সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

মধ্যরাতে গুলশান এক্সিম ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা, গ্রেপ্তার ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২১:৫৫

রাজধানীর অভিজাত ও কূটনৈতিকপাড়া গুলশান-২ এর এক্সিম ব্যাংকের মহিলা শাখায় গভীর রাতে ডাকাতির চেষ্টাকালে ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ভবনটির নিরাপত্তারক্ষীরা জানায়, ডাকাতরা সংখ্যায় ছিল প্রায় ১৪০-১৫০ জন। তারা মাস্ক পরিহিত ছিল। তারা দলে দলে ভাগ হয়ে কয়েকদিক থেকে ওই ভবনের সামনে একত্র হয়ে হামলা চালায়। একপর্যায়ে তারা ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে। তারা দোতলায় এক্সিম ব্যাংকের মহিলা শাখায় গিয়ে কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ফেলে এবং গ্রিলের গেটটি কেটে ফেলে। এরপর তারা এটিএম বুথে ঢুকে ভাঙচুর করে এবং এটিএম বুথের মেশিন ভাঙার চেষ্টা করে কিন্তু সফল হয়নি। ফলে বুথ থেকে টাকা নিতে পারেনি বলে জানা গেছে। তবে নিরাপত্তারক্ষীদের মোবাইল ফোন, টাকা ও ভবন ব্যবস্থাপনা কক্ষে থাকা দুটি ল্যাপটপ এবং ৫০-৬০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।

মো. ইউনুস নামে এক নিরাপত্তারক্ষী ঘটনার বর্ণনা দিয়ে দৈনিক বাংলাকে বলেন, রাত ১টার দিকে ১০০-১৫০ লোক ভবনের সামনের প্রধান ফটক (মেইন গেট) ও সীমানা দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা বিল্ডিংয়ে ঢোকার আগে বাইরে থাকা ৭-৮টি সিসি ক্যামেরা ভেঙে নষ্ট করে দেয়। তাদের হাতে শটগানসহ বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র ছিল। এ ছাড়া তারা স্কচটেপ, তালা ভাঙা ও গ্রিল কাটার যন্ত্র নিয়ে এসেছিল। ভেতরে প্রবেশ করে প্রথমেই তারা নিরাপত্তারক্ষীদের মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে দেয় এবং হাত বেঁধে মারধর শুরু করে। পরে তারা ভবনটির নিরাপত্তারক্ষীদের সুপাভাইজারকে খুঁজতে থাকে। এরমধ্যে কয়েকজন বন্ধ থাকা লিফটের চাবির কথা বারবার জিজ্ঞেস করতে থাকে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কারও কাছে চাবি না পেয়ে ডাকাতরা নিরাপত্তারক্ষীদের এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। ডাকাতরা আমাদের সবার মোবাইল ফোন ও সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা সব নিয়ে নেয়। তাদের মারধরে আমাদের নিরাপত্তারক্ষীদের তিনজনের হাতে গুরুতর আঘাত পান এবং একজনের চোখে গুরুতর আঘাত লাগে। এরমধ্যে একদল সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় এক্সিম ব্যাংকের গেটে পৌঁছে যায়। ওখানে কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা ব্যাংকের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করতে থাকে। একই সঙ্গে কয়েকজন ব্যাংকের এটিএম বুথের গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে বুথের মেশিন ভাঙার চেষ্টা করে। তবে তারা মেশিন ভাঙতে না পেরে বুথে থাকা টাকা নিতে পারেনি।

