ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হবে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি ‘সাগরকন্যা’ কুয়াকাটায়। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর ব্যাপকভাবে পর্যটক দেখা গেছে কুয়াকাটায়। তাই এবারের ঈদে ব্যবসা-বাণিজ্য গতি পাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে ৬০ শতাংশ হোটেল মোটেল কক্ষ বুকিং হয়েছে বলে হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও সেবা দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পৌর কর্তৃপক্ষ।
খুশির ছোঁয়া লেগেছে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে, ইতোমধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সাজিয়েছেন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ। বেচাকেনার জন্য তৈরি রয়েছে রাখাইন মহিলা মার্কেট, ঝিনুক মার্কেট, বার্মিজ আচার, কাঁকড়া ফ্রাই, পর্যটকদের ছবি তোলার জন্য প্রস্তুত ক্যামেরাম্যান। চটপটি-ফুচকার দোকানে দেখা গেছে মানুষের আনাগোনা। কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ করাতে প্রস্তুত , মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা চালক, কুয়াকাটা থেকে সমুদ্রপথে বিভিন্ন দ্বীপ ও বনাঞ্চল ভ্রমণ করানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ট্যুরিস্ট বোট, স্পিড বোট ও ওয়াটার বাইক ।
কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে পূর্ব ও পশ্চিমে মনোমুগ্ধকর ১৮ কিলোমিটার বেলাভূমি রয়েছে। পর্যটকরা এখানকার ট্যুরিজম পার্ক, জাতীয় উদ্যান (ইকোপার্ক), শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, সীমা বৌদ্ধ বিহার ঘুরে দেখেন। এ ছাড়া কুয়াকাটার পশ্চিমে সমুদ্র পথে ফাতরার বন, সোনাকাটা ফকিরহাট (ইকোপার্ক), লাল কাঁকড়ার চর, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লি ও ভ্রমণপিপাসুদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে।
আচার বিক্রেতা মো. জহির রায়হান বলেন, নানা ধরনের দেশি বিদেশি আচার ও চকলেট উঠেয়েছি দোকানে। টানা ছুটিতে কুয়াকাটায় হাজারো পর্যটকের আনাগোনা থাকবে। তাদের কাছে আমরা বাহারী স্বাদের আচার ও চকলেট বিক্রি করব। দাম ও মানের বিষয়ে আমরা পর্যটকদের কথা মাথায় রাখি বরাবরই।
অভিজাত আবাসিক সিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলার্স এবং ওসান ভিউ হোটেল এন্ড কনভেনশন এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মো. আল-আমীন খান বলেন, ‘আমাদের এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ অগ্রীম বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিক্ষণই পর্যটকরা ফোনে খোঁজ-খবর নিচ্ছে। আশাবাদী শতভাগ রুম বুক হয়ে যাবে। আমরা পর্যটকদের জন্য স্পেশাল ডিসকাউন্ট রেখেছি।’
হোটেল মোটেল ওনার্স অসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরিফ বলেন, ‘আমরা আশাবাদী পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটিকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটায় অনেক ট্যুরিস্টের আগমন হবে। আবার আগের মত প্রাণ খুঁজে পাবে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, হাসি ফুটবে সকল ব্যবসায়ীদের মনে। হোটেল মোটেল গুলোতে ৬০ শতাংশের মত আগাম বুকিং হয়েছে।’
কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ঈদ পরবর্তী সময়ে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভিড় বাড়বে এমন ধারণা মাথায় রেখেই আমরা প্রস্তুতি সভা করেছি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবে। চিকিৎসক দল, ফায়ার সাভির্স অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদসরাও তৈরি রয়েছে।
টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা সব পর্যটকের সেবা দেওয়া ও আইনি সহায়তা দেওয়া আমাদের কর্তব্য। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটক আসবে, তাই আমরা অনেক নিরাপত্তাব্যবস্থা করেছি। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সাদা পোশাকে আমাদের সদস্যরা টহলে থাকবেন। আশা করছি আমরা পর্যটকদের শতভাগ নিরাপত্তা দিতে পারব।’
কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার জানান, এবারের ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটিতে অনেক বেশি পর্যটক আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই নিরাপত্তাসহ সবকিছু বিবেচনা করেই এবার ঈদের ছুটিতে আগত পর্যটকদের সেবা দিতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি হুয়াওয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ‘হুয়াওয়ে স্পোর্টস অ্যান্ড ফ্যামিলি ডে ২০২৫’ পালন করেছে। এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল হুয়াওয়ে পরিবারের সকল সদস্য ও তাঁদের প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে পারস্পরিক বন্ধন ও একত্রতার আনন্দ উদযাপন করা।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) হুয়াওয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও উ জি এবং প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা আনন্দঘন পরিবেশে হুয়াওয়ের কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান। গেমস, চিত্রাঙ্কন, স্প্রিন্ট, সংগীত ও নৃত্য পরিবেশনা আয়োজনটিকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উ জি বলেন, “হুয়াওয়ে নিয়মিতভাবে কর্মীদের জন্য খেলাধুলা ও ফ্যামিলি ডে-সহ বিভিন্ন কার্যক্রম আয়োজন করে। এর মাধ্যমে আমরা তাঁদের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে একসাথে আনন্দ উদযাপন করে থাকি। আমাদের কর্মীরা শুধু হুয়াওয়েকে এগিয়ে নিচ্ছে না, বরং তাদের নিষ্ঠা, পরিশ্রম এবং উদ্ভাবন দিয়ে দেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখছে। এই আয়োজন আমাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার পাশাপাশি নতুন উদ্যম নিয়ে একসাথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত দেবে।”
হুয়াওয়ে বাংলাদেশের চিফ অপারেটিং অফিসার ঝৌ শিয়াওফেং বলেন, “আমরা এমন উৎসবমুখর পরিবেশে হুয়াওয়ের কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সঙ্গে এই বিশেষ দিনটি উদযাপন করতে পেরে আনন্দিত। হুয়াওয়ের ফ্যামিলি ডে এবং অন্যান্য উদ্যোগ কর্মক্ষেত্রের বাইরেও
কর্মীদেরকে ভালো রাখার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে। কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের প্রতিও আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। তাঁদের সহযোগিতা ও সমর্থন কর্মীদের পেশাগত সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
ফ্যামিলি ডে ছাড়াও হুয়াওয়ে সারা বছর জুড়ে কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সাথে বিভিন্ন উৎসব উদযাপন করে থাকে।
ক্যাম্পেইন এজেন্সি অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫―এ দু’টি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে এএমএল আবারো দক্ষিণ এশিয়ার বিজ্ঞাপনী বাজারে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। এ বছর এএমএল ‘রেস্ট অব সাউথ এশিয়া ডিজিটাল ইনোভেশন এজেন্সি অব দ্য ইয়ার’ ক্যাটেগরিতে এবং ‘রেস্ট অব সাউথ এশিয়া মিডিয়া এজেন্সি অব দ্য ইয়ার’ ক্যাটেগরিতে দু’টি ব্রোঞ্জ অর্জন করেছে।
নব্বই দশকের গোড়া থেকে ক্যাম্পেইন এজেন্সি অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ডস এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের অ্যাডভার্টাইজিং, কমিউনিকেশন, মিডিয়া এবং ডিজিটাল ইনোভেশনের সেরা সাফল্যগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। শুধু সৃজনশীল কাজই নয়—দূরদর্শী নেতৃত্ব, অপারেশনাল দক্ষতা এবং শক্তিশালী ব্যবসায়িক পারফর্ম্যান্সও এই পুরস্কারের বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এই বছরের স্বীকৃতিগুলো এএমএল-এর ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন এবং মিডিয়া এফেক্টিভনেস—উভয় ক্ষেত্রেই ধারাবাহিক অগ্রযাত্রার প্রমাণ। ডাটা-ভিত্তিক স্ট্র্যাটেজি, ভবিষ্যত-উপযোগী সমাধান এবং ক্রমবর্ধমান ভোক্তা আচরণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এএমএল তাদের ক্লায়েন্টদের জন্য বাস্তবধর্মী সাফল্য নিশ্চিত করে আসছে।
