রোববার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

যৌথবাহিনীর অভিযানে কলাবাগান থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৩

ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৯:১২

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সারা দেশে গত ৪ সেপ্টেম্বর শুরু হয় যৌথবাহিনীর অভিযান। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর কলাবাগান থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল যৌথ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. শুভ, মো. শাকিল হোসেন ও শরীফ মো. আবদুল্লাহ।

গোয়েন্দা তথ্যে গতকাল শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কলাবাগান থানার লাল ফকিরের মাজারের পাশের একটি বাসায় এ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ডিএমপি জানায়, গোপন সংবাদে জানা যায়, কয়েকজন লোক কলাবাগান থানার লাল ফকিরের মাজারের পাশে বিপুল পরিমাণ দেশি ও বিদেশি অস্ত্রসহ অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই স্থানে কলাবাগান থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।

অভিযানে তাদের কাছ থেকে দুইটি ম্যাগাজিন ও ১৩ রাউন্ড তাজা গুলিসহ দুইটি পিস্তল, ১২ বোর কার্তুজসহ একটি দেশীয় পাইপগান, একটি এয়ারগান, একটি ইলেকট্রিক শক (টিজার), দুইটি চাপাতি, তিনটি ছুরি, একটি চায়নিজ কুড়াল, একটি দেশীয় দা, তিনটি মুঠোফোন ও একটি ওয়েব ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তাররা একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে। তারা দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।


৩০০ ফিট সড়কে যৌথ অভিযানে শতাধিক গাড়িকে মামলা-জরিমানা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ৩০০ ফিট সড়কে যান চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে যৌথ অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। অভিযানে ১১৯টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা ও দুই লাখ ৭০ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এই অভিযান চালানো হয়।
শুক্রবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, ১ নভেম্বর রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় অবৈধ গাড়ি পার্কিং, লাইসেন্সবিহীন গাড়িচালক, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো, হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালানো এবং অবৈধ লাইসেন্সের বিরুদ্ধে উত্তরা আর্মি ক্যাম্প, ট্রাফিক পুলিশ এবং ক্ষিলখেত থানা পুলিশ ৩০০ ফিট মহাসড়কে একটি চেকপোস্ট স্থাপন করে। যৌথ অভিযানে ১১৯টি মামলা হয় এবং দুই লাখ ৭০ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া চারটি গাড়ি জব্দ করা হয়। মাদকদ্রব্য বহনের জন্য একজনের বিরুদ্ধে ক্ষিলখেত থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছে আইএসপিআর।


কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জাতীয় পার্টির সমাবেশের দিন আগামীকাল শনিবার রাজধানীর কাকরাইলসহ আশপাশ এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে ডিএমপি।

ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নম্বর ১১১-৭৬)–এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামীকাল শনিবার পাইওনিয়ার রোডের ৬৬ নম্বর ভবন, পাইওনিয়ার রোড, কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হলো।

এদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, মহাসচিবসহ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় কাকরাইলে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। এতে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সভাপতিত্ব করার কথা। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ব্যানারে প্রথমে হামলা ও পরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। জাতীয় পার্টি জানায়, ওই সময় নেতা-কর্মীরা শনিবারের সমাবেশের প্রস্তুতি সভা করছিলেন।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ওই হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও আগামীকাল শনিবার কাকরাইলে জাতীয় পার্টি সমাবেশ করবে।
এদিকে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে গণপ্রতিরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা। জানা গেছে, এ অবস্থায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএমপি।


