বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
৫ চৈত্র ১৪৩১

বিশেষ পরিস্থিতিতে আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করি: ডিএমপি কমিশনার

ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৮:২২

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর এক বিশেষে পরিস্থিতিতে আমি ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করি। তখন সড়ক ও গণপরিবহনে এক ধরনের অব্যবস্থাপনা ছিল। অল্প সময়ের মধ্যে সে পরিস্থিতি থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছি। আমরা এ অবস্থা ধরে রাখতে চেষ্টা করছি।

আজ শনিবার সকালে ডিএমপি সদর দপ্তরে গণপরিবহনে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলা কার্যকর করতে বাস মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।

মতবিনিময়ের সময় রাস্তায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় বাস মালিকদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানো, রাস্তার মাঝখানে ও যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো এবং এলোমেলোভাবে রাস্তায় গাড়ি রাখা বন্ধ করতে হবে।

বাস মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ড্রাইভার ও বাস শ্রমিকদের এ বিষয়ে আরও সচেতনতা ও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। তাদের আরও বেশি মনিটরিং করা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করলে মহানগরীর যানজট সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সক্ষম হব। যেকোনো প্রয়োজনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সব সময় আপনাদের পাশে থাকবে।

সভায় বাস মালিকদের পক্ষ থেকে আরও সহযোগিতা ও বাস শ্রমিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সচেতনতামূলক সভা করার আহ্বান জানানো হয়।


রাজধানীতে সাঁড়াশি অভিযান গ্রেপ্তার ১৬৯, মামলা ৬৩

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জননিরাপত্তা বিধান ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ঢাকা মহানগর এলাকায় পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি। এছাড়া বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে ৬৩টি।
মঙ্গলবার ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাত ১২ টা থেকে সোমবার রাত ১২ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মহানগর পুলিশের ৫০ থানা এলাকায় জননিরাপত্তা বিধানে দুই পালায় ডিএমপির ৬৬৭ টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। তার মধ্যে রাতে ৩৪০টি ও দিনে ৩২৭টি টিম দায়িত্ব পালন করে।
টহল টিমগুলোর মধ্যে রয়েছে মোবাইল পেট্রোল টিম ৪৭৯টি, ফুট পেট্রোল টিম ৭৩টি ও হোন্ডা পেট্রোল টিম ১১৫টি। এছাড়া মহানগর এলাকার নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে ডিএমপি কর্তৃক ৭১টি পুলিশি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত মোট ১৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ১০ জন ডাকাত, ১১ জন পেশাদার ছিনতাইকারী, তিনজন চাঁদাবাজ, আটজন চোর, ১২ জন মাদক কারবারি, ২৯ জন পরোয়ানাভূক্ত আসামিসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িত অপরাধী।
অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার, একটি পিকআপ, পাঁচটি মোটর সাইকেল, পাচঁটি মোবাইল ফোন, আটটি চাকু, একটি চাপাতি, একটি বড় ছুরি, একটি লোহার রেঞ্জ, একটি লোহার রড, দুটি ককটেল সদৃশ বস্তু, একটি সিপিইউ, একটি মনিটর ও একটি প্রিন্টার উদ্ধার করা হয়। এছাড়া উদ্ধারকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে দুই হাজার ১৩২ পিস ইয়াবা, ১৮ গ্রাম হেরোইন ও ২০০ গ্রাম গাঁজা।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ৫৪টি মামলা করা হয়। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।


দেশি-বিদেশি জাল নোটসহ চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ওয়ারী থেকে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি জাল নোট ও জাল নোট তৈরির সরঞ্জামসহ একটি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওয়ারীর আর কে মিশন রোডের একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি-উত্তরা বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম।

গ্রেপ্তাররা হলেন, মো. সাইদুর রহমান (৩২) ও মো. মেহেদী হাসান (২৫)।

ডিবি জানায়, গোপন সংবাদে জানা যায়- আর, কে মিশন রোডের ৮ নম্বর গলির একটি ভবনের ৬ তলায় কয়েকজন জাল নোট ব্যবসায়ী দেশী-বিদেশী জাল নোট ও জাল নোট তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামসহ অবস্থান করছে। এমন সংবাদে ভবনটিতে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে একজন পালিয়ে যায়, তবে দুজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসময় তাদের কাছ থেকে ১০০০ ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ৭৭ হাজার ১০০ ভারতীয় রুপির জাল নোট, একটি সিপিইউ, একটি মনিটর, প্রিন্টারের ৮টি অব্যবহৃত কালির কৌটা, ১০০ পিস ফয়েল পেপার (সিকিউরিটি ফিতা), দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানিয়েছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে জাল নোট তৈরি করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করতো। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে তারা বিপুল পরিমাণ জাল নোট তৈরি করে সরবরাহ করার জন্য রেখেছিলি।


