সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

কমেছে পাঙাশসহ কয়েকটি মাছের দাম, সবজিতে কিছুটা স্বস্তি

বেড়েছে আলুর দাম, চলতি বছরে সর্বোচ্চ
ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৮ নভেম্বর, ২০২৪ ২০:৩৩

দেশি পেঁয়াজের দাম গত দুই সপ্তাহ বেড়ে ১৫০ টাকা কেজিতে উঠেছিল, যা এখন কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ কেনা যাচ্ছে ১২০ টাকার মধ্যে। একইভাবে বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম প্রতি কেজিতে কমেছে ২০ টাকা। বাজারে এখন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ১৯৫ থেকে ২০০ টাকায় উঠেছিল। শীতকালীন সবজির দামও কিছুটা কমেছে। তবে বছরের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে আলু।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ১৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুর দাম গত সপ্তাহের চেয়ে ৫ টাকা এবং দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ কেজি টাকা দরে। আলুর এ দাম চলতি বছরের সর্বোচ্চ। খুচরা বাজারের বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি আলু ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তার আগের সপ্তাহে আরও পাঁচ টাকা কম ছিল। অর্থাৎ দুই সপ্তাহ আগে আলুর দাম ছিল ৬০ টাকার মধ্যে।

পাইকারি বিক্রেতারা জানান, এখন পাইকারিতেই প্রতি কেজি আলু ৬২-৬৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা এক সপ্তাহ আগে ৫৮-৬০ টাকা ছিল। আলুর দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলুর মৌসুম এখন শেষের দিকে। প্রতি বছর এ সময় দাম বাড়ে। তবে এ বছর শুরু থেকে আলু চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এরপর এখন বেড়ে আরও অস্থিতিশীল হয়েছে। ফিরোজ আলম নামের একজন ব্যবসায়ী বলেন, নতুন আলু না আসা পর্যন্ত দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এ বছর অতিবৃষ্টি ও বন্যায় দুই দফায় আলুর বীজ নষ্ট হওয়ায় সারাবছর আলুর দামে ছিল অস্থিতিশীলতা।

বাজারে শীতকালীন সবজির দাম কমতে শুরু করেছে গত সপ্তাহ থেকে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়শ, পটোল, ঝিঙে, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকায় নেমে এসেছে। এছাড়া বেগুন, করলা ও কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকা ও পেঁপে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগেও এসব সবজির দাম ১০০ টাকার ওপরে ছিল। ফুলকপি ৫০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকা এবং লাউ ৮০-১০০ টাকা থেকে কমে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। সবজি বিক্রেতারা আবু হানিফ জানান, শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ছে। আগামীতে দাম আরও কমে আসবে।

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেশকিছু মাছের দাম কমে এসেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কিছু মাছ গত একমাসের তুলনায় গতকাল অনেক কম দামেই বিক্রি হচ্ছে। গতকাল রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। গতকাল বাজারে প্রতি কেজি পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত, যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা পর্যন্ত কেজি। এ ছাড়া বাজারে শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, যা পূর্বে ছিল ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এদিকে মাছের মধ্যে কই-তেলাপিয়ার দামেও কিছুটা স্বস্তি মিলছে বলে জানিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আজকের বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা এবং কই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।

বাজারে প্রতি কেজি পাবদা ৩৫০ টাকা, রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাঁতল ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিংড়ি প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, সরপুঁটি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, রুপচাঁদা ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, গলসা ৬০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, চাপিলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাড্ডা কাঁচাবাজারে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী মুর্শেদ আলম। মাছ-মাংসের দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশি মুরগি, গরু, খাসির মাংস তো অতিরিক্ত দামের কারণে খেতে পারি না। খাওয়ার মধ্যে কোনোভাবে কিনি ব্রয়লার আবার কোনো কোনো সময় সোনালি মুরগি। এগুলো দাম যদি একটু কম থাকে, তাহলে মাসটা কিছুটা স্বস্তিতে যায়; কিন্তু দামটা বেড়ে গেলেই আবার সমস্যায় পড়তে হয়। বর্তমান বাজারেও যে অবস্থা, তাতে করে ব্রয়লার মুরগিও কেনা এখন দায় হয়ে গেছে।


ধানমন্ডিতে ১৫৯ ভরি স্বর্ণ চুরি, গ্রেপ্তার ৩

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

রাজধানীর ধানমন্ডির সীমান্ত সম্ভার মার্কেটের একটি জুয়েলারি দোকান থেকে স্বর্ণ চুরির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গতকাল রোববার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার একটি জুয়েলারি দোকান থেকে ৫০ ভরি চোরাই স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

নাসিরুল বলেন, গত ৩ জানুয়ারি ডাকাত চক্রের সদস্যরা দোকানের শাটার কেটে ঢুকে মাত্র ৮ মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণ চুরি করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় দোকান মালিক বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেছেন। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের চিহ্নিত করেন।

নাসিরুল নিশ্চিত করেন, এই অপরাধের সঙ্গে ৮ থেকে ৯ জন জড়িত ছিল। বাকি অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


শিক্ষার্থীর গবেষণা: ঢাবির খাবার পানিতে মল-মূত্রের জীবাণু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) খাবার পানিতে মল-মূত্রের জীবাণুর অস্তিত্ব মিলেছে। ক্যাম্পাসের ৫টি পয়েন্টের পানি পরীক্ষা করে এ তথ্য জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর স্বপ্রণোদিত অনুসন্ধানে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

শনিবার শাহরিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিন নামে ওই শিক্ষার্থী এ তথ্য জানিয়েছেন। শাহরিয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী।

ওই শিক্ষার্থী জানায়, কিছুদিন আগে স্বপ্রণোদিত হয়ে তিনি ক্যাম্পাসের খাবার পানির মান টেস্ট করার জন্য ক্যাম্পাসের বেশ কয়েকটি পয়েন্ট থেকে পানির স্যাম্পল সংগ্রহ করেন। প্রত্যেকটা স্যাম্পলের ৭ ধরনের টেস্ট হয়। এসব পরীক্ষার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছিল কলিফর্ম (ফেকাল) ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি নির্ণয় করা।

তিনি জানান, কলিফর্ম হলো একধরনের ব্যাকটেরিয়া, যা সাধারণত মানুষের ও প্রাণীর মল-মূত্র এবং অন্যান্য বর্জ্য পদার্থে পাওয়া যায়। কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে পানিতে ফেকাল দূষণ ঘটেছে এবং তা পানির মাধ্যমে রোগ সৃষ্টিকারী প্যাথোজেনিক জীবাণুর উপস্থিতি নির্দেশ করে। রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী এমন বিভিন্ন প্যাথোজেন যেমন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও প্রোটোজোয়ার সম্ভাব্য উপস্থিতির সংকেত দেয়।

স্যুয়ারেজ বা নর্দমার মিশ্রণ, গবাদি পশুর খামারের বর্জ্য, অপর্যাপ্ত বা লিকেজযুক্ত সেপটিক ট্যাংক, দূষিত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার উৎস। ফেকাল কলিফর্মযুক্ত সেসব পানি বা খাদ্য গ্রহণ করলে ডায়রিয়া, টাইফয়েড, হেপাটাইটিস, কলেরা এবং অন্যান্য পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি থাকে বলে জানানো হয় গবেষণা প্রতিবেদনে।

এতে বলা হয়, ক্যাম্পাসের পানিতে ২ থেকে সর্বোচ্চ ১৪ মাত্রার কলিফর্মের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যদিও এটি খুব বেশি দূষিত নয়, তবুও এর উপস্থিতি রোগজীবাণু থাকার সম্ভাবনা তৈরি করে, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষত, সংবেদনশীল ব্যক্তিদের (শিশু, বয়স্ক, বা দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের) জন্য এটি বিপজ্জনক। অতএব, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