এদিকে, ভবনটির উপ-ব্যবস্থাপক মো. মাইনুদ্দিন বলেন, ডাকাতরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে কয়েকদিক থেকে এসে বিল্ডিংয়ের সামনে একত্রিত হয়। ডাকাতরা ভেতরে প্রবেশ করে নিরাপত্তারক্ষীদের একত্র করে মারধর করতে থাকে। এ সময় নিরাপত্তারক্ষীদের সুপারভাইজার সিরাজ সুযোগ বুঝে বাইরে চলে আসেন। তিনি সাদা পোশাকে ছিলেন বলে ডাকাত দলের সদস্যরা তাকে চিনতে পারেনি। তখন রাত সোয়া ১টা, ভবন থেকে বের হয়েই সিরাজ আমাকে ফোন করে বলেন, স্যার প্রায় দেড়-দুইশ দুর্বৃত্ত বিল্ডিংয়ে ঢুকে পড়েছে। তারা সবাইকে বেদম মারধর করছে। কারও কারও হাত ভেঙে গেছে। এসব শুনে আমি তাকে কাছেই থাকা আর্মি ক্যাম্পে গিয়ে খবর দিতে বলি।

তিনি আরও বলেন, সিরাজকে আর্মি ক্যাম্পে যাওয়ার কথা বলেই আমি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে বিস্তারিত জানাই। এরপর আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানাই এবং অফিসে আসার জন্য রওনা হই। ডাকাতরা প্রায় ১৫-২০ মিনিট ভেতরে তাণ্ডব চালায়। আমি আসার আগেই ক্যাম্প থেকে আর্মি ও গুলশান থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা চলে আসে। আর্মি ও পুলিশ সদস্যদের আসতে দেখে ডাকাতরা পালানো শুরু করে। এরমধ্যে নিরাপত্তারক্ষীরা ডাকাত দলের ৭ জনকে আটক করে ফেলে এবং দৌড়ে পালানোর সময় ৩ ডাকাতকে আর্মি ও পুলিশ ধরে ফেলে।

মাইনুদ্দিন জানান, ডাকাতরা ২টি মাইক্রোবাস, ১টি পিকআপ গাড়িসহ ১০-১৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছিল। তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় ৫টি মোটরসাইকেল ফেলে যায়। পরে পুলিশ মোটরসাইকেলগুলো জব্দ করে থানায় নিয়ে গেছে।

ক্ষতির বিষয়ে তিনি বলেন, মারধর করে নিরাপত্তারক্ষীদের সবার মোবাইল ফোন ও বেশ কয়েক হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এ ছাড়া তারা সিঁড়ি দিয়ে ৪ তলা পর্যন্ত ওঠে। তারা বিভিন্ন অফিসের গেট ভাঙার চেষ্টা করে। অন্যদিকে নিচতলার বেজম্যান্টে থাকা বিল্ডিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (বিএমএস) রুম ও রিসেপশন রুমে ভাঙচুর করেছে। বিএমএস রুমে থাকা দুটি ল্যাপটপ ও ৫০-৬০ হাজার পেটি ক্যাশের টাকা নিয়ে গেছে।

নিরাপত্তারক্ষীদের প্রায় সবাই আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মোস্তফা ও বেলাল নামের দুজনের হাত প্রায় ভেঙে গেছে। নয়ন নামের একজনের হাতের তিনটি আঙুলে গুরুতরভাবে আঘাত লেগেছে। তাদের সবার চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আমিরুল নামে এক রক্ষী চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তাকে চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে হাতে প্লাস্টার ও ব্যান্ডেজ করা তিন নিরাপত্তারক্ষীকে এই প্রতিবেদকের সামনে নিয়ে আসেন।

গুলশান মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদ আহম্মেদ বলেন, রাতে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ওখান থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।


