সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড পেল ওয়ালটন

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছ থেকে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ গ্রহণ করছেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইভা রিজওয়ানা নিলু ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শরীফ হারুনুর রশীদ ছনি। ছবি: সংগৃহীত 
করপোরেট ডেস্ক
প্রকাশিত
করপোরেট ডেস্ক
প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:২২

ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স পণ্য প্রস্তুতকারক খাতে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ পেয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নীতিমালার আওতায় অপরিহার্য প্রতিপালন, পরিবেশগত প্রতিপালন, প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিপালন উদ্ভাবনী কার্যক্রম বিবেচনা করে ওয়ালটনকে এ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হলো।

গত রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওয়ালটনকে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছ থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) ইভা রিজওয়ানা নিলু। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শরীফ হারুনুর রশীদ ছনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন।

জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

পুরস্কারপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের এএমডি ইভা রিজওয়ানা নিলু বলেন, গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করায় ওয়ালটন পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ।

তিনি জানান, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন খাতে দেশে স্বনির্ভর করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে ওয়ালটন। বাংলাদেশে গড়ে তুলেছে আন্তর্জাতিকমানের পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন শিল্প। সেখানে বিশ্বের সর্বাধুনিক মেশিনারিজের সমন্বয়ে উৎপাদন করা হচ্ছে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি পণ্য। দেশের চাহিদা মিটিয়ে সেসব পণ্য রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে। যে পণ্য একসময় দেশে আমদানি হতো তা এখন রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হচ্ছে। নিঃসন্দেহে এটা জাতি হিসেবে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এতে দেশ ও মানুষের সম্মান সমুন্নত হচ্ছে। এসবই সম্ভব হচ্ছে বর্তমান সরকারের শিল্পবান্ধব নীতির কারণে। এই নীতি সহায়তার ধারা অব্যাহত থাকবে এবং প্রসারিত হবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ওয়ালটন সবসময় পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদনের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ওয়ালটনের উৎপাদিত ফ্রিজ, এসি, টিভিসহ অন্যান্য পণ্য ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। যা পরিবেশ সুরক্ষায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভূমিকা রেখে চলছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ও ইউএনডিপির সমন্বয়ে পরিবেশ সুরক্ষায় বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ওয়ালটন। ইতোমধ্যে এসি এবং ফ্রিজে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক সিএফসি এবং এইচসিএফসি গ্যাসের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে ওয়ালটন। পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে কার্বন নিঃসরন কমিয়ে ওয়ালটন যেমন পরিবেশ সুরক্ষায় অবদান রাখছে, তেমনি দেশের উৎপাদিত বিদ্যুতের সুষম ব্যবহারও নিশ্চিত করছে।

নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও দক্ষ শ্রমশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আরও অধিক পরিমাণে উৎপাদন নিশ্চিত করে দেশের অর্থনীতির গতিকে বেগবান ও টেকসই করার মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমাণ এবং দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রতিযোগিতামূলক অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ প্রবর্তন করা হয়েছে। এ বছর ১২টি খাতে ওয়ালটনসহ মোট ২৯টি শিল্প-কারখানা এ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।

বিষয়:

বিইউএফটির সঙ্গে ব্লুচিজ আউটফিটারস ও হোহেনস্টিন ইনস্টিটিউটের সমঝোতা

বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউএফটি) সঙ্গে ব্লুচিজ আউটফিটারস ও হোহেনস্টিন ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউএফটি) সঙ্গে ব্লুচিজ আউটফিটারস ও হোহেনস্টিন ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ৩০ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ডরুমে ওই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, ফ্যাশন ব্র্যান্ডিং এবং গবেষণাসহ বেশকিছু সহযোগিতামূলক কার্যক্রম যৌথভাবে পরিচালিত হবে।

চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিইউএফটিয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. শফিউল ইসলাম ও ব্লুচিজ আউটফিটারসের প্রতিষ্ঠাতা এবং হোহেনস্টিন গ্রুপের আঞ্চলিক প্রধান (দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া) ড. মো. কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে এ সময় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোজাফফর ইউ সিদ্দীক, বিওটি সদস্য ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মো. ফারুক হাসান, উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুব নবী খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুল জলিলসহ ডিন, একাডেমিক ও প্রশাসনিক প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি

বিষয়:

বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ সুকুকের নিলাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

