ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল গতকাল মঙ্গলবার ১১ দিনের সরকারি সফরে জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। জাপানের কোবে বিশ্ববিদ্যালয়, কিউশু বিশ্ববিদ্যালয় এবং এহিমি বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে তিনি এই সফর করছেন। সফরকালে ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল কোবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন স্টাডিজ-এ ‘ইন্টারন্যাশনাল ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক বেশকয়েকটি বক্তৃতা করবেন। এ ছাড়া উপাচার্য কোবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এই সফরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল কিউশু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টের সাথেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়া উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এহেমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো চীন ভিত্তিক স্মার্টডিভাইস ব্র্যান্ড ইউমিডিজি। গতকাল রোববার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার একটি হোটেলে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধনকালে বাজারে ইউমিডিজি জি৯-ফাইভজি, ইউমিডিজি জি৯সি, ইউমিডিজি জি৯টি এবং ইউমিডিজি জি৯এ- এই ৪টি নতুন স্মার্টফোন উদ্বোধন করেছে।
এর মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড১৪ অপারেটিং সিস্টেম সমৃদ্ধ ৫জি সমর্থিত ইমিডিজি জি৯ ডিভাইসটিতে রয়েছে ৬.৭৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ৭.৯ মিলিমিটার স্লিম ডিজাইন, ১২ জিবি র্যাম (৬ জিবি ভার্চুয়াল র্যাম সহ) ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ, ২০ ওয়ার্ট গ্যান ফাস্টচার্জিং সুবিধা সম্পন্ন ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। স্মার্টফোনটিতে আরও রয়েছে ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো ও ২ মেগাপিক্সেল ডেফথ ক্যামেরা সহ ৫০ মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরা এবং ৮ মেগাপিক্সল সেলফি ক্যামেরা। বাংলাদেশের জন্য ডিভাইসটির দাম নির্ধারন করা হয়েছে ১৪ হাজার ৯৯০ টাকা।
অন্যদিকে ইমিডিজি জি৯সি ডিভাইসটিতে রয়েছে ৬.৭৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ৭.৯ মিলিমিটার স্লিম ডিজাইন, ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ, ১৮ ওয়ার্ট ফাস্টচার্জিং সুবিধা সম্পন্ন ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। স্মার্টফোনটিতে আরও রয়েছে ২ মেগাপিক্সেল ডেফথ ক্যামেরা সহ ৫০ মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরা এবং ৮ মেগাপিক্সল সেলফি ক্যামেরা। বাংলাদেশের জন্য ডিভাইসটির দাম নির্ধারন করা হয়েছে ১২ হাজার ৯৯০ টাকা।
এছাড়া ২ মেগাপিক্সেল ডেফথ ক্যামেরা, ১৩ মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরা ও ৮ মেগাপিক্সল সেলফি ক্যামেরার ইউমিডিজি জি৯টি ডিভাইসটির দাম ১০ হাজার ৯৯০ টাকা এবং ইউমিডিজি জি৯এ ডিভাইসটির দাম ৯ হাজার ৯৯০টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী রোজার ঈদের আগে ইউমিডিজি’র আরও দুইটি ফোন অবমুক্ত করা হবে। মডেল দুটি হলো ইউমিডিজি ১০০ নোট এবং নোট এআই। শীঘ্রই দেশজুড়ে ব্র্যান্ডটির ১২টি সার্ভিস সেন্টার এবং ১০টি কালেকশন পয়েন্ট চালু করা হবে।
অনুষ্ঠানে ইউমিডিজি বাংলাদেশের কার্যক্রম ও নতুন ডিভাইসগুলো নিয়ে বক্তব্য রাখেন ইউমিডিজি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঝোউ, সেলস অ্যান্ড অপারেশনস হেড মাসুকুর রহমান, মার্কেটিং ম্যানেজের রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
গাজীপুরের কাজী নেচার ক্যাম্পে গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয়েছে ট্রেইনারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের।
দিনব্যাপী লার্নিং গেমসভিত্তিক ট্রেইনার্স ট্রেনিং ও রিট্রিটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৫০ জন প্রশিক্ষক অংশ নেন।
এ আয়োজন প্রশিক্ষণের নতুন নতুন কৌশল শেখার পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বন্ধন সুদৃঢ় করার এক অনন্য সুযোগ তৈরি করেছে।
