২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৪ (ডিআইটিএফ)। এবারের মেলায়ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য ক্যাটাগরিতে সেরা হয়েছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। পেয়েছে প্রথম পুরস্কারের গোল্ড ট্রফি। মেলায় সুদৃশ্য স্টল নির্মাণ, উদ্ভাবনী ও গুণগতমানের পণ্য প্রদর্শন ইত্যাদি বিবেচনায় ওয়ালটনকে এই পুরস্কার দেয় মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত মঙ্গলবার রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘ডিআইটিএফ-২০২৪’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজকে গোল্ড ট্রফি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর কাছ থেকে গোল্ড ট্রফি ও সনদ গ্রহণ করেন ওয়ালটন হাই-টেকের পরিচালক এবং ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) নিশাত তাসনিম শুচি। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলমসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং ইপিবির ভাইস-চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম আহসান উপস্থিত ছিলেন। ওয়ালটনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান এবং চিফ মার্কেটিং অফিসার দিদারুল আলম খান।বিজ্ঞপ্তি
এনার্জিপ্যাক ইলেক্ট্রনিকস লিমিটেড সম্প্রতি অ্যারিস্টো সিরিজ টুয়েলভ ওয়ে এসডিবি বক্স বাজারে নিয়ে এসেছে। এটি নিরাপদ ও কার্যকরী বিদ্যুৎ ডিস্ট্রিবিউশনের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য সমাধান। আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নিরাপদে এবং দীর্ঘমেয়াদে বৈদ্যুতিক ডিস্ট্রিবিউশন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
এসবিডি বা সাব ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড একটি সেকেন্ডারি বৈদ্যুতিক প্যানেল। এটি এমডিবি (মেইন ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড) থেকে বিদ্যুৎ গ্রহণ করে এবং নির্দিষ্ট পয়েন্ট বা যন্ত্রপাতির জন্য বিদ্যুৎকে ছোট ছোট সার্কিটে ভাগ করে দেয়। এর কারণ হলো, এটি বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনাকে আরও কার্যকর করে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং সেই সাথে মূল প্যানেলের ওপর চাপ কমাতেও সহায়তা করে।
এসবিডি বক্সের ব্যবহার বহুমুখী। বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, অফিস-আদালত, বিপণী বিতান, এবং হোটেলসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ব্যবহৃত হয় এই বক্স। এ ধরনের বোর্ড নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যকারিতার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়।
সীমান্ত ব্যাংক এবং ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের মধ্যে গ্রাহক ও কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই চুক্তিটি সম্পন্ন হয়। এই চুক্তির আওতায় ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে সীমান্ত ব্যাংকের সকল কর্মকর্তা এবং ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডধারীরা বিশেষ ছাড় ও অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা উপভোগ করবেন।
নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন সীমান্ত ব্যাংকের হেড অব বিজনেস মো. শহিদুল ইসলাম এবং ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের হেড অব মার্কেটিং মো. হাদিউল করিম খান। এই অংশীদারিত্বের ফলে সীমান্ত ব্যাংকের গ্রাহকরা এখন থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে আধুনিক চিকিৎসা সেবা গ্রহণের সুযোগ পাবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সীমান্ত ব্যাংকের হেড অব কার্ডস এন্ড এডিসি শরীফ জহিরুল ইসলাম এবং ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার ও জোনাল ইনচার্জ (কর্পোরেট মার্কেটিং) মো. মুসা আলী। এছাড়াও উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মূলত গ্রাহকসেবার মানোন্নয়ন এবং কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সীমান্ত ব্যাংকের নিরলস প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি সম্প্রতি ‘সাসটেইনেবিলিটি ফর দ্যা পিপল অ্যান্ড প্ল্যানেট’ থিমে ২০২৬ সালের বার্ষিক ক্যালেন্ডারের আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইপিডিসি’র অংশীদারগণ, শুভানুধ্যায়ী এবং আইপিডিসি পরিবারের সদস্যরা। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) এই আয়োজনের মাধ্যমে সাসটেইনেবল ও গ্রিন ফাইন্যান্সের মাধ্যমে ইএসজি লক্ষ্য এগিয়ে নেওয়া এবং অর্থবহ সিএসআর উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে আইপিডিসি।