বিগত বছরগুলোর পারফর্ম্যান্সের ভিত্তিতে এএমএল তাদের সাবমিশন প্রস্তুত করে—যেখানে এজেন্সির ভিশন, ইন্ডাস্ট্রিতে অবদান, সাসটেইনেবল বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এবং ক্লায়েন্টদের জন্য অর্জিত সাফল্যগুলোকে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়। বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক অর্থনীতির পরিবর্তিত বাস্তবতায় ব্র্যান্ডগুলোর দ্রুত ট্রান্সফর্মেশন সহজ করতে এএমএল-এর স্ট্র্যাটেজিক দৃষ্টিভঙ্গি ও সহযোগিতামূলক কাজ বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
যদিও এটা এএমএল-এর প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নয়, তবু প্রতিটি অর্জনই পুরো দলের জন্য বিশেষ গর্বের। এই পুরস্কারগুলো প্রতিষ্ঠানটির সকল সদস্যের নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের প্রতিফলন, পাশাপাশি অংশীদার ও ক্লায়েন্টদের অবিচল আস্থার ফল।
এএমএল তাদের সকল ক্লায়েন্ট, সহযোগী এবং অংশীদারদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে—যাদের বিশ্বাস ও সমর্থনই প্রতিষ্ঠানটিকে প্রতি বছর নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে অনুপ্রেরণা জোগায়।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এবং ওসমানি সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (ওসিপিএএসএস)-এর মধ্যে গত সোমবার বিইউপি এর ভিআইপি লাউঞ্জে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়। ভবিষ্যতে উভয় প্রতিষ্ঠানের মাঝে একাডেমিক, গবেষণা ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে এই সমঝোতা স্মারক জ্ঞান ও সম্পদ বিনিময়ের দ্বার উন্মোচন করবে।
বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল মো. মাহ্বুব-উল আলম ও বিইউপির অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এবং ওসিপিএএসএস-এর একটি প্রতিনিধিদল ওই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আলী তালুকদার, ডিন, ফ্যাকাল্টি অব সিকিউরিটি অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ, বিইউপি এবং ওসিপিএএসএস-এর চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান (অবসরপ্রাপ্ত) তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) দেশে প্রথমবারের মতো ‘সাসটেইনেবল বিজনেস অ্যান্ড ইএসজি ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ক পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা (পিজিডি) প্রোগ্রাম তৈরি করছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটি ক্যাম্পাসে কারিকুলাম উন্নয়নবিষয়ক একটি স্ট্র্যাটেজিক রাউন্ডটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
ডিআইইউয়ের সাসটেইনেবিলিটি উইং এবং সুইসকন্ট্যাক্ট-এর প্রোগ্রেস প্রকল্পের উদ্যোগে, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সহায়তায় এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় শিল্প খাতের প্রতিনিধি, স্থায়িত্ববিষয়ক বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক, নীতিনির্ধারক ও সম্ভাব্য শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
অংশগ্রহণকারীরা জানান, দেশের রেডিমেড গার্মেন্টস (আরএমজি) খাত যা রপ্তানির ৮০ শতাংশ এর বেশি আয়ের উৎস এখন দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক চাহিদার মুখোমুখি। আন্তর্জাতিক ক্রেতা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার শর্ত পূরণ করতে হলে ইএসজি, কার্বন নিঃসরণ (ডিকার্বনাইজেশন), সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং এবং কমপ্লায়েন্স বিষয়ে দক্ষ জনবলের প্রয়োজন বাড়ছে।
রাউন্ডটেবিলে মধ্য-কর্মজীবী পেশাজীবীদের জন্য নমনীয় শেখার সুযোগ এবং ইএসজি সম্পর্কিত নেতৃত্বে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরা হয়। আলোচনা থেকে জানা যায়, শিল্পখাতে এখন নিঃসরণ ব্যবস্থাপনা, কমপ্লায়েন্স অডিট, সামাজিক পারফরম্যান্স, পরিবেশগত ডেটা ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ুসংক্রান্ত রিপোর্টিংয়ে প্রশিক্ষিত মানুষের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে।
অনুষ্ঠানের শেষে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মাদ নাদির বিন আলি আলোচনায় অংশগ্রহণকারী সব পক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এসব মতামত প্রস্তাবিত পিজিডি প্রোগ্রামকে আরও শিল্পবান্ধব করতে সহায়তা করবে।
প্রজেক্ট পরিচালক খালিদ এমডি বাহাউদ্দীন বলেন, আজকের আলোচনা থেকে পাওয়া মতামত সরাসরি কারিকুলাম তৈরিতে ব্যবহার করা হবে, যা বাংলাদেশকে ইএসজি সক্ষমতা উন্নয়নে আঞ্চলিকভাবে আরও শক্ত অবস্থানে আনবে।
সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশ এবং ডিআইইউ সাসটেইনেবিলিটি উইং এর প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের এক সভা গত সোমবার ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, উৎপাদন সক্ষমতা এবং কর্মীদের দক্ষতা উদযাপন করতে আবুল খায়ের স্টিল ‘AKS-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এতে যোগ দেন। দিনব্যাপী এ আয়োজন ছিল উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
নামাজ ও খাবারের বিরতির পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কর্মীদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। এতে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড ‘AKS TMT B700C-R’, বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল পরিচালনা এবং AKS ও কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের সুপারব্র্যান্ডস পুরস্কারসহ কোম্পানির বিভিন্ন অর্জন তুলে ধরা হয়।
সন্ধ্যায় র্যাফেল ড্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের গান পরিবেশনা ও লেজার শো ছিল বিশেষ আকর্ষণ।
সমাপনী বক্তব্য, রাতের খাবার ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে আয়োজন শেষ হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে উদযাপনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিগত পরিচর্যা ব্র্যান্ড মেরিলে এবার নতুন মুখ হিসেবে যুক্ত হলেন নতুন প্রজন্মের জনপ্রিয় তারকা শরিফুল রাজ।
এর আগে দেশের নম্বর ওয়ান সুপারস্টার শাকিব খান যোগ দিয়েছিলেন মেরিল পেট্রোলিয়াম জেলির বিজ্ঞাপনী প্রচারণায়। তার ধারাবাহিকতায় এবার মেরিলের আরেক স্বনামধন্য ত্বক-পরিচর্যা পণ্য Meril Ready-to-Use Glycerin-এর নতুন ক্যাম্পেইনের মুখ হিসেবে উপস্থিত হচ্ছেন শরিফুল রাজ, যা ব্র্যান্ডটির শীতকালীন প্রচারণায় নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মেরিলের এই দুই পণ্যের ক্যাম্পেইনে দুই প্রজন্মের দুই শীর্ষ তারকার যুক্ত হওয়া ব্র্যান্ডটির সামগ্রিক মার্কেটিং-কৌশলে ব্যাপক উদ্যম এনেছে।
বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জনকারী শরিফুল রাজের সঙ্গে Ready-to-Use Glycerin-এর সংযোগ পণ্যের প্রিমিয়াম ইমেজ, বিশুদ্ধতা এবং ব্যবহারিক মূল্য আরও দৃশ্যমানভাবে তুলে ধরবে বলে আশা করা হচ্ছে। তার সতেজ, আধুনিক ও আত্মবিশ্বাসী উপস্থিতি ক্যাম্পেইনটিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে এবং দর্শকদের সঙ্গে আরও গভীর সংযোগ তৈরি করবে।
বিজ্ঞাপনটি দেখা যাবে এই লিংকে: https://youtu.be/GjZDqhmOWlk
ফেয়ার টেকনোলজি ‘Experience Bold and Bigger’ শীর্ষক বিশেষ গ্রাহক ইভেন্টে হুন্ডাইয়ের সর্বাধুনিক ও বিলাসবহুল এসইউভি- নতুন হুন্ডাই ক্রেটা গ্র্যান্ড উন্মোচন করেছে। ঢাকার তেজগাঁওয়ে অবস্থিত হুন্ডাই এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে এই উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।
ফেয়ার টেকনোলজি হুন্ডাইয়ের ডিরেক্টর ও সিইও মো. মুতাসিম দাইয়ান ক্রেটা গ্র্যান্ড উন্মোচন করে জানান, ১ দশমিক ৫ লিটার ইঞ্জিন যুক্ত এই ৭-সিটার এসইউভি তার বোল্ড ডিজাইন এবং দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতায় সম্প্রসারিত আকারের কারণে দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং অত্যন্ত শক্তিশালী রোড-প্রেজেন্স প্রদান করে। তিনি আরও জানান, গাড়িটি এখন আকর্ষণীয় ৪৮ লাখ টাকা মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।
গ্রাহকরা পাচ্ছেন ৫ বছরের ওয়ারেন্টি ও ২ বছরের ফ্রি সার্ভিস সুবিধা। পাশাপাশি ৩ বছর বা ৪০ হাজার কিলোমিটারের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭০% গ্যারান্টিড বাই-ব্যাক সুবিধাও থাকবে। নতুন এই এসইউভিতে রয়েছে প্যানোরামিক সানরুফ ও বোস প্রিমিয়াম সাউন্ড সিস্টেম।
অনুষ্ঠানে কণ্ঠশিল্পী মেহরীন মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রতিনিধি সিমোনা সিমিওনোভা, সিনিয়র রিপোর্টার, গালফ নিউজ গ্লোবাল এফডিআই রিপোর্টস উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানে বৈশ্বিক গুরুত্ব ও অন্তর্দৃষ্টি যোগ করেন।
ফেয়ার গ্রুপের হেড অব মার্কেটিং জে এম তাসলিম কবীর উপস্থিত থেকে ক্রেটা গ্র্যান্ডের অভিজ্ঞতাকে আরও উজ্জ্বল করে তুলেন।
গ্রাহক এফএকিউ সেশনে ফেয়ার টেকনোলজি হুন্ডাইয়ের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন আতাউর রহমান, সিনিয়র ম্যানেজার, অপারেশনস; রুবাইয়াত উদ্দিন, ম্যানেজার, সাপ্লাই চেইন ও প্রোডাক্ট; ইনাম আহমেদ, ডেপুটি ম্যানেজার, মার্কেটিং, আসফাক আহমেদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, মার্কেটিং। তারা গ্রাহকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং পণ্যের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন
‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা: গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দুর্নীতিবিরোধী মানববন্ধন ও র্যালি করেছে রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাইলস্টোন কলেজ।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও র্যালির আয়োজক ছিলেন, ঢাকা মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, উত্তরা অঞ্চল।
র্যালিতে অংশগ্রহণকারী মাইলস্টোন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন বহন করে। মানববন্ধন ও র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন মাইলস্টোন কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক জহিরুল হক, উপাধ্যক্ষ (প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম, মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি উত্তরা অঞ্চলের সাবেক সভাপতি লে. কর্নেল এম. আব্দুল খালেক (অব.), সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, সহসভাপতি মো. নাজমুল আলম এবং কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।
জনতা ব্যাংক পিএলসির ৮৬৭তম বোর্ড সভা গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহ. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ব্যাংকের পরিচালক বদরে মুনির ফেরদৌস, ড. মো. আব্দুস সবূর, আব্দুল মজিদ শেখ, আব্দুল আউয়াল সরকার, ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন, মো. আহসান কবীর, মো. কাউসার আলম, অধ্যাপক ড. এ এ মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম মরতুজা, মো. ফয়েজ আলম ও মো. আশরাফুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট মহাব্যবস্থাপকরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় শ্রেণিকৃত খেলাপি ঋণ আদায়সহ ব্যাংকের অন্যান্য করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার কাছ থেকে নগদে লেনদেন করে আইফোন সেভেন্টিন―প্রো জিতে নিয়েছেন বরিশালের সানি বেপারী। নগদে ফিরে আসা বা নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে তিনি এই উপহার জিতেছেন।
সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত প্রতি মিনিটের প্রথম লেনদেনকারী গ্রাহককে ক্যাশব্যাক প্রদান করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ২০০ জনের বেশি গ্রাহক ৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পেয়েছেন।
পাশাপাশি সারপ্রাইজ রিচার্জ অফারে অংশ নিয়ে বোনাস রিচার্জ পেয়েছেন এক হাজারের বেশি গ্রাহক।
জামাল ভূঁইয়ার কাছ থেকে এমন আকর্ষণীয় একটি উপহার পেয়ে সানী বেপারী বলেন, ‘আমি ভাবতেও পারিনি এরকম একটি পুরস্কার পাব, সেটিও আবার জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়কের কাছ থেকে। আমি অনেক বেশি আনন্দিত।’
গত ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া নগদের এই ক্যাম্পেইনে নিয়মিত লেনদেন না করা গ্রাহক যদি নগদে ফিরে লেনদেন করেন এবং কেউ নতুন নগদ অ্যাকাউন্ট খুলে লেনদেন করেন, তাদের জন্য থাকছে প্রতিদিন ক্যাশব্যাকসহ রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেল ও আইফোনসহ হাজারও পুরস্কার জেতার সুযোগ।
১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা ২০২৫―এ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ‘এসএমই সল্যুশন ক্লিনিক’ চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। এখানে উদ্যোক্তাদের বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে ওয়ান-টু-ওয়ান ব্যবসায়িক পরামর্শ সেবা।
এই মেলা চলবে ৭ থেকে ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত। মেলায় প্রতিদিনই ব্যাংকটির পক্ষ থেকে একটি করে বিশেষ থিমের ওপর জোর দেওয়া হবে, যেখানে দেশি-বিদেশি বাজার, ডিজিটাল টুল, বুককিপিং, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং, ফাইন্যান্সিংসহ নানা বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা এবং ব্র্যাক ব্যাংকের নিজস্ব বিশেষায়িত টিম।
গেল ৭ ডিসেম্বর (রোববার) শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন এসএমই ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে দেশের সবচেয়ে বড় এই এসএমই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এসএমই খাতের দীর্ঘদিনের অর্থায়ন অংশীদার ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক এবার উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও প্রতিযোগিতা বাড়াতে ৮ দিনব্যাপী পূর্ণাঙ্গ কনসালটেশন প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে।
উদ্বোধনী দিন থেকে ব্যবসার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন নিয়ে পরামর্শ দেন শাহিন’স হেল্পলাইনের ফাউন্ডার অ্যান্ড সিইও আমিনুল ইসলাম। এদিন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের মুনির হাসান কৌশলগত ব্যবসা পরিচালনা বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
৮ ডিসেম্বর ব্র্যাক ব্যাংকের ট্রেড স্পেশালিস্টরা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের রপ্তানির প্রস্তুতি ও বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশের নানা বিষয় নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন। কীভাবে এআই ব্যবহার করে ব্যবসার কার্যক্রম ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানো যায়, এ বিষয়ে ৯ ডিসেম্বর পরামর্শ দেন ৩৬০-এর ফাউন্ডার এমরাজিনা ইসলাম।
১০ ডিসেম্বর সেবা প্ল্যাটফর্ম লিমিটেডের বিশেষজ্ঞরা স্মার্ট বুককিপিং ও ই–কমার্স ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ দেবেন। ১১ ডিসেম্বর ডব্লিওআইটি ইনস্টিটিউটের ফাউন্ডার নাজিব রাফি বাজার সম্প্রসারণে কার্যকর ডিজিটাল মার্কেটিং টুল ব্যবহার শেখাবেন। ১২ ডিসেম্বর বিডিপ্রেনর-এর প্রতিষ্ঠাতা সাজ্জাদ হোসেন ব্যবসা পরিকল্পনা ও অপারেশনাল ডিসিপ্লিন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন। ১৩ ডিসেম্বর ব্র্যাক ব্যাংক ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট টিম (সিআরএম) ঋণযোগ্যতা যাচাই ও ফরমাল ফাইন্যান্সিং প্রস্তুতি বিষয়ে সহায়তা সেবা দেবে।
১৪ ডিসেম্বর ব্র্যাক ব্যাংক ‘তারা’ পরিচালিত অ্যাডভাইজরি ডে-এর মাধ্যমে এই বিশেষ পরামর্শ সেবা সিরিজের সমাপ্তি ঘটবে। এদিন ব্র্যাক ব্যাংক ‘তারা’ টিম নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা শুরু, পরিচালনা ও সম্প্রসারণ বিষয়ে বিশেষায়িত পরামর্শ সেবা দেবে।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগ সম্পর্কে ব্যাংকটির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, “আমরা চাই এই উদ্যোক্তা মেলায় উদ্যোক্তারা তাঁদের নানাবিধ সমস্যা নিয়ে এসে সুন্দর সমাধান নিয়ে ফিরে যাক। আমাদের লক্ষ্য হলো, এসএমই উদ্যোক্তাদের টেকসই ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও পরামর্শ দিয়ে ক্ষমতায়িত করা, যাতে তাঁরা আত্মবিশ্বাসের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। এসএমই পণ্য মেলায় ব্র্যাক ব্যাংকের ‘এসএমই সল্যুশন ক্লিনিক’ দেশের এসএমই খাতের বিকাশে আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”
ব্যাংকটি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, একটি শক্তিশালী এসএমই ইকোসিস্টেম তৈরির মূল ভিত্তি হলো উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন। ৮ দিনব্যাপী এই পরামর্শ সেবার মাধ্যমে নতুন থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠিত— সব পর্যায়ের উদ্যোক্তাই তাঁদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা পাবেন।
মেলায় আগত উদ্যোক্তাদের Hall E, Pavillion# DP 8–এর ব্র্যাক ব্যাংক এসএমই সল্যুশন ক্লিনিক–এ আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। এখানে সপ্তাহজুড়ে মিলবে বিভিন্ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ সেবা।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. : ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ৩০২টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১১৯টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
কড়াইল বস্তির অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তা প্রদানের জন্য দাতব্য সংস্থা সাজেদা ফাউন্ডেশনকে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে মিডল্যান্ড ব্যাংক। সামাজিক কল্যাণের প্রতি ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ব্যাংকটি তাদের কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR) কার্যক্রমের আওতায় ইসলামী ব্যাংকিং তহবিল থেকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করে এবং বাকি ৫ লক্ষ টাকা মিডল্যান্ড ব্যাংক পরিবারের সদস্যরা অনুদান হিসেবে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) মিডল্যান্ড ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আহসান-উজ জামান, সাজিদা ফাউন্ডেশনের ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্টস অ্যান্ড পার্টনারশিপস―এর পরিচালক মুহাইমিন চৌধুরীর হাতে এই সংক্রান্ত একটি চেক হস্তান্তর করেন।
সমাজের সাধারণ মানুষের প্রতি সামাজিক অঙ্গীকার এবং অন্যান্য বিভিন্ন দাতব্য কর্মকাণ্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, মিডল্যান্ড ব্যাংক পরিবার কোরাইল বস্তির অগ্নিকাণ্ডে ত্রাণের জন্য সাজেদা ফাউন্ডেশনকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাজেদা ফাউন্ডেশনের অংশীদারিত্ব ও তহবিল সংগ্রহের সমন্বয়কারী ফারহিন আহমেদ টুইংকেল; মিডল্যান্ড ব্যাংকের হেড অব রিটেইল ডিস্ট্রিবিউশন এবং চিফ ব্যাংকাস্যুরেন্স অফিসার (সিবিও) মোঃ রাশেদ আকতার; সিএফও দিদারুল ইসলাম; সিআরএম এবং সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ইউনিটের প্রধান মো. বজলুর রহমান খান।