স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বগুড়ার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পলাতক আসামি মিজানুর রহমান রাংঙ্গাকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১। শনিবার বিকেল ৫টার দিকে তাকে রাজধানীর বড্ডা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাতে র‌্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি মো. মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে বগুড়া ট্রাক বন্দোবস্তকারী সমিতির কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মিজানুর রহমান কয়েকজনের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় যুবদলের বহিস্কৃত আহবায়ক সুমন আহমেদ ওরফে বিপুলের নেতৃত্বে ১৮/২০ জন মোটরসাইকেলে এসে মিজানুর রহমানকে কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাত ১০ টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।।
অপরদিকে নিহত মিজানুর রহমানকে হামলার সময় হামলাকারী সুমনের চাচাতো ভাই ল্যাদোকে স্থানীয়রা আটক করে গণধোলাই দেয়। সেনা ও পুলিশ সদস্যরা এসে তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। নিহত মিজানের সমর্থকরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এসে ল্যাদোর ওপর আবারও হামলা করে। রাত ১১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ল্যাদোকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোছা. সালমা আকতার (নিশা) গত ১৩ সেপ্টেম্বর বগুড়া সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় আসামীদের গ্রেপ্তারে র‌্যাব-১ এর সিপিসি-২ বিষয়টি আমলে নিয়ে ছায়া-তদন্ত শুরু করে।
তিনি আরও জানান, গত শনিবার গোপন সংবাদে জানা যায়, মামলার আসামি মিজানুর রহমান রাঙ্গা বাড্ডা এলাকায় অবস্থান করছেন। পরে তাক গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামী হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন। তার নামে হত্যা, বিস্ফোরক, মাদকসহ চারটি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।


আন্দোলনে গুলিবর্ষণকারী সাবেক যুবলীগ সভাপতি ‘বোমা’ জলিল গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর গুলিবর্ষণকারী শরীয়তপুরের জাজিরা থানার বিলাশপুর ইউনিয়নের সাবেক যুবলীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এম. এ. জলিলকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১০। শনিবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে শাহবাগের আলপনা টাওয়ার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জলিল মাদবর বা বোমা জলিল নামেও পরিচিত।
সন্ধ্যায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১০ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) ও সিনিয়র এএসপি তাপস কর্মকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ৫ আগস্ট ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার বিভিন্ন এলাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা শান্তিপূর্ণভাবে কোটা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করছিল। ওই সময় বেশকিছু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র, রাম দা, চাপাতি, হকি স্টিক এবং লাঠি-সোটাসহ আন্দোলনকারী নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর এলোপাথাড়ি আক্রমণ করে।
এ ঘটনায় গত ২০ সেপ্টেম্বর আহত ও নিহতদের পরিবার ছাত্র-জনতার উপর গুলি বর্ষণ করে হত্যার অভিযোগে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় শরিয়তপুরের জাজিরা থানার বিলাশপুর ইউনিয়নের সাবেক যুবলীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এম. এ. জলিল ওরফে জলিল মাদবর ওরফে বোমা জলিলসহ ১৪৮ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০০/৩০০ জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়।
তাপস কর্মকার জানান, এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ একটি আধিযাচন পত্র পাঠায়। এ প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উল্লখিত ঘটনায় নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণকারী কুখ্যাত সন্ত্রাসী মাতবর জলিলকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। পরে শনিবার তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামী উল্লেখিত ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্তার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এছাড়া জলিলের বিরুদ্ধে শরীয়তপুরের জাজিরা থানায় নাশকতা ও হত্যা চেষ্টাসহ মোট ১৪টি মামলা রয়েছে। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।


আন্দোলনে লাবলু হত্যা মামলা, ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে লাবলু মিয়া হত্যা মামলায় এক ছাত্রলীগ নেতা ও এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন, উত্তরা এক নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মাহিয়ানুল হক অর্চি (২৭) ও আওয়ামী লীগ কর্মী মো. হারেজ উদ্দিন (৪২)। গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
আজ শনিবার বিকেলে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার বরাতে তিনি জানান, ভিকটিম লাবলু মিয়া হত্যার ঘটনায় ২২ আগস্ট উত্তরা পশ্চিম থানায় হত্যা মামলা করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ৫ আগস্ট উত্তরার বিভিন্ন সড়কসহ তিন নম্বর সেক্টরের রবীন্দ্র সরণি এলাকায় আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা অবস্থান করছিল। এ সময় তাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ ও গুলিবর্ষণ শুরু করে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ভিকটিম লাবলু মিয়া মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ লাবলুকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, তদন্তাধীন এই মামলায় গোয়েন্দা তথ্য ও ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে লাবলু মিয়া হত্যায় জড়িত হারেজ উদ্দিন ও মাহিয়ানুল হক অর্চিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। লাবলু মিয়া হত্যা মামলায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।