রাজধানীর পৃথক এলাকায় ৫ ছিনতাইকারী আটক

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর তেজগাঁও, মিরপুর ও উত্তরা হাউস বিল্ডিং এলাকায় ছিনতাইয়ের চেষ্টা করার সময় পাঁচ ছিনতাইকারীকে আটক করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। পুলিশ বলছে আটকরা পেশাদার ছিনতাইকারী।

তাদের কাছ থেকে নগদ এক লাখ দুইশত টাকা, তিন পুরিয়া হেরোইন, একটি স্ক্রু ড্রাইভার ও একটি মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়।

শনিবার ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আটকরা হলেন- মো. সাজ্জাত হোসেন ওরফে সাগর (৪২), মো. ওয়াসিম আকরাম (৩৫), মো. সুমন (৩০), মো. সুলতান মাহমুদ খান (৪৫) ও মোহাম্মদ শান্ত (২৯)।

ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার তেজগাঁও সাতরাস্তা ক্রসিংয়ের উত্তর সিগন্যালের যাত্রী ছাউনির সামনে নিয়মিত ট্রাফিক দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক তেজগাঁও জোনের সার্জেন্ট মো. সোহরাব হোসাইন। বেলা আনুমানিক ১১টা ৪০ মিনিটে একটি বাসে যাত্রী ওঠার সময় কয়েকজন ছিনতাইকারী একজন যাত্রীর টাকা ছিনতাই করে পালাচ্ছিল। ভুক্তভোগীর চিৎকারে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. সোহরাব হোসাইনের বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে তিনি তাৎক্ষণিক উপস্থিত জনসাধারণের সহযোগিতায় ধাওয়া করে তিন ছিনতাইকারী সাজ্জাত হোসেন ওরফে সাগর, ওয়াসিম আকরাম ও সুমনকে আটক ও ছিনতাই হওয়া নগদ এক লাখ টাকা উদ্ধার করেন।

একই দিন রাজধানীর মিরপুর সাড়ে এগারো এলাকায় সেতারা টাওয়ারের সামনে দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক মিরপুর-জোনের সার্জেন্ট মো. রবিন রানা। দায়িত্ব পালনকালে রাত পৌনে ৯ টার দিকে একজন পথচারীর চিৎকার শুনে ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে ছিনতাইকারী মো. সুলতান মাহমুদ খানকে ধাওয়া করে আটক করেন।

অন্যদিকে, ওই দিন রাজধানীর উত্তরা হাউস বিল্ডিং এলাকায় রাত সোয়া ১২ টার দিকে ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে ছিনতাইকারী মোহাম্মদ শান্তকে জনসাধারণের সহযোগিতায় আটক করেন ট্রাফিক উত্তরা-পূর্ব জোনের সার্জেন্ট শাহাদাত হোসেন শান্ত। এ সময় তার হেফাজত থেকে তিন পুরিয়া হেরোইন, একটি স্ক্রু ড্রাইভার, নগদ দুইশত টাকা ও একটি ছিনতাইকৃত মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়।

আটকদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


ধর্ষকদের বিচারসহ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে কাফন মিছিল

সব ধর্ষণের বিচার, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ ও ছাত্রনেতাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শুক্রবার কাফন মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

মাগুরায় নির্যাতনে মারা যাওয়া সেই শিশুসহ সব ধর্ষণের বিচার, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ ও ছাত্রনেতাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কাফন মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে সব রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠনগুলোকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কারের কথা বলেন সংগঠনটির নেতারা।

শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে কাফন মিছিলটি ভিসি চত্বর ঘুরে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে সমাপ্ত হয়। মিছিলে বেশ কয়েকজনকে কাফনের কাপড় মুড়িয়ে ও কয়েকজনের শরীরে কাফনের কাপড় পেঁচিয়ে থাকতে দেখা যায়।

