বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
১৪ কার্তিক ১৪৩২

ডাকাত প্রতিরোধে রাতভর কাজ করছে স্বপ্নের টিম

চুরি-ডাকাতি রোধে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তার জন্য পাহারা দিচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এবার তাদের পাশাপাশি ডাকাত প্রতিরোধে রাতভর কাজ করছে দেশের জনপ্রিয় সুপারশপ স্বপ্নের টিম। ছবি : সংগৃহীত
করপোরেট ডেস্ক
প্রকাশিত
করপোরেট ডেস্ক
প্রকাশিত : ১২ আগস্ট, ২০২৪ ১৬:০০

বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ দায়িত্বে না থাকায় বিভিন্ন জায়গায় লুটপাট ও ডাকাতির মতো অপরাধ কর্মকাণ্ডের খবর পাওয়া যাচ্ছে। চুরি-ডাকাতি রোধে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তার জন্য পাহারা দিচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এবার তাদের পাশাপাশি ডাকাত প্রতিরোধে রাতভর কাজ করছে দেশের জনপ্রিয় সুপারশপ স্বপ্নের টিম।

স্বপ্ন কর্তৃপক্ষ জানান, শঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হতে হবে আমাদের। স্বপ্ন একটি মানবিক ব্র্যান্ড। আর সাধারণ জনগণই তো আমাদের গ্রাহক। তাদের নিরাপত্তার জন্য তাই স্বপ্নের টিম রাজধানীর উত্তরা, বাড্ডা, মিরপুর, ধানমন্ডি এবং মোহাম্মদপুরে সারারাত ধরে কাজ করছেন।

স্বপ্ন কর্তৃপক্ষ আরও জানান, এসব এলাকার কেউ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে স্বপ্ন টিমের সহযোগিতার জন্য কল করুন: ০১৭৭৩-৯৮২২০৭ (উত্তরা/বাড্ডা), ০১৮১৮-৪৪৩৯৩৬ (মিরপুর) এবং ০১৮৮৮-৭৮৪৭৭৪ (ধানমন্ডি/মোহাম্মদপুর)।

হাদি রহমান নামে মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যানের এক বাসিন্দা জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতিতে অপরাধীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এ জন্য সন্ধ্যার পর থেকেই মহল্লার লোকজন পালাক্রমে ভোর পর্যন্ত নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। স্বপ্নের টিমকে পাশে পেয়ে তারা অনেক উচ্ছ্বাসিত। এ জন্য স্বপ্নকে অনেক ধন্যবাদ। বিজ্ঞপ্তি

বিষয়:

কৃষকদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় গার্ডিয়ান ও এগ্রিভেঞ্চারের চুক্তি স্বাক্ষর

আপডেটেড ২৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:৩৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের কৃষকদের আর্থিক নিরাপত্তা দেয়ার লক্ষ্যে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ও অ্যাগ্রোফিনটেক স্টার্টআপ এগ্রিভেঞ্চার লিমিটেড যৌথভাবে কৃষকদের জন্য ‘ক্রেডিট শিল্ড ইন্স্যুরেন্স’ সেবা চালু করেছে। এ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এগ্রিভেঞ্চারের অর্থায়নে গার্ডিয়ান এখন থেকে কৃষকদের বিমা সুরক্ষা দিবে। এর ফলে, কোন অপ্রত্যাশিত বিপর্যয়ের সময়েও কৃষকদের অতিরিক্ত ঋণের ভার বহন করতে হবে না।
যাদের পরিশ্রমে দেশের খাদ্য সরবরাহ টিকে থাকে, তাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করাই এই যৌথ উদ্যোগের প্রধান উদ্দেশ্য। পাশাপাশি, কৃষির সাথে আধুনিক প্রযুক্তি ও আর্থিক সুরক্ষার সমন্বয় ঘটিয়ে একটি শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কৃষিভিত্তিক ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠান দু’টির।
নতুন এ চুক্তি সম্পর্কে শেখ রকিবুল করিম, এফসিএ বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, প্রকৃত উন্নয়ন তখনই সম্ভব যখন সবার জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। কৃষকরা আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড স্বরূপ। অথচ তারাই সবচেয়ে বেশি আর্থিক ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। তাই, এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করতে চাই, তাদের পরিশ্রম যেন বৃথা না হয়, সেই সাথে ভবিষ্যৎও যেন নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকে।”
অন্যদিকে, এগ্রিভেঞ্চারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাবিব রিদওয়ান বলেন, “প্রযুক্তিই শক্তির মূল উৎস। ডিজিটাল উদ্ভাবন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের কৃষিকে আরও উৎপাদনশীল এবং শক্তিশালী করে তুলতে পারি। কৃষকদের অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে আর্থিক অনিশ্চয়তা, আর গার্ডিয়ানের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব এই অনিশ্চয়তা দূর করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।”
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এগ্রিভেঞ্চারের পক্ষ থেকে এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান আমিরুল মোস্তফা আরেফিন, পিপল গ্রোথ স্ট্রাটেজির ব্যবস্থাপক অভিজিৎ ঘোষ, সিনিয়র ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ক্যাপিটাল গ্রোথের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ নাফিজাকানিজ ইরিন।
গার্ডিয়ান এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ইভিপি ও হেড অব মাইক্রো, ডিজিটাল চ্যানেল এবং এডিসি আব্দুল হালিম, এসএভিপি আসিফ বিন মুজিব, ভিপি নওশাদুল করিম চৌধুরী, এভিপি তানিম বুলবুল এবং বিজনেস রিলেশনশিপ ম্যানেজার শারমিন আক্তার শাওন ও অন্তরা ভট্টাচার্য।
গার্ডিয়ান তাদের এই উদ্যোগের মাধ্যমে গতানুগতিক কৃষি ও আধুনিক আর্থিক ব্যবস্থাপনার মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করেছে, এর ফলে, যারা পুরো দেশের জন্য নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে তারা এখন থেকে আত্মবিশ্বাসের সাথে নিজেদের জীবিকা সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।


