বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
২৯ কার্তিক ১৪৩২

অবৈধ মাদকের হটস্পট কারওয়ান বাজার রেলপথ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ০০:৩৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ০০:৩৩

মাদক ও ইয়াবার হটস্পট হিসেবে পরিচিত রাজধানীর কারওয়ান বাজারের রেলওয়ে এলাকা। এখানে ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ীরা রাস্তায় অপরাধীদের দৃষ্টি আকর্ষণে নানা কৌশল প্রয়োগ করে চালাচ্ছেন মাদকের ব্যবসা। এর একটি হলো- ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে তারা বলে থাকেন ‘'তামাক-বাবা' লাগবে কি?

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) শিথিল মনোভাবের কারণে এলাকাটিতে প্রকাশ্যে ও অবাধে চলছে অবৈধ মাদকদ্রব্য বিক্রি।

সম্প্রতি কারওয়ান বাজার রেলওয়ে এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মাদক বিক্রির জন্য ক্রেতাদের অপেক্ষা করছেন মাদককারবারীরা। আরও ক্রেতারাও প্রকাশ্যে তাদের কাছে কিনছেন মাদক। যেন জমে ওঠা একটি হাট-বাজার!

পঞ্চাশোর্ধ্ব এক মাদক ব্যবসায়ী ঝর্ণা পরিচয় দিয়ে একটি ইউএনবির সংবাদদাতার কাছে গিয়ে জানতে চান, ‘তামাক-বাবা’ লাগবে কি না।

ওই সংবাদদাতা কী বোঝাতে চেয়েছেন- তা বুঝতে পারছেন না বলে জবাব দিলে ঝর্ণা ব্যাখ্যা করেন, তামাক মানে গাঁজা। যা গাঁজা বা হেম নামেও পরিচিত এবং বাবা অর্থ নিষিদ্ধ ইয়াবা বড়ি।

সাংবাদিক দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি ছোট প্যাকেট গাঁজা ১০০ টাকা এবং একটি ইয়াবা বড়ির দাম ৩০০ টাকা।

এরই মধ্যে আনুমানিক ৬০ বছর বয়সি এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলে এসে তার (প্রতিবেদকের) কাছে জানতে চান, তার হেরোইন লাগবে কি না? যার দাম পড়বে ৩০০ টাকা।

তাদের কাছ থেকে এলাকায় অবৈধ মাদক ব্যবসার বিষয়ে কিছু তথ্য পেতে ওই প্রতিবেদক ওই নারীর কাছ থেকে এক পুরিয়া গাঁজা কেনেন। তার সঙ্গে আলাপকালে ঝর্ণা বলেন, এই অঞ্চলে বেশ কিছু নারী ও যুবক অবৈধ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং তাদের নিয়ন্ত্রণকারী বেশ কয়েকজন লাইনম্যানও আছেন।

সেখানে পুলিশ, র‌্যাব বা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা ততটা সক্রিয় নয়। কিন্তু যখন তারা তা করে, বেশির ভাগ সময় তারা কোনো না কোনোভাবে আগাম সতর্কতা পায়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বছরের পর বছর মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসংখ্য অভিযান সত্ত্বেও ঢাকা মহানগরীর কারওয়ান বাজার রেলওয়ে এলাকা অবৈধ মাদক বিক্রির প্রধান হটস্পট হিসেবেই রয়ে গেছে। মাদক ব্যবসায়ীরা দায়মুক্তি নিয়ে কাজ করায় তারা ক্রমেই হতাশ হয়ে পড়ছেন।

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, রেললাইনের ধারে, বিশেষ করে পাইকারি মাছের বাজার এলাকায় শিশু ও নারী মাদক ব্যবসায়ীরা গোপনে অবৈধ মাদক বিক্রি করেন।

এ ছাড়া তেজগাঁও রেলক্রসিং পর্যন্ত রেললাইনের বিভিন্ন অংশ একাধিক অপরাধী চক্র নিয়ন্ত্রণ করছে বলে জানা গেছে। এমন অভিযোগও রয়েছে যে এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে কয়েকটি স্থানীয় ডিএনসি কর্মকর্তাসহ কিছু আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের সুরক্ষা বা মৌন সম্মতি পান, যা এই অবৈধ ব্যবসাকে বন্ধ করার প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করে তুলেছে।

সমস্যাটি নিয়ন্ত্রণে বড় আকারের অভিযানসহ নানা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এলাকায় মাদক ব্যবসা অব্যাহত রয়েছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালের মে মাসে এলাকায় মাদক ব্যবসা গুঁড়িয়ে দিতে প্রায় এক হাজার সদস্যের একটি বড় দল নিয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। তবে গোপনীয়তার অভাবের জন্য এই অভিযানটি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিল। কারণ কর্তৃপক্ষ প্রকাশ্যে আগাম অভিযানের ঘোষণা দেওয়ায় মাদক ব্যবসায়ীদের পালানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় পেয়েছিল।

যদিও ৪৭ জনকে আটক করা হয়েছে, তবে অনেকে দিনমজুর বা রাস্তার বিক্রেতা বলে জানা গেছে। যাদের অবৈধ মাদক ব্যবসার সঙ্গে কোনো স্পষ্ট সংযোগ নেই। এতে নিরপরাধ ব্যক্তিদের অকারণে ক্ষতিগ্রস্ত করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

পরে ২০২৪ সালের শুরুর দিকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) আরেকটি অভিযান চালালেও তাতেও সীমিত ফল পাওয়া যায়। আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ইয়াবা এবং গাঁজা জব্দ করেছে। তবে সমালোচকদের দাবি, এই অভিযানগুলোতে মাদক ব্যবসায়ীদের নেটওয়ার্কগুলো ভেঙে ফেলার জন্য ধারাবাহিক পদক্ষেপ বা দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের ঘাটতি রয়েছে। মাঝেমধ্যে শীর্ষ ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার এবং জব্দ হওয়া সত্ত্বেও এই অঞ্চলে মাদক ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠছে।

চলমান মাদক ব্যবসার সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। প্রকাশ্যে মাদক বিক্রয় এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতায় বাড়াচ্ছে। এর ফলে কিছু ব্যবসা তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায় বা স্থানান্তরিত হয়। আশপাশের পিতা-মাতারাও শিশু এবং তরুণদের ওপর প্রভাব সম্পর্কে উদ্বিগ্ন, যারা প্রায়ই এই ব্যবসার সংস্পর্শে আসে।

কারওয়ান বাজার এলাকার ব্যবসায়ী সালামত উল্লাহ বলেন, অবৈধ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে অবৈধ বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, অবৈধ মাদক ব্যবসা বন্ধে এবং কারওয়ান বাজার রেলওয়ে এলাকায় শৃঙ্খলা ফেরাতে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে আরও ভালো সমন্বয়, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং কমিউনিটির সম্পৃক্ততাসহ ব্যাপক সংস্কার আবশ্যক।

এ বিষয়ে র‌্যাব-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি খলিদুল হক হাওলাদার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

কারওয়ান বাজার রেললাইন এলাকায় প্রকাশ্যে অবৈধ মাদক বিক্রির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ডিএনসির মহাপরিচালক খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মাদক ব্যবসা রোধে ডিএনসির অপারেশনাল টিম ওই এলাকায় ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শুধু অভিযান চালিয়ে অবৈধ মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, বরং চাহিদা কমানো প্রয়োজন। চাহিদা বাড়লে সরবরাহ বাড়বে। চাহিদা কমাতে তারা সারা দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নানা মোটিভেশনাল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছে।

ডিএনসি মহাপরিচালক বলেন, অভিভাবকদের পারিবারিক পর্যায়ে তাদের সন্তানদের সম্পর্কে সচেতন হতে হবে, যাতে তারা (শিশুরা) মাদকাসক্তিতে জড়িয়ে না পড়ে।

কারওয়ান বাজারের অবৈধ মাদকের হটস্পট সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন ইউএনবিকে বলেন, গত ৩ থেকে ৪ মাসে তারা অন্তত ৫০ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছেন।

এ ছাড়া ডিএমপির গোয়েন্দা শাখাও (ডিবি)মাঝেমধ্যে অভিযান চালায়। এত কিছুর পরও অবৈধ মাদকের ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠছে।

ওসি বলেন, মাদকের অবৈধ ব্যবসা রোধে বড় ধরনের অভিযান চালানোর পাশাপাশি সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ দল প্রস্তুত রাখার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

সূত্র: ইউএনবি


রাজধানীতে আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৩৪ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১৩:৫৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৩৪ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

সোমবার ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক ক্ষুদেবার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল পরিকল্পনা, অর্থায়ন ও অংশগ্রহণকারী কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরও ৩৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।


রাজধানীতে দুই বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মেরুল বাড্ডা ও শাহজাদপুর এলাকায় দুটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। দুটি বাসই ভিক্টর পরিবহনের। কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে আগুন দিয়েছে সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে একটি ও মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে দুটি ককটের বিস্ফোরণ ঘটেছে। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

আজ ভোরে দুটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের মোট ৪টি ইউনিট দুটি বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, আজ ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে আমাদের কাছে সংবাদ আসে রাজধানীর মেরুল বাড্ডা ও শাহজাদপুর এলাকায় ভিক্টর পরিবহনের দুটি বাসে আগুন দেয়া হয়েছে। পরে আমাদের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বাসে কিভাবে আগুন লেগেছে তা আমরা জানি না। এখনও আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো সংবাদ বা তথ্য আসেনি। এ ছাড়া কেউ হতাহত হয়েছে এমন তথ্য পাওয়া যায়নি।


প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষকদের সচিবালয়মুখী মিছিলে পুলিশের বাধা

আপডেটেড ৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:৫৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঁচ দফা দাবি আদায়ে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সচিবালয় অভিমুখী মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ।

আজ রোববার দুপুর দেড়টার দিকে প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শিক্ষকরা মিছিল নিয়ে পল্টন মোড় ঘুরে এসে সচিবালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ তাদের সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেটের সামনে আটকে দেয়।

আটকে দেওয়ার পর শিক্ষকদের ৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সচিবালয় যান। তারা হলেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মো. ইলিয়াস রাজ, মুখ্য সমন্বয়ক গাউসুল আজম শীমু, সাধারণ সম্পাদক মোছা. রিমা খাতুন, সমন্বয়ক এম এ সালাম, মো. আসাদুজ্জামান, অ্যাড. আনোয়ার হোসাইন।

শিক্ষকদের দাবি

১. অনতিবিলম্বে সব বিশেষ (অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তি সুনিশ্চিত করতে হবে।

২. সব বিশেষ বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো সুনিশ্চিত করতে হবে।

৩. বিশেষ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি ৩ হাজার টাকা নিশ্চিত করতে হবে।

৪. শিক্ষার্থীদের মিডডে মিলসহ উচ্চ উপকরণ, খেলাধুলা সরঞ্জাম প্রদান ও থেরাপি সেন্টার বাস্তবায়ন করতে হবে।

৫. ছাত্র-ছাত্রীদের ভোকেশনাল শিক্ষা কারিকুলামের আওতায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পুনর্বাসন সুনিশ্চিত করতে হবে এবং সব চাকরি ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নির্ধারিত কোটা সুনিশ্চিত করতে হবে।


রাজধানীতে ডিবির অভিযানে আওয়ামী লীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান কাজী এমদাদুল হক দুলালসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন— বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী এমদাদুল হক দুলাল (৬০), হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইসমাইল মিয়া (৩৭) এবং পল্লবী থানা ৫ নম্বর ওয়ার্ড ডি-ব্লক ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক যুবলীগ নেতা মো. আব্দুস সালাম খোকন ওরফে নায়রা খোকন (৬০)।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গতকাল বিকেল আনুমানিক ৩টা ১৫ মিনিটে মতিঝিল বিভাগের একটি দল খিলগাঁও থানার এলাকায় অভিযান চালিয়ে কাজী এমদাদুল হক দুলালকে গ্রেপ্তার করে। একই দিন দুপুর আনুমানিক ১২টা ৪৫ মিনিটে পল্টন থানা এলাকা থেকে মোহাম্মদ ইসমাইল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-মতিঝিল বিভাগ। অন্যদিকে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে মিরপুর বিভাগের একটি দল পল্লবী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. আব্দুস সালাম খোকন ওরফে নায়রা খোকনকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি আরও জানান, নায়রা খোকন পল্লবীর এমপি ইলিয়াস মোল্লার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ঝটিকা মিছিলের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করতেন।

যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান।


স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার পর গৃহবধূর আত্মহত্যা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বনানী এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে মোনালিসা মুন্নি (২০) নামে এক গৃহবধূ ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি পরিবারের। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে বনানীর নিয়াজুদ্দিন এলাকার একটি টিনশেড বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত মোনালিসা লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চর কাশিয়া গ্রামের হারুন অর রশিদের মেয়ে। তিনি স্বামী রানার সঙ্গে বনানীর ওই টিনশেড বাসায় ভাড়া থাকতেন।

মোনালিসার স্বামী রানা বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে কথা কাটাকাটি চলছিল। একপর্যায়ে মোনালিসা রাগ করে নিজ ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখি, সে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, চিকিৎসকের বরাত দিয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে যে মোনালিসা ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেছেন। লাশ মর্গে রাখা হয়েছে এবং বিষয়টি বনানী থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।


নভেম্বরে গণভোটের দাবিতে উত্তাল পল্টন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় নির্বাচনের আগে নভেম্বরে ‘গণভোট’ অনুষ্ঠানের দাবিসহ মোট পাঁচ দফা দাবি আদায়ে মিছিল নিয়ে রাজধানীর পল্টনে জড়ো হয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর হাজারও নেতাকর্মী।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার পর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের একটি মিছিল মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়ে সমাবেশে মিলিত হয়। একইভাবে মহানগর উত্তরের মিছিলটিও নয়াপল্টন হয়ে একই স্থানে আসে। এখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলের শীর্ষ নেতাদের বক্তব্য শেষে এই মিছিল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ‘যমুনার’ অভিমুখে যাত্রা শুরু করবে বলে জানা গেছে।

এই কর্মসূচিতে জামায়াতের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির ব্যানারেও আলাদা আলাদা মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা পল্টন মোড়ে আসেন।

জামায়াতের এই পাঁচ দফা দাবির মধ্যে আরো রয়েছে-

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ বাস্তবায়নের আদেশ জারি, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে রাজনৈতিক হয়রানি ও গ্রেফতার বন্ধ, নির্বাচনে সব দলের সমান সুযোগ এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমে বাধাহীনতা নিশ্চিত করা। আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি জানিয়ে জামায়াত আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারকে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা জানান।

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ এই কথা জানান। হামিদুর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমরা লিখিতভাবে আমাদের দাবি তুলে ধরবো। এ জন্য এসব দাবি আগের মতোই একেবারে সুস্পষ্ট। অর্থাৎ গণভোট যেন অবশ্যই নির্বাচনের আগে হয় এবং পৃথক দিবসে হয়।’


রাজধানীর যেসব সড়ক এড়িয়ে চলবেন আজ, তীব্র যানজটের শঙ্কা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর প্রগতি সরণিতে ঢাকা ওয়াসার পাইপলাইন স্থাপন কাজের কারণে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ওই এলাকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানজটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ওয়াসার বাস্তবায়নাধীন “ঢাকা এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্পের” প্যাকেজ–৩.১ (ডিস্ট্রিবিউশন রিইনফোর্সমেন্ট পাইপলাইন) এর আওতায় এই কাজ শুরু হচ্ছে।

ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক ওয়াহিদুল ইসলাম মুরাদের স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ বিভিন্ন ব্যাসের (১৬০০ থেকে ৫৬০ মিলিমিটার) ডিআই ও এইচডিপিই পাইপলাইন স্থাপন করা হবে।

আজ থেকে কাজ শুরু হবে সেকশন–ডি (প্রগতি সরণির নতুন বাজার থেকে রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত) এবং সেকশন–ই (নতুন বাজার থেকে কাকলী পর্যন্ত) অংশে।

কাজ চলাকালীন সময়ে রামপুরা ব্রিজ থেকে শুরু করে প্রতি ৪০০ মিটার অন্তর সড়কের মিডিয়ান বরাবর উভয় পাশে ৩ মিটার করে দুই লেনে যান চলাচল বন্ধ থাকবে। ফলে ওই পথে যানবাহনের গতি কিছুটা মন্থর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে ওয়াসা জানিয়েছে, সার্বক্ষণিক যান চলাচল অব্যাহত থাকবে, এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-এর সহায়তায় যথাযথ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাত্রার আগে যথেষ্ট সময় নিয়ে বের হতে এবং প্রয়োজনে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে।

পাশাপাশি, প্রগতি সরণিতে চলাচলরত সব যানবাহনকে নির্দেশিত লেন ও গতিসীমা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কাজ চলাকালীন সাময়িক অসুবিধার জন্য সংস্থাটি দুঃখ প্রকাশ করছে এবং নাগরিক সহযোগিতা কামনা করছে।


ঢাকার যে ৯ এলাকায় আজ বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বাড়ছে রাজধানীর বাতাসে দূষণের মাত্রা। বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৬ শহরের তালিকায় শীর্ষ ১৫ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। এরমধ্যে রাজধানীর ৯ এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি। বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৯টায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার সূচক থেকে এ তথ্য জানা যায়।

আইকিউএয়ার বাতাসের মান নিয়ে লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক প্রকাশ করে। যা একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি সতর্ক করে। বুধবার সকাল সোয়া ৯টায় আইকিউএয়ার সূচকে সবার ওপরে আছে প্রতিবেশী ভারতের কলকাতা।

শহরটির বাতাসের মানের স্কোর ২৬৭। বাতাসের এই মান নাগরিকদের জন্য ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পাশাপাশি তালিকার শীর্ষ ২ নম্বরে অবস্থান করছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। শহরটির বাতাসের মানের স্কোর ২০৯। এই মানও নাগরিকদের জন্য ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’।

এদিকে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষ ৩ নম্বরে আছে ভারতের দিল্লি। ২০৭ স্কোর নিয়ে শহরটির বাতাসও আজ নাগরিকদের জন্য ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’। অন্যদিকে তালিকার শীর্ষ ১৫ নম্বরে ১২৪ স্কোর নিয়ে আছে রাজধানী ঢাকা।

বাতাসের এই মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর নাগরিকদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই অবস্থায় জানালা বন্ধ রাখার পাশাপাশি সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মানুষদের ঘরের বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে আইকিউএয়ার।

এদিকে বুধবার সকালে রাজধানীর ৯ এলাকায় দূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। এই এলাকাগুলো হলো- মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং, দক্ষিণ পল্লবী, কল্যাণপুর, মাদানী এভিনিউয়ের বে’জ এইজ ওয়াটার, পুরান ঢাকার বেচারাম দেউড়ি, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, তেজগাঁওয়ের শান্তা ফোরাম ও আইসিডিডিআরবি ভবন এলাকা এবং গোড়ান।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। পাশাপাশি ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর।

অন্যদিকে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে ধরা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।


শাহজাহানপুরে ভাড়া বাসায় মিলল বস্তাবন্দি মরদেহ, কথিত স্বামী পলাতক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর শাহজাহানপুরের ভাড়া বাসা থেকে সুরভী আক্তার মাহফুজা (২১) নামে এক নারীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি পেশায় একজন পোশাক শ্রমিক ছিলেন। এই ঘটনার পর থেকে তার কথিত স্বামী আজিজুর রহমান পলাতক।

সোমবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৯টার দিকে ৪৩৯/এ শাহজাহানপুরের বকশীবাগের দ্বিতীয়তলা ভবনের নিচতলার ভাড়া বাসার কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মধ্যরাতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মৃত সুরভী আক্তার শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার জয়নগর গ্রামের নুরুল হক খানের মেয়ে। বর্তমানে শাহজাহানপুর বকশিবাগের বাসায় ভাড়া থাকতেন।

শাজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মহসিন তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরে সেখান থেকে প্লাস্টিকের বস্তাবন্দি অবস্থায় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করি এবং ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।

এসআই আরও জানান, ঘটনাস্থলে আশেপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে আমরা জানতে পেরেছি, চলতি মাসের ১ নভেম্বর স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে তারা বকশিবাগের ওই বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন। আশেপাশের লোকজন আমাদেরকে আরো জানায়, তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো। হয়ত বা পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। ঘটনার পর থেকে নিহত নারীর কথিত স্বামী আজিজুর রহমান পলাতক রয়েছেন। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ যারা যাবে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


গুলশানে অনুমোদন পেল নতুন অভিজাত ‘গুলশান সাউথ ক্লাব’

আপডেটেড ৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:৫০

রাজধানীর গুলশানে আরও একটি নতুন অভিজাত ক্লাবের যাত্রা শুরু হলো। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন রেজিস্টার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি অ্যান্ড ফার্মস থেকে ‘গুলশান সাউথ ক্লাব’ নামে একটি নতুন ক্লাবের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পাওয়া গেছে।

গতকাল (৩ নভেম্বর ) ক্লাবটির নিবন্ধন অনুমোদনের পর এর কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।

গুলশান সাউথ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ড. সৈয়দ মো. শাহান শাহ শাহীন। উদ্যোক্তা পরিচালক ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন জনাব মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।

এছাড়া ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসেবে রয়েছেন আরও সাতজন— খান মোহাম্মদ ইকবাল, কৃষিবিদ মো. ইউনুস আলী, মো. খালিদুজ্জামান, মোহাম্মদ নূর নবী, আব্দুল আউয়াল বিপ্লব, মো. এনামুল হক এবং জুবাইদা নাজনীন প্রমুখ।

নিবন্ধনের মধ্য দিয়ে গুলশান এলাকার সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও নাগরিক কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।


ছবি বিকৃতি, মামলা করলেন ঢাবি শিক্ষিকা মোনামি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শেহরীন আমিন ভুইয়া ওরফে মোনামি ছবি বিকৃত করায় সাইবার সুরক্ষা আইনে শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন। আজ সকালে এই মামলাটি করেন। ডাকসুর সদস্যরা এসময় ঐ শিক্ষিকার সঙ্গে ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিক মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন ডাকসুর আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক মো. জাকারিয়া।

জাকারিয়া এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, শেহরীন আমিন ভুইয়া ম্যাম তার ছবি এডিট করে ফেসবুকে পোস্ট করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করেছেন। আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক হিসেবে আমি সার্বিক সহায়তা করেছি। উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক উম্মে সালমা এবং মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা।

তিনি লিখেছেন, অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি ডিবির সাইবার ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

যারা পোস্ট করেছেন, অশালীন মন্তব্য করেছেন, পোস্ট শেয়ার করেছেন এবং পরবর্তীতেও যারা এভাবে ছবি বিকৃত করে প্রচার করবে সবাইকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে ইনশাআল্লাহ।

জাকারিয়া জানান, ডিবির সাইবার ইউনিট আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন পরবর্তীতে কোনো শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থী ছবি বা ভিডিও বিকৃত করাসহ যেকোনো সাইবার বুলিং এর স্বীকার হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তারা ব্যবস্থা নিবে।


প্রতিকূলতার মধ্যেও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে ডিএমপি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শত প্রতিকূলতার মধ্যেও রাঝধানীতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ (রোববার) এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে আজ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি সংগঠন ও গোষ্ঠী একযোগে কর্মসূচি পালন করছে।

এতে করে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় রাজধানীর কিছু এলাকায় ব্যাপক জনভোগান্তি ও তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

এমপিওভুক্তির দাবিতে ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের স্বীকৃতি ও এমপিও ভুক্তকরণ, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের এমপিও ভুক্তকরণের দাবিতে প্রেস ক্লাবের সামনে বেশ কয়েকটি সংগঠন অবস্থান করছে।

এছাড়া চাকুরীপ্রত্যাশি প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট ও ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নন-ক্যাডারে নিয়োগ প্রদানের জন্য সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চলছে। ফলে যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না।

অনাকাঙিক্ষত কারণে যানজট বেড়ে জনভোগান্তি তৈরি হওয়ায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।


বায়ু দূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত?

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঢাকার বাতাস আজ ‘সহনীয়’। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) এ সময় ৯৬ স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১৩তম অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। তালিকায় প্রথম ভারতের দিল্লি, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের দুই শহর লাহোর ও করাচি।

সোমবার (২ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান নির্ধারণ সংস্থা আইকিউএয়ার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

আইকিউএয়ারের দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, স্কোর ৪০৪। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, বায়ুর মানের স্কোর ৩৪৬, তৃতীয় স্থানে রয়েছে করাচি, স্কোর ২০৮।

দূষিত বাতাসে শীর্ষ দশে থাকা অপর শহরগুলোর বাতাসের মানের স্কোর ১২৯ থেকে ১৯০-এর মধ্যে।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ‘ভালো’ বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা ‘সহনীয়’ ধরা হয় বায়ুর মান। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠী’র (অসুস্থ বা শিশু-বৃদ্ধ) জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। আর স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত থাকলে সে বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়।

স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয় এবং ৩০১ এর বেশি হলে তা ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।


banner close