এ সময় নেতা-কর্মীরা- ‘ধর্ষকের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’; ‘জাস্টিস জাস্টিস’; ‘দফা এক দাবি এক, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

কাফন মিছিলের পূর্বে ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, ৫ আগস্টের পর গত ৬ মাসে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক হয়নি। মাগুরার পরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণ হয়েছে। এমনকি ঢাবিতেও নারী শিক্ষার্থীর ওপর নিপীড়ন করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে প্রধান উপদেষ্টার কাছে যেতে চাইলে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। ঢাবিতে সেদিন রাতভর মব তৈরি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা রাস্তায় হাঁটার সময় নিরাপত্তা পাচ্ছি না। নারী বন্ধুদের জন্য ভীতির পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলছে। হাসিনার আমলে দেখতাম, মন্ত্রী বা অন্যরা ব্যর্থ হলে জনগণ তাদের পদত্যাগ চাইলেও সেটা সম্ভব হতো না। এখন জনগণের সরকার ক্ষমতায়, তবুও জনগণ চাওয়ার পরেও ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করছেন না। আমরা এই ব্যর্থ উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি। আমি বলব তাকে জনগণের সামনে জবাব দিতে হবে। অন্যথায় বোঝা যাবে তিনি জুলাইকে ধারণ করেন না।


২০ লাখ টাকার জালনোটসহ ৩ জন গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিশ লাখ টাকার জাল নোট ও জাল নোট তৈরির সরঞ্জামসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও জালনোট নোট তৈরির জন্য ব্যবহৃত উন্নতমানের প্রিন্টার, স্ক্যানার, কাগজ ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ বলছে, ঈদের বাজারকে টার্গেট করে এই টাকা বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল চক্রের সদস্যদের।

এ বিষয়ে আগামীকাল শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে বলে গণমাধ্যমকে এক বার্তা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। সংবাদ সম্মেলনটি পরিচালনা করবেন লালবাগ বিভাগের ডিসি মো. জসিম উদ্দিন।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি জাল নোট তৈরি ও বাজারে সরবরাহ করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের অবস্থান শনাক্ত করে এবং বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে।


৫ মামলার আসামি, পুলিশ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ

রহস্যজনক ভূমিকায় ওসি
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আওয়ামী লীগের নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের অন্যতম সহযোগী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ৫ মামলার আসামীকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়া এলাকার বি ব্লকের ৭ নম্বর রোডে এ ঘটনা ঘটে।

‎‎পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া আসামীর নাম- গোলাম মোস্তফা। তিনি জাহাঙ্গীর কবির নানকের অন্যতম সহযোগী। তার নামে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ৫ টি মামলা রয়েছে। মামলাগুলো হলো- মোহাম্মদপুর থানার মামলা নম্বর-৬৯, রামপুরা থানার মামলা নম্বর-১৮, বাড্ডা থানার মামলা নম্বর-১৬, ক্যান্টমেন্ট থানার মামলা নম্বর-১৬ ও চকবাজার থানার মামলা নম্বর-৫৬।

‎‎পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, জানুয়ারীর ১৪ তারিখ ৫ মামলার আসামী ও আওয়ামীলীগের সাংসদ জাহাঙ্গীর কবির নানকে সহযোগী গোলাম মোস্তফা ও হাফিজুর রহমান লিকুর অন্যতম ক্যাশিয়ার এবং বৈষম্যবিরোধী একাধিক মামলার আসামী আনিসুর রহমান সোহাগ রাত ১০ টায় মোহাম্মদপুর থানায় প্রবেশ করে ওসি আলি ইফতেখার হাসানের সঙ্গে মিটিং করেন। ওসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর থেকে তারা মামলার আসামী হয়েও এলাকায় নিয়মিত ঘুরে বেড়ান। গতকাল বুধবার এদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেও ওসির নির্দেশে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে ওসির অধস্তন অফিসাররা।