বছরের পর বছর ধরে আইপিডিসি’র বার্ষিক ক্যালেন্ডার শুধু দিন-তারিখ দেখানোর গণ্ডি ছাড়িয়ে একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে পরিণত হয়েছে। ২০২৬ সালের ক্যালেন্ডারটি আইপিডিসি’র সেই বিশ্বাসকে তুলে ধরে দায়িত্বশীল অর্থায়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ক্যালেন্ডারের প্রতিটি মাসে তুলে ধরা হয়েছে এমন সব উদ্যোগ ও প্রতিষ্ঠান, যারা পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল থেকেও সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে এবং সমাজে বাস্তব, ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।
আইপিডিসি’র এবারের ক্যালেন্ডারে এমন ১২টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্থান পেয়েছে, যাদের উদ্যোগ টেকসই উদ্ভাবন ও ইতিবাচক প্রভাবের বাস্তব উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ, মুসপানা ফিলামেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, হাসিমুখ সমাজ কল্যাণ সংস্থা, রিগেল এনার্জি লিমিটেড, এম.এস.ই কাস্টিং পিলার কারখানা, বিসমিল্লাহ প্লাস্টিক সেন্টার, আমল ফাউন্ডেশন, ন্যাচারাল ফাইবারস, লক্ষণ জুট মিলস লিমিটেড, এমইপি লাইট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এ.কে.এন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাগ্রো ফার্ম অ্যান্ড ফিশারিজ এবং অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন। এই প্রতিষ্ঠানগুলো দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে টেকসই ব্যবসায়িক মডেল ও কমিউনিটি-কেন্দ্রিক উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজের জন্য যৌথ মূল্য সৃষ্টি, প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ এবং ভবিষ্যৎমুখী অর্থনীতি গড়ে তোলা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন,“আইপিডিসি-তে সাসটেইনেবিলিটি শুধু একটি ধারণা নয়, বরং এটি আমাদের কাজের ধরন। প্রডাক্ট ডিজাইন থেকে শুরু করে ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কাজ করা—সব ক্ষেত্রেই এর প্রতিফলন রয়েছে। সাসটেইনেবল ও গ্রিন ফাইন্যান্সের পাশাপাশি আমাদের সিএসআর উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা এমন ব্যবসাগুলোকে সহায়তা করতে চাই, যারা ইএসজি–তে বাস্তব ইতিবাচক পরিবর্তন আনছে। এই ক্যালেন্ডার সেই সব উদ্যোগকেই সম্মান জানায়, যারা দেখিয়েছে—দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসায়িক সাফল্যও এনে দিতে পারে।”
আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি’র ব্র্যান্ড ও কর্পোরেট কমিউনিকেশন হেড সামিউল হাশিম বলেন, “আইপিডিসি বার্ষিক ক্যালেন্ডার ২০২৬–এর গল্পগুলো দায়িত্বশীল অর্থায়নের বাস্তব প্রভাবকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে। এসব উদ্যোগ প্রমাণ করে, সঠিক মূল্যবোধ ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তের অংশ হলে তা ইএসজি লক্ষ্য অর্জনকে ত্বরান্বিত করে এবং কমিউনিটি ও পরিবেশে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব তৈরি করতেও সক্ষম হয়।”
সাসটেইনেবিলিটি কেন্দ্রিক উদ্যোগগুলোকে নিয়ে ২০২৬ সালের বার্ষিক ক্যালেন্ডার উন্মোচন করার মাধ্যমে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি আবারও জানিয়ে দিয়েছে—গ্রিন ফাইন্যান্স, টেকসই বিনিয়োগ ও সিএসআর–ভিত্তিক অংশীদারত্বের মাধ্যমে দায়িত্বশীলভাবে এগিয়ে যাওয়াই তাদের লক্ষ্য। এই ক্যালেন্ডার মনে করিয়ে দেয়—আজকের ব্যবসায়িক ও আর্থিক সিদ্ধান্তই আগামী দিনের আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সক্ষম।