‘চট্টগ্রাম বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প নির্মাণ ও উন্নয়নের জন্য ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ সুকুক ইস্যুর জন্য প্রণীত প্রোসপেক্টাস বাংলাদেশ ব্যাংকের শরিয়াহ্ অ্যাডভাইজরি কমিটির অনুমোদনক্রমে চূড়ান্ত করা হয়েছে। বর্ণিত সুকুকের নিলাম আগামী ৫ জুন বুধবার ইসলামিক সিকিউরিটিজ সেকশন, ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। প্রোসপেক্টাস অনুযায়ী নিলামের মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ইসতিস্না ও ইজারা পদ্ধতিতে সুকুক ইস্যু করা হবে যার মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ২০২৯ সালের ৬ জুন। এ সুকুকে বিনিয়োগের বিপরীতে বিনিয়োগকারীদের বার্ষিক ১০.৪০ শতাংশ হারে ভাড়া ষাণ্মাসিক ভিত্তিতে পরিশোধ করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চলতি আল ওয়াদিয়াহ্ হিসাব রয়েছে এরূপ সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সরাসরি নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ছাড়া দেশি-বিদেশি ব্যক্তিপর্যায়ের বিনিয়োগকারীসহ বিমা কোম্পানি, প্রভিডেন্ট ফান্ড ও ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স ফান্ড বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চলতি আল ওয়াদিয়াহ্ হিসাব রয়েছে এরূপ ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে সুকুক বরাদ্দের ক্ষেত্রে ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট তারিখের ডিএমডি সার্কুলার লেটার নং-৬-এ বর্ণিত নির্দেশনা অনুসৃত হবে। বিনিয়োগকারীরা ১০ হাজার টাকার গুণিতক পরিমাণে সুকুক ক্রয়ের জন্য নিলামের তারিখ আগামী ৫ জুন সকাল ১০টা হতে দুপুর ১২টার মধ্যে নিলাম নোটিশে বর্ণিত পদ্ধতিতে বিড দাখিল করতে পারবেন। বিডে কৃতকার্য বিডারদের তাদের আবেদনের বিপরীতে বরাদ্দকৃত সুকুকের পরিমাণ একই দিনে ই-মেইলের মাধ্যমে অবহিত করা হবে। অকশন-পরবর্তী কার্যদিবসে (৬ জুন, ২০২৪) নিলামে অংশগ্রহণকারী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে রক্ষিত আল-ওয়াদিয়াহ্ বা চলতি হিসাব বিকলন এবং সিকিউরিটিজ হিসাব আকলন করে এ লেনদেন সম্পন্ন করা হবে। বিজ্ঞপ্তি

বিষয়:

সাভারের হেমায়েতপুরে মেঘনা ব্যাংকের উপশাখা উদ্বোধন

ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরে মেঘনা ব্যাংক পিএলসির উপশাখা উদ্বোধন করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরে মেঘনা ব্যাংক পিএলসির উপশাখা উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল রোববার মেঘনা ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ছাদেকুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘হেমায়েতপুর’ উপশাখার অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং ব্যবসায়ী নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্ত

বিষয়:

বিএসএমএমইউ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতামূলক প্রোগ্রাম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অফ পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গতকাল রোববার একটি সহযোগিতামূলক প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বর্ধন জাং রানা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অফ পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গতকাল রোববার একটি সহযোগিতামূলক প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বর্ধন জাং রানা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন ও পাবলিক অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সভায় চিকিৎসাসেবা, চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে একসঙ্গে পথচলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

সভার মূল বিষয় ছিল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাহায্য সহযোগিতার মাধ্যমে একসঙ্গে পথচলা এবং উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্র সম্পর্কে আলোচনা।

সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক তার বক্তব্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে আরও ত্বরান্বিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের আমলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় বিশ্বমানের গবেষণা কার্যক্রম সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো ডব্লিউএইচও কস্ট সেন্টার চালু করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অটিজম বিশেষজ্ঞ, স্কুল সাইকোলজিস্ট, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক অ্যাডভাইজরি প্যানেলের বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশের অটিজমবিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি, ডব্লিউএইচওর রিজিওনাল ডিরেক্টর সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক নির্বাচিত হওয়ার পর ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক গবেষক ডা. মঞ্জু রানী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ফ্যাকাল্টিদের গবেষণাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেছেন। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমে নতুন গতি এনেছে।

সভায় পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক তার বক্তব্যে এমপিএইচ কারিকুলাম, বিএসএমএমইউ জার্নাল এবং শিক্ষকমণ্ডলী ও ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণ এবং গবেষণায় সহায়তা প্রদানের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

ওই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. মো. মোস্তফা জামান, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, বিএসএমএমইউ জার্নাল। বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারিহা হাসিন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিজয় কুমার পাল, সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. মারুফ হক খান, সহকারী অধ্যাপক মো. রাসেল আহমেদ, প্রভাষক মো. হাসান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি


মেধাবী জাতি ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দুধের ভূমিকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রফেসর ড. মো. নূরুল ইসলাম

১ জুন ছিল বিশ্ব দুগ্ধ দিবস। জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) সর্বপ্রথম ২০০১ সালের ১ জুনকে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস হিসেবে উদ্‌যাপনের ঘোষণা দেন। তার পর থেকে বিশ্বের প্রায় ৪০টিরও বেশি দেশে এই দিবসটি উদ্‌যাপিত হয়ে আসছে। তবে ১ জুন কোনো কারণে উদ্‌যাপন করতে না পারলে জুনের প্রথম সপ্তাহে (১-৭) যেকোনো দিন দিবসটি উদ্‌যাপন করা যায়। দিবসটি উদ্‌যাপনের উদ্দেশ্য হলো বৈশ্বিক খাদ্য হিসেবে দুধের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে ডেইরি শিল্পের বিকাশ ঘটানো।

দুধ প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ খাবার। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি স্তরেই রয়েছে দুধের প্রয়োজনীয়তা। খাদ্যের ছয়টি উপাদান (পানি, আমিষ, চর্বি, শর্করা, মিনারেল ও ভিটামিন) সুষমভাবে দুধে উপস্থিত থাকায় এটিকে শুধু পানীয় না বলে আদর্শ খাদ্যও বলা হয়। স্বাভাবিক গাভীর দুধে প্রায় ৮৭.৫% পানি, ৩.৫% আমিষ, ৩.৫% দুগ্ধ চর্বি, ৪.৮৫% দুগ্ধ শর্করা, ০.৬৫% খনিজ পদার্থ এবং প্রচুর পরিমাণে পানিতে এবং চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিনস রয়েছে।

মানব সভ্যতার বিকাশে এবং মেধাবী জাতি গঠনে দুধ নিবিড়ভাবে জড়িত। দুধের আমিষ প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ আমিষ, এতে জীবনধারণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সব অ্যাসাইনো অ্যাসিড সুষম আকারে বিদ্যমান। পক্ষান্তরে উদ্ভিদ আমিষে অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড লাইসিন, মিথিওনিন এবং ট্রিপটোফেনের ঘাটতি থাকায় শরীরে প্রোটিন সিনথেসিস প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটে এবং শরীরের বর্ধন এবং ক্ষয়পূরণ যথাযথভাবে হয় না। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ (২০০-২৫০ মিলি) পান করলে অন্যান্য আমিষের অ্যামাইনো অ্যাসিডের ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। দুধের আমিষের প্রায় ৮০% হলো কেসিন এবং বাকি ২০% হোয়ে আমিষ নামে পরিচিত। পৃথিবীর আর কোনো খাদ্যে কেসিনের উপস্থিতি নেই। এটাই দুধের শ্রেষ্ঠত্ব। শিশুদের বৃদ্ধির জন্য দুধের আমিষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে, তা ছাড়া দুধে উপস্থিত দুগ্ধ শর্করা (যা ল্যাকটোজ নামে পরিচিত) শিশুদের মস্তিষ্কের কোষ বর্ধনে সহায়তা করে। তাই যেসব শিশু বেশি বেশি দুধ পান করার সুযোগ পান তারা বেশি মেধাবী হয়ে থাকে। মনে রাখতে হবে জন্মের পর ৬-৭ বছরের ভিতর মানুষের ব্রেইনের প্রায় ৯০% বর্ধন হয়ে থাকে। সে জন্য জন্মের পর থেকে ৬-৭ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের প্রতিদিন দুধ খাওয়াতে পারলে তারা মেধাবী জাতিতে পরিণত হয়। ল্যাকটোজ শুধু দুধেই পাওয়া যায়। প্রকৃতির অন্য কোনো খাদ্যে ল্যাকটোজ নেই, যার ফলে মস্তিষ্কের বৃদ্ধির জন্য দুধের কোনো বিকল্প নেই। তা ছাড়া দুধের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে মিনারেলজাতীয় খাদ্য উপাদান যেমন- ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদির উপস্থিতি শরীরের হাড় ও দাঁতের বর্ধন ও গঠনে সহায়তা করে। যার ফলে বাচ্চাদের শারীরিক কাঠামো মজবুত হয়।

