বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
৮ কার্তিক ১৪৩২

কমেছে পাঙাশসহ কয়েকটি মাছের দাম, সবজিতে কিছুটা স্বস্তি

বেড়েছে আলুর দাম, চলতি বছরে সর্বোচ্চ
ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৮ নভেম্বর, ২০২৪ ২০:৩৩

দেশি পেঁয়াজের দাম গত দুই সপ্তাহ বেড়ে ১৫০ টাকা কেজিতে উঠেছিল, যা এখন কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ কেনা যাচ্ছে ১২০ টাকার মধ্যে। একইভাবে বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম প্রতি কেজিতে কমেছে ২০ টাকা। বাজারে এখন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ১৯৫ থেকে ২০০ টাকায় উঠেছিল। শীতকালীন সবজির দামও কিছুটা কমেছে। তবে বছরের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে আলু।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ১৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুর দাম গত সপ্তাহের চেয়ে ৫ টাকা এবং দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ কেজি টাকা দরে। আলুর এ দাম চলতি বছরের সর্বোচ্চ। খুচরা বাজারের বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি আলু ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তার আগের সপ্তাহে আরও পাঁচ টাকা কম ছিল। অর্থাৎ দুই সপ্তাহ আগে আলুর দাম ছিল ৬০ টাকার মধ্যে।

পাইকারি বিক্রেতারা জানান, এখন পাইকারিতেই প্রতি কেজি আলু ৬২-৬৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা এক সপ্তাহ আগে ৫৮-৬০ টাকা ছিল। আলুর দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলুর মৌসুম এখন শেষের দিকে। প্রতি বছর এ সময় দাম বাড়ে। তবে এ বছর শুরু থেকে আলু চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এরপর এখন বেড়ে আরও অস্থিতিশীল হয়েছে। ফিরোজ আলম নামের একজন ব্যবসায়ী বলেন, নতুন আলু না আসা পর্যন্ত দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এ বছর অতিবৃষ্টি ও বন্যায় দুই দফায় আলুর বীজ নষ্ট হওয়ায় সারাবছর আলুর দামে ছিল অস্থিতিশীলতা।

বাজারে শীতকালীন সবজির দাম কমতে শুরু করেছে গত সপ্তাহ থেকে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়শ, পটোল, ঝিঙে, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকায় নেমে এসেছে। এছাড়া বেগুন, করলা ও কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকা ও পেঁপে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগেও এসব সবজির দাম ১০০ টাকার ওপরে ছিল। ফুলকপি ৫০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকা এবং লাউ ৮০-১০০ টাকা থেকে কমে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। সবজি বিক্রেতারা আবু হানিফ জানান, শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ছে। আগামীতে দাম আরও কমে আসবে।

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেশকিছু মাছের দাম কমে এসেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কিছু মাছ গত একমাসের তুলনায় গতকাল অনেক কম দামেই বিক্রি হচ্ছে। গতকাল রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। গতকাল বাজারে প্রতি কেজি পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত, যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা পর্যন্ত কেজি। এ ছাড়া বাজারে শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, যা পূর্বে ছিল ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এদিকে মাছের মধ্যে কই-তেলাপিয়ার দামেও কিছুটা স্বস্তি মিলছে বলে জানিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আজকের বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা এবং কই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।

বাজারে প্রতি কেজি পাবদা ৩৫০ টাকা, রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাঁতল ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিংড়ি প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, সরপুঁটি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, রুপচাঁদা ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, গলসা ৬০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, চাপিলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাড্ডা কাঁচাবাজারে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী মুর্শেদ আলম। মাছ-মাংসের দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশি মুরগি, গরু, খাসির মাংস তো অতিরিক্ত দামের কারণে খেতে পারি না। খাওয়ার মধ্যে কোনোভাবে কিনি ব্রয়লার আবার কোনো কোনো সময় সোনালি মুরগি। এগুলো দাম যদি একটু কম থাকে, তাহলে মাসটা কিছুটা স্বস্তিতে যায়; কিন্তু দামটা বেড়ে গেলেই আবার সমস্যায় পড়তে হয়। বর্তমান বাজারেও যে অবস্থা, তাতে করে ব্রয়লার মুরগিও কেনা এখন দায় হয়ে গেছে।