দেশের জনপ্রিয় কোমল পানীয় ব্র্যান্ড ‘মোজো’ টানা দ্বিতীয়বারের মতো ‘বেস্ট বেভারেজ ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ অর্জন করে বাজারে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রেখেছে। বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজিত মর্যাদাপূর্ণ এই সম্মাননা প্রাপ্তির মাধ্যমে মোজো আবারও প্রমাণ করল যে, ভোক্তাদের বিশ্বাস ও ভালোবাসার তালিকায় তাদের অবস্থান কতটা সুদৃঢ়। দীর্ঘ সময় ধরে পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখা এবং কার্যকর বিপণন কৌশলের ধারাবাহিকতায় মোজো এই অনন্য স্বীকৃতি লাভ করেছে।
বেভারেজ ক্যাটাগরিতে শীর্ষস্থান দখলের পাশাপাশি মোজো এ বছর বাংলাদেশের সামগ্রিক বা ‘ওভারঅল’ সেরা ১৫টি ব্র্যান্ডের অভিজাত তালিকায় ১৪তম স্থান অধিকার করেছে। দেশের তীব্র প্রতিযোগিতামূলক বাজারে একটি স্থানীয় ব্র্যান্ড হিসেবে এই অর্জন মোজোর শক্তিশালী অবস্থান এবং মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থনেরই প্রতিফলন। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে মোজো কেবল একটি পানীয় ব্র্যান্ড হিসেবে নয়, বরং বাংলাদেশের মানুষের পছন্দের তালিকায় অন্যতম নির্ভরযোগ্য নাম হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে।
মোজো কর্তৃপক্ষ এই সাফল্যের সব কৃতিত্ব উৎসর্গ করেছে তাদের অগণিত ভোক্তাদের প্রতি। তাদের মতে, ভোক্তাদের আস্থাই ব্র্যান্ডটির এই ধারাবাহিক অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি। আগামীতেও গুণগত মান এবং আধুনিকতার সমন্বয়ে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে মোজো। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম দেশব্যাপী নিবিড় জরিপের মাধ্যমে প্রতি বছর বিভিন্ন খাতের সেরা ব্র্যান্ডগুলোকে এই সম্মাননা প্রদান করে থাকে, যেখানে মোজো এবারও সাফল্যের স্বাক্ষর রাখল।
শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল রিটেইল ব্র্যান্ড আড়ং ঢাকার শ্যামলীতে তাদের ৩২তম আউটলেট উদ্বোধন করেছে। চার তলা বিশিষ্ট প্রায় ১৯ হাজার বর্গফুট আয়তনের এই আউটলেটটি ক্রেতাদের জন্য পূর্ণাঙ্গ কেনাকাটার সুযোগ তৈরি করেছে।
নতুন আউটলেটে আড়ংয়ের সাব-ব্র্যান্ড তাগা, তাগা ম্যান ও আড়ং আর্থ-এর পাশাপাশি রয়েছে হাতে তৈরি পোশাক, গয়না, হোম ডেকর, অ্যাকসেসরিজ ও স্কিনকেয়ার পণ্যের সংগ্রহ। এছাড়া গ্রাসরুটস ক্যাফে থাকায় ক্রেতারা কেনাকাটার পাশাপাশি সময় কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন।
ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজেস-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর তামারা হাসান আবেদ বলেন, শ্যামলীর এই নতুন আউটলেট দীর্ঘদিনের পাশাপাশি নতুন ক্রেতাদের আরও কাছাকাছি আনবে এবং সেবার পরিসর বাড়াবে।
একটি সামাজিক উদ্যোগ হিসেবে আড়ং গ্রামীণ কারুশিল্পীদের ক্ষমতায়ন ও বাংলাদেশের কারুশিল্পের ঐতিহ্য সংরক্ষণে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজিত বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ অনুষ্ঠানে ওরাল স্যালাইন ক্যাটাগরিতে এসএমসি ওরস্যালাইন সেরা ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। টানা সপ্তমবারের মতো এই অর্জন দেশের কোটি কোটি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক।
১৯৮৫ সাল থেকে এসএমসি ওরস্যালাইন যাত্রা শুরু করে। এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড-এর ফ্ল্যাগশিপ ব্র্যান্ড হিসেবে এসএমসি ওরস্যালাইন গত ৪০ বছর ধরে ডায়রিয়া ও পানিশূন্যতার থেকে কোটি কোটি মানুষের জীবন বাঁচাতে এবং জীবনকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলছে।
গ্রামীণফোন ও ওয়েস্টার্ন গ্রুপের মধ্যে গত সোমবার এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ওয়েস্টার্ন গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোন লিমিটেড এবং ওয়েস্টার্ন গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গ্রামীণফোনের পক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসিফ নাইমুর রশিদ, চিফ বিজনেস অফিসার, গ্রামীণফোন এবং এম. শাওন আজাদ, ডিরেক্টর, গ্রামীণফোন।
ওয়েস্টার্ন গ্রুপের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বশির আহমেদ, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ওয়েস্টার্ন গ্রুপ; মো. সারওয়ার জামান ঢালী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ওয়েস্টার্ন গ্রুপ; এবং নাহফিদ আহমেদ অনন্য, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, লিডস কর্পোরেশন লিমিটেড ও ডিরেক্টর, ওয়েস্টার্ন গ্রুপ।
অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন নাহফিদ আহমেদ অনন্য এবং আসিফ নাইমুর রশিদ।
এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠান পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ভবিষ্যতে আরও কার্যকর ও টেকসই ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণে অগ্রসর হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই অংশীদারিত্বকে দুই প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন।
আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডের নির্বাহী কমিটির ২১০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মোফাজ্জল হোসেনসহ পরিচালক মো. রুহুল আমিন ভুইয়া, মো. আতোয়ার হোসেন, মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. রাশেদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ব্যাংকের কার্যক্রম আরো গতিশীল করার জন্য বিভাগীয় কার্যালয় কার্যকর করাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল সেবা প্রদানকারী কোম্পানি রবি আজিয়াটা পিএলসি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ১৫তম আইসিএমএবি (ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ) বেস্ট করপোরেট অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতায় আইটি ও টেলিযোগাযোগ ক্যাটাগরিতে সিলভার অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, এফসিএমএ রবি আজিয়াটা পিএলসির পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটির ডিরেক্টর শরিফ শাহ জামাল রাজ এবং কোম্পানি সেক্রেটারিয়েটের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর মো. শহিদুর রহমানের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন।
আইসিএমএবি বেস্ট করপোরেট অ্যাওয়ার্ড দেশের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি যা করপোরেট গভর্ন্যান্স, আর্থিক স্বচ্ছতা, নীতিমালা অনুসরণ এবং টেকসই ব্যবসায়িক চর্চায় উৎকর্ষতা প্রদর্শনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রদান করা হয়। এই স্বীকৃতি রবির দায়িত্বশীল ব্যবসা পরিচালনা এবং অংশীজনদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
রবি আজিয়াটা পিএলসির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, ‘আইসিএমএবি’র এই স্বীকৃতি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। এটি করপোরেট গভর্ন্যান্স, স্বচ্ছতা ও টেকসই পদক্ষেপ বজায় রাখতে রবির ধারাবাহিক প্রচেষ্টার প্রতিফলন। আমরা বিশ্বাস করি, দায়িত্বশীল ও টেকসই ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমেই দীর্ঘমেয়াদে গ্রাহক, অংশীজন এবং দেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় অবদান রাখা সম্ভব।’
বাংলাদেশে দ্রুত বর্ধনশীল টেলিযোগাযোগ খাতের নেপথ্য কারিগর তথা মোবাইল টাওয়ারে কর্মরত কর্মীদের (রিগার) নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে হুয়াওয়ে সম্প্রতি এক অনন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। রাজধানীর হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়া সদর দপ্তরে আয়োজিত এই ‘রিগার ইএইচএস ফ্যামিলি ডে ২০২৫’ অনুষ্ঠানে টাওয়ার কর্মীদের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি তাঁদের কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পরিবারের ভূমিকা ও সচেতনতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে রিগার ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি মোবাইল অবকাঠামো নির্মাণের সাথে যুক্ত বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