২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে আইপিডিসি’র মুনাফা বেড়েছে ৭৪%

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় নন-ব্যাংকিং ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন (এনবিএফআই) আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি. ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর শেষে নয় মাসে ২৬২ মিলিয়ন টাকা নিট মুনাফা অর্জন করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭৩.৮% বেশি। চ্যালেঞ্জিং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও শক্তিশালী বিনিয়োগ আয়, কৌশলগত ব্যয় ব্যবস্থাপনা এবং স্থিতিশীল ঋণ প্রদানের কৌশলের ফলে এই উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি এসেছে।

তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.৬৪ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ০.৩৭ টাকা। এই সময়ে মোট সুদ আয় (গ্রস ইন্টারেস্ট ইনকাম) ১৩.৩% বৃদ্ধি পেয়ে ৭,১১৫ মিলিয়ন টাকা হয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানটির স্থিতিশীল পোর্টফোলিও সম্প্রসারণ এবং সঠিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার প্রতিফলন।

এই সময়ে আইপিডিসি এর বিনিয়োগ আয়েও উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১৩১.২% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩৬ মিলিয়ন টাকায়। ট্রেজারি সম্পদ থেকে বেশি মুনাফা এবং মূলধনবাজারের অনুকূল পরিস্থিতি এই আয় বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। এই দৃঢ় বিনিয়োগ আয় আইপিডিসির সামগ্রিক মুনাফা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে, ফলে মোট পরিচালন আয় ১৮.৯% বেড়ে হয়েছে ২,৫৪০ মিলিয়ন টাকা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫) আগের প্রান্তিকের তুলনায় পরিচালন আয় আরও ১১.৩% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩৯ মিলিয়ন টাকায়।

অপারেশনাল দক্ষতা বৃদ্ধি ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণে কৌশলগত পদক্ষেপের ফলে আইপিডিসির পরিচালন ব্যয় বছরে মাত্র ৫.৯% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,১৭৯ মিলিয়ন টাকায়। এর ফলে পরিচালন মূনাফা উল্লেখযোগ্যভাবে ৩৩.১% বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১,৩৬১ মিলিয়ন টাকায়। তৃতীয় প্রান্তিকে পরিচালন মূনাফা আগের প্রান্তিকের তুলনায় ২১.১% বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৫৪১ মিলিয়ন টাকা।

কর পরবর্তী নিট মুনাফা ৭৩.৮% বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৬২ মিলিয়ন টাকায়। শুধুমাত্র তৃতীয় প্রান্তিকে নিট মুনাফা ছিল ১১২ মিলিয়ন টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩৬.১% বেশি।

২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইপিডিসির ঋণ, অগ্রিম ও লিজ পোর্টফোলিও ৫.২% বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩,১৩১ মিলিয়ন টাকায়, যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় বেশি। একই সময়ে বিনিয়োগ পোর্টফোলিও ১৩.০% বেড়ে হয়েছে ১০,৭৫৩ মিলিয়ন টাকা। গ্রাহক আমানতও ১৩.৭% বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮,৮৬৯ মিলিয়ন টাকায়, যা আমানতকারীদের অব্যাহত আস্থা ও ব্র্যান্ডের স্থিতিশীলতার প্রতিফলন।

কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের ১৬.৮৯ টাকা থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর শেষে দাঁড়িয়েছে ১৭.০৭ টাকায়। এদিকে শেয়ারপ্রতি নিট পরিচালন নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) এর উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখিয়েছে। এক বছর আগে যেখানে এটি ছিল মাইনাস ৭.৯৬ টাকা, সেখানে এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৩৩ টাকায়। এটি কোম্পানির মূল কার্যক্রম থেকে শক্তিশালী নগদ প্রবাহ সৃষ্টির সক্ষমতাকে তুলে ধরে।

ফলাফল নিয়ে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, “এই শক্তিশালী পারফরম্যান্স প্রমান করে, চ্যালেঞ্জের মধ্যেও আইপিডিসি তার স্থিতিশীলতা এবং কৌশলগত অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপনা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং কার্যক্রমে দক্ষতার কারণে আমরা টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং স্টেকহোল্ডাররা যাতে লাভবান হয় সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারছি।”


বাইক রাইডারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সুস্থতায় কমিউনিটি ওয়েলবিইং রাইড ইএলএফ -এর আয়োজনে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার বাইক-চালক কমিউনিটির প্রতি সম্মান জানিয়ে ও তাদের সহযোগিতায় বাইকপ্রেমীদের জন্য বিশেষ এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফ্রান্সের পারফরমেন্স লুব্রিকেন্ট ব্র্যান্ড ইএলএফ লুব্রিকেন্টস। টোটালএনার্জিসের এ ব্র্যান্ডটি সম্প্রতি কমিউটিনিটি ওয়েলবিইং রাইড আয়োজন করে।

‘ইএলএফ মর্নিং রাইড’ শীর্ষক এ আয়োজন শুরু হয় তেজগাঁওয়ের জাপান পার্টস শোরুম থেকে এবং শেষ হয় ৩০০ ফিটের কাঞ্চন ব্রিজ এলাকায়। এ রাইডে পাঠাও রাইডার, কমিউনিটি রাইডার, গণমাধ্যমকর্মী এবং ইএলএফের ক্রেতারাসহ অন্যান্য অংশীদারেরাও অংশগ্রহণ করেন।

যৌথভাবে এ রাইডের আয়োজন করে রাইড-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও ও ইএলএফ। আয়োজনে মেডিকেল সহায়তা প্রদান করে এ উদ্যোগের হেলথকেয়ার পার্টনার আরোগ্য। ঢাকাকে প্রতিদিন যারা সচল রাখেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি রাইডারদের নিরাপত্তা ও সার্বিক সুস্থতার ওপর গুরুত্বারোপ করতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

উদ্যোগের অংশ হিসেবে অরোগ্যর সহায়তায় এক শ জন পাঠাও রাইডার বিনা খরচে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর সুযোগ পান, যার মধ্যে ছিল পাঁচটি মূল মেডিকেল টেস্ট। নিয়মিত চিকিৎসা সেবার বাইরে থাকা রাইডারদের জন্য আয়োজনটি ছিল এক বিশেষ সুযোগ।

এ উদ্যোগ নিয়ে ইএলএফ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান সাজেদুর রহমান বলেন,
“বাইক চালকেরা এ শহরের যাতায়াত কার্যক্রমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের প্রতি সম্মান জানাতেই আমরা আজ ‘ইএলএফ মর্নিং রাইড’ আয়োজন করেছি। এ উদ্যোগ তাদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও জীবিকার সাথে সম্পর্কিত। পাঠাও রাইডারদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত। এ আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিদিন যারা ঢাকাকে সচল রাখেন, তাদের পাশে আমরা দাঁড়াতে পেরেছি। এটা শুধু একটি আয়োজনই নয়, এ উদ্যোগ আমাদের ইএলএফ লাইফস্টাইলের অংশ।”

অনুষ্ঠানে রাইডারেরা নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে, স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করেন এবং একে অন্যের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে সময় কাটান। এ আয়োজন ইএলএফ -এর তাদের বৈশ্বিক দর্শনেরই অংশ। ব্র্যান্ডটি মনে করে, পারফরমেন্স মানে শুধু ইঞ্জিনই নয়, বরং চালকের যত্ন নেওয়াও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।

ইএলএফ বাংলাদেশের পরিচালক কোসুকে ইয়োশিদা বলেন, “এই রাইডের মূল বার্তা হলো কমিউনিটি ও যত্ন। বন্ধুত্বপূর্ণ রাইড ও বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার মাধ্যমে ইএলএফ -এর প্রচেষ্টা ছিল নিজেদের নিষ্ঠা ও অঙ্গীকারকে সবার সাথে ভাগাভাগি করে নেয়া। এ উদ্যোগের মানে হচ্ছে রাইডারদের ক্ষমতায়ন, তাদের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি প্রদান এবং নিরাপদ রাইডিং সংস্কৃতি গড়ে তোলা। এটাই ইএলএফ লাইফস্টাইল।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টোটালএনার্জিস বাংলাদেশের কমার্শিয়াল সেলস ডিরেক্টর টেরি হায়াশি। তিনি রাইডে অংশ নেন এবং অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

১৩৬টিরও বেশি ফর্মুলা ওয়ান জয়ের অভিজ্ঞতা এবং আলপাইন রেনল্ট, সিএফ মোটরস ও রয়্যাল এনফিল্ডের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ইএলএফ এর বৈশ্বিক অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশেও নিজেদের ব্র্যান্ড নিয়ে এসেছে।

ব্র্যান্ডটি প্রতিবছর প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করে; যেন এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সহ যেসব দেশে এর কার্যক্রম রয়েছে সেখানে সড়ক ও আবহাওয়ার উপযোগী উচ্চমানের লুব্রিকেন্ট তৈরি করা যায়। ইএলএফ মর্নিং রাইডের মত সামাজিক উদ্যোগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্বও পালন করছে। ব্র্যান্ডটির লক্ষ্য বাংলাদেশের রাইডারদের মধ্যে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং পারস্পরিক উদ্দীপনার সংস্কৃতি গড়ে তোলা।


ফ্ল্যাট ক্রয়ে প্রাইম ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য জিএলজি অ্যাসেটস-এর বিশেষ ছাড়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রাইম ব্যাংক পিএলসি. সম্প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জিএলজি অ্যাসেটস লিমিটেড-এর সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকরা জিএলজি অ্যাসেটস-এর ফ্ল্যাট ক্রয়ে বিশেষ ছাড় উপভোগ করতে পারবেন। সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে প্রাইম ব্যাংকের করপোরেট অফিসে এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।

এই অংশীদারিত্বের আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকরা জিএলজি অ্যাসেটস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্য ছাড় সুবিধা পাবেন, যা তাদেরকে দেশের প্রিমিয়াম রিয়েল এস্টেট প্রকল্পে বিনিয়োগের সুযোগ আরও সহজলভ্য করবে।

চুক্তিতে প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন মামুর আহমেদ, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন এবং জিএলজি অ্যাসেটস লিমিটেডের পক্ষে স্বাক্ষর করেন মো. শরিফুল ইসলাম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রাইম ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কার্ডস অ্যান্ড রিটেইল অ্যাসেট জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল; জিএলজি অ্যাসেটস লিমিটেড-এর হেড অফ সেলস রুহুল আমিন, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুল হাসান সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক গ্রাহকদের লাইফস্টাইল ভিত্তিক মানসম্পন্ন সেবা ও আর্থিক সমাধান প্রদানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে, যা গ্রাহকদের স্বপ্নপূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।


ব্যাংক কার্ড ছাড়াই সহজ মাসিক কিস্তিতে কেনা যাবে অনার স্মার্টফোন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্মার্টফোনকে আরও সাশ্রয়ী ও লাখো গ্রাহকের হাতের নাগালে আনতে সম্প্রতি কার্ডবিহীন কিস্তির সুবিধা চালু করেছে বিশ্বখ্যাত এআই প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্টডিভাইস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অনার। ২৬ অক্টোবর ২০২৫ থেকে কার্যকর হওয়া এই সেবার আওতায় ক্রেতারা কোন প্রকার ব্যাংক কার্ড ছাড়াই ক্যাশ পেমেন্টের মাধ্যমে সহজ কিস্তিতে স্মার্টফোন কিনতে পারবেন।

নতুন এই স্কিমের আওতায় থাকছে সহজ ঋণ সুবিধা, যেখানে ক্রেতারা তাদের পছন্দসই যেকোন অনার স্মার্টডিভাইস কিনতে পারবেন দামের ২০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ অর্থ জমা (ডাউন পেমেন্ট) দিয়েই। মূল্যের বাকি অংশ ৩ থেকে ৬ মাসের কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবেন।

পাশাপাশি, ক্যাশ-নির্ভর এ কিস্তি সুবিধা নিশ্চিত করবে দ্রুত এবং ঝামেলা-মুক্ত অভিজ্ঞতা, যেখানে পুরো অনুমোদন প্রক্রিয়া ২০ মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন হয়। এই সেবা শুধুমাত্র অনার এর অফিশিয়াল ব্র্যান্ডশপস-এ পাওয়া যাচ্ছে।

এ বিষয়ে অনার বাংলাদেশের হেড অব বিজনেস আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “আমরা এমন একটি পেমেন্ট অপশন তৈরি করতে চেয়েছিলাম যা সবার জন্য সুবিধাজনক। অনেক ক্রেতা নতুন স্মার্টফোন নিতে চান, কিন্তু কিস্তিতে স্মার্টফোন কেনার প্রচলিত পদ্ধতিগুলি অনেকক্ষেত্রে জটিল বা ব্যয়বহুল হয়। আমাদের কার্ডবিহীন সেবার মাধ্যমে আমরা কিস্তিতে ফোন কেনার প্রক্রিয়া আরো সহজ করেছি। যদিও এখানে খুব সামান্য সার্ভিস চার্জ রয়েছে, তারপরও নগদ টাকায় কিস্তির অর্থ পরিশোধ করার এ সুবিধা ক্রেতাদের জীবনকে আরও সহজ করবে।”

কার্ডবিহীন কিস্তির সেবাটি গ্রহণ করতে, ক্রেতাদের এনআইডি কার্ড এবং আয়ের প্রমাণসহ যেকোন অনার ব্র্যান্ডশপে যেতে হবে। চাকরিজীবী ক্রেতারা তাদের অফিস আইডি কার্ড এবং ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে তাদের ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করতে হবে। এছাড়া, গ্রাহকদের রক্তের সম্পর্ক আছে এমন একজন গ্যারান্টর এর এনআইডি কার্ড এবং ব্যাংক, বিকাশ বা নগদ এর গত তিন মাসের স্টেটমেন্টসহ একটি নতুন বিদ্যুৎ বিল জমা দিতে হবে।

ক্রেতারা অনার বাংলাদেশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে ভিজিট করে এই কার্ডবিহীন কিস্তি সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। পাশাপাশি, নিকটস্থ অনার ব্র্যান্ডশপের অবস্থান সম্পর্কেও তথ্য পাওয়া যাবে।


এক্সপো গ্রুপ, বাংলাদেশ ও ইনার হুইল ক্লাব অব আনন্দলোকের উদ্যোগে

এসডিজি ৩ ও এসডিজি ৫-এর লক্ষ্য বাস্তবায়নের ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা কর্মসূচি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে এক্সপো গ্রুপ, বাংলাদেশ। সম্প্রতি এক্সপো গ্রুপ, বাংলাদেশ ইনার হুইল ক্লাব অব আনন্দলোক, ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮-এর সহযোগিতায় রাজধানীর গুলশানে হোটেল রেনেসাঁয় ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতামূলক একটি কর্মসূচি আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের হসপিটালিটি পার্টনার ছিল হোটেল রেনেসাঁ।

এসডিজি ৩ ও এসডিজি ৫-এর লক্ষ্য বাস্তবায়নের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এক্সপো গ্রুপের এই উদ্যোগটি নারীর স্বাস্থ্য, ক্ষমতায়ন ও সামাজিক সচেতনতার প্রতি প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদি অঙ্গীকারকে তুলে ধরে। এটি তাদের সিএসআর ও ‘পিপল কেয়ার’ কার্যক্রমের অংশ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনার হুইল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮-এর ডিস্ট্রিক্ট চেয়ারম্যান জেসরিনা হায়দার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডা. ইসরাত জাহান (ইলা)।

অনুষ্ঠানটির নেতৃত্বদানকারী এক্সপো গ্রুপ, বাংলাদেশের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার আয়েশা সাঈদ বলেন, “আমাদের প্রতিষ্ঠানের আসল শক্তি আমাদের মানুষ। আমরা শুধু তাদের পেশাগত উন্নয়ন নয়, শারিরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও সমান গুরুত্ব দিই। এই উদ্যোগ তারই প্রতিফলন। ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা শুধু একদিনের বিষয় নয়, বরং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উৎসাহিত করা, এই লড়াইয়ে থাকা নারীদের পাশে থাকা এবং সহমর্মিতা ও যত্নের সংস্কৃতি গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।”

ইনার হুইল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮-এর ডিস্ট্রিক্ট চেয়ারম্যান জেসরিনা হায়দার বলেন, “নিজে নিজে পরীক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ প্রতিরোধ সবসময় চিকিৎসার চেয়ে ভালো। নিজেদের সচেতন করা, অন্যদের জানানো এবং বোন ও বন্ধুদের সচেতন হতে সাহায্য করাই আমাদের দায়িত্ব। ইনার হুইল সবসময় সঠিক তথ্য ও পরামর্শের মাধ্যমে তার কমিউনিটির নারীদের সহায়তা করে এসেছে, যাতে আমরা সবাই মিলে আগেভাগে পদক্ষেপ নিতে পারি এবং জীবন বাঁচাতে পারি।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কয়েকজন স্তন ক্যান্সার জয়ী নারী, যারা নিজেদের সাহসিকতা ও দৃঢ়তার গল্প শেয়ার করেন। অনুষ্ঠানের সমাপনীতে ইনার হুইল ক্লাব অব আনন্দলোকের সভাপতি মুশফিকা হোসেন বাবুনী এক্সপো গ্রুপের সহযোগিতা ও অব্যাহত প্রতিশ্রুতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন ও সঞ্চালনা করেন এক্সপো গ্রুপ, বাংলাদেশের বিজনেস কোঅর্ডিনেশন লিড ও ইনার হুইল ক্লাব অব আনন্দলোকের ভাইস প্রেসিডেন্ট–২ রুত্‌বা হাসান।


“প্রত্যেক গল্পই অনন্য, প্রত্যেক যাত্রাই গুরুত্বপূর্ণ” এই থিমের সঙ্গে অনুষ্ঠানে সকলের জন্য এক শক্তিশালী বার্তা ছিল, যেখানে প্রতিটি সংগ্রাম, পুনরুদ্ধার এবং সাহসিকতার গল্পকে স্বীকৃতি দেয়া, সহায়তা করা এবং উদযাপন করার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।


ইউনিয়ন ব্যাংকের সেবা গ্রহণের জন্য আহ্বান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. আমদানি, রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে এবং এর সুফল গ্রাহকগণ পাচ্ছেন। এ সফলতার মাধ্যমে ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা আরো বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ব্যাংকের শাখায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ সেবা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে এবং সকলের আন্তরিক


১৭৫% ক্যাশ ডিভিডেন্ড অনুমোদন, ওয়ালটনের ১৯তম এজিএম অনুষ্ঠিত

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ১৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর, ২০২৫) হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়।
আপডেটেড ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি, সুপারব্র্যান্ড ও টেক জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি-এর ১৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অত্যন্ত সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বাণিজ্যিক প্রতিকূলতার মধ্যেও ১৭৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদান করায় সভায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ওয়ালটনের পরিচালনা পর্ষদকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে দেশে উদ্ভাবনী ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি উৎপাদন কারখানা স্থাপনের ঘোষণায় তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। বিনিয়োগকারীরা আশা প্রকাশ করেন, অচিরেই ওয়ালটনের বৈশ্বিক বাজার ১০০টিরও বেশি দেশে সম্প্রসারিত হবে।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম আশরাফুল আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম, পরিচালক এস এম নূরুল আলম রেজভী, এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি, স্বতন্ত্র পরিচালক শামসুল আলম মল্লিক, এফসিএ, প্রফেসর মো. সাদিকুল ইসলাম, পিএইচডি, এফসিএমএ এবং আখতার মতিন চৌধুরী, এফসিএ, এফসিএস।
এছাড়া কোম্পানির সংবিধিবদ্ধ নিরীক্ষক, কর্পোরেট গভর্নেন্স কমপ্লায়েন্স নিরীক্ষক, নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিনিধি, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিপুল সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার সভায় অংশ নেন।

ভার্চুয়াল মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন পরিচালক এস এম রেজাউল আলম, তাহমিনা আফরোজ তান্না ও রাইসা সিগমা হিমাসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার। সভা সঞ্চালনা করেন কোম্পানির সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, এফসিএস।

সভায় স্বাগত বক্তব্যে চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম বলেন, “দেশীয় উদ্ভাবন, দক্ষ মানবসম্পদ ও প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পায়নের মাধ্যমে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডকে বৈশ্বিক মঞ্চে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে নেতৃত্ব ধরে রাখার পাশাপাশি ওয়ালটনের পণ্য সফলভাবে ৫০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে, যা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।”

তিনি আরও বলেন, টেকসই প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবনী গবেষণা, পরিবেশবান্ধব উৎপাদন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি—এই চার স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে ওয়ালটন আজ জাতীয় উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি।

সভায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, “বৈশ্বিক বাণিজ্য অস্থিরতা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যেও ওয়ালটন দৃঢ় পদক্ষেপ ও সময়োপযোগী কৌশলগত পরিকল্পনার মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে। পরিচালন ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ও বাজার সম্প্রসারণের ফলে গত অর্থবছরে কোম্পানির মুনাফা এক হাজার কোটি টাকার বেশি হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, ওয়ালটন বর্তমানে বিশ্ববাজারে ব্র্যান্ডিং ও মার্কেটিং কার্যক্রম জোরদার করেছে। এর অংশ হিসেবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের রিজিওনাল স্পন্সর হয়েছে ওয়ালটন। এর ফলে মেসি ও মার্টিনেজসহ আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলারদের মাধ্যমে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিশ্বজুড়ে প্রচারিত হবে, যা শতাধিক দেশে ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণে সহায়ক হবে।

সভায় ২০২৪–২৫ অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী, নিরীক্ষা প্রতিবেদন, পরিচালকদের প্রতিবেদন এবং ১৭৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড অনুমোদন করা হয়।

এছাড়া, ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জন্য সংবিধিবদ্ধ নিরীক্ষক হিসেবে মেসার্স এ কাশেম অ্যান্ড কোং, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস এবং কর্পোরেট গভর্নেন্স কমপ্লায়েন্স নিরীক্ষক হিসেবে মেসার্স মোহাম্মদ সানাউল্লাহ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস, চার্টার্ড সেক্রেটারি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্টস–কে নিয়োগ দেওয়া হয় ও তাদের পারিশ্রমিক অনুমোদন করা হয়।


সিলেট ও খুলনায় বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা’র আয়োজনে ‘বিজ্ঞান উৎসব’

শেষ হলো আঞ্চলিক পর্ব, জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশজুড়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান চর্চায় আরো উৎসাহিত করতে বিকাশ ও বিজ্ঞান চিন্তার আয়োজনে বিজ্ঞান উৎসবের আরো দু’টি আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হলো সিলেট ও খুলনায়। ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বরিশাল- পাঁচটি আঞ্চলিক উৎসবের পর এই দু’টি উৎসবে ৫২ টি স্কুলের প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ও গবেষণাধর্মী বিভিন্ন প্রকল্প প্রদর্শন, কুইজ প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞানবিষয়ক তথ্যভিত্তিক আলোচনা এবং প্রশ্নোত্তর পর্বসহ নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর ছিলো বিজ্ঞান চর্চার এই আয়োজন।

এই দুই বিভাগের আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো এবারের বিজ্ঞান উৎসবের আঞ্চলিক পর্ব। এবার আগামী ৩১ অক্টোবর ঢাকায় বিভাগীয় পর্যায়ে বিজ্ঞান প্রকল্পে ও কুইজ বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত হবে চূড়ান্ত বিজ্ঞান উৎসব। সারাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে।

সিলেটের স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজে এবং খুলনার সেন্ট জোসেফস উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত এই উৎসবে দুই বিভাগ থেকে প্রায় ৩২ টি প্রকল্প প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা। এই দুই বিভাগের খুদে বিজ্ঞানীদের প্রদর্শিত নানান উদ্ভাবনী প্রকল্পের মধ্য থেকে সেরা ১৪ প্রকল্পকে পুরস্কৃত করা হয়। পাশাপাশি, উৎসবে কুইজে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রতিটি বিভাগে দুই ক্যাটাগরিতে মোট ৪২ জন কুইজ বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

সিলেট উৎসবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. সাজেদুল করিম, স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফয়জুল হক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. ফরহাদ রাব্বি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ড. মো. জাকির হোসেন। পাশাপাশি খুলনা বিভাগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাজমুল আলম, সেন্ট জোসেফস স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলফ্রেড রনজিৎ মন্ডল ও বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক আবুল বাসার। উভয় উৎসবেই উপস্থিত ছিলেন বিকাশ-এর ইভিপি ও রেগুলেটরি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট এর প্রধান হুমায়ূন কবীর।

উৎসবে বাড়তি চমক হিসেবে ছিলো বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন স্টল, বিজ্ঞান ভিত্তিক জাদুর প্রদর্শনী, লেখক, গণিতবিদ, উদ্ভিদবিদ, চিকিৎসক, বিজ্ঞান বক্তাদের বক্তব্য ও শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তর পর্ব, সংগীতানুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।


রেমিটেন্স গ্রাহকদের উৎকৃষ্ট সেবা দেওয়ায় কর্মীদের সম্মাননা দিলো ব্র্যাক ব্যাংক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রবাসী পরিবারকে ব্যাংকিং সেবা প্রদানে অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শনকারী কর্মীদের সম্মাননা দিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখায় তাঁদের এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
ব্যাংকটির মোট ৪৫ জন কর্মীকে এই সম্মাননা জানানো হয়, যেখানে ছিলেন ব্রাঞ্চ কর্মী, এজেন্ট ব্যাংকিং টিম, সেলস টিম এবং এজেন্ট ব্যাংকিং পার্টনাররা। ‘প্রবাসী পরিবার’ ও ‘তারা প্রবাসী পরিবার’ অ্যাকাউন্ট ওপেনিং ক্যাম্পেইনের পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে তাঁদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগের লক্ষ্য হলো, প্রবাসীদের রেমিটেন্স প্রেরণে নিরাপদ ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহারে উৎসাহিত করা। পাশাপাশি রেমিটেন্স সুবিধাভোগী পরিবারকে সঞ্চয় ও দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য।
২৬ অক্টোবর ২০২৫ ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ব্যাংকটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান পুরস্কারপ্রাপ্ত সহকর্মীদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমরা দেশের প্রবাসী আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের সহকর্মীরা বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয় নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সম্মাননাপ্রাপ্ত এই সহকর্মীরা আমাদের এই প্রচেষ্টার প্রতিফলন।”
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন আয়োজনের মাধ্যমে সেসব কর্মীদের অনুপ্রাণিত করা হয়, যারা গ্রাহকদের কাছে মানসম্পন্ন ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ‘প্রবাসী পরিবার’ ও ‘তারা প্রবাসী পরিবার’ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গ্রাহকরা পাচ্ছেন আকর্ষণীয় সুবিধা। এই অ্যাকাউন্টগুলোতে রয়েছে ফ্রি লাইফ ইনস্যুরেন্স সুবিধা ও আকর্ষণীয় ইন্টারেস্ট। নারী গ্রাহকদের জন্য অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে থাকছে ফ্রি স্বাস্থ্য ও মাতৃত্বকালীন ইনস্যুরেন্স সুবিধা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ট্রেজারি, এফআই অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং মো. শাহীন ইকবাল, সিএফএ; হেড অব রেমিটেন্স অ্যান্ড প্রবাসী ব্যাংকিং শাহরিয়ার জামিল ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, রেমিটেন্স সুবিধাভোগী পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ ও আকর্ষণীয় ব্যাংকিং সেবা দিতে ব্র্যাক ব্যাংক ‘প্রবাসী পরিবার’ এবং ‘তারা প্রবাসী পরিবার’ (নারীদের জন্য) অ্যাকাউন্ট সেবা চালু করেছিল। ক্যাম্পেইন চলাকালীন যেসব গ্রাহক এই অ্যাকাউন্ট খুলে ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স নিয়েছিলেন, তাঁরা ব্যাংকের পক্ষ থেকে পেয়েছেন আকর্ষণীয় উপহারও।
ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল অনবোর্ডিং প্ল্যাটফর্ম (ই-কেওয়াইসি)-এর মাধ্যমে এখন গ্রাহকরা দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে খুব সহজে এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছেন।


ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ২৯৮টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১১৯টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।


কমিউনিটি ব্যাংকের ‘এসএমই ৩৬০’ চালু: দেশের প্রথম ব্যাংক-নির্ভর ৩৬০° বিজনেস সুইট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের এসএমই ইকোসিস্টেমে নতুন মাত্রা যোগ করলো কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। ব্যাংকটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছে ‘এসএমই ৩৬০’, যা বাংলাদেশের প্রথম ব্যাংক-নির্ভর ৩৬০° বিজনেস সুইট।

রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ব্যাংকের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ও কমিউনিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম, বিপিএম।

এসএমই ৩৬০ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা পাবেন ব্যাংক হিসাব খোলা, পেমেন্ট ও কালেকশন সুবিধা, API ইন্টিগ্রেশনসহ আধুনিক ব্যