শনিবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
ডিএমপি

৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজের তথ্য গুজব

ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৭ জুলাই, ২০২৪ ১৯:৩৬

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ ও ব্যক্তিগত আইডিতে শনিবার সকাল থেকে ‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ’ এমন এক পোস্ট দেখা যেতে থাকে। পোস্টগুলোতে বলা হয়, ‘ব্রেকিং নিউজ, গত ৪৮ ঘণ্টায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে।’

ফেসবুকে ব্যাপকভাবে এ তথ্য ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এ অভিযোগকে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপি জানায়, তদন্তে দেখা গেছে একের পর এক শিশু নিখোঁজ হওয়ার এ অভিযোগ ভিত্তিহীন। নিখোঁজ হিসেবে যাদের পোস্ট করা হয়েছিল তাদের অনেককে পরে পাওয়া গেছে। পাওয়া গেলেও তা আর জানানো হয় না।

আদাবর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কোনো তথ্য পাইনি।’ একই বক্তব্য দেন শাহবাগ থানার ওসি নূর আলমও।

এ প্রসঙ্গে ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, ৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে এমন কোনো তথ্য ডিএমপির কাছে নেই। গত ৪ থেকে ৬ মে পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় বিভিন্নভাবে শিশু নিখোঁজের ঘটনায় বিভিন্ন থানায় ৩৩টি জিডি করা হয়েছে। জুন মাসে, ৪ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় ৩৬টি জিডি করা হয়েছে। একইভাবে, ৪ থেকে ৬ জুলাই ৭২ ঘণ্টায় ৩২টি জিডি করা হয়।

ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, শিশু নিখোঁজের প্রচার হওয়া এমন তথ্য সঠিক নয়। এ ছাড়া নিখোঁজ শিশুদের পরবর্তীতে সন্ধান পাওয়া গেছে।

বিষয়:

কব্জিকাটা গ্রুপের পাগলা নাসিরসহ চার ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মোহাম্মাদপুর ও আদাবরে ছিনতাই বিরোধী অভিযান চালিয়ে ‘কব্জিকাটা গ্রুপ’ এর সদস্য মো. নাছির ওরফে পাগলা নাসিরসহ (২৮) ৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-২। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার অন্যরা হলো- অন্যরা হলেন—মো. শাহীন ওরফে মোটা শাহীন (৩২), মো. আলামিন (৩০) এবং মো. শহীদুল ইসলাম আপন (২৫)।

আজ শুক্রবার র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি খান আসিফ তপু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যে র‌্যাব-২ জানতে পারে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রসহ প্রস্তুতি নিয়েছে। এমন তথ্যে ওই স্থানগুলোতে র‌্যাব-২ একাধিক আভিযানিক পরিচালনা করে। অভিযানে পাগলা নাসিরসহ চার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি ছুরি ও ১টি চাকু উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার মো. নাছির কব্জিকাটা গ্রুপের অন্যতম সদস্য আনোয়ারের সহযোগী। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় ৮টি মামলা রয়েছে। পাগলা নাসির চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। এ ছাড়া গ্রেপ্তার অন্যান্য ছিনতাইকারীরাও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পথচারীদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার, মুঠোফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত।

এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গ্রেপ্তারদের মোহাম্দপুর ও আদাবর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ র‌্যাব কর্মকর্তা।


স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ৫০ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই

ছিনিয়ে নিয়েছে ৪ লাখ টাকাও
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর হাজারীবাগের সেকশন বেরিবাঁধ এলাকায় সজল রাজবংশী (৩৭) নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে প্রায় ৫০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৪ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

আহত সজল রাজবংশীর ছোট ভাই জয় রাজবংশী বলেন, হাজারীবাগ সেকশন বেড়িবাঁধের জেলেপাড়া এলাকায় তাদের বাসা। তার বড়ভাই কামরাঙ্গীরচরের ইতি জুয়েলার্স নামে স্বর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। রাতে দোকান বন্ধ করে তার ভাই মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন। তার সঙ্গে একটি ব্যাগের ভেতরে প্রায় ৫০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ চার লাখ টাকা ছিল। সেকশন বেড়িবাঁধ এলাকায় এসে পৌঁছালে দুই মোটরসাইকেলে হেলমেট পরিহিত কয়েকজন দুর্বৃত্ত সজলের মোটরসাইকেলের পথরোধ করে ফাঁকা গুলি করে। পরে তারা সজলের বাম পায়ে গুলি করে তার সঙ্গে থাকা স্বর্ণের ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, দোকান বন্ধ করে স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে বাসায় ফেরার পথে ৭/৮জন দুর্বৃত্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ী সজল রাজবংশীকে পথরোধ করে। পরে তার পায়ে গুলি করে সঙ্গে থাকা ৪ লাখ টাকা ও ৪৫-৫০ ভরি স্বর্ণসহ ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় তার ছোট ভাই জয় রাজবংশী একটি মামলা করেছেন। মামলায় ৭/৮ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।