আলোচকরা টাওয়ার কর্মীদের এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি (ইএইচএস) নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণের আহ্বান জানান। তাঁরা উল্লেখ করেন যে, উঁচু টাওয়ারে কাজ করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, তাই প্রতিটি পদক্ষেপে নিরাপত্তা বিধি মেনে চলা আবশ্যক। কর্মীদের মানসিকভাবে সুস্থ রাখা এবং তাঁদের নিরাপত্তায় পরিবারের সদস্যদের উদ্বুদ্ধ করার মধ্য দিয়ে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকটা কমানো সম্ভব। হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তাঁরা রিগারদের কেবল কর্মী হিসেবে নয়, বরং নিজেদের পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে মনে করেন।
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া ডেলিভারি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর চেন হেংঝো অনুষ্ঠানে কর্মীদের সাথে সময় কাটান এবং তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, রিগারদের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই দেশজুড়ে নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হয়েছে, তাই তাঁদের সার্বিক নিরাপত্তা হুয়াওয়ের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার। প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ ও উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হুয়াওয়ে সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিভিন্ন বিনোদনমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটিকে উদযাপন করা হয় যা কর্মীদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধতা ও সুরক্ষার সংস্কৃতিকে আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে। মূলত বিশ্বমানের প্রযুক্তির প্রসারের পাশাপাশি কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাকেই হুয়াওয়ে তাদের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে মনে করে।
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক ইলেক্ট্রনিকস লিমিটেড বাজারে নিয়ে এসেছে তাদের নতুন উদ্ভাবন ‘অ্যারিস্টো সিরিজ টুয়েলভ ওয়ে এসডিবি বক্স’। নিরাপদ ও কার্যকরী বিদ্যুৎ ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবস্থার লক্ষ্যেই বিশেষভাবে এই সাব ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ডটি তৈরি করা হয়েছে। এটি মূলত আবাসিক ভবন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন শিল্প কারখানায় ব্যবহারের জন্য একটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সমাধান হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে আধুনিক ঘরবাড়ি বা কর্মস্থলে দীর্ঘমেয়াদে এবং সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত উপায়ে বৈদ্যুতিক ডিস্ট্রিবিউশন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
একটি এসডিবি বক্স মূলত সেকেন্ডারি বৈদ্যুতিক প্যানেল হিসেবে কাজ করে, যা মেইন ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড থেকে বিদ্যুৎ গ্রহণ করে নির্দিষ্ট পয়েন্ট বা যন্ত্রপাতির জন্য ছোট ছোট সার্কিটে তা ভাগ করে দেয়। এই প্রক্রিয়াটি পুরো বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনাকে আরও কার্যকর করার পাশাপাশি মূল প্যানেলের ওপর বাড়তি চাপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বহুমুখী ব্যবহারের উপযোগী এই অ্যারিস্টো সিরিজ বক্সটি অ্যাপার্টমেন্ট, অফিস-আদালত, বিপণী বিতান এবং হোটেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে ব্যবহারের জন্য আদর্শ। উন্নত প্রযুক্তি ও স্থায়িত্বের কথা মাথায় রেখে তৈরি এই বোর্ডটি আধুনিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি। মূলত গ্রাহকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করাই এনার্জিপ্যাকের এই নতুন পণ্যের প্রধান লক্ষ্য।
