সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

বয়স ৩৫ করার দাবি: চাকরিপ্রার্থীদের রাজপথে থাকার ঘোষণা

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ বছর করার দাবিতে শাহবাগে সমাবেশ করেছে ৩৫ জন প্রত্যাশী সমন্বয় পরিষদ। ছবি: দৈনিক বাংলা
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২০:৪৭

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ বছর করার দাবিতে শাহবাগে সমাবেশ করেছে ৩৫ জন প্রত্যাশী সমন্বয় পরিষদ। তারা বলছেন, অনেক দেশে চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর বা এরও বেশি। সুতরাং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী আমাদের দেশেও চাকরির ন্যূনতম বয়সসীমা নির্ধারণ করা হোক।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, শনিবার বেলা ১১টা থেকে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে চাকরিপ্রত্যাশীদের এই সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশ থেকে বলা হয়, আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে। আজকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা শাহবাগ ছাড়ছি না।

চাকরিপ্রত্যাশীদের এই সমাবেশে এসে সংহতি প্রকাশ করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, চাকরিতে প্রবেশের কোনো বয়সসীমা থাকা উচিত নয়। কেউ যাতে বয়সের কারণে বৈষ্যমের শিকার না হয়, সেটি নিয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম চালু করতে সরকারের কাছে আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনকারীরা এক দুই তিন চার, পয়ত্রিশ আমার অধিকার; পদ্মা মেঘনা যমুনা, পয়ত্রিশ আমার ঠিকানা; ত্রিশ না পয়ত্রিশ, পয়ত্রিশ পয়ত্রিশ; বয়স না মেধা, মেধা মেধা; বয়স না যোগ্যতা, যোগ্যতা যোগ্যতা ইত্যাদি স্লোগান দেন।

সমাবেশে নোমান নামের এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘আমরা আজকে ভালো নেই। রাষ্ট্রের কর্তারা আমাদের ভালো থাকতে দেয়নি। আমরা যেহেতু ফ্যাসিবাদ দূর করতে পেরেছি, ইনশাল্লাহ আমরা এই দাবিও পূরণ করে ছাড়ব। আমরা চাই, অনতিবিলম্বে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হোক। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আজকে আমরা ঘরে ফিরব না।’

তিনি বলেন, ‘ঘরে গিয়ে আমরা কী করব? ঘরেই তো আমরা বোঝা হয়ে আছি।’ দেশে অনেক ভারতীয় চাকরি করছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘হয় এই ভারতীয়দের চাকরিচ্যুত করুন, নয় আমাদের ক্রসফায়ার দিন। আমরা আর বাঁচতে চাই না।’

নোমান বলেন, ‘আমরা ছেলে মানুষ আমাদের মেরুদণ্ড আছে কিন্তু এই সমাজ আমাদের মূল্য দেয় না। আগের সরকার আমাদের মূল্যায়ন করেনি। আমরা চাই নতুন সরকার আমাদের দাবি মেনে নেবে।’

আলী নামের আরেকজন চাকরিপ্রত্যাশী বলেন, ‘২০১২ সাল থেকে চাকরির ন্যূনতম বয়স ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলন চলছে। সরকার আমাদের বারবার আশ্বাস দিয়ে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এই বছরের শুরুতেও যখন আমরা আন্দোলন করি তখন আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে মামলাও কিন্তু আমরা দমে যাইনি। আজকেও আমরা দমে যাব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই। আমরা আশা করব, আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে।’


আন্দোলনে হত্যাসহ ১৫ মামলার আসামি গ্রেপ্তার

আমিনুল ইসলাম ওরফে হৃদয়। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আল শাহরিয়ার হোসেন হত্যা মামলাসহ ১৫ মামলার এজাহারনামীয় আসামি আমিনুল ইসলাম ওরফে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ সোমবার ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মোহাম্মদপুর থানার বরাতে তিনি জানান, ভিকটিম আল শাহরিয়ার হোসেন হত্যার ঘটনায় তার বাবা মো. মনির হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩ সেপ্টেম্বর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় হাজার হাজার ছাত্র-জনতা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ শুরু করে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ভিকটিম আল শাহরিয়ার হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

তদন্তাধীন এ মামলায় গোয়েন্দা তথ্য ও ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আল শাহরিয়ার হোসেন হত্যায় জড়িত আমিনুল ইসলাম ওরফে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রসঙ্গত, গ্রেপ্তার আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদকসহ ১৫টি মামলা রয়েছে। এছাড়া তিনি শাহবাগ থানার একটি চুরি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।


