বিশ্ব ইউনানী দিবস উপলক্ষে হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশের উদ্যোগে গতকাল রোববার রাজধানীর বাংলামোটরে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ের মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সভাপতিত্ব করেন হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশের চিফ মোতাওয়াল্লী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি, হামদর্দ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত; জাতীয় অধ্যাপক ও হামদর্দ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান, ওয়াক্ফ প্রশাসক আবু সালেহ মহিউদ্দিন খাঁ, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ভিসি অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন হামদর্দ বাংলাদেশের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাকীম মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন রাসেল। কি নোট উপস্থাপন করেন হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একাডেমিক ইউনানী চেয়ার অধ্যাপক ডা. মনোয়ার হোসেন কাজমী। হামদর্দের ইউনানীবিষয়ক তৎপরতা তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বিপণন মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পরিচালক তথ্য ও গণসংযোগ আমিরুল মোমেনীন মানিক।
এ সময় প্রধান অতিথি ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি বলেন, বিকল্প চিকিৎসাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষভাবে উদ্যোগী হয়েছেন। তার উৎসাহে বাংলাদেশের শহর, বন্দর, নগর, এমনকি প্রত্যন্ত জনপদেও বিকল্প চিকিৎসা ও শিক্ষাব্যবস্থাকে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ চলছে। এর মধ্যে হামদর্দ বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করার মতো। হামদর্দ সারা বাংলাদেশে ৩০০টি চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে ফ্রি চিকিৎসাপত্র দিচ্ছে। পাশাপাশি অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে মানবসেবা করে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানের গেস্ট অব অনার ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা হামদর্দের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশে ইউনানী-আয়ুর্বেদিক স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসেবা বিস্তারে বিপ্লব করেছে হামদর্দ। এ সময় হামদর্দের মতো আরও অনেক প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারত সব সময় বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে। সভাপতির বক্তব্যে ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের কাছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাকে ছড়িয়ে দিতে হামদর্দের মাধ্যমে আমরা নিরন্তরভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইউনানী আয়ুর্বেদিক খাতের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ব্যাপকভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া এ সময় ইউনানী আয়ুর্বেদিক সেক্টরের জন্য স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। বিজ্ঞপ্তি
সফলতার সাথে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বিকাশ এর ব্র্যান্ড এনডোর্সার হিসেবে যুক্ত থেকে সাধারণ গ্রাহকদের ডিজিটাল লেনদেনে উৎসাহিত করতে ভূমিকা রেখেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। তরুণ প্রজন্মের মাঝে ডিজিটাল লেনদেনকে সম্প্রসারিত করার এই উদ্যোগে আবারও বিকাশ এর ব্র্যান্ড এনডোর্সার হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হলেন তিনি।
সম্প্রতি, বিকাশ-এর প্রধান কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির চিফ মার্কেটিং অফিসার মীর নওবত আলী এর উপস্থিতিতে এই চুক্তি নবায়ন হয়। এসময় বিকাশ এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিকাশ-এর সাথে এই দীর্ঘ পথচলা এবং পুনরায় যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মেহজাবীন বলেন, ‘আমি সব সময়ই এমন ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করতে চেয়েছি যারা সাধারণ মানুষের কথা ভাবে এবং তাদের জীবন সহজ করতে কাজ করে। বিকাশ-এর মতো এমন একটি ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত। আমি আশা করি, সামনে বিকাশ এমন আরও অনেক কাজ করবে যা মানুষের জীবনকে আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলবে।’
উল্লেখ্য, আগের মতোই মেহজাবীন যুক্ত থাকবেন বিকাশ-এর বিভিন্ন পণ্য ও সেবাকে জনপ্রিয় করে তোলার উদ্যোগগুলোতে।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় উন্মুক্ত কৃষি ঋণ বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। সম্প্রতি উপজেলার ডাকবাংলো মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মোট ২৮৮ জন কৃষকের মাঝে কৃষি ঋণের চেক বিতরণ করা হয়।
কর্মসূচিতে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, খামার ব্যবস্থাপনা এবং কৃষকদের আর্থিক অবস্থা শক্তিশালীকরণে প্রাইম ব্যাংকের কৃষিঋণ সহায়তার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। অনুষ্ঠানে নিয়মিত ভাবে ঋণ গ্রহণ ও ঋণ পরিশোধে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ৫ জন কৃষককে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
কৃষক পর্যায়ে সরাসরি ঋণ পৌঁছে দিতে ব্যাংকটি আবাদ, খামার ও নবান্ন নামে কৃষিঋণ সুবিধা চালু করেছে। পাশাপাশি আমদানি-নির্ভরতা কমাতে আমদানি বিকল্প ফসল উৎপাদনে স্বল্প সুদে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী অফিসার রন্টু পোদ্দার; উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুর ইসলাম; নারিশ পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেড-এর সিনিয়র ম্যানেজার নাজমুল হাসান ফারাজী। এছাড়া প্রাইম ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন মামুর আহমেদ; এসভিপি ও হেড অব এগ্রি বিজনেস শাহানা পারভীন সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এর সেন্টার ফর হায়ার স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ (সিএইচএসআর) কর্তৃক আয়োজিত ‘সুপারভাইজর-রিসার্চার মিট’ গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়।
২০২৪-২০২৫বি সেশনের এমফিল ও পিএইচডি গবেষকদের জন্য আয়োজন করা এ অনুষ্ঠানটি নতুন গবেষক ও সুপারভাইজরদের মধ্যে পরিচিতি ও পারস্পরিক সম্প্রীতি গড়ে তুলতে কার্যকর ভ‚মিকা রাখে। সেশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে গবেষক ও সুপারভাইজরগণ নিজেদের গবেষণা শিরোনাম চূড়ান্ত করেন।
বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল মো. মাহ্বুব-উল আলম উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গবেষক ও সুপারভাইজরদের মূল্যবান দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়াও এ অনুষ্ঠানে বিইউপির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ২০২৪-২০২৫বি সেশনের সকল গবেষক, তাদের সুপারভাইজর এবং কো-সুপারভাইজরগণ উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২৫ পালন করেছে রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর), দিবসটি পালন উপলক্ষে কলেজ ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয় বিশেষ আলোচনা সভার। অনুষ্ঠানের শুরুতে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। কলেজের রেক্টর প্রফেসর তরুণ কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজ গভর্নিং বডির সম্মানিত সভাপতি ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো।
অনুষ্ঠানে বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস নিয়ে বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ ড. সঞ্জয় কুমার ধর। তিনি বলেন, ‘শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ।’ আলোচনা সভায় কলেজের অধ্যাপক সুদীপ কুমার মন্ডল বলেন, ‘পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং দেশীয় কিছু কুচক্রীমহলের সহায়তায় আমরা হারিয়েছি দেশের সূর্য সন্তান শিক্ষক, ডাক্তার, সাংবাদিক, লেখক। দেশ বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে আমরা তাঁদের হারিয়েছি।’ শিক্ষক প্রতিনিধি মোস্তাকিয়া মাহমুদা পারভীন ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বই পড়ার মাধ্যমে ইতিহাস জানতে হবে। আর ইতিহাসকে অস্বীকার করা যায় না।’ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো আত্মপ্রত্যয়ের উপর জোর দেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন পেশার বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি রেক্টর প্রফেসর তরুন কান্তি বড়ুয়া, স্বাধীনতার ধারাবাহিকতা অর্থাৎ ৫২, ৫৪, ৬৬, আগরতলা মামলা, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন এবং ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পর্যালোচনা করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদানের কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানটির সফল সঞ্চালনায় ছিলেন কলেজের সিনিয়র শিক্ষক তাহমিনা। অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন সিনিয়র প্রভাষক স্মৃতিময়ী বসাক ও রতন কুমার ধর।
বাংলাদেশে স্টাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ডস ২০২৬ আয়োজন করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। প্রতিষ্ঠানটি চতুর্থবারের মতো এই আয়োজন করল। গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকার র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন খাতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
বিশ্বের নির্বাচিত কয়েকটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায়ে এই পুরস্কার আয়োজন করছে, যা এ অঞ্চলে যুক্তরাজ্যের অ্যালামনাইদের উল্লেখযোগ্য প্রভাবের প্রতিফলন। এবারের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এস এম এ ফায়েজ। এ ছাড়া ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের ডেপুটি হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর জেমস গোল্ডম্যান, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী ও বিভিন্ন খাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
বিজনেস অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড, সায়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি অ্যাওয়ার্ড এবং সোশ্যাল অ্যাকশন অ্যাওয়ার্ড— এই মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে যুক্তরাজ্য থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করা পেশাজীবীদের সাফল্য উযাদপন করা হয়।
বিজ্ঞান ও টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে যেসব প্রাক্তন শিক্ষার্থী তাদের পেশাগত জীবনে এবং এর বাইরে উল্লেখযোগ্য অবদান ও বিস্তৃত প্রভাব রেখে চলেছেন, তাদের সম্মান জানাতে দেওয়া হয় সায়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি। এ বছর এ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন জনস্বাস্থ্য গবেষক ডা. শমিক মারুফকে। তিনি লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের একজন সাবেক শিক্ষার্থী এবং চেভেনিং স্কলার।
বিজনেস অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় সেই সব সাবেক শিক্ষার্থীকে, যারা নতুন সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী ধারণা, সমাধান কিংবা প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে এমন ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য। এ বছর এই পুরস্কার পেয়েছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন এবং রয়্যাল হলোয়ে, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ফাসবীর এসকান্দার।
সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অসাধারণ অবদান রাখা সাবেক শিক্ষার্থীদের কাজকে সম্মান জানাতে দেওয়া হয় সোশ্যাল অ্যাকশন অ্যাওয়ার্ড। চেভেনিং স্কলার এবং নটিংহাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটি-র অ্যালামনাই সুমাইয়া আফরিন মিষ্টি-কে এই অ্যাওয়ার্ডটি প্রদান করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সিরামিক ও গ্রেস পোর্শেলিন ওয়াল টাইলস, ফ্লোর টাইলস, কাউন্টারটপ এবং স্যানিটারি ওয়্যার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান RAK Ceramics Bangladesh (আরএকে সিরামিকস বাংলাদেশ ) ২০২৬–২০২৭ মেয়াদের জন্য তাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ-এর সঙ্গে চুক্তি নবায়নের ঘোষণা দিয়েছে।
২০২১ সাল থেকে মেহেদী হাসান মিরাজ RAK Ceramics (আরএকে সিরামিকস )-এর সঙ্গে যুক্ত আছেন এবং এই সময়ে তিনি ব্র্যান্ডটির পারফরম্যান্স, ধারাবাহিকতা ও নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। মাঠে তার ধারাবাহিক সাফল্য ও যোগ্য নেতৃত্ব RAK Ceramics (আরএকে সিরামিকস )-এর টেকসই, উদ্ভাবনী এবং নান্দনিক লাইফস্টাইল সল্যুশন প্রদানের দর্শনের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা দেশের আধুনিক ঘরবাড়ির ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই চুক্তি নবায়ন উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির অডিটোরিয়ামে আনুষ্ঠানিক সাইনিং অনুষ্ঠান ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে RAK Ceramics Bangladesh (আরএকে সিরামিকস বাংলাদেশ )-এর ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা, ব্যবসায়িক অংশীদার, বিশিষ্ট অতিথি এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে RAK Ceramics Bangladesh- (আরএকে সিরামিকস বাংলাদেশ )এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (CEO) সাধন কুমার দে বলেন, “মেহেদী হাসান মিরাজ আমাদের ব্র্যান্ডের মূল মূল্যবোধ—সহনশীলতা, সততা এবং ধারাবাহিক উৎকর্ষ—এর এক শক্তিশালী প্রতিফলন। যেমনভাবে তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ধারাবাহিকভাবে সর্বোচ্চ মানের পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে চলেছেন, ঠিক তেমনি RAK Ceramics (আরএকে সিরামিকস ) গুণগত মান, উদ্ভাবন ও ডিজাইনে নতুন নতুন মানদণ্ড স্থাপন করে যাচ্ছে। এই সফল অংশীদারিত্ব আরও সম্প্রসারণ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।”
নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন,“RAK Ceramics (আরএকে সিরামিকস ) মানে গুণগত মান, উদ্ভাবন এবং আস্থা—যা আমার ব্যক্তিগত ও পেশাগত মূল্যবোধের সঙ্গে গভীরভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এমন একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব অব্যাহত রাখতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি, যা মানুষকে আরও উন্নত ও নান্দনিক জীবনযাপনের অনুপ্রেরণা জোগায়।”
এই নবায়িত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে RAK Ceramics Bangladesh (আরএকে সিরামিকস বাংলাদেশ ) দেশব্যাপী তাদের ব্র্যান্ড উপস্থিতি আরও সুদৃঢ় করতে এবং গ্রাহকদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি আস্থাভিত্তিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
২০২৬ সালকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠানটি আধুনিক জীবনধারাকে প্রতিফলিত করে এমন নতুন ও উদ্ভাবনী লাইফস্টাইল কালেকশন উন্মোচনের পাশাপাশি শোরুম অভিজ্ঞতা উন্নয়ন, গ্রাহককেন্দ্রিক সেবা সম্প্রসারণ এবং সমন্বিত ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন ও এনগেজমেন্ট কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে RAK Ceramics Bangladesh (আরএকে সিরামিকস বাংলাদেশ )দেশের নির্মাণ ও লাইফস্টাইল খাতে মান, নান্দনিকতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বিএমইউতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন ও মহান বিজয় দিবস ২০২৫ উদযাপনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিএমইউ ক্যাম্পাসে স্বেচ্ছায় রক্তদান, বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
বিএমইউর বি ব্লকের শহীদ ডা. মিলন হলের সম্মুখ প্রাঙ্গণে ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী পালন করা হয়। এছাড়া পরিচালক (হাসপাতাল) অফিসের উদ্যোগে বিএমইউ এর টিএসসিতে নিম, লেবু, কাঁঠালসহ ফলজ, বনজ ও ওষুধি বৃক্ষরোপণ করা হয়।
এসকল কর্মসূচীতে বিএমইউর সম্মানিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আয়েশা খাতুন, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ ইরতেকা রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক (সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল) ডা. মোঃ শাহিদুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. মোঃ আবু নাছের, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের ডা. নাহিদ সুলতানা, উপ-রেজিস্ট্রার মোঃ ইয়াহিয়া খাঁন, কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস খাঁন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মিলার্স ফর নিউট্রিশন কোয়ালিশন (টেকনোসার্ভ পরিচালিত-গেটস ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে)-এর উদ্যোগে ফর্টিফাইড আটা উৎপাদনে মান নিয়ন্ত্রণ ও গুনগত মান নিশ্চিতকরণ বিষয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ ঢাকার গুলশানে অবস্থিত লেকশোর হাইটস হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি শনাক্তকরণ, কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন এবং আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন মানদণ্ডের সঙ্গে উৎপাদন ব্যবস্থাকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জন করে। দেশের ৯ (নয়) টি মিল কারখানার প্রতিনিধিরা এ প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করেন। এ প্রশিক্ষণ গ্রহণের ফলে ফর্টিফাইড আটা উৎপাদনে তাদের সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায় যা জাতীয় বিধিমালা ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
