সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে গত ১ ফেব্রুয়ারি হতে ‘স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন-২০২৪’ শীর্ষক মাসব্যাপী বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১৭৯টি শাখার মাধ্যমে এ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার কুমিল্লা শাখার উদ্যোগে কুমিল্লা জিলা স্কুলে অনুষ্ঠিত হয় স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন। ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হান্নান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, ব্যাংকের ব্রাঞ্চেস কন্ট্রোল ডিভিশনের প্রধান জয়নাল আবেদীন, কুমিল্লা অঞ্চলের প্রধান আবদুল হামিদ, মার্কেটিং অ্যান্ড ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন ডিভিশনের প্রধান মো. মনিরুজ্জামা, কুমিল্লা শাখার ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল কাদের ও অন্যান্য কর্মকর্তা, কুমিল্লা জিলা স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, শিশু কিশোর ও তরুণদের ব্যাংকিংয়ের সাথে যুক্ত করার জন্য সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের এ উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এতে কৈশোর থেকেই শিক্ষার্থীদের মাঝে সঞ্চয়ের অভ্যাস তৈরি হবে।
সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আব্দুল হান্নান খান বলেন, আমরা ছোটবেলায় টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে মাটির ব্যাংকে জমাতাম। আর আজ আমাদের ব্যাংক তোমাদের কাছে চলে এসেছে। তোমরা ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলে তোমাদের সালামী, বৃত্তির টাকা কিংবা টিফিনের টাকা জমিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে জমা কর। এভাবে শৈশব থেকেই সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলো। বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশের শিল্পখাতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে পরিবেশবান্ধব নীতি অনুসরণ করছে দেশের সুপারব্র্যান্ড ও টেক জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। জিরো কার্বন নিঃসরণ, সাশ্রয়ী জ্বালানি, পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ক্লিন ও গ্রিন এনার্জি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি নিজস্ব অর্থায়নে ১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ভাসমান (ফ্লোটিং) সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে ওয়ালটন। শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি বাংলাদেশের শিল্পখাতে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের পথে আরেকটি নতুন মাইলফলক।
ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সের জলাশয়ের ওপর স্থাপন করা হয়েছে এই ১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ফ্লোটিং সোলার প্রজেক্ট, যা দেশের বেসরকারি খাতে নির্মিত সবচেয়ে বড় ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বুলনপুরে স্থাপিত ২.৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে জলাশয়ের ওপর ০.৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্যানেল ভাসমানভাবে স্থাপন করা হয়েছিল।
ওয়ালটনের এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি বিভাগের প্রধান মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেন,
“ফ্লোটিং সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে ওয়ালটন নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারে নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে। এটি প্রমাণ করে, ভবিষ্যতের টেকসই শিল্পোন্নয়ন প্রকৃতি ও প্রযুক্তির ভারসাম্যের মাধ্যমেই সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, জলাশয়ের ওপর স্থাপিত এই প্রকল্প শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনই করছে না, বরং মাছ চাষ, ভূমি সংরক্ষণ, পানির বাষ্পীভবন হ্রাস ও পরিবেশ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ফ্যাক্টরি বন্ধ বা আংশিক উৎপাদনে থাকলে উৎপাদিত অতিরিক্ত বিদ্যুৎ নেট মিটারিং সিস্টেমের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
