ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অংশীজন কর্তৃপক্ষ-সংস্থা যথার্থ দায়িত্ব পালন করছে না বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ বুধবার দুপুরে টিকাটুলির শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ে ‘বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম’ পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মেয়র তাপস বলেন, ‘নিয়মিতভাবে সকালে-বিকালে আমাদের মশককর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। অ্যাডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসের মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে আমরা গত মে মাসে সব সংশ্লিষ্ট সংস্থা, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। দিক-নির্দেশনা দিয়েছি। মন্ত্রণালয় থেকেও সভা করে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজ এখানে পরিদর্শনে এসে দেখলাম, আমরা সংশ্লিষ্ট অংশীজন, কর্তৃপক্ষ, সংস্থার সঙ্গে মতবিনিময় করে যে দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিই, সে অনুযায়ী তারা কাজ করছে না। যে নির্দেশনা দেওয়া হয় তা সঠিকভাবে পরিপালন হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে নির্মাণাধীন যে শিক্ষা ভবন রয়েছে, তার বেহাল দশা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, কর্তৃপক্ষের কোনো কর্মকর্তা এখানে নেই। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট অংশীজন কর্তৃপক্ষ-সংস্থা যথার্থ দায়িত্ব পালন করছে না। যার ফলে আমাদের জন্য কাজ করা দুরূহ হয়ে পড়ছে।’
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট অংশীজন সংস্থা-কর্তৃপক্ষকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমি আশা করি, গণমাধ্যমের মাধ্যমে তারা বিষয়টি অনুধাবন করবে। তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করবে, নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান নিজেরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবে। পানি জমতে দেবে না। নিয়মিত জমা পানি ফেলে দেবে। এ জন্য ব্লিচিং পাউডার, কেরোসিন, লার্ভিসাইডিং, অ্যাডাল্টিসাইডিং- যা যা প্রয়োজন তা আমরা দিতে প্রস্তুত। আমাদের জানানোর সঙ্গে সঙ্গে কর্মিবাহিনীর মাধ্যমে সহযোগিতা করা হবে। কিন্তু তাদের সে দায়িত্ব অবশ্যই নিতে হবে।’
অ্যাডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে করপোরেশনের সামষ্টিক কার্যক্রমের সুফল ঢাকাবাসী পাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা আমলে নিয়ে মশক নিধন কার্যক্রমকে আমরা আরও জোরদার করেছি। আমরা ইতোমধ্যে সব হাসপাতাল, পুলিশ ফাঁড়ি-থানায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। এখন সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মহাবিদ্যালয়ের স্থাপনা ও এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছি। ফলে, গত বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত রোগীর যে সংখ্যা ছিল, এবার তার চেয়ে অনেক কম রাখতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের এসব কার্যক্রমের সুফল ঢাকাবাসী পাচ্ছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের রোকন উদ্দিন আহমেদ, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সারোয়ার হাসান আলো, সংরক্ষিত আসনের লাভলী চৌধুরীসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
রাজধানীর সবুজবাগের ঝিলপাড় জামে মসজিদ এলাকায় সোহেল মিয়া (৩৮) নামে এক প্রাইভেটকারের মালিককে হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলার প্রধান আসামি মো. নাসিরুজ্জামান রুবেলকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) র্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি মো. শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ৩১ অক্টোবর দুপুরে সোহেল ঝিলপাড় এসএসও নামে একটি অটোমোবাইল ওয়ার্কশপে গাড়ি মেরামতের কাজ করাতে গিয়েছিলেন।
শামীম হোসেন জানান, গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে যৌথ অভিযান চালিয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থেকে র্যাব-৩ ও র্যাব-১১ এর সদস্যরা মো. নাসিরুজ্জামান রুবেলকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি জানান, গত ৩১ অক্টোবর সবুজবাগ থানার ঝিলপাড় জামে মসজিদ সংলগ্ন এসএসও অটোমোবাইলস ওয়ার্কশপে প্রাইভেটকার মেরামত করাতে গিয়েছিলেন সোহেল মিয়া। এ সময় তাকে হত্যা করা হয়। তারপর মরদেহ যাত্রাবাড়ী থানাধীন হানিফ ফ্লাইওভারের ওপরে ফেলে রাখা হয়। পরে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে এ ঘটনায় রুবেল জড়িত বলে জানা যায়। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিনি প্রধান আসামি।
গ্রেপ্তার রুবেলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে তিনি জানান, গত ৩১ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে সোহেল মিয়া নিজের প্রাইভেটকার মেরামতের জন্য ওই অটোমোবাইলস ওয়ার্কশপে নিয়ে যান। তখন ওয়ার্কশপটির মালিক মো. নাসিরুজ্জামান রুবেল আগের পাওনা ২ লাখ টাকা সোহেলের কাছে চাওয়ায় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সোহেলের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন রুবেল। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলেই সোহেল মিয়া মারা যান। হত্যাকান্ডের বিষয়টি রুবেল স্বীকার করেছেন।
র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, সোহেলের মরদেহ গুম করার জন্য রুবেল হানিফ ফ্লাইওভারের ওপরে ফেলে পালিয়ে যান। গত ১ নভেম্বর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ সোহেলের মরদেহ উদ্ধারের পর পরিচয় নিশ্চিত করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শারমিন সুলতানা বাদী হয়ে সবুজবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার পর আসামি বার বার স্থান পরিবর্তন করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আল শাহরিয়ার হোসেন হত্যা মামলাসহ ১৫ মামলার এজাহারনামীয় আসামি আমিনুল ইসলাম ওরফে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ সোমবার ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মোহাম্মদপুর থানার বরাতে তিনি জানান, ভিকটিম আল শাহরিয়ার হোসেন হত্যার ঘটনায় তার বাবা মো. মনির হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩ সেপ্টেম্বর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় হাজার হাজার ছাত্র-জনতা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ শুরু করে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ভিকটিম আল শাহরিয়ার হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
তদন্তাধীন এ মামলায় গোয়েন্দা তথ্য ও ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আল শাহরিয়ার হোসেন হত্যায় জড়িত আমিনুল ইসলাম ওরফে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গ্রেপ্তার আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদকসহ ১৫টি মামলা রয়েছে। এছাড়া তিনি শাহবাগ থানার একটি চুরি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।
রাজধানীর অভিজাত শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কের পঞ্চম তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আরমান হোসেন (১৮) নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে পৌনে ৪টার দিকে যমুনা ফিউচার পার্কের পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আরমান। পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরমানের চাচাতো ভাই মো. রোকন বলেন, আরমানের বন্ধু স্বাধীন বিদেশ যাওয়া উপলক্ষে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে যমুনা ফিউচার পার্কে যায় রোববার বিকেলে। সঙ্গে আরমানকে নিয়ে যায়। আরমানকে বাইরে বসিয়ে স্বাধীন ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে ভেতরে ঢুকে। এর কিছুক্ষণ পর আরমান স্বাধীনকে ফোন দিয়ে বলে, আমাকে আর পাবি না বন্ধু। আমার মামাতো ভাই রুবেলকে বলিস আমার মাকে দেখে রাখতে। তারপর ফোন কেটে দেয় আরমান। পরে সে পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে বলে জানতে পেরেছি। তবে কী কারণে সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে সে বিষয়ে আমাদের কিছুই জানা নেই।
তিনি আরও বলেন, তাদের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মশাদিয়া গ্রামে। আরমান পরিবারের সঙ্গে রামপুরার হাজীপাড়ায় থাকত। আরমান নতুনবাজারে মামা ইলিয়ান তালুকদার রানার ভাতের হোটেলে কাজ করত আগে। তবে বেশ কিছুদিন ধরে বাবা রেনু মিয়ার ভাঙারির দোকানে কাজ করছিল। চার ভাই তিন বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিল আরমান। আরমানের মা বেশ অসুস্থ। বেশ কয়েক দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বর্তমানে বাসায় আছে।
ভাটারা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ও ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, ওই দিন বিকেলে যমুনা ফিউচার পার্কের পঞ্চম তলা থেকে ওই তরুণ লাফিয়ে নিচে পড়ে। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সোমবার সকালে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় ভাটারা থানা-পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, ডিপ্রেশন থেকে এমনটি হতে পারে। এ ছাড়া অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না তা তদন্ত ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে।
রাজধানীর উত্তরায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন খানের বাসায় অভিযান পরিচালনা করেছে যৌথবাহিনী। এ সময় তার বাসা থেকে নগদ এক কোটি টাকা ও ১১টি আইফোন জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে আমজাদ হোসেন ও তার ছেলেকে।
গোয়েন্দা তথ্যে গতকাল রোববার রাতে উত্তরা-১১ নম্বর সেক্টরের ৩৩ নম্বর বাড়িতে যৌথবাহিনী এ অভিযান চালায়। আজ সোমবার সকালে উত্তরা পশ্চিম থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ও তার ছেলে থানায় গ্রেপ্তার আছেন। রোববার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়েছে।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, উত্তরা-১১ নম্বর সেক্টরের ৩৩ নম্বর বাড়িতে যৌথ অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে রাত ১০টায় শুরু হয় অভিযান। অভিযানে বাসাটি থেকে নগদ এক কোটি সাড়ে ৯ লাখ টাকা, বেশকিছু বৈদেশিক মুদ্রা, ১১টি আইফোন এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মূল্যবান ঘড়ি জব্দ করা হয়। পরে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে কর্মরত অবস্থায় অবসরে যান আমজাদ হোসেন খান। তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুর সদরে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বগুড়ার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পলাতক আসামি মিজানুর রহমান রাংঙ্গাকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১। শনিবার বিকেল ৫টার দিকে তাকে রাজধানীর বড্ডা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাতে র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি মো. মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে বগুড়া ট্রাক বন্দোবস্তকারী সমিতির কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মিজানুর রহমান কয়েকজনের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় যুবদলের বহিস্কৃত আহবায়ক সুমন আহমেদ ওরফে বিপুলের নেতৃত্বে ১৮/২০ জন মোটরসাইকেলে এসে মিজানুর রহমানকে কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাত ১০ টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।।
অপরদিকে নিহত মিজানুর রহমানকে হামলার সময় হামলাকারী সুমনের চাচাতো ভাই ল্যাদোকে স্থানীয়রা আটক করে গণধোলাই দেয়। সেনা ও পুলিশ সদস্যরা এসে তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। নিহত মিজানের সমর্থকরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এসে ল্যাদোর ওপর আবারও হামলা করে। রাত ১১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ল্যাদোকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোছা. সালমা আকতার (নিশা) গত ১৩ সেপ্টেম্বর বগুড়া সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় আসামীদের গ্রেপ্তারে র্যাব-১ এর সিপিসি-২ বিষয়টি আমলে নিয়ে ছায়া-তদন্ত শুরু করে।
তিনি আরও জানান, গত শনিবার গোপন সংবাদে জানা যায়, মামলার আসামি মিজানুর রহমান রাঙ্গা বাড্ডা এলাকায় অবস্থান করছেন। পরে তাক গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামী হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন। তার নামে হত্যা, বিস্ফোরক, মাদকসহ চারটি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর গুলিবর্ষণকারী শরীয়তপুরের জাজিরা থানার বিলাশপুর ইউনিয়নের সাবেক যুবলীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এম. এ. জলিলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০। শনিবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে শাহবাগের আলপনা টাওয়ার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জলিল মাদবর বা বোমা জলিল নামেও পরিচিত।
সন্ধ্যায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১০ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) ও সিনিয়র এএসপি তাপস কর্মকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ৫ আগস্ট ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার বিভিন্ন এলাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা শান্তিপূর্ণভাবে কোটা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করছিল। ওই সময় বেশকিছু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র, রাম দা, চাপাতি, হকি স্টিক এবং লাঠি-সোটাসহ আন্দোলনকারী নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর এলোপাথাড়ি আক্রমণ করে।
