মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

৩০০ ফিট সড়কে যৌথ অভিযানে শতাধিক গাড়িকে মামলা-জরিমানা

ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২ নভেম্বর, ২০২৪ ১৮:২৪

রাজধানীর ৩০০ ফিট সড়কে যান চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে যৌথ অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। অভিযানে ১১৯টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা ও দুই লাখ ৭০ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এই অভিযান চালানো হয়।
শুক্রবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, ১ নভেম্বর রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় অবৈধ গাড়ি পার্কিং, লাইসেন্সবিহীন গাড়িচালক, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো, হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালানো এবং অবৈধ লাইসেন্সের বিরুদ্ধে উত্তরা আর্মি ক্যাম্প, ট্রাফিক পুলিশ এবং ক্ষিলখেত থানা পুলিশ ৩০০ ফিট মহাসড়কে একটি চেকপোস্ট স্থাপন করে। যৌথ অভিযানে ১১৯টি মামলা হয় এবং দুই লাখ ৭০ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া চারটি গাড়ি জব্দ করা হয়। মাদকদ্রব্য বহনের জন্য একজনের বিরুদ্ধে ক্ষিলখেত থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছে আইএসপিআর।


মামলা বাণিজ্যের অভিযোগে এসআই প্রত্যাহার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় আসামিদের হয়রানিসহ মামলা বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে আদাবর থানার এক উপ-পরিদর্শককে (এসআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে। অভিযুক্ত এসআইয়ের নাম- শাহিন পারভেজ। এর আগে তিনি সিলেট রেঞ্জে কর্মরত ছিলেন।

গতকাল রোববার রাতে তাকে প্রত্যাহার করা হয় বলে আজ সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

জুলাই অভ্যুত্থানের মামলা বাণিজ্যে পুলিশও জড়িত জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমার সব লোকও যে সব ভালো তা বলব না। আমার কাছে যাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট এসেছে আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমি গতকাল (রোববার) অলরেডি একজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি, যিনি আমার লোক, এই কাজে লিপ্ত ছিল।

জানা গেছে, ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে আদাবর থানার এসআই শাহিন পারভেজকে রোববার প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূইয়া

তিনি বলেন, রোববার রাতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে এসআই শাহিন পারভেজকে প্রত্যাহার করা হয়। তাকে তেজগাঁও বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।

জানা গেছে, সিলেট রেঞ্জ থেকে ডিএমপিতে বদলি হয়ে আসা শাহিন পারভেজকে জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব পেয়ে মামলার এক আসামির কাছে তিনি টাকা দাবি করেন। পরে ভুক্তভোগী ব্যক্তি বিষয়টি ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে তার বিরুদ্ধে এই শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হয়।


১৬ ডিসেম্বরসহ ৪ দিন টিএসসির মেট্রোরেল স্টেশন বন্ধের সুপারিশ ঢাবির

মেট্রোরেলের টিএসসি (ঢাবি) স্টেশন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অবাধ চলাচল এবং প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের দিনসহ চারদিন মেট্রোরেলের টিএসসি স্টেশন বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যে চারদিন বন্ধ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে সেই দিনগুলো হলো, ১৬ ডিসেম্বর, ২৫ ডিসেম্বর, ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি।

আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ সংবাদকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময়কালে এই তথ্য জানান।

প্রক্টর বলেন, বহিরাগতদের অবাধ যাতায়াত নিয়ন্ত্রণর আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ৬টি পয়েন্ট চাইলেই বন্ধ করতে পারি। কিন্তু ঠিকই মেট্রো স্টেশন দিয়ে লোকজন চলে আসবে। তাই আমরা মেট্রোরেলের টিএসসি স্টেশন বন্ধের সুপারিশ করেছি।

তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এক সভায় আমি উপস্থিত ছিলাম। সেখানে আমি ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মেট্রোরেলের টিএসসি স্টেশন ৪ দিন বন্ধ রাখার জন্য সুপারিশ করেছি।

প্রক্টর বলেছেন, সুপারিশের পর যোগাযোগ সচিব মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকে তাৎক্ষণিকভাবে এই ৪দিন স্টেশনটি বন্ধ রাখতে বলেছেন। আশা করি, এ বিষয়ে শিগগিরই মেট্রোরেলকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠানো হবে।

সংবাদকর্মীদের সঙ্গে ডাকসু নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনের প্রক্রিয়া এবং গঠনতন্ত্র বিষয়ে সুপারিশ করার জন্য গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ শুরু করেছেন। উনারা বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আশা করা যায়, আগামী বছরের জানুয়ারির শেষে কিংবা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ডাকসু নির্বাচন হতে পারে।


পিআইবিতে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের উদ্যোগে সম্পাদনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) সদস্যদের জন্য প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) সংগঠনটির উদ্যোগে সংবাদ সম্পাদনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

আজ রোববার থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি চলবে আগামী মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত। বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সহ-সম্পাদকগণ এতে অংশগ্রহণ করেছেন।

এই প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সহ-সম্পাদকদের (সাব-এডিটর) সম্পাদনার মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত করা এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে চর্চা বাড়াতে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ।

