সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চায়, এমন বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়েছে।
অন্ট্রাপ্রেনিওরস ক্লাব অব বাংলাদেশ তাদের নিবন্ধিত মেম্বারদের মধ্যে বাছাইকৃত প্রায় ৬০ উদ্যোক্তাকে নিয়ে রাজধানীর গুলশানে এ ওয়ার্কশপের আয়োজন করে।
ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেন পেন্টাগন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) ও অন্ট্রাপ্রেনিওরস ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট অন্তু করিম।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক মেধাবী উদ্যোক্তা আছেন, তারা চাইলেই নিজেদের পণ্য বা সার্ভিস দুবাইয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে রপ্তানি করতে পারেন। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তির কারণে অনেকেই দুবাইতে বিজনেস করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন। সেটা যেন না হয় সেই লক্ষ্যেই আমাদের এই ওয়ার্কশপ।’
ওয়ার্কশপে আলোচনা করা বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল—দুবাইতে ব্যবসার সুযোগ ও সম্ভাবনা, দুবাইয়ের ব্যবসায়িক পরিবেশ, দুবাইতে ব্যবসা শুরু করার পদ্ধতি, দুবাইতে ব্যবসা পরিচালনার নীতিমালা, দুবাইতে ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও দুবাইতে ব্যবসায়িক প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অন্ট্রাপ্রেনিওরস ক্লাবের ফাউন্ডার মোহাম্মদ শাহরিয়ার খান বলেন, ‘আমাদের উদ্যোক্তারা যেন বিভিন্ন দেশে তাদের ব্যবসাকে সম্প্রসারিত করতে পারেন, সেই উপলক্ষে শুধু দুবাই নয়; থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের জন্য অন্ট্রাপ্রেনিওরস ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ডেস্ক নামে একটি সার্ভিস অচিরেই শুরু হতে যাচ্ছে।’
অন্ট্রাপ্রেনিওরস ক্লাবের ইসি কমিটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ শাহ আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের নিবন্ধিত উদ্যোক্তাদের স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য প্রতি মাসে কোনো না কোনো ট্রেনিং থাকবে। আমাদের উদ্যোক্তারা অচিরেই বাংলাদেশসহ বিশ্বের মানচিত্রে নিজেদের একটি অবস্থান তৈরি করতে পারবেন।’
ক্লাবের ইসি কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব রুহুল ঘোষ বলেন, ‘আমরা আমাদের উদ্যোক্তাদের জন্য একটি শক্তিশালী প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম তৈরি করতে চাই। এই প্রোগ্রামটি তাদের ব্যবসায়িক দক্ষতা এবং জ্ঞান উন্নত করতে সাহায্য করবে। আমরা বিশ্বাস করি যে এই প্রশিক্ষণ আমাদের উদ্যোক্তাদের তাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।’
ওয়ার্কশপে আরও উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরেফিন দিপু, জনসংযোগ সম্পাদক রাবেয়া খাতুন লাকি , ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি অরুপা দত্ত, পরিচালক খাইরুল আলম লিমন ছাড়াও ক্লাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
দেশের অন্যতম বৃহৎ ও আধুনিক আবাসন প্রকল্প রূপায়ণ সিটি, উত্তরা-তে আগামী ১৫ থেকে ২০ ডিসেম্বর ছয় দিনব্যাপী আয়োজন করা হয়েছে “Rupayan City Investment Carnival”। এই বিনিয়োগ উৎসবে আবাসন ও বাণিজ্যিক সম্পত্তিতে আগ্রহী ক্রেতাদের জন্য থাকছে বিশেষ মূল্যছাড়, স্পট বুকিং সুবিধা এবং সহজ কিস্তির (EMI) সুযোগ।
এই কার্নিভালে রূপায়ণ সিটির বিভিন্ন প্রিমিয়াম প্রকল্প যেমন— Rupayan Sky Villa, Rupayan Grand, Rupayan Majestic এবং দেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক প্রকল্প Rupayan Maxus Mall-এর নির্বাচিত ইউনিট বুকিংয়ের সুযোগ থাকবে।
রূপায়ণ সিটি কর্তৃপক্ষ জানান, বর্তমান বাজার বাস্তবতায় ক্রেতাদের জন্য নির্ভরযোগ্য, পরিকল্পিত ও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করতেই এই কার্নিভালের আয়োজন। একই সঙ্গে প্রকল্প পরিদর্শন, লাইভ কনসালটেশন এবং তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক নানা সুবিধা রাখা হয়েছে।
কার্নিভাল চলাকালে আগত দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে প্রকল্পভিত্তিক উপস্থাপনা, সীমিত সময়ের এক্সক্লুসিভ অফার এবং বিশেষ ক্রেতা সুবিধা।
আবাসন ও বাণিজ্যিক বিনিয়োগে আগ্রহীরা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত রূপায়ণ সিটি ক্লাব প্রাঙ্গণে এই ইনভেস্টমেন্ট কার্নিভালে অংশ নিতে পারবেন।
২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত এসডিজি-৬ অর্জন করার লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াসা, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ ও দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) সহ বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ঢাকা শহরের বস্তি এলাকায় নিম্নআয়ের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ পানি সরররাহ করে আসছে। ইতিমধ্যে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক সিটিজেন চার্টার প্রকাশের মাধ্যমে নিম্নআয়ের এলাকায় বৈধ পানির সংযোগ প্রদান কার্যক্রম বেগবান হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা শহরের নিম্ন আয়ের এলাকায় বসবাসরত মানুষেরা সহজে বৈধ পানির সংযোগ নিতে পারছেন এবং নিয়মিত পানির বিল পরিশোধের মাধ্যমে ওয়াসার রাজস্ব বৃদ্ধিতে সহায়তা করছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা ওয়াসা, দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশ যৌথভাবে ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, রবিবার রাজধানীর ওয়াসা ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে নিম্নআয় এলাকার গ্রাহকদের মধ্যে "আদর্শ গ্রাহক সম্মাননা স্মারক ২০২৫" প্রদান করা হয়েছে। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ওয়াসা’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ আব্দুস সালাম ব্যাপারী। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ওয়াসা’র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (মানব সম্পদ ও প্রশাসন) মোঃ আমিরুল ইসলাম, ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান এবং দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে)-এর নির্বাহী পরিচালক ডাঃ দিবালোক সিংহ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বস্তিভিত্তিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বস্তিবসীদের মধ্যে যারা নিয়মিত পানির বিল প্রদান করা ৩০ জন আদর্শ গ্রাহক এবং বস্তি এলাকায় ওয়াশ অবকাঠামো ব্যবস্থাপনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করায় তিনটি কমিউনিটিভিত্তিক সংগঠনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি, অতিথিরা বস্তি এলাকায় পানি সরবরাহ কার্যক্রমকে গতিশীল করতে সমস্যা চিহ্নিত করা এবং উক্ত সমস্যাসমূহ সমাধানে করণীয় নির্ধারণ করার উপর গুরুত্ব প্রদান করেন।
পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) হিসেবে ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা চালুর জন্য বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনাপত্তিপত্র পেয়েছে বাংলালিংক। সবার জন্য ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহারের সুযোগ তৈরিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে এবং গ্রাহকদের প্রতিদিনের ১,৪৪০ মিনিট কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে ডিজিটাল সেবা কৌশল ‘ডিও ১৪৪০’ অনুযায়ী বাংলালিংক প্রয়োজনীয় আর্থিক ও ডিজিটাল সেবা সরাসরি মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বৈশ্বিক ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং বাংলালিংকের মূল প্রতিষ্ঠান ভিওন এই অনুমোদনকে দেশের ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি এবং নগদ অর্থবিহীন অর্থনীতির ভিত্তি শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছে। ভিওনের আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রযুক্তি সক্ষমতা এ অগ্রগতি আরও সুদৃঢ় করেছে।
এ অনুমোদনের ফলে দেশের বিপুলসংখ্যক গ্রাহক আরও নিরাপদে, দ্রুতগতিতে ও সহজে নিজেদের মোবাইল ডিভাইস থেকে বিভিন্ন ডিজিটাল আর্থিক সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। একই সাথে, এ অনুমোদন দেশজুড়ে পরবর্তী প্রজন্মের ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা চালুর পথও উন্মুক্ত করবে।
ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে গ্রাহকরা তাৎক্ষণিকভাবে অর্থ পাঠানো, রেমিট্যান্স সেবা, বিদ্যুৎ ও সরকারি বিল পরিশোধ, অনলাইন ক্রয়-বিক্রয় ও দোকানদারকে অর্থ পরিশোধ এবং বেতন ও ভাতা বিতরণসহ সঞ্চয় ও বিমা কিস্তি পরিশোধের মতো বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা উপভোগ করবেন।
এ সেবার অন্যতম লক্ষ্য হলো ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীসহ সবার জন্য আনুষ্ঠানিক আর্থিক ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা। শক্তিশালী নিরাপত্তা কাঠামোতে নির্মিত এই প্ল্যাটফর্ম গ্রাহকদের জন্য নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য এবং নির্বিঘ্ন লেনদেন নিশ্চিত করবে এবং দীর্ঘমেয়াদে গ্রাহকদের আস্থা তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।
এ বিষয়ে বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী ইওহান বুসে বলেন, ‘দেশজুড়ে বাংলালিংকের সেবার বিস্তৃতি এবং ভিওনের আন্তর্জাতিক সক্ষমতা মিলিয়ে আমরা বাংলাদেশের জন্য একটি নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা গড়ে তুলছি। এ অনুমোদন আমাদের সে বিশ্বাসকে আরও সুদৃঢ় করেছে।’
বাংলালিংক ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্ট সেবার বাণিজ্যিক উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে।
বাংলাদেশের অন্যতম ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম দ্য ফ্রন্ট পেজ (টিএফপি) তাদের যাত্রার পাঁচ বছরপূর্তি উদযাপন করছে। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটি সোশ্যাল-ফার্স্ট সাংবাদিকতা, টেকসই ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবসায়িক মডেল এবং বিকেন্দ্রীভূত সংবাদ অবকাঠামো গড়ে তোলায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ছোট একটি সোয়াইপ-ফার্স্ট পরীক্ষামূলক উদ্যোগ হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও, দ্য ফ্রন্ট পেজ এখন তরুণ ও মোবাইলনির্ভর পাঠকদের কাছে একটি পরিচিত ও বিশ্বাসযোগ্য মিডিয়া ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে।
বর্তমানে প্ল্যাটফর্মটির অনুসারীর সংখ্যা কয়েক লাখ এবং প্রতি মাসে বিভিন্ন মাধ্যমে এর কনটেন্ট কোটি সংখ্যক ভিউ অর্জন করছে।
শুরু থেকেই দ্য ফ্রন্ট পেজ সংবাদকে শুধু কনটেন্ট হিসেবে নয়, বরং মোবাইলে পড়ার উপযোগীভাবে উপস্থাপন করে এসেছে। তাদের সম্পাদকীয় কাজের ভিত্তি হলো ছোট আকারের ভিজ্যুয়াল ব্যাখ্যামূলক কনটেন্ট, তথ্যভিত্তিক ও নিরপেক্ষ উপস্থাপন এবং নিয়মিত যাচাই-বাছাই।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা কন্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় নানা দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরছে।
দ্য ফ্রন্ট পেজের সহপ্রতিষ্ঠাতা শাহ মো. আকিব মজুমদার বলেন, ‘সংকটকালে আমাদের নীতি হলো দায়িত্বশীল, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ থাকা এবং তথ্য প্রকাশে কিছুটা দেরি হলেও সব সময় সত্য তথ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া।’
ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমটির আরেক সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাসবীর এসকান্দার বলেন, ‘মানুষ শুধু ব্রেকিং নিউজের হেডলাইন খোঁজে না- তারা এমন তথ্য চায়, যেটার ওপর ভরসা করা যায় এবং যা পরিস্থিতি বুঝতে সাহায্য করে। আমাদের কাজ হলো তথ্যভিত্তিক সচেতনতা তৈরি করা।’
ষষ্ঠ বছরে পা রেখে দ্য ফ্রন্ট পেজ তাদের বিকেন্দ্রীভূত কন্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্ক আরও বিস্তৃত করা, তথ্য যাচাই ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, বাংলা-ইংরেজি দ্বিভাষিক কনটেন্ট বাড়ানো এবং মিডিয়া সাক্ষরতা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে বিভিন্ন অংশীদারের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভা বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমানসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার এ সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় ২০২৪ সালের আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।
প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান সভাপতির ভাষণে বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে ইসলামী ব্যাংক অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছিল। একটি গোষ্ঠী দেশের শীর্ষ এ ব্যাংকটির ভিত্তিকে দুর্বল করে দিয়েছিল। তবে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর গঠিত নতুন পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল দায় পরিশোধ করেছে এ ব্যাংক। ২.৫ কোটি গ্রাহক ও সাধারণ মানুষের আস্থার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক হচ্ছে গ্রাহকদের আস্থার প্রতীক। জুলাই বিপ্লবের পরে এ ব্যাংকটিকে পুনরুদ্ধার ও গ্রাহকস্বার্থ রক্ষার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বর্তমান পরিচালকদের নিয়োগ দিয়েছে। পরিচালকরা ব্যাংকের সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও আর্থিক ভিত্তি শক্তিশালী করার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।’ তিনি এ ব্যাংকের প্রতি আস্থা রাখার জন্য গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীদের কৃতজ্ঞতা এবং অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশে ইকোফ্লোর একমাত্র এক্সক্লুসিভ ও অফিসিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর এসিআই রিনিউয়েবল এনার্জি এবং জাতীয় ক্রীড়াবিদ ঋতুপর্ণা চাকমার মধ্যে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঋতুপর্ণা চাকমা সশরীরে উপস্থিত থেকে ইকোফ্লো বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকার তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ইয়ামাহা ফ্ল্যাগশিপ সেন্টারে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঋতুপর্ণা চাকমা বর্তমানে বাংলাদেশের নারী ফুটবলের অন্যতম উজ্জ্বল প্রতিভা। মাঠে তার গতি, দক্ষতা, শান্ত মনোভাব এবং দৃঢ় সংকল্প তাকে দেশজুড়ে বিশেষভাবে প্রশংসিত করেছে। পাহাড়ি অঞ্চল থেকে উঠে এসে জাতীয় তারকা হয়ে ওঠার তার এ যাত্রা তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণামূলক একটি গল্প। তার এই দৃঢ়তা, উন্নতির মনোভাব এবং নেতৃত্বের গুণাবলি ইকোফ্লোর আধুনিক, স্মার্ট ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সমাধানের দর্শনের সঙ্গে সুন্দরভাবে মিল রয়েছে।
অনুষ্ঠানে এসিআই রিনিউয়েবল এনার্জির ডেপুটি বিজনেস ডিরেক্টর আসিফ ফয়সাল রুমি এবং সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার তানভীর আহমেদ তানিম দেশের বর্তমান বিদ্যুৎ পরিস্থিতিতে আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য ব্যাকআপ বিদ্যুৎ সমাধানের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তারা উল্লেখ করেন, ইকোফ্লোর উন্নত পোর্টেবল পাওয়ার স্টেশন, সৌর-সমর্থিত চার্জিং ব্যবস্থা এবং উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারি প্রযুক্তি লোডশেডিংয়ের সময় ঘরবাড়ি ও ব্যক্তিগত ব্যবহারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।
ইকোফ্লোর পরিচ্ছন্ন, দক্ষ এবং ব্যবহারবান্ধব বিদ্যুৎ সমাধান আধুনিক ও গতিশীল প্রজন্মের চাহিদার সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ চুক্তির মাধ্যমে এসিআই রিনিউয়েবল এনার্জি দেশের মানুষকে আরও স্মার্ট, টেকসই এবং নির্ভরযোগ্য ব্যাকআপ বিদ্যুৎ ব্যবহারে অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্য নিয়েছে, যা দৈনন্দিন কাজ, আরাম এবং উৎপাদনশীলতাকে শক্তিশালী করবে।
অনুষ্ঠানটি মিডিয়া ইন্টারঅ্যাকশন, ফটো-সেশন এবং সর্বশেষ ইকোফ্লোর পণ্য প্রদর্শনীর মাধ্যমে সমাপ্ত হয়, যা দেশে আধুনিক বিদ্যুৎ সমাধানের বিস্তারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত।
২০২৫ সালের প্রথম ১১ মাসে ব্র্যাক ব্যাংক ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্ক ১৫ হাজার কোটি টাকা নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধির এক অনন্য মাইলস্টোন অর্জন করেছে। ডিপোজিট সংগ্রহে ব্যাংকিং খাতে এটি একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডিপোজিট প্রবৃদ্ধিতে ব্যাংকটি শক্তিশালী অবস্থান বজায় রেখেছে। জানুয়ারি-নভেম্বর ২০২৫ সময়ে এই অর্জন ব্যাংকটির টেকসই প্রবৃদ্ধি, শক্তিশালী ব্যালেন্স শিট এবং গ্রাহকদের অবিচল আস্থার প্রতিফলন।
৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ঢাকায় ব্রাঞ্চ ম্যানেজার্স বিজনেস কনক্লেভ ২০২৫ অনুষ্ঠানে এই সাফল্য উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক শেখ মোহাম্মদ আশফাক।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ব্যাংকটির ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের সিনিয়র জোনাল হেড (নর্থ) এ.কে.এম. তারেক, সিনিয়র জোনাল হেড (সাউথ) তাহের হাসান আল মামুন, বিভিন্ন রিজিওনের রিজিওনাল হেড, ক্লাস্টার হেড এবং ব্রাঞ্চ ও সাব-ব্রাঞ্চ ম্যানেজাররা।
এমন মাইলফলক অর্জন নিয়ে তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, ‘ধারাবাহিক ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী ব্যালেন্স শিটের ভিত্তি। আমাদের প্রতি গ্রাহকদের অবিচল আস্থাই এই অর্জনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে। সুশাসন, শক্তিশালী কমপ্লায়েন্স ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে দেশের সবচেয়ে আস্থার, উদ্ভাবনী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংক থেকে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই ভিত্তি ও প্রতিশ্রুতিই আমাদের সাফল্যের মূল চালিকাশক্তি।’
দেশব্যাপী বিস্তৃত ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্ক টিমের প্রচেষ্টা ও কর্মদক্ষতার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সহকর্মীদের পেশাদারিত্ব, গ্রাহককেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং উৎকৃষ্ট সেবার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি এই মাইলফলক অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির নির্বাহী কমিটির ৯১০তম সভা বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ব্যাংকের করপোরেটের প্রধান কার্যালয়ের পর্ষদ সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আক্কাচ উদ্দিন মোল্লা।
সভায় বিভিন্ন খাতে অর্থায়ন এবং ব্যাংকিং সম্পর্কিত বিষয়াবলি নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় অন্যদের মধ্যে ব্যাংকের পরিচালক ও কমিটির সদস্যরা মো. সানাউল্লাহ সাহিদ, মহিউদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জি. মো. তৌহীদুর রহমান, মোহাম্মদ ইউনুছ এবং খন্দকার শাকিব আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া সভায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ এবং কোম্পানি সচিব মো. আবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।
দেশীয় মোবাইলফোন ব্র্যান্ড সিম্ফনি মোবাইল গ্রাহকসেবাকে আরও সম্প্রসারিত ও সহজলভ্য করতে নোয়াখালীর মাইজদিতে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করল তাদের ৭০তম কাস্টমার কেয়ার সেন্টার।
সম্প্রতি আয়োজিত এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিম্ফনি মোবাইলের সিনিয়র ডিরেক্টর এফ. এম. আব্দুল হাফিজ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, ডিরেক্টর অব স্ট্র্যাটেজিক এইচ আর মুরাদ চৌধুরী এবং ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মীর সাকিরুল ইসলাম, ওই এরিয়ার পরিবেশক আরকে মোবাইল সেন্টারের স্বত্বাধিকারী জনাব জুয়েল সাহা এবং সিম্ফনি মোবাইলের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
নতুন কেন্দ্রটিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং দ্রুত সমস্যা সমাধানের সুবিধা রয়েছে, যা গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে।
স্থানীয় গ্রাহকদের কাছেও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তারা বলছেন, এখন মোবাইল সার্ভিসিং বা ওয়ারেন্টি সেবার জন্য আর দূরে যেতে হবে না। এই কাস্টমার কেয়ারে সিম্ফনি মোবাইলের পাশাপাশি হেলিও ব্র্যান্ডের ফোনেরও ওয়ারেন্টি সেবা পাওয়া যাবে।
সিম্ফনি মোবাইল দেশীয় মোবাইল ফোন ব্র্যান্ড হিসেবে প্রযুক্তিনির্ভর সেবার পাশাপাশি গ্রাহক সেবাকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে।
দেশীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড টুয়েলভ ক্লদিং তাদের ১৩তম বর্ষপূর্তিকে সামনে রেখে এবার আয়োজন করেছে ১২.১২ শপিং উৎসব। যা ইতোমধ্যে দেশের তরুণ ফ্যাশন সচেতন ক্রেতাদের মধ্যে বিশেষ সাড়া ফেলেছে। এক যুগের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের ফ্যাশন অঙ্গনে স্থিতিশীল অবস্থান তৈরি করে নেওয়া এই ব্র্যান্ড তাদের যাত্রাপথের সাফল্য, সংগ্রহের বৈচিত্র্য এবং ক্রেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতাকে কেন্দ্র করেই সাজিয়েছে বছরশেষের এই বিশেষ ক্যাম্পেইন। ১২ ডিসেম্বর থেকে একযোগে সারা দেশের সব আউটলেটে শুরু হওয়া এই উৎসবকে ঘিরে তৈরি হয়েছে ব্যস্ততা, ক্রেতাদের ভিড় এবং আনন্দঘন কেনাকাটার পরিবেশ।
টুয়েলভের ভাষ্য অনুযায়ী, ব্র্যান্ডটির সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় শক্তি হলো গ্রাহকদের বিশ্বাস ও ভালোবাসা। সে কারণেই প্রতি বছর নতুনত্ব আর দৃষ্টিনন্দন অফারের মাধ্যমে তারা ক্রেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে থাকে। এবারের ১২.১২ আয়োজনও সেই ধারাবাহিকতার অংশ। দেশের ফ্যাশন বাজারে যখন শীতের নতুন সংগ্রহ নিয়ে ব্যস্ততা তুঙ্গে, তখনই টুয়েলভ ঘোষণা করেছে সব পণ্যে ফ্ল্যাট ৩০ শতাংশ মূল্যছাড়। শীতের আরামদায়ক পোশাক, ট্রেন্ডি হুডি, সোয়েটার, জ্যাকেট থেকে শুরু করে আধুনিক নকশার ক্যাজুয়াল ও ফরমাল পোশাক। প্রতিটি আইটেমে থাকছে এই মূল্যছাড়ের সুবিধা। ফলে যেকোনো বয়সের ক্রেতাই নিজের পছন্দমতো পণ্য কেনার সুযোগ পাচ্ছেন আরও সাশ্রয়ী দামে।
এ বছর টুয়েলভ তাদের শীতকালীন সংগ্রহে গুরুত্ব দিয়েছে মৌসুমি বৈচিত্র্য, আরামদায়ক ফ্যাব্রিক ও আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ট্রেন্ডের সঙ্গে দেশীয় রুচির সমন্বয়ে। পোশাকের রঙ, কাট, প্যাটার্ন ও ডিজাইনে এনেছে নতুনত্ব এবং একই সঙ্গে রেখেছে ব্যবহারিক স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টিও। দোকানগুলোর সার্বিক পরিবেশেও এসেছে পরিবর্তন। সাজানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ভিজ্যুয়াল ডিসপ্লে, সুবিন্যস্ত কালেকশন ও উন্নত সার্ভিস সুবিধা, যাতে ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটার অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারেন।
১২.১২ উপলক্ষে টুয়েলভ এ বছর যুক্ত করেছে অতিরিক্ত কিছু বিশেষ সুবিধাও। নির্দিষ্ট পরিমাণ কেনাকাটায় ক্রেতারা পাচ্ছেন তিন ধরনের বোনাস উপহার। ৫,০০০ টাকা বা তার বেশি কেনাকাটায় ইনস্ট্যান্ট লয়্যালটি মেম্বারশিপ কার্ড, ১০,০০০ টাকার বেশি কেনাকাটায় টুয়েলভ ব্র্যান্ডেড জুট ব্যাগ এবং ২০,০০০ টাকার বেশি কেনাকাটায় ১,০০০ টাকার টুয়েলভ গিফট ভাউচার। লয়্যালটি কার্ডপ্রাপ্ত ক্রেতারা সারা বছরজুড়ে বিশেষ ছাড় ও সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন, যা দীর্ঘমেয়াদে তাদের জন্য বাড়তি মূল্য যোগ করবে। এই অতিরিক্ত অফারগুলো ক্রেতাদের কেনাকাটার আগ্রহকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে, বিশেষ করে পরিবার ও গ্রুপ শপিংয়ে এগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
শুধু ফিজিক্যাল স্টোর নয়, টুয়েলভের অনলাইন শপেও এবারের ১২.১২ উৎসব সমানতালে চলছে। ঘরে বসেই পছন্দের পোশাক বাছাই, সুবিধাজনক পেমেন্ট অপশন এবং দ্রুত ডেলিভারির সুবিধা থাকায় অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও ব্যাপক ক্রয়চাপ দেখা যাচ্ছে। দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে গ্রাহকরা একই সুবিধা গ্রহণ করতে পারছেন—এটিও ক্যাম্পেইনের জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ।
ব্র্যান্ডটির কর্মকর্তারা জানান, টুয়েলভ সবসময়ই চেষ্টা করে ট্রেন্ড আর সাশ্রয়ী মূল্যকে একই সুতোয় গাঁথতে, যাতে দেশের তরুণ থেকে শুরু করে সকল শ্রেণির ক্রেতাই সহজে মানসম্মত পোশাক ক্রয় করতে পারেন। তাদের মতে, নতুন প্রজন্মের ফ্যাশন–রুচি ও লাইফস্টাইলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পোশাকে যে বৈচিত্র্য ও সৃজনশীলতা আনা হয়, তা ক্রেতাদের সঙ্গে ব্র্যান্ডটির সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে। তাই ১২.১২ ক্যাম্পেইন নিছক ছাড়ের উৎসব নয়; বরং টুয়েলভ ও তার ক্রেতাদের দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক উদযাপনের একটি অনন্য উপলক্ষ।
১৩ বছরের পথচলার আনন্দে উজ্জীবিত টুয়েলভ বিশ্বাস করে যে তাদের এই উদ্যোগ শুধু ব্যবসায়িক নয়, বরং দেশের ফ্যাশন শিল্পে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। শীতের মৌসুমে পোশাক–ক্রেতাদের জন্য এটিই হতে পারে বছরের সেরা কেনাকাটার সময়, আর ১২.১২ অফার সেই অভিজ্ঞতাকে করে তুলছে আরও রঙিন, সাশ্রয়ী ও আনন্দময়। ক্রেতাদের উচ্ছ্বাস, নতুন সংগ্রহের বৈচিত্র্য এবং দৃষ্টিনন্দন অফারের সম্মিলনে টুয়েলভ ক্লদিংয়ের এই উৎসব ইতোমধ্যে পরিণত হয়েছে দেশের ফ্যাশনপ্রেমীদের অন্যতম প্রতীক্ষিত শপিং ইভেন্টে।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এর জনসংযোগ বিভাগ এর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে শাহ মখদুম বিমানবন্দর, রাজশাহীতে তথ্য অধিকার বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত প্রশিক্ষণে শাহ মখদুম বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক, বিএসপি, জিইউপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, এসিএসসি, পিএসসি (Air Vice Marshal Md Mostafa Mahmood Siddiq, BSP, GUP, ndc, afwc, acsc, psc)।
এছাড়াও প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন বেবিচকের পরিচালক (প্রশাসন) আবু ছালেহ মোঃ মুসা জঙ্গী ও সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মাদ কাউছার মাহমুদ। প্র
এছাড়া শিক্ষণ পরিচালক হিসেবে ছিলেন মোসাঃ দিলারা পারভীন, বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক, রাজশাহী এবং প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক হিসেবে চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মোঃ নিজাম উদ্দিন ও সিনিয়র অফিসার (প্রশাসন- ২) আহসান হাবীব প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী শাহ মখদুম বিমানবন্দর, রাজশাহীর সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদর জানান। তিনি বলেন, তথ্য অধিকার আইন, সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার অন্যতম কার্যকর মাধ্যম, যা নাগরিকদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে সহায়তা করে। তিনি আরও বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। সঠিক প্রক্রিয়ায় তথ্য প্রদানের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জনআস্থা আরও সুদৃঢ় করতে সহায়তা করে— যা আমাদের সকলের জন্যই অত্যন্ত কল্যাণকর।
এছাড়া তিনি আরও বলেন, বেবিচক তার নিজস্ব চ্যানেলের মাধ্যমে যথাযথ আইন অনুযায়ী প্রকাশযোগ্য তথ্য সরবরাহ করে থাকে যা বেবিচকের প্রতি জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ন রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরিশেষে প্রশিক্ষণের সর্বাঙ্গীন সফলতা কামনা করে চেয়ারম্যান মহোদয় বক্তব্য শেষ করেন।
রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে (১১–১৩ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত আইএবি বিল্ড এক্সপো ২০২৫―এ অংশগ্রহণ করেছে জিপিএইচ ইস্পাত। স্থপতি, পরিকল্পনাবিদ, প্রকৌশলী, ডিজাইনারসহ নির্মাণশিল্পের বিভিন্ন শীর্ষ বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে তিন দিনব্যাপী এই আয়োজন ভবিষ্যতের টেকসই নির্মাণব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছিল।
এক্সপো জুড়ে জিপিএইচ ইস্পাত তাদের বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রদর্শন করেছে, যা ভূমিকম্প-সহনশীলতা বাড়াতে এবং নির্মাণে দক্ষতা উন্নত করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। প্রদর্শনীতে ছিল সিসমিক বেস আইসোলেশন, উন্নতমানের স্টিল উৎপাদন, রিবার ফ্যাব্রিকেশন, আধুনিক কানেকশন ও জয়েন্টিং সিস্টেমসহ প্রিকাস্ট এবং পোস্ট-টেনশনিং সলিউশন। দর্শনার্থীরা এ এক্সপো’র মাধ্যমে জানতে পারছেন, এই প্রযুক্তিগুলো কীভাবে বর্তমান নির্মাণকে আরও শক্তিশালী, নিরাপদ এবং ভবিষ্যতের জন্য টেকসই করে তুলতে পারে।
ইভেন্টে জিপিএইচ ইস্পাত দেশের বিভিন্ন সেক্টরের পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে এবং এসব প্রযুক্তির বাস্তব প্রয়োগ, দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা এবং সরকারি–বেসরকারি অবকাঠামো প্রকল্পে এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে আলোচনা করে। এই এক্সপো’র মাধ্যমে জিপিএইচ ইস্পাত তাদের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ও দেশের নির্মাণ খাতে অর্থবহ অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি আরও দৃঢ়ভাবে তুলে ধরেছে।
স্টলটি উদ্বোধন করেন, প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও কাঠামো প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. এম. শামীম জেড. বসুনিয়া; ড. রাকিব আহসান, অধ্যাপক, প্রকৌশল বিভাগ, বুয়েট; অধ্যাপক ড. ফখরুল আমীন, সাবেক অধ্যাপক, বুয়েট; অধ্যাপক ড. ফাহমিদা গুলশান, অধ্যাপক, পদার্থ ও ধাতব প্রকৌশল বিভাগ এবং আব্দুল্লাহ আল হোসাইন চৌধুরী, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার। এছাড়াও জিপিএইচ ইস্পাতের পক্ষে থেকে উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর; মোহাম্মদ আলমাস শিমুল, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ।
জিপিএইচ ইস্পাত তাদের স্টল পরিদর্শন, মতামত শেয়ার এবং ভবিষ্যৎ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করার জন্য সকল দর্শনার্থীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। এবং একইসাথে প্রতিষ্ঠানটি আশা প্রকাশ করেছে যে, সম্মিলিত উদ্যোগ দেশের নিরাপদ নির্মাণ ভবিষ্যত গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।
সম্প্রতি হুয়াওয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ‘হুয়াওয়ে স্পোর্টস অ্যান্ড ফ্যামিলি ডে ২০২৫’ পালন করেছে। এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল হুয়াওয়ে পরিবারের সকল সদস্য ও তাঁদের প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে পারস্পরিক বন্ধন ও একত্রতার আনন্দ উদযাপন করা।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) হুয়াওয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও উ জি এবং প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা আনন্দঘন পরিবেশে হুয়াওয়ের কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান। গেমস, চিত্রাঙ্কন, স্প্রিন্ট, সংগীত ও নৃত্য পরিবেশনা আয়োজনটিকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উ জি বলেন, “হুয়াওয়ে নিয়মিতভাবে কর্মীদের জন্য খেলাধুলা ও ফ্যামিলি ডে-সহ বিভিন্ন কার্যক্রম আয়োজন করে। এর মাধ্যমে আমরা তাঁদের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে একসাথে আনন্দ উদযাপন করে থাকি। আমাদের কর্মীরা শুধু হুয়াওয়েকে এগিয়ে নিচ্ছে না, বরং তাদের নিষ্ঠা, পরিশ্রম এবং উদ্ভাবন দিয়ে দেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখছে। এই আয়োজন আমাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার পাশাপাশি নতুন উদ্যম নিয়ে একসাথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত দেবে।”
হুয়াওয়ে বাংলাদেশের চিফ অপারেটিং অফিসার ঝৌ শিয়াওফেং বলেন, “আমরা এমন উৎসবমুখর পরিবেশে হুয়াওয়ের কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সঙ্গে এই বিশেষ দিনটি উদযাপন করতে পেরে আনন্দিত। হুয়াওয়ের ফ্যামিলি ডে এবং অন্যান্য উদ্যোগ কর্মক্ষেত্রের বাইরেও
কর্মীদেরকে ভালো রাখার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে। কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের প্রতিও আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। তাঁদের সহযোগিতা ও সমর্থন কর্মীদের পেশাগত সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
ফ্যামিলি ডে ছাড়াও হুয়াওয়ে সারা বছর জুড়ে কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সাথে বিভিন্ন উৎসব উদযাপন করে থাকে।