‎সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ১১ টায় লালমাটিয়া এলাকার বি ব্লকের ৭ নম্বর রোডের ওপর সকাল ১১টায় মোহাম্মদপুর থানার একটি টিম বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ৫ মামলার আসামী গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করতে যায়। তাকে গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পড়ানোর পর আশপাশে থাকা ৮-১০ জন সিকিউরিটি গার্ড ও স্থানীয় কয়েকজন এসে পুলিশের ওপর হামলা করে আসামীকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার সময় ধস্তাধস্তিতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন। এছাড়াও, আসামীকে গ্রেপ্তারের পর আসামী মোহাম্মদপুর থানার ওসিকে ফোন করেন। এ সময় ওসি আসামীকে ধরতে যাওয়া অফিসারদের ফোন করে আসামীকে ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে নির্দেশ দেন। আসামীকে কেন ধরতে গেছে এমন ধমক দিয়ে অফিসারদের তিনি শাসন করেন।

‎‎প্রতক্ষ্যদর্শী শরীফুল জানান, সকাল ১১ টায় বেশ কয়েকজন অফিসারসহ পুলিশের একটি টিম রাস্তা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় আশপাশে থাকা ৮-১০ জন সিকিউরিটি গার্ড ও আশপাশে কয়েকজন এসে পুলিশের ওপর আতর্কিত হামলা করে। তাদের ওপর হামলার পরও তারা ওই লোককে হাতকড়া পরায়। তখন পুলিশ দেখলাম ফোনে কার সাথে কথা বলার পর তার হাতকড়া খুলে দিয়েছে। পরে পুলিশের কাছ থেকে জানতে পারলাম, ওই লোকের নামে বৈষম্যবিরোধে আন্দোলনের একাধিক মামলা আছে। মনে হয়েছে সিকিউরিটি গার্ড ও স্থানীয় কয়েকজন মিলে পুলিশকে মেরে ফেলবে। এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন তারা।

‎‎পুলিশের ওপর হামলায় অংশ নেওয়া সিকিউরিটি গার্ড দেলোয়ার জানান, সকাল ১১ টার দিকে এভোরেজ স্কুলের মালিক আমাদের স্যার গোলাম মোস্তফা স্কুল থেকে বের হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়িতে উঠছিল। এ সময় পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করতে চেয়েছিল। ওই সময় তার এক হাতে হাতকড়াও লাগায়। সাথে সাথে আমরা যারা ছিলাম সবাই পুলিশকে ঘেরাও করে ধরে তাকে ভিতরে নিয়ে যাই। ওই সময় পুলিশের সাথে আমাদের লোকজনের ধাক্কাধাক্কি হয়। তখন মোবাইল ফোনে আমাদের কর্তৃপক্ষ থানার ওসিকে বিষয়টি জানালে পুলিশ তার হাতকড়া খুলে দিয়ে চলে যায়। এ সময় দেলোয়ারের সাথে যুক্ত হয় আরও দুই সিকিউরিটি গার্ড হাফিজ ও রেজা। তারা জানান, পুলিশের এতো বড় সাহস কোন কিছু ছাড়া আমাদের সামনে থেকে আমাদের স্যারকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাবে। গ্রেপ্তার করতে আসছে দেখে আমরা সবাই পুলিশকে উল্টা আটক করেছি। তাদেরকে ওই সময় ওয়ারেন্ট দেখাতে বলেছি। তারা মোবাইলে কাগজ দেখায়। কোন কাগজপত্র সাথে নিয়ে আসে নাই।

‎‎এ ঘটনায় তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জুয়েল রানা জানান, সকালের দিকে মোহাম্মদপুর থানার একটি টিম বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ৫ মামলার আসামীকে গ্রেপ্তার করতে লালমাটিয়া এলাকায় যায়। আসামী গ্রেপ্তার করার বিষয়টি আমি অবগত। কিন্তু আসামী গ্রেপ্তারের সময় ওই আসামীর লোকজন মব সৃষ্টি করে আমাদের পুলিশের ওপর হামলা করার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ আসামীকে ছেড়ে দিয়ে চলে আসতে বাধ্য হয়। বিষয়টি আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। আমরা খুব শিগগিরই আসামীর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।

আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান বলেন, আমার কাছে এমন কোনো তথ্য নেই। যতটুকু জানি থানা পুলিশ আসামি থাকার তথ্য পেয়ে গিয়েছিল কিন্তু তাকে পায়নি। আসামীকে ছেড়ে দেওয়া বা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার বিষয়ে আমি এখনই খোঁজ নিচ্ছি। তদন্ত করে দেখছি বিষয়টা।


