রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ওয়ালটন এক্সক্লুসিভ শোরুম উদ্বোধন

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে ওয়ালটন এক্সক্লুসিভ শোরুম ‘রিলায়েন্স এন্টারপ্রাইজ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা। ছবি: সংগৃহীত
করপোরেট ডেস্ক
প্রকাশিত
করপোরেট ডেস্ক
প্রকাশিত : ৫ জুন, ২০২৪ ১৩:৪০

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে যাত্রা শুরু করল ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের এক্সক্লুসিভ পরিবেশক শোরুম ‘রিলায়েন্স এন্টারপ্রাইজ’। মেডিকেল মোড়ের রাকিব প্লাজায় চালু হওয়া শোরুমটিতে পাওয়া যাচ্ছে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন, ফ্যান, রাইস কুকার, ব্লেন্ডার, ওভেন, এলইডি লাইট, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোনসহ ইলেকট্রিক্যাল, ইকেট্রনিক্স, আইসিটি, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যসামগ্রী। গত সোমবার ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়ালটনের এক্সক্লুসিভ শোরুম উদ্বোধন করেন চিত্রনায়ক আমিন খান। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভোলাহাট উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. শাহাজাদী বিশ্বাস, ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অব সেলস ফিরোজ আলম, রিলায়েন্স এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

অনুষ্ঠানে ফিরোজ আলম বলেন, আন্তর্জাতিকমানের পণ্য ও সেবা প্রদানের মাধ্যমে ওয়ালটন আজ বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড। ওয়ালটন সর্বদা সর্বোচ্চ ক্রেতাসুবিধা দিয়ে আসছে। নতুন শোরুমটি থেকে এই অঞ্চলের মানুষ এখন আরও সহজেই ওয়ালটনের পণ্য ও সেবা পাবেন। আমাদের প্রত্যাশা- ভোলাহাটের প্রতিটি ঘরে স্থান পাবে দেশে তৈরি ওয়ালটনের পণ্য।

চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, ‘ওয়ালটন এখন দেশের এক গর্বের প্রতিষ্ঠান। ক্রেতারা দেশে তৈরি পণ্য গ্রহণ করছেন বলেই ওয়ালটন আজ এত বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে। দেশে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের চাহিদা মিটিয়ে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটনের পণ্য এখন ৪০টিরও অধিক দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এই অঞ্চলে নতুন শোরুমের মাধ্যমে ওয়ালটনের ব্যবসায়িক পরিধি আরও বৃদ্ধি পাবে। গ্রাহকরা তাদের হাতের নাগালেই পাবেন ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্যের সমাহার।

বিষয়:

কমনওয়েলথ দাবা প্রতিযোগিতায় সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের সাফল্য

আপডেটেড ২৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩১
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত ৮ থেকে ১৮ নভেম্বর মালয়েশিয়ার কুয়ালালমপুরে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ দাবা প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের তাশরিক শায়হান শান ওপেন ক্যাটাগরির শেষ রাউন্ডে ভারতের গ্র্যান্ডমাস্টার শ্যাম নিখিল-কে পরাজিত করে ওপেন অনূর্র্ধ্ব-২০ বিভাগে রৌপ্যপদক জিতেছে। সে ৯ খেলায় ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে।

ওমেন ক্যান্ডিডেট মাস্টার ওমনিয়া বিনতে ইউসুফ লুবাবা মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৮ বিভাগে ৯ খেলায় ৬ পয়েন্ট অর্জন করে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে। অন্যদিকে প্রতিযোগিতার ব্লিটজ ক্যাটাগরীতে সাউথ পয়েন্ট স্কুলের আজান মাহমুদ বাংলাদেশের পক্ষে অনুর্ধ্ব-১০ এ বিভাগীয় পুরষ্কার জিতে নেয়ার কৃতিত্ব অর্জন করে।

বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের আরও উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বের মধ্যে রয়েছে; মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১০ ওমেন ক্যান্ডিডেট মাস্টার ওয়ারিসা হায়দার ৪র্থ। ওপেন অনূর্ধ্ব-১০ ক্যাটাগরিতে সাউথ পয়েন্ট স্কুলের রায়হান রশীদ মুগ্ধ ৯ খেলায় ৬-পয়েন্ট অর্জন করে ৫ম পুরস্কার পায়। বাংলাদেশের সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজের অন্যান্য কৃতি দাবারুদের মধ্যে অনূর্ধ্ব-১২ সাফায়েত কিবরিয়া আজান ৯ খেলায় ৫ পয়েন্ট, মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১২-এ সিদরাতুল মুনতাহানা নাফি ৯ খেলায় ৪ পয়েন্ট অর্জন করে।

উল্লেখ্য কমনওয়েলথভুক্ত বিভিন্ন দেশের মোট ৩৭৩-জন দাবারু সাম্প্রতিক এ দাবা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে, যাদের মধ্যে ছিল ৮ জন গ্র্যান্ডমাষ্টার, ৮ জন আন্তর্জাতিক মাষ্টারসহ ফিদে টাইটেলধারী সর্বমোট ৬০-জন দাবারু।

উল্লেখ্য উক্ত কমনওয়েলথ দাবার মত আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের তরুণ দাবাড়ুরা দুর্দান্ত কৃতিত্ব দেখিয়ে প্রমাণ করেছে তাদের প্রতিভা বিশ্বমানের।

এসব সাফল্য তথা অর্জনের জন্য সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এম এ রশিদ ও মালিবাগ ক্যাম্পাসের অধ্যক্ষ কর্ণেল মো: শামসুল আলম, পিএসসি (অব:) সাউথ পয়েন্টের খুদে দাবাড়ু ও সংশ্লিষ্ট অভিভাবকবৃন্দসহ সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে গুণগত মানের লেখাপড়ার পাশাপাশি বেশিবেশি খেলাধুলা, বিতর্ক প্রতিযোগীতা ও সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। যাতে শিক্ষামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে অধিকতর আত্মবিশ্বাসি, মানবিক ও আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা যায়।