জেনেভা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে তরুণ নিহত

আপডেটেড ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১০:৩৫
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে মো. জাহিদ (২০) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মো. রফিক আহমেদ মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রাত ৩টা ৪০ মিনিটে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিহত তরুণের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভোরে জেনেভা ক্যাম্পের ভেতরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। সে সময়ে জাহিদ বাসা থেকে বাইরে বের হন। তখন একটি ককটেল এসে তার মাথায় পড়ে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। গুরুতর অবস্থায় জাহিদকে প্রথমে স্থানীয় ট্রমা সেন্টারে নেওয়া হয়েছিল। পরে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। পরীক্ষা করে ভোর সাড়ে চারটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন সেখানকার চিকিৎসক।

নিহতের স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জাহিদ জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি পাঁচ বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। রাজধানীর কল্যাণপুরে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের একটি দোকানে কাজ করতেন তিনি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।


স্টেশনে ঢুকে মেট্রোরেলে না চড়ে বেরিয়ে গেলেও দিতে হবে ১০০ টাকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মেট্রোরেলের কোনো স্টেশনে গিয়ে কার্ড স্ক্যান করে ভেতরে ঢোকার পর যাত্রা না করে বেরিয়ে গেলেও ১০০ টাকা ভাড়া কাটা হবে। এর আগে কেউ কার্ড স্ক্যান করে স্টেশনের ভেতরে যাওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে গেলে তাঁকে কোনো ভাড়া দিতে হতো না।

গত সোমবার (২০ অক্টোবর) থেকে নতুন এই নিয়ম করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। স্টেশনগুলোতেও এই নোটিশ টাঙানো হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) কারওয়ান বাজার স্টেশনে এ সংক্রান্ত নোটিশ দেখা গেছে।

ডিএমটিসিএলের ওই নোটিশে বলা হয়েছে, ‘সম্মানিত যাত্রী সাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমানে একই স্টেশনে বিনা ভাড়ায় এন্ট্রি এক্সিট বন্ধ আছে। একই স্টেশনে এন্ট্রি করে এক্সিট করলে ১০০ টাকা ভাড়া কাটা হবে। আদেশক্রমে—ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ।’

স্টেশনে ঢুকে মেট্রোরেলে না চড়লেও টাকা কাটার সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে যাত্রীসাধারণ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

নতুন নিয়মের বিষয়ে কারওয়ান বাজার স্টেশনের এক কর্মকর্তা জানান, এখন থেকে স্টেশনের ভেতর দিয়ে ফ্রি এক্সিট, এন্ট্রি নেওয়া যাবে না। ২০ অক্টোবর থেকে এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে।


ঢাকার বাতাসের মান বিশ্বে পঞ্চম স্থানে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঢাকার বায়ুদূষণের মূল উপাদান হলো বাতাসে থাকা অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (PM ২.৫)। আজ সকালে এই পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মানদণ্ডের চেয়ে ১৬.৫ গুণ বেশি পরিমাপ করা হয়েছে।

ঢাকার মধ্যে আজ সবচেয়ে দূষিত বাতাস বিরাজ করছে মিরপুরের পল্লবি এলাকায়।

এরপরের স্থানে রয়েছে—মিরপুর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকা

তেজগাঁও শান্তা ফোরাম, পুরান ঢাকার বেচারাম দেউড়ি, মাদানি সরণির বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গুলশানের গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল

উল্লিখিত সব এলাকায় আজ বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

আজ বিশ্বের বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলো হলো— দিল্লি, ভারত – বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ লাহোর, পাকিস্তান – বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’

কিনশাসা, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র – বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’, কলকাতা, ভারত – বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’

ঢাকার অবস্থান পঞ্চম স্থানে থাকলেও বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।

আইকিউএয়ারের এয়ার কোয়ালিটি স্কোর মানদণ্ড : ০–৫০: ভালো, ৫১–১০০: মাঝারি/সহনীয়, ১০১–১৫০: সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১–২০০: অস্বাস্থ্যকর, ২০১–৩০০: খুবই অস্বাস্থ্যকর।

ঢাকার বর্তমান স্কোর ১৭০ হওয়ায় এটি অস্বাস্থ্যকর শ্রেণীতে পড়ে।


ছাত্রীর প্রেমের বলি জবি ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

টিউশন ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষার প্রেমের বলি হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন।

পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষার সঙ্গে তার সাবেক প্রেমিক মাহির রহমানের ৯ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়াকে কেন্দ্র করেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, বর্ষার সঙ্গে জোবায়েদের কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। তবে বর্ষার মুখে জোবায়েদকে পছন্দ করার কথা শুনে সাবেক প্রেমিক মাহির ক্ষুব্ধ হয়ে বন্ধুকে নিয়ে জোবায়েদকে খুন করে।

তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ষার মধ্যে কোনো অনুশোচনা বা ভয় পাওয়া যায়নি; বরং পুরো সময় শান্ত ছিলেন তিনি।

গত রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় এক ছাত্রীকে টিউশন পড়াতে গিয়ে খুন হন জোবায়েদ। নিহত জোবায়েদ জবির পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি ছিলেন।

ঘটনার পর জবির শিক্ষার্থীরা বংশাল থানার সামনে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে দ্রুত খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানান। তবে ১৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনও মামলা হয়নি বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মাহির রহমান ও তার বন্ধুকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।


নিরাপদ-দখলমুক্ত সড়কের দাবিতে ফার্মগেটে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নিরাপদ ও দখলমুক্ত সড়কের দাবিতে ফার্মগেটে বিক্ষোভ করেছে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ ও সরকারি সাইন্স হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে।

রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে ফার্মগেট মোড়ে শিক্ষার্থীরা ব্যানার নিয়ে প্রথমে মানববন্ধন করে। পরে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানায়, আমাদের স্কুল ও কলেজের সামনে অটোরিকশাগুলো জ্যাম তৈরি করে। গেটের সামনে রিকশাগুলো লাইন ধরে থাকে। এই এলাকায় স্কুল, কলেজ ও বেশ কয়েকটি কোচিং সেন্টার রয়েছে। প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী এই রাস্তা দিয়ে পারাপার করতে হয়। অটোরিকশা একটার পর একটা থাকায় জ্যাম সৃষ্টি করে। রাস্তা পারাপারের সমস্যা হয়। রাস্তা যখন ফাঁকা থাকে, তখন তারা ৪০-৫০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালায়। অটোরিকশার যে ব্রেক, তা দিয়ে কন্ট্রোল করা সম্ভব না। অনেক সময় তারা শিক্ষার্থীর উপরে রিকশা তুলে দেয়। ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের রাস্তা পার হতে হয়।

পাঁচ দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনের সড়কে অবিলম্বে স্পিড ব্রেকার স্থাপন করতে হবে। পর্যাপ্ত ল্যাম্প পোস্ট লাগাতে হবে। লেন ডিভাইডার এবং ট্রাফিক আইল্যান্ড স্থাপন করতে হবে। ফুটপাথ থেকে সব অবৈধ দোকান, অস্থায়ী স্থাপনা, পার্কিং স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করতে হবে।


প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান, আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা শিক্ষকদের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাড়িভাড়ার ৫ শতাংশ বাড়ানোর বিষয়ে দেওয়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

রোববার (১৯ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আদেশ জারির পরপরই এ নিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় এ ঘোষণা দেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী।

নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতার প্রজ্ঞাপন আমাদের আন্দোলনের প্রাথমিক বিজয়। কিন্তু ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা ও ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত আমাদের সব কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

এদিকে রোববার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় শহিদ মিনারে ৮ম দিনের মতো অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। নতুন কর্মসূচি হিসেবে দুপুর ১২টায় শিক্ষাভবন অভিমুখে ভুখা মিছিলের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

বাড়ি ভাড়া ভাতা ২০ শতাংশ, মেডিকেল ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকা ও উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকরা।

এর আগে এদিন সকালে বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে এবং সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা বৃদ্ধিতে সম্মতি দেয় অর্থ বিভাগ।

উপসচিব মিতু মরিয়মের স্বাক্ষর করা এক অফিস আদেশে বলা হয়, ৬ শর্ত পালন সাপেক্ষে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) দেওয়া হবে। আদেশ আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। তবে তা প্রত্যাখ্যান করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।


২১ ঘণ্টা পরও বিমানবন্দরের ধ্বংসস্তূপ থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ নং গেটের কার্গো ভিলেজ আগুনে পুড়ে যাওয়ার ২১ ঘণ্টা পরও ধ্বংসস্তূপ থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। তবে ধ্বংসস্তূপ ভবনে এখনও পানি ছিটাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