অনিদ্রা, উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগ প্রতিরোধেও দুধ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ দুধ পান করলে প্রচুর ঘুম হয়ে থাকে। দুধে উপস্থিত ট্রিপটোফেন ভেঙে, মেলানিন এবং সিরোটনিন নামক দুটি কেমিক্যাল তৈরি হয় যা ঘুমাতে সাহায্য করে। যারা ঘুমের বড়ি খেয়ে অভ্যস্ত তারা ঘুমের বড়ি ছেড়ে দিয়ে এক গ্লাস দুধ পানের অভ্যাস করলে ঘুমও হবে এবং ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে বেঁচে যাবেন। দুধে অবস্থিত ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে। আমাদের রক্তে অবস্থিত এনজিওটেনসিন কনভারটিন এনজাইম (এসিই) রক্তের এনজিওটেনসিন-১ হরমোনকে যখন সক্রিয় করে এনজিওটেনসিন-২ হরমোন তৈরি করে তখন এই সক্রিয় এনজিওটেনসিন-২ হরমোন ভাসকুলার পেশিকে সংকুচিত করে এবং এতে রক্তের চাপ বেড়ে যায়; কিন্তু দুধের আমিষ এবং অ্যাসেনসিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড এই এসিই এনজাইম অকেজো করে রাখতে পারে। যার ফলে ইনঅ্যাকটিভ এনজিওটেনসিন-১ হরমোন অ্যাকটিভ এনজিওটেনসিন-২-তে রূপান্তরিত হতে পারে না, তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। অনেকে মনে করে থাকেন দুগ্ধচর্বি হৃদরোগের কারণ, আসলে সেটা সম্পূর্ণ ঠিক নয়। সেচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাটকে হৃদরোগের জন্য দায়ী করা হয়; কিন্তু দুধের ফ্যাটের প্রায় ৪০% আনসেচুরেটড ফ্যাট, যা এইচডিএল বাড়াতে সাহায্য করে। অন্যদিকে দুধের সব সেচুরেটেড ফ্যাট হৃদরোগের জন্য দায়ী নয়। লরিক, মাইরেস্টিক এবং পালমেটিক অ্যাসিডকে হৃদরোগের জন্য বেশি দায়ী করা হয়, এদের পরিমাণ এক গ্লাস দুধে খুবই কম। একজন সুস্থ মানুষ যদি এক গ্লাস দুধ খান তাতে যে পরিমাণ ফ্যাট থাকে তা বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় অ্যানার্জি তৈরিতে খরচ হয়ে যায় এবং হৃদরোগের আশঙ্কা থাকে না। তবে যারা হৃদরোগে আক্রান্ত তারা দুধের চর্বি উঠায়ে চর্বিবিহীন দুধ খেলে কোনো ক্ষতি হবে না। মনে রাখতে হবে খাদ্যে কিছু পরিমাণ ফ্যাট থাকতেই হবে অন্যত্থায় গোনাডোট্রফিক হরমোন তৈরি বাধাগ্রস্ত হবে।

বয়স্কদের অস্টিওপরোসিস এবং দাঁতের ক্যারিস নিয়ন্ত্রণে দুধের ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খেলে এসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত লোকজন অনায়াসেই দুধ খেতে পারেন, গবেষণায় দেখা গেছে দুধ খেলে ১৪% পর্যন্ত টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে আসে। দুধের শর্করা (ল্যাকটোজ) মস্তিষ্কের কোষের বর্ধন এবং যত্ন করে বিধায় দুধ পান করা জাতি বেশি মেধাবী হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডের জনগণ প্রতিদিন ৮২০ থেকে প্রায় ৯৬০ মিলি দুধ পান করে। যার ফলে তাদের মধ্যে নভেল পুরস্কার প্রাপ্ত বিজ্ঞানীর সংখ্যা অনেক বেশি, প্রতি ১০ মিলিয়নে প্রায় ৩২-৩৩ জন। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ প্রতিদিন ৬৬০-৬৮৫ মিলি দুধ পান করে এবং তাদের প্রতি ১০ মিলিয়নের মধ্যে নভেল পুরস্কার প্রাপ্তির সংখ্যা প্রায় ১০-১২ জন। এতে বোঝা যায় মেধাবী জাতি গঠনের ক্ষেত্রে দুধের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

দুধের এত গুণাগুণ থাকার পরও কোনো কোনো মানুষ দুধ হজম করতে পারে না। দুধ খেলে তাদের পেটের নানাবিদ সমস্যা দেখা দেয়। এটিকে বলা হয় ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স সিনড্রোম। এর মূল কারণ হলো এ ধরনের মানুষের শরীরে ল্যাকটোজ হজম করার জন্য ল্যাকটোজ এনজাইমের ঘাটতি রয়েছে। কিছুদিন দুধ পান করলে ধীরে ধীরে শরীরে ল্যাকটোজ এনজাইমটি তৈরি হতে থাকে এবং এক সময় তিনি দুধ হজমে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। যদি এই এনজাইম শরীরে কোনো সময়ই তৈরে না হয় তা হলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। তারা দুধ থেকে তৈরি দই কিংবা অন্যান্য ফারমেন্টেড ডেইরি ফুড অনায়াসে খেতে পারেন। কারণ ফারমেন্টেড ডেইরি ফুডে ল্যাকটোজের পরিমাণ কম থাকে। তা ছাড়া দই তৈরিতে প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া ব্যবহৃত হয়, যা শরীরে অনেক উপকার করে থাকে।

