ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও ইউনাইটেড হেলথকেয়ার সার্ভিসেস লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মেডিক্সের মধ্যে একটি করপোরেট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) (চলতি দায়িত্ব) মুহাম্মদ কায়সার আলী ও ইউনাইটেড হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান এ-সংক্রান্ত চুক্তি হস্তান্তর করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার আবুল ফয়েজ মুহাম্মাদ কামালউদ্দিন, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মানজুরুল হক ও সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এ এম শহীদুল এমরান, ইউনাইটেড হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার ডা. মো. ফজলে রাব্বি খান, মেডিক্সের হেড অব সেন্টার অপারেশন ও করপোরেট মার্কেটিং তারেক সামি রহমান এবং করপোরেট অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার শরীফুল ইসলাম খান ইউসুফজাইসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন। এ চুক্তির আওতায় বিভিন্ন টেস্টের ওপর ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কার্ড গ্রাহকরা মেডিক্সে বিশেষ ডিসকাউন্ট সুবিধা পাবেন। বিজ্ঞপ্তি
২০২৫ সালের প্রথম নয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্ক ১৩,৫০০ কোটি টাকার নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৫ সময়কালে এই ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি আমানত সংগ্রহে ব্যাংকটির টেকসইতার প্রতিফলন।
বিগত কয়েক বছর ধরে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের এই লক্ষণীয় ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ব্যাংকটির ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের এমন মাইলফলক ব্যাংকিং খাতে আমানত সংগ্রহে নতুন বেঞ্চমার্ক তৈরি করে চলেছে।
এই সাফল্য উদ্যাপনের লক্ষ্যে ব্যাংকটি ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ঢাকায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আয়োজনে ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগ দেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক শেখ মোহাম্মদ আশফাক। এ সময় ব্র্যাংকটির ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের রিজিওনাল হেড, ক্লাস্টার হেড এবং ব্রাঞ্চ ম্যানেজারসহ উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জোনাল হেড (নর্থ) এ. কে. এম. তারেক এবং সিনিয়র জোনাল হেড (সাউথ) তাহের হাসান আল মামুন।
ব্যাংকের এমন সাফল্যে গ্রাহক আস্থা এবং গ্রাহকদের সাথে সুসম্পর্কের বিষয়টির ওপর জোর দিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “গ্রাহকের সাথে আস্থার সম্পর্ককে আমরা আমানত সংগ্রহে সবচেয়ে বড় দক্ষতা হিসেবে দেখি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ২০২৫ সালের বাকি সময়ে এবং সামনের বছরগুলোতেও ডিপোজিট প্রবৃদ্ধিতে আমাদের এমন সাফল্য অব্যাহত থাকবে।”
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ২৯৮টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১১৯টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
শরীয়াহ্ ভিত্তিক ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. আমদানি, রপ্তানী ও রেমিটেন্স বৃদ্ধিকল্পে গ্রাহকদেরকে সকল প্রকার সহযোগিতা করছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন হয়েছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ব্যাংকের ১৭৪ টি শাখা ও উপ-শাখায় এ সেবা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছে।