তেমন কমেনি সবজির দর, এখনো চড়া মাছ বাজার

‘সবাই বলে সবজির দাম কমেছে; কিন্তু বাজারে এসে দেখি সব সবজির দামই বাড়তি’
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজির দাম বাড়তি থাকার পর মাঝে কিছুটা কমেছে বলা হলেও সেই দাম খুব বেশি কমেনি। এখনো বাজারে ৮০ টাকার ঘরেই বেশিরভাগ সবজির দাম। অন্যদিকে আগের মতো বাড়তি দামই রয়ে গেছে মাছের বাজারে। দীর্ঘদিন ধরে সব ধরনের মাছই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে বাজারের সবজি ও মাছের দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ছোট সাইজের ফুলকপি প্রতিটি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, বাঁধাকপিও প্রতিটি ৫০ টাকা। এছাড়া লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সবচেয়ে বেশি দামি সবজির তালিকায় রয়েছে শিম, গাজর আর টমেটো। গাজর প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, টমেটো ১৬০ টাকা। গোল বেগুন, কাঁকরোলের কেজিও ১০০ টাকার ঘরে। এছাড়া চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কচুর লতির কেজি ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৭০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, কচুর মুখি ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে শুল্ক কমানোর সুপারিশ করা হলেও কমেনি চালের দাম। ৫৪ টাকার নিচে মিলছে না মোটা চাল। সরু চালের কেজি ৭০ টাকার ওপরে। বাজারে সবজির দাম বিষয়ে মালিবাগ বাজারের ক্রেতা বেসরকারি চাকরিজীবী খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘সবাই বলে সবজির দাম কমেছে কিন্তু বাজারে এসে দেখি সবগুলোর দামই বাড়তি। তবে দুই তিন সপ্তাহ আগে ১২০ টাকার ঘরে যেসব সবজি ছিল সেগুলো ১০০ টাকায় নেমেছে। কিন্তু এত দামেও কি সবজি কেনা সম্ভব? দাম কমেছে দেখা যায় শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিন্তু বাজারে আসলে চিত্র উল্টো।’ সবজির দামের বিষয়ে রাজধানীর শান্তি নগর এলাকার সবজি বিক্রেতা সোহেল আহমেদ বলেন, দুই তিন সপ্তাহ আগে সবজির দাম আরও বাড়তি ছিল। কিছুদিন হলো সেসবের দাম কিছুটা কমেছে। আসলে অনেক সবজির মৌসুম এখন শেষের দিকে, শীত পড়লে নতুন সবজি উঠবে তখন দাম কমে আসবে। আজকের বাজারে সবজির মধ্যে সবচেয়ে কম দামে রয়েছে পেঁপে, যার কেজি ৪০ টাকা। আর দাম বেশির তালিকায় রয়েছে শিম, গাজর, গোল বেগুন আর কাঁকরোল। অন্যদিকে বাজারে সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই বাড়তি দামেই আটকে রয়েছে রাজধানীর মাছের বাজার। বাজারে প্রতি কেজি পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, কাতল ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা, চাষের কই ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, গলসা কেজি ৬০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া পাবদা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, রুই ৩৬০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০ টাকা, রূপচাঁদা ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি। গত সপ্তাহের মতোই ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে সোনালি মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিডের কেজি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩১০ টাকা ও সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা। এসব বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসির মাংসের কেজি এক হাজার ১৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা।


বদির ম্যানেজার চেয়ারম্যান জাফর ঢাকায় গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ নভেম্বর, ২০২৪ ২০:০৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি ওরফে ‘ইয়াবা বদি’র ম্যানেজার ও টেকনাফ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাফরকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাজধানী ঢাকার পূর্ব বাসাবো এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৩ ও র‍্যাব-১৫ এর অভিযানিক দল।

আজ শুক্রবার দুপুরে র‍্যাব-১৫-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তার জাফরকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২০ আগস্ট চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকা থেকে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এরপর গত ২ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশের জেদ্দাগামী একটি ফ্লাইট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বদির ক্যাশিয়ার সালাহউদ্দিনকে।


মেট্রোরেলের এমআরটি পাস রেজিস্ট্রেশন বন্ধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল ভ্রমণের নিজস্ব কার্ড ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পাসের নতুন রেজিস্ট্রেশন সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। একই সঙ্গে নষ্ট থাকা কার্ডগুলো নবায়নও বন্ধ থাকবে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ডিএমটিসিএলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত কার্ড রেজিস্ট্রেশন এবং পুনরায় ইস্যু করার সুবিধা বন্ধ থাকবে। সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। বর্তমানে মেট্রোরেল শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলাচল করছে। শুধু শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলাচল করে।