রাজধানীর ছয় স্থানে বসছে ‘জনতার বাজার’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ এবং জনজীবনে স্বস্তি আনার লক্ষ্যে রাজধানীর ছয়টি স্থানে ‘জনতার বাজার’ বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের কুড়ারঘাট মেডিকেল মোড়, মোহাম্মদপুর, গুলশান, মিরপুর, বাড্ডা ও ডেমরা এলাকায় ন্যায্যমূল্যের এই বাজারগুলো বসবে।

শনিবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর কুড়ারঘাট মেডিকেল মোড়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ। জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে বাজারের সংখ্যা বাড়বে। রমজানে এসব বাজারের মাধ্যমে ভোক্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বড় সহায়ক হবে। তবে পণ্যের সরবরাহ, বাজারের নিরাপত্তা ও পণ্যের পরিমাণ যেন বেশি হয়- এসব বিষয়ে নজর দেওয়ার তাগিদ দেন তারা। মতবিনিময় সভায় ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ বলেন, ক্রেতাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, কৃষকের কাছ থেকে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য আসা পর্যন্ত কয়েকটি হাত বদল হয়। তাতে পণ্যের দর কয়েক গুণ বাড়ে। মধ্যস্বত্বভোগীর এই দৌরাত্ম্য কমাতে এমন উদ্যোগ ভূমিকা রাখবে। মূলত সরাসরি কৃষক ও ভোক্তাদের সংযোগ স্থাপনের জন্য এই বিশেষ বাজার স্থাপন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই বাজারের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে খাদ্যপণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এতে সহায়তা করবে কৃষি বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ বাজার টেকসইভাবে পরিচালিত হবে এবং রাজধানীর মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণে বড় ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক মো. ইকবাল হোসেন, ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মো. শামীম হুসাইন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার এবং বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তানজিল পারভেজ, লালবাগ জোনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুল ইসলাম, কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম, খাদ্য অধিদফতরের প্রতিনিধি, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

সভায় জানানো হয়, নিত্যপণ্যের বাজার এখন বেশ চড়া। অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে গেছে পণ্যমূল্য। কিছু অসৎ ব্যবসায়ী ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাতে ভোক্তার ওপর বাড়ছে চাপ। দেখা দিয়েছে জনঅসন্তোষ। উৎপাদক ও আমদানিকারকের কাছ থেকে সরাসরি পণ্য এনে বিক্রি করলে এসব দৌরাত্ম্য দূর হবে। এ জন্য বিভিন্ন জেলায় এরই মধ্যে প্রশাসনের মাধ্যমে এ ধরনের বাজার বসানো হয়েছে। তা জনমনে ইতিবাচক সাড়া ফেলছে। এ কারণে আশপাশের বাজারেও পণ্যের দর কমতে শুরু করেছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই ঢাকায় বাজার বসানো হচ্ছে।

জনতার বাজারে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, সবজিসহ নিত্যপণ্য সাশ্রয়ী দামে বিক্রি হবে। প্রাথমিকভাবে কামরাঙ্গীচরসহ ঢাকার ছয় স্থানে বাজার বসলেও পর্যায়ক্রমে পরিসর বাড়বে। বাজার ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারি জায়গায় অবকাঠামো নির্মাণ করে স্থানীয় উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী এবং বেকার যুবকদের সম্পৃক্ত করা হবে। শুধু খুচরা বিক্রির ব্যবস্থা থাকবে। পণ্য কেনার জন্য একটি নির্ধারিত মূল্য তালিকা অনুসরণ করা হবে। ক্রেতারা ডিজিটাল পদ্ধতিতে টাকা পরিশোধ করে একটি কোড পাবেন, যা দেখিয়ে পণ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।

জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই বাজারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কম দামে,পণ্য কিনে এনে সরাসরি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হবে। এতে সহযোগিতা করবে সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতর ও সংস্থা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বেচাকেনা ও পরিবহন ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় উদ্যোক্তা, ছাত্র-জনতাকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। প্রতিটি পণ্য জেলা প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কমিটির মাধ্যমে নির্ধারিত দরে বিক্রি করা হবে। ক্রয়মূল্যের সঙ্গে প্রকৃত পরিবহন খরচ এবং উদ্যোক্তাদের প্রদেয় যৌক্তিক মুনাফা যোগ করে বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ হবে। তবে ইচ্ছা করলে যে কোনো চাষি, খামারি বা উৎপাদনকারী তার উৎপাদিত পণ্য সরাসরি এনেও বিক্রি করতে পারবেন। হিসাব সংরক্ষণ ও সার্বিক কার্যক্রম ব্যবস্থাপনার জন্য সফটওয়্যার নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে পণ্যের ক্রয় ও বিক্রয়মূল্য অনলাইনে দেখা যাবে।

জেলা প্রশাসনের এ ঘোষণায় সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীরা খুশি হলেও বাজার যেন কয়েক দিন পর বন্ধ হয়ে না যায়, সেদিকে দৃষ্টি রাখার অনুরোধ করেছেন। তারা সব ধরনের নিত্যপণ্য সাশ্রয়ী দামে বিক্রি করার অনুরোধ করেছেন। এদিকে জেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও ‘বড়লোকদের এলাকা’ হিসেবে পরিচিত গুলশানে এ বাজার কেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।


সবজির বাজারে স্বস্তি, বেড়েছে পেঁয়াজের দাম

মাছ-মুরগির দাম চড়া
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মাঘ মাসে শীতের সবজিতে ভরপুর থাকে গ্রাম-গঞ্জের হাট থেকে শহরের বাজারও। কত বাহারি রকমের সবজি। এ সময় সবজিতে সয়লাব বাজার দেখতেও চোখে আরাম লাগে। আর দাম হাতের নাগালে থাকায় সবাই তা সাধ্যমতো কিনতেও পারেন। রাজধানীর প্রতিটি বাজারেই পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজির সরবরাহ থাকায় ক্রেতারা কিনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। তবে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।

নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব জায়গাই সবজির দাম কম। যদিও অভিজাত এলাকার বাজার আর মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের এলাকার বাজারে একই সবজির কিছুটা তারতম্য রয়েছে। যেমন গুলশানের ডিনএনসিসির বাজারে যেই ফুলকপি এখনো ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে তা দেখা যায় খিলগাঁও কিংবা মুগদায় ২০/৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্থান-কাল ভেদে এরকম অনেক পণ্যেরই দামের তারতম্য রয়েছে। এদিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, কিছু সবজির মৌসুম না হওয়ায় নির্দিষ্ট সেই সবজিগুলোর দাম তুলনামূলক বেশি। এর মধ্যে রয়েছে বরবটি, করলা। এগুলোই এখন বাজারের সবচেয়ে বেশি দামি সবজি। বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকায়। বাকিগুলোর দাম তুলনামূলক কম।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দামের চিত্রে দেখা যায়, লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, গোল বেগুন প্রতি কেজি ৫০ টাকা। এ ছাড়া ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পেঁয়াজের ফুল প্রতি মুঠো ১০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, শালগম প্রতি কেজি ২০-২৫ টাকা, মূলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, টমেটো কেজি ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর বরবটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বিচিওয়ালা শিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, সাধারণ শিম প্রতি কেজি ৩০ টাকা, মটরশুঁটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৩০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ২০ টাকা, ক্ষিরা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৫০ টাকা এবং কাঁচা টমেটো প্রতি কেজি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খিলগাঁও বাজারে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী খসরু নোমানের সঙ্গে। তিনি সবজির দাম নিয়ে বেশ স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘অন্যান্য সময়ের চেয়ে বাজারে এখন সবজির দাম তুলনামূলক কম। যে কারণে বেশি করে সবজি কিনতে পারছি আমরা। তবে দু-একটি সবজির দাম এখনো বাড়তি। যদিও বিক্রেতারা বলছেন এটার এখন মৌসুম না, সে কারণে দাম বেশি। বাকিগুলোর দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে।’

