সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে গত ১ ফেব্রুয়ারি হতে ‘স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন-২০২৪’ শীর্ষক মাসব্যাপী বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১৭৯টি শাখার মাধ্যমে এ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার কুমিল্লা শাখার উদ্যোগে কুমিল্লা জিলা স্কুলে অনুষ্ঠিত হয় স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন। ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হান্নান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, ব্যাংকের ব্রাঞ্চেস কন্ট্রোল ডিভিশনের প্রধান জয়নাল আবেদীন, কুমিল্লা অঞ্চলের প্রধান আবদুল হামিদ, মার্কেটিং অ্যান্ড ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন ডিভিশনের প্রধান মো. মনিরুজ্জামা, কুমিল্লা শাখার ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল কাদের ও অন্যান্য কর্মকর্তা, কুমিল্লা জিলা স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, শিশু কিশোর ও তরুণদের ব্যাংকিংয়ের সাথে যুক্ত করার জন্য সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের এ উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এতে কৈশোর থেকেই শিক্ষার্থীদের মাঝে সঞ্চয়ের অভ্যাস তৈরি হবে।
সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আব্দুল হান্নান খান বলেন, আমরা ছোটবেলায় টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে মাটির ব্যাংকে জমাতাম। আর আজ আমাদের ব্যাংক তোমাদের কাছে চলে এসেছে। তোমরা ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলে তোমাদের সালামী, বৃত্তির টাকা কিংবা টিফিনের টাকা জমিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে জমা কর। এভাবে শৈশব থেকেই সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলো। বিজ্ঞপ্তি
শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল রিটেইল ব্র্যান্ড আড়ং ঢাকার শ্যামলীতে তাদের ৩২তম আউটলেট উদ্বোধন করেছে। চার তলা বিশিষ্ট প্রায় ১৯ হাজার বর্গফুট আয়তনের এই আউটলেটটি ক্রেতাদের জন্য পূর্ণাঙ্গ কেনাকাটার সুযোগ তৈরি করেছে।
নতুন আউটলেটে আড়ংয়ের সাব-ব্র্যান্ড তাগা, তাগা ম্যান ও আড়ং আর্থ-এর পাশাপাশি রয়েছে হাতে তৈরি পোশাক, গয়না, হোম ডেকর, অ্যাকসেসরিজ ও স্কিনকেয়ার পণ্যের সংগ্রহ। এছাড়া গ্রাসরুটস ক্যাফে থাকায় ক্রেতারা কেনাকাটার পাশাপাশি সময় কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন।
ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজেস-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর তামারা হাসান আবেদ বলেন, শ্যামলীর এই নতুন আউটলেট দীর্ঘদিনের পাশাপাশি নতুন ক্রেতাদের আরও কাছাকাছি আনবে এবং সেবার পরিসর বাড়াবে।
একটি সামাজিক উদ্যোগ হিসেবে আড়ং গ্রামীণ কারুশিল্পীদের ক্ষমতায়ন ও বাংলাদেশের কারুশিল্পের ঐতিহ্য সংরক্ষণে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজিত বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ অনুষ্ঠানে ওরাল স্যালাইন ক্যাটাগরিতে এসএমসি ওরস্যালাইন সেরা ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। টানা সপ্তমবারের মতো এই অর্জন দেশের কোটি কোটি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক।
১৯৮৫ সাল থেকে এসএমসি ওরস্যালাইন যাত্রা শুরু করে। এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড-এর ফ্ল্যাগশিপ ব্র্যান্ড হিসেবে এসএমসি ওরস্যালাইন গত ৪০ বছর ধরে ডায়রিয়া ও পানিশূন্যতার থেকে কোটি কোটি মানুষের জীবন বাঁচাতে এবং জীবনকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলছে।
গ্রামীণফোন ও ওয়েস্টার্ন গ্রুপের মধ্যে গত সোমবার এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ওয়েস্টার্ন গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোন লিমিটেড এবং ওয়েস্টার্ন গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গ্রামীণফোনের পক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসিফ নাইমুর রশিদ, চিফ বিজনেস অফিসার, গ্রামীণফোন এবং এম. শাওন আজাদ, ডিরেক্টর, গ্রামীণফোন।
ওয়েস্টার্ন গ্রুপের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বশির আহমেদ, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ওয়েস্টার্ন গ্রুপ; মো. সারওয়ার জামান ঢালী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ওয়েস্টার্ন গ্রুপ; এবং নাহফিদ আহমেদ অনন্য, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, লিডস কর্পোরেশন লিমিটেড ও ডিরেক্টর, ওয়েস্টার্ন গ্রুপ।
অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন নাহফিদ আহমেদ অনন্য এবং আসিফ নাইমুর রশিদ।
এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠান পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ভবিষ্যতে আরও কার্যকর ও টেকসই ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণে অগ্রসর হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই অংশীদারিত্বকে দুই প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন।
আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডের নির্বাহী কমিটির ২১০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মোফাজ্জল হোসেনসহ পরিচালক মো. রুহুল আমিন ভুইয়া, মো. আতোয়ার হোসেন, মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. রাশেদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ব্যাংকের কার্যক্রম আরো গতিশীল করার জন্য বিভাগীয় কার্যালয় কার্যকর করাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল সেবা প্রদানকারী কোম্পানি রবি আজিয়াটা পিএলসি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ১৫তম আইসিএমএবি (ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ) বেস্ট করপোরেট অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতায় আইটি ও টেলিযোগাযোগ ক্যাটাগরিতে সিলভার অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, এফসিএমএ রবি আজিয়াটা পিএলসির পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটির ডিরেক্টর শরিফ শাহ জামাল রাজ এবং কোম্পানি সেক্রেটারিয়েটের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর মো. শহিদুর রহমানের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন।
আইসিএমএবি বেস্ট করপোরেট অ্যাওয়ার্ড দেশের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি যা করপোরেট গভর্ন্যান্স, আর্থিক স্বচ্ছতা, নীতিমালা অনুসরণ এবং টেকসই ব্যবসায়িক চর্চায় উৎকর্ষতা প্রদর্শনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রদান করা হয়। এই স্বীকৃতি রবির দায়িত্বশীল ব্যবসা পরিচালনা এবং অংশীজনদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
রবি আজিয়াটা পিএলসির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, ‘আইসিএমএবি’র এই স্বীকৃতি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। এটি করপোরেট গভর্ন্যান্স, স্বচ্ছতা ও টেকসই পদক্ষেপ বজায় রাখতে রবির ধারাবাহিক প্রচেষ্টার প্রতিফলন। আমরা বিশ্বাস করি, দায়িত্বশীল ও টেকসই ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমেই দীর্ঘমেয়াদে গ্রাহক, অংশীজন এবং দেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় অবদান রাখা সম্ভব।’
বাংলাদেশে দ্রুত বর্ধনশীল টেলিযোগাযোগ খাতের নেপথ্য কারিগর তথা মোবাইল টাওয়ারে কর্মরত কর্মীদের (রিগার) নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে হুয়াওয়ে সম্প্রতি এক অনন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। রাজধানীর হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়া সদর দপ্তরে আয়োজিত এই ‘রিগার ইএইচএস ফ্যামিলি ডে ২০২৫’ অনুষ্ঠানে টাওয়ার কর্মীদের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি তাঁদের কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পরিবারের ভূমিকা ও সচেতনতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে রিগার ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি মোবাইল অবকাঠামো নির্মাণের সাথে যুক্ত বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
আলোচকরা টাওয়ার কর্মীদের এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি (ইএইচএস) নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণের আহ্বান জানান। তাঁরা উল্লেখ করেন যে, উঁচু টাওয়ারে কাজ করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, তাই প্রতিটি পদক্ষেপে নিরাপত্তা বিধি মেনে চলা আবশ্যক। কর্মীদের মানসিকভাবে সুস্থ রাখা এবং তাঁদের নিরাপত্তায় পরিবারের সদস্যদের উদ্বুদ্ধ করার মধ্য দিয়ে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকটা কমানো সম্ভব। হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তাঁরা রিগারদের কেবল কর্মী হিসেবে নয়, বরং নিজেদের পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে মনে করেন।
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া ডেলিভারি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর চেন হেংঝো অনুষ্ঠানে কর্মীদের সাথে সময় কাটান এবং তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, রিগারদের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই দেশজুড়ে নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হয়েছে, তাই তাঁদের সার্বিক নিরাপত্তা হুয়াওয়ের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার। প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ ও উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হুয়াওয়ে সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিভিন্ন বিনোদনমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটিকে উদযাপন করা হয় যা কর্মীদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধতা ও সুরক্ষার সংস্কৃতিকে আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে। মূলত বিশ্বমানের প্রযুক্তির প্রসারের পাশাপাশি কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাকেই হুয়াওয়ে তাদের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে মনে করে।
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক ইলেক্ট্রনিকস লিমিটেড বাজারে নিয়ে এসেছে তাদের নতুন উদ্ভাবন ‘অ্যারিস্টো সিরিজ টুয়েলভ ওয়ে এসডিবি বক্স’। নিরাপদ ও কার্যকরী বিদ্যুৎ ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবস্থার লক্ষ্যেই বিশেষভাবে এই সাব ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ডটি তৈরি করা হয়েছে। এটি মূলত আবাসিক ভবন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন শিল্প কারখানায় ব্যবহারের জন্য একটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সমাধান হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে আধুনিক ঘরবাড়ি বা কর্মস্থলে দীর্ঘমেয়াদে এবং সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত উপায়ে বৈদ্যুতিক ডিস্ট্রিবিউশন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
একটি এসডিবি বক্স মূলত সেকেন্ডারি বৈদ্যুতিক প্যানেল হিসেবে কাজ করে, যা মেইন ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড থেকে বিদ্যুৎ গ্রহণ করে নির্দিষ্ট পয়েন্ট বা যন্ত্রপাতির জন্য ছোট ছোট সার্কিটে তা ভাগ করে দেয়। এই প্রক্রিয়াটি পুরো বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনাকে আরও কার্যকর করার পাশাপাশি মূল প্যানেলের ওপর বাড়তি চাপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বহুমুখী ব্যবহারের উপযোগী এই অ্যারিস্টো সিরিজ বক্সটি অ্যাপার্টমেন্ট, অফিস-আদালত, বিপণী বিতান এবং হোটেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে ব্যবহারের জন্য আদর্শ। উন্নত প্রযুক্তি ও স্থায়িত্বের কথা মাথায় রেখে তৈরি এই বোর্ডটি আধুনিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি। মূলত গ্রাহকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করাই এনার্জিপ্যাকের এই নতুন পণ্যের প্রধান লক্ষ্য।
দেশের জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক্স বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান সনি-র্যাংগস তাদের বিশেষ ক্যাম্পেইন ‘ইয়ার এন্ড সেলস - নিউ ইয়ার অফার’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেছে। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর ২০২৫) রাজধানীর বাংলামোটরে অবস্থিত সোনারতরী টাওয়ারের নিজস্ব শোরুমে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই আকর্ষণীয় অফারটির যাত্রা শুরু হয়। সনি-র্যাংগসের ভাইস চেয়ারপারসন মিসেস সাচিমি হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের দিন থেকেই সারা দেশের শোরুমগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
এবারের ক্যাম্পেইনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হিসেবে রাখা হয়েছে ‘ডিজিটাল হুইল’, যার মাধ্যমে ক্রেতারা সরাসরি নিশ্চিত ডিসকাউন্ট জেতার সুযোগ পাচ্ছেন। কোনো ক্রেতা নিজের পছন্দের পণ্য কেনার পর ইনভয়েস জেনারেট করে মনিটরের পর্দায় থাকা একটি ডিজিটাল হুইল নিজ হাতে ঘোরাতে পারবেন। এই হুইলটিতে ১৬টি আলাদা ডিসকাউন্ট ঘর রয়েছে, যেখানে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ছাড়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। চাকাটি ঘুরে যে পরিমাণ ডিসকাউন্টের ঘরে এসে থামবে, ক্রেতা সেই পরিমাণ অর্থ সঙ্গে সঙ্গে ছাড় পাবেন। অর্থাৎ, এখানে ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে খালি হাতে ফেরার কোনো সুযোগ নেই; প্রতিটি কেনাকাটাতেই ক্রেতা কোনো না কোনো পরিমাণ ছাড় নিশ্চিতভাবে উপভোগ করবেন।
গত ৪০ বছর ধরে সনি-র্যাংগস অত্যন্ত সুনাম ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে বিশ্ববিখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিক্স পণ্য বাংলাদেশের বাজারে সরবরাহ করে আসছে। বছর শেষে এবং নতুন বছরের আনন্দকে ক্রেতাদের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই এই বিশেষ ছাড় ও ফ্রি গিফট ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে। এই রোমাঞ্চকর ‘ডিজিটাল হুইল’ অফারটি আগামী ৩১ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত দেশের সকল সনি-র্যাংগস শোরুমে বলবৎ থাকবে। সেরা মানের পণ্যের নিশ্চয়তার পাশাপাশি এমন নিশ্চিত আর্থিক সাশ্রয়ের সুযোগ ক্রেতাদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আরও আনন্দদায়ক করবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত টিসিবি ভবন মিলনায়তনে গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেডের ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবুর রহমান। দীর্ঘ সময়ের পরিক্রমায় আয়োজিত এই সভায় শেয়ারহোল্ডারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং আগামীর সমৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে চেয়ারম্যানকে সহায়তাদানকারী তিনজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ২০২৪ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী, নিরীক্ষক প্রতিবেদন এবং পরিচালনা পর্ষদের প্রতিবেদন উত্থাপন করা হয়, যা উপস্থিত সবার সম্মতিতে অনুমোদিত হয়। এছাড়া ২০২৫ সালের আর্থিক কার্যক্রম সঠিক ও স্বচ্ছভাবে পরিচালনার জন্য বহিঃনিরীক্ষক নিয়োগ এবং করপোরেট গভর্নেন্স পরিপালন যাচাইয়ের জন্য নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়োগের বিষয়টিও সভায় চূড়ান্ত করা হয়।
উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে শেয়ারহোল্ডাররা ব্যাংকের চলমান ব্যবসায়িক অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তারা ২০২৫ সালে এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংককে দেশের প্রথম সারির একটি শক্তিশালী ইসলামী ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জবাবে চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান শেয়ারহোল্ডারদের গঠনমূলক পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং তাদের আস্থা বজায় রেখে ব্যাংকের আধুনিকায়ন ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। মূলত বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা পূরণ এবং একটি স্বচ্ছ ব্যাংকিং কাঠামো গড়ে তোলাই ছিল এই সাধারণ সভার মূল সুর।
দেশের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রাইম ব্যাংক পিএলসি এবং বাউয়ার্ক লিমিটেডের মধ্যে সম্প্রতি একটি সমন্বিত পেরোল ব্যাংকিং চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে রাজধানীর বনানীতে ব্যাংকের করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই অংশীদারিত্বের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়। এই চুক্তির ফলে বাউয়ার্ক লিমিটেডের কর্মীরা এখন থেকে প্রাইম ব্যাংকের আধুনিক ও উন্নত ব্যাংকিং সেবার আওতায় বিভিন্ন বিশেষ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, বাউয়ার্ক লিমিটেডের কর্মীরা প্রতিযোগিতামূলক মুনাফা ভিত্তিক স্যালারি অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ পাবেন। এছাড়াও তারা ফি মওকুফ সুবিধাসহ ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড, আকর্ষণীয় লাইফস্টাইল অফার, কাস্টমাইজড লোন এবং ক্রেডিট কার্ড সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রাইম ব্যাংকের বিভিন্ন ভোক্তাবান্ধব ব্যাংকিং পণ্য ও সেবা এই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য সহজলভ্য হবে, যা তাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
কর্পোরেট লেনদেনকে আরও সহজ ও গতিশীল করতে বাউয়ার্ক লিমিটেড এখন থেকে প্রাইম ব্যাংকের ওমনি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘প্রাইমপে’ ব্যবহার করবে। এই প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে কোনো প্রকার জটিলতা ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে কর্মীদের বেতন পরিশোধ করা সম্ভব হবে। এটি একদিকে যেমন সময় সাশ্রয় করবে, অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের করপোরেট লেনদেনে স্বচ্ছতা ও নিরবচ্ছিন্নতা নিশ্চিত করবে।
নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রাইম ব্যাংক পিএলসি-র এসইভিপি ও হেড অব এমার্জিং মার্কেট মো. আসিফ বিন ইদ্রিস এবং বাউয়ার্ক লিমিটেডের চেয়ারম্যান জুলিয়ান অ্যান্ড্রিন ওয়েবার। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে প্রাইম ব্যাংকের ইভিপি মো. এনামূল কবির, হেড অব পেরোল ব্যাংকিং হাসিনা ফেরদৌস এবং বাউয়ার্ক লিমিটেডের হেড অব ফাইন্যান্স মো. হুমায়ুন কবির ও জেনারেল ম্যানেজার নালিন কৌরা অন্যতম। দুই প্রতিষ্ঠানের এই যৌথ পথচলা আধুনিক ব্যাংকিং সেবার প্রসারে এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপনে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন (এএমএল-সিএফটি) প্রতিরোধে নিজেদের কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে দুই দিনব্যাপী এক বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ। ‘স্ট্রেন্থেনিং এএমএল-সিএফটি ফ্রেমওয়ার্ক ইন সাইবার স্পেস’ শীর্ষক এই অর্ধবার্ষিক সেমিনারে সাইবার স্পেসে কমপ্লায়েন্স বা নিয়মনীতি পরিপালন জোরদার করার মাধ্যমে ডিজিটাল মাধ্যমে আর্থিক অপরাধ মোকাবিলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। রাজধানীর একটি মিলনায়তনে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বিকাশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সারা দেশের আঞ্চলিক পর্যায়ের কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুযায়ী সাইবার স্পেসে আর্থিক অপরাধ মোকাবিলা, সম্ভাব্য সামাজিক-রাজনৈতিক ঝুঁকি এবং পরিবর্তনশীল নিয়ন্ত্রক রিপোর্টিংয়ের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া বর্তমান সময়ের কমপ্লায়েন্স চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা, উন্নত পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা এবং নতুন পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ঝুঁকি হ্রাসের বিভিন্ন কৌশল নিয়ে কর্মকর্তারা মতবিনিময় করেন। ২০২৫ সালের কাজের মূল্যায়ন এবং আগামী বছরগুলোতেও গ্রাহক ও অংশীজনদের জন্য বিকাশের প্রতিটি কার্যক্রমে নিয়মনীতি মেনে চলার অঙ্গীকার অনুষ্ঠানে পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
বিকাশের চিফ অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কমপ্লায়েন্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.) এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা পরিপালন করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিকাশের দক্ষ কমপ্লায়েন্স টিম নিয়োজিত আছে। প্রতিষ্ঠানটি কেবল নিজেদের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণই নয়, বরং নিয়মিতভাবে এজেন্ট, মার্চেন্ট ও গ্রাহকদের নিয়েও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে, যাতে একটি নিরাপদ লেনদেন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
উল্লেখ্য যে, এমএফএস খাতে আর্থিক অপরাধ দমনে বিকাশ বর্তমানে ‘এএমএল ৩৬০ ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সল্যুশন’ এবং স্ক্রিনিং ইনটেলিজেন্স সিস্টেমের (এসআইএস) মতো কাস্টমাইজড প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এই উন্নত সিস্টেমের মাধ্যমে যেকোনো ধরনের সন্দেহজনক লেনদেন দ্রুত শনাক্ত করা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে। নিয়মনীতি পরিপালন ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে একটি স্বচ্ছ ও নিরাপদ ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা গড়ে তোলাই বিকাশের এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি. তাদের নবনিযুক্ত ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসারদের (ক্যাশ) পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করেছে। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকবৃন্দ এবং সাউথইস্ট ব্যাংকের নিজস্ব দক্ষ রিসোর্স পার্সনরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেশন পরিচালনা করেন। নতুন কর্মকর্তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রমের মৌলিক ও প্রায়োগিক বিষয়গুলোতে দক্ষ করে তোলাই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শেষে এক সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. খালিদ মাহমুদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন। সনদ বিতরণের পাশাপাশি তিনি নবনিযুক্ত কর্মকর্তাদের কর্মজীবনে সততা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করে এই প্রশিক্ষণ কোর্সের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাউথইস্ট ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবিদুর রহমান চৌধুরী, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান বিলকিস জাহান এবং এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রধান সায়মা বানু। ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এই প্রশিক্ষণ কোর্সটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়, যা নতুন কর্মকর্তাদের আগামীর পথচলায় বিশেষ সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দেশের অন্যতম বেসরকারি ব্যাংক ‘ব্যাংক এশিয়া পিএলসি’ এবং নির্মাণ সামগ্রী খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ‘হাইডেলবার্গ ম্যাটারিয়ালস্ বাংলাদেশ পিএলসি’-র মধ্যে ‘ইন্টিগ্রেটেড ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সল্যুশন’ বিষয়ক একটি কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত ব্যাংক এশিয়া টাওয়ারে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই অংশীদারিত্বের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়। এই চুক্তির ফলে প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে বিদ্যমান ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হলো।
অনুষ্ঠানে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হোসেন এবং হাইডেলবার্গ ম্যাটারিয়ালস্ বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওং কিয়ান হক্ টেরেন্স। এই চুক্তির আওতায় হাইডেলবার্গ ম্যাটারিয়ালস্ এখন থেকে ব্যাংক এশিয়ার বিস্তৃত কালেকশন নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সুযোগ পাবে। এর মাধ্যমে তারা তাদের দেশব্যাপী ব্যবসায়িক কার্যক্রমে উন্নত আর্থিক দক্ষতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তহবিল ব্যবস্থাপনাকে আরও সহজ ও কার্যকর করতে পারবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এই উদ্যোগ উদ্ভাবনী সেবা ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে বড় ভূমিকা রাখবে। ব্যাংক এশিয়া ও হাইডেলবার্গ ম্যাটারিয়ালসের এই যৌথ পথচলা আধুনিক ব্যাংকিং সেবার মানোন্নয়নে এবং ব্যবসায়িক লেনদেনকে আরও গতিশীল করতে সহায়ক হবে বলে উভয় পক্ষ আশা প্রকাশ করেন।