যমুনা ফিউচার পার্কের ৫ম তলা থেকে লাফিয়ে তরুণের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর অভিজাত শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কের পঞ্চম তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আরমান হোসেন (১৮) নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে পৌনে ৪টার দিকে যমুনা ফিউচার পার্কের পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আরমান। পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

আরমানের চাচাতো ভাই মো. রোকন বলেন, আরমানের বন্ধু স্বাধীন বিদেশ যাওয়া উপলক্ষে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে যমুনা ফিউচার পার্কে যায় রোববার বিকেলে। সঙ্গে আরমানকে নিয়ে যায়। আরমানকে বাইরে বসিয়ে স্বাধীন ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে ভেতরে ঢুকে। এর কিছুক্ষণ পর আরমান স্বাধীনকে ফোন দিয়ে বলে, আমাকে আর পাবি না বন্ধু। আমার মামাতো ভাই রুবেলকে বলিস আমার মাকে দেখে রাখতে। তারপর ফোন কেটে দেয় আরমান। পরে সে পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে বলে জানতে পেরেছি। তবে কী কারণে সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে সে বিষয়ে আমাদের কিছুই জানা নেই।

তিনি আরও বলেন, তাদের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মশাদিয়া গ্রামে। আরমান পরিবারের সঙ্গে রামপুরার হাজীপাড়ায় থাকত। আরমান নতুনবাজারে মামা ইলিয়ান তালুকদার রানার ভাতের হোটেলে কাজ করত আগে। তবে বেশ কিছুদিন ধরে বাবা রেনু মিয়ার ভাঙারির দোকানে কাজ করছিল। চার ভাই তিন বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিল আরমান। আরমানের মা বেশ অসুস্থ। বেশ কয়েক দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বর্তমানে বাসায় আছে।

ভাটারা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ও ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, ওই দিন বিকেলে যমুনা ফিউচার পার্কের পঞ্চম তলা থেকে ওই তরুণ লাফিয়ে নিচে পড়ে। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সোমবার সকালে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় ভাটারা থানা-পুলিশ।

তিনি আরও বলেন, ডিপ্রেশন থেকে এমনটি হতে পারে। এ ছাড়া অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না তা তদন্ত ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে।


সাবেক সচিবের বাসা থেকে কোটি টাকাসহ ১১টি আইফোন জব্দ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন খানের বাসায় অভিযান পরিচালনা করেছে যৌথবাহিনী। এ সময় তার বাসা থেকে নগদ এক কোটি টাকা ও ১১টি আইফোন জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে আমজাদ হোসেন ও তার ছেলেকে।

গোয়েন্দা তথ্যে গতকাল রোববার রাতে উত্তরা-১১ নম্বর সেক্টরের ৩৩ নম্বর বাড়িতে যৌথবাহিনী এ অভিযান চালায়। আজ সোমবার সকালে উত্তরা পশ্চিম থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ও তার ছেলে থানায় গ্রেপ্তার আছেন। রোববার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়েছে।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, উত্তরা-১১ নম্বর সেক্টরের ৩৩ নম্বর বাড়িতে যৌথ অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে রাত ১০টায় শুরু হয় অভিযান। অভিযানে বাসাটি থেকে নগদ এক কোটি সাড়ে ৯ লাখ টাকা, বেশকিছু বৈদেশিক মুদ্রা, ১১টি আইফোন এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মূল্যবান ঘড়ি জব্দ করা হয়। পরে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে কর্মরত অবস্থায় অবসরে যান আমজাদ হোসেন খান। তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুর সদরে।


