দেয়াল, গাড়ি ও কাঠের সর্বোচ্চ সুরক্ষায় তিন ক্যাটাগরিতে ১১টি নতুন পণ্য বাজারে নিয়ে এসেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান আরএফএল গ্রুপের জনপ্রিয় রঙের ব্র্যান্ড ‘রেইনবো পেইন্টস’। এর মধ্যে ডেকোরেটিভ পেইন্ট ক্যাটাগরিতে ৬টি, উড কোটিং পেইন্ট ক্যাটাগরিতে ৪টি এবং কার পেইন্ট ক্যাটাগরিতে ১টি পণ্য রয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীর বাড্ডার একটি হোটেলে নতুন ১১টি পণ্যের উদ্বোধন করেন আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর এন পাল। ডেকোরেটিভ পেইন্ট ক্যাটাগরির ৬টি নতুন পণ্যের মধ্যে ৪টি হলো ড্যাম্প সিরিজের। পণ্যগুলো হলো ড্যাম্প প্রটেক্টর প্রাইমার, ড্যাম্প প্রটেক্টর হাই বিল্ড পাট্টি, ড্যাম্প প্রটেক্টর টপ কোট-ওয়ান স্টপ, ড্যাম্প প্রটেক্টর টপ কোট- সুপ্রিম। বাকি দুটো পণ্য হলো ওয়েদার কেয়ার ডার্ট গার্ড লং লাইফ ও ফেদার সিল্ক মেটালিক ফিনিশ। উড পেইন্ট ক্যাটাগরির ৪টি নতুন পণ্য হলো উড কেয়ার ফিলার, উড কেয়ার সিলার, উড কেয়ার স্টেইন ও উড কেয়ার টপ কোট। অন্যদিকে কার পেইন্ট ক্যাটাগরিতেও সাকা এনসি পেইন্ট বাজারে এসেছে। অনুষ্ঠানে আর এন পাল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের রং উৎপাদন করে বাজারজাত করায় অল্প সময়ের মধ্যে ক্রেতাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। নতুন পণ্যের মাধ্যমে ক্রেতাদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি, রেইনবো পেইন্টসের নতুন পণ্যগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে ক্রেতারা দেয়াল, গাড়ি ও কাঠের সুরক্ষায় ভালো সমাধান পাবেন।’
নতুন পণ্যের বিষয়ে রেইনবো পেইন্টসের নির্বাহী পরিচালক কামরুল হাসান বলেন, ‘ড্যাম্প ও নোনা বিল্ডিংয়ের ক্ষতিসাধন করে। ফলে বিল্ডিংয়ের স্থায়িত্ব কমে যায়। ড্যাম্প সিরিজের পণ্য বাজারে আনা হয়েছে বিল্ডিংয়ের ভেতর ও বাহিরের দেয়ালকে ড্যাম্প ও নোনার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য। এ ছাড়া ধুলা-ময়লা ও ডাস্ট বিল্ডিংয়ের ক্ষতিসাধন করে, ফলে বিল্ডিংয়ের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। ডেকোরেটিভ ক্যাটাগরির নতুন পণ্য ওয়েদার কেয়ার ডার্ট গার্ড লং-লাইফ বিল্ডিংয়ের বাহিরের দেয়ালকে ধুলা-ময়লা ও ডাস্ট থেকে রক্ষা করে বিল্ডিংয়ের সৌন্দর্যকে অটুট রাখবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাঠ, ভিনিয়ার ও এমডিএফ বোর্ডের তৈরি ফার্নিচার রং করার জন্য চারটি নতুন পণ্য বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়া অটো-রিফিনিশের ইকোনমিক সল্যুশন হিসেবে স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণ করতে ওসাকা এনসি পেইন্ট বাজারে আনা হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে রেইনবো পেইন্টসের জেনারেল ম্যানেজার (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) সালেহ আহম্মদ চৌধুরী, অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মো. সোহেল রানা, হেড অব সেলস শাহজাহান সানী ও হেড অব মার্কেটিং মো. নাজমুল হকসহ রেইনবো পেইন্টসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি
প্রাইম ব্যাংক ফাউন্ডেশন (প্রাইম ব্যাংক পিএলসি’র সহযোগী প্রতিষ্ঠান)-এর সহায়তায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় দিনব্যাপী আয়োজিত হলো বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও তদপরবর্তী সেবা ক্যাম্প।
বখতুন্নেছা চৌধুরী চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন-এর উদ্যোগে গত ২২ নভেম্বর কুলাউড়া গার্লস উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এই চক্ষু ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হয়।
এই ক্যাম্পের মাধ্যমে উপকারভোগীরা সম্পূর্ণ চক্ষু পরীক্ষা, প্রাথমিক চিকিৎসা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পরবর্তী চিকিৎসা সহায়তার পরামর্শ পেয়েছেন। প্রাইম ব্যাংক আই হসপিটালের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চোখে ছানি পড়া রোগীদের ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত হাসপাতালে আনা হয়, সেখানে তাদের ছোখের ছানি অপারেশনের পর আবারও কুলাউড়ায় পৌঁছে দেওয়া হয়।
দিনব্যাপী চলা এই ক্যাম্পে মোট ৩৬৩ জনকে বিনামূল্যে চক্ষু সেবা প্রদান করা হয়। যাদের মধ্যে বিনামূল্যে ৬২ জনের চোখের ছানি অপারেশন করা হয় প্রাইম ব্যাংক আই হসপিটালে।
চক্ষু ক্যাম্প-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ইস্ট- কোস্ট গ্রুপের হেড অব সিএসআর কর্নেল (অব.) লিয়াকত আলী খান; কুলাউড়া উপজেলার ইউএনও মো. মহিউদ্দিন; প্রাইম ব্যাংকের কুলাউড়া ব্রাঞ্চের হেড অব ব্রাঞ্চ নাসির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
প্রাইম ব্যাংক ফাউন্ডেশন ধারাবাহিকভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চক্ষু সেবা ক্যাম্প পরিচালনা করবে।
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এবং ট্রপিক্যাল হোমস লিমিটেড- রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ে ঋণ সুবিধা প্রদান ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। ব্যাংকের হেড অফিসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত এবং ট্রপিক্যাল হোমস লিমিটেডের চেয়ারম্যান তানভীর রেজা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর শেষে সমঝোতা স্মারক বিনিময় করেন।
এই চুক্তির মাধ্যমে রিয়েল এস্টেট সেক্টরে গ্রাহকদের জন্য ঋণ সুবিধা আরও সহজ, দ্রুত ও মানসম্মতভাবে প্রদান করা সম্ভব হবে। উভয় প্রতিষ্ঠানের আশা, এই সহযোগিতা রিয়েল এস্টেট খাতে গ্রাহকসেবা উন্নয়ন এবং আর্থিক সুবিধা সম্প্রসারণে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে।
ঢাকায় গতকাল, ২৫শে নভেম্বর, অ্যালামনাই ইউকে গালা নাইট ২০২৫ আয়োজন করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষাগ্রহণ করা ৩ শ’ অ্যালামনাই এ অনুষ্ঠানে একত্রিত হয়ে দেশের উন্নয়নে তাদের অর্জন, নেতৃত্ব ও সাফল্য উদযাপন করেন। বৈশ্বিকভাবে যুক্তরাজ্যের অ্যালামনাই কমিউনিটি ধারাবাহিকভাবে যে প্রভাব রেখে চলেছে, গালা ইভেন্টে এ ব্যাপারে আলোকপাত করা হয় এবং যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অংশীদারিত্ব নিয়ে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়। অনুষ্ঠানটি হোটেল লা মেরিডিয়ান ঢাকায় উদযাপিত হয়।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ইউকে অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক মেধা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে ভূমিকা রাখছে। এর সদস্যরা সবাই যুক্তরাজ্যের বিশ্বমানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন। তারা গবেষণা, নানা উদ্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ, সুশাসন এবং সৃজনশীল বিভিন্ন খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ গঠনে তাদের সাফল্য ও অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, যা একইসাথে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী ও টেকসই সম্পর্কেরও প্রতিফলন। মূল্যবোধ ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ে আমরা সহযোগিতা ও ইতিবাচক প্রভাবের আমাদের এই যাত্রা অব্যাহত রাখতে প্রত্যাশী।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা এবং শিক্ষা খাত, ব্যবসা খাত ও সুশীল সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
স্বাগত বক্তব্যে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যফেরত স্নাতকদের সাথে যুক্ত থাকা ও তাদের ক্ষমতায়নে ব্রিটিশ কাউন্সিলের দীর্ঘদিনের অঙ্গীকার তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “ব্রিটিশ কাউন্সিল যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ, বোঝাপড়া এবং বিশ্বাস তৈরিতে কাজ করছে। আলামনাই ইউকে প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এমন দুই হাজার আটশ’র বেশি যুক্তরাজ্যফেরত বাংলাদেশী অ্যালামনাই কমিউনিটির সাথে যুক্ত হতে পেরে আমরা গর্বিত। আজকের আয়োজন তাদের সাফল্য উদযাপনের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। পাশাপাশি, নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধিতে এবং অন্যদের অনুপ্রাণিত করতেও এ ধরনের অনুষ্ঠান নতুন ক্ষেত্র তৈরি করবে।”
সন্ধ্যায় সৃজনশীলতা ও সংলাপের গুরুত্ব নিয়ে, অভিবাসন, আত্ম-পরিচয় ও প্রতিকূল অবস্থায় টিকে থাকার প্রতিপাদ্যে ড. শাহমান মইশানের পরিবেশনায় ‘আওয়ার হ্যামলেট: পারফর্মিং মাইগ্রেশন, ডিসপ্লেসমেন্ট, স্টেট ভায়োলেন্স, অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান ক্রাইসিস’ নাটকটি মঞ্চস্থ করা হয়।
গালায় অ্যালামনাই ইউকে নেটওয়ার্কের সাফল্যের গল্পও উপস্থাপন করা হয় এবং দেশজুড়ে জলবায়ু কার্যক্রম, উদ্ভাবন ও সামাজিক পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এমন গ্রাজুয়েটদের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের রূপান্তরমূলক প্রভাবকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যফেরত স্নাতকদের একত্রিত করা, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ভূমিকা রাখে অ্যালামনাই ইউকে গালা নাইট ২০২৫।
অ্যালামনাই ইউকে প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় রিসোর্স ব্যবহার, পেশাগত উন্নয়নের এবং বৈশ্বিকভাবে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নানা সুযোগ পান যুক্তরাজ্যের অ্যালামনাইরা। স্টাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ডস, নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট ও লিডারশিপ প্রোগ্রামের মতো উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে স্থানীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে ইতিবাচক প্রভাব রাখা যুক্তরাজ্যফেরত বাংলাদেশি স্নাতকদের সাফল্য ও অর্জন ধারাবাহিকভাবে উদযাপন করে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
এখন ঘরে বসেই যাত্রীরা মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করতে পারছেন বিকাশ-এ। নতুন এই সুবিধার মাধ্যমে যাত্রীদের আর স্টেশন কিংবা ব্যাংকের বুথে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে কার্ড রিচার্জ করার ঝামেলা যেমন থাকলো না তেমনি মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের কার্ড রিচার্জ ব্যবস্থাপনাও হলো আরও সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী।
বর্তমানে মেট্রোরেলে দুই ধরনের কার্ড ব্যবহৃত হচ্ছে — র্যাপিড ও এমআরটি পাস। নতুন ব্যবস্থায় দুই ধরনের কার্ডই বিকাশ-এর মাধ্যমে রিচার্জ করা যাবে। আর, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত মেট্রোরেলের কার্ডের রিচার্জ বিকাশ করলেই গ্রাহকরা পাচ্ছেন ৫% করে ক্যাশব্যাক। দিনে ১ বার এবং অফার চলাকালীন সর্বোচ্চ ২ বারে ১০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাচ্ছেন গ্রাহকরা।
মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করার জন্য বিকাশ অ্যাপ এর সাজেশন বক্স থেকে মেট্রোরেল আইকনে ট্যাপ করে অথবা সরাসরি র্যাপিড পাস এর ওয়েবসাইট (www.rapidpass.com.bd) বা অ্যাপে যেতে হবে। র্যাপিড পাস ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করা না থাকলে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর গ্রাহকের কার্ডটির তথ্য দিয়ে কার্ডটি নিবন্ধন করতে হবে।
পরের ধাপে রিচার্জ অপশনে যেয়ে যে কার্ডটি রিচার্জ করতে চান সেটি সিলেক্ট করতে হবে। এরপর পেমেন্ট অপশন হিসেবে বিকাশ সিলেক্ট করে নিশ্চিত করলেই কার্ডটি রিচার্জ হয়ে যাবে। অনলাইন রিচার্জের পর স্টেশনে থাকা অ্যাড ভ্যালু মেশিন (এভিএম)-এ কার্ডটি ট্যাপ করে রিচার্জকৃত ব্যালেন্স যুক্ত করতে হবে। রিচার্জ সফল হলে নিবন্ধিত মোবাইল নাম্বারে একটি এসএমএস চলে যাবে। একটি কার্ডে একবারে ১০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করা যাবে।
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এবং ট্রপিক্যাল হোমস লিমিটেড- রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ে ঋণ সুবিধা প্রদান ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। ব্যাংকের হেড অফিসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত এবং ট্রপিক্যাল হোমস লিমিটেডের চেয়ারম্যান তানভীর রেজা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর শেষে সমঝোতা স্মারক বিনিময় করেন।
এই চুক্তির মাধ্যমে রিয়েল এস্টেট সেক্টরে গ্রাহকদের জন্য ঋণ সুবিধা আরও সহজ, দ্রুত ও মানসম্মতভাবে প্রদান করা সম্ভব হবে। উভয় প্রতিষ্ঠানের আশা, এই সহযোগিতা রিয়েল এস্টেট খাতে গ্রাহকসেবা উন্নয়ন এবং আর্থিক সুবিধা সম্প্রসারণে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে।
দেশের গ্রাহকদের ডিজিটাল অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতে আবারও হুয়াওয়ের সাথে কৌশলগত বিনিয়োগে যুক্ত হয়েছে বাংলালিংক।
‘কাস্টমার-ফার্স্ট’ প্রতিশ্রুতি নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বাংলালিংক। এ প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে গ্রাহকদের প্রাত্যহিক জীবনে ডিজিটাল সেবার পরিসর বিস্তৃৃত ও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে হুয়াওয়ের সাথে এ উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানটি। এ উদ্যোগের ফলে, দেশজুড়ে গ্রাহকদের জন্য ডিজিটাল সেবার বৈচিত্র্য বৃদ্ধি পাবে, ঘরের ভেতরে নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক হবে এবং স্মার্ট ও এআই প্রযুক্তিনির্ভর সেবার ব্যবহার আরও কার্যকরী হবে।
এ অংশীদারিত্বের অধীনে, উন্নত নেটওয়ার্ক কাভারেজ প্রদানে, সেবার অভিজ্ঞতার মানোন্নয়নে এবং ভবিষ্যতে বরাদ্দকৃত তরঙ্গের পূর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচনে বাংলালিংক অত্যাধুনিক জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সাইটগুলোর আধুনিকায়ন করবে।
এ উদ্যোগ নিয়ে বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী ইওহান বুসে বলেন, “বর্তমানে, একে অন্যের সাথে কানেক্ট হওয়া থেকে শুরু করে শেখা এবং নতুন কিছু তৈরি করাসহ সকল ক্ষেত্রেই মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের মূল কেন্দ্রে রয়েছে ডিজিটাল সেবা। আমাদের লক্ষ্যও এক্ষেত্রে স্পষ্ট: মাইবিএল, টফি ও রাইজের মত প্ল্যাটফর্ম এবং আমাদের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে সব জায়গায়, প্রতি মুহূর্তে গ্রাহকদের ডিজিটাল অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করা। কৌশলগত বিনিয়োগের মাধ্যমে হুয়াওয়ে গ্রাহকদের জন্য সত্যিকার অর্থেই ডিজিটাল অভিজ্ঞতার ভিত্তি শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবে। আমাদের লক্ষ্য সম্পূর্ণভাবে একটি ডিজিটাল প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলা, যারা শুধু দেশকে কানেক্টই করবে না, পাশাপাশি দিনের পুরোটা সময় অর্থবহ ও নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল সেবা প্রদানের মাধ্যমে মানুষের জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করবে।”
হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রধান নির্বাহী জেসন উ বলেন, “ধারাবাহিকভাবে আস্থা রাখার জন্য ও একসাথে গুরুত্বপূর্ণ এ মাইলফলক উদযাপনের সুযোগ করে দেয়ার জন্য বাংলালিংককে আন্তরিক ধন্যবাদ। বাংলালিংকের ডিজিটাল রূপান্তর এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা তিন দশক ধরে একই লক্ষ্য, পারস্পারিক সম্মান ও অটল প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। নতুন এ চুক্তি আমাদের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করেছে এবং নেটওয়ার্কের মানোন্নয়ন, উৎকর্ষ অর্জন ও বাংলালিংকের গ্রাহকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদে অর্থবহ প্রভাব রাখার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্রুতিকে আরও জোরদার করেছে। আমাদের বিশ্বাস, এ মাইলফলক সামনে আরও শক্তিশালী যাত্রার সূচনা করবে। হুয়াওয়েতে আমরা অংশীদারিত্বের শক্তিতে বিশ্বাস করি; আমরা মনে করি, একসাথেই এগিয়ে যাই, একসাথেই সাফল্য অর্জন করি।”
ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড-এর জনপ্রিয় ক্যাম্পাসভিত্তিক প্রোডাক্ট ইনোভেশন প্রতিযোগিতা ‘ওভার দ্য ওয়াল সিজন ৪’-এর গ্র্যান্ড ফাইনাল সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) টিম জিনক্সড। ‘ইনোভেট উইথ ইমপ্যাক্ট’ স্লোগানকে সামনে রেখে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতা দেশের তরুণদের বাস্তবসম্মত ও উদ্ভাবনী আইডিয়া তৈরিতে উৎসাহিত করে আসছে।
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির টিম ‘উপস উই ট্রাইড’ প্রথম রানার-আপ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ‘দ্য ল্যানিস্টার্স’ দ্বিতীয় রানার-আপ হয়েছে। বিজয়ী তিন দলকেই ম্যারিকো বাংলাদেশ আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান করে। চ্যাম্পিয়ন দল ম্যারিকো লিমিটেডের একটি আন্তর্জাতিক অফিসে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাবে। গত বছরের বিজয়ী দল ম্যারিকো মালয়েশিয়াতে ইন্টার্নশিপ করেছিল। পাশাপাশি প্রথম ও দ্বিতীয় রানার-আপ দলও ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাবে। তিনটি দলই আগামী ডিসেম্বরে গ্লোবাল গ্র্যান্ড ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।
গ্র্যান্ড ফাইনালের বিচারক হিসেবে ছিলেন ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমিতাভা বসু, কি-মেকার্স কনসালটিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার স্বানন শাহরিয়ার এবং সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এইচ এম ফাইরোজ।
এ প্রসঙ্গে ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমিতাভা বসু বলেন, “ওভার দ্য ওয়াল শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে তরুণ উদ্ভাবকরা নতুন আইডিয়া নিয়ে আসে এবং তা বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যায়। এ বছর অংশগ্রহণকারীরা অসাধারণ সৃজনশীলতা ও নিষ্ঠা দেখিয়েছে। তাদের যাত্রায় অংশ হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং আমরা বিশ্বাস করি তাদের এই সৃজনশীলতা বাস্তব পরিবর্তন আনবে।”
প্রতিযোগিতায় এবার সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ দেখা গেছে। বাংলাদেশের ৪৫ টিরও বেশি ক্যাম্পাস থেকে ৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী নিবন্ধন করে। আইডিয়া সাবমিশন, ডেভেলপমেন্ট রাউন্ড ও মেন্টরশিপসহ একাধিক ধাপ অতিক্রম করার পর ছয়টি দল গ্র্যান্ড ফাইনালে জায়গা করে নেয়। ফাইনাল রাউন্ডে তারা প্রযুক্তিগত এবং টেকসই ও সৃজনশীল ব্যবসায়িক কৌশলের সমন্বয়ে ভবিষ্যতমুখী বিভিন্ন সমাধান তুলে ধরে।
উদ্যোগটি প্রসঙ্গে মারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের এইচআর ডিরেক্টর কে এম সাব্বির আহমেদ বলেন, “ওভার দ্য ওয়ালের মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্যোগী মানসিকতা গড়ে তোলা। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আজকের এই উদ্ভাবনী তরুণরাই আগামী দিনে নেতৃত্ব দেবে এবং ইতিবাচক অগ্রগতির পথ দেখাবে”
চতুর্থ আসরের সফল সমাপ্তির মাধ্যমে ‘ওভার দ্য ওয়াল’ দেশের উদীয়মান নেতৃত্ব ও উদ্যোক্তা সংস্কৃতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ম্যারিকো বাংলাদেশ তাদের অঙ্গীকারকে আরও দৃঢ়ভাবে তুলে ধরেছে।
আন্তর্জাতিক পেমেন্ট অপারেশনে অসাধারণ স্ট্রেইট-থ্রু-প্রসেসিং (এসটিপি) পারফরম্যান্সের জন্য ব্র্যাক ব্যাংককে চারটি মর্যাদাপূর্ণ এলিট কোয়্যালিটি রিকগনিশন অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে জেপি মরগান চেজ ব্যাংক, এন.এ.।
বাংলাদেশের একমাত্র স্থানীয় ব্যাংক হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক আমেরিকার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এই ব্যাংকের কাছ থেকে একই বছরে এই সবগুলো স্বীকৃতি অর্জন করেছে, যা ব্যাংকটির জন্য এক অনন্য মাইলস্টোন।
জেপি মরগানের এই স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক লেনদেনে ব্র্যাক ব্যাংকের লক্ষণীয় দক্ষতা, নির্ভুলতা ও অটোমেশনের প্রমাণ। ব্র্যাক ব্যাংকের শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো এবং কার্যকর অপারেশনাল নিয়ন্ত্রণের ফলে ব্যাংকটি MT202 (USD Clearing)-তে ৯৯.৯৩%, MT103-তে ৯৯.৮৭%, MT202-তে ৯৯.৬০% এবং MT202 (Euro)-তে ৯৯.৬৬% এসটিপি রেট অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে, যার ভিত্তিতে ব্যাংকটি ইউএসডি ও ইউরো— উভয় ক্যাটাগরিতে এলিট ও স্ট্যান্ডার্ড অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।
১৬ নভেম্বর ২০২৫ ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে জেপি মরগানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব পাবলিক সেক্টর কাভারেজ ফর এশিয়া প্যাসিফিক কার্ল ইয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খানের হাতে এই অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেপি মরগানের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব বাংলাদেশ রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিস সাজ্জাদ আনাম, ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব হোলসেল ব্যাংকিং মো. শাহীন ইকবাল সিএফএ এবং ব্যাংকটির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এসটিপি বা স্ট্রেইট-থ্রু-প্রসেসিং হলো এমন একটি ডিজিটাল সিস্টেম, যেখানে পুরো ফাইন্যান্সিয়াল ট্রানজ্যাকশন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোনো ধরনের ম্যানুয়াল হস্তক্ষেপ ছাড়াই সম্পন্ন হয়। এর ফলে পেমেন্ট হয় আরও দ্রুত, নির্ভুল ও সাশ্রয়ী, যা অপারেশনাল ঝুঁকিও হ্রাস করে।
জেপি মরগান চেজ ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ব্যাংক এবং বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ইউএস ডলার ক্লিয়ারার, যারা ১৯৯৭ সাল থেকে এই গ্লোবাল এসটিপি অ্যাওয়ার্ড দিয়ে আসছে।
এমন অর্জনের বিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন,
“জেপি মরগানের কাছ থেকে পাওয়া এই সম্মাননা আমাদের অপারেশনাল দক্ষতা ও ডিজিটাল সক্ষমতার প্রমাণ। এসটিপি পারফরম্যান্সে আমাদের নৈপুণ্য আমাদের ব্যাংকের প্রতি গ্লোবাল পার্টনারদের আস্থা আরও বৃদ্ধি করেছে। গ্রাহকদের দ্রুত, নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সেবা দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
একটি প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংক হিসেবে দেশ-বিদেশে গ্রাহকদের বিশ্বমানের সেবা দেওয়ার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংক যে সবসময় এক ধাপ এগিয়ে, এই আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড তারই প্রতিফলন।
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি. ও মারমেইড ইকো-ট্যুরিজম লিমিটেডের মধ্যে একটি ব্যবসায়ীক অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্প্রতি কক্সবাজারের মারমেইড বিচ রিসোর্টে স্বাক্ষরিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত এর নেতৃত্বে ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং ও হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মো. আরিফুল ইসলাম এবং হেড অব এডিসি ও হেড অব এমডি’স কো-অর্ডিনেশন টিম মো. মামুন উর রহমান।
কমিউনিটি ব্যাংকের হেড অব কার্ডস জাহির আহমেদ এবং মারমেইড ইকো-ট্যুরিজম লিমিটেডের কোম্পানি সেক্রেটারি ও চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার গাজী ইমাদ উদ্দিন মাহমুদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের হেড অব মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস রেক্সি ডমিনিক গোমেজসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এই চুক্তির মাধ্যমে কমিউনিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট হোল্ডার, কার্ডধারী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্টেকহোল্ডাররা মারমেইড ইকো-ট্যুরিজম লিমিটেডে সারা বছর জুড়ে রুম ভাড়ায় সর্বোচ্চ ৪০% পর্যন্ত বিশেষ ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।
গ্রাহকদের উন্নতমানের লাইফস্টাইল সুবিধা ও অভিজ্ঞতা প্রদান করতে এই ব্যবসায়ীক অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
শীতের আগমনী বার্তা আর উৎসবের আমেজ নিয়ে দেশব্যাপী ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩’ শুরু করলো দেশের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটন। পূর্বের মতো ক্যাম্পেইনের এই সিজনেও ওয়ালটন ফ্রিজের ক্রেতাদের জন্য রয়েছে বিশেষ চমক।
ক্যাম্পেইনের আওতায় ‘ওয়ালটন নেক্সট লেভেল ডিল’ অফারে দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ই-প্লাজা থেকে যেকোনো মডেলের ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন ওয়ালটনের সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ হাজার হাজার পণ্য ফ্রি। এছাড়াও প্রত্যেক ক্রেতার জন্য রয়েছে নিশ্চিত উপহার।
সম্প্রতি রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩’ এর ডিক্লারেশন প্রোগ্রামে এসব সুবিধা ঘোষণা দেওয়া হয়। চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর থেকে ২৫ জানুয়ারি, ২০২৬ তারিখ পর্যন্ত এসব সুবিধা পাবেন ক্রেতারা।
দেশব্যাপী ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩ এর উদ্বোধন করেন ওয়ালটন ফ্রিজের ব্র্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম।
সে সময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার এমডি মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) ও চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) মো. জিয়াউল আলমসহ অন্যান্য ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ।
অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের হেড অব স্ট্র্যাটেজিক বিজনেস ডেভেলপমেন্ট আরিফুল আম্বিয়া বলেন, ওয়ালটন গ্রাহকদের হাতে শুধু আন্তর্জাতিকমানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের পণ্যই তুলে দিচ্ছে না; সর্বোচ্চ বিক্রয়োত্তর সুবিধা প্রদানেও বদ্ধপরিকর। তাই অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরো দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে কাস্টমার ডাটাবেজ গড়ে তুলছে ওয়ালটন। সেজন্য সারাদেশে চালানো হচ্ছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। এরই ধারাবাহিকতায় শীতকে সামনে রেখে ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩’ শুরু করেছে ওয়ালটন। পূর্বের মতো ক্যাম্পেইনের এই সিজনও গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদী।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩ এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হবে। এরপর ওয়ালটনের কাছ থেকে ফিরতি এসএমএস-এর মাধ্যমে ক্রেতারা তাদের প্রাপ্ত সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারবেন। পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতগণ এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা পাবেন।
ক্যাম্পেইন চলাকালীন ওয়ালটন পণ্য কেনার পর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ক্যাম্পেইনের প্রতিটি সিজনেই গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও এনেক্স কমিউনিকেশনস লিমিটেডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স তাদের ইন-ফ্লাইট ম্যাগাজিন ‘ব্লু স্কাই’ নবায়নের লক্ষ্যে এনেক্স কমিউনিকেশনস লিমিটেডের সঙ্গে একটি কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে এনেক্স কমিউনিকেশনস লিমিটেড ম্যাগাজিনটির কনটেন্ট, সৃজনশীল দিকনির্দেশনা, বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপনা এবং সামগ্রিক প্রকাশনা প্রক্রিয়া পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
এনেক্স কমিউনিকেশনস লিমিটেডের পরিচালক শরীফ সাব্বির এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান, মহা ব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি অনুযায়ী, নতুন কাঠামোর অধীনে ‘ব্লু স্কাই’ ম্যাগাজিনে আরও সুসংগঠিত, তথ্যসমৃদ্ধ এবং পাঠকবান্ধব কনটেন্ট উপস্থাপন করা হবে। ভ্রমণ, সংস্কৃতি, লাইফস্টাইল ও বিশেষ প্রতিবেদনসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আধুনিক উপস্থাপনায় সাজানো কনটেন্ট যাত্রীদের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জানায়, রিব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে ম্যাগাজিনটি যাত্রীদের আরও আকর্ষণীয় এবং কার্য উপযোগী তথ্য দিয়ে যাত্রীদের ফ্লাইটে থাকাকালীন সময়টাকে আনন্দঘন করবে। পাশাপাশি নবায়নকৃত প্রকাশনাটি বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে, যেখানে তারা আধুনিক, বৈচিত্র্যময় ও ক্রমবর্ধমান পাঠকগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানোর সুযোগ পাবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানই আশা প্রকাশ করে যে, এই সহযোগিতা ইন-ফ্লাইট কমিউনিকেশনের মানকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করবে এবং বিমান ভ্রমণ, বিজ্ঞাপন বাজার ও সামগ্রিক এভিয়েশন খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি. এর ব্যাংকাস্যুরেন্স পার্টনার প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড সফলভাবে তাদের প্রথম নন-লাইফ মোটর কার ইন্স্যুরেন্স দাবি নিষ্পত্তি করেছে।
এ উপলক্ষে ব্যাংকের গুলশান শাখায় এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রাহক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন এর হাতে তার দাবীকৃত ক্ষতিপূরণের চেকটি হস্তান্তর করা হয়।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি. এর রিটেইল ডিস্ট্রিবিউশন ডিভিশনের প্রধান ও চিফ ব্যাংকাস্যুরেন্স অফিসার মো. রাশেদ আকতার এবং প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ব্যাংকাস্যুরেন্স ও ব্রাঞ্চ কন্ট্রোল বিভাগের প্রধান মো. মনজুর হোসেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকাস্যুরেন্স ম্যানেজার, খন্দকার ইমরান হোসেন; রাজীব দেব, কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজার, গুলশান শাখা এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।
বাংলাদেশের বীমা খাতে গ্রাহকের আস্থা বৃদ্ধি, স্বচ্ছ ও গ্রাহক-কেন্দ্রিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবাকে আরও গতিশীল করতে মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি. ও প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড তাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রাখবে।
দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতের প্রতি প্রতিশ্রুতি ও দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে, এমটিবি ফাউন্ডেশন সম্প্রতি ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটাল-এর সহযোগিতায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ‘কমিউনিটি আই হেলথ পার্টনারশিপ ফর প্রিভেন্টিং অ্যাভয়েডেবল ব্লাইন্ডনেস অব দ্য এথনিক কমিউনিটি’ শীর্ষক কর্মসূচির আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এমটিবি ফাউন্ডেশন-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সামিয়া চৌধুরী।
এই কর্মসূচির আওতায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে চক্ষু পরীক্ষা, ঔষধ সরবরাহ, চশমা বিতরণসহ ছানি, টেরিজিয়াম, ডিসিআর এবং ডিসিটি সার্জারির মতো মৌলিক চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি প্রাথমিক চক্ষু পরিচর্যা ও চোখের স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গঠনমূলক সেশনও অনুষ্ঠিত হয়। এ বছরের মধ্যে সিলেট বিভাগের অন্যান্য অঞ্চলেও এমন আরও বেশ কয়েকটি চক্ষু শিবির আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে এমটিবি ফাউন্ডেশন-এর।