উদ্বোধনের দিনে সংবাদ মূল্য ও সংবাদ চেতনা, সংবাদ সম্পাদনার কলা কৌশল ও শিরোনাম লেখাসহ গণমাধ্যমে শব্দ এবং ভাষার ব্যবহার নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এতে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল আলম চৌধুরী, প্রথম আলোর ডেপুটি নিউজ এডিটর কাজী আলিম-উজ-জামান এবং পিআইবির সহকারী প্রশিক্ষক জিলহাজ উদ্দিন নিপুন। প্রশিক্ষণ কর্মশালাটির উদ্বোধনের দিনে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি মুক্তাদির অনিক ও সাধারণ সম্পাদক জাওহার ইকবালসহ কমিটির অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতি মুক্তাদির অনিক বলেন, ‘আমাদের নতুন কমিটি যাত্রার পর পিআইবির সঙ্গে একটি ভালো কাজ শুরু করতে পারায় ভালো লাগছে। আমরা এই ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। আমাদের সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা ২ হাজার। আমাদের প্রত্যাশা, পিআইবি জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে কর্মরত এসব সাব এডিটরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ধারা অব্যাহত রাখবে। বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অজস্র বিষয়ের তথ্যের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত গুজব ছড়িয়ে অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে। তাই গণমাধ্যমের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ফ্যাক্ট চেকিং। অন্তর্বর্তী সরকারও বিষয়টিতে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। গণমাধ্যমে সহ-সম্পাদকরাই প্রতিটি সংবাদের খুঁটিনাটি পরখ করে থাকেন। তাই আমাদের প্রত্যাশা পিআইবি এ বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে একাধিক কর্মশালার আয়োজন করবে যাতে সহ-সম্পাদকরা বিষয়টির নিবিড় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারেন।’

ডিএসইসির সাধারণ সম্পাদক জাওহার ইকবাল বলেন, ‘আমরা নতুন কমিটি যখন দায়িত্ব নেই, তার পরপরই দেশে একটা নতুন পরিস্থিতি এসেছে। সহ-সম্পাদকরা মাঠের সংবাদ সংগ্রহে না যাওয়ায় এমন পরিস্থিতিতে সংগঠনের সদস্যদের জন্য নতুন কর্মসূচি নেওয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং। এ অবস্থায় পিআইবির সহায়তায় বরাবরের মতো সহ-সম্পাদকদের উৎকর্ষ বাড়াতে এই কর্মশালা আয়োজন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এজন্য পিআইবিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা আশাবাদী নিয়মিতভাবে আমরা সংগঠনের সদস্যদের জন্য এমন প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে পারবো।’

আগামীকাল সোমবার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় দিনে থাকছে সাংবাদিকতায় বিভিন্ন পক্ষপাত, সাংবাদিকতার নৈতিকতাসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়ে আলোকপাত করবেন পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের অ্যাডজাঙ্কট ফ্যাকাল্টি নাজিয়া আফরিন মনামী।

অন্যদিকে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) প্রশিক্ষণের সমাপনী দিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অপতথ্য প্রচার ও ফ্যাক্ট চেকিংসহ সম্পাদনায় জেন্ডার সংবেদনশীলতা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এতে পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মামুন অর রশীদ, পিআইবির অধ্যয়ণ ও প্রশিক্ষণ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বিভাগের পারভীন সুলতানা রাব্বী প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। কর্মশালা শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের সনদবিতরণ করা হবে।


গুলশান-বনানীতে বেড়েছে ভুয়া সাংবাদিকদের দৌরাত্ম

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের প্রায় সব এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়। বিচ্ছিন্নভাবে নানা জায়গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অনেক জায়গায় জমি দখল থেকে শুরু করে চাঁদাবাজির ঘটনার খবরও পাওয়া যায়। এসব ঘটনায় স্থানীয় পতিত স্বৈরাচার সরকারের রাজনৈতিক নেতাকর্মী থেকে শুরু করে মিডিয়াকর্মী তথা কথিত সাংবাদিকদের জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘটনের পর ধীরে ধীরে দেশে আইনশৃঙ্খলার অবস্থা উন্নতি হতে থাকে।

তবে নানা জায়গায় এখনো চাঁদাবাজির মতো ঘটনা ঘটছে বলে জানা যায়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভুয়া সাংবাদিকদের দৌরাত্ম বেড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়।

ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ অভিযোগ করেন, ভুইঁফোড় অনলাইন নিউজ পোর্টালে মিথ্যা-বানোয়াট সংবাদ প্রচারের কথা বলে অনৈতিক সুবিধা নিতে চায়। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে মিথ্যা সংবাদ করার কথা বলে মোটা অংকের চাঁদার দাবী করেন বলে জানায় ভুক্তভোগীরা।

তেমনিভাবে রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত বনানী-গুলশানে গত ৫ আগস্টের পর একশ্রেণীর ‘সাংবাদিক নামধারী’ পরিচয়কারীরা হরহামেশাই এসব কাজ করছেন বলে জানা গেছে।

সূত্র বলছে, বেশকিছু রেস্টুরেন্টসহ নামিদামি হোটেল ও বারে গিয়ে এসব সাংবাদিকরা চাঁদা দাবী করছেন।