দেশের জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক্স বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান সনি-র্যাংগস তাদের বিশেষ ক্যাম্পেইন ‘ইয়ার এন্ড সেলস - নিউ ইয়ার অফার’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেছে। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর ২০২৫) রাজধানীর বাংলামোটরে অবস্থিত সোনারতরী টাওয়ারের নিজস্ব শোরুমে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই আকর্ষণীয় অফারটির যাত্রা শুরু হয়। সনি-র্যাংগসের ভাইস চেয়ারপারসন মিসেস সাচিমি হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের দিন থেকেই সারা দেশের শোরুমগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
এবারের ক্যাম্পেইনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হিসেবে রাখা হয়েছে ‘ডিজিটাল হুইল’, যার মাধ্যমে ক্রেতারা সরাসরি নিশ্চিত ডিসকাউন্ট জেতার সুযোগ পাচ্ছেন। কোনো ক্রেতা নিজের পছন্দের পণ্য কেনার পর ইনভয়েস জেনারেট করে মনিটরের পর্দায় থাকা একটি ডিজিটাল হুইল নিজ হাতে ঘোরাতে পারবেন। এই হুইলটিতে ১৬টি আলাদা ডিসকাউন্ট ঘর রয়েছে, যেখানে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ছাড়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। চাকাটি ঘুরে যে পরিমাণ ডিসকাউন্টের ঘরে এসে থামবে, ক্রেতা সেই পরিমাণ অর্থ সঙ্গে সঙ্গে ছাড় পাবেন। অর্থাৎ, এখানে ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে খালি হাতে ফেরার কোনো সুযোগ নেই; প্রতিটি কেনাকাটাতেই ক্রেতা কোনো না কোনো পরিমাণ ছাড় নিশ্চিতভাবে উপভোগ করবেন।
গত ৪০ বছর ধরে সনি-র্যাংগস অত্যন্ত সুনাম ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে বিশ্ববিখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিক্স পণ্য বাংলাদেশের বাজারে সরবরাহ করে আসছে। বছর শেষে এবং নতুন বছরের আনন্দকে ক্রেতাদের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই এই বিশেষ ছাড় ও ফ্রি গিফট ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে। এই রোমাঞ্চকর ‘ডিজিটাল হুইল’ অফারটি আগামী ৩১ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত দেশের সকল সনি-র্যাংগস শোরুমে বলবৎ থাকবে। সেরা মানের পণ্যের নিশ্চয়তার পাশাপাশি এমন নিশ্চিত আর্থিক সাশ্রয়ের সুযোগ ক্রেতাদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আরও আনন্দদায়ক করবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত টিসিবি ভবন মিলনায়তনে গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেডের ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবুর রহমান। দীর্ঘ সময়ের পরিক্রমায় আয়োজিত এই সভায় শেয়ারহোল্ডারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং আগামীর সমৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে চেয়ারম্যানকে সহায়তাদানকারী তিনজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ২০২৪ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী, নিরীক্ষক প্রতিবেদন এবং পরিচালনা পর্ষদের প্রতিবেদন উত্থাপন করা হয়, যা উপস্থিত সবার সম্মতিতে অনুমোদিত হয়। এছাড়া ২০২৫ সালের আর্থিক কার্যক্রম সঠিক ও স্বচ্ছভাবে পরিচালনার জন্য বহিঃনিরীক্ষক নিয়োগ এবং করপোরেট গভর্নেন্স পরিপালন যাচাইয়ের জন্য নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়োগের বিষয়টিও সভায় চূড়ান্ত করা হয়।
উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে শেয়ারহোল্ডাররা ব্যাংকের চলমান ব্যবসায়িক অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তারা ২০২৫ সালে এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংককে দেশের প্রথম সারির একটি শক্তিশালী ইসলামী ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জবাবে চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান শেয়ারহোল্ডারদের গঠনমূলক পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং তাদের আস্থা বজায় রেখে ব্যাংকের আধুনিকায়ন ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। মূলত বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা পূরণ এবং একটি স্বচ্ছ ব্যাংকিং কাঠামো গড়ে তোলাই ছিল এই সাধারণ সভার মূল সুর।