অক্টোবরে বিমানবন্দর এলাকায় ৭৮ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় গত অক্টোবর মাসে ৭৮ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির বিমানবন্দর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মনিরুজ্জামান (৩৪), মো. দুঃখু মিয়া (৩০), মো. জাহাঙ্গীর গাজী (৫৫), মো. আমিনুল ইসলাম (৩০), মো. রাকিব (২৩), মো. মহসিন (৪৬), মো. ইসমাইল হোসেন ওরফে কালু (৩৭), মো. সোহাগ (২৫), মো. আকাশ ইসলাম (২৬), মো. কাউসার (৩৩), মো. সহিদ (৪১), মো. তাজুল ইসলাম (৪২), মো. ইকবাল হোসেন (৩০), মো. রানা (২৩), মো. শরীফ (২৯), মো. মারুফ আকমল সজীব (১৮), মো. হিরা(২১), মো. আলফাজ হোসেন জনি (৩৯), রুবেল(২৫), মো. লিটন(২০), মো. খোকন (৩৮), মো. মানিক (৪১), মো. আমিনুর রহমান (৩২), মো. মনি মিয়া (৩৫), মো. শাহাদাত হোসেন(৩২), মো. খোকন (৩৮), মো. মাসুদ শেখ(৩০), মো. মনির(২১), মো. শাহিন মিয়া (২৪), মো. সেলিম ইসলাম (২২), মো. রনি (২২), মো. সজিব মন্ডল (২৯), মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম (২২), মো. রাসেল (২৮), মো. রিফাত (১৮), মো. হাসান (২৯), জয়নাল উদ্দীন মিঠু (৪১), মো. জয় (২২), মো. হৃদয়(২৫), সুমন মিয়া(৩৮), বাবু শেখ (৪৪), মো. সোহেল ওরফে মুরগী সোহেল (২১), রাজা হোসেন বিশাল (১৯), মো. দুলু মিয়া (৩২), মো. সোহাগ মিয়া (২৭), মো. মুন্না(২৩), মো. ইমরান শেখ (২৩), ইখলাছ পালন (৩০), মো. রাকিব ওরফে সোহেল (২৩), মো. মমিন (৫৭), মো. ইসমাইল হোসেন (১৮), মো. ইসমাইল হোসেন (৩৪), মো. রফিকুল ইসলাম (৩৫), মো. নূর আলম (২৮), মো. রাজু আহমেদ ওরফে জাহিদ (৩১), অন্তর মিয়া (২১), গোলাম নবী (৩২), মো. কামরুল শরীফ (২১), মো. মারুফ সুমন (২১), মো. কাউসার (২২), মো. সাব্বির হোসেন (২২), মো. জুয়েল (২২), মো. মিন্টু (৩৫), মো. আজিজুল হক (৩৬), মো. রাসেল ঢালী (২৭), মোরশেদ (২৬), মো. সাব্বির হোসেন (২৩), মো. সানোয়ার হোসেন (৪০), মো. স্বপন আলী (২৭), মো. নাহিদ (২১), মো. নুরুজ্জামান (৪৮), মো. লাবু মিয়া (৩৯), আব্দুর রাজ্জাক (৪৩), আলী আকবর (৩২), মো. হৃদয় মঞ্জিল (২১), মো. সাকিব (২২), মো. জয় (২২) ও মো. সুমন ওরফে সুমন আলী ওরফে মনিরুজ্জামান সুমন সরদার (২১)।