মোহাম্মদপুরে মাদক কারবারিদের ফের সংঘাত, নিহত ১

মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ নভেম্বর, ২০২৪ ১৮:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে আবারও মাদক কারবারিদের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রাজা ওরফে একগাল (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী বুনিয়া সোহেল গ্রুপের সদস্য বলে জানা গেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এরইমধ্যে চারজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান জানান, গন্ডগোলের খবর শুনে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত ক্যাম্পের ৭ নম্বর সেক্টরে অভিযান চালানো হয়। আমরা বের হয়ে আসার পরই রাত ৩টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মাদক কারবারিদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে রাজা নামে একজন মারা গেছেন। তিনি মাদক কারবারি বুনিয়া সোহেল গ্রুপের সদস্য। বৃহস্পতিবার বুনিয়া সোহেলকে সিলেটের একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

ওসি আরও জানান, বুনিয়া সোহেল গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার প্রতিপক্ষ চুয়া সেলিম এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করলে বুনিয়া সোহেলের লোকজন তাতে বাধা দেয়। এতে মধ্যরাতে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষের সময় দু’পক্ষই গুলি-বোমা ছুড়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের চেষ্টা করে। এ সময় বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই রাজা মারা যান।

এদিকে শেরেবাংলা নগর ও বছিলা সেনা ক্যাম্প জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় সেনা সদস্যরা। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারিরা পালাতে থাকেন। এসময় ৪০ পিস ইয়াবকাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ২ জন চুয়া সেলিম ও ২ জন দুজন পিচ্চি রাজা গ্রুপের সদস্য। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

জেনেভা ক্যাম্পের মাদক ব্যবসার দখল নিয়ে দ্বন্দ্ব বহুদিনের। ক্যাম্পের দুপক্ষের একটির নেতৃত্বে আছেন বুনিয়া সোহেল, অপর পক্ষের নেতা চুয়া সেলিম। বুনিয়া সোহেলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন সৈয়দপুইরা (নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে আসা ‘বিহারি’) নামের আরেকটি পক্ষের নেতা বাবু ওরফে সৈয়দপুইরা বাবু। সম্প্রতি দেশে অস্থিরতা তৈরি হলে এ দ্বন্দ্ব আরও বেড়ে যায়। গত ৫ আগস্টা সরকার পতন হলে তাদের সংঘাতে যুক্ত হয় থানা থেকে লুটে নেওয়া আগ্নেয়াস্ত্র। ফলে গত তিন মাসে বিভিন্ন প্রাণঘাতী সংঘর্ষে রাজাসহ অন্তত পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছে।


রাজধানীতে ৭ হাজার ২০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ৯ নম্বর সেক্টরের আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ৭ হাজার ২০০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।

গ্রেপ্তাররা হলেন, মোহাম্মদ ইয়াছিন (২৭), মো. আবুল হাসেম (২০)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা, একটি মুঠোফোন ও মাদক বিক্রির নগদ ২৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডের একটি বাস কাউন্টারের সামনে থেকে ইয়াবাসহ তাদের দুইজনেক আটক করে ডিএনসির ঢাকা মেট্রো উত্তর কার্যালয়।

সন্ধ্যায় ডিএনসি উত্তর কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্যে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। পরে আটক আসামিদের ঢাকা উত্তরা পশ্চিম থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মামলা করা হয়।


জাতীয় পার্টির প্রধান কার্যালয়ে ভাঙচুর, আগুন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির প্রধান কার্যালয়ে ভাঙচুরের পর আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র, শ্রমিক, জনতা’।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ‘পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক অপতৎপরতা ও দেশবিরোধী চক্রান্তের’প্রতিবাদে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র শ্রমিক জনতা’ ব্যানারে মশাল মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ আখ্যা দিয়ে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই বলে জানান বক্তারা। তারা বলেন, রাজনৈতিক অতৎপরতা ও দেশবিরোধী চক্রান্ত এই দেশে হবে না।

এরপর তারা জাতীয় পার্টির কার্যালয় ঘেরাও করতে বিজয়নগরে যায়। সেখানে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ছাত্র-জনতার। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন।

এরপরই জাতীয় পার্টিকে জাতীয় বেইমান আখ্যা দিয়ে রাজু ভাস্কর্য থেকে বিজয়নগরের উদ্দেশে মিছিলের ডাক দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দুটি স্ট্যাটাসের দেন হাসনাত। এতে তিনি জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ আনেন।

সন্ধ্যা ৭টা ৩ মিনিটে দেয়া পোস্টে তিনি লেখেন, ‌ ‘জাতীয় বেইমান এই জাতীয় পার্টি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিজয়নগরে আমাদের ভাইদের পিটিয়েছে, অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। এবার এই জাতীয় বেইমানদের উৎখাত নিশ্চিত।’