ক’দিন আগে বনানীর ১১ নং রোডে অবস্থিত ‘সিগনেচার রেস্টুরেন্টে’ তেমনি এক ঘটনা ঘটেছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে রেস্টুরেন্টটির ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা একজন জানান, প্রতিদিনই কোনো না কোনো সাংবাদিক পরিচয়ে রেস্টুরেন্টে আসছে এবং তাদেরকে টাকা (চাঁদা) দিতে বলেন। না হয় রিপোর্ট করার ভয় দেখান। এমন এমন পত্রিকার নাম পরিচয়ে তারা আসে, সেসব গণমাধ্যমের কোনোদিন নামও তারা শুনেও নাই। মেইনস্ট্রিমের কোনো পত্রিকা বা মিডিয়ার সাংবাদিক এমন করে না বলেও তারা উল্লেখ করেন।

তাদের দাবি নামকরা কোনো সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকরা এমনটি করে না। আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা কথিত পত্রিকাগুলো টাকা নেওয়ার জন্যই এমনটি করেন বলেও জানান ভুক্তভোগীরা।

বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে গুলশান-বনানীর মতো অভিজাত এলাকায় ভুঁইফোড় ও হলুদ সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। কিছু সাংবাদিক নামধারী ব্যক্তির দ্বারা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন তারা। তথাকথিত আইপিটিভি (ইউটিউব), নিউজ পোর্টাল, যত্রতত্র ফেসবুক লাইভ, প্রেস লেখা স্টিকার, আইডি কার্ড ঝুলিয়ে অবাধে চলাচল করছেন কিছু ভুঁইফোড় সাংবাদিক। অথচ তাদের এসব চ্যানেলের কোনো অনুমোদন নেই, নেই কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতাও। শুধুমাত্র পেশা পরিবর্তন করেই বনে যাচ্ছেন সাংবাদিক।

এদিকে কিছু ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গুলশান-বনানীর রেস্টুরেন্টসহ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকরা এসব ভুয়া সাংবাদিকদের দৌরাত্ম বেশিদিন সহ্য করবেন না। তারা শিগগিরই এসব কথিত সাংবাদিকদের বিষয়ে আইনী পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান তারা। এমনকি কোনো প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গেলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে তাদেরকে তুলে দিবেন।


রামপুরা ব্রিজের কাছে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৬:১৫
ইউএনবি

রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের কাছে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল আটকে দিয়েছে পুলিশ।

আজ রোববার দুপুর পৌনে ১টার দিকে বিএনপির এই ৩টি সহযোগী সংগঠনের মিছিল রামপুরা ব্রিজে পৌঁছালে তাতে বাধা দেয় পুলিশ।

এদিকে পুলিশ জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে তাদের আটকে দেওয়া হয়েছে। নয়াপল্টন থেকে বেরিয়ে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে মিছিলটি রামপুরা ব্রিজে পৌঁছালে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করে। এ সময় তিন সংগঠনের নেতাদের সহযোগিতা করার আহ্বানও জানায় পুলিশ।

পরে আন্দোলনকারীদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে স্মারকলিপি দিতে ভারতীয় হাইকমিশনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন-জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাছির।

এর আগে আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার প্রতিবাদে রবিবার সকালে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে রোডমার্চ শুরু করে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকে দেওয়ার ভারতীয় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এই কর্মসূচি আয়োজন করে। বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করেন বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

পদযাত্রা শুরুর আগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও তিন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। এতে ভারতের ক্ষমতাসীন দল ও গণমাধ্যম মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণার মাধ্যমে বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে অভিযোগে করে তার নিন্দা জানান তারা।

রিজভী অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বর্তমানে যা করছে তা সরাসরি আগ্রাসন ছাড়া আর কিছুই নয়।

প্রতিবাদ মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা (ভারত সরকার) বাংলাদেশের মানুষকে পছন্দ করেন না। আপনারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন।’

রিজভী দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ দিল্লির আধিপত্য প্রতিহত করতে প্রস্তুত।

তিনি বলেন, ‘আমরা জানি আকাশ থেকে সমুদ্র থেকে স্থল পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখতে কীভাবে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হয়। আমাদের স্মার্ট সামরিক বাহিনীতে যোগ্য সদস্য রয়েছে।’

সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে দেখা গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ছোট ছোট মিছিল আসতে দেখা গেছে। তারা ভারতীয় আধিপত্যবাদী মনোভাবের বিরুদ্ধে স্লোগান সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেন। বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগানও দেন।

বাংলাদেশবিরোধী ঘটনা এবং ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যমের মন্তব্যের প্রতিবাদে ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি প্রদানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কথা ছিল।

এর আগে শনিবার বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন এই বিক্ষোভ মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।


ঐতিহ্য হারিয়ে ম্রিয়মাণ ব্যবসা বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র মতিঝিল

আরামবাগ-ফকিরেরপুল ও নয়া পল্টন এলাকার রাস্তার একপাশে অন্তত ৪০টি বাণিজ্যিক ভবনের ২২টিতে ‘টু-লেট’ ঝুলছে # এক সময় মতিঝিলে ফ্লোর ভাড়া পাওয়া ছিল ‘অনেক টাকার’ বিষয়
ঢাকার মতিঝিল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১১:৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানী ঢাকার এক সময়ের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র মতিঝিল যেন ঐতিহ্য হারিয়ে ম্রিয়মাণ হয়ে পড়ছে। ফাঁকা অফিস ফ্লোরগুলো যেন সেই সংকটেরই প্রতিচ্ছবি।