এ ঘটনায় গত ২০ সেপ্টেম্বর আহত ও নিহতদের পরিবার ছাত্র-জনতার উপর গুলি বর্ষণ করে হত্যার অভিযোগে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় শরিয়তপুরের জাজিরা থানার বিলাশপুর ইউনিয়নের সাবেক যুবলীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এম. এ. জলিল ওরফে জলিল মাদবর ওরফে বোমা জলিলসহ ১৪৮ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০০/৩০০ জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়।
তাপস কর্মকার জানান, এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ একটি আধিযাচন পত্র পাঠায়। এ প্রেক্ষিতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উল্লখিত ঘটনায় নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণকারী কুখ্যাত সন্ত্রাসী মাতবর জলিলকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। পরে শনিবার তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামী উল্লেখিত ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্তার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এছাড়া জলিলের বিরুদ্ধে শরীয়তপুরের জাজিরা থানায় নাশকতা ও হত্যা চেষ্টাসহ মোট ১৪টি মামলা রয়েছে। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।
রাজধানীর উত্তরায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে লাবলু মিয়া হত্যা মামলায় এক ছাত্রলীগ নেতা ও এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন, উত্তরা এক নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মাহিয়ানুল হক অর্চি (২৭) ও আওয়ামী লীগ কর্মী মো. হারেজ উদ্দিন (৪২)। গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
আজ শনিবার বিকেলে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার বরাতে তিনি জানান, ভিকটিম লাবলু মিয়া হত্যার ঘটনায় ২২ আগস্ট উত্তরা পশ্চিম থানায় হত্যা মামলা করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ৫ আগস্ট উত্তরার বিভিন্ন সড়কসহ তিন নম্বর সেক্টরের রবীন্দ্র সরণি এলাকায় আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা অবস্থান করছিল। এ সময় তাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ ও গুলিবর্ষণ শুরু করে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ভিকটিম লাবলু মিয়া মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ লাবলুকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, তদন্তাধীন এই মামলায় গোয়েন্দা তথ্য ও ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে লাবলু মিয়া হত্যায় জড়িত হারেজ উদ্দিন ও মাহিয়ানুল হক অর্চিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। লাবলু মিয়া হত্যা মামলায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় গত অক্টোবর মাসে ৭৮ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির বিমানবন্দর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মনিরুজ্জামান (৩৪), মো. দুঃখু মিয়া (৩০), মো. জাহাঙ্গীর গাজী (৫৫), মো. আমিনুল ইসলাম (৩০), মো. রাকিব (২৩), মো. মহসিন (৪৬), মো. ইসমাইল হোসেন ওরফে কালু (৩৭), মো. সোহাগ (২৫), মো. আকাশ ইসলাম (২৬), মো. কাউসার (৩৩), মো. সহিদ (৪১), মো. তাজুল ইসলাম (৪২), মো. ইকবাল হোসেন (৩০), মো. রানা (২৩), মো. শরীফ (২৯), মো. মারুফ আকমল সজীব (১৮), মো. হিরা(২১), মো. আলফাজ হোসেন জনি (৩৯), রুবেল(২৫), মো. লিটন(২০), মো. খোকন (৩৮), মো. মানিক (৪১), মো. আমিনুর রহমান (৩২), মো. মনি মিয়া (৩৫), মো. শাহাদাত হোসেন(৩২), মো. খোকন (৩৮), মো. মাসুদ শেখ(৩০), মো. মনির(২১), মো. শাহিন মিয়া (২৪), মো. সেলিম ইসলাম (২২), মো. রনি (২২), মো. সজিব মন্ডল (২৯), মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম (২২), মো. রাসেল (২৮), মো. রিফাত (১৮), মো. হাসান (২৯), জয়নাল উদ্দীন মিঠু (৪১), মো. জয় (২২), মো. হৃদয়(২৫), সুমন মিয়া(৩৮), বাবু শেখ (৪৪), মো. সোহেল ওরফে মুরগী সোহেল (২১), রাজা হোসেন বিশাল (১৯), মো. দুলু মিয়া (৩২), মো. সোহাগ মিয়া (২৭), মো. মুন্না(২৩), মো. ইমরান শেখ (২৩), ইখলাছ পালন (৩০), মো. রাকিব ওরফে সোহেল (২৩), মো. মমিন (৫৭), মো. ইসমাইল হোসেন (১৮), মো. ইসমাইল হোসেন (৩৪), মো. রফিকুল ইসলাম (৩৫), মো. নূর আলম (২৮), মো. রাজু আহমেদ ওরফে জাহিদ (৩১), অন্তর মিয়া (২১), গোলাম নবী (৩২), মো. কামরুল শরীফ (২১), মো. মারুফ সুমন (২১), মো. কাউসার (২২), মো. সাব্বির হোসেন (২২), মো. জুয়েল (২২), মো. মিন্টু (৩৫), মো. আজিজুল হক (৩৬), মো. রাসেল ঢালী (২৭), মোরশেদ (২৬), মো. সাব্বির হোসেন (২৩), মো. সানোয়ার হোসেন (৪০), মো. স্বপন আলী (২৭), মো. নাহিদ (২১), মো. নুরুজ্জামান (৪৮), মো. লাবু মিয়া (৩৯), আব্দুর রাজ্জাক (৪৩), আলী আকবর (৩২), মো. হৃদয় মঞ্জিল (২১), মো. সাকিব (২২), মো. জয় (২২) ও মো. সুমন ওরফে সুমন আলী ওরফে মনিরুজ্জামান সুমন সরদার (২১)।
আজ শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিমানবন্দর থানার বরাত দিয়ে তিনি জানান, গত অক্টোবর মাসে বিমানবন্দর গোলচত্বর এলাকাসহ বিমানবন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় পথচারী ও বিদেশগামী যাত্রীদের মূল্যবান মালামাল ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় বিভিন্ন সময়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছিনতাই প্রতিরোধে গোলচত্বর এলাকাসহ থানাধীন বিভিন্ন জায়গায় বিমানবন্দর থানা পুলিশের বিশেষ টিম নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেছে।
ডিসি আরও জানান, গ্রেপ্তাররা প্রায় প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেছেন।
রাজধানীর ৩০০ ফিট সড়কে যান চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে যৌথ অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। অভিযানে ১১৯টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা ও দুই লাখ ৭০ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এই অভিযান চালানো হয়।
শুক্রবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, ১ নভেম্বর রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় অবৈধ গাড়ি পার্কিং, লাইসেন্সবিহীন গাড়িচালক, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো, হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালানো এবং অবৈধ লাইসেন্সের বিরুদ্ধে উত্তরা আর্মি ক্যাম্প, ট্রাফিক পুলিশ এবং ক্ষিলখেত থানা পুলিশ ৩০০ ফিট মহাসড়কে একটি চেকপোস্ট স্থাপন করে। যৌথ অভিযানে ১১৯টি মামলা হয় এবং দুই লাখ ৭০ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া চারটি গাড়ি জব্দ করা হয়। মাদকদ্রব্য বহনের জন্য একজনের বিরুদ্ধে ক্ষিলখেত থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছে আইএসপিআর।
জাতীয় পার্টির সমাবেশের দিন আগামীকাল শনিবার রাজধানীর কাকরাইলসহ আশপাশ এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে ডিএমপি।
ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নম্বর ১১১-৭৬)–এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামীকাল শনিবার পাইওনিয়ার রোডের ৬৬ নম্বর ভবন, পাইওনিয়ার রোড, কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হলো।
এদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, মহাসচিবসহ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় কাকরাইলে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। এতে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সভাপতিত্ব করার কথা। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ব্যানারে প্রথমে হামলা ও পরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। জাতীয় পার্টি জানায়, ওই সময় নেতা-কর্মীরা শনিবারের সমাবেশের প্রস্তুতি সভা করছিলেন।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ওই হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও আগামীকাল শনিবার কাকরাইলে জাতীয় পার্টি সমাবেশ করবে।
এদিকে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে গণপ্রতিরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা। জানা গেছে, এ অবস্থায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএমপি।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজির দাম বাড়তি থাকার পর মাঝে কিছুটা কমেছে বলা হলেও সেই দাম খুব বেশি কমেনি। এখনো বাজারে ৮০ টাকার ঘরেই বেশিরভাগ সবজির দাম। অন্যদিকে আগের মতো বাড়তি দামই রয়ে গেছে মাছের বাজারে। দীর্ঘদিন ধরে সব ধরনের মাছই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে বাজারের সবজি ও মাছের দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ছোট সাইজের ফুলকপি প্রতিটি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, বাঁধাকপিও প্রতিটি ৫০ টাকা। এছাড়া লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সবচেয়ে বেশি দামি সবজির তালিকায় রয়েছে শিম, গাজর আর টমেটো। গাজর প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, টমেটো ১৬০ টাকা। গোল বেগুন, কাঁকরোলের কেজিও ১০০ টাকার ঘরে। এছাড়া চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কচুর লতির কেজি ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৭০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, কচুর মুখি ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে শুল্ক কমানোর সুপারিশ করা হলেও কমেনি চালের দাম। ৫৪ টাকার নিচে মিলছে না মোটা চাল। সরু চালের কেজি ৭০ টাকার ওপরে। বাজারে সবজির দাম বিষয়ে মালিবাগ বাজারের ক্রেতা বেসরকারি চাকরিজীবী খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘সবাই বলে সবজির দাম কমেছে কিন্তু বাজারে এসে দেখি সবগুলোর দামই বাড়তি। তবে দুই তিন সপ্তাহ আগে ১২০ টাকার ঘরে যেসব সবজি ছিল সেগুলো ১০০ টাকায় নেমেছে। কিন্তু এত দামেও কি সবজি কেনা সম্ভব? দাম কমেছে দেখা যায় শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিন্তু বাজারে আসলে চিত্র উল্টো।’ সবজির দামের বিষয়ে রাজধানীর শান্তি নগর এলাকার সবজি বিক্রেতা সোহেল আহমেদ বলেন, দুই তিন সপ্তাহ আগে সবজির দাম আরও বাড়তি ছিল। কিছুদিন হলো সেসবের দাম কিছুটা কমেছে। আসলে অনেক সবজির মৌসুম এখন শেষের দিকে, শীত পড়লে নতুন সবজি উঠবে তখন দাম কমে আসবে। আজকের বাজারে সবজির মধ্যে সবচেয়ে কম দামে রয়েছে পেঁপে, যার কেজি ৪০ টাকা। আর দাম বেশির তালিকায় রয়েছে শিম, গাজর, গোল বেগুন আর কাঁকরোল। অন্যদিকে বাজারে সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই বাড়তি দামেই আটকে রয়েছে রাজধানীর মাছের বাজার। বাজারে প্রতি কেজি পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, কাতল ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা, চাষের কই ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, গলসা কেজি ৬০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া পাবদা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, রুই ৩৬০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০ টাকা, রূপচাঁদা ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি। গত সপ্তাহের মতোই ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে সোনালি মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিডের কেজি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩১০ টাকা ও সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা। এসব বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসির মাংসের কেজি এক হাজার ১৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা।
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি ওরফে ‘ইয়াবা বদি’র ম্যানেজার ও টেকনাফ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাফরকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাজধানী ঢাকার পূর্ব বাসাবো এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩ ও র্যাব-১৫ এর অভিযানিক দল।
আজ শুক্রবার দুপুরে র্যাব-১৫-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তার জাফরকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২০ আগস্ট চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকা থেকে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এরপর গত ২ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশের জেদ্দাগামী একটি ফ্লাইট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বদির ক্যাশিয়ার সালাহউদ্দিনকে।
দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল ভ্রমণের নিজস্ব কার্ড ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পাসের নতুন রেজিস্ট্রেশন সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। একই সঙ্গে নষ্ট থাকা কার্ডগুলো নবায়নও বন্ধ থাকবে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ডিএমটিসিএলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত কার্ড রেজিস্ট্রেশন এবং পুনরায় ইস্যু করার সুবিধা বন্ধ থাকবে। সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। বর্তমানে মেট্রোরেল শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলাচল করছে। শুধু শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলাচল করে।