রাজধানীতে সাঁড়াশি অভিযান, ২৪ ঘন্টায় গ্রেপ্তার ১৯৭

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে রাজধানীতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে ১৪ জন ডাকাত, ১২ জন পেশাদার সক্রিয় ছিনতাইকারী, তিন জন চাঁদাবাজ, ১২ জন চোর, ৯ জন মাদক কারবারি, ৩১ জন পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িত অপরাধী। এসময় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের হয়েছে ৫৫টি।

আজ বুধবার ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার সূত্রের বরাতে তিনি জানান, গত সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৫০টি থানা এলাকায় জননিরাপত্তা বিধানে দুই পালায় ডিএমপির ৬৬৭টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। এরমধ্যে রাতে ৩৪০টি ও দিনে ৩২৭টি টিম দায়িত্ব পালন করে। টহল টিমগুলোর মধ্যে রয়েছে মোবাইল পেট্রোল টিম ৪৭৯টি, ফুট পেট্রোল টিম ৭৩টি ও হোন্ডা পেট্রোল টিম ১১৫টি। এছাড়া মহানগর এলাকার নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে ডিএমপি কর্তৃক ৭১টি পুলিশি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়।

পাশাপাশি মহানগরীর বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ স্থানে দুই পালায় সিটিটিসির ১৪টি, তিন পালায় অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটেন (এটিইউ) ১২টি এবং ডিএমপির সঙ্গে রাতে র‍্যাবের ১০টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। এছাড়াও ডিএমপির সঙ্গে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এপিবিএন কর্তৃক ২০টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়।

ডিসি জানান এসময় মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত মোট ১৯৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছে ১৪ জন ডাকাত, ১২ জন পেশাদার সক্রিয় ছিনতাইকারী, তিন জন চাঁদাবাজ, ১২ জন চোর, ৯ জন মাদক কারবারি, ৩১ জন পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িত অপরাধী।

অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত সাতটি চাপাতি, ছয়টি চাকু, একটি চায়নিজ কুড়াল, একটি রামদা, একটি দা, দুটি ডিক স্টপার, তিনটি মোবাইলফোন, একটি ব্লুটুথ, পাঁচটি বাল্ব, ১০টি লোহার নাট, একটি প্লায়ার্স, একটি সেলাই রেঞ্জ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া উদ্ধারকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ১১৬ পিস ইয়াবা, দুই গ্রাম হেরোইন ও এক কেজি ৫২৫ গ্রাম গাঁজা। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ৫৫টি মামলা দায়ের করা হয়।


অনুমতি ছাড়া রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করলে ব্যবস্থা: ডিএমপি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সম্মতি ছাড়া কোনও প্রতিষ্ঠান যদি রাস্তা কাটাকাটি, খোঁড়াখুঁড়ির শর্ত ভঙ্গ করে মহানগরীতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কাজ বন্ধ করাসহ ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।

আজ বুধবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগরীর রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি করে বিভিন্ন কাজ দিনের পরিবর্তে রাতে সঠিকভাবে দ্রুত সম্পাদনে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে প্রায়ই লক্ষ্য করা যায়, কিছু কিছু সংস্থা/ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিনের বেলা বিভিন্ন ইউটিলিটি সার্ভিসের কাজের জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে থাকে, যা পুনঃমেরামত করতে অনেক সময় ৭/৮ মাস লেগে যায়। প্রায় সবক্ষেত্রে যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প রাস্তা তৈরি না করেই রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। সব খোঁড়াখুঁড়ির ক্ষেত্রে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জায়গা কর্তন করা হয়। রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির সময় ট্রাফিক সিগন্যালের জন্য দিক-নির্দেশনা সম্বলিত সাইনবোর্ড লাগানোর বিধান থাকলেও তা করা হয় না। এক লেনে খোঁড়াখুঁড়ি করে মাটি/আবর্জনা অন্য লেনে ফেলে রাখার ফলে দুই লেনের যান চলাচল ব্যাহত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনেকক্ষেত্রে একইসঙ্গে রাস্তার উভয় পাশে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করা হয়, ফলে রাস্তা উভয় দিক থেকে সরু হয়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে রাতে রাঙা খোঁড়াখুঁড়ি করলেও কাটা অংশ সঠিকভাবে ভরাট বা লোহার শিট না দেওয়ার ফলে দিনের বেলায় সে রাস্তায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। অনেকক্ষেত্রে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান/সংস্থা ইউটিলিটি সার্ভিসের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী (যেমন-ক্যাবল/পাইপ ইত্যাদি) সংগ্রহ করার আগেই রাস্তা খনন করে দীর্ঘদিন ফেলে রাখে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ বা ডাইভারশনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয় না।

