মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
১ পৌষ ১৪৩২

সবজিতে স্বস্তি, অস্বস্তি চাল-তেলে

ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ২০:৫০

ভরা শীতে বাজার ভরে গেছে মৌসুমি টাটকা শাক-সবজিতে। বছরজুড়ে চড়া দামে বিক্রি হওয়া এসব শাক-সবজি এখন সহনীয় দামে। কোন কোন সবজির দাম আরও কম। ফলে ক্রেতাদের মনে এখন সবজি নিয়ে স্বস্তি। কয়েক মাস ধরে অস্বস্তি ছড়ানো আলুর দামও বেশ কমেছে। চল্লিশ টাকায় নেমেছে নতুন আলুর কেজি। সামনের সপ্তাহে দাম কমতে পারে আরেকটু এমন আভাস দিচ্ছেন বিক্রেতারাই।

তবে চরম উদ্বেগ ও অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চাল ও তেল। মাত্রই আমন ধানে কৃষকের গোলা ভরে গেলেও বাজারে এর প্রতিফলন নেই। প্রতিদিন নানা অজুহাতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম। কখনো সে অজুহাত ট্রাকে পণ্য পরিবহনের খরচের, কখনো আবার ঢাকা বা টঙ্গীতে ইজতেমা মাঠে আন্দোলন কিংবা অন্য আন্দোলনের মুখরোচক গল্পের। স্বয়ং বাণিজ্য উপদেষ্টা বলছেন, সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানো ছাড়া আর কোন কারণই নেই এর মধ্যে।

এদিকে, গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর পর এখন আবার পাঁয়তারা চলছে নতুন সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানোর। এবার ভোজ্য তেল আমদানিকারক ও উৎপাদকদের সিন্ডিকেট দাবি তুরেছে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত ভোজ্য তেলের সঙ্গে দাম সমন্বয় করে নতুন মূর‌্য নির্ধারণের। অথচ বিশ্ব বাজারে দাম কমে গেলে তারা বিষয়টি এড়িয়েই যায় বরাবর। খোজ্য তেরের দাম তখন কমে না। এত অস্বস্তির মধ্যে উচ্চদামে স্থিতিশীল রয়েছে সব ধরনের মাংসের দাম; এতে ক্রেতাদের মধ্যে সন্তুষ্টি লক্ষ্য করা যায়নি।

শুক্রবার রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ, মৌচাক, মিরপুর ও কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজির সরবরাহ অনেক বেড়েছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি ও টমেটোর দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা করে। বাকি সবজিগুলোও বিক্রি হচ্ছে বেশ সহনীয় দামে।

প্রতি কেজি গোল ও লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা দরে। প্রতি কেজি মুলা ১০-২০টাকা, পেঁপে ও শালগম ২০-৩০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ও বাধাকপি ১০-২০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৩০-৫০ টাকা ও কলার হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৬০-৮০ টাকা, শিম ৩০-৫০ টাকা, শসা ও ক্ষিরা ৩০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

করলা, পটল, ঝিঙা ও ধুন্দলের দাম কিছুটা বেশি; প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। এছাড়া চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা, গাজর ৪০-৬০ টাকা ও টমেটো ৪০- ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। সেইসঙ্গে লালশাক, পালং শাক, কলমি শাক ও কুমড়া শাকসহ বিভিন্ন শাকের আঁটি মিলছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়। গত সপ্তাহে যে আলু ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। ঝাঁজ কমেছে পেঁয়াজের বাজারেও। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ এখন ৫০-৫৫ টাকা এবং ইন্ডিয়ান নতুন পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে, রসুন এবং আদা এখনো কিনতে হচ্ছে চড়া দাম দিয়েই।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর মালিবাগ বাজারে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী খসরু নোমান। তিনি বলেন, বর্তমান বাজারে অন্যান্য জিনিসের তুলনায় সবজি কিনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ হচ্ছে। কারণ বর্তমানে সবজির দাম কম যাচ্ছে। কিছুদিন আগেও বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছিল, সেই তুলনায় এখন সবজির দাম কম। আমরা চাই সবজির এমন দামের মতো বাজারে অন্যান্য পণ্য সাধারণ ক্রেতাদের এমন ক্ষমতার মধ্যে আসুক। তবে কয়েক বছর আগে শীতের সময় অর্থাৎ সবজির ফুল মৌসুমে সব ধরনের সবজির দাম আরো অনেক কম থাকতো, সে হিসেব করলে সবজির দাম আর আগের মত নেই। তবে কিছুদিন আগে সবজির চড়া দামের তুলনায় বর্তমানে সবজির বাজার কম যাচ্ছে।

রাজধানীর মগবাজার এলাকার সবজি বিক্রেতা জয়নাল হক বলেন, বাজারে একেবারে কমে গেছে সবজির দাম, ক্রেতারা ব্যাগ ভরে সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। তবে দু একটি সবজির বর্তমানে মৌসুম না হয়, সেগুলোর দাম একটু বেশি। বাকি সব সবজির দাম অনেক কমে গেছে বাজারে। এছাড়াও বাজারে টাটকা সবজির সরবরাহও অনেক বেশি, যে কারণে দাম কম যাচ্ছে। পুরো শীতকালীন সময়ে সবজির দাম এমন কম যাবে। সামনে আরো কমতে পারে সবজির দাম।

সবজির দাম বিষয় কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর পরিমাণে সবজি ঢাকায় আসছে প্রতিদিন। সব সবজি নতুন এবং টাটকা, আগের তুলনায় বাজারে প্রচুর পরিমাণে সবজির সরবরাহ হচ্ছে। যে কারণে বাজারে সবজির দাম কমে গেছে। কমপক্ষে আরো দেড় মাস সবজির দাম এমন কম থাকবে। এরপর থেকে কিছুটা বাড়তে শুরু করবে। রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে সবজির দাম বর্তমানে যা যাচ্ছে, এর চেয়েও আরো অনেক কম দাম কারওয়ানবাজারে। যেকোনো ক্রেতা অন্যান্য বাজারের চেয়ে কারওয়ানবাজার থেকে আরো অনেক কম দামে সবজি কিনতে পারবে।

ভরা মৌসুমে ভেলকি দেখাচ্ছে চালের বাজারও। প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৮০-৯০ টাকা, মান ভেদে মিনিকেট ৮৫-৯০ টাকা, বিআর- ২৮ চাল ৬০- ৬৫ টাকায়, মোটা চাল (গুটি স্বর্ণা) ৫৫- ৫৮ টাকা, পুরোনো আটাশ ৬৫ টাকা, পাইজাম ৬০ টাকা, কাটারিভোগ ৮৫ টাকা, বাসমতি ৯৪- ৯৮ টাকা, পোলাওর চাল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ও আমন ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের দামের এই ঊর্ধ্বগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভোক্তারা। তাদের প্রশ্ন, ৭০ টাকার নিচে ভালো কোনো চাল নেই। প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৮০-৯০ টাকা, মান ভেদে মিনিকেট ৮৫-৯০ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৬০-৬৫ টাকায়, মোটা চাল (গুটি স্বর্ণা) ৫৫-৫৮ টাকা, পুরোনো আটাশ ৬৫ টাকা, পাইজাম ৬০ টাকা, কাটারিভোগ ৮৫ টাকা, বাসমতি ৯৪- ৯৮ টাকা, পোলাওর চাল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ও আমন ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণ বি আর ২৮ চালের কেজিও এখন ৬০ টাকার ওপরে। ভরা মৌসুমে চালের এতো দাম হলে, সামনের রোজায় কী হবে? অভিযোগ করে অনেকে বলেন, বাজার মনিটরিং না থাকার কারণেই যাচ্ছেতাইভাবে দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে গণঅভ্যুত্থানে সাবেক সরকারের পতনের পর দুবার বাণিজ্য উপদেষ্টার পদে পরিবর্তন এলেও বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা একেবারে যাচ্ছে তাই। আগস্টের শেষের দিক থেকে সেপ্টেম্বরে ছাত্রদের মনিটরিং কাজে জুড়ে দিয়েও কোন সুফল আসেনি। অন্তর্বর্তী সরকার বাজার ব্যবস্থাপনায় পুরোপুরি ব্যর্থ ক্ষোভের সঙ্গে এমন মন্তব্যও এখন করছেন সাধারণ ক্রেতারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম। প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা দরে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৫০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৭৮০ টাকা দরে। মাংসের দাম অবশ্য গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের তুলনায় বেশ বাড়তি। তখন সাড়ে ৬শ টাকাতেই মিলত গরুর মাংস। এছাড়া কলিজা, হাড় ছাড়া মাংস আলাদা আলাদা দরে বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস প্রতি কেজি ১০৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মাছের বাজারেও নেই কোনো সুসংবাদ। আকারভেদে প্রতি কেজি পাবদা মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, ছোট রুই ২৫০-৩০০ টাকা, ৪ থেকে ৫ কেজি ওজনের রুই ৪০০-৪৫০ টাকা, টেংরা ৬৫০ টাকা, চাষের শিং ৪৫০ টাকা ও পাঙাশ আকারভেদে ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে।


কর্মীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতির কারণে বন্ধ মেট্রোরেল, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মেট্রোরেলের কর্মীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতির কারণে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী উত্তরা থেকে বিকাল ৩টা ও মতিঝিল থেকে ৩টা ২০ মিনিটে ট্রেন ছাড়ার কথা থাকলেও কোনো ট্রেনই স্টেশন ছাড়েনি। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

এর আগে স্বতন্ত্র চাকরি বিধিমালা প্রণয়নে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের প্রতিবাদে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাতটা থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ। এ কারণে মেট্রোরেলের যাত্রীসেবায় বিঘ্ন ঘটার শঙ্কা দেখা দেয়।

যদিও বৃহষ্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানায়, শুক্রবার মেট্রোরেল নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী চলাচল করবে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের এ ঘোষণা মানেননি আন্দোলনকারীরা।

ডিএমটিসিএলের জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের পর আন্দোলনকারীদের দাবি পূরণ হওয়ার পথে। কিছু প্রক্রিয়াগত বিষয় আছে। এরপরও যাত্রীসেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন সরকার সব কিছু বিবেচনা করে দেখছে।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকালে সপরিবারে অনেকেই ঘুরতে বের হন, কিন্তু মেট্রোরেল বন্ধ থাকার কারণে আজ তাদের ঘুরতে যাওয়া হচ্ছে না। এমনই একজন কাজীপাড়ার ওবায়েদ ইসলাম। তিনি সপরিবারে রমনা পার্কে যাওয়ার জন্য মেট্রো স্টেশনে এসে দেখেন মেট্রোর গেট তালাবদ্ধ। তা দেখেই ফিরে যান তিনি। চারটার দিকে শেওড়াপাড়া স্টেশনে গিয়েও সিঁড়িতে ওঠার কলাপসিবল গেট তালা লাগানো দেখা যায়।

এদিকে স্টেশনে ওঠার অপেক্ষায় অসংখ্য মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।


“দুর্যোগে মানুষের পাশে”—আনসার-ভিডিপি, কড়াইলে নিরাপদ পানি ব্যাবস্থাপনার উদ্বোধন

আপডেটেড ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২০:৫১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কড়াইল বস্তিবাসীর জন্য নিরাপদ পানির চরম সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি জরুরি মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে দুটি বিশুদ্ধ পানির ট্যাংক স্থাপন ও উদ্বোধন করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিক প্রয়োজন ও জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনায় নেওয়া এই উদ্যোগ দুর্যোগ-উত্তর পরিস্থিতিতে স্থানীয়দের জন্য দ্রুত স্বস্তি, নিরাপত্তা ও আশার বার্তা নিয়ে এসেছে।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় কড়াইল বস্তির অগ্নিকাণ্ডে আক্রান্ত এলাকায় ঢাকা মহানগর আনসার পরিচালক মোঃ আসাদুজ্জামান গণি আনুষ্ঠানিকভাবে ট্যাংক দুটির উদ্বোধন করেন। প্রতিদিন ট্যাংকগুলোতে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে, যা অগ্নিদুর্গত মানুষের খাদ্য, আশ্রয় ও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা প্রদান করবে।

উল্লেখ্য, অগ্নিকাণ্ডের পর নয় দিনব্যাপী দুই হাজার মানুষকে দু’বার করে রান্না করা খাবার, ৯০০ কম্বল এবং জরুরি সহায়তা হিসেবে ১,২০০ প্যাকেট শিশুখাদ্য (গুঁড়া দুধ) বিতরণ করেছে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন—“দুর্যোগের মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের অঙ্গীকার। কড়াইলের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ যেন নিরাপদ পানি পায়, সেই নিশ্চয়তা দিতেই মহাপরিচালক মহোদয়ের নির্দেশনায় এই ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী অতীতের মতো ভবিষ্যতেও যেকোনো সংকটে জনগণের পাশে থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।”

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীরা এই মানবিক উদ্যোগকে গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, দুর্ঘটনার পরপরই বিশুদ্ধ পানির সংকট ছিল সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা; নতুন ট্যাংক স্থাপনের ফলে দৈনন্দিন স্বাভাবিক জীবনযাত্রা দ্রুত পুনরুদ্ধারে সহায়তা মিলবে। এই জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ কড়াইল এলাকার পুনর্বাসন ও পুনর্গঠনের চলমান প্রচেষ্টাকে আরও ত্বরান্বিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আনসারের জোন কমান্ডারগণসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, অঙ্গীভূত আনসার, আনসার ব্যাটালিয়ন এবং টিডিপি সদস্য-সদস্যাগণ।


মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা

হত্যার পর স্কুলড্রেস পরে বেরিয়ে যায় গৃহকর্মী
আপডেটেড ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২৩:৪৪
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি বাসায় গৃহিনী মালাইলা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নাফিসা বিনতে আজিজকে (১৫) হত্যার পর বাথরুমে গোসল করে গৃহকর্মী আয়েশা (২৩)। এরপর মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসার ড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) শাহজাহান রোডের ৩২/২/এ বাসার সপ্তম তলার ৭/বি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, মাত্র চার দিন আগে বাসার দারোয়ান মালেকের মাধ্যমে ওই মেয়েকে আনা হয়। পরে গৃহকর্মী হিসেবে নিহত মালাইলা আফরোজের বাসায় কাজ দেওয়া হয়। তখন নিজের নাম আয়েশা বলে পরিচয় দেয়। পরে মা-মেয়েকে হত্যার পর নিহত নাফিসার স্কুল ড্রেস পরে বের হয়ে যায় সেই মেয়ে।

ভবনের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত মালাইলা আফরোজ (৪৮) গৃহিণী। মেয়ে নাফিসা বিনতে আজিজ মোহাম্মদপুরের প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। নাফিসার বাবা এম জেড আজিজুল ইসলাম পেশায় শিক্ষক। তিনি উত্তরার সানবিমস স্কুলের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক।

ভবনের একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নাফিসার বাবা স্কুলের উদ্দেশে সকাল ৭টার দিকে বের হয়ে যান। সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে বোরখা পরে ওই বাসার লিফটে ওঠে সাত তলায় যায় গৃহকর্মী আয়েশা। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে কাঁধে স্কুল ব্যাগ নিয়ে ড্রেস পরে মুখে মাস্ক লাগিয়ে বের হয়ে যায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাফিসার বাবা বাসায় ফিরে স্ত্রী ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান।

নিহত নাফিসার বাবা আজিজুল ইসলাম বলেন, বাসায় একজন কাজের মহিলা দরকার ছিল। সাধারণত গেটে অনেকে কাজের সন্ধানে আসেন। চার দিন আগে একটি মেয়ে আসে। বোরকা পরিহিত মেয়েটি বাসার দারোয়ান খালেকের কাছে কাজের সন্ধান করলে সে আমাদের বাসায় পাঠিয়ে দেয়। এরপর আমার স্ত্রী মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে কাজে রেখে দেয়।

পরে স্ত্রীর মুখে শুনেছি, মেয়েটার নাম আয়েশা। বয়স আনুমানিক ২০ বছর। তার গ্রামের বাড়ি রংপুর। জেনেভা ক্যাম্পে চাচা-চাচির সঙ্গে থাকে। বাবা-মা আগুনে পুড়ে মারা গেছে। তার শরীরেও আগুনে পোড়ার ক্ষত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মেয়েটা কাজ শুরুর পর প্রথম দুদিন সময়মতো এসেছে। গতকাল সে সাড়ে ৯টার দিকে আসে। আজ কী হয়েছে, এটা তো আর বলার অবস্থায় নেই।

এদিকে ঘটনাস্থল ফ্ল্যাটটিতে গিয়ে দেখা যায়, ফ্ল্যাটের প্রবেশমুখ থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে রক্তের দাগ। বাসার আলমারিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র তছনছ করা।

পুলিশের আরেকটি সূত্র জানায়, মাকে হত্যার পর ওই মেয়েটি দৌড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় হয়তো ইন্টারকমে সিকিউরিটি গার্ডকে ফোন দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সেখানে গিয়ে ইন্টারকমের লাইনটি খোলা পাওয়া যায়। মেয়েটি খুব সুন্দরভাবে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করে বাথরুমে গিয়ে গোসল করে শরীরের রক্ত পরিষ্কার করে নাফিসার স্কুলের ড্রেস পরে নির্দ্বিধায় গেট দিয়ে বেরিয়ে যায়।

তল্লাশি করে বাথরুমে একটি সুইচ গিয়ার ও একটি ধারাল অস্ত্র পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ছুরি দুটি দিয়ে মা-মেয়েকে হত্যা করেছে গৃহকর্মী আয়েশা। এ ঘটনায় ওই বাসার দারোয়ান মালেককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান জানান, পুলিশ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খবর পায়। মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানে নেওয়ার পর মারা যায়। পরে লাশ দুটি সুরতহালের পর ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য পেয়েছি, সেসব যাচাই-বাছাই চলছে।

গৃহকর্মীর প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করছি, হত্যার আগে-পরে তার উপস্থিতি ও অ্যাকটিভিটিজ বিশ্লেষণ করে পরবর্তী তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাব।

বাসার ভেতরের অবস্থার বিষয়ে পুলিশ বলছে, বাসায় ধস্তাধস্তির আলামত রয়েছে, মেঝেতে এবং দেওয়ালে রক্তের দাগ রয়েছে। আলমারি ও ভ্যানিটি ব্যাগ তছনছ অবস্থায় রয়েছে। যা মনে করছি, প্রাথমিকভাবে কিছু খোয়া যেতে পারে। সিসি ক্যামেরা ফুটেজে আমরা একজনকেই দেখেছি, পরে দেখব আশপাশে আরও কেউ ছিল কি না?

তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুটি ধারাল ছুরি উদ্ধার করেছে এবং হত্যাকারী ফ্রেশ হয়েছে বাথরুমে— এমন আলামত পাওয়া গেছে।


কড়াইল অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় আনসার-ভিডিপির ৯ দিনের মানবিক সেবার সমাপ্তি

আপডেটেড ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:৫৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর গুলশানের টিএন্ডটি মাঠে কড়াইল অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ আনসার―ভিডিপির মানবিক সহায়তা কেন্দ্র আজ নয় দিনের সফল সেবা কার্যক্রম সমাপ্ত করেছে। এই সময়ে জরুরি খাদ্য, শীতবস্ত্র ও ধারাবাহিক রান্না করা খাবার বিতরণ কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে।

এছাড়া রবিবার (৭ ডিসেম্বর) মানবিক সেবা কেন্দ্রের শেষ দিনে কড়াইল অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ১,২০০ জন শিশুর মাঝে প্যাকেট গুঁড়া দুধ বিতরণ করা হয়।

আনসার―ভিডিপির ৯ দিনের মানবিক সেবা কার্যক্রম সমাপ্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিদা মাহমুদ।

Caption

জরুরি শিশু খাদ্য বিতরণ কার্যক্রমে অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন,“অগ্নিকাণ্ডের মতো বিপর্যয়ের পর মানুষের মানসিক ও বাস্তবিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কষ্ট লাঘবের প্রয়াসে আমরা আন্তরিক ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও যেকোনো মানবিক দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করছি।”

গত ২৫ নভেম্বর কড়াইল বস্তির ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সহস্রাধিক মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে চরম দুরবস্থায় পড়ে। বাসস্থানহীনতা, শিশু খাদ্য, শীতবস্ত্র ও খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিলে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ‘মানুষ মানুষের জন্য’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২৮ নভেম্বর বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ-এর নির্দেশনায় মানবিক সহায়তা কেন্দ্র চালু করে।

শীতের তীব্রতা বেড়ে গেলে বাহিনী ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৫০০ কম্বল ও ৪০০ জনকে অতিরিক্ত শীতবস্ত্র প্রদান করে। পাশাপাশি নয় দিন ধরে প্রতিদিন দুপুর ও রাতে ২,০০০ জন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়, যাতে তারা অন্তত প্রাথমিক খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।

কড়াইলের সংকটাপন্ন জনপদে বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপির এই সুসমন্বিত, নিবেদিত ও মানবিক সহায়তা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য এক শক্তিশালী ভরসা হয়ে ওঠে—যা তাদের পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতে মনোবল, সাহস ও প্রয়োজনীয় সমর্থন প্রদান করেছে।

এছাড়াও বাহিনীর পক্ষ হতে বস্তিবাসীর ক্ষতিগ্রস্ত সুপেয় পানি সরবরাহ ব্যবস্হার বিকল্প পানি সাপ্লাই পয়েন্ট (Water Supply Point) স্হাপনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে, যা সাধারন বস্তিবাসীদের চিরস্থায়ী পানি সংরক্ষণ ও সরবরাহ নিশ্চিত করবে।

সমাপনী বক্তব্যে এডিজি মহোদয় ঢাকা মহানগর আনসারের পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান গনী, ঢাকা জোনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, ঢাকা মহানগর অঙ্গীভূত আনসার, নগর প্রতিরক্ষা দল (টিডিপি) এবং আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যদের এ ধরনের সেবামুলক কার্যক্রমে নিবেদিত দায়িত্ব পালনের জন্য সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।


‘হাফেজ্জী হুজুর সরণি’ উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কসাইবাড়ি থেকে কাঁচকুড়া বাজার পর্যন্ত উন্নয়ন করা সড়কটির নামকরণ করেছে প্রখ্যাত আলেম ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ইসলামি ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর-এর নামে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) কসাইবাড়ি রেলগেট এলাকায় নব নামকৃত ‘হাফেজ্জী হুজুর সরণি’ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে আলেম-ওলামাদের দীর্ঘদিনের যে ভূমিকা, হাফেজ্জী হুজুর ছিলেন তার অগ্রদূত। একসময় আলেম-ওলামারা শুধু দ্বীনি শিক্ষা প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও তিনি ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলেম সমাজকে যুক্ত করেছেন।

প্রশাসক আরও বলেন, হাফেজ্জী হুজুর কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যক্তি ছিলেন না, দেশের সব আলেম-ওলামার কাছেই তিনি সর্বজন শ্রদ্ধেয়। তার অবদান স্মরণ করেই সড়কটি তার নামে নামকরণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রশাসক জানান, আজমপুর থেকে কলোনি পর্যন্ত উত্তর-দক্ষিণমুখী প্রধান সড়কটি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফের নামে নামকরণ করা হবে।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।


হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নিখুঁত স্ক্রিনিংয়ে ব্যর্থ, চোরাচালানের চেষ্টা

আপডেটেড ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:৪৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্ক্রিনারের সচেতনতা, দায়িত্বশীলতা এবং নিখুঁত স্ক্রিনিংয়ের কারণে চোরাচালানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিমানবন্দরের এক যাত্রীর লাগেজ থেকে ৯৩ হাজার ৯০ ইউরো উদ্ধার করেছে এভিয়েশন সিকিউরিটি (এভসেক)। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে এগুলো উদ্ধার করা হয়। এ সাফল্য বিমানবন্দরের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

এভিয়েশন সিকিউরিটি (এভসেক) বিভাগ সূত্রে জানা যায়, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা এবং যাত্রীসেবায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত এভসেক বিভাগ নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা দিয়ে আসছে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মাদ কাউছার মাহমুদ জানান, সকালে ‘ড’ চেক-ইন রো–তে নিরাপত্তা তল্লাশির সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রোমগামী ফ্লাইট (বিজি–৩৫৫) এর এক বর্হিগামী যাত্রীর লাগেজে লুকানো অবস্থায় ৯৩ হাজার ৯০ ইউরো শনাক্ত করেন কর্তব্যরত এভসেক সদস্যরা। ঘোষণা ছাড়া এতো ইউরো বহন করায় বিষয়টি কাস্টমস বিভাগকে অবগত করে এভসেক। পরে ওই যাত্রীকে আটক করা হয়। উদ্ধার ইউরো বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।


অনলাইনে বিনিয়োগের ফাঁদ, কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন ইনভেস্টমেন্টের প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারকচক্র। পরে অভিযোগ পেয়ে চক্রের সক্রিয় সদস্য নাদিমকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীতে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে গতকাল শুক্রবার বিকালে জানিয়েছে সিআইডি।

সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান বলেন, একটি বেসরকারি ব্যাংকের একজন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসারের হোয়াটসঅ্যাপে অজ্ঞাত নম্বর থেকে একটি বার্তা আসে। বার্তা প্রেরণকারী নিজেকে নাজনীন নামে পরিচয় দিয়ে বলেন, তিনি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম আপ-ওয়ার্কের প্রতিনিধি। বাসায় বসে পার্ট-টাইম কাজের মাধ্যমে আয় করার প্রলোভন দেখালে ভুক্তভোগী সরল বিশ্বাসে প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন।

প্রথমে ইউটিউব সাবস্ক্রিপশনসহ কয়েকটি ছোট অনলাইন টাস্ক করিয়ে ভুক্তভোগীর মোবাইল আর্থিকসেবার (বিকাশ) মাধ্যমে সামান্য অর্থ ১৫০ টাকা, পরে ২ হাজার ১০০ টাকা প্রদান করে আস্থা তৈরির চেষ্টা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এরপর তাকে @upworkfrontdesk2013 নামে একটি টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত করা হয়, যেখানে ভুয়া সদস্যরা অভিনয় করছিলেন যে, তারা নিয়মিত কাজ করে বড় অঙ্কের অর্থ উপার্জন করছেন।

ভুক্তভোগীর বিশ্বাস আরও বৃদ্ধি পায়। পরবর্তী ধাপে বড় টাস্কের কথা বলে প্রতারকরা ক্রিপট অ্যাকাউন্ট খুলতে ২ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে বলে। এরপর জানানো হয়, আরও ৩ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে তার ব্যালেন্স ৭ হাজার টাকা জমা হবে এবং তিনি অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। ভুক্তভোগী টাকা পাঠানোর পর তাকে ভিআইপি টাস্ক গ্রুপে যুক্ত করা হয়। গ্রুপে দেখানো হয় যে— সবার ক্রিপট অ্যাকাউন্টে ৭ হাজার টাকা জমা রয়েছে।