হাতিরপুলের সবজি ব্যবসায়ী রুবেল জানান, ‘বাজারে এখন সবজির দাম কম। বর্তমান সময় সবজির ভরপুর মৌসুম, যে কারণে বাজারে প্রচুর পরিমাণে সরবরাহ আছে সবজির। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এ সময়ে এসে সবজির দাম একদম কম যাচ্ছে। যে কারণে ক্রেতারাও তুলনামূলক বেশি পরিমাণে সবজি কিনছেন।’ এদিকে বাজারে সবজির দাম কমে যাওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি দেখা গেছে। ক্রেতারা বলছেন, বাজারে মাছ ও মুরগির বাজার চড়া থাকলেও সবজি কিনে স্বস্তি মিলছে বলে তারা উল্লেখ করেন।

এদিকে, বাজারে মাছের দাম এখনও বেশ চড়া। রুই-কাতল মাছ ৩২০-৩৫০ টাকা, চাষের কই মাছ ২২০-২৫০ টাকা, চিংড়ির সাইজ অনুসারে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা যায়।

গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে বাজারে ২১০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৩২০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।

তবে আলুর দামও কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহের শুরুতে বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা দরে। পুরোনো আলু ৫০ টাকা, বগুড়ার লাল আলু ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। গত অন্যদিকে দেশি পেঁয়াজ কেজি ৭০-৮০ টাকা, মুড়িকাটা পেঁয়াজ আগের সপ্তাহে ৫০ টাকা থাকরেও এ সপ্তাহের শুরুতে দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা, পাতা পেঁয়াজ ৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।


রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুরের কালশী ও আসাদগেট এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, সিয়াম (১৫) নামে এক কিশোর ও সিএনজি আরোহী আদম আলী (৫৫)। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মিরপুর কালশী কালশী ফ্লাইওভারের নিচে একটি ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে আহত হন সিয়াম (১৫) নামে এক কিশোর। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সিয়ামের বন্ধু সিরাজুল জানান, সিয়াম রূপনগর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় থাকতো। সে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতো। রাতে আরেক বন্ধুর মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়। মিরপুর কালশী ফ্লাইওভারের নিচে আসলে একটি ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয় সিয়াম। খবর পেয়ে দ্রুত সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিযে আসলে মারা যায়।
একই রাত আড়াইটার দিকে আসাদগেট এলাকায় ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা সংঘর্ষে আরোহী আদম আলী (৫৫) আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মারা যান। এ ঘটনায় নিহত আদম আলী ছেলে সাকের আলী (১৬), ভাতিজা নবী হোসেন (৪৫) ও মেয়ের জামাই সাখাওয়াত হোসেন (৩৫)। তাদের সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত আদম আলীর ভাতিজা মাসুম জানান, তাদের বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার মুক্তা রামপুর গ্রামে। তার চাচা আদম আলী এলাকায় কাপড়ের ব্যবসা করতেন। বৃহস্পতিবার বাড়িতে আমার চাচাতো ভাই শাকের আলী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে চাচা প্রথমে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে যান। পরে সেখান থেকে ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়ার পথে আসাদ গেট এলাকায় একটি ট্রাক সিএনজিটিকে ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজিতে থাকা ৪জন আহত হয়। পরে পথচারীরা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তার চাচা আদম আলীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে মারা যান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাতে মিরপুর ও আসাদগেট এলাকা থেকে দুজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।


ডাকাতির প্রস্তুতির সময় গ্রেপ্তার ৩

গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাত দলের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতির সময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উদ্যানের শিখা চিরন্তন প্রবেশ গেইটের উত্তর পাশ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলো- মো. রনি (২৯), মো. হুমায়ুন কবির (২৫) ও মো. আনোয়ার (৪০)। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি স্টিলের সুইচ গিয়ার চাকু ও একটি স্টিলের চাকু উদ্ধার করা হয়।

আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাহবাগ থানার একটি টহল টিম গোপন সংবাদে জানতে পারে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন প্রবেশ গেইটের উত্তর পাশে কয়েক ব্যক্তি দেশীয় ধারালো অস্ত্র-সস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরে অভিযান পরিচালনা করে থানার টিম। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় তিনজনকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় আরও কয়েকজন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা স্বীকার করেছেন, তারা পেশাদার ডাকাত ও ছিনতাইকারী দলের সদস্য। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় তারা ডাকাতির উদ্দেশে একত্রিত হয়েছিল। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


হাজারীবাগে চামড়ার গুদামে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় রাজধানীর হাজারীবাগ বাজারের ট্যানারির গোডাউনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস। আজ শুক্রবার দুপুর ২টা ১৪ মিনিটে একটি ভবনের চার তলায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় শুক্রবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ শাহজাহান সিকদার তথ্যটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

এ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণকক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার জানান, হাজারীবাগ বাজারের একটি ট্যানারির গোডাউনে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

তিনি আরও জানান, চারতলা ভবনের চতুর্থ তলায় লেদারের গোডাউনে আগুন লেগেছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি।


হাজারীবাগে চামড়ার গুদামে আগুন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

রাজধানীর হাজারীবাগ বাজারের একটি সাততলা ভবনে অবস্থিত ট্যানারির গুদামে অগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার বলেন, আজ (শুক্রবার) দুপুর ২টা ১৪ মিনিটে হাজারীবাগ বাজারে একটি চামড়ার গুদামে আগুন লেগেছে। ৭ তলা ভবনের পঞ্চম তলায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।

তিনি জানান, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট কাজ করছে। আরও ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।

তবে আগুন লাগার কারণ এবং হতাহতের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।


হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের মোহাম্মদপুর থানার সহ-সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেনকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-২। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) খান আসিফ তপু বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলাকারী ও আন্দোলনে নিহত আকতার হোসেন হত্যা মামলার এজাহারনামীয় অন্যতম আসামি গ্রেপ্তার মো. সাজ্জাদ হোসেন। সাজ্জাদ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


যাত্রীবেশে গাড়ি নিয়ে ছিনতাইয়ের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতবেদক

রাজধানীর কদমতলী থেকে যাত্রীবেশে গাড়ি নিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। গত মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে রাজধানীর কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন— মোহাম্মদ আকতার হোসেন (৪৫), হারুনুর রশিদ (৫০), কামাল হোসেন (৪৫), মোহাম্মদ নুরুদ্দিন (৪৮) ও মোহাম্মদ হানিফ (৫৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১১টি মোবাইল ফোন, একটি হাইয়েস গাড়ি ও একটি পাওয়ার ব্যাংকসহ ছিনতাইকারী

বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি জানান, চক্রটি গত এক বছর ধরে রাজধানীতে সক্রিয় রয়েছে। তারা হাইয়েস গাড়ি নিয়ে রাতে বেরিয়ে পড়ে এবং সাধারণ যাত্রীবেশে গাড়িতে বসে থাকে। তারা সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ি, রায়েরবাগ, সাইনবোর্ডসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে যাত্রী তুলে পরে সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে যাত্রীকে জিম্মি করে যাত্রীর মালামাল লুটে নেয়। পরবর্তীতে লুট করা অর্থ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন এবং ছিনতাই করা মোবাইলগুলো গুলিস্তানে এসে বিক্রি করে দেন। আরও জানা যায়, তাদের মাধ্যমে কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব: স্বদেশ-আশিয়ান গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর খিলক্ষেতে জমি-জমা নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিহতের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে খিলক্ষেতের বরুয়া এলাকায় স্বদেশ প্রপার্টি ও আশিয়ান সিটির নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। নিহতের মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতালে রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থল এবং হাসপাতালে আমাদের পুলিশ সদস্যরা গিয়েছেন। নিহতের মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে আইননানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’


অনশন স্থগিত করে সচিবালয় ছাড়লেন জবি শিক্ষার্থীরা, চলবে শাটডাউন

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দাবি মেনে নেয়ার ‘আশ্বাস’ দিলে সচিবালয় ছাড়ার সময় তারা অনশন স্থগিত করার ঘোষণা দেন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

অনশন স্থগিত করে সচিবালয়ের সামনে থেকে সরে এসেছেন আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের ‘ক্যাম্পাস শাটডাউন’ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দাবি মেনে নেয়ার ‘আশ্বাস’ দিলে সচিবালয় ছাড়ার সময় তারা অনশন স্থগিত করার এ ঘোষণা দেন।