এসব কারণে ঢাকা মহানগরীর যানজট বৃদ্ধি পেয়ে জনভোগান্তি সৃষ্টি হয় এবং যানবাহন রাস্তায় অলসভাবে বসে থাকার ফলে শ্রমঘণ্টা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়। ইউটিলিটি সার্ভিসের জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি/কাটাকাটির ক্ষেত্রে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা এবং ঠিকাদারকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ডিএমপি সদর দপ্তরের সম্মতি ছাড়া রাস্তা কাটাকাটি ও খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শুরু না করা। সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে কোনো রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ না করা। এক্ষেত্রে রাতে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করে সকালে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে।

রাস্তা কাটার আগে যেসব বিষয় নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে

১) কাজ শুরু এবং শেষ করার সময় (অর্থাৎ কোন তারিখে কাজ শুরু এবং শেষ হবে তা) পূর্বেই ঘোষণা করতে হবে এবং ওই সময়ের মধ্যে অবশ্যই কাজ শেষ করতে হবে।

২) রাস্তা খননের স্থান ও এর আগে-পরে ২০০ মিটার পর্যন্ত যথাযথ ট্রাফিক নির্দেশনা এবং ট্রাফিক সিগন্যাল লাইট লাগাতে হবে।

৩) নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল অবশ্যই নিয়োগ করতে হবে।

৪) পথচারী এবং যানবাহন চলাচলের জন্য অবশ্যই বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করতে হবে।

৫) কাটা রাস্তা ব্যবহার উপযোগী করার জন্য লোহার শিট রাস্তা কাটার আগেই সেখানে আনতে হবে।

৬) রাস্তার একটা লেন রাতের বেলা কাটা যেতে পারে, তবে সেটা অবশ্যই সূর্যোদয়ের আগেই ব্যবহার উপযোগী করতে হবে।

৭) কোনো অবস্থাতেই একই রাস্তার উভয় পাশে একসঙ্গে খোঁড়াখুঁড়ি করা যাবে না।

৮) ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের প্রতিনিধিসহ রাতে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করতে হবে।

৯) কোনো রাস্তা রাত্রিকালে সর্বোচ্চ ৭ দিন খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করা যাবে এবং পরবর্তী তিন রাতের মধ্যে মেরামত করে দিতে হবে, এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক শ্রমিক ও টেকনিশিয়ান নিয়োগ করতে হবে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান ও ঠিকাদারদের সহযোগিতা কামনা করছে। কোনো প্রতিষ্ঠান যদি রাস্তা কাটাকাটি, খোঁড়াখুঁড়ির এসব শর্ত ভঙ্গ করে ঢাকা মহানগরী এলাকায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কাজ বন্ধ করাসহ ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে গণবিজ্ঞপ্তিতে।


উপাধ্যক্ষ সাইফুর হত্যা: দম্পতির দায় স্বীকার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়াকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দম্পতি নাজিম হোসেন (২১) ও রুপা বেগম ওরফে জান্নাতি (২৩) দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

আজ বুধবার তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় তারা ঘটনার দায় স্বীকার করে সেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরখান থানার এসআই জাহিদুল হাসান। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলমের আদালতে আসামি নাজিম হোসেন ও ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জেরিফার জেরিনের আদালতে আসামি রুপা বেগম ওরফে জান্নাতি স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ১১ মার্চ ফরিদপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন, একটি চাবির রিং ও একটি ব্যাংকের ভিসা কার্ড উদ্ধার করা হয়।

গত ১০ মার্চ রাত ২টা থেকে ভোর ৪টার মধ্যে হাবীবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়া উত্তরখান থানার পুরানপাড়া বাতান এলাকার একটি ছয়তলা ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে খুন হন। এ খুনের ঘটনায় তার ছোট ভাই মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ভূঁইয়া বাদী হয়ে উত্তরখান থানায় ১১ মার্চ মামলা করেন।


