়েকটি প্রজেক্টর ও বড় স্ক্রিনও বসানো হয়েছে। সমাবেশে আগতদের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিতে একটি মেডিকেল বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার ছাত্রদল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পূর্বনির্ধারিত সমাবেশটি শাহবাগে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়, যদিও তারা শহীদ মিনারে সমাবেশের জন্য পূর্বেই অনুমতি পেয়েছিল।
বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব জানান, একই সময়ে ও একই স্থানে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচি থাকায় তাদের অনুরোধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ শাহবাগ মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ায় সম্ভাব্য যানজটের জন্য আগেই নগরবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ছাত্রদল সভাপতি। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে ছাত্রদল যে ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে ৩ আগস্টের এই ছাত্রসমাবেশ অন্যতম প্রধান কর্মসূচি।
এটি গত বছরের গণঅভ্যুত্থানের পর ছাত্রদলের প্রথম বড় জনসমাবেশ। তবে প্রচলিত র্যালির মতো এবার কোনো মিছিল, ব্যানার বা ফেস্টুন থাকবে না। সমাবেশকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ছয় দফা নির্দেশনা জারি করেছে।
নেতৃত্ব থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে—কোনো ব্যানার, ফেস্টুন বা প্ল্যাকার্ড আনা যাবে না।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজ রোববার (৩ আগস্ট) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকায়।
পাশাপাশি সাইমুম শিল্পগোষ্ঠীর উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১-৪ আগস্ট প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ‘৩৬ জুলাই কালচারাল ফেস্ট-জুলাই জাগরণ’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সব মিলিয়ে আজ শাহবাগ ও শহীদ মিনার এলাকায় যান চলাচল সীমিত থাকবে। বিকল্প পথ হিসেবে হেয়ার রোড, মিন্টো রোড, নীলক্ষেত, পলাশী ও বাংলামোটর ব্যবহার করতে অনুরোধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
এ ছাড়া, একই দিনে এইচএসসি ও সমমান এবং বিসিএস পরীক্ষা থাকায় ঢাকাবাসীকে যথেষ্ট সময় নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
শনিবার (২ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রবিবার দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শাহবাগ মোড়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ছাত্রদলের উদ্যোগে ‘ছাত্র সমাবেশ’ ও বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের’ দাবিতে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জনসমাবেশ’ করবে এনসিপি। এছাড়া সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১ থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৩৬ জুলাই কালচারাল ফেস্ট ‘জুলাই জাগরণ’ অনুষ্ঠান। তাই সমাবেশ চলাকালীন সময় বিকল্প পথ ব্যবহার করতে অনুরোধ করেছে ডিএমপি।
সভা-সমাবেশ ও অনুষ্ঠান উপলক্ষে শাহবাগ, শহীদ মিনার ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় প্রচুর জনসমাগম ঘটবে। ফলে ওই এলাকা বিশেষ করে শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে যান চলাচল করানো সম্ভব হবে না। এ অবস্থায় ঢাকাবাসীকে বর্ণিত এলাকাগুলো এড়িয়ে চলাচল করার জন্য এবং নিম্নোক্ত পয়েন্টগুলো ডাইভারশন মেনে বিকল্প পথে চলাচলের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়
সোনারগাঁও সিং বা বাংলামোটর ক্রসিং হয়ে উত্তর দিক থেকে আসা যানবাহনগুলো হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিংয়ে সোজা শাহবাগের দিকে না গিয়ে বামে মোড় নিয়ে হেয়ার রোড বা মিন্টো রোড হয়ে যাতায়াত করবে।
কাটাবন মোড়
সায়েন্সল্যাব ক্রসিং হয়ে পশ্চিম দিক থেকে আসা যানবাহনগুলো কাটাবন মোড় থেকে শাহবাগের দিকে না গিয়ে ডানে মোড় নিয়ে নীলক্ষেত বা পলাশী হয়ে অথবা কাটাবন মোড় থেকে বামে মোড় নিয়ে সোনারগাঁও (হাতিরপুল) রোড হয়ে বাংলামোটর লিংক রোড দিয়ে চলাচল করবে।
মৎস্য ভবন মোড়
হাইকোর্ট বা কদম ফোয়ারা ক্রসিং হয়ে আসা যানবাহনগুলো মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগের দিকে না গিয়ে সোজা হেয়ার রোড বা শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণি (মগবাজার রোড) হয়ে চলাচল করবে। অপরদিকে, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং হয়ে উত্তর দিক থেকে আসা যানবাহনগুলো মৎস্য ভবন ক্রসিং থেকে শাহবাগের দিকে না গিয়ে সোজা হাইকোর্ট হয়ে গুলিস্তান বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে চলাচল করবে।
টিএসসি বা রাজু ভাস্কর্য
নীলক্ষেত ক্রসিং বা দোয়েল চত্বর ক্রসিং থেকে আসা যানবাহনগুলোকে টিএসটি বা রাজু ভাস্কর্য ক্রসিংয়ে এসে শাহবাগের দিকে না গিয়ে দোয়েল চত্বর বা নীলক্ষেত ক্রসিং হয়ে চলাচল করবে।
শহীদ মিনার সংলগ্ন রাস্তা
শহীদ মিনার সংলগ্ন রাস্তাগুলো যথাসম্ভব পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো। এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশ পথগুলো যথাসম্ভব পরিহার করতে অনুরোধ করা হলো।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আয়োজনে আজ রোববার (৩ জুলাই) ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এদিন দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে এই কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি। সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন নেতাকর্মীরা। গঠন করা হয়েছে প্রায় ৯০টি সাংগঠনিক টিম। দেশের সব জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীদের এতে অংশ নিবে বলে জানা যায়। কর্মসূচি বাস্তবায়নে সাংগঠনিক টিমের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে। সারাদেশে থেকে নেতাকর্মীদের সমাগম ঘটিয়ে শক্তিমত্তা প্রদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনটির। তবে গতানুগতিক কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে এবারের ছাত্র সমাবেশ কিছুটা ভিন্ন আঙ্গিকে করতে চান নেতারা। এজন্য সমাবেশে অংশগ্রহণ নিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ছাত্রদল।