বাংলাদেশের ডেইরি শিল্প অনেক এগিয়েছে। আমাদের ন্যূনতম প্রয়োজন প্রতিদিন ২৫০ মি.লি. তরল দুধ। বর্তমানে আমাদের প্রাপ্যতা প্রায় ২২১ মি.লি। আমরা আমাদের চাহিদা পূরণের প্রায় দ্বারপ্রান্তে। কৃষির বিভিন্ন সেক্টরে বর্তমান সরকারের গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আজ ডেইরি শিল্পেও বিপ্লব সাধিত হয়েছে। মেধাবী জাতি গঠনে দুধের কোনো বিকল্প নেই। তা ছাড়া আমাদের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মেধাবী এবং দক্ষ জনগণ দরকার। তাই মেধাবী জাতি গঠন ও ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে দেখতে চাইলে দুগ্ধশিল্পকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।

লেখক: দুগ্ধ বিজ্ঞানী এবং ট্রেজারার, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ


সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্স

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে নবনিযুক্ত অ্যাসিন্ট্যান্ট অফিসারদের তৃতীয় ব্যাচের সপ্তাহব্যাপী ‘ওরিয়েন্টেশন ট্রেনিং অন ব্যাংকিং’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স গতকাল রোববার শুরু হয়েছে। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে নবনিযুক্ত অ্যাসিন্ট্যান্ট অফিসারদের তৃতীয় ব্যাচের সপ্তাহব্যাপী ‘ওরিয়েন্টেশন ট্রেনিং অন ব্যাংকিং’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স গতকাল রোববার শুরু হয়েছে। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হান্নান খান। বিভিন্ন শাখার মোট ৪০ জন নবনিযুক্ত অ্যাসিন্ট্যান্ট অফিসার এতে অংশগ্রহণ করেছেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাফর আলম নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ব্যাংকিং জগতে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, নিজেকে দক্ষ করে তোলার জন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। তিনি উপস্থিত সবাইকে অত্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিয়ে অর্জিত জ্ঞান কর্মক্ষেত্রে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন। বিজ্ঞপ্তি

বিষয়:

মার্কেন্টাইল ব্যংকের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন

মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি গতকাল রোববার ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করেছে। এ উপলক্ষে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কেক কেটে উদ্বোধন করেন চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম এমপি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি গতকাল রোববার ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করেছে। এ উপলক্ষে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কেক কেটে উদ্বোধন করেন চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম এমপি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য বাখেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন (হুমায়ুন) ও মো. আব্দুল হান্নান, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ খান বেলাল, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল হক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এ এস এম ফিরোজ আলম, মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জ হাউস (ইউকে) লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম আমানউল্লাহ, পরিচালক মোশাররফ হোসেন ও মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল, শেয়ারহোল্ডার জালাল হোসেন খান এবং ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউল হাসান।

এদিন মাস্টারকার্ডের পক্ষ থেকে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকিং সম্পর্ক স্থাপন-সংক্রান্ত প্রিন্সিপাল লাইসেন্স হস্তান্তর করা হয়। মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম এমপির হাতে লাইসেন্স তুলে দেন। এ সময় মাস্টারকার্ডের ডিরেক্টর জাকিয়া সুলতানা উপস্থিত ছিলেন। এর মাধ্যমে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের গ্রাহকরা বিশ্বব্যাপী মাস্টারকার্ডের সব সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকির হোসাইন, আদিল রায়হান, শামীম আহম্মদ ও অসীম কুমার সাহা, সিএফও তাপস চন্দ্র পাল, পিএইচডি, এসইভিপি শাহ মো. সোহেল খুরশীদ, মোহাম্মদ ইকবাল রেজওয়ানসহ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তারা।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেশব্যপী ব্যাংকের সব শাখা, উপশাখা ও প্রধান কার্যালয়ের সব বিভাগে কেক কেটে বর্ণিল সাজে দিবসটি উদ্‌যাপন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম এমপি গ্রাহক সংখ্যা, শাখা, আমানত সংগ্রহসহ সব সূচকে ব্যাংকের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গত ২৫ বছরের কঠোর পরিশ্রমে মার্কেন্টাইল ব্যাংক একটি টেকসই ও প্রথম সারির ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি ভবিষ্যতেও করপোরেট সুশাসনকে গুরুত্ব দিয়ে গ্রাহকবান্ধব ব্যাংকিংসেবার প্রতিশ্রুতি দেন।

