নিরাপদ খাদ্য ধারণাটি সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে প্রথমবারের মতো আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাচ্ছে ‘সেইফ ফুড কার্নিভাল-২০২৪’। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আয়োজনে ৮-১০ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে ওই কার্নিভাল। জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এ সেক্টরে উদ্যোক্তা তৈরি, জিআই পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের পণ্যের ব্র্যান্ডিং, ব্যক্তিগত হাইজিং শিখন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাবিষয়ক প্রশিক্ষণ, পোড়াতেলের স্বাস্থ্য ঝুঁকি অবহতিকরণ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে কার্নিভালে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার। তিনি বলেন, দেশে ফুড কার্নিভাল কয়েকবার হয়েছে। তবে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কার্নিভাল করতে যাচ্ছে। এটির অন্যতম উদ্দেশ্য খাদ্য উৎপাদকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই উদ্যোগ বাংলাদেশে নতুন একটি ধারণা। এই আয়োজনের মাধ্যমে চেষ্টা করব, সবার মধ্যে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক বার্তা ছড়িয়ে দিতে।
তিনি আরও বলেন, নিরাপদ খাদ্য বিষয়টি প্রাথমিকের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসেও চলে আসবে। চেষ্টা করেছি সেমিনার, কুইজ, র্যালি করে সারা দেশে নিরাপদ খাদ্যের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার। এই কার্যক্রম যারা বরেণ্য পুষ্টিবিদ রয়েছেন তাদের আমরা সংযুক্ত করেছি। নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক এক লাখ বই বিতরণ করেছি। পরামর্শ ও অভিযোগ জানার জন্য হট লাইন চালু করেছি। আন্তর্জাতিক মানের জন্য ২৫টি আইন ও বিধি প্রণয়ন করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, সবার মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে গেলে, দেশে সব খাবারই আন্তর্জাতিক মানের হবে।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়, ৮ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এমপি। এরপরই অনুষ্ঠিত হবে বিভিন্ন এলাকার খাবার নিয়ে আঞ্চলিক বিতর্ক। ওইদিনই গম্ভীরায় সুরে সুরে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক বার্তা দেওয়া হবে। সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রথম দিনের কার্যক্রম।
৯ ফেব্রুয়ারি শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা দিয়ে শুরু হবে কার্নিভালের দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম। এরপর দিনব্যাপী পর্যায়ক্রমে ডমিনোজ পিৎজা কর্তৃক লাইভ পিৎজা প্রদর্শনী, আন্তর্জাতিক কুইজিন প্রদর্শনী, ম্যাজিক শো, সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌসের নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক সেলিব্রিটি বার্তা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় জিআই পণ্য এবং অর্গানিক ফুডের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
কার্নিভালের শেষ দিনে ১০ ফেব্রুয়ারি সকালে শুরু হবে পিঠা প্রতিযোগিতা। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কুইজিন প্রদর্শনী
পুতুল নাচ প্রদর্শনী শেষে শুরু হবে সমাপনী অনুষ্ঠান। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির।
অংশ নেবে যেসব প্রতিষ্ঠান: এবারের কার্নিভালে অংশ নিতে অনেক প্রতিষ্ঠান আবেদন করলেও ৭০টি প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে। এদের মধ্যে রয়েছে, আকিজ, প্রাণ, কোকাকোলা, ফিনলে, বেঙ্গলমিট, ইউনিলিভার, নেসলে, ডমিনোজ, আবুল খায়ের, স্কয়ার গ্রুপ। মিষ্টান্ন দোকানের মধ্যে থাকবে, বনফুল, ওয়েলফুড, প্রিমিয়াম সুইটস, বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, বনলতা সুইটস, ভাগ্যকূল, ব্রেড অ্যান্ড বিয়ন্ড, সুমিস হট কেক, ননী। ফাইভ স্টার হোটেলের মধ্য থাকবে, হলিডে ইন, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ক্রাউন প্লাজা, প্যান প্যাসিফিক, ঢাকা রিজেন্সি, হোটেল আমারি।
ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে থাকবে, কক্সবাজারের শালিক, মুক্তাগাছার মণ্ডা, রাজশাহীর কালাই, কুমিল্লার মাতৃভাণ্ডার, বগুড়ার দই, চট্টগ্রামের মেজবান প্রভৃতি। রেস্টুরেন্টের মধ্যে কেএফসি, পিৎজা হট, হারফি, বার্গার কিং, সুলতানস ডাইন ও কাচ্চি ভাই। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে। সেইফ ফুড কার্নিভাল থাকবে সবার জন্য উন্মুক্ত। যেসব স্টল ভালো করবে, তাদের বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হবে।
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি-এর রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির ৭২তম সভা ১৫ অক্টোবর ২০২৫ইং তারিখে ব্যাংকের কর্পোরেট প্রধান কার্যালয়ের পর্ষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালক ও রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো: তৌহীদুর রহমান। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে ব্যাংকের পরিচালক ও কমিটির সদস্য জনাব মহিউদ্দিন আহমেদ, জনাব খন্দকার শাকিব আহমেদ এবং জনাব মোহাম্মদ ইউনুছ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিশেষ আমন্ত্রণে ব্যাংকের পরিচালক জনাব মো: সানাউল্লাহ সাহিদ উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া সভায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ এবং কোম্পানি সচিব জনাব মো: আবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।
শরীয়াহ্ ভিত্তিক ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. আমদানি, রপ্তানী ও রেমিটেন্স বৃদ্ধিকল্পে গ্রাহকদেরকে সকল প্রকার সহযোগিতা করছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন হয়েছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ব্যাংকের ১৭৪ টি শাখা ও উপ-শাখায় এ সেবা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছে।
দৈনন্দিন কেনাকাটায় ডিজিটাল পেমেন্ট বাড়াতে গ্রাহক সচেতনতা ও অভ্যস্ততা তৈরিতে প্রয়োজন ডিজিটাল লেনদেনের ইকোসিস্টেম শক্তিশালী করা, ব্যবসায়িক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়ানো, ডিজিটাল লেনদেনে বৈচিত্র্য আনা। পাশাপাশি, ডিজিটাল লিটারেসি ও ইন্টারনেট অবকাঠামো উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি- এই সুপারিশ ও পরামর্শগুলো উঠে এসেছে সম্প্রতি মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান বিকাশ আয়োজিত “বন্দরনগরীতে ডিজিটাল পেমেন্ট” শীর্ষক এক আলোচনা সভায়।
দ্য পেনিনসুলা চিটাগং-এ অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময়ে অংশ নেন বারকোড ক্যাফে, চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল, র্যাডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ, এপিক হেলথকেয়ার, উৎসব সুপারমার্কেট, চিটাগং ক্লাব লিমিটেড, সাজিনাজ হসপিটাল লিমিটেড, অনলাইন ট্র্যাভেল এজেন্সি এমি, চট্টগ্রাম আই ইনফার্মারি অ্যান্ড ট্রেইনিং কমপ্লেক্স, শৈল্পিক, দ্য পেনিনসুলা চিটাগং, শপিং ব্যাগসহ আরও বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা ও প্রতিনিধিরা। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিকাশ-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ।
আলোচনায় অংশ নেয়া চট্টগ্রামভিত্তিক এই উদ্যোক্তারা বলেন বিশ্বের অনেক দেশেই সারাদিন ক্যাশ টাকা ছাড়া চলাফেরা-কেনাকাটা করা যায়। দেশেও মানুষ দিন দিন ডিজিটাল পেমেন্টে আগ্রহী হয়ে উঠছে, তবে গ্রাহকদের আরও বেশি করে ডিজিটাল পেমেন্টে উৎসাহিত করতে প্রয়োজন সচেতনতা বাড়ানো।
প্রয়োজনে অঞ্চলভিত্তিক স্থানীয় ভাষায় ক্যাম্পেইন চালিয়ে গ্রাহকদের ডিজিটাল পেমেন্টে আগ্রহী করে তোলা সম্ভব বলে তারা মনে করেন। আবার, বয়স্ক এবং প্রযুক্তি ভীতি আছে এমন গ্রাহকদের ক্ষেত্রে হাতে-কলমে ডিজিটাল লেনদেনের প্রক্রিয়া শেখানো যেতে পারে বলেও তারা মতামত দেন।
অনুষ্ঠানে কয়েকটি সুপারস্টোরের উদ্যোক্তারা বলেন তাদের আউটলেটে যে গ্রাহকরা কেনাকাটা করেন তাদের অন্তত ৭০ শতাংশই মূল্য পরিশোধ করেন ডিজিটাল পদ্ধতিতে, ব্যাংক কার্ড বা বিকাশ-এর মতো এমএফএস প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। যথাযথ উদ্যোগ নিয়ে এই হার ৯০ শতাংশের উপর উঠানো সম্ভব বলে মনে করে তারা। ডিজিটাল পেমেন্টে গ্রাহকদের উদ্বুদ্ধ করতে গ্রাহকদের বিশেষ ছাড় বা প্রণোদনা দেওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন এই উদ্যোক্তারা।
পাশাপাশি, বক্তারা বলেন অনেক গ্রাহক বিশেষ করে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত যারা স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট না থাকায় ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমে ঢুকতে পারছেন না। তাই যেসকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল পেমেন্টে গ্রহণ করছেন তারা যদি কাউন্টারে ওয়াই-ফাই ইন্টারনেটের ব্যবস্থা রাখেন এবং ইউএসএসডি কোড ব্যবহার করে পেমেন্ট করার প্রক্রিয়া দেখিয়ে দেন, তাহলে ডিজিটাল পেমেন্ট আরও বাড়ানো সম্ভব।
সভায় উঠে আসা সুপারিশ ও পরামর্শকে স্বাগত জানিয়ে, বিকাশ-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ বলেন, “ডিজিটাল লেনদেনে গ্রাহকদের একটি বড় অংশ টাকা পাঠানো ও উঠানোর মতো সেবায় অভ্যস্ত হলেও দেশে প্রতিদিন অন্তত এক কোটি মানুষ নানা ধরনের ডিজিটাল পেমেন্ট করেন। এই পেমেন্টকে কয়েক গুণ বাড়ানো সম্ভব, তবে তার জন্য দরকার নীতি সহায়তা এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি, ব্যবসায়িক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে সমন্বয় ও পার্টনারশিপ।”
ডিজিটাল লেনদেনের পরিসর যতো বাড়বে, গ্রাহক পর্যায়ে খরচও ততো কমে আসবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর পাশাপাশি যাদের প্রযুক্তি ব্যবহারে ভীতি আছে তাদের কিভাবে ডিজিটাল লেনদেনে উদ্বুদ্ধ করা যায় তা নিয়েও আমাদের কাজ করতে হবে।”
উল্লেখ্য, বিকাশ-এর বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা ৮ কোটি ২০ লাখ এবং মার্চেন্ট সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ, যা দেশের অর্থনীতির ডিজিটাল রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্যাশলেস অর্থনীতির প্রসারে জোর দিয়ে আসছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। তবে দেশে এখনো মোট লেনদেনের প্রায় ৭২ শতাংশ ক্যাশভিত্তিক, আর ব্যাংক নোট ছাপানো ও ক্যাশ ব্যবস্থাপনায় বছরে সরকারের খরচ হয় ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারকরা মনে করেন এই খরচ অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব সমাজের সর্বস্তরে ডিজিটাল লেনদেন ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে।
সেই লক্ষ্যে সরকারও ডিজিটাল ব্যাংক, প্রাইভেট ক্রেডিট ব্যুরো, ব্যাংক ও এফএমএস প্রতিষ্ঠানের মাঝে আন্তঃলেনদেন সেবা, কম দামে স্মার্টফোন উৎপাদনে সহায়তা দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় নীতি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এদিকে, লেনদেনের খরচ কমাতে এবং লেনদেন আধুনিক করতে ইতোমধ্যে ট্রেড লাইসেন্স নবায়নে বাংলা কিউআর ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে সরকার।
প্রাইম ব্যাংক পিএলসি.-এর প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) ও ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিভিশনের (এফএডি) প্রধান হিসেবে মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন-কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন ২০০৫ সাল থেকে প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত আছেন। দীর্ঘ এই সময়ে তিনি ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে আইসিসিডি বিভাগের প্রধান, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান এবং ফ্যাসিলিটি ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি প্রাইম ব্যাংকের সাবসিডি প্রতিষ্ঠান প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ-এর ভারপ্রাপ্ত সিইও সিহেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ট্রাস্ট ব্যাংক, পিকেএসএফ ও প্রাইম ব্যাংকসহ প্রায় ২৫ বছরের বহুমাত্রিক পেশাগত অভিজ্ঞতা রয়েছে মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের।
তিনি একজন ফেলো চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (এফসিএ)। প্রাইম ব্যাংক তার নতুন দায়িত্ব গ্রহণে আন্তরিক অভিনন্দন জানায় এবং ব্যাংকের আর্থিক উৎকর্ষতা ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা এগিয়ে নিতে তার সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছে।
০১. আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী তারুণ্যের উৎসব, ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে জীবন বীমা কর্পোরেশনের ২৪ মতিঝিলস্থ প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ১৯-১০-২০২৫খ্রি: তারিখ “গ্রাহক সেবা পক্ষ” (১৯-১০-২০২৫খ্রি: হতে ০২-১১-২০২৫খ্রি: তারিখ পযর্ন্ত) এবং জেবিসি পেনশন বীমা এর শুভ উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব জনাব মোঃ মুহিবুজ্জামান।
০২. সেবা পক্ষে (১৯-১০-২০২৫খ্রি: হতে ০২-১১-২০২৫খ্রি:) সকল গ্রাহককে উন্নত সেবা ও বিশেষ সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সময় বীমা দাবী দ্রুত পরিশোধ, বীমার সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে বিশেষ প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে কর্পোরেশনের সকল রিজিওনাল অফিস, কর্পোরেট অফিসসহ সেলস অফিস প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
০৩. অবসর জীবনের আর্থিক প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য রেখেই তৈরি করা হয়েছে ‘জেবিসি পেনশন বীমা’ পরিকল্প। জেবিসি পেনশন বীমা পরিকল্পের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
১। পলিসি গ্রাহক আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন,
২। এ পলিসির নমিনিও পেনশনের আওতায় থাকবে,
৩। মেয়াদপূর্তিতে এককালীন অথবা মাসিক ভিত্তিতে পেনশন সুবিধা গ্রহণ করা যাবে,
৪। প্রদত্ত প্রিমিয়ামের উপর আয়কর রেয়াত পাওয়া যায়,
৫। ২০ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে এই পলিসি গ্রহণ করা যায়।
০৪. উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নতুন প্রচলিত বীমা পলিসির প্রচারণার জন্য নির্মিত একটি সংক্ষিপ্ত TVC প্রদর্শন করা হয় এবং উপস্থিত ০২(দুই) জন গ্রাহকের কাছে নতুন পেনশন পলিসির FPR আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
০৫. অনুষ্ঠানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রতিনিধি উপসচিব জনাব মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার এবং কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজারবৃন্দসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, সকল রিজিওনাল ইনচার্জগণ ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে নতুন মাত্রা যোগ করলো কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। ব্যাংকটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছে ‘স্টার্টআপ নেস্ট’, যা বাংলাদেশের প্রথম ব্যাংক-নির্ভর স্টার্টআপ অ্যাক্সেলারেটর কর্মসূচি।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ব্যাংকের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ও কমিউনিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম, বিপিএম।
স্টার্টআপ নেস্টের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা পাবেন ব্যাংক হিসাব খোলা, পেমেন্ট ও কালেকশন সুবিধা, অচও ইন্টিগ্রেশনসহ আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা। পাশাপাশি থাকছে ব্যাংক পরিচালিত ট্রেনিং, অভিজ্ঞ মেন্টরের দিকনির্দেশনা এবং ব্যাংকের কর্পোরেট ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ।
কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত বলেন, “আমরা শুধু লেনদেনের ব্যাংক নই- আমরা উদ্যোক্তাদের সহযাত্রী হতে চাই। স্টার্টআপদের জন্য পুঁজি ছাড়াও গাইডেন্স ও সম্পর্ক জরুরি। স্টার্টআপ নেস্ট সেই পূর্ণাঙ্গ সাপোর্ট সিস্টেম।”
এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যাংকটি একদিকে উদ্যোক্তা উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছে, অন্যদিকে ব্যাংকিং খাতকেও উদ্যোক্তাবান্ধব এক নতুন অবস্থানে পৌঁছে দিচ্ছে।
সৌদি আরবে এলিন ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড-এর এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে শপআপ-এর প্যারেন্ট কোম্পানি ‘সিল্ক’ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত শপআপ-এর প্রধান কার্যালয়ে চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন করা হয়। মূলত সৌদি আরবে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ও দক্ষিণ এশীয় জনগোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এলিন ফুডস তাদের সাধারণ রপ্তানি পদ্ধতি থেকে সরে এসে সরাসরি ডিস্ট্রিবিউশন শুরু করতে যাচ্ছে। ‘সিল্ক’ সৌদি আরবজুড়ে খুচরা বাজারে এলিন ফুডস-এর পণ্য পৌঁছে দিতে কাজ করবে। সিল্কের স্থানীয় নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এলিন ফুডস-এর পণ্য দ্রুত বাজারে পৌঁছাবে, নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত হবে এবং দেশটির প্রধান শহরগুলোতে বাজার বিস্তৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে, ইতোমধ্যেই এক মিলিয়ন মার্কিন ডলারের শিপমেন্ট চলমান রয়েছে, যা সৌদির মডার্ণ ট্রেড চেইন, হোলসেল ডিস্ট্রিবিউটর এবং ছোট-ছোট এলাকার দোকানপাট পর্যন্ত পৌঁছাবে। রিয়াদ, জেদ্দা, দাম্মামসহ অন্যান্য শহরে এই কার্যক্রম চলবে। আসন্ন রমজান ও ঈদ উপলক্ষে বাজার প্রস্তুত রাখায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, ২০২৬ সাল নাগাদ ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শপআপ বাংলাদেশ-এর সিইও আতাউর রহিম চৌধুরী বলেন, “উপসাগরীয় অঞ্চলের স্থানীয় বাজারে সরাসরি পণ্য পৌঁছানোর মাধ্যমেই বাংলাদেশি উৎপাদকরা সেখানে স্থায়ীভাবে ব্যবসার সুযোগ তৈরি করতে পারবে। এই চুক্তির মাধ্যমে এলিন ফুডস-এর পণ্য ভোক্তাদের কাছে আরও সহজে পৌঁছাবে এবং সেখানে স্থায়ীভাবে ব্র্যান্ডের বিকাশের পথ প্রশস্থ করবে বলে আমি মনে করি।”
শপআপ-এর প্রেসিডেন্ট মামুন রশিদ বলেন, “নিয়মিত ও নির্ভরযোগ্য ডিস্ট্রিবিউশনই সাময়িক রপ্তানি ও টেকসই প্রবৃদ্ধির মধ্যে পার্থক্য তৈরি করে। সিল্ক-এর শক্তিশালী অবকাঠামো নিয়মিত বড় পরিসরে ডিস্ট্রিবিউশন নিশ্চিত করে, যাতে বাংলাদেশি ব্র্যান্ডগুলো সেসব স্থানে ব্যবসা করতে পারে যেখানে ক্রেতারা সাধারণত কেনাকাটা করেন।”
এলিন ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান ও এমডি ওমর ফারুক বলেন, “সৌদি আরবে সিল্ক-এর সরাসরি ডিস্ট্রিবিউশনের মাধ্যমে আলিন এখন ভোক্তাদের কাছে সরাসরি ও নিয়মিতভাবে পণ্য পৌঁছে দিবে। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশি খাবারের স্বাদ সৌদিতে বসবাসরত প্রবাসীদের কাছে পৌঁছে দিতে পারবো।”
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শপআপ-এর সিইও আতাউর রহিম চৌধুরী; প্রেসিডেন্ট মামুন রশিদ; চিফ স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজার মেজর জেনারেল (অব.) হামিদ আর চৌধুরী; জেনারেল ম্যানেজার শিশ মোহাম্মদ; এলিন ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান ও এমডি ওমর ফারুক; ডিএমডি আব্দুল মাজেদ রনি; ডিরেক্টর আবু জাবের; সিওও মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন; এবং সিএইচআরও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) কাজী শওকত আলম প্রমুখ।
গার্ডিয়ান লাইফ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের সাথে সকল ধরনের নগদ লেনদেন চিরস্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে। বর্তমানে, প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রিমিয়াম সংগ্রহ ও দাবি নিষ্পত্তি শতভাগ ক্যাশলেস পদ্ধতিতে সম্পন্ন হচ্ছে। আর এই যুগান্তকারী পদক্ষেপের মাধ্যমে গার্ডিয়ান লাইফ নিজেদের দেশের প্রথম ও একমাত্র সম্পূর্ণ ক্যাশলেস ইন্স্যুরেন্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করল।
গার্ডিয়ানের প্রিমিয়াম শুধু মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ও ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে জমা করতে হয়। আর দাবি নিস্পত্তির ব্যাপার হলে সেটিও শুধুমাত্র ব্যাংকের মাধ্যমেই গ্রাহককে পরিশোধ করা হয়। এই ক্যাশলেস সেবা দেয়ার মাধ্যমে গ্রাহক, গার্ডিয়ান লাইফ এবং যে মাধ্যমে পেমেন্ট করা হয়েছে; লেনদেনের সাথে জড়িত সকল পক্ষই প্রতিটি লেনদেনের স্পষ্ট ডিজিটাল রেকর্ড সংরক্ষণ করতে পারবে, যা পরবর্তীতে যেকোনো প্রয়োজনে আর্থিক লেনদেন শনাক্তকরণে সহায়তা করবে।
এটা শুধু প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে কোম্পানির উন্নয়ন নয়, এটি প্রকৃতপক্ষে গ্রাহকের আস্থার উন্নয়ন। সকল গ্রাহক আর্থিক কার্যক্রমে আরও বেশি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং মানসিক শান্তি উপভোগ করতে পারেন। কারণ, তাদের অর্থ আর কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতার ভীড়ে হারিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
সুতরাং, এখন গ্রাহক ঘরে বসে প্রিমিয়াম জমা দিতে পারবেন, দাবি (ক্লেইম)-এর বর্তমান অবস্থা দেখতে পারবেন এবং তাদের প্রতিটি লেনদেন শেষ করতে পারবে মাত্র কয়েক ক্লিকে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে গার্ডিয়ান সময়ের সাথে শুধু তাল মিলিয়ে চলছে না, বরং দেশের বিমা খাতকে এগিয়ে নিচ্ছে এক নতুন যুগের পথে।
সনি-র্যাংগস নামে বহুলভাবে পরিচিত বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইলেকট্রকনিক্স বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান র্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, রাজবাড়ী সদরে সনি-র্যাংগস এক্সক্লুসিভ ডিসপ্লে সেন্টার, এর আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন।
র্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড -এর চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মোস্তফা ওয়াকি চৌধুরী (এফসিএ),সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ জানে আলম ও রফিকুল ইসলাম, জেনারেল ম্যানেজার মোঃ রবিউল আলম, হেড অফ ডিলার সেলস মোঃ কাজী রফিকুল ইসলাম যৌথভাবে র্যাংগস ইলেকট্রনিক্স – রাজবাড়ী এক্সক্লুসিভ ডিসপ্লে সেন্টার -এর উদ্বোধন করেন। আরো উপস্থিত ছিলেন র্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড এর বিভিন্ন বিভাগীয় কর্মকর্তা, সম্মানিত ক্রেতা ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। শো-রুমটির দায়িত্বে আছেন জনাব কে.এ শিহাব।
এখানে পাওয়া যাবে সনির আধুনিক প্রযুক্তির Sony BRAVIA OLED, 4K Google TV; Sony লেটেস্ট সিরিজের সব হোম অডিও ও ভিডিও সিস্টেম। থাকছে অফিসিয়াল LG 4K UHD, NanoCell TV; AI Inverter রেফ্রিজারেটর; ওয়াশিং মেশিন; NeoChef মাইক্রোওয়েভ ওভেন; ওয়াটার পিউরিকেয়ার। সেরা মানের ও অফিসিয়াল পণ্য ও নির্ভরযোগ্য বিক্রয়য়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা নিয়ে Whirlpool, Electrolux, Kelvinator, Rangs, Hisense, Panasonic, সহ বিশ্বমানের ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডের পণ্যের বিপুল সমাহার। উদ্বোধন উপলক্ষে থাকবে ৭দিনের আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট ও ফ্রি গিফট সহ আরো অনেক চমক।
গত ৪০ বছর ধরে র্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড অত্যন্ত সুনাম, সাফল্য ও বিশ্বস্ততার সাথে বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড এর ইলেকট্রনিক্স পণ্য বাংলাদেশের বাজারে বাজারজাত করে আসছে।
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর করপোরেট প্রধান কার্যালয়ের এসএমই ও কৃষি বিনিয়োগ বিভাগ-এর উদ্যোগে ১৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে চট্টগ্রামের স্থানীয় এক হোটেলে “সিএমএসএমই নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন বিষয়ক আর্থিক সাক্ষরতা কর্মসূচি” এর আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর সভাপতি মিসেস আবিদা মোস্তফা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এই কর্মসূচিটি ব্যাংকের চলমান উদ্যোগের অংশ, যার উদ্দেশ্য সিএমএসএমই খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে নারী উদ্যোক্তাদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানমুখী শিল্পোন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা। এ আয়োজনের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের ব্যাংকিং সেবায় সহজ প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ ও আর্থিক জ্ঞান বৃদ্ধি করাই মূল লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে, চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর পরিচালক মিসেস জেসমিন আক্তার; বাংলাদেশ ব্যাংক (চট্টগ্রাম অফিস) এর পরিচালক মো: আরিফুজ্জামান ও পরিচালক মোহাম্মদ আশিকুর রহমান; শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি. এর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিবিও ইমতিয়াজ ইউ. আহমেদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিআরও এম. এম. সাইফুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চট্টগ্রাম জোনাল প্রধান রাশেদ সরওয়ার এবং ব্যাংকের করপোরেট প্রধান কার্যালয়ের এসএমই ও কৃষি বিনিয়োগ বিভাগের প্রধান মো: আব্দুর রহিম এবং ব্যাংকের দশটি আঞ্চলিক শাখার ব্যবস্থাপক ও করপোরেট প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন ও সিএমএসএমই খাতে তাদের সক্রিয় ভূমিকা বৃদ্ধিতে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে। ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা নারী উদ্যোক্তাদের সফলতার জন্য আর্থিক স্বনির্ভরতা, নিষ্ঠা এবং পেশাদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী নারী উদ্যোক্তারা তাঁদের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা শেয়ার করেন এবং ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মূল্যবান দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ গ্রহণ করেন। এই উদ্যোগটি চট্টগ্রাম অঞ্চলে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উদ্যোক্তা উন্নয়নের এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়।
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি সম্প্রতি ক্লাইমেট অ্যান্ড ইএসজি অ্যাস্যুরেন্স নেটওয়ার্ক (ঈঊঅঘ এষড়নধষ)- এর সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যাংকটি গ্রিন ব্যাংকিং, জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই অর্থায়নের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব আরও সুদৃঢ় করতে যাচ্ছে।
এই চুক্তির ফলে কমিউনিটি ব্যাংক তার কার্যক্রম ও লোন পোর্টফোলিওতে পরিবেশ, সামাজিক দায়বদ্ধতা, সুশাসন ও জলবায়ু বিষয়ক (ঊঝএঈ) নীতিমালা সংযুক্ত করবে। উদ্যোগটি ব্যাংকের বৈশ্বিক মানদণ্ডসমূহ: যেমন- ঞঈঋউ, জাতিসংঘের ঝউএ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের টেকসই অর্থায়ন নির্দেশিকার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
চুক্তির আওতায় সিয়ান গ্লোবাল কমিউনিটি ব্যাংককে- অ্যাস্যুরেন্স, সেকেন্ড-পার্টি ওপিনিয়ন (ঝচঙ), এবং ডিজিটাল মেজারমেন্ট, রিপোর্টিং ও ভেরিফিকেশন (গজঠ) সেবা প্রদান করবে। পাশাপাশি, জলবায়ু ও টেকসই উন্নয়নভিত্তিক কাঠামো প্রণয়ন, কার্বন ফুটপ্রিন্ট মূল্যায়ন, এবং ব্যাংককর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহযোগিতা করবে।
স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত এবং সিয়ান গ্লোবালের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. সুবর্ণ বড়ুয়া। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং ও হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মো. আরিফুল ইসলাম, হেড অব সিআরএম হাসি রাণী ব্যাপারী, এবং সিয়ান গ্লোবালের অ্যাস্যুরেন্স সার্ভিসেস এর অ্যাডভাইসর ড. অদিতি শামসসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে কিমিয়া সাআদত বলেন, “দায়িত্বশীল ব্যাংকিংয়ের অন্যতম মূল উপাদান হচ্ছে টেকসই উন্নয়ন। সিয়ান গ্লোবালের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশে, স্থিতিশীল ও কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলতে আমাদের প্রচেষ্টাকে আরও গতিশীল করবে।”
সিয়ান গ্লোবাল একটি আন্তর্জাতিক ইএসজিসি অ্যাস্যুরেন্স, সার্টিফিকেশন ও ভেরিফিকেশন সংস্থা, যার কার্যক্রম বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরে বিস্তৃত। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কমিউনিটি ব্যাংক টেকসই ও জলবায়ু সহনশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।
মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (এমআইবি) এর আয়োজনে সফলভাবে উদযাপিত হয়েছে ৮ম বাংলাদেশ মার্কেটিং ডে- ২০২৫। ১৭ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ঢাকার বাংলা একাডেমিতে “মার্কেটিং ওয়েলবিং” কে প্রতিপাদ্য নিয়ে মার্কেটিং, সেলস পেশাজীবী ,কর্পোরেট নির্বাহী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা এবং শিল্পখাতের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে এই দিবসটি উদযাপিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আকিজ ইনসাফ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ জামিল উদ্দিন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন আকিজ রিসোর্সেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী ।
বাংলাদেশ মার্কেটিং ডে - মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (এমআইবি) এর অন্যান্য কর্মকাণ্ডের মধ্যে ফ্লাগশিপ ইভেন্ট হিসেবে আয়োজিত হয়। যেখানে মার্কেটিং পেশাজীবীদের অসামান্য অবদানকে সম্মান জানানো হয় এবং ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক কল্যাণে মার্কেটিংয়ের ভূমিকা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সমসাময়িক মার্কেটিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে পাঁচটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যা অংশগ্রহণকারীদের মার্কেটিংয়ের বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রা নিয়ে মূল্যবান ধারণা প্রদান করে।
মার্কেটারস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (MIB) শিক্ষা, নেটওয়ার্কিং এবং পেশাগত উন্নয়নমূলক উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের মার্কেটিং পেশাকে আরও এগিয়ে নিতে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অনুষ্ঠানটি মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়।
জাতিসংঘ প্রণীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) শীর্ষক জরিপ ও প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ব্যাংক এশিয়া ডব্লিউএসবিআই এসডিজি এ্যাওয়ার্ড-২০২৫ পুরষ্কার লাভ করেছে।
ওয়ার্ল্ড সেভিংস এ্যাণ্ড রিটেইল ব্যাংকিং ইনষ্টিটিউট (ডব্লিউএসবিআই) পরিচালিত প্রতিযোগিতায় অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং ও সামাজিক প্রভাব, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও ক্ষমতায়ন, ডিজিটাল পরিবর্তন ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, জলবায়ু অর্থায়ন, এবং গ্রাহক শিক্ষা ক্যাটিগরিতে অংশ নিয়ে সব ক’টিতে ব্যাংক এশিয়া এ পুরষ্কার জিতে নেয়।
গত ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ওয়াশিংটন ডিসি-তে অনুষ্ঠিত এক সভায় ব্যাংক এশিয়ার চেয়ারম্যান জনাব রোমো রউফ চৌধুরী ডব্লিউএসবিআই-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব পিটার সিমন-এর হাত থেকে এ পুরষ্কার গ্রহণ করেন। ব্যাংক এশিয়ার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চ্যানেল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান জনাব মোহাম্মদ জিয়াউল হাসান মোল্লা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ব্যাংক এশিয়া ডব্লিউএসবিআই-ইএসবিজি এসডিজি ডাটা সার্ভে-২০২৫ এবং ডব্লিউএসবিআই-ইএসবিজি এসডিজি এ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। বিশ্বব্যাপী সদস্য ব্যাংকগুলো কর্তৃক গৃহিত টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সামাজিক পরিবর্তনমুখী কার্যক্রম যে প্রভাব সৃষ্টি করে তার স্বীকৃতি দিতেই আন্তর্জাতিক সংস্থাটি চলতি বছর (২০২৫) থেকে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন শুরু করেছে।
একটি টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যাংক এশিয়ার নিরন্তর প্রচেষ্টা এবং এর ফলে ব্যক্তি ও সমাজে সত্যিকারার্থে যে ইতিবাচক পরিবর্তন সূচিত হচ্ছে এ আন্তর্জাতিক পুরষ্কার তার স্বীকৃতি দিয়েছে।