সন্ধ্যা ৭টায় মন্ত্রণালয় থেকে লিখিত বক্তব্য হাতে পান অনশনরত শিক্ষার্থীরা।

এসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে একেএম রাকিব বলেন, মন্ত্রণালয় আমাদের লিখিত দিয়েছে। তারা বলেছেন বুধবার মিটিংয়ে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করা হবে। মন্ত্রণালয় শিক্ষার্থীদের জন্য বাণী ভবন ও আরও একটি ভবন নির্মাণ করতে বরাদ্দ দিবে।

তিনি আরও বলেন, কমপ্লিট শাটডাউনের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনসহ সকল ক্লাস ভবন বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস হবেনা। বুধবার আমাদের দাবি পুরোপুরি ভাবে মেনে নেওয়া হয়েছে জানার পর আমরা ক্লাসে ফিরে যাবো। অনশন কর্মসূচি শেষ করলেও বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন কর্মসূচি চালু থাকবে বলে জানান তিনি।

এর আগে কয়েক দফা দাবি আদায়ে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিকেলে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে তারা যাত্রা শুরু করেন। এ সময় অনশনকারী অসুস্থ শিক্ষার্থীরা রিকশায় এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা পায়ে হেঁটে যাত্রা করেন।

এর আগে, সোমবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিকে ‘অস্পষ্ট’আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীরা তা সংশোধনের দাবি জানান। একইসঙ্গে দাবি পূরণে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি না এলে সচিবালয়ে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা।

সে সময় অনশনকারী শিক্ষার্থীদের একজন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং ‘জাস্টিস ফর জুলাই’ এর আহ্বায়ক সজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের চিঠিটি অনেকটাই অস্পষ্ট। তাই আমরা একটা সুনির্দিষ্ট রূপরেখার মাধ্যমে সংশোধিত চিঠি চাই। যেখানে উল্লেখ থাকতে হবে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের চুক্তি স্বাক্ষর করা; সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতা ব্যতিরেকে কার্য সম্পাদনের দায় নিয়ে বাণী ভবন ও হাবিবুর রহমান ভারে স্টিল বেইজড ভবনে নির্মাণ অনুমোদন ও বাজেট পাশ করতে হবে। এ ছাড়া ২০২৫-২৬ অর্থবছর আসার পূর্বেই জরুরি ভিত্তিতে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা আগামী ফেব্রুয়ারি থেকেই প্রদানের ঘোষণা দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী বুধবারের সভার সিদ্ধান্তসমূহ লিখিত আকারে না আসা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শাটডাউনের আওতাভুক্ত থাকবে।’

পদযাত্রায় অংশ নেওয়া এবং অনশনরত ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘আল্টিমেটাম অনুযায়ী নবায়ন করা চিঠি না আসায় আমরা সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করি। সচিবালয়ের ফুটপাতে আমরা আমাদের অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’

এদিকে, আগামী বুধবার দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, ‘ইউজিসি থেকে চিঠি মন্ত্রণালয়ে গেছে। বুধবার সভা নির্ধারিত হয়েছে। সভায় সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা হবে এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হস্তান্তর হবে। সেনাবাহিনীকে কাজ দেওয়ার ব্যাপারে আমরা ইউজিসির সঙ্গে আগেই কমিটমেন্ট ছিলাম।’

উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলেই আমাদের এ কার্যক্রম আরও সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। মিটিংয়ে প্রকল্পের অবস্থাও বিশ্লেষণ করা হবে। তারপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সভায় আমরা বিবিধের সেক্টরে আমাদের দাবির অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে দিতে শিক্ষা মন্ত্রনালয়, ইউজিসি ও সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আগামী বুধবার বৈঠক হবে বলে জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন। ওই বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান তিনি।

এ সিদ্ধান্ত আসার পরও অনশন কর্মসূচি বন্ধ করেননি শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তরের বিষয়ে আলোচনা করতে সচিবালয়ে বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব আহমেদ শিবলী।