এটা থেকে উত্তরণের জন্য নিয়মিত পানি ফুটানো, ক্লোরিন ট্যাবলেট ব্যবহার, ফিল্টার ব্যবহার খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়।


ছিনতাই ও ডাকাতি মামলার আসামিসহ গ্রেপ্তার ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মতিঝিল থেকে চারটি ছিনতাই ও ডাকাতি মামলার আসামি সিয়ামসহ (২৩) দুই পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির মতিঝিল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার অপরজনের নাম- মো. রনি (১৯)।

শনিবার ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিয়াম ও রনিকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা স্বীকার করেছেন, গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারী দলের সক্রিয় সদস্য। তারা মতিঝিলসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করতো। গ্রেপ্তার সিয়ামের বিরুদ্ধে মতিঝিলসহ বিভিন্ন থানায় ছিনতাই, ডাকাতিসহ চারটি মামলা ও গ্রেপ্তার অপর আসামি মো. রনির বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় একটি ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে।

এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


রাজধানীতে পরিত্যক্ত অবস্থায় সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কদমতলী এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি হ্যান্ড সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কদমতলী থানা পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৮ টার দিকে শ্যামপুর মডেল কলেজ রোডের একটি খালি জায়গা থেকে গ্রেনেডটি উদ্ধার করা হয়।

আজ শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যে শুক্রবার রাত পৌনে আটটার দিকে কদমতলী থানার শ্যামপুর মডেল কলেজ রোডের একটি তারকাটা ফ্যাক্টরির পাশের খালি জায়গা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি হ্যান্ড সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়। সাউন্ড গ্রেনেডের গায়ে ইংরেজিতে AKSAV Flash bang diversionary device লেখা আছে।

এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


সবজিতে স্বস্তি, অস্বস্তি চাল-তেলে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভরা শীতে বাজার ভরে গেছে মৌসুমি টাটকা শাক-সবজিতে। বছরজুড়ে চড়া দামে বিক্রি হওয়া এসব শাক-সবজি এখন সহনীয় দামে। কোন কোন সবজির দাম আরও কম। ফলে ক্রেতাদের মনে এখন সবজি নিয়ে স্বস্তি। কয়েক মাস ধরে অস্বস্তি ছড়ানো আলুর দামও বেশ কমেছে। চল্লিশ টাকায় নেমেছে নতুন আলুর কেজি। সামনের সপ্তাহে দাম কমতে পারে আরেকটু এমন আভাস দিচ্ছেন বিক্রেতারাই।

তবে চরম উদ্বেগ ও অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চাল ও তেল। মাত্রই আমন ধানে কৃষকের গোলা ভরে গেলেও বাজারে এর প্রতিফলন নেই। প্রতিদিন নানা অজুহাতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম। কখনো সে অজুহাত ট্রাকে পণ্য পরিবহনের খরচের, কখনো আবার ঢাকা বা টঙ্গীতে ইজতেমা মাঠে আন্দোলন কিংবা অন্য আন্দোলনের মুখরোচক গল্পের। স্বয়ং বাণিজ্য উপদেষ্টা বলছেন, সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানো ছাড়া আর কোন কারণই নেই এর মধ্যে।

এদিকে, গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর পর এখন আবার পাঁয়তারা চলছে নতুন সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানোর। এবার ভোজ্য তেল আমদানিকারক ও উৎপাদকদের সিন্ডিকেট দাবি তুরেছে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত ভোজ্য তেলের সঙ্গে দাম সমন্বয় করে নতুন মূর‌্য নির্ধারণের। অথচ বিশ্ব বাজারে দাম কমে গেলে তারা বিষয়টি এড়িয়েই যায় বরাবর। খোজ্য তেরের দাম তখন কমে না। এত অস্বস্তির মধ্যে উচ্চদামে স্থিতিশীল রয়েছে সব ধরনের মাংসের দাম; এতে ক্রেতাদের মধ্যে সন্তুষ্টি লক্ষ্য করা যায়নি।