সভাপতির বক্তব্যে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, চলতি বছর খেলাপি ঋণ আদায়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আর নতুন ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কৃষি ও এসএমই খাতকে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষকে ব্যাংকিংসেবার আওতায় আনতে দেশের প্রত্যন্ত জনপদে শাখা-উপশাখা ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট স্থাপন অব্যাহত থাকবে। গ্রাহকদের চাহিদার বাস্তবায়নে ডিজিটাল ব্যাংকিংসেবা আরও ব্যাপক ও বিস্তৃত করারও আশ্বাস দেন তিনি।

বিষয়:

সাবেক সচিব আনিছুর রহমান মিঞাকে দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলার উপদেষ্টা নিয়োগ

আপডেটেড ২ জুন, ২০২৪ ১২:০৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঐতিহ্যবাহী জাতীয় গণমাধ্যম দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনিছুর রহমান মিঞা। আজ ১ জুন শনিবার সন্ধ্যায় যোগদানের সময় দৈনিক বাংলা ও নিউজ বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এরপর উভয় গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের সঙ্গে তাকে পরিচয় করিয়ে দেন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। এ সময় মোহাম্মদ আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান দুটির মানোন্নয়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব।’

মোহাম্মদ আনিছুর রহমান মিঞা ১৯৯৩ সালে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দেন। প্রশাসনিক বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের পর ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক, পরবর্তীতে টাঙ্গাইল ও নারায়ণগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত প্রায় ২ বছর রাজউকের পরিচালক ছিলেন। ২০২২ সালে তিনি রাজউকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ ও পরে সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান। এ অবস্থায় অবসর গ্রহণ করলে ১লা এপ্রিল ২০২৩ সালে সরকার তাকে রাজউকের চেয়ারম্যান হিসেবে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়।


দেশের প্রথম ফিনটেক সুপার অ্যাপের যাত্রা শুরু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান ‘আমার-পে’ চালু করতে যাচ্ছে দেশের প্রথম ফিনটেক সুপার অ্যাপ যা ‘আমার-পে সুপার অ্যাপ’ নামে পরিচিত।

আজ শনিবার রাজধানীর কাওরান বাজারে বিডিবিএল ভবনের বেসিস অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেয় ‘আমার-পে’।

একের ভেতর সব সুবিধা নিয়ে গ্রাহকদের দৈনন্দিন প্রয়োজন পূরণ এবং যেকোনো মাধ্যমে (কার্ড/মোবাইল ব্যাংকিং) অর্থ প্রদান পদ্ধতিকে সহজ করার জন্যই এই সুপার অ্যাপ নিয়ে এসেছে আমার-পে।

অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি রাসেল টি. আহমেদ বলেন, ‘আমার-পে সুপার অ্যাপ বাংলাদেশের মানুষের ডিজিটাল অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে যা আমাদের ও সরকারের লক্ষ্যের সঙ্গেও সংগতিপূর্ণ। অ্যাপটি বাংলাদেশে অনলাইন পেমেন্টের অভিজ্ঞতায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে আমার-পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএম ইশতিয়াক সারওয়ার বলেন, ‘এই সুপার অ্যাপের লক্ষ্য ব্যবহারকারীদের সুবিধাজনকভাবে সর্বত্র পেমেন্ট সমাধান দেওয়া। যা একাধিক অ্যাপের মধ্যে পরিবর্তন করার প্রয়োজনীয়তা দূর করে। দেশব্যাপী গ্রাহকদের নানা ধরনের চাহিদা পূরণে আমার-পে সুপার অ্যাপটি ডিজাইন করা হয়েছে। আমরা গ্রাহকদেরকে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের আওতায় সব ধরনের সেবা প্রদান করছি; যেমন বিদ্যুৎবিল বিল থেকে শুরু করে গ্যাস বিল, পানি বিল, ইন্টারনেট বিল, ক্রেডিট কার্ড বিল, ট্রাভেল বুকিংসহ আরও অনেক কিছু। এ ছাড়াও এই অ্যাপের মাধ্যমে আমরা গ্রাহকদেরকে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন, ডিসকাউন্ট ও রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাওয়ার সুবিধাও দেবো এবং আমরা মনে করছি এক জায়গায় সবকিছু পাওয়ার সুবিধাটি গ্রাহকরা দারুণ ভাবে গ্রহণ করবেন।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আমার-পে সুপার অ্যাপ থেকে ইমতিয়াজ বিন গিয়াস (সিটিও অ্যান্ড ডিরেক্টর), আশিকুর রহমান (প্রডাক্ট- ম্যানেজার, আমার-পে সুপার অ্যাপ), এমটিবির হেড অফ ডিজিটাল ব্যাংকিং ডিভিশন খালিদ হোসেইন, মাস্টারকার্ড-থেকে জুবায়ের হোসেন, ম্যানেজারসহ এই সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা এবং তাদের সবার বক্তব্যে উঠে এসেছে আমার-পে সুপার অ্যাপ কীভাবে বাংলাদেশের অন্যান্য ডিজিটাল সেবা প্রদানকারীদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের সুযোগও সৃষ্টি করছে।