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এবং ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের মধ্যে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) জনাব কিমিয়া সাআদত। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের হেড অব কর্পোরেট ব্যাংকিং ও হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মো. আরিফুল ইসলাম এবং হেড অব এডিসি ও হেড অব এমডি’স কো-অর্ডিনেশন টিম মো. মামুন উর রহমান।
কমিউনিটি ব্যাংকের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন হেড অব কার্ডস জনাব জাহির আহমেদ; আর ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের পরিচালক জনাব মো. মাহমুদ হাসান। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিজেন্সির পিআর অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মিসেস দেওয়ান ফারহানা মাসুক এরা এবং প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এই অংশীদারিত্বের আওতায় কমিউনিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডধারীরা ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে উপভোগ করতে পারবেন নানান এক্সক্লুসিভ সুবিধা, যার মধ্যে রয়েছে- ডাইনিং, রুম, স্পা সার্ভিস ও হেলথ ক্লাব সদস্যপদে আকর্ষণীয় ছাড়; নির্দিষ্ট সেবায় “বাই ওয়ান, গেট ওয়ান ফ্রি” অফার
এই সহযোগিতা কমিউনিটি ব্যাংকের গ্রাহকদের উন্নত জীবনধারা উপহার দেওয়ার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ; যার মাধ্যমে ব্যাংকটি গ্রাহক অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে লাইফ স্টাইলের মতো আরও কৌশলগত উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
কৃষক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সুরক্ষায় অ্যাগ্রি-টেক প্ল্যাটফর্ম উইগ্রো গ্লোবালের সাথে পার্টনারশীপ করেছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ইন্স্যুরেন্স সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
এ কৌশলগত পার্টনারশীপের মাধ্যমে উইগ্রোর অর্থায়নে থাকা কৃষকেরা গার্ডিয়ান এর ক্রেডিট শিল্ড ইন্স্যুরেন্স সুবিধা পাবেন। এতে কোন অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে কৃষকের জীবনহানি বা শারিরীক অক্ষমতা দেখা দিলে তাদের পরিবারের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত থাকবে এবং বকেয়া ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তা মিলবে।
সম্প্রতি ঢাকায় গার্ডিয়ানের প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে গার্ডিয়ান এর অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর এন্ড সিইও (এক্টিং) শেখ রকিবুল করিম, এফসিএ এবং উইগ্রো গ্লোবালের চিফ অপারেশনস অফিসার ফাইয়াজ সাফির নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের অধিকাংশ কৃষক প্রান্তিক ও সীমিত সম্পদের ওপর নির্ভরশীল। জীবিকার অনিশ্চয়তার কারণে তাদের আর্থিক সুরক্ষা নিয়েও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন প্রস্তুতি থাকে না। এ অবস্থার পরিবর্তনে গার্ডিয়ান ও উইগ্রোর অংশীদারিত্ব কৃষকদের জন্য উদ্ভাবনী আর্থিক সমাধান নিয়ে কাজ করবে, তাদের আর্থিক ঝুঁকি কমাবে এবং জীবিকা সুরক্ষিত করতে ভূমিকা রাখবে।
এ পার্টনারশীপকে টেকসই কৃষি উন্নয়নের প্রতি যৌথ অঙ্গীকার হিসেবে উল্লেখ করে শেখ রকিবুল করিম, এফসিএ, বলেন, “এ অংশীদারিত্ব কৃষি ও ইন্স্যুরেন্স, দুই খাতেই এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। কৃষি আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড, আর কৃষকেরাই এর মূল চালিকাশক্তি। গার্ডিয়ান ও উইগ্রো উভয় প্রতিষ্ঠানই কৃষকের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখাকে নিজেদের দায়িত্ব বলে মনে করে।”