স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বগুড়ার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পলাতক আসামি মিজানুর রহমান রাংঙ্গাকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১। শনিবার বিকেল ৫টার দিকে তাকে রাজধানীর বড্ডা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাতে র‌্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি মো. মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে বগুড়া ট্রাক বন্দোবস্তকারী সমিতির কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মিজানুর রহমান কয়েকজনের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় যুবদলের বহিস্কৃত আহবায়ক সুমন আহমেদ ওরফে বিপুলের নেতৃত্বে ১৮/২০ জন মোটরসাইকেলে এসে মিজানুর রহমানকে কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাত ১০ টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।।
অপরদিকে নিহত মিজানুর রহমানকে হামলার সময় হামলাকারী সুমনের চাচাতো ভাই ল্যাদোকে স্থানীয়রা আটক করে গণধোলাই দেয়। সেনা ও পুলিশ সদস্যরা এসে তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। নিহত মিজানের সমর্থকরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এসে ল্যাদোর ওপর আবারও হামলা করে। রাত ১১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ল্যাদোকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোছা. সালমা আকতার (নিশা) গত ১৩ সেপ্টেম্বর বগুড়া সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় আসামীদের গ্রেপ্তারে র‌্যাব-১ এর সিপিসি-২ বিষয়টি আমলে নিয়ে ছায়া-তদন্ত শুরু করে।
তিনি আরও জানান, গত শনিবার গোপন সংবাদে জানা যায়, মামলার আসামি মিজানুর রহমান রাঙ্গা বাড্ডা এলাকায় অবস্থান করছেন। পরে তাক গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামী হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন। তার নামে হত্যা, বিস্ফোরক, মাদকসহ চারটি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।


আন্দোলনে গুলিবর্ষণকারী সাবেক যুবলীগ সভাপতি ‘বোমা’ জলিল গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর গুলিবর্ষণকারী শরীয়তপুরের জাজিরা থানার বিলাশপুর ইউনিয়নের সাবেক যুবলীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এম. এ. জলিলকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১০। শনিবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে শাহবাগের আলপনা টাওয়ার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জলিল মাদবর বা বোমা জলিল নামেও পরিচিত।
সন্ধ্যায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১০ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) ও সিনিয়র এএসপি তাপস কর্মকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ৫ আগস্ট ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার বিভিন্ন এলাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা শান্তিপূর্ণভাবে কোটা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করছিল। ওই সময় বেশকিছু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র, রাম দা, চাপাতি, হকি স্টিক এবং লাঠি-সোটাসহ আন্দোলনকারী নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর এলোপাথাড়ি আক্রমণ করে।
এ ঘটনায় গত ২০ সেপ্টেম্বর আহত ও নিহতদের পরিবার ছাত্র-জনতার উপর গুলি বর্ষণ করে হত্যার অভিযোগে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় শরিয়তপুরের জাজিরা থানার বিলাশপুর ইউনিয়নের সাবেক যুবলীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এম. এ. জলিল ওরফে জলিল মাদবর ওরফে বোমা জলিলসহ ১৪৮ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০০/৩০০ জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়।
তাপস কর্মকার জানান, এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ একটি আধিযাচন পত্র পাঠায়। এ প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উল্লখিত ঘটনায় নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণকারী কুখ্যাত সন্ত্রাসী মাতবর জলিলকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। পরে শনিবার তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামী উল্লেখিত ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্তার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এছাড়া জলিলের বিরুদ্ধে শরীয়তপুরের জাজিরা থানায় নাশকতা ও হত্যা চেষ্টাসহ মোট ১৪টি মামলা রয়েছে। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।


আন্দোলনে লাবলু হত্যা মামলা, ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে লাবলু মিয়া হত্যা মামলায় এক ছাত্রলীগ নেতা ও এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন, উত্তরা এক নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মাহিয়ানুল হক অর্চি (২৭) ও আওয়ামী লীগ কর্মী মো. হারেজ উদ্দিন (৪২)। গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
আজ শনিবার বিকেলে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার বরাতে তিনি জানান, ভিকটিম লাবলু মিয়া হত্যার ঘটনায় ২২ আগস্ট উত্তরা পশ্চিম থানায় হত্যা মামলা করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ৫ আগস্ট উত্তরার বিভিন্ন সড়কসহ তিন নম্বর সেক্টরের রবীন্দ্র সরণি এলাকায় আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা অবস্থান করছিল। এ সময় তাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ ও গুলিবর্ষণ শুরু করে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ভিকটিম লাবলু মিয়া মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ লাবলুকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, তদন্তাধীন এই মামলায় গোয়েন্দা তথ্য ও ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে লাবলু মিয়া হত্যায় জড়িত হারেজ উদ্দিন ও মাহিয়ানুল হক অর্চিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। লাবলু মিয়া হত্যা মামলায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।