বিশেষ করে আমরা শিক্ষার্থীদেরকে সাফল্য, ব্যর্থতা বা হারজিতকে গুরুত্ব না দিয়ে খেলাধুলাসহ সকল প্রতিযোগীতায়ই অংশগ্রহণের ব্যপারে উৎসাহিত করি। যার অংশ হিসেবে এসব সাফল্য সংবাদগুলো যেমনই হোক সংবাদপত্র ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশের ব্যপারেও গুরুত্ব দিয়ে থাকি।


৯ম লিডারশিপ সামিটে ভবিষ্যতমুখী নেতৃত্ব নিয়ে দিনব্যাপী আলোচনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

করপোরেট নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা, সংকট মোকাবিলা ও পরিবর্তনশীল ব্যবসায়িক বাস্তবতা নিয়ে আলোচনার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গত ২২ নভেম্বর রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ ৯ম লিডারশিপ সামিট। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি–এর পরিবেশনায়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি–বাংলাদেশ (এআইইউবি) ও ইউনাইটেড গ্রুপ–এর সঞ্চালনায় এবং টুয়েলভ ক্লোদিংয়ের সহযোগিতায় আয়োজিত এই সামিটে অংশ নেন দেশের শীর্ষ সি–সুইট নির্বাহী, ব্যবসায়িক পেশাজীবী, উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, ব্যবসায়িক শিক্ষাবিদ ও বিনিয়োগ ও আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞরা। এ বছর সম্মেলনটির প্রতিপাদ্য ছিল – “রেজিলিয়েন্ট লিডারশিপ – থ্রাইভিং অ্যামিড আনসার্টেনটি।”
সামিটে অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ শুধু অর্থনৈতিক লক্ষ্য দিয়ে নয়, বরং নির্ধারিত হবে নেতৃত্বের মানদণ্ড দিয়ে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রয়োজন দূরদর্শী, নৈতিক, পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়াতে সক্ষম এবং সংকটে টিকে থাকার চেয়ে সুযোগ তৈরি করতে পারদর্শী এমন নেতৃত্ব। নেতৃত্বকে শুধুই কর্তৃত্ব না ভেবে দায়িত্ব ও দীর্ঘমেয়াদি মূল্য তৈরির পথে এগোনোর সময় এখনি।”
স্বাগত বক্তব্যের পর সম্মানিত প্রধান অতিথি হিসেবে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক অধ্যাপক এ কে এনামুল হক বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন এমন এক সময়ে দাঁড়িয়ে আছে যখন যেকোনো খাতের নেতৃত্বকে হতে হবে আরো বলিষ্ঠ। গতানুগতিক সাফল্যের বাইরে আমাদের প্রয়োজন ডেটাভিত্তিক, ঝুঁকি–সচেতন এবং স্বচ্ছ সিদ্ধান্ত প্রনয়ণকারী নেতৃত্ব। রেজিলিয়েন্স মানে শুধু টিকে থাকা নয়, বরং এমন ব্যবস্থা গড়া যা প্রতিনিয়ত শিখতে, পরিবর্তন করতে এবং উন্নয়নের গতি ধরে রাখতে সক্ষম।”
দিনব্যাপী সামিটের আলোচনা গুলো অনুষ্ঠিত হয় ৩টি কিনোট সেশন, ৩টি প্যানেল ডিসকাশন এবং ১টি ইনসাইট সেশনের সমন্বয়ে।
কিনোট আলোচনায় অধ্যাপক এ কে এনামুল হক টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক ও আর্থিক ভিত্তি নিয়ে বাস্তবসম্মত দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন। এরপর ইউসুকে তাচিকাওয়া, ফাউন্ডার অ্যান্ড ডিজাইন স্ট্র্যাটেজিস্ট, নসাইনার; প্রফেসর, কেইও ইউনিভার্সিটি আলোচনা করেন কীভাবে সৃজনশীল নেতৃত্ব শুধু সংকট মোকাবিলা নয়, বরং রেজিলিয়েন্স তৈরি করে ভবিষ্যতকে শক্ত ভিত্তি দিতে পারে। শেষ কিনোট সেশনে প্রফেসর অ্যান্ড্রু কার্ল ডেলিয়স, প্রোভোস্ট’স চেয়ার অ্যান্ড ভাইস ডিন, বিজনেস স্কুল, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর, পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক বাস্তবতায় উদীয়মান অর্থনীতির জন্য কোন ধরনের নেতৃত্ব কার্যকর হতে পারে, সে বিষয়ে গভীর অন্তর্দৃষ্টি শেয়ার করেন।
কিনোট বক্তব্যে অধ্যাপক এ কে এনামুল হক বলেন, শুধু প্রবৃদ্ধি যথেষ্ট নয় — স্থিতিশীল অগ্রগতির জন্য নেতৃত্ব, প্রতিষ্ঠান ও পরিকল্পনার সমন্বিত উন্নতি জরুরি। তার মতে, উন্নয়ন টিকিয়ে রাখতে শক্তিশালী নেতৃত্ব, অর্থনৈতিক দূরদৃষ্টি এবং বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান আরও বেশি প্রয়োজন, যাতে পুঁজি দেশে থাকে এবং প্রবৃদ্ধি টেকসই হয়। এছাড়া তিনি পরিবেশ ও নগর পরিকল্পনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, বৈজ্ঞানিক কৃষি চর্চা, দক্ষ নগর পরিবহন ব্যবস্থা এবং ভূমির সঠিক ব্যবহার জাতীয় রেজিলিয়েন্স গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি উল্লেখ করেন, “রেজিলিয়েন্স তখনই তৈরি হয় যখন নেতৃত্ব, প্রতিষ্ঠান এবং পরিবেশ পরিকল্পিতভাবে এগোয় — প্রতিক্রিয়া হিসেবে নয়, পরিকল্পনা হিসেবে।”
প্যানেল ও ইনসাইট আলোচনায় উঠে আসে—আর্থিক শৃঙ্খলা, অস্থির সময়ে নেতৃত্বের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা, এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির জন্য দৃঢ় সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে তোলার বিভিন্ন প্রকল্প ও ব্যবহারিক দিকসমূহ। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল করপোরেট একাউন্টেবিলিটি, গভর্নেন্স, ডেটাভিত্তিক সিদ্ধান্ত, অভ্যন্তরীণ টিম রেজিলিয়েন্স এবং দায়বদ্ধ করপোরেট আচরণ বিষয়ক আলোচনাসমূহ।
সামিটের অন্যান্য সেশনে বক্তা হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, রুহুল কুদ্দুস খান, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড; জোহান বুস, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেড; মোহাম্মদ এনামুল হক, ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড কান্ট্রি চিফ রিস্ক অফিসার, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক; বিজয় কুমার সাহা, লিড ইনভেস্টমেন্ট অফিসার, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক; শেহজাদ মুনিম, ইনডিপেনডেন্ট ডিরেক্টর, লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড; প্রফেসর ড. সৈয়দ ফেরহাত আনোয়ার, ভাইস-চ্যান্সেলর, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি; সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি.; প্রফেসর ইমরান রহমান, প্রফেসর, স্কুল অফ বিজনেস, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব); আব্দুল্লাহ হিল নাকিব, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, টিম গ্রুপ; প্রমুখ।
লিডারশিপ সামিট ২০২৫ এর পরিবেশনায় ছিল মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, সঞ্চালনায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিট - বাংলাদেশ (এআইইউবি) ও ইউনাইটেড গ্রুপ। সহযোগিতায় টুয়েলভ ক্লোদিং। অফিশিয়াল ক্যারিয়ার পার্টনার—টার্কিশ এয়ারলাইনস; নলেজ পার্টনার—মার্কেটিং সোসাইটি অব বাংলাদেশ (এমএসবি); ভেন্যু পার্টনার—ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টার; লার্নিং পার্টনার — কাজী কনসালট্যান্টস; পিআর পার্টনার—ব্যাকপেজ পিআর ও একাডেমিক পার্টনার—লিডারশিপ একাডেমি। সামিটটি বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের উদ্যোগ।


বাংলাদেশ ‍কৃষি বিশ্ববিদ‌্যালয়ে প্রাইম ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রাইম ব্যাংক পিএলসি. সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ‌্যালয় (বিএইউ)- র সহযোগিতায় “ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন: এনগেজিং অ্যান্ড ইনস্পায়ারিং ইয়ুথ ইন ব্যাংকিং” শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে। প্রাইম ব্যাংকের ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ প্রাইমঅ্যাকাডেমিয়া-এর আওতায় আয়োজিত এই সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন প্রোক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম; উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহিদুল হক; কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. আসাদুজ্জামান সরকার এবং টিম উৎসবের সভাপতি অধ্যাপক ড. শোনিয়া শেহেলী।

সেশনটি পরিচালনা করেন প্রাইম ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ সাজ্জাদ হায়দার চৌধুরী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব লাইয়াবিলিটি শায়লা আবেদিন। এ সময় তিনি ব্যাংকের তরুণ্য নির্ভর কর্মকাণ্ড ও প্রাইমঅ্যাকাডেমিয়া-এর অগ্রযাত্রা নিয়ে আলোচনা করেন। আরও উপস্থিত ছিলেন হেড অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যান্ড স্কুল ব্যাংকিং এম এম মাহবুব হাসান।

সেমিনারে ব‌্যাংক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উভয়ের সমন্বিত সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়। উভয় প্রতিষ্ঠানই তরুণ শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়ন, গবেষণা ও ক্যারিয়ারমুখী উদ্যোগে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে।

প্রাইমঅ্যাকাডেমিয়া-এর উদ্যোগের মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমন্বিত আর্থিক সেবার আওতায় আনছে, যার মধ্যে রয়েছে- ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং, ডিজিটাল ফি সংগ্রহ ব্যবস্থা, পেরোল সেবা, স্কুল ব্যাংকিং এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষায়িত অ্যাকাউন্ট- সবকিছু এক ছাতার নিচে।

উদ্যোগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে, যা তরুণ প্রজন্মকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও জাতীয় উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে অনুপ্রাণিত করে।


বিশেষভাবে সক্ষম ১৫০ ব্যক্তির জন্য সিআরপি ও মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের ‘জাগরণ’ দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অফ দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি) ও মেটলাইফ ফাউন্ডেশন যৌথভাবে ১৫০ জন পক্ষাঘাতগ্রস্ত এবং অন্যান্য শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থান ও আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘জাগরণ’ নামে একটি দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি উদ্বোধন করেছে। এই কর্মসূচির আওতায় অংশগ্রহণকারীদের কম্পিউটার ব্যবহার, ইলেকট্রনিকস ও মোবাইল ফোন সার্ভিসিং এবং পোশাক তৈরির বিষয়ে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

অংশগ্রহণকারীরা প্রশিক্ষণ শেষে সনদ পাবেন। পাশাপাশি, তাদেরকে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু বা অন্যান্য আয়-বর্ধক কার্যক্রমে যুক্ত হতে প্রাথমিক অর্থায়ন সুবিধা প্রদান করা হবে। অন্যদিকে, বিশেষভাবে সক্ষম এই মানুষগুলোর জন্য পূর্ণাঙ্গ সহায়তা নিশ্চিত করতে সিআরপি প্রশিক্ষণকালীন সময়ে একটি সম্পূর্ণ অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অনুকূল পরিবেশে তাদেরকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও থেরাপি সেবা প্রদান করবে।

সম্প্রতি, গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কর্মসূচিটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সিআরপি’র প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি এ. টেলর বলেন, “সিআরপি-তে আমরা বিশ্বাস করি, শারীরিক সক্ষমতা যাই হোক না কেন, ব্যক্তিমাত্রই সম্মানজনক ও স্বাধীন জীবনযাপনের সুযোগ পাওয়ার অধিকার রয়েছে। ‘জাগরণ’ কর্মসূচির মতো যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে পারি; সেই সাথে তাদের সক্ষম করে তুলতে পারি এবং তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তনের মাধ্যমে তাদের জীবনে সাফল্য নিয়ে আসতে পারি।”

মেটলাইফ বাংলাদেশের সিইও আলা আহমদ তার বক্তব্যে বলেন, “জাগরণ প্রকল্পটি মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগগুলোর একটি। এটি বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের সহায়তা করার লক্ষ্যে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ যার মাধ্যমে তাঁরা জীবিকা নির্বাহ ও জীবনমান উন্নত করতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে সক্ষম হবেন।”

সিআরপি’র নির্বাহী পরিচালক ড. সোহরাব হোসেন বলেন, “অন্তর্ভুক্তিমূলক দক্ষতা উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রতি আমাদের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, ‘জাগরণ’ কর্মসূচিটি তারই প্রতিফলন। বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের বাস্তব দক্ষতা ও প্রয়োজনীয় রিসোর্স প্রদান করে আমরা শুধু তাদের জীবিকা উন্নত করতে ভূমিকা রাখছি না, পাশাপাশি একটি অধিক অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনেও সহায়তা করছি।”

অনুষ্ঠানে সিআরপি এবং মেটলাইফ বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।


ভূমিকম্পের পরপর প্রিয়জনের সঙ্গে যোগাযোগে বাংলালিংকের ফ্রি কলিং সুবিধা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল অনুভূত হয় ভয়াবহ ভূমিকম্প। তীব্র ঝাঁকুনিতে কেঁপে ওঠে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ। আপনজন নিরাপদে আছেন কি-না, তা খোঁজ নিতে শুরু করেন সবাই। আশঙ্কা ও অনিশ্চয়তার মুহূর্তে দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রাহকদের পাশে দাঁড়ায় বাংলালিংক। প্রয়োজনের সময়ে বাংলালিংক গ্রাহকেরা যেন নিজেদের কাছের মানুষ ও পরিবারের সদস্যদের সাথে নির্বিঘ্নে যোগাযোগ করতে পারেন, এজন্য বিনামূল্যে সকল অপারেটরে কল করার সুবিধা চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। সমাজের প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলনে সময়োপযোগী এ উদ্যোগ গ্রহণ করে বাংলালিংক।

নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে ফ্রি কলিং সুবিধার ঘোষণা দেয় বাংলালিংক; পাশাপাশি, এসএমএস -এর মাধ্যমেও গ্রাহকদের এ ব্যাপারে জানিয়ে দেয়া হয়, যেন তারা তাৎক্ষণিকভাবে কাছের মানুষদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এ ফ্রি কলিং সুবিধার মাধ্মে গ্রাহকেরা বিভিন্ন অপারেটরে ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মিনিট আউটগোয়িং কল করেন। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে জরুরি ও মানবিক পদক্ষেপ হিসেবে বাংলালিংকের এ উদ্যোগ গ্রাহক ও অংশীজনদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া লাভ করে।

প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়াতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলালিংক। এর আগে, আকস্মিক বন্যার সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় জরুরি ত্রাণ সহায়তা দেয় বাংলালিংক; একইভাবে, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া তাপপ্রবাহের সময়ও খাওয়ার স্যালাইন ও পানির বোতল বিতরণ করে প্রতিষ্ঠানটি।

মানুষ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, “দেশজুড়ে সবাই আতঙ্কে আর অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন। এ সময় আমাদের মূল অগ্রাধিকার ছিল মানুষ ও সমাজের পাশে দাঁড়ানো। ভূমিকম্পের পরপরই আমাদের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও ক্রাইসিস টিম নেটওয়ার্ক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে। এ সময় আমরা আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি কীভাবে গ্রাহকদের পাশে দাঁড়ানো যায়, এ নিয়ে ভাবনা শুরু করি। মানুষ তখন পরিবার-পরিজনদের খোঁজ পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। এ সময়ই আমরা বিনামূল্যে কল করার মতো কার্যকর ও অর্থবহ সুবিধা নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াই। দেশজুড়ে মানুষ আমাদের এ উদ্যোগের মাধ্যমে তাদের প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগ করতে পেরেছেন। দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ঠিক যখনই গ্রাহকদের দরকার হবে, ঠিক তখনই তাদের পাশে দাঁড়ানো।”

গ্রাহক-কেন্দ্রিক লক্ষ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে বাংলালিংক। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির চিফ মার্কেটিং অফিসার কাজী মাহবুব হাসান বলেন, “আমরা শুধু নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা নিয়েই কাজ করি না, আমাদের মূল দায়িত্ব ও লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাহকদের সেবা দেয়া। আমাদের যেকোন পণ্য ও যেকোন সেবা চালু করাসহ প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ শুরু হয় একটি সহজ প্রশ্ন দিয়ে: এ মুহূর্তে আমাদের গ্রাহকদের কী প্রয়োজন? আমরা এমন সুবিধা নিয়ে কাজ করাকে অগ্রাধিকার দেই, যার মাধ্যমে গ্রাহকেরা সত্যিকার অর্থেই সম্মানিত বোধ করবেন এবং মনে করবেন বাংলালিংক তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করে। আমরা শুধুমাত্র নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতেই ভূমিকা রাখছি না; আমাদের প্রচেষ্টা ডিও১৪৪০ -এর মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য এমন ডিজিটাল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা, যেন দিনের প্রতিটি মিনিটে, প্রতিটি মুহূর্তে গ্রাহকদের পাশে থাকা যায়। প্রয়োজনের সময়ে গ্রাহকদের পাশে থাকাই আমাদের লক্ষ্য। বাংলালিংক সহমর্মিতা ও আন্তরিকতা নিয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে মানুষ ও সমাজের জন্য ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাবে, যা আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক মূলমন্ত্র ‘আপনার জন্যেই আমরা’, এ লক্ষ্যেরই প্রতিফলন।”

এ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত সুবিধা প্রদানের বাইরেও প্রয়োজনের সময়সহ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে নিজেদের লক্ষ্যকেই পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলালিংক।


বাংলাদেশ সি-সুইট অ্যাওয়ার্ডসের ‘সিইও অব দ্য ইয়ার ২০২৫’ সিটি ব্যাংকের মাসরুর আরেফিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সিটি ব্যাংক পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মাসরুর আরেফিন বাংলাদেশ সি-সুইট অ্যাওয়ার্ডস-এর চতুর্থ আসরে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে মর্যাদাপূর্ণ ‘সিইও অব দ্য ইয়ার-২০২৫’ পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। সিটি ব্যাংকে তাঁর অসাধারণ নেতৃত্ব এবং দেশের আর্থিক খাতে তিন দশকেরও বেশি সময়ের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি পুরস্কৃত হলেন। এর আগের বছরগুলিতে এই ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছিলেন ইস্টার্ন ব্যাংকের সিইও আলী রেজা ইফতেখার, এমটিবিএলের সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান এবং বিকাশ-এর সিইও কামাল কাদির।
মাসরুরের নেতৃত্বে গত ছয় বছরে সিটি ব্যাংক প্রশংসনীয় কিছু সাফল্য অর্জন করেছে। ২০১৮ সালে ব্যাংকের অপারেটিং প্রফিট ছিল ৬৯৯ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ২,৩৫১ কোটি টাকায়; নেট প্রফিট ২০২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয় ১,০৮৫ কোটি টাকা; রিটার্ন অন একুইটি ৮.২% থেকে পৌঁছায় ২৬.১%-এ, এবং ব্যাংকের মোট মূলধন দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ে। এর পাশাপাশি ২০২৪ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিটি ব্যাংককে দেশের শীর্ষস্থানীয় টেকসই ব্যাংক হিসেবে ভূষিত করে।
মাসরুর সিটি ব্যাংকের ডিজিটাল রূপান্তরেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। সিটিটাচ প্ল্যাটফর্মকে আরও বৃহৎ পরিসরে নিয়ে যাওয়া এবং ডিজিটাল ন্যানো লোনের মতো যুগান্তকারী সমাধান বাস্তবায়নের মাধ্যমে তিনি দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন।


কমিউনিটি ব্যাংক ও মে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সার্ভিসেসের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এবং মে ইন্টারন্যাশনালট্রেড সার্ভিসেস লিমিটেড- গ্লোবাল ট্রেড ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সম্প্রতি এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। ব্যাংকের হেড অফিসে অনুষ্ঠিত দুই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত এবং মে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সার্ভিসেস লিমিটেডের সিইও সৈয়দ আমিনুল কবির নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর শেষে পারস্পরিক বিনিময় করেন।

গ্লোবাল ট্রেড ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম বাস্তবায়ন, কমিউনিটি ব্যাংকের ট্রেড কমপ্লায়েন্স আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। এই প্ল্যাটফর্ম ব্যাংকের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কার্যক্রমকে আরও স্বচ্ছ, দক্ষ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে সহায়তা করবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


পিয়ারসন ও ব্রিটিশ কাউন্সিল কৃতি শিক্ষার্থীদের স্বীকৃতি প্রদান করল

১২তম আউটস্ট্যান্ডিং পিয়ারসন লার্নার অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে স্বীকৃতি লাভ করেন অনন্য সাফল্য অর্জন করা ৭৩৬ জন শিক্ষার্থী
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্রিটিশ কাউন্সিলের অংশীদারিত্বে গতকাল (২১ নভেম্বর) ১২তম আউটস্ট্যান্ডিং পিয়ারসন লার্নার অ্যাওয়ার্ডস (ওপিএলএ) আয়োজন করেছে শিক্ষা খাতে বৈশ্বিকভাবে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ও যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ার্ডিং বডি পিয়ারসন এডেক্সেল। এ বছর ইন্টারন্যাশনাল প্রাইমারি, ইন্টারন্যাশনাল লোয়ার সেকেন্ডারি, ইন্টারন্যাশনাল জিসিএসই এবং ইন্টারন্যাশনাল ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফল অর্জনকারী বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সম্মান জানাতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানটি রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে আয়োজিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিয়ারসন স্কুল কোয়ালিফিকেশনসের ডিরেক্টর ক্যাথরিন বুথ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক্সামস ডিরেক্টর বাংলাদেশ ম্যাক্সিম রাইমান ও ব্রিটিশ হাই কমিশন বাংলাদেশের ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ডিরেক্টর সাকিব এরশাদ।
অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জনের জন্য এ বছর মোট ৭৩৬ জন শিক্ষার্থীকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। স্বীকৃতি পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিলেন বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া ২৪ জন, এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া ৪ জন এবং বাংলাদেশে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করা ৪১ জন শিক্ষার্থী। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন ২১ জন আইপ্রাইমারি, ১ জন আইলোয়ারসেকেন্ডারি, ৪৫৬ জন ইন্টারন্যাশনাল জিসিএসই এবং ১৮৩ জন ইন্টারন্যাশনাল ‘এ’ লেভেল শিক্ষার্থী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পিয়ারসন স্কুল কোয়ালিফিকেশনসের ডিরেক্টর ক্যাথরিন বুথ, ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক্সামস ডিরেক্টর বাংলাদেশ ম্যাক্সিম রাইমান, ব্রিটিশ হাই কমিশন বাংলাদেশের ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ডিরেক্টর সাকিব এরশাদ, পিয়ারসন বাংলাদেশ ও নেপালের রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল মামুন লিটন এবং পিরাসন বাংলাদেশের রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার জান্নাতুল ফেরদৌস সিগমা। বক্তব্যে তারা শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান এবং শিক্ষার্থীদের সাফল্যে অবদান রাখার জন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
নিজের বক্তব্যে ক্যাথরিন বুথ শিক্ষার্থীদের শেখার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা এবং নিজেদের মেধা ও প্রতিভার মাধ্যমে পৃথিবীতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ব্যাপারে উৎসাহ দিয়ে বলেন, “আজ চমৎকার এই দিনে পিয়ারসনের অংশ হিসেবে আমরা বাংলাদেশের তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাফল্য উদযাপন করছি। অনন্য অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীরা আজ যে স্বীকৃতি পাচ্ছে, তা শুধুমাত্র উৎকর্ষ অর্জনের প্রচেষ্টাই নয়, পাশাপশি তাদের ভবিষ্যতের জন্যও স্বীকৃতিস্বরূপ। পিয়ারসনে আমরা শিক্ষার্থীদের শেখার, ভাবার এবং ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে তুলতে রূপান্তরমূলক দক্ষতা অর্জনে উৎসাহিত করি। আপনারা এখন জীবনের পরবর্তী অধ্যায়ে প্রবেশ করবেন, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হবেন, যা আপনাদের বোঝাপড়াকে সমৃদ্ধ করবে। আপনাদের উদার মানসিকতার হতে হবে এবং সবসময় কৌতূহলী থাকতে হবে। আশা করি, আপনারা শিক্ষকদের সাথেও যোগাযোগ রাখবেন এবং মেধা ও প্রভিভার মাধ্যমে পৃথিবীতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখবেন।”
ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক্সামস ডিরেক্টর বাংলাদেশ ম্যাক্সিম রাইমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তারুণ্য মানেই কৌতূহল, নতুন পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়া এবং লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাওয়া। অন্যদিকে, বয়সের সাথে সাথে আসে অভিজ্ঞতা, স্থিরতা ও প্রজ্ঞা। একে অন্যের কাছ থেকে শেখার মাধ্যমেই আমরা এগিয়ে যাই। ব্রিটিশ কাউন্সিলে আমরা শিক্ষার মাধ্যমে ঐক্য ও পারস্পারিক বোঝাপড়া বৃদ্ধিতে কাজ করি, যেন প্রতিটি প্রজন্ম একসাথে এগিয়ে যেতে পারে। সময়ের সাথে সাথে আপনারা সামনে এগিয়ে যাবেন; এক্ষেত্রে, নিজেদের তারুণ্যের প্রতি সৎ থাকুন এবং অন্তনির্হিত তারুণ্যের আলোকে আলোকিত হোন।”
কীভাবে পিয়ারসন এডেক্সেল কোয়ালিফিকেশন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে উচ্চশিক্ষার পথ উন্মুক্ত করে চলেছে, তা নিয়ে বক্তব্য রাখেন পিয়ারসন বাংলাদেশের আবদুল্লাহ আল মামুন লিটন ও জান্নাতুল ফেরদৌস সিগমা। উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান, এবং এখন পর্যন্ত ৮ হাজারের বেশি কৃতি শিক্ষার্থীকে এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।


প্রথম রূপায়ণ আর্মড ফোর্সেস গলফ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রূপায়ণ গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজধানীর জলসিঁড়ি গলফ ক্লাবে প্রথম রূপায়ণ আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট এর উদ্বোধন হয়েছে আজ শনিবার সকালে। বেলুন উড়িয়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন জলসিঁড়ি গলফ ক্লাবের বর্তমান প্রসিডেন্ট মেজর জেনারেল মোঃ হাসানুজ্জামান এবং রূপায়ণ গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান মাহির আলী খাঁন রাতুল।

বেলুন ওড়ানোর পর উপস্থিত সকলে ফটোশেসনে অংশ নেন। পরে গলফ মাঠে পটে বল ফেলেন মেজর জেনারেল মোঃ হাসানুজ্জামান ও মাহির আলী খাঁন রাতুল।
উদ্বোধনের পর জলসিরি গলফ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট বলেন, 'রূপায়ণ আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য রূপায়ণ গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাই। প্রথম থেকেই এই গলফ ক্লাবের উন্নতির সঙ্গে রূপায়ণ জড়িত ছিল। তাই সাধুবাদ জানাই। জলসিরির অন্যান্ন প্রকল্পের সঙ্গেও জড়িত আছে তারা। আশা করি রূপায়নের নির্মাণ মানদন্ডের উপর নির্ভর করে জলসিড়ির বাকি পকল্পও সুন্দর হবে। আশা করি ভবিষ্যতেও রূপায়ণ গ্রুপ আমাদের সঙ্গে থাকবে।'
প্রতিযোগিদের উদ্দেশ্য করে মেজর জেনারেল মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, 'জলসিরি গলফ ক্লাবের প্রাকৃতিক সুন্দর্য অন্য গলফ ক্লাবের চেয়ে ব্যতিক্রম ও আকর্ষনীয়। তাই এখানে অনেক গলফার খেলতে আসেন। তারা জলসিরি গলফ ক্লাবকে পছন্দ করেন।'
রূপায়ণ গ্রুপের কো চেয়ারম্যান মাহির আলী খাঁন রাতুল বলেন, 'আমারা
প্রথম রূপায়ণ আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করলাম আজ। গলফারদের মধ্যে এই টুর্নামেন্ট ঘিরে অনেক সারা পাচ্ছি। গলফারদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি, এর কারণ জলসিরি গলফ ক্লাব। এটা তারা একটু ব্যতিক্রম ভাবে তৈরী করেছেন। পূর্বাচলের এই দিকে গলফের যে সুন্দর পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে তাতে অংশ নিতে গলফার এবং গলফারদের বাইরেও অনেকে আসছেন। রূপায়ণ গ্রুপ সব সময় আবাসন খাত এবং সোসাইটি ডেভেলপমেন্টে অবদারন রেখেছে বাংলাদেশে। পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনেও বেশ অবদান রেখেছে রূপায়ণ। আমরা চাইছিলাম জলসিরির এমন সুন্দর প্রকল্পে স্পনসর করার মাধ্যমে দেশের এই বিষয়গুলো মানুষের কাছে পৌছাক। একটি সোসাইটিকে যে গলফের মাধ্যমেও ডেভলপ করা যায় সেটি তুলে ধরতে চেয়েছি। আশা করি সামনেও আমাদের এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।'
ভবিষ্যতেও এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা জানিয়ে মাহির আলী খাঁন রাতুল আরও বলেন, 'পূর্বাচল এবং জলসিরির অবকাঠামো উন্নয়নে এবং তাদের পরিকল্পনার সাথে ভবিষ্যতেও আমরা রূপায়ণ গ্রুপ যুক্ত থাকবো। দেশের ভালোর জন্য যেখানে যতটুকু সম্ভব আমরা রূপায়ণ গ্রুপ অবদান রাখার চেষ্টা করবো।'
উদ্বোধনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জলসিরি গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান, সিইও লেঃ কর্ণেল আরিফ আহমেদ বেলাল (রিটায়ার্ড)।
রূপায়ণ গ্রুপের উপদেষ্টা আব্দুল গাফফার, রূপায়ণ গ্রুপের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেরর আহসান হাবিব (অব), রূপায়ণ গ্রুপের সিইও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবিএম সালাউদ্দিন (অব.) এবং রূপায়ণ গ্রুপের ডিরেক্টর অপারেশন লেফটেনেন্ট কর্নেল কবিরউদ্দিন আহমেদ (অব.)।


হারপিক - এর “বিশ্ব টয়লেট দিবস” ২০২৫ উদযাপন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্ব টয়লেট দিবস উপলক্ষে স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে রাজধানী ঢাকার লেকশোর হাইটস হোটেলে বিশেষ একটি আয়োজন করে হারপিক বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ স্যানিটেশন ব্যবস্থার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে “বিশ্ব টয়লেট দিবস ও স্যানিটেশন কর্মী” বিষয়ে কী-নোট বক্তব্য দেন ডঃ আব্দুল্লাহ আল মূঈদ (পিএইচডি)। তিনি জনস্বাস্থ্য রক্ষায় স্যানিটেশন কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, এসডিজি বিষয়ক স্যানিটেশনের চ্যালেঞ্জ ও তা থেকে উত্তরনের উপায় নিয়ে কথা বলেন। এছাড়াও কর্পোরেটদের এই সেক্টরের ভুমিকা নিয়েও কথা বলেন । তিনি তাঁর বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে বলেন, “টয়লেট শুধু প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্যই নয় বরং এটি স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও পরিচ্ছন্নতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।”
পরবর্তী পর্যায়ে একটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এবিএম শামসুল আলম, ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদার, সাজেদা ফাউন্ডেশনের ডেপুটি সিইও ফজলুল হক, মজার ইস্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আরিয়ান আরিফ এবং রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসি’র হেড অব মার্কেটিং সাবরিন মারুফ তিন্নি । আলোচনা সেশনটি পরিচালনা করেন রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসির এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার মো. রাকিব উদ্দিন। প্যানেলিস্টরা আলোচনা করেন স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি এবং যৌথ উদ্যোগই এর মাধ্যমেই দেশের মানুষের নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানের অন্যতম একটি আকর্ষণ ছিল হারপিকের নতুন সংস্করণ “দিপু-টুশি হাইজিন অভিযান” কমিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন। এই বইটির মাধ্যমে আনন্দময়, প্রাণবন্ত ও মজার কৌশলে শিশুরা ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, টয়লেট পরিষ্কার-পরিছন্নতা ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সম্পর্কে সহজেই শিখতে পারবে। শিশুদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলাই এই বইয়ের লক্ষ্য। বইটির পাশাপাশি, সারাদেশের শিশুদের স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব সহজ ও আকর্ষণীয়ভাবে শেখাতে হারপিক প্রকাশ করেছে ডিজিটাল কার্টুন সিরিজ ‘দিপু-টুশির হাইজিন অভিযান” ।
অনুষ্ঠানে হারপিক বাংলাদেশ ও সাজেদা ফাউন্ডেশন যৌথ উদ্যোগে স্যানিটেশন কর্মী এবং তাদের পরিবারের কল্যাণে আরও সক্রিয় হওয়ার ঘোষণা দেয়। এর পাশাপাশি, সাজিদা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে যৌথভাবে দুই হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার উদ্যোগের ঘোষণাও দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে হারপিক বাংলাদেশের গত এক বছরের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়, যেখানে দেশের সামগ্রিক পরিছন্নতা ও স্যানিটেশন মান উন্নয়নে ব্র্যান্ডের অটুট অঙ্গীকার তুলে ধরা হয়।

রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসি’র হেড অব মার্কেটিং সাবরিন মারুফ তিন্নি বলেন, “বিশ্ব টয়লেট দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় স্যানিটেশন একটি মৌলিক মানবাধিকার। হারপিক গ্রামাঞ্চলে সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাইজিন শিক্ষা কর্মসূচি, স্যানিটেশন কর্মীদের সহায়তা ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে অবদান রাখতে পেরে গর্বিত। জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে আমরা ভবিষ্যতেও কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাব।”
বিশ্ব টয়লেট দিবস প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর পালিত হয়। দিবসটির লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী নিরাপদ স্যানিটেশন নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরা এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি ৬)- “২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা”- উপলব্ধিতে সহযোগিতা করা।


ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত করতে বাংলালিংক ও এস.এ. গ্রুপের অংশীদারিত্ব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান এস.এ. গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সাথে এক করপোরেট চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক। দেশজুড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলালিংকের চলমান প্রয়াসের অংশ নতুন এ অংশীদারিত্ব।
এ চুক্তির আওতায় করপোরেট কানেক্টিভিটি, ফিল্ড ফোর্স লোকেটর সার্ভিস, ভেহিকেল ট্র্যাকিং সিস্টেমসহ একাধিক ব্যবসায়িক সমাধান দেবে বাংলালিংক। এসব সেবা এস.এ. গ্রুপকে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরও কার্যকরী উপায়ে পরিচালনা, নতুন ও অধিক সংখ্যক গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো এবং প্রবৃদ্ধির নতুন সুযোগ তৈরিতে সহায়তা করবে। উদ্ভাবনী ডিজিটাল সমাধানের মাধ্যমে গ্রাহকদের বহুমাত্রিক চাহিদা পূরণে বাংলালিংকের ধারাবাহিক অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন এই অংশীদারিত্ব।
সম্প্রতি, চট্টগ্রামে এস.এ. গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলালিংকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির এন্টারপ্রাইজ বিজনেসের লার্জ করপোরেট ডিরেক্টর রুবাইয়াত আলম তানজীন। এস.এ. গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পক্ষ থেকে সই করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাজ্জাদ আরেফিন আলম।
অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলালিংকের পক্ষ থেকে ছিলেন অপারেটরটির এন্টারপ্রাইজ বিজনেসের হেড অব কি সেগমেন্ট সাদ মোহাম্মদ ফাইজুল করিম, চট্টগ্রামের হেড অব এন্টারপ্রাইজ বিজনেস রাজীব বিশ্বাস এবং করপোরেট অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার শাহরিয়ার ইসলাম খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ। এস.এ. গ্রুপের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাজ্জাদ আরেফিন আলম, এজিএম (সেলস কো-অর্ডিনেশন, এমআইএস অ্যান্ড সার্ভে) মো. আমির হোসেন এবং ম্যানেজার (এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিন) মোরশেদ মঈনুদ্দিন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ও রুবাইয়াত আলম তানজীন বলেন, “উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে বাংলালিংক সেরা ডিজিটাল সমাধান প্রদানের মাধ্যমে এন্টারপ্রাইজ গ্রাহকদের ক্ষমতায়নে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এসব সমাধান প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়িক কার্যক্রমে উৎকর্ষ অর্জনে ভূমিকা রাখে, উন্নত সংযোগ নিশ্চিত করে এবং প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল রূপান্তরে সহায়তা করে। এস.এ. গ্রুপের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর আমাদের বিভিন্ন শিল্পখাতের উপযোগী উদ্ভাবনী ও কার্যকর সেবা প্রদানের সক্ষমতারই প্রতিফলন। আমরা বিশ্বাস করি, এই অংশীদারিত্ব দু’টি প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধিতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
এস.এ. গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাজ্জাদ আরেফিন আলম বলেন, “বাংলালিংকের সাথে এ চুক্তি স্বাক্ষর ডিজিটাল খাত ও শীর্ষ এফএমসিজি খাতের মধ্যে অংশীদারিত্ব বাড়ানোর ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের ক্রেতাদের জন্য ঝামেলাহীন ডিজিটাল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে পারব। বাংলালিংকের উন্নত কানেক্টিভিটি ও কাস্টমাইজড এন্টারপ্রাইজ সমাধান কাজে লাগিয়ে আমরা আমাদের সেবা প্রদানের দক্ষতা এবং গ্রাহকদের প্রয়োজনে দ্রুত সাড়া দেওয়ার সক্ষমতা বাড়াতে চাই।”


মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সোনারগাঁও সিডস ক্রাশিং মিলস লিঃ পরিদর্শন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)-এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান সোনারগাঁও সিডস ক্রাশিং মিলস লিঃ পরিদর্শন করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২০, ২০২৫ তারিখে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এই পরিদর্শকালে তাকে স্বাগত জানান এমজিআই ডিরেক্টর-বৃন্দ তানজিমা মোস্তফা এবং ব্যারিস্টার তাসনিম মোস্তফা, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এক্সপোর্ট সামিরা রহমান। এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধি দল এবং এমজিআই-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সয়াবিন ক্রাশিং ফ্যাসিলিটি-এর বিভিন্ন অংশ, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত সয়াবিন-এর হ্যান্ডেলিং ও প্রসেসিং নিজ চোখে দেখেন, যা দুই দেশের মধ্যে কৃষি পণ্যের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে আরও সুদৃঢ় করেছে। নভেম্বর ২০২৫-এর শুরুতে স্বাক্ষরিত ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের ক্রয়াদেশের ঐতিহাসিক প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতায় এই পরিদর্শনটি আয়োজিত হলো। সে সময় এমজিআই সহ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ৩টি সয়া ক্রাশিং কোম্পানির একটি কনসোর্টিয়াম এবং ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিল (ইউএসএসইসি)-এর মধ্যে এই সমঝোতা হয়েছিল।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এই পরিদর্শন, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার করার ক্ষেত্রে এমজিআই-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকেই তুলে ধরেছে। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সয়াবিন আমদানিকারক হিসেবে বছরে প্রায় ১ মিলিয়ন টন সয়াবিন আমদানি করে এমজিআই কৃষি সহযোগিতা আরও জোরদার করতে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে যাচ্ছে।

২০১০ সালে ‘মেঘনা সিডস ক্রাশিং মিলস লিঃ’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এমজিআই এই শিল্পে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে ‘সোনারগাঁও সিডস ক্রাশিং মিলস লিঃ’ নামে আরেকটি প্ল্যান্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠান দুইটির উৎপাদনক্ষমতা দিনে প্রায় ৭,৫০০ টন, যা বাংলাদেশে সর্বোচ্চ।


এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডকে অ্যাডভান্সড ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সেবা দেবে ব্র্যাক ব্যাংক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডকে অ্যাডভান্সড ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটির দেশজুড়ে বিস্তৃত রিসিভেবল অপারেশন আরও সহজ, দ্রুত ও স্বচ্ছ হবে।

ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাডভান্সড ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সল্যুশন প্রতিষ্ঠানটির কালেকশন প্রক্রিয়া আরও সহজ ও ঝামেলাহীন করার পাশাপাশি ডিস্ট্রিবিউটর ভ্যালু চেইনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।

এই চুক্তির আওতায় এসএমসি এন্টারপ্রাইজ ব্র্যাক ব্যাংকের ভার্চুয়াল অ্যাকাউন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছ থেকে রিয়েল-টাইম পেমেন্ট সংগ্রহ করতে পারবে, যা প্রতিষ্ঠানটির রিসিভেবল ডেটার যথার্থতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ম্যানুয়াল প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করবে। এছাড়াও, এসএমসি এন্টারপ্রাইজ নিজেদের কর্পোরেট গ্রাহকদের কাছ থেকে পেমেন্ট সংগ্রহে ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম ‘কর্পনেট’ ব্যবহার করবে। কালেকশন ও ডিসবার্সমেন্ট প্রক্রিয়া একক ডিজিটাল ইন্টারফেসে আসার ফলে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমে দক্ষতা ও নিয়ন্ত্রণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে।

৬ নভেম্বর ২০২৫ ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব হোলসেল ব্যাংকিং মো. শাহীন ইকবাল সিএফএ, হেড অব ট্রানজ্যাকশন ব্যাংকিং এ. কে. এম. ফয়সাল হালিম, হেড অব কমার্শিয়াল ব্যাংকিং এ. টি. এম. জামাল উদ্দিন এবং ট্রানজ্যাকশন ব্যাংকিংয়ের হেড অব লোকাল অ্যান্ড গ্লোবাল কর্পোরেট ইউনিট মুসাব্বির আহমেদ।

এই চুক্তির বিষয়ে তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “ব্র্যাক ব্যাংক দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, শক্তিশালী ফাইন্যান্সিয়াল ইকোসিস্টেমই শক্তিশালী ব্যবসার ভিত্তি। আমাদের ডিজিটাল ট্রানজ্যাকশন ব্যাংকিং সল্যুশনগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা এসএমসির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর ফাইন্যান্সিয়াল কার্যক্রমকে করবে আরও সহজ, গতিশীল ও কার্যকর। প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানকে ক্ষমতায়ন করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সায়েফ উদ্দিন নাসির, চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার আবুল বশির খান, জেনারেল ম্যানেজার চন্দ্র নাথ মণ্ডল এবং ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ তানভীর হোসেন।

এই উদ্যোগটি উদ্ভাবনী ও প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে কর্পোরেট গ্রাহকদের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও সক্ষমতা উন্নত করার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।


banner close