বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫
৫ ভাদ্র ১৪৩২

অনলাইনে লেখালেখি ও সামাজিক দায়িত্ব

ফকির ইলিয়াস
প্রকাশিত
ফকির ইলিয়াস
প্রকাশিত : ১ এপ্রিল, ২০২৪ ১৫:১৪

যারা শব্দ-বাক্য নিয়ে ভাবেন ও কাজ করেন, তাদের সামাজিক একটা দায়িত্ব থাকে। লেখালেখিতে একটা সততা থাকতে হয়। এই সততা লেখককে মেনে চলতে হয়। সোশ্যাল মিডিয়া এই সততাকে খুবই বিতর্কিত করে তুলেছে। একটা ঘটনা বলি- কয়েক দিন আগে, হঠাৎ একজন আমার নাম ধরে ফেসবুকে একটা পোস্ট দিল। তার অভিযোগ আমি তার ফেসবুক পোস্টে কোনো ‘লাইক’ দিই না! আর যায় কোথায়। বেশ কিছু পামর হামলে পড়ল আমার ওপর। অনেকের অভিযোগ- আমি তাদের পোস্টে লাইক দিই না। নানাভাবে আমাকে হেনস্থা করা হলো। পরে আমি মুখ খুললাম।

জবাব সাধারণত আমি দিই না; কিন্তু আমিও তো মানুষ। একতরফা শুনে যাব- তা আর কত সহ্য করা যায়।

আমি যখন প্রতিটি কথার জবাব দিতে থাকলাম তখন দেখলাম, তার পোস্টটি তিনি গায়েব করে দিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি তা ডিলিট করেছেন। এর মধ্যে অনেক কিছু ঘটে গেছে। আমি তাকে বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দিয়েছি। তাকে যারা তালিকা দিয়েছে, তাদের কয়েকজনকেও শায়েস্তা করেছি।

আমি নিজেকে চিনি। আমি একজন ক্ষুদ্র লেখক। আমার লেখালেখির বয়স প্রায় সাড়ে চার দশক। সেই ১৫ বছর বয়স থেকেই লেখালেখি করি। নিউইয়র্কে থাকার সুবাদে আমার প্রচুর দেশি-বিদেশি মিডিয়া পড়া, দেখার সুযোগ হয়। আমি পড়ি। লিখি। পড়ি। যা ভালো লাগে- তা পড়ি।

পড়াশোনা আরোপিত কোনো বিষয় নয়। তাই পড়াশোনায় অনুরোধের ঢেঁকি গেলা বড়

কষ্টের কাজ। আমি সেটা করি না। করতে পারি না।

কিন্তু ফেসবুকে আমাদের সবাইকেই এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। আচ্ছা কে লাইক দিল আর কে দিল না- তা বিবেচনা করে একজন লেখক লিখবেন কেন?

একজন লেখক মূলত লেখক। তিনি গুহায় থেকে লিখছেন- নাকি সমুদ্রের জাহাজে থেকে লিখছেন, সেটা মূল বিবেচ্য বিষয়। মূল বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে, তিনি কী লিখছেন। তার লেখা কতটা সৃজনশীল হচ্ছে। তিনি তার জবানীতে সমসাময়িক কালাকালকে কতটা তুলে আনতে পারছেন। মনে রাখা দরকার, বিদেশে বসে অনেক তথ্য-উপাত্ত-তত্ত্ব পাওয়া সম্ভব। তা স্বদেশে নাও পাওয়া যেতে পারে। আমি কখনো ‘বিদেশে আছি’- সেটা ভেবে লেখালেখি করি না। করা উচিতও নয় মনে করি।

একটা সময় ছিল, বিদেশে বসে যারা লেখেন- তাদের খুব একটা পাত্তা ছিল না বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের মূলধারায়। সেটা যে কাটিয়ে ওঠা গেছে- তা বলা যাবে না। উদাহরণটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দিয়েই দিই। উত্তর আমেরিকায় যারা লেখালেখি করছেন এরা দুইভাগে বিভক্ত। একভাগের লেখা বাংলাদেশ এবং ভারতসহ বিদেশের বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হচ্ছে। আর অন্যভাগ, মূলত উত্তর আমেরিকার বাংলা মিডিয়ানির্ভর।

তাদের নাম-গন্ধও বাংলাদেশে নেই। নেই এ জন্য বলছি, শুধু বই বের করলেই বাংলাদেশে একটা স্থায়ী পরিচিতি পাওয়া কঠিন কাজ। সেই পরিচিতি পেতে হলে মেইন স্ট্রিমের বাংলা মাধ্যমে লিখতে হবে। আর বাংলাদেশই সেই মেইন স্ট্রিম।

প্রতি বছর দুই-চারটে ঢাউস বই লিখে, ছেপে ঘরের কোণে স্তূপাকারে রেখে দিলেই লেখক হওয়া যায় না- যাবে না।

এটা অনেকেই জানেন, উত্তর আমেরিকার ক’জনের লেখা ঢাকা-কলকাতায় ছাপা কিংবা প্রকাশিত হয়। বিদেশে থেকে এরাই কিন্তু বাংলাসাহিত্যের অন্যতম প্রতিনিধি।

একজন সৎ লেখকের অন্যতম কাজ হচ্ছে- পাঠক হওয়া। পড়তে হবে। দশ লাইন লেখার আগে এক হাজার লাইন পড়তে হবে। আমি দেখি, ফেসবুকের লেখকদের অনেকেই পড়েন না। পড়তে ভালোবাসেন না। কেন নয়? তুলনামূলক সাহিত্য না জানলে তো নিজের তুলনা করা সম্ভব হয় না।

একজন লেখকের প্রস্তুতি কিন্তু আজীবন চলে। তিনি কবে কখন তার শ্রেষ্ঠ লেখাটি লিখতে পারবেন- নিজেও জানেন না। তবে হ্যাঁ- যেকোনো নবীন লেখককে দশ বছর পড়াশোনা করে লেখায় নামা দরকার। পর্যবেক্ষণ-নিরীক্ষা আর প্রকাশনা ভিন্ন বিষয়। আগে নিজের ঝোলায় সঞ্চয় করতে হবে। তারপর আসবে বিলিয়ে দেওয়ার পালা।