আজ শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিমানবন্দর থানার বরাত দিয়ে তিনি জানান, গত অক্টোবর মাসে বিমানবন্দর গোলচত্বর এলাকাসহ বিমানবন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় পথচারী ও বিদেশগামী যাত্রীদের মূল্যবান মালামাল ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় বিভিন্ন সময়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছিনতাই প্রতিরোধে গোলচত্বর এলাকাসহ থানাধীন বিভিন্ন জায়গায় বিমানবন্দর থানা পুলিশের বিশেষ টিম নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেছে।
ডিসি আরও জানান, গ্রেপ্তাররা প্রায় প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেছেন।


৩০০ ফিট সড়কে যৌথ অভিযানে শতাধিক গাড়িকে মামলা-জরিমানা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ৩০০ ফিট সড়কে যান চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে যৌথ অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। অভিযানে ১১৯টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা ও দুই লাখ ৭০ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এই অভিযান চালানো হয়।
শুক্রবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, ১ নভেম্বর রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় অবৈধ গাড়ি পার্কিং, লাইসেন্সবিহীন গাড়িচালক, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো, হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালানো এবং অবৈধ লাইসেন্সের বিরুদ্ধে উত্তরা আর্মি ক্যাম্প, ট্রাফিক পুলিশ এবং ক্ষিলখেত থানা পুলিশ ৩০০ ফিট মহাসড়কে একটি চেকপোস্ট স্থাপন করে। যৌথ অভিযানে ১১৯টি মামলা হয় এবং দুই লাখ ৭০ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া চারটি গাড়ি জব্দ করা হয়। মাদকদ্রব্য বহনের জন্য একজনের বিরুদ্ধে ক্ষিলখেত থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছে আইএসপিআর।


কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জাতীয় পার্টির সমাবেশের দিন আগামীকাল শনিবার রাজধানীর কাকরাইলসহ আশপাশ এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে ডিএমপি।

ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নম্বর ১১১-৭৬)–এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামীকাল শনিবার পাইওনিয়ার রোডের ৬৬ নম্বর ভবন, পাইওনিয়ার রোড, কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হলো।

এদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, মহাসচিবসহ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় কাকরাইলে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। এতে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সভাপতিত্ব করার কথা। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ব্যানারে প্রথমে হামলা ও পরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। জাতীয় পার্টি জানায়, ওই সময় নেতা-কর্মীরা শনিবারের সমাবেশের প্রস্তুতি সভা করছিলেন।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ওই হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও আগামীকাল শনিবার কাকরাইলে জাতীয় পার্টি সমাবেশ করবে।
এদিকে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে গণপ্রতিরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা। জানা গেছে, এ অবস্থায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএমপি।


