বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

আন্দোলনে হত্যাসহ ১৫ মামলার আসামি গ্রেপ্তার

আমিনুল ইসলাম ওরফে হৃদয়। ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৪ নভেম্বর, ২০২৪ ২০:৩৭

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আল শাহরিয়ার হোসেন হত্যা মামলাসহ ১৫ মামলার এজাহারনামীয় আসামি আমিনুল ইসলাম ওরফে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ সোমবার ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মোহাম্মদপুর থানার বরাতে তিনি জানান, ভিকটিম আল শাহরিয়ার হোসেন হত্যার ঘটনায় তার বাবা মো. মনির হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩ সেপ্টেম্বর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় হাজার হাজার ছাত্র-জনতা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ শুরু করে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ভিকটিম আল শাহরিয়ার হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

তদন্তাধীন এ মামলায় গোয়েন্দা তথ্য ও ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আল শাহরিয়ার হোসেন হত্যায় জড়িত আমিনুল ইসলাম ওরফে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রসঙ্গত, গ্রেপ্তার আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদকসহ ১৫টি মামলা রয়েছে। এছাড়া তিনি শাহবাগ থানার একটি চুরি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।


অটোরিকশা ব্যবহার না করে হাঁটার পরামর্শ দিলেন ডিএমপি কমিশনার

‘অটোরিকশা ব্যবসার সঙ্গে যারা আছেন আপনারা অটোরিকশা বৃদ্ধি করবেন না। আমি আর কাউকে অ্যালাউ করবো না’
তবিনিময় সভায় কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরবাসীকে এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূরত্বের পথে হেঁটে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ‘ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ব্যবহারে জটিলতা বাড়ছে। ফলে স্বল্প দূরত্বে রাস্তায় অটোরিকশা নয়, হেঁটে চলাচল করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এই সমাজে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য অটোরিকশা প্রয়োজন। আমাদের বাস্তবভিত্তিক চিন্তা করতে হবে। তবে যে হারে অটোরিকশা বাড়ছে সেই হারে বাড়লে পুরো রাস্তা দখল করে ফেলবে এই অটোরিকশা। এরপর আপনারা কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারবেন না। এটি হতে দেওয়া যাবে না। এখনই এই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা লোকালি বা অফিস-আদালত, বাজার-ঘাট পায়ে হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে সমস্যার অনেকটা সমাধান হবে এবং শরীরও ভালো থাকবে। যাদের বাচ্চার স্কুল আছে তারা কর্মস্থল বা বাসাটা স্কুলের দিকে শিফট করেন। আপনাদের যাদের বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যেতে হয় তারা স্কুলের পাশে বাসা ভাড়া নিতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘অটোরিকশায় ৮০-৯০ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে একদিনে ৫০০ টাকা নিচ্ছেন মালিকরা। আমরা যারা ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার কিংবা অন্য কোনও পেশায় আছি, তারা ১০ লাখ টাকা ইনভেস্ট করে ১০টা অটোরিকশা নামিয়ে দিয়ে প্রতিদিন ৫ হাজার টাকা আসছে। এক লাখ টাকা ব্যাংকে রাখলে এখন মাসে পাবেন এক হাজার টাকা। এজন্য অটোরিকশায় সবাই ইনভেস্ট করছে। আর হুহু করে অটোরিকশার সংখ্যাও বাড়ছে।’

‘এভাবে অটোরিকশার সংখ্যা বাড়তে থাকলে এক সময় চলাচলের রাস্তা থাকবে না। রাস্তা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে পারবে না। ঢাকা শহর অচল হয়ে যাবে। আমরা সরকারকে জানিয়েছি, যাতে করে আর একটিও অটোরিকশা বৃদ্ধি করতে না পারে’- যোগ করে বললেন মো. সাজ্জাত আলী।

রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এটি একটি স্বাধীন দেশ। আপনারা মিছিল-মিটিং করেন। এই দেশে বাকস্বাধীনতা আছে। আমরা এগুলোর নিরাপত্তা দিতেও প্রস্তুত। তবে আপনারা এমন কোনও জায়গায় মিছিল-মিটিং করবেন না, যে কারণে ট্রাফিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। ট্রাফিক সমস্যা হলে নগরবাসী ভোগান্তির মধ্যে পড়ে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তার ভেতরে আটকে থাকতে হয়। এতে গাড়ির তেল অপচয় হয়।’