মতিঝিলের পূর্বপ্রান্তে টিকাটুলি এলাকার ইত্তেফাক মোড় থেকে মতিঝিলের প্রাণকেন্দ্র শাপলা চত্বরের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া দিলকুশা সড়ক ও সোজা পশ্চিমপ্রান্তের আরামবাগ-ফকিরেরপুল ও নয়া পল্টন এলাকার কথা ধরা যেতে পারে। এখানে প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার একপাশে অন্তত ৪০টি বাণিজ্যিক ভবন। এগুলোর মধ্যে প্রায় ২২টিতে এখন ‘টু-লেট’ ঝুলছে। অথচ এমন সময় ছিল যখন মতিঝিলে জায়গা পাওয়া ছিল ‘অনেক টাকার’ বিষয়।

ভাড়াটিয়াদের জন্য ভবনগুলোর বছরের পর বছর অপেক্ষা এই বাণিজ্যিককেন্দ্রের ক্ষয়িষ্ণু চিত্রই তুলে ধরে। এক সময় রাজধানীর সবচেয়ে প্রাণবন্ত ব্যবসাকেন্দ্র এখন যেন প্রাণহীন।

অনেক বাণিজ্যিক ভবন গত পাঁচ বছর ধরে ফাঁকা পড়ে আছে। নতুন ভাড়াটিয়া পায়নি। এ ছাড়া এখনো সেখানে যেসব ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক আছে সেগুলো নতুন ঢাকা হিসেবে পরিচিত গুলশান, বনানী ও বারিধারার দিকে চলে যাচ্ছে।

নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন মতিঝিলে শাখা রাখতেও নারাজ।

উদাহরণ হিসেবে মতিঝিলের আদমজী কোর্ট এনেক্স বিল্ডিং-২ এর কথা ধরা যায়। এক সময় ব্যাংকের কাছে ভাড়া দেওয়া এই ১২ তলা ভবনটি ছিল কর্মচাঞ্চল্যে ভরপুর।

২০২০ সালে করোনা মহামারির পর ব্যাংকটি পর্যায়ক্রমে এর প্রধান কার্যালয় গুলশানে সরিয়ে নেয়। এখন ভবনটির অধিকাংশই ফাঁকা। দিনের আলোতেও অন্ধকারাচ্ছন্ন।

আদমজী কোর্ট থেকে প্রায় ১৫ মিনিটের হাঁটা পথে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এনেক্স ভবনেও একই দৃশ্য। সম্প্রতি সেখানে দেখা যায়, ১১ তলা ভবনটি দুপুর ১টায় নিস্তব্ধ। লিফটে দু-তিনজনের দেখা মেলে। কয়েক বছর আগেও তা ছিল কল্পনার বাইরে।

২০১০-এর দশকে যখন ভবনটিতে স্টক ব্রোকারেজ অফিস অনেক ছিল, তখন লিফটে উঠতে লাইনে দাঁড়াতে হতো। ১৯৫৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ডিএসইর সব কাজ এখানে হতো।

শেয়ার লেনদেনের সময় ওই ভবনটির সামনে এত জনসমাগম হতো যে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার উপায় থাকত না। এখন দিনের মাঝামাঝি সময়েও তা প্রায় জনশূন্য।

ঢাকার উত্তরাঞ্চল নিকুঞ্জে নিজস্ব ভবনে অফিস সরিয়ে নেওয়ার পর ডিএসইর পুরোনো ভবনটিতে হাজার হাজার বর্গফুট জায়গা খালি পড়ে আছে।

দুটি ব্রোকারেজ হাউস ও একটি বিমা প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে সরিয়ে নতুন জায়গায় নেওয়ার ঘোষণা গ্রাহকদের দিয়ে রেখেছে। দিলকুশার সুদৃশ্য জীবন বীমা টাওয়ারেও একই চিত্র। ১৯৯০-এর দশক থেকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এখানে ছিল।

২০১৭ সালে বিএসইসি মধ্য ঢাকার শেরেবাংলা নগরে নিজস্ব ভবনে চলে আসার পর প্রায় ছয় হাজার ২০০ বর্গফুটের দুটি তলা এখন খালি।

এক সময় ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয় ছিল মতিঝিলে। সে সময় এই বাণিজ্যকেন্দ্রের আধিপত্য ছিল দেশজুড়ে। এখন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশির ভাগই চলে যাচ্ছে অভিজাত গুলশান এলাকায়। মতিঝিলের একাধিক ভবন মালিক জানান, কম ভাড়াতেও ভাড়াটিয়া পাওয়া যাচ্ছে না।

মতিঝিলের গা-ঘেঁষে গড়ে ওঠা দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকার এক ভবন মালিক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, একতলা খালি। চার বছর ধরে ভাড়াটিয়া পাচ্ছি না।

নব্বইয়ের দশকে মতিঝিল অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি ভাড়া ছিল এখানকার বাণিজ্যিক ভবনগুলোয়। এখন খুব কম মানুষই তাকে ফোন দিয়ে ভাড়ার খবর নেন।