ট্রেইনারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সহসভাপতি ইউসুফ ইফতি বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষক তৈরি, আয়ের নতুন পথ সৃষ্টিতে সহায়তা, প্রশিক্ষকদের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম তৈরি এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার প্রশিক্ষক তৈরির লক্ষ্যে কাজ করব। এই উদ্যোগ দেশের পেশাগত এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
ট্রেইনারসের নেতৃত্বে রয়েছেন সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কেএম হাসান রিপন, নির্বাহী সহসভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইউসুফ ইফতি, সহসভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোহাম্মদ মোরাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেল এইচ খান, পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য লায়লা নাজনীন এবং পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জিয়া উদ্দিন মাহমুদ।
অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ ও কার্যকর করার জন্য রওনক জাহান নিসাকে সমন্বয়কারী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
ট্রেইনারসের সভাপতি কে এম হাসান রিপন বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানটি শুধু শিক্ষামূলকই নয়, বরং উদ্বুদ্ধ করার মতো একটি মাইলফলক। এটি নেটওয়ার্কিং এবং দক্ষতা উন্নয়নের একটি চমৎকার সুযোগ তৈরি করেছে। আমরা দেশের সকল প্রশিক্ষকদের আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাই।’
কাজী নেচার ক্যাম্পের সুযোগ-সুবিধার প্রশংসা করে ট্রেইনারসের সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করার পর আমরা কাজী নেচার ক্যাম্পকে প্রশিক্ষণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান হিসেবে পেয়েছি। এখানে ট্রি-টপ অ্যাক্টিভিটিস, বোটিং, কায়াকিং, টেন্ট, ফায়ার ক্যাম্প, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী খাবারসহ অসাধারণ সেবা রয়েছে। এটি প্রশিক্ষণের জন্য আদর্শ পরিবেশ।’
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শায়লা আশরাফ, সামিরা হক, আজিজ সেলিম, ইসরাত জাহান, সুমন ও ইকবাল কার্যক্রম নিয়ে তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি ট্রেইনারসের ঐতিহাসিক সূচনা চিহ্নিত করে। ভবিষ্যতে আরও প্রশিক্ষণ ও কার্যক্রমের মাধ্যমে ট্রেইনারস দেশের প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ) এবং দ্যা সাব-কাউন্সিল অব টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি, চায়না কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অফ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড (সিসিপিআইটি টেক্স চায়না) এর যৌথ আয়োজনে ১৫-১৮ জানুয়ারি, চার দিনব্যাপী ২৩তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক শো ২০২৫ - উইনটার এডিশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একইসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় ৭ম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ডেনিম শো।
প্রদর্শনী চলাকালীন ১৬ জানুয়ারি সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাংলাদেশ সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সোসাইটির সহ-আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ‘ড্রাইভিং টেক্সটাইল কমপিটিটিভনেস: সাপ্লাই চেইন্স অ্যাজ দ্যা গেম চেঞ্জার’ শীর্ষক সেমিনার।
সেমিনার পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সোসাইটির প্রেসিডেন্ট নকীব খান। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়াহিদ আনোয়ার, হেড অফ সাপ্লাই চেইন, আর-পেক বাংলাদেশ লিমিটেড। সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন মো. ফেরদৌস খান রোমান, হেড অফ সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, অ্যাপটেক গ্রুপ এবং মো. আফসার হোসেন, সিইও, ট্রান্স ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সোসাইটি। সেমিনারে বিভিন্ন সেক্টরের শতাধিক অংশগ্রহণকারী অংশ নেন।