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘অটোরিকশার কেউ ট্যাক্স দিচ্ছে না, তারা কোনো রেগুলেটরি বডির আন্ডারেও না, লাইসেন্স নেই। তাদের একটা নিয়মের মধ্যে আনতে হবে। সেটা পুলিশ আনুক আর অন্য কেউ। অটোরিকশা ব্যবসার সঙ্গে যারা আছেন তাদের বলবো আপনারা অটোরিকশা বৃদ্ধি করবেন না। আমি আর কাউকে অ্যালাউ করবো না। অটোরিকশার ব্যাটারি অবৈধভাবে চার্জ হয়। ট্যাক্স, লাইসেন্স কিছুই নেই। এটি জটিল বিষয়।’


বিমানবন্দরে ৭ কেজি স্বর্ণসহ ৫ যাত্রী আটক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালয়েশিয়া থেকে আসা একটি ফ্লাইটের পাঁচ যাত্রীর কাছ থেকে ওয়েল্ডিং মেশিনের কয়েলের ভেতরে লুকানো ৭ কেজি স্বর্ণ জব্দ করেছে ঢাকা কাস্টমস হাউজ। গত সোমবার দিনগত রাতে তাদের স্বর্ণসহ আটক করা হয়। জব্দ করা স্বর্ণের বাজার মূল্য প্রায় ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

আটকরা হলেন- রুবেল হোসেন (২২), দুলাল আহম্মেদ (৩৫), সামিউল ইসলাম (৩৩), সবুজ আলি (২৪) ও সাগর মিয়া (২৭)।

আজ মঙ্গলবার বিমানবন্দর কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার মো. আল আমিন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মালয়েশিয়া থেকে আসা এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইট সোমবার রাত আড়াইটায় বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাটিক এয়ারের আরেকটি ফ্লাইটও বিমানবন্দরের অবতরণ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস হাউজের প্রিভেন্টিভ দল দুইটি উড়োজাহাজের পাঁচ সন্দেহভাজন যাত্রীর সঙ্গে আনা কম্বলে প্যাঁচানো অন্যান্য মালামালের সঙ্গে ওয়েল্ডিং মেশিন চিহ্নিত করে স্ক্যান করে। এ সময় প্রতিটি ওয়েল্ডিং মেশিনের কয়েলের ভেতরে মোট ৫টি সোনার চাকতি, ২টি সোনার টুকরা ও ১০০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। যার ওজন প্রায় ৭ কেজি এবং বাজার মূল্য ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

প্রাথমিক পরীক্ষায় সেগুলো সোনা বলে নিশ্চিত হলে জব্দ করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় ফৌজদারি মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলমান। চোরাচালানের মাধ্যমে আনা স্বর্ণের উৎস শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।


ছিনতাইয়ের অভিযোগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৩ সদস্যসহ আটক ৪

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে র‍্যাব এবং পুলিশের পরিচয়ে মালামাল ছিনতাই করে পালানোর সময় ৪ জনকে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে বিমানবন্দরে প্রবেশ করে ক্যানোপি এলাকার বাইরে মো. নাজমুল নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৬টি মোবাইল ফোন ও মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তারা। এ সময় তাদের আটক করা হয়।

আটককৃত হলেন, সার্জেন্ট ইকবাল, মো মাকসুদ, পুসিদার হোসেন এবং আসাদুল হক। এ সময় ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো-গ ১৭-৭৪১৮) জব্দ করা হয়।

এপিবিএন জানায়, আটককৃত সদস্যদের মধ্যে সার্জেন্ট ইকবাল ও মো. মাকসুদ সেনাবাহিনীর সদস্য। তারা দুজনই বর্তমানে র‍্যাবে কর্মরত। আর পুলিশ কনস্টেবল পুসিদার হোসেন বর্তমানে ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত। আটককৃত অপরজন মো. আসাদুল হক নিজেকে ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করা হয় বলে বিমানবন্দর থানা পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, আটককৃতরা দীর্ঘদিন যাবত একই প্রক্রিয়ায় বিমানবন্দরসহ আশেপাশের এলাকায় বিমানযাত্রী এবং সহযাত্রীদের নিকট হতে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ছিনতাই করে আসছিল।


বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা: ঢাবিতে বিক্ষোভ

যোগ দিয়েছেন জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরাও
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০১:৪৬
ঢাবি প্রতিনিধি

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এই সমাবেশে যোগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরাও।

সোমবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজৃ ভাষ্কর্যের পাদদেশে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ একাধিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও অ্যাক্টিভিস্ট জাহিদ আহসান বলেন, ‘আগরতলায় হাইকমিশনে হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, ভারতের সঙ্গে খেলা হবে সমানে সমান। কোনো রাজা-প্রজার সম্পর্ক থাকবে না। শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে আমরা ভারতের আধিপত্য মেনে নেব না।’

সমাবেশের এক পর্যায়ে সেখানে মিছিল নিয়ে যোগ দেন জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা 'হিন্দু মুসলিম ঐক্য করো, বাংলাদেশ রক্ষা করো', 'ভারতীয় আগ্রাসন, চলবে না চলবে না', 'দূতাবাসে হামলা, জগন্নাথ হল মানবে না' ইত্যাদি স্লোগান দেন। এসময় বাকি শিক্ষার্থীরা হাততালি দিয়ে তাদের স্বাগত জানান।

জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থী জয় পাল বলেন, ‘ধর্ম, বর্ণ জাত-পাত নির্বিশেষে আমরা সকলেই বাংলাদেশী। এটাই আমাদের একমাত্র পরিচয়। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা সকলেই এক। বাংলাদেশের সনাতনীসহ সকল নাগরিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের একসাথে রুখে দাঁড়াতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসে যে হামলা হয়েছে সেটির বিরুদ্ধে শুধু জগন্নাথ হল নয়, সকলের উচিত প্রতিবাদ জানানো। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপে আমাদের উদ্দেশ্য বলা হয়, আমরা নাকি ভারতের দালাল। আমরা যদি ভারতের দালালি হতাম তাহলে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সংহতি জানাতে আমরা এখানে আসলাম কেন?’

পরবর্তীতে এই ধরণের বক্তব্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের যেন বিভাজন না করা হয় সে ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকারও অনুরোধ জানান জয় পাল।

ছাত্রদলের প্রতিবাদ

এদিকে ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলা এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি মমতা ব্যানার্জির কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত উসকানিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারত সরকার ভিয়েনা কনভেনশনের বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী কূটনীতিকদের সুরক্ষা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সহিংস ঘটনার সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্লিপ্ত অবস্থান উক্ত ঘটনার পেছনে কর্তৃপক্ষের মৌন সম্মতির স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে। বিগত ২৮ নভেম্বরে কলকাতায়ও একই ধরণের সহিংস ঘটনা ঘটেছে, যা একটি বিপজ্জনক পরম্পরা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশী কূটনীতিকদের পূর্ণ নিরাপত্তা প্রদান, হামলার ঘটনার যথাযথ তদন্তপূর্বক দায়ীদের চিহ্নিত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাস্তি নিশ্চিতকরণ এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য ভারত সরকার ও রাজনীতিকদের প্রতি আহবান জানান ছাত্রদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক।


ছবিতে ফুটে উঠল ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান

ঢাকাস্থ ইএমকে সেন্টারে ‘বাংলাদেশ পুনর্জন্ম : ৩৬ জুলাইয়ের পথে’ শিরোনামে চিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন দর্শনার্থীরা। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের ইতিহাসে ২৪-এর জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাস। এই সময়ে বাংলাদেশের নতুন করে জন্ম হয়েছে। যে জন্মের সাক্ষী এ দেশের কোটি কোটি মানুষ। এই গণঅভ্যুত্থানের ছবিগুলো তাদের হৃদয়ে স্মৃতি তথা ইতিহাস হয়ে থাকবে সারাজীবন। বিভিন্ন সংবাদকর্মী ও ফটো সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষের আলোকচিত্র ও ভিডিওতে বহন করবে জুলাই-আগস্টের উত্তাল সময়গুলো। ইতিহাস বহন করা ছবিগুলো নিয়ে তেমনি এক স্মরণীয় ছবি প্রদর্শনী শুরু হয়েছে রাজধানীতে।

সোমবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে কাজ করা বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম) কর্তৃক ঢাকাস্থ ইএমকে সেন্টারে ‘বাংলাদেশ পুনর্জন্ম: ৩৬ জুলাইয়ের পথে’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়।

বিজেআইএমের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এ প্রদর্শনীর বিষয়বস্তু হচ্ছে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বাংলাদেশের ছাত্রজনতার বিপ্লব, যার ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের পতন।

মুক্তাদির রশীদ রোমিওর সঞ্চালনায় ছবি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনীর একমাত্র সন্তান মাহির সারওয়ার মেঘ।

মাহির সারওয়ার মেঘ বলেন, ‘আমি আমার মা-বাবা হত্যার বিচার চাই। শুধু সাংবাদিকতা করার কারণে আমি তাদেরকে হারিয়েছি। নতুন বাংলাদেশে আমি আমার মা-বাবা হত্যার বিচার চাই।’

অনুষ্ঠানে বিজেআইএমের আহ্বায়ক স্যাম জাহান বলেন, ‘ন্যায়, নীতি, সত্য ও সাহসের পথে যতদিন সাংবাদিকতা থাকবে, সাংবাদিকরা থাকবেন; ততদিন আর কোনো দৈত্যদানো এই জাতির ঘাড়ের ওপর চড়ে বসতে পারবে না।’

অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্টের শহীদদের সম্মানে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান কাভার করা সাংবাদিক জীবন আহমেদ, শরীফ খিয়াম আহমেদ, ইয়ামিন সাজিদ, সাইফ হাসনাত ও মুহাম্মদ আলী মাজেদ সে সময়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।

প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক উপস্থিত ছিলেন।

প্রদর্শনীর সব অংশগ্রহণকারী পেশাদার আলোকচিত্রী না হলেও এর মাধ্যমে সংগঠনটির সদস্য যারা সম্মুখে থেকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লব নিয়ে প্রতিবেদন বা কাজ করেছেন, তারা কিভাবে ঘটনাপ্রবাহগুলো দেখেছেন ও উপস্থাপন করেছেন তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। এ ছাড়া এই অভ্যুত্থানে মুক্ত সাংবাদিকতার কী অবদান ছিল সেই ভাবনার খোরাকও প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেয়েছে।

প্রখ্যাত আলোকচিত্রী এবং বিজেআইএম সদস্য কে এম আসাদ ছবি প্রদর্শনীর কিউরেশান করেছেন। প্রদর্শনীটি আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। তবে ৬ ও ১১ ডিসেম্বর অনিবার্য কারণবশত তা বন্ধ থাকবে বলে আয়োজকদের তরফ থেকে জানানো হয়।

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষা ও বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সব ধরনের নৈতিক সমর্থন দিতে ২০২২ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশ জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম) প্রতিষ্ঠিত হয়। বিগত সময়ে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা বিশেষত সীমাবদ্ধ সংবাদ আইন ও সেন্সরশিপের সময়ে বিজেআইএম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছে।


মৃত নারীর পরিচয় শনাক্তে সহায়তার আহ্বান পুলিশের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

একজন অজ্ঞাত পরিচয় মৃত নারীর পরিচয় শনাক্তে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) শাহ আলী থানা পুলিশ। মৃত নারীর বয়স ৩৫ বছর।

সোমবার শাহআলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান দৈনিক বাংলাকে বলেন, গত রোববার বিকেলে শাহআলী থানার উত্তর বিশিল কুসুমবাগ এলাকার ১ নম্বর রোডের একটি বাড়ির সামনে থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি তোষকে মোড়ানো হাত-পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) জানানো হয়েছে। ছবিতে প্রদর্শিত মৃত নারীর চেহারা দেখে কেউ শনাক্ত করতে পারলে শাহআলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) (০১৩২০-০৪১১৫০), ডিউটি অফিসার (০১৩২০-০৪১১৫৭) বা অফিসার ইনচার্জ (০১৩২০-০৪১১৫০) নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।


হাসপাতালে আসাদুজ্জামান নূর ও তানভীর ইমামের ওপর হামলা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক মন্ত্রী ও নীলফামারী-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) তানভীর ইমাম রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে হেনস্তার শিকার হয়েছেন। কারাবন্দী সাবেক এই মন্ত্রী ও সাবেক এমপি চিকিৎসা নিতে গেলে তাদের ওপর হামলা করে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের আহত শিক্ষার্থীরা।