পল্লবী থানায় ঢুকে যুবকের হামলা, ওসিসহ আহত ৩

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর পল্লবী থানায় ঢুকে আব্দুর রাজ্জাক ফাহিম নামে এক যুবকের অতর্কিত হামলায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলামসহ তিন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় হামলাকারী যুবকসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে পল্লবী থানা ডিউটি অফিসারের রুমে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম, সেকেন্ড অফিসার শরিফুল ইসলাম ও এএসআই মো. নাসির।
এ ঘটনায় ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, রাত দেড়টার দিকে আব্দুর রাজ্জাক ফাহিম নামে এক যুবক থানায় এসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং খুনের ঘটনা ঠেকাতে পুলিশ কী করছে, তা জানতে চান তিনি। এ সময় ওসি তাঁকে বলেন, পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এই এলাকায় মার্ডার হয়েছে আপনি জানেন? এমন ঘটনা আমার জানা নেই বললে ওই যুবক বলেন- আপনারা এটা নিয়ে লুকোচুরি করছেন কেন? আপনার ডিউটি অফিসার জানে। তখন ওই যুবককে নিয়ে ডিউটি অফিসারের রুমে যাই। ডিউটি অফিসার এমন ঘটনা জানে না বলে জানান। সেখানে অন্য সেবা প্রত্যাশীরাও জানিয়েছেন এরকম ঘটনা তাদের জানা নেই।
ওসি বলেন, তখন আমি তাকে হাত ধরে আমার রুমে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি অতর্কিতভাবে আমাকে কিল ঘুসি মারতে থাকেন। ওই সময় এএসআই নাসির তা ঠেকাতে এলে ওই যুবক তাকেও কিল ঘুষি মারতে থাকেন। এতে নাসিরের একটি আঙুল ভেঙে যায়। এছাড়া সেকেন্ড অফিসারের কপালে ঘুসি মারেন। পরে আমরা তাকে আটক করি।
তিনি বলেন, আটকের পর ওই যুবক জানায় বাইরে একটি গাড়িতে আরও তিনজন রয়েছেন। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা গাজীপুর থেকে এসেছেন বলে জানান। রাতে তারা ঘুরতে বেরিয়েছেন বলেও জানান। পরে আমরা ওই তিনজনকেও থানায় নিয়ে আসি। হামলাকারী আব্দুর রাজ্জাক ফাহিমের বাড়ি গাজীপুরে।
ওসি আরও বলেন, মনে হয় তার মানসিক সমস্যা আছে। তার পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা এবং সরকারি কাজে বাধার কারণে গতকাল মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে।


দুই তরুণীকে হেনস্তাকারী রিন্টু কারাগারে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর লালমাটিয়ায় চায়ের দোকানে দুই তরুণীকে ধূমপানে বাধাদান ও তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে গ্রেপ্তার গোলাম মোস্তাকীম রিন্টুকে (৬২) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে তার জামিন চেয়ে আবেদন করে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমান রিন্টুর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে রিন্টুকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিভিন্ন তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ১ মার্চ সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর থানাধীন লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটির বয়েজ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে চায়ের দোকানে ধুমপান করছিলেন দুই তরুণী। তখন ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় গোলাম মোস্তাকিম রিন্টু তাদের প্রকাশ্যে ধূমপান করতে নিষেধ করলে তাদের মধ্যে বাগ-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রিন্টু তরুণীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে এবং শারীরিকভাবে লাঞ্চনার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং আশেপাশের শতাধিক লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হয়। সংবাদ পেয়ে মোহাম্মদপুর থানার টহল টিম সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে গত সোমবার দুপুরে মোহাম্মদপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