প্রশ্ন উঠছে মুদ্রণ ও ইবুক নিয়ে। আমি মনে করি মুদ্রিত বইয়ের যৌবন শেষ হয়ে যাবে না। বিশ্বের নামিদামি প্রকাশনা সংস্থাগুলোর আগ্রহ- আমাদের তা জানান দিয়ে যায়। এবারের একুশে বইমেলায় কোটি কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। আমাদের দুর্ভাগ্য হচ্ছে, বিদেশে বাংলা বই আনতে চড়া মূল্যের ওজন চার্জ দিতে হয়। বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে। যাতে কম চার্জে বিদেশে বই পাঠানোকে উৎসাহিত করা যায়। দেশের প্রতিটি স্কুল-কলেজ লাইব্রেরিগুলোতে সরকারি উদ্যোগে বই কিনে দিতে হবে। বিত্তবানরা নিজ নিজ এলাকায় বই উপহার দিতে পারেন, স্কুল-কলেজের লাইব্রেরিতে,পাবলিক লাইব্রেরিতে। পাঠক তৈরি করতে হবে। এ জন্য সবার হাত প্রসারিত করতে হবে।

অনেকেই জানতে চান- মানুষ কি আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে? মানুষ কি ভুলে যাচ্ছে মানবতা? এ ধরনের হুমকি আগেও ছিল। ভাঙনের মধ্য দিয়েই সমাজ এগোয়। ধ্যানী মানুষ সব যুগেই কম ছিল। আপনি লক্ষ্য করবেন, এবারের বইমেলায়ও বেশ কিছু নতুন লেখক-লেখিকা এসেছেন। তারা কিছু পাঠকও নিয়ে এসেছেন সঙ্গে করে। যেমনটি হ‍ুমায়ূন আহমেদ এনেছিলেন। যাদের আপনারা ‘আত্মকেন্দ্রিক’ কিংবা ‘যান্ত্রিক’ বলছেন- তারা মূলত ফেসবুকার লেখক। এরা ‘দৌড়ের উপ্রে’ থেকে লেখক হওয়ার কসরত করেন। ‘লাইকাইলাম’, ‘ফোনাইলাম’ মার্কা কথাবার্তা বলে নতুন ট্রেন্ড তৈরি করতে চান। তা কতটুকু সাহিত্য বিচারে সৃজনশীল- তা পাঠকই ভালো বলতে পারবেন।

এই যে ফেসবুক, এর সামাজিক উপদ্রব কি? সে বিষয়ে কিছু আলোকপাত করা দরকার। একজন সাংবাদিক জানালেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অফিস কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে অতিষ্ঠ হয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্ক তাদের ওয়ার্কিং জোনে ব্লক করছে, করে রাখছে। এবং এটা ভেবে শঙ্কিত হলাম অফিস ফাঁকি দেওয়ার দুর্নাম ভরা দেশে ফেসবুক নামক সোশ্যাল উপদ্রবগুলো সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময় হত্যা করছে। ক্ষতির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

এই উপদ্রব গোটা বিশ্বে এখন একটি বড় সমস্যা। অফিসের কাজে বসে দীর্ঘ সময় মোবাইলে কথা বলা, টেক্সট মেসেজ করা, আইপডে গান শোনা, হেডফোন লাগিয়ে বসে থাকা বিষয়গুলো একটি জটিল সমস্যা হিসেবেই দেখা দিয়েছে। গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা বলার ঝুঁকি কমাতে জেল-জরিমানা করার আইন পাশ্চাত্যে পাস হলেও অফিস টাইমে এই উপদ্রব কমাতে হিমশিম খাচ্ছে পাশ্চাত্যের করপোরেট অফিসগুলো। অনেকে এখন চাকরি দেওয়ার সময়ই নিয়মকানুনের বিধিবিধানে ‘কর্মস্থলে এসব কাজগুলো করা যাবে না’ এ মর্মে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর নিয়ে নেন। কারণ এ উপদ্রবগুলো নানাভাবেই কোম্পানির ক্ষতি করছে।

এর চেয়েও একধাপ এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুক প্রাত্যহিক জীবনকে ধকলপূর্ণ করে তুলছে নানাভাবে। কিছু দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রভাবশালী জাতীয় দৈনিকে এ বিষয়ে কভার স্টোরি ছাপা হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, ফেসবুকের কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে অনেক কোম্পানির বড় কর্মকর্তারা তাদের অনেক চাকরিজীবীকে চাকরিচ্যুত পর্যন্ত করছেন।

দৈনিকটির সমীক্ষায় দেখা গেছে, ফেসবুক, টুইটার, মাইস্পেস প্রভৃতি সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কোম্পানির বড় কর্তারা সহজেই তাদের অ্যামপ্লয়িদের ট্র্যাক করতে পারেন। তারা জেনে নেন তাদের প্রাত্যহিক জীবনপ্রণালি সম্পর্কে।

এখানে একটি উদাহরণ দেওয়া যাক- একটি বহুজাতিক রিটেল কোম্পানির একজন এরিয়া সেলস ম্যানেজার উইকএন্ডে (শনি ও রোববার) সিক কল (শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে কাজে বিরত থাকা) করেন। অথচ তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ সুস্থ। শনি ও রোববার দুই দিনই ব্যস্ত ছিলেন আমোদ-ফুর্তির পার্টি নিয়ে। তার এই এনজয়মেন্টের কথা তিনি ফেসবুকে ছবিসহ আপডেট করেন। ফেসবুকে বন্ধু তালিকায় তার কোম্পানির হিউম্যান রিসোর্স ডিরেক্টরও যুক্ত ছিলেন। ফলে ওই এরিয়া সেলস ম্যানেজারের ফেসবুক আপডেট বিষয়টি ছবিসহ হিউম্যান রিসোর্স ডিরেক্টরের নজরে পড়ে। সপ্তাহান্ত কাটিয়ে সোমবার কর্মক্ষেত্রে ফেরার পরই এরিয়া সেলস ম্যানেজারের কাছে তার দুই দিন অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাওয়া হয়। তিনি অসুস্থতার অজুহাত দেখালেও তা ধোপে টেকেনি। তাকে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, রুটিন মাফিক কাজে না আসায় এবং মিথ্যা অজুহাত দেখানোয় তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বার্ষিক প্রায় ৮০ হাজার ইউএস ডলারের চাকরিটি তাকে খোয়াতে হয় এই ফেসবুকের কারণেই।

