মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বিকেল সাড়ে ৫টার পর পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে মেট্রোরেল

ফাইল ছবি
আপডেটেড
১৮ জুলাই, ২০২৪ ১৭:৪৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৮ জুলাই, ২০২৪ ১৭:৪৪

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জরুরি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সর্বশেষ মেট্রো ট্রেন ছেড়ে যাবে মতিঝিল থেকে। এরপর আর কোনো ট্রেন এদিন চলবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত জননিরাপত্তার স্বার্থে মতিঝিল মেট্রোরেল স্টেশন থেকে সর্বশেষ মেট্রো ট্রেন বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এরপর আজ আর কোনো মেট্রো ট্রেন চলাচল করবে না।

মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া মেট্রোরেল স্টেশন বন্ধ রয়েছে। যাত্রীসাধারণের সাময়িক অসুবিধার জন্য মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

কোটা সংস্কারসহ আন্দোলনে হামলার বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী কমপ্লিট শাটডাউন পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে কয়েজনের প্রাণও গেছে।


বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা: ঢাবিতে বিক্ষোভ

যোগ দিয়েছেন জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরাও
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০১:৪৬
ঢাবি প্রতিনিধি

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এই সমাবেশে যোগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরাও।

সোমবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজৃ ভাষ্কর্যের পাদদেশে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ একাধিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও অ্যাক্টিভিস্ট জাহিদ আহসান বলেন, ‘আগরতলায় হাইকমিশনে হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, ভারতের সঙ্গে খেলা হবে সমানে সমান। কোনো রাজা-প্রজার সম্পর্ক থাকবে না। শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে আমরা ভারতের আধিপত্য মেনে নেব না।’

সমাবেশের এক পর্যায়ে সেখানে মিছিল নিয়ে যোগ দেন জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা 'হিন্দু মুসলিম ঐক্য করো, বাংলাদেশ রক্ষা করো', 'ভারতীয় আগ্রাসন, চলবে না চলবে না', 'দূতাবাসে হামলা, জগন্নাথ হল মানবে না' ইত্যাদি স্লোগান দেন। এসময় বাকি শিক্ষার্থীরা হাততালি দিয়ে তাদের স্বাগত জানান।

জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থী জয় পাল বলেন, ‘ধর্ম, বর্ণ জাত-পাত নির্বিশেষে আমরা সকলেই বাংলাদেশী। এটাই আমাদের একমাত্র পরিচয়। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা সকলেই এক। বাংলাদেশের সনাতনীসহ সকল নাগরিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের একসাথে রুখে দাঁড়াতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসে যে হামলা হয়েছে সেটির বিরুদ্ধে শুধু জগন্নাথ হল নয়, সকলের উচিত প্রতিবাদ জানানো। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপে আমাদের উদ্দেশ্য বলা হয়, আমরা নাকি ভারতের দালাল। আমরা যদি ভারতের দালালি হতাম তাহলে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সংহতি জানাতে আমরা এখানে আসলাম কেন?’

পরবর্তীতে এই ধরণের বক্তব্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের যেন বিভাজন না করা হয় সে ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকারও অনুরোধ জানান জয় পাল।

ছাত্রদলের প্রতিবাদ

এদিকে ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলা এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি মমতা ব্যানার্জির কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত উসকানিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারত সরকার ভিয়েনা কনভেনশনের বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী কূটনীতিকদের সুরক্ষা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সহিংস ঘটনার সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্লিপ্ত অবস্থান উক্ত ঘটনার পেছনে কর্তৃপক্ষের মৌন সম্মতির স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে। বিগত ২৮ নভেম্বরে কলকাতায়ও একই ধরণের সহিংস ঘটনা ঘটেছে, যা একটি বিপজ্জনক পরম্পরা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশী কূটনীতিকদের পূর্ণ নিরাপত্তা প্রদান, হামলার ঘটনার যথাযথ তদন্তপূর্বক দায়ীদের চিহ্নিত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাস্তি নিশ্চিতকরণ এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য ভারত সরকার ও রাজনীতিকদের প্রতি আহবান জানান ছাত্রদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক।


ছবিতে ফুটে উঠল ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান

ঢাকাস্থ ইএমকে সেন্টারে ‘বাংলাদেশ পুনর্জন্ম : ৩৬ জুলাইয়ের পথে’ শিরোনামে চিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন দর্শনার্থীরা। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের ইতিহাসে ২৪-এর জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাস। এই সময়ে বাংলাদেশের নতুন করে জন্ম হয়েছে। যে জন্মের সাক্ষী এ দেশের কোটি কোটি মানুষ। এই গণঅভ্যুত্থানের ছবিগুলো তাদের হৃদয়ে স্মৃতি তথা ইতিহাস হয়ে থাকবে সারাজীবন। বিভিন্ন সংবাদকর্মী ও ফটো সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষের আলোকচিত্র ও ভিডিওতে বহন করবে জুলাই-আগস্টের উত্তাল সময়গুলো। ইতিহাস বহন করা ছবিগুলো নিয়ে তেমনি এক স্মরণীয় ছবি প্রদর্শনী শুরু হয়েছে রাজধানীতে।

সোমবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে কাজ করা বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম) কর্তৃক ঢাকাস্থ ইএমকে সেন্টারে ‘বাংলাদেশ পুনর্জন্ম: ৩৬ জুলাইয়ের পথে’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়।

বিজেআইএমের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এ প্রদর্শনীর বিষয়বস্তু হচ্ছে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বাংলাদেশের ছাত্রজনতার বিপ্লব, যার ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের পতন।

মুক্তাদির রশীদ রোমিওর সঞ্চালনায় ছবি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনীর একমাত্র সন্তান মাহির সারওয়ার মেঘ।

মাহির সারওয়ার মেঘ বলেন, ‘আমি আমার মা-বাবা হত্যার বিচার চাই। শুধু সাংবাদিকতা করার কারণে আমি তাদেরকে হারিয়েছি। নতুন বাংলাদেশে আমি আমার মা-বাবা হত্যার বিচার চাই।’

অনুষ্ঠানে বিজেআইএমের আহ্বায়ক স্যাম জাহান বলেন, ‘ন্যায়, নীতি, সত্য ও সাহসের পথে যতদিন সাংবাদিকতা থাকবে, সাংবাদিকরা থাকবেন; ততদিন আর কোনো দৈত্যদানো এই জাতির ঘাড়ের ওপর চড়ে বসতে পারবে না।’

অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্টের শহীদদের সম্মানে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান কাভার করা সাংবাদিক জীবন আহমেদ, শরীফ খিয়াম আহমেদ, ইয়ামিন সাজিদ, সাইফ হাসনাত ও মুহাম্মদ আলী মাজেদ সে সময়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।

প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক উপস্থিত ছিলেন।

প্রদর্শনীর সব অংশগ্রহণকারী পেশাদার আলোকচিত্রী না হলেও এর মাধ্যমে সংগঠনটির সদস্য যারা সম্মুখে থেকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লব নিয়ে প্রতিবেদন বা কাজ করেছেন, তারা কিভাবে ঘটনাপ্রবাহগুলো দেখেছেন ও উপস্থাপন করেছেন তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। এ ছাড়া এই অভ্যুত্থানে মুক্ত সাংবাদিকতার কী অবদান ছিল সেই ভাবনার খোরাকও প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেয়েছে।

প্রখ্যাত আলোকচিত্রী এবং বিজেআইএম সদস্য কে এম আসাদ ছবি প্রদর্শনীর কিউরেশান করেছেন। প্রদর্শনীটি আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। তবে ৬ ও ১১ ডিসেম্বর অনিবার্য কারণবশত তা বন্ধ থাকবে বলে আয়োজকদের তরফ থেকে জানানো হয়।

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষা ও বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সব ধরনের নৈতিক সমর্থন দিতে ২০২২ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশ জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম) প্রতিষ্ঠিত হয়। বিগত সময়ে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা বিশেষত সীমাবদ্ধ সংবাদ আইন ও সেন্সরশিপের সময়ে বিজেআইএম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছে।


মৃত নারীর পরিচয় শনাক্তে সহায়তার আহ্বান পুলিশের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

একজন অজ্ঞাত পরিচয় মৃত নারীর পরিচয় শনাক্তে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) শাহ আলী থানা পুলিশ। মৃত নারীর বয়স ৩৫ বছর।

সোমবার শাহআলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান দৈনিক বাংলাকে বলেন, গত রোববার বিকেলে শাহআলী থানার উত্তর বিশিল কুসুমবাগ এলাকার ১ নম্বর রোডের একটি বাড়ির সামনে থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি তোষকে মোড়ানো হাত-পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) জানানো হয়েছে। ছবিতে প্রদর্শিত মৃত নারীর চেহারা দেখে কেউ শনাক্ত করতে পারলে শাহআলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) (০১৩২০-০৪১১৫০), ডিউটি অফিসার (০১৩২০-০৪১১৫৭) বা অফিসার ইনচার্জ (০১৩২০-০৪১১৫০) নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।


হাসপাতালে আসাদুজ্জামান নূর ও তানভীর ইমামের ওপর হামলা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক মন্ত্রী ও নীলফামারী-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) তানভীর ইমাম রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে হেনস্তার শিকার হয়েছেন। কারাবন্দী সাবেক এই মন্ত্রী ও সাবেক এমপি চিকিৎসা নিতে গেলে তাদের ওপর হামলা করে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের আহত শিক্ষার্থীরা।

শনিবার দুপুরে আসাদুজ্জামান নূর বিএসএমএমইউ এর ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগে ফিজিও থেরাপি নিতে গেলে তার ওপর হমলা করা হয় বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আহত ২১ জন বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও এইচ টি ইমামের ছেলে ও সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামকে চিকিৎসার জন্য দুপুরে হাসপাতালে নিয়ে যায় কারা কর্তৃপক্ষ। পরে তাদের হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ সময় চিকিসাধীন জুলাই আগস্টে আহত শিক্ষার্থীরা তাদের দেখে চিনতে পেরে তাদের ওপর হামলা করে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। তারা ছাত্র হত্যাকারী এবং শেখ হাসিনার সন্ত্রাসী বলে চিৎকার করতে থাকেন। পরে পুলিশ ও কর্তব্যরত চিকিৎসক-কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউর রহমানের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করা শর্তে হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা জানান, আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেছি। সেসময় কারা কর্তৃপক্ষ সেখানে উপস্থিত ছিল। আর যেন এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য হাসপাতালটির পরিচালককে ফোন করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর বেইলি রোডের নওরাটন কলোনি থেকে সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে তানভীর ইমামকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০০১ সাল থেকে সংসদে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করেন নূর। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নীলফামারী-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি তিনি সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।


রেষ্টুরেন্ট ব্যবসার টাকা জোগাতে খুন করা হয় প্রবাসী চিকিৎসককে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর হাজারীবাগে (পশ্চিম ধানমন্ডি) নিজ বাসায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক চিকিৎসক এ কে এম আবদুর রশিদকে হত্যার অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- মো.নাইম খান (২২), মো.জাহিদুর রহমান রিফাত (২০) ও মো. আবু তাহের শিকদার ওরফে শাওন (২২)। গতকাল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও খুলনার ডুমুরিয়ার শাহপুর বাজার এলাকা থেকে ওই তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার নাইম খান ও জাহিদুর রহমান ওই বাসার সাবেক ভাড়াটে। তারা রেষ্টুরেন্ট ব্যবসার মূলধন জোগাতে ও বাসা ভাড়া নিয়ে মনোমালিন্যের জেরে ডাকাতি করতে গিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছেন।

আজ শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।

তিনি বলেন, আবদুর রশিদ ও সুফিয়া রশিদ পেশায় চিকিৎসক ও যুক্তরাজ্যপ্রবাসী। তাঁরা প্রতি সেপ্টেম্বরে দেশে এসে নিজেদের বাসায় কয়েক মাস থেকে যুক্তরাজ্যে চলে যেতেন। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়েও যুক্তরাজ্য প্রবাসী।

গত ১৪ নভেম্বর দিনগত রাত আড়াইটার দিকে হাজারীবাগে আবদুর রশিদের বাসায় অজ্ঞাতনামা কয়েক ব্যক্তি প্রবেশ করেন। তিনি এ সময় নামাজ আদায় করছিলেন। পরে তার সঙ্গে ওই ব্যক্তিদের ধস্তাধস্তি হয়। এসময় তার স্ত্রী সুফিয়া রশিদ পাশের কক্ষ থেকে এগিয়ে আসলে তার মুখ চেপে ধরে দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে আবদুর রশিদের বুকে একাধিক আঘাত করে তারা। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। এ সময় তার স্ত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসার আগেই পালিয়ে যান আসামিরা। পরে গুরুতর আহত চিকিৎসক আব্দুর রশিদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান।

ডিসি মাসুদ আলম বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই মো. রেজাউল করিম ১৫ নভেম্বর হাজারীবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে, ঘটনার আগের বিভিন্ন সময়ে ওই বাসায় মেস হিসেবে বসবাসকারী ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। পরে শুক্রবার খুলনার ডুমুরিয়ার শাহপুর বাজার এলাকা থেকে নাইম খান ও জাহিদুর রহমান রিফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। হাজারীবাগ থানার অপর একটি টিম মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে আবু তাহের শিকদার ওরফে শাওনকে গ্রেপ্তার করে।

আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মাসুদ আলম বলেন, ‘ডা. একেএম আব্দুর রশিদ হাজারীবাগ (পশ্চিম ধানমন্ডি) এলাকায় নিজ বাসায় বসবাস করতেন। ওই বাসার একটি ফ্ল্যাটে সাবেক ভাড়াটিয়া ছিলেন নাইম ও জাহিদুর রহমান। বকেয়া ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন সময় আব্দুর রশিদের স্ত্রী সুফিয়া রশিদ ও ভাড়াটিয়াদের মধ্যে মনোমালিন্য হতো। এছাড়া রাত ১০টার পর গেট বন্ধ হলে বাসায় প্রবেশ করা নিয়েও দ্বন্দ্ব হতো। এতে আব্দুর রশিদ ও তার স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত ছিল ওই ভাড়াটিয়ারা। সম্প্রতি রেস্টুরেন্ট ব্যবসার পরিকল্পনা করে ওই দু’জন। নিজেদের ব্যবসার টাকা যোগান দিতে আব্দুর রশিদের বাসায় ডাকাতির পরিকল্পনা করে তারা। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আব্দুর রশিদকে হত্যা করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।


সবজির দাম অপরিবর্তিত, গরিবের নাগালের বাইরে দেশি মুরগি

সবজির দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখছি না। অথচ শীতকালে লাউ, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কম থাকার কথা ছিল: সবজি ক্রেতা
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কাঁচাবাজারে আসতে শুরু করেছে শীতের হরেক রকম সবজি। গত সপ্তাহের তুলনায় দু-একটি সবজির দাম বাড়লেও অধিকাংশের দামই অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া বাজারে এসেছে নতুন আলু, বিক্রেতা দাম হাঁকাচ্ছেন প্রতি কেজি ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচের ঝাল কিছুটা কম থাকলেও এখন তা আরও বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল, রায়ের বাজার, ধানমন্ডি স্টাফ কোয়ার্টারসহ বেশ কটি বাজার ঘুরে দামের এসব চিত্র দেখা গেছে। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৮০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৯০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা ও পটোল ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৪০ টাকা, গাজর ১৩০ টাকা, কচুমুখী ৮০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, শিম ৮০ থেকে ১০০ টাকা, শালগম ১১০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। নতুন আলু ১০০ আর পুরান আলু ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম ১৪০ টাকা হলেও প্রতি ২৫০ গ্রাম মরিচের জন্য ৪০ টাকা গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

এছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁয়াজের কলি ৮০ টাকা। আর মানভেদে প্রতিপিস ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা। তবে ছোট বড় আকারের ওপরে এই তিন সবজির দাম নির্ধারণ হয়। বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পাটশাক ১০-১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০-৪০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, ডাঁটাশাক ১০-১৫ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় আজকে সবজির দাম তেমনটা বাড়েনি। কিছুটা কমেছে। কিন্তু শীতকালীন সব সবজি বাজারের এলেও সবজির দাম তুলনামূলক বেশি। মৌসুমে যদি এতো দামে আমাদের কিনতে হয় তাহলে অফ সিজনে তো আরও দাম বাড়বে। আলমগীর হোসেন নামের এক সবজি ক্রেতা বলেন, ‘সবজির দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখছি না। আগে শীতকালে মুলার হালি ১৫ থেকে ২০ টাকায় কিনতাম। এখন কেজি কিনতে হয় ৪০ টাকা। আর লাউ তো ৫০ টাকা নিচে পাওয়া যায় না। অথচ শীতকালে লাউ, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি দাম কম থাকার কথা ছিল।’

সবজি বিক্রেতা সফিউল আলম বলেন, বাজারে সব ধরনের সবজি আছে। শীতকালীন সবজিতে বাজার ভরে গেছে। তবে শীতকালীন সবজি আসায় দাম কমার কথা। কিন্তু চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত সবজি না আসায় দাম বাড়ছে। রায়ের বাজারের সবজি বিক্রেতা রমিজ মিয়া বলেন, পুরান আলু আর নতুন আলুর দামে তেমন ফারাক নেই। নতুন আলু ১০০ টাকা। আর পুরান আলু ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। তবে সবজির দাম দিন দিন কমবে। বাজারে শীতকালীন সবজি আসা শুরু করেছে। আগামীতে দাম আরও কমবে। এদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা দরে। এ ছাড়া লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, কক প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা, সোনালি, পাকিস্তানি মুরগি প্রতি কেজি ৩০০-৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন, বাজারে নিম্ন আয়সহ সাধারণ ক্রেতাদের মাংসের চাহিদা মেটাতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ব্রয়লার মুরগি। এটিও এখন ভরসা হারাচ্ছে। হঠাৎ করে দাম বেড়ে যায়। এ ছাড়া সোনালি, লেয়ার, কক জাতের মুরগিগুলো আগে থেকেই অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরেই থেকে যাচ্ছে এসব মুরগি। এছাড়া ৬০০-৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া দেশি মুরগি সাধারণ কেউ কিনে খেতে পারেন না। রাজধানীর মালিবাগ বাজারে মুরগি কিনতে এসে শফিকুর রহমান নামে এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বেসরকারি একটি চাকরি করি। বেতন দিয়ে পুরো মাস চলাই কঠিন হয়ে গেছে। বাজার খরচই অতিরিক্ত খরচ হয়ে যাচ্ছে। একটা ব্রয়লার মুরগি কিনতেই ৩৫০/৪০০ টাকা লেগে যাচ্ছে। তাও এটা সবচেয়ে কম দামের মুরগি। আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা ব্রয়লার ছাড়া অন্য কোনো মুরগি কিনতেই পারি না। এক বছরের বেশি হবে দেশি মুরগি কিনতে পারি না। আগে মাঝে মাঝে সোনালি মুরগি কিনতাম এখন এর দামও অতিরিক্ত। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা।’

রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকার একটি বাজারে আরেক ক্রেতা বেসরকারি চাকরিজীবী কবির হোসেন বলেন, ‘ব্রয়লার মুরগির দাম আরও বেশি ছিল, এখন তাও কিছুটা কমে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্য সব ধরনের মুরগি অতিরিক্ত দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। বাজার মনিটরিং বা দাম নিয়ন্ত্রণে কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। বিক্রেতারা যে যার মতো করে যেমন ইচ্ছে দামে মুরগি বিক্রি করছেন। যে কারণে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা ব্রয়লার ছাড়া অন্যান্য মুরগি কেনার ক্ষমতা হারিয়েছি।’ রামপুরা বাজারের মুরগি বিক্রেতা খোরশেদ আলম বলেন, আগের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমে এখন প্রতি কেজি ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সোনালি, কক, লেয়ার, দেশি মুরগির দাম কিছুটা বাড়তি যাচ্ছে। মূলত মুরগির ফিডের দাম অনেক বেশি, যে কারণে খামারিদের মুরগি উৎপাদনে খরচ বেশি হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে বাজারে। ব্রয়লার মুরগি ছাড়া অন্যান্য মুরগি বাজারের সরবরাহ তুলনামূলক কম। রাজধানী উত্তর বাড্ডা বাজারের আরেক মুরগি বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার কারণে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, মূলত তখন থেকেই মুরগির দাম বেড়েছে। বর্তমানে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কম থাকলেও অন্যান্য মুরগির পাইকারি বাজারে কেনা বেশি পড়ছে।


মোহাম্মদপুর থেকে শটগানসহ ৬৩ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে একটি অবৈধ শটগান ও ৬৩ রাউন্ড লিডবল কার্তুজ উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মোহাম্মদপুর থানার পাশে সুলতানগঞ্জ জাফরাবাদ মসজিদ রোডের একটি বাসা থেকে এ অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

সিটিটিসি সূত্র থেকে জানা যায়, সম্প্রতি সব ধরনের বৈধ ও অবৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সরকার। এরপরও মোহাম্মদপুরে সুলতানগঞ্জ জাফরাবাদ মসজিদ রোডের আবুল কাশেম খান নামে এক ব্যক্তি তার লাইসেন্স করা পয়েন্ট-১২ বোর শটগানটি সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী থানায় জমা না দিয়ে অবৈধভাবে নিজের কাছে রেখেছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে একটি শটগান ও লিডবল কার্তুজ উদ্ধার করে সিটিটিসি। পরে উদ্ধার করা শটগান এবং ৬৩ রাউন্ড লিডবল কার্তুজ মোহাম্মদপুর থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে গত ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত স্থানে আগ্নেয়াস্ত্র জমা না করলে তা অবৈধ অস্ত্র হিসেবে গণ্য হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।


মোহাম্মদপুরে অস্ত্রের মুখে ফের ডাকাতি

ছবি: সিসিটিভির ফুটেজ থেকে সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ফের ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে লুটপাট চালায় ডাকাত দল। গতকাল বুধবার দিনগত রাত সাড়ে তিনটায় মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যানের লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর রোডের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ডাকাতি হয়। এ ঘটনায় বাড়ির তত্বাবধায়ক (ম্যানেজার) মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ৩০-৪০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মই দিয়ে টিনশেড বাড়িটির ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় বাড়ির ভেতরে থাকা সিসি ক্যামেরাগুলো ভেঙে ফেলা হয় এবং ধারাল অস্ত্রের মুখে বাড়ির সবাইকে একটি রুমের ভেতর জিম্মি করে রাখা হয়। পরে প্রতিটি রুমে ঢুকে ফ্রিজ, টিভি, বৈদ্যুতিক সেলাই মেশিন, স্বর্ণালংকারসহ আসবাবপত্র সব নিয়ে ভাঙচুর চালায় ডাকাত দলের সদস্যরা।
বাড়ির তত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম বলেন, রাত সাড়ে তিনটার দিকে আমার ঘরে ১০-১৫ জন লোক দেশীয় ধারাল অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে আমাকে জিম্মি করে ফেলে। এরপর আমার রুমের আলমারি, র‍্যাক, টিভিসহ সব ভাঙচুর করে টাকাপয়সা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এ সময় আমাদের সবাইকে বাড়ির একটা রুমের ভেতর আটকে তালা লাগিয়ে দেয়। বাড়িতে থাকা পাঁচজন ভাড়াটিয়ার সবার ঘরে ঢুকে সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে যায়। আমার অনেক কষ্টের জমানো টাকায় কেনা বাড়ির (অন্য জায়গায়) দলিলের কাগজপত্র ও নগদ টাকা সবকিছু নিয়ে গেছে ডাকাতদল।
ভাড়াটিয়া কুলসুম শিকদার জানান, তার ঘরে ঢুকে ফ্রিজ, বৈদ্যুতিক সেলাই মেশিন, স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা সবকিছু নিয়ে গেছে। এছাড়াও ঘরের ভেতরে থাকা চাল, ডাল আসবাবপত্র সবকিছু নিয়ে গেছে। কিছুই রেখে যায়নি।
অপর ভাড়াটিয়ারা জানান, ডাকাত দলের সদস্যরা বাড়ির দুই গেটে তালা লাগিয়ে ভাড়াটিয়াদের ভেতরে আটকে রেখে সব মালামাল গাড়িতে করে নিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় বাড়ির মালিক বলেন, ভোর ৫টার দিকে আমার বাড়ির লোকজন আমাকে ফোন দিয়ে জানায় আমার বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। বাড়িতে ঢুকে সব ভাড়াটিয়ার টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকারসহ সব আসবাবপত্র নিয়ে গেছে। আমি খবর পেয়ে দ্রুত বাড়িতে এসে দেখি বাড়িতে থাকা সিসি ক্যামেরা ভেঙে রেখে গেছে ডাকাতরা। এ ঘটনায় আমার বাড়ির ম্যানেজার মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সহায়তা চাই।
এ বিষয়ে সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি।’ ঘটনার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বাড়িটি গত ৫ আগস্টের আগে একজনের দখলে ছিল, ৫ তারিখের পর আরেকজন দখলের চেষ্টা করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মামলা (৯৪/২৪) চলছে। ধারণা করা হচ্ছে বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়াদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে আমরা খোঁজ নিচ্ছি। জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।‘


জয়পরিহাটের ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর সবুজবাগের রাজারবাগ এলাকা থেকে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মো. লুৎফর রহমানকে (৪৭) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব বলেছে, তিনি ২০১৭ সালের জয়পুরহাট জেলা সদরের একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিনের পলাতক আসামি।

বুধবার র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) তাপস কর্মকার দৈনিক বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যে ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি লুৎফর রহমানকে রাজধানীর সবুজবাগের রাজারবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জয়পুরহাট জেলার সদর থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিনের পলাতক।

আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামী ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী বলে স্বীকার করেছেন। তিনি মামলা হওয়ার পর থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিলেন। গ্রেপ্তার আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এ র‌্যাব কর্মকর্তা।


তেজগাঁও-গুলশানের এডিসিসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে বদলি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহাপনগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও ও গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) পদমর্যাদার ৪ জনসহ ৫ কর্মকর্তাকে বদলি ও সংযুক্ত করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত পৃথক আদেশে এসব বদলি করা হয়।

আদেশে তেজগাঁও জোনের এডিসি মোহাম্মদ জিয়াউল হককে ডিএমপি সদর দপ্তরে সংযুক্ত, ডিএমপির প্ল্যানিং, রিসার্চ অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের এডিসি মো. তানভীর হোসেনকে তেজগাঁও জোনে ও অর্থ বিভাগের এডিসি মো. রাকিব হাসানকে গুলশান জোনে বদলি করা হয়েছে।

অপর এক আদেশে গুলশান জোনের এডিসি মো. খলিলুর রহমানকে ডিএমপি সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া এস্টেট বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার রতন কান্তি রায়কে গোয়েন্দা বিভাগের কনসালটেন্ট বিভাগে বদলি করা হয়েছে।


আন্দোলনে নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিহত ১৪ জন সদস্যের মধ্যে পাঁচজনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। প্রত্যেক পরিবারকে তিন লাখ টাকা করে মোট ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। ডিএমপির নিজস্ব তহবিল থেকে এই অনুদান দেওয়া হয়।
গতকাল মঙ্গলবার ডিএমপি কমিশনারের পক্ষে এই আর্থিক অনুদান তুলে দেওয়া হয়। ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর নির্দেশে ডিএমপির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিহত পুলিশ সদস্যদের প্রত্যেকের বাসায় গিয়ে তাদের খোজঁখবর নেন এবং ডিএমপি কমিশনারের পক্ষ থেকে অনুদানের অর্থ হস্তান্তর করেন।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেন। এসময় তিনি পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন। ভবিষ্যতে যে কোন প্রয়োজনে তাঁদের পাশে থাকা ও সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
এর আগে গত শনিবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ডিএমপি কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কল্যাণ সভায় ডিএমপির কমিশনার গত জুলাই-আগস্টে নিহত ঢাকা মহানগর পুলিশের ১৪ জন সদস্যের প্রত্যেকের পরিবারকে ডিএমপির নিজস্ব তহবিল থেকে তিন লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদান প্রদানের ঘোষণা দেন। এছাড়াও তিনি ব্যক্তিগতভাবে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা এবং সর্বোচ্চ সহযোগিতার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ডিএমপি কমিশনারের পক্ষ থেকে যেসব নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবার আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- পুলিশ পরিদর্শক মো. রাশেদুল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) খগেন্দ্র চন্দ্র সরকার, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ফিরোজ হোসেন, কনস্টবল খলিলুর রহমান ও কনস্টবল মো. শাহিদুল আলম। পর্যায়ক্রমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত ডিএমপির অন্যান্য সব পুলিশ সদস্যদের পরিবারের কাছেও আর্থিক অনুদান হস্তান্তর করা হবে।


যাত্রাবাড়ীর কলেজে ছদ্মবেশে পরিকল্পিত হামলা: পুলিশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যাত্রাবাড়ীর ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে ছাত্রবেশে পরিকল্পিত হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ছালেহ উদ্দিন। তিনি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে কলেজের সামনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীর উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে এই আশ্বাস দেন তিনি।

এর আগে তিনি সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে কলেজের ভেতরের অবস্থা পরিদর্শন করেন।

তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসীরা ছাত্রবেশে হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করতে এই হামলা ও কোটি টাকার মালামাল লুটপাট হয়েছে। আমরা এই ধরনের কোনো ঘটনা আর বরদাস্ত করবো না। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে, মামলা হবে। এই ঘটনায় পরবর্তী যে আইনানুগ প্রক্রিয়াগুলো আছে সেগুলোতে আপনারা (এলাকাবাসী) সহযোগিতা করবেন।

ডিসি ছালেহ উদ্দিন বলেন, আমি এটিকে দুর্ঘটনা বলবো না। একটি অবৈধ সমাবেশের মাধ্যমে কয়েক হাজার ছাত্রবেশী সন্ত্রাসী, যারা এলাকার আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে চায়, তারা সংঘবদ্ধ হয়ে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা করেছে। সীমিত পুলিশ সদস্য নিয়ে প্রথমে আমি যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় তাদের আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তারা আমাদের প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে লাঠিসোটা নিয়ে, সঙ্গে জনতা একত্রিত হয়ে এই মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা করেছে।

তিনি বলেন, আমরা সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে কলেজের ভেতরে প্রবেশ করেছি। আমরা বিভিন্ন তলার বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেছি। এখানে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। এখানে কোটি কোটি টাকার সম্পদ লুটপাট হয়েছে। যেটা খুবই ন্যক্কারজনক। একটি স্বার্থন্বেষী মহল এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে আমরা মনে করি।

পুলিশ এ ঘটনা ঠেকাতে না পারার কারণ হিসেবে উপকমিশনার ছালেহ উদ্দিন বলেন, ৫ আগস্ট এই এলাকায় পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। এখন ওই সময়ের কোনো পুলিশ সদস্য নেই। সব পুলিশ সদস্য নতুন এবং সংখ্যায় কম। সৎ ও যোগ্য পুলিশ সদস্যদের বাছাই করে গ্রাম-গঞ্জ থেকে এখানে আনা হচ্ছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য এলাকাবাসীকে সহায়তা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এই ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের কোনো সম্পদ কেউ যদি নিয়ে গিয়ে লুকিয়ে রাখার সংবাদ থাকে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে গোপনে আমাদের জানাবেন। আমরা সেখান থেকে তা উদ্ধার করে জড়িতকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসবো।

এর আগে বেলা ১২টার দিকে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের সামনে ওই কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মুহূর্তেই যাত্রাবাড়ী-ডেমরা সড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন।

পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেলে মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিতের মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল রোববার ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল। পূর্বঘোষিত সেই ‘সুপার সানডে’ কর্মসূচির মধ্যে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ও পাশের সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় মোল্লা কলেজসহ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। ওই সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্রে অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। ওই হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে সোমবার মোল্লা কলেজে হামলা চালায় সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।


যাত্রাবাড়ীতে তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ন্যাশনাল মডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার জেরে যাত্রাবাড়ীতে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, এপিবিএন, ছাড়্রাও যাত্রাবাড়ী এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৬ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংরাদেশের (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের হাজারো শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালায়। এ সময় কলেজটির ১০ তলা ভবনের প্রতিটি তলায় ভাঙচুর, বিভিন্ন সামগ্রী ও সরঞ্জাম লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এই হামলা-সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলাকালে ডেমরা-যাত্রাবাড়ী এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুপক্ষে অনেকে আহত হন। তাদের মধ্যে ৩৩ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও রয়েছে বলে জানা গেছে।

মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান জানান, তাদের কলেজে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এরপর ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। কলেজের টাকাপয়সাও লুট করা হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত হয়, ভুল চিকিৎসায় অভিজিৎ হাওলাদার নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগের জের ধরে রোববার রাজধানীর ৩৫টি কলেজের ছাত্ররা পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সামনে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে তারা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। এ সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজে সাতটি কলেজের পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার হলেও হামলা চালায় ছাত্ররা। তাদের তাণ্ডবে পরীক্ষা পণ্ড হয়ে যায়। পরে বাধ্য হয়ে এই পরীক্ষা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ।