আগারগাঁও থেকে কিশোর গ্যাং লাদেন গ্রুপের ১২ জন আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগারগাঁও তালতলা সংলগ্ন এলাকা থেকে কুখ্যাত কিশোর গ্যাং লাদেন গ্রুপের ১২ জন সদস্যকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগারগাঁও ও তালতলা সংলগ্ন এলাকায় কুখ্যাত কিশোর গ্যাং লাদেন গ্রুপ দীর্ঘদিন যাবত ছিনতাই, ডাকাতি, ধর্ষণ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, কিশোর গ্যাং লাদেন গ্রুপ আগামী ২০ মার্চ একটি নাশকতামূলক কার্যক্রম করার পরিকল্পনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন নজরদারির ভিত্তিতে জানা যায়, উক্ত কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা নাশকতামূলক কার্যক্রমের বিষয়ে পরিকল্পনার জন্য আগারগাঁও এর তালতলা এলাকায় সমবেত হচ্ছে। উক্ত জমায়েতে আধিপত্য বিস্তার এবং অন্যান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে উক্ত গ্রুপের নিজেদের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি হয় এবং বাক বিতণ্ডার এক পর্যায়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মারামারিতে লিপ্ত হয়। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ১০ মার্চ সোমবার মধ্যরাত ১ টায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ঢাকা জোন কর্তৃক উক্ত এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন ঘটনাস্থলে আভিযানিক দল উপস্থিত হয়ে তাদের আটক করার চেষ্টা করলে কিশোর গ্যাং এর লিডার লাদেনসহ অন্যান্য সহযোগীরা কোস্ট গার্ড সদস্যদের উপর হামলা করে। যায় ফলে ২ জন কোস্ট গার্ড সদস্য ঘটনাস্থলে আহত হয়। পরবর্তীতে কোস্ট গার্ডের আভিযানিক দল কিশোর গ্যাংয়ের লিডার লাদেন সহ মোট ১২ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত সন্ত্রাসীদের তল্লাশী করে ২৫ পিস ইয়াবা, ৫০ গ্রাম গাঁজা এবং ২১ টি দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- মো. লাদেন (২১), রায়হান (১৮), বিল্লাল (১৪), হৃদয় (১৯), কালাম (৩০), সুমন (২০), নাঈম (১৬), শামসুদ্দিন (২৮), আরিফ (১৬),ফাহিম (১৬), মো. শাওন (১৭) ও রোহিদ (১৭)
চাঁদাবাজি এবং অন্যান্য নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক ভবিষ্যতেও এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়েছে।


রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় ৮ জন গণপিটুনির শিকার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চুরি ও ছিনতাইয়ে যুক্ত সন্দেহে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ৮ জনকে গণপিটুনি দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এর মধ্যে যাত্রাবাড়ীর ৪ জন, চকবাজারে দুইজন, মতিঝিলে একজন ও ভাটারা এলাকায় একজন এই গণরোষের শিকার হয়। রোববার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। পরে গণপিটুনির শিকার ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।

যাত্রাবাড়ী: যাত্রাবাড়ী থানাধীন কোনাপাড়া এলাকায় দুপুর ১২টার দিকে ছিনতাইকারী সন্দেহে তিন ভাইসহ ৪ জনকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। তারা হলেন নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৬), রবিউল ইসলাম (৪০) ও রিপন মিয়া (৪২) এবং জনৈক সোহাগ মিয়া (৫৪)।

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারজানা আক্তার ফারজানা জানান, ঘটনার ঘটার সংবাদ পেয়ে সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের থানায় নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

চকবাজার: পুরান ঢাকার চকবাজার থানাধীন বকশীবাজার এলাকায় কাগজের কার্টন চুরির অভিযোগে অপু (১৮) ও আলী (৩২) নামে দুই যুবককে পিটুনি দেওয়া হয়েছে। পরে চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলাম তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যান।

মতিঝিল: মতিঝিলের এজিবি কলোনি এলাকায় এক মহিলার ব্যাগ নিয়ে পালাতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে গণধোলাইয়ের শিকার হন তন্ময় (১৭) নামে এক যুবক। পরে সংবাদ পেয়ে মতিঝিল থানার সহকারী উপপরিদর্শক সাদ্দাম তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান।

ভাটারা: ভাটারা থানার সোলমাইদ বটগাইছা মোড় এলাকায় সকালে একটি বাসার চতুর্থ তলা থেকে মোবাইল, মানিব্যাগ ও ল্যাপটপ চুরি করে পালাতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে গণধোলাইয়ের শিকার হন মানিক মিয়া (২৩) নামে এক ব্যক্তি। পরে সংবাদ পেয়ে সেখান থেকে ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যান।


banner close