শুক্রবার রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ, মৌচাক, মিরপুর ও কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজির সরবরাহ অনেক বেড়েছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি ও টমেটোর দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা করে। বাকি সবজিগুলোও বিক্রি হচ্ছে বেশ সহনীয় দামে।

প্রতি কেজি গোল ও লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা দরে। প্রতি কেজি মুলা ১০-২০টাকা, পেঁপে ও শালগম ২০-৩০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ও বাধাকপি ১০-২০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৩০-৫০ টাকা ও কলার হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৬০-৮০ টাকা, শিম ৩০-৫০ টাকা, শসা ও ক্ষিরা ৩০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

করলা, পটল, ঝিঙা ও ধুন্দলের দাম কিছুটা বেশি; প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। এছাড়া চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা, গাজর ৪০-৬০ টাকা ও টমেটো ৪০- ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। সেইসঙ্গে লালশাক, পালং শাক, কলমি শাক ও কুমড়া শাকসহ বিভিন্ন শাকের আঁটি মিলছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়। গত সপ্তাহে যে আলু ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। ঝাঁজ কমেছে পেঁয়াজের বাজারেও। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ এখন ৫০-৫৫ টাকা এবং ইন্ডিয়ান নতুন পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে, রসুন এবং আদা এখনো কিনতে হচ্ছে চড়া দাম দিয়েই।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর মালিবাগ বাজারে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী খসরু নোমান। তিনি বলেন, বর্তমান বাজারে অন্যান্য জিনিসের তুলনায় সবজি কিনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ হচ্ছে। কারণ বর্তমানে সবজির দাম কম যাচ্ছে। কিছুদিন আগেও বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছিল, সেই তুলনায় এখন সবজির দাম কম। আমরা চাই সবজির এমন দামের মতো বাজারে অন্যান্য পণ্য সাধারণ ক্রেতাদের এমন ক্ষমতার মধ্যে আসুক। তবে কয়েক বছর আগে শীতের সময় অর্থাৎ সবজির ফুল মৌসুমে সব ধরনের সবজির দাম আরো অনেক কম থাকতো, সে হিসেব করলে সবজির দাম আর আগের মত নেই। তবে কিছুদিন আগে সবজির চড়া দামের তুলনায় বর্তমানে সবজির বাজার কম যাচ্ছে।

রাজধানীর মগবাজার এলাকার সবজি বিক্রেতা জয়নাল হক বলেন, বাজারে একেবারে কমে গেছে সবজির দাম, ক্রেতারা ব্যাগ ভরে সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। তবে দু একটি সবজির বর্তমানে মৌসুম না হয়, সেগুলোর দাম একটু বেশি। বাকি সব সবজির দাম অনেক কমে গেছে বাজারে। এছাড়াও বাজারে টাটকা সবজির সরবরাহও অনেক বেশি, যে কারণে দাম কম যাচ্ছে। পুরো শীতকালীন সময়ে সবজির দাম এমন কম যাবে। সামনে আরো কমতে পারে সবজির দাম।

সবজির দাম বিষয় কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর পরিমাণে সবজি ঢাকায় আসছে প্রতিদিন। সব সবজি নতুন এবং টাটকা, আগের তুলনায় বাজারে প্রচুর পরিমাণে সবজির সরবরাহ হচ্ছে। যে কারণে বাজারে সবজির দাম কমে গেছে। কমপক্ষে আরো দেড় মাস সবজির দাম এমন কম থাকবে। এরপর থেকে কিছুটা বাড়তে শুরু করবে। রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে সবজির দাম বর্তমানে যা যাচ্ছে, এর চেয়েও আরো অনেক কম দাম কারওয়ানবাজারে। যেকোনো ক্রেতা অন্যান্য বাজারের চেয়ে কারওয়ানবাজার থেকে আরো অনেক কম দামে সবজি কিনতে পারবে।