অক্টোবরে বিমানবন্দর এলাকায় ৭৮ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় গত অক্টোবর মাসে ৭৮ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির বিমানবন্দর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মনিরুজ্জামান (৩৪), মো. দুঃখু মিয়া (৩০), মো. জাহাঙ্গীর গাজী (৫৫), মো. আমিনুল ইসলাম (৩০), মো. রাকিব (২৩), মো. মহসিন (৪৬), মো. ইসমাইল হোসেন ওরফে কালু (৩৭), মো. সোহাগ (২৫), মো. আকাশ ইসলাম (২৬), মো. কাউসার (৩৩), মো. সহিদ (৪১), মো. তাজুল ইসলাম (৪২), মো. ইকবাল হোসেন (৩০), মো. রানা (২৩), মো. শরীফ (২৯), মো. মারুফ আকমল সজীব (১৮), মো. হিরা(২১), মো. আলফাজ হোসেন জনি (৩৯), রুবেল(২৫), মো. লিটন(২০), মো. খোকন (৩৮), মো. মানিক (৪১), মো. আমিনুর রহমান (৩২), মো. মনি মিয়া (৩৫), মো. শাহাদাত হোসেন(৩২), মো. খোকন (৩৮), মো. মাসুদ শেখ(৩০), মো. মনির(২১), মো. শাহিন মিয়া (২৪), মো. সেলিম ইসলাম (২২), মো. রনি (২২), মো. সজিব মন্ডল (২৯), মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম (২২), মো. রাসেল (২৮), মো. রিফাত (১৮), মো. হাসান (২৯), জয়নাল উদ্দীন মিঠু (৪১), মো. জয় (২২), মো. হৃদয়(২৫), সুমন মিয়া(৩৮), বাবু শেখ (৪৪), মো. সোহেল ওরফে মুরগী সোহেল (২১), রাজা হোসেন বিশাল (১৯), মো. দুলু মিয়া (৩২), মো. সোহাগ মিয়া (২৭), মো. মুন্না(২৩), মো. ইমরান শেখ (২৩), ইখলাছ পালন (৩০), মো. রাকিব ওরফে সোহেল (২৩), মো. মমিন (৫৭), মো. ইসমাইল হোসেন (১৮), মো. ইসমাইল হোসেন (৩৪), মো. রফিকুল ইসলাম (৩৫), মো. নূর আলম (২৮), মো. রাজু আহমেদ ওরফে জাহিদ (৩১), অন্তর মিয়া (২১), গোলাম নবী (৩২), মো. কামরুল শরীফ (২১), মো. মারুফ সুমন (২১), মো. কাউসার (২২), মো. সাব্বির হোসেন (২২), মো. জুয়েল (২২), মো. মিন্টু (৩৫), মো. আজিজুল হক (৩৬), মো. রাসেল ঢালী (২৭), মোরশেদ (২৬), মো. সাব্বির হোসেন (২৩), মো. সানোয়ার হোসেন (৪০), মো. স্বপন আলী (২৭), মো. নাহিদ (২১), মো. নুরুজ্জামান (৪৮), মো. লাবু মিয়া (৩৯), আব্দুর রাজ্জাক (৪৩), আলী আকবর (৩২), মো. হৃদয় মঞ্জিল (২১), মো. সাকিব (২২), মো. জয় (২২) ও মো. সুমন ওরফে সুমন আলী ওরফে মনিরুজ্জামান সুমন সরদার (২১)।

আজ শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিমানবন্দর থানার বরাত দিয়ে তিনি জানান, গত অক্টোবর মাসে বিমানবন্দর গোলচত্বর এলাকাসহ বিমানবন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় পথচারী ও বিদেশগামী যাত্রীদের মূল্যবান মালামাল ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় বিভিন্ন সময়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছিনতাই প্রতিরোধে গোলচত্বর এলাকাসহ থানাধীন বিভিন্ন জায়গায় বিমানবন্দর থানা পুলিশের বিশেষ টিম নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেছে।
ডিসি আরও জানান, গ্রেপ্তাররা প্রায় প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেছেন।


৩০০ ফিট সড়কে যৌথ অভিযানে শতাধিক গাড়িকে মামলা-জরিমানা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ৩০০ ফিট সড়কে যান চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে যৌথ অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। অভিযানে ১১৯টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা ও দুই লাখ ৭০ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এই অভিযান চালানো হয়।
শুক্রবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, ১ নভেম্বর রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় অবৈধ গাড়ি পার্কিং, লাইসেন্সবিহীন গাড়িচালক, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো, হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালানো এবং অবৈধ লাইসেন্সের বিরুদ্ধে উত্তরা আর্মি ক্যাম্প, ট্রাফিক পুলিশ এবং ক্ষিলখেত থানা পুলিশ ৩০০ ফিট মহাসড়কে একটি চেকপোস্ট স্থাপন করে। যৌথ অভিযানে ১১৯টি মামলা হয় এবং দুই লাখ ৭০ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া চারটি গাড়ি জব্দ করা হয়। মাদকদ্রব্য বহনের জন্য একজনের বিরুদ্ধে ক্ষিলখেত থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছে আইএসপিআর।


কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জাতীয় পার্টির সমাবেশের দিন আগামীকাল শনিবার রাজধানীর কাকরাইলসহ আশপাশ এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে ডিএমপি।

ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নম্বর ১১১-৭৬)–এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামীকাল শনিবার পাইওনিয়ার রোডের ৬৬ নম্বর ভবন, পাইওনিয়ার রোড, কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হলো।

এদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, মহাসচিবসহ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় কাকরাইলে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। এতে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সভাপতিত্ব করার কথা। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ব্যানারে প্রথমে হামলা ও পরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। জাতীয় পার্টি জানায়, ওই সময় নেতা-কর্মীরা শনিবারের সমাবেশের প্রস্তুতি সভা করছিলেন।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ওই হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও আগামীকাল শনিবার কাকরাইলে জাতীয় পার্টি সমাবেশ করবে।
এদিকে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে গণপ্রতিরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা। জানা গেছে, এ অবস্থায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএমপি।


তেমন কমেনি সবজির দর, এখনো চড়া মাছ বাজার

‘সবাই বলে সবজির দাম কমেছে; কিন্তু বাজারে এসে দেখি সব সবজির দামই বাড়তি’
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজির দাম বাড়তি থাকার পর মাঝে কিছুটা কমেছে বলা হলেও সেই দাম খুব বেশি কমেনি। এখনো বাজারে ৮০ টাকার ঘরেই বেশিরভাগ সবজির দাম। অন্যদিকে আগের মতো বাড়তি দামই রয়ে গেছে মাছের বাজারে। দীর্ঘদিন ধরে সব ধরনের মাছই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে বাজারের সবজি ও মাছের দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ছোট সাইজের ফুলকপি প্রতিটি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, বাঁধাকপিও প্রতিটি ৫০ টাকা। এছাড়া লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সবচেয়ে বেশি দামি সবজির তালিকায় রয়েছে শিম, গাজর আর টমেটো। গাজর প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, টমেটো ১৬০ টাকা। গোল বেগুন, কাঁকরোলের কেজিও ১০০ টাকার ঘরে। এছাড়া চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কচুর লতির কেজি ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৭০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, কচুর মুখি ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে শুল্ক কমানোর সুপারিশ করা হলেও কমেনি চালের দাম। ৫৪ টাকার নিচে মিলছে না মোটা চাল। সরু চালের কেজি ৭০ টাকার ওপরে। বাজারে সবজির দাম বিষয়ে মালিবাগ বাজারের ক্রেতা বেসরকারি চাকরিজীবী খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘সবাই বলে সবজির দাম কমেছে কিন্তু বাজারে এসে দেখি সবগুলোর দামই বাড়তি। তবে দুই তিন সপ্তাহ আগে ১২০ টাকার ঘরে যেসব সবজি ছিল সেগুলো ১০০ টাকায় নেমেছে। কিন্তু এত দামেও কি সবজি কেনা সম্ভব? দাম কমেছে দেখা যায় শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিন্তু বাজারে আসলে চিত্র উল্টো।’ সবজির দামের বিষয়ে রাজধানীর শান্তি নগর এলাকার সবজি বিক্রেতা সোহেল আহমেদ বলেন, দুই তিন সপ্তাহ আগে সবজির দাম আরও বাড়তি ছিল। কিছুদিন হলো সেসবের দাম কিছুটা কমেছে। আসলে অনেক সবজির মৌসুম এখন শেষের দিকে, শীত পড়লে নতুন সবজি উঠবে তখন দাম কমে আসবে। আজকের বাজারে সবজির মধ্যে সবচেয়ে কম দামে রয়েছে পেঁপে, যার কেজি ৪০ টাকা। আর দাম বেশির তালিকায় রয়েছে শিম, গাজর, গোল বেগুন আর কাঁকরোল। অন্যদিকে বাজারে সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই বাড়তি দামেই আটকে রয়েছে রাজধানীর মাছের বাজার। বাজারে প্রতি কেজি পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, কাতল ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা, চাষের কই ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, গলসা কেজি ৬০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া পাবদা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, রুই ৩৬০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০ টাকা, রূপচাঁদা ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি। গত সপ্তাহের মতোই ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে সোনালি মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিডের কেজি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩১০ টাকা ও সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা। এসব বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসির মাংসের কেজি এক হাজার ১৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা।