এ সংক্রান্ত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নেতাকর্মীদের বলা হয়- ছাত্র সমাবেশে কোন ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে আসা যাবে না। সমাবেশের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র কর্তৃক নির্ধারিত জায়গায় সকল ইউনিটকে বাধ্যতামূলকভাবে অবস্থান করতে হবে। রাজধানীর কাঁটাবন মোড় থেকে আজিজ সুপার মার্কেট ও পিজি হসপিটালের মাঝের গলি দিয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল পর্যন্ত এ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহনের চলাচলে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়। সমাবেশের দিনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কোন ইউনিটের গাড়ি কোন অবস্থাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না এবং ব্যক্তিগত শোডাউন ও মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসা যাবে না বলেও এতে বলা হয়। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিষ্কার করে সমাবেশস্থল ত্যাগ করার কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই নির্দেশনা প্রদান করেন।
ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি বিএনপির মিডিয়া সেলেও প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে রাজধানীর শাহবাগে ছাত্রদলের সমাবেশকে ঘিরে সৃষ্টি হতে যাওয়া জনদুর্ভোগের জন্য রাজধানীবাসীর প্রতি অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির জানান, গত জুন মাসে আমরা আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণায় শুরুতে ৩ আগস্টে জাতীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করি। কিন্তু পরে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে তাদের সমাবেশ করার বিষয়ে আমাদের নেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে একাধিকবার যোগাযোগ ও অনুরোধ করেন। শহীদ মিনারের সমাবেশের বিষয়ে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস থেকে অনুমতিও গ্রহণ করেছিলাম। এই দিনে শহীদ মিনারে সমাবেশ করার বিষয়ে আমরাই ছিলাম একমাত্র বৈধ দাবিদার। কিন্তু পরে একটি উদার, গণতান্ত্রিক, পরমতসহিঞ্চু, সব মত ও পথের সহাবস্থানে বিশ্বাসী ছাত্রসংগঠন হিসেবে আমরা শহীদ মিনারে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে শাহবাগে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।
তিনি আরও বলেন, ব্যস্ত রাজধানীতে কর্মদিবসে সমাবেশের জনভোগান্তি সম্পর্কে আমরা অবগত। এতদসত্ত্বেও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এই গুরুত্বপূর্ণ স্মরণীয় দিনটিতে আমাদের ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির বৃহৎ ঐক্যের স্বার্থে বৃহত্তম ছাত্রসংগঠন হিসেবে দায়িত্বশীলতা ও উদারতার জায়গা থেকে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করতে হয়েছে।
আমরা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আগামীকালের যেকোনো ধরনের জনদুর্ভোগের জন্য অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ করছি। প্রত্যাশা করছি, সম্মানিত নগরবাসী বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবেন। একটি দায়িত্বশীল ছাত্রসংগঠন হিসেবে ভবিষ্যতে এই বিষয়ে আমরা আরও অধিকতর সচেতন থাকব।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ১৯২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৬৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৮৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে
অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৭২৪টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এ অভিযানে ২৬১টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১০৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রোববার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয় এবং সংশ্লিষ্ট আইন লঙ্ঘনের কারণে এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
বৃষ্টির কারণে গত কয়েকদিনে ঢাকার বাতাসের মানে বেশ উন্নতি লক্ষ করা গেছে। এমনকি বৃষ্টি না হলেও দূষণের মাত্রা তেমন বাড়েনি। তবে আজ অনেকটা উল্টোচিত্র দেখা গেছে। রাতভর বৃষ্টি হয়েছে, সকালেও ছিল ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। তা সত্ত্বেও ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল সেয়া ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৯২। যা গত কয়েকদিনে সর্বোচ্চ। যেখানে এই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গতকাল একই সময়ে ৫৮ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৫১তম স্থানে ছিল ঢাকা। তার আগেরদিন (শনিবার) একই সময়ে ৬৯ একিউআই স্কোর নিয়ে ‘মাঝারি’ শ্রেণিভুক্ত ছিল ঢাকার বাতাস।
বায়ুমান সূচক অনুযায়ী আজও ঢাকার বাতাস ‘মাঝারি’ পর্যায়েই রয়েছে, তবে সেটি ‘সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে ওঠার খুবই কাছাকাছি চলে গেছে। ৯২ স্কোর নিয়ে আজ তালিকার ১৬তম স্থানে চলে এসেছে ঢাকা।
এদিকে, একই সময়ে ১৭৪ স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে উগান্ডার কাম্পালা। ১৭৩ ও ১৭২ স্কোর নিয়ে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাহরাইনের মানামা এবং কঙ্গোর কিনশাসা। এর পরেই রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, শহরটির একিউআই স্কোর ১৭১। গতকাল ১৭০ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ছিল শহরটি।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৬৭০টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৫৪টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১৩৬টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, শনিবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।