রোববার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

‘গণমাধ্যমে সত্য-মিথ্যা যাচাই করে সংবাদ প্রকাশ জরুরি’  

ডিএসইসির উদ্যোগে ও পিআইবির আয়োজনে সংবাদ সম্পাদনাবিষয়ক সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা। ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ২১:১১

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেছেন, ‘বর্তমান সময়ে মিথ্যা ও গুজব নির্ভর সংবাদ বেশি হচ্ছে। তাই সোশ্যাল মিডিয়া আর অনলাইনের এই যুগে মেইনস্ট্রিম মিডিয়াকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে সংবাদের ‘ফ্যাক্ট চেক’ তথা সত্যতা যাচাই করাটা খুব জরুরি। গণমাধ্যমগুলোকে এজন্য সত্য-মিথ্যা যাচাই করে সংবাদ প্রকাশ করার বিষয়ে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) উদ্যোগে ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) আয়োজনে সংবাদ সম্পাদনাবিষয়ক তিনদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপ্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসইসির সভাপতি মুক্তাদির অনিক, সাধারণ সম্পাদক জাওহার ইকবাল, পিআইবির অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বিভাগের পারভীন সুলতানা রাব্বীসহ প্রশিক্ষণ নেওয়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাব-এডিটর ও ডিএসইসির নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নেওয়া সাব-এডিটরদের গুরুত্ব তুলে ধরে তথ্য সচিব বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সংবাদের গুরুত্ব ও সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন সাব এডিটররা (সহ-সম্পাদক)।

তিনি নিজেকে সাব এডিটরদের সঙ্গে এক কাতারের মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি আপনাদের সাইডের মানুষ। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতায় পড়ার পর পরই সাংবাদিকতা করেছিলাম। এই মাধ্যমেই আমার ক্যারিয়ার শুরু করি। তাই আমি সবসময় আপনাদের দুঃখ-কষ্টটা বুঝি।’

এসময় তিনি গত ১৫ বছরের বৈষম্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘দীর্ঘ বছর আমরা বঞ্চনার শিকার হয়েছি। দেশের সবকিছুতেই বিভাজন ছিল। নিপীড়িত-নির্যাতিত ছিলো। এখন একটা পরিবর্তিত সময় এসেছে। আমরা এখন সুন্দর আলোর প্রত্যাশায় ছুটছি, সবাই সেই আলোর অপেক্ষায়।’

পিআইবি’র মাধ্যমে সাংবাদিকদের জন্য এ ধরনের আরও প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাওয়ার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘পিআইবি একাডেমিক প্রতিষ্ঠান। তবে যেরকম হওয়ার কথা ছিল, সেরকম হয়নি। এটা নিয়ে অনেক কথা বলার আছে। তারপরও একটা পরিবর্তিত সময়ের পর সবকিছু নতুন করেই করতে হচ্ছে। চেষ্টা করছি নতুন কিছু করার।’

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকতা পেশাকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। আপনি যেই মতবাদেরই হোন না কেন, সাংবাদিকতায় পেশাদারিত্ব থাকাটা অনেক জরুরি। কেননা একটি জাতির ধারণা, কল্পনা, জীবনধারাসহ সম্প্রদায়ের সকল বিষয় নির্মাণ কিন্তু সাংবাদিকরাই করে থাকেন। তাই জাতির জন্য যোগ্য সাংবাদিক হওয়াটা প্রয়োজন।’

অনুষ্ঠানে সাব-এডিটরদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন ডিএসইসির সভাপতি মুক্তাদির অনিক, সাধারণ সম্পাদক জাওহার ইকবাল। এসময় তারা সাব-এডিটরদের জন্য এরকম আরও প্রশিক্ষণের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন।

পরে অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নেওয়া ডিএসইসির সদস্যদের হাতে সনদপত্র ‍তুলে দেওয়া হয়।


রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুরের কালশী ও আসাদগেট এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, সিয়াম (১৫) নামে এক কিশোর ও সিএনজি আরোহী আদম আলী (৫৫)। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মিরপুর কালশী কালশী ফ্লাইওভারের নিচে একটি ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে আহত হন সিয়াম (১৫) নামে এক কিশোর। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সিয়ামের বন্ধু সিরাজুল জানান, সিয়াম রূপনগর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় থাকতো। সে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতো। রাতে আরেক বন্ধুর মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়। মিরপুর কালশী ফ্লাইওভারের নিচে আসলে একটি ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয় সিয়াম। খবর পেয়ে দ্রুত সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিযে আসলে মারা যায়।
একই রাত আড়াইটার দিকে আসাদগেট এলাকায় ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা সংঘর্ষে আরোহী আদম আলী (৫৫) আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মারা যান। এ ঘটনায় নিহত আদম আলী ছেলে সাকের আলী (১৬), ভাতিজা নবী হোসেন (৪৫) ও মেয়ের জামাই সাখাওয়াত হোসেন (৩৫)। তাদের সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত আদম আলীর ভাতিজা মাসুম জানান, তাদের বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার মুক্তা রামপুর গ্রামে। তার চাচা আদম আলী এলাকায় কাপড়ের ব্যবসা করতেন। বৃহস্পতিবার বাড়িতে আমার চাচাতো ভাই শাকের আলী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে চাচা প্রথমে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে যান। পরে সেখান থেকে ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়ার পথে আসাদ গেট এলাকায় একটি ট্রাক সিএনজিটিকে ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজিতে থাকা ৪জন আহত হয়। পরে পথচারীরা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তার চাচা আদম আলীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে মারা যান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাতে মিরপুর ও আসাদগেট এলাকা থেকে দুজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।


ডাকাতির প্রস্তুতির সময় গ্রেপ্তার ৩

গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাত দলের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতির সময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উদ্যানের শিখা চিরন্তন প্রবেশ গেইটের উত্তর পাশ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলো- মো. রনি (২৯), মো. হুমায়ুন কবির (২৫) ও মো. আনোয়ার (৪০)। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি স্টিলের সুইচ গিয়ার চাকু ও একটি স্টিলের চাকু উদ্ধার করা হয়।

আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাহবাগ থানার একটি টহল টিম গোপন সংবাদে জানতে পারে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন প্রবেশ গেইটের উত্তর পাশে কয়েক ব্যক্তি দেশীয় ধারালো অস্ত্র-সস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরে অভিযান পরিচালনা করে থানার টিম। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় তিনজনকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় আরও কয়েকজন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা স্বীকার করেছেন, তারা পেশাদার ডাকাত ও ছিনতাইকারী দলের সদস্য। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় তারা ডাকাতির উদ্দেশে একত্রিত হয়েছিল। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


হাজারীবাগে চামড়ার গুদামে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় রাজধানীর হাজারীবাগ বাজারের ট্যানারির গোডাউনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস। আজ শুক্রবার দুপুর ২টা ১৪ মিনিটে একটি ভবনের চার তলায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় শুক্রবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ শাহজাহান সিকদার তথ্যটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

এ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণকক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার জানান, হাজারীবাগ বাজারের একটি ট্যানারির গোডাউনে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

তিনি আরও জানান, চারতলা ভবনের চতুর্থ তলায় লেদারের গোডাউনে আগুন লেগেছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি।


হাজারীবাগে চামড়ার গুদামে আগুন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

রাজধানীর হাজারীবাগ বাজারের একটি সাততলা ভবনে অবস্থিত ট্যানারির গুদামে অগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার বলেন, আজ (শুক্রবার) দুপুর ২টা ১৪ মিনিটে হাজারীবাগ বাজারে একটি চামড়ার গুদামে আগুন লেগেছে। ৭ তলা ভবনের পঞ্চম তলায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।

তিনি জানান, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট কাজ করছে। আরও ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।

তবে আগুন লাগার কারণ এবং হতাহতের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।


হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের মোহাম্মদপুর থানার সহ-সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেনকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-২। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) খান আসিফ তপু বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলাকারী ও আন্দোলনে নিহত আকতার হোসেন হত্যা মামলার এজাহারনামীয় অন্যতম আসামি গ্রেপ্তার মো. সাজ্জাদ হোসেন। সাজ্জাদ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


যাত্রীবেশে গাড়ি নিয়ে ছিনতাইয়ের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতবেদক

রাজধানীর কদমতলী থেকে যাত্রীবেশে গাড়ি নিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। গত মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে রাজধানীর কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন— মোহাম্মদ আকতার হোসেন (৪৫), হারুনুর রশিদ (৫০), কামাল হোসেন (৪৫), মোহাম্মদ নুরুদ্দিন (৪৮) ও মোহাম্মদ হানিফ (৫৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১১টি মোবাইল ফোন, একটি হাইয়েস গাড়ি ও একটি পাওয়ার ব্যাংকসহ ছিনতাইকারী

বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি জানান, চক্রটি গত এক বছর ধরে রাজধানীতে সক্রিয় রয়েছে। তারা হাইয়েস গাড়ি নিয়ে রাতে বেরিয়ে পড়ে এবং সাধারণ যাত্রীবেশে গাড়িতে বসে থাকে। তারা সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ি, রায়েরবাগ, সাইনবোর্ডসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে যাত্রী তুলে পরে সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে যাত্রীকে জিম্মি করে যাত্রীর মালামাল লুটে নেয়। পরবর্তীতে লুট করা অর্থ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন এবং ছিনতাই করা মোবাইলগুলো গুলিস্তানে এসে বিক্রি করে দেন। আরও জানা যায়, তাদের মাধ্যমে কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব: স্বদেশ-আশিয়ান গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর খিলক্ষেতে জমি-জমা নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিহতের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে খিলক্ষেতের বরুয়া এলাকায় স্বদেশ প্রপার্টি ও আশিয়ান সিটির নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। নিহতের মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতালে রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থল এবং হাসপাতালে আমাদের পুলিশ সদস্যরা গিয়েছেন। নিহতের মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে আইননানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’


অনশন স্থগিত করে সচিবালয় ছাড়লেন জবি শিক্ষার্থীরা, চলবে শাটডাউন

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দাবি মেনে নেয়ার ‘আশ্বাস’ দিলে সচিবালয় ছাড়ার সময় তারা অনশন স্থগিত করার ঘোষণা দেন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

অনশন স্থগিত করে সচিবালয়ের সামনে থেকে সরে এসেছেন আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের ‘ক্যাম্পাস শাটডাউন’ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দাবি মেনে নেয়ার ‘আশ্বাস’ দিলে সচিবালয় ছাড়ার সময় তারা অনশন স্থগিত করার এ ঘোষণা দেন।

সন্ধ্যা ৭টায় মন্ত্রণালয় থেকে লিখিত বক্তব্য হাতে পান অনশনরত শিক্ষার্থীরা।

এসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে একেএম রাকিব বলেন, মন্ত্রণালয় আমাদের লিখিত দিয়েছে। তারা বলেছেন বুধবার মিটিংয়ে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করা হবে। মন্ত্রণালয় শিক্ষার্থীদের জন্য বাণী ভবন ও আরও একটি ভবন নির্মাণ করতে বরাদ্দ দিবে।

তিনি আরও বলেন, কমপ্লিট শাটডাউনের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনসহ সকল ক্লাস ভবন বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস হবেনা। বুধবার আমাদের দাবি পুরোপুরি ভাবে মেনে নেওয়া হয়েছে জানার পর আমরা ক্লাসে ফিরে যাবো। অনশন কর্মসূচি শেষ করলেও বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন কর্মসূচি চালু থাকবে বলে জানান তিনি।

এর আগে কয়েক দফা দাবি আদায়ে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিকেলে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে তারা যাত্রা শুরু করেন। এ সময় অনশনকারী অসুস্থ শিক্ষার্থীরা রিকশায় এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা পায়ে হেঁটে যাত্রা করেন।

এর আগে, সোমবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিকে ‘অস্পষ্ট’আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীরা তা সংশোধনের দাবি জানান। একইসঙ্গে দাবি পূরণে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি না এলে সচিবালয়ে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা।

সে সময় অনশনকারী শিক্ষার্থীদের একজন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং ‘জাস্টিস ফর জুলাই’ এর আহ্বায়ক সজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের চিঠিটি অনেকটাই অস্পষ্ট। তাই আমরা একটা সুনির্দিষ্ট রূপরেখার মাধ্যমে সংশোধিত চিঠি চাই। যেখানে উল্লেখ থাকতে হবে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের চুক্তি স্বাক্ষর করা; সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতা ব্যতিরেকে কার্য সম্পাদনের দায় নিয়ে বাণী ভবন ও হাবিবুর রহমান ভারে স্টিল বেইজড ভবনে নির্মাণ অনুমোদন ও বাজেট পাশ করতে হবে। এ ছাড়া ২০২৫-২৬ অর্থবছর আসার পূর্বেই জরুরি ভিত্তিতে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা আগামী ফেব্রুয়ারি থেকেই প্রদানের ঘোষণা দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী বুধবারের সভার সিদ্ধান্তসমূহ লিখিত আকারে না আসা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শাটডাউনের আওতাভুক্ত থাকবে।’

পদযাত্রায় অংশ নেওয়া এবং অনশনরত ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘আল্টিমেটাম অনুযায়ী নবায়ন করা চিঠি না আসায় আমরা সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করি। সচিবালয়ের ফুটপাতে আমরা আমাদের অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’

এদিকে, আগামী বুধবার দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, ‘ইউজিসি থেকে চিঠি মন্ত্রণালয়ে গেছে। বুধবার সভা নির্ধারিত হয়েছে। সভায় সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা হবে এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হস্তান্তর হবে। সেনাবাহিনীকে কাজ দেওয়ার ব্যাপারে আমরা ইউজিসির সঙ্গে আগেই কমিটমেন্ট ছিলাম।’

উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলেই আমাদের এ কার্যক্রম আরও সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। মিটিংয়ে প্রকল্পের অবস্থাও বিশ্লেষণ করা হবে। তারপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সভায় আমরা বিবিধের সেক্টরে আমাদের দাবির অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে দিতে শিক্ষা মন্ত্রনালয়, ইউজিসি ও সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আগামী বুধবার বৈঠক হবে বলে জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন। ওই বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান তিনি।

এ সিদ্ধান্ত আসার পরও অনশন কর্মসূচি বন্ধ করেননি শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তরের বিষয়ে আলোচনা করতে সচিবালয়ে বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব আহমেদ শিবলী।

তিনি জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ বিভাগের আওতাধীন ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন, ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির সভা আগামী ১৫ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব সিদ্দিক জোবায়েরের সভাপতিত্বে এ বিভাগের সভাকক্ষে (কক্ষ নম্বর- ১৮১৫, ভবন-৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা) অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচ্যসূচি হিসেবে বলা হয়েছে, প্রকল্পের কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর; অগ্রগতি পর্যালোচনা; এবং বিবিধ। এছাড়া নোটিশে উক্ত সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার বা প্রতিনিধি প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।


দাবি আদায়ে জবি শিক্ষার্থীদের সচিবালয় ঘেরাও, চলবে অনশন

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সচিবালয়ের ফুটপাতে অনশন চালিয়ে যাবেন জবি শিক্ষার্থীরা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর ও অস্থায়ী আবাসনের দাবিতে সচিবালয়ের ঘেরাও করে রেখেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সচিবালয়ের ফুটপাতে অনশন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

আজ সোমবার বিকেলে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে তারা যাত্রা শুরু করেন। এ সময় অনশনকারী অসুস্থ শিক্ষার্থীরা রিকশায় এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা পায়ে হেঁটে যাত্রা করেন।

এর আগে, সোমবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিকে ‘অস্পষ্ট’আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীরা তা সংশোধনের দাবি জানান। একইসঙ্গে দাবি পূরণে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি না এলে সচিবালয়ে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা।

সে সময় অনশনকারী শিক্ষার্থীদের একজন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং ‘জাস্টিস ফর জুলাই’ এর আহ্বায়ক সজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের চিঠিটি অনেকটাই অস্পষ্ট। তাই আমরা একটা সুনির্দিষ্ট রূপরেখার মাধ্যমে সংশোধিত চিঠি চাই। যেখানে উল্লেখ থাকতে হবে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের চুক্তি স্বাক্ষর করা; সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতা ব্যতিরেকে কার্য সম্পাদনের দায় নিয়ে বাণী ভবন ও হাবিবুর রহমান ভারে স্টিল বেইজড ভবনে নির্মাণ অনুমোদন ও বাজেট পাশ করতে হবে। এ ছাড়া ২০২৫-২৬ অর্থবছর আসার পূর্বেই জরুরি ভিত্তিতে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা আগামী ফেব্রুয়ারি থেকেই প্রদানের ঘোষণা দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী বুধবারের সভার সিদ্ধান্তসমূহ লিখিত আকারে না আসা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শাটডাউনের আওতাভুক্ত থাকবে।’

পদযাত্রায় অংশ নেওয়া এবং অনশনরত ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘আল্টিমেটাম অনুযায়ী নবায়ন করা চিঠি না আসায় আমরা সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করি। সচিবালয়ের ফুটপাতে আমরা আমাদের অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’

এদিকে, আগামী বুধবার দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, ‘ইউজিসি থেকে চিঠি মন্ত্রণালয়ে গেছে। বুধবার সভা নির্ধারিত হয়েছে। সভায় সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা হবে এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হস্তান্তর হবে। সেনাবাহিনীকে কাজ দেওয়ার ব্যাপারে আমরা ইউজিসির সঙ্গে আগেই কমিটমেন্ট ছিলাম।’

উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলেই আমাদের এ কার্যক্রম আরও সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। মিটিংয়ে প্রকল্পের অবস্থাও বিশ্লেষণ করা হবে। তারপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সভায় আমরা বিবিধের সেক্টরে আমাদের দাবির অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে দিতে শিক্ষা মন্ত্রনালয়, ইউজিসি ও সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আগামী বুধবার বৈঠক হবে বলে জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন। ওই বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান তিনি।

এ সিদ্ধান্ত আসার পরও অনশন কর্মসূচি বন্ধ করেননি শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তরের বিষয়ে আলোচনা করতে সচিবালয়ে বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব আহমেদ শিবলী।

তিনি জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ বিভাগের আওতাধীন ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন, ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির সভা আগামী ১৫ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব সিদ্দিক জোবায়েরের সভাপতিত্বে এ বিভাগের সভাকক্ষে (কক্ষ নম্বর- ১৮১৫, ভবন-৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা) অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচ্যসূচি হিসেবে বলা হয়েছে, প্রকল্পের কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর; অগ্রগতি পর্যালোচনা; এবং বিবিধ। এছাড়া নোটিশে উক্ত সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার বা প্রতিনিধি প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।


গণ অনশনে ‘শাটডাউন’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

গণ অনশনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর ও অস্থায়ী আবাসন নিশ্চিতসহ চার দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টার অধিক সময় ধরে গণ অনশন করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তালা মারা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ভবনেও। ঘোষণা করা হয়েছে কমপ্লিট ‘শাটডাউন’।

আজ সোমবার সকালে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সমর্থনে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকসহ একাধিক ভবনে তালা মারার মাধ্যমে তারা এই কর্মসূচি শুরু করেন।

শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করায় এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবন, বিজ্ঞান অনুষদ, আর্টস ফ্যাকাল্টির ভবনগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম। এদিকে অনশনে বসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে।

অনশনরত শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা অনশন ভাঙবো না। সবার কাছে অনুরোধ, আপনারা যারা অনশন করছেন না– আপনারা ক্লাস-পরীক্ষা বয়কট করুন। আমাদের দাবি পূরণ করেই আমরা বাড়ি যাবো।’

অনশনরত শিক্ষার্থী ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সময় নির্ধারণ করে দিতে পারছে না। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এসে যৌক্তিক সময় দিলে আমরা অনশন ভাঙবো।’

শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহান প্রামাণিক বলেন, ‘আমরা আর লাল ফিতার দৌরাত্ম মানবো না। এখানেই বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে কাজ করছি। প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, চিঠির কপিও এসেছে। আমরা শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত। যৌক্তিক সময় দিয়ে কাজ সম্পন্ন করবো।’

এদিকে চলমান গণঅনশনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে এক ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

এর আগে গতকাল রোববার সকাল থেকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। সারাদিন অভুক্ত থেকে ১৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসন এখনো চিকিৎসা ব্যয় ঠিকভাবে দিচ্ছে না। তাদের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন খরচ শিক্ষার্থীদের টাকায় হচ্ছে। এই প্রশাসন সব দিক দিয়ে ব্যর্থ। তারা দাবি পূরণ হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস হতে দেবেন না।

এদিকে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের দাবির প্রতি পূর্ণ একাত্মতা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। এছাড়াও রোববার রাতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনুরোধে উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিমও তাদের সঙ্গে অনশনস্থলে বসে পড়েন। ওই রাতে অনশনে একাত্মতা জানাতে রোববার গভীর রাতে হল থেকে বেরিয়ে প্রায় অর্ধশত ছাত্রী শহীদ মিনারের সামনে এসে বসে পড়েন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে- সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে। একইসঙ্গে পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা এবং যতদিন আবাসন ব্যবস্থা না হয়, ততদিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।


ধানমন্ডিতে ১৫৯ ভরি স্বর্ণ চুরি, গ্রেপ্তার ৩

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

রাজধানীর ধানমন্ডির সীমান্ত সম্ভার মার্কেটের একটি জুয়েলারি দোকান থেকে স্বর্ণ চুরির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গতকাল রোববার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার একটি জুয়েলারি দোকান থেকে ৫০ ভরি চোরাই স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

নাসিরুল বলেন, গত ৩ জানুয়ারি ডাকাত চক্রের সদস্যরা দোকানের শাটার কেটে ঢুকে মাত্র ৮ মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণ চুরি করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় দোকান মালিক বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেছেন। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের চিহ্নিত করেন।

নাসিরুল নিশ্চিত করেন, এই অপরাধের সঙ্গে ৮ থেকে ৯ জন জড়িত ছিল। বাকি অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


শিক্ষার্থীর গবেষণা: ঢাবির খাবার পানিতে মল-মূত্রের জীবাণু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) খাবার পানিতে মল-মূত্রের জীবাণুর অস্তিত্ব মিলেছে। ক্যাম্পাসের ৫টি পয়েন্টের পানি পরীক্ষা করে এ তথ্য জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর স্বপ্রণোদিত অনুসন্ধানে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

শনিবার শাহরিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিন নামে ওই শিক্ষার্থী এ তথ্য জানিয়েছেন। শাহরিয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী।

ওই শিক্ষার্থী জানায়, কিছুদিন আগে স্বপ্রণোদিত হয়ে তিনি ক্যাম্পাসের খাবার পানির মান টেস্ট করার জন্য ক্যাম্পাসের বেশ কয়েকটি পয়েন্ট থেকে পানির স্যাম্পল সংগ্রহ করেন। প্রত্যেকটা স্যাম্পলের ৭ ধরনের টেস্ট হয়। এসব পরীক্ষার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছিল কলিফর্ম (ফেকাল) ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি নির্ণয় করা।

তিনি জানান, কলিফর্ম হলো একধরনের ব্যাকটেরিয়া, যা সাধারণত মানুষের ও প্রাণীর মল-মূত্র এবং অন্যান্য বর্জ্য পদার্থে পাওয়া যায়। কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে পানিতে ফেকাল দূষণ ঘটেছে এবং তা পানির মাধ্যমে রোগ সৃষ্টিকারী প্যাথোজেনিক জীবাণুর উপস্থিতি নির্দেশ করে। রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী এমন বিভিন্ন প্যাথোজেন যেমন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও প্রোটোজোয়ার সম্ভাব্য উপস্থিতির সংকেত দেয়।

স্যুয়ারেজ বা নর্দমার মিশ্রণ, গবাদি পশুর খামারের বর্জ্য, অপর্যাপ্ত বা লিকেজযুক্ত সেপটিক ট্যাংক, দূষিত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার উৎস। ফেকাল কলিফর্মযুক্ত সেসব পানি বা খাদ্য গ্রহণ করলে ডায়রিয়া, টাইফয়েড, হেপাটাইটিস, কলেরা এবং অন্যান্য পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি থাকে বলে জানানো হয় গবেষণা প্রতিবেদনে।

এতে বলা হয়, ক্যাম্পাসের পানিতে ২ থেকে সর্বোচ্চ ১৪ মাত্রার কলিফর্মের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যদিও এটি খুব বেশি দূষিত নয়, তবুও এর উপস্থিতি রোগজীবাণু থাকার সম্ভাবনা তৈরি করে, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষত, সংবেদনশীল ব্যক্তিদের (শিশু, বয়স্ক, বা দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের) জন্য এটি বিপজ্জনক। অতএব, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

এটা থেকে উত্তরণের জন্য নিয়মিত পানি ফুটানো, ক্লোরিন ট্যাবলেট ব্যবহার, ফিল্টার ব্যবহার খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়।


ছিনতাই ও ডাকাতি মামলার আসামিসহ গ্রেপ্তার ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মতিঝিল থেকে চারটি ছিনতাই ও ডাকাতি মামলার আসামি সিয়ামসহ (২৩) দুই পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির মতিঝিল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার অপরজনের নাম- মো. রনি (১৯)।

শনিবার ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিয়াম ও রনিকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা স্বীকার করেছেন, গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারী দলের সক্রিয় সদস্য। তারা মতিঝিলসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করতো। গ্রেপ্তার সিয়ামের বিরুদ্ধে মতিঝিলসহ বিভিন্ন থানায় ছিনতাই, ডাকাতিসহ চারটি মামলা ও গ্রেপ্তার অপর আসামি মো. রনির বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় একটি ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে।

এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


banner close