ভরা মৌসুমে ভেলকি দেখাচ্ছে চালের বাজারও। প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৮০-৯০ টাকা, মান ভেদে মিনিকেট ৮৫-৯০ টাকা, বিআর- ২৮ চাল ৬০- ৬৫ টাকায়, মোটা চাল (গুটি স্বর্ণা) ৫৫- ৫৮ টাকা, পুরোনো আটাশ ৬৫ টাকা, পাইজাম ৬০ টাকা, কাটারিভোগ ৮৫ টাকা, বাসমতি ৯৪- ৯৮ টাকা, পোলাওর চাল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ও আমন ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের দামের এই ঊর্ধ্বগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভোক্তারা। তাদের প্রশ্ন, ৭০ টাকার নিচে ভালো কোনো চাল নেই। প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৮০-৯০ টাকা, মান ভেদে মিনিকেট ৮৫-৯০ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৬০-৬৫ টাকায়, মোটা চাল (গুটি স্বর্ণা) ৫৫-৫৮ টাকা, পুরোনো আটাশ ৬৫ টাকা, পাইজাম ৬০ টাকা, কাটারিভোগ ৮৫ টাকা, বাসমতি ৯৪- ৯৮ টাকা, পোলাওর চাল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ও আমন ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণ বি আর ২৮ চালের কেজিও এখন ৬০ টাকার ওপরে। ভরা মৌসুমে চালের এতো দাম হলে, সামনের রোজায় কী হবে? অভিযোগ করে অনেকে বলেন, বাজার মনিটরিং না থাকার কারণেই যাচ্ছেতাইভাবে দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে গণঅভ্যুত্থানে সাবেক সরকারের পতনের পর দুবার বাণিজ্য উপদেষ্টার পদে পরিবর্তন এলেও বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা একেবারে যাচ্ছে তাই। আগস্টের শেষের দিক থেকে সেপ্টেম্বরে ছাত্রদের মনিটরিং কাজে জুড়ে দিয়েও কোন সুফল আসেনি। অন্তর্বর্তী সরকার বাজার ব্যবস্থাপনায় পুরোপুরি ব্যর্থ ক্ষোভের সঙ্গে এমন মন্তব্যও এখন করছেন সাধারণ ক্রেতারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম। প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা দরে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৫০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৭৮০ টাকা দরে। মাংসের দাম অবশ্য গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের তুলনায় বেশ বাড়তি। তখন সাড়ে ৬শ টাকাতেই মিলত গরুর মাংস। এছাড়া কলিজা, হাড় ছাড়া মাংস আলাদা আলাদা দরে বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস প্রতি কেজি ১০৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মাছের বাজারেও নেই কোনো সুসংবাদ। আকারভেদে প্রতি কেজি পাবদা মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, ছোট রুই ২৫০-৩০০ টাকা, ৪ থেকে ৫ কেজি ওজনের রুই ৪০০-৪৫০ টাকা, টেংরা ৬৫০ টাকা, চাষের শিং ৪৫০ টাকা ও পাঙাশ আকারভেদে ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে।


৬০ লাখ টাকার আইসসহ গ্রেপ্তার মাদক কারবারি

মসজিদের ইমামতিও করতেন এ মাদক ব্যবসায়ী
গ্রেপ্তার হওয়া মো. মনিরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ২০:৫৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬০ লাখ টাকা মূল্যের ৬০০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ বা আইসসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রোর দক্ষিণ কার্যালয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. মনিরুল ইসলাম (৩৬)। ডিএনসি বলছে, তিনি পেশাদার একজন মাদক কারবারি।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় গুলিস্তানে নিউ রাজধানী হোটেলের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুহাম্মদ ইউসুফ এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মনিরুলের কাছ থেকে ৬০০ গ্রাম ক্রিস্টালম্যাথ বা আইস জব্দ করা হয়েছে। যার মূল্য প্রায় ৬০ লাখ টাকা। তিনি রাজধানীর ডেমরা এলাকার বাওয়ানীবাদ জুট মিলস স্টাফ কোয়ার্টার মসজিদের ইমামতি করতেন।