শনিবার দুপুরে আসাদুজ্জামান নূর বিএসএমএমইউ এর ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগে ফিজিও থেরাপি নিতে গেলে তার ওপর হমলা করা হয় বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আহত ২১ জন বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও এইচ টি ইমামের ছেলে ও সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামকে চিকিৎসার জন্য দুপুরে হাসপাতালে নিয়ে যায় কারা কর্তৃপক্ষ। পরে তাদের হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ সময় চিকিসাধীন জুলাই আগস্টে আহত শিক্ষার্থীরা তাদের দেখে চিনতে পেরে তাদের ওপর হামলা করে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। তারা ছাত্র হত্যাকারী এবং শেখ হাসিনার সন্ত্রাসী বলে চিৎকার করতে থাকেন। পরে পুলিশ ও কর্তব্যরত চিকিৎসক-কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউর রহমানের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করা শর্তে হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা জানান, আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেছি। সেসময় কারা কর্তৃপক্ষ সেখানে উপস্থিত ছিল। আর যেন এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য হাসপাতালটির পরিচালককে ফোন করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর বেইলি রোডের নওরাটন কলোনি থেকে সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে তানভীর ইমামকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০০১ সাল থেকে সংসদে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করেন নূর। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নীলফামারী-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি তিনি সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।


রেষ্টুরেন্ট ব্যবসার টাকা জোগাতে খুন করা হয় প্রবাসী চিকিৎসককে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর হাজারীবাগে (পশ্চিম ধানমন্ডি) নিজ বাসায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক চিকিৎসক এ কে এম আবদুর রশিদকে হত্যার অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- মো.নাইম খান (২২), মো.জাহিদুর রহমান রিফাত (২০) ও মো. আবু তাহের শিকদার ওরফে শাওন (২২)। গতকাল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও খুলনার ডুমুরিয়ার শাহপুর বাজার এলাকা থেকে ওই তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার নাইম খান ও জাহিদুর রহমান ওই বাসার সাবেক ভাড়াটে। তারা রেষ্টুরেন্ট ব্যবসার মূলধন জোগাতে ও বাসা ভাড়া নিয়ে মনোমালিন্যের জেরে ডাকাতি করতে গিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছেন।

আজ শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।

তিনি বলেন, আবদুর রশিদ ও সুফিয়া রশিদ পেশায় চিকিৎসক ও যুক্তরাজ্যপ্রবাসী। তাঁরা প্রতি সেপ্টেম্বরে দেশে এসে নিজেদের বাসায় কয়েক মাস থেকে যুক্তরাজ্যে চলে যেতেন। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়েও যুক্তরাজ্য প্রবাসী।

গত ১৪ নভেম্বর দিনগত রাত আড়াইটার দিকে হাজারীবাগে আবদুর রশিদের বাসায় অজ্ঞাতনামা কয়েক ব্যক্তি প্রবেশ করেন। তিনি এ সময় নামাজ আদায় করছিলেন। পরে তার সঙ্গে ওই ব্যক্তিদের ধস্তাধস্তি হয়। এসময় তার স্ত্রী সুফিয়া রশিদ পাশের কক্ষ থেকে এগিয়ে আসলে তার মুখ চেপে ধরে দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে আবদুর রশিদের বুকে একাধিক আঘাত করে তারা। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। এ সময় তার স্ত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসার আগেই পালিয়ে যান আসামিরা। পরে গুরুতর আহত চিকিৎসক আব্দুর রশিদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান।

ডিসি মাসুদ আলম বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই মো. রেজাউল করিম ১৫ নভেম্বর হাজারীবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে, ঘটনার আগের বিভিন্ন সময়ে ওই বাসায় মেস হিসেবে বসবাসকারী ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। পরে শুক্রবার খুলনার ডুমুরিয়ার শাহপুর বাজার এলাকা থেকে নাইম খান ও জাহিদুর রহমান রিফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। হাজারীবাগ থানার অপর একটি টিম মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে আবু তাহের শিকদার ওরফে শাওনকে গ্রেপ্তার করে।

আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মাসুদ আলম বলেন, ‘ডা. একেএম আব্দুর রশিদ হাজারীবাগ (পশ্চিম ধানমন্ডি) এলাকায় নিজ বাসায় বসবাস করতেন। ওই বাসার একটি ফ্ল্যাটে সাবেক ভাড়াটিয়া ছিলেন নাইম ও জাহিদুর রহমান। বকেয়া ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন সময় আব্দুর রশিদের স্ত্রী সুফিয়া রশিদ ও ভাড়াটিয়াদের মধ্যে মনোমালিন্য হতো। এছাড়া রাত ১০টার পর গেট বন্ধ হলে বাসায় প্রবেশ করা নিয়েও দ্বন্দ্ব হতো। এতে আব্দুর রশিদ ও তার স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত ছিল ওই ভাড়াটিয়ারা। সম্প্রতি রেস্টুরেন্ট ব্যবসার পরিকল্পনা করে ওই দু’জন। নিজেদের ব্যবসার টাকা যোগান দিতে আব্দুর রশিদের বাসায় ডাকাতির পরিকল্পনা করে তারা। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আব্দুর রশিদকে হত্যা করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।