তিনি বলেন, সমস্যা হচ্ছে বড় বড় ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও নতুন প্রজন্মের অফিসগুলো এ এলাকায় আসছে না। ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি সচিবালয় কাছাকাছি হওয়ায় অধিকাংশ ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান মতিঝিলে অফিস নিত।

মতিঝিলে সাধারণ বিমা করপোরেশনের একাধিক ভবন আছে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, এখন তাদের ভবনগুলোর হাজার হাজার বর্গফুট ফাঁকা।

তাদের মতে, বছরের পর বছর ধরে মতিঝিলে ফ্লোর ফাঁকা থাকলেও ভাড়া কমেনি। তবে অন্যান্য এলাকার তুলনায় ভাড়া বেড়েছে ধীরগতিতে।

অবস্থান ও সুযোগ-সুবিধা ভেদে এই এলাকায় প্রতি বর্গফুটের গড় ভাড়া ৬০ থেকে ৯০ টাকা। গুলশান-বনানীর মতো এলাকায় বাণিজ্যিক ভবনগুলোর তুলনায় মতিঝিলে ভাড়া এখনো কম।

ভবন ভাড়া ও বিক্রির ওয়েবসাইট বিডিপ্রোপার্টি ডট কম থেকে জানা যায়, গুলশানে প্রতি বর্গফুটের গড় ভাড়া ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা। বনানীতে ৭০ থেকে ১৫০ টাকা।

বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরে যাওয়ায় মতিঝিলের সিনেমা হলগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মতিঝিলের টয়েনবি রোডে মধুমিতা সিনেমা হল এক সময় খুবই জনপ্রিয় ছিল। এখন দর্শকের অভাবে তা মাঝেমধ্যে বন্ধ থাকে। মহামারির পর থেকে বন্ধ থাকা অভিসার সিনেমা হলের অবস্থা আরও খারাপ।

সিনেমা হলের পাশে অভিসার স্টোরের মালিক মো. লিটন জানান, নব্বইয়ের দশকে তিনি দোকান শুরু করেন। তখন তিনি ও তার তিন ভাই স্ন্যাকস বিক্রি করতেন।

এক সময় হলের আশপাশে সিনেমা দেখার জন্য জড়ো হওয়া মানুষের ভিড় ছিল। সিনেমা ব্যবসায় মন্দা দেখা দিলে তার তিন ভাই অন্য কাজের খোঁজে দোকান ছেড়ে চলে যান।

মো. লিটন বলেন, এক সময় মানুষ সরকারি রেটের তুলনায় কালোবাজার থেকে তিনগুণ বেশি দামে সিনেমার টিকিট কিনত। বছরের পর বছর বন্ধ থাকায় হলটি এখন ভুতুড়ে ভবনে পরিণত হয়েছে। মানুষ এখন সিনেমা দেখতে মাল্টিপ্লেক্সে যান।

পুরান ঢাকার কাছে বেড়ে ওঠা ও প্রায়ই মতিঝিলে যাতায়াত করা মোতাহার হোসেন মাসুম বলেন, যদিও ব্যাংকগুলো চলে যাচ্ছে তবুও অনেক জনপ্রিয় খাবারের হোটেল এখানে এখনো থেকে গেছে। অনেকে এখনো সেসব হোটেলে আসেন।

১৯৫৮ সালে মতিঝিলে প্রতিষ্ঠিত দেশবন্ধু হোটেল অনেকের কাছে স্মৃতিজাগানিয়া হয়ে আছে। এই এলাকার অন্যান্য জনপ্রিয় হোটেলের মধ্যে ঘরোয়া ও হিরাঝিলে প্রতিদিন অনেকে খেতে আসেন।

মোতাহার হোসেন মাসুম আরও বলেন, আশির দশকে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) ভবন তৈরির সময় এর ক্যাফেটোরিয়ায় অন্যান্য অফিসের বড় কর্মকর্তারা খেতে আসতেন।

পূর্বাণী হোটেল থেকে এখনো শীর্ষ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা খাবার নিয়ে যান বলে জানান তিনি।

রাতে মতিঝিল নেয় এক বিস্ময়কর রূপ। কাজ শেষে সবাই বাড়ি ফেরেন যখন-তখন পুরো এলাকা নিস্তব্ধ হয়ে যায়। সাপ্তাহিক ছুটির দিন ও সরকারি ছুটির দিনগুলোয় এর সুপ্রশস্ত রাস্তাগুলো হয়ে ওঠে শিশুদের খেলার মাঠ!