কিছুক্ষণ পরই আরেক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘রাজু ভাস্কর্য থেকে সাড়ে ৭টায় মিছিল নিয়ে আমরা বিজয়নগর মুভ করব। জাতীয় বেইমানদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে।’


দুই পক্ষের গোলাগুলিতে গৃহবধূর মৃত্যু, ১৭ জনের নামে মামলা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর পল্লবীর বাউনিয়া বাঁধ এলাকায় গত বুধবার চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাদক কারবারি দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে আয়েশা আক্তার (২৬) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাতে নিহতের স্বামী মিরাজুল ইসলাম পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন, মমিন, শাবু, সম্রাট, শামিম, জয়নাল, পাতা সোহেল, কালা মোতালেব, ভাগ্নে মামুন, জাহাঙ্গীর, ভেজাল মামুন, আল-ইসলাম, ইউনুস ওরফে ডিস্কু, রুবেল, মজনু, কালন, কামাল ও জয়।
পল্লবী থানার (ওসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় বুধবার রাতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মামলার ১১ নম্বর আসামি আল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পল্লবী থানা সূত্র জানায়, বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পল্লবী থানাধীন মিরপুর সেকশন-১১ এর বাউনিয়া বাঁধ বি ব্লকে চিহ্নিত অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী মমিন, শাবু, সম্রাট, শামিম, জয়নাল, ইদ্রিস, কালা মোতালেব, কামাল, জাহাঙ্গীর, আল ইসলাম, ভেজাল মামুন, জয়, ইউনুস, রুবেলসহ অজ্ঞাতনামা ১৪-১৫ জন এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ফতের ভাই মামুনের কাছে চাঁদা চায়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও তর্কের মধ্যে থেকে একপর্যায়ে গোলাগুলি হয়। তাতে বাউনিয়া বাঁধ বি ব্লকের ১৭/১৮ বাসার দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি করিডোরে দাঁড়ানো আয়েশা আক্তার গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও তর্কের মধ্যে আধিপত্য প্রদর্শনী পরিণত হয় গোলাগুলিতে। এতে বাউনিয়াবাঁধ বি ব্লকের ১৭/১৮ নম্বর বাসার দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি করিডোরে (বারান্দা) দাঁড়ানো আয়েশা আক্তার গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। নিহত ভুক্তভোগী মৃত আয়েশার স্বামী মিরাজুল পেশায় বাস চালক। তৃতীয় তলায় ১টি রুম নিয়ে ১০ বৎসর ধরে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন তারা।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ও দায়ের করা মামলার আসামিরা আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী মফিজুর রহমান মামুনের (ভারতে অবস্থানরত) অস্ত্রধারী ক্যাডার। তাদের মধ্যে ১ নম্বর মমিন চাচাতো ভাই এবং ১৩ নম্বর আসামি রুবেল বোন জামাই। গ্রেপ্তার ১১ নম্বর আসামি আল ইসলাম ও ৯ নম্বর আসামি জাহাঙ্গীর নেপথ্যে থেকে দখল ও মাদক কারবারের আধিপত্যের লড়াই জিইয়ে রেখে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।
এ বিষয়ে ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মাকছেদুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার আল ইসলামের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা রয়েছে। গুলিতে নারী মৃত্যুর ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। আল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অন্যান্য জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।


মিরপুরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে পোশাকশ্রমিকদের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ২