রোববার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার পরও এমন চিত্র দেখা গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, আগুন এখনও পুরোপুরি নির্বাপণে আসেনি। এজন্য ধোঁয়া উড়ছে। তবে আমাদের ২২ ইউনিট আগুন নির্বাপণের কাজ করছে। আগুন যেন বাড়তে না পারে সেজন্য অনবরত পানি ছিটানো হচ্ছে।

এদিকে, সকাল থেকেই বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ধ্বংসস্তূপ দেখতে আসছেন ভুক্তভোগীরা। উৎসুক জনতার ভিড়ও দেখা গেছে। তবে ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টে কর্মরত রেজাউল করিম রনি বলেন, শুক্র-শনিবার আমদানি বন্ধ থাকে। কিন্তু রপ্তানি সবসময় খোলা থাকে। সেই সুবাদে শনিবার দিন সকালে আমি এক্সপোর্ট করতে আসি। বৃহস্পতিবার আমরা টাকাও জমা দিয়েছি। কিন্তু মালামাল নিতে পারিনি। রোববার নেওয়ার কথা ছিল। এর আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, আগুনের প্রভাব পড়বে দেশের তৈরি পোশাক কারখানায়। কারণ এখানে এমন পণ্য সবচেয়ে বেশি ছিল। তবে শনিবার বা ছুটির দিন এমন ঘটনা স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। এছাড়া আগুনে হাজারও কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে শনিবার দুপুর সোয়া ২টায় বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট। একইসঙ্গে কাজ করেন নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, সিভিল অ্যাভিয়েশন, দুই প্লাটুন বিজিবিসহ পুলিশ-আনসার সদস্যরা।

সূত্র বলছে, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজটি মূলত পোস্ট অফিস ও হ্যাঙ্গারের মাঝামাঝি জায়গায় বা আট নম্বর গেটের পাশে। আর আগুন লেগেছে আমদানির কার্গো কমপ্লেক্স ভবনে। এখানে আমদানি করা পণ্য রাখা হয়। আগুনে এখানকার প্রায় সব মালামাল পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে।

ভয়াবহ আগুনের কারণে বিমানবন্দরে সব ধরনের উড়োজাহাজ ওঠানামা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে ঢাকার বদলে সব বিমান চট্টগ্রাম ও সিলেটে অবতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে আটটি ফ্লাইট চট্টগ্রামে, তিনটি ফ্লাইট সিলেটে, চেন্নাই ও দিল্লি থেকে দুটি ফ্লাইট কলকাতায় অবতরণ করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় রাত ৯টার পর উড়োজাহাজ ওঠানামা শুরু হয়। তবে ছয় ঘণ্টায় ২৩টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন শত শত যাত্রী।

তথ্য মতে, আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার ফাইটার, সিভিল অ্যাভিয়েশন, আনসারসহ ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আনসার সদস্যই রয়েছেন ২৫ জন। তাদের সিএমএইচ ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বিমানবন্দরের সূত্রমতে, তৈরি পোশাক কারখানার জন্য আমদানি করা বিপুল পরিমাণ কাপড় ও বিভিন্ন ধরনের দাহ্য পদার্থ ছিল আগুন লাগা ভবনে। এ কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশি সময় লেগেছে। কবে নাগাদ ফের কার্গো ভিলেজ চালু করা যাবে তা পরে বলা যাবে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা।


তিন দাবিতে কালো পতাকা মিছিল করবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, দেড় হাজার টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার দাবিতে টানা সাত দিন ধরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

শনিবার দুপুরে তারা কালো পতাকা মিছিল করবেন। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, ন্যায্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা শহীদ মিনার ছাড়বেন না। প্রয়োজনে আমরণ অনশনে যাবেন তারা।

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, গত রোববার থেকে শুরু হওয়া এই অবস্থান কর্মসূচি এখন অনশনে রূপ নিয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষকদের চার লাখ সদস্য আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর ভিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অসংখ্য মানুষ এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। আমরা প্রতিজ্ঞা করেছি, ন্যায্য দাবি আদায় না করে শহিদ মিনার ত্যাগ করব না।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার ‘অসৌজন্যমূলক আচরণ’ এবং প্রজ্ঞাপন বিলম্বে ক্ষোভ জানিয়ে শুক্রবার থেকে তারা অনশন শুরু করেছেন। আজ দুপুরে কালো পতাকা মিছিলের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ‘অবহেলার প্রতিবাদ’ জানানো হবে।

গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের এক বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে ৫ শতাংশ বাড়ি ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হলেও শিক্ষকরা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, দেড় হাজার টাকা চিকিৎসা ভাতা ও কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।


উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর মসজিদে জামায়াতের চিঠি মিম্বারে ছিঁড়ে ফেললেন খতিব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের বায়তুন নূর জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জুমার নামাজের আগে মিম্বারে বসে জামায়াতে ইসলামী থেকে পাঠানো সতর্কতামূলক চিঠি প্রকাশ্যে প্রত্যাখ্যান করে নিজ হাতে ছিঁড়ে ফেলেন।

চিঠিতে অভিযোগ আনা হয়, ১০ অক্টোবরের জুমার খুতবায় খতিব বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়, খতিবের এই বক্তব্য ছিল হীনমন্যতা ও রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক, যা সমাজে বিভেদ ও উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। চিঠিতে তিনি অবিলম্বে বক্তব্য প্রত্যাহার এবং ভবিষ্যতে এমন বক্তব্য না দেওয়ার আহ্বান পেয়েছিলেন।

তবে শুক্রবার খুতবায় মাওলানা কাসেমী বলেন,“রোজা আর পূজা এক নয়। গত শুক্রবারও বলেছি, আজ আবারও বলছি—আপনারা সংযত ও সংশোধন হোন, তাওবা পড়ুন।”

এরপর তিনি মুসল্লিদের সামনে চিঠিটি প্রদর্শন করে ঘোষণা করেন, তিনি এটি মানছেন না। উপস্থিত মুসল্লি ও মসজিদ কমিটির সদস্যরা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি দেন। এরপর খতিব নিজ হাতে চিঠিটি ছিঁড়ে ফেলেন।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, খতিব একজন নাগরিক হিসেবে যে কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থন করতে পারেন, কিন্তু মসজিদের মিম্বারে রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া অনুচিত। মসজিদে বিভিন্ন মত ও দলের মানুষ নামাজ আদায় করেন; তাই মিম্বারে কোনো দলের এজেন্ডা প্রচার করা যাবে না।

চিঠির একটি অনুলিপি পাঠানো হয়েছে ডিয়ারাবাড়ী আর্মি ক্যাম্প, উত্তরা; উপ-পুলিশ কমিশনার, উত্তরা বিভাগ (ডিএমপি); অফিসার ইনচার্জ, উত্তরা পশ্চিম থানা; এবং ১২ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে।


শাহবাগ মোড় ছেড়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা, যান চলাচল শুরু

আন্দোলনরত শিক্ষকেরা আজ বিকেল পৌনে ৫টার দিকে শাহবাগ মোড় ছেড়ে গেলে যান চলাচল শুরু হয়। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ শাহবাগ মোড় থেকে সরে গেছেন আন্দোলনরত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

আজ বুধবার বেলা পৌনে ৫টার দিকে শাহবাগ মোড় থেকে মিছিল নিয়ে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে যান। এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছিলেন শিক্ষকেরা। তাতে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়ে আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজট হয়।

২০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষকেরা। শাহবাগ মোড় ছাড়ার সময় তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, সরকার থেকে বাড়িভাড়া ১০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু তারা এতে রাজি নন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে তারা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম তিন হাজার টাকা) বাড়ি ভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। এতে সারা দেশ থেকে আসা বিপুলসংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নেন। কিন্তু সেখানে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তাঁরা। লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান থেকে পানি ছুড়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরদিন সোমবার থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলন করছেন তাঁরা।

শিক্ষক-কর্মচারীদের অন্য দুটি দাবি হলো—শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সচিবালয়ের অভিমুখে মিছিল করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। হাইকোর্টের মাজারসংলগ্ন গেটে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। সেখানেই রাত পর্যন্ত শিক্ষকদের অবস্থান করতে দেখা যায়।

আজ বেলা ১১টা থেকে আবারও শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। বেলা ২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বড় মিছিল নিয়ে শিক্ষক–কর্মচারীরা শাহবাগ মোড়ের উদ্দেশে রওনা দেন। পথে শাহবাগের প্রবেশমুখে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। তবে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে সেই প্রতিবন্ধক ভেঙে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন তাঁরা।

গত রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ শিক্ষকদের সরাতে গেলে ধস্তাধস্তি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে সংগঠনের নেতাদের আহ্বানে শিক্ষকরা শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