তেমন কমেনি সবজির দর, এখনো চড়া মাছ বাজার

‘সবাই বলে সবজির দাম কমেছে; কিন্তু বাজারে এসে দেখি সব সবজির দামই বাড়তি’
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজির দাম বাড়তি থাকার পর মাঝে কিছুটা কমেছে বলা হলেও সেই দাম খুব বেশি কমেনি। এখনো বাজারে ৮০ টাকার ঘরেই বেশিরভাগ সবজির দাম। অন্যদিকে আগের মতো বাড়তি দামই রয়ে গেছে মাছের বাজারে। দীর্ঘদিন ধরে সব ধরনের মাছই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে বাজারের সবজি ও মাছের দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ছোট সাইজের ফুলকপি প্রতিটি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, বাঁধাকপিও প্রতিটি ৫০ টাকা। এছাড়া লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সবচেয়ে বেশি দামি সবজির তালিকায় রয়েছে শিম, গাজর আর টমেটো। গাজর প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, টমেটো ১৬০ টাকা। গোল বেগুন, কাঁকরোলের কেজিও ১০০ টাকার ঘরে। এছাড়া চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কচুর লতির কেজি ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৭০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, কচুর মুখি ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে শুল্ক কমানোর সুপারিশ করা হলেও কমেনি চালের দাম। ৫৪ টাকার নিচে মিলছে না মোটা চাল। সরু চালের কেজি ৭০ টাকার ওপরে। বাজারে সবজির দাম বিষয়ে মালিবাগ বাজারের ক্রেতা বেসরকারি চাকরিজীবী খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘সবাই বলে সবজির দাম কমেছে কিন্তু বাজারে এসে দেখি সবগুলোর দামই বাড়তি। তবে দুই তিন সপ্তাহ আগে ১২০ টাকার ঘরে যেসব সবজি ছিল সেগুলো ১০০ টাকায় নেমেছে। কিন্তু এত দামেও কি সবজি কেনা সম্ভব? দাম কমেছে দেখা যায় শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিন্তু বাজারে আসলে চিত্র উল্টো।’ সবজির দামের বিষয়ে রাজধানীর শান্তি নগর এলাকার সবজি বিক্রেতা সোহেল আহমেদ বলেন, দুই তিন সপ্তাহ আগে সবজির দাম আরও বাড়তি ছিল। কিছুদিন হলো সেসবের দাম কিছুটা কমেছে। আসলে অনেক সবজির মৌসুম এখন শেষের দিকে, শীত পড়লে নতুন সবজি উঠবে তখন দাম কমে আসবে। আজকের বাজারে সবজির মধ্যে সবচেয়ে কম দামে রয়েছে পেঁপে, যার কেজি ৪০ টাকা। আর দাম বেশির তালিকায় রয়েছে শিম, গাজর, গোল বেগুন আর কাঁকরোল। অন্যদিকে বাজারে সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই বাড়তি দামেই আটকে রয়েছে রাজধানীর মাছের বাজার। বাজারে প্রতি কেজি পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, কাতল ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা, চাষের কই ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, গলসা কেজি ৬০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া পাবদা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, রুই ৩৬০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০ টাকা, রূপচাঁদা ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি। গত সপ্তাহের মতোই ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে সোনালি মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিডের কেজি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩১০ টাকা ও সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা। এসব বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসির মাংসের কেজি এক হাজার ১৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা।


বদির ম্যানেজার চেয়ারম্যান জাফর ঢাকায় গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ নভেম্বর, ২০২৪ ২০:০৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি ওরফে ‘ইয়াবা বদি’র ম্যানেজার ও টেকনাফ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাফরকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাজধানী ঢাকার পূর্ব বাসাবো এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৩ ও র‍্যাব-১৫ এর অভিযানিক দল।

আজ শুক্রবার দুপুরে র‍্যাব-১৫-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তার জাফরকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২০ আগস্ট চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকা থেকে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এরপর গত ২ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশের জেদ্দাগামী একটি ফ্লাইট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বদির ক্যাশিয়ার সালাহউদ্দিনকে।


মেট্রোরেলের এমআরটি পাস রেজিস্ট্রেশন বন্ধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল ভ্রমণের নিজস্ব কার্ড ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পাসের নতুন রেজিস্ট্রেশন সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। একই সঙ্গে নষ্ট থাকা কার্ডগুলো নবায়নও বন্ধ থাকবে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ডিএমটিসিএলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত কার্ড রেজিস্ট্রেশন এবং পুনরায় ইস্যু করার সুবিধা বন্ধ থাকবে। সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। বর্তমানে মেট্রোরেল শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলাচল করছে। শুধু শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলাচল করে।