রাজু জানান, প্রকল্পে ব্যবহৃত ফ্লোটিং স্ট্রাকচারগুলো ফুড-গ্রেড প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি, যা পানি ও জলজ প্রাণীর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। প্যানেলগুলো এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যাতে মাছের স্বাভাবিক জীবনচক্র ব্যাহত না হয়। এই সিস্টেম আগামী ২০ বছর পর্যন্ত কার্যকরভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম থাকবে।
উল্লেখ্য, ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে বিভিন্ন স্থাপনার ছাদ, ফুটপাত ও খালি জায়গায় ১০ মেগাওয়াট সৌর শক্তি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। শিল্পপ্রক্রিয়ায় পানি সাশ্রয় ও পুনঃব্যবহারের জন্য ইটিপি’র মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত পানির প্রায় ৭৫ শতাংশ নিরাপদভাবে পুনঃব্যবহার করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ই-বর্জ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার ও আপসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে বর্জ্য হ্রাস ও সম্পদের পুনঃব্যবহার নিশ্চিত করছে ওয়ালটন।
এসব কার্যক্রমের ফলে প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত ৯১১,৮২৩ মেট্রিক টন কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণ হ্রাস এবং সামগ্রিক কার্বন ফুটপ্রিন্ট ১০ শতাংশ কমাতে সক্ষম হয়েছে।
শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওয়ালটন শুধু পরিবেশবান্ধব নীতি গ্রহণই করেনি, বরং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে টেকসই শিল্প ও সামাজিক দায়বদ্ধতার একটি আদর্শ মডেল তৈরি করেছে।
জেবি/এসডি
ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম (DMF) দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করেছে “ডিজিটাল মিডিয়া এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫”, যা বাংলাদেশের অনুপ্রেরণাদায়ক সাংবাদিক, মিডিয়াকর্মী ও উদ্ভাবকদের স্বীকৃতি জানাতে একটি মহোৎসব।
এই মর্যাদাপূর্ণ আয়োজনে সাংবাদিকতা, উদ্ভাবন ও মিডিয়ার সৃজনশীলতায় অসামান্য অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মান জানানো হয়, যাদের কাজ সমাজে স্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর ডিজিটাল মার্কেটিং বিভাগের ম্যানেজার ও ডিএমএফ এর সাধারণ সম্পাদক রায়হান রবিন। তিনি বলেন, ডিএমএফ-এর এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ডিজিটাল সাংবাদিকতার নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করা এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পেশাদারিত্ব ও উদ্ভাবনের মান উন্নয়ন করা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন “ডিজিটাল মিডিয়া এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫”-এর জুরি বোর্ডের সদস্যরা, যারা দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের সম্পাদনা ও ডিজিটাল নেতৃত্বের প্রতিনিধিত্ব করেন।
সভাপতির বক্তব্য
সংগঠনের সভাপতি ও দ্য বাংলাদেশ টাইমস-এর ম্যানেজার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন,
“নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল সাংবাদিকতা ও উদ্ভাবনে উৎসাহিত করা, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গণমাধ্যমকে আরও এগিয়ে নেওয়া এবং সমাজে ইতিবাচক অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দেওয়াই এই আয়োজনের লক্ষ্য। সাংবাদিকতা পেশাকে আরও শক্তিশালী করা এবং বাংলাদেশের ডিজিটাল মিডিয়ার সম্ভাবনাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরাই ডিএমএফ-এর মূল উদ্দেশ্য।”
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ডা. তৃণা ইসলাম (হেড অব অপারেশনস, দ্য বিজনেস ডেইলি) ও ফয়সাল তিতুমীর (সিনিয়র প্রেজেন্টার, যমুনা টেলিভিশন), যারা সজীব উপস্থাপনায় পুরো আয়োজনে প্রাণ ঢেলেছেন।
প্রধান অতিথি: জনাব শফিকুল আলম, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
বিশেষ অতিথি: জনাব ফয়েজ আহমেদ, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়
গেস্ট অব অনার:
২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ডিএমএফ ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের ডিজিটাল মিডিয়া পেশাজীবীদের অন্যতম শীর্ষ প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে, যেখানে টেলিভিশন, প্রিন্ট ও অনলাইন সাংবাদিকদের একত্র করে প্রশিক্ষণ, উদ্ভাবন এবং সহযোগিতার মাধ্যমে দেশের ডিজিটাল মিডিয়া ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করার কাজ করছে।
জুরি বোর্ড (২০২৫)
পুরস্কারপ্রাপ্তরা (প্রফেশনাল বিভাগসমূহ)
জুরি স্পেশাল অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তরা
এই সম্মাননায় ডিএমএফ আবারও প্রমাণ করেছে যে বাংলাদেশের সাংবাদিকতা আজ শুধুমাত্র সংবাদ প্রচার নয়—এটি প্রযুক্তি, সৃজনশীলতা ও দায়িত্বশীলতার সমন্বয়ে সমাজ পরিবর্তনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার।
২৬ অক্টোবর ২০২৫ রবিবার,, প্রথমবারেরে মতো গেমিফিকেশন লার্নিং প্রোগ্রাম বিষয়ে একটি ইভেন্টের আয়োজন করছে GREC BD & Aemers Admission Worldwide। এই প্রোগ্রামটি বিশেষভাবে বর্তমান আন্ডারগ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী নিজেদের মধ্যে আলোচনা , চিন্তাভাবনা, দলবদ্ধ কাজ, সার্ভের মাধ্যমে এ গেমটি ডিজাইন করেছে। প্রোগ্রামে পাঁচটি ইন্টারেক্টিভ লার্নিং গেম থাকবে, যা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে সাহায্য করবে। প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আনন্দের সাথে শেখা, গঠনমূলক চিন্তাভাবনা, দলগতভাবে কাজ করা এবং সমস্যা সমাধান কিভাবে করতে হয় শেখার সুযোগ পাবেন।
এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিজনেস ডেভেলপমেন্ট পরিচালক হোসনে আরা বেগম জানান এই গেম এর মাধ্যমে তাদের অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটিস বোঝা এবং ক্রিটিক্যাল সমস্যাগুলো সমাধানে সহায়তা করবে এবং উচ্চ শিক্ষায় ভর্তিচ্ছুদের এই যাত্রাকে আরও সহজ করবে। এই গেমটি তৈরি করেছে কিছু মেধাবী আন্ডারগ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী। তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও কাজের সময় যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, সেগুলোর ভিত্তিতেই এটি নির্মিত। আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীরা যদি এই গেম থেকে উপকৃত হয়, তবে আমাদের এই উদ্যোগই হবে সত্যিকারের সফলতা।
এছাড়াও এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মাল্টিপল-চয়েস, ফিল-ইন-দ্য-ব্ল্যাঙ্ক, ড্র্যাগ-অ্যান্ড-ড্রপ কার্যক্রমের মাধ্যমে শিখবে কিভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পায়, ব্যবসা ও ফাইন্যান্স বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রসারিত হয় এবং জীবন ও কর্মধারার পরিবর্তন ঘটে।
এখানে ৫০-এর অধিক শিক্ষার্থী সনদপত্র পেয়েছেন এবং তাদের পিতামাতা ও অভিভাবক অংশগ্রহণ করে তাদের সাফল্য উদযাপন করেছেন। এমন একটি তাৎপর্যপূর্ণ অনুষ্ঠানে অভিভাবক, অতিথি ও কমিউনিটি লিডাররাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এমটিবি ফাউন্ডেশন ও ইউসেপ বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি উদ্বোধন করা হয়েছে এই ইনস্টিটিউটটি। শিক্ষা খাতে এটি এমটিবি ফাউন্ডেশনের ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত। আগামী তিন বছরে এই প্রকল্পের আওতায় ১,২০০ জন সুবিধাবঞ্চিত তরুণ-তরুণীকে পাঁচটি বিশেষায়িত ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হলো দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি এবং তরুণ সমাজকে আত্মনির্ভরশীল করে তোলা, যাতে তারা দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে এমটিবি শুধুমাত্র একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয়, বরং সমাজের উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে তার অবস্থান আরও সুদৃঢ় করবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ময়মনসিংহের মাসকান্দায় অবস্থিত স্পন্দন ট্রেনিং ফ্যাসিলিটেশন সেন্টারে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এমটিবি ও ইউসেপ-এর বোর্ড সদস্যবৃন্দ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় কমিউনিটির সদস্য এবং প্রশিক্ষণার্থীরা। ইনস্টিটিউটটির উদ্বোধন করেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি (এমটিবি)-এর চেয়ারম্যান মি. রাশেদ আহমেদ চৌধুরী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইউসেপ বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারপারসন মি. এ. মতিন চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক ড. মোঃ আবদুল করিম, পরিচালক (প্রোগ্রাম অ্যান্ড ইনোভেশনস) ইঞ্জি. মোঃ আবদুল মান্নান, এমটিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মি. সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী আখতার আসিফ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ রেইস উদ্দিন আহ্মাদ,এবং এমটিবি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামিয়া চৌধুরীসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিশ্বস্ত স্মার্ট লাইফ ব্র্যান্ড আইটেল আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু করল তাদের নতুন “হোম আউটলেট” যা অবস্থিত যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লক সি, লেভেল ৪, শপ নং ৪সি-০০৪এ১। এটি বাংলাদেশের যাত্রায় আইটেল এর উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ যেখানে ব্র্যান্ডটি শুধু স্মার্টফোন ও ফিচার ফোনেই সীমাবদ্ধ না থেকে সম্পূর্ণ স্মার্ট লাইফ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলছে আধুনিক গৃহস্থালির জন্য।
নতুন “আইটেল হোম” স্মার্ট লাইফের আধুনিক গন্তব্য যেখানে প্রযুক্তি, নকশা ও সুবিধা সব একসাথে পাওয়া যাবে। এখানে জনপ্রিয় স্মার্টফোন ছাড়াও পাওয়া যাবে নানা ধরনের স্মার্ট এক্সেসরিজ, গৃহস্থালি ও রান্নাঘরের যন্ত্রপাতি যেমন এয়ার ফ্রায়ার, ব্লেন্ডার, কেটলি, ট্রিমার, শেভার, সোলার ফ্যান ও স্মার্ট লাইট। এছাড়াও রয়েছে টিডব্লিওএস ইয়ারবাড, স্মার্টওয়াচ, পাওয়ার ব্যাংক ও চার্জিং এক্সেসরিজ যা ব্যবহারকারীদের দৈনিন্দন জীবনকে আরও সহজ করে তুলবে।
“আইটেল হোম” এমন একটি রিটেইল অভিজ্ঞতা যেখানে আইটেল এর সকল পণ্য এক ছাদের নিচে পাওয়া যাবে। বর্তমানে আইটেল বাংলাদেশের ৪৮টি ব্র্যান্ড আউটলেট পরিচালনা করছে তবে “আইটেল হোম” একটি ভিন্নধর্মী লাইফ স্টাইল অভিজ্ঞতা যেখানে স্মার্টফোন থেকে শুরু করে স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্স সবকিছু পাওয়া যাবে। আইটেল এর মূল লক্ষ্য প্রতিটি পরিবার সহজেই উপভোগ করুক স্মার্ট জীবনের সুবিধা।
যমুনা ফিউচার পার্কের এই স্মার্ট ষ্টোরটি বাংলাদেশের ভোক্তাদের স্মার্ট পণ্যের অভিজ্ঞতাকে নতুনভাবে উপস্থাপন করছে। উদ্বোধনের দিন গ্রাহকরা পেয়েছেন বিশেষ ছাড়, লাইভ ডেমো ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের সুযোগ যা আইটেল এর স্টাইল, কার্যকারিতা ও সাশ্রয়ের সমন্বয়কে তুলে ধরে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইটেল-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ড. মোহাম্মদ আলমগীর আলম, পরিচালক, মার্কেটিং, সেলস অ্যান্ড অপারেশনস, যমুনা গ্রুপ উপস্থিত ছিলেন, যা বাংলাদেশে ব্র্যান্ডটির নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা করে। এই অনুষ্ঠানে আইটেল বাংলাদেশের প্রধান শফিউল আলম বলেন, “গত ১০ বছর ধরে আইটেল বাংলাদেশে সফলভাবে ফিচার ফোন ও স্মার্টফোনের মাধ্যমে কাজ করে আসছে। এখন আমরা গ্রাহকদের জন্য নতুনত্ব আনতে হোম অ্যাপ্লায়েন্স নিয়ে এসেছি। আমরা আশাবাদী, বাংলাদেশের মানুষের কাছে আমরা সাশ্রয়ী দামে মানসম্মত সেবা পৌঁছে দিতে পারব।”
“আইটেল হোম” বাংলাদেশে একটি বিস্তৃত ব্র্যান্ড হওয়ায় সবাইকে স্মার্ট ও সহজ প্রযুক্তি পোঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিকে আরও দৃঢ় করেছে। স্টাইল, কার্যকারিতা ও প্রাইজ এর সমন্বয়ে আইটেল শুধু প্রযুক্তি ব্র্যান্ড নয় বরং স্মার্ট লাইফস্টাইলের প্রতীক। “ এনজয় বেটার লাইফ” আদর্শ মেনে আইটেল চায় বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে আধুনিক প্রযুক্তির সহজ ব্যবহার নিশ্চিত করতে।
স্থানীয় গাড়ি মেকানিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে একদিনব্যাপী বিশেষ হাইব্রিড গাড়ি সার্ভিস প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে ফ্রান্সের পারফরম্যান্স লুব্রিক্যান্ট ব্র্যান্ড ইএলএফ লুব্রিক্যান্টস। টোটালএনার্জিসের এই ব্র্যান্ডের উদ্যোগে কর্মশালাটি শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর কন্টিনেন্টাল ওয়ার্কস লিমিটেডে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণে দেশের বিভিন্ন সার্ভিস ওয়ার্কশপ থেকে আসা ৫০ জন অভিজ্ঞ মেকানিক অংশ নেন। উদ্যোগটি দেশীয় মেকানিকদের কারিগরি দক্ষতা বাড়াতে এবং হাইব্রিড ও বৈদ্যুতিক গাড়ি সার্ভিসিং-এর মান উন্নয়নে ইএলএফ এর সামগ্রিক প্রচেষ্টার একটি অংশ।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা হাইব্রিড গাড়ির ব্যাটারি সিস্টেমের যত্ন, ইলেকট্রিক মোটর পরীক্ষা, হাইব্রিড ট্রান্সমিশন সার্ভিসিং, হাই-ভোল্টেজ নিরাপত্তা এবং আধুনিক ত্রুটি শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার ওপর হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ পান।
স্থানীয় মেকানিকদের আরো দক্ষ করে তোলার মাধ্যমে গাড়ির কর্মক্ষমতা বাড়ানো, মেরামতের সময় কমানো এবং গাড়ির আয়ুষ্কাল দীর্ঘ করা ইএলএফ এর লক্ষ্য। প্রতিষ্ঠানটির এ উদ্যোগের মাধ্যমে গাড়ির চালক-মালিক উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি গাড়ির পরিবেশগত নেতিবাচক প্রভাব ও কমবে।
কন্টিনেন্টাল ওয়ার্কস লিমিটেড ও শিল্পখাতের বিভিন্ন অংশীদারের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণটি স্থানীয় চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে আয়োজন করা হয়। গাড়ির প্রযুক্তি যেভাবে দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ প্রশিক্ষণটি ইএলএফের একটি সময়োপযগী পদক্ষেপ।
প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টোটালএনার্জিস বাংলাদেশের বাণিজ্যিক বিক্রয় পরিচালক টেরি হায়াশি। এছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্কশপ মালিক, সার্টিফায়েড মেকানিক, প্রশিক্ষক, ফ্লিট সার্ভিস ম্যানেজার, মোটরযান সাংবাদিক, ইএলএফ পরিবেশক ও অন্যান্য অংশীদাররা এ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ইএলএফ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান সাজেদুর রহমান বলেন, “গাড়ির প্রযুক্তি দ্রুত বদলাচ্ছে, তাই আমাদের দক্ষতাও তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বৃদ্ধি করতে হবে। আজকের প্রশিক্ষণ মূলত সেই টেকনিশিয়ানদের স্বীকৃতি প্রদানের জন্য, যারা প্রতিদিন আমাদের সড়কব্যবস্থা সচল রাখছেন। আমরা চাই তারা যেন নিরাপত্তা ও দক্ষতার সঙ্গে হাইব্রিড গাড়ি সংক্রান্ত সার্ভিস দিতে পারেন। পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক পরিবহনের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের মেকানিকদের পাশে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত।
ইএলএফ বাংলাদেশের পরিচালক কোসুকে ইয়োশিদা বলেন, “টেকনিশিয়ানদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করার মানে হলো ভবিষ্যতের পরিবহন খাতকে শক্তিশালী করা। মেকানিকদের মধ্যে আধুনিক হাইব্রিড সার্ভিসিংয়ের জ্ঞান ও নিরাপদ কার্যাভ্যাস তৈরির মাধ্যমে ইএলএফ দেশীয় গাড়ির ইকোসিস্টেমকে আরো সমৃদ্ধ করছে। এতে একদিকে গাড়ির পারফরম্যান্স ও নিরাপত্তা যেমন বাড়ছে, তেমনি সারাদেশে গড়ে উঠছে একটি টেকসই সার্ভিস নেটওয়ার্ক।“
আগামী দিনে নতুন প্রজন্মের গাড়ি তৈরিতে স্থানীয় কারিগরি সক্ষমতা বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইএলএফ। সে লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি এমন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, যা একইসাথে গাড়ির সার্ভিসিং এর মান ও নিরাপত্তা বাড়াবে এবং এর দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করবে।
শরীয়াহ্ ভিত্তিক ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসিতে সর্বস্তরের জনগণ ও প্রতিষ্ঠানের জন্য শরীয়াহ্ নীতিমালার আলোকে আমানত হিসাব ও সঞ্চয় প্রকল্প চালু রয়েছে। এসকল আমানত হিসাব ও সঞ্চয় প্রকল্পে জনসাধারণ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং তাঁরা নিজ নিজ প্রয়োজনানুসারে ইউনিয়ন ব্যাংকের ১৭৪ টি শাখা ও উপ-শাখায় নিয়মিত হিসাব খুলছেন এবং টাকা লেনদেন করছেন।
সীমান্ত ব্যাংক এর আশুলিয়া শাখা সম্প্রতি শুভ উদ্বোধন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (সদর), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও পরিচালক, সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমতাজ উদ্দিন,এনডিসি, পিএসসি এবং সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সীমান্ত ব্যাংক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) জনাব মোহাম্মদ আজিজুল হক। সীমান্ত ব্যাংকের হেড অব বিজনেস জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম-সহ স্থানীয় ব্যবসায়ীগণ এবং গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উন্নত গ্রাহকসেবা এবং সময়োপযোগী বিভিন্ন স্কিম এর মাধ্যমে সীমান্ত ব্যাংক সামনে এগিয়ে যাচ্ছে, যা বক্তাদের বক্তব্যে উঠে আসে।
সীমান্ত ব্যাংক বৃহৎ ও মাঝারি শিল্পের অর্থায়নের জন্য বিশেষায়িত কর্পোরেট ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে আসছে। কর্পোরেট ব্যাংকিং এর আওতায় ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল অর্থায়ন, প্রজেক্টলোন, টার্মলোন, ট্রেড ফাইন্যান্স এবং বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হয়। রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) এলাকা বিবেচনায়, আশুলিয়া শাখায় আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের জন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অর্থায়নে বিশেষ আমদানী-রপ্তানী ব্যাংকিং সুবিধা থাকবে। এই সুবিধার আওতায় দ্রুততম সময়ে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খোলা ও নিষ্পত্তির মাধ্যমে ব্যবসা সহজ করা হবে।
গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনায় সীমান্ত ব্যাংক রিটেইল ব্যাংকিং এর বিভিন্ন সেবা যেমন ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, পার্সোনাল লোন, হোমলোন, কারলোন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য এস,্এম,ই লোন, কৃষকদের জন্য জামানতবিহীন কৃষিঋণ, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য জামানতবিহীন ঋণ, শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুডেন্ট ব্যাংকিং ইত্যাদি নানা ধরনের সেবা চালু করেছে। সারাদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে ব্যাংকিং সেবা পৌছে দিতে শাখা,উপশাখা এবং এটিএম বুথ স্থাপন করছে সীমান্ত ব্যাংক।
মালয়েশিয়ার শীর্ষস্থানীয় হোম ইমপ্রুভমেন্ট ব্র্যান্ড MR.DIY বাংলাদেশের বাজারে তাদের অষ্টম স্টোর উদ্বোধন করেছে। নতুন এই আউটলেটটি অবস্থিত বনানী রোড ১১, হাউস ১০৬, ঢাকা-তে। বুধবার এক উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল মেহজাবীন চৌধুরী, যিনি মিঃ ডি আই ওয়াই -এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে স্টোরটির উদ্বোধন করেন। মিঃ ডি আই ওয়াই উপস্থিত ছিলেন সাইয়েদ নূর আনোয়ার, হেড অব অপারেশনস; মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, ফাইন্যান্স ম্যানেজার; মো. মাসুদুর রহমান, ইমপোর্ট ম্যানেজার; মোহাম্মদ শাহিন মোল্লা, এইচআর ম্যানেজার; মোহাম্মদ নাজির হোসেন, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার এবং রাহাত নাবি, মার্কেটিং ম্যানেজার।
মিঃ ডি আই ওয়াই এর কর্মকর্তারা জানান, প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের বাজারে ক্রমাগত সম্প্রসারণ এবং উন্নত গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারা পুনরায় উল্লেখ করেন, ব্র্যান্ডটি সবসময় তাদের মূলমন্ত্রে অটল —“Quality, affordable prices, and a wide variety- a reliable one-stop destination for all your needs.”
নতুন বনানী স্টোর রয়েছে ১০টি প্রধান ক্যাটাগরির ১০,০০০-এর বেশি পণ্য, যার মধ্যে রয়েছে গৃহস্থালি সামগ্রী, হার্ডওয়্যার, ইলেকট্রনিক্স, অটোমোটিভ এক্সেসরিজ, ফার্নিশিং, স্টেশনারি, খেলাধুলা ও খেলনা সামগ্রী, উপহার, কম্পিউটার ও মোবাইল এক্সেসরিজ এবং গয়না ও কসমেটিক্স।
এতে করে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জন্য কিছু না কিছু পাওয়া যাবে ; এক সম্পূর্ণ শপিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করছে মিঃ ডি আই ওয়াই
গ্র্যান্ড ওপেনিং অফার:
উদ্বোধন উপলক্ষে ২২ থেকে ২৫ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত চলবে বিশেষ অফার ও উপহার কার্যক্রম।
BDT ১,০০০ বা তার বেশি কেনাকাটা করলে ক্রেতারা পাবেন একটি মিঃ ডি আই ওয়াই ছাতা, এবং যে কোন কেনাকাটা তে পাচ্ছেন মিঃ ডি আই ওয়াই এর শপিং ব্যাগ
পাশাপাশি থাকছে MR.DIY Top Fan Campaign-এ অংশ নিয়ে এক্সক্লুসিভ পুরস্কার জয়ের সুযোগ।
বাংলাদেশে মিঃ ডি আই ওয়াই -এর সম্প্রসারণ যাত্রা:
২০০৫ সালে মালয়েশিয়ায় যাত্রা শুরু করা মিঃ ডি আই ওয়াই বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ৫,০০০-এরও বেশি আউটলেট পরিচালনা করছে, যার মধ্যে রয়েছে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনস, সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই, ভারত, তুরস্ক, স্পেন, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আরও বহু দেশ।
বাংলাদেশে ব্র্যান্ডটি প্রথম দুটি স্টোর উদ্বোধন করে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে, উত্তরার পলওয়েল কার্নেশন শপিং সেন্টার ও যমুনা ফিউচার পার্কে। পরবর্তীতে মিঃ ডি আই ওয়াই স্টোর বিস্তার করে মিরপুর, ধানমন্ডি, শান্তিনগর, মোহাম্মদপুর এবং চট্টগ্রামের বালি আর্কেডে।
নতুন বনানী স্টোর উদ্বোধনের মাধ্যমে মিঃ ডি আই ওয়াই বাংলাদেশের গ্রাহকদের আরও কাছে তাদের সাশ্রয়ী ও মানসম্পন্ন পণ্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল।
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির কর্মকর্তাদের কাস্টমাইজড এমপ্লয়ি ব্যাংকিং সেবা দিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সাথে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
এই চুক্তির আওতায় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির কর্মকর্তারা ব্র্যাক ব্যাংকের আকর্ষণীয়, ঝামেলাহীন ও সুবিধাজনক ব্যাংকিং সেবা উপভোগ করবেন, যেখানে রয়েছে স্যালারি অ্যাকাউন্ট, মাল্টি-কারেন্সি ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ঋণসুবিধা, ডিপিএস, ফিক্সড ডিপোজিটসহ ব্র্যাক ব্যাংক এমপ্লয়ি ব্যাংকিং প্রপোজিশনের আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা।
২০ অক্টোবর ২০২৫ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
এ সময় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক শামস রহমান, ট্রেজারার এয়ার কমডর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী, ডিরেক্টর অব ফাইন্যান্স তোহিদুল ইসলাম এফসিএ, রেজিস্ট্রার মাশফিকুর রহমান এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক শেখ মোহাম্মদ আশফাক, হেড অব এমপ্লয়ি ব্যাংকিং একেএম শাহাদুল ইসলাম, হেড অব প্রিমিয়াম ব্যাংকিং সৈয়দ মাহিন জুবাইদ, মতিঝিল ব্রাঞ্চের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সৈয়দা মাহজাবিন, হেড অব এমপ্লয়ি ব্যাংকিং প্রপোজিশন অ্যান্ড সিনিয়র রিলেশনশিপ ম্যানেজার জেবুন নাহার ও অ্যন্যান্য কর্মকর্তারা।
এই উদ্যোগটি উদ্ভাবনী ও সুবিধাজনক আর্থিক সেবার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ক্ষমতায়ন করার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। ব্যাংকটি আধুনিক ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের দৈনন্দিন ব্যাংকিং অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ ও কার্যকর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ২৯৮টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
এমন এক যুগে বাস করছি, যেখানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ছুটতে হয় ঘোড়দৌড়ের মত পাল্লা দিয়ে। এই ব্যস্ততম সময়ে গৃহস্থালির কাজ ঠিকঠাকভাবে করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এখন অনেক ক্ষেত্রেই পরিবারে স্বামী-স্ত্রী উভয়কে কাজ করতে হয়। এর ফলে ঘরের কিছু মৌলিক কাজ যেমন, রান্না করা, ঘর পরিষ্কার করা, কাপড় ধোয়া ও ইস্ত্রি করা, ইত্যাদি কাজ করতে বেগ পেতে হয়।
গৃহস্থালির অন্যতম সময়সাপেক্ষ কাজ হল কাপড় ধোয়া এবং ইস্ত্রি করা। ব্যস্ত শহুরে জীবনে যেটুকু সময় পাওয়া যায় সেটাও যেন চলে যায় কাপর ধোয়া আর শুকানোর ঝামেলায়। এক্ষেত্রে এখন ভরসা ও স্বস্তির সমার্থক হয়ে উঠেছে ওয়াশিং মেশিন। এরপরও অনেক সময়েই দেখা যায় মেশিনে কাপড় ধোয়াটাও সময়মত হয়ে উঠে না।
দৈনন্দিন জীবনের এ সমস্যাগুলো সমাধানে বাজারে এসেছে কিছু অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্ট ওয়াশিং মেশিন। এই মেশিনগুলো যে শুধু প্রতিদিনের ঝামেলা কমিয়ে আনবে তা-ই নয়, এগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাপড় ধোয়ার কাজটিকে করেছে আরও সহজ ও স্মার্ট। আধুনিক প্রযুক্তির সেন্সর, মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম ও ডেটা অ্যানালিটিক্স থাকায় নতুন এই মেশিনগুলো যেমন বিদ্যুৎ সাশ্রয় করছে, তেমনি এ অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবহার করাও সহজ।