ওই ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে রোববার রাতেই সেন্ট গ্রেগরি কলেজে হামলা চালান সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্ররা। রাতেই তারা সংবাদ সম্মেলন করে সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা-ভাঙচুরের বিচার ও প্রশাসনিক কাগজপত্র ফিরিয়ে দিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়। তারা কলেজের প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করে।

ওই ঘটনার জের ধরেই সোমবার ‘মেগা মানডে’ ঘোষণা করে কবি নজরুল কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে ডিএমআরসির উদ্দেশে রওনা হন এই দুই কলেজের হাজারো শিক্ষার্থী। তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মিছিল নিয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকায় যায়। অপরদিকে ডিএমআরসির ছাত্ররাও অবস্থান নেয় সড়কে, স্থানীয়রাও জোগদেন তাদের সঙ্গে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আহত হয়ে সড়কে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে।

পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় ডেমরা-যাত্রাবাড়ী এলাকার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও কাজ করেছেন।’

অপরদিকে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হলেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে ৩৫ জনের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব (১৯), শাহেদুল (২০), আশিকুল (২১), রোহান (১৯), সম্রাট (১৮) ও জয় (১৮)।

কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রানা (২০), মারুফ (১৯), হাসিনুর (১৯), সিফাত (১৮), জাহেদুল (২১), আসিফ মাহমুদ (১৮), সাকির (১৯), জুবায়ের রহমান সাজ্জাদ (১৯), সৈকত (১৯), জারিফ (১৮); আরাফাত (১৯), মারুফ (২২); অনুপম দাস (২৩), জুয়েল ইসলাম (২২), নাঈম (২২); সুমন (২২)।

রাজারবাগ পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত (১৯)। ইম্পেরিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের হুমায়ুন (২০)।

সলিমুল্লাহ কলেজের শিক্ষার্থী রুমান (১৯), নোমান (২০); সাইদুল ইসলাম (১৯), অনয় (২১), আব্দুর রহমান (২০); রাজীব (২৪)।

ড.মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের নাফি (১৮) (গুলিবিদ্ধ), অনার্স প্রথম বর্ষের ইশতিয়াক (২২)। দোলাইপাড় এ কে স্কুলের তাসরিফ (১৮)। দনিয়া ব্রাইট স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মাহিম হোসেন (১৫)।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, যাত্রাবাড়ী থেকে আহত অবস্থায় ৩৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর মাথায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের এক শিক্ষার্থীর পেটে গুলি লেগেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিকে, গত রোববারের সংঘর্ষের ঘটনায় ভাঙচুর ও গুলিভর্তি ম্যাগাজিন চুরির অভিযোগে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের আট হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় মামলা করেছে পুলিশ। রোববার সুত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক এ কে এম হাসান মাহমুদুল কবীর বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

সূত্রাপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখার উপ পরিদর্শক (এসআই) অনুপ দাস জানান, সোমবার (২৫ নভেম্বর) মামলার এজাহার আদালতে জমা দেওয়া হলে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত তা গ্রহণ করেন। আগামী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২৪ নভেম্বর (রোববার) ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের ৭/৮ হাজার শিক্ষার্থী বেআইনি জনতাবদ্ধে মারাত্মক অস্ত্র-শস্ত্রসহ দাঙ্গা সৃষ্টি করে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে। সরকারি অস্ত্রের (পিস্তল) গুলিভর্তি ম্যাগজিন চুরি, সরকারি ডিউটিতে ব্যবহৃত সাঁজোয়া যান বা এপিসি (আর্মার পার্সনেল ক্যারিয়ার) ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করে। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করা, জীবননাশের হুমকি দেওয়া এবং ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করে। এছাড়া পুলিশের এপিসি কার ও ডিউটিরত পুলিশের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে দুই লাখ ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া গত রোববার সংঘর্ষের সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কেন অ্যাকশনে যায়নি সে বিষয়ে ব্যাখা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের হামলা-পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অ্যাকশনে গেলে আরও রক্তপাত হতো।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন। এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেন উল্লেখ করেন তিনি।

স্ট্যাটাসে বলা হয়, শত চেষ্টা ও বসে সমাধান করার আহ্বান জানানোর পরও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে জড়ানো থেকে আটকানো গেলো না। শিক্ষার্থীদের অ্যাগ্রেসিভনেস ও প্রস্তুতি দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও স্ট্রিক্ট অ্যাকশনে যায়নি। কোনও প্রকার অ্যাকশনে গেলেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ ও রক্তপাত হতো।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, সব পক্ষকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি। একত্রে দেশ গড়ার সময়ে সংঘর্ষের মতো নিন্দনীয় কাজে জড়ানো দুঃখজনক। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়্রা, সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। এসব সংঘাতের পেছনে কারো কোনো ধরনের ইন্ধন থাকলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে সংঘাত-সংঘর্ষ হয়েছে, সরকার নজর রাখছে। আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের কোনো ধরনের সংঘর্ষে না জড়িয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

এর আগে গত রোববার রাতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইল (বুটেক্স) ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।


banner close