উইগ্রো গ্লোবালের চিফ অপারেশনস অফিসার ফাইয়াজ সাফির বলেন, “উইগ্রো কৃষকদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গার্ডিয়ানের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব সেই প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। এখন থেকে আমাদের কৃষক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা প্রয়োজনে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ইন্স্যুরেন্স প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সেবা পাবেন।”
অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। গার্ডিয়ান এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স ডিজিটাল চ্যানেল অ্যান্ড এডিসি আব্দুল হালিম এবং মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স ডিজিটাল চ্যানেল অ্যান্ড এডিসি ও এভিপি মো. তানিম বুলবুল। উইগ্রো গ্লোবালের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব অপারেশনস কেবিডি মো. রবিউল্লাহ এবং বিডিইউ -এর হেড অব বিজনেস অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি আরিফ রহমান।
ইউনিয়ন ব্যাংকের আমদানি-রপ্তানী ব্যবসা ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম দিনে দিনে আরো বেশি বেগবান হয়েছে। সম্মানীয় ব্যবসায়িগণ এখন তাঁদের প্রয়োজনীয় সহায়তা নিয়মিত পাচ্ছেন। ইউনিয়ন ব্যাংকের কর্মীবাহিনীবৃন্দ অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের আস্থার প্রতিদান দিতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ডেলিভারি পার্টনারদের জন্য ডেলিভারি কার্যক্রম পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী করতে ডংজিন ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলের সঙ্গে একসাথে কাজ করছে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডা। এর ফলে, ডেলিভারি পার্টনারেরা এখন কোন ক্রেডিট কার্ড ছাড়াই মাত্র ২ হাজার ৪০০ টাকা ইএমআই (মাসিক কিস্তি) সুবিধায় পরিবেশবান্ধব ই-বাইক কিনতে পারবেন।
ফুডপ্যান্ডা’র ডেলিভারি পার্টনারদের সহায়তা ও কল্যাণে চালু করা ‘প্যান্ডা হার্টস’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফুডপ্যান্ডার ডেলিভারি পার্টনারেরা এখন কোন ক্রেডিট কার্ড ছাড়াই মাত্র ১০ হাজার টাকা ডাউন পেমেন্ট ও মাসিক ২ হাজার ৪০০ টাকার সহজ কিস্তিতে (২৪ মাসের বেশি ইএমআই সুবিধা) ডংজিনের ই-বাইকের নতুন মডেল (এ২, জি৬ ও আর৬) কিনতে পারবেন। এর মাধ্যমে ডেলিভারি পার্টনারদের জন্য ই-বাইক কেনাকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, সাশ্রয়ী ও ঝামেলাহীন করল ফুডপ্যান্ডা।
এ উদ্যোগ নিয়ে ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের হেড অব লজিস্টিকস মুকিতুর খান বলেন, “আমাদের সকল কার্যক্রমের কেন্দ্রেই রয়েছেন আমাদের ডেলিভারি পার্টনারেরা। ডংজিনের সাথে আমাদের কোলাবোরেশনের মাধ্যমে, আমরা ই-বাইককে আরও সাশ্রয়ী করেছি। এর ফলে ডেলিভারি পার্টনাররা পরিবেশবান্ধব বাহন ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের আয় বাড়াতে পারবেন এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করতে পারবেন।”
ফুডপ্যান্ডা সম্পর্কে:
ফুডপ্যান্ডা এশিয়া প্যাসিফিকের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম। সুবিধামতো ও দ্রুততম সময়ে গ্রাহকদের কাছে খাবার, গ্রোসারি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ অন্যান্য জিনিস পৌঁছে দিতে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে ফুডপ্যান্ডা। অভিনব প্রযুক্তি ও সুদক্ষ পরিচালনার সমন্বয় এবং রিটেইল পার্টনারদের শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এ অঞ্চলের কুইক-কমার্সে (কিউ-কমার্স) নেতৃত্ব দিচ্ছে ফুডপ্যান্ডা। খাবার ডেলিভারি দেয়ার লক্ষাধিক অপশন ছাড়াও অন-ডিমান্ড পণ্য ডেলিভারি সুবিধা প্রদানে রয়েছে প্যান্ডামার্ট ক্লাউড স্টোর। সিঙ্গাপুর, হংকং, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, তাইওয়ান, ফিলিপাইন, বাংলাদেশ, লাওস, কম্বোডিয়া এবং মায়ানমার- এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ১০টি বাজারে ফুডপ্যান্ডার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ফুড ডেলিভারি ইন্ডাস্ট্রিতে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ডেলিভারি হিরো’র একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ফুডপ্যান্ডা।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: www.foodpanda.com
মিডিয়া যোগাযোগ- আফিফা সুলতানা, লিড, পাবলিক রিলেশনস, ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশ, মোবাইল- ০১৭৯৯৯৮৭৫৩৬।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের ম্যাচ লাইভ স্ট্রিমিংয়ে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল এন্টারটেইনমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘টফি’। টুর্নামেন্টটি টফিতে সরাসরি সম্প্রচারকালে অভূতপূর্ব দর্শক সম্পৃক্ততা লক্ষ্য করা গেছে, যা বাংলাদেশের ডিজিটাল কনটেন্ট উপভোগের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
পুরো টুর্নামেন্ট চলাকালে এশিয়া কাপের ম্যাচগুলো টফিতে দেখা হয়েছে মোট ৩ কোটি ৮০ লাখ বার—যা দেশের ক্রীড়ামোদীদের কাছে সর্বাধিক জনপ্রিয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে টফির অবস্থানকে আরো সুদৃঢ় করেছে।
বহুল আকাঙ্খিত ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচে দর্শকসংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায় এবং এই ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩৩ লক্ষ ভিউ রেকর্ড করা হয়। এটিই এখন পর্যন্ত টফিতে সরাসরি সম্প্রচারিত যেকোনো খেলার মধ্যে সর্বোচ্চ দর্শকসংখ্যার রেকর্ড, যা একইসাথে বাংলাদেশের মানুষের ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা ও টফির প্রযুক্তিগত সক্ষমতার একটি প্রতিফলন।
এ মাইলফলক প্রসঙ্গে বাংলালিংকের প্রধান ডিজিটাল কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, “এশিয়া কাপ লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আমরা যে অভাবনীয় সাড়া পেয়েছি, তা প্রমাণ করে যে টফি বাংলাদেশের ডিজিটাল বিনোদন ব্যবস্থাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছে। এক ম্যাচে ৩৩ লাখ ভিউ প্রমাণ করে, দর্শকেরা এখন মোবাইল-কেন্দ্রিক ও সব নেটওয়ার্কে দেখা যায় এমন (নেটওয়ার্ক-অ্যাগনস্টিক) কনটেন্টের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। আমাদের ওপর আস্থা রাখার জন্য এবং উৎসাহ দেওয়ার জন্য আমাদের দর্শকদের প্রতি আমরা বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। দর্শকদের জন্য আইসিসি নারী বিশ্বকাপ, ইপিএল সহ বিশ্বমানের আরও খেলার সরাসরি সম্প্রচার নিয়ে আসতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”।
যেকোনো মোবাইল নেটওয়ার্কে উচ্চমানের, নির্বিঘ্ন লাইভ স্ট্রিমিং প্রদানের সক্ষমতা টফিকে এই সফলতা এনে দিয়েছে। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে কোটি দর্শক সরাসরি খেলা উপভোগ করতে পারছেন টফির মাধ্যমে।
ওয়াটার, স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন (ওয়াশ) অর্থায়ন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ন্যাশনাল ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটেশন (ডব্লিউএসএস) ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক এবং ওয়াটার ডট ওআরজি।
গত ৯ ও ১০ অক্টোবর ২০২৫ কক্সবাজারে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালায় অংশ নেন ব্র্যাক ব্যাংক ও ওয়াটার ডট ওআরজি -এর কর্মকর্তারা। কর্মশালায় তাঁরা ওয়াশ ফাইন্যান্সিং উদ্যোগের অগ্রগতি পর্যালোচনার পাশাপাশি দেশে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের সহজলভ্যতা বৃদ্ধির উদ্ভাবনী কৌশল নিয়েও আলোচনা করেন।
২০২৪ সালের জুন মাসে ওয়াটার ডট ওআরজির সহযোগিতায় বাংলাদেশের প্রথম আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পানি ও স্যানিটেশন খাতে অর্থায়ন চালু করে ব্র্যাক ব্যাংক। এরপর থেকে ব্যাংকটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠান এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করতে আনুষ্ঠানিক অর্থায়ন সুবিধা চালু করেছে, যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য ও জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
প্যানেল ডিসকাশনে টেকসই উন্নয়ন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও সামাজিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান; অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন; অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিএফও এম. মাসুদ রানা, এফসিএ; এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিওও মো. সাব্বির হোসেন। ওয়াটার ডট ওআরজির পক্ষে অংশ নেন প্রতিষ্ঠানটির দক্ষিণ এশিয়ার নির্বাহী পরিচালক সাজিদ অমিত।
কর্মশালায় প্রশিক্ষণ সেশন, এসএমই লিডারদের দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা এবং অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক কুইজেরও আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ডব্লিউএসএস অর্থায়নে বিশেষ অবদান রাখায় ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় এবং মাইক্রোফাইন্যান্স বিভাগের শীর্ষ পারফর্মারদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
ম্যাট ডেমন ও গ্যারি হোয়াইট কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ওয়াটার ডট ওআরজি একটি অলাভজনক আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা বিশ্বব্যাপী পানি ও স্যানিটেশনের প্রাপ্যতা নিশ্চিতে কাজ করে। কর্মশালার সেশনগুলোতে ওয়াটার ডট ওআরজির বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা, ডব্লিউএসএস প্রকল্পের প্রভাব সম্পর্কিত গ্লোবাল কেস স্টাডি এবং উদ্ভাবনী অর্থায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারীরা উপস্থিত ব্যক্তিদের সাথে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও সফলতার গল্প শেয়ার করার পাশাপাশি টেকসই পরিবর্তনে তাঁদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “পরিষ্কার পানি ও স্যানিটেশনে সুবিধা শুধু একটি মৌলিক মানবাধিকারই নয়, এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির ভিত্তিও। ওয়াটার ডট ওআরজির সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে পানি ও স্যানিটেশন অর্থায়নে অগ্রণী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং মডেল গড়ে তুলতে চাই, যা বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান ও সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। এই উদ্যোগ আমাদের টেকসই উন্নয়ন, উদ্ভাবন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ৯৭টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
বৈশ্বিকভাবে শিক্ষামূলক উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতার মাধ্যমে কর্মশক্তিকে ক্ষমতায়নের চলমান প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে নেটকম লার্নিং বাংলাদেশ আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত মহামান্য ড. আবদেলওয়াহাব সাইদানির সাথে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আয়োজন করেছে। বৈঠকটি ঢাকার অফিসে দুপুর ১২:৩০ টায় অনুষ্ঠিত হয়, যা দুই পক্ষের মধ্যে শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এক নতুন মাইলফলক স্থাপন করল।
সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড ও মেটলাইফ বাংলাদেশ সম্প্রতি একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে মেটলাইফ বাংলাদেশের নির্ধারিত গ্রাহকরা উপভোগ করবেন সিঙ্গার বাংলাদেশের নির্দিষ্ট পণ্যের উপর বিশেষ ছাড় এবং এক্সক্লুসিভ সুবিধা।
এই সমঝোতা স্মারকের আওতায়, মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা সিঙ্গার থেকে নির্দিষ্ট পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ কুপন কোড ব্যবহার করার মাধ্যমে উপভোগ করতে পারবেন বিশেষ ছাড়। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো সিঙ্গার এবং মেটলাইফ গ্রাহকদের জন্য অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করা। যা উভয় ব্র্যান্ডের জন্য নতুন ব্যবসায়িক সম্ভাবনা তৈরি করবে, যার মাধ্যমে গ্রাহকদের বিশ্বস্তা থাকবে অটুট।
মেটলাইফ বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার নওফেল আনোয়ার বলেন, “সিঙ্গার বাংলাদেশের সঙ্গে এই সমঝোতা স্মারক আমাদের গ্রাহকদের জন্য একটু অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করার অঙ্গীকারকে আরও শক্তিশালী করে।”
সিঙ্গার বাংলাদেশের মার্কেটিং ডিরেক্টর – শাব্বির হোসেন বলেন, “এই সমঝোতা স্মারক আমাদের গ্রাহকদের দৈনন্দিন জীবনে আরও সহজতা ও মূল্য সংযোজনের প্রতি উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে। সিঙ্গার | বেকো সবসময় পণ্যের বাইরেও এমন সমাধান দিতে কাজ করছে যা গ্রাহকের জীবনে সত্যিকার পরিবর্তন আনে। মেটলাইফ বাংলাদেশের সঙ্গে এই সমঝোতা স্মারক আমাদেরকে আরও বৃহত্তর গ্রাহকগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানোর সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা মেটলাইফ বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞ, এবং আশা করি এই অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতেও গ্রাহকদের জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করতে অব্যাহত থাকবে।”
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে উপস্থিত ছিলেন: শাব্বির হোসেন – ডিরেক্টর, মার্কেটিং; মোহাম্মদ জুবায়েদ উল ইসলাম – ডিরেক্টর, রিটেইল সেলস; মারুফ সোবহান – ডিরেক্টর, সাপ্লাই চেইন; ফারহান আজহার – হেড অব প্রোডাক্ট, এমডিএ ও হোম এন্টারটেইনমেন্ট। মেটলাইফ বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত ছিলেন: নওফেল আনোয়ার – চিফ মার্কেটিং অফিসার; কমনশিস বড়ুয়া – অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ও হেড অব স্ট্র্যাটেজিক ফেস-টু-ফেস চ্যানেল; শিউলি আক্তার – ম্যানেজার, মার্কেটিং অ্যান্ড প্রোডাক্ট।
ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডহোল্ডারদের ভ্রমণে এক্সক্লুসিভ ডিসকাউন্ট সুবিধা দিতে কাতার এয়ারওয়েজের সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
এই চুক্তির আওতায় ব্র্যাক ব্যাংকের কার্ডহোল্ডাররা কাতার এয়ারওয়েজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে টিকিট বুকিং দেওয়ার সময় ‘QRBRAC25’ প্রোমো কোড ব্যবহার করে বেস প্রাইসে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।
৯ অক্টোবর ২০২৫ ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম এবং কাতার এয়ারওয়েজের বাংলাদেশ ও নেপাল কান্ট্রি ম্যানেজার মোহাম্মদ এল ইমাম এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ট্রেজারি, এফআই, কর্পোরেট অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং মো. শাহীন ইকবাল সিএফএ, হেড অব ট্রানজ্যাকশন ব্যাংকিং একেএম ফয়সল হালিম, হেড অব মার্চেন্ট অ্যাকোয়্যারিং খায়রুদ্দিন আহমেদ, লোকাল অ্যান্ড গ্লোবাল কর্পোরেটের ইউনিট হেড মুসাব্বির আহমেদ, হেড অব ক্রেডিট কার্ডস মিথিলা আলমগীর জুহি এবং হেড অব অ্যালায়েন্সেস মো. আশরাফুল আলম। কাতার এয়ারওয়েজের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল অ্যান্ড মার্কেটিং অপারেশনস কো-অর্ডিনেটর তাসমিয়া মোস্তফা।
টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে এই বিশেষ অফারটি চলবে ৩০ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত এবং ভ্রমণ করা যাবে ৩১ মার্চ ২০২৬ পর্যন্ত। গ্রাহকরা আমেরিকা, ইউরোপ ও আফ্রিকার নির্দিষ্ট গন্তব্যে ইকোনমি ও বিজনেস ক্লাস উভয় টিকিটের ক্ষেত্রে এই ডিসকাউন্ট সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
ডিসকাউন্ট পেতে গ্রাহকদের ফ্লাইট সার্চ করার আগে প্রোমো কোডটি টাইপ করতে হবে এই লিংকে:
https://www.qatarairways.com/en-bd/offers/cug/brac-offer.html
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ২৯৮টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ‘৫ম জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশীপ-২০২৫’। চলবে ১৩ থেকে ১৬ অক্টোবর। অংশ নিবে ১৮০ জন প্রতিযোগী।
১৩ অক্টোবর, সোমবার বিকালে বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির জুলকান ইনডোর এরিনার স্কোয়াশ কোর্টে এবারের আসর উদ্বোধন করা হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া বেলুন উড়িয়ে এবং টুনামেন্টের জার্সি উন্মোচন করে প্রতিযোগীতার উদ্বোধন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম, এসপিপি (অব)-সহ নির্বাহী কমিটির সদস্যগন, উর্মী গ্রুপের পরিচালক ফায়েজ রহমানসহ উর্ধতন কর্মকর্তা, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের মিডিয়া এডভাইজার আব্দুল বারী, বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির পরিচালক মেজর (অবঃ) মোহসিনুল করিম-সহ উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রাক্তন ও বর্তমান খেলোয়াড় এবং অভিভাবকবৃন্দ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া বলেন, গত চার বছর দেশে স্কোয়াশ যে ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে সামনে সুদিন আসবেই।
ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক জি এম কামরুল ইসলাম বলেন যে স্কোয়াশকে দেশ ব্যাপি ছড়িয়ে দেওয়া এবং নতুন খেলোয়াড় তৈরি করে খেলার মান উন্নয়ন, প্রচার ও প্রসার ঘটিয়ে বাংলাদেশের স্কোয়াশকে পর্যায়ক্রমে আন্তর্জাতিক মানে নেওয়ার লক্ষে এই প্রতিযোগীতার আয়োজন।
উর্মি গ্রুপের প্রতিনিধি ফায়েজ রহমান বলেন খেলাটির প্রচার ও প্রসারের সাথে আগামী দিনগুলোতেও উর্মি গ্রুপ ফেডারেশনের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির পরিচালক মেজর (অবঃ) মোহসিনুল করিম বলেন, বাংলাদেশে মৃত্যপ্রায় স্কোয়াশ খেলাকে পুনরুজ্জীবিত করনে স্কোয়াশ ফেডারেশনের পাশে থাকবে বসুন্ধরা গ্রুপ।
উল্লেখ্য, উর্মি গ্রুপ ও তুরাগ একটিভ এর পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশন এর আয়োজনে পঞ্চমবারের মতো এ জাতীয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সময়ের বিবর্তনে ম্লানমুখী এই খেলাকে বৃহৎ পরিসরে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে বসুন্ধরা গ্রুপ ও বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশন মধ্যে ৫ বছরের জন্য একটা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তির ফলে খেলোয়াড়েরা বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির সকল সুবিধা ব্যবহারের সুযোগ পাবে। তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।
আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১ অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী ২৫টি প্রতিষ্ঠানের ১৮০ জন প্রতিযোগীর অংশগ্রহণে আঞ্চলিক পর্ব শেষ হয়। সেখান থেকে বিজয়ী ও নির্বাচিত ৮০ জন খেলোয়াড়কে নিয়েই শুরু হয়েছে শিরোপার লড়াই। নয়টি গ্রুপে হচ্ছে প্রতিযোগিতা। চূড়ান্ত পর্বের গ্রুপগুলো হলো- উন্মুক্ত নারী, উন্মুক্ত পুরুষ, উন্মুক্ত মেম্বার, ১১ বছরের কম, ১২-১৩ বছর, ১৪-১৫ বছরের ছেলে ও মেয়েদের পৃথক গ্রুপ।
চার দিন ব্যাপি চূড়ান্ত রাউন্ডের প্রতিযোগীতা রাউন্ডরবিন লীগ ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ অক্টোবর বিকাল ৩ টায় বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হবে।
চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণকারী ক্লাব/প্রতিষ্ঠান হল, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, আই ইউ বি, মিরপুর আইডিয়াল কমার্স কলেজ, বিএএফ শাহীন কলেজ, ভাষানটেক সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ, শহীদ আনোয়ার কলেজ, ভাষানটেক স্কুল, কালশী ইসলামিয়া হাই স্কুল, গোল্ডেন বাংলা আইডিয়াল স্কুল, ফাতেমা আজিজ স্কুল, জামুরীপাড়া স্কুল, ঠাকুরগাঁও, মিরপুর ক্যান্টপাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, নির্ঝর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল, কালাচাঁদপুর স্কুল এন্ড কলেজ, উত্তরা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, চট্টগ্রাম ক্লাব, হবিগন্জ উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তরা পুলিশ কলেজ, ঢাকা স্কোয়াশ একাডেমি।
উন্মুক্ত পুরুষ গ্রুপে ছিলেন উত্তরা ক্লাবের সুমন ও আরিফ, গুলশান ক্লাবের সৈকত, চট্টগ্রাম ক্লাবের সাইফুল, বিকেএসপির সাইমুন, পারভেজ, আমিনুল এবং আর্মির রনি, শাহাদাৎ, মাসুম, আপন, রাকিব, আজিজ, নায়েব, সাজ্জাত ও শরিফ প্রমুখ।
মেয়েদের গ্রুপে আই ইউ বি-র উর্ধু ও জ্যতি, শহীদ আনোয়ার কলেজের রাফিয়া, নির্ঝর স্কুলের নাবিলা, উত্তরা পুলিশ কলেজের চাঁদনী সরকার এবং ভাষানটেক স্কুলের ফাহমিদা ও মেঘনা, গোল্ডেন বেঙ্গল স্কুলের মীম এবং উন্মুক্ত মেম্বার গ্রুপে ফজলে ওয়ালী, ওয়ালিদ হাসান, জাকির মো: হোসাইন, মো: আবু কায়সার, আশিকুর রহমান, মো: রায়হান, ব্রি, জে, আজিজ, মো: আহসান, লে: কর্নেল সামস, মোহামেন হক আলিফ, ব্রি, জে, আসাদ, সাদমান উদ্দিন খান, ব্যারেষ্টার সারোয়ার ও মো: মবিন আগামী চার দিন নিজ নিজ গ্রুপে শ্রেষ্টত্বের জন্যে লড়াই করবে।
আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং ধারাকে অব্যাহত রাখতে প্রান্তিক কৃষক, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সহ সকলকে ব্যাংকিং আওতার মধ্যে নিয়ে আসার প্রত্যয়ে সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি. ফেনী, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ঢাকা ও মানিকগঞ্জে ৯ টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব), আবিদুর রহমান চৌধুরী ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে একযোগে ৯ টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যাংকের উধর্¦তন নির্বাহীবৃন্দ, শাখা প্রধানগণ এবং ৯ টি এজেন্ট আউটলেটের স্বত্বাধিকারীগণও ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
সাউথইস্ট ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং “স্বাগতম” থেকে তথ্য প্রযুক্তি সমৃদ্ধ প্রচলিত ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি ‘তিজারাহ’ ইসলামিক ব্যাংকিং এর সকল আধুনিক ও প্রযুক্তিভিত্তিক সেবা সমূহও প্রদান করা হবে। এছাড়াও গ্রাহকগণ সাউথইস্ট ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা “স্বাগতম” এর মাধ্যমে সঞ্চয়ী ও চলতি হিসাব খোলা, নগদ অর্থ জমা ও উত্তোলন, অর্থ স্থানান্তর, বি. ই. এফ. টি. এন, আর. টি. জি. এস এর মাধ্যমে যে কোনো ব্যাংকের হিসাবে অর্থ স্থানান্তর, বৈদেশিক রেমিটেন্স সেবা, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড ও চেক বই প্রসেসিং, বি ও হিসাব খোলা এবং শেয়ার লেনদেনের সুবিধা, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কৃষি ঋণে জীবন বীমা সুবিধা, ইউটিলিটি বিল, সরকারী ভাতা, ভোক্তা ঋণ, ঋণের কিস্তি গ্রহণ এবং ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়াও গ্রাহকগণ এজেন্ট আউটলেটে স্থাপিত রিসাইক্লার এটিএম এর মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।