শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
৩ কার্তিক ১৪৩২

রাজধানীতে বেপরোয়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা

নিয়মকানুন মানার বালাই নেই, সড়কে বাড়ছে বিশৃঙ্খলা   
ছবি: সংগৃহীত
সৈয়দ ইকবাল 
প্রকাশিত
সৈয়দ ইকবাল 
প্রকাশিত : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২১:৪৯

রাজধানীর সিপাহীবাগ এলাকা। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জ্যামে বসে আছে মানুষ। এমনিতেই রাস্তা সরু, তার মধ্যে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা রাস্তার দুই পাশে পার্ক করে যাত্রী ওঠানামা করছে। রাস্তার মাঝখানে যে জায়গা রয়েছে তা দিয়ে কোনোভাবেই দুই দিকের গাড়ি আসা-যাওয়া করতে পারছে না। ফলে সৃষ্ট হচ্ছে জটলা, জ্যামের। এটা এই এলাকার নিত্যদিনের ঘটনা বলে জানান স্থানীয় মোবারক মিয়া। পেশায় তিনি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর একরাশ অভিযোগ নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন তিনি। বললেন, ‘এটা দেখার কেউ নেই। এখানে এই চিপা রাস্তার মধ্যে ব্যাটারির অটোরিকশাগুলো দুই পাশে পার্কিং করে রাখে। ফলে রাস্তা দিয়ে কোনোভাবেই গাড়ি চলাচল করতে পারে না। অফিস টাইম আর সন্ধ্যা বেলায় ভয়াবহ জ্যাম লাগে এখানে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় এখানে।’

শুধু সিপাহীবাগ বাজার এলাকার চিত্রই নয়। এ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এখন নগরের এক অন্যরকম এক আতঙ্কের নাম। সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর রামপুরা, বনশ্রী, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ি, বাসাবো, বৌদ্ধ মন্দির, মুগদা, সিপাহীবাগ, মানিকনগর, মান্ডা, সায়েদাবাদ, কোনাপাড়া, বসিলাসহ এই এলাকাতেই হাজার হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। আর তো রয়েছেই শহরের অন্যান্য এলাকার চিত্র। এটার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। নতুন নতুন গাড়ি প্রতিনিয়ত নামানো হচ্ছে রাস্তায়। কোনো নিয়মকানুন নেই।

তবে খবর নিয়ে জানা গেছে, নগরীর নিম্ন এলাকাগুলোয় এই ব্যাটারিচালিত রিকশা নামানোর ব্যাপারে কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করা হয় না। যেমন- গুলশান-বনানী কিংবা বারিধারায় চাইলেই এসব গাড়ি হুট করে নামানো যায় না; কিন্তু যাত্রাবাড়ি, সায়েদাবাদ, মুগদা, মানিকনগর, মান্ডা কিংবা সিপাহীবাগের মতো এলাকাগুলোতে যে কেউ যখন-তখন নামিয়ে ফেলতে পারে এসব রিকশা। ফলে ঘনবসতিপূর্ণ এসব এলাকায় আরও যানজট বাড়ছে, বাড়ছে রাস্তায় বিশৃঙ্খলাও। অথচ, নিয়ম রয়েছে রাস্তার হিসাব করে যেকোনো নামানো বিষয়টি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা যেন রাস্তায় নামানোই এখন সহজ একটি প্রক্রিয়া।

রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ পুরান ঢাকা, লালবাগ, হাজারীবাগ, আজিমপুরসহ ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর এবং উত্তরাতেও ব্যাপক সংখ্যক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা যায়।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, প্রায় প্রতিদিন রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকদের বেপরোয়া চলাচলে প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। কিছু কিছু ঘটনা আলোচনায় আসছে। বাকি অনেক ঘটনা জানতেও পারছে না মানুষ।

সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সূত্রে জানা যায়, রাজধানীতে রিকশার সংখ্যা কত, এর সঠিক কোনো তথ্য কোনো সংস্থার কাছে নেই। ডিএসসিসি এলাকায় অবৈধ প্রায় ৪ লাখ রিকশা রয়েছে। ডিএনসিসি এলাকায়ও অবৈধ রিকশার সংখ্যা ৪ থেকে ৫ লাখ হবে বলে মনে করছেন ডিএনসিসি সংশ্লিষ্টরা। নতুন করে ঢাকায় যেসব রিকশা নামানো হচ্ছে, এর মধ্যে বড় একটি সংখ্যা ব্যাটারিচালিত। শারীরিক কষ্ট লাঘব করতে রিকশাচালকরা ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। এ জন্য রিকশার মালিকরাও রিকশায় ব্যাটারি যুক্ত করছেন।

জানা গেছে, এসব রিকশা থেকে প্রতি মাসে বড় অঙ্কের চাঁদাবাজি হয়ে থাকে। যা স্থানীয় থানাসহ রাজনৈতিক পরিচয়ধারী নেতা-কর্মীরা ভাগ পেয়ে থাকে।

এদিকে একটা সময় ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলো নগরীর প্রধান সড়কে ওঠানোর বিষয়ে বিধিনিষেধ ছিল। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এ নিয়মের কোনো বালাই নেই বললেই চলে। সরেজমিনে দেখা গেছে, দেদার ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলো নগরীর প্রধান সড়কে চলার পাশাপাশি তা বিভিন্ন ফ্লাইওভারেও উঠে যাচ্ছে যেনোতেনোভাবে এসব রিকশা চলার ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনা।

এদিকে এই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা কিছু ইতিবাচক মন্তব্য দিয়েছেন। তাদের মতে, এসব গাড়ির কারণে মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে এটা ইতিবাচক দিক। তবে এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে। কেননা একজন চালককে জানাতে হবে- তার কোন রাস্তায় কীভাবে চলাচল করতে হবে। রাস্তায় চলাচলের একটা নিয়ম-নীতি রয়েছে। তাকে সেই শিক্ষাটা দিতে হবে।

ঢাকা শহরের মতো দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এখন রাস্তার বিষফোড়া। এলাকার ভেতরের রাস্তায় এসব রিকশা চলাচলের কথা থাকলেও এগুলো সব সময় মহাসড়কে উঠে আসে। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব নিয়ন্ত্রণ করা যায় না রাজনৈতিক কারণেই। কারণ দিনশেষে এ থেকে বড় অঙ্কের চাঁদাবাজি হয়ে থাকে। যার ভাগ রাস্তার পাতি নেতা থেকে শুরু করে প্রশাসন পর্যন্ত পেয়ে থাকে।

দেশের অনেক সড়কেই নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলে থাকে ধীরগতির ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক, নসিমন, করিমন, মাহিন্দ্রা গাড়িগুলো। অন্যদিকে, দূরপাল্লার পরিবহনগুলো দ্রুত গতির হয়ে থাকে। এতে বাড়ছে দুর্ঘটনা। সরু রাস্তা ও ধীরগতির অবৈধ যানবাহনের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে দুর্ভোগও।

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করা এই রিকশার নিয়ন্ত্রণ কার হাতে এটাই এখন বড় প্রশ্ন? শুধু অভিযান চালিয়ে অবৈধ রিকশার দাপট বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য নগর পরিকল্পনাবিদদের। তাই প্রয়োজন কঠোর পদক্ষেপ। খবর নিয়ে জানা গেছে, ইজিবাইকগুলো রুট পারমিট ছাড়াই রাস্তায় চলাচল করছে।

চার্জ দিতে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ট্রাফিক বিভাগের কাছে সঠিক কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও পুরো দেশজুড়েই চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক। ধারণা করা হয় এ সংখ্যা ৫০ লাখেরও বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকাসহ দেশের জেলা শহরগুলোতে চলাচল করছে। সারা দেশে এই অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার অটোবাইকের ব্যাটারি চার্জ দেওয়া হয়। এতে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের খরচ হচ্ছে। সাধারণত একটি ইজিবাইক চালানোর জন্য চার থেকে পাঁচটি ১২ ভোল্টের ব্যাটারি প্রয়োজন। আর প্রতি সেট ব্যাটারি চার্জের জন্য গড়ে ৯০০ থেকে ১১০০ ওয়াট হিসেবে পাঁচ থেকে ছয় ইউনিট (দিনে বা রাতে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা) বিদ্যুৎ খরচ হয়। সে হিসেবে এক লাখ ইজিবাইক বা ব্যাটারিচালিত রিকশা চার্জের জন্য জাতীয় গ্রিড থেকে প্রতিদিন অন্তত ১১০ মেগাওয়াট এবং মাসে ৩৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হওয়ার কথা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ গ্যারেজ চুরি করে ও লুকিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এসব ব্যাটারি রিচার্জ করায় সরকার বিদ্যুতের বড় অঙ্কের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। রিকশাগুলোর ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার জন্য গড়ে উঠেছে বেশ কিছু গ্যারেজ। এসব গ্যারেজে ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলো চার্জ দেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। গ্যারেজের মালিকরা প্রতিটি রিকশা চার্জ দেওয়ার জন্য দৈনিক ৪০ টাকা নিয়ে থাকেন। নিয়মানুযায়ী গ্যারেজগুলোতে বাণিজ্যিক মিটার থাকার কথা। কিন্তু গ্যারেজের মালিকরা বাড়ির পাশে গ্যারেজ গড়ে তুলে বাড়ির মিটারের সংযোগ থেকেই ব্যাটারি চার্জ দিচ্ছেন। এতে সরকারের ক্ষতি হচ্ছে। এ ছাড়া অনেক ব্যাটারিচালিত রিকশার মালিক নিজের বাড়িতে অথবা গরিব কোনো বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীর বাড়িতে রাতব্যাপী রিকশার ব্যাটারিগুলো চার্জ দিচ্ছেন। যার অধিকাংশ গ্যারেজেই নিষিদ্ধ এসব অটোবাইকের ব্যাটারি চার্জ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন। অনেক স্থানে চলছে মিটার টেম্পারিংয়ের মতো ঘটনা। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন করে ইজিবাইক আমদানি বন্ধ ও পুরোনোগুলো পর্যায়ক্রমে তুলে নেওয়ার কথা থাকলেও তা কার্যকর হয়নি গত কয়েক বছরেও।

মহাসড়কের আতঙ্ক থ্রি হুইলার

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের শহর ও গ্রামে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, অটো চার্জার ভ্যান, নছিমন, করিমন, ভটভটি, থ্রি হুইলার জাতীয় ইজিবাইক, টেম্পো ও অযান্ত্রিক যানবাহন। নানা পদক্ষেপের পরও বিপজ্জনক এসব যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। সড়ক-মহাসড়কে বাধাহীনভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব যানবাহন। অভিযোগ রয়েছে, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশার মালিকরা আইন মানতে নারাজ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীসহ দেশের শহর-বন্দর-গ্রামের সড়ক ছেয়ে গেছে এসব ব্যাটারিচালিত ‘থ্রি হুইলার’ রিকশা ও ইজিবাইক।

বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করেন বুয়েটের অধ্যাপক ও গণপরিবহণ বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল হক। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশনবিহীন যেসব গাড়ি যেমন- ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, নছিমন, করিমন সেগুলোর বিষয়ে করণীয় কী এগুলো কেউ ভাবছেন বলে মনে হচ্ছে না। প্রতিদিনই এসব গাড়ির জন্য সড়কে দুর্ঘটনায় ঝরছে প্রাণ। এসব গাড়ির চালকের গাড়ি চালানোর কোনো দক্ষতাই নেই। নেই গাড়ির কোনো নিবন্ধনও। বিআরটিএ এসব গাড়ির বিষয়ে এখনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেন বুঝি না। মহাসড়কে ধীরগতির এসব ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন দুর্ঘটনার বড় কারণ। মহাসড়ক সব সময় অবারিত থাকা উচিত। এসব ছোট গাড়ির জন্য আলাদা লেন করতে পারলে সুফল পাওয়া যাবে।

বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক হাদিউজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, সিঙ্গেল সড়কগুলো যখন সরাসরি মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হয় আর আইন করা হয় এসব তিন চাকার যান মহাসড়কে ওঠা নিষেধ, তাহলে বিকল্প রাস্তা প্রয়োজনের জন্য। আর বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা না করে আইন করে কখনোই এসব যানবাহন বন্ধ করা সম্ভব নয়। কেননা ২০০৯ সালে যখন চীন থেকে এসব যানবাহন আমদানি হয়েছে তখনই এ বিষয়ে পরিকল্পনা করা দরকার ছিল। গত ১৫ বছরে কয়েক লাখ মানুষের কর্মনির্ভর করে এখানে। তিনি বলেন, সব মহাসড়কের দুই পাশে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সার্ভিস রোড চালু করতে হবে। এতে মহাসড়ক একদিকে ঝুঁকিমুক্ত হবে এবং থ্রি-হুইলারসহ অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধ হবে। আনফিট যানবাহন সরিয়ে নিতে হবে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত কয়েক বছরে লাখ লাখ অটোরিকশা আমদানি করা হয়েছে। এর অর্ধেকও লাইসেন্স পায়নি; কিন্তু স্থানীয়ভাবে দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা চাঁদা দিয়ে চলছে। ইজিবাইক, নছিমন, করিমন, ভটভটি একই প্রক্রিয়ায় চলছে। তিনি বলেন, মহাসড়ক নিরাপদ করতে হলে জাতীয় সড়ক কাউন্সিলের দেওয়া ১১১টি সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে। সিটি সার্ভিসের ৯৮ শতাংশ বাস-মিনিবাস চলাচলের অযোগ্য। আন্তঃজেলা দূরপাল্লার ৪৮ শতাংশ বাস ২০ বছরের বেশি পুরোনো। আনফিট, লক্কর-ঝক্কর যানবাহন সরিয়ে নিতে হবে। তাছাড়া দক্ষ চালকের অভাব রয়েছে। পরিকল্পনা করে মহাসড়কগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন খুবই জরুরি। পুলিশ ও মালিক-শ্রমিকদের চাঁদাবাজি বন্ধ করা জরুরি।


ছাত্র হয়েও ভোট দিতে পারেননি চাকসু নির্বাচনে অনেক শিক্ষার্থী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চবি প্রতিনিধি

দীর্ঘ ৩৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন, হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে বুধবার সকাল থেকেই চবিতে ঈদের উৎসব বিরাজমান। শিক্ষার্থীরা দলে দলে শাটলে ও বাসে এসে সবুজের রাজ্য খ্যাত চবি ক্যাম্পাসে নামছেন। সকাল নয়টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে এখনো চলমান রয়েছে। ভোট প্রদানের পর শিক্ষার্থীরা স্মার্টফোন হাতে ছবি, ভিডিও নিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেছেন। তবে এসব আনন্দের অংশ হতে পারেনি ২৪২ জন ভোটার।

দীর্ঘ ৩৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন এবং হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনের কারণে বুধবার সকাল থেকেই চবি ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। শাটল ট্রেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে দলে দলে শিক্ষার্থীরা ছুটে আসেন সবুজে ঘেরা ক্যাম্পাসে।

সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ দুপুর পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে চলতে থাকে। ভোট প্রদান শেষে শিক্ষার্থীরা স্মার্টফোনে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ভাগাভাগি করেন।

তবে এই আনন্দের অংশ হতে পারেননি ২৪২ জন শিক্ষার্থী, যারা বৈধ ছাত্র হয়েও ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

চাকসু নির্বাচনে এবার ২৭ হাজার ৫০০ ভোটারের মধ্যে ২৪২ জন ভোটার রয়েছে পিএইচডি ও এমফিল গবেষক শিক্ষার্থী। যারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ায় নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গেও তারা যুক্ত আছেন। এতে নৈতিকতার দিক থেকে ভোট প্রদান করতে পারবেন না তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২৭ হাজার ৫০০ ভোটারের মধ্যে ২৪২ জন পিএইচডি ও এমফিল পর্যায়ের শিক্ষার্থী। নিয়ম অনুযায়ী তারাও এবার ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। ফলে এসব শিক্ষকদেরও ভোটার হিসেবে ধরা হয়েছে, যেহেতু তারা এখনো শিক্ষার্থী হিসেবে নিবন্ধিত।

তবে আমি নিজেও নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। ভোটকেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তা, হোস্টেল, হল ও প্রবেশপথসহ বিভিন্ন পয়েন্টে শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন করছেন। তাই আমি মনে করি, ভোটার তালিকায় নাম থাকলেও আমাদের ভোট প্রদান করা নৈতিক হবে না। এ কারণেই সংশ্লিষ্ট সবাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে আমি বিশ্বাস করি।”


শাহবাগ মোড় ছেড়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা, যান চলাচল শুরু

আন্দোলনরত শিক্ষকেরা আজ বিকেল পৌনে ৫টার দিকে শাহবাগ মোড় ছেড়ে গেলে যান চলাচল শুরু হয়। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ শাহবাগ মোড় থেকে সরে গেছেন আন্দোলনরত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

আজ বুধবার বেলা পৌনে ৫টার দিকে শাহবাগ মোড় থেকে মিছিল নিয়ে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে যান। এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছিলেন শিক্ষকেরা। তাতে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়ে আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজট হয়।

২০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষকেরা। শাহবাগ মোড় ছাড়ার সময় তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, সরকার থেকে বাড়িভাড়া ১০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু তারা এতে রাজি নন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে তারা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম তিন হাজার টাকা) বাড়ি ভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। এতে সারা দেশ থেকে আসা বিপুলসংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নেন। কিন্তু সেখানে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তাঁরা। লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান থেকে পানি ছুড়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরদিন সোমবার থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলন করছেন তাঁরা।

শিক্ষক-কর্মচারীদের অন্য দুটি দাবি হলো—শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সচিবালয়ের অভিমুখে মিছিল করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। হাইকোর্টের মাজারসংলগ্ন গেটে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। সেখানেই রাত পর্যন্ত শিক্ষকদের অবস্থান করতে দেখা যায়।

আজ বেলা ১১টা থেকে আবারও শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। বেলা ২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বড় মিছিল নিয়ে শিক্ষক–কর্মচারীরা শাহবাগ মোড়ের উদ্দেশে রওনা দেন। পথে শাহবাগের প্রবেশমুখে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। তবে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে সেই প্রতিবন্ধক ভেঙে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন তাঁরা।

গত রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ শিক্ষকদের সরাতে গেলে ধস্তাধস্তি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে সংগঠনের নেতাদের আহ্বানে শিক্ষকরা শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

রোববার ও সোমবার রাতভর রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করেন শিক্ষকরা। কেউ প্লাস্টিকের চট বিছিয়ে, কেউ মাথার নিচে ব্যানার দিয়ে রাত কাটান। তাদের কথা, প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি ও আন্দোলন চলবে।

অন্যদিকে, সারাদেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বর্তমানে কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছেন। তারা প্রতিদিন নিয়মিতভাবে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন না, পাঠদান কার্যক্রমেও অংশ নিচ্ছেন না। বিদ্যালয়ের আঙিনা, শিক্ষক লাউঞ্জ কিংবা অফিসকক্ষে বসেই তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।

এছাড়া বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকরা হাতে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়েও প্রতিবাদ করছেন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঢাকায় অবস্থানরত এবং আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষকরা।


শিক্ষকদের আন্দোলনে শাহবাগ ‘ব্লকেড’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধিসহ ৩ দফা দাবিতে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা শাহবাগ অবরোধ (ব্লকেড) করে বিক্ষোভ করছেন। তাদের স্লোগানে স্লোগানে শাহবাগ এলাকা উত্তাল হয়ে উঠেছে। শিক্ষকরা ঘোষণা দিয়েছেন, দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলবে।

আজ বুধবার দুপুর ২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অবস্থান কর্মসূচি থেকে এসে শাহবাগ ব্লকেড করেন শিক্ষকরা। এতে শাহবাগ মোড়ের চারদিকের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। গতকাল বুধবার বিকেলে তারা ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালন করেন।

শিক্ষকরা জানান, আমাদের কর্মবিরতি চলবে। ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা ও কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত কোনো শিক্ষক শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন না।

এদিকে শিক্ষকদের দাবি আদায়ের কর্মসূচিতে পুলিশের বলপ্রয়োগের প্রতিবাদে গত সোমবার সকাল থেকে সারাদেশের সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্কুল–কলেজে ক্লাস কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, সরকারের প্রস্তাবিত বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির হার ‘অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব’। তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে ভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সর্বজনীন বদলি নীতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।

গত রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ শিক্ষকদের সরাতে গেলে ধস্তাধস্তি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে সংগঠনের নেতাদের আহ্বানে শিক্ষকরা শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

রোববার ও সোমবার রাতভর রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করেন শিক্ষকরা। কেউ প্লাস্টিকের চট বিছিয়ে, কেউ মাথার নিচে ব্যানার দিয়ে রাত কাটান। তাদের কথা, প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি ও আন্দোলন চলবে।

অন্যদিকে, সারাদেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বর্তমানে কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছেন। তারা প্রতিদিন নিয়মিতভাবে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন না, পাঠদান কার্যক্রমেও অংশ নিচ্ছেন না। বিদ্যালয়ের আঙিনা, শিক্ষক লাউঞ্জ কিংবা অফিসকক্ষে বসেই তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।

এছাড়া বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকরা হাতে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়েও প্রতিবাদ করছেন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঢাকায় অবস্থানরত এবং আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষকরা।


‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসে দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ ঢাকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’। ১৬৭ স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা শহর দুটি ভারতের।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান নির্ধারণ সংস্থা আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য নেওয়া হয়েছে।

আইকিউএয়ারের দেওয়া তথ্যে দেখা গেছে, দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম অস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ২৬০, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, বায়ুর মানের স্কোর ২২৪, তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা, স্কোর ১৬৮। ১৬৩ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে কাতারের রাজধানী দোহা। দূষিত বাতাসে শীর্ষ দশে থাকা অপর শহরগুলোর বাতাসের মানের স্কোর ১৫৭ থেকে ১৩৯ এর মধ্যে।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ‘ভালো’ বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা ‘সহনীয়’ ধরা হয় বায়ুর মান। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠী’র (অসুস্থ বা শিশু-বৃদ্ধ) জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। আর স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত থাকলে সে বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়।

স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয় এবং ৩০১ এর বেশি হলে তা ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।


মিরপুরে পোশাক কারখানা ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে একটি গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে। এছাড়া আরও ১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের কাছে আগুনের সংবাদ আসে। পরে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের মিডিয়া সেল-এর কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমাদের সাতটা ইউনিট কাজ করছে, আরও একটা ইউনিট যাচ্ছে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এছাড়া আগুনে কেউ হতাহত হয়েছে এমন সংবাদও আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত আসেনি।


অধ্যক্ষের অনুরোধে অবরোধ প্রত্যাহার, সড়ক থেকে সরে গেলেন শিক্ষার্থীরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫’ সংশোধনের দাবিতে এবং সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা কলেজের শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধের পর অধ্যক্ষের অনুরোধে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে তারা সড়ক ছেড়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যায়। এতে সড়কে বন্ধ হয়ে যাওয়া যান চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, অবরোধ চলাকালে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস ও উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক পারভীন সুলতানা হায়দার সায়েন্সল্যাব মোড়ে আসেন। এসময় তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। পরে শিক্ষার্থীরা তাদের আহ্বান মেনে সড়ক ছেড়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যান।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, নতুন ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫’-এর বর্তমান ধারায় ঢাকা কলেজের ইন্টারমিডিয়েট বিভাগ বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির শতবর্ষের ঐতিহ্য নষ্ট হবে বলে দাবি করেন তারা।

উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন বলেন, ঢাকা কলেজের ইন্টারমিডিয়েট বিভাগ শুধু একটা শিক্ষা ধাপ নয়, এটা আমাদের ইতিহাসের অংশ। এই বিভাগ তুলে দিলে কলেজের ঐতিহ্য ধ্বংস হয়ে যাবে।

সামিউল ইসলাম নামের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বলেন, আমরা চাই না আমাদের পরের প্রজন্ম এই কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সুযোগ হারাক। শত বছরের পুরোনো এই ধারা বজায় রাখা উচিত। ঢাকা কলেজ সবসময়ই মাধ্যমিকের পর শিক্ষার্থীদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা ভালো, কিন্তু ঐতিহ্য মুছে দিয়ে নয়। আমাদের দাবি ঐতিহ্য সংরক্ষণ করেই এগোতে হবে।

অন্যদিকে, অবরোধের কারণে ওই এলাকায় প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় তীব্র ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। ফলে আজিমপুর, নীলক্ষেত, শাহবাগ, ধানমন্ডি ও কলাবাগান, মোহাম্মদপুরসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

এর আগে, সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা কলেজে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫’ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা শুরুর প্রস্তুতির সময় ঢাকা কলেজে শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে ‘দালাল’ মন্তব্যের অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে শিক্ষকরা ধরে কমনরুমে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে সহপাঠীকে ছাড়িয়ে আনেন।

এসময় উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও স্নাতকের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মারামারিতে জড়ান।


ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকার বাতাস আজ অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণে ঢাকা আজ বিশ্বের পঞ্চম স্থানে রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৯টায় বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

আইকিউএয়ার অনুযায়ী সকাল ৯টায় ঢাকার বায়ুর দূষণ মান ১৫৮। একই সময় বিশ্বে শীর্ষ দূষণের তালিকায় প্রথম থাকা পাকিস্তানের লাহোরের বায়ুর দূষণ মান ২২১। তৃতীয় অবস্থানের থাকা কলকাতার বায়ুর দূষণ মান ১৬৪ ও চতুর্থ অবস্থানে থাকা বায়ুর দূষণ মান ১৬২।

বায়ুর মান শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালন করবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দাবি পূরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি না করায় মঙ্গলবার শহীদ মিনার থেকে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালন করবেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। পাশাপাশি তাঁদের অবস্থান ও কর্মবিরতি চলবে।

মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশের দাবিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। গতকালেক তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। পাশাপাশি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সচিবালয় অভিমুখে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। গতকাল রাতে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী।

তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন বা ঘোষণা না এলে লং মার্চসহ পরবর্তী কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।

দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘আমাদের ওপর নির্বিচার পুলিশি লাঠিপেটা করা হয়েছে। আমাদের শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করে রক্তাক্ত করা হয়েছে। টিয়ার সেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এমনকি একজন শিক্ষককে ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা এর নিন্দা জানাই ও বিচার দাবি করছি।’

তিন দফা দাবিতে গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এতে সারা দেশ থেকে আসা বিপুলসংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী এতে অংশ নেন। কিন্তু সেখানে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তারা। লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান থেকে পানি ছুড়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা।


ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর, দূষণে বিশ্বে সপ্তম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আজ সোমবার বেলা ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৬টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান সপ্তম। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) এ সময় ঢাকার স্কোর ছিল ১৫১। বাতাসের এ মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

একই সময়ে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে ছিল ইরাকের বাগদাদ ও ভারতের দিল্লি। শহর দুটির স্কোর যথাক্রমে ২২৭৮ ও ১৯০। স্কোর ১৮৩ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে পাকিস্তানের লাহোর, চতুর্থ অবস্থানে আছে কলকাতা, স্কোর ১৬৮ এবং ১৬৩ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে আছে উজবেকিস্তানের তাশকেন্ট।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি ও অন্তঃসত্ত্বা। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়।


সাউন্ড গ্রেনেডে উত্তেজনা, প্রেস ক্লাব থেকে সরে শহীদ মিনারে শিক্ষকরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়ার দাবিতে দেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীর প্রেস ক্লাব এলাকায়। পুলিশের বাধার মুখে সেখান থেকে সরে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন।

রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সেখানে সরে গিয়ে ওই স্থান থেকেই তারা লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, জনদুর্ভোগ এড়াতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি এখন থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলবে। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকেই কর্মসূচি চালিয়ে যাব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের শীর্ষ নেতারা এরইমধ্যে শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন। যারা এখনো প্রেস ক্লাবে আছেন, তাদের অনুরোধ করছি মিছিলসহ শহীদ মিনারে চলে আসতে। আমরা এখান থেকেই আমাদের আন্দোলন পরিচালনা করব এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে লাগাতার আন্দোলনকে সাজাবো ইনশাআল্লাহ।

অধ্যক্ষ আজিজী বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—যতক্ষণ পর্যন্ত জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি না হবে, আমরা শহীদ মিনার ছাড়ব না, ঢাকার রাজপথও ছাড়ব না। আলোচনার মাধ্যমে, সহযোগিতার মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন নিয়েই বিজয়ী বেশে আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরব।

অন্যদিকে প্রেস ক্লাব এলাকা থেকে শিক্ষক নেতাদের সরাতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই আবার প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টাও করেন। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোন সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।


ঢাবি, বুয়েট ও ঢামেকে ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নতা অভিযান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃক আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এছাড়া, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন ফুটপাতে অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট উচ্ছেদে আনন্দবাজার মোড় হতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানে কর্পোরেশনের মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া এঁর উপস্থিতিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সকাল ০৬:০০ ঘটিকায় শুরু হওয়া এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের ১৩০০ জন কর্মী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সদস্যবৃন্দ ও ক্যাম্পাসসমূহের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ হিসেবে ড্রেন, নর্দমা, ফুটপাত ও ক্যাম্পাসের জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার ও মশার ঔষধ প্রয়োগ করা হয়। এছাড়া, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে একটি র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

পরিচ্ছন্নতা প্রোগ্রাম চলাকালীন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, "উন্নত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মতো আমাদের ক্যাম্পাসসমূহ পরিচ্ছন্ন রাখতে বহিরাগত ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আজ থেকে আমরা একসাথে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবো।" এছাড়া, নাগরিকদের অভ্যাসগত পরিবর্তন আনয়নের মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সাফল্যের জন্য তিনি গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।

ডিএসসিসি প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, "জ্ঞানচর্চার অন্যতম প্রধান তিনটি প্রাণকেন্দ্র-ঢাবি, বুয়েট ও ঢাকা মেডিকেল কলেজে পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস বিনির্মাণে সমন্বিত ভাবে কাজ করবে ক্যাম্পাস প্রশাসন ও ডিএসসিসি।" ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রকৃত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান থেকে অনেক কম উল্লেখ করে প্রশাসক বলেন ডিএসসিসি এলাকায় প্রধান হাসপাতালসমূহ অবস্থিত হওয়ায় সারা দেশের ডেঙ্গু রোগীরা ডিএসসিসি এলাকায় চিকিৎসা গ্রহণ করতে আসেন। এছাড়া, হাসপাতাল এলাকায় সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ ও যানজট নিরসনে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে আর কোনো মুনাফালোভীদের অবৈধ ব্যবসার সুযোগ দেওয়া হবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন এ বিষয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে ডিএসসিসি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সমন্বিতভাবে কাজ করবে।

পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো: জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ডাকসুর ভিপি মোঃ আবু সাদিক, বুয়েট ও ডিএমসি প্রশাসনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


বৃষ্টি নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর আকাশ আজ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেইসঙ্গে হতে পারে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়—আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে সেইসঙ্গে হতে পারে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি। এ ছাড়া দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এ সময় দক্ষিণ বা দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ০৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।

সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৭ শতাংশ। বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে সবশেষ সারা দেশের জন্য দেওয়া ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে—আজ ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।


হোস্টেলে ঢাবি ছাত্রীকে নির্যাতন, পরিচালিকা আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের পাশে অবস্থিত স্বপ্ননিবাস হোস্টেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে হোস্টেলের পরিচালিকার বিরুদ্ধে। নির্যাতনের পর ওই ছাত্রীকে রুমে আটকে রাখার ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা থানায় অভিযোগ জানালে পুলিশ এসে পরিচালিকাকে আটক করে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।

তিনি জানান, ওই রাতে তার এক আত্মীয় স্বপ্ননিবাস হোস্টেলে দেখা করতে আসেন। বিষয়টি জানার পর হোস্টেলের পরিচালক অতিরিক্ত এক হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দেয়ায় পরিচালক ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলেন এবং তাকে রুমে আটকে রাখেন।

তিনি আরও বলেন, আমার ওপর শারীরিকভাবে হামলা করা হয়। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে বন্ধুরা আমাকে হাসপাতালে নিতে চাইলেও পরিচালিকা বাধা দেন।

এ ঘটনার বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী শেরেবাংলা নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে সঙ্গে নিয়ে হোস্টেলে যান। তারা পরিচালিকার গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

এ উপস্থিত ছিলেন জিয়াউর রহমান হলের ভিপি, সূর্যসেন হলের ভিপি এবং হাজি মুহাম্মদ মুহসিন হলের সমাজসেবা সম্পাদকসহ আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী।

পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হোস্টেলের পরিচালিকাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার ওসি বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীর চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।


banner close