ফেসবুক, টুইটার নিয়ে কালো মেঘের ঘনঘটা আরও আছে। কাউকে চাকরি দেওয়ার আগে কোম্পানিগুলো জেনে নিচ্ছে, তার বন্ধু-বান্ধব কে বা কারা তার ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ, মনমানসিকতা সামাজিক কর্মকাণ্ডের পরিধি সম্পর্কে। ফেসবুক বা অন্যকোনো সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ওয়েবসাইটে কটূক্তি, গালাগালা, নগ্ন কথাবার্তা, হীনমানসিকতার বহির্প্রকাশের মূল্যায়ন হচ্ছে চাকরি পাওয়ার কিংবা চাকরি হারানোর ক্ষেত্রে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়ার্ক রাইটস ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট লুইস মাল্টবি বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন আমরা আমেরিকায় আছি। আমাদের যা ইচ্ছে তাই কথা বলার স্বাধীনতা রয়েছে; কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন- সরকারের সঙ্গে কথা বলতে ‘ফ্রিডম অব স্পিচ’-এর দোহাই দেওয়া গেলেও প্রাইভেট সেক্টরে তা প্রায় অসম্ভব।’ কারণ প্রাইভেট মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো নিজেদের স্বার্থের ব্যাপারে খুবই কঠিন হস্ত।

সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখির সুবিধা-অসুবিধা দুটোই আমাদের ভাবাচ্ছে। হলি আর্টিজানের জঙ্গি হামলা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল এই ইন্টারনেটের বদৌলতে। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ীতে ‘অপারেশন টুয়াইলাইট’ আমরা দেখেছি নিউইয়র্কে বসে।

আসছে, বাংলাদেশে এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের অপব্যবহারের কথা। অবৈধভাবে ছবি তুলে, বিনা অনুমতিতে কথাবার্তা রেকর্ড করে তা ইউটিউবে দিয়ে দেওয়ার মতো জঘন্য সামাজিক অপরাধ আজকালের সমাজে অনেক ঘটছে। শোবিজের হীন ন্যক্কারজনক অনেক ঘটনা ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে অনেকের ব্যক্তিগত জীবন। এমনকি প্রেমিক-প্রেমিকাও নগ্ন স্বার্থপরতায় অন্ধ হয়ে একে-অন্যকে চরম হেয়প্রতিপন্ন করার প্রতিযোগিতায় নামছে। এর সবই মানবিক অবক্ষয়ের নিকৃষ্ট নমুনা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মানুষকে আলোর পাশাপাশি ঘন অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত করছে।

এমন অনেক বিক্ষিপ্ত বিষয়ের সাথী হয়ে এগোচ্ছে আমাদের সমাজ। এই সমাজ থেকে, এই পথচলা থেকে ভালো দিকগুলোকে আমাদের অনুসরণ করতে হবে। বর্জন করতে হবে সকল অশুভকে। তা না হলে মানুষের জ্ঞানের সড়কে বারবারই হানা দেবে শকুন। আর এর দায় নিতে হবে সবাইকেই।

লেখক: কবি, প্রাবন্ধিক, কলাম লেখক। ‘আমেরিকা ইমেজ প্রেস’-এর সদস্য


বিইউবিটিতে ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ২০২ শিক্ষার্থী

আপডেটেড ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ২৩:৩৬
করপোরেট ডেস্ক

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজিতে (বিইউবিটি) আনুষ্ঠানিকভাবে ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ২০২ মেধাবী শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদের ওইসব শিক্ষার্থীদের সফলতার জন্য অনুপ্রাণিত করা হয়। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে ডিনস অ্যাওয়ার্ড সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠান শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন মো. ইমারুল হক জোয়ার্দ্দার।

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা যে অধ্যবসায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে পড়াশোনা করছেন, তার স্বীকৃতি আজ এই ডিনস অ্যাওয়ার্ড। আশা করি এটি আপনাদের আরো উচ্চ লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রেরণা জোগাবে।’

অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টের সম্মানিত চেয়ারম্যান আহমেদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘একাডেমিক স্বীকৃতি শুধু অর্জনের আনন্দ নয়, বরং এটি আপনাদেরকে আরো কঠোর পরিশ্রম এবং নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর প্রেরণা দেবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ বি এম শওকত আলী। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এই সাফল্য প্রমাণ করে যে অধ্যবসায় ও সততা প্রতিশ্রুতির সঙ্গে মিলিত হলে যে কোনো লক্ষ্য অর্জন সম্ভব। ডিনস অ্যাওয়ার্ড একটি মূল্যবান স্বীকৃতি, যা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক যাত্রাকে আরো সমৃদ্ধ করবে।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টা প্রফেসর মো. আবু সালেহ।


আইসিবির ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির ১০৬তম সভা গতকাল সোমবার করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির ১০৫তম সভার সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন অগ্রগতি এবং ২০২৪-২০২৫ অর্থবছর এবং ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জন নিয়ে আলোচনা করা হয়।

ওই সভায় আইসিবির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নূরুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও আইসিবির মহাব্যবস্থাপকরা, সাবসিডিয়ারি কোম্পানিসমূহের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা, প্রধান কার্যালয় ও স্থানীয় কার্যালয়ের সকল উপমহাব্যবস্থাপক/সিস্টেম ম্যানেজার, সহকারী মহাব্যবস্থাপক/সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট, বিভাগীয় প্রধান ও সাবসিডিয়ারি কোম্পানিসমূহের অতিরিক্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপ-প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর পাশাপাশি শাখা অফিসসমূহের শাখা প্রধানরা অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন।


ওয়ালটন প্লাজার কিস্তি সুরক্ষা কার্ডধারী ৮ শতাধিক পরিবারকে ২ কোটি টাকার বেশি আর্থিক সহায়তা প্রদান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

দেশব্যাপী আট শতাধিক কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা কার্ডধারী পরিবারকে দুই কোটি টাকারও বেশি আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে দেশের সর্ববৃহৎ ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্য বিক্রয় এবং সেবা প্রদানকারি প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ালটন প্লাজা’। আর্থিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি সুরক্ষা কার্ডধারী মৃত গ্রাহকের পরিবারদের সমুদয় বকেয়া কিস্তির টাকাও মওকুফ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। মওকুফকৃত বকেয়া কিস্তির পরিমাণও প্রায় দুই কোটি টাকা।