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন ওয়াশিং মেশিনে বেশ কিছু ফিচার যুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে স্মার্ট লোড ডিটেকশন, ফেব্রিক আইডেন্টিফিকেশন ও সিস্টেম-কাস্টমাইজড সাইকেল অপ্টিমাইজেশন অন্যতম। এসব ফিচার পানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের মাধ্যমে কাপড় পরিষ্কার করে, সেই সাথে মেশিনে ধোয়ার ফলে আগে কাপড়ের যে স্বাভাবিক ক্ষতিটুকু হত, তা থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ রাখে। যেমন, সিল্কের কাপড় দিলেও সেটা মেশিন নিজ থেকে শনাক্ত করে সে অনুযায়ী সেটিংস ঠিক করে নেয়। পাশাপাশি, আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল, এ মেশিনগুলো ব্যবহারের সময় ডিটারজেন্ট কি পরিমাণে দেয়া লাগবে তা নিয়ে আর দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগতে হবে না; মেশিনের সিস্টেম সয়ংক্রিয়ভাবে সঠিক পরিমাণ ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে নিবে এবং অতিরিক্ত হয়ে গেলে তা সংরক্ষণ করে রাখবে।
ওয়াশিং মেশিনের একটি বিরক্তিকর দিক হল, এটি ব্যবহারের সময় স্বাভাবিকভাবেই যান্ত্রিক শব্দ হয়। বর্তমান সময়ের প্রযুক্তি শব্দবিহীন পরিষ্কারের সুবিধাও দিবে। অর্থাৎ, প্রয়োজনে মাঝরাতেও শব্দ ছাড়া, অন্যের ঘুম না ভাঙিয়ে কাপড় ধুয়ে শুকিয়ে ফেলা যাবে। আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ওয়াশিং ব্যবহার করা হয়েছে ‘ডিজিটাল ইনভার্টার টেকনোলজি’ ও ‘ভিয়ারটি প্লাস’ প্রযুক্তি, যা শক্তিশালী ম্যাগনেট ব্যবহার করে কম শব্দে এবং কম কম্পনে কাপড় পরিষ্কার করে।
উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো ছাড়াও, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন ওয়াশিং মেশিনে স্মার্টফোনের অ্যাপের মাধ্যমে সহজে নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতি রয়েছে। যেকোন জায়গা থেকে স্যামসাংয়ের স্মার্টথিংস অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে। অ্যাপটি ব্যবহারকারী অনুযায়ী পারসোনালাইজড বিভিন্ন সাজেশন দেয় এবং ধোয়া শেষ হলে ফোনে নোটিফিকেশনও পাঠায়। ওয়াশিং মেশিন রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত জরুরি তথ্যও দেয় এই অ্যাপ। এতে করে ব্যবহারকারী পুরো মেশিনের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন এবং স্মার্ট জীবন উপভোগ করতে পারেন।
মানুষের জীবন যত আধুনিক হয়েছে, ততই মানুষের নিজের ও পরিবারের জন্য বরাদ্দ সময়ে টান পড়েছে। আর এই ব্যস্ত জীবনে যেটুকু সময় বাঁচানো যায় সেটুকুই আসলে পরম পাওয়া। প্রযুক্তি এখন কাপড় ধোয়া ও শুকানোর মত নিত্যদিনের ঝঞ্ঝাট থেকে মানুষকে কিছুটা হলেও মুক্তি দিচ্ছে। তাই, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন এই উন্নত ওয়াশিং মেশিনগুলো এখন আর বিলাসি পণ্য নয়, বরং স্মার্ট জীবনের আবশ্যক সঙ্গী।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের মাসব্যাপী ‘উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচি’র সমাপনী ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধায়নে এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে পরিচালিত অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচি “স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম (এসআইসিআইপি)” প্রকল্পের অংশ হিসেবে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, রাজধানীর দিলকুশায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের ট্রেনিং সেন্টারে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিবিও কে. এম. আওলাদ হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমইএসপিডি এর পরিচালক নওশাদ মোস্তফা। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসএমইএসপিডি এর অতিরিক্ত পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, এসএমইএসপিডি এর যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ ওয়াসিম, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান রফিক আহমেদ ও এসএমই বিভাগের প্রধান জ্যোতির্ময় চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৫ জন উদ্যোক্তার মাঝে সনদপত্র ও ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্য থেকে সেরা তিনজন উদ্যোক্তাকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।