মুহাম্মদ ইউসুফ বলেন, গোয়েন্দা তথ্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরর জানতে পারে, ভয়ঙ্কর মাদকদ্রব্য আইসের একটি চালান কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ঢাকায় প্রবেশ করবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার ডিএনসির উপপরিচালক মো. মানজুরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে লালবাগ সার্কেলের পরিদর্শকের নেতৃত্বে একটি টিম গুলিস্তান এলাকায় অভিযান চালিয়ে আইসসহ মনিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।

আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার মনিরুল দীর্ঘদিন ধরে টেকনাফ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে ইয়াবা ও আইসের চালান সংগ্রহ করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করে আসছিল। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


রোকেয়া দিবসে ঢাবিতে বর্ণাঢ্য র‍্যালি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) রোকেয়া হলে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়।

আজ বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান র‌্যালিতে নেতৃত্বে দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এতে বলা হয়, রোকেয়া দিবস উপলক্ষে র‌্যালিতে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এবং হলের আবাসিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এর আগে উপাচার্য হল প্রাঙ্গণে বেগম রোকেয়ার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।


বিডিআর বিদ্রোহ মামলা: পুড়ে গেছে এজলাস

ঢাকার বকশীবাজারে বিশেষ আদালতের এজলাস কক্ষ আজ ভোর বেলায় আগুনে পুড়ে গেছে। ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতের এজলাস কক্ষ আজ ভোর বেলায় আগুনে পুড়ে গেছে। এ অবস্থায় বিচারকার্য পরিচালনা করা সম্ভব নয় বলে বাসস’কে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর বোরহান উদ্দিন।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এদিন এজলাস কক্ষ ভোর বেলায় আগুনে পুড়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া এজলাস কক্ষ পরিদর্শন করেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ইব্রাহিম মিয়া। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আলিয়া মাদ্রাসার আদালত প্রাঙ্গনে এসে পুড়ে যাওয়া এজলাস কক্ষ পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে প্রসিকিউশন টিম, আইনজীবী ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও ছিলেন।

পরবর্তীতে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের সাথে কথা বলে ১২টা ১০ মিনিটে চলে যান।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর বোরহান উদ্দিন বাসস’কে বলেন, আদালত পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বড় ধরনের সংস্কার করা ছাড়া এখানে বিচারকার্য করা সম্ভব নয়। আদালতের বিচারক আদালত এসেছিলেন। তিনি পুড়ে যাওয়া ভবন পরিদর্শন করেছেন। এরপর চলে গেছেন। এ মামলার বিচারকার্য করার জন্য পরবর্তীতে দিন ঠিক করা হবে।

এরআগে আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে আদালত বন্ধের দাবিতে বুধবার রাত থেকে বিক্ষোভ করছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে কীভাবে এই আগুনের সূত্রপাত তা এখনও জানা যায়নি।

আজ সকালে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মোড়, পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার, বকশীবাজার, অরফানেজ রোড ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেন। পরে পরিস্থিতে নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে যান সেনবাহিনী ও পুলিশ।


মোহাম্মদপুরের 'মাদক সম্রাট'খ্যাত সেলিম গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প এলাকার কুখ্যাত মাদক সম্রাটখ্যাত 'চোরা সেলিম' নামে পরিচিত মোহাম্মদ সেলিম আশরাফিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

কয়েক মাস গোয়েন্দা নজরদারির পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে পরোয়ানাভুক্ত সেলিমকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-২।

৪৪ বছর বয়সী সেলিমের বিরুদ্ধে জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় বছরের পর বছর ধরে আধিপত্য বিস্তারকারী একটি মাদক সিন্ডিকেটের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযোগ রয়েছে। তার কথিত অপরাধমূলক সাম্রাজ্যে মাদক ব্যবসা ছাড়াও হত্যা, চুরি, চাঁদাবাজি এবং সহিংস সংঘর্ষের অভিযোগ রয়েছে।