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মিরপুরের ১৪ নম্বরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে পোশাকশ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে দুই পোশাকশ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ পোশাকশ্রমিকেরা পুলিশের একটি ও সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে চাকুরিচ্যুতি ও স্থানীয় একটি পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে শত শত গার্মেন্টসকর্মী মিরপুর ১৪ নম্বর ও কচুক্ষেত এলাকার সড়কে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত যৌথ বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বেধে যায়।
গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন, সেনটেক্স ফ্যাশন লিমিটেডের সুইং অপারেটর আল আমিন (১৮) ও ঝুমা আক্তার (১৫)। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সেনটেক্স কারখানার শ্রমিকেরা জানান, এই এলাকার মৌসুমি অ্যান্ড ভুঁইয়া গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ গতরাতে হঠাৎই কারখানা বন্ধ করে দেয়। এ কারণে সকালে শ্রমিকেরা কারখানার সামনে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে আশপাশের সব কারখানাও ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। তখন সবাই একসঙ্গে রাস্তায় অবস্থান নেন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
গুলিবিদ্ধ পোশাকশ্রমিক আল আমিনের সহকর্মী মো. কবির হোসেন জানান, আলামিনের বাড়ি খুলনায়। তিনি মিরপুর-১৪ নম্বরের বিআরপি হাসপাতাল এলাকায় থাকেন। সকালে কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হলে তিনি বাসায় চলে যাচ্ছিলেন। তখন তার পিঠে গুলি লাগে।
গুলিবিদ্ধ ঝুমার বড় বোন মর্জিনা বেগম জানান, ঝুমা সেনটেক্স ফ্যাশন লিমিটেডে সুইং অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। তার ডান পায়ে গুলি লেগেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, আহত দু’জনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম মোস্তফা জানান, সংঘর্ষের সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও টিয়ার শেল ছোড়ে। একপর্যায়ে পোশাকশ্রমিকেরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। তবে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানা যায়।


সাত কলেজের আন্দোলনে তীব্র যানজট, জলকামানে ছত্রভঙ্গ ৩৫ প্রত্যাশীরা

*জনদুর্ভোগ তৈরি না করে শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান শিক্ষা উপদেষ্টার *শিক্ষার্থীদের ছয় ঘণ্টা সড়ক অবরোধে যানজটে নাকাল নগরবাসী *রোববার থেকে অনশন ও ব্লকেড কর্মসূচি সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের সংস্কার কমিটি বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের কমিশন গঠনের দাবিতে বুধবার বেলা ১১টায় ঢাকা কলেজের শহীদ মিনার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ২০:১৩
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজ সংস্কার কমিশন বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন গঠনের দাবিতে সেসব কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে। এতে বুধবার প্রায় পুরো দিন তীব্র যানজটে নাকাল ছিল রাজধানীবাসী। এর আগেও কয়েক দিন নানা দাবিতে আন্দোলন করে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এদিকে একই সময়ে একই দাবিতে রাজধানীর মহাখালীতে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরাও রাস্তায় নামলে নগরবাসীর ভোগান্তির মাত্রা তীব্র হয়। এ সময় বিভিন্ন সড়কে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যাত্রীদের বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়।

অন্যদিকে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে চাকরিতে বয়সের প্রবেশসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে বিক্ষোভ করেন ৩৫ প্রত্যাশী যুবকরা। পরে তারা মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হলে শিক্ষা ভবনের সামনে জলকামান থেকে পানি ছিটিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। ফলে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এসব রাস্তায় আন্দোলনের কারণে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে নগরবাসীকে পায়ে হেঁটে তাদের গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাবের সবকটি রাস্তায় যানবাহন বন্ধ করে দিয়ে স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা। সাত কলেজে শিক্ষার্থীদের এই শাটডাউন কর্মসূচির কারণে মিরপুর-আজিমপুর সড়ক, শাহবাগ-ধানমন্ডি সড়ক, ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুর সড়কে পুরোপুরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এতে মাত্রাধিক ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রিকশা ও মোটরসাইকেল আরোহী যাত্রীদের বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়াতেও দেখা গেছে। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সেবা বহনকারী যানবাহন চলাচলে সহযোগিতা করেছে আন্দোলনকারীরা। কিছু যাত্রীকে যানবাহন ঘুরিয়ে ভিন্ন পথে ভিন্ন রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। এ সময় সায়েন্সল্যাব ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা।

অবরোধ চলাকালীন শিক্ষার্থীরা ‘অধিভুক্তি নাকি মুক্তি, মুক্তি, মুক্তি’, ‘শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য, মানি না, মানবো না’, ‘আর নয় দাসত্ব, হতে চাই স্বতন্ত্র’, ‘ঢাবির জায়গায় ঢাবি থাক, সাত কলেজ মুক্তি পাক’, ‘নিপীড়ন নাকি অধিকার, অধিকার, অধিকার’, ‘প্রশাসনের প্রহসন, মানি না মানবো না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা গে‌ছে।

