বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫

যাত্রাবাড়ীতে তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ২০:০০

রাজধানীর ন্যাশনাল মডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার জেরে যাত্রাবাড়ীতে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, এপিবিএন, ছাড়্রাও যাত্রাবাড়ী এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৬ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংরাদেশের (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের হাজারো শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালায়। এ সময় কলেজটির ১০ তলা ভবনের প্রতিটি তলায় ভাঙচুর, বিভিন্ন সামগ্রী ও সরঞ্জাম লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এই হামলা-সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলাকালে ডেমরা-যাত্রাবাড়ী এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুপক্ষে অনেকে আহত হন। তাদের মধ্যে ৩৩ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও রয়েছে বলে জানা গেছে।

মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান জানান, তাদের কলেজে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এরপর ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। কলেজের টাকাপয়সাও লুট করা হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত হয়, ভুল চিকিৎসায় অভিজিৎ হাওলাদার নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগের জের ধরে রোববার রাজধানীর ৩৫টি কলেজের ছাত্ররা পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সামনে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে তারা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। এ সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজে সাতটি কলেজের পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার হলেও হামলা চালায় ছাত্ররা। তাদের তাণ্ডবে পরীক্ষা পণ্ড হয়ে যায়। পরে বাধ্য হয়ে এই পরীক্ষা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ।

ওই ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে রোববার রাতেই সেন্ট গ্রেগরি কলেজে হামলা চালান সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্ররা। রাতেই তারা সংবাদ সম্মেলন করে সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা-ভাঙচুরের বিচার ও প্রশাসনিক কাগজপত্র ফিরিয়ে দিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়। তারা কলেজের প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করে।

ওই ঘটনার জের ধরেই সোমবার ‘মেগা মানডে’ ঘোষণা করে কবি নজরুল কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে ডিএমআরসির উদ্দেশে রওনা হন এই দুই কলেজের হাজারো শিক্ষার্থী। তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মিছিল নিয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকায় যায়। অপরদিকে ডিএমআরসির ছাত্ররাও অবস্থান নেয় সড়কে, স্থানীয়রাও জোগদেন তাদের সঙ্গে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আহত হয়ে সড়কে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে।

পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় ডেমরা-যাত্রাবাড়ী এলাকার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও কাজ করেছেন।’

অপরদিকে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হলেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে ৩৫ জনের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব (১৯), শাহেদুল (২০), আশিকুল (২১), রোহান (১৯), সম্রাট (১৮) ও জয় (১৮)।

কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রানা (২০), মারুফ (১৯), হাসিনুর (১৯), সিফাত (১৮), জাহেদুল (২১), আসিফ মাহমুদ (১৮), সাকির (১৯), জুবায়ের রহমান সাজ্জাদ (১৯), সৈকত (১৯), জারিফ (১৮); আরাফাত (১৯), মারুফ (২২); অনুপম দাস (২৩), জুয়েল ইসলাম (২২), নাঈম (২২); সুমন (২২)।

রাজারবাগ পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত (১৯)। ইম্পেরিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের হুমায়ুন (২০)।

সলিমুল্লাহ কলেজের শিক্ষার্থী রুমান (১৯), নোমান (২০); সাইদুল ইসলাম (১৯), অনয় (২১), আব্দুর রহমান (২০); রাজীব (২৪)।

ড.মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের নাফি (১৮) (গুলিবিদ্ধ), অনার্স প্রথম বর্ষের ইশতিয়াক (২২)। দোলাইপাড় এ কে স্কুলের তাসরিফ (১৮)। দনিয়া ব্রাইট স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মাহিম হোসেন (১৫)।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, যাত্রাবাড়ী থেকে আহত অবস্থায় ৩৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর মাথায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের এক শিক্ষার্থীর পেটে গুলি লেগেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিকে, গত রোববারের সংঘর্ষের ঘটনায় ভাঙচুর ও গুলিভর্তি ম্যাগাজিন চুরির অভিযোগে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের আট হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় মামলা করেছে পুলিশ। রোববার সুত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক এ কে এম হাসান মাহমুদুল কবীর বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

সূত্রাপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখার উপ পরিদর্শক (এসআই) অনুপ দাস জানান, সোমবার (২৫ নভেম্বর) মামলার এজাহার আদালতে জমা দেওয়া হলে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত তা গ্রহণ করেন। আগামী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২৪ নভেম্বর (রোববার) ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের ৭/৮ হাজার শিক্ষার্থী বেআইনি জনতাবদ্ধে মারাত্মক অস্ত্র-শস্ত্রসহ দাঙ্গা সৃষ্টি করে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে। সরকারি অস্ত্রের (পিস্তল) গুলিভর্তি ম্যাগজিন চুরি, সরকারি ডিউটিতে ব্যবহৃত সাঁজোয়া যান বা এপিসি (আর্মার পার্সনেল ক্যারিয়ার) ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করে। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করা, জীবননাশের হুমকি দেওয়া এবং ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করে। এছাড়া পুলিশের এপিসি কার ও ডিউটিরত পুলিশের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে দুই লাখ ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া গত রোববার সংঘর্ষের সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কেন অ্যাকশনে যায়নি সে বিষয়ে ব্যাখা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের হামলা-পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অ্যাকশনে গেলে আরও রক্তপাত হতো।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন। এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেন উল্লেখ করেন তিনি।

স্ট্যাটাসে বলা হয়, শত চেষ্টা ও বসে সমাধান করার আহ্বান জানানোর পরও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে জড়ানো থেকে আটকানো গেলো না। শিক্ষার্থীদের অ্যাগ্রেসিভনেস ও প্রস্তুতি দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও স্ট্রিক্ট অ্যাকশনে যায়নি। কোনও প্রকার অ্যাকশনে গেলেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ ও রক্তপাত হতো।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, সব পক্ষকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি। একত্রে দেশ গড়ার সময়ে সংঘর্ষের মতো নিন্দনীয় কাজে জড়ানো দুঃখজনক। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়্রা, সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। এসব সংঘাতের পেছনে কারো কোনো ধরনের ইন্ধন থাকলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে সংঘাত-সংঘর্ষ হয়েছে, সরকার নজর রাখছে। আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের কোনো ধরনের সংঘর্ষে না জড়িয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

এর আগে গত রোববার রাতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইল (বুটেক্স) ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।


যাত্রীবেশে গাড়ি নিয়ে ছিনতাইয়ের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতবেদক

রাজধানীর কদমতলী থেকে যাত্রীবেশে গাড়ি নিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। গত মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে রাজধানীর কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন— মোহাম্মদ আকতার হোসেন (৪৫), হারুনুর রশিদ (৫০), কামাল হোসেন (৪৫), মোহাম্মদ নুরুদ্দিন (৪৮) ও মোহাম্মদ হানিফ (৫৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১১টি মোবাইল ফোন, একটি হাইয়েস গাড়ি ও একটি পাওয়ার ব্যাংকসহ ছিনতাইকারী

বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি জানান, চক্রটি গত এক বছর ধরে রাজধানীতে সক্রিয় রয়েছে। তারা হাইয়েস গাড়ি নিয়ে রাতে বেরিয়ে পড়ে এবং সাধারণ যাত্রীবেশে গাড়িতে বসে থাকে। তারা সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ি, রায়েরবাগ, সাইনবোর্ডসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে যাত্রী তুলে পরে সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে যাত্রীকে জিম্মি করে যাত্রীর মালামাল লুটে নেয়। পরবর্তীতে লুট করা অর্থ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন এবং ছিনতাই করা মোবাইলগুলো গুলিস্তানে এসে বিক্রি করে দেন। আরও জানা যায়, তাদের মাধ্যমে কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব: স্বদেশ-আশিয়ান গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর খিলক্ষেতে জমি-জমা নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিহতের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে খিলক্ষেতের বরুয়া এলাকায় স্বদেশ প্রপার্টি ও আশিয়ান সিটির নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। নিহতের মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতালে রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থল এবং হাসপাতালে আমাদের পুলিশ সদস্যরা গিয়েছেন। নিহতের মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে আইননানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’


অনশন স্থগিত করে সচিবালয় ছাড়লেন জবি শিক্ষার্থীরা, চলবে শাটডাউন

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দাবি মেনে নেয়ার ‘আশ্বাস’ দিলে সচিবালয় ছাড়ার সময় তারা অনশন স্থগিত করার ঘোষণা দেন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

অনশন স্থগিত করে সচিবালয়ের সামনে থেকে সরে এসেছেন আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের ‘ক্যাম্পাস শাটডাউন’ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দাবি মেনে নেয়ার ‘আশ্বাস’ দিলে সচিবালয় ছাড়ার সময় তারা অনশন স্থগিত করার এ ঘোষণা দেন।

সন্ধ্যা ৭টায় মন্ত্রণালয় থেকে লিখিত বক্তব্য হাতে পান অনশনরত শিক্ষার্থীরা।

এসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে একেএম রাকিব বলেন, মন্ত্রণালয় আমাদের লিখিত দিয়েছে। তারা বলেছেন বুধবার মিটিংয়ে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করা হবে। মন্ত্রণালয় শিক্ষার্থীদের জন্য বাণী ভবন ও আরও একটি ভবন নির্মাণ করতে বরাদ্দ দিবে।

তিনি আরও বলেন, কমপ্লিট শাটডাউনের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনসহ সকল ক্লাস ভবন বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস হবেনা। বুধবার আমাদের দাবি পুরোপুরি ভাবে মেনে নেওয়া হয়েছে জানার পর আমরা ক্লাসে ফিরে যাবো। অনশন কর্মসূচি শেষ করলেও বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন কর্মসূচি চালু থাকবে বলে জানান তিনি।

এর আগে কয়েক দফা দাবি আদায়ে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিকেলে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে তারা যাত্রা শুরু করেন। এ সময় অনশনকারী অসুস্থ শিক্ষার্থীরা রিকশায় এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা পায়ে হেঁটে যাত্রা করেন।

এর আগে, সোমবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিকে ‘অস্পষ্ট’আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীরা তা সংশোধনের দাবি জানান। একইসঙ্গে দাবি পূরণে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি না এলে সচিবালয়ে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা।

সে সময় অনশনকারী শিক্ষার্থীদের একজন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং ‘জাস্টিস ফর জুলাই’ এর আহ্বায়ক সজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের চিঠিটি অনেকটাই অস্পষ্ট। তাই আমরা একটা সুনির্দিষ্ট রূপরেখার মাধ্যমে সংশোধিত চিঠি চাই। যেখানে উল্লেখ থাকতে হবে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের চুক্তি স্বাক্ষর করা; সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতা ব্যতিরেকে কার্য সম্পাদনের দায় নিয়ে বাণী ভবন ও হাবিবুর রহমান ভারে স্টিল বেইজড ভবনে নির্মাণ অনুমোদন ও বাজেট পাশ করতে হবে। এ ছাড়া ২০২৫-২৬ অর্থবছর আসার পূর্বেই জরুরি ভিত্তিতে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা আগামী ফেব্রুয়ারি থেকেই প্রদানের ঘোষণা দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী বুধবারের সভার সিদ্ধান্তসমূহ লিখিত আকারে না আসা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শাটডাউনের আওতাভুক্ত থাকবে।’

পদযাত্রায় অংশ নেওয়া এবং অনশনরত ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘আল্টিমেটাম অনুযায়ী নবায়ন করা চিঠি না আসায় আমরা সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করি। সচিবালয়ের ফুটপাতে আমরা আমাদের অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’

এদিকে, আগামী বুধবার দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, ‘ইউজিসি থেকে চিঠি মন্ত্রণালয়ে গেছে। বুধবার সভা নির্ধারিত হয়েছে। সভায় সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা হবে এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হস্তান্তর হবে। সেনাবাহিনীকে কাজ দেওয়ার ব্যাপারে আমরা ইউজিসির সঙ্গে আগেই কমিটমেন্ট ছিলাম।’

উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলেই আমাদের এ কার্যক্রম আরও সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। মিটিংয়ে প্রকল্পের অবস্থাও বিশ্লেষণ করা হবে। তারপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সভায় আমরা বিবিধের সেক্টরে আমাদের দাবির অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে দিতে শিক্ষা মন্ত্রনালয়, ইউজিসি ও সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আগামী বুধবার বৈঠক হবে বলে জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন। ওই বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান তিনি।

এ সিদ্ধান্ত আসার পরও অনশন কর্মসূচি বন্ধ করেননি শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তরের বিষয়ে আলোচনা করতে সচিবালয়ে বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব আহমেদ শিবলী।

তিনি জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ বিভাগের আওতাধীন ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন, ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির সভা আগামী ১৫ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব সিদ্দিক জোবায়েরের সভাপতিত্বে এ বিভাগের সভাকক্ষে (কক্ষ নম্বর- ১৮১৫, ভবন-৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা) অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচ্যসূচি হিসেবে বলা হয়েছে, প্রকল্পের কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর; অগ্রগতি পর্যালোচনা; এবং বিবিধ। এছাড়া নোটিশে উক্ত সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার বা প্রতিনিধি প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।


দাবি আদায়ে জবি শিক্ষার্থীদের সচিবালয় ঘেরাও, চলবে অনশন

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সচিবালয়ের ফুটপাতে অনশন চালিয়ে যাবেন জবি শিক্ষার্থীরা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর ও অস্থায়ী আবাসনের দাবিতে সচিবালয়ের ঘেরাও করে রেখেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সচিবালয়ের ফুটপাতে অনশন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

আজ সোমবার বিকেলে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে তারা যাত্রা শুরু করেন। এ সময় অনশনকারী অসুস্থ শিক্ষার্থীরা রিকশায় এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা পায়ে হেঁটে যাত্রা করেন।

এর আগে, সোমবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিকে ‘অস্পষ্ট’আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীরা তা সংশোধনের দাবি জানান। একইসঙ্গে দাবি পূরণে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি না এলে সচিবালয়ে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা।

সে সময় অনশনকারী শিক্ষার্থীদের একজন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং ‘জাস্টিস ফর জুলাই’ এর আহ্বায়ক সজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের চিঠিটি অনেকটাই অস্পষ্ট। তাই আমরা একটা সুনির্দিষ্ট রূপরেখার মাধ্যমে সংশোধিত চিঠি চাই। যেখানে উল্লেখ থাকতে হবে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের চুক্তি স্বাক্ষর করা; সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতা ব্যতিরেকে কার্য সম্পাদনের দায় নিয়ে বাণী ভবন ও হাবিবুর রহমান ভারে স্টিল বেইজড ভবনে নির্মাণ অনুমোদন ও বাজেট পাশ করতে হবে। এ ছাড়া ২০২৫-২৬ অর্থবছর আসার পূর্বেই জরুরি ভিত্তিতে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা আগামী ফেব্রুয়ারি থেকেই প্রদানের ঘোষণা দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী বুধবারের সভার সিদ্ধান্তসমূহ লিখিত আকারে না আসা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শাটডাউনের আওতাভুক্ত থাকবে।’

পদযাত্রায় অংশ নেওয়া এবং অনশনরত ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘আল্টিমেটাম অনুযায়ী নবায়ন করা চিঠি না আসায় আমরা সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করি। সচিবালয়ের ফুটপাতে আমরা আমাদের অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’

এদিকে, আগামী বুধবার দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, ‘ইউজিসি থেকে চিঠি মন্ত্রণালয়ে গেছে। বুধবার সভা নির্ধারিত হয়েছে। সভায় সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা হবে এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হস্তান্তর হবে। সেনাবাহিনীকে কাজ দেওয়ার ব্যাপারে আমরা ইউজিসির সঙ্গে আগেই কমিটমেন্ট ছিলাম।’

উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলেই আমাদের এ কার্যক্রম আরও সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। মিটিংয়ে প্রকল্পের অবস্থাও বিশ্লেষণ করা হবে। তারপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সভায় আমরা বিবিধের সেক্টরে আমাদের দাবির অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে দিতে শিক্ষা মন্ত্রনালয়, ইউজিসি ও সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আগামী বুধবার বৈঠক হবে বলে জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন। ওই বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান তিনি।

এ সিদ্ধান্ত আসার পরও অনশন কর্মসূচি বন্ধ করেননি শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তরের বিষয়ে আলোচনা করতে সচিবালয়ে বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব আহমেদ শিবলী।

তিনি জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ বিভাগের আওতাধীন ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন, ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির সভা আগামী ১৫ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব সিদ্দিক জোবায়েরের সভাপতিত্বে এ বিভাগের সভাকক্ষে (কক্ষ নম্বর- ১৮১৫, ভবন-৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা) অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচ্যসূচি হিসেবে বলা হয়েছে, প্রকল্পের কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর; অগ্রগতি পর্যালোচনা; এবং বিবিধ। এছাড়া নোটিশে উক্ত সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার বা প্রতিনিধি প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।


গণ অনশনে ‘শাটডাউন’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

গণ অনশনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর ও অস্থায়ী আবাসন নিশ্চিতসহ চার দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টার অধিক সময় ধরে গণ অনশন করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তালা মারা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ভবনেও। ঘোষণা করা হয়েছে কমপ্লিট ‘শাটডাউন’।

আজ সোমবার সকালে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সমর্থনে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকসহ একাধিক ভবনে তালা মারার মাধ্যমে তারা এই কর্মসূচি শুরু করেন।

শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করায় এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবন, বিজ্ঞান অনুষদ, আর্টস ফ্যাকাল্টির ভবনগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম। এদিকে অনশনে বসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে।

অনশনরত শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা অনশন ভাঙবো না। সবার কাছে অনুরোধ, আপনারা যারা অনশন করছেন না– আপনারা ক্লাস-পরীক্ষা বয়কট করুন। আমাদের দাবি পূরণ করেই আমরা বাড়ি যাবো।’

অনশনরত শিক্ষার্থী ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সময় নির্ধারণ করে দিতে পারছে না। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এসে যৌক্তিক সময় দিলে আমরা অনশন ভাঙবো।’

শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহান প্রামাণিক বলেন, ‘আমরা আর লাল ফিতার দৌরাত্ম মানবো না। এখানেই বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে কাজ করছি। প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, চিঠির কপিও এসেছে। আমরা শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত। যৌক্তিক সময় দিয়ে কাজ সম্পন্ন করবো।’

এদিকে চলমান গণঅনশনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে এক ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

এর আগে গতকাল রোববার সকাল থেকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। সারাদিন অভুক্ত থেকে ১৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসন এখনো চিকিৎসা ব্যয় ঠিকভাবে দিচ্ছে না। তাদের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন খরচ শিক্ষার্থীদের টাকায় হচ্ছে। এই প্রশাসন সব দিক দিয়ে ব্যর্থ। তারা দাবি পূরণ হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস হতে দেবেন না।

এদিকে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের দাবির প্রতি পূর্ণ একাত্মতা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। এছাড়াও রোববার রাতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনুরোধে উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিমও তাদের সঙ্গে অনশনস্থলে বসে পড়েন। ওই রাতে অনশনে একাত্মতা জানাতে রোববার গভীর রাতে হল থেকে বেরিয়ে প্রায় অর্ধশত ছাত্রী শহীদ মিনারের সামনে এসে বসে পড়েন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে- সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে। একইসঙ্গে পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা এবং যতদিন আবাসন ব্যবস্থা না হয়, ততদিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।


ধানমন্ডিতে ১৫৯ ভরি স্বর্ণ চুরি, গ্রেপ্তার ৩

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

রাজধানীর ধানমন্ডির সীমান্ত সম্ভার মার্কেটের একটি জুয়েলারি দোকান থেকে স্বর্ণ চুরির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গতকাল রোববার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার একটি জুয়েলারি দোকান থেকে ৫০ ভরি চোরাই স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

নাসিরুল বলেন, গত ৩ জানুয়ারি ডাকাত চক্রের সদস্যরা দোকানের শাটার কেটে ঢুকে মাত্র ৮ মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণ চুরি করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় দোকান মালিক বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেছেন। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের চিহ্নিত করেন।

নাসিরুল নিশ্চিত করেন, এই অপরাধের সঙ্গে ৮ থেকে ৯ জন জড়িত ছিল। বাকি অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


শিক্ষার্থীর গবেষণা: ঢাবির খাবার পানিতে মল-মূত্রের জীবাণু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) খাবার পানিতে মল-মূত্রের জীবাণুর অস্তিত্ব মিলেছে। ক্যাম্পাসের ৫টি পয়েন্টের পানি পরীক্ষা করে এ তথ্য জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর স্বপ্রণোদিত অনুসন্ধানে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

শনিবার শাহরিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিন নামে ওই শিক্ষার্থী এ তথ্য জানিয়েছেন। শাহরিয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী।

ওই শিক্ষার্থী জানায়, কিছুদিন আগে স্বপ্রণোদিত হয়ে তিনি ক্যাম্পাসের খাবার পানির মান টেস্ট করার জন্য ক্যাম্পাসের বেশ কয়েকটি পয়েন্ট থেকে পানির স্যাম্পল সংগ্রহ করেন। প্রত্যেকটা স্যাম্পলের ৭ ধরনের টেস্ট হয়। এসব পরীক্ষার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছিল কলিফর্ম (ফেকাল) ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি নির্ণয় করা।

তিনি জানান, কলিফর্ম হলো একধরনের ব্যাকটেরিয়া, যা সাধারণত মানুষের ও প্রাণীর মল-মূত্র এবং অন্যান্য বর্জ্য পদার্থে পাওয়া যায়। কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে পানিতে ফেকাল দূষণ ঘটেছে এবং তা পানির মাধ্যমে রোগ সৃষ্টিকারী প্যাথোজেনিক জীবাণুর উপস্থিতি নির্দেশ করে। রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী এমন বিভিন্ন প্যাথোজেন যেমন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও প্রোটোজোয়ার সম্ভাব্য উপস্থিতির সংকেত দেয়।

স্যুয়ারেজ বা নর্দমার মিশ্রণ, গবাদি পশুর খামারের বর্জ্য, অপর্যাপ্ত বা লিকেজযুক্ত সেপটিক ট্যাংক, দূষিত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার উৎস। ফেকাল কলিফর্মযুক্ত সেসব পানি বা খাদ্য গ্রহণ করলে ডায়রিয়া, টাইফয়েড, হেপাটাইটিস, কলেরা এবং অন্যান্য পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি থাকে বলে জানানো হয় গবেষণা প্রতিবেদনে।

এতে বলা হয়, ক্যাম্পাসের পানিতে ২ থেকে সর্বোচ্চ ১৪ মাত্রার কলিফর্মের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যদিও এটি খুব বেশি দূষিত নয়, তবুও এর উপস্থিতি রোগজীবাণু থাকার সম্ভাবনা তৈরি করে, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষত, সংবেদনশীল ব্যক্তিদের (শিশু, বয়স্ক, বা দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের) জন্য এটি বিপজ্জনক। অতএব, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

এটা থেকে উত্তরণের জন্য নিয়মিত পানি ফুটানো, ক্লোরিন ট্যাবলেট ব্যবহার, ফিল্টার ব্যবহার খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়।


ছিনতাই ও ডাকাতি মামলার আসামিসহ গ্রেপ্তার ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মতিঝিল থেকে চারটি ছিনতাই ও ডাকাতি মামলার আসামি সিয়ামসহ (২৩) দুই পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির মতিঝিল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার অপরজনের নাম- মো. রনি (১৯)।

শনিবার ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিয়াম ও রনিকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা স্বীকার করেছেন, গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারী দলের সক্রিয় সদস্য। তারা মতিঝিলসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করতো। গ্রেপ্তার সিয়ামের বিরুদ্ধে মতিঝিলসহ বিভিন্ন থানায় ছিনতাই, ডাকাতিসহ চারটি মামলা ও গ্রেপ্তার অপর আসামি মো. রনির বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় একটি ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে।

এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


রাজধানীতে পরিত্যক্ত অবস্থায় সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কদমতলী এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি হ্যান্ড সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কদমতলী থানা পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৮ টার দিকে শ্যামপুর মডেল কলেজ রোডের একটি খালি জায়গা থেকে গ্রেনেডটি উদ্ধার করা হয়।

আজ শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যে শুক্রবার রাত পৌনে আটটার দিকে কদমতলী থানার শ্যামপুর মডেল কলেজ রোডের একটি তারকাটা ফ্যাক্টরির পাশের খালি জায়গা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি হ্যান্ড সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়। সাউন্ড গ্রেনেডের গায়ে ইংরেজিতে AKSAV Flash bang diversionary device লেখা আছে।

এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


সবজিতে স্বস্তি, অস্বস্তি চাল-তেলে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভরা শীতে বাজার ভরে গেছে মৌসুমি টাটকা শাক-সবজিতে। বছরজুড়ে চড়া দামে বিক্রি হওয়া এসব শাক-সবজি এখন সহনীয় দামে। কোন কোন সবজির দাম আরও কম। ফলে ক্রেতাদের মনে এখন সবজি নিয়ে স্বস্তি। কয়েক মাস ধরে অস্বস্তি ছড়ানো আলুর দামও বেশ কমেছে। চল্লিশ টাকায় নেমেছে নতুন আলুর কেজি। সামনের সপ্তাহে দাম কমতে পারে আরেকটু এমন আভাস দিচ্ছেন বিক্রেতারাই।

তবে চরম উদ্বেগ ও অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চাল ও তেল। মাত্রই আমন ধানে কৃষকের গোলা ভরে গেলেও বাজারে এর প্রতিফলন নেই। প্রতিদিন নানা অজুহাতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম। কখনো সে অজুহাত ট্রাকে পণ্য পরিবহনের খরচের, কখনো আবার ঢাকা বা টঙ্গীতে ইজতেমা মাঠে আন্দোলন কিংবা অন্য আন্দোলনের মুখরোচক গল্পের। স্বয়ং বাণিজ্য উপদেষ্টা বলছেন, সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানো ছাড়া আর কোন কারণই নেই এর মধ্যে।

এদিকে, গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর পর এখন আবার পাঁয়তারা চলছে নতুন সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানোর। এবার ভোজ্য তেল আমদানিকারক ও উৎপাদকদের সিন্ডিকেট দাবি তুরেছে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত ভোজ্য তেলের সঙ্গে দাম সমন্বয় করে নতুন মূর‌্য নির্ধারণের। অথচ বিশ্ব বাজারে দাম কমে গেলে তারা বিষয়টি এড়িয়েই যায় বরাবর। খোজ্য তেরের দাম তখন কমে না। এত অস্বস্তির মধ্যে উচ্চদামে স্থিতিশীল রয়েছে সব ধরনের মাংসের দাম; এতে ক্রেতাদের মধ্যে সন্তুষ্টি লক্ষ্য করা যায়নি।

শুক্রবার রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ, মৌচাক, মিরপুর ও কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজির সরবরাহ অনেক বেড়েছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি ও টমেটোর দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা করে। বাকি সবজিগুলোও বিক্রি হচ্ছে বেশ সহনীয় দামে।

প্রতি কেজি গোল ও লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা দরে। প্রতি কেজি মুলা ১০-২০টাকা, পেঁপে ও শালগম ২০-৩০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ও বাধাকপি ১০-২০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৩০-৫০ টাকা ও কলার হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৬০-৮০ টাকা, শিম ৩০-৫০ টাকা, শসা ও ক্ষিরা ৩০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

করলা, পটল, ঝিঙা ও ধুন্দলের দাম কিছুটা বেশি; প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। এছাড়া চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা, গাজর ৪০-৬০ টাকা ও টমেটো ৪০- ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। সেইসঙ্গে লালশাক, পালং শাক, কলমি শাক ও কুমড়া শাকসহ বিভিন্ন শাকের আঁটি মিলছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়। গত সপ্তাহে যে আলু ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। ঝাঁজ কমেছে পেঁয়াজের বাজারেও। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ এখন ৫০-৫৫ টাকা এবং ইন্ডিয়ান নতুন পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে, রসুন এবং আদা এখনো কিনতে হচ্ছে চড়া দাম দিয়েই।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর মালিবাগ বাজারে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী খসরু নোমান। তিনি বলেন, বর্তমান বাজারে অন্যান্য জিনিসের তুলনায় সবজি কিনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ হচ্ছে। কারণ বর্তমানে সবজির দাম কম যাচ্ছে। কিছুদিন আগেও বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছিল, সেই তুলনায় এখন সবজির দাম কম। আমরা চাই সবজির এমন দামের মতো বাজারে অন্যান্য পণ্য সাধারণ ক্রেতাদের এমন ক্ষমতার মধ্যে আসুক। তবে কয়েক বছর আগে শীতের সময় অর্থাৎ সবজির ফুল মৌসুমে সব ধরনের সবজির দাম আরো অনেক কম থাকতো, সে হিসেব করলে সবজির দাম আর আগের মত নেই। তবে কিছুদিন আগে সবজির চড়া দামের তুলনায় বর্তমানে সবজির বাজার কম যাচ্ছে।

রাজধানীর মগবাজার এলাকার সবজি বিক্রেতা জয়নাল হক বলেন, বাজারে একেবারে কমে গেছে সবজির দাম, ক্রেতারা ব্যাগ ভরে সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। তবে দু একটি সবজির বর্তমানে মৌসুম না হয়, সেগুলোর দাম একটু বেশি। বাকি সব সবজির দাম অনেক কমে গেছে বাজারে। এছাড়াও বাজারে টাটকা সবজির সরবরাহও অনেক বেশি, যে কারণে দাম কম যাচ্ছে। পুরো শীতকালীন সময়ে সবজির দাম এমন কম যাবে। সামনে আরো কমতে পারে সবজির দাম।

সবজির দাম বিষয় কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর পরিমাণে সবজি ঢাকায় আসছে প্রতিদিন। সব সবজি নতুন এবং টাটকা, আগের তুলনায় বাজারে প্রচুর পরিমাণে সবজির সরবরাহ হচ্ছে। যে কারণে বাজারে সবজির দাম কমে গেছে। কমপক্ষে আরো দেড় মাস সবজির দাম এমন কম থাকবে। এরপর থেকে কিছুটা বাড়তে শুরু করবে। রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে সবজির দাম বর্তমানে যা যাচ্ছে, এর চেয়েও আরো অনেক কম দাম কারওয়ানবাজারে। যেকোনো ক্রেতা অন্যান্য বাজারের চেয়ে কারওয়ানবাজার থেকে আরো অনেক কম দামে সবজি কিনতে পারবে।

ভরা মৌসুমে ভেলকি দেখাচ্ছে চালের বাজারও। প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৮০-৯০ টাকা, মান ভেদে মিনিকেট ৮৫-৯০ টাকা, বিআর- ২৮ চাল ৬০- ৬৫ টাকায়, মোটা চাল (গুটি স্বর্ণা) ৫৫- ৫৮ টাকা, পুরোনো আটাশ ৬৫ টাকা, পাইজাম ৬০ টাকা, কাটারিভোগ ৮৫ টাকা, বাসমতি ৯৪- ৯৮ টাকা, পোলাওর চাল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ও আমন ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের দামের এই ঊর্ধ্বগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভোক্তারা। তাদের প্রশ্ন, ৭০ টাকার নিচে ভালো কোনো চাল নেই। প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৮০-৯০ টাকা, মান ভেদে মিনিকেট ৮৫-৯০ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৬০-৬৫ টাকায়, মোটা চাল (গুটি স্বর্ণা) ৫৫-৫৮ টাকা, পুরোনো আটাশ ৬৫ টাকা, পাইজাম ৬০ টাকা, কাটারিভোগ ৮৫ টাকা, বাসমতি ৯৪- ৯৮ টাকা, পোলাওর চাল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ও আমন ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণ বি আর ২৮ চালের কেজিও এখন ৬০ টাকার ওপরে। ভরা মৌসুমে চালের এতো দাম হলে, সামনের রোজায় কী হবে? অভিযোগ করে অনেকে বলেন, বাজার মনিটরিং না থাকার কারণেই যাচ্ছেতাইভাবে দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে গণঅভ্যুত্থানে সাবেক সরকারের পতনের পর দুবার বাণিজ্য উপদেষ্টার পদে পরিবর্তন এলেও বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা একেবারে যাচ্ছে তাই। আগস্টের শেষের দিক থেকে সেপ্টেম্বরে ছাত্রদের মনিটরিং কাজে জুড়ে দিয়েও কোন সুফল আসেনি। অন্তর্বর্তী সরকার বাজার ব্যবস্থাপনায় পুরোপুরি ব্যর্থ ক্ষোভের সঙ্গে এমন মন্তব্যও এখন করছেন সাধারণ ক্রেতারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম। প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা দরে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৫০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৭৮০ টাকা দরে। মাংসের দাম অবশ্য গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের তুলনায় বেশ বাড়তি। তখন সাড়ে ৬শ টাকাতেই মিলত গরুর মাংস। এছাড়া কলিজা, হাড় ছাড়া মাংস আলাদা আলাদা দরে বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস প্রতি কেজি ১০৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মাছের বাজারেও নেই কোনো সুসংবাদ। আকারভেদে প্রতি কেজি পাবদা মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, ছোট রুই ২৫০-৩০০ টাকা, ৪ থেকে ৫ কেজি ওজনের রুই ৪০০-৪৫০ টাকা, টেংরা ৬৫০ টাকা, চাষের শিং ৪৫০ টাকা ও পাঙাশ আকারভেদে ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে।


৬০ লাখ টাকার আইসসহ গ্রেপ্তার মাদক কারবারি

মসজিদের ইমামতিও করতেন এ মাদক ব্যবসায়ী
গ্রেপ্তার হওয়া মো. মনিরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ২০:৫৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬০ লাখ টাকা মূল্যের ৬০০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ বা আইসসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রোর দক্ষিণ কার্যালয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. মনিরুল ইসলাম (৩৬)। ডিএনসি বলছে, তিনি পেশাদার একজন মাদক কারবারি।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় গুলিস্তানে নিউ রাজধানী হোটেলের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুহাম্মদ ইউসুফ এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মনিরুলের কাছ থেকে ৬০০ গ্রাম ক্রিস্টালম্যাথ বা আইস জব্দ করা হয়েছে। যার মূল্য প্রায় ৬০ লাখ টাকা। তিনি রাজধানীর ডেমরা এলাকার বাওয়ানীবাদ জুট মিলস স্টাফ কোয়ার্টার মসজিদের ইমামতি করতেন।

মুহাম্মদ ইউসুফ বলেন, গোয়েন্দা তথ্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরর জানতে পারে, ভয়ঙ্কর মাদকদ্রব্য আইসের একটি চালান কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ঢাকায় প্রবেশ করবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার ডিএনসির উপপরিচালক মো. মানজুরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে লালবাগ সার্কেলের পরিদর্শকের নেতৃত্বে একটি টিম গুলিস্তান এলাকায় অভিযান চালিয়ে আইসসহ মনিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।

আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার মনিরুল দীর্ঘদিন ধরে টেকনাফ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে ইয়াবা ও আইসের চালান সংগ্রহ করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করে আসছিল। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


রোকেয়া দিবসে ঢাবিতে বর্ণাঢ্য র‍্যালি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) রোকেয়া হলে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়।

আজ বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান র‌্যালিতে নেতৃত্বে দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এতে বলা হয়, রোকেয়া দিবস উপলক্ষে র‌্যালিতে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এবং হলের আবাসিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এর আগে উপাচার্য হল প্রাঙ্গণে বেগম রোকেয়ার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।


বিডিআর বিদ্রোহ মামলা: পুড়ে গেছে এজলাস

ঢাকার বকশীবাজারে বিশেষ আদালতের এজলাস কক্ষ আজ ভোর বেলায় আগুনে পুড়ে গেছে। ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতের এজলাস কক্ষ আজ ভোর বেলায় আগুনে পুড়ে গেছে। এ অবস্থায় বিচারকার্য পরিচালনা করা সম্ভব নয় বলে বাসস’কে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর বোরহান উদ্দিন।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এদিন এজলাস কক্ষ ভোর বেলায় আগুনে পুড়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া এজলাস কক্ষ পরিদর্শন করেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ইব্রাহিম মিয়া। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আলিয়া মাদ্রাসার আদালত প্রাঙ্গনে এসে পুড়ে যাওয়া এজলাস কক্ষ পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে প্রসিকিউশন টিম, আইনজীবী ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও ছিলেন।

পরবর্তীতে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের সাথে কথা বলে ১২টা ১০ মিনিটে চলে যান।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর বোরহান উদ্দিন বাসস’কে বলেন, আদালত পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বড় ধরনের সংস্কার করা ছাড়া এখানে বিচারকার্য করা সম্ভব নয়। আদালতের বিচারক আদালত এসেছিলেন। তিনি পুড়ে যাওয়া ভবন পরিদর্শন করেছেন। এরপর চলে গেছেন। এ মামলার বিচারকার্য করার জন্য পরবর্তীতে দিন ঠিক করা হবে।

এরআগে আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে আদালত বন্ধের দাবিতে বুধবার রাত থেকে বিক্ষোভ করছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে কীভাবে এই আগুনের সূত্রপাত তা এখনও জানা যায়নি।

আজ সকালে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মোড়, পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার, বকশীবাজার, অরফানেজ রোড ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেন। পরে পরিস্থিতে নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে যান সেনবাহিনী ও পুলিশ।


banner close