মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সংসদে সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

রাজধানীতে আরও হলিডে মার্কেট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে

ফাইল ছবি
আপডেটেড
৩০ জুন, ২০২৪ ১৪:৩৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৩০ জুন, ২০২৪ ১৪:৩৩

রাজধানী ঢাকাতে আরও হলিডে মার্কেট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লীউন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। আজ রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের করা প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

ঢাকার ফুটপাতে যত্রতত্র বাজার/দোকান বসানো বন্ধ করে একটি হলিডেমার্কেট নির্ধারণ করে হকারদের পুনর্বাসনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না- মন্ত্রীর কাছে এই প্রশ্ন কারেন নাছিম।

জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় এরই মধ্যে ৫টি স্থানে হলিডে মার্কেট চালু করা হয়েছে। সেগুলো হলো, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সামনে, গুলিস্তান জিপিও সংলগ্ন বায়তুল মোকাররম লিংক রোড, সেগুনবাগিচা বিভাগীয় অফিস সংলগ্ন কার্পেট গলি, মতিঝিল দিলকুশা ইউনুস টাওয়ারের সামনে ও গুলিস্তান-নবাবপুর রোড।

তিনি বলেন, রাজধানীতে আরও হলিডে মার্কেট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন বঙ্গবন্ধু হকার্স মার্কেট, গুলিস্থান ট্রেড সেন্টার, ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট, বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেট, শেরে বাংলা হকার্স মার্কেট, সদরঘাট হকার্স মার্কেটসহ আরও মার্কেটে এর আগে হকারদের দোকান বরাদ্দের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ২৩নং ওয়ার্ড বেড়িবাঁধ সেকশন থেকে হোসেন উদ্দিন খান প্রথম লেন পর্যন্ত সাপ্তাহিক বাজারে হকাররা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করছেন।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ, বিশেষত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য নিয়ন্ত্রিত স্ট্রিট ভেন্ডর পদ্ধতি প্রচলন করা হয়েছে। শহরের যেসব সড়কে ছুটির দিনে যানবাহন চলাচল কম থাকে সেসব সড়কে নিয়ন্ত্রিত স্ট্রিট ভেন্ডর পদ্ধতিতে হলিডে মার্কেট চালু করা হয়েছে। পথচারীদের চলাচলের জন্য রাজধানীর ফুটপাত সবর্দা উন্মুক্ত থাকে, কিন্তু কিছু দখলদার বেআইনিভাবে মাঝেমধ্যে ফুটপাত দখল করে নিজ নিজ ব্যবসা পরিচালনা করেন। জনস্বার্থে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় অবৈধ দখল/ফুটপাত উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।


মিরপুরে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

আপডেটেড ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২১:১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে মিরপুর ১২ নম্বরের সি-ব্লক মোড়ে তাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়া হয়। এ ঘটনায় একজনকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটক ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মফিজুর রহমান গোলাম কিবরিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তিনি পল্লবী থানা যুবদলের নেতা ছিলেন। তবে কে বা কারা গুলি করেছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক জানান, গুলিবিদ্ধ কিবরিয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে নেয়া হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে স্থানীয়দের ভাষ্য থেকে জানা যায়, কিবরিয়াকে অন্তত ৫ রাউন্ড গুলি করা হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপির পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে বিএনপি নেতাকে গুলি করার খবর এসেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা কি নিয়ে এই গুলির ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আমরা পুরো বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।’

পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে পল্লবী সেকশন-১২ এ অবস্থিত বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারিতে বসে থাকা অবস্থায় পল্লবী থানা যুবদল সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়াকে মোটরসাইকেলযোগে এসে তিনজন দুর্বৃত্ত ভেতরে ঢুকে তার মাথা, বুকে ও পিঠে পিস্তল ঠেকিয়ে ৭ রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৭ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।


ঢাকায় নাশকতার পরিকল্পনা, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ২৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে নাশকতার পরিকল্পনা, ঝটিকা মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরও ২৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তালেবুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার ২৫ জন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী নাশকতার পরিকল্পনা, ঝটিকা মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত।

তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

এদিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে পুরো রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পাশাপাশি চেকপোস্টের সংখ্যাও অনেক বেড়েছে।

রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। হাইকোর্ট ও ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাজধানীর দোয়েল চত্বর থেকে শিক্ষাভবনমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সুপ্রিম কোর্টের চারদিক কড়া নিরাপত্তায় মোড়ানো হয়েছে। গেটের সামনে সেনাবাহিনীকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। আর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে ও ভেতরে পুলিশ–র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।


ধানমন্ডি ৩২ প্রাঙ্গণে বুলডোজার, জনতার ভিড়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার দিন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে দুটি বুলডোজার আনা হয়েছে। এ সময় উৎসুক জনতাকে সেখানে ভিড় করতে দেখা গেছে।

সোমবার একদল তরুণ বুলডোজার দুটির সঙ্গে হেঁটে যান। তাদের মধ্যে উত্তেজনা লক্ষ্য করা গেছে। পরিচয় জানতে চাইলে তারা জানান, তারা বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের কর্মী।

এ সময় ‘লীগ ধর জেলে ভর’, ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘৩২-এর আস্তানা এই বাংলায় হবে না’—এমন নানা স্লোগানে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। উত্তেজনাকর পরিবেশের কারণে ধানমন্ডি এলাকায় জনসাধারণের চলাচল সীমিত হয়ে গেছে।

এর আগে চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে একটি বুলডোজার এসে গুঁড়িয়ে দেয় ৩২ নম্বরের বাড়ি। সেদিন একটি এক্সকাভেটরও আসে সেখানে। তারও আগে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৩২ নম্বরের বাড়িটি আগুনে পুড়িয়ে দেয় ছাত্র-জনতা।


ট্রেনে সেনাবাহিনীর অভিযান, পিস্তল ও ককটেল উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বিমানবন্দর রেল স্টেশনে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালিয়ে দেশীয় তৈরি একটি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি ও চারটি ককটেল উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় সন্দেহভাজন হিসেবে চারজনকে আটক করা হয়েছে।

আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এডি ব্রিগেডের উত্তরা আর্মি ক্যাম্পের একটি টিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ এ অভিযান চালায়। বিষয়টি ওই ব্রিগেডের একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।

সেনাবাহিনী জানায়, দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি তল্লাশি করা হয়। এ সময় চালের বস্তার ভেতর লুকানো অবস্থায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে উত্তরা আর্মি ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দিনাজপুর থেকে ট্রেনটি ছাড়ার পর পার্বতীপুর রেল স্টেশনের বিরতির সময় ৩-৪ জন ব্যক্তি বেশ কিছু চালের বস্তা নির্দিষ্ট একটি বগিতে তুলে রেখে চলে যান।

পরে বস্তাগুলো থেকেই অস্ত্র ও ককটেল উদ্ধার হয়। সেনাবাহিনী জানায়, কারা এ ধরনের নাশকতা পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে তদন্ত ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।


রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত পথচারী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর নিউ ইস্কাটন রোডে ওয়াক্ফ ভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে আবদুল বাসির (৫০) নামের এক পথচারী আহত হয়েছেন। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ঘটনাটি ঘটে। প্রতিদিনের মতো অফিসে যাওয়ার জন্য হেঁটে বাংলামোটরের দিকে যাচ্ছিলেন বাসির। ঠিক সেই মুহূর্তে ওয়াক্ফ ভবনের সামনে হঠাৎ ককটেল বিস্ফোরিত হয়।

বিস্ফোরণে তার হাতে ও পায়ে জখম হয়েছে। আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয়রা প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এবং পরে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

গণমাধ্যমকে তিনি জানান, “ওয়াক্ফ ভবনের সামনে দিয়ে যাওয়া উড়ালসড়কের ওপর থেকে ককটেলটি ছুড়ে মারা হয়েছে বলে আমার ধারণা।”

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্ফোরণের কারণ ও উৎস সম্পর্কে তদন্ত শুরু করেছে।


খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে তিন দলের শীর্ষ নেতারা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে উপস্থিত হয়েছেন দেশ ও দেশের বাইরের প্রথিতযশা আলেম ও ইসলামী চিন্তাবিদরা। পাশাপাশি এ আয়োজনে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারাও।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় এ সম্মেলন শুরু হলেও বেলা ১১টার কাছাকাছি সময়ে মঞ্চে উপস্থিত হন তিন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা।

বেলা ১১টায় মঞ্চে আসেন হেফাজতে ইসলামের আমির হযরত শাহ মুহিববুল্লাহ বাবুনগরী, এরপর মঞ্চে আসেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ এবং সর্বশেষ মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মাওলানা রেজাউল করিম (চরমোনাই পীর)। এছাড়া বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হকও উপস্থিত হয়েছেন।

সম্মেলনের দায়িত্বশীল মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী জানান, কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং খতমে নবুওয়তের পবিত্র আকিদা রক্ষার দাবি নিয়ে আয়োজিত এ মহাসম্মেলনে অংশ নিতে বিভিন্ন দেশ থেকে শীর্ষ আলেমরা ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।

তিনি জানান, বিদেশি অতিথিদের মধ্যে রয়েছেন— জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের সভাপতি মুফতি ফজলুর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের (ভারত) সভাপতি মাওলানা সাইয়্যিদ মাহমুদ মাদানি, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তানের মহাসচিব মাওলানা হানিফ জালন্দরি, ইন্টারন্যাশনাল খতমে নবুওয়ত মুভমেন্টের ওয়ার্ল্ড নায়েবে আমির শায়খ আব্দুর রউফ মক্কি, পাকিস্তানের ইউসুফ বিন্নুরী টাউন মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম ড. আহমাদ ইউসুফ বিন্নুরী, পাকিস্তানের মাওলানা ইলিয়াছ গুম্মান, ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানী এবং মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শায়খ মুসআব নাবীল ইবরাহিম।


ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার মামলা, অপেক্ষায় দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মীরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চব্বিশের জুলাই গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায়ের ক্ষণগণনা শুরু হবে আজ। আর এ রায়ের দিন শোনার অপেক্ষায় রয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকেই সংবাদ সংগ্রহে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসতে থাকেন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের ভেতরে-বাইরে শতাধিক গণমাধ্যমকর্মীকে অপেক্ষমাণ দেখা গেছে।

এদিন সংবাদ সংগ্রহ করতে ট্রাইব্যুনালে আসেন বিবিসি, আল-জাজিরা, ডয়েচে ভেলে, এপি, সিএনএনসহ বিদেশি বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। এর মধ্যে কেউ কেউ প্রতি মুহূর্তের খবর তুলে ধরছেন নিজ নিজ সংবাদমাধ্যমে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের নামও রয়েছে। যদিও রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিয়েছেন মামুন।

জানা গেছে, ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ মামলার রায়ের দিন নির্ধারণ করা হবে।

এদিকে, শেখ হাসিনার রায় ঘিরে লকডাউন কর্মসূচি দিয়েছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ। ফলে আগুন-ককটেলসহ বিভিন্ন অপকর্মে দেশজুড়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে। তবে এমন কর্মকাণ্ডে কোনো ধরনের অনিরাপদ বোধ করছে না বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন। কেননা পুলিশ-বিজিবিসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।

এছাড়া ট্রাইব্যুনালের ভেতরে-বাইরে নিয়োজিত রয়েছেন পুলিশ-র্যাব, বিজিবি-সেনাবাহিনী ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। একইসঙ্গে আশপাশে স্থাপন করা হয়েছে নিরাপত্তা বলয়। এমনকি তল্লাশি চালিয়ে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সজাগ রয়েছে এসব বাহিনী।


জুলাই গণহত্যা : ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার অন্যতম আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে। এ মামলায় পলাতক রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ৯টার পর কড়া নিরাপত্তায় কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। এদিন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

হাসিনা-কামাল পলাতক থাকলেও বছরখানেক ধরেই কারাগারে রয়েছেন চৌধুরী মামুন। তবে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। ফলে সাবেক এই আইজিপির শাস্তির বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন প্রসিকিউশন। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ সাজা চাওয়া হয়েছে।

মোট ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জনের সাক্ষ্য-জেরা শেষে গত ২৩ অক্টোবর শেখ হাসিনার মামলায় সমাপনী বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রধানমন্ত্রীসহ হেভিওয়েট নেতাদের যেভাবে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল; সেসব বর্ণনা ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরেন তিনি। পরে আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর যুক্তি উপস্থাপনের কয়েকটি বিষয়ে জবাব দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এছাড়া তাদের কিছু কথার পাল্টা উত্তর দেন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী আমির হোসেন। এরপর রায়ের তারিখ ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। আগামী সপ্তাহের যেকোনো দিন এ রায় ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে ট্রাইব্যুনাল সূত্র।

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় চলতি বছরের ৩ আগস্ট। প্রথম সাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের বীভৎসতার চিত্র তুলে ধরেন খোকন চন্দ্র বর্মণ। ৮ অক্টোবর মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরার মাধ্যমে শেষ হয় সাক্ষ্যগ্রহণের ধাপ। এরপর প্রসিকিউশন ও স্টেট ডিফেন্স আইনজীবীর যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয় ২৩ অক্টোবর।

এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। এর মধ্যে রয়েছে উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুলে হত্যা ও আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার ও শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার। সাক্ষী করা হয়েছে ৮৪ জনকে। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।


শেখ হাসিনার রায় ঘিরে ট্রাইব্যুনালে কড়া নিরাপত্তা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চব্বিশের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের রায়ের দিন নির্ধারণ ঘিরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনাল চত্বরে নিয়োজিত রয়েছেন পুলিশ-র‌্যাব, বিজিবি-সেনাবাহিনী ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। একইসঙ্গে আশপাশে স্থাপন করা হয়েছে নিরাপত্তা বলয়। এমনকি তল্লাশি চালিয়ে জনসাধারণ ও সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, রায়ের তারিখ ঘিরে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ট্রাইব্যুনাল ও আশপাশে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রায়ের দিনকে কেন্দ্র করে কেউ যেন উসকানিমূলক কার্যকলাপ বা বিশৃঙ্খলা ঘটাতে না পারে, সেজন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যেন আদালতের কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়।

এদিন সকাল ১০টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

গত ২৩ অক্টোবর এ মামলায় সমাপনী বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রধানমন্ত্রীসহ হেভিওয়েট নেতাদের যেভাবে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল; সেসব বর্ণনা ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরেন তিনি। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেন। পরে আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর যুক্তি উপস্থাপনের কয়েকটি বিষয়ে জবাব দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এরপর তাদের কিছু কথার পাল্টা উত্তর দেন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী আমির হোসেন। পরে রায়ের তারিখ ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রায়ের দিনকে কেন্দ্র করে কেউ যেন উসকানিমূলক কার্যকলাপ বা বিশৃঙ্খলা ঘটাতে না পারে, সেজন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যেন আদালতের কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়।

এদিন সকাল ১০টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

গত ২৩ অক্টোবর এ মামলায় সমাপনী বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রধানমন্ত্রীসহ হেভিওয়েট নেতাদের যেভাবে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল; সেসব বর্ণনা ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরেন তিনি। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেন। পরে আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর যুক্তি উপস্থাপনের কয়েকটি বিষয়ে জবাব দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এরপর তাদের কিছু কথার পাল্টা উত্তর দেন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী আমির হোসেন। পরে রায়ের তারিখ ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।


রাজধানীতে মধ্যরাতে ককটেল বিস্ফোরণ, দুটি বাসে অগ্নিসংযোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে আবারও ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে গুলিস্তান, সূত্রাপুর, মিরপুর বেড়িবাঁধ, হাতিরঝিল ও কারওয়ান বাজার এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাত ৯টার দিকে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট এলাকায় দুইটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের পরপরই দুর্বৃত্তরা দ্রুত সরে পড়ে।

এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সূত্রাপুর ও মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় দুটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতকারীরা। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

একই রাতে হাতিরঝিলের রেইনবো ক্রসিং ও কারওয়ান বাজারের মাছের আড়তের সামনে আরও দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এভাবে একের পর এক বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগে নাশকতার আশঙ্কা করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট, কাকরাইল মোড়, কারওয়ান বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রাতভর তল্লাশি চালায় পুলিশ। রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তথ্যমতে, গত এক সপ্তাহে রাজধানীতে অন্তত ২০টির বেশি ককটেল বিস্ফোরণ এবং ১১টি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, “কার্যক্রম নিষিদ্ধ একটি দল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে রাজধানীতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। জনগণের মাঝে ভীতি ছড়ানোই তাদের উদ্দেশ্য।”

তিনি আরও বলেন, “রাজধানীতে শঙ্কার কিছু নেই। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে। শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চেকপোস্ট ও টহল জোরদার করা হয়েছে।”

ডিএমপির তথ্য অনুযায়ী, গত তিন দিনে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে অগ্নিসংযোগ ও ঝটিকা মিছিলে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫৫২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের অধিকাংশই রাজধানীর বাইরে থেকে আসা বলে জানিয়েছে ডিএমপি।

পুলিশ জানিয়েছে, নাশকতাকারীদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে নাগরিকদের গুজব বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে তারা।


ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ১৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ঢাকায় লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে রাজধানী ও এর আশপাশ এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ এবং যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনার মতো অপতৎপরতা রোধে ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

এর মধ্যে রাজধানীসহ ঢাকায় ১২ প্লাটুন ও আশপাশের জেলায় দুই প্লাটুনসহ মোট ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

পরবর্তী নির্দেশনার আগ পর্যন্ত বিজিবি মোতায়েন থাকবে বলে জানা গেছে।

গত বছরের জুলাইয়ে গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে আগামী ১৩ নভেম্বর। এই রায়কে ঘিরে রাজধানী ঢাকায় ‘লকডাউন’ কর্মসূচি দিয়েছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ।


৮ দলের সমাবেশ, পল্টন মোড়ে জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঁচ দফা দাবি আদায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের ডাকা গণসমাবেশে অংশ নিতে রাজধানীর পল্টন এলাকায় আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। বেলা দুইটায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার পর ঢাকার আশপাশের কয়েকটি জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীদের বায়তুল মোকাররম মসজিদের আশপাশে ব্যানার-ফেস্টুন হাতে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি বাস্তবায়ন, নভেম্বরে গণভোট, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে এই কর্মসূচির ঘোষণা করে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ আট দল।

এর আগে গত ছয়ই নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঁচ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছিল এই দলগুলো।


জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ডিএমপি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত কয়েকদিন ধরে রাজধানী ঢাকায় একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসেও আগুন দেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক বিষয় নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঢাকায় চলমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন ডিএমপি কমিশনার। বিকেল পৌনে চারটায় ডিএমপির মিডিয়ার সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, আগামী ১৩ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘোষিত লকডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসে আগুন দেওয়া হচ্ছে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনার পেছনে কে বা কারা জড়িত এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। কর্মসূচি ঘিরে এরইমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলো কঠোর নিরাপত্তা-ব্যবস্থা নিয়েছে।


banner close