আমার-পে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ফিনটেক প্রতিষ্ঠান ও অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে; যারা দেশের এসএমই এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে পেমেন্ট গেটওয়ে সেবা প্রদান করে থাকে। আমার-পে সুপার অ্যাপটির মাধ্যমে বিস্তৃত পরিসরে সকল সেবাকে একীভূত করে, ব্যবহারকারী-বান্ধব ইন্টারফেসের মাধ্যমে একাধিক পেমেন্ট মেথড দিয়ে লেনদেন পরিচালনা করা যায়। গ্রাহকদেরকে স্বাস্থ্যসেবা, ই-পরিষেবা, খাবার অর্ডার ও বিল পরিশোধসহ বিভিন্ন সুবিধা দেবে এই সুপার অ্যাপ।

আমার-পে সুপার অ্যাপ ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময়ে যেকোনো স্থান থেকে সহজেই তাদের ইউটিলিটি বিল জমা দিতে পারেন, বুক করতে পারেন ভ্রমণের টিকিটও। এ ছাড়াও আমার পে সুপার অ্যাপে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পে মার্চেন্ট পে, কুরিয়ার বুক, বীমা প্রদান ও যানবাহন ট্র্যাকার সাবস্ক্রিপশনের মতো দৈনন্দিন জীবনের সুবিধাগুলো।


এএপিটিসি এর ১২তম বার্ষিক সাধারণ সভা এবং ওয়ার্কশপ সমাপ্ত

ছবি: আইএসপিআর
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা অপারেশনের প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত সকল প্রতিষ্ঠানসমূহের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন অব এশিয়া প্যাসিফিক পিস অপারেশন ট্রেনিং সেন্টার (এএপিটিসি) এর ১২তম বার্ষিক সাধারণ সভা এবং ওয়ার্কশপ এর সমাপনী অনুষ্ঠান আজ বৃহস্পতিবার রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট)- এ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই সম্মেলনের সফল সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি তার মূল্যবান বক্তব্যে বলেন, শান্তিরক্ষা অপারেশনের প্রশিক্ষণের সাথে জড়িত সংস্থাগুলোকে ২১ শতকের শান্তিরক্ষা অপারেশনের চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই সম্মেলনে গবেষক, শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন উপস্থাপনা অংশগ্রহণকারীদের আরও প্রশিক্ষিত ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে ও শান্তিরক্ষা প্রশিক্ষণের সাথে জড়িত সংস্থাগুলোকে প্রশিক্ষণ কৌশল বিকাশে সহায়তা করবে। পাশাপাশি এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সকল সদস্যদের সাথে মতবিনিময়, জ্ঞানের সমন্বয় সাধন এবং পারস্পরিক সমঝোতা বৃদ্ধিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও বিস্তৃত করতে সহায়ক হবে। পরিশেষে এই অনুষ্ঠান সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য তিনি বিপসট, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বার্ষিক সাধারণ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সকল সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রথমবারের মতো এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে, যা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিপসট ও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী তথা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। এএপিটিসি এর ১২তম বার্ষিক সাধারণ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ঝুঁকি মোকাবিলায় বহুমাত্রিক শান্তিরক্ষা প্রশিক্ষণ মডিউলের উন্নতি সাধন’। সম্মেলনে শান্তিরক্ষা প্রশিক্ষণের ডিজিটাল রূপান্তর, প্রযুক্তির মাধ্যমে শান্তি অপারেশন প্রশিক্ষণের উদ্ভাবনী ধারণা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তথ্য সংগ্রহের উপর প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা, প্রযুক্তির মাধ্যমে শান্তিরক্ষায় সক্ষমতা বৃদ্ধি, শান্তিরক্ষীদের কর্মক্ষমতা এবং জবাবদিহিতা ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলাপ-আলোচনা হয়।

উল্লেখ্য,গত ২৭ মে ২০২৪ হতে শুরু হওয়া এই সম্মেলনে প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্র তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিভিন্ন ধারনা উপস্থাপন করেন।

এছাড়াও, এই সম্মেলনে বিপসট, বাংলাদেশ কর্তৃক জাতিসংঘ শান্তি অভিযানের সিম্যুলেশন প্রশিক্ষণ, 'United Nations Peace Operation Simulation Training (UNPOST)' এর উপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এই UNPOST এর মাধ্যমে মিশনগামী কন্টিনজেন্টসমূহকে মিশনের বিভিন্ন কার্যক্রমের বাস্তবমূখী প্রশিক্ষণ প্রদান করা সম্ভব হবে এবং UNPOST এর উপর বিস্তারিত আলোচনা শেষে একটি শিক্ষণীয় মহড়ার আয়োজন করা হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরী, এসবিপি, বিএসপি, এনডিসি, পিএসসি, এমফিল জেনারেল অফিসের কমান্ডিং আর্মি ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, বাংলাদেশে নিয়োজিত জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, উর্ধ্বতন সামরিক, আধা-সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ; জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার প্রধান/প্রতিনিধি; এএপিটিসি এর সদস্যভুক্ত ২৬টি দেশের প্রায় ৫০ জন বিদেশি প্রতিনিধি; স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।


ইগলু আইসক্রিমের সঙ্গে এশিয়াটিক মার্কেটিং কমিউনিকেশনসের চুক্তি সই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় আইসক্রিম ব্র্যান্ড ইগলু আইসক্রিমের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এশিয়াটিক মার্কেটিং কমিউনিকেশনস লিমিটেড।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি ইগলুর প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় এবং এটি ইগলু আইসক্রিমের ব্র্যান্ড পরিচিতি এবং বাজার সম্প্রসারণের জন্য সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে একটি নতুন অংশীদারিত্বের সূচনা করে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এ এস এম ফেরদৌস হাসান নেভিল (ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এশিয়াটিক মার্কেটিং কমিউনিকেশনস লিমিটেড), জয়নব বিনতে মাইনুদ্দিন (পরিচালক, আব্দুল মোনেম লিমিটেড)। বিজ্ঞপ্তি


এনসিসি ব্যাংকে প্রশিক্ষণ কর্মশালা

এনসিসি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জন্য দিনব্যাপী ‘সিএমএসএমই অর্থায়নে দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্প্রতি ব্যাংকের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী এম শামসুল আরেফিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালার উদ্বোধন করেন। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

এনসিসি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জন্য দিনব্যাপী ‘সিএমএসএমই অর্থায়নে দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্প্রতি ব্যাংকের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী এম শামসুল আরেফিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালার উদ্বোধন করেন। এ সময় উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব আলম ও মো. রাফাত উল্লা খান, হেড অব রিটেইল অ্যান্ড এসএমই বিজনেস মোহাম্মদ রীদওয়ানুল হক, মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান সৈয়দ হাসনাইন মামুন, হেড অব এসএমই শরীফ মোহাম্মদ মহসীন এবং ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের এফএভিপি ড. সৈয়দ জাভেদ মো. সালেহ্উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। শাখা পর্যায়ের মোট ৫০ জন রিলেশনশিপ অফিসার (আরও) এবং রিলেশনশিপ ম্যানেজার (আরএম) প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী এম. শামসুল আরেফিন বর্তমানে ব্যাংকিং ব্যবসায় সিএমএসএমইয়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই সেক্টরের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। এনসিসি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে সিএমএসএমই খাতে অর্থায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিষয়:

বিআরডিবির উপপরিচালক সম্মেলন  

বিআরডিবির ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে বিআরডিবির সম্মেলনকক্ষে উপপরিচালক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিআরডিবির ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে বিআরডিবির সম্মেলনকক্ষে উপপরিচালক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ এমপি ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব শাহানারা খাতুন এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আ. গাফ্ফার খান ও বিআরডিবির কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এ সম্মেলন হয়। বিআরডিবির সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমবায়ভিত্তিক কৃষি উৎপাদন ও ব্যস্থাপনার মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে দারিদ্র্য সীমা ৩%-এর নিচে নিয়ে আসতে বিআরডিবিকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। কেএসএসের মাধ্যমে সমবায়ভিত্তিক কৃষির বিপ্লব ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমবায় স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। সচিব মহোদয় বলেন, বিআরডিবির কারুপল্লীকে দেশের উন্নতমানের হস্তশিল্পের সংগ্রহশালা হিসাবে গড়ে তোলা হবে। মহাপরিচালক বলেন, সমবায়ভিত্তিক কৃষি উৎপাদন ও ব্যস্থাপনার জন্য বিআরডিবি আটটি জেলায় পাইলটিং প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বিজ্ঞপ্তি

বিষয়:

banner close