অস্বাস্থ্যকর বাতাসেই ঘুরপাক খাচ্ছে ঢাকা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের পর্যবেক্ষণে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে ঢাকা। আইকিউএয়ার বলছে, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই ২৬৪ ছিল, বায়ুমানের এই পরিস্থিতিকে বলা হয় ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’। ফলে ঢাকা তখন ছিল দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষে। তবে দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকাকে টপকে শীর্ষে উঠে যায় পাকিস্তানের লাহোর। এ সময় ঢাকার একিউআই ছিল ১৮১ আর লাহোরের ১৯৪।

বাতাসের মান নির্ভর করে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ (পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম-১০) এবং অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণের (পিএম ২.৫) ওপর, যা পরিমাপ করা হয় প্রতি ঘনমিটারে মাইক্রোগ্রাম (পার্টস পার মিলিয়ন-পিপিএম) এককে। দূষণের মাত্রা বুঝতে পিএম ২.৫, পিএম ১০ ছাড়াও সালফার ডাই অক্সাইড, কার্বন মনো-অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড ও গ্রাউন্ড লেভেল ওজোনে সৃষ্ট বায়ুদূষণ বিবেচনা করে তৈরি করা হয় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই।

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়। আইকিউএয়ারের ঢাকার ১০টি স্টেশনের মধ্যে সকালে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এলাকায় ৩৬৬ এবং গুলশান-২ নম্বর এলাকার একিউআই ছিল ৩৪১। আর বাংলাদেশের পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বুধবার পর্যন্ত প্রকাশিত বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, গত ১২ অক্টোবর থেকে কয়েকদিন ছাড়া বাকি দিনগুলোতে ঢাকার বায়ুমান ১৫০ এর উপরেই থাকছে।

এই ৫৪ দিনের মধ্যে কেবল ১২ দিন বায়ুমান সূচক ১৫০ এর নিচে ছিল এবং ৯ দিন ২০০ এর উপরে ছিল ঢাকার বায়ুমান। এর মধ্যে গত ১৬ নভেম্বর বায়ুমান ছিল ২৪২। স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার ঢাকার গত ৮ বছরের বায়ুদূষণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখেছেন, এ সময়ের ২৭০২ দিনে মাত্র ৫৭ দিন নির্মল বাতাস পেয়েছে রাজধানীবাসী। বাকি দিনগুলোর বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর ও বিপজ্জনক ছিল। তিনি বলেছেন, নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পাঁচ মাসে সারা বছরের প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ ভাগ বায়ুদূষণ হয়।


হঠাৎ উধাও বোতলজাত সয়াবিন! 

মাছ-মাংস-ডিমে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে * সবজির বাজার স্থিতিশীল
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজারে হঠাৎ করেই বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ দেকানেই পাওয়া যাচ্ছেনা ভোজ্যতেলটি। দু একটি দোকানে পাওয়া গেলেও বোতালের গায়ে লেখা দামের চেয়ে বেশি আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে রীতিমত ক্রেতাদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়াচ্ছেন দোকানিরা।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাজারে তিন/চার দোকান ঘুরে দুই লিটার সয়াবিন তেল কিনেছেন তানভীর আহমেদ। তবে বোতলের গায়ে লেখা দামের চেয়ে ২০ টাকা বেশি দিতে হয়েছে। হতাশা ব্যক্ত করে দৈনিক বাংলাকে তিনি বলেন, যেখানেই যাই, তেল নাই। থাকলেও সংকটের অজুহাতে দাম বেশি চাচ্ছেন। পাঁচ লিটারের বোতল না পেয়ে দুই লিটারের বোতল কিনেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাকে।

তানভীরের মতো অনেকেই বাজারে গিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাননি। পেলেও বাড়তি দাম শুনে তারা ভড়কে যাচ্ছেন। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার, মিরপুর ৬ নাম্বার বাজার ঘুরে অধিকাংশ দোকানেই বোতলজাত ভোজ্যতেল পাওয়া যায়নি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মিরপুরের দোকানগুলোতে এক-দুইটি করে তেলের বোতল প্রকাশ্যে রাখা হয়েছে। কোনো কোনো দোকানে একটিও নেই। প্রতি লিটার বোতলজাত তেল ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করছে। আধা লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে দোকানভেদে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা লিটার দরে।

কোন কোন ক্রেতা বলছেন, পাড়া-মহল্লার অনেক মুদি দোকানে সয়াবিন তেল উধাও। ৫ লিটারের বোতল পাওয়াই যাচ্ছে না। আর দামও বেশি নেওয়া হচ্ছে। উত্তরার বাসিন্দা ফরহাদ উদ্দিন বলেন, 'সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না টেলিভিশনে এমন খবর দেখে বাসার নিচের মুদি দোকানির কাছে জানতে চাইলাম, তেল আছে কিনা। সে জানালো তেল নেই। পরে মহল্লার কয়েকটি দোকান ঘুরে বাড়তি দামে ৫ লিটারের একটা বোতল কিনতে পেরেছি।'

এক সপ্তাহ ব্যবধানে খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েল লিটারে পাঁচ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে খোলা পাম অয়েল ১৬০-১৬২ এবং সয়াবিন ১৭০-১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোম্পানি ও ডিলার তেল সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। পাঁচ কার্টন চেয়ে মিলছে একটি। তেল কেনার জন্য আটা-ময়দার বস্তা কেনার শর্তজুড়ে দিচ্ছেন। অবশ্য ডিলারদের ভাষ্য, অনেক কোম্পানি উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। যারা উৎপাদনে আছে, বিশ্ববাজারে দর বাড়ার কারণে তারাও সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।

আমদানিকারক ও বাজারজাতকারীরা বলছেন, বিশ্ববাজারের হিসাবে লিটারে ১২-১৩ টাকা বাড়ার কথা। সরকার দুই দফায় শুল্ককর কমানোর কারণে স্থানীয় পর্যায়ে দর বাড়ানো হয়নি। আগের দরে বিক্রি করে মিলারদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। ফলে চাহিদার তুলনায় আমদানি কমেছে ২০ শতাংশের মতো। এ পরিস্থিতিতে মিলাররা বর্তমান উৎপাদন খরচ বিবেচনায় যৌক্তিকভাব দাম সমন্বয় করার দাবি জানিয়েছেন।