রোববার ও সোমবার রাতভর রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করেন শিক্ষকরা। কেউ প্লাস্টিকের চট বিছিয়ে, কেউ মাথার নিচে ব্যানার দিয়ে রাত কাটান। তাদের কথা, প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি ও আন্দোলন চলবে।

অন্যদিকে, সারাদেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বর্তমানে কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছেন। তারা প্রতিদিন নিয়মিতভাবে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন না, পাঠদান কার্যক্রমেও অংশ নিচ্ছেন না। বিদ্যালয়ের আঙিনা, শিক্ষক লাউঞ্জ কিংবা অফিসকক্ষে বসেই তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।

এছাড়া বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকরা হাতে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়েও প্রতিবাদ করছেন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঢাকায় অবস্থানরত এবং আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষকরা।


শিক্ষকদের আন্দোলনে শাহবাগ ‘ব্লকেড’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধিসহ ৩ দফা দাবিতে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা শাহবাগ অবরোধ (ব্লকেড) করে বিক্ষোভ করছেন। তাদের স্লোগানে স্লোগানে শাহবাগ এলাকা উত্তাল হয়ে উঠেছে। শিক্ষকরা ঘোষণা দিয়েছেন, দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলবে।

আজ বুধবার দুপুর ২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অবস্থান কর্মসূচি থেকে এসে শাহবাগ ব্লকেড করেন শিক্ষকরা। এতে শাহবাগ মোড়ের চারদিকের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। গতকাল বুধবার বিকেলে তারা ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালন করেন।

শিক্ষকরা জানান, আমাদের কর্মবিরতি চলবে। ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা ও কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত কোনো শিক্ষক শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন না।

এদিকে শিক্ষকদের দাবি আদায়ের কর্মসূচিতে পুলিশের বলপ্রয়োগের প্রতিবাদে গত সোমবার সকাল থেকে সারাদেশের সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্কুল–কলেজে ক্লাস কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, সরকারের প্রস্তাবিত বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির হার ‘অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব’। তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে ভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সর্বজনীন বদলি নীতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।

গত রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ শিক্ষকদের সরাতে গেলে ধস্তাধস্তি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে সংগঠনের নেতাদের আহ্বানে শিক্ষকরা শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

রোববার ও সোমবার রাতভর রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করেন শিক্ষকরা। কেউ প্লাস্টিকের চট বিছিয়ে, কেউ মাথার নিচে ব্যানার দিয়ে রাত কাটান। তাদের কথা, প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি ও আন্দোলন চলবে।

অন্যদিকে, সারাদেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বর্তমানে কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছেন। তারা প্রতিদিন নিয়মিতভাবে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন না, পাঠদান কার্যক্রমেও অংশ নিচ্ছেন না। বিদ্যালয়ের আঙিনা, শিক্ষক লাউঞ্জ কিংবা অফিসকক্ষে বসেই তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।

এছাড়া বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকরা হাতে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়েও প্রতিবাদ করছেন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঢাকায় অবস্থানরত এবং আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষকরা।


‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসে দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ ঢাকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’। ১৬৭ স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা শহর দুটি ভারতের।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান নির্ধারণ সংস্থা আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য নেওয়া হয়েছে।

আইকিউএয়ারের দেওয়া তথ্যে দেখা গেছে, দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম অস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ২৬০, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, বায়ুর মানের স্কোর ২২৪, তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা, স্কোর ১৬৮। ১৬৩ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে কাতারের রাজধানী দোহা। দূষিত বাতাসে শীর্ষ দশে থাকা অপর শহরগুলোর বাতাসের মানের স্কোর ১৫৭ থেকে ১৩৯ এর মধ্যে।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ‘ভালো’ বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা ‘সহনীয়’ ধরা হয় বায়ুর মান। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠী’র (অসুস্থ বা শিশু-বৃদ্ধ) জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। আর স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত থাকলে সে বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়।

স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয় এবং ৩০১ এর বেশি হলে তা ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।


মিরপুরে পোশাক কারখানা ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে একটি গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে। এছাড়া আরও ১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের কাছে আগুনের সংবাদ আসে। পরে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের মিডিয়া সেল-এর কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমাদের সাতটা ইউনিট কাজ করছে, আরও একটা ইউনিট যাচ্ছে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এছাড়া আগুনে কেউ হতাহত হয়েছে এমন সংবাদও আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত আসেনি।


banner close