শিক্ষার্থী‌দের দা‌বি, সাত কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি সরকার মেনে নিচ্ছে না। সরকার যৌক্তিক সমস্যার সমাধান না করে তাদের রাজপথে নামতে বাধ্য করেছে। সড়ক অবরোধ করে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলতে চান না শিক্ষার্থীরা। তারা পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে চান। তাই তাদের দাবি মেনে নিয়ে সরকারকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন গঠন করার দাবি জানান তারা।

যতক্ষণ পর্যন্ত কমিশন গঠনের ঘোষণা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখা হবে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা।

পরে আগামী রোববার থেকে অনশন এবং ফের ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করে বেলা পাঁচটায় সড়ক ছেড়ে যান আন্দোলনকারীরা।

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দা‌বির ম‌ধ্যে রয়ে‌ছে- অনতিবিলম্বে সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠন করতে হবে; এই কমিশন বিভিন্ন বিষয় যাচাই-বাছাই করে ৩০ দিনের মধ্যে একটি রূপরেখা প্রণয়ন করবে; স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কোনো সেশনজট তৈরি করা যাবে না। যতদিন বিশ্ববিদ্যালয় গঠন না হবে ততদিন সেশনজট যেন না হয় সেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে হবে।

এ বিষ‌য়ে সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের ফোকাল পার্সন ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, এ মুহূর্তে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ছাড়া সাত কলেজের সংকট সমাধান করা সম্ভব নয়। গতকালও (মঙ্গলবার) আমরা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু সে বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কোনো নজর দেয়নি। যে কারণে আমরা আবারও অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন চলবে।

শিক্ষা উপদেষ্টার বিবৃতি

এদিকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং অন্যান্য শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট আন্দোলন প্রসঙ্গে বিবৃ‌তি দিয়ে‌ছেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি বিবেচনার জন্য সরকার ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছেম যা সাত সপ্তাহের মধ্যে দ্রুত একটি প্রতিবেদন তৈরি করবে। সমস্যাটির শুরু হয়েছে কয়েক বছর আগে ঢাকার সাতটি কলেজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতা থেকে বের করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত করার একটি অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। এর ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত কলেজের উভয় পক্ষেরই সমস্যা তৈরি হয়েছে। যে কারণে ওই সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নানা অসুবিধা ও বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে। সমস্যাগুলো জটিল এবং এগুলোর সুষ্ঠু সমাধান কী হতে পারে তা বিবেচনায় ন্যূনতম কিছু সময়ের প্রয়োজন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এরই মধ্যে একটি কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রতিষ্ঠানকে এককভাবে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করেছেন। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে রাস্তায় শিক্ষার্থীদের অবরোধ, আন্দোলন ও আলটিমেটামের মাধ্যমে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠনের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দেওয়ার কোনো নজির কোথাও নেই। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের রাস্তায় জনদুর্ভোগ তৈরি না করে ধৈর্য ধরার ও নিজ নিজ শিক্ষাঙ্গনে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।

অনশন ও ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা

শিক্ষা উপদেষ্টার বিবৃতির পর বুধবার সন্ধ্যায় সায়েন্সল্যাব মোড়ে সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সাত কলেজ সংস্কার কমিশন বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন গঠনের দাবিতে আগামী রোববার সকাল ১১টা থেকে অনশন করার কথা জানান শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ব্লকেড কর্মসূচি স্থগিত রেখে রোববার থেকে ব্লকেড কর্মসূ‌চিও চলমান রাখার কথা জানিয়েছেন তারা। এ সময় প্রতিটি কলেজে বিভাগভিত্তিক অনলাইন আলোচনা সভা করবেন শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি আব্দুর রহমান বলেন, বৈষম্য দূর করে সাত কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা একমাত্র সমাধান। আমরা আমলাতান্ত্রিক কমিটি প্রত্যাখ্যান করছি। সরকার শিক্ষাবিদ, গবেষক, শিক্ষা প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন গঠন করবেন এই প্রত্যাশা রাখছি।

শিক্ষা উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি একজন শিক্ষাবিদ। আপনি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিকে মূল্যায়ন করবেন। দীর্ঘ সাত বছরের বৈষম্য দূর করবেন এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি পূরণ করে দেবেন।