মোহাম্মদপুরে মাদক কারবারিদের ফের সংঘাত, নিহত ১

মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ নভেম্বর, ২০২৪ ১৮:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে আবারও মাদক কারবারিদের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রাজা ওরফে একগাল (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী বুনিয়া সোহেল গ্রুপের সদস্য বলে জানা গেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এরইমধ্যে চারজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান জানান, গন্ডগোলের খবর শুনে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত ক্যাম্পের ৭ নম্বর সেক্টরে অভিযান চালানো হয়। আমরা বের হয়ে আসার পরই রাত ৩টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মাদক কারবারিদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে রাজা নামে একজন মারা গেছেন। তিনি মাদক কারবারি বুনিয়া সোহেল গ্রুপের সদস্য। বৃহস্পতিবার বুনিয়া সোহেলকে সিলেটের একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

ওসি আরও জানান, বুনিয়া সোহেল গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার প্রতিপক্ষ চুয়া সেলিম এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করলে বুনিয়া সোহেলের লোকজন তাতে বাধা দেয়। এতে মধ্যরাতে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষের সময় দু’পক্ষই গুলি-বোমা ছুড়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের চেষ্টা করে। এ সময় বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই রাজা মারা যান।

এদিকে শেরেবাংলা নগর ও বছিলা সেনা ক্যাম্প জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় সেনা সদস্যরা। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারিরা পালাতে থাকেন। এসময় ৪০ পিস ইয়াবকাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ২ জন চুয়া সেলিম ও ২ জন দুজন পিচ্চি রাজা গ্রুপের সদস্য। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

জেনেভা ক্যাম্পের মাদক ব্যবসার দখল নিয়ে দ্বন্দ্ব বহুদিনের। ক্যাম্পের দুপক্ষের একটির নেতৃত্বে আছেন বুনিয়া সোহেল, অপর পক্ষের নেতা চুয়া সেলিম। বুনিয়া সোহেলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন সৈয়দপুইরা (নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে আসা ‘বিহারি’) নামের আরেকটি পক্ষের নেতা বাবু ওরফে সৈয়দপুইরা বাবু। সম্প্রতি দেশে অস্থিরতা তৈরি হলে এ দ্বন্দ্ব আরও বেড়ে যায়। গত ৫ আগস্টা সরকার পতন হলে তাদের সংঘাতে যুক্ত হয় থানা থেকে লুটে নেওয়া আগ্নেয়াস্ত্র। ফলে গত তিন মাসে বিভিন্ন প্রাণঘাতী সংঘর্ষে রাজাসহ অন্তত পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছে।


রাজধানীতে ৭ হাজার ২০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ৯ নম্বর সেক্টরের আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ৭ হাজার ২০০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।

গ্রেপ্তাররা হলেন, মোহাম্মদ ইয়াছিন (২৭), মো. আবুল হাসেম (২০)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা, একটি মুঠোফোন ও মাদক বিক্রির নগদ ২৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডের একটি বাস কাউন্টারের সামনে থেকে ইয়াবাসহ তাদের দুইজনেক আটক করে ডিএনসির ঢাকা মেট্রো উত্তর কার্যালয়।

সন্ধ্যায় ডিএনসি উত্তর কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্যে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। পরে আটক আসামিদের ঢাকা উত্তরা পশ্চিম থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মামলা করা হয়।


জাতীয় পার্টির প্রধান কার্যালয়ে ভাঙচুর, আগুন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির প্রধান কার্যালয়ে ভাঙচুরের পর আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র, শ্রমিক, জনতা’।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ‘পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক অপতৎপরতা ও দেশবিরোধী চক্রান্তের’প্রতিবাদে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র শ্রমিক জনতা’ ব্যানারে মশাল মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ আখ্যা দিয়ে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই বলে জানান বক্তারা। তারা বলেন, রাজনৈতিক অতৎপরতা ও দেশবিরোধী চক্রান্ত এই দেশে হবে না।

এরপর তারা জাতীয় পার্টির কার্যালয় ঘেরাও করতে বিজয়নগরে যায়। সেখানে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ছাত্র-জনতার। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন।

এরপরই জাতীয় পার্টিকে জাতীয় বেইমান আখ্যা দিয়ে রাজু ভাস্কর্য থেকে বিজয়নগরের উদ্দেশে মিছিলের ডাক দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দুটি স্ট্যাটাসের দেন হাসনাত। এতে তিনি জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ আনেন।

সন্ধ্যা ৭টা ৩ মিনিটে দেয়া পোস্টে তিনি লেখেন, ‌ ‘জাতীয় বেইমান এই জাতীয় পার্টি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিজয়নগরে আমাদের ভাইদের পিটিয়েছে, অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। এবার এই জাতীয় বেইমানদের উৎখাত নিশ্চিত।’

কিছুক্ষণ পরই আরেক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘রাজু ভাস্কর্য থেকে সাড়ে ৭টায় মিছিল নিয়ে আমরা বিজয়নগর মুভ করব। জাতীয় বেইমানদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে।’


দুই পক্ষের গোলাগুলিতে গৃহবধূর মৃত্যু, ১৭ জনের নামে মামলা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর পল্লবীর বাউনিয়া বাঁধ এলাকায় গত বুধবার চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাদক কারবারি দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে আয়েশা আক্তার (২৬) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাতে নিহতের স্বামী মিরাজুল ইসলাম পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন, মমিন, শাবু, সম্রাট, শামিম, জয়নাল, পাতা সোহেল, কালা মোতালেব, ভাগ্নে মামুন, জাহাঙ্গীর, ভেজাল মামুন, আল-ইসলাম, ইউনুস ওরফে ডিস্কু, রুবেল, মজনু, কালন, কামাল ও জয়।
পল্লবী থানার (ওসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় বুধবার রাতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মামলার ১১ নম্বর আসামি আল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পল্লবী থানা সূত্র জানায়, বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পল্লবী থানাধীন মিরপুর সেকশন-১১ এর বাউনিয়া বাঁধ বি ব্লকে চিহ্নিত অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী মমিন, শাবু, সম্রাট, শামিম, জয়নাল, ইদ্রিস, কালা মোতালেব, কামাল, জাহাঙ্গীর, আল ইসলাম, ভেজাল মামুন, জয়, ইউনুস, রুবেলসহ অজ্ঞাতনামা ১৪-১৫ জন এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ফতের ভাই মামুনের কাছে চাঁদা চায়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও তর্কের মধ্যে থেকে একপর্যায়ে গোলাগুলি হয়। তাতে বাউনিয়া বাঁধ বি ব্লকের ১৭/১৮ বাসার দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি করিডোরে দাঁড়ানো আয়েশা আক্তার গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও তর্কের মধ্যে আধিপত্য প্রদর্শনী পরিণত হয় গোলাগুলিতে। এতে বাউনিয়াবাঁধ বি ব্লকের ১৭/১৮ নম্বর বাসার দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি করিডোরে (বারান্দা) দাঁড়ানো আয়েশা আক্তার গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। নিহত ভুক্তভোগী মৃত আয়েশার স্বামী মিরাজুল পেশায় বাস চালক। তৃতীয় তলায় ১টি রুম নিয়ে ১০ বৎসর ধরে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন তারা।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ও দায়ের করা মামলার আসামিরা আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী মফিজুর রহমান মামুনের (ভারতে অবস্থানরত) অস্ত্রধারী ক্যাডার। তাদের মধ্যে ১ নম্বর মমিন চাচাতো ভাই এবং ১৩ নম্বর আসামি রুবেল বোন জামাই। গ্রেপ্তার ১১ নম্বর আসামি আল ইসলাম ও ৯ নম্বর আসামি জাহাঙ্গীর নেপথ্যে থেকে দখল ও মাদক কারবারের আধিপত্যের লড়াই জিইয়ে রেখে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।
এ বিষয়ে ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মাকছেদুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার আল ইসলামের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা রয়েছে। গুলিতে নারী মৃত্যুর ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। আল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অন্যান্য জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।


banner close