বিশ্বখ্যাত অডিও ব্র্যান্ড জেবিএলের সঙ্গে আবারও একসঙ্গে কাজ শুরু করেছে ট্রেন্ডি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। পার্টনারশিপটি দুই প্রতিষ্ঠানের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ফলে সাউন্ড বাই জেবিএলের মাধ্যমে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজের ফোনগুলোতে উন্নত অডিও অভিজ্ঞতা পাবেন গ্রাহকরা। এই পার্টনারশিপের পর আরও উন্নত মানের সাউন্ডের জন্য স্পিকার ও হেডফোন আউটপুটকে বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজে এই পার্টনারশিপ তুমুল সাফল্য পেয়েছিল। তার পথ ধরেই, নতুন এই পার্টনারশিপ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে। জেবিএলের অ্যাকুস্টিক ডিজাইন, উন্নত অডিও প্রসেসিং অ্যালগরিদম এবং আধুনিক ড্রাইভার প্রযুক্তি সেরা মানের হার্ডওয়্যার নিশ্চিত করে। এতে ইনফিনিক্স ডিভাইসে পাওয়া যাবে নির্ভরযোগ্য সাউন্ড সিস্টেম।
এই পার্টনারশিপের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো- নোট ৪০ সিরিজের ফোনে ডুয়েল জেবিএল স্পিকারের অন্তর্ভুক্তি। চমৎকার, থ্রিডি সাউন্ডের অভিজ্ঞতা দিতে এই ডুয়েল স্পিকার ডিজাইন করা হয়েছে। এতে আরও আছে ডিপ বেইজ ইফেক্টসহ ৫৮% উন্নত বেইজ পারফরম্যান্স। নোট ৪০ সিরিজের ফাইভ-ম্যাগনেট সাউন্ড ইউনিট নির্ভরযোগ্য সাউন্ডের ক্ষেত্রে একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। এটি মিউজিক, ভিডিও ও গেমিংয়ে গ্রাহকদের জন্য সেরা অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে। তাছাড়া ইনফিনিক্সের নিজের তৈরি এআই অ্যালগরিদমযুক্ত ডাবল মাইক্রোফোন সিস্টেম কোলাহলপূর্ণ পরিবেশেও পরিষ্কার ভয়েস ক্যাপচার নিশ্চিত করে। ফিচারটি গেমারদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজ থাকলেও গেমিংয়ের সময় তারা টিমের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন নির্বিঘ্নে।
গত মার্চ থেকে বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজের নোট ৪০ ও নোট ৪০ প্রো স্মার্টফোন দুটি। নোট ৪০ প্রো ফোনের ৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার সংস্করণটির মূল্য ৩০,৯৯৯ টাকা এবং ১২ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার সংস্করণটির মূল্য ৩৪,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার নোট ৪০ ফোনটির মূল্য ২৬,৯৯৯ টাকা। বিজ্ঞপ্তি
জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় সীমান্ত ব্যাংকের উদ্যোগে শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) এবং টেকনাফ (কক্সবাজার) উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপনের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা হয় এবং বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করা হয়। শ্যামনগরের ৭টি এবং টেকনাফে ২টি বিদ্যালয়ে গাছের চারা রোপণ করা হয়।
সীমান্ত ব্যাংকের টেকনাফ শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হোসেন এবং শ্যামনগর উপশাখার ব্যবস্থাপক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম যথাক্রমে টেকনাফ এবং শ্যামনগরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী সমন্বয় করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীগন স্বতঃস্ফূর্তভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন।
বাংলাদেশে প্রতি বছর হাজারো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে যক্ষ্মা (টিবি)। কেবল ২০২৩ সালেই ৪৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে- ফলে প্রতি ১২ মিনিটে একজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন যক্ষ্মায়। এই জাতীয় সংকট মোকাবেলায় সাহসী উদ্যোগ নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। জীবনরক্ষাকারী যক্ষ্মা প্রতিরোধ কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করতে প্রাইম ব্যাংক বিশ্বখ্যাত স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি-এরর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে।
আজ (০৯ সেপ্টেম্বর) গুলশানে প্রাইম ব্যাংকের করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রাইম ব্যাংক এক বছরের জন্য আইসিডিডিআর,বি-এর সিলেট টিবি স্ক্রিনিং অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টার (TBSTC)-এর যক্ষ্মা পরীক্ষার ও চিকিৎসা সেবার ধারাবাহিকতায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। প্রাইম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান ও. রশীদ এবং আইসিডিডিআর,বি-এর নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমীদ আহমেদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
দেশে যক্ষ্মা প্রতিরোধে দীর্ঘদিনের আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৫ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে স্ক্রিনিং করেছে। এ সময়ে শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজারের বেশি টিবি রোগী, যার মধ্যে ১৮ হাজার শিশু। পাশাপাশি ৫,৫০০-এরও বেশি ওষুধ-প্রতিরোধী টিবি রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এই সহযোগিতার মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কমিউনিটির কল্যাণে তাদের অঙ্গীকার আরও জোরদার করছে। ব্যাংকটি প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু হ্রাস এবং একটি সুস্থ, সহনশীল বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জনাব মাকসুদুল হাসান গত ০৯/০৯/২০২৫ তারিখে উত্তরা ব্যাংক পিএলসি. এর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। এর আগে তিনি একই ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৯ সনে প্রবেশনারী অফিসার হিসেবে উত্তরা ব্যাংক পিএলসি. এ তার ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং এখন পর্যন্ত তিনি একই ব্যাংকে কর্মরত আছেন। তিনি শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে ব্যাংকের নন-এডি এবং এডি শাখায় দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে তিনি প্রধান কার্যালয়ে ২০০৬ সনে যোগদান করেন। প্রধান কার্যালয়ে যোগদানের পর থেকে তিনি বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট ও ডিভিশন যেমন- হিউম্যান রিসোর্সেস ডিভিশন, ইন্টারন্যাশনাল ডিভিশন, ব্যাংকিং কন্ট্রোল এন্ড কমন সার্ভিসেস ডিভিশন, ইন্টারনাল কন্ট্রোল এন্ড কমপ্লায়েন্স ডিভিশন, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট, জেনারেল সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট, ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্ট ও পাবলিক রিলেশন্স ডিপার্টমেন্টে কাজ করেছেন।
তিনি ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও ইন্দোনেশিয়ায় অফিসিয়াল বিভিন্ন সভা, কর্মশালা ও সম্মেলনে অংশ নেন। ২৬শে জুন ২০১৯ থেকে ৫ই জুন ২০২৩ পর্যন্ত তিনি ব্যাংকের প্রধান ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ব্যাংকের ইন্টিগ্রিটি রিওয়ার্ড পুরষ্কার লাভ করেন।
জনাব হাসান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসাবে ইংরেজী বিভাগ থেকে ১৯৮৫ সনে বি.এ (স্নাতক) ডিগ্রী এবং একই বিষয়ে ১৯৮৬ সনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি নেত্রকোনা জেলার মদন থানাধীন শিবপাশা গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
নিজেদের অরেঞ্জ ক্লাব মেম্বারদের বিশেষ ছাড় সুবিধা দিতে সম্প্রতি ওয়ালটন প্লাজার সাথে এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটির বাংলালিংক। সম্প্রতি, রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এক্সক্লুসিভ লয়্যালটি প্রোগ্রাম ‘অরেঞ্জ ক্লাব’ -এর মাধ্যমে বাংলালিংক এর বিশেষ গ্রাহকদের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো থেকে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন আকর্ষণীয় সুবিধা দিয়ে থাকে। নতুন এই অংশীদারিত্ব গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ অংশীদারত্বের ফলে, বাংলালিংকের অরেঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা এখন থেকে দেশের সব ওয়ালটন প্লাজা আউটলেটে সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ ছাড় পাবেন।
অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলালিংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির লয়্যালটি প্রোগ্রামের সিনিয়র ম্যানেজার জাইন জামান ও লয়্যালটি পার্টনারশিপ ম্যানেজার শাহাদাত এইচ মজুমদার। ওয়ালটন প্লাজার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রায়হান, নির্বাহী পরিচালক (এইচআরএম প্রধান) মো. ফয়সাল ওয়াহিদ এবং উপনির্বাহী পরিচালক ও প্রধান বিক্রয় নির্বাহী (প্লাজা সেলস-ওয়েস্ট) মীর মো. গোলাম ফারুক।
মার্কেটিং অপারেশনস ডিরেক্টর মেহেদী আল আমীন বলেন, “দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে আমরা সবসময়ই আমাদের অরেঞ্জ ক্লাব সদস্যদের জন্য নতুন নতুন সুবিধা প্রদান করার চেষ্টা করি। ওয়ালটনের সঙ্গে এই অংশীদারিত্বের ফলে অরেঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য আরো সাশ্রয়ী মূল্যে কিনতে পারবে।”
ওয়ালটন প্লাজার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রায়হান বলেন, “বাংলালিংকের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা আনন্দিত। ওয়ালটন সবসময় গ্রাহকদের জন্য সহজলভ্যতা ও সাশ্রয়ী দামে পণ্য দেওয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে। নতুন এই অংশীদারিত্ব আমাদের সেই লক্ষ্যকে আরও শক্তিশালী করবে। বাংলালিংকের সবচেয়ে বিশ্বস্ত গ্রাহকরা এখন আমাদের নানান মানসম্মত পণ্য অতিরিক্ত সুবিধাসহ উপভোগ করতে পারবেন।”
পূবালী ব্যাংক পিএলসি. ও সফটওয়্যার শপ লিমিটেড (SSL) এর মধ্যে ঝবঃঃষবসবহঃ ইধহশ চধৎঃহবৎংযরঢ় রহ ঘচঝই Settlement Bank Partnership in NPSB (National Payment Switch Bangladesh) Platform সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সম্প্রতি স্বাক্ষরিত হয়েছে। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারক হস্তান্তর করেন পূবালী ব্যাংক পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আলী ও সফটওয়্যার শপ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম। সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে পূবালী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শাহনেওয়াজ খান, সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট বিভাগ প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক ইন্দ্র মোহন সূত্রধর, কার্ড অপারেশন বিভাগ প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার রায় এবং অলটারনেটিভ ডেলিভারি চ্যানেল বিভাগ প্রধান ও উপমহাব্যবস্থাপক মো. রবিউল আলম এবং সফটওয়্যার শপ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইফতেখার আলম ইসহাক, গ্রুপ এডভাইজার আহমেদ কামাল খান চৌধুরী, মহাব্যবস্থাপক মোঃ মহিউদ্দিন তৌফিক-সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রান্তিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) জন্য দেশের প্রথম ইনস্ট্যান্ট ডিজিটাল ঋণসুবিধা ‘সাফল্য ই-লোন’ চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
এই সুবিধার ফলে এখন থেকে ছোট ব্যবসায়ী, দোকানদার এবং প্রান্তিক উদ্যোক্তারা মাত্র কয়েক মিনিটেই সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন।
এসএমই-কেন্দ্রিক ব্যাংক হিসেবে শুধুমাত্র ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য দেশের প্রথম এই ই-লোন সুবিধা চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক, যা প্রান্তিক অঞ্চলের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে ব্যাংকটির ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
প্রান্তিক এসএমইদের বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড বলা হলেও কাগজপত্রের ঝামেলা, জটিল শর্তাবলি এবং ঋণ প্রদানে দীর্ঘসূত্রতার কারণে এই খাত দীর্ঘদিন ধরে ফরমাল ঋণসুবিধার বাইরে ছিলো। ফলে, তাঁরা একপ্রকার বাধ্য হয়েই উচ্চসুদে স্থানীয় ঋণদাতাদের কাছ থেকে ঋণ নিতেন, যেখানে তাঁদের আয়ের বড় একটি অংশই চলে যেতো। আবার, প্রতিটি ঋণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জনবল, ব্যয়বহুল ম্যানুয়াল প্রক্রিয়া ও বিলম্বের কারণে ব্যাংকের দিক থেকেও গ্রাহকসেবা বিঘ্নিত হতো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ অনুমতিতে ব্র্যাক ব্যাংক ‘সাফল্য ই-লোন’ মডেল তৈরি করেছে, যাতে যাদের প্রয়োজন, তাঁদের কাছে খুব দ্রুত ও সহজেই এই আনুষ্ঠানিক ঋণসুবিধা পৌঁছে যায়। এখানে নেই ব্রাঞ্চে যাওয়া বা কাগজপত্রের ঝামেলা। গ্রাহকরা কেবল জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েই এই ডিজিটাল ঋণ নিতে পারবেন। আবেদনের কয়েক মিনিটের মধ্যেই অনুমোদিত অর্থ সরাসরি গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা ব্যাপক উপকৃত হবেন।
ঋণ পরিশোধ প্রক্রিয়াটিও অত্যন্ত সহজ ও সুবিধাজনক। উদ্যোক্তারা তাঁদের সুবিধামতো চ্যানেল, যেমন- এজেন্ট পয়েন্ট, বিকাশ, ব্যাংকের শাখা বা উপশাখা, ব্যবহার করে ছয় মাসের সহজ কিস্তিতে ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন।
ইতিমধ্যে শেরপুর, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, জামালপুর, সাতক্ষীরাসহ দেশের দুর্গম চরাঞ্চলের ৫,০০০-এরও বেশি মানুষের কাছে এই ঋণসুবিধা পৌঁছে গেছে। পর্যায়ক্রমে এ সেবা আরও সম্প্রসারণ করা হবে। গ্রাম ও হাটবাজারে এখন আর ঋণের জন্য সপ্তাহের পর সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয় না; মাত্র কয়েক মিনিটেই ঋণের টাকা পোঁছে যাচ্ছে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে ব্যাংকটির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, “প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়ন সুবিধা সহজ করার লক্ষ্যে ‘সাফল্য ই-লোন’ চালু ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। ঋণ প্রক্রিয়া ডিজিটাল করার মাধ্যমে আমরা এখন দ্রুততম সময়ে এবং কম খরচে উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে পারছি। এই উদ্ভাবনী সেবার ফলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের দৈনন্দিন সমস্যা দূর হওয়ার পাশাপাশি তাঁদের ব্যবসায়ের উন্নয়নও নিশ্চিত হবে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। প্রযুক্তি ও গ্রাহককেন্দ্রিক প্রোডাক্টের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি কোণে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ১০০টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
বাংলাদেশের টেকসই স্থাপত্য (Sustainable architecture) নিয়ে একটি গবেষণাধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। ব্রিটিশ কাউন্সিলের অর্থায়নে পরিচালিত এই গবেষণাটি পরিচালনার জন্য এই বছরের মার্চ মাসে বেঙ্গল ইনস্টিটিউট ফর আর্কিটেকচার একটি প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়।
গবেষণায় নিযুক্ত দলটি এখন মাঠ পর্যায়ে দেশজুড়ে বিদ্যমান টেকসই এবং জলবায়ু-সহনশীল স্থাপত্যচর্চা ও এ সংক্রান্ত পদ্ধতিগুলোর নথিভুক্তকরণ এবং সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রস্তুত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। এই উদ্দেশ্যে এসকল প্রকল্পগুলোর স্থপতি, স্থাপত্য তত্ত্বাবধায়ক এবং ব্যবহারকারীদের সাক্ষাৎকার ভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ করে, স্থাপত্যচর্চার অন্তর্নিহিত বৃহত্তর প্রেক্ষাপট তুলে ধরার মাধ্যমে চর্চাগুলোর প্রায়োগিক ব্যবহারবিধি উপস্থাপন করা হবে।
বাংলাদেশে টেকসই স্থাপত্য বিষয়ক গবেষণার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর প্রোগ্রামস ডেভিড নক্স বলেছেন, ‘পরিবেশ এবং অর্থনীতির জন্য টেকসই স্থাপত্য বর্তমানে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে, কারণ এটি সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন এবং ব্যবহারিক রূপরেখার এক অসাধারণ সমন্বয়। এটি জলবায়ু সহনশীলতাকে সমর্থন করতে পারে, সেই সাথে ব্যবসা ও কর্মসংস্থানের জন্য নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করতে পারে।’
বেঙ্গল ইন্সটিটিউট ফর আর্কিটেকচার, ল্যান্ডস্কেপস এন্ড সেটেলমেন্টসের মহাপরিচালক অধ্যাপক কাজী খালিদ আশরাফ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে টেকসই স্থাপত্যচর্চা একসময় আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ ছিল। কিন্তু সময়ের পরিবর্তন আর পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের কারণে সেই চর্চাগুলোকে আবার নতুনভাবে ভাবা এবং পুনরুজ্জীবিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি, কমিউনিটিভিত্তিক উদ্যোগ আর পেশাদার পর্যায়ে যে সব নতুন উদ্ভাবন হচ্ছে, সেগুলো চিহ্নিতকরণও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।’
অধ্যাপক কাজী খালিদ আশরাফের নেতৃত্বে এই উদ্যোগের নকশা ও নির্দেশনা প্রদানকারী গবেষণা দলে রয়েছেন: বেঙ্গল ইনস্টিটিউট ফর আর্কিটেকচার, ল্যান্ডস্কেপস অ্যান্ড সেটেলমেন্টস-এর পরিচালক স্থপতি নুসরাত সুমাইয়া; যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টমিনস্টারের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো অধ্যাপক রিপিন কালরা; ঢাকার সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. আতিকুর রহমান; এবং ঝিনাইদহ এবং ঢাকার স্থপতি এবং ল্যান্ডস্কেপ বিষয়ক স্থপতি খোন্দকার হাসিবুল কবির।
জনপ্রিয় বেকারি ও ফাস্ট ফুড ব্র্যান্ড ‘আজোয়া বেক অ্যান্ড পেস্ট্রি’র ঢাকা ও গাজীপুরের ৫০টিরও বেশি আউটলেট থেকে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডার গ্রাহকেরা খাবার অর্ডার করতে পারবেন। এজন্য সম্প্রতি ফুডপ্যান্ডার সাথে একটি চুক্তি সই করেছে আজোয়া।
এ চুক্তির ফলে ফুডপ্যান্ডা অ্যাপের মাধ্যমে ‘হোম ডেলিভারি’ ও ‘পিকআপ’ অপশন ব্যবহার করে আজোয়া থেকে খাবার অর্ডার করা যাবে। এখন ৫০টির বেশি আউটলেট থেকে খাবার অর্ডারের সুযোগ থাকলেও এ বছরের মধ্যে আজোয়া’র আরও আউটলেট ফুডপ্যান্ডায় যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সম্প্রতি, ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি প্রসঙ্গে ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের হেড অব সেলস মো. সিরাজুল হক বলেন, “আজোয়া বেক অ্যান্ড পেস্ট্রি জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ড। ফুডপ্যান্ডার সাথে এ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আজোয়ার খাবার এখন আরও সহজে ক্রেতারা কিনতে পারবেন। আমাদের বিশ্বাস, এ অংশীদারিত্ব সফলভাবে এগিয়ে যাবে।”
এ বিষয়ে আজোয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. বি. এম. হুমায়ুন কবীর বলেন, “আজোয়ার খাবার স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিসমৃদ্ধ। আমরা আমাদের সব পণ্যের সর্বোচ্চ গুণগত মান নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফুডপ্যান্ডার সাথে কাজ করার মাধ্যমে আমরা আরও বড় পরিসরের গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমে আমাদের পণ্যকে তাদের হাতের নাগালে পৌঁছে দিতে পারবো।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ফুডপ্যান্ডার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব সেলস মো. সিরাজুল হক, ফিল্ড সেলস লিড শেখ তানিম শাকের ও ফিল্ড সেলস স্পেশালিস্ট মো. জাকির হোসেন। আজোয়া বেক অ্যান্ড পেস্ট্রির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. বি. এম. হুমায়ুন কবীর, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনির আহমেদ, পরিচালক আবু সৈয়দ মজুমদার ও আইটি ডিরেক্টর মাকসুদ আলী মিরাজ।
শরীয়াহ্ ভিত্তিক ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি’র যে সকল সম্মানিত বিনিয়োগ গ্রহীতাগণ সময়মত বিনিয়োগ পরিশোধ করতে পারেননি তাঁদেরকে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় যোগাযোগ করে বিনিয়োগ হিসাব নিয়মিত করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে। ইউনিয়ন ব্যাংকের সেবা গ্রহণ করুন, দেশের উন্নয়নে অবদান রাখুন।
জার্মান ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন সংস্থা টিইউভি রাইনল্যান্ড থেকে ‘রিয়েল কোয়ান্টাম ডট ডিসপ্লে’ সার্টিফিকেট অর্জন করেছে স্যামসাং কিউএলইডি টিভি। কোয়ান্টাম ডট সেমিকন্ডাক্টরের অতি ক্ষুদ্র অংশ যা অধিকতর পিওর ও ভাইব্রেন্ট রঙ উৎপন্ন করতে পারে। সেই সাথে এর শতভাগ কালার ভলিউম স্ক্রিনে নীল রঙের আধিক্য কমিয়ে টেলিভিশন দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও আরামদায়ক করে।
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে স্যামসাং কিউএলইডি টিভি স্ক্রিনের সব দিকে সমান উজ্জ্বলতা নিশ্চিত করে। ফলে, যেকোনো দিক থেকে স্ক্রিনে রঙের কোনো তারতম্য ছাড়াই টিভি দেখা যায়। উল্লেখ্য, এই প্রযুক্তি প্যান্টন এবং ভিডিই কর্তৃক অনুমোদিত। ২০২৫ সালে বাংলাদেশের বাজারে আসা নতুন কিউ৮এফ এবং ইউ৭এফ কিউএলইডি ৪কে মডেলগুলোও এই সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে।
ইন্টারন্যাশাল ইলেক্ট্রটেকনিক্যাল কমিশন (আইইসি) -এর নির্দেশিকা অনুযায়ী একটি বিস্তারিত পর্যালোচনা করে টিইউভি রাইনল্যান্ড। যার মাধ্যমে টিইউভি রাইনল্যান্ড কিউএলইডি টিভির লাইট স্পেকট্রাম (আলোক বর্ণালী) বিশ্লেষণ করে। ফলাফলে দেখা গেছে, লাল, সবুজ ও নীল আলোর মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে, যা রঙের নিখুঁততা যাচাইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড। এটি টেলিভিশনের দৃশ্যকে দর্শকের কাছে নিখুঁত ও প্রাণবন্ত করে তুলে।
স্যামসাং কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স ডিভিশন এর ডিরেক্টর ও হেড অব বিজনেস শাহরিয়ার বিন লুৎফর এই অর্জন সম্পর্কে বলেন, “স্যামসাং-এ আমরা সবসময় আমাদের গ্রাহকদের টিভি দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এই সার্টিফিকেশন প্রমাণ করে যে, কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি কিউএলইডি টিভিগুলো ছবির সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করে। স্যামসাং-ই একমাত্র টিভি ব্র্যান্ড যেটি এই বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। গ্রাহকের চাহিদার বিবেচনা করে, স্যামসাং এবার কিউএলইডির ৪৩” থেকে ৮৫” পর্যন্ত পুরো লাইনআপ বাজারে এনেছে। আমাদের ২০২৫ সালে বাজারে আসা এই টিভিগুলো বাংলাদেশের গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরে আমরা ভীষণ গর্বিত।”
আরেকটি বৈশ্বিক যাচাইকরণ সংস্থা জেনারেল সোসাইটি অফ সার্ভিল্যান্স (এসজিএস) থেকেও স্যামসাং-এর কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। এই পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে, স্যামসাং-এর টিভিগুলো ক্যাডমিয়াম-মুক্ত ও পরিবেশবান্ধব। ক্ষতিকর ভারী ধাতু অপসারণের মাধ্যমে স্যামসাং দেখিয়েছে যে, উদ্ভাবন ও স্থায়িত্ব একসাথেই চলতে পারে।
স্যামসাং-এর এই অর্জনগুলো প্রমাণ করে যে, তারা ডিসপ্লে প্রযুক্তির জগতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য উন্নতমানের হোম এন্টারটেইনমেন্টের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করছে।
মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস)-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সেবাকে আরও সুরক্ষিত করতে এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে এর ব্যবহার প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে পৃথক দুটি কর্মশালার আয়োজন করেছে ময়মনসিংহ ও বান্দরবান জেলা পুলিশ এবং বিকাশ।
সম্প্রতি, ময়মনসিংহ ও বান্দরবান জেলা পুলিশ এর স্ব স্ব পুলিশলাইন্স ড্রিলশেডে “মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের অপব্যবহার তদন্ত ও প্রতিরোধ” শীর্ষক পৃথক দুটি দিনব্যাপী কর্মশালায় জেলা পুলিশ দুটির ১৩০ জন তদন্ত কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ এর সাথে কর্মশালায় ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম এবং বান্দরবান জেলা পুলিশ এর সাথে কর্মশালায় বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ কাওছার, পিপিএম (বার) জেলা দুটির পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিকাশ-এর পক্ষ থেকে উভয় কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিকাশ এর ইভিপি ও হেড অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স মেজর এ কে এম মনিরুল করিম (অব.)।
অপরাধী চক্র সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্য কীভাবে কাজে লাগিয়ে তাদের শনাক্ত করা ও আইনের আওতায় আনা যায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এই কর্মশালাগুলোতে। এতে প্রযুক্তির ব্যবহার করে তদন্ত কর্মকর্তারা গ্রাহকের হারানো টাকা অনুসন্ধানের কৌশল, ডিজিটাল লেনদেন মনিটরিংয়ের মাধ্যমে অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধের উপায়, এবং তদন্তের প্রয়োজনে বিকাশ-এর কর্মকর্তাদের সাথে কীভাবে খুব সহজেই যোগাযোগ করা যায় - এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া, কোনো অপরাধমূলক ঘটনা সংঘটিত হওয়াকালীন তৎক্ষণাৎ কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে, তা নিয়েও কর্মশালাগুলোতে আলোকপাত করা হয়।
উল্লেখ্য, ডিজিটাল লেনদেনে প্রতিটি লেনদেন মনিটর ও ট্র্যাক করা যায়। ফলে পুলিশ, ডিবি, সিআইডি, পিবিআই সহ সকল তদন্ত কর্মকর্তাদের অনুসন্ধান প্রক্রিয়া অনেক নির্ভুল, সহজ ও দ্রুত হয়। এ বিষয়ে বিকাশ ২০১৭ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন তদন্ত কর্মকর্তাদের সাথে “মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এর অপব্যবহার তদন্ত ও প্রতিরোধ” শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে আসছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠিত বিকাশ-এর নিয়মিত এই আয়োজনে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৪,৫০০ তদন্ত কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির আওতায় সাউথইস্ট ব্যাংক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ্ডলী ও কর্মকর্তাদের জন্য কো–ব্র্যান্ডেড ক্রেডিট কার্ড এবং শিক্ষার্থীদের জন্য কো–ব্র্যান্ডেড প্রিপেইড কার্ড চালু করেছে।
শিক্ষকমণ্ডলী ও কর্মকর্তারা উপযুক্ত ক্রেডিট সীমাসহ আজীবন ফ্রি ক্রেডিট কার্ড পাবেন। অপরদিকে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রিপেইড কার্ডে সহজ ব্যবহার ও অনলাইন লেনদেন সুবিধা থাকবে, যার মাধ্যমে তারা বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন ফি প্রদানের পাশাপাশি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন খাতে অর্থ প্রদান করতে সক্ষম হবেন। কো–ব্র্যান্ডেড এই কার্ডগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সংযোজিত থাকবে।
সাউথইস্ট ব্যাংকের ক্রেডিট ও প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জন্য আধুনিক ব্যাংকিং ও জীবনধারাভিত্তিক সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম আব্দুর রব এবং সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃ মাসুম উদ্দিন খান স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানটি বিকাল ৩:৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ কামরুল আহসান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং কো–ব্র্যান্ডেড প্রিপেইড কার্ড চালু করা উভয় প্রতিষ্ঠানের পারস্পরিক সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য প্রযুক্তিনির্ভর আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং আধুনিক ব্যাংকিং সেবার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
সাউথইস্ট ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কার্ড ডিভিশনের প্রধান ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ আব্দুস সবুর খান, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান খান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব লজিস্টিকস এন্ড জেনারেল সার্ভিসেস ডিভিশন মোঃ মুসফিকুর রহমান, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেমায়েতপুর শাখার শাখা প্রধান মোহাম্মদ মানিউর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
সোনালী ব্যাংক পিএলসির নিজস্ব সফটওয়্যার সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোকে বিভিন্ন এনজিও কর্তৃক প্রদানকৃত বিভিন্ন ফি ও চার্জ আদায়ে সোনালী ব্যাংক পিএলসি এবং এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
০৮ সেপ্টেম্বর সোমবার এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চুক্তি শেষে পরষ্পর চুক্তিপত্র হস্তান্তর করেন সোনালী ব্যাংক পিএলসির এমডি অ্যান্ড সিইও জনাব মো. শওকত আলী খান এবং এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক জনাব মো. দাউদ মিয়া (অতিরিক্ত সচিব)।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব মো. রফিকুল ইসলাম, জেনারেল ম্যানেজার জনাব আকলিমা ইসলাম, বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) জনাব মো. তৌফিক আল মাহমুদ, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) জনাব মো. আনোয়ার হোসেন, ইউএনডিপি ও অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।