তার বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় হত্যা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩৫টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে।

জেনেভা ক্যাম্প এলাকা সেলিমের নিয়ন্ত্রণ করেন বলে জানা গেছে।

জেনেভা ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় র‌্যাব-২ সেলিমের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের তৎপরতা জোরদার করে।

র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার খান আসিফ তপু জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ এর একটি বিশেষায়িত দল বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান চালিয়ে সেলিমকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানটি এই অঞ্চলে সংগঠিত অপরাধী নেটওয়ার্কগুলো ভেঙে দেওয়ার চলমান প্রচেষ্টার অংশ বলেও জানান তিনি।

সেলিমের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করেছে যে, তার গ্রেপ্তার জেনেভা ক্যাম্প অঞ্চলের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত হবে, যা ব্যাপক মাদক ব্যবসা রোধ করতে এবং আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।


আলিয়ার অস্থায়ী আদালতে আগুন, বকশীবাজার সড়ক অবরোধ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতের একটি কক্ষে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মাদ্রাসার বাইরে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি অবস্থান করলেও কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি প্রধান দুটি ফটক তালাবদ্ধ থাকার কারণে। আগুনে কিছু নথিপত্র ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে বলে জানা যায়।

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি চকবাজার থানা পুলিশের।

এদিকে বিচারকাজ বন্ধ করে মাঠ শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করার দাবিতে ওই এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

সকাল থেকে আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে, ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সেনবাহিনীর একটি দলও।

আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মাদ্রাসার ভেতরে মাঠে বিচার কাজ চলমান থাকলে শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। এর আগে বেশ কয়েকবার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেওয়ার পরও কর্ণপাত করেনি তারা। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আজ সড়ক অবরোধ করেছে।

বুধবার রাতভর আন্দোলনের পর বৃহস্পতিবার সকালে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সড়ক ছাড়বেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

এ বিষয়ে চকবাজার থানার ওসি রেজাউল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ আলিয়া মাদ্রাসার ভেতরে অবস্থান করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। এর মধ্যেই বাইরে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে।

ওসি বলেন, আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ তো অনেক বড়, দুটি গেট তালাবদ্ধ ছিল। বাইরে ছিল ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি। আজ ভোরে অন্ধকারের মধ্যে কে বা কারা আদালতের একটি কক্ষে আগুন দেয়। এতে কিছু কাগজপত্র আসবাবপত্র পুড়ে যায়।

কারা কাজটি করেছে সেটি জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসকে কোনো কাজ করতে দেওয়া হয়নি। যদিও এর আগে গত ৫ আগস্টেই এই মাদ্রাসায় স্থাপিত আদালত প্রায় পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি ওসির।


মাঠে আদালত স্থাপন, ঢাকা আলিয়ার শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে অস্থায়ী আদালত বসানোর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১৩:৩৩
ইউএনবি

পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে অস্থায়ী আদালত বসানোর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাতভর আন্দোলন করেছেন তারা। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায়ও তারা সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে তাদের।

বিডিআর বিদ্রোহের জন্য আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের আজ বিচারকাজ হওয়ার কথা। ভোরে পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যরা সেখানে গেলে তাদের ঢুকতে বাধা দেন শিক্ষার্থীরা।

এতে আদালতের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আশপাশের সড়কগুলোতেও যানজট লেগে আছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনের সড়ক, বকশীবাজার মোড় এবং আশপাশের গলির প্রবেশমুখ বাঁশ দিয়ে আটকে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। তাতে বকশীবাজার মোড় থেকে শিক্ষা বোর্ড এবং চকবাজারের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