প্রশিক্ষণে উদ্বোধনী সেশনে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জনাব মো. গুলজার আহম্মেদ, কান্ট্রি প্রোগ্রাম ম্যানেজার, টেকনোসার্ভ। তিনি ফর্টিফাইড আটা উৎপাদনে যথাযথ ফুড সেফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এছারাও বক্তব্য প্রদান করেন গেইন বাংলাদেশ এর পোর্টফলিও লীড ড. আশেক মাহফুজ। এছাড়াও বক্তব্য প্রদান করেন বুলার বাংলাদেশের টীম ম্যানেজার (প্রজেক্ট এক্সটেনশন) জনাব মাহফুজুর রহমান।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় টেকনিক্যাল সেশনে টেকনোসার্ভ এর সিনিয়র ফুড ফর্টিফিকেশন স্পেশালিস্ট মো. নাঈম জোবায়ের খাদ্য নিরাপত্তা ও গুণগত ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো তুলে ধরেন এবং মিলারদের জন্য অপরিহার্য ধাপগুলোর ওপর আলোকপাত করেন যেমন—প্রিমিক্স ব্যবস্থাপনা, ডোজিং নির্ভুলতা, প্রসেস মনিটরিং, রেকর্ড সংরক্ষণ এবং পণ্যের গুণমান পরীক্ষা। তিনি জানান, আটা-ময়দা ফর্টিফিকেশনে সঠিক মান নিয়ন্ত্রণ ও গুনগত মান নিশ্চিতকরণ ব্যবস্থা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি ভোক্তার আস্থা বৃদ্ধি ও দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ময়দা শিল্পের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত হেক্সাগন নিউট্রিশন এর প্রতিনিধি অদ্বৈত রোডে তার উপস্থাপনায় বলেন, “উন্নতমানের প্রিমিক্সই কার্যকর আটা ফর্টিফিকেশনের ভিত্তি—পুরো প্রক্রিয়াটির নির্ভরযোগ্যতা ও স্থায়িত্ব এতে নির্ভর করে। নির্ভরযোগ্য ও বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত প্রিমিক্স ব্যবহারে ভোক্তারা ধারাবাহিক ও নিরাপদ পুষ্টিগুণ পেতে পারবেন।
অংশগ্রহণকারীরা উৎপাদন উৎকর্ষতা, মান নিয়ন্ত্রণ, ডকুমেন্টেশন সিস্টেম ও প্রসেস কন্ট্রোল—এ সমস্ত বিষয়ে ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জন করেন, যা তাদেরকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণে সক্ষম উচ্চমানের ফর্টিফাইড আটা উৎপাদনে সহায়তা করবে।
প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জনাব মো. জামাল হোসেন । তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন যে, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বাংলাদেশ সরকার এখনও ফর্টিফাইড আটা অন্তর্ভুক্ত না করলেও, ভবিষ্যতে জনসাধারণের যথাযথ পুষ্টি নিশ্চিতকরণে ফর্টিফাইড আটা অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে। খোলা বাজারে ফর্টিফাইড আটার দ্রুত বিস্তার ও সম্ভাবনাকে সরকার গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহ এ উদ্যোগ জাতীয় পর্যায়ে প্রসারিত করতে যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে, তা প্রশংসনীয়। একই সঙ্গে তিনি ফুড ফর্টিফিকেশন ইকোসিস্টেম জোরদার করণে টেকনোসার্ভের ধারাবাহিক প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান।
মিলার্স ফর নিউট্রিশন কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে স্ট্র্যাটেজিক ফোর্টিফিকেশন পার্টনার: বিএএসএফ, বায়োঅ্যানালিট, ডিএসএম-ফারমেনিস, ম্যুলেনকেমি, স্টার্নভিটামিন; আঞ্চলিক সহযোগী: হেক্সাগন নিউট্রিশন, পিরামাল, সাংকু এবং ক্রমবর্ধমান স্থানীয় কারিগরি অংশীদারদের সমন্বয়ে, যারা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং ফর্টিফিকেশনের মাধ্যমে সমাজসেবা ও ব্যবসায়িক স্থায়িত্বে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উদ্যোগটি পরিচালিত হচ্ছে টেকনোসার্ভ-এর মাধ্যমে, গেটস ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে। মিলারস, খাদ্য ফর্টিফিকেশন সংশ্লিষ্ট অংশীজনসহ আগ্রহী সবাই coalition-এ যুক্ত হওয়ার জন্য millersfornutrition.com ওয়েবসাইটে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে ইসলামী ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স’ শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ গোলটেবিল বৈঠক গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যাংকার, শরিয়াহ বিশারদ এবং শিক্ষাবিদরা অংশগ্রহণ করেন।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ সোবহানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন, সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. আবুল বাশার খান। অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগের পরিচালক ড. ফারহানা খান।
আরও বক্তব্য প্রদান করেন, প্রফেসর ড. ছায়েদুর রহমান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, মো. মেজবাহ উদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পরিচালক, ফরিদ আহমেদ ফকির, ভাইস প্রেসিড্যান্ট, এবি ব্যাংক, মুহাম্মদ মুনিরুল হক, হেড অব শরিয়া সেক্রেটারিয়েট, ইবিএল ইসলামিক ব্যাংকিং, মো. আজাদ রহমান, এভিপি ও ডেপুটি হেড, ব্যাংক এশিয়া ইসলামিক ব্যাংকিং ডিভিশন, মো. ছায়েদ জোনায়েদ, সহকারী ভাইস প্রেসিড্যান্ট, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক পিএলসি, মো. রাজা মিয়াহ, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অব ডিভিশন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, মুফতি সাইফুল ইসলাম, ইসলামিক টিভি, মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিটি ব্যাংক, ড. আব্দুর রহমান, সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিটি ব্যাংক পিএলসি, নায়মুল ইসলাম, হেড অব ডিপার্টমেন্ট লঙ্কা বাংলা ফিন্যান্স, একেএম জাহিদুল আলম, এসভিপি, এনসিসি ব্যাংক, আব্দুস সালাম ভুইয়া, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জুবায়ের আল্ মাহমুদ, এফএভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার, ইসলামিক ব্যাংকিং, ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, খাইরুল হাসান, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন, সাবেক ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক, মুফতি মাসুম বিল্লাহ, সদস্য, শরিয়াহ বোর্ড, বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং চেয়ারম্যান, শরিয়াহ এডভাইজারি অ্যান্ড রিসার্চ কাউন্সিল, মুফতি জুবায়ের আব্দুল্লাহ, একেএম মিজানুর রহমান, হেড অব ইবিএল ইসলামিক, ইস্টার্ন ব্যাংক লি., ড. মো. গোলজারে নবী, নির্বাহী পরিচালক (গবেষণা), বাংলাদেশ ব্যাংক।
দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. মনজুর মফিজ। একইসঙ্গে, রোববার (১৪ ডিসেম্বর) থেকে তাকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
প্রায় ৩২ বছরের সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই দক্ষ ব্যাংকার ১৯৯৩ সালে সোনালী ব্যাংক পিএলসি-তে তার পেশাগত কর্মজীবন শুরু করেন। প্রিমিয়ার ব্যাংকে যোগদানের পূর্বে তিনি ওয়ান ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, দি সিটি ব্যাংক, এবি ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংকসহ দেশের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
তাঁর পেশাগত নেতৃত্বে করপোরেট ব্যাংকিং কার্যক্রমের কেন্দ্রীয়করণ, শক্তিশালী ফান্ড ম্যানেজমেন্ট নীতিমালা প্রণয়ন, খরচ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ, রিটেইল ও এসএমই ডিপোজিটে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) ও এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমের সম্প্রসারণ এবং পূর্ণাঙ্গ ইসলামিক ব্যাংকিং সেবা চালুসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
মো. মনজুর মফিজ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে ফাইন্যান্সে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। শিল্প খাত বিশ্লেষণ, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, ক্রেডিট ও ইকুইটি স্ট্রাকচারিং, টিম বিল্ডিং এবং স্টেকহোল্ডার ম্যানেজমেন্টে তার দক্ষতা পরীক্ষিত ও স্বীকৃত।
তার অভিজ্ঞ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে প্রিমিয়ার ব্যাংক গ্রাহককেন্দ্রিক প্রবৃদ্ধি, ডিজিটাল উদ্ভাবন এবং শক্তিশালী সুশাসন আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাবে।
গ্রাহকদের ব্যাংকিং বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কক্সবাজারে শুরু হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রাহক সচেতনতা সপ্তাহ, চট্টগ্রাম- ২০২৫। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি এন্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে এবং ব্যাংক এশিয়া পিএলসির সার্বিক সহযোগিতায় এ উপলক্ষে কক্সবাজারে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. নিয়ামূল কবীর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মকবুল হোসেন, ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট-এর পরিচালক মোহাম্মদ মহসিন হোছাইনী এবং ব্যাংক এশিয়ার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা আজহার আহমদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট-এর পরিচালক মুনীর আহমেদ চৌধুরী। এছাড়া, অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট-এর অতিরিক্ত পরিচালক এবং স্ট্র্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন টিমের প্রধান মোহাম্মদ মাহেনূর আলম।
আলোচনায় প্রধান অতিথি বলেন, গ্রাহকই হলো ব্যাংকিং সেবার প্রাণ। ব্যাংকিং কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পাদনে ব্যাংকারের পাশাপাশি গ্রাহকদের সচেতনতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই গ্রাহক সেবা নিশ্চিতকরণে ব্যাংকারদের সচেতন থাকার পাশাপাশি গ্রাহকদের অধিকতর সচেতন করে তোলার ব্যাপারে তিনি ব্যাংকারদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার উপর জোর দেন।
আয়োজনে অতিথিবৃন্দের মূল আলোচনার পাশাপাশি ছিলো ব্যাংকিং সেবার বিভিন্ন বিষয়ের উপর সচেতনতামূলক অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শন এবং প্রেজেন্টেশন। উক্ত অনুষ্ঠানে গ্রাহক সচেতনতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরা হয়। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১২০ জনেরও অধিক কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। গ্রাহকদের নিরাপদ ও সচেতন ব্যাংকিংয়ে উদ্বুদ্ধ করতে সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালিত হবে মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংক আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দ্য ফাস্ট মোড অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫-এ দুটি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলালিংক। নেতৃত্বের উৎকর্ষের স্বীকৃতিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইওহান বুসে পেয়েছেন এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ‘সিইও অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার, আর গ্রাহক অভিজ্ঞতার উন্নয়নে ধারাবাহিক অগ্রগতির জন্য প্রতিষ্ঠানটি অর্জন করেছে ‘কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স (সিএক্স) চ্যাম্পিয়ন’ সম্মাননা।
মালয়েশিয়াভিত্তিক টেলিযোগাযোগবিষয়ক গণমাধ্যম ও গবেষণা প্ল্যাটফর্ম দ্য ফাস্ট মোড এই পুরস্কারের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ খাতে উদ্ভাবন, নেতৃত্ব এবং শিল্পেপ্রতিষ্ঠানগুলোর ইতিবাচক প্রভাবকে তুলে ধরে। এ বছরের আয়োজনে টেলিযোগাযোগ, সেবাদাতা ও নেতৃত্বে উৎকর্ষ, এই তিনটি বিভাগে বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে তিন শতাধিক মনোনয়ন জমা পড়ে। এসব মনোনয়ন মূল্যায়ন করেন আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা, শিল্প খাতের বিশেষজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ বিশ্লেষকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি স্বাধীন প্যানেল।
বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী ইওহান বুসে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিইও অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে তার নেতৃত্বে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটির রূপান্তরমূলক কর্মসূচি রিসেট ২.০। তার নেতৃত্বে বাংলালিংকের কার্যক্রম আরও গতিশীল হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের ভেতরে গড়ে উঠেছে একটি দৃঢ় ‘গ্রাহক-প্রথম’ সংস্কৃতি, সিদ্ধান্ত গ্রহণের গতি বাড়াতে অপ্রয়োজনীয় স্তরবিন্যাস কমানো, এবং নেতৃত্বের সামনের সারির দলগুলো আরও ক্ষমতায়িত হয়েছে।
টানা পাঁচ প্রান্তিকের রাজস্ব পতন কাটিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে পুনরায় প্রবৃদ্ধির ধারায় ফেরাতে ইওহান বুসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বৈশ্বিক ডিজিটাল সেবাপ্রদানকারী এবং বাংলালিংকের মূল প্রতিষ্ঠান ভিওনের ডিও-১,৪৪০ লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তিনি বাংলালিংকের বিস্তৃত ও আরও গতিশীল ডিজিটাল রূপান্তরকে উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বরান্বিত করেছেন। এই লক্ষ্য গ্রাহকের দিনের প্রতিটি মুহূর্তকে আরও সহজ, নিরবচ্ছিন্ন এবং কার্যকর করে তোলাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
বাংলালিংকের গ্রাহকসেবা চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার অর্জন প্রতিষ্ঠানটির প্রযুক্তি ও উদ্ভাবননির্ভর সেবার মাধ্যমে গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নয়নে ধারাবাহিক প্রচেষ্টার প্রতিফলন। গ্রাহকের সুবিধা বাড়াতে প্রতিষ্ঠানটি এআই প্রযুক্তিনির্ভর একাধিক সেবা চালু করেছে, মাইবিএল অ্যাপের মাধ্যমে নিজ সেবার পথ আরও সহজ করেছে এবং গ্রাহকের মতামত গ্রহণ ও সাড়া দেওয়ার জন্য একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া গড়ে তুলেছে। ফলস্বরূপ, গ্রাহকসেবায় ৯৪ শতাংশ প্রথম যোগাযোগেই সমাধান, কল সেন্টারে কলের পরিমাণ ৩৫ শতাংশ কমে আসা এবং দেশের প্রথম উদ্ভাবনমূলক এআইভিত্তিক কথোপকথন সেবার মাধ্যমে এই অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
এছাড়া দেশের সর্বোচ্চ রেটিংপ্রাপ্ত টেলিযোগাযোগ অ্যাপ মাইবিএল গ্রাহক অভিজ্ঞতার মানোন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। এতে রয়েছে বিশটিরও বেশি সেবাসুবিধা, স্মার্ট প্রযুক্তিতে সহজ ও স্বচ্ছভাবে সমস্যা শনাক্ত ও অভিযোগ নিবন্ধনের ব্যবস্থা, এবং জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর মাইবিএল সহকারী প্রতিদিন লাখো গ্রাহককে দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য সহায়তা প্রদান করছে।
পুরস্কারপ্রাপ্তিতে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ইওহান বুসে বলেন, ‘এই স্বীকৃতিগুলো বাংলালিংকের সকল সহকর্মীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। শুরু থেকেই আমরা গ্রাহকদের প্রয়োজন আন্তরিকভাবে শুনছি, উপলব্ধি করছি এবং তাদের প্রত্যাশার প্রতি সহমর্মিতার সাথে সাড়া দিচ্ছি। আমাদের গ্রাহকদের সন্তুষ্টি ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর এটা আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রমেরই প্রতিফলন। প্রযুক্তিনির্ভর সমাধানের পাশাপাশি সেবার মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে এই স্বীকৃতি আমাদের এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করবে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে আরও দুটি মোবাইল অপারেটর এ আয়োজনে পুরস্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে গ্রামীণফোন অপারেশনাল এক্সিলেন্স বিভাগে এবং রবি আজিয়াটা উদীয়মান টেলিযোগাযোগ ব্র্যান্ড বিভাগে সম্মাননা পেয়েছে।
বিকাশ অ্যাপ থেকে ১ কোটি ২৭ লাখ বারেরও বেশি সিটি ব্যাংক-এর জামানতবিহীন ডিজিটাল লোন নিলেন গ্রাহকরা। চালু হওয়ার মাত্র তিন বছরেই ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ডিজিটাল লোন বিতরণের মধ্য দিয়ে অর্জিত হলো এই মাইলফলক। এখন পর্যন্ত দেশের ৬৪টি জেলা থেকেই ১৯ লাখেরও বেশি গ্রাহক এই লোন সুবিধা গ্রহণ করেছেন, যাদের ২৫ শতাংশই নারী। লোন সুবিধা গ্রহণকারীদের অধিকাংশই একাধিক বার নিয়েছেন এই সেবা।
সাধারণ গ্রাহকদের পাশাপাশি প্রথাগত ব্যাংকিংয়ের বাইরে থাকা বা সীমিত ব্যাংকিংয় পাওয়া গ্রাহকের জন্য বিকাশ অ্যাপ থেকে লোন পাবার সুবিধা দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে টেকসই করে আর্থিক সেবাপ্রাপ্তির (access to finance) সুযোগকে বিস্তৃত করছে। গ্রাহকরা কোন ধরনের কাগজপত্রের ঝামেলা ছাড়াই যেকোনো সময় মাত্র কয়েক ট্যাপে তাৎক্ষণিক ৫০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন এই লোন নিতে পারছেন। গ্রাহকের লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে কোন গ্রাহক কত টাকার লোন পাবেন সিটি ব্যাংক থেকে। উল্লেখ্য, এই লোন তারা খরচ করছেন চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যবসার মূলধন বাড়ানো, নতুন উদ্যোগ শুরু করা, ভ্রমণসহ নানা জরুরি প্রয়োজন মেটাতে।
বিকাশ অ্যাপ থেকে সিটি ব্যাংকের ডিজিটাল লোন নেয়ার সময় প্রয়োজন হয় না কোনো নথিপত্রের। লোন নেয়ার পর নির্ধারিত তারিখে ব্যালেন্স থাকা সাপেক্ষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিস্তির টাকা জমা হয়ে যায়। এই লোনের উপর ইন্টারেস্ট, প্রসেসিং ফিসহ বিভিন্ন তথ্য লোন নেয়ার সময় অ্যাপ থেকেই দেখে নিতে পারেন গ্রাহক। আবার নির্ধারিত সময়ের আগে লোন পরিশোধ করতে চাইলে শুধু যে কয়দিনের জন্য লোন নিয়েছেন সেই কয়দিনের জন্যই ইন্টারেস্ট দিতে হয়। লোনের কিস্তি পরিশোধের তারিখ অ্যাপ নোটিফিকেশন ও এসএমএস-এর মাধ্যমে মনে করিয়ে দেয়া হয় গ্রাহকদের।
পাশাপাশি, জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটা আরও সহজ করতে ‘পে-লেটার’ নামের সেবাও চালু করেছে বিকাশ ও সিটি ব্যাংক। পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকলেও প্রয়োজনীয় কেনাকাটায় গ্রাহকরা ‘পে-লেটার’ সেবা ব্যবহার করে বিকাশ অ্যাপ থেকে সিটি ব্যাংকের ডিজিটাল লোনের লিমিট দিয়ে সরাসরি মূল্য পরিশোধ করতে পারছেন। পে-লেটার-এর মাধ্যমে নেয়া লোন ৭ দিনের মধ্যে পরিশোধ করলে দিতে হয় না কোনো ইন্টারেস্ট, আবার সহজ মাসিক কিস্তিতেও পরিশোধ করা যায় লোনটি।