তিনি জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ বিভাগের আওতাধীন ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন, ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির সভা আগামী ১৫ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব সিদ্দিক জোবায়েরের সভাপতিত্বে এ বিভাগের সভাকক্ষে (কক্ষ নম্বর- ১৮১৫, ভবন-৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা) অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচ্যসূচি হিসেবে বলা হয়েছে, প্রকল্পের কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর; অগ্রগতি পর্যালোচনা; এবং বিবিধ। এছাড়া নোটিশে উক্ত সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার বা প্রতিনিধি প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।


দাবি আদায়ে জবি শিক্ষার্থীদের সচিবালয় ঘেরাও, চলবে অনশন

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সচিবালয়ের ফুটপাতে অনশন চালিয়ে যাবেন জবি শিক্ষার্থীরা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর ও অস্থায়ী আবাসনের দাবিতে সচিবালয়ের ঘেরাও করে রেখেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সচিবালয়ের ফুটপাতে অনশন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

আজ সোমবার বিকেলে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে তারা যাত্রা শুরু করেন। এ সময় অনশনকারী অসুস্থ শিক্ষার্থীরা রিকশায় এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা পায়ে হেঁটে যাত্রা করেন।

এর আগে, সোমবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিকে ‘অস্পষ্ট’আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীরা তা সংশোধনের দাবি জানান। একইসঙ্গে দাবি পূরণে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি না এলে সচিবালয়ে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা।

সে সময় অনশনকারী শিক্ষার্থীদের একজন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং ‘জাস্টিস ফর জুলাই’ এর আহ্বায়ক সজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের চিঠিটি অনেকটাই অস্পষ্ট। তাই আমরা একটা সুনির্দিষ্ট রূপরেখার মাধ্যমে সংশোধিত চিঠি চাই। যেখানে উল্লেখ থাকতে হবে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের চুক্তি স্বাক্ষর করা; সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতা ব্যতিরেকে কার্য সম্পাদনের দায় নিয়ে বাণী ভবন ও হাবিবুর রহমান ভারে স্টিল বেইজড ভবনে নির্মাণ অনুমোদন ও বাজেট পাশ করতে হবে। এ ছাড়া ২০২৫-২৬ অর্থবছর আসার পূর্বেই জরুরি ভিত্তিতে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা আগামী ফেব্রুয়ারি থেকেই প্রদানের ঘোষণা দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী বুধবারের সভার সিদ্ধান্তসমূহ লিখিত আকারে না আসা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শাটডাউনের আওতাভুক্ত থাকবে।’

পদযাত্রায় অংশ নেওয়া এবং অনশনরত ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘আল্টিমেটাম অনুযায়ী নবায়ন করা চিঠি না আসায় আমরা সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করি। সচিবালয়ের ফুটপাতে আমরা আমাদের অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’

এদিকে, আগামী বুধবার দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, ‘ইউজিসি থেকে চিঠি মন্ত্রণালয়ে গেছে। বুধবার সভা নির্ধারিত হয়েছে। সভায় সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা হবে এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হস্তান্তর হবে। সেনাবাহিনীকে কাজ দেওয়ার ব্যাপারে আমরা ইউজিসির সঙ্গে আগেই কমিটমেন্ট ছিলাম।’

উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলেই আমাদের এ কার্যক্রম আরও সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। মিটিংয়ে প্রকল্পের অবস্থাও বিশ্লেষণ করা হবে। তারপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সভায় আমরা বিবিধের সেক্টরে আমাদের দাবির অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে দিতে শিক্ষা মন্ত্রনালয়, ইউজিসি ও সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আগামী বুধবার বৈঠক হবে বলে জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন। ওই বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান তিনি।

এ সিদ্ধান্ত আসার পরও অনশন কর্মসূচি বন্ধ করেননি শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তরের বিষয়ে আলোচনা করতে সচিবালয়ে বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব আহমেদ শিবলী।

তিনি জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ বিভাগের আওতাধীন ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন, ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির সভা আগামী ১৫ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব সিদ্দিক জোবায়েরের সভাপতিত্বে এ বিভাগের সভাকক্ষে (কক্ষ নম্বর- ১৮১৫, ভবন-৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা) অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচ্যসূচি হিসেবে বলা হয়েছে, প্রকল্পের কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর; অগ্রগতি পর্যালোচনা; এবং বিবিধ। এছাড়া নোটিশে উক্ত সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার বা প্রতিনিধি প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।


banner close