শফিউল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সিটি কর্পোরেশন এই মাঠ দখল করে রেখেছিল। কিন্তু জুলাই বিপ্লবের পর এই মাঠ আর কারও হতে দেব না, আমাদেরই থেকে যাবে। আমাদের দাবি পূরণ না হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবো।

অবরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হোসেন বলেন, আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে পুলিশকে ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন স্থানীয় লোকজন ও ছাত্ররা। পুলিশ সেখানে অবস্থান করছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।


ছবিতে উঠে এসেছে সীমান্তে হত্যার দৃশ্য

তিন দিনব্যাপী পারভেজ আহমদ রনির একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী 'বর্ডার দ্যাট ব্লিডস' প্রদর্শিত হচ্ছে। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

একেকটি ছবি থেকে একেকটি ছবি কি করুণ। মৃত্যু যেনো কতো সহজ। সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলে থাকে তাদের স্বপ্ন। প্রতিটি ছবি কোনো করুণ অধ্যায়কে মনে করিয়ে দেয়। মনে করিয়ে দেয় সেই সময়কার হাহাকারের অনুভূতিও।

ফেলানী দিবসে সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীর গুলশানের বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে ‘বর্ডার দ্যাট ব্লিডস’ শিরোনামের আলোকচিত্র প্রদর্শনীর ছবিগুলো দেখলে ঠিক এমন কথাই মনে পড়বে।

আজ মঙ্গলবার উদ্বোধন করা হয় প্রদর্শনীটি। দৃকের আয়োজনে পারভেজ আহমদ রনির একক আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে এ প্রদর্শনীতে।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখে। প্রায় দেড় দশক কেটে গেলেও ফেলানী হত্যার বিচার হয়নি। তার স্মরণেই প্রদর্শনীটি আয়োজন করা হয়।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এখন পর্যন্ত ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী প্রায় ১ হাজার ৪০০ বেসামরিক বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করা হয় বলে বিভিন্ন তথ্যে উঠে এসেছে।

পারভেজ আহমদ রনি ২০১২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের নানা সীমান্তে এ বিষয়ের ওপর টানা কাজ করেছেন। সেখান থেকে বাছাই করা ২৪টি ছবি ‌বর্ডার দ্যাট ব্লিডসে প্রদর্শন করা হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী আদিলুর রহমান খান, দৃক পিকচার লাইব্রেরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ও আয়োজন সংশ্লিষ্টরা।

প্রদর্শনীটি ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।


যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ৭

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় দেশীয় অস্ত্রসহ সাত ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। গতকাল সোমবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. সাগর ওরফে বুলেট (২০) মো. রবিউল সানি (২০) মো. বাপ্পী (২৫) জীবন ওরফে হৃদয় (২১) মো. আকাশ ওরফে রানা (২৮), মো. ইমন হোসেন (২২) ও মো. মারুফ (২৮)।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে হাজারীবাগ থানার সেকশন বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় হাজারীবাগ থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ দল অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি ধারালো ছুরি, দুটি ধারালো সুইচ গিয়ার, দুটি দা ও একটি হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়।

হাজারীবাগ থানার বরাতে তিনি জানান, গোপন সংবাদে জানা যায়, হাজারীবাগ থানার সেকশন বেড়িবাঁধ সংলগ্ন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্কুল এন্ড কলেজের সামনে ফাঁকা জায়গায় কয়েকজন দুষ্কৃতকারী ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকায় যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় সাতজনকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৪/৫ জন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় হাজারীবাগ থানায় গ্রেপ্তারকৃত সাতজনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ও ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজশে হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর এলাকাসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই ও ডাকাতি করে আসছিল। তারা ঘটনার দিন হাজারীবাগ থানার সেকশন বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় সমবেত হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণ করছিল বলে স্বীকার করেছে। মো. সাগর ওরফে বুলেট, মো. রবিউল সানি, মো. বাপ্পী ও মো. আকাশ ওরফে রানার বিরুদ্ধে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি, মাদক, হত্যা চেষ্টা, মারামারিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।


banner close