সরকারকে সতর্ক করে আমদানিকারকরা বলছেন, রমজানের আগেই তেলের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। এখনই পদক্ষেপ না নিলে সামাল দেওয়া কঠিন হবে। এ ক্ষেত্রে আমদানি বাড়ানোর জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

এদিকে ভোক্তাদের অভিযোগ, এগুলো ব্যবসায়ীদের খোঁড়া যুক্তি। বর্তমানে যে তেল বিক্রি হচ্ছে, তা আমদানি হয়েছে তিন থেকে চার মাস আগে। তখন বিশ্ববাজারে দর কম ছিল। এখন বিশ্ববাজার বাড়লেও সে তেল আমদানি করে পরিশোধনের পর বাজারে আসতে অন্তত দুই মাস লাগবে।

ভোজ্যতেলের সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম স্বাভাবিক রাখতে অন্তর্বর্তী সরকার গত ১৭ অক্টোবর অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, পরিশোধিত পাম অয়েল ও সয়াবিন বীজ– তিনটি পণ্য আমদানিতে ভ্যাট ১৫ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করে। ১৯ নভেম্বর স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে আরও ৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি দিয়ে শুধু আমদানিতে ৫ শতাংশ রেখেছে। এ পদক্ষেপে বোতলজাত এবং খোলা– উভয় তেল লিটারে ১০-১২ টাকা দাম কমার কথা। কিন্তু বাজারে উল্টো চিত্র। দাম চড়েছে। আবার টাকা দিয়েও মিলছে না তেল।

মাছ-মাংস-ডিমে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে

এদিকে মাছ-মাংস-ডিমে কিছুটা স্বস্তি মিলছে বলে জানিয়েছেন কম আয়ের মানুষ। বাজারে সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৭০, সোনালি কক ৩০০, সোনালি হাইব্রিড ২৭০, দেশি মুরগি ৫১০, লেয়ার লাল মুরগি ২৮০ এবং লেয়ার সাদা মুরগি ২৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন ডিমের দাম ৫ টাকা কমে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিতই রয়ে গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য পণ্যের তুলনায় মাছের বাজারেও কিছুটা স্বস্তি মিলছে। বড় চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়, যেখানে গত সপ্তাহেও ছিল ৭০০ টাকা পর্যন্ত। শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। এ ছাড়া পাঙাশ ১৭০-১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কার্প মাছ ২৬০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০ টাকা, মলা মাছ ২৮০, কই ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে পাবদা মাছের দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে যেখানে পাবদা মাছ ছিল ৩৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা, আজকের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।

ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে নিম্ন আয়সহ সাধারণ ক্রেতাদের মাংসের চাহিদা মেটাতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ব্রয়লার মুরগি। তবে মাঝেমধ্যেই হুটহাট করে দাম বেড়ে যায়, তখন আবার বিক্রিও কিছুটা কমে যায়। তবে নদী ও সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ ভালো থাকায় গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে মাছের দাম কিছুটা কমেছে।

বাড্ডা পাঁচতলা বাজার থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি কিনেছেন মনিরুল ইসলাম নামের একজন ক্রেতা। তিনি বলেন, ‘গরুর মাংস কিনতে গিয়ে গিয়ে মুরগির মাংস নিয়েছি। গত সপ্তাহেও দেখলাম ৭৫০ টাকা কেজি, আজকে ৭৮০ টাকার নিচে দেবেই না। আমিও রাগ করে চলে এসে মুরগি নিয়েছি।’

শাক-সবজির বাজার স্থিতিশীল

তবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি আলুর দাম ৫ টাকা কমেছে। এদিকে রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলোতে আসতে শুরু করেছে শীতের সবজি। এই সময় থেকেই সবজির দাম কম থাকার কথা থাকলেও এখনো চড়া সবজির বাজার। ৮০ টাকার নিচে নেই কোনো সবজি। বাজারে নতুন আলুর কেজি ১২০ টাকা আর করলার কেজি ১০০ টাকা। এ ছাড়া বরবটি, বিচিওয়ালা শিম, টমেটো, গাজর ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে প্রতি কেজি নতুন আলু ১২০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, করলা ১০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচা টমেটো ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, বিচিওয়ালা শিম প্রতিকেজি ১০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

অন্যদিকে সাধারণ শিম ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, শালগম ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, পেঁয়াজের ফুল প্রতি আঁটি ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুল কপি, বাঁধা কপি ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।


বিপুল পরিমানে মদ ও বিয়ারসহ ৬ ব্যক্তি গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরায় অবৈধভাবে মজুদ করা বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিয়ারসহ ৬ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে উত্তরা পশ্চিমের গাউসুল আজম এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় র‌্যাব-১ এর মেজর আহনাফ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি দৈনিক বাংলাকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, উত্তরা পশ্চিম থানাধীন গাউসুল আজম এলাকায় কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্য গুদামজাত করে বিক্রি করছে। এমন তথ্যে রাত দেড়টার দিকে গাউসুল আজম এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৩ হাজার বোতল/ক্যান (১৫৫৮ দশমিক ৮০ লিটার) বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করা হয়। জব্দ করা মদ ও বিয়ারের মূল্য প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার ২৭৫ টাকা। এসময় ৬ জন অবৈধ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় তিনি জানাননি।

