মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫
২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও এভারকেয়ার হাসপাতালের মধ্যে সমঝোতা

শরিয়াহভিত্তিক স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি এবং এভারকেয়ার হাসপাতাল ঢাকার মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা-সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। ঢাকায় স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠানে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মোহন মিয়া এবং এভারকেয়ার হাসপাতাল ঢাকার ডিজিএম অ্যান্ড হেড অব করপোরেট মার্কেটিং এ এম আবুল কাশেম রনি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। ছবি: সংগৃহীত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১২ জুন, ২০২৪ ১৩:৫২

শরিয়াহভিত্তিক স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি এবং এভারকেয়ার হাসপাতাল ঢাকার মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা-সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, পরিচালক ও তাদের পরিবারবর্গ দেশের স্বনামধন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে সব প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা ও কেবিন এবং শয্যাভাড়ায় বিশেষ মূল্যছাড় পাবেন। গত সোমবার ঢাকায় স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মোহন মিয়া এবং এভারকেয়ার হাসপাতাল ঢাকার ডিজিএম অ্যান্ড হেড অব করপোরেট মার্কেটিং এ এম আবুল কাশেম রনি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. সিদ্দিকুর রহমান; এসইভিপি ও চিফ রেমিট্যান্স অফিসার মো. মোশাররফ হোসাইন; ইভিপি ও সিএফও মো. আলী রেজাসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি


মাইলস্টোন কলেজে দুর্নীতিবিরোধী মানববন্ধন ও র‌্যালি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা: গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দুর্নীতিবিরোধী মানববন্ধন ও র‌্যালি করেছে রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাইলস্টোন কলেজ।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও র‌্যালির আয়োজক ছিলেন, ঢাকা মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, উত্তরা অঞ্চল।

র‌্যালিতে অংশগ্রহণকারী মাইলস্টোন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন বহন করে। মানববন্ধন ও র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন মাইলস্টোন কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক জহিরুল হক, উপাধ্যক্ষ (প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম, মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি উত্তরা অঞ্চলের সাবেক সভাপতি লে. কর্নেল এম. আব্দুল খালেক (অব.), সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, সহসভাপতি মো. নাজমুল আলম এবং কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।


জনতা ব্যাংকের ৮৬৭তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

জনতা ব্যাংক পিএলসির ৮৬৭তম বোর্ড সভা গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহ. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ব্যাংকের পরিচালক বদরে মুনির ফেরদৌস, ড. মো. আব্দুস সবূর, আব্দুল মজিদ শেখ, আব্দুল আউয়াল সরকার, ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন, মো. আহসান কবীর, মো. কাউসার আলম, অধ্যাপক ড. এ এ মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম মরতুজা, মো. ফয়েজ আলম ও মো. আশরাফুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট মহাব্যবস্থাপকরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় শ্রেণিকৃত খেলাপি ঋণ আদায়সহ ব্যাংকের অন্যান্য করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়।


জামাল ভূঁইয়ার কাছ থেকে আইফোন উপহার নিলেন বরিশালের সানি বেপারী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার কাছ থেকে নগদে লেনদেন করে আইফোন সেভেন্টিন―প্রো জিতে নিয়েছেন বরিশালের সানি বেপারী। নগদে ফিরে আসা বা নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে তিনি এই উপহার জিতেছেন।

সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত প্রতি মিনিটের প্রথম লেনদেনকারী গ্রাহককে ক্যাশব্যাক প্রদান করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ২০০ জনের বেশি গ্রাহক ৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পেয়েছেন।

পাশাপাশি সারপ্রাইজ রিচার্জ অফারে অংশ নিয়ে বোনাস রিচার্জ পেয়েছেন এক হাজারের বেশি গ্রাহক।

জামাল ভূঁইয়ার কাছ থেকে এমন আকর্ষণীয় একটি উপহার পেয়ে সানী বেপারী বলেন, ‘আমি ভাবতেও পারিনি এরকম একটি পুরস্কার পাব, সেটিও আবার জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়কের কাছ থেকে। আমি অনেক বেশি আনন্দিত।’

গত ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া নগদের এই ক্যাম্পেইনে নিয়মিত লেনদেন না করা গ্রাহক যদি নগদে ফিরে লেনদেন করেন এবং কেউ নতুন নগদ অ্যাকাউন্ট খুলে লেনদেন করেন, তাদের জন্য থাকছে প্রতিদিন ক্যাশব্যাকসহ রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেল ও আইফোনসহ হাজারও পুরস্কার জেতার সুযোগ।


এসএমই পণ্য মেলাতে উদ্যোক্তাদের বিনামূল্যে ব্যবসায়িক ‘পরামর্শ সেবা’ দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক

আপডেটেড ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২০:৪৫
নিজস্ব প্রতিনিধি

১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা ২০২৫―এ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ‘এসএমই সল্যুশন ক্লিনিক’ চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। এখানে উদ্যোক্তাদের বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে ওয়ান-টু-ওয়ান ব্যবসায়িক পরামর্শ সেবা।

এই মেলা চলবে ৭ থেকে ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত। মেলায় প্রতিদিনই ব্যাংকটির পক্ষ থেকে একটি করে বিশেষ থিমের ওপর জোর দেওয়া হবে, যেখানে দেশি-বিদেশি বাজার, ডিজিটাল টুল, বুককিপিং, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং, ফাইন্যান্সিংসহ নানা বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা এবং ব্র্যাক ব্যাংকের নিজস্ব বিশেষায়িত টিম।

গেল ৭ ডিসেম্বর (রোববার) শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন এসএমই ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে দেশের সবচেয়ে বড় এই এসএমই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

এসএমই খাতের দীর্ঘদিনের অর্থায়ন অংশীদার ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক এবার উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও প্রতিযোগিতা বাড়াতে ৮ দিনব্যাপী পূর্ণাঙ্গ কনসালটেশন প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে।

উদ্বোধনী দিন থেকে ব্যবসার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন নিয়ে পরামর্শ দেন শাহিন’স হেল্পলাইনের ফাউন্ডার অ্যান্ড সিইও আমিনুল ইসলাম। এদিন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের মুনির হাসান কৌশলগত ব্যবসা পরিচালনা বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।

৮ ডিসেম্বর ব্র্যাক ব্যাংকের ট্রেড স্পেশালিস্টরা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের রপ্তানির প্রস্তুতি ও বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশের নানা বিষয় নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন। কীভাবে এআই ব্যবহার করে ব্যবসার কার্যক্রম ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানো যায়, এ বিষয়ে ৯ ডিসেম্বর পরামর্শ দেন ৩৬০-এর ফাউন্ডার এমরাজিনা ইসলাম।

১০ ডিসেম্বর সেবা প্ল্যাটফর্ম লিমিটেডের বিশেষজ্ঞরা স্মার্ট বুককিপিং ও ই–কমার্স ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ দেবেন। ১১ ডিসেম্বর ডব্লিওআইটি ইনস্টিটিউটের ফাউন্ডার নাজিব রাফি বাজার সম্প্রসারণে কার্যকর ডিজিটাল মার্কেটিং টুল ব্যবহার শেখাবেন। ১২ ডিসেম্বর বিডিপ্রেনর-এর প্রতিষ্ঠাতা সাজ্জাদ হোসেন ব্যবসা পরিকল্পনা ও অপারেশনাল ডিসিপ্লিন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন। ১৩ ডিসেম্বর ব্র্যাক ব্যাংক ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট টিম (সিআরএম) ঋণযোগ্যতা যাচাই ও ফরমাল ফাইন্যান্সিং প্রস্তুতি বিষয়ে সহায়তা সেবা দেবে।

১৪ ডিসেম্বর ব্র্যাক ব্যাংক ‘তারা’ পরিচালিত অ্যাডভাইজরি ডে-এর মাধ্যমে এই বিশেষ পরামর্শ সেবা সিরিজের সমাপ্তি ঘটবে। এদিন ব্র্যাক ব্যাংক ‘তারা’ টিম নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা শুরু, পরিচালনা ও সম্প্রসারণ বিষয়ে বিশেষায়িত পরামর্শ সেবা দেবে।

ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগ সম্পর্কে ব্যাংকটির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, “আমরা চাই এই উদ্যোক্তা মেলায় উদ্যোক্তারা তাঁদের নানাবিধ সমস্যা নিয়ে এসে সুন্দর সমাধান নিয়ে ফিরে যাক। আমাদের লক্ষ্য হলো, এসএমই উদ্যোক্তাদের টেকসই ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও পরামর্শ দিয়ে ক্ষমতায়িত করা, যাতে তাঁরা আত্মবিশ্বাসের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। এসএমই পণ্য মেলায় ব্র্যাক ব্যাংকের ‘এসএমই সল্যুশন ক্লিনিক’ দেশের এসএমই খাতের বিকাশে আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”

ব্যাংকটি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, একটি শক্তিশালী এসএমই ইকোসিস্টেম তৈরির মূল ভিত্তি হলো উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন। ৮ দিনব্যাপী এই পরামর্শ সেবার মাধ্যমে নতুন থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠিত— সব পর্যায়ের উদ্যোক্তাই তাঁদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা পাবেন।

মেলায় আগত উদ্যোক্তাদের Hall E, Pavillion# DP 8–এর ব্র্যাক ব্যাংক এসএমই সল্যুশন ক্লিনিক–এ আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। এখানে সপ্তাহজুড়ে মিলবে বিভিন্ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ সেবা।

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. : ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ৩০২টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১১৯টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।


কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তায় এগিয়ে এলো ‘মিডল্যান্ড ব্যাংক’

আপডেটেড ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২০:২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

কড়াইল বস্তির অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তা প্রদানের জন্য দাতব্য সংস্থা সাজেদা ফাউন্ডেশনকে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে মিডল্যান্ড ব্যাংক। সামাজিক কল্যাণের প্রতি ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ব্যাংকটি তাদের কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR) কার্যক্রমের আওতায় ইসলামী ব্যাংকিং তহবিল থেকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করে এবং বাকি ৫ লক্ষ টাকা মিডল্যান্ড ব্যাংক পরিবারের সদস্যরা অনুদান হিসেবে দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) মিডল্যান্ড ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আহসান-উজ জামান, সাজিদা ফাউন্ডেশনের ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্টস অ্যান্ড পার্টনারশিপস―এর পরিচালক মুহাইমিন চৌধুরীর হাতে এই সংক্রান্ত একটি চেক হস্তান্তর করেন।

সমাজের সাধারণ মানুষের প্রতি সামাজিক অঙ্গীকার এবং অন্যান্য বিভিন্ন দাতব্য কর্মকাণ্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, মিডল্যান্ড ব্যাংক পরিবার কোরাইল বস্তির অগ্নিকাণ্ডে ত্রাণের জন্য সাজেদা ফাউন্ডেশনকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাজেদা ফাউন্ডেশনের অংশীদারিত্ব ও তহবিল সংগ্রহের সমন্বয়কারী ফারহিন আহমেদ টুইংকেল; মিডল্যান্ড ব্যাংকের হেড অব রিটেইল ডিস্ট্রিবিউশন এবং চিফ ব্যাংকাস্যুরেন্স অফিসার (সিবিও) মোঃ রাশেদ আকতার; সিএফও দিদারুল ইসলাম; সিআরএম এবং সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ইউনিটের প্রধান মো. বজলুর রহমান খান।


ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ―২০২৫ উদযাপন করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ‘ভ্যাট দিবস- ২০২৫’ এবং ‘ভ্যাট সপ্তাহ-২০২৫’ পালন করা হচ্ছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর এবং ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।

ভ্যাট নিবন্ধনকে গুরুত্ব প্রদান করে এ বছরের ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে "সময়মত নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব"। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে আগামী ১০ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত দেশব্যাপি বিশেষ নিবন্ধন ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। যার উদ্দেশ্য হবে ১ লক্ষ নতুন ভ্যাট নিবন্ধন প্রদান করা। বর্তমানে দেশে ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৪৪ হাজার।

বিগত অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মোট আদায়ের ৩৮% ভ্যাট হতে আদায় করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২২% বেশি ভ্যাট আদায় হয়েছে। ভ্যাট আদায় ব্যবস্থাপনা জোরদার করার মাধ্যমে ভ্যাটের আদায় উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি করে দেশের আর্থিক বুনিয়াদ মজবুত করা সম্ভব।

দেশের প্রকৃত মালিক জনগণ কর্তৃক পরিশোধিত রাজস্ব সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সড়ক ও রেল অবকাঠামো নির্মাণ, ঋণ পরিশোধ, সামাজিক সুরক্ষা, কৃষি, বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে ভর্তুকি প্রদানসহ নানাবিধ জনকল্যাণে ব্যয় করা হচ্ছে।

ভ্যাট আদায়ের ক্ষেত্রে নানামুখি চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেমন অনিবন্ধিত ব্যবসা, পূর্ণাঙ্গ অটোমেশনের অভাব, রেয়াত-শৃঙ্খল কার্যকর না হওয়া, অতিরিক্ত অব্যাহতি, ম্যানুয়াল অডিট ব্যবস্থা, ই-কমার্স ও উদীয়মান ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলি থেকে ভ্যাট সংগ্রহ করতে না পারা প্রভৃতি। বিদ্যমান এ চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলায় রাজস্ব ব্যবস্থাকে আধুনিক এবং ডিজিটালাইজড করার লক্ষ্যে অনলাইন সিস্টেমে নিবন্ধন গ্রহণ, অনলাইন রিটার্ন দাখিল, ই-সহগ, অনলাইন পেমেন্ট, ই-রিফান্ড, ই-অডিট, ভ্যাট স্মার্ট চালান প্রবর্তন, ভ্যাট ফাঁকি মোকাবেলায় 'রিস্ক-বেসড' অডিট সিস্টেম চালুসহ বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

করদাতাদের স্বেচ্ছায় কর প্রদান নিশ্চিত করা এবং কর ফাঁকি কমানোই এনবিআরের প্রধান লক্ষ্য। একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণে একটি শক্তিশালী ও দক্ষ ভ্যাট ব্যবস্থা অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রচেষ্টার পাশাপাশি দেশের সর্বস্তরের ভোক্তা, ব্যবসায়ী, শিল্প মালিকগণ ও প্রচার মাধ্যমের যুগোপযোগি সহায়তা প্রয়োজন।


চট্টগ্রামে কাস্টমস কর্মকর্তার উপর দুষ্কৃতিকারীদের হামলার ঘটনায় মামলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রতি অবৈধ পণ্য খালাসে বাধা দেয়ায় কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রামের দুই জন কর্মকর্তার ওপর ৪ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুষ্কৃতিকারী কর্তৃক হামলার ঘটনা ঘটে।

ধারণা করা হচ্ছে, গত মে মাসে প্রায় ৩০ (ত্রিশ) কোটি টাকার রাজস্ব সংশ্লিষ্ট নিষিদ্ধ সিগারেটের একটি পণ্যচালান এবং প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের আমদানি নিষিদ্ধ পপি সিড ও ঘন চিনি (Sodium Cyclamate) আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম রাজস্ব ফাঁকি রোধে কার্যক্রম গ্রহণ করায় এই কাস্টমস কর্মকর্তাদের উপর আক্রমণ চালানো হয়।

কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম এর এআইআর শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা, জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান খান এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জনাব মোঃ বদরূল আরেফিন ভূইঁয়া দাপ্তরিক কাজে কাস্টমস গোয়েন্দা আঞ্চলিক অফিস হতে কাস্টমস হাউস চট্টগ্রামের নিজস্ব অফিসে আসার পথে ঘটনার দিন আনুমানিক সকাল ১০টা ২০ মিনিটের সময় ডবলমুরিং থানার সিডিএ আবাসিক এলাকায় তিনজন অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারী মোটর সাইকেলযোগে এসে তাঁদের বহনকারী গাড়ির গতিরোধ করে।

এছাড়া প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে চাপাতি দিয়ে আক্রমণ করে এবং লাথি দিয়ে গাড়ির বাম পাশের গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় তারা গুলি কর, গুলি কর বলে চিৎকার করতে থাকে। জীবন রক্ষার্থে কর্মকর্তাদ্বয় কৌশলে গাড়ি নিয়ে দ্রুত কর্মস্থলের দিকে চলে আসেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন শেড কেন্দ্রীক এক পণ্যের আড়ালে অন্য পণ্য খালাস নেয়ার জালিয়াত চক্র কর্তৃক মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে আনীত বিভিন্ন কসমেটিকস পণ্যের চালান আটক করায় গত ০৫/১০/২০২৫ খ্রি. তারিখ আনুমানিক বিকাল ৪:৩০ ঘটিকার সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি আক্রান্ত রাজস্ব কর্মকর্তার ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কল করে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদান করাসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিলে বন্দর থানা, চট্টগ্রামে একটি সাধারণ ডায়েরি (নং-২৮২, তারিখ: ০৬/১০/২০২৫ খ্রি.) দায়ের করা হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে নিষিদ্ধ পণ্যের চোরাচালান, শুল্ক কর ফাঁকি এবং অসত্য ঘোষণার মাধ্যমে পণ্য আমদানি প্রতিহত করার পবিত্র দায়িত্বে নিয়োজিত রাজস্ব কর্মকর্তার ওপর অতীব ঘৃণ্য এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করে সৎ ও নিষ্ঠাবান রাজস্ব কর্মকর্তাদের সকল প্রকারের নিরাপত্তা বিধানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। অপরাধীরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদেরকে অতি দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার সম্পন্ন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অনুরোধ করছে।

ঘৃণ্য এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় রাজস্ব কর্মকর্তা জনাব মো: আসাদুজ্জামান খান কর্তৃক ডবলমুরিং থানা, চট্টগ্রামে আজ একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।


গ্রাহকের ব্যবহারের ধরন ও পছন্দ অনুযায়ী বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হলো ‘আমার বিকাশ’ আইকন

আপডেটেড ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রত্যেক গ্রাহকের ব্যবহারের ধরণ আর প্রয়োজন অনুযায়ী সম্প্রতি বিকাশ অ্যাপের ইন্টারফেসকে আরও বেশি সহজ ও কার্যকরী করে উপস্থাপন করা হয়েছে। ‘আমার বিকাশ’ আইকনের নতুন উপস্থাপন এখন গ্রাহককে এক ঝলকেই তার দৈনন্দিন আর্থিক লেনদেনের একটা চিত্র দেখাচ্ছে। সমস্ত লেনদেনের তথ্য কাস্টমাইজ করে এক জায়গাতে সন্নিবেশিত করার ফলে গ্রাহকের সার্বিক আর্থিক ব্যবস্থাপনাও আরও সহজ ও কার্যকর হয়েছে।

পাশাপাশি, ‘আমার বিকাশ’, ‘মাই অফারস’ এর বদলে যাওয়া ইন্টারফেস আরও পরিছন্নরূপে উপস্থাপন করা হয়েছে। নতুন থিম যুক্ত করে বহুল ব্যবহৃত এই অ্যাপটির সার্বিক সজ্জাতেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। এছাড়া মাই অফারস-এ বোনাস পয়েন্ট, অ্যাপ থেকে ইনস্যুরেন্স পলিসি কেনা, কুপন, রিওয়ার্ড সহ নানা ধরনের সুবিধা যুক্ত হয়েছে বিকাশ অ্যাপের নতুন এই সংস্করণে।

আমার বিকাশ

বিকাশ অ্যাপের সাথে গ্রাহকের যাত্রা কতো বছরের তা বিকাশ অ্যাপের ‘মাই বিকাশ’ ইন্টারফেসে ঢুকে সবার আগে চোখে পড়ছে গ্রাহকের। প্রতিদিনের জীবনের অংশ হয়ে ওঠা বিকাশ অ্যাপের সাথে গ্রাহকের সম্পর্কের সময়ের হিসাব, তৈরি করছে বাড়তি ভালো লাগা।

হোম স্ক্রিনের নেভিগেশন বারে যুক্ত হয়েছে ‘আমার বিকাশ’ আইকন, যা ট্যাপ করেই গ্রাহক তার বিকাশ লেনদেন জগতে ঢুকে যেতে পারছেন সহজে, স্বাচ্ছন্দ্যে। রিওয়ার্ড পয়েন্ট, প্রিয় নাম্বার, প্রিয় এজেন্ট, সেভ করা বিলার, কার্ড ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, সেভিংস বা লোন নেয়ার তথ্য, অটো-পে, সাবস্ক্রিপশন সহ গ্রাহকের প্রয়োজনীয় সব সেবাই এক স্ক্রিনে দেখতে পাচ্ছেন গ্রাহক। ফলে শুধু দ্রুত সেবা নেয়া ই নয়, গ্রাহকদের আর্থিক ব্যবস্থাপনা হয়েছে আরও স্মার্ট এবং সময় সাশ্রয়ী। বিকাশ অ্যাপ থেকে সাবস্ক্রাইব বা লিংক করা অন্য অ্যাপের তালিকাও একই স্ক্রিনেই পেয়ে যাচ্ছেন গ্রাহক।

মাই অফারস

ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ততা বাড়াতে সারাবছরই সব ধরনের গ্রাহকদের জন্য নানা ধরনের অফার সংযুক্ত থাকে বিকাশ অ্যাপে। কোন লেনদেন করলে কতো ছাড়, কোথায় মিলবে ডিসকাউন্ট, বিশেষ কী অফার রয়েছে তার তালিকা পাওয়া যাবে হোম স্ক্রিনের মাই অফার আইকন থেকেই। চাহিদা ও লেনদেনের ধরন বিবেচনায় রেখে আরও সুযোগ ও স্বাচ্ছন্দ্য দিতে গ্রাহককে কাস্টমাইজড ‘মাই অফারস’ দিয়ে থাকে বিকাশ। ‘মাই অফারস’ -এ ট্যাপ করলে গ্রাহক তার জন্য দেয়া অফারের বিস্তারিত তালিকা (যেমন – ব্যাংক টু বিকাশ, কার্ড টু বিকাশ, পেমেন্ট, রেমিট্যান্স, বিকাশ টু ব্যাংক ইত্যাদি) থেকে নিজের পছন্দমতো অফার উপভোগ করতে পারবেন আর সাথে পাবেন রিওয়ার্ড পয়েন্টও। কোনো অফার না থাকলেও এই সেকশনে একবার ট্যাপ করলেই গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে যুক্ত হতে পারে বোনাস পয়েন্ট। এদিকে, প্রতিটি অফারের পাশে এর বিস্তারিত বিবরণ এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ উল্লেখ থাকে, যা গ্রাহকের বিকাশ লেনদেন করবে আরও সাশ্রয়ী।

হোম স্ক্রিনের ইন্টারফেস পরিবর্তন

বাংলার প্রকৃতির সাথে মিলিয়ে নবযাত্রা, প্রশান্তি আর গোধূলি তিন ধরনের থিম এসেছে বিকাশ অ্যাপের হোম স্ক্রিনের জন্য। অ্যানিমেটেড এই থিমগুলো হোম স্ক্রিনকে আরও প্রাঞ্জল ও সজীব করে তুলেছে। গ্রাহক নিজের পছন্দমতো থিম নির্বাচন করে পরিবর্তনও করে নিতে পারছেন। হোম স্ক্রিনের আইকনগুলোকে আরও পরিচ্ছন্ন ও নিবিড় করে তোলা হয়েছে গ্রাহকের ব্যবহার সুবিধার্থে। এমনকি গ্রাহকরা শুধু আইকন দেখেই আরও সহজে সেবা নির্বাচন করতে পারছেন নতুন এই পরিবর্তনে।

ইনস্যুরেন্স পলিসি কেনা

গ্রাহকরা এখন বিকাশ অ্যাপ থেকেই তাদের পছন্দানুযায়ী হেলথ ও লাইফ ইনস্যুরেন্স পলিসি কিনতে পারছেন। অ্যাপের হোম স্ক্রিনে থাকা ইনস্যুরেন্স আইকনে যেয়ে ‘নতুন পলিসি কিনুন’ অপশনে ট্যাপ করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। এরপর পছন্দানুযায়ী হেলথ বা লাইফ ইনস্যুরেন্স সিলেক্ট করে বয়সের ঘর পূরণ করলে বিভিন্ন ইনস্যুরেন্স কভারেজ অপশন দেখা যাবে। এখান থেকে পছন্দানুযায়ী কভারেজটি সিলেক্ট করে সম্মতি দিলেই ইনস্যুরেন্স পলিসি চালু হয়ে যাবে। এছাড়া, বিকাশ অ্যাপ থেকেই ইনস্যুরেন্সের প্রিমিয়াম জমা দেয়া সহ ডকুমেন্ট ও রিসিপ্ট ডাউনলোড করা যাবে।

আরও আকর্ষণীয় গেস্ট মোড

অ্যাপ লগইন বা রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই বিভিন্ন সেবা ব্রাউজ করার সুযোগ দেয় বিকাশ অ্যাপের গেস্ট মোড। যারা এখনো বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলেননি অথবা অ্যাকাউন্ট খুলতে আগ্রহী, তাঁরা অ্যাপটির সেবা ও অফার সম্বন্ধে বিস্তারিত দেখতে পারবেন বিকাশ অ্যাপের গেস্ট মোড থেকেই।

সর্বশেষ যুক্ত এই সেবা ও ফিচারগুলোর পাশাপাশি এই মুহূর্তে বিকাশ গ্রাহকরা সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, অ্যাড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, ডোনেশন, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রোফাইন্যান্স এর পেমেন্ট, ডিজিটাল লোন ও সেভিংস সহ নানান সেবা ব্যবহার করছেন। গ্রাহক-বান্ধব সেবার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল লাইফস্টাইল অ্যাপে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে নিরন্তর উদ্ভাবন অব্যাহত রেখেছে বিকাশ।


শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির ৭৪তম সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি-এর রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির ৭৪তম সভা সম্প্রতি ব্যাংকের কর্পোরেট প্রধান কার্যালয়ের পর্ষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

৮ ডিসেম্বর (সোমবার) অনুষ্ঠিত এই সভার সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালক ও রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো: তৌহীদুর রহমান। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে ব্যাংকের পরিচালক ও কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ, খন্দকার শাকিব আহমেদ এবং ফকির মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া সভায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ এবং কোম্পানি সচিব মো: আবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।


সিটি আইটি মেগা ফেয়ার-২০২৫ এ থাকছে ‘টেকনো মেগাবুক সিরিজ’

দেশের সবচেয়ে বড় এ প্রযুক্তি মেলায় টেকনো ল্যাপটপের সাথে থাকছে এক্সক্লুসিভ গিফট সম্পূন্ন ফ্রি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিনিধি

উদ্ভাবনী প্রযুক্তির জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত ব্র্যান্ড টেকনো অংশ নিচ্ছে জনপ্রিয় প্রযুক্তি মেলা ‘সিটি আইটি মেগা ফেয়ার ২০২৫’-এ।

রাজধানীর আগারগাঁও আইডিবি ভবনের বিসিএস কম্পিউটার সিটিতে ৮ ডিসেম্বর (সোমবার) থেকে শুরু হয়ে মেলাটি চলবে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

এই মেলায় থাকছে বৈশ্বিক ও দেশীয় ব্র্যান্ডের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্যের সমাহার। এছাড়াও ক্রেতাদের জন্য বিভিন্ন পণ্যে থাকছে বিশেষ অফার, মূল্যছাড় ও আকর্ষণীয় গিফট।

প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত চলবে এই মেলার আনুষ্ঠানিকতা। নতুন ডিভাইস কেনা বা টেক সেটআপ আপগ্রেড গ্রাহকদের জন্য এটি হতে পারে অন্যতম পছন্দের গন্তব্য। প্রযুক্তিপ্রেমীরা স্টার টেক ও রায়ানসের মতো জনপ্রিয় স্টোর থেকে টেকনোর মেগাবুক সিরিজের নতুন মডেল মেগাবুক কে১৫এস এএমডি, মেগাবুক কে১৬এস এএমডি, মেগাবুক টি১ ১৫.৬ ১৩তম জেন এবং মেগাবুক টি১৪ এয়ার সরাসরি দেখে ও যাচাই-বাছাই করে কিনতে পারবে।

স্টার টেক, রায়ানসসহ যেকোনো আউটলেট থেকে টেকনো ল্যাপটপ কিনলেই থাকছে নিশ্চিত ফ্রি গিফট- টেকনো ওয়াচ নিও বা টেকনো বাডস ৪। ইনটেল-ভিত্তিক যেকোনো টেকনো ল্যাপটপ কিনলে ক্রেতা পাবেন টেকনো ওয়াচ নিও সম্পূর্ণ ফ্রি আর রাইজেন-ভিত্তিক ল্যাপটপ কিনলে থাকছে টেকনো বাডস ৪ ফ্রি।

হাই-পারফরম্যান্স ল্যাপটপ ও প্রিমিয়াম এক্সেসরিজ খুঁজছেন এমন দর্শনার্থীদের জন্য টেকনো নিয়ে এসেছে চারটি চমৎকার মেগাবুক মডেল। মেগাবুক কে১৫এস এএমডি মডেলটির দাম ৫৩,৫০০ টাকা, এতে রয়েছে এএমডি রাইজেন™ ৫ ৭৪৩০ইউ প্রসেসর, এএমডি রেডিয়ন™ গ্রাফিক্স, ১৬ জিবি র‍্যাম, ৫১২ জিবি এসএসডি, অল-মেটাল ডিজাইন এবং দীর্ঘস্থায়ী ৭০ ওয়াট পার আওয়ার ব্যাটারি সাথে ফ্রি টেকনো বাডস ৪।

অতি হালকা ল্যাপটপ চাইলে মেগাবুক কে১৬এস এএমডি হতে পারে দারুণ পছন্দ। ৫৮,৫০০ টাকার এই মডেলেও রয়েছে এএমডি রাইজেন™ ৫ ৭৪৩০ইউ প্রসেসর, এএমডি রেডিয়ন™ গ্রাফিক্স, ১৬ জিবি র‍্যাম ও ৫১২ জিবি এসএসডি যা অল-মেটাল, পাতলা ও হালকা ডিজাইনের সাথে ফ্রি টেকনো বাডস ৪।

পাওয়ার ইউজারদের জন্য রয়েছে মেগাবুক টি১ ১৫. ৬ ১৩তম জেন, যা তার সেগমেন্টের সবচেয়ে শক্তিশালী ল্যাপটপ। এতে আছে ১৩তম জেনারেশনের ইনটেল® কোর™ আই৯ প্রসেসর, ৩২ জিবি র‍্যাম, ১ টেরাবাইট এসএসডি এবং মাত্র ১৪.৮ মিমি পাতলা ন্যানো অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয় বডি যার দাম ৮৯,৯০০ টাকা এবং ফ্রি টেকনো ওয়াচ নিও।

অন্যদিকে যারা পোর্টেবল ল্যাপটপ চান, তাদের জন্য রয়েছে মাত্র ৯৯৯ গ্রাম ওজনের মেগাবুক টি১৪ এয়ার। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ইনটেল® কোর™ আই৫ ১৩৩৪ইউ প্রসেসর, ইনটেল® আইরিস® এক্সই গ্রাফিক্স, ১৬ জিবি র‍্যাম ও ৫১২ জিবি এসএসডি। ৬৮,৫০০ টাকায় পাওয়া যাবে এই মডেলটি সাথে ফ্রি টেকনো ওয়াচ নিও।

উদ্ভাবন ও ডিজাইনের জন্য টেকনোর মেগাবুক সিরিজ ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। সম্প্রতি মেগাবুক এস১৪ পেয়েছে আইএফএ ২০২৫–এ মর্যাদাপূর্ণ ‘আইএফএ গ্লোবাল প্রোডাক্ট টেকনোলজি ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’, যা বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স ট্রেড ফেয়ার। এছাড়া মেগাবুক টি১ ২০২৩ সালে জিতেছে ‘রেড ডট প্রোডাক্ট ডিজাইন

অ্যাওয়ার্ড’। এসব অর্জন টেকনোর বৈশ্বিক বাজারে ফাংশনালিটি, গুণগত মান ও নান্দনিক ডিজাইনের সমন্বয়ের প্রতিশ্রুতিকে আরও দৃঢ়ভাবে তুলে ধরে।

টেকনোর পণ্য ও সিটি আইটি মেগা ফেয়ার ২০২৫-এর অফার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন www.tecno-mobile.com/bd টেকনোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অথবা ফলো করুন টেকনো বাংলাদেশ-এর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো।


সীমান্ত ব্যাংক এর BAMLCO ও DAMLCO কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিনিধি

সম্প্রতি সীমান্ত ব্যাংক এর “ব্রাঞ্চ এন্টি মানি লন্ডারিং কমপ্লায়েন্স অফিসার’স (ব্যামেলকো) এবং ডিপার্টমেন্টাল এন্টি মানি লন্ডারিং কমপ্লায়েন্স অফিসার’স (ড্যামেলকো) কনফারেন্স ২০২৫” ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

এই কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এর নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) মো. মফিজুর রহমান খান চৌধুরী।

এছাড়া সীমান্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ আজিজুল হক, হেড অব বিজনেস মোঃ শহিদুল ইসলামসহ সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, সকল শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ, সকল ব্যামেলকো এবং ড্যামেলকোগন উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন।

উল্লেখ্য কনফারেন্সে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউ এর অতিরিক্ত পরিচালক সাদরিল আহমেদ এবং অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ রোকন-উজ-জামান।


বিজেএমসিতে চাকুরীজীবীদের বেতন ভাতা ও অবসরপ্রাপ্তদের আনুতোষিক পরিশোধের দাবিতে ‘গেইট মিটিং’ অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিজেএমসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন-ভাতাদি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনুতোষিক পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ এবং বিজেএমসি’র নিজস্ব অফিস ভবন নির্মাণের নির্ধারিত স্থান “করিম চেম্বার”ভবন অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রদান না করে বিজেএমসি’র ‘অফিস কাম বাণিজ্যিক ভবন নির্মানের অনুমতি প্রদানের লক্ষ্যে বাপাশিকস ও সিবিএ এর পক্ষ হতে ১৮ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিব বরাবর আবেদন প্রেরণ করা হয়।

কিন্তু রোববার (৭ ডিসেম্বর) পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পরিলক্ষিত না হওয়ায় নিম্নোক্ত দাবিসমূহ আদায়ের লক্ষ্যে বিজেএমসি কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের উদ্যেগে রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিজেএমসি’র প্রধান কার্যালয়ের (আদমজী কোর্ট, এনেক্স-১ ভবন) মেইন গেইটে এক ‘গেইট মিটিং’ এর আয়োজন করে।

একইসাথে বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন ২৫টি জুটমিলসমূহের অফিস গেইটে এই ‘গেইট মিটিং’ অনুষ্ঠিত হয়। বিজেএমসি’র প্রধান কার্যালয়ের গেইট মিটিং-এ বিজেএমসি’র সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতে অংশগ্রহণ করে।

বিজেএমসি’র মুখ্য পরিচালন কর্মকর্তা মো. নাসিমুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাঃ ও সা:সেবা) মো. মামুনুর রশিদ, মহাব্যবস্থাপক (হিসাব ও অর্থ) মো. আব্দু মালেক, মহাব্যবস্থাপক (আইন) এ এস এম মামুনুর রহমান, মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা) ও সভাপতি অফিসার্স এসোসিয়েশন জিয়াউল হক ভূঞা, মহাব্যবস্থাপক (মহাসচিব অফিসার্স এসোসিয়েশন মো. রুহুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক (পুর) ও সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারী পরিষদ ইঞ্জি. ইসরাফিল খান, সভাপতি (সিবিএ) মো. আমিনুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি এবং অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এতে বক্তব্য রাখেন।

কর্মকর্তাগণ তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, “গত সরকার ১লা জুলাই ২০২০ সালে বিজেএমসি’র উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে শ্রমিকদেরকে গোল্ডেন হ্যান্ডশ্যাকের মাধ্যমে চাকুরী অবসায়ন করে এবং উদ্বৃত্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে আত্তীকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্যত্র আত্তীকরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার ঘোষণা দেয়।

কিন্তু অদ্যাবধি ৫ বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও আত্তীকরণ কার্যক্রম বিভিন্ন কারনে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি যা এখনো চলমান রয়েছে। মিল বন্ধ পরবর্তী প্রায় ৪ বছর বিজেএমসি’র মজুদ পণ্য বিক্রয়লব্ধ টাকা দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে।

গত জুলাই ২০২৪ হতে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। গত ০৮/০৯ মাস যাবত অর্থ মন্ত্রণালয় হতে কোন রকমের অর্থ বরাদ্দ না করায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছে না।

ফলে অনেকেই আর্থিক সংকটের কারনে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এ অবস্থায় নিয়মিত বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমান অর্থ বরাদ্দের আহবান জানান।

এছাড়া বক্তারা আরো উল্লেখ করেন, ২০২১ সালের পর হতে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনুতোষিক বাবদ সরকার কোন অর্থ বরাদ্দ না করায় শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকুরি হতে অবসর গিয়ে আর্থিক সংকটের কারনে বিনা চিকিৎসায় অনাহারে ও অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। অনেকেই সন্তানদের লেখাপড়া এমনকি ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিতে পারছে না। কাজেই মানবিক কারনে অবসরপ্রাপ্তদের ন্যায্য আনুতোষিক পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমান অর্থ বরাদ্দের আহবান জানানো হয়।

সভায় নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বিজেএমসি বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন এবং সর্ববৃহৎ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেও বর্তমানে ঢাকা শহরে বিজেএমসি’র নিজস্ব কোন ‘অফিস ভবন’ নেই। বর্তমানে বিজেএমসি’র ব্যবহৃত আদমজী কোর্ট ভবনটি একসময় বিজেএমসি’র মালিকানাধীন থাকলেও কত কয়েক বছর পূর্বে এ ভবনটি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় তাদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে যায়।

ফলে বিজেএমসি এখন ভাড়াটিয়া হিসেবে এ ভবনে অবস্থান করছে। ঢাকা শহরে বিজেএমসি’র একমাত্র জায়গা ৯৯, মতিঝিল, করিম চেম্বার ভবনটি ভেঙে নতুন একটি ‘অফিস ভবন কাম বাণিজ্যিক ভবন’ দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ও লালিত স্বপ্ন ছিল।

বর্তমানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কর্তৃক করিম চেম্বার ভবনটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে প্রদানের কার্যক্রম শুরু করেছে, যা বিজেএমসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ কোনদিন বাস্তবায়ন হতে দিবে না। বিজেএমসি’র সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের একমাত্র প্রাণের দাবি তাদের নিজস্ব জায়গা করিম চেম্বারে বিজেএমসি’র নিজস্ব অফিস কাম বাণিজ্যিক ভবন নির্মান করার সদয় অনুমতি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

উল্লিখিত দাবিগুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে আরো কঠোর থেকে কঠোরতম আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তারা জানান।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) ‘গেইট মিটিং’ শেষে বিজেএমসি প্রধান কার্যালয় ও মিলগুলোর প্রতিনিধিদের পক্ষ হতে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর প্রেরণের জন্য বিজেএমসি’র চেয়ারম্যানের নিকট হস্তান্তর করা হয়।


ওয়াকাথন আয়োজনের মাধ্যমে বাংলালিংকের ‘সেফটি অ্যান্ড ওয়েলনেস উইক ২০২৫’ উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী অপারেটর বাংলালিংক ৬ ডিসেম্বর (শনিবার) ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় একযোগে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে ওয়াকাথন আয়োজনের মাধ্যমে তাদের বার্ষিক ‘সেফটি অ্যান্ড ওয়েলনেস উইক ২০২৫’ উদ্বোধন করেছে।

এ উদ্যোগে স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও সামগ্রিকভাবে সুস্থতা ও কল্যাণ নিয়ে যৌথ অঙ্গীকারের প্রতিফলন হিসেবে ৫৬০ জনের বেশি কর্মী অংশ নেন।

কর্মী-কেন্দ্রিক কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলায় বাংলালিংকের লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এ বছর এ আয়োজনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘স্ট্রেন্থ ইন অ্যাকশন, কেয়ার ইন এভরি স্টেপ।,’ যেখানে গুরুত্ব পায় সচেতনতার মাধ্যমে প্রাত্যহিক অভ্যাস গড়ে তোলা, কাজের ক্ষেত্রে কর্মীদের প্রতি যত্নশীল আচরণ, সহকর্মীদের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব তৈরি ও ব্যক্তিগত সুস্থতায় নিয়মিত অনুশীলনের অভ্যাস।

সপ্তাহজুড়ে কর্মীদের মধ্যে সুস্থতা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে নানামুখী কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলালিংক। এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ব্যক্তিগত পরামর্শ পর্ব, অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, সরাসরি নিরাপত্তা মহড়া, মননশীলতা চর্চা, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণমূলক কার্যক্রম এবং বিভিন্ন অংশগ্রহণমূলক সুস্থতা আয়োজন। প্রতিটি উদ্যোগই স্বাস্থ্যকর রুটিন গড়ে তোলা, সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় অনুশীলন এবং ভারসাম্যপূর্ণ ও সচেতন জীবনযাপনকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করা হয়েছে।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয় টাইগার’স ডেন থেকে ওয়াকাথন শুরু হয়। অন্যান্য শহরে অংশগ্রহণকারীরা নিজ নিজ কার্যালয় থেকে যাত্রা শুরু করেন। সদিচ্ছা ও সচেতনতার মাধ্যমে ছোট ছোট পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়েই সার্বিকভাবে সুস্থ থাকার দিকে যাত্রা শুরু হয়, এ বার্তায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ওয়াকাথনের নির্ধারিত পথে যাত্রা করেন বাংলালিংকের কর্মীরা।

টাইগার’স ডেনে ‘সেফটি অ্যান্ড ওয়েলনেস উইক ২০২৫’ -এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী ইওহান বুসে সহ প্রতিষ্ঠানটির লিডারশিপ টিমের সদস্যেরা। তাদের উপস্থিতি নিরাপদ, যত্নশীল ও সহায়ক কর্মপরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলালিংকের প্রতিশ্রুতিকে আরও জোরালো করেছে।

অনুষ্ঠানে বাংলালিংকের প্রধান মানবসম্পদ ও প্রশাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রুহুল কাদের বলেন, “ওয়াকাথনের মাধ্যমে এ সপ্তাহ অর্থবহভাবে শুরু হয়েছে। সুরক্ষা ও সুস্থতা সাময়িক কোন বিষয় নিয়, বরং এটা আমাদের প্রতিদিনের গড়ে তোলা অভ্যাসের ব্যাপার – এ আয়োজন আমাদের সে বার্তাই দেয়। আমাদের কর্মীরা যখন নিজেদের সুস্বাস্থ্য ও সুরক্ষায় সহযোগিতা পান, তখন সামগ্রিকভাবে প্রতিষ্ঠানই আরও শক্তিশালী হয়। নিজেদের যত্ন নেওয়া, পরস্পরের খোঁজ রাখা এবং এমন এক কর্মপরিবেশ তৈরি করা যেখানে সুস্থতা স্বাভাবিকভাবে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার অংশ, সেফটি অ্যান্ড ওয়েলনেস উইক আমাদের সেই মানসিকতাকে আরও দৃঢ় করেছে।”

কর্মীদের পাশাপাশি গ্রাহকদের সুরক্ষা ও সুস্থতার প্রতিও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলালিংক। গ্রাহকেরা যেন তাদের কাছের মানুষদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, এজন্য কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর বাংলালিংক তাৎক্ষণিকভাবে গ্রাহকদের জন্য দুই ঘণ্টার ফ্রি কলিং সুবিধার ঘোষণা দেয়।


banner close