আন্দোলনের সূত্রপাত যেভাবে

গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা কলেজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজের সমস্যার চিত্র তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা। এরপর একই দাবি জানিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ও ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজকে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। একই স্মারকলিপি কলেজগুলোর অধ্যক্ষদেরও দেওয়া হয়।

পরে ২২ অক্টোবর সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা রাজধানীর নীলক্ষেত ও সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন। সে দিন ৩ দফা দাবি বাস্তবায়নে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সাত কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সমস্যা নিরসনে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। শিক্ষার্থীরা এই কমিটিকেও প্রত্যাখ্যান করে।

জলকামান ও লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ ৩৫ প্রত্যাশীরা

সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রত্যাশীদের লাঠিচার্জ ও জলকামান দিয়ে পানি ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর শিক্ষা ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, সকাল থেকে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন তারা। এ সময় পুলিশের বাধার সম্মুখীন হলে তারা সেখান থেকে সরে গিয়ে শাহবাগ থানার সামনে ফুলের দোকানগুলোর সামনে অবস্থান নেন। পরে সেখান থেকে শিক্ষা ভবন অভিমুখে যাত্রা করেন আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনকারীদের দলটি হাইকোর্ট এলাকার সামনে আসলে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের সরে যেতে অনুরোধ করা হয়। সচিবালয়ের আশেপাশে সমাবেশ নিষিদ্ধ এটিও বলা হয়। এরপরও আন্দোলনকারীরা সচিবালয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ওপর জলকামান দিয়ে পানি ছুড়তে থাকে এবং লাঠিচার্জ করে। এতে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। পুলিশের লাঠিচার্জে কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরে তারা শহীদ মিনারে অবস্থান নেওয়া শুরু করেন।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে বয়স ৩৫ করার দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। তবে গত ২৪ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনবার বিসিএসে বসতে পারবেন, এমন ধারা সংযোজিত হবে বলেও উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।


সাবেক কৃষিমন্ত্রীর বাসায় মিলল বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ। সাবেক এ মন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের সময় তার বাসা থেকে নগদ তিন কোটি টাকা, আট দেশের বড় অঙ্কের মুদ্রা ও ৮৫ ভরি সোনা জব্দ করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি জানান, ভোর ৪টায় উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর রোডের নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার বাসা থেকে নগদ ৩ কোটি ১০ লাখ ২৭ হাজার টাকা, ১ হাজার ১২০ কানাডিয়ান ডলার, ১ হাজার ১০০ ইউরো, ৫ হাজার ৩০০ থাইবাথ, ১ হাজার ৯৫৩ ইউএস ডলার, ৫০০ মেক্সিকান ডলার, ৫০ হংকং ডলার, ৩ হাজার রুপি, ৩ হাজার ১১৭ কাতার রিয়াল এবং ৯৯০ দশমিক ৫০ গ্রাম (৮৫ ভরি প্রায়) ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার ও বার উদ্ধার করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা উত্তরা পশ্চিম থানার একটি মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ তাকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এই মামলাটি ছাড়াও তার বিরুদ্ধে উত্তরা-পশ্চিম থানায় আরও দুটি হত্যা মামলা ও মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা রয়েছে।

আব্দুস শহীদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা রাখার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার রাখার অপরাধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।


পল্লবীতে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে নারী নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মিরপুর পল্লবী এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আয়েশা আক্তার (২৬) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে পল্লবীর বাউনিয়াবাঁধে মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক সন্ত্রাসী তাঁর প্রতিপক্ষ এক যুবককে লক্ষ্য করে গুলি করে। ওই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আয়েশা আক্তারের মাথায় লাগলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাকছুদের রহমান। তিনি বলেন, পল্লবীর বাউনিয়াবাদ এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে বাসার সামনে থাকা এক নারীর মাথায় গুলি লাগলে ঘটনাস্থলেই মারা যান। নিহত নারীর নাম আয়েশা আক্তার (২৬)। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয।

তিনি আরও বলেন, মাদক কারবারিদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। আরও কয়েকটি বিষয় সামনে নিয়ে নারীর মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

এদিকে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি জানান, মাদক কারবারী মমিন নামের এক সন্ত্রাসী তাঁর প্রতিপক্ষ মামুনকে গুলি চালিয়েছেন। ওই গুলি এক নারীর মাথায় লাগে।


banner close