ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও ইউনাইটেড হেলথকেয়ার সার্ভিসেস লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মেডিক্সের মধ্যে একটি করপোরেট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) (চলতি দায়িত্ব) মুহাম্মদ কায়সার আলী ও ইউনাইটেড হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান এ-সংক্রান্ত চুক্তি হস্তান্তর করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার আবুল ফয়েজ মুহাম্মাদ কামালউদ্দিন, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মানজুরুল হক ও সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এ এম শহীদুল এমরান, ইউনাইটেড হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার ডা. মো. ফজলে রাব্বি খান, মেডিক্সের হেড অব সেন্টার অপারেশন ও করপোরেট মার্কেটিং তারেক সামি রহমান এবং করপোরেট অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার শরীফুল ইসলাম খান ইউসুফজাইসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন। এ চুক্তির আওতায় বিভিন্ন টেস্টের ওপর ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কার্ড গ্রাহকরা মেডিক্সে বিশেষ ডিসকাউন্ট সুবিধা পাবেন। বিজ্ঞপ্তি
শনিবার কক্সবাজার হিমছড়িতে গোল্ড স্যান্ডস্ গ্রুপের সাফল্যের নতুন অধ্যায় বেস্ট ওয়েস্টার্ন প্লাস বে-হিলস্ ৪ তারকা হোটেলের সফ্ট ওপেনিং। পাহাড় ও সমুদ্রের মেল বন্ধনে কক্সবাজারের সেরা লোকেশন হিমছড়িতে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম হোটেল Best Western Plus Bay Hills আমেরিকার টপ গ্রেডের হোটেল চেইন দ্বারা পরিচালিত। কক্সবাজারের একমাত্র হোটেল যেখানে প্রতিটি স্যুইট থেকে পাহাড় ও সমুদ্রের অবারিত সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। সকাল ৯টা থেকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সারাদিন ব্যাপি র্যালি, ফিতা কাটা, ঘোড়ার গাড়ি প্রমোশন, মেরিন ড্রাইভে লাইটিং, সেলিব্রিটি, ব্র্যান্ড প্রমোটর ও ইনফ্লুয়েন্সার এনগেজমেন্ট, মিউজিক্যাল বারবিকিউ নাইট, সান্ধ্যকালীন কালচারাল প্রোগ্রাম, পুল সাইড ডিনার, ভিআইপি গেস্ট সংবর্ধনাসহ আরও বিভিন্ন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোল্ড স্যান্ডস্ গ্রুপের সিইও, প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সামাজিক ও ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ। বেস্ট ওয়েস্টার্ন প্লাস বে-হিলস ৪ তারকা হোটেলের শুভ উদ্ভোধন উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিইও জনাব শাহাদাত হোসেন বাহার সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং আগামীদিনে গোল্ড স্যান্ডস্ গ্রুপের পাশে থেকে দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন এবং পর্যটন শিল্পের বিকাশে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
মোহাম্মদ সামির উদ্দিন, সিএফএ মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসির সম্পূর্ণ মালিকানাধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মিডল্যান্ড ব্যাংক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (এমডিবিএএমসি)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে যোগদান করেছেন।
বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ও ব্যাংকিং খাতে ১৪ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সামির উদ্দিন সিকিউরিটিজ বাজার সম্পর্কে গভীর জ্ঞান ও বাস্তব দক্ষতা অর্জন করেছেন। এমবিএল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডে সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি প্রতিষ্ঠার সফল নেতৃত্ব প্রদান করেন। এর আগে তিনি শাহজালাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের সিইও ছিলেন এবং ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডে ফান্ড ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি তার ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অফ বাংলাদেশ লিমিটেডে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার হিসেবে, যেখানে পরবর্তীতে প্রিন্সিপাল অফিসার পদে উন্নীত হন। এছাড়া তিনি ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড (IIDFC)-এ ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন। সামির উদ্দিন ২০১১ সালে HAC সিকিউরিটিজ লিমিটেডে ট্রেইনি অফিসার হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।
তিনি সিএফএ চার্টার হোল্ডার এবং সিএফএ সোসাইটি বাংলাদেশের সক্রিয় সদস্য। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ থেকে ফিনান্স বিষয়ে বিবিএ এবং এমবিএ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
নিয়োগ নিয়ে মতামত জানাতে গিয়ে এমডিবিএএমসি-এর চেয়ারম্যান এবং মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আহসান-উজ জামান বলেন, “আমরা সামির উদ্দিনকে আমাদের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে স্বাগত জানাই। মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালনায় তার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং নিয়মকানুন মানার সক্ষমতা আমাদের কোম্পানির ডিসেম্বর ২০২৫-এ চালু হতে যাওয়া দুইটি মিউচুয়াল ফান্ড সঠিকভাবে ও সফলভাবে পরিচালনায় সহায়তা করবে। বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা ও কর্পোরেট অ্যাডভাইজরি সেবায় তার সাফল্য আমাদের অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সেবার বিস্তার ও মান উন্নয়নে সহায়তা করবে এবং দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগকারী ও শেয়ারহোল্ডারদের জন্য স্বার্থ রক্ষায় সহায়ক হবে।”
ব্র্যাক ব্যাংকের রিডিং ক্যাফের সদস্যরা সম্প্রতি খ্যাতনামা লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ নিয়ে আলোচনা করেন।
পাঠচক্রের আলোচনাটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে যখন সদস্যরা উপন্যাসটির কাহিনি, চরিত্রগুলোর নির্মাণ এবং মানুষের অনুভূতি বোঝার ক্ষেত্রে লেখকের লেখার গভীরতা নিয়ে মতবিনিময় করেন।
অনেক বছর আগে লেখা হলেও উপন্যাসটির মানুষের নিঃসঙ্গতা, ভালোবাসা ও পরিবর্তনশীল জীবনের অর্থের খোঁজ - এসব চিরন্তন বিষয় আজকের পাঠকদের কাছেও একইভাবে প্রাসঙ্গিক বলে পাঠচক্রের আলোচকরা মনে করেন।
রিডিং ক্যাফেতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের গল্প বলার ভঙ্গি সময়ের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়েও আধুনিক পাঠকদের হৃদয়ে দাগ কাটে, যা তাঁর সাহিত্যিক দক্ষতারই প্রমাণ। ব্যক্তিগত অনুভূতি ও সমাজ বাস্তবতাকে দক্ষতার সঙ্গে মিশিয়ে ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’কে তিনি একই সাথে ব্যক্তিগত ও সার্বজনীন রূপ দিয়েছেন বলে আলোচনায় উল্লেখ করা হয়।
চলমান সাহিত্যআলোচনার অংশ হিসেবে রিডিং ক্যাফের সদস্যরা পরবর্তী পাঠচক্রে লেখক ইকরাম কবীরের দুটি বই নিয়ে আলোচনা করবেন - ‘খুদে গল্পের বই’, যা ৪৭টি বাংলা ফ্ল্যাশ ফিকশনের সংকলন, এবং ‘এক দুষ্টু ক্যাডেটের গল্প’, যা বাংলাদেশের ক্যাডেট কলেজ জীবনের ওপর ভিত্তি করে লেখা একটি ডকু-ফিকশন।
রিডিং ক্যাফের সদস্যরা বলেন, তারা ভবিষ্যতেও এমনই মননশীল পাঠ ও আলোচনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চান, যা ব্র্যাক ব্যাংকের সহকর্মীদের মধ্যে চিন্তার বিকাশ ও পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে সহায়তা করে।
এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড-এর সৌজন্যে এবং ওয়ালটন গ্রুপের সঞ্চালনায় রাজধানীর লে মেরিডিয়ান হোটেলে গত ১৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ১৪তম কমিউনিকেশন সামিট। বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের এই ফ্ল্যাগশিপ আয়োজনটিতে অংশ নেন দেশের মার্কেটিং, অ্যাডভার্টাইজিং, ব্র্যান্ডিং, মিডিয়া, পাবলিক রিলেশনস এবং ক্রিয়েটিভ কমিউনিকেশন খাতের শীর্ষ পেশাজীবীরা। আয়োজনটির এই বছরের প্রতিপাদ্য ছিল— “কেয়স, কালচার অ্যান্ড ক্রিয়েটিভিটি: রিইমাজিনিং দ্য কমিউনিকেশন ক্যানভাস।”
সামিটের আলোচনায় বক্তারা জানান, যোগাযোগ শিল্প এখন দ্রুত বদলে যাওয়া বাস্তবতার মুখোমুখি। ডিজিটাল পরিবর্তন, নতুন ধরণের দর্শক আচরণ আর সাংস্কৃতিক পরিবর্তন—সবকিছু মিলেই ব্র্যান্ডের বার্তা পৌঁছে দেওয়া আরও কঠিন হয়ে উঠছে। তাই গল্প বলার নতুন পথ, দর্শকের সঙ্গে আরও অর্থবহ সম্পর্ক এবং সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গির রূপান্তর—এসব নিয়ে সামিটে বিস্তৃত আলোচনা হয়। বক্তারা আরও বলেন, মানুষের জীবন ও সংস্কৃতিকে বোঝাই এখন কার্যকর যোগাযোগের মূল ভিত্তি।
অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের গ্রুপ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী সম্পাদক সাজিদ মাহবুব বলেন, “আজ যোগাযোগের দুনিয়া আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে দ্রুত বদলে যাচ্ছে। চারপাশের অনিশ্চয়তা আর তথ্যের ভিড়ে পথ খুঁজে নিতে সৃজনশীলতাই এখন আমাদের সবচেয়ে শক্ত ভরসা। এই সামিট মনে করিয়ে দেয়—সংস্কৃতি, মানবিকতা এবং সৃজনশীল চিন্তা মিলেই তৈরি হয় এমন ব্র্যান্ড–গল্প, যা দর্শকের কাছে সত্যিকারের সংযোগ তৈরি করে এবং ব্যবসাকেও এগিয়ে নিতে সাহায্য করে।”
দিনব্যাপী আয়োজনে ৩টি কিনোট সেশন, ৪টি প্যানেল ডিসকাশন ও ২টি কেস স্টাডির সমন্বয়ে ব্র্যান্ড–কমিউনিকেশন শিল্পের চলমান প্রবণতা, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ এবং পরিবর্তনশীল বাস্তবতা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়।
কি–নোট সেশনগুলোতে বক্তারা তুলে ধরেন—ব্যবসায়িক সমস্যা সমাধানে সৃজনশীল ভাবনার কার্যকর প্রয়োগ, ডিজিটাল যুগে ব্র্যান্ডের আত্মতুষ্টি থেকে তৈরি হওয়া ঝুঁকি—যার বাস্তব উদাহরণ হিসেবে উঠে আসে “জোহরান মামদানি” ক্যাম্পেইনের বিশ্লেষণ—এবং ব্র্যান্ডের তথ্যজট ভেদ করে স্পষ্ট, গ্রহণযোগ্য ও প্রভাবশালী বার্তা তৈরির প্রয়োজনীয় কাঠামো। কি–নোট বক্তারা ছিলেন— তানজীন আলম, কান্ট্রি হেড, বাংলাদেশ অ্যান্ড এসইএ, এমামী লিমিটেড; অরূপ ইরফান স্যানাল, হেড অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ স্ট্র্যাটেজিস্ট, মাইটি:; এবং তৌফিক মাহমুদ, এক্সিকিউটিভ ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর, মিডিয়াকম লিমিটেড।
নিজের কি–নোটে তানজীন আলম তুলে ধরেন—সত্যিকারের সৃজনশীলতা তখনই ফল দেয়, যখন তা বাস্তব ব্যবসায়িক সমস্যা সমাধান করে। তিনি বলেন, “মানুষের অভ্যাস বদলাতে হলে আগে বুঝতে হবে কেন বদলানো দরকার।” তাই ব্র্যান্ডের উচিত প্রচলিত ভাবনার বাইরে গিয়ে আরও ধারালো, অন্তর্দৃষ্টি–নির্ভর কৌশল তৈরি করা। তাঁর মতে, একেক সময় পাঁচ সেকেন্ডের ঝলক, এক টুকরো বুদ্ধিদীপ্ত বাঁক বা শক্ত সাংস্কৃতিক সংকেত—অতি প্রযোজনা ছাড়াই দর্শকের মনোযোগ কাড়তে পারে।
প্যানেল আলোচনাগুলোতে উঠে আসে—পিচ–নির্ভর সম্পর্কের সীমাবদ্ধতা পেছনে ফেলে ক্লায়েন্ট–এজেন্সির পার্টনারশিপভিত্তিক কাজের পরিবেশ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা। আলোচনা হয় কনটেন্টের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে সৃজনশীলতার গভীরতা বজায় রাখার চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যত–মনস্ক, উদ্দেশ্য–নির্ভর মার্কেটিং নেতৃত্বের দিকনির্দেশনা নিয়ে। পাশাপাশি, দীর্ঘমেয়াদে ব্র্যান্ডের ভ্যালু তৈরি করতে অর্থ, অনুভূতি ও সংস্কৃতিভিত্তিক কৌশলের গুরুত্বও বিশেষভাবে জায়গা পায়। এছাড়াও, কেস স্টাডি সেশনগুলোতে বিশ্লেষণ করা হয়—ব্র্যান্ডকে এখন কোন সাংস্কৃতিক ও আচরণগত পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে হচ্ছে এবং তার প্রভাব কোথায় পড়ছে।
প্রথম প্যানেল আলোচনায় বক্তারা বলেন, সমৃদ্ধ ক্লায়েন্ট–এজেন্সি সম্পর্ক গড়ে ওঠে পারস্পরিক সহযোগিতা, সম্মান এবং যৌথ দায়িত্ববোধের মাধ্যমে। ন্যায্য প্রক্রিয়া—যেমন যথাযথ পিচ–ফি ও ভারসাম্যপূর্ণ চুক্তি—দুই পক্ষকেই আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। আলোচকরা উল্লেখ করেন, এজেন্সির বহুমুখী শিল্প–অভিজ্ঞতা থাকে, আর ক্লায়েন্ট যোগ করে ডেটা ও প্রেক্ষাপট; এই সমন্বয়ই ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত থাকতে সবচেয়ে জরুরি। প্যানেলের মতে, দীর্ঘমেয়াদি বিশ্বাস তৈরি হয় যখন উভয় পক্ষ গবেষণা, মূল্যায়ন এবং সমস্যা সমাধানে প্রকৃত অংশীদারের মতো একসঙ্গে কাজ করে।
সামিটের অন্যান্য সেশনে বক্তা হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন— আফজাল মাহবুব, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, গ্রে গ্রুপ; অজয় কুমার কুন্ডু, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, মিডিয়াকম লিমিটেড; সারাহ আলী, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, এফসিবি বিটপি; শারজিল করিম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ইন্টারস্পিড অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেড; ইশতিয়াক শহরিয়ার, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড হেড অব ডিপার্টমেন্ট, ডিজিটাল অ্যাসেটস অ্যান্ড কমিউনিকেশনস, বিকাশ লিমিটেড; দ্রাবীর আলম, চিফ অপারেটিং অফিসার অ্যান্ড ডিরেক্টর, এক্স সলিউশনস লিমিটেড; তানভীর হোসাইন, এক্সিকিউটিভ ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর, সান কমিউনিকেশনস লিমিটেড; লুতফি চৌধুরী, কো–ফাউন্ডার অ্যান্ড সিইও, অ্যাডফিনিক্স লিমিটেড এবং প্রমুখ।
এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড-এর সৌজন্যে এবং ওয়ালটন গ্রুপের সঞ্চালনায় কমিউনিকেশন সামিট ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। সহযোগিতায় — কানস লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল অব ক্রিয়েটিভিটি। স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার — ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভার্টাইজিং অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ, এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশন, বিবিএফ সিএমও ক্লাব; নলেজ পার্টনার — মার্কেটিং সোসাইটি অব বাংলাদেশ; হসপিটালিটি পার্টনার — লে মেরিডিয়ান ঢাকা ; অফিশিয়াল ক্যারিয়ার পার্টনার — টার্কিশ এয়ারলাইন্স; পিআর পার্টনার — ব্যাকপেজ পিআর। কমিউনিকেশন সামিট ২০২৫ বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের একটি উদ্যোগ।
ঢাকার টঙ্গীতে অবস্থিত জেটিআই কারখানায় সম্প্রতি ‘প্রোডাকটিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এনহান্সমেন্ট: এমফ্যাসিস অন ওয়ার্ল্ড কোয়ালিটি উইক’ শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিউএ হারবার লিমিটেড এবং কাজুকো ভূঁইয়া ট্রাস্ট যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। সহযোগী আয়োজক হিসেবে ছিল সাবস্ক্রিপশনপ্রো, কর্নকিউ, এক্সওআর গীক এবং নিম্ফ সলিউশন্স।
বিভিন্ন খাতের প্রায় ৩০ জন কর্পোরেট পেশাজীবী কর্মশালায় অংশ নেন। ‘কাইজেন’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করেন মি. মাসুদুর রাহমান। ‘৫এস’ বিষয়ে সেশন নেন মি. ওকাবায়াশি কুনিয়াকি। আর দিনশেষে ‘ইসসো ইচিমোকু’ যার অর্থ ‘ওয়ান স্টেপ, ওয়ান লুক’ এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করেন মিসেস তোমোকো ইয়াসুদা, মিস সায়াকা ওজাওয়া এবং মিস নিশিমুরা নানাকো।
দিনটির প্রধান আকর্ষণ ছিল জেটিআই টঙ্গী কারখানায় হাতে-কলমে শেখার অভিজ্ঞতা। অংশগ্রহণকারীরা কাইজেন ও ৫এস নীতিগুলো প্রতিদিনের কর্মকান্ডে কিভাবে কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হয় সে বিষয়ে বাস্তব ধারনা নেন। কারখানার বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করে তারা বুঝতে পারেন কিভাবে সুশৃঙ্খল প্রক্রিয়া, মানসম্মত অভ্যাস এবং ধারাবাহিক উন্নয়নের সংস্কৃতি একটি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে।
কর্মশালায় অংশ নিয়ে আর অ্যান্ড জি কনসালটিং এর সিইও, বেপজা’র সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়’ এর সাবেক লেকচারার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম. মফিজুর রহমান (অব.) বলেন, “কাইজেন, ৫এস এবং ইসসো ইচিমোকু, এই তিনটি দর্শনের সাথে পুনরায় পরিচিত হওয়া ছিল অসাধারণ অভিজ্ঞতা। ধারাবাহিক উন্নয়ন করতে চায় এমন সব প্রতিষ্ঠানের জন্য এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জেটিআই কারখানায় এগুলোর বাস্তব প্রয়োগ প্রত্যক্ষ করে বাংলাদেশে বিশ্বমানের ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম গ্রহণের সক্ষমতার ওপর বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়েছে।”
শামস ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ডিরেক্টর সামিমা বিনতে শামস কর্মশালার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বলেন, “কাইজেন ও ৫এস দৈনন্দিন কার্যক্রমে প্রয়োগ করতে পারলে একটি প্রতিষ্ঠান আরও সুশৃঙ্খল ও টেকসই হয়ে উঠবে। এই কর্মশালা, বিশেষ করে কারখানা পরিদর্শন, আমাদের এমন মানসিকতা তৈরি করেছে যা ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে বাস্তব পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে বলে আমি মনে করি।”
কর্মশালাটি বাংলাদেশে উৎপাদনশীলতা-কেন্দ্রিক সংস্কৃতি গড়ে ওঠার প্রবণতাকে আরও স্পষ্ট করেছে। শিল্পোন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনাগত উৎকর্ষের ধারাবাহিক যাত্রায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আগামী নভেম্বর ১৫, ২০২৫ থেকে ওমানের মাসকটে অনুষ্ঠিতব্য প্রথম ‘ওয়ার্ল্ড কাপ অব সুকার, সিঙ্গেলস ও টিম’ এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন আসিফ ইমরান, বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার এই যাত্রায় পাশে রয়েছে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)-এর জনপ্রিয় ব্র্যান্ড 'ফ্রেশ'।
এই উপলক্ষে গত নভেম্বর ১২, ২০২৫ তারিখে ঢাকার গুলশানে অবস্থিত এমজিআই এর প্রধান কার্যালয় ‘ফ্রেশ হাউজে' একটি চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে স্নুকার খেলোয়াড় আসিফ ইমরানের সাথে চুক্তিস্বাক্ষর করেন এমজিআই-এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তায়েফ বিন ইউসুফ।
এটি সুকারস এর প্রথম ওয়ার্ল্ডকাপ এবং এতে অংশগ্রহণ করবে বিভিন্ন দেশের ৭০ জনেরও বেশি প্রতিযোগী খেলোয়াড়। এর আগেও ফ্রেশ ২০২৩ এ 'ওয়ার্ল্ড মুকারস চ্যাম্পিয়নশিপ' এ আসিফ ইমরান এর স্পন্সর হিসেবে ছিলেন।
আমরা তার সর্বোচ্চ সাফল্য কামনা করি।
বিকাশ এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ও ইংলিশ লেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাব-এর জনপ্রিয় ফুটবলার হামজা চৌধুরী। দেশের মানুষের সাথে নতুন আবেগে ফুটবল-কে সংযুক্ত করা এই খেলোয়াড়, গ্রাহকদের ক্যাশলেস লেনদেনে উৎসাহিত করতে বিকাশ এর বিভিন্ন ধরনের প্রচার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন। ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ততা বাড়ানোর পাশাপাশি সেবাটির ইকোসিস্টেম শক্তিশালী করার লক্ষ্যেও একসাথে কাজ করবে বিকাশ ও হামজা চৌধুরী।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে হামজা চৌধুরীর সাথে বিকাশ এর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বিকাশ এর চিফ মার্কেটিং অফিসার মীর নওবত আলী, চিফ লিগ্যাল অফিসার মাজেদুল ইসলাম এবং চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.), হেড অব ব্র্যান্ড আশরাফ-উল-বারী সহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
হামজা চৌধুরী সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবল তারকা, যিনি শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তাঁর আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা, পেশাদারিত্ব এবং ইতিবাচক ব্যক্তিত্বের কারণে তিনি সকল শ্রেণির মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য। বিভিন্ন সমাজ উন্নয়নমূলক কাজে যুক্ত হামজা বাংলাদেশের পথশিশুদের নিয়ে কল্যাণমূলক উদ্যোগের পাশাপাশি তাঁর পারিবারিক নিবাস সিলেটের হবিগঞ্জে, একটি এতিমখানায় অর্থায়ন করে চলেছেন। বিকাশ এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে বিকাশ এর সেবাগুলো সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং প্রতিষ্ঠানটির মূল্যবোধের প্রসারে নানা ধরনের প্রচারণামূলক কার্যক্রমে অংশ নিবেন তিনি।
বিকাশ-এর সাথে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে হামজা চৌধুরী বলেন, “বিকাশ এর মত কোটি মানুষের ব্র্যান্ডের সাথে যুক্ত হওয়া এক ধরনের সুযোগ। বিকাশ এর প্রতিনিধিত্ব করতে পারা আমার জন্য গর্বের । দেশসেরা এই ব্র্যান্ডটির প্রসারে একসাথে কাজ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।”
রূপায়ণ সিটি উত্তরা আয়োজিত “গজল নাইট”-এ গজলের মধুর সুরে মুগ্ধ হন উপস্থিত অতিথিরা। স্কাই ভিলার রুফটপে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি ছিল গ্রাহক ও অতিথিদের জন্য এক স্মরণীয় সন্ধ্যা।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় গজল শিল্পী মনজুরুল ইসলাম খান একের পর এক হৃদয়স্পর্শী গজল পরিবেশন করে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। সুর ও অনুভূতির মেলবন্ধনে তৈরি হয় এক অনিন্দ্যসুন্দর পরিবেশ, যেখানে সবাই ডুবে ছিলেন সুরের জাদুতে।
অনুষ্ঠানে রূপায়ণ গ্রুপের মার্কেটিং ডিরেক্টর অমিত চক্রবর্তী বলেন,
“রূপায়ণ সিটিতে আমরা শুধু আবাসন নয়, এক পূর্ণাঙ্গ জীবনধারা উপহার দিতে চাই। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা এই গজল নাইট আয়োজন করেছি।”
রূপায়ণ সিটির সিইও এম এ মাহবুবুর রহমান বলেন,
“রূপায়ণ সিটি একটি জীবন্ত কমিউনিটি, যেখানে সবাই একসাথে সংস্কৃতি উপভোগ করে ও জীবনকে সুন্দরভাবে উপভোগ করে।”
অতিথিরা জানান, রূপায়ণ সিটির এমন মননশীল আয়োজন তাদের ব্যস্ত জীবনে এনে দিয়েছে এক নির্মল প্রশান্তির পরশ।
রূপায়ণ সিটি উত্তরা আবারও প্রমাণ করল— এটি শুধুই একটি আবাসন নয়, বরং সংস্কৃতি, বন্ধন ও আনন্দের এক পরিপূর্ণ কমিউনিটি।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে “Passenger Service & Facilitation in Civil Aviation” শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কোর্স গত ১৩ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিমানবন্দরের যাত্রী সেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করে সিভিল এভিয়েশন একাডেমি।
কোর্সটিতে বিমানবন্দরের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণে যাত্রীসেবা, গ্রাহক যোগাযোগ, ফ্যাসিলিটেশন নীতি এবং আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সেবার গুণগত উন্নয়ন বিষয়ে ব্যবহারিক ও তাত্ত্বিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত কোর্সের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন সিভিল এভিয়েশন একাডেমির পরিচালক প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তীসহ সিভিল এভিয়েশনের বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষকবৃন্দ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক মো: হাফিজ আহমেদ এবং সিভিল এভিয়েশন একাডেমির পরিচালক প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী। অতিথিবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে বলেন, সম্মানীত যাত্রীদের নিরাপদ, দ্রুত ও মানসম্পন্ন সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে এই প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
সিভিল এভিয়েশন একাডেমির তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই কোর্সটি বিমানবন্দরের সার্বিক সেবা উন্নয়নে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি-এর নির্বাহী কমিটির ৯০৭তম সভা ১২ নভেম্বর ২০২৫ইং তারিখে ব্যাংকের কর্পোরেট প্রধান কার্যালয়ের পর্ষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান জনাব আক্কাচ উদ্দিন মোল্লা। সভায় বিভিন্ন খাতে অর্থায়ন এবং ব্যাংকিং সম্পর্কিত বিষয়াবলী নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান জনাব ফকির আখতারুজ্জামান, ব্যাংকের পরিচালক ও কমিটির সদস্যবৃন্দ জনাব মো: সানাউল্লাহ সাহিদ, জনাব মহিউদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জি. মো: তৌহীদুর রহমান, জনাব মোহাম্মদ ইউনুছ এবং জনাব খন্দকার শাকিব আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ এবং কোম্পানি সচিব জনাব মো: আবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি’র স্কুল অব আর্কিটেকচার অ্যান্ড ডিজাইন-এর যৌথ উদ্যোগে চালু হয়েছে “সাশ্রয়ী ও টেকসই আবাসন” প্রকল্প। দেশের নিম্ন ও মধ্যআয়ের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী, টেকসই ও নিরাপদ আবাসনের চাহিদা মেটানোই এ উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সিএসআর-ভিত্তিক এই প্রকল্পে, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি’র স্কুল অব আর্কিটেকচার অ্যান্ড ডিজাইন স্থানীয় জীবনযাত্রা, ও পরিবেশগত পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে নতুন ধরনের আবাসন নকশা/ হাউজিং ডিজাইন তৈরি করবে, যেখানে কম খরচে দীর্ঘস্থায়ী আবাসনকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
আর্থিক চাহিদা পূরণে, আইপিডিসি ফাইন্যান্সের “ভালোবাসা হোম লোন” প্রোগ্রাম এই প্রকল্পের আওতাধীন সুবিধাভোগী পরিবারগুলোকে সহজ শর্তে ঋণ ও সহযোগিতা প্রদান করবে। এর ফলে নতুন নকশা/ ডিজাইনগুলো দৃষ্টিনন্দন আবাসনে রূপ নিবে।
এই অংশীদারিত্ব আইপিডিসি’র বৃহত্তর কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি শিক্ষা ও আর্থিক সেবার সমন্বয়ে এমন সমাধান তৈরি করবে, যা সামাজিকভাবে অন্তর্ভুক্তি এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলবে। এই প্রকল্প সফল হলে দেশের অন্যান্য স্থানেই এমন মডেল চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রকল্প উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি’র স্কুল অব আর্কিটেকচার অ্যান্ড ডিজাইন-এর ডিন প্রফেসর ফুয়াদ হাসান মল্লিক; চেয়ারপার্সন অধ্যাপক জয়নব ফারুকী আলী; আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি’র হেড অব লিগ্যাল ও কোম্পানি সেক্রেটারি সামিউল হাশিম; হেড অব রিটেইল বিজনেস ও হেড অব ব্র্যান্ড অ্যান্ড কর্পোরেট কমিউনিকেশন মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
আইপিডিসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, “টেকসই উন্নয়ন আমাদের সিএসআর ফিলোসফি’র/ দর্শনের মূল ভিত্তি। নিরাপদ ও টেকসই আবাসন বিশেষ কোন সুবিধা নয়, বরং এটি সবার মৌলিক অধিকার। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি’র সাথে এই যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা একাডেমিক উদ্ভাবন ও আর্থিক সমাধানের সমন্বয়ে দেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নত করতে চেষ্টা করছি।”
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি’র স্কুল অব আর্কিটেকচার অ্যান্ড ডিজাইন-এর ডিন প্রফেসর ফুয়াদ হাসান মল্লিক বলেন, “এই যৌথ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য, অর্থনৈতিক অবস্থা ও পরিবেশগত দায়বদ্ধতা উভয় বিবেচনা করে এমন আবাসন নকশা তৈরি করা, যা হবে টেকসই এবং নিম্ন ও মধ্যমআয়ের পরিবারগুলোর জন্য বাস্তবসম্মত। আমরা এমন এক সাশ্রয়ী আবাসন মডেল নির্মাণ করতে চাই, যা ভবিষ্যতে দেশব্যাপি আবাসন প্রকল্পগুলোর জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।”
এমন উদ্যোগ আইপিডিসি’র দীর্ঘমেয়াদি সিএসআর ও ইএসজি লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দায়িত্বশীল অর্থায়ন, টেকসই উন্নয়ন এবং কমিউনিটি সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক প্রভাব সৃষ্টিতে তাদের অঙ্গীকারকে আরও সুদৃঢ় করে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’র প্রশাসক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার ১৩ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার ব্যাংকের বোর্ড রুম থেকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সিলেট জোনের অধীন ১১টি শাখার ব্যবস্থাপকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এতে অ্যাসোসিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মুহাম্মদ আনছারুল কবির, ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সালাহ উদ্দীন আহমদ ও মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ এবং সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মারুফুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন। এসময় ব্যাংকের সিলেট জোনপ্রধান ফয়সাল আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট শাখা ব্যবস্থাপকগণ ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সংযুক্ত ছিলেন।
মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার শাখা ব্যবস্থাপকদের সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোতে লেনদেনসহ সকল ধরণের ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়ে তাদেরকে আরো পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার পরামর্শ দেন। গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তাদের আমানত এখন সুরক্ষিত ও নিরাপদ রয়েছে। আতঙ্কিত না হয়ে আস্থার সাথে এ ব্যাংকে রেমিট্যান্স সেবা গ্রহণসহ সকল ধরণের ব্যাংকিং লেনদেন করার আহ্বান জানান তিনি।
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)-এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মেঘনা ফ্রেশ এলপিজি লিমিটেড, কক্সবাজারে আয়োজন করে “ফুয়েলিং পার্টনার – ডিস্ট্রিবিউটর কনফারেন্স ২০২৫”। নভেম্বর ০৩-০৫, ২০২৫ তারিখে আয়োজিত এই কনফারেন্সে সারাদেশ থেকে প্রায় ৪০০ জন পরিবেশক ও কোম্পানি অফিসিয়াল অংশগ্রহণ করেন। কনফারেন্সে বিজনেস সেশন ছাড়াও ছিল বিভিন্ন টিম বিল্ডিং অ্যাক্টিভিটি ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)-এর মাননীয় চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব মোস্তফা কামাল এবং মাননীয় ভাইস চেয়ারম্যান বিউটি আক্তার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমজিআই ডিরেক্টর তানভীর আহমেদ মোস্তফা ও ব্যারিস্টার তাসনিম মোস্তফা, এবং এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও হেড অব এক্সপোর্ট সামিরা রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব মোস্তফা কামাল বলেন, “এমজিআই সবসময়ই দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করে। ২০১৯ সালে আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু করার পর মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই ফ্রেশ এলপি গ্যাস বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড-এর জায়গা করে নিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের এলপিজি শিল্প বর্তমানে এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। একসময় যেখানে এলপিজি অনেকের কাছেই অপরিচিত ছিল, আজ তা দেশের প্রতিটি জেলা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গৃহস্থালি ব্যবহার থেকে শুরু করে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা এবং পরিবহন খাতেও এলপিজি-এর চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে এবং দেশের প্রতিটি প্রান্তে মানসম্মত পণ্য পৌঁছে দিতে ফ্রেশ এলপি গ্যাস নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।”
ফ্রেশ এলপি গ্যাস-এর এই অগ্রযাত্রায় পরিবেশকদের অবদান উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের এই সাফল্য একার নয়। আমাদের ডিস্ট্রিবিউশন পার্টনার ও ভোক্তাগণ এই ব্র্যান্ডের প্রকৃত শক্তি। বাজারে আপনাদের উপস্থিতি, গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক এবং প্রতিদিনের কঠোর পরিশ্রমই আমাদের সাফল্যের মূল ভিত্তি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি সবসময় বিশ্বাস করি- ব্র্যান্ড গড়ে তোলে মানুষ, কিন্তু সেই ব্র্যান্ড টিকিয়ে রাখে সম্পর্ক। আর এই সম্পর্কই আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনাব তানভীর আহমেদ মোস্তফা বলেন, “আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই সকল ব্যবসায়িক সহযোগী ও কর্মকর্তাদের প্রতি, যাদের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্ব, আস্থা ও সহযোগিতা ফ্রেশ এলপি গ্যাসের সাফল্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমাদের বিশ্বাস ও অঙ্গীকার একটাই- আমরা একসাথে এগিয়ে যাব।”
তিনি আরও বলেন, “এমজিআই টেকসই প্রবৃদ্ধিতে বিশ্বাস করে। নিরবচ্ছিন্ন সাপ্লাই চেইন ও অত্যাধুনিক অবকাঠামোগত উন্নয়নে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি, যাতে সবসময় ভোক্তার দোরগোড়ায় সময়মতো মানসম্মত পণ্য পৌঁছে দেওয়া যায়।”
অনুষ্ঠানে ২০২৫ সালের টপ পারফর্মিং ডিস্ট্রিবিউটর এবং অফিসিয়ালদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
কনফারেন্সে আরো উপস্থিত ছিলেন ফ্রেশ এলপি গ্যাস চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) আবু সাঈদ রাজা, এমজিআই চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার (সিএইচআরও) আতিক উজ জামান খান, জেনারেল ম্যানেজার (অডিট) সাজ্জাদ হোসেন, ফ্রেশ এলপি গ্যাস সিনিয়র ম্যানেজার (একাউন্টস) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম সহ ঊর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।