গ্রেপ্তার ৬ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।


ইয়াবা ও ফেনসিডিলসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর আরামবাগ থেকে ইয়াবা ও ফেনসিডিলসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তি হলেন, এনাম আহম্মদ (৫০)। তার কাছ থেকে এক হাজার ৫৩০ পিস ইয়াবা ও আট বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

আজ শুক্রবার সকালে মতিঝিলের আরামবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গনমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
মতিঝিল থানার বরাতে তিনি জানান, সকারে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, আরামবাগের জেদ্দা এক্সপ্রেস কাউন্টারের সামনে এক ব্যক্তি ইয়াবা ও ফেনসিডিল বিক্রির জন্য অবস্থান করছে। এমন তথ্যে অভিযান পরিচালনা করে এনামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে এক হাজার ৫৩০ পিস ইয়াবা ও আট বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তার এনামুল দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন অবৈধ মাদক ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় বিক্রি করে আসছিল। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল স্কুলছাত্রীর মরদেহ

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বাড্ডা থেকে রাকিবা (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে বাড্ডা কলেজিয়েট হাই স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বাড্ডার আব্দুল্লাহবাগ এলাক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

রাকিবা বরিশালের হিজলা উপজেলার হরিনাথপুর গ্রামের রফিক হাওলাদারের মেয়ে। বাড্ডা থানার এসআই ফাতেমা সিদ্দিকা সোমা জানান, খবর পেয়ে বাড্ডার আব্দুল্লাহবাগের একটি বাসা থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দেয় ওই কিশোরী। তবে কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে সে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।


অ্যাসিড নিক্ষেপ করে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর তুরাগের কামারপাড়া এলাকায় অ্যাসিড নিক্ষেপ করে ছিনতাইয়ের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় একজন পেশাদার দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির তুরাগ থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার ছিনতাইকারীর নাম- নাঈম ওরফে বাবু (১৯)| গতকাল বুধবার ময়মনসিংহ সদর থানার চরদুর্লভা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তুরাগ থানার বরাতে তিনি জানান, গত ২১ নভেম্বর সাথী রানী তার ২ বছরের শিশু সন্তান বিজু রানীকে নিয়ে তুরাগের কামারপাড়া বাজার থেকে পুরাতন থানা রোডের তারা মার্কেটের কাছে ভাসুরের বাসায় যাচ্ছিলেন। বাসার গেটের সামনে পৌঁছালে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি সাথী রানীকে রহিম নামক কোনো ব্যক্তিকে চিনে কিনা জিজ্ঞাসা করে। সাথী রানী কোনো উত্তর দেওয়ার আগেই ওই ব্যক্তি তার সঙ্গে থাকা একটি বোতল থেকে স্প্রে এর মাধ্যমে সাথী রানী এবং বিজু রানীর মুখ লক্ষ্য করে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে।

এতে সাথী রানীর মুখ মণ্ডলের কিছু অংশ ঝলসে যায় ও বিজু রানীর শরীরের কিছু অংশ ঝলসে যায়। এসময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিটি ভিকটিম সাথী রানীর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন সাথী রানী এবং বিজু রানী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য উত্তরার শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে তাদেরকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাসুর শ্রী চিবাস কুমার হালদারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২২ নভেম্বর তুরাগ থানায় একটি মামলা হয়।
মামলাটি তদন্তকালে ভিকটিমের দেওয়া আসামির বর্ণনা বিশ্লেষণ, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত নাঈমকে শনাক্ত করা হয়।

পরবর্তীতে তুরাগ থানার একটি দল বুধবার ময়মনসিংহ সদর থানার চরদুর্লভা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে নাঈম ওরফে বাবুকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তার নাঈম একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। সে দীর্ঘদিন ধরে তুরাগ এলাকায় ছিনতাইয়ের কাজে জড়িত। ঘটনার দিন সে ভিকটিমের গলার চেইন ছিনতাইয়ের উদ্দেশে ভিকটিম সাথী রানী এবং বিজু রানীকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে।


হত্যা মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইমাম হোসেন তাঈম হত্যা মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ বুধবার সকালে তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের শুনানি শেষে এ আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি, তাকে আগামী ১২ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশও দেওয়া হয়।

তার আইনজীবী মোহাম্মদ আবুল হাসান এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, ‘জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে যাত্রাবাড়ী এলাকায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তার পক্ষে বুধবার ওকালতনামা দাখিল করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে সময়ের আবেদন করা হয়েছে, যা ট্রাইব্যুনাল মঞ্জুর করেছেন।’

মামলার সূত্র থেকে জানা যায়, শহীদ ইমাম হোসেন তাঈমকে কাছ থেকে গুলি করার পর থানায় নিয়ে মুখমণ্ডল বিকৃত করে মৃত্যু নিশ্চিত করার ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় আবুল হাসান এজাহারভুক্ত আসামী।


banner close