কিশোরগঞ্জ ফোরাম ,ঢাকার নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আইআইআইটির কান্ট্রি ডিরেক্টর ও আইইউটির ভিজিটিং প্রফেসর ড. এম আব্দুল আজিজ। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন প্রোডাকশন হাউজ আর্কিটেক্ট আইডিয়ার কর্ণধার আবদুল কাদির জুয়েল।
কিশোরগঞ্জ ফোরাম ঢাকার বিদায়ী সভাপতি কর্নেল (অব) অধ্যাপক ডা. জেহাদ খানের সভাপতিত্বে গত শনিবার ১৭ ই মে রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে সংগঠনের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের নতুন সিনিয়র সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির নতুন ভাইস চ্যান্সেলর ড. ফরিদ আহমেদ সোবহানী ও ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ। যুগ্ম সম্পাদক পদে ড. মাসুদুর রহমান, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, এএফএম ওবায়দুল্লাহ তারেক নির্বাচিত হন।
সহসভাপতি ফায়জুল হক উজ্জ্বল, অ্যাডভোকেট রোকন রেজা শেখ ও আবদুল্লাহ শরীফ।
সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন মাহবুবুর রহমান মাহফুজ, অর্থ সম্পাদক মো. রফিকুল আলম, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দীক, প্রচার ও আইটি সম্পাদক মোহাম্মদ আল কামিন।
কার্যকরী সদস্যরা হলেন ডা. নূর উদ্দিন তালুকদার, মো. জিয়া উদ্দিন, মাওলানা ওমর ফারুক, ড. মুমতাহিনা ও শারমিন সুলতানা।
বিকাল চারটায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নাগরিক সেবা পরিষদের সভাপতি জনাব ফাইজুল হক উজ্জ্বল বিশিষ্ট ব্যাংকার মোঃ মুসলেহ উদ্দিন, বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নুরুদ্দিন তালুকদার, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাহিত্যিক প্রাবন্ধিক গবেষক জনাব আশরাফুল ইসলাম, ড মাহবুবুর রহমান শাহিন, বিশিষ্ট ব্যাংকার মোঃ আব্দুল্লাহ, পিংক সিটির সম্মানিত চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সালাউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক মোঃ রমজান আলী, ডক্টর এম আব্দুল আজিজ, ডাক্তার জিহাদ খান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোঃ আব্দুল হালিম, দ্বিতীয় পর্বে গুনীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, অনুষ্ঠানটি নবনির্বাচিত সভাপতি ডক্টর মোহাম্মদ আবদুল আজিজ পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির সম্মানিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডক্টর মোঃ সিদ্দিকুর রহমান খান প্রমূখ
কিশোরগঞ্জের কৃতি সন্তান হিসেবে কিশোরগঞ্জের ফোরাম ঢাকা এবছর ৭ গুনী জনকে সম্মাননা প্রদান করেন এরা হলেন বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ছিদ্দিকুর রহমান খান, মেজর জেনারেল এহতেশাম উল হক এনডিসি,পিএসসি (অব), বিশিষ্ট কারডিওলজিস্ট ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক জিহাদ খান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ড. মুহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, কিশোরগঞ্জ ফোরাম ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশিষ্ট ব্যাংকার মোঃ আব্দুল্লাহ, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মাহাবুবুর রহমান শাহিন কে বিশেষ সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথি এবং কিশোরগঞ্জ ফোরামের সকল সদস্য ও পরিবার গণের জন্য রাত ৯ টায় ডিনারের ব্যবস্থা করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন অ্যাডভোকেট রুকন রেজা শেখ এবং দ্বিতীয় পর্বের পরিচালনায় ছিলেন ডক্টর মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। এ সময়ের মধ্যে সাম্যের প্রকৃত খুনিদের বিচারের আওতায় না আনলে, আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন সাদা দলের শিক্ষকরা।
আজ বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ আল্টিমেটাম দেন সাদা দলের নেতৃবৃন্দ।
সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বলেন, সাম্য মারা যায়নি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
সাম্য হত্যার আজ পাঁচ দিন পূর্ণ হলো। এই পাঁচ দিনে আমরা একটি আইওয়াশ অ্যারেস্ট দেখেছি, যা আমরা মানতে বাধ্য না। প্রকৃত হত্যাকারীকে বের করার জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জোরালো দাবি জানাচ্ছি। আমরা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। এর মধ্যে যদি সাম্য হত্যার প্রকৃত খুনিকে খুঁজে বের করা না হয়, তাহলে আমরা আরো জোরালো আন্দোলনে যাব।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, জাতি হিসাবে আমি অত্যন্ত লজ্জিত। আমার যে ভূমিকা, সেটা আমি পালন করতে পারিনি। নাগরিক হিসাবে আমার যে দায়িত্ব, সেটা আমি পালন করতে পারছি না। একজন বাবার কাছে সন্তানের লাশ অনেক ভারী। একজন শিক্ষকের কাছে শিক্ষার্থীর লাশ অনেক ভারী, অনেক বেদনাদায়ক ও কষ্টদায়ক। আমার শিক্ষার্থী দুর্বৃত্তের ছুরির আঘাতে মৃত্যুবরণ করেছে। আমাদের এই ক্যাম্পাস নিরাপদ না, নিরাপদ করতে পারছি না।
মানববন্ধনে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম ও অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান, ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ)’র অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন, শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম শহিদুল ইসলাম, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. আলী জিন্নাহ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোক বিরাজ করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে এবং দ্রুত বিচার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় টানা দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে তারা শাহবাগ ছেড়ে যায়, এতে আশেপাশের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
আজ রোববার বিকাল পৌনে ৪টায় তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন এবং প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে সেখানে বিক্ষোভ চালায়। এতে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তারা অবরোধ তুলে নেন।
বিক্ষোভকারীরা ‘সাম্য হত্যার বিচার চাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রশাসন নিপাত যাক’ প্রভৃতি স্লোগানে মুখর করে তোলে শাহবাগ এলাকা। আন্দোলনে ঢাবিসহ রাজধানীর বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আন্দোলনকারীরা সাম্য হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত ও বিচার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান এবং প্রক্টর ড. সাইফুদ্দীন আহমেদের পদত্যাগের দাবি জানান।
ছাত্রদলের নেতারা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতা ও অব্যবস্থাপনার কারণেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। তাদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতা দিন দিন বাড়ছে। এর আগে একই দাবিতে কালো পতাকা মিছিল করেছে ঢাবি ছাত্রদল।
দুপুর ২ টার দিকে ঢাবির ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে অপারেজেয় বাংলায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ‘যে প্রশাসনের ওপর ছাত্রসংগঠনগুলোর আশা ভরসা ছিল, সেই আশা ভরসার জায়গা নষ্ট করেছে এই ভিসি-প্রক্টর।’
এদিকে, জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী শিক্ষক সংগঠন ‘সাদা দল’ সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে।
অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধনে সংগঠনের আহ্বায়ক ড. মোর্শেদ হাসান খান বলেন, ‘সাম্য হত্যা আইওয়াশ গ্রেপ্তারে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। প্রকৃত খুনিকে খুঁজে বের না করলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।’
কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা’র (কেজেএফডি) দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে দুই বছর মেয়াদী (২০২৫-২৭) নতুন কমিটি নির্বাচন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি হিসেবে এরফানুল হক নাহিদ, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জাহাঙ্গীর কিরণ নির্বাচিত হয়েছেন।
গতকাল শনিবার (১৭ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন পরিচালনা করেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার আজিজুল হক এরশাদ, নির্বাচন কমিশনার মহসীন আল আব্বাস।
এতে সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন হামিদ মোহাম্মদ জসিম, সহসভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান বিপ্লব, শফিক বাশার, সফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক এম শাহজাহান, শফিকুল ইসলাম সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জাকির হোসাইন, কোষাধ্যক্ষ মোঃ এনায়েতুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক যোবায়ের আহসান জাবের, প্রচার সম্পাদক মোবারক আজাদ, জনকল্যাণ সম্পাদক গোলাম রসূল, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এম শাহীন আরিফিন, তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক ড. দীপু সিদ্দিকী, নারী বিষয়ক সম্পাদক মুশরেকা জাহান মনা।
এছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ইব্রাহিম খলিল খোকন, শফিউল আলম দোলন, মনজুরুল আলম আঙ্গুর, আসলাম আকন্দ, জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না, আবুল হাছান, সিফ্রাত মোশারফ, মোশতাক আহমেদ লিটন, জহিরুল ইসলাম জাবেদ, মোয়াজ্জেম হোসেন। পদাধিকারী বলে সদস্য হলেন সাবেক সভাপতি রাজেন্দ্র চন্দ্র দেব মন্টু।
উল্লেখ্য, নবনির্বাহী সভাপতি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এর আগে প্রথম সেশনে সম্মেলন উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ফজলুর রহমান, সাবেক সচিব আব্দুল মান্নান, আঞ্চলিক সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক কিশোরগঞ্জ-এর সম্পাদক ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, ফারুক কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ফারুক প্রমুখ।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানো ও দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার পর নগর ভবনের সবকটি ফটকে তালা ঝুলিয়েছে তার সমর্থকরা। এতে নগর ভবন থেকে সেবাসংক্রান্ত সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
শনিবার (১৭ মে) সকাল ৯টার দিকে নগর ভবনে প্রবেশের সব ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ইশরাকের সমর্থক ও অনুসারীরা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। তারা নগর ভবনে মোট ৬৫টি তালা লাগিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদে বসাতে কালবিলম্ব করার জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়াকে দায়ী করে তাকে নগর ভবনে অবাঞ্ছিতও ঘোষণা করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীদের এমন পদক্ষেপের কারণে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার অফিসেরও সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার অফিস পুড় যাওয়ার পর নগর ভবনেই এই উপদেষ্টার কার্যালয় স্থানান্তর করা হয়।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, আজ সকাল ৯টার দিকে নগর ভবনের সামনে ইসরাক সমর্থকরা জড়ো হয়ে বেলা ১১টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন। পরে সচিবালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে যান তারা। কিন্তু পুলিশি বাধার মুখে পড়ে ফিরে নগর ভবনের সামনে আবারও অবস্থান নেন তারা।
অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব মশিউর রহমান আগামীকাল রবিবার দুপুর দেড়টা থেকে ইশরাক সমর্থকদের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়ে শনিবারের কর্মসূচির সমাপ্তির ঘোষণা করেন।
নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করা হয়। পরে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির ইশরাক হোসেনকে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। তবে গেল ২৭ মার্চ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল তাপসের বিজয় বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেয়। গত ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় নির্বাচন কমিশন।
সবশেষ গত বৃহস্পতিবার বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনের দায়েরকৃত নির্বাচনী মামলার রায় ও নির্বাচন কমিশনের আপিল দায়ের না করার বিষয়ে কোনো আইনি জটিলতা আছে কিনা, সে বিষয়ে মতামত চেয়ে আইন ও বিচার বিভাগে চিঠি দিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক আজ শনিবার (১৭ মে) ধানমন্ডির পুরাতন ২৭ নং রোডে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ "শহীদ ফারহান ফাইয়াজ" এঁর নামে নামকৃত সড়কের ফলক উন্মোচন করেন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া। এ সময় শহীদ ফারহান ফাইয়াজ এর পিতা আলহাজ্ব শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে ধানমন্ডির পুরাতন ২৭ নং রোডে রাপা প্লাজা এবং জেনেটিক প্লাজার মাঝামাঝি স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সামনের সারিতে থাকা ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মোহাম্মদ ফারহানুল ইসলাম ভূঁইয়া (ফারহান ফাইয়াজ) পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলায় বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।
"শহীদ ফারহান ফাইয়াজ" এঁর নামে নামকৃত সড়কের ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের মেধাবী ছাত্র শহীদ ফারহান ফাইয়াজ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে এখানে শহীদ হন। বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জুলাই গনঅভ্যুত্থানে যেসব ছাত্র-জনতা শাহাদত বরণ করেছেন ফারহান ফাইয়াজ তাদের মধ্যে অন্যতম একজন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ধানমন্ডির পুরাতন ২৭ নং সড়কটির নাম পরিবর্তন করে আজ শহীদ ফারহান ফাইয়াজ এঁর নামে নামকৃত ফলক উন্মোচন করা হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদরা বৈষম্যবিরোধী একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার যে মহৎ উদ্দেশ্যে জীবন দিয়েছেন, সে মহৎ উদ্দেশ্য যতদিন না বাস্তবায়ন হয় ততদিন আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শহীদ ফারহান ফাইয়াজ এর পিতা আলহাজ্ব শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একমাত্র ছেলে শহীদ হওয়ায় আমার যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। ফাইয়াজের নামে এই সড়কটি নামকরণ করায় আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে যারা ভূমিকা রেখেছেন পর্যায়ক্রমে তাদের সকলকে স্মরণীয় করে রাখা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অতিথিবৃন্দ নামকৃত ফলক উন্মোচন এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের জন্য আয়োজিত দুআ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো: জিল্লুর রহমান এবং সকল বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর তালিকায় পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকা। নগরীর এই বাতাসকে বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল ৯টা ৪২ মিনিটে ১৫৭ একিউআই স্কোর নিয়ে শহরটি মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিকে বাড়িয়ে তুলেছে। বায়ুর মান ও দূষণের শহরের অবস্থান অনুযায়ী আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকার বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
ভারতের দিল্লি, ইরাকের বাগদাদ এবং পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ৬০১, ৩৮৭ এবং ১৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ভেঙে দুটি বিভাগে বিভক্ত করার প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার থেকে তিন দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে সংস্থাটির কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্ল্যাটফর্ম ‘এনবিআর ঐক্য পরিষদ’।
মঙ্গলবার (১৩ মে) এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ের সামনে এক অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুণ্ডু এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এনবিআর সংস্কার কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করে এনবিআরকে বিভক্ত করার সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
কমিশনার সাধন কুমার কুণ্ডু বলেন, আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা এবং শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
যুগ্ম কমিশনার মোনালিসা শাহরিন সুস্মিতা এবং ফজলে এলাহীও সমাবেশে বক্তব্য দেন। আজ বিকাল ৪টা থেকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
বিক্ষোভ চলার সময় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান অন্যত্র একটি সভায় যোগদানের জন্য প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
এনবিআর ইউনিটি কাউন্সিল অধ্যাদেশটি বাতিল চায়। কারণ, এনবিআর উপদেষ্টা সংস্কার কমিটির প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। ইউনিটির সঙ্গে কমিটির আলোচনাও অধ্যাদেশে প্রতিফলিত হয়নি।
তারা আরও অভিযোগ করেন, সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।
আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিষেবা, বাজেট কার্যক্রম এবং রপ্তানি কার্যক্রম কর্মবিরতি কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে বলে জানানো হয়।
গত কয়েক সপ্তাহে এনবিআর কর্মকর্তারা নতুন আইনের অধীনে প্রশাসনিক ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিয়োগের অনুমতি দেওয়ার বিধান বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন। এনবিআরকে দুটি সত্তা - রাজস্ব নীতি বিভাগ এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যা নিয়েই মূলত বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
সরকার গত বছরের ৯ অক্টোবর এনবিআর সংস্কার কমিটি গঠন করে। কমিটিতে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ, নাসিরউদ্দিন আহমেদ, সাবেক সদস্য দেলোয়ার হোসেন ও আমিনুর রহমান রয়েছেন।
অধ্যাদেশটি গতকাল (সোমবার) মধ্যরাতে প্রকাশ করা হয়।
নতুন আইনে সরকার নবগঠিত রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব বা সিনিয়র সচিব হিসেবে উপযুক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন যেকোনো সরকারি কর্মকর্তাকে নিয়োগ করতে পারবে।
এছাড়া কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল ও আয়কর আপিল ট্রাইব্যুনাল এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব নীতি বিভাগের অধীনে থাকবে।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি এনবিআরকে রাজস্ব নীতি বিভাগ এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে বিভক্ত করার জন্য খসড়া আইনে অনুমোদন দিয়েছেন।
নতুন আইনে রাজস্ব নীতি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভিন্ন পদ আয়কর, মূল্য সংযোজন কর, কাস্টমস, অর্থনীতি, ব্যবসায় প্রশাসন, গবেষণা ও পরিসংখ্যান, প্রশাসন, নিরীক্ষা ও হিসাবরক্ষণ ও আইনি কাজে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তাদের পদায়ন করার সুযোগ রাখা হয়েছে।
আইন অনুসারে, সরকারের রাজস্ব নীতি প্রণয়ন কার্যক্রম ও রাজস্ব আদায় ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পৃথক করা প্রয়োজন।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজস্ব আদায় কার্যক্রমের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য বিদ্যমান কাঠামো পুনর্গঠন করে একটি রাজস্ব নীতি বিভাগ এবং একটি রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা জরুরি ও প্রয়োজন।
প্রস্তাবিত আইনে আরও বলা হয়ছে, ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রশাসনিক বিভাগের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডার ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে কর্মরতদের দিয়ে।’
যেহেতু সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে ও রাষ্ট্রপতির কাছে মনে হচ্ছে এমন পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন, তাই রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে অধ্যাদেশ জারি করবেন, যা রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫ নামে পরিচিত হবে।
এই অধ্যাদেশ জারির পর সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রাজস্ব নীতি বিভাগ নামে একটি নতুন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করবে, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে।
বর্তমান চলমান তাপপ্রবাহের ঝুঁকি মোকাবিলায় হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড মহাখালী হাসপাতালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে একটি হিটস্ট্রোক সেন্টার খোলা হয়েছে। সেখানে তাপজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা বিনামুল্যে প্রদান করা হবে।
চলমান তীব্র তাপদাহ মোকাবেলায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের নির্দেশনায় মসজিদ কমিটির মাধ্যমে সকাল ১১টা থেকে মাগরিবের নামাজ পর্যন্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, মসজিদের প্রধান কক্ষ এবং অজুখানাসমূহ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখার ব্যাপারে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাথে সমন্বয় করে এ সেবা নিশ্চিত করা হবে।
ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস (জাতীয় জরুরি সেবা) ৯৯৯ এ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের এই জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ সেবাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নাগরিকগণ ৯৯৯ এ যোগাযোগ করে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সূচনা মডেল টাউন থেকে প্রাণঘাতী মারনাস্ত্রের ৭.৬২ বোরের ২৯টি গুলি. দেশীয় অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণে মাদকসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২। গতকাল শুক্রবার মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলো- মো. সাগর হোসেন (৩৭), মো. হেলাল কবির (৩৩) এবং মো. আসিফ (২৭)।
আজ শনিবার র্যাব-২ জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) খান আসিফ তপু দৈনিক বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, সূচনা মডেল টাউন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী সাগর হোসেন তার ভাড়া বাসায় বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য বিক্রির জন্য মজুদ করে রেখেছে। এমন তথ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাবের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালাতে চেষ্টা করেন। তবে তাদের আটক করা হয়। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সাগর হোসেনের দেয়া তথ্যে প্রাণঘাতী ৭ দশমিক ৬২ বোরের ২৯ রাউন্ড গুলি, ২টি চাপাতি, ২টি ছুরি, ২টি চাইনিজ কুড়াল, সাড়ে ১৫ কেজি গাঁজা, ১ হাজার ৭০০ পিস ইয়াবা ও নগদ ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৩৩০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আসামিরা জানায়, দীর্ঘদির ধরে তারা দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য এনে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় বিক্রি করেন।
তিনি আরও বলেন, আসামীদের দেয়া তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। কোথা থেকে তারা এসব গুলি পেয়েছে, কিভাবে ব্যবহার করার পরিকলপনা রয়েছে ইত্যাদি বিষয় মাথায় রেখেই তদন্ত করা হচ্ছে। আসাদিরে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
রাজধানীর শান্তিনগরের বেইলি রোডে ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার নামে একটি শপিং মলের বেজমেন্টে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৭ মিনিটের সময় খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ৬ টা ৫৮ মিনিটের সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরে একে একে ৯টি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভাতে কাজ করে। ১ ঘন্টা পর ৭টা ৪৭ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আর আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলা হয় রাত ৮টা ৩৮ মিনিটের দিকে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এ ঘটনায় ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। তাদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ৯ জন মহিলা ও ২ জন শিশু। তবে আগুন লাগার এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা মো. শাহজাহান সিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। তাদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ৯ জন মহিলা ও ২ জন শিশু রয়েছে।
এর আগে তিনি জানান, সন্ধ্যা ৬টা ৪৭ মিনিটে আমাদের কাছে সংবাদ আসে শান্তিনগরের একটি রেস্টুরেন্টে আগুন লেগেছে। তবে রেস্টুরেন্টে নয় বেইলি রোডে ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার শপিং মলের বেজমেন্টে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। ভবনটি বহুতল, নিচতলায় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রচণ্ড ধোঁয়ার কারণে ভবনের ছাদে অনেকে আটকা পড়েছেন।
সন্ধ্যা ৭টা ৫২ মিনিটের মধ্যে আটকে থাকা সাতজনকে জীবিত উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর তিনি জানান, এ ঘটনায় মোট ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। তাদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ৯ জন মহিলা ও ২ জন শিশু রয়েছে।
আগুন লাগার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে ভিডিওতে দেখা যায়, তীব্র কালো ধোঁয়ায় চারদিক ছেয়ে গেছে। লোকজন ছোটাছুটি করছেন।
ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার নামের ওই বহুতল ভবনের বিভিন্ন তলায় রেস্টুরেন্ট, পোশাক, প্রসাধনীসহ বিভিন্ন পণ্যের দোকান রয়েছে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামক বহুতল ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ইতালি প্রবাসী সৈয়দ মোবারক ও তার পরিবারের পাঁচজনসহ ৪৬ মারা গেছেন। কিছুদিন পরই সৈয়দ মোবারকের ইটালি যাওয়ার কথা ছিল। ওই দিন রাত ৮টার দিকে মোবারক তার স্ত্রী স্বপ্না, মেয়ে সৈয়দা তাশফি, ছেলে সৈয়দা নূর ও সৈয়দ আব্দুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে ‘কাচ্চি ভাই’রেস্টুরেন্টে খাওয়ার জন্য যান। ভবনটিতে বেশকিছু ফাস্টফুড ও রেস্টুরেন্ট ছিল। নিহতদের বেশিরভাগই ওখানে রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলেন। নিহতদের মধ্যে আগুনের ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে বেশিরভাগ মারা যান।
ফায়র সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী-গত ২০২৪ সালে জানুয়ারিতে সারা দেশে অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৩৭২টি। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজারটি। এর আগের বছর জানুয়ারিতে অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬৪৬টি। ফেব্রুয়ারিতে ছিল ২ হাজার ৭১৩টি।
২০২৩ সালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিদর্শন করা ৫৮টি মার্কেট, সুপার মার্কেট ও শপিংমলগুলোর অগ্নি ঝুঁকি সংক্রান্ত পরিসংখানে দেখা যায়, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৯টি, মাঝারী ঝুঁকিপূর্ণ ১৪টি ও ঝুঁকিপূর্ণ ৩৫টি। পরিদর্শন করা ভবনগুলোর মধ্যে ৬০ দশমিক ৩৪ শতাংশ ঝুঁকিপুর্ণ, অতি ঝুঁকিপূর্ণ ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। অর্থাৎ মোট ঝুকি পুর্ণ স্থাপনা ৭৫ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং সন্তোষজনক ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ (১৪টি প্রতিষ্ঠান)।
অপরদিকে, একই বছর সারাদেশে ৫ হাজার ৩৭৪টি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। এরমধ্যে ৩১ দশমিক ৫২ শতাংশ (১৬৯৪টি) ঝুঁকিপুর্ণ, ৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ (৪২৪টি) অতি ঝুঁকিপুর্ণ প্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ মোট ঝুকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ৩৯ দশকি ৪১। আর সন্তোষজনক প্রতিষ্ঠান ৫৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ (৩২৫৬টি)।
আগুন লাগার ঘটনায় বহুতল ভবনটিতে পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা না থাকার কথা জানা যায়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা আরও জানান, আমাদের দেশ শিল্পায়নের দিকে যাচ্ছে। উন্নতমানের নান্দনিক সামগ্রী তৈরীসহ বিভিন্ন কাজে ক্যামিক্যাল এজেন্ট ব্যবহার বেশি হচ্ছে। এর ফলে অগ্নি ঝুঁকি বাড়ছে বলে জানা ফায়ার সার্ভসের কর্মকর্তারা। শীতকাল পার হওয়ার পর বসন্তে বৃষ্টির প্রবনতা শুরু হলেও প্রকৃতিতে একটা পরিবর্তন হয়। আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে যায়, টেম্পারেচার (তাপমাত্রা) বাড়ে। গাছের পাতা ঝরে যায়, অনেক সময় জীবন্ত গাছও শুকিয়ে যায়। আর যেসব দাহ্য বস্তু রয়েছে সেসব আরও শুকিয়ে যায়।
শীতকালে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে। দাহ্য বস্তুর জ্বলে উঠার প্রবনতা ভেতরে থাকলেও বাইরে তেমন থাকে না। শীতের পর বৃষ্টি শুরু হলেও টেম্পারেচার বেড়ে যাওয়ায় দাহ্যবস্তু ভেতর থেকে শুকিয়ে থাকে এবং বাইরে টেম্পারেচার বেড়ে যাওয়ার ফলে দাহ্য বস্তুর জ্বলে উঠার প্রবনতা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মঙ্গলবার (৬ মে) ঢাকায় এলে তাকে পথে পথে অভ্যর্থনা জানাবেন দলীয় নেতাকর্মীরা। তারা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাবেন। এতে বিপুল জনসমাগক হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় এসব এলাকায় যানজট হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। রবিবার (৫ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানানোর ক্ষেত্রে বিএনপি ও এর বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে কারা কোথায় অবস্থান নেবেন, তারা কী করতে পারবেন, কী করতে পারবেন না, সে বিষয়ে কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন রিজভী।
বিএনপির এই নেতার নির্দেশনা অনুযায়ী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি অবস্থান করবে বিমানবন্দর থেকে লো মেরিডিয়েন হোটেল পর্যন্ত। ছাত্রদল অবস্থান করবে লো মেরিডিয়েন হোটেল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত। যুবদল অবস্থান করবে খিলক্ষেত থেকে হোটেল র্যাডিসন পর্যন্ত। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি অবস্থান করবে হোটেল র্যাডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত।
স্বেচ্ছাসেবক দল অবস্থান করবে আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত। কৃষক দল অবস্থান করবে বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত। শ্রমিক দল অবস্থান করবে কাকলী মোড় থেকে বনানীর শেরাটন হোটেল পর্যন্ত। ওলামা দল, তাঁতীদল, জাসাস, মৎস্যজীবী দল অবস্থান করবে শেরাটন হোটেল থেকে বনানী কাঁচাবাজার পর্যন্ত।
মুক্তিযোদ্ধা দলসহ সব পেশাজীবী সংগঠন অবস্থান করবে বনানী কাঁচাবাজার থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত। মহিলা দল অবস্থান করবে গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড পর্যন্ত। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড পর্যন্ত অবস্থান করবেন। আর বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতা-কর্মীরা যার যার সুবিধামতো স্থানে অবস্থান নেবেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সব নেতা-কর্মী দলীয় পতাকা ও জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তার এক পাশে দাঁড়াবেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের গাড়ির সঙ্গে সঙ্গে মোটরসাইকেলে যাওয়া যাবে না। হেঁটে হেঁটেও যাওয়া যাবে না। এ ছাড়া বিমানবন্দর ও বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।
এসব অঞ্চলে যানজট হলে কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা; জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ডেপুটি কমিশনার (ট্রাফিক গুলশান) মিজানুর রহমান বলেন, ‘মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন থেকে আগমন উপলক্ষে এয়ারপোর্ট থেকে গুলশান পর্যন্ত ব্যাপক গেদারিং হতে পারে। যদি হয়, তাহলে বিকল্প কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এ-সংক্রান্ত বৈঠক করা হয়েছে। যাতে যান চলাচল ব্যাহত না হয়, এজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে যদি ব্যাহত হয়, তখন বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিকল্প ব্যবস্থা কি হতে পারে জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে একটি সিম্পোজিয়াম আয়োজন করছে বাংলাদেশি জার্নালিস্ট ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম)। এতে অংশ নেবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলমসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিক ও গবেষকরা। আগামী শনিবার (৩ মে) বিকাল ৩টায় ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার অডিটরিয়ামে এই সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিজেআইএমের আহ্বায়ক স্যাম জাহান ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী মাজেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ আফটার দ্য মনসুন আপরাইজিং : দ্য মিডিয়া ল্যান্ডস্ক্যাপ’ শীর্ষক এই সিম্পোজিয়ামটি তিনটি সেশনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম সেশনে বিজেআইএম প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর অর্জনের একটি সারসংক্ষেপ ও পরিকল্পনার রূপরেখা উপস্থাপন করা হবে।
দ্বিতীয় সেশনে বিজেআইএমের একজন সদস্যের পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলমের সঙ্গে একটি উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, রাজনীতি, কূটনীতি, ভবিষ্যৎ, আমলাতন্ত্র ইত্যাদি বিষয়ে যে কোনো প্রশ্ন করা যাবে।
তৃতীয় সেশনে দেশের নেতৃত্বস্থানীয় সাংবাদিক, গবেষক ও অ্যাক্টিভিস্টদের নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনা হবে। এতে অংশ নেবেন- প্রথম আলোর ইংরেজি বিভাগের প্রধান আয়েশা কবির, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ)-এর প্রতিনিধি সেলিম সামাদ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান প্রতিবেদক আব্বাস উদ্দিন, ইরাবতী ইংরেজির প্রতিবেদক মুক্তাদির রশিদ, ডেইলি স্টারের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জাইমা ইসলাম, বাংলাদেশ সরকার গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান গবেষক এম আবুল কালাম আজাদ ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ওমর ফারুক।
সিম্পোজিয়ামে সাংবাদিক, গবেষক, শিক্ষার্থী, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ সর্বসাধারণ মানুষের যে কেউ অংশ নিতে পারবে। তবে আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় আগ্রহীদের দ্রুত নাম, বয়স, পেশা ও যোগাযোগ নম্বরসহ [email protected]এ প্রাক-নিবন্ধন করতে হবে।