সবজির দাম অপরিবর্তিত, গরিবের নাগালের বাইরে দেশি মুরগি

সবজির দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখছি না। অথচ শীতকালে লাউ, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কম থাকার কথা ছিল: সবজি ক্রেতা
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কাঁচাবাজারে আসতে শুরু করেছে শীতের হরেক রকম সবজি। গত সপ্তাহের তুলনায় দু-একটি সবজির দাম বাড়লেও অধিকাংশের দামই অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া বাজারে এসেছে নতুন আলু, বিক্রেতা দাম হাঁকাচ্ছেন প্রতি কেজি ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচের ঝাল কিছুটা কম থাকলেও এখন তা আরও বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল, রায়ের বাজার, ধানমন্ডি স্টাফ কোয়ার্টারসহ বেশ কটি বাজার ঘুরে দামের এসব চিত্র দেখা গেছে। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৮০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৯০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা ও পটোল ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৪০ টাকা, গাজর ১৩০ টাকা, কচুমুখী ৮০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, শিম ৮০ থেকে ১০০ টাকা, শালগম ১১০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। নতুন আলু ১০০ আর পুরান আলু ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম ১৪০ টাকা হলেও প্রতি ২৫০ গ্রাম মরিচের জন্য ৪০ টাকা গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

এছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁয়াজের কলি ৮০ টাকা। আর মানভেদে প্রতিপিস ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা। তবে ছোট বড় আকারের ওপরে এই তিন সবজির দাম নির্ধারণ হয়। বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পাটশাক ১০-১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০-৪০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, ডাঁটাশাক ১০-১৫ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় আজকে সবজির দাম তেমনটা বাড়েনি। কিছুটা কমেছে। কিন্তু শীতকালীন সব সবজি বাজারের এলেও সবজির দাম তুলনামূলক বেশি। মৌসুমে যদি এতো দামে আমাদের কিনতে হয় তাহলে অফ সিজনে তো আরও দাম বাড়বে। আলমগীর হোসেন নামের এক সবজি ক্রেতা বলেন, ‘সবজির দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখছি না। আগে শীতকালে মুলার হালি ১৫ থেকে ২০ টাকায় কিনতাম। এখন কেজি কিনতে হয় ৪০ টাকা। আর লাউ তো ৫০ টাকা নিচে পাওয়া যায় না। অথচ শীতকালে লাউ, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি দাম কম থাকার কথা ছিল।’

সবজি বিক্রেতা সফিউল আলম বলেন, বাজারে সব ধরনের সবজি আছে। শীতকালীন সবজিতে বাজার ভরে গেছে। তবে শীতকালীন সবজি আসায় দাম কমার কথা। কিন্তু চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত সবজি না আসায় দাম বাড়ছে। রায়ের বাজারের সবজি বিক্রেতা রমিজ মিয়া বলেন, পুরান আলু আর নতুন আলুর দামে তেমন ফারাক নেই। নতুন আলু ১০০ টাকা। আর পুরান আলু ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। তবে সবজির দাম দিন দিন কমবে। বাজারে শীতকালীন সবজি আসা শুরু করেছে। আগামীতে দাম আরও কমবে। এদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা দরে। এ ছাড়া লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, কক প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা, সোনালি, পাকিস্তানি মুরগি প্রতি কেজি ৩০০-৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন, বাজারে নিম্ন আয়সহ সাধারণ ক্রেতাদের মাংসের চাহিদা মেটাতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ব্রয়লার মুরগি। এটিও এখন ভরসা হারাচ্ছে। হঠাৎ করে দাম বেড়ে যায়। এ ছাড়া সোনালি, লেয়ার, কক জাতের মুরগিগুলো আগে থেকেই অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরেই থেকে যাচ্ছে এসব মুরগি। এছাড়া ৬০০-৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া দেশি মুরগি সাধারণ কেউ কিনে খেতে পারেন না। রাজধানীর মালিবাগ বাজারে মুরগি কিনতে এসে শফিকুর রহমান নামে এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বেসরকারি একটি চাকরি করি। বেতন দিয়ে পুরো মাস চলাই কঠিন হয়ে গেছে। বাজার খরচই অতিরিক্ত খরচ হয়ে যাচ্ছে। একটা ব্রয়লার মুরগি কিনতেই ৩৫০/৪০০ টাকা লেগে যাচ্ছে। তাও এটা সবচেয়ে কম দামের মুরগি। আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা ব্রয়লার ছাড়া অন্য কোনো মুরগি কিনতেই পারি না। এক বছরের বেশি হবে দেশি মুরগি কিনতে পারি না। আগে মাঝে মাঝে সোনালি মুরগি কিনতাম এখন এর দামও অতিরিক্ত। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা।’

রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকার একটি বাজারে আরেক ক্রেতা বেসরকারি চাকরিজীবী কবির হোসেন বলেন, ‘ব্রয়লার মুরগির দাম আরও বেশি ছিল, এখন তাও কিছুটা কমে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্য সব ধরনের মুরগি অতিরিক্ত দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। বাজার মনিটরিং বা দাম নিয়ন্ত্রণে কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। বিক্রেতারা যে যার মতো করে যেমন ইচ্ছে দামে মুরগি বিক্রি করছেন। যে কারণে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা ব্রয়লার ছাড়া অন্যান্য মুরগি কেনার ক্ষমতা হারিয়েছি।’ রামপুরা বাজারের মুরগি বিক্রেতা খোরশেদ আলম বলেন, আগের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমে এখন প্রতি কেজি ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সোনালি, কক, লেয়ার, দেশি মুরগির দাম কিছুটা বাড়তি যাচ্ছে। মূলত মুরগির ফিডের দাম অনেক বেশি, যে কারণে খামারিদের মুরগি উৎপাদনে খরচ বেশি হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে বাজারে। ব্রয়লার মুরগি ছাড়া অন্যান্য মুরগি বাজারের সরবরাহ তুলনামূলক কম। রাজধানী উত্তর বাড্ডা বাজারের আরেক মুরগি বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার কারণে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, মূলত তখন থেকেই মুরগির দাম বেড়েছে। বর্তমানে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কম থাকলেও অন্যান্য মুরগির পাইকারি বাজারে কেনা বেশি পড়ছে।


মোহাম্মদপুর থেকে শটগানসহ ৬৩ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে একটি অবৈধ শটগান ও ৬৩ রাউন্ড লিডবল কার্তুজ উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মোহাম্মদপুর থানার পাশে সুলতানগঞ্জ জাফরাবাদ মসজিদ রোডের একটি বাসা থেকে এ অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

সিটিটিসি সূত্র থেকে জানা যায়, সম্প্রতি সব ধরনের বৈধ ও অবৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সরকার। এরপরও মোহাম্মদপুরে সুলতানগঞ্জ জাফরাবাদ মসজিদ রোডের আবুল কাশেম খান নামে এক ব্যক্তি তার লাইসেন্স করা পয়েন্ট-১২ বোর শটগানটি সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী থানায় জমা না দিয়ে অবৈধভাবে নিজের কাছে রেখেছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে একটি শটগান ও লিডবল কার্তুজ উদ্ধার করে সিটিটিসি। পরে উদ্ধার করা শটগান এবং ৬৩ রাউন্ড লিডবল কার্তুজ মোহাম্মদপুর থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে গত ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত স্থানে আগ্নেয়াস্ত্র জমা না করলে তা অবৈধ অস্ত্র হিসেবে গণ্য হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।


