রোববার, ২৫ মে ২০২৫
১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বৈঠক সামনে রেখে সবার দৃষ্টি যমুনায়

ইউএনবি
প্রকাশিত
ইউএনবি
প্রকাশিত : ২৪ মে, ২০২৫ ১৫:৫৪

দেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়তে থাকায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতারা আজ সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে বসছেন। বৈঠকগুলো অনুষ্ঠিত হবে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’য়।

এর আগে একনেক বৈঠক শেষে উপদেষ্টা পরিষদের একটি অনির্ধারিত বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানান তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠকে বসবেন বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল সন্ধ্যা ৭টার দিকে যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসবে বলে জানিয়েছেন দলের এক স্থায়ী কমিটির সদস্য। শুক্রবার রাতে তিনি জানান, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও পৃথক বৈঠকে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা।

বিএনপির ওই নেতা জানান, রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমিত করা ও অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি নিরসনের লক্ষ্যে তারা এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ দেশকে নতুন সংকটে ফেলবে বলে তাদের মত।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, রবিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারা তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরবেন এবং দ্রুত সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এ বছরের মধ্যেই নির্বাচনের একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দিতে অনুরোধ জানাবেন।

এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এক বেসরকারি টেলিভিশনে বলেন, ‘আমরা সোমবার থেকেই সময় চেয়ে আসছি, কিন্তু এখনো তা দেওয়া হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইনি, কেবল কিছু বিতর্কিত উপদেষ্টার অপসারণ চেয়েছি। আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছি। তিনি যদি রোডম্যাপ না দিয়ে পদত্যাগ করতে চান, সেটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত—কিন্তু আমরা পদত্যাগ চাইনি।’

বৃহস্পতিবার বিএনপি হুশিয়ারি দিয়ে জানায়, নির্বাচনের রোডম্যাপ অবিলম্বে না এলে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা পুনর্বিবেচনা করবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নিরপেক্ষতা ও সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতার স্বার্থে সদ্য গঠিত একটি রাজনৈতিক দলের ঘনিষ্ঠ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ কয়েকজন বিতর্কিত উপদেষ্টাকে সরাতে হবে।

এদিকে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ও সেনাপ্রধানের বক্তব্যে হতাশ হয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পদত্যাগের কথা বিবেচনা করছেন।


রাজধানীতে সেনা বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর তেজকুনিপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযানে একটি বিদেশি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তেজগাঁও সেনা ক্যাম্প থেকে এ অভিযানে পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেয়া একটি পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ সময় কাউকে আটক করা না হলেও বাড়িটি থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১১টি বিভিন্ন ধরনের গুলি, ১২ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ এবং ৮২ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়েছে।
পোস্টে আরও বলা হয়, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানটি পরিচালিত হয়। উদ্ধার করা অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পোস্টে সেনাবাহিনী জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। যে কোন ধরনের অপরাধ কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারলে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্প বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতেও পোস্টে অনুরোধ করা হয়।


এনবিআরে সেনা–পুলিশ মোতায়েন, উত্তেজনা বাড়ছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তাদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর এনবিআর প্রধান কার্যালয়ের সামনে সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শনিবার (২৪ মে) সকাল থেকেই এনবিআর ভবনের সামনে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা যায় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক এনবিআর কর্মকর্তা জানান, ‘আমরা জেনেছি, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ এনবিআর চেয়ারম্যান কার্যালয়ে আসার কথা রয়েছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, আজ সরকারি, আধা-সরকারি অফিস, ব্যাংক, স্কুল-কলেজ খোলা রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

এর আগে, বুধবার আন্দোলনের অংশ হিসেবে এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে সব ধরনের অসহযোগিতাসহ একাধিক নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। ঘোষণা অনুযায়ী, শনিবার সকাল থেকে এনবিআর ভবনে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান নেয় কর্মকর্তারা।

সংগঠনের বিবৃতি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ সারাদেশের এনবিআর কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। তবে রপ্তানি ও আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এই কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।

আগামী ২৪ ও ২৫ মে ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব কার্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হবে, কাস্টমস হাউস ও এলসি স্টেশন বাদে। রপ্তানি ও আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা কর্মবিরতির বাইরে থাকবে।

২৬ মে থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা বাদে ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব কার্যালয়ে পূর্ণ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগঠনটি। বুধবার এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমানের অবিলম্বে অপসারণের নতুন দাবি যোগ করেছে সংগঠনটি।

এর আগে, সংগঠনের তিনটি প্রধান দাবি ছিল—প্রথমত, প্রস্তাবিত অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে; দ্বিতীয়ত, রাজস্ব সংস্কার বিষয়ে উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে; এবং তৃতীয়ত, এনবিআরের প্রস্তাবিত খসড়া ও উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনার পর সব স্টেকহোল্ডার—অকাঙ্ক্ষী সংগঠন, ব্যবসায়ী সংগঠন, সিভিল সোসাইটি ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের মতামতের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য ও টেকসই রাজস্ব সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে।

এদিকে, এনবিআরের কাস্টমস, ভ্যাট ও ট্যাক্স বিভাগের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের একটি অ্যাড হক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।


ঈদে ঢাকার পরিচ্ছন্নতায় দুই সিটিকে সহযোগিতার অঙ্গীকার ইশরাকের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৩ মে, ২০২৫ ১৯:৫২
ইউএনবি

হাইকোর্টে দায়ের করা রিট খারিজ হয়ে যাওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে শপথ নেওয়ার আইনি পথ সুগম হয়েছে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের। এরপরই নগরবাসীর পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (২৩ মে) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে নিজেকে ‘জনতার মেয়র’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ইশরাক। সেইসঙ্গে আসন্ন ঈদুল আজহায় ডিএনসিসির পাশাপাশি ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নতায়ও সহযোগীতার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।

https://www.facebook.com/Ishraque.ForMayor/posts/pfbid0cosPq1ANHUb2HhfCdKvDwbYDqVKVgRk4Hdz9qdkLmEdjCWZdS9y1B9z78mb8i6XFl

ফেসবুক পোস্টে ইশরাক হোসেন বলেছেন, শপথ কেবল একটি ফরমালিটি (আনুষ্ঠানিকতা)। জনতার মেয়র হিসেবে আগামী কোরবানির ঈদের আগে যাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকে, তার ওপর আমার দায়িত্ব বর্তায়।

তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকাবাসীকে নিশ্চিত করছি, উত্তরে মেয়র না আসা পর্যন্ত সেখানকার প্রশাসন ও পরিচ্ছন্ন কর্মীদের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করব।… বিকালের মধ্যে (১৬ ঘণ্টায়) একটা স্বস্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করব।’

ইশরাক জানান, দক্ষিণ সিটিতে সাবেক কাউন্সিলর ও বিগত নির্বাচনের প্রার্থীদের সমন্বয়ে জোনভিত্তিক মনিটরিং টিম গঠনের অনুমোদন দেওয়া হবে। নিজেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সঙ্গে মাঠে থাকার ঘোষণা দেন তিনি।

ওই পোস্টের কমেন্ট বক্সে পিন করে রাখা একটি কমেন্টে আগামী সিটি নির্বাচনে নিজের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন বিএনপির এই নেতা।

সেখানে লিখেছেন, টানা ১০ বছর বিএনপি গ্রেটার (বৃহত্তর) ঢাকা চালিয়েছে। ৯০টির মধ্যে ৭০টির বেশি ওয়ার্ড কমিশনার আমাদের (বিএনপির) ছিল। এখন অনেকে মারা গিয়েছেন কিন্তু একাধিক বিকল্প প্রার্থী আছেন। তাদের কাজে লাগিয়ে পরবর্তী নির্বাচনে ঢাকা সিটির জন্যে প্রাথী বাছাই করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে করা একটি রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

বিকেলে এ সংক্রান্ত আদেশ প্রকাশ হয়। ফলে ইশরাকের শপথ গ্রহণে আর কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে পরাজিত হন বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন। পরবর্তীতে নির্বাচনি ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। চলতি বছরের ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম তৎকালীন ফলাফল বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এরপর নির্বাচন কমিশন গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে তাকে ডিএসসিসির নতুন মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেয়।


টানা বৃষ্টি ও আন্দোলন-অবরোধে রাজধানীর নাগরিক ভোগান্তি চরমে

প্রবল বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়াতে দূর্ভোগে পরেছেন পথচারী ও অফিস ফেরত কর্মজীবি মানুষ৷ ছবি রাজধানীর মৌচাক এলাকা থেকে তোলা৷ ছবি: মো. রাকিবুল হাসান
আপডেটেড ২২ মে, ২০২৫ ২১:০৯
unb

টানা বৃষ্টি এবং আন্দোলন-অবরোধে রাজধানী ঢাকাবাসীর নগর জীবন বিষিয়ে উঠেছে। একটু বৃষ্টি হলেই ঢাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে যানবানবাহনের গতি কমে গিয়ে মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি ঢাকায় চলমান বিভিন্ন আন্দোলন ও সড়ক অবরোধের কারণে যানজটের মাত্রা বেড়েছে। এতে মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

বেশ কিছুদিন ধরে তীব্র দাবদাহের পর গত কয়েক দিন থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় আজ (বৃহস্পতিবার) সকালেও ঢাকায় বৃষ্টি নামে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এদিন সকালে ঢাকায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে টানা মৌসুমি বর্ষণে ঢাকার অলিগলির পাশাপাশি প্রধান সড়কগুলোরও অনেকাংশ তলিয়ে যায়। কয়েক দিনের ভ্যাপসা গরমের পর এই বৃষ্টি স্বস্তি নিয়ে এলেও ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।

এদিন সকালে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে ধীর হয়ে গেছে যানবাহনের গতি।

এদিকে, বিভিন্ন দাবিতে ঢাকার কয়েকটি স্থানে আন্দোলন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রাজধানীর শাহবাগ থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মী শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয়ে দিনব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন।

একই সময়ে, সকাল ১০টা থেকে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবন থেকে হাইকোর্ট এলাকা ও মৎস্য ভবন হয়ে কাকরাইল যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে তীব্র যানজট; সবকিছু মিলিয়ে নাকাল নগরবাসী। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে যানবাহন আটকে থাকতে দেখা যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী ও অফিসফেরত, পথচারী, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। অফিসকর্মীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন। ছাতা থাকলেও ভারি বর্ষণের কারণে আধভেজা হয়ে অফিসের পথে রওনা দিতে হয় অনেককে।

এদিন ভারি বৃষ্টিপাতে নিউমার্কেট এলাকার সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতা ও তীব্র যানযট সৃষ্টি হয়। এতে জনবহুল নিউমার্কেটের স্বাভাবিক ব্যবসা কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি হয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে আলী খান নামে নিউমার্কেট এলাকার এক হকার বলেন, ‘সকালে মাত্র দোকান খুলেছি, তার কিছু পরেই বৃষ্টি নামল। বৃষ্টি হলেই এই রাস্তায় পানি উঠে যায়, দোকানপাট খোলা যায় না।’

তিনি বলেন, ‘গত ৪-৫ বছর ধরেই নিউমার্কেট এলাকার এই অবস্থা দেখে আসছি। সিটি করপোরেশন এই বিষয়ে অবশ্যই জানে, তারপরও তারা এ নিয়ে কোনো কাজ করে না। এ কারণে আমাদের কষ্টও আর ফুরায় না।’

আরেক ব্যবসায়ী আব্দুর রব আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘কোনো সরকারই আমাদের দিকে সুনজর দেয়নি। নিউমাকের্ট এলাকায় দ্রুততার সঙ্গে ড্রেন করে পানি বের করার ব্যবস্থা করা দরকার।’

পানি ওঠার কারণে ভোগান্তির কথা তুলে ধরে এ ব্যবসায়ী বলেন, ‘এখন দুপুর ২টা বাজে, অথচ দিনের বেচাকেনা শুরু করলাম মাত্রই। এভাবে চললে তো আমাদের ব্যবসা গুটিয়ে যাবে। আমাদের সব শেষ। ঋণ হতে হতে এমন অবস্থা যে, নিজের রক্ত বেঁচলেও ঋণ পরিশোধ হবে না।’

জরুরিভিত্তিতে সিটি করপোরেশন যাতে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি করে, অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে সেই দাবি জানান নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা।


বৃষ্টির মধ্যেই শাহবাগ মোড়ে ছাত্রদলের অবস্থান, যান চলাচল বন্ধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ (বৃহস্পতিবার) ফের রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এতে শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের হল পর্যায়ের নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে এই কর্মসূচি পালন করে আসছে ছাত্র সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।

গতকাল (বুধবার) সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শাহবাগ ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে অবস্থানের ঘোষণা দেয় ছাত্রদল। সেই কর্মসূচি বাস্তবায়নেই আজ আরও একবার শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে তারা।

আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টা থেকেই শাহবাগ মোড়ে জড়ো হতে থাকেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এর কিছুক্ষণ পরই ঝুম বৃষ্টি নামে। তবে বৃষ্টি তাদের অবস্থান কর্মসূচি পণ্ড করতে পারেনি। ১০টার পরপরই বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাস্তা নেমে যান ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী। তাদের অনুসরণ করেন আরও অনেকে।

এ সময় তারা ‘আর চাই না, আর চাই না, এনএসআইয়ের প্রক্টর’, ‘ক্যাম্পাসে লাশ ঝোলে, প্রক্টর কী করে’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই ,সাম্য হত্যার বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

আজ বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত তাদের এই অবস্থান কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।

অবস্থান কর্মসূচিতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির রয়েছেন। এ ছাড়াও ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা রয়েছেন।

ছাত্রদল সাম্য হত্যার বিচারের কোনো আশ্বাস পায়নি জানিয়ে সংগঠনটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সাম্যকে হত্যার প্রকৃত খুনিদের আজকে পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি। এই মামলাটি পুলিশের পর ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা ডিবির সঙ্গেও কথা বলেছি। কিন্তু একজন প্রকৃত আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে—এমন কিছু বলে তারা আমাদের আশ্বস্ত করতে পারেনি। আবার যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের চার দিন পর রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এখানে সময়ক্ষেপণের বিষয়টি লক্ষ করা যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনের অন্যতম ভূমিকা পালনকারী একজন শিক্ষার্থীকে যদি এভাবে হত্যা করা হয় এবং তার খুনিদের যদি প্রশাসন গ্রেপ্তারে এভাবে ব্যর্থ হয়, তাহলে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসন ঠিক কী ভূমিকা পালন করছে, তা এই ঘটনা থেকে আমরা বুঝতে পারি।

এর আগে (জাহিদুল ইসলাম) পারভেজকে হত্যা করা হয়েছে, এখন সাম্য হত্যাকাণ্ডের শিকার হলো জানিয়ে রাকিব বলেন, সাম্য হত্যার প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার করে যাতে সঠিক আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের বিচার হয়, সেই দাবিতেই আমরা আজকের অবরোধ কর্মসূচি পালন করছি।

ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাত্রীসাধারণের ভোগান্তি বেড়েছে। পরে ফার্মগেট-কারওয়ানবাজার হয়ে শাহবাগগামী যানবাহনগুলোকে বিকল্প সড়ক হিসেবে বাংলামোটর মোড় থেকে মগবাজারমুখি সড়ক ব্যবহার করতে দেখা গেছে।


রিট মামলা খারিজ, ইশরাকের শপথ নিতে ‘বাধা নেই’

আপডেটেড ২২ মে, ২০২৫ ১২:০১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া গেজেট অবৈধ ঘোষণার দাবি এবং তাকে শপথ পড়ানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট মামলা খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট।

আদালতের এই আদেশের ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ নিতে আর কোনো বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন।

এ রিট মামলার ওপর মঙ্গল ও বুধবার কয়েক দফা শুনানির পর বৃহস্পতিবার তা খারিজ করে আদেশ দেয় বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাই কোর্ট বেঞ্চ।

ইশরাককে মেয়রের চেয়ারে বসাতে এক সপ্তাহ ধরে তার সমর্থকদের আন্দোলনের মধ্যে আদালতের এই সিদ্ধান্ত এল।


টিকটক বানাতে ক্যামেরা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা, ফটোগ্রাফার খুন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

রাজধানীর হাজারীবাগের জাফরাবাদ পুলপাড় ঋষিপাড়া এলাকায় ফটোগ্রাফার নূরুল ইসলামকে হত্যা করে ক্যামেরা ছিনতাইয়ের মামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের সবাই ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সী তরুণ। টিকটক ভিডিও বানাতেই তারা ক্যামেরা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ মে) ঢাকা ও ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরা এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাপাতি, একটি রামদা ও একটি বড় ছোরা উদ্ধার করা হয়। পূর্বপরিকল্পনা অংশ হিসেবেই ওই ফটোগ্রাফারকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাজারীবাগ থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন— নাঈম আহম্মেদ (২০), শাহীন অকন্দ ওরফে শাহিনুল (২০), শাহীন চৌকিদার (২২), রহিম সরকার (১৯), নয়ন আহম্মেদ (১৯), রিদয় মাদবর (১৮), আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজা (১৯), আনোয়ার হোসেন (১৯), শহিদুল ইসলাম (২০) ও মোহাম্মদ আরমান (১৮)।

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নুরুল ইসলাম (২৬) একটি ফেসবুক পেজ পরিচালনা করে বিভিন্ন ইভেন্টে ফটোগ্রাফির কাজ করতেন। গত ১৫ মে একটি অজ্ঞাত মোবাইল নম্বর থেকে তার ফোনে কল আসে। অজ্ঞাত ব্যক্তি একটি বিয়ের ইভেন্টে ছবি তোলার জন্য তাকে বুকিং দিয়ে ৫০০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে অগ্রিমও পাঠান। পরের দিন (১৬ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে একই নম্বর থেকে ফোন করে তাকে শংকর চৌরাস্তায় অপেক্ষা করার কথা জানানো হয়।

পরে সহযোগী মোহাম্মদ ইমন ও নুরে আলমকে নিয়ে মতিঝিলের এজিবি কলোনির বাসা হতে বের হয়ে সেই অজ্ঞাত ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন নুরুল। সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি শংকর বাসস্ট্যান্ডে তাদের সঙ্গে দেখা করেন। তারা ওই ব্যক্তির কথামতো একটি অটোরিকশাযোগে জাফরাবাদ পুলপাড় ব্লুমিং চাইল্ড স্কুলের কাছে বিয়ের অনুষ্ঠানের উদ্দেশে রওনা হন। এরপর রাত ৮টার দিকে জাফরাবাদ পুলপাড় ঋষিপাড়া এলাকায় পৌঁছানোমাত্র দুষ্কৃতকারীরা তাদের রিকশার গতিরোধ করে।

ঘটনার আকস্মিকতায় ইমন রিকশা থেকে লাফিয়ে নেমে দৌড়ে পালিয়ে যান। তবে নুরুল ইসলামকে ধরে ফেলেন দুষ্কৃতকারীরা। তারা ধারালো চাপাতি দিয়ে নুরুলের মাথা, ঘাড়, বাহু ও হাতের আঙুলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তার কাছে থাকা দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরাসহ ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। আহত নুরুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে দুষ্কৃতকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নূরুল ইসলামের বড় ভাই ওসমান গনি বাদী হয়ে হাজারীবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

হাজারীবাগ থানা সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। তারা টিকটকে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও তৈরি করে পোস্ট করত। উন্নতমানের ও আকর্ষণীয় ছবি ও ভিডিও করার জন্য ডিএসএলআর ক্যামেরা সংগ্রহের পরিকল্পনা করে তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ক্যামেরা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে তারা।

সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ আগে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী খেলার মাঠে ফুটবল খেলার পর নাঈম আহম্মেদের নেতৃত্বে ক্যামেরা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়। তারা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের নাম করে ফটোগ্রাফারদের কাছ থেকে কৌশলে ক্যামেরা ছিনতাইয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার নাঈম শংকর বাসস্ট্যান্ডে নূরুল ইসলাম ও তার সহযোগী ইমনের সঙ্গে দেখা করে।

নাঈম তাদের একটি অটোরিকশাযোগে ব্লুমিং চাইল্ড স্কুলের কাছে বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা বলে নিয়ে যান। এরপর রাত ৮টার দিকে ঋষিপাড়ার ‘ক্ষণিকালয়’ নামক বাসার গেটের সামনে অটোরিকশাটি পৌঁছালে নাঈমসহ শাহীন, শাহীনুল, রহিম, নয়ন, রিদয়, রাজ্জাক, আনোয়ার, শহিদুল ও আরমান অটোরিকশার গতিরোধ করে নূরুল ইসলামের কাছ থেকে ডিএসএলআর ক্যামেরা ও ব্যাগ ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। ক্যামেরা না দিতে চাইলে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে নূরুলের শরীরে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন এবং ক্যামেরাসহ ব্যাগ ছিনিয়ে নেন।


ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়রের দাবিতে নগরীর মৎস্য ভবন মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে টানা সাত দিন ধরে আন্দোলন করছেন তার সমর্থকেরা। নগর ভবনের সামনে আন্দোলনরতরা এবার ওই এলাকা ছেড়ে মৎস্য ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

বুধবার (২১ মে) সকাল থেকেই আন্দোলনকারীরা হাইকোর্ট গেট, জাতীয় প্রেসক্লাব ও শিক্ষা ভবনের মোড়ে জমায়েত হতে থাকেন। স্লোগানে স্লোগানে এলাকা উত্তাল করে তোলেন তারা। পরে সবাই একসঙ্গে মৎস্য ভবনের সামনে অবস্থান নেন। এসময় চারদিকে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তার আগে কয়েকদিন ধরে আন্দোলন চলতে থাকা নগর ভবনের সামনের সড়ক ফাঁকা দেখা যায় এসময়। সেখানে কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি। নগর ভবনের ফটকের সামনে অস্থায়ী মঞ্চও তুলে নেওয়া হয়েছে। যে কয়েকজন কর্মী দেখা গেছে, তারাও মৎস্য ভবনের দিকে যাচ্ছেন বলে জানালেন।

সমর্থকরা বলছেন, ইশরাকের মেয়র পদ নিয়ে রিটের আদেশ ১২টায় হওয়ার কথা। ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না এলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে।

কয়েকদিনের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেলে নগর ভবনের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ থেকে সাবেক সচিব মশিউর রহমান বলেন, আমরা আগামীকাল (বুধবার) সকাল ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এর মধ্যে ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত না এলে সকাল ১০টায় একত্রিত হয়ে আরও কঠোর কর্মসূচি দেব।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে। এরপর শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস।

সেই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে তাপস পেয়েছিলেন সোয়া চার লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ইশরাক পান দুই লাখ ৩৬ হাজার ভোট। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান মিয়া।

এর মধ্যে গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম।

আদালত ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। এ রায় পাওয়ার পর ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

তবে গেজেট প্রকাশের দিন ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল করতে আইনি নোটিশ দেন রফিকুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ নামে দুই ব্যক্তি। নোটিশে গেজেট প্রকাশ এবং ইশরাককে শপথ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।

এরপর মামুনুর রশিদ হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে ২৭ মার্চের রায় এবং ২৭ এপ্রিলের গেজেট কেন বেআইনি হবে না এবং ইশরাক হোসেনের শপথ পরিচালনা থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় রায় ও গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে।


ইসি পুনর্গঠন ও স্থানীয় নির্বাচনের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

দলের ঢাকা মহানগর শাখার আয়োজনে বুধবার (২১ মে) দুপুর ১২টায় আগারগাঁও এলাকায় এ কর্মসূচি শুরু হয়। তারা বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিশনের বিরুদ্ধে এই কর্মসূচি পালন করে।

বক্তব্যে এনসিপি নেতারা অভিযোগ করেন, এই নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে কোনো সংস্কার কার্যক্রম শুরুর আগেই। ফলে কমিশন তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে বলে তারা মন্তব্য করেন।

জাতীয় নাগরিক পার্টির গুলশান থানা শাখার নেতা নুর ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘এই কমিশন ইতোমধ্যে নিরপেক্ষতা হারিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শাসনামলে প্রণীত একটি আইনের ভিত্তিতে এই কমিশন গঠিত হয়েছে। আমরা এই কমিশন চাই না, এটি রকিব কমিশনের মতো।’

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে এনসিপি নেতারা বলেন, জাতীয় নির্বাচনে যাওয়ার আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাচাই করা উচিত।

এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আবু আবদুল্লাহ বলেন, ‘অবৈধ উপায়ে গঠিত এ ইসি মেনে নেব না।’

দলটির পল্লবী থানা শাখার প্রতিনিধি রেহানা আক্তার রুমা বলেন, ‘আমরা এখানে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছি। এ ইসির পরিবর্তন চাচ্ছি।’

রমনা থানা শাখার নারী প্রতিনিধি ডা. ইশরাত জাহান বলেন, ‘বড় দলগুলোর ব্যর্থতায় আমরা এনসিপিতে যোগ দিয়েছি। এ ইসিকে ধিক্কার জানাই, একটি বড় দলকে তারা সাপোর্ট করছে।’

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশেনের মেয়র পদে শপথ পড়ানোর দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির মধ্যে এনসিপি নির্বাচন ভবনের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করল।

মঙ্গলবার রাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘অবিলম্বে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আমলে নিয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।’


মেয়র হিসেবে ইশরাকের শপথ না পড়ানো নিয়ে রিটের আদেশ আজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটের আদেশ দেওয়া হবে আজ।

গতকাল বিষয়টি নিয়ে রিটের শুনানি শেষ হয়। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে আজ আদেশের দিন ধার্য রয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান মিলন শুনানি করেন। ইশরাকের পক্ষে সিনিয়র এডভোকেট ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল শুনানি করেন।

ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। রিট আবেদনটি করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দা মো. মামুনুর রশিদ।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাচন হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পরাজিত দেখিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের রায়ের অনুলিপি পেয়ে গত ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় সাংবিধানিক সংস্থাটি।

এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নতুন মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।


বিপুল বিদেশি মদ ও বিয়ারসহ গ্রেপ্তার ১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর গেন্ডারিয়া থেকে ১৪৫ বোতল বিদেশি মদ ও ১০৬ ক্যান বিয়ারসহ ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। তার নাম- মো. সজল (৩৪)।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে গেন্ডারিয়ার ৪৯ নম্বর শরাফৎগঞ্জ লেনের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিএনসির ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (দক্ষিণ) সূত্রাপুর সার্কেল।

ডিএনসির উপ পরিচালক মো. মানজারুল ইসলাম দৈনিক বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার সজল একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। বেশ কিছুদিন ধরে তার কার্যকলাপ গোপনে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়। পরে গোয়েন্দা তথ্যে গতকাল বিকেল সাড়ে ৩ টা থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত তার শরাফৎগঞ্জ লেনের নিজ বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ২৮ টি ব্র্যান্ডের ১৪৫ বোতল বিদেশি মদ ও বিভিন্ন ব্যান্ডের ১০৬ ক্যান বিয়ার উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষনিক এসব মাদকের মূল্য তিনি জানাতে পারেননি। পরে নির্ণয় করে জানানো হবে বলে জানান।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মানজারুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার সজল গত ৫-৬ মাস আগে থেকে এ ব্যবসা করে করেছেন। আগামী ঈদ-উল-আযহার সময় গেন্ডারিয়া ও আশে পাশের এলাকায় বিক্রির জন্য এসব মদ ও বিয়ার মজুদ করেছেন তিনি। রাজধানীর গুলশান থেকে এসব মদ ও বিয়ার সংগ্রহ করেছেন বলেও জিজ্ঞাসাবাদে জানান তিনি।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান ডিএনসির এ কর্মকর্তা।


শাহবাগ ছেড়েছে ছাত্রদল, যান চলাচল স্বাভাবিক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ করে রাখার পর শাহবাগ ছেড়েছে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এতে আশেপাশের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ মে) বিকাল ৩টার দিকে ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা শাহবাগে জড়ো হতে শুরু করেন। এরপর বিকাল ৫টার দিকে শাহবাগ ছেড়ে যান তারা।

সাম্য হত্যার বিচার, ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ, নিরাপদ ক্যাম্পাসসহ একাধিক দাবিতে শাহবাগ মোড়ে এই অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। এর ফলে শাহবাগ এলাকা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে বৃষ্টির মধ্যে মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়ে।

অবরোধ কর্মসূচিতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদকের নাছির উদ্দিন নাছিরসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং অন্যান্য ইউনিটের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, রবিবারও একই দাবিতে তারা দুই ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখেন।


banner close