ওয়ালটন প্লাজার ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতির’ আওতায় সুরক্ষা কার্ডধারী গ্রাহকের পরিবারকে এই আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারী গ্রাহকদের জন্য এই সুরক্ষানীতি চালু করে ওয়ালটন প্লাজা কর্তৃপক্ষ। এই সুরক্ষা নীতির আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারীদের কিস্তি সুরক্ষা কার্ড প্রদান করা হয়। ক্রয়কৃত পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও সুরক্ষা কার্ডধারীর মৃত্যুকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট পণ্যের অনাদায়ী কিস্তির টাকাও মওকুফ করে দিচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশব্যাপী গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটন প্লাজার কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষানীতি।

ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান বলেন, শুধু মুনাফা অর্জনই ওয়ালটন প্লাজার লক্ষ্য নয়। ক্রেতাদের কারণেই ওয়ালটন আজ দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড। তাই ক্রেতাদের প্রতি আমাদের অনেক কর্তব্য রয়েছে। তাদেরকে উচ্চমানের পণ্য ও সঠিক সেবা দেয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ওয়ালটন পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা আরো বৃদ্ধি, গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন, প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করার লক্ষ্যেই ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি’ চালু করা হয়। এর আওতায় কোনো কিস্তি সুরক্ষা কার্ডধারী মৃত্যুবরণ করলে দাফনের জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজা থেকে তৎক্ষনাৎ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও পণ্য মূল্যের ভিত্তিতে পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি সমুদয় বকেয়া কিস্তির টাকা মওকুফ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশব্যাপী আট শতাধিক কিস্তি সুরক্ষা কার্ডধারীর পরিবারকে দুই কোটি টাকারও বেশি আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছি। এছাড়াও আর্থিক সহায়তা গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছে আরো বেশ কিছু পরিবার।

তিনি জানান, শুধু আর্থিক সহায়তাই প্রদান করা হচ্ছে না; মৃত সুরক্ষা কার্ডধারী পরিবারের যোগ্যতাসম্পন্ন সদস্যের জন্য ওয়ালটনের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিশ্বে একমাত্র ওয়ালটনই কিস্তিতে পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের এমন সুরক্ষা ও সুবিধা প্রদান করছে। এই মহৎ উদ্যোগের ফলে একদিকে ওয়ালটন প্লাজার সুনাম ও ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হচ্ছে। অন্যদিকে সাধারণ গ্রাহক পরিবারগুলোও উপকৃত হচ্ছেন।

উল্লেখ্য, কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা কার্ডধারীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি দেশের স্বনামধন্য হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জীবন বীমা, রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ সেবা ও মূল্যছাড়সহ বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা করেছে ওয়ালটন প্লাজা। কিস্তি ক্রেতারা যেন জীবদ্দশাতেই খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন খাতে বিশেষ সুবিধা পান সেজন্যেই এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে। যা চলমান থাকবে এবং এর আওতা পর্যায়ক্রমে আরও বৃদ্ধি করা হবে বলে জানায় ওয়ালটন প্লাজা কর্তৃপক্ষ।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরিয়ান সাংস্কৃতিক দিবস উদযাপিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

বাংলাদেশ এবং কোরিয়ার সাংস্কৃতিক বন্ধন আরও জোরদার করার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল ১৭ রোববার ‘কোরিয়ান সাংস্কৃতিক দিবস’ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ চত্বরে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্গানাইজেশন স্ট্র্যাটেজি এন্ড লিডারশিপ বিভাগ, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট এবং কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) বাংলাদেশ যৌথভাবে এই দিবস উদযাপন করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্গানাইজেশন স্ট্র্যাটেজি এন্ড লিডারশিপ বিভাগের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত কোইকার কান্ট্রি ডিরেক্টর তাইয়ং কিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবছার কামাল এবং কোইকা বাংলাদেশ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মোছা. নাসিমা বেগম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এ ধরনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে উভয় দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিনিময়ের ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারিত হবে। তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।

এই দিবস উপলক্ষে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ চত্বরে বিভিন্ন স্টল স্থাপন করা হয়। এসব স্টলে কোরিয়ান পোশাক, খাদ্য, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়।


জনতা ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কর্তৃক প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজ ঢাকা ২৫ কর্মদিবসব্যাপী ফাউন্ডেশন কোর্স ফর অফিসার্স (ব্যাচ ০৯/২৫) শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স আয়োজন করেছে। গতকাল রোববার ওই কোর্সের উদ্বোধন করেন জনতা ব্যাংক পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. মজিবর রহমান।

এ প্রশিক্ষণ কোর্সে ব্যাংকের ৫০ জন অফিসার অংশগ্রহণ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজের ডিজিএম-স্টাফ কলেজ ইনচার্জসহ অন্যান্য নির্বাহী ও অনুষদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


ফিলপস প্রদর্শন করল ডিজিটাল ব্যাংকিং উদ্ভাবন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক ফিনটেক প্রতিষ্ঠান ফিলপস লিমিটেড ঢাকায় আয়োজন করলো ব্যাংকার্স মিট-২০২৫। দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নেতারা এবং জ্যেষ্ঠ নির্বাহীদের একত্রিত করে এই অনুষ্ঠানে ভবিষ্যৎমুখী ডিজিটাল ব্যাংকিং নিয়ে আলোচনা, সহযোগিতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় হয়।

সিটি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ও এবি ব্যাংক-এর সহযোগিতায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের পরবর্তী ধাপের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্ভাবন ও কৌশলগত অংশীদারিত্বের দিকগুলো তুলে ধরা হয়।

ফিলপস প্রদর্শন করে তাদের সর্বশেষ প্রযুক্তি সমাধান- যার মধ্যে ছিল ডিজিটাল ঋণ প্রদানের প্ল্যাটফর্ম ও ডিজিটাল কাস্টমার অনবোর্ডিং সলিউশন- যা গ্রাহককেন্দ্রিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা নির্দেশ করে।

ফিলপসের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার তুষার হাসান বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গভীর ও দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক তৈরি করা এবং তাদের কৌশলগত লক্ষ্যের সঙ্গে আমাদের সমাধানকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা।

অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল বিশ্ববিখ্যাত ফিউচারিস্ট, আন্তর্জাতিক বেস্টসেলিং লেখক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ব্রেট কিং-এর কী-নোট বক্তব্য। তিনি দেখান কিভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং অন্যান্য উদীয়মান প্রযুক্তি বৈশ্বিক আর্থিক খাতকে বদলে দিচ্ছে এবং ঐতিহ্যবাহী ব্যাংক ও ডিজিটাল-প্রথম ফিনটেকের মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়ে তুলছে। কিং বলেন, বাংলাদেশ এখনই লিগ্যাসি সিস্টেম ছেড়ে “ভবিষ্যতের ব্যাংক” মডেলে যেতে পারে। তিনি টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ুবিষয়ক ভূমিকার গুরুত্বও তুলে ধরেন এবং Bank 5.0 ধারণা উপস্থাপন করেন, যেখানে ডিজিটাল অবকাঠামো, রিয়েল-টাইম গ্রাহক সংযোগ এবং গ্রাহককেন্দ্রিক উদ্ভাবন প্রতিযোগিতার মূল চালিকাশক্তি হবে।

অনুষ্ঠানে ফিলপস সিটি ব্যাংক ও এবি ব্যাংক-এর সাথে নতুন অংশীদারিত্বের ঘোষণা দেয়। সিটি ব্যাংকের জন্য এই সহযোগিতায় তাদের ফ্ল্যাগশিপ সিটি টাচ ডিজিটাল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম সম্পূর্ণভাবে পুনর্গঠন করা হবে, যাতে আরও স্মার্ট ও নিরবচ্ছিন্ন গ্রাহক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত হয়। অন্যদিকে এবি ব্যাংকের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে চালু হবে ডিজিটাল ন্যানো লোন সুবিধা।

কী-নোট শেষে, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেড (ABB)-এর চেয়ারম্যান মাসরুর আরেফিন বলেন, আমরা ফিলপসের প্রতি কৃতজ্ঞ, তারা এমন এক সময়ে ব্রেট কিং-কে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে যখন আমাদের খাত বড় পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে। ব্যাংকার্স মিট ২০২৫-এর আলোচনা প্রযুক্তিনির্ভর উদ্ভাবন ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জরুরিতা আরও স্পষ্ট করেছে।

অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে ফিলপসের সিইও বিশ্বাস ধাকাল বলেন, ফিলপস উদীয়মান বাজারে বছরের পর বছর সফলতার মাধ্যমে অর্জিত প্রযুক্তি ও পরিচালন দক্ষতার সমন্বয়ে বাংলাদেশে এসেছে। আমরা দীর্ঘমেয়াদে এখানে থাকতে চাই এবং ব্যাংক, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও শিল্পের অংশীদারদের সঙ্গে একযোগে কাজ করে ডিজিটাল রূপান্তর ও গ্রাহক-প্রথম উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করব।


বিকাশের সঙ্গে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ২৪/৭ অটোমেটেড ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সেবা চুক্তি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি এবং বিকাশ লিমিটেডের মধ্যে সম্প্রতি ২৪/৭ অটোমেটেড ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সভা কক্ষে গত বৃহস্পতিবার আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউল হাসান এবং বিকাশ লিমিটেড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর। এই চুক্তির মাধ্যমে মার্কেন্টাইল ব্যাংক তার অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধা এবং কার্ড সার্ভিস এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত বিকাশ লিমিটেড এর দেশজুড়ে এজেন্ট, ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটরদের মার্কেন্টাইল ব্যাংকে একাউন্ট খোলা সাপেক্ষে ২৪/৭ অটোমেটেড ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সেবা দেবে।

ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকির হোসাইন, শামীম আহম্মদ, অসীম কুমার সাহা ও ড. মো. জাহিদ হোসেন; এসইভিপি শাহ মো. সোহেল খুরশীদ ও মোহাম্মদ ইকবাল রেজওয়ান, হেড অব এমআইএস ডিভিশন আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ হারুন, হেড অব উত্তরা ব্রাঞ্চ মুহাম্মদ আমীর হোসেন সরকার, হেড অব গুলশান ব্রাঞ্চ ফরিদ আহমেদ, সিটিও মোহাম্মদ মাহমুদ হাসান, হেড অব আইএমএলডি তপন জেমস রোজারিও এবং বিকাশ লিমিটেডের সিএফও মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর ও সিসিও আলী আহম্মেদ সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সব ম্যাচ সরাসরি দেখা যাবে বাংলালিংকের টফিতে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২৫-২৬ মৌসুমের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের (ইপিএল) সবগুলো ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করবে দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল বিনোদন প্ল্যাটফর্ম টফি। বাংলালিংকের ডিজিটাল পোর্টফোলিওর অংশ এ প্ল্যাটফর্মটি শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাত থেকে শুরু হওয়া ইপিএল -এর ৩৮০টি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচারের ডিজিটাল স্বত্ব কিনে নিয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবল লিগের রোমাঞ্চ এখন সরাসরি নিজেদের মোবাইল ও ডিজিটাল ডিভাইসে উপভোগ করবেন বাংলাদেশের দর্শকেরা। ফুটবলপ্রেমীদের অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করবে টফির এ উদ্যোগ।

বাংলাদেশি ডেভেলপারদের তৈরি টফি দেশে উদ্ভাবনের অনন্য উদাহরণ। এ অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা যেকোন সময়, যেকোন জায়গা থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে বিনোদনমূলক কনটেন্ট উপভোগ করতে পারেন। ঘরে বসেই হোক, চলার পথে কিংবা দেশের প্রত্যন্ত কোন জায়গা থেকে, টফিতে নিরবচ্ছিন্ন উপভোগ করা যাবে মানসম্পন্ন স্ট্রিমিং অভিজ্ঞতা।

এ বিষয়ে বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী ইওহান বুসে বলেন, “ফুটবল খেলার চেয়েও বেশি কিছু। ফুটবল মানেই আবেগ, যা কোটি বাংলাদেশিকে এক করে দেয়। টফিতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সব ম্যাচ সরাসরি দেখানোর মাধ্যমে আমরা দর্শকদের জন্য শুধুমাত্র বিশ্বমানের ডিজিটাল অভিজ্ঞতাই নিশ্চিত করছি না, পাশাপাশি খেলাধুলা ও বিনোদন উপভোগের ধরন বদলে দিয়ে বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরেও অবদান রাখছি। টফির মাধ্যমে কোটি মানুষ একটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন খেলা এবং চমৎকার সব বিনোদন ও শিক্ষামূলক কনটেন্ট উপভোগ করতে পারছেন; যা আরও কানেক্টেড ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখছে এবং দেশকে দ্রুত ডিজিটাল ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।”

অত্যাধুনিক স্ট্রিমিং প্রযুক্তি থাকার ফলে টফিতে একসাথে একাধিক ম্যাচ সম্প্রচারিত হয়, যে কারণে দর্শকেরা রিয়েল-টাইমে তাদের পছন্দের দল ও খেলোয়াড়দের খেলা দেখতে পারেন। লাইভ স্ট্রিমিং -এ টফির এ সুবিধা দেশে ফুটবলপ্রেমীদের অভিজ্ঞতা যেমন সমৃদ্ধ করছে, তেমনি স্পোর্টস লাইভ স্ট্রিমিং -এর ক্ষেত্রেও নতুন মানদণ্ড তৈরি করেছে।

খেলার বাইরেও টফিতে বিনোদন ও শিক্ষামূলক এবং জ্ঞানভিত্তিক কনটেন্টের সংখ্যা বাড়ছে, প্ল্যাটফর্মটি আরও সচেতন ও কানেক্টেড সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখছে। এক প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট থাকার ফলে টফির মাধ্যমে কোটি মানুষ তাদের পছন্দের অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারছেন, নতুন বিষয় সম্পর্কে জেনে নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে পারছেন এবং বিশ্বজুড়ে ঘটা সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সম্পর্কেও জানতে পারছেন।

ইপিএল -এর ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে টফি দেশে বিনোদনের প্রধান প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করেছে। টফি অ্যাপের মাধ্যমেই ইপিএল -এর সব ম্যাচ উপভোগে টফি ডাউনলোড করুন গুগল প্লে­ স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে।

টফি:

টফি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিজিটাল বিনোদন প্ল্যাটফর্ম, যা লাইভ টিভি, অন-ডিমান্ড কন্টেন্ট, মৌলিক অনুষ্ঠান এবং বাংলায় ডাব করা এক্সক্লুসিভ আন্তর্জাতিক সিরিজ সরবরাহ করে। বাংলালিংকের একটি পণ্য হিসেবে টফি লাখ লাখ দর্শকের বিনোদনের অভিজ্ঞতাকে বদলে দিতে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে।

এসআরকে গ্রুপ:

এসআরকে গ্রুপ একটি বিশিষ্ট বিনোদন ও মিডিয়া কোম্পানি, যার দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে কন্টেন্ট অধিগ্রহণ, ডাবিং এবং বিতরণের একটি সমৃদ্ধ পোর্টফোলিও রয়েছে। জনপ্রিয় বৈশ্বিক সিরিজগুলোকে স্থানীয় ভাষায় ডাব করার মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক গল্পগুলোকে আঞ্চলিক দর্শকদের আরও কাছে নিয়ে এসেছে।

বাংলালিংক সম্পর্কে:

বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক দেশের মানুষের ক্ষমতায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ‘ডিজিটাল ফর অল’ লক্ষ্য নিয়ে গ্রাহকদের জন্য বিস্তৃত পরিসরে ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলালিংকের সেবার পোর্টফোলিওতে রয়েছে: টেলকো-অ্যাগনোস্টিক সুপার অ্যাপ মাইবিএল, বিনোদন প্ল্যাটফর্ম টফি ও দেশের প্রথম এআই-নির্ভর ডিজিটাল লাইফস্টাইল প্যাকেজ রাইজ। নাসডাকের তালিকাভুক্ত বৈশ্বিক ডিজিটাল অপারেটর ভিওন লিমিটেডের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক উদ্ভাবন ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ আগামী নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


‘রয়্যাল এনফিল্ড রাইডআউট’ – গ্লোবাল রাইডিং ঐতিহ্যের নতুন যাত্রা বাংলাদেশে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত ১৬ আগস্ট ২০২৫-এ ঢাকায় বিশ্বের অন্যতম আইকনিক মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড রয়্যাল এনফিল্ড প্রথমবারের মতো গ্লোবাল কমিউনিটি রাইডের ঐতিহ্য নিয়ে আয়োজন করল “রয়্যাল এনফিল্ড রাইডআউট”। এ উদ্বোধনী যাত্রায় অংশ নেন ১৪০ জনেরও বেশি রাইডার, যার মাধ্যমে বাংলাদেশি বাইকারদের জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো।

রাইডটি শুরু হয় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত রয়্যাল এনফিল্ডের আইকনিক ফ্ল্যাগশিপ শোরুম থেকে, আর সমাপ্তি হয় পূবাচলের ছুটি রিসোর্টে, যেখানে তারা রয়্যাল এনফিল্ড রাইডার কমিউনিটির সাথে দিনটি আনন্দে কাটান। “পিওর মোটরসাইক্লিং” এই শ্লোগানে রাইডাররা রয়্যাল এনফিল্ডের প্রতি তাঁদের ভালোবাসা ও আবেগ ভাগাভাগি করেন। এক সরল আনন্দে রাইডার, মোটরসাইকেল এবং রাস্তা মিলিয়ে মুহূর্তগুলো হয়ে উঠেছিল আনন্দঘন।

এই গ্রুপ রাইডের মাধ্যমে অতিরিক্ত গতিতে বাইক না চালানো এবং সেফটি গিয়ার ব্যবহার করে রাইড করার উপর গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছিল। নিরাপদে রাইড করার মধ্যেও আনন্দ আছে – এটাই ছিল সবার বার্তা। রয়্যাল এনফিল্ড পরিকল্পনা করেছে, আগামীতেও বাংলাদেশে প্রতিমাসে সারা দেশের রয়্যাল এনফিল্ড বাইকারদের নিয়ে এমন গ্রুপ রাইডের আয়োজন করবে, যাতে সবাই একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকতে পারে এবং বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বের রয়্যাল এনফিল্ড কমিউনিটির সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে। এই রাইডগুলো হবে রাইডারের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে - কিছু হবে ছোট রাইড, কিছু হবে দীর্ঘ ও রাতভর রাইড, এমনকি কিছু রাইড দেশের বাইরেও হতে পারে।

বিশ্বব্যাপী সহনশীলতা রাইডের জন্য খ্যাত রয়্যাল এনফিল্ড ‘হিমালয়ান ওডিসি’-র মাধ্যমে সারা বিশ্বের রাইডারদের হিমালয় যাত্রায় নিয়ে যায়। এছাড়া বিশ্বের সর্বোচ্চ মোটরেবল পাস উমলিং লা জয় করার প্রথম ব্র্যান্ড হিসেবেও রয়্যাল এনফিল্ডের সাফল্য রয়েছে। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত রয়্যাল এনফিল্ড রাইডআউট সেই বৈশ্বিক ঐতিহ্যেরই ধারাবাহিকতা, যা রাইডারদের জন্য মহাকাব্যিক রাইড অভিজ্ঞতা তৈরি করে এবং ক্রমবর্ধমান কমিউনিটির মাঝে ‘পিওর মোটরসাইক্লিং ফান’-এর প্রতি ভালোবাসা ছড়িয়ে দেয়।

উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী মোটরসাইকেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রয়্যাল এনফিল্ড ১৯০১ সালে ইংল্যান্ডের রেডিচে যাত্রা শুরু করে। মোটরসাইকেল নির্মাণে ১২৪ বছরের এই ঐতিহ্য নিয়ে রয়্যাল এনফিল্ড বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে ইফাদ গ্রুপের সাথে যৌথ অংশীদারিত্বে, ২০২৪ সালে রাজধানী ঢাকায় ফ্ল্যাগশিপ শোরুম ও উৎপাদন কারখানা উদ্বোধনের মাধ্যমে।


বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের পাশে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

রাজধানীর উত্তরায় দিয়াবাড়িতে প্রশিক্ষণরত যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে শিক্ষার্থীসহ ৩৩ জন নিহতের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ।

বুধবার মাইলস্টোনের প্রতিষ্ঠাতা কর্নেল (অব.) নুরন নবী ও অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম এক বিবৃতিতে নিহতদের প্রতি গভীর শোক ও পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

একই সঙ্গে তারা উদ্ধারকাজে সংশ্লিষ্ট বাহিনী ও গণমাধ্যমকর্মীদের ধন্যবাদ জানান।

গত ২১ জুলাই দুপুরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ডিয়াবাড়ি ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়। এ দুর্ঘটনায় ২৭ শিক্ষার্থী, ২ শিক্ষক, ৩ অভিভাবক ও ১ আয়া প্রাণ হারান। আহত ৩৪ জন চিকিৎসাধীন।

৬ আগস্ট কলেজ এবং ১১ আগস্ট স্কুল শাখায় পাঠদান শুরু হয়েছে। চালু আছে নিয়মিত কাউন্সেলিং কার্যক্রম। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের শিক্ষার্থীদের নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছে।

১১ আগস্ট শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওই দিন মাইলস্টোন প্রতিনিধিরা সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তার আহ্বান জানান।

১২ আগস্ট মানববন্ধন করেন নিহতদের স্বজনরা। তাদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছে মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ। এ সময় ‘ভুয়া চিঠি’ ইস্যুতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, সেটি তাদের প্যাডে নয় এবং কর্তৃপক্ষের কোনো স্বাক্ষরও নেই।

মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্যাম্পাস নিরাপদ এবং যথাযথ অনুমোদন নিয়ে ভবন নির্মিত হয়েছে। গুজব ও অপপ্রচারে কান না দিতে সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।


মোমো কিস্তিতে ক্রেডিট কার্ড ছাড়াই ভিভো ওয়াই৪০০

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

ক্রেডিট কার্ডের কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই, সহজেই মোমো কিস্তিতে ভিভো ওয়াই৪০০ কেনার সুযোগ দিচ্ছে গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা ব্র্যান্ড ভিভো । ৩ থেকে ৬ মাস মেয়াদি এই কিস্তিতে ফোনের ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ইএমআই সুবিধায় ক্রেতারা সহজেই ফোনটি কিনতে পারবেন। সাশ্রয়ী কিস্তি এবং আধুনিক ফিচারের সমন্বয়ে ভিভো ওয়াই৪০০ হাতে পাওয়া এখন আরও সহজ।

৬০০০ এমএএইচ ব্লুভোল্ট ব্যাটারির কারণে ভিভো ওয়াই৪০০ সারাদিনের পাওয়ার ব্যাকআপ দেবে নিশ্চিন্তে। ৪৪ ওয়াট ফ্ল্যাশচার্জে দ্রুত চার্জ হয়ে যাবে, আর একবার চার্জে টানা ৬১ ঘণ্টা পর্যন্ত গান শোনা যাবে। দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি প্রযুক্তির ফলে ৪ বছর পরও ব্যাটারির ক্ষমতা থাকবে প্রায় ৮০% অক্ষত।

আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি স্পেশালিস্ট ভিভো ওয়াই৪০০ এ থাকছে আইপি৬৮ ও আইপি৬৯ রেটিংস। ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে দুটি ভিন্ন স্টোরেজ অপশনে। যার, ৮ জিবি র্যামের সাথে ১২৮ জিবি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টের দাম ২৭,৯৯৯ টাকা এবং ২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টের দাম ২৯,৯৯৯ টাকা। সাথে থাকছে ৮ জিবি র্যাম এক্সটেন্ড করার অপশন। ফোনটিতে ফান টাচ ওএস১৫ ভার্সন থাকায় ৫০ মাস পর্যন্ত নিশ্চিত করবে স্মুথ এক্সপেরিয়েন্স। তাই, যেকোনো অ্যাপ চালানো কিংবা ফাইল সংরক্ষণ করা যায় খুব সহজেই। ভিভোর ওয়াই সিরিজের নতুন এই ফ্ল্যাগশিপ ফোনে প্রসেসর হিসেবে আছে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫। যা, দৈনন্দিন কাজ থেকে শুরু করে বিনোদনের সব চাহিদা পূরণে সক্ষম।

স্লিক ডিজাইন আর ইউনিক ফিনিশে ভিভো ওয়াই৪০০ দিচ্ছে আরও প্রিমিয়াম ফিল। মাত্র ৭.৯ মিমি পাতলা ফ্ল্যাট-ফ্রেম ইউনিবডি ডিজাইন ফোনটিকে দিয়েছে স্লিক একটি লুক। ইউনিক কুশন-কাট ডায়মন্ড ক্যামেরা ফোনটির লুকে যোগ করেছে এক্সট্রা কমপ্লিমেন্ট। ডাইনামিক গ্রিন ও পার্ল হোয়াইট দুটি ভিন্ন এবং ইউনিক কালার অপশনে পাওয়া যাচ্ছে ফোনটি। বিশেষ করে ডাইনামিক গ্রিন কালারটি আলোর নিচে ঝলমল করে নানা শেডে, যা ফোনটিকে দেয় একটি স্টাইলিশ গ্ল্যামার। আর পার্ল হোয়াইট কালার ফুটিয়ে তোলে এলিগেন্সকে।

এছাড়াও, আল্ট্রা স্লিম বেজেল এর ৬.৬৭ ইঞ্চির ডিসপ্লে ফোনটিকে দেয় একটি প্রিমিয়াম ফিনিশ। ৯১.৯% স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও এবং ১৮০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস থাকায় আরও ব্রাইট ও ক্লিয়ার ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্সে সবাইকে মুগ্ধ করছে। এসজিএস ব্লু লাইট সার্টিফিকেশন থাকায় দীর্ঘসময় স্ক্রিন ব্যবহার করলেও চোখে অস্বস্তি হয় না।

আধুনিক মিনিমালিস্টিক ডিজাইন ও দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ভিভো ওয়াই৪০০ ব্যবহারকারীর জন্য দিচ্ছে এক পূর্ণাঙ্গ অভিজ্ঞতা। আর সহজ ও সাশ্রয়ী মোমো কিস্তির সুবিধা থাকায় ফোনটি কেনা এখন আরও সহজ।


ম্যাগনোলিয়া প্রোপার্টিজের নতুন লোগো উন্মোচন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

আবাসন খাতে নির্ভরযোগ্য নাম ম্যাগনোলিয়া প্রপার্টিজ লিমিটেড রাজধানী ঢাকায় এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তাদের নতুন লোগো উন্মোচন করেছে। এতে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ রিয়েল এস্টেট খাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।

নতুন লোগোটি কেবল একটি চিত্র নয়, এটি প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি ও ব্র্যান্ড পরিচয়ের প্রতিফলন। গত কয়েক বছরে একাধিক সফল প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং গ্রাহকদের আস্থার জায়গা হয়ে ওঠার ধারাবাহিকতায় সময়োপযোগী এক আধুনিক ব্র্যান্ড রূপ প্রয়োজন ছিল, যার ফলাফল এই রিব্র্যান্ডিং।

অনুষ্ঠানে ম্যাগনোলিয়া প্রপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিপু সুলতান বলেন, ‘একটি অ্যাপার্টমেন্ট শুধু বসবাসের জায়গা নয়, এটি আমাদের স্বস্তি ও প্রশান্তির জায়গা। আমরা চাই প্রতিটি গ্রাহক যেন আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও উন্নত নির্মাণের মাধ্যমে একটি পরিপূর্ণ ঠিকানা খুঁজে পান।’

যারা ঢাকায় হাই ভ্যালু অ্যাপার্টমেন্ট খুঁজছে তাদের জন্য একটি আদর্শ নাম ম্যাগনোলিয়া প্রোপারটিস। বর্তমানে ম্যাগনোলিয়ার বেশ কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর মধ্যে জলসিঁড়ি আবাসন, উত্তরা এবং আফতাব নগরের আধুনিক অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এসব প্রকল্পে নাগরিক জীবনের প্রয়োজনীয় সব আধুনিক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।

ভবিষ্যতের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যেমন: ধানমন্ডি, মিরপুর সহ সাভারে, নতুন এপার্টমেন্ট প্রকল্প তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশাপাশি, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরও আধুনিক, টেকসই ও হাই ভ্যালু অ্যাপার্টমেন্ট ডিজাইন নিয়ে কাজ করছে ম্যাগনোলিয়া প্রোপার্টিজ।

নতুন লোগোর মাধ্যমে ম্যাগনোলিয়া প্রোপার্টিজ আবারও জানিয়ে দিয়েছে তাদের প্রতিশ্রুতি—আস্থা, গুণমান ও স্বপ্ন পূরণের নির্ভরযোগ্য নাম হয়ে প্রতিটি গ্রাহককে উপহার দিতে চায় একটি পরিপূর্ণ আবাসন।


ন্যাশনাল ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

ন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসির ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা পরিচালক আবদুল আউয়াল মিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মুখলেসুর রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আব্দুস সাত্তার সরকার, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. জুলকার নায়েন, স্বতন্ত্র পরিচালক অধ্যাপক ড. মেলিতা মেহজাবিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদিল চৌধুরী, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা পরিচালক আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘ন্যাশনাল ব্যাংকে অতীতে অনেক কিছুই হয়েছে, তবে আগামীতে এই ব্যাংকে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সবাই আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে ব্যাংকটির সুনাম ও অবস্থানকে পুনরুদ্ধার করতে।’

এ ছাড়া আগামী বছরের মধ্যে ব্যাংকের সার্বিক অবস্থা বর্তমান থেকে ভালো হবে বলে শেয়ারহোল্ডারদের আশ্বস্ত করেন তিনি।

ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদিল চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান অবস্থা উন্নত করার জন্য আমরা সব কর্মীরা একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার সব উদ্যোগ কেবলমাত্র ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার, কর্মীবাহিনী এবং গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষা ও আস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতেই নিবেদিত। আমি বিশ্বাস করি, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ন্যাশনাল ব্যাংক তার হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হবে।’

ন্যাশনাল ব্যাংকের কোম্পানি সচিব ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. কায়সার রশীদের সঞ্চালনায় সভায় ২০২৪ সমাপনী বছরের আর্থিক বিবরণী, নিরীক্ষক নিয়োগসহ নির্ধারিত আলোচ্যসূচি অনুমোদিত হয়।


banner close