জসীম উদ্দিন আরও বলেন, ভুক্তভোগী এই টাকা উত্তোলন করতে চাইলে তাকে জানানো হয়, ক্যাশ আউটের জন্য আরও ১৫ হাজার ৮০০ টাকা দিতে হবে। সরল বিশ্বাসে তিনি এই টাকা দেন। তবে ব্যালেন্সে অসঙ্গতি দেখা দিলে তিনি বিষয়টি জানতে চাইলে নতুন টাস্ক ও নতুন শর্ত আরোপ করা হয়। এভাবে একের পর এক টাস্ক, বড় লাভের লোভ এবং ভুয়া হিসাব দেখিয়ে প্রতারক চক্রটি বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে মোট ১ কোটি ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৩০৫ টাকা হাতিয়ে নেয়।

পরে ভুক্তভোগী গত মে মাসে ডিএমপি লালবাগ থানায় একটি মামলা করলে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি। এরপর বৃস্পতিবার নাদিমকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। এ সময় তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন, এনআইডিসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করা হয়েছে।


কড়াইল বস্তিতে আগুনের ১০ দিন, এখনও খোলা আকাশের নিচে ক্ষতিগ্রস্তরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বনানীতে কড়াইল বস্তিতে আগুন লেগেছিল ২৫ নভেম্বর। আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে গিয়েছিল অনেকের শেষ সম্বল, স্বপ্ন। তবে ঘটনার ১০ দিন পার হলেও এখনো খোলা আকাশের নিচে দিনযাপন করছেন ক্ষতিগ্রস্ত কড়াইল বস্তিবাসী। অর্থের অভাবে তুলতে পারছেন না ঘর। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, এনজিও এবং ব্যক্তি উদ্যোগে খাদ্য সহায়তা ও ত্রাণ দেওয়া হলেও তা বস্তিবাসীর জন্য অপ্রতুল। এদিকে, আগুনে ছাই হয়ে গেছে ‘মায়ের দোয়া বিদ্যানিকেতন ও হাইস্কু।’ ফলে থমকে গেছে ৪০০ শিক্ষার্থীর পড়াশোনা।

বস্তিতে গিয়ে দেখা গেছে, বৌ-বাজার এলাকার দরিদ্র সন্তানদের এক দশকের বেশি সময় ধরে আলো ছড়ানো স্কুলটির পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। স্কুল ভবনের নিচতলায় রয়েছে শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের বসার কক্ষ। সেখানে বসে ছিলেন দুইজন শিক্ষক। তাদের পাশেই বসা ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. মনির হোসেন।

কথা হলে তিনি বলেন, ‘তিন তলাবিশিষ্ট স্কুল ভবনের তিন তলায় ছিল স্টোর রুম। সেইসঙ্গে ছিল চারটি শ্রেণিকক্ষ। ভয়াবহ আগুনে ওপরের অংশে থাকা চেয়ার-টেবিল ও বই-খাতাসহ সবটাই পুড়ে গেছে। এছাড়া স্কুল ভবনের দেয়ালেও দেখা দিয়েছে ফাটল। ফলে ভবনটির সংস্কার করা প্রয়োজন। কিন্তু টাকার অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে সাড়িয়ে তোলার চেষ্টা চলছে।’

প্রধান শিক্ষক জানান, স্কুলে অধ্যয়নের জন্য বেতন নেওয়া হচ্ছে শ্রেণিভেদে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। সেইসঙ্গে ১২০ জন শিক্ষার্থীকে ফ্রিতে পড়ানো হচ্ছে। তাদের বই-খাতাসহ সবকিছুই স্কুল কর্তৃপক্ষ বহন করছে। আগুনে পুড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হচ্ছে। বছরের ফাইনাল পরীক্ষাও হচ্ছে না। আগুন লাগার পর থানা শিক্ষা অফিসারকে পুরো বিষয়সহ ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সাহায্য-সহযোগিতা পাইনি।’

এদিকে, কড়াইল বস্তির বৌ-বাজার ইউনিটের আগুন নিভলেও তাপ এখনো স্পষ্ট দুই হাজারের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের চোখেমুখে। সব হারিয়ে অসহায় তারা। খোলা আকাশের নিচে করছেন বসবাস। কেউ কেউ আবার পরিচিতজনদের বাসায় আবার কেউবা অবস্থান করছেন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে।

যেখানে একসময় ছিল রঙিন টিনের ছাপরা, আধা-পাকা দোতলা ঘর। এখন সেখানে ছাই, পোড়া বাঁশ আর মানুষের আর্তনাদ। ঘরগুলো এখন এক টুকরো স্মৃতিও নেই।

বস্তির ‘খ’ ব্লকের বাসিন্দা আশরাফ উদ্দিন জানান, তিনি ব্লাড ক্যান্সারের রোগী। কাজ করতে পারেন না। স্ত্রী সেলাইয়ের কাজ করে সংসার চালান। আগুনে অন্য বস্তিবাসীর মতো তার ঘরটিও পুড়ে গেছে। সেইসঙ্গে পুড়েছে ঘরে থাকা আয়ের একমাত্র সম্বল সেলাই মেশিনসহ অন্য আসবাবপত্রও। সব হারানোর পর এখন তার সম্বল শুধু পরনের কাপড়টুকুই।

বস্তির অপর বাসিন্দা শ্যামলী বেগম জানান, পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই বাঁচাতে পারেননি তিনি। চোখের সামনেই সবকিছু পুড়ে গেছে। তারা অন্যদের পাশে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।

পুড়ে যাওয়া বস্তি ঘুরে দেখা গেছে, আগুনে জীবনের ভিত্তিমূল ও সঞ্চয় হারিয়ে মানুষজন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকছেন। মাথার ওপরে টাঙিয়েছেন কাপড় বা ত্রিপল। কেউ ফুটপাতের ধার ধরে বিছানা পেতে আছেন, কেউ আবার খালি ভিটায় মাদুর পেতে অস্থায়ী আশ্রয় নিয়েছেন। পুড়ে যাওয়া ঘরগুলোর ছাইগুলো শুধু সরেছে। বস্তির পাশের ড্রেনগুলো পোড়া আবর্জনায় ভরে গেছে। পরিষ্কার করা হয়নি এখনো। এতে দেখা দিয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।

বনানী থানার ওসি রাসেল সরওয়ার বলেন, আগুন নির্বাপণের পর খোলা আকাশের নিচে থাকায় তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে পুলিশ। দিন ও রাতে পালাক্রমে পুলিশ সদস্যরা সেখানে নিরাপত্তা দিচ্ছেন।


এভারকেয়ারের কাছে হেলিকপ্টার ওঠানামা করবে, বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ

আপডেটেড ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের কাছের দুটি মাঠে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার পরীক্ষামূলকভাবে অবতরণ-উড্ডয়ন করবে। তাই এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সরকার তাঁকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করার পর এসএসএফ নিরাপত্তা দেওয়া শুরু করেছে। গত মঙ্গলবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে এসএসএফ সদস্যরা খালেদা জিয়াকে নিরাপত্তা দেওয়া শুরু করেন।

প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসএসএফের নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে এভারকেয়ার হাসপাতালের কাছের দুটি উন্মুক্ত মাঠে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার পরীক্ষামূলকভাবে অবতরণ ও উড্ডয়ন করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ বিষয়ে কোনো ধরনের অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।


মেয়াদ বাড়ল মেট্রোরেল প্রকল্পের, ব্যয় কমল ৭৫৪ কোটি টাকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্প ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (এমআরটি লাইন-৬) ব্যয় ৭৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা কমল। তবে প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে আরও তিন বছর।
গতকাল সোমবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘এমআরটি লাইন-৬’ প্রকল্পের তৃতীয় সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদিত হয়েছে।
এই প্রস্তাবে প্রকল্প ব্যয় দ্বিতীয় সংশোধিত ডিপিপি থেকে ৭৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা কমিয়ে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২ হাজার ৭১৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
২০১২ সালে প্রকল্পের প্রস্তাবে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার ব্যয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ১২ বছর মেয়াদি প্রকল্পটির মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত লাইন বাড়ানোর কারণে ২০২২ সালে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকায়। তবে সর্বশেষ সংশোধনে প্রকল্পের ব্যয়ে সরকারের অংশ কমে ১২ হাজার ৫২১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা এবং জাইকার ঋণ বেড়ে ২০ হাজার ১৯৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকায় নির্ধারিত হয়েছে।
প্রস্তাবিত সংশোধন অনুযায়ী প্রকল্পের মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়িয়ে ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম ইনস্টলেশন, টেস্টিং, ডিফেক্ট নোটিফিকেশন পিরিয়ড ও নতুন ২৪টি ট্রেন সেটের মেজর ওভারহলিং সম্পন্ন করতে মেয়াদ বাড়ানো অপরিহার্য—ডিএমটিসিএল এমন ব্যাখ্যা দিয়েছে।
ব্যাখ্যা অনুসারে, মেট্রোরেলের বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে প্লাজার কথা ভাবা হয়েছিল। পরে পর্যালোচনায় লাভজনক নয় বলে বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ বড় অঙ্কের টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।
এ বিষয়ে মেট্রোরেল-৬ (দক্ষিণ)-এর প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল ওহাব বলেন, প্রকল্প পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বাদ দেওয়া স্টেশন প্লাজাগুলোর খুব বেশি প্রয়োজন নেই।
গত নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব (আরডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে সংশোধন অনুমোদনের সুপারিশ করেছে পরিকল্পনা কমিশন।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকায় পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ গণপরিবহনব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে যানজট সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে বিধায় প্রকল্পটি মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ডিপিপিতে রোলিং স্টকস ও ইকুইপমেন্টে ৫৬১ কোটি ১৭ লাখ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। একইভাবে জেনারেল কনসালটেন্সি সার্ভিসে ২২০ কোটি ২৮ লাখ টাকা, ইঅ্যান্ডএম সিস্টেমে ২৮৮ কোটি ৬৭ লাখ, ডিপো ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বাবদ ৪৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
অন্যদিকে বিজয় সরণি, ফার্মগেট, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মতিঝিল স্টেশন প্লাজা বাদ দেওয়ায় ভূমি অধিগ্রহণ খাতে ব্যয় কমেছে ১ হাজার ২১১ কোটি ৭১ লাখ টাকা, চারটি স্টেশন প্লাজার কাজ বাদ দেওয়ায় আরও ১৬৪ কোটি ৭২ লাখ, মেইন লাইনের সিভিল ও স্টেশন ওয়ার্কে (সিপি-০৬) ব্যয় কমেছে ১১৬ কোটি এবং ইআরএমসি (সিপি-০৯) ব্যয় কমেছে ৯০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত উত্তরা-মতিঝিল অংশের কাজের অগ্রগতি ৯৯ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং মতিঝিল-কমলাপুর অংশের অগ্রগতি ৬৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।


আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবর গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ

বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ব্যাপক গুরুত্ব পেয়েছে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ৮০ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া ২৩ নভেম্বর ফুসফুস সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খানকে উদ্ধৃত করে এএফপি জানিয়েছে, তিনি ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’ অবস্থায় রয়েছেন এবং চিকিৎসকরা তাঁর শারীরিক অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।

এএফপি আরও জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। সেজন্য একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সংস্থাটি তাঁর একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতার কথা উল্লেখ করেছে, যার মধ্যে রয়েছ—হৃদরোগ, লিভার ও কিডনির সমস্যা, ডায়াবেটিস, ফুসফুসের জটিলতা, বাত এবং চোখের অসুস্থতা।

লন্ডন থেকে বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান জাতির কাছে মায়ের সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এমন সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ স্পর্শ পাবার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যেকোনো সন্তানের মতো আমারও আছে। কিন্তু অন্য আর সকলের মতো সেটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত নয়। স্পর্শকাতর বিষয়টিতে বিস্তারিত বর্ণনার অবকাশও সীমিত।’

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ. জেড. এম. জাহিদ হোসেনকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, খালেদা জিয়া ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

এএফপি’কে উদ্ধৃত করে গালফ নিউজ একই ধরনের তথ্য প্রকাশ করেছে। দ্য ডন নিউজ এবং আরব নিউজ তার অবনতিশীল স্বাস্থ্য নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

আরব নিউজ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, বেগম জিয়ার অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’।

ভারতের এনডিটিভি তাদের প্রতিবেদনের শিরোনামে লিখেছে—‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি’।

এ ছাড়া, টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য হিন্দু এবং হিন্দুস্তান টাইমসও এ খবরটি গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছে।

এদিকে, শনিবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে এক ব্রিফিংয়ে ডা. এ. জেড. এম. জাহিদ হোসেন বলেন, বেগম জিয়ার অবস্থা গত তিন দিন ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে।

তিনি বলেন, বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে এবং অনুমোদন পাওয়া মাত্র তাকে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। তার পরিবারের সদস্যরা ও বিএনপি নেতারা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সুস্থতার জন্য জাতির কাছে দোয়া চেয়েছেন। সূত্র: বাসস


ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ধানমন্ডি এলাকায় ডিএসসিসির বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বসতবাড়ির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা উপর গুরুত্বারোপ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃক আজ ডিএসসিসি'র ১৫ নং ওয়ার্ড ধানমন্ডি এলাকায় বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ডিএসসিসি প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান, এনডিসি এ অভিযানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার-সকাল ০৬:০০ ঘটিকায় শুরু হওয়া এ বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের নয় শতাধিক পরিচ্ছন্নতা ও মশক কর্মী এবং স্থানীয় জনগণ অংশগ্রহণ করেন। পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ হিসেবে লেক, ড্রেন, নর্দমা ও ফুটপাতের ময়লা পরিষ্কার ও মশার ঔষধ প্রয়োগ করা হয়। এছাড়া, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্থানীয় বাসিন্দাদের সামাজিক সংগঠন ধানমন্ডি সোসাইটি ও ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা করদাতা সমিতির অংশগ্রহণে জনসচেতনতামূলক র‍্যালি এবং লিফলেট বিতরণ করা হয়।

পরিচ্ছন্নতা প্রোগ্রাম চলাকালীন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ডিএসসিসি প্রশাসক বলেন, "সিটি কর্পোরেশনের কাজের সাথে নগরবাসীর সম্পৃক্ততার মাধ্যমে প্রতিটি অঞ্চলের নিজস্ব
প্রত্যাশা, চাহিদা ও পরামর্শ সম্পর্কে আমরা জানতে পারি এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করে ফলপ্রসূ কাজ করতে পারি।" সুন্দর, বাসযোগ্য, পরিচ্ছন্ন, মশা ও দূষনমুক্ত নগর গড়ার প্রত্যাশা করে প্রশাসক বাসাবাড়ি, দোকান, বিপনি-বিতানের ময়লাগুলো যত্রতত্র না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার ক্ষেত্রে নগরবাসীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো: জহিরুল ইসলামসহ বিভাগীয় প্রধানগণ এবং স্থানীয় সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


ডেমরায় সেনা অভিযানে নকল সার ও বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ডেমরায় সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে একটি অবৈধ কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ নকল সার ও বিষাক্ত রাসায়নিক জব্দ করেছে।

বুধবার রাতে ডেমরার সানাড়পাড় এলাকায় একটি অবৈধ কারখানায় নবম পদাতিক ডিভিশনের অধীনস্থ ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেডের ইউনিট ১৫ ইবি (মেক) এর বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে এক ম্যানেজার ও দুইজন কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে।

নবম পদাতিক ডিভিশনের অধীনস্থ ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেডের ইউনিট ১৫ ইবি (মেক) এর এক কর্মকর্তা জানান, অভিযানে মিডল্যান্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে বিপুল পরিমাণ নকল সার ও কীটনাশক উদ্ধার করা হয়েছে। কারখানাটিতে এসব নকল পণ্য বিদেশি কোম্পানির নামে মোড়কজাত ও বাজারজাত করা হতো। প্রায় ৮ লাখ টাকার পণ্যসহ কারখানার ম্যানেজার ও দুই কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। পরে জব্দকৃত মালামাল ও আটক ব্যক্তিদের ডেমরা থানায় হস্তান্তর করা হয়।


banner close