১ জুন ছিল বিশ্ব দুগ্ধ দিবস। জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) সর্বপ্রথম ২০০১ সালের ১ জুনকে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস হিসেবে উদ্যাপনের ঘোষণা দেন। তার পর থেকে বিশ্বের প্রায় ৪০টিরও বেশি দেশে এই দিবসটি উদ্যাপিত হয়ে আসছে। তবে ১ জুন কোনো কারণে উদ্যাপন করতে না পারলে জুনের প্রথম সপ্তাহে (১-৭) যেকোনো দিন দিবসটি উদ্যাপন করা যায়। দিবসটি উদ্যাপনের উদ্দেশ্য হলো বৈশ্বিক খাদ্য হিসেবে দুধের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে ডেইরি শিল্পের বিকাশ ঘটানো।
দুধ প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ খাবার। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি স্তরেই রয়েছে দুধের প্রয়োজনীয়তা। খাদ্যের ছয়টি উপাদান (পানি, আমিষ, চর্বি, শর্করা, মিনারেল ও ভিটামিন) সুষমভাবে দুধে উপস্থিত থাকায় এটিকে শুধু পানীয় না বলে আদর্শ খাদ্যও বলা হয়। স্বাভাবিক গাভীর দুধে প্রায় ৮৭.৫% পানি, ৩.৫% আমিষ, ৩.৫% দুগ্ধ চর্বি, ৪.৮৫% দুগ্ধ শর্করা, ০.৬৫% খনিজ পদার্থ এবং প্রচুর পরিমাণে পানিতে এবং চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিনস রয়েছে।
মানব সভ্যতার বিকাশে এবং মেধাবী জাতি গঠনে দুধ নিবিড়ভাবে জড়িত। দুধের আমিষ প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ আমিষ, এতে জীবনধারণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সব অ্যাসাইনো অ্যাসিড সুষম আকারে বিদ্যমান। পক্ষান্তরে উদ্ভিদ আমিষে অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড লাইসিন, মিথিওনিন এবং ট্রিপটোফেনের ঘাটতি থাকায় শরীরে প্রোটিন সিনথেসিস প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটে এবং শরীরের বর্ধন এবং ক্ষয়পূরণ যথাযথভাবে হয় না। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ (২০০-২৫০ মিলি) পান করলে অন্যান্য আমিষের অ্যামাইনো অ্যাসিডের ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। দুধের আমিষের প্রায় ৮০% হলো কেসিন এবং বাকি ২০% হোয়ে আমিষ নামে পরিচিত। পৃথিবীর আর কোনো খাদ্যে কেসিনের উপস্থিতি নেই। এটাই দুধের শ্রেষ্ঠত্ব। শিশুদের বৃদ্ধির জন্য দুধের আমিষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে, তা ছাড়া দুধে উপস্থিত দুগ্ধ শর্করা (যা ল্যাকটোজ নামে পরিচিত) শিশুদের মস্তিষ্কের কোষ বর্ধনে সহায়তা করে। তাই যেসব শিশু বেশি বেশি দুধ পান করার সুযোগ পান তারা বেশি মেধাবী হয়ে থাকে। মনে রাখতে হবে জন্মের পর ৬-৭ বছরের ভিতর মানুষের ব্রেইনের প্রায় ৯০% বর্ধন হয়ে থাকে। সে জন্য জন্মের পর থেকে ৬-৭ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের প্রতিদিন দুধ খাওয়াতে পারলে তারা মেধাবী জাতিতে পরিণত হয়। ল্যাকটোজ শুধু দুধেই পাওয়া যায়। প্রকৃতির অন্য কোনো খাদ্যে ল্যাকটোজ নেই, যার ফলে মস্তিষ্কের বৃদ্ধির জন্য দুধের কোনো বিকল্প নেই। তা ছাড়া দুধের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে মিনারেলজাতীয় খাদ্য উপাদান যেমন- ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদির উপস্থিতি শরীরের হাড় ও দাঁতের বর্ধন ও গঠনে সহায়তা করে। যার ফলে বাচ্চাদের শারীরিক কাঠামো মজবুত হয়।
অনিদ্রা, উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগ প্রতিরোধেও দুধ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ দুধ পান করলে প্রচুর ঘুম হয়ে থাকে। দুধে উপস্থিত ট্রিপটোফেন ভেঙে, মেলানিন এবং সিরোটনিন নামক দুটি কেমিক্যাল তৈরি হয় যা ঘুমাতে সাহায্য করে। যারা ঘুমের বড়ি খেয়ে অভ্যস্ত তারা ঘুমের বড়ি ছেড়ে দিয়ে এক গ্লাস দুধ পানের অভ্যাস করলে ঘুমও হবে এবং ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে বেঁচে যাবেন। দুধে অবস্থিত ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে। আমাদের রক্তে অবস্থিত এনজিওটেনসিন কনভারটিন এনজাইম (এসিই) রক্তের এনজিওটেনসিন-১ হরমোনকে যখন সক্রিয় করে এনজিওটেনসিন-২ হরমোন তৈরি করে তখন এই সক্রিয় এনজিওটেনসিন-২ হরমোন ভাসকুলার পেশিকে সংকুচিত করে এবং এতে রক্তের চাপ বেড়ে যায়; কিন্তু দুধের আমিষ এবং অ্যাসেনসিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড এই এসিই এনজাইম অকেজো করে রাখতে পারে। যার ফলে ইনঅ্যাকটিভ এনজিওটেনসিন-১ হরমোন অ্যাকটিভ এনজিওটেনসিন-২-তে রূপান্তরিত হতে পারে না, তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। অনেকে মনে করে থাকেন দুগ্ধচর্বি হৃদরোগের কারণ, আসলে সেটা সম্পূর্ণ ঠিক নয়। সেচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাটকে হৃদরোগের জন্য দায়ী করা হয়; কিন্তু দুধের ফ্যাটের প্রায় ৪০% আনসেচুরেটড ফ্যাট, যা এইচডিএল বাড়াতে সাহায্য করে। অন্যদিকে দুধের সব সেচুরেটেড ফ্যাট হৃদরোগের জন্য দায়ী নয়। লরিক, মাইরেস্টিক এবং পালমেটিক অ্যাসিডকে হৃদরোগের জন্য বেশি দায়ী করা হয়, এদের পরিমাণ এক গ্লাস দুধে খুবই কম। একজন সুস্থ মানুষ যদি এক গ্লাস দুধ খান তাতে যে পরিমাণ ফ্যাট থাকে তা বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় অ্যানার্জি তৈরিতে খরচ হয়ে যায় এবং হৃদরোগের আশঙ্কা থাকে না। তবে যারা হৃদরোগে আক্রান্ত তারা দুধের চর্বি উঠায়ে চর্বিবিহীন দুধ খেলে কোনো ক্ষতি হবে না। মনে রাখতে হবে খাদ্যে কিছু পরিমাণ ফ্যাট থাকতেই হবে অন্যত্থায় গোনাডোট্রফিক হরমোন তৈরি বাধাগ্রস্ত হবে।
বয়স্কদের অস্টিওপরোসিস এবং দাঁতের ক্যারিস নিয়ন্ত্রণে দুধের ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খেলে এসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত লোকজন অনায়াসেই দুধ খেতে পারেন, গবেষণায় দেখা গেছে দুধ খেলে ১৪% পর্যন্ত টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে আসে। দুধের শর্করা (ল্যাকটোজ) মস্তিষ্কের কোষের বর্ধন এবং যত্ন করে বিধায় দুধ পান করা জাতি বেশি মেধাবী হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডের জনগণ প্রতিদিন ৮২০ থেকে প্রায় ৯৬০ মিলি দুধ পান করে। যার ফলে তাদের মধ্যে নভেল পুরস্কার প্রাপ্ত বিজ্ঞানীর সংখ্যা অনেক বেশি, প্রতি ১০ মিলিয়নে প্রায় ৩২-৩৩ জন। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ প্রতিদিন ৬৬০-৬৮৫ মিলি দুধ পান করে এবং তাদের প্রতি ১০ মিলিয়নের মধ্যে নভেল পুরস্কার প্রাপ্তির সংখ্যা প্রায় ১০-১২ জন। এতে বোঝা যায় মেধাবী জাতি গঠনের ক্ষেত্রে দুধের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
দুধের এত গুণাগুণ থাকার পরও কোনো কোনো মানুষ দুধ হজম করতে পারে না। দুধ খেলে তাদের পেটের নানাবিদ সমস্যা দেখা দেয়। এটিকে বলা হয় ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স সিনড্রোম। এর মূল কারণ হলো এ ধরনের মানুষের শরীরে ল্যাকটোজ হজম করার জন্য ল্যাকটোজ এনজাইমের ঘাটতি রয়েছে। কিছুদিন দুধ পান করলে ধীরে ধীরে শরীরে ল্যাকটোজ এনজাইমটি তৈরি হতে থাকে এবং এক সময় তিনি দুধ হজমে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। যদি এই এনজাইম শরীরে কোনো সময়ই তৈরে না হয় তা হলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। তারা দুধ থেকে তৈরি দই কিংবা অন্যান্য ফারমেন্টেড ডেইরি ফুড অনায়াসে খেতে পারেন। কারণ ফারমেন্টেড ডেইরি ফুডে ল্যাকটোজের পরিমাণ কম থাকে। তা ছাড়া দই তৈরিতে প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া ব্যবহৃত হয়, যা শরীরে অনেক উপকার করে থাকে।
বাংলাদেশের ডেইরি শিল্প অনেক এগিয়েছে। আমাদের ন্যূনতম প্রয়োজন প্রতিদিন ২৫০ মি.লি. তরল দুধ। বর্তমানে আমাদের প্রাপ্যতা প্রায় ২২১ মি.লি। আমরা আমাদের চাহিদা পূরণের প্রায় দ্বারপ্রান্তে। কৃষির বিভিন্ন সেক্টরে বর্তমান সরকারের গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আজ ডেইরি শিল্পেও বিপ্লব সাধিত হয়েছে। মেধাবী জাতি গঠনে দুধের কোনো বিকল্প নেই। তা ছাড়া আমাদের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মেধাবী এবং দক্ষ জনগণ দরকার। তাই মেধাবী জাতি গঠন ও ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে দেখতে চাইলে দুগ্ধশিল্পকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।
লেখক: দুগ্ধ বিজ্ঞানী এবং ট্রেজারার, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
নারী নেতৃত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ‘স্বপ্নজয়ী নারী সম্মাননা ২০২৫’ অর্জন করেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী (সিআইপি)।
আজ শনিবার এনআরবি ওয়ার্ল্ড ও বিজনেস আমেরিকা ম্যাগাজিনের যৌথ উদ্যোগে সাপ্তাহিক অর্থকন্ঠ-এর ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকার এর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি ফয়েজ আহম্মদ তৈয়ব ।
প্রীতি চক্রবর্তী একজন সুদক্ষ স্বাস্থ্য উদ্যোক্তা, সমাজসেবী এবং নারীর ক্ষমতায়নের এক উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি। ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেতৃত্বে তিনি স্বাস্থ্যসেবার গুণগতমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তাঁর এই অর্জনে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিবার গর্বিত ও আনন্দিত এবং এই সম্মাননা ভবিষ্যতের নারী নেত্রীদের অনুপ্রাণিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার স্বর্গীয় আশুতোষ চক্রবর্তী ও পুষ্প চক্রবর্তীর জ্যেষ্ঠ কন্যা ।
নান্দনিক এই আয়োজনটিতে দেশের বিভিন্ন খাতের প্রভাবশালী নারী উদ্যোক্তা, কর্পোরেট নেতৃবৃন্দ, সংস্কৃতি ও গণমাধ্যম অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল পেমেন্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সিমপাইসা সম্প্রতি বাংলাদেশে এক ইফতার আয়োজন করে, যেখানে বিভিন্ন খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। রমজানের মহিমান্বিত মাসকে উদযাপন করার পাশাপাশি, এই আয়োজনে ডিজিটাল উদ্ভাবনের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও এর মাধ্যমে বাংলাদেশে ডিজিটাল পেমেন্ট, ফ্রিল্যান্স অর্থনীতি ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রসার নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বাংলাদেশে ডিজিটাল পেমেন্ট খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে, যেখানে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, কিউআর কোড এবং অনলাইন ব্যাংকিং ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
ইফতার অনুষ্ঠানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির গুরুত্ব বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়। আর্থিক সেবার সবার জন্য সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীরা আরও নিরাপদ ও কার্যকর উপায়ে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন।
সিমপাইসা সর্বদা ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীদের সহজ ও আধুনিক ডিজিটাল পেমেন্ট সল্যুশন প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিষ্ঠানটি সরকারি সংস্থা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একযোগে কাজ করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে।
রমজান আত্মপর্যালোচনা ও সহমর্মিতার বার্তা বহন করে। এ উপলক্ষে, সিমপাইসা সবাইকে ডিজিটাল সাক্ষরতা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার আহ্বান জানায়, যেন সবাই মিলে একটি আরও সমৃদ্ধ ও সমান সুযোগ-সুবিধাপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারে।
বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো চীন ভিত্তিক স্মার্টডিভাইস ব্র্যান্ড ইউমিডিজি। গতকাল রোববার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার একটি হোটেলে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধনকালে বাজারে ইউমিডিজি জি৯-ফাইভজি, ইউমিডিজি জি৯সি, ইউমিডিজি জি৯টি এবং ইউমিডিজি জি৯এ- এই ৪টি নতুন স্মার্টফোন উদ্বোধন করেছে।
এর মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড১৪ অপারেটিং সিস্টেম সমৃদ্ধ ৫জি সমর্থিত ইমিডিজি জি৯ ডিভাইসটিতে রয়েছে ৬.৭৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ৭.৯ মিলিমিটার স্লিম ডিজাইন, ১২ জিবি র্যাম (৬ জিবি ভার্চুয়াল র্যাম সহ) ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ, ২০ ওয়ার্ট গ্যান ফাস্টচার্জিং সুবিধা সম্পন্ন ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। স্মার্টফোনটিতে আরও রয়েছে ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো ও ২ মেগাপিক্সেল ডেফথ ক্যামেরা সহ ৫০ মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরা এবং ৮ মেগাপিক্সল সেলফি ক্যামেরা। বাংলাদেশের জন্য ডিভাইসটির দাম নির্ধারন করা হয়েছে ১৪ হাজার ৯৯০ টাকা।
অন্যদিকে ইমিডিজি জি৯সি ডিভাইসটিতে রয়েছে ৬.৭৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ৭.৯ মিলিমিটার স্লিম ডিজাইন, ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ, ১৮ ওয়ার্ট ফাস্টচার্জিং সুবিধা সম্পন্ন ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। স্মার্টফোনটিতে আরও রয়েছে ২ মেগাপিক্সেল ডেফথ ক্যামেরা সহ ৫০ মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরা এবং ৮ মেগাপিক্সল সেলফি ক্যামেরা। বাংলাদেশের জন্য ডিভাইসটির দাম নির্ধারন করা হয়েছে ১২ হাজার ৯৯০ টাকা।
এছাড়া ২ মেগাপিক্সেল ডেফথ ক্যামেরা, ১৩ মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরা ও ৮ মেগাপিক্সল সেলফি ক্যামেরার ইউমিডিজি জি৯টি ডিভাইসটির দাম ১০ হাজার ৯৯০ টাকা এবং ইউমিডিজি জি৯এ ডিভাইসটির দাম ৯ হাজার ৯৯০টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী রোজার ঈদের আগে ইউমিডিজি’র আরও দুইটি ফোন অবমুক্ত করা হবে। মডেল দুটি হলো ইউমিডিজি ১০০ নোট এবং নোট এআই। শীঘ্রই দেশজুড়ে ব্র্যান্ডটির ১২টি সার্ভিস সেন্টার এবং ১০টি কালেকশন পয়েন্ট চালু করা হবে।
অনুষ্ঠানে ইউমিডিজি বাংলাদেশের কার্যক্রম ও নতুন ডিভাইসগুলো নিয়ে বক্তব্য রাখেন ইউমিডিজি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঝোউ, সেলস অ্যান্ড অপারেশনস হেড মাসুকুর রহমান, মার্কেটিং ম্যানেজের রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
গাজীপুরের কাজী নেচার ক্যাম্পে গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয়েছে ট্রেইনারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের।
দিনব্যাপী লার্নিং গেমসভিত্তিক ট্রেইনার্স ট্রেনিং ও রিট্রিটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৫০ জন প্রশিক্ষক অংশ নেন।
এ আয়োজন প্রশিক্ষণের নতুন নতুন কৌশল শেখার পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বন্ধন সুদৃঢ় করার এক অনন্য সুযোগ তৈরি করেছে।
ট্রেইনারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সহসভাপতি ইউসুফ ইফতি বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষক তৈরি, আয়ের নতুন পথ সৃষ্টিতে সহায়তা, প্রশিক্ষকদের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম তৈরি এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার প্রশিক্ষক তৈরির লক্ষ্যে কাজ করব। এই উদ্যোগ দেশের পেশাগত এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
ট্রেইনারসের নেতৃত্বে রয়েছেন সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কেএম হাসান রিপন, নির্বাহী সহসভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইউসুফ ইফতি, সহসভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোহাম্মদ মোরাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেল এইচ খান, পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য লায়লা নাজনীন এবং পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জিয়া উদ্দিন মাহমুদ।
অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ ও কার্যকর করার জন্য রওনক জাহান নিসাকে সমন্বয়কারী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
ট্রেইনারসের সভাপতি কে এম হাসান রিপন বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানটি শুধু শিক্ষামূলকই নয়, বরং উদ্বুদ্ধ করার মতো একটি মাইলফলক। এটি নেটওয়ার্কিং এবং দক্ষতা উন্নয়নের একটি চমৎকার সুযোগ তৈরি করেছে। আমরা দেশের সকল প্রশিক্ষকদের আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাই।’
কাজী নেচার ক্যাম্পের সুযোগ-সুবিধার প্রশংসা করে ট্রেইনারসের সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করার পর আমরা কাজী নেচার ক্যাম্পকে প্রশিক্ষণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান হিসেবে পেয়েছি। এখানে ট্রি-টপ অ্যাক্টিভিটিস, বোটিং, কায়াকিং, টেন্ট, ফায়ার ক্যাম্প, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী খাবারসহ অসাধারণ সেবা রয়েছে। এটি প্রশিক্ষণের জন্য আদর্শ পরিবেশ।’
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শায়লা আশরাফ, সামিরা হক, আজিজ সেলিম, ইসরাত জাহান, সুমন ও ইকবাল কার্যক্রম নিয়ে তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি ট্রেইনারসের ঐতিহাসিক সূচনা চিহ্নিত করে। ভবিষ্যতে আরও প্রশিক্ষণ ও কার্যক্রমের মাধ্যমে ট্রেইনারস দেশের প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ) এবং দ্যা সাব-কাউন্সিল অব টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি, চায়না কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অফ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড (সিসিপিআইটি টেক্স চায়না) এর যৌথ আয়োজনে ১৫-১৮ জানুয়ারি, চার দিনব্যাপী ২৩তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক শো ২০২৫ - উইনটার এডিশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একইসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় ৭ম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ডেনিম শো।
প্রদর্শনী চলাকালীন ১৬ জানুয়ারি সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাংলাদেশ সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সোসাইটির সহ-আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ‘ড্রাইভিং টেক্সটাইল কমপিটিটিভনেস: সাপ্লাই চেইন্স অ্যাজ দ্যা গেম চেঞ্জার’ শীর্ষক সেমিনার।
সেমিনার পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সোসাইটির প্রেসিডেন্ট নকীব খান। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়াহিদ আনোয়ার, হেড অফ সাপ্লাই চেইন, আর-পেক বাংলাদেশ লিমিটেড। সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন মো. ফেরদৌস খান রোমান, হেড অফ সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, অ্যাপটেক গ্রুপ এবং মো. আফসার হোসেন, সিইও, ট্রান্স ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সোসাইটি। সেমিনারে বিভিন্ন সেক্টরের শতাধিক অংশগ্রহণকারী অংশ নেন।
নকীব খান সেমিনারের শুরুতে আলোচ্য বিষয় উপস্থাপন করেন এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চালিত করতে সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি গেম চেঞ্জার হতে পারে বলে মন্তব্য করেন। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত পোশাক খাতের ওপর নির্ভর, কাজেই এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে কার্যকর সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।
দেশের দ্রুত বর্ধনশীল রিয়েল এস্টেট কোম্পানি প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেডের আয়োজনে চার দিনব্যাপী পিঠা উৎসব ও একক আবাসন মেলা শুরু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে কোম্পানির নিজস্ব কার্যালয়ে এই উৎসব ও মেলার উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে পিঠা উৎসবের উদ্ধোধন ঘোষণা করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুল হুদা এবং কেক কেটে একক আবাসন মেলার শুভ সুচনা করেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রওশন আল মাহমুদ। মেলাটি চলবে আগামী রোববার পর্যন্ত।
জানা গেছে, ঢাকায় প্রতি বছর গ্রামীণ ঐতিহ্য ও মিলন মেলার আয়োজন করে থাকে প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেড। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ১৬-১৯ জানুয়ারি এই পিঠা উৎসব ও একক আবাসন মেলার আয়োজন করেছে। এবারের অনুষ্ঠানে প্রিমিয়াম হোল্ডিংসের চারটি প্রকল্প সম্পর্কে অবগত করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক রওশন আল মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির পরিচালক নাজনীন আক্তার, উপদেষ্টা নুরুল ইসলাম, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট প্রধান রেজাউল করিম, সিওও আশরাফুল আলম, টিম লিডার শিমুল সরকার, মাহিন ইসলামসহ সকল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড আল হারমাইন পারফিউমসের নতুন সুগন্ধির উদ্বোধন করেছেন জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। আজ শুক্রবার রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব শোরুমে আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এটি উদ্বোধন করেন তিনি।
নতুন বেশ কয়েকটি সুগন্ধির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের খ্যাতনামা এ প্রতিষ্ঠানটি দেশে আরও একবার পারফিউমের জগতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
অনুষ্ঠানে আরও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মডেল-অভিনেতা নিরবসহ আল হারমাইন পারফিউমসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সাব্বির আহমেদ। এছাড়া ছিলেন একঝাঁক মডেল ও ইনফ্লুয়েন্সারসহ আমন্ত্রিত অতিথি ও প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাগণ।
নতুন এক্সক্লুসিভ সুগন্ধিগুলোর মধ্যে রয়েছে Haramain Farasha Gold Crystal Oud, Haramain Black Oud, Haramain Floral Fair, L’Aventure- এর চারটি সিরিজ- Azlan Oud- এর আরও দুটি সিরিজ এবং Haramain La Lune সিরিজ। এই ১২টি নতুন সুগন্ধি ফুলের মধুর গন্ধ থেকে শুরু করে ফ্রুটি, ফ্লোরাল, ওউদ, ফ্রেশ, স্পাইসি- সব ধরনের গ্রাহকের পছন্দকে বিবেচনা করে তৈরি করা হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের জানানো হয়। প্রত্যেকটি সুগন্ধিই পারফিউমপ্রেমীদের এক অনন্য গল্প বলার পাশাপাশি একজন মানুষের ব্যক্তিত্বকে আরও উজ্জ্বল করে তুলবে বলে বিশ্বাস করে আল হারমাইন পারফিউমস।
বর্তমানে পুরো বাংলাদেশে মোট ১৮টি শোরুমের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করছে প্রতিষ্ঠানটি।
গ্লোবাল ব্র্যান্ড কেএফসির একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘ট্রান্সকম ফুডস লিমিটেড’ ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বর্তমানে দেশের ১২টি শহরে কেএফসি স্টোরের মাধ্যমে ফিঙ্গার লিকিং গুড খাবার পরিবেশন করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি চট্টগ্রামের মোমিন রোড, জামাল খান এবং বালি আর্কেড, চকবাজারে নতুন আউটলেট চালু করেছে।
আউলেট উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে সঙ্গে ছিল কেএফসি স্বপ্নের পাঠশালার পথশিশুরা, যাদের পরিবেশন করা হয়েছিল মজাদার ফিঙ্গার লিকিং গুড মিল। শিশুদের উপস্থিতি মুহূর্তটিকে আনন্দদায়ক ও স্মরণীয় করে তুলেছিল।
কাস্টমারেরা উভয় স্টোরে ডাইন- ইন, টেক এওয়ে, কল ফর ডেলিভারি, kfcbd.com ও KFC APP অর্ডারের মাধ্যমে কেএফসির ফিঙ্গার লিকিং গুড ফুড উপভোগ করতে পারবেন।
ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রাস্ট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সাধারণ সভায় কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালনা পর্ষদসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
সভায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন, পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক সাধারণ শেয়ারহোল্ডাদের জন্য ২৫% নগদ লভ্যাংশ এবং পরিচালক ও স্পন্সর শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সুপারিশকৃত ১৫% নগদ লভ্যাংশসহ সকল এজেন্ডা শেয়ারহোল্ডারগন কর্তৃক অনুমোদিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান মো. মাজহারুল কাদের। তিনি ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের ধারাবাহিক সফলতার জন্য শেয়ারহোল্ডার, কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এতে অংশগ্রহণকারী শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ কোম্পানির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তারা কোম্পানির বর্তমান কার্যক্রম ও সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যৎ অগ্রগতির প্রতি তাদের আস্থা প্রকাশ করেন।
ডিজি-মার্ক সল্যুশন এবং জেটকেটেকো ‘রোড টু এআই ’এবং পার্টনার মিট-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি ডিজি-মার্ক সল্যুশন এবং জেটকেটেকো- এর যৌথ উদ্যোগে পুরানা পল্টনের একটি হোটেলে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে জেটকেটেকো -এর সর্বাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর অ্যাক্সেস কন্ট্রোল ও টাইম অ্যাটেনডেন্স সল্যুশন প্রদর্শন করা হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিক সকল ফিচারসহ অত্যাধুনিক পণ্যে বাংলাদেশে ডিজি-মার্ক সল্যুশন একমাত্র পরিবেশক হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিজিমার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো. শাহারিয়ার আলম, ডিজি-মার্কের পরিচালক ওমর ফারুক রব, জেটকেটেকো বাংলাদেশ ম্যানেজার ডুরেন্ট প্যান ও ডিজিমার্কের মহাব্যবস্থাপক শেখ মনজুর হোসেন এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও ডিলারগণ।
ডিজি-মার্ক সল্যুশন- এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহারিয়ার আলম তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে জেডকেটেকো- এর সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত। এই পণ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্ড নিরাপত্তা বাবস্থার উম্মচন হল। এই অংশীদারিত্ব আমাদের গ্রাহকদের জন্য আরও আধুনিক, উদ্ভাবনী এবং কার্যকর সমাধান সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
ডিজি-মার্কের পরিচালক ওমর ফারুক রব ২০২৫ সালকে সামনে রেখে কিভাবে আরও ভালো সার্ভিস ও সাপোর্ট দেয়া যায় তা নিয়ে উন্মুক্ত প্রশ্ন উত্তরের আয়োজন করেন।
তরুণদের জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি এবার প্রথমবারের মতো আইপি৬৯ সার্টিফিকেশন পাওয়া সি-সিরিজের স্মার্টফোন বাজারে আনতে যাচ্ছে। চলতি বছর ডিসেম্বরের ১৫ তারিখে উন্মোচন হতে যাওয়া রিয়েলমি সি৭৫ -এ আইপি৬৯ রেটিংয়ের পাশাপাশি আরও রয়েছে আইপি৬৮ ও আইপি৬৬ সার্টিফিকেশন। ফলে পানি ও ধুলাবালি থেকে ফোনটি থাকবে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।
বাজারের অন্যান্য স্মার্টফোন যেখানে কেবল একটি বা দুটি স্তরের পানি প্রতিরোধক সুরক্ষা দেয়, সেখানে রিয়েলমি সি৭৫ দিচ্ছে অল-রাউন্ড প্রটেকশন। আইপি৬৬, আইপি৬৮ ও আইপি৬৯- প্রতিটি রেটিং আলাদাভাবে পরিপূর্ণ সুরক্ষা প্রদান করে আইপি৬৬ পানির শক্তিশালী জেটের বিরুদ্ধে, আইপি৬৮ পানির নিচে এবং আইপি৬৯ হাই-প্রেসার, হাই-টেম্পারেচার পানির জেটের বিরুদ্ধে ফোনকে রক্ষা করে। এই তিনটি সার্টিফিকেশনের সমন্বয়ে রিয়েলমি সি৭৫ ফোনপ্রেমীকে এক অনন্য টেকসইতা প্রদান করে।
রিয়েলমি সি৭৫-এর দুর্দান্ত প্রটেকশন তৈরী হয়েছে অত্যাধুনিক ওয়াটারপ্রুফিং প্রযুক্তির সাহায্যে, যার মধ্যে রয়েছে উন্নত ফোম সিল, একটি সম্পূর্ণ নতুনভাবে ডিজাইনকৃত ওয়াটারপ্রুফ কাঠামো এবং উন্নতমানের উপাদানের সমন্বয়। এছাড়াও, উদ্ভাবনী সনিকওয়েভ ওয়াটার ইজেকশন ফিচার দ্রুত স্পিকার থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে সাহায্য করে, যা ডিভাইসের টেকসইত্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
শক্তিশালী ৬০০০ এমএএইচ ব্যাটারি এবং ৪৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং থাকায়, রিয়েলমি সি৭৫ মাত্র ৩৮ মিনিটে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ করতে পারে। ৮ জিবি+১৬জিবি ডায়নামিক র্যাম থাকায় ব্যবহারকারীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে মাল্টিটাস্কিং এবং দ্রুত অ্যাপ চালানোর দারুণ অভিজ্ঞতা পাবেন ।
রিয়েলমি সি৭৫ এর মাধ্যমে উদ্ভাবন আর গুণগতমানের উৎকর্ষতা ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে দিতে তার প্রতিশ্রুতি বজায় রেখেছে।
সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ও নিম্ন আয়ের মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের দাঁতের চিকিৎসা সুনিশ্চিত করতে গত শুক্রবার রাজধানীর লালবাগে আয়োজন করা হয় ‘ফ্রি ডেন্টাল ক্যাম্প: স্মাইল এইড-ওরাল কেয়ার ইনিশিয়েটিভ’।
জেসিআই বাংলাদেশের তিনটি লোকাল সংগঠন জেসিআই ঢাকা এইস, জেসিআই ঢাকা ইম্প্যাক্ট, জেসিআই ঢাকা প্রিমিয়ার ও হিউম্যানিটি সার্ভিসেস বাংলাদেশের উদ্যোগে এক হাজার জনের জন্য এই ফ্রি ক্যাম্পটির আয়োজন করা হয়।
সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এ সেবাকার্যক্রম চলে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। ৭০ জন ডেন্টিস্টদের সহযোগিতায় সকাল থেকেই শিশু-বৃদ্ধসহ অসংখ্য নারী-পুরুষকে দাঁতের চিকিৎসা দেওয়া হয়। ডেন্টাল চেক আপ থেকে শুরু করে, দাঁত এক্সট্রাকশন, ফিলিং, স্কেলিং, মেডিসিন সবই প্রদান করা হয় বিনামূল্যে।
ক্যাম্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেসিআই বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমরান কাদির।
বৃদ্ধাশ্রমে বসবাস করা সমাজের প্রবীণদের জন্য একটি আনন্দপূর্ণ দিন কাটানোর ব্যবস্থা করেছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব। বরাবরের মতই তারা আয়োজন করেছিল অনুষঙ্গের।
গতকাল শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের মনিপুরে হোতাপাড়া এলাকায় গিভেন্সি গ্রুপের বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রে ক্লাবের প্রায় ১০০ জন সদস্য নিয়ে উপস্থিত ছিলেন সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাবের ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজার মেজবাহ উল হাসান চৌধুরী।
প্রবীণদের মাঝে তরুণদের উদ্দীপনার আলো ছড়িয়ে দিতে একটি দিন তাদের সঙ্গে বসে সময় কাটিয়ে তাদের কথা শুনে ক্লাবের সদস্যরা মেতেছিলেন নানান আয়োজনে। কখনো জনপ্রিয় গেইম ‘পিলো পাসিং’ খেলে কখনো বা পুরোনো দিনের গান গেয়ে। দিনটির বিশেষ মুহূর্তগুলোকে আরও রঙিন করতে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন কার্টুনিস্ট সাঈদ রাশেদ ইমাম তন্ময়। এর পাশাপাশি বৃদ্ধাশ্রমের পরিবেশকে আরও বসবাসবান্ধব করে তোলার জন্য ক্লাবের সদস্যরা বৃক্ষরোপণের কর্মসূচিও পালন করে। উদ্যোগটি সফল করতে পেইন্ট পার্টনার হিসেবে উপস্থিত ছিল এশিয়ান পেইন্টস।
এছাড়াও তারা চেষ্টা করেছিল তাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের ঔষধ ও মেডিকেল সরঞ্জাম এবং হুইলচেয়ার বয়স্কদের মাঝে পৌঁছে দিতে। সারাদিন বিশেষ আয়োজনগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম আয়োজন ছিল বৃদ্ধাশ্রমের দেয়াল ও আঙিনায় রং দিয়ে আলপনা আঁকা।
ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মৌরিন ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা প্রায়ই ব্যস্ত জীবনে আটকে যাই। কিন্তু ‘অনুষঙ্গ’ ইভেন্ট আমাদের ফিরিয়ে দেওয়ার গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়। বয়স্কদের সঙ্গে সময় কাটানো একটি শক্তিশালী অভিজ্ঞতা। যা বোঝায়, আমাদের যত্ন অন্যদের কাছে কতটা অর্থ বহন করতে পারে। আমি আশা করি এটি আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে সমাজে অবদান রাখার উপায়গুলি খুঁজে বের করতে।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাবের ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজার মেজবাউল হাসান চৌধুরী বলেন, আমাদের ছাত্রদের ‘অনুষঙ্গ’-এর মতো অপূর্ব সুন্দর চেতনার একটি উদ্যোগ নিতে দেখে খুবই ভালো লাগছে। বয়স্কদের যত্ন নেওয়া একটি সহানুভূতিশীল সমাজ গঠনে সহায়তা করে। আমি নিশ্চিত এই আয়োজন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সহানুভূতি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা গ্রহণে অনুপ্রাণিত করবে। সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা তরুণ প্রাণে ভবিষ্যতের জন্য আলোড়ন ছড়াতে চায় ও মানসিকতার বিকাশ চায়।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব ১৯৯৪ সালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির একটি ছাত্র সংগঠন হিসেবে যাত্রা শুরু করে।