মোহাম্মদপুরে অস্ত্রের মুখে ফের ডাকাতি

ছবি: সিসিটিভির ফুটেজ থেকে সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ফের ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে লুটপাট চালায় ডাকাত দল। গতকাল বুধবার দিনগত রাত সাড়ে তিনটায় মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যানের লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর রোডের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ডাকাতি হয়। এ ঘটনায় বাড়ির তত্বাবধায়ক (ম্যানেজার) মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ৩০-৪০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মই দিয়ে টিনশেড বাড়িটির ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় বাড়ির ভেতরে থাকা সিসি ক্যামেরাগুলো ভেঙে ফেলা হয় এবং ধারাল অস্ত্রের মুখে বাড়ির সবাইকে একটি রুমের ভেতর জিম্মি করে রাখা হয়। পরে প্রতিটি রুমে ঢুকে ফ্রিজ, টিভি, বৈদ্যুতিক সেলাই মেশিন, স্বর্ণালংকারসহ আসবাবপত্র সব নিয়ে ভাঙচুর চালায় ডাকাত দলের সদস্যরা।
বাড়ির তত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম বলেন, রাত সাড়ে তিনটার দিকে আমার ঘরে ১০-১৫ জন লোক দেশীয় ধারাল অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে আমাকে জিম্মি করে ফেলে। এরপর আমার রুমের আলমারি, র‍্যাক, টিভিসহ সব ভাঙচুর করে টাকাপয়সা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এ সময় আমাদের সবাইকে বাড়ির একটা রুমের ভেতর আটকে তালা লাগিয়ে দেয়। বাড়িতে থাকা পাঁচজন ভাড়াটিয়ার সবার ঘরে ঢুকে সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে যায়। আমার অনেক কষ্টের জমানো টাকায় কেনা বাড়ির (অন্য জায়গায়) দলিলের কাগজপত্র ও নগদ টাকা সবকিছু নিয়ে গেছে ডাকাতদল।
ভাড়াটিয়া কুলসুম শিকদার জানান, তার ঘরে ঢুকে ফ্রিজ, বৈদ্যুতিক সেলাই মেশিন, স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা সবকিছু নিয়ে গেছে। এছাড়াও ঘরের ভেতরে থাকা চাল, ডাল আসবাবপত্র সবকিছু নিয়ে গেছে। কিছুই রেখে যায়নি।
অপর ভাড়াটিয়ারা জানান, ডাকাত দলের সদস্যরা বাড়ির দুই গেটে তালা লাগিয়ে ভাড়াটিয়াদের ভেতরে আটকে রেখে সব মালামাল গাড়িতে করে নিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় বাড়ির মালিক বলেন, ভোর ৫টার দিকে আমার বাড়ির লোকজন আমাকে ফোন দিয়ে জানায় আমার বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। বাড়িতে ঢুকে সব ভাড়াটিয়ার টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকারসহ সব আসবাবপত্র নিয়ে গেছে। আমি খবর পেয়ে দ্রুত বাড়িতে এসে দেখি বাড়িতে থাকা সিসি ক্যামেরা ভেঙে রেখে গেছে ডাকাতরা। এ ঘটনায় আমার বাড়ির ম্যানেজার মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সহায়তা চাই।
এ বিষয়ে সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি।’ ঘটনার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বাড়িটি গত ৫ আগস্টের আগে একজনের দখলে ছিল, ৫ তারিখের পর আরেকজন দখলের চেষ্টা করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মামলা (৯৪/২৪) চলছে। ধারণা করা হচ্ছে বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়াদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে আমরা খোঁজ নিচ্ছি। জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।‘


জয়পরিহাটের ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর সবুজবাগের রাজারবাগ এলাকা থেকে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মো. লুৎফর রহমানকে (৪৭) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব বলেছে, তিনি ২০১৭ সালের জয়পুরহাট জেলা সদরের একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিনের পলাতক আসামি।

বুধবার র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) তাপস কর্মকার দৈনিক বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যে ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি লুৎফর রহমানকে রাজধানীর সবুজবাগের রাজারবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জয়পুরহাট জেলার সদর থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিনের পলাতক।

আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামী ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী বলে স্বীকার করেছেন। তিনি মামলা হওয়ার পর থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিলেন। গ্রেপ্তার আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এ র‌্যাব কর্মকর্তা।


তেজগাঁও-গুলশানের এডিসিসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে বদলি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহাপনগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও ও গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) পদমর্যাদার ৪ জনসহ ৫ কর্মকর্তাকে বদলি ও সংযুক্ত করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত পৃথক আদেশে এসব বদলি করা হয়।

আদেশে তেজগাঁও জোনের এডিসি মোহাম্মদ জিয়াউল হককে ডিএমপি সদর দপ্তরে সংযুক্ত, ডিএমপির প্ল্যানিং, রিসার্চ অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের এডিসি মো. তানভীর হোসেনকে তেজগাঁও জোনে ও অর্থ বিভাগের এডিসি মো. রাকিব হাসানকে গুলশান জোনে বদলি করা হয়েছে।

অপর এক আদেশে গুলশান জোনের এডিসি মো. খলিলুর রহমানকে ডিএমপি সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া এস্টেট বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার রতন কান্তি রায়কে গোয়েন্দা বিভাগের কনসালটেন্ট বিভাগে বদলি করা হয়েছে।


banner close