বদির ম্যানেজার চেয়ারম্যান জাফর ঢাকায় গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ নভেম্বর, ২০২৪ ২০:০৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি ওরফে ‘ইয়াবা বদি’র ম্যানেজার ও টেকনাফ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাফরকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাজধানী ঢাকার পূর্ব বাসাবো এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৩ ও র‍্যাব-১৫ এর অভিযানিক দল।

আজ শুক্রবার দুপুরে র‍্যাব-১৫-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তার জাফরকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২০ আগস্ট চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকা থেকে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এরপর গত ২ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশের জেদ্দাগামী একটি ফ্লাইট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বদির ক্যাশিয়ার সালাহউদ্দিনকে।


মেট্রোরেলের এমআরটি পাস রেজিস্ট্রেশন বন্ধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল ভ্রমণের নিজস্ব কার্ড ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পাসের নতুন রেজিস্ট্রেশন সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। একই সঙ্গে নষ্ট থাকা কার্ডগুলো নবায়নও বন্ধ থাকবে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ডিএমটিসিএলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত কার্ড রেজিস্ট্রেশন এবং পুনরায় ইস্যু করার সুবিধা বন্ধ থাকবে। সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। বর্তমানে মেট্রোরেল শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলাচল করছে। শুধু শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলাচল করে।


মোহাম্মদপুরে মাদক কারবারিদের ফের সংঘাত, নিহত ১

মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ নভেম্বর, ২০২৪ ১৮:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে আবারও মাদক কারবারিদের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রাজা ওরফে একগাল (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী বুনিয়া সোহেল গ্রুপের সদস্য বলে জানা গেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এরইমধ্যে চারজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান জানান, গন্ডগোলের খবর শুনে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত ক্যাম্পের ৭ নম্বর সেক্টরে অভিযান চালানো হয়। আমরা বের হয়ে আসার পরই রাত ৩টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মাদক কারবারিদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে রাজা নামে একজন মারা গেছেন। তিনি মাদক কারবারি বুনিয়া সোহেল গ্রুপের সদস্য। বৃহস্পতিবার বুনিয়া সোহেলকে সিলেটের একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

ওসি আরও জানান, বুনিয়া সোহেল গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার প্রতিপক্ষ চুয়া সেলিম এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করলে বুনিয়া সোহেলের লোকজন তাতে বাধা দেয়। এতে মধ্যরাতে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষের সময় দু’পক্ষই গুলি-বোমা ছুড়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের চেষ্টা করে। এ সময় বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই রাজা মারা যান।

এদিকে শেরেবাংলা নগর ও বছিলা সেনা ক্যাম্প জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় সেনা সদস্যরা। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারিরা পালাতে থাকেন। এসময় ৪০ পিস ইয়াবকাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ২ জন চুয়া সেলিম ও ২ জন দুজন পিচ্চি রাজা গ্রুপের সদস্য। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

জেনেভা ক্যাম্পের মাদক ব্যবসার দখল নিয়ে দ্বন্দ্ব বহুদিনের। ক্যাম্পের দুপক্ষের একটির নেতৃত্বে আছেন বুনিয়া সোহেল, অপর পক্ষের নেতা চুয়া সেলিম। বুনিয়া সোহেলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন সৈয়দপুইরা (নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে আসা ‘বিহারি’) নামের আরেকটি পক্ষের নেতা বাবু ওরফে সৈয়দপুইরা বাবু। সম্প্রতি দেশে অস্থিরতা তৈরি হলে এ দ্বন্দ্ব আরও বেড়ে যায়। গত ৫ আগস্টা সরকার পতন হলে তাদের সংঘাতে যুক্ত হয় থানা থেকে লুটে নেওয়া আগ্নেয়াস্ত্র। ফলে গত তিন মাসে বিভিন্ন প্রাণঘাতী সংঘর্ষে রাজাসহ অন্তত পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছে।


banner close