গ্যাস সেক্টর এফেসিয়েন্সি অ্যান্ড কার্বন এবেটমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় ১১ লাখ স্মার্ট প্রি পেইড মিটার স্থাপন প্রকল্পের জন্য তিতাস গ্যাস ও বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যে গত ২৩ নভেম্বর এবং স্মার্ট মিটিং এনার্জি এফেসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় ৬ লাখ ৫০ হাজার স্মার্ট প্রি পেইড মিটার স্থাপন প্রকল্পের জন্য তিতাস গ্যাস ও এডিবির মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ঋণচুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিতাস গ্যাস, পেট্রোবাংলা, মন্ত্রণালয়, এডিবি ও বিশ্ব ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি
১২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জনতা ব্যাংক পিএলসি’র রাজশাহী বিভাগীয় অর্ধবার্ষিক ব্যবসায়িক শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন রাজশাহীর একটি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান এবং উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক-ইনচার্জ মোঃ জাহাংগীর হোসেন জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিভাগীয় অফিসের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট নির্বাহী এবং শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান ঋণ দেওয়ার আগে গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের মানসিকতা আছে কি-না, তা দেখে ভাল গ্রাহকদের মাঝে ঋণ বিতরণের নির্দেশনা দেন। এছাড়া সংগ্রহকৃত এলাকার আমানত সেখানেই তা বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাস মুখস্থ করে ভালো ফলাফল অর্জন নয়—বরং সৃজনশীল শিক্ষাচর্চায় মেধার বিকাশ ও সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসী, আদর্শ মানুষ গড়ার প্রত্যয়ে পরিচালিত হচ্ছে সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ। সম্প্রতি প্রকাশিত মাধ্যমিক পরীক্ষায় অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে সাউথ পয়েন্ট, বারিধারা। এ বিষয়ে কথা হয় অধ্যক্ষ এয়ার কমডোর (অব.) কাজী আব্দুল মঈনের সঙ্গে। তিনি বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের মুখস্থবিদ্যায় পারদর্শী না করে চিন্তাশীল ও মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলছি। বিশেষ করে শিক্ষানুশীলনটাকে যতটা সম্ভব বাস্তবতার নিরিখে চাপমুক্ত ও নান্দনিকভাবে উপস্থাপন করছি, যাতে তারা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনসহ সার্বিকভাবেই ভালো করতে পারে।”
গত ১০ জুলাই প্রকাশিত মাধ্যমিক পরীক্ষা–২০২৫ এর ফলাফল পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বারিধারা ক্যাম্পাসের ১৯৯ জন পরীক্ষার্থীর সকলেই উত্তীর্ণ হয়। তন্মধ্যে ১৪০ জন শিক্ষার্থী জিপিএ–৫ অর্জনসহ ‘এ’ পেয়েছে ৫৭ জন এবং এ-মাইনাস ২ জন। শুধু ২০২৫-ই নয়, পূর্ববর্তী বছরগুলোতেও বারিধারা ক্যাম্পাসের ফলাফল ছিল ঈর্ষণীয়।
যেমন, গত উচ্চমাধ্যমিকে বারিধারার ১৩৪ জনের মধ্যে ১০০ জন জিপিএ–৫ পায়, বাকিরা সবাই ‘এ’ গ্রেডসহ ৪.৫০-এর ওপরে। অন্যদিকে বিজ্ঞান বিভাগের ৩৬ জন শিক্ষার্থীর সবাই জিপিএ–৫ অর্জন করে। ইংরেজি ভার্সনের বিজ্ঞান বিভাগে ১০৬ জনের মধ্যে ৯৫ জনই জিপিএ–৫ অর্জন করে।
২০০২ সালে রাজধানীর গুলশানে মাত্র ২০০ শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ১৮,০০০ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। কর্ণফুলী শিপবিল্ডার্সের কর্ণধার, বিশিষ্ট শিল্পপতি প্রকৌশলী এম. এ. রশিদের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং ভিকারুননিসা নূন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হামিদা আলীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানে বাংলা মাধ্যম, ইংরেজি ভার্সন ও ইংরেজি মাধ্যম—এই তিন মাধ্যমে প্লে গ্রুপ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। রাজধানীর মালিবাগ, বারিধারা, বনানী, মিরপুর, উত্তরা ও শ্যামপুরে মোট ছয়টি ক্যাম্পাসে নিজস্ব স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হচ্ছে। বারিধারায় রয়েছে ৪টি সুরম্য ভবন এবং মালিবাগে ৬ বিঘা জমিতে নির্মিত হচ্ছে ১০-তলা আধুনিক ভবন, আর উত্তরায় অধিগৃহীত হয়েছে ৭ বিঘা জমি।
বর্ণাঢ্য ক্যাম্পাস বারিধারায় প্রবেশমুখেই চোখে পড়ে চলন্ত সিঁড়ি ও একাধিক লিফট। বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায়ও সচল রাখতে রয়েছে শক্তিশালী জেনারেটর। এ ছাড়াও রয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাংগুয়েজ ল্যাব ও আইসিটি ল্যাব, হাই-স্পিড ইন্টারনেট, আধুনিক লাইব্রেরি, বিজ্ঞানাগার, স্বাস্থ্যসম্মত ক্যান্টিন এবং সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্মার্ট ক্লাসরুম। পাঠ্যবইয়ের ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরির কাজও চলমান। শিক্ষার্থীদের চিন্তাশীল করে তুলতে ‘ব্রেইনস্টর্মিং’ প্রশ্নের মাধ্যমে পাঠদান ও মূল্যায়ন করা হয়।
বারিধারায় আন্তর্জাতিক ইংরেজি মাধ্যমও চালু হয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হওয়া এই মাধ্যম ইতোমধ্যেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্লে গ্রুপ থেকে স্ট্যান্ডার্ড ফাইভ পর্যন্ত ক্লাস চালু করে প্রথম কোয়ার্টারেই শিক্ষার্থী সংখ্যা হয়েছে ১২০ জন। ক্যামব্রিজ কারিকুলাম অনুসরণে পরিচালিত এই মাধ্যমে অভিজ্ঞ শিক্ষক কর্তৃক পাঠদান করা হয়। পর্যায়ক্রমে এখানে ‘O and A’ Level চালু করা হবে এবং ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যামব্রিজ চেকপয়েন্ট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেবে।
শুধু পড়ালেখা নয়, সহশিক্ষা কার্যক্রমেও এগিয়ে তারা। এই ক্যাম্পাসের এক শিক্ষার্থী Aloha ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেন্স ব্রেন ডেভেলপমেন্ট প্রতিযোগিতা ২০২৫ এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ফলে এই শাখা ইতোমধ্যেই অভিভাবকদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
ধারাবাহিক সম্মিলিত সাফল্য: প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রায় প্রতি বছরই সম্মিলিত পাশের হার শতভাগ এবং প্রতি বছরই জিপিএ–৫ অর্জনের হার ৮০–৯০ শতাংশের মধ্যে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতিসহ উচ্চমাধ্যমিকে ৯ম স্থান অর্জনসহ জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায়ও গুলশান থানায় শীর্ষস্থান অর্জন করে সাউথ পয়েন্ট। তন্মধ্যে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে ১৮ জন শিক্ষার্থী। এবং এসএসসি বৃত্তি ২০২৫ এ ও সাউথ পয়েন্ট, বারিধারার ০৫ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পায়।
শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা, বিতর্ক, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিকসহ অন্যান্য প্রতিযোগিতায়ও ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। রয়েছে স্পোর্টস ক্লাব, সায়েন্স ক্লাব, ডিবেট ক্লাব ও কালচারাল ফোরাম। তাই অভিভাবকদের আস্থা অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি যে সৃজনশীল শিক্ষার আলোকবর্তিকা হয়ে এগিয়ে চলেছে—এটা নির্দ্বিধায় বলা চলে
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এ ‘ন্যাশনাল ল ফেস্ট ২০২৫ (চ্যাপ্টার- ওও)’ এর সমাপনী অনুষ্ঠান ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে স্বাধীনতা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল বিইউপি ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রমে পারদর্শিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আইনচর্চা, নীতিনির্ধারণ, পাবলিক স্পিকিং এবং আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্ক উন্নয়ন করা।
উৎসবে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী ও ৫০ জন বিশিষ্ট বিচারক অংশগ্রহণ করেন। এ প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা বিতর্ক, অ্যাডভোকেসি প্রেজেন্টেশন এবং প্যানেল আলোচনা সহ ২৪টিরও বেশি সেশনে যোগদান করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান। তিনি তরুণদের মেধা বিকাশ এবং ব্যবহারিক আইনজ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যমে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সহযোগিতা জোরদারে এ ধরনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল মোঃ মাহ্বুব-উল আলম, বিএসপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল, পিএইচডি তাঁর বক্তব্যে জাতীয় ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভবিষ্যৎ আইনজীবীদের প্রস্তুত করতে এ ধরনের প্ল্যাটফর্মের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ভাগে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয় এবং তাদের বিশ্লেষণী দক্ষতা ও আইনগত যুক্তিবোধকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিইউপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সারাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)-এর সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সক্ষমতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
গত ২৫ থেকে ২৭ আগস্ট ২০২৫ নারায়ণগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এই তিন দিনব্যাপী চলা কর্মসূচিতে অংশ নেন ৩৫ জন সম্ভাবনাময় নারী উদ্যোক্তা। এই আয়োজনে নারী উদ্যোক্তাদের নিবিড় প্রশিক্ষণ, পরামর্শদান ও নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে তাঁদের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও বাজারে প্রবেশের সুযোগ দানের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য নারীদের ‘উদ্যোক্তা স্বপ্ন’ পূরণেও উদ্বুদ্ধ করা হয়।
গেটস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় পরিচালিত ব্র্যাক ব্যাংকের সিগনেচার উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচি ‘আমরাই তারা’-এর অংশ হিসেবে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এই সক্ষমতা উন্নয়ন কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো নারীদের জন্য অর্থায়ন, পরামর্শ ও দক্ষতা উন্নয়ন সুবিধা সহজলভ্য করার মাধ্যমে তাঁদের ব্যবসায়িক জ্ঞান বৃদ্ধি ও ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা শক্তিশালী করার পাশাপাশি তাঁদের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা।
প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক টিমের পরিচালনায় অংশগ্রহণকারী নারী উদ্যোক্তাদের ই-কমার্স, এফ-কমার্স ও অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম-বিষয়ক প্রয়োজনীয় ডিজিটাল জ্ঞানসংক্রান্ত দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
এই কর্মসূচিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সভাপতি মুনীর হাসান, ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব স্মল বিজনেস (সেন্ট্রাল) অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউটর ফাইন্যান্স আলমগীর হোসেন এবং হেড অব উইমেন অন্ট্রাপ্রেনর সেল খাদিজা মরিয়ম।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোগের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে দেশের নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে ব্র্যাক ব্যাংকের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
দেশের এসএমই এবং নারী উদ্যোক্তাদের পূর্ণাঙ্গ আর্থিক অংশীদার হিসেবে সহজ অর্থায়ন, সক্ষমতা উন্নয়ন এবং ডিজিটাল টুলসের মাধ্যমে সফল ব্যবসা গড়ে তোলা ও জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ৯৭টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক
এসিআই-এর হাইজিন প্রোডাক্টস্ ফ্যাক্টরি সম্প্রতি বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (BSTI) কর্তৃক মর্যাদাপূর্ণ ISO 9001:2015 কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে। পণ্যের মান, স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর, স্বাস্থ্যবিধি, উৎপাদন ক্ষমতা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এটি একটি আস্থার প্রতীক, যা প্রমাণ করে কোনো প্রতিষ্ঠান তার শিল্পক্ষেত্রে কঠোর মানদণ্ড পূরণ করছে এবং উপযুক্ত মান বজায় রাখছে। ISO সনদপ্রাপ্ত এই ফ্যাক্টরিতেই তৈরি হচ্ছে Twinkle Baby Diaper এবং Freedom Sanitary Napkin.
এফএমসিজি হাইজিন প্রোডাক্টস ক্যাটাগরিতে ইতোমধ্যেই সুপরিচিত এসিআই লিমিটেড। টুইংকেল, ফ্রিডম, রেসপেক্টসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের মাধ্যমে এসিআই বেবিকেয়ার, অ্যাডাল্ট কেয়ার এবং ফেমিনিন হাইজিনের নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্য সরবরাহ করছে। দেশের কোটি কোটি পরিবারের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত এসব পণ্য জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ফ্রিডম স্যানিটারি ন্যাপকিন যা নারীদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসুরক্ষায় এবং কর্মক্ষেত্রে নারীদের আত্মবিশ্বাস ও অংশগ্রহণ বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
আইএসও সার্টিফিকেশন প্রাপ্তির এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন এসিআই হাইজিন প্রোডাক্টস্-এর বিজনেস ডিরেক্টর খন্দকার ইশতিয়াক আহমদ, জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) মিজানুর রহমান, জেনারেল ম্যানেজার (ফ্যাক্টরি অপারেশনস) দীপঙ্কর বিশ্বাস, ডিরেক্টর (মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনস) মো: নাহিদ নেওয়াজ, ম্যানেজার (রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স) মো: পলাশ হোসাইন সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
আইএসও (ISO) সার্টিফিকেশন বিশ্বব্যাপী উৎকর্ষতার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃত। এটি প্রমাণ করে কোনো প্রতিষ্ঠান দক্ষ ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ উৎপাদন প্রক্রিয়া, উচ্চমানের পণ্য এবং গ্রাহক সন্তুষ্টির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এসিআই হাইজিন বিজনেসের জন্য এই স্বীকৃতি কেবল বিশ্বমান বজায় রাখার অঙ্গীকারই পুনর্ব্যক্ত করেনি, বরং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় বাজারে ব্র্যান্ডটির প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও জাতীয় নিয়ন্ত্রক নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণ করে এসিআই হাইজিন বিজনেস ধারাবাহিকভাবে উদ্ভাবন ও মান উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে। নির্ভরযোগ্য হাইজিন সমাধান প্রদান করে প্রতিষ্ঠানটি মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে। বিএসটিআই অনুমোদিত এই আইএসও সার্টিফিকেশন এসিআই হাইজিন বিজনেসের উৎকর্ষতার প্রতি প্রতিশ্রুতিকে আবারও সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করল।
বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) আজ (১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর সহযোগিতায় আনুষ্ঠানিকভাবে 'এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিম (ইআইএস)' এর আওতায় ক্ষতিপূরণের নোটিশ অব অ্যাওয়ার্ড প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছে। এ প্রকল্পের আওতায় কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বা স্থায়ী শারীরিক অক্ষমতার শিকার ইপিজেডের পোশাক খাতের শ্রমিকগণ আর্থিক সুবিধা পাবেন।
আজকের অনুষ্ঠানে ঢাকা ও চট্টগ্রাম ইপিজেডের দুইজন মৃত শ্রমিকের পরিবার এবং কুমিল্লা ইপিজেডের একজন স্থায়ীভাবে অক্ষম শ্রমিককে তাদের ক্ষতিপূরণের নোটিশ অব অ্যাওয়ার্ড হস্তান্তর করা হয়। এর মাধ্যমে তারা পেনশন-এর মতো মাসিক আর্থিক সহায়তা পাবেন, যা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য টেকসই সহায়তা নিশ্চিত করবে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের অর্থায়নে পরিচালিত এ প্রকল্প বাস্তবায়নে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে আইএলও এবং জার্মান উন্নয়ন সংস্থা (জিআইজেড)। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে বেপজা, আইএলও ও জিআইজেড-এর মধ্যে লেটার অব ইনটেন্ট স্বাক্ষরের মাধ্যমে এ প্রকল্প আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। পরবর্তীতে বেপজা, বিনিয়োগকারী, শ্রমিক কল্যাণ সমিতি, আইএলও ও জিআইজেড প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি এন্ডোর্সমেন্ট কমিটি গঠন করা হয়। আজ কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে প্রথম তিনজন সুবিধাভোগীর জন্য ক্ষতিপূরণের নোটিশ অব অ্যাওয়ার্ড অনুমোদন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, বিএসপি, এনডিসি, পিএসসি বলেন, “আজকের দিনটি বাংলাদেশের শ্রমিক সুরক্ষা ব্যবস্থাকে একটি টেকসই, মানবিক ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কাঠামোতে রূপান্তরের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই নোটিস অফ অ্যাওয়ার্ড কেবল একটি কাগজ নয় - এটি আমাদের শ্রমিকদের প্রতি সংকটকালে পাশে দাঁড়ানোর দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতীক।”
তিনি আরও বলেন, “ইপিজেড শ্রমিকদের নিষ্ঠা, সততা ও পরিশ্রমই বেপজার সাফল্যের মূল ভিত্তি। তাই তাদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। এ কারণেই আমরা ইআইএস পাইলট প্রকল্প চালু করেছি এবং ইপিজেড শ্রম আইনকে অধিকতর শ্রমিকবান্ধব করার উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়া, আমরা একটি বিশেষ তহবিল গঠনের চেষ্টা করছি যেন হঠাৎ কোনো কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে সেই ফান্ড থেকে শ্রমিকদের পাওনা দ্রুত ও ন্যায্যভাবে পরিশোধ করা যায়।” এটা আমাদের অঙ্গীকার যে বেপজা সবসময় শ্রমিকদের মর্যাদা ও অধিকার রক্ষা করবে, কারণ তারাই আমাদের সাফল্যের মূল ভিত্তি, তিনি যোগ করেন।
আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর (নিযুক্ত) ম্যাক্স টুনন বলেন, “কোনো আর্থিক সহায়তাই একটি জীবনকে প্রতিস্থাপন করতে পারে না। তবে সময়োপযোগী ক্ষতিপূরণ পরিবারগুলোকে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি প্রদান করে। আমরা বেপজা ও অংশীদারদের সঙ্গে এ প্রকল্পকে বিস্তৃত ও শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
জার্মান উন্নয়ন সংস্থা (জিআইজেড)-এর প্রতিনিধি ড. মাইকেল ক্লোড বলেন, “এই প্রকল্পটি শ্রমিক ও মালিক উভয়ের সুরক্ষায় একটি সম্মিলিত দায়িত্বের প্রতিফলন। জিআইজেড বাংলাদেশের শ্রম ব্যবস্থাকে আরও নিরাপদ এবং স্থিতিশীল করতে এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপে সহায়তা করতে পেরে গর্বিত।”
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় তহবিল এর মহাপরিচালক জনাব মোঃ মুনির হোসেন খান বলেন, “সরকার, মালিক, শ্রমিক এবং আন্তর্জাতিক অংশীদাররা কীভাবে একটি নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শ্রমবাজার গঠনে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে, এ উদ্যোগ তারই প্রমাণ।”
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মোঃ আশরাফুল কবীর।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বেপজা কেবল বিনিয়োগ বৃদ্ধি নয়, শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতেও কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে বেপজা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটটি ইপিজেড এবং চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিচালনা করছে। পাশাপাশি পটুয়াখালী ও যশোরে দুটি নতুন ইপিজেড উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে। আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত বেপজাধীন জোনসমূহে ৪৫৪টি প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে, যেখানে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। মোট বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ৭.১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং রপ্তানি আয় ১২০.৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, দেশের মোট আয়তনের মাত্র ০.০০১% জায়গায় অবস্থিত বেপজার নয়টি জোন গত অর্থবছরে দেশের মোট রপ্তানির ১৭.০৩% অবদান রেখেছে।
বেপজা শ্রমিক কল্যাণে ইতিমধ্যে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ প্রদান, গর্ভবতী শ্রমিকদের পুষ্টি সহায়তা, ডে-কেয়ার সেন্টার, নারী শ্রমিকদের জন্য ডরমিটরি, বেপজা পাবলিক স্কুল ও কলেজের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে শ্রমিকদের সন্তানদের শিক্ষা, গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স এবং ২৪/৭ হেল্পলাইন চালু করেছে। ইআইএস প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এসব উদ্যোগ আরও শক্তিশালী হবে এবং সামাজিক সুরক্ষার একটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছাবে।
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি প্রতিষ্ঠানটির ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে। গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ও কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র চেয়ারম্যান জনাব বাহারুল আলম বিপিএম। বক্তব্যে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ও কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র চেয়ারম্যান জনাব বাহারুল আলম, বিপিএম বলেন: “প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি মানুষের ব্যাংক হিসেবে সেবা দিয়ে আসছে। ট্রাস্ট, সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রোগ্রেস -এই মূলনীতির আলোকে আমরা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ, সম্মানিত গ্রাহকবৃন্দ, বিশিষ্ট অতিথিবর্গ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর ব্যাংকের সাম্প্রতিক উদ্ভাবন ও অর্জন তুলে ধরে একাধিক অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন, মোশন গ্রাফিক্স ও বিশেষ প্রদর্শনী উপস্থাপিত হয়।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) জনাব কিমিয়া সাআদত তাঁর মূল বক্তব্যে ব্যাংকের ভিশন, মিশন ও ভবিষ্যৎ রোডম্যাপ তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, কমিউনিটি ব্যাংক দেশের এসএমই ও স্টার্টআপ খাতের বিকাশে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ব্যাংক সম্প্রতি চালু করেছে “এসএমই ৩৬০”, একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যবসায়িক সমাধান, এবং প্রতিষ্ঠা করেছে দেশের প্রথম ব্যাংক-নেতৃত্বাধীন স্টার্টআপ অ্যাক্সিলারেটর “স্টার্টআপ নেস্ট”। এছাড়াও স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহায়তায় ব্যাংক চালু করেছে এআই-চালিত স্মল ক্রেডিট স্কোরিং মডেল এবং গ্রাহক সেবায় নতুন সুবিধা হিসেবে কিউআর-ভিত্তিক নগদ উত্তোলন ও কমিউনিটি অ্যাক্সেস নামের ওয়েব-ভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, যার মধ্যে ছিলেন: জনাব এস. এম. সাজ্জাত আলী, এনডিসি, কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ; জনাব এ কে এম শহিদুর রহমান, বিপিএম, পিপিএম, এনডিসি, মহাপরিচালক, র্যাব; জনাব মো. গোলাম রসুল, অ্যাডিশনাল আইজি, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, বাংলাদেশ পুলিশ; জনাব কাজী মো. ফজলুল করিম, বিপিএম (সেবা), ডিআইজি (অ্যাডমিন), পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, বাংলাদেশ পুলিশ; জনাব আহম্মদ মুঈদ, বিপিএম (সেবা), অ্যাডিশনাল ডিআইজি, বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ পুলিশ এবং জনাব কামরুল হাসান তালুকদার, ইন্সপেক্টর, বাংলাদেশ পুলিশ ও সভাপতি, বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন।
আর্থিক অন্তর্ভুক্তির অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে নারী উদ্যোক্তা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাঝে বিশেষ রিফাইন্যান্সিং চেক বিতরণ করা হয়। এছাড়া প্রিয়শপ এবং ইনজেনি সিঙ্গাপুর -এর সহযোগিতায় তৈরি এআই-চালিত ক্রেডিট স্কোরিং মডেলের আওতায় প্রথম চেকটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই এবং স্পেশাল প্রোগ্রাম বিভাগের পরিচালক জনাব নওশাদ মোস্তফা।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে কেক কাটা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন করা হয়। জাঁকজমকপূর্ণ গালা ডিনার ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ৬ বছরের প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন এবং সেবার উৎকর্ষতা উদযাপন শেষ হয়।
কমনওয়েলথ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (সিএসএ)-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট (ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পার্টিসিপেশন) পদে নির্বাচিত হয়েছেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শেখ রিফাদ মাহমুদ। ভোটে ভারত, ঘানা, নাইজেরিয়া ও কেনিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের জন্য গর্ব বয়ে আনা রিফাদ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।
গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কমনওয়েলথভুক্ত ৫৬টি দেশের ন্যাশনাল স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনে ১০টি নেতৃত্বস্থানীয় পদে ভোটগ্রহণ হয়। যেখানে প্রতিটি দেশের একজন প্রতিনিধি ভোট দেন। বাংলাদেশসহ কমনওয়েলথভুক্ত ৫৬টি দেশের প্রায় ১৪০ কোটি শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব এখন রিফাদের কাঁধে। এই জয় কেবল রিফাদ নয়; বাংলাদেশের তরুণ সমাজের অনন্য অর্জন।
কমনওয়েলভুক্ত দেশগুলোর তরুণদের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম yourcommonwealth.org-এ রিফাদ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘রিফাদ বাংলাদেশের একজন তরুণ নেতা, সামাজ পরিবর্তনের কর্মী, আন্তর্জাতিক অ্যাডভোকেট। ব্যক্তিগত সংগ্রাম থেকে বৈশ্বিক প্রভাব পর্যন্ত উঠে আসার এই যাত্রায় দৃঢ়তা, সহমর্মিতা এবং লক্ষ্যভিত্তিক নেতৃত্বের অনন্য উদাহরণ।’
বর্তমানে সিএসেএর-এর শিক্ষা সম্পর্ক কর্মকর্তা এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশ শাখার যুব পরামর্শক দলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শিগগিরই নতুন নেতৃত্ব বুঝে নেবেন। রিফাদ নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে বলেছেন, ‘সব শিক্ষার্থী সমান সুযোগ পায় না। অনেককেই নানা চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে আসতে হয়। এর মধ্যে আর্থিক সংকট বড় চ্যালেঞ্জে। যার কারণে বিশ্বে অসংখ্য শিক্ষার্থী পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হিমশিম খায়। এদের পাশে দাঁড়ানো বাকি শিক্ষার্থীদেরও দায়িত্ব। আমি এমন একটা কর্মসূচি নিতে চাই, যেখানে শিক্ষার্থীরা পকেট মানি ও টিফিনের টাকা সঞ্চয় করবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে এখান থেকে এমন একটা তহবিল তৈরি করা যাবে, যেটি আর্থিক সংকটে থাকা শিক্ষার্থীর কাজে আসবে। অর্থের অভাবে কেউ যেন লেখাপড়ায় পিছিয়ে না যায়।’
লন্ডনে অবস্থিত ব্রিটিশ কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের অধীন শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক সংস্থা সিএসএ। রিফাদ দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের তরুণদের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আলাদা করে নজর কেড়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের যুব প্যানেলে ‘ইইউ ইয়ুথ এমপাওয়ারমেন্ট ফান্ড’ পর্যবেক্ষণেও কাজ করছেন। এর আগে গ্লোবাল স্টুডেন্ট ফোরামের উপদেষ্টা পর্ষদে এবং ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম-এর যুব পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০২১ সালে রিফাদ আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারে জন্য মনোনীত হন। একই বছর গ্লোবাল ইয়ুথ লিডার সম্মাননা অর্জন করেন।
প্রিমিয়াম ব্যাংকিং গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশের স্বনামধন্য ক্যাটারিং সার্ভিস প্রোভাইডার আলফা ক্যাটারিং-এর সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
এই চুক্তির আওতায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রিমিয়াম ব্যাংকিং গ্রাহকরা আলফা ক্যাটারিংয়ে মোট বিলের ওপর ১০% ছাড় উপভোগ করবেন। এই উদ্যোগ গ্রাহকদের বিশেষ সেবা ও সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠান এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এ সময় ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির হেড অব তারা, আগামী অ্যান্ড প্রিমিয়াম ব্যাংকিং সেগমেন্টস মেহরুবা রেজা, হেড অব প্রিমিয়াম ব্যাংকিং প্রপোজিশন আরমীন আহমেদ এবং প্রিমিয়াম ব্যাংকিংয়ের সিনিয়র ম্যানেজার এহসান সামাদ।
আলফা ক্যাটারিংয়ের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়জাল হাফিজ উল্লাশ এবং বিক্রয় ও পরিচালনা ব্যবস্থাপক মাহমুদুল ইসলাম রিয়ন।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ১০০টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
গ্রাহকদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পর, মালয়েশিয়ার শীর্ষস্থানীয় হোম ইমপ্রুভমেন্ট ব্র্যান্ড মিঃ ডি আই ওয়াই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে তাদের পঞ্চম স্টোর উদ্বোধন করেছে। নতুন স্টোরটির অবস্থান ঢাকার শান্তিগরের ১৬৯/১ কনকর্ড গ্র্যান্ড এ ।
১১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার এক জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পঞ্চম স্টোরটি চালু করা হয়।
স্টোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিঃ ডি আই ওয়াই বাংলাদেশ-এর শীর্ষ কর্মকর্তারা, যারা ফিতা কেটে স্টোরটি গ্রাহকদের জন্য চালু করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সৈয়দ নূর আনোয়ার হেড অব অপারেশনস, মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ ফাইন্যান্স ম্যানেজার, মো. উমার ফারুক হোসেন ওয়্যারহাউস ম্যানেজার, মোঃ হারিস বিন জামালউদ্দিন, এরিয়া ম্যানেজার, মো. মাসুদুর রহমান ইমপোর্ট ম্যানেজার মোহাম্মদ শাহিন মোল্লা এইচ আর ম্যানেজার, মোহাম্মদ নাজির হোসেন, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার , রাহাত নবি মার্কেটিং ম্যানেজার ।
এসময় তারা ফিতা কেটে মিঃ ডি আই ওয়াই -এর সম্প্রসারণ ও ক্রেতাদের আরও ভালো সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, MR.DIY “গুণগত মান, সাশ্রয়ী দাম এবং নানান বৈচিত্র্যের সমাহার, এক ছাদের নিচে আপনার সকল চাহিদা পূরণের নির্ভরযোগ্য ঠিকানা।”
মিঃ ডি আই ওয়াই তাদের "Always Low Prices" নীতির প্রতি অটল থেকে গুণগতমান বজায় রেখে কম দামে পণ্য সরবরাহ করছে।
শান্তিনগরে চালু হওয়া নতুন স্টোরে ১০,০০০+ পণ্য রয়েছে, যা ১০টি প্রধান ক্যাটাগরিতে বিভক্ত: গৃহস্থালী পণ্য, হার্ডওয়্যার সরঞ্জাম, ইলেকট্রনিক আইটেম, গাড়ির এক্সেসরিজ, ফার্নিশিং সামগ্রী, স্টেশনারি ও খেলাধুলার সরঞ্জাম, খেলনা ও উপহারসামগ্রী, কম্পিউটার ও মোবাইল এক্সেসরিজ, জুয়েলারি ও কসমেটিকস
প্রত্যেক পরিবারের সদস্যদের জন্য কিছু না কিছু থাকছে, যা একটি পরিপূর্ণ শপিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।
গ্র্যান্ড ওপেনিং উপলক্ষে, ১১ - ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে বিশেষ অফার ও উপহার ক্যাম্পেইন! ক্রেতারা ১,০০০ টাকা বা তার বেশি কেনাকাটা পাচ্ছেন মিঃ ডি আই ওয়াই এর ছাতা ফ্রি।
এ ছাড়া উদ্বোধনের আনন্দ আরও বাড়িয়ে তুলতে মিঃ ডি আই ওয়াই TOP FAN ক্যাম্পাইনে অংশ নিয়ে জিতে নিতে পারবেন বিশেষ পুরস্কার!
বাংলাদেশে মিঃ ডি আই ওয়াই -এর সম্প্রসারণ ও প্রতিশ্রুতি
২০০৫ সালে মালয়েশিয়ায় প্রথম স্টোর চালুর পর, মিঃ ডি আই ওয়াই এখন ৫০০০ + স্টোর পরিচালনা করছে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ভারত, তুরস্ক, স্পেন, ভিয়েতনাম, পোল্যান্ডে ও সাউথ আফ্রিকা।
বাংলাদেশে ২০২৪ সালের এপ্রিলে উত্তরার পলওয়েল কার্নেশন শপিং সেন্টার ও যমুনা ফিউচার পার্ক-এ প্রথম দুটি স্টোর চালু করা হয়, যার পর মিরপুর শাখা সংযুক্ত হয়। এরপর এবছরের মার্চে ধানমন্ডিতে চতুর্থ স্টোর উদ্বোধন করা হয়।
শান্তিনগরে পঞ্চম স্টোর উদ্বোধনের মাধ্যমে, মিঃ ডি আই ওয়াই বাংলাদেশের গ্রাহকদের আরও কাছে পৌঁছানোর যাত্রা অব্যাহত রেখেছে।
রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেডের উদ্যোগে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী রূপায়ণ-বসুন্ধরা প্রপার্টি ফেয়ার-২০২৫। এটি চলবে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ব্লক-ই-তে রূপায়ণ লেক ক্যাসেল কন্ডোমিনিয়ামে এই মেলার উদ্বোধন করেন রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান দেওয়ান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রূপায়ণ গ্রুপের মার্কেটিং ডিরেক্টর অমিত চক্রবর্ত্তী, চিফ বিজনেস অফিসার রেজাউল হক লিমন, রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং শরীফুল ইসলাম তারেক প্রমুখ।
রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান দেওয়ান জানান, দেশের বিভিন্ন প্রাইম লোকেশনে আধুনিক সুবিধাসংবলিত আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করছে রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেড, যা এরই মধ্যে রুচিশীল গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এসব আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রকল্প গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতেই চার দিনের প্রপার্টি ফেয়ারের আয়োজন করা হয়েছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মধ্যে বহুল প্রশংসিত রূপায়ণ লেক ক্যাসেল কন্ডোমিনিয়ামে।
রূপায়ণ গ্রুপের মার্কেটিং ডিরেক্টর অমিত চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেড ২৭ বছরের পথচলায় গতানুগতিক আবাসনের বাইরে গিয়ে প্রিমিয়াম গেইটেড কমিউনিটি, টাউনশিপ, কন্ডোমিনিয়াম এবং আইকনিক কমার্শিয়াল প্রকল্প নির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে, যা গ্রাহকের স্বপ্নপূরণে ভূমিকা রাখবে। বসুন্ধরায় রূপায়ণের রেডি ও অনগোয়িং বিভিন্ন আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রকল্পে স্পট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে নানা অফার চলমান আছে এই মেলায়।’
সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি. তাদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ৫৩ জন মেধাবী সন্তানকে সম্মাননা প্রদান করেছে, যারা ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অথবা ও-লেভেল পরীক্ষায় ছয়টি ‘এ’ গ্রেড অর্জন করে উজ্জ্বল কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে।
এই কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্য উদযাপন উপলক্ষ্যে ব্যাংকের পক্ষ থেকে এক বিশেষ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদপত্র এবং উপহারসামগ্রী তুলে দেন ব্যাংকের সম্মানিত চেয়ারম্যান এম. এ. কাশেম। এই সম্মাননা শুধু শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত অর্জনকেই স্বীকৃতি দেয়নি, বরং তাদের পরিবার ও অভিভাবকদের অবদানকেও যথাযথভাবে সম্মান জানিয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি.-এর সম্মানিত চেয়ারম্যান এম. এ. কাশেম। তিনি নিজ হাতে কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন এবং শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রম ও তাদের পরিবার-পরিজনের অনন্য সহযোগিতার প্রশংসা করেন। তাঁর মূল্যবান বক্তব্যে তিনি বলেন, "আজকের এই কৃতি শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের নেতৃত্ব দিবে। তাদের এই সাফল্য শুধু ব্যক্তিগত অর্জন নয়—এটি পরিবার, সমাজ ও প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রতিফলন। সাউথইস্ট ব্যাংক সব সময় প্রতিভা ও সাফল্যকে সম্মান জানাতে গর্ববোধ করে।"
ব্যাংকের সকল স্তরের নির্বাহীগণ ও কর্মকর্তাবৃন্দ এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাদের মতে, সাউথইস্ট ব্যাংকের ইতিহাসে এই প্রথম এমন আয়োজন অনুষ্ঠিত হলো। এই সম্মাননা কেবল শিক্ষার্থীদের নয়, তাদের অভিভাবকদের জন্যও একটি অসামান্য প্রাপ্তি, যা ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা জোগাবে।
বর্তমান চেয়ারম্যান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই কর্মীবান্ধব নানা উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছেন। কর্মীদের জন্য ইন্সুরেন্স সুবিধা চালু করা থেকে শুরু করে এই কৃতি সন্তান সংবর্ধনার মতো ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ ব্যাংকের মানবিক ও দায়িত্বশীল ভাবমূর্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।
এই সম্মাননা অনুষ্ঠান সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি.-এর কর্মীদের ও তাদের পরিবারের সার্বিক কল্যাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার প্রতিফলন, যা শিক্ষা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি ব্যাংকটির দীর্ঘমেয়াদী অঙ্গীকারকে পুনরায় দৃঢ়ভাবে তুলে ধরে।
অনুষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সফলতা কামনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)-এর উইমেনস এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড এনার্জি (উই) প্রকল্পের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) উইমেন অ্যান্ড এনার্জি কার্নিভাল ২০২৫ আয়োজন করা হয়।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে উদ্ভাবক, উন্নয়ন সহযোগী, নীতি প্রভাবক, যুবনেতা ও তৃণমূল নারীরা এক স্থানে একত্রিত হয়ে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে নারীর নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা করেন। একই সাথে নারীদের স্বীকৃতিও জানানো হয়।
বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি রূপান্তরকে কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই ও জেন্ডার-সংবেদনশীল করা যায় সে বিষয়ে আলোচনার সাথে সাথে প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, নারীদের জীবনের গল্প বলা হয় ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এমজেএফ-এর পরিচালক - রাইটস অ্যান্ড গভর্ন্যান্স প্রোগ্রাম বনশ্রী মিত্র নিয়োগী বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক জ্বালানিতে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হচ্ছে কিনা তা দেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে ন্যায্যতা প্রয়োজন।
পাহাড়ি এলাকার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, দেশের সব জায়গায় এখনো বিদ্যুৎ পৌঁছেনি। নবায়নযোগ্য জ্বালানি না থাকায় নারীদের কাজে অনেক সময় নষ্ট হয়, তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে অগ্রসর হলেই টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।
এমজেএফ-এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, উইমেন অ্যান্ড এনার্জি কার্নিভাল নারীর কণ্ঠস্বরকে আরও জোরালো করার এবং বাংলাদেশকে টেকসই ও সবুজ রূপান্তরের কেন্দ্রে নারীকে স্থান দেওয়ার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। ধীরে ধীরে সব জীবাশ্ম জ্বালানি-ভিত্তিক জ্বালানি উৎস শেষ হয়ে যাবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ছাড়া আমি অন্য কোনো বিকল্প উৎস দেখতে পাচ্ছি না। এছাড়াও তিনি, নারীর অদৃশ্য শ্রমের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেন দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি (পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন) এবং উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক উপ-প্রধান নায়োকা মার্টিনেজ-ব্যাকস্ট্রম। তিনি জলবায়ু ও জ্বালানি বিষয়ক নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারণে এখনই নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে আন্তরিকভাবে ভাবার সময়।
টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) উপসচিব মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা যদি জলবায়ু নিয়ে কথা বলি, তাহলে সেখানে নারীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্রিন ফাইন্যান্সের মতো ক্ষেত্রে নারীর অবদান অনেক সময় পুরুষদের থেকেও বেশি। তিনি নারীদের স্টেকহোল্ডার (অংশীজন) হিসেবে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বর্তমানে বিদ্যুৎ এক জায়গায় উৎপাদন হয়ে অন্যত্র সরবরাহ হয় - এটিকে কেন্দ্রীয় উৎপাদন বলা হয়। কিন্তু ভবিষ্যতে পরিস্থিতি বদলাবে, বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। রক্ষণাবেক্ষণের জায়গায় নারীদের ভূমিকা হবে অনস্বীকার্য। তিনি জাস্ট ট্রানজিশন বাস্তবায়নে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি কাঠামোয় জেন্ডার দৃষ্টিভঙ্গি অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন।
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সংগঠনের সদস্য সচিব ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল বলেন, সামাজিক আন্দোলনকে শুধু প্রজেক্ট আকারে দেখলে হবে না। নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। আমরা নারীদের স্টেকহোল্ডারই (অংশীজনই) মনে করি না। শুধু জনপ্রতিনিধিদের নিয়েই নয়, কাজটি সবাইকে নিয়ে করতে হবে।
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার (পরিবেশ ও জ্বালানি) তানজিনা দিলশাদ বলেন, নেতৃত্বের জায়গায় নারীর অংশগ্রহণ এখনো কম। তবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেশি, যা একটি ইতিবাচক দিক।
তিনি জ্বালানি রূপান্তরে নারী যেন পিছিয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
উইমেন অ্যান্ড এনার্জি কার্নিভাল ২০২৫ - মনে করিয়ে দেয় নারীর ক্ষমতায়ন কেবল অধিকার নয়, বরং উদ্ভাবন, স্থিতিস্থাপকতা ও অগ্রগতির শক্তিশালী চালিকাশক্তি। কার্নিভালটি বাংলাদেশের টেকসই জ্বালানি ভবিষ্যতের পথে এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অংশগ্রহণকারীরা। নাবায়নযোগ্য জ্বালানিতে নারীর অংশগ্রহণ বিষয়ে আরও দুইটি প্যানেল আলোচনা, উদ্ভাবনের স্বীকৃতি ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।