নকীব খান সেমিনারের শুরুতে আলোচ্য বিষয় উপস্থাপন করেন এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চালিত করতে সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি গেম চেঞ্জার হতে পারে বলে মন্তব্য করেন। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত পোশাক খাতের ওপর নির্ভর, কাজেই এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে কার্যকর সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।
দেশের দ্রুত বর্ধনশীল রিয়েল এস্টেট কোম্পানি প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেডের আয়োজনে চার দিনব্যাপী পিঠা উৎসব ও একক আবাসন মেলা শুরু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে কোম্পানির নিজস্ব কার্যালয়ে এই উৎসব ও মেলার উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে পিঠা উৎসবের উদ্ধোধন ঘোষণা করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুল হুদা এবং কেক কেটে একক আবাসন মেলার শুভ সুচনা করেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রওশন আল মাহমুদ। মেলাটি চলবে আগামী রোববার পর্যন্ত।
জানা গেছে, ঢাকায় প্রতি বছর গ্রামীণ ঐতিহ্য ও মিলন মেলার আয়োজন করে থাকে প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেড। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ১৬-১৯ জানুয়ারি এই পিঠা উৎসব ও একক আবাসন মেলার আয়োজন করেছে। এবারের অনুষ্ঠানে প্রিমিয়াম হোল্ডিংসের চারটি প্রকল্প সম্পর্কে অবগত করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক রওশন আল মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির পরিচালক নাজনীন আক্তার, উপদেষ্টা নুরুল ইসলাম, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট প্রধান রেজাউল করিম, সিওও আশরাফুল আলম, টিম লিডার শিমুল সরকার, মাহিন ইসলামসহ সকল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড আল হারমাইন পারফিউমসের নতুন সুগন্ধির উদ্বোধন করেছেন জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। আজ শুক্রবার রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব শোরুমে আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এটি উদ্বোধন করেন তিনি।
নতুন বেশ কয়েকটি সুগন্ধির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের খ্যাতনামা এ প্রতিষ্ঠানটি দেশে আরও একবার পারফিউমের জগতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
অনুষ্ঠানে আরও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মডেল-অভিনেতা নিরবসহ আল হারমাইন পারফিউমসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সাব্বির আহমেদ। এছাড়া ছিলেন একঝাঁক মডেল ও ইনফ্লুয়েন্সারসহ আমন্ত্রিত অতিথি ও প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাগণ।
নতুন এক্সক্লুসিভ সুগন্ধিগুলোর মধ্যে রয়েছে Haramain Farasha Gold Crystal Oud, Haramain Black Oud, Haramain Floral Fair, L’Aventure- এর চারটি সিরিজ- Azlan Oud- এর আরও দুটি সিরিজ এবং Haramain La Lune সিরিজ। এই ১২টি নতুন সুগন্ধি ফুলের মধুর গন্ধ থেকে শুরু করে ফ্রুটি, ফ্লোরাল, ওউদ, ফ্রেশ, স্পাইসি- সব ধরনের গ্রাহকের পছন্দকে বিবেচনা করে তৈরি করা হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের জানানো হয়। প্রত্যেকটি সুগন্ধিই পারফিউমপ্রেমীদের এক অনন্য গল্প বলার পাশাপাশি একজন মানুষের ব্যক্তিত্বকে আরও উজ্জ্বল করে তুলবে বলে বিশ্বাস করে আল হারমাইন পারফিউমস।
বর্তমানে পুরো বাংলাদেশে মোট ১৮টি শোরুমের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করছে প্রতিষ্ঠানটি।
গ্লোবাল ব্র্যান্ড কেএফসির একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘ট্রান্সকম ফুডস লিমিটেড’ ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বর্তমানে দেশের ১২টি শহরে কেএফসি স্টোরের মাধ্যমে ফিঙ্গার লিকিং গুড খাবার পরিবেশন করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি চট্টগ্রামের মোমিন রোড, জামাল খান এবং বালি আর্কেড, চকবাজারে নতুন আউটলেট চালু করেছে।
