বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
১৭ আষাঢ় ১৪৩২

এখনো জমেনি গাবতলী পশুর হাট, ক্রেতার অপেক্ষায় বেপারিরা

হাটে তোলা হয়েছে কোরবানির পশু, কিনতে ভিড় করছেন বিক্রেতারা। তবে এখনও ভিড় ততটা বাড়েনি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
১৪ জুন, ২০২৪ ০০:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৪ জুন, ২০২৪ ০০:০৪

আর মাত্র দুই দিন বাকি কোরবানির ঈদের। এখনও জমে ওঠেনি রাজধানীর সবচেয়ে বড় গাবতলী পশুর হাট। কিছু ক্রেতা হাটে এলেও তারা মূলত বাজার দর যাচাই করছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার গাবতলী পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, বেপারিরা তাদের পশুগুলো নিয়ে অলস সময় কাটাচ্ছেন।

হাটের বিভিন্ন জায়গায় তাঁবু টানানো ও গেটের সাজসজ্জার কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। গতকাল বিকেলে ঢাকাজুড়ে বৃষ্টির কারণে ক্রেতা সমাগম কম ছিল।

হাট ঘুরে দেখা যায়, ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গরু-ছাগল আসা অব্যাহত আছে। এরই মধ্যে পশু আর বেপারিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য মোতায়েনসহ ওয়াচ টাওয়ারও স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে।

কুষ্টিয়া থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী ছমির মিয়া বলেন, ‘তিন দিন আগে আমি গরু নিয়ে গাবতলীর হাটে আয়চি। এইবার ইদে আমি ৭টি গরু আনছি। এখনও একটাও বিক্রি হয়নি। সবাই দাম শুনে চলে যায়। ঢাকার মানুষ এত তাড়াতাড়ি গরু কেনে না। তাদের তো গরু রাখার জাইগা নেই। আশা করছি শুক্রবার থেকে বেচাকেনা শুরু হবে।’

রাজশাহীর তানোর থানা থেকে আসা আতাউর রহমান বেপারি বলেন, ‘আমি এবার দুইটা গরু নিয়ে আসছি। একটা অনেক বড় গরু আর একটা মাঝারি। বড় গরুর নাম রাজা বাবু। এর দাম চাচ্ছি ১৫ লাখ টাকা। তবে দুই দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো ক্রেতা দাম বলেননি। আশা করছি শুক্রবার থেকে বেশি ক্রেতা আসবে। তখন হয়তো দামাদাম হবে।’

পাবনা থেকে আসা সিরাজ নামের এক বেপারি বলেন, ‘৮টি গরু নিয়ে হাটে এসেছি। একটি গরু ৭০ হাজারে বিক্রি হয়েছে আরও ৭টি বাকি আছে। আমার ছোট গরু, তাই চিন্তা করি না। দুই-এক দিনের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যাবে।’

এবারের গাবতলীর হাটে মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার বেশ উপস্থিতি দেখা গেছে। আতিয়ার নামের এক ছাগল ব্যবসায়ী বলেন, ‘এবার আমি সিরাজগঞ্জ থেকে ৬টি ছাগল নিয়ে আসছি। আমার এখানে প্রতিটি তিন থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকার ছাগল আছে। দুইটা বিক্রি হয়েছে, আর ৪টা বাকি আছে।’

কথা হয় মোহাম্মদপুর থেকে আসা কাইসার নামের এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মূলত গাবতলীতে এলাম গরুর দাম জানতে। আমরা ৬ বন্ধু মিলে কোরবানি দেব। দাম জেনে গেলে আমাদের হিসাব করতে সুবিধা হবে।’

ইকবাল খান নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘আমাদের বাসায় গরু রাখার জায়গা নেই। আমরা ঈদের ২-১ দিন আগে কিনব। এমনি দেখতে এলাম। তবে এরা এবার দাম বেশি চাচ্ছে মনে হচ্ছে। গতবার আমরা দেড় লাখ টাকার যে গরু কিনেছিলাম এবার প্রায় ওই রকম গরুর দাম ২ লাখ চাচ্ছে। এখন অপেক্ষা করব দেখি দাম পড়ে কি না।’

হাটে পশুর বাড়তি দামের অভিযোগ থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় পশু সরবরাহের ব্যবস্থা বেশি আছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান। তিনি বলেছেন, গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ- সব মিলিয়ে কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা এক কোটি সাত লাখ। সেখানে আমাদের প্রস্তুত আছে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ পশু। ২৩ লাখ পশু বাড়তি রয়েছে।

সচিবালয়ে গতকাল মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মিঠা পানির মাছ আহরণে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে উন্নীত হওয়া উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আব্দুর রহমান বলেন, ‘হয়তো কেউ নানাভাবে গরুর দাম বাড়াতে পারে। চড়া দাম হাঁকাতে পারে। কিন্তু দিন শেষে ওদের মাথায় হাত পড়বে। কারণ গরুর জোগান তো আমার আছে।’

যেসব জায়গায় বসছে কোরবানির পশুর হাট

গতকাল থেকে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় স্থায়ী দুটিসহ ২০টি পশুর হাটে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানির পশু বেচা-বিক্রি শুরু হয়েছে। দুই সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় গাবতলীর স্থায়ী হাটসহ ৯টি হাট এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় সারুলিয়ার স্থায়ী পশুর হাটসহ ১১টি হাট বসেছে। তবে এ বছর আদালতের নির্দেশনার কারণে আফতাবনগরে হাট বসবে না।

ঢাকা উত্তরে অস্থায়ী ৮টি হাটের মধ্যে রয়েছে- উত্তরা দিয়াবাড়ীর ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টরের পাশের খালি জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাশের খালি জায়গা, মস্তুল চেকপোস্ট এলাকা, মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা, ভাটারার সুতিভোলা খালের কাছের খোলা জায়গা, মোহাম্মদপুরের বছিলায় ৪০ ফুট সড়কের পাশের খালি জায়গা, ভাটুলিয়া সাহেব আলী মাদ্রাসা থেকে রানাভোলা স্লুইচগেট পর্যন্ত খালি জায়গা ও দক্ষিণখানের জামুন এলাকার খালি জায়গা।

তিনি জানান, ঢাকা দক্ষিণে অস্থায়ী ১০টি হাটের মধ্যে রয়েছে খিলগাঁও রেলগেট মৈত্রী সংঘ ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, হাজারীবাগের ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজ সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, পোস্তগোলা শ্মশান ঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, বনশ্রীর মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গা, কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, লালবাগে রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা।

বিষয়:

ঢাকা কলেজ এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন এইচএসসি ৯৬ এর নব-নির্বাচিত কমিটির অভিষেক ও ঈদ পুনর্মিলনী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে ২৭ জুন গাজীপুরের দি ফরেষ্ট এজ রিসোর্টে ঢাকা কলেজ এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন এইচএসসি ৯৬ ব্যাচের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে নব-নির্বাচিত কমিটির সভাপতি ডাক্তার মো. আশরাফুল হাসান মানিক শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এবং উপদেষ্টা পরিষদের নাম ঘোষনা করেন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াহিদ আলম তুলিত নির্বাহী কমিটির নাম ঘোষনা করেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করেন।

ঢাকা কলেজ এইচএসসি’৯৬ ব্যাচের এর প্রায় দুই শতাধিক সদস্যবৃন্দ সারাদিন প্রাণবন্ত আড্ডা, পুকুরে এবং সুইমিং পুলে সাঁতার কেটে, ক্রিকেট ম্যাচ খেলে এবং দেশ বরেণ্য শিল্পিদের গান শুনে অনন্য আনন্দ উদযাপন ও উপভোগ করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ওয়াহিদুজ্জামান বুলবুল ও মোজাম্মেল হক রাজু।

এর আগে ৩১ মে শনিবার ঢাকা কলেজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এইচএসসি-৯৬ ব্যাচের প্রথম দ্বি- বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কলেজের ক্যাম্পাসে অনলাইন ও অফলাইন পদ্ধতিতে আয়োজিত নির্বাচনে সভাপতি পদে ডাক্তার মো. আশরাফুল হাসান মানিক ২৩০ ভোট এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মো. ওয়াহিদ আলম ২২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. কামাল হোসেন তালুকদার জীবন পেয়েছেন ১১ ভোট (সভাপতি পদপ্রার্থী) এবং শাহ ফজলে রাব্বি পেয়েছেন ১৬ ভোট (সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী)। মোট ৩৬৬ জন ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান করেন ২৪৭ জন।


ঢাকায় পাঁচ দিনব্যাপী পাহাড়ি ফল উৎসব ও মেলা  শুরু হচ্ছে আজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী পার্বত্য ফল উৎসব ও মেলা।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র মেলার সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকছে।

আজ বিকেলে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য কমপ্লেক্সে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন পাহাড়ি সংস্থা পাহাড়ি ফলমূল নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন।

মেলা উপলক্ষে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান- বিজয় সরণি, সার্ক ফোয়ারা, রমনা পার্ক, বেইলি রোডের পশ্চিম পাশে রমনা পার্ক সংলগ্ন ও পূর্ব পাশে অফিসার্স ক্লাব সংলগ্ন, টিএসসি ও দোয়েল চত্বরে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন স্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স-এর সম্মুখে একটি বেলুন স্থাপন করা হয়েছে।

রাজধানীর ৩৩ বেইলি রোডে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রতিদিন এই মেলা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।


২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা কমিটির ৭ম (সপ্তম) কর্পোরেশন সভা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনা কমিটির ৭ম (সপ্তম) কর্পোরেশন সভা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এর প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধির সমন্বয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা কমিটির ২৫ (পঁচিশ) জন সদস্য আজ সোমবার নগর ভবনে উপর্যুক্ত সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনা কমিটির ৭ম কর্পোরেশন সভা

সভার শুরুতে ০৫ মে ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ কর্পোরেশনের সভার কার্য বিবরণী দৃঢ়ীকরণ এবং বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হয়। পরবর্তীতে সভার আলোচ্য সূচি অনুযায়ী আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা (অতি. দা.) জনাব আলী মনসুর। পরবর্তীতে, পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ বাজেট আলোচনায় অংশগ্রহণ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন প্রদান করেন।

বাজেট আলোচনায় অংশগ্রহণ ও অনুমোদন প্রদান করায় পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এর প্রশাসক বলেন, “ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বাজেট কেবল গাণিতিক সংখ্যা নয়। এই বাজেট আমাদের কাছে সম্মানীত করদাতাদের আমানত। এই বাজেট সফলভাবে প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করছে আমাদের সবার প্রিয় এই নগরীর ব্যবস্থাপনা এবং আমাদের দৈনন্দিন নাগরিক সমস্যার সমাধান।”

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনা কমিটির ৭ম কর্পোরেশন সভা

সভায় ১৯৯৮ সাল থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসকারী নগরবাসীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও মাতৃত্বকালীন বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী ‘আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারী প্রকল্প-২ পর্যায়’ শীর্ষক প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং বিদ্যমান প্রকল্পের আওতায় সেবা প্রদানকারী এনজিওসমূহের মধ্যে সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

পরবর্তীতে, অর্থ বিভাগের পরিপত্র অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োজিত সাময়িক শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ৬০০/- (ছয় শত) টাকা হতে ৮০০/- (আট শত) টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, মন্ত্রীপাড়ায় অবস্থিত অস্থায়ী মসজিদটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক একটি তিনতলাবিশিষ্ট নান্দনিক মসজিদে রূপান্তরের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সচিব জনাব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ সকল বিভাগীয়গণ উপস্থিত ছিলেন।


ডিবি পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় নগদ টাকাসহ গ্রেফতার ৩

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাজধানীর মতিঝিলে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীর ৩০ লক্ষ টাকা ডাকাতির ঘটনায় তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র মতিঝিল থানা পুলিশ। এ সময় ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত হাইয়েস গাড়ি ও নগদ ৮৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. শামিম রহমান (২৯), মো. মিজান রহমান (৫১) ও রবিউল ইসলাম জুয়েল (৪২)।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৭-২৯ জুন ঢাকা ও ঝালকাঠিতে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের সময় শামিমের হেফাজতে থাকা ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হাইয়েস গাড়ি, মিজানের কাছ থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা ও জুয়েলের কাছ থেকে নয় হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

ডিএমপি’র মতিঝিল থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুন রাজধানীর ওয়ারীর নবাবপুরের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মো. খলিল মিয়া (২৬) ও ইব্রাহীম হোসেন রিফাত (২৪) নামের দুই ব্যক্তি নগদ ৩০ লক্ষ টাকা মতিঝিল সিটি ব্যাংক শাখায় জমা দেওয়ার জন্য একটি স্কুটিতে করে রওয়ানা দেন।

দুপুর পৌনে ১টার দিকে মতিঝিলের ঘরোয়া হোটেলের সামনে পৌঁছা মাত্রই ৬/৭ জনের একটি দল নিজেদের ডিবি পরিচয়ে তাদেরকে ডিবি লেখা একটি হাইয়েস মাইক্রোবাসে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায়।

পরে দুজনকে মারধর করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়ে হাত-পা বেঁধে সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি ময়লার ডাস্টবিনে ফেলে পালিয়ে যান।

স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে সাইনবোর্ডের প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাইদুল ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপি’র মতিঝিল থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।

থানা সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মিজানের নামে ঝালকাঠির রাজাপুর ও নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার থানায় আরো দুটি ডাকাতির মামলা রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও লুন্ঠন হওয়া অন্যান্য টাকা উদ্ধারসহ আত্মগোপনে থাকা ডাকাতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।


অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিলো ডিএনসিসি

আপডেটেড ২৯ জুন, ২০২৫ ২২:৪৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় সরকার স্বীকৃত প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থী এবং ডিএনসিসিতে কর্মরত অসচ্ছল চাকরিজীবীদের সন্তানের মধ্যে শিক্ষা ও মেধাবী বৃত্তির অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।

আজ রবিবার গুলশান নগর ভবনে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘একটি সুস্থ, ন্যায্য ও টেকসই শহর গড়ে তুলতে হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুশিক্ষিত হিসেবে গড়ে তোলা অপরিহার্য। ডিএনসিসি শিক্ষার্থীদের পাশে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, শুধু অবকাঠামো নয়, সামাজিক কল্যাণ ও মানবসম্পদ উন্নয়নেও ডিএনসিসি আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদান তারই অংশ। এই কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশের পরিবেশ তৈরি করবে। একেবারে প্রান্তিক পর্যায় থেকে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হবে—এটাই আমাদের অঙ্গীকার।

ডিএনসিসির শিক্ষা ও মেধাবী বৃত্তি নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ঊনসত্তর জন শিক্ষার্থীকে মোট ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৮০০ টাকা বৃত্তি দেওয়া হয়।

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ডিএনসিসির এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধি, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে মামলা ১ হাজার ৯২০টি 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১ হাজার ৯২০টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়া অভিযানকালে ২৭৪টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

গতকাল রোববার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত শনিবার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।


পানির ট্যাংক বিস্ফোরণ: হাজারীবাগে দুই শিশুসহ দগ্ধ ৪

আপডেটেড ২৯ জুন, ২০২৫ ১৪:৩৫
ইউএনবি

রাজধানীর হাজারীবাগের একটি বাসায় পানির ট্যাংক পরিষ্কারের সময় বিস্ফোরণে দুই শিশুসহ একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন।

শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় হাজারীবাগের জিগাতলা ট্যানারি মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়।

আহতরা হলেন- মো. জিয়াউর রহমান (৪৫) ও তার দুই মেয়ে ফারিয়া (৮) ও রাইফা (৪) এবং ট্যাংক পরিষ্কারের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক বেলাল হোসেন (২৮)।

আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া শাহপরান জানান, চাচার বাসায় বেলাল হোসেন নামের এক শ্রমিক ট্যাংক পরিষ্কার করছিলেন, এ সময় চাচা জিয়াউর রহমান ট্যাংকে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব চালু করার পরই এ বিস্ফোরণ ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, ট্যাংকের ভেতরে জমে থাকা গ্যাস থেকে এমনটা হয়েছে।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের রেসিডেন্ট সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘বেলাল হোসেনের শরীরের ১৭ শতাংশ, জিয়াউর রহমানের ৪ শতাংশ, ফারিয়ার ৫ শতাংশ এবং রাইফার ৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।’

বর্তমানে তারা সবাই শঙ্কামুক্ত এবং জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেও জানান তিনি।


উত্তরায় ট্রাকের ধাক্কায় একই পরিবারের নিহত ৩

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় একই পরিবারের তিন সদস্য নিহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন, আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী অমিত (২৩), তার আত্মীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী নাইমুল হক (৩২) এবং জাবেদ আলম খান (৫৫)।

উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা জানান, শনিবার (২৯ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে উত্তরা পূর্ব থানাধীন আজমপুর মোড়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা। এ সময় ময়মনসিংহ থেকে আসা পাথরবোঝাই একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়।

এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন বলে জানান তিনি। ওসি বলেন, অপরজনকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই মারা যান।

তিনি আরও জানান, মরদেহগুলো শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

নিহতরা কাছাকাছি একটি হাসপাতালে রোগী দেখতে গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে এবং এর চালক রাকিবুল ইসলামকে (৪২) আটক করা হয়েছে বলে জানান ওসি।


উত্তরায় হোটেল মিলিনা দখলের চেষ্টা, আটক ৯ 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাজধানীর উত্তরায় ‘মব’ সৃষ্টি করে ‘হোটেল মিলিনা’ নামের একটি আবাসিক হোটেল দখলের চেষ্টা করা হয়। এমন অভিযোগে ৯ জনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)।

রোববার র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, শনিবার দুপুরে শফিক মোল্লা নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে হোটেল মিলিনিার মালিক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে পূর্বের ব্যবসায়িক সূত্র ধরে ‘মব’ সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। সেসময় ১০টি মোটরসাইকেলে করে কমপক্ষে ২৪ জন জোরপূর্বক হোটেলটি দখল করতে যায়।

এ সময় দূর থেকে ওই ঘটনার কিছু ছবি ধারণ করেন র‌্যাব-১ এর এক গোয়েন্দা সদস্য। ছবি ধারণের সময় ‘মব’ সৃষ্টিকারীরা র‌্যাব সদস্যদের ঘেরাও করে এবং ছবি তুলতে বাধা দেয়। এ ঘটনার পর র‌্যাব-১ এবং উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের টহল দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ‘মব’ নিয়ন্ত্রণ করে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে বাধা দেওয়া এবং ‘মব’ সৃষ্টির অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে মোট ৯ জনকে আটক করা হয়। তারা হলেন, মো. সাজ্জাদ হোসেন (২৮), মো. শফিক মোল্লা (৩০), মো. আরিফুল ইসলাম (৩০), মো. তন্ময় হোসেন শাওন (২৭), মো. রবিউল ইসলাম (২৫), মো. আনোয়ার হোসেন আশিক (২৭), মো. সাইফুল ইসলাম সাগর (২৭), মো. জালাল খান (৩০) ও মো. আমির (২১)।

আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


দূষণের পরিমাণ বাড়লেও ঢাকার বায়ুমান আজও ‘মাঝারি’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বর্ষাকাল শুরু হতেই ঢাকার বায়ুমানে পড়েছে বৃষ্টির প্রভাব। বছরের বেশিরভাগ সময় বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানীকে দেখা গেলেও গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে রয়েছে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

রবিবার (২৯ জুন) সকাল সোয়া ৯টায় ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৭৯, আইকিউ এয়ারের সূচকে যা ‘মাঝারি’ হিসেবেই শ্রেণিভুক্ত।

একই শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত হলেও গতকালের চেয়ে ঢাকার বায়ুমানে আজ কিছুটা অবনতি হয়েছে। গতকাল প্রায় এই সময়ে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৫৯। সেই হিসেবে আজ দূষণের পরিমাণ ২০ পয়েন্ট বেড়েছে।

কণা দূষণের এই সূচক শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। আর ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত একিউআই স্কোর ‘মাঝারি’ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।

আজ দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ১৮। একিউআই স্কোর ৭৭ নিয়ে ঢাকার উপরে ছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শহর কলকাতা।

এই সময়ে ১৮০ স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ শহর হিসেবে দেখা যায় উগান্ডার রাজধানী কাম্পালাকে। স্কোর ১৭১ নিয়ে তারপরই ছিল লাহোর। এ ছাড়া ১৫৯, ১৫২ ও ১২৮ নিয়ে পরের তিনটি স্থানে ছিল চিলির সান্তিয়াগো, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও চীনের বেইজিং।

একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এ ছাড়া ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।


ঢাকার বাতাসে আবারও উন্নতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

কয়েকদিন টানা মাঝারি শ্রেণিতে এবং একটু একটু করে উন্নতি হওয়ার পর পর গতকাল (শুক্রবার) হঠাৎ করেই ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়। তবে একদিন পরই আবারও সেই উন্নতির ধারায় ফিরেছে রাজধানীর বাতাস।

শনিবার (২৮ জুন) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৫৯। অথচ, গতকাল প্রায় একই সময়ে শহরটির একিউআই স্কোর নামে ১০২-এ।

কণা দূষণের এই সূচক শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তারপর থেকে ১০০ পর্যন্ত একিউআই স্কোর ‘মাঝারি’। ঢাকার বাতাস আজ ‘মাঝারি’ হলেও তা ‘ভালো’র কাছাকাছি রয়েছে।

গতকাল ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়লেও তার আগের পাঁচ দিন রাজধানীর বায়ুমানে ক্রমেই উন্নতি দেখা যাচ্ছিল। এর মধ্যে ২২ জুন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ১৭তম, ২৩ জুন সকাল ৯টায় ২১তম, ২৪ জুন ২৯তম, ২৫ জুন ৩১তম এবং ২৬ জুন ঢাকার অবস্থান ছিল ৩৮তম।

আজ দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৪১তম। একই একিউআই স্কোর নিয়ে তারপরই রয়েছে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ।

এই সময়ে সূচক ১৬৭ নিয়ে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর ছিল উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা। এ ছাড়া ১৫৬ স্কোর নিয়ে দুইয়ে ছিল ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, ১৫৫ নিয়ে তিনে পাকিস্তানের লাহোর এবং ১৫১ স্কোর নিয়ে চারে ছিল ইন্দোনেশিয়ার আরও এক শহর মেদান।

১৪২ স্কোর নিয়ে ভারতের দিল্লি এই সময়ে অবস্থান করছিল সপ্তম স্থানে। তবে ৭৯ স্কোর নিয়ে গতকাল সকালে শহরটি বেশ ভালো অবস্থানে ছিল।

একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এ ছাড়া ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।


ছুটির দিনে ঢাকার বাতাসের মানে লক্ষণীয় অবনতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

টানা চার দিন ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে থাকার পর ছুটির দিনে অনেকটা অবাক করে দিয়ে ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি হয়েছে। সেইসঙ্গে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকাতেও লম্বা লাফ দিয়ে উপরের দিকে চলে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী শহর।

শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল ৯টায় ঢাকার বাতাসের একিউআই সূচক ছিল ১০২। বায়ুমানের শ্রেণি অনুযায়ী, সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মানুষের জন্য এই মান অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়।

সবশেষ গত ২১ জুন এই শ্রেণিতে নেমেছিল ঢাকার বায়ুমান। তার পরের চার দিন ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে থাকার পাশাপাশি দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকাতেও বেশ নিচে অবস্থান করছিল শহরটি।

এর মধ্যে ২১ জুন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দশম, ২২ জুন একই সময়ে ১৭তম, ২৩ জুন সকাল ৯টায় ২১তম, ২৪ জুন ২৯তম, ২৫ জুন ৩১তম এবং গতকাল ২৬ জুন ঢাকার অবস্থান ছিল ৩৮তম। অর্থাৎ ক্রমেই উন্নতি হচ্ছিল ঢাকার বায়ুমানে।

গত কয়েক দিনে একটু একটু করে দূষণ থেকে দূরে সরলেও আজ (শুক্রবার) ফের শীর্ষ দশ শহরের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে ঢাকা। শহরটির অবস্থান আজ দশম।

এই সময়ে ১৭৩ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, স্কোর ১৬৫ নিয়ে পাকিস্তানের লাহোরের অবস্থান দ্বিতীয় এবং গতকাল এই সময়ে শীর্ষে থাকা কঙ্গোর কিনশাসা রয়েছে আজ তিন নম্বরে; শহরটির একিউআই স্কোর ১৫৯।

এ ছাড়া ১৫৪ ও ১৫২ স্কোর নিয়ে শীর্ষ পাচ শহরের অপর দুটি স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও চিলির সান্তিয়াগো।

এর মধ্যে আজ লক্ষণীয় উন্নতি হয়েছে দিল্লির বাতাসের। ৭৯ স্কোর নিয়ে ভারতের শহরটির বায়ুমান ‘মাঝারি’, আর তালিকায় রয়েছে ২১তম স্থানে।

কণা দূষণের একিউআই মান যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘মাঝারি’।

একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এ ছাড়া ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।


এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দ দিতে কোনো আইনি বাধা নেই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নির্বাচন কমিশন থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দ দিতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেনসহ ১০১ জন আইনজীবী। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আমিনা আক্তার লাভলী এবং লাবাবুল বাসার স্বাক্ষরিত বিবৃতিটি জানানো হয় এই মত।

বিবৃতিতে বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪(৩) এবং অন্যান্য বিদ্যমান আইন অনুসারে এনসিপির শাপলা প্রতীক বরাদ্দ পেতে কোনো আইনগত বাধা নেই বলে উল্লেখ করে বলা হয়, ১৯৭২ সালের অর্ডারের তৃতীয় তফসিল এবং ১৯৭২ সালের বিধিমালার পরিশিষ্ট-ক তে জাতীয় প্রতীকের নকশা অংকিত আছে। নকশা অনুযায়ী জাতীয় প্রতীক হচ্ছে লালচে এবং হলুদ রঙের যুগল বৃত্তের ভেতরে লালচে এবং হলুদ রঙে অংকিত পানির ওপর ভাসমান শাপলা ফুল, দু’পাশে দুটি ধানের শীষ, উপরে তিনটি সংযুক্ত পাট পাতা যার ঠিক দুই পাশে দুটি করে চারটি তারকার সন্নিবেশ ও সামষ্টিক রূপ। অর্থাৎ জাতীয় প্রতীকের নকশা এবং রঙ ১৯৭২ সালের অর্ডারের ৩য় তফসিল ও বিধিমালার পরিশিষ্ট-ক দ্বারা সুনির্দিষ্ট। তাছাড়া জাতীয় প্রতীকের শাপলাটি পানিতে ভাসমান কিন্তু এনসিপি ‘ভাসমান শাপলা’ প্রতীক হিসেবে চায়নি।

একাধিক রাজনৈতিক দলের প্রতীকে হিসেবে জাতীয় প্রতীকের উপাদান বরাদ্দ দেওয়ার নজির উপস্থাপন করে বিবৃতিতে বলা হয়, ধানের শীষ, শাপলা, পাটপাতা এবং তারকা আলাদা আলাদা করে চারটি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়। আর এই চারের সমষ্টিই হচ্ছে জাতীয় প্রতীক, যা দুই রঙের দুটি বৃত্ত দ্বারা পরিবেষ্টিত। জাতীয় প্রতীকের উপাদানের মধ্যে দুইটি উপাদান ইতোমধ্যে দুইটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীক হিসেবে বরাদ্দকৃত। সুতরাং প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণসাপেক্ষে এনসিপির নিবন্ধিত হবার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আইন মোতাবেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এবং প্রতীকের তালিকায় সংযোজনপূর্বক শাপলা প্রতীকটি এনসিপিকে বরাদ্দ দিবে বলে বিবৃতিদাতা আইনজীবীরা আশা প্রকাশ করেন।


banner close