আউলেট উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে সঙ্গে ছিল কেএফসি স্বপ্নের পাঠশালার পথশিশুরা, যাদের পরিবেশন করা হয়েছিল মজাদার ফিঙ্গার লিকিং গুড মিল। শিশুদের উপস্থিতি মুহূর্তটিকে আনন্দদায়ক ও স্মরণীয় করে তুলেছিল।
কাস্টমারেরা উভয় স্টোরে ডাইন- ইন, টেক এওয়ে, কল ফর ডেলিভারি, kfcbd.com ও KFC APP অর্ডারের মাধ্যমে কেএফসির ফিঙ্গার লিকিং গুড ফুড উপভোগ করতে পারবেন।
ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রাস্ট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সাধারণ সভায় কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালনা পর্ষদসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
সভায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন, পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক সাধারণ শেয়ারহোল্ডাদের জন্য ২৫% নগদ লভ্যাংশ এবং পরিচালক ও স্পন্সর শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সুপারিশকৃত ১৫% নগদ লভ্যাংশসহ সকল এজেন্ডা শেয়ারহোল্ডারগন কর্তৃক অনুমোদিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান মো. মাজহারুল কাদের। তিনি ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের ধারাবাহিক সফলতার জন্য শেয়ারহোল্ডার, কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এতে অংশগ্রহণকারী শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ কোম্পানির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তারা কোম্পানির বর্তমান কার্যক্রম ও সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যৎ অগ্রগতির প্রতি তাদের আস্থা প্রকাশ করেন।
ডিজি-মার্ক সল্যুশন এবং জেটকেটেকো ‘রোড টু এআই ’এবং পার্টনার মিট-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি ডিজি-মার্ক সল্যুশন এবং জেটকেটেকো- এর যৌথ উদ্যোগে পুরানা পল্টনের একটি হোটেলে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে জেটকেটেকো -এর সর্বাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর অ্যাক্সেস কন্ট্রোল ও টাইম অ্যাটেনডেন্স সল্যুশন প্রদর্শন করা হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিক সকল ফিচারসহ অত্যাধুনিক পণ্যে বাংলাদেশে ডিজি-মার্ক সল্যুশন একমাত্র পরিবেশক হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিজিমার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো. শাহারিয়ার আলম, ডিজি-মার্কের পরিচালক ওমর ফারুক রব, জেটকেটেকো বাংলাদেশ ম্যানেজার ডুরেন্ট প্যান ও ডিজিমার্কের মহাব্যবস্থাপক শেখ মনজুর হোসেন এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও ডিলারগণ।
ডিজি-মার্ক সল্যুশন- এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহারিয়ার আলম তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে জেডকেটেকো- এর সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত। এই পণ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্ড নিরাপত্তা বাবস্থার উম্মচন হল। এই অংশীদারিত্ব আমাদের গ্রাহকদের জন্য আরও আধুনিক, উদ্ভাবনী এবং কার্যকর সমাধান সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
ডিজি-মার্কের পরিচালক ওমর ফারুক রব ২০২৫ সালকে সামনে রেখে কিভাবে আরও ভালো সার্ভিস ও সাপোর্ট দেয়া যায় তা নিয়ে উন্মুক্ত প্রশ্ন উত্তরের আয়োজন করেন।
তরুণদের জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি এবার প্রথমবারের মতো আইপি৬৯ সার্টিফিকেশন পাওয়া সি-সিরিজের স্মার্টফোন বাজারে আনতে যাচ্ছে। চলতি বছর ডিসেম্বরের ১৫ তারিখে উন্মোচন হতে যাওয়া রিয়েলমি সি৭৫ -এ আইপি৬৯ রেটিংয়ের পাশাপাশি আরও রয়েছে আইপি৬৮ ও আইপি৬৬ সার্টিফিকেশন। ফলে পানি ও ধুলাবালি থেকে ফোনটি থাকবে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।
বাজারের অন্যান্য স্মার্টফোন যেখানে কেবল একটি বা দুটি স্তরের পানি প্রতিরোধক সুরক্ষা দেয়, সেখানে রিয়েলমি সি৭৫ দিচ্ছে অল-রাউন্ড প্রটেকশন। আইপি৬৬, আইপি৬৮ ও আইপি৬৯- প্রতিটি রেটিং আলাদাভাবে পরিপূর্ণ সুরক্ষা প্রদান করে আইপি৬৬ পানির শক্তিশালী জেটের বিরুদ্ধে, আইপি৬৮ পানির নিচে এবং আইপি৬৯ হাই-প্রেসার, হাই-টেম্পারেচার পানির জেটের বিরুদ্ধে ফোনকে রক্ষা করে। এই তিনটি সার্টিফিকেশনের সমন্বয়ে রিয়েলমি সি৭৫ ফোনপ্রেমীকে এক অনন্য টেকসইতা প্রদান করে।
রিয়েলমি সি৭৫-এর দুর্দান্ত প্রটেকশন তৈরী হয়েছে অত্যাধুনিক ওয়াটারপ্রুফিং প্রযুক্তির সাহায্যে, যার মধ্যে রয়েছে উন্নত ফোম সিল, একটি সম্পূর্ণ নতুনভাবে ডিজাইনকৃত ওয়াটারপ্রুফ কাঠামো এবং উন্নতমানের উপাদানের সমন্বয়। এছাড়াও, উদ্ভাবনী সনিকওয়েভ ওয়াটার ইজেকশন ফিচার দ্রুত স্পিকার থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে সাহায্য করে, যা ডিভাইসের টেকসইত্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
শক্তিশালী ৬০০০ এমএএইচ ব্যাটারি এবং ৪৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং থাকায়, রিয়েলমি সি৭৫ মাত্র ৩৮ মিনিটে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ করতে পারে। ৮ জিবি+১৬জিবি ডায়নামিক র্যাম থাকায় ব্যবহারকারীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে মাল্টিটাস্কিং এবং দ্রুত অ্যাপ চালানোর দারুণ অভিজ্ঞতা পাবেন ।
রিয়েলমি সি৭৫ এর মাধ্যমে উদ্ভাবন আর গুণগতমানের উৎকর্ষতা ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে দিতে তার প্রতিশ্রুতি বজায় রেখেছে।
সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ও নিম্ন আয়ের মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের দাঁতের চিকিৎসা সুনিশ্চিত করতে গত শুক্রবার রাজধানীর লালবাগে আয়োজন করা হয় ‘ফ্রি ডেন্টাল ক্যাম্প: স্মাইল এইড-ওরাল কেয়ার ইনিশিয়েটিভ’।
জেসিআই বাংলাদেশের তিনটি লোকাল সংগঠন জেসিআই ঢাকা এইস, জেসিআই ঢাকা ইম্প্যাক্ট, জেসিআই ঢাকা প্রিমিয়ার ও হিউম্যানিটি সার্ভিসেস বাংলাদেশের উদ্যোগে এক হাজার জনের জন্য এই ফ্রি ক্যাম্পটির আয়োজন করা হয়।
সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এ সেবাকার্যক্রম চলে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। ৭০ জন ডেন্টিস্টদের সহযোগিতায় সকাল থেকেই শিশু-বৃদ্ধসহ অসংখ্য নারী-পুরুষকে দাঁতের চিকিৎসা দেওয়া হয়। ডেন্টাল চেক আপ থেকে শুরু করে, দাঁত এক্সট্রাকশন, ফিলিং, স্কেলিং, মেডিসিন সবই প্রদান করা হয় বিনামূল্যে।
ক্যাম্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেসিআই বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমরান কাদির।
বৃদ্ধাশ্রমে বসবাস করা সমাজের প্রবীণদের জন্য একটি আনন্দপূর্ণ দিন কাটানোর ব্যবস্থা করেছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব। বরাবরের মতই তারা আয়োজন করেছিল অনুষঙ্গের।
গতকাল শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের মনিপুরে হোতাপাড়া এলাকায় গিভেন্সি গ্রুপের বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রে ক্লাবের প্রায় ১০০ জন সদস্য নিয়ে উপস্থিত ছিলেন সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাবের ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজার মেজবাহ উল হাসান চৌধুরী।
প্রবীণদের মাঝে তরুণদের উদ্দীপনার আলো ছড়িয়ে দিতে একটি দিন তাদের সঙ্গে বসে সময় কাটিয়ে তাদের কথা শুনে ক্লাবের সদস্যরা মেতেছিলেন নানান আয়োজনে। কখনো জনপ্রিয় গেইম ‘পিলো পাসিং’ খেলে কখনো বা পুরোনো দিনের গান গেয়ে। দিনটির বিশেষ মুহূর্তগুলোকে আরও রঙিন করতে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন কার্টুনিস্ট সাঈদ রাশেদ ইমাম তন্ময়। এর পাশাপাশি বৃদ্ধাশ্রমের পরিবেশকে আরও বসবাসবান্ধব করে তোলার জন্য ক্লাবের সদস্যরা বৃক্ষরোপণের কর্মসূচিও পালন করে। উদ্যোগটি সফল করতে পেইন্ট পার্টনার হিসেবে উপস্থিত ছিল এশিয়ান পেইন্টস।
এছাড়াও তারা চেষ্টা করেছিল তাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের ঔষধ ও মেডিকেল সরঞ্জাম এবং হুইলচেয়ার বয়স্কদের মাঝে পৌঁছে দিতে। সারাদিন বিশেষ আয়োজনগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম আয়োজন ছিল বৃদ্ধাশ্রমের দেয়াল ও আঙিনায় রং দিয়ে আলপনা আঁকা।
ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মৌরিন ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা প্রায়ই ব্যস্ত জীবনে আটকে যাই। কিন্তু ‘অনুষঙ্গ’ ইভেন্ট আমাদের ফিরিয়ে দেওয়ার গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়। বয়স্কদের সঙ্গে সময় কাটানো একটি শক্তিশালী অভিজ্ঞতা। যা বোঝায়, আমাদের যত্ন অন্যদের কাছে কতটা অর্থ বহন করতে পারে। আমি আশা করি এটি আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে সমাজে অবদান রাখার উপায়গুলি খুঁজে বের করতে।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাবের ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজার মেজবাউল হাসান চৌধুরী বলেন, আমাদের ছাত্রদের ‘অনুষঙ্গ’-এর মতো অপূর্ব সুন্দর চেতনার একটি উদ্যোগ নিতে দেখে খুবই ভালো লাগছে। বয়স্কদের যত্ন নেওয়া একটি সহানুভূতিশীল সমাজ গঠনে সহায়তা করে। আমি নিশ্চিত এই আয়োজন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সহানুভূতি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা গ্রহণে অনুপ্রাণিত করবে। সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা তরুণ প্রাণে ভবিষ্যতের জন্য আলোড়ন ছড়াতে চায় ও মানসিকতার বিকাশ চায়।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব ১৯৯৪ সালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির একটি ছাত্র সংগঠন হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
ব্রিটেনে বাংলাদেশি কারি ইন্ড্রাস্ট্রির বৃহত্তম সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাটারসাস অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএ) বর্ণাঢ্য আয়োজনে ১৭তম বিসিএ অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠান আগামী (২৮ অক্টোবর) সোমবার লন্ডনের ওটু ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিসিএ-এর কর্মকর্তারা।
বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ব্রিটেনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিশিষ্টজনেরা। অ্যাওয়ার্ডসকে সামনে রেখে গত (১৭ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার লন্ডনের হ্যার্মাস স্মিথ অ্যান্ড ফুলহ্যাম কলেজে শতাধিক প্রতিযোগীর মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে ৭৫ জন উদীয়মান শেফের অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, ফাইনালে তাদের মধ্যে সেরা ১০জন বিসিএ অ্যাওয়ার্ড পাবেন। প্রতিযোগিতার এবারের শিরোনাম (Best bar naan)। এটি কারি শিল্পের এমন একটি প্রতিযোগিতা যেখানে একজন শেফ কারি মসলা ও সাদা ক্রিমের সংমিশ্রণে ক্রিয়েটিভ চিন্তার সমন্বয়ে নতুন কারি ডিশ উদ্ভাবন করবেন। যা হতে পারে (The UK’s King or Queen of Spice) দুপুর ১২টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত সরাসরি এই প্রতিযোগিতায় ব্রিটেনের বিভিন্ন শহর থেকে রেস্টুরেন্ট ও টেকওয়ের শেফরা এতে অংশগ্রহণ করেন। প্রসঙ্গত বিসিএ বিশেষ করে মহিলা ও তরুণ শেফদের জন্য একটি উত্তরাধিকারী, যোগ্য স্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই প্রথমবারের মতো চালু করেছে ইউকে দ্য বেস্ট ইয়াং কারি শেফ অ্যাওয়ার্ড। এই প্রতিযোগিতায় রেকর্ডসংখ্যক তরুণ উদীয়মান শেফ অংশ নিয়েছেন এবার।
লাইভ শেফ কুক অব বিসিএ-ব্রিটেনে বাংলাদেশি কারি ইন্ডাস্ট্রির একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা। ব্রিটেনের অভিজ্ঞ শেফ এবং ক্যাটারার্সদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারকরা এই প্রতিযোগিতা থেকে সেরা দশজন শেফ বাচাই করেন। যেখানে শেফদের উদ্ভাবিত নানা পদের মৌলিক ডিস ও এর সৃজনশীল উপস্থাপনা সর্বোপরি কারি শিল্পের সঙ্গে জড়িত রেস্টুরেন্ট কর্মীদের অনুপ্রাণিত করতে বিসিএ এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। বিসিএ ‘শেফ অফ দ্য ইয়ার’ এর বিচারক প্যানেলে ছিলেন এগ্রোসুপারের হেড অব ইউরোপ ভেনোরিকা মূর্তি ও হেড অব সেইলস ডেইভ ফ্যিটউড, পজিটিভ এনার্জির হেড অব মার্কেটিং জোশ এডওয়ার্ড, ফেডারেশন অব ফিশ এন্ড চিপস এর প্রেসিডেন্ট এনড্রিউ র্কক।এই প্রতিযোগিতা থেকে সেরা দশজন বিজয়ীর নাম বিসিএ’র ১৭তম অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বিখ্যাত ওটু ইন্টারকন্টিনেন্টাল এ সেলিব্রেটি ও বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা ও অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। এবারের বিসিএ এওয়ার্ডস এর স্লোগান হচ্ছে-“Uniting Heritage with Fresh Perspective”।
বিসিএ এ্যাওয়ার্ড কমিটির কনভেনার আতিক রহমান বিইএম ও শেফ অব দ্যা ইয়ার এর হেড শামসুল আলম খান শাহিন বাংলাদেশি ক্যুজিন এর শেফদের বৈচিত্র্যময় মৌলিক রন্ধনশৈলীর প্রতিযোগিতাটি পরিচালনা করেন।বিসিএ সভাপতি অলি খান এমবিই বলেন, কারি শিল্পের উন্নতি এবং সমৃদ্ধির জন্য আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের শেফদের প্রতিভা ও শিল্পসত্তায় বিনিয়োগ করতে হবে। এই এ্যাওয়ার্ড এগুলোতে মূলত প্রতিশ্রুতিশীল মেধাবী তরুণ শেফদের খুজে বের করে তাদের কর্মের স্বীকৃতি তুলে ধরা হয়। তিনি জানান , যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশি কারি ইন্ড্রাস্ট্রি দিন দিন বিস্তৃত ও শক্তিশালী হচ্ছে । বাংলাদেশি কারির স্বাদ ও গুণগত মান অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে উন্নত ও বৈচিত্র্যময়।লাইভ শেফ কুক অফ বিসিএ-প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দক্ষ শেফ তৈরি এবং তাদের উদ্ভাবিত ডিসগুলো মূলধারায় তুলে ধরার পাশাপাশি ব্রিটেনের রেস্টুরেন্টগুলোতে ‘স্কিল্ড স্টাফ‘ তৈরিতেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে।বিসিএ সেক্রেটারি জেনারেল মিটু চৌধুরী বলেন, আমাদের কারি শিল্প ব্রিটেনের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। বিসিএ নিরবিচ্ছিন্নভাবে আমাদের রেস্টুরেন্টগুলোর মান উন্নয়নে কাজ করছে। কারি ইন্ড্রাস্ট্রির জন্য মর্যাদাকর ও অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ সেরা শেফ বাছাই প্রতিযোগিতাটি ব্রিটেনের সেলিব্রেটি শেফ ও অভিজ্ঞদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয়।আমাদের বিশ্বাস এই উদ্যোগ থেকে বাংলাদেশি কারী শিল্পে যুক্ত হবে বহু মাত্রিক নানা পদ, স্বাদ ও মানের নতুন ডিশ। একই সাথে আমরা পাবো মেধাবী প্রতিশ্রুতিশীল নতুন প্রজন্মের শেফ।
সংগঠনের চিফ ট্রেজারার টিপু রহমান বলেন, বিসিএ প্রায় বিশ বছর থেকে বাংলাদেশি কারি ইন্ড্রাস্ট্রির শেফদের তাদের কাজের স্বীকৃতি প্রদান করে আসছে। বাংলাদেশি কারী ব্রান্ডিং ও সর্বোপরি কারী ইন্ড্রাস্ট্রির উজ্জ্বল অবস্থানে তাদের মেধা ও শ্রম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। নতুন নতুন শেফদের প্রতিভা খুজে বের করা সহ তাদের সম্মানিত করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
বিসিএ এ্যাওয়ার্ড কমিটির কনভেনার আতিক রহমান বিইএম বলেন, ব্রিটেনের নানা প্রান্ত থেকে প্রতিভাবান তরুণ শেফদের অনুপ্রাণিত ও তাদের কাজগুলো তুলে ধরার লক্ষ্যে এই আয়োজন। লাইভ শেফ কুক অফ বিসিএ প্রতিযোগিতায় ৭৫জন শেফ অংশ নিয়েছেন। প্রতিযোগীদের মৌলিক ডিশ, স্বাদ ও সৃজনশীল আমাদেরকে আশাবাদী করছে।বিশেষ করে মাছ, শাক-সবজি ও বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী সুগন্ধি ফলের ফিউশন কারী ডিশগুলো মূলধারায় বাংলাদেশি কারী শিল্পের ব্রান্ডিং তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
বিসিএ‘র মেম্বারশিপ সেক্রেটারি ইয়ামিম দিদার ও শেফ অব দ্যা ইয়ার এর হেড শামসুল আলম খান শাহিন এর প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিএ প্রেসিডেন্ট ওলি খান এমবিই, সেক্রেটারি জেনারেল মিটু চৌধুরী, চিফ ট্রেজারার টিপু রহমান, সাবেক প্রেসিডেন্ট কামাল ইয়াকুব, ভাইস প্রেসিডেন্ট ফায়জুল হক, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি ফরহাদ হোসেন টিপু, এ্যাওয়ার্ড কমিটির কনভেনার আতিক রহমান বিইএম, প্রেস এন্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি নাজ ইসলাম প্রমুখ।
লন্ডন থেকে ড. আজিজুল আম্বিয়া
বাংলাদেশের নৌ-পর্যটন খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করল বোট বুকিং ইঞ্জিন ‘টেক এ বোট’। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় একটি রেস্টুরেন্টে ‘টেক এ বোট’-এর গ্র্যান্ড ওপেনিং ও গালা ডিনারের আয়োজন করা হয়। এতে ট্যুর গ্রুপ এবং অপারেটরদের মধ্যে উপস্থিত ছিল অভিযাত্রিক ট্যুর গ্রুপ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইকো অ্যাডভেঞ্চারস, বিন্দাস ট্রাভেলারস, আরাল সি ক্রুজ। শিপিং কোম্পানিগুলোর মধ্যে উপস্থিত ছিল টাইগার ট্যুরস, দ্য সেইল শিপিং, রয়্যাল অ্যাডভেঞ্চার।
এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নৌকার মালিক-অপারেটররা উপস্থিত ছিলেন।
‘টেক এ বোট’-এর সহ উদ্যোক্তা আহমাদ আব্দুল্লাহ রিফাত বলেন, আমাদের দেশের পর্যটন সম্ভাবনাকে সময়োপযোগী ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রচার করায় পাশ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় আমরা বেশ পিছিয়ে আছি। ব্লু ট্যুরিজমের বৈচিত্র্যময় সুযোগের বিবেচনায় বাংলাদেশ বিশ্বে একটা অনন্য পর্যটন আকর্ষণ হতে পারে। কিন্তু এ জন্য প্রয়োজন একটি স্মার্ট প্লাটফর্ম। এই সমস্যাটি সমাধানের জন্যই আমরা ডেভেলপ করেছি ‘টেক এ বোট’। শুধুমাত্র একক প্লাটফর্ম হিসেবে নয়, গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (জিডিএস) হিসেবে বিশ্বের যেকোনো দেশের ট্যুরিজম প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশের মেরিন ট্যুরিজমকে পরিচিত করার সক্ষমতা আছে ‘টেক এ বোট’-এর।
এর আরেক উদ্যোক্তা শাফাত মাহমুদ খান বলেন, কেবল বাংলাদেশ নয়, একই নৌকা বা জাহাজ একই সময়ে বিভিন্নভাবে বুকিংয়ের জন্য, যেমন দিনভিত্তিক, রুমভিত্তিক কিংবা প্যাকেজভিত্তিক ভাড়া দেওয়ার জন্য অপারেটররা সুযোগ দেন। আবার এক মাধ্যমে বুকিং হলে অন্য মাধ্যমের বুকিং বন্ধ করতে হয়। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এ ধরনের নির্ভরশীল বুকিং পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করা বেশ জটিল, এজন্যই সারা বিশ্বে বাস, ট্রেন, বিমানের বুকিং সিস্টেম থাকলেও নৌকা বা জাহাজের বুকিং সিস্টেম প্রায় নেই বললেই চলে। আমরা এই সমস্যাটিই সমাধানের চেষ্টা করেছি, এবং আমরা আশাবাদী যে শুধু বাংলাদেশ নয় বরং বৈশ্বিক পর্যায়েও শীঘ্রই কাজ শুরু করতে পারব।
‘টেক এ বোট’ মূলত একটি স্মার্ট বুকিং প্লাটফর্ম, যেখানে ভ্রমণপিপাসুরা খুব সহজেই যেকোনো গন্তব্য ও তারিখে তাদের পছন্দসই নৌকা, জাহাজ বা ইয়ট বুকিং করতে পারবেন কয়েক ক্লিকের মাধ্যমেই। পাশাপাশি, নৌকা, জাহাজ ও ইয়টের মালিকেরা এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে তাদের প্রপার্টিগুলোর প্রমোশন ও বুকিং পেতে পারেন দেশ ও বিদেশের ভ্রমণকারীদের কাছ থেকে। যেখানে দেশীয় এবং বিদেশী পর্যটকরাও খুব সহজেই নৌকা খুঁজে বের করা, বুকিং করা এবং নিরাপদ পেমেন্ট করতে পারবেন।
বর্তমানে প্রচলিত পদ্ধতিতে একজন ট্রাভেলার যদি কোথাও নৌভ্রমণে যেতে চান, তাদেরকে ফেসবুক বা সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে নৌকার ফেসবুক পেজ, গ্রুপ খুঁজে পেতে হয়, তারপর ফেসবুক মেসেজ বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে নৌকা বা জাহাজের প্রাপ্যতা, সুবিধাদি ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। এই পদ্ধতিতে একাধিক নৌকা দেখে যাচাই বাচাই করা বেশ সময়সাপেক্ষ ও কষ্টকর। এই সমস্যাটিরই সমাধান করছে টেক এ বোট। অ্যাডভান্সড সার্চ অ্যালগোরিদমের মাধ্যমে ভ্রমণকারীদের পছন্দসই নৌকা ও জাহাজগুলোর প্রাপ্যতা এবং বিস্তারিত তথ্য ভ্রমণকারীরা সংগ্রহ করতে পারবেন বিশ সেকেন্ডেরও কম সময়ে।
তাছাড়া সুবিধাদি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং রেটিংয়ের ভিত্তিতে একাধিক নৌকার মধ্যে যাচাই বাচাই করার সুযোগও থাকছে গ্রাহকদের জন্য। এর পাশাপাশি, নৌকা বা জাহাজের মালিক এবং অপারেটরগণ তাদের নৌকার যে কোনো ধরনের বুকিং-দিনভিত্তিক, ঘণ্টাভিত্তিক, রুমভিত্তিক কিংবা প্যাকেজভিত্তিক বুকিং গ্রহণ করতে পারবেন ‘টেক এ বোট’ এর মাধ্যমে।
বর্তমান পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট তারিখে নৌকা বা জাহাজের প্রাপ্যতা কিংবা একটি নির্দিষ্ট প্যাকেজের প্রাপ্যতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্রমণকারীদের জানানোর কোনো সুযোগ নেই। ‘টেক এ বোট’-এর মাধ্যমে খুব সহজেই এই তথ্যগুলো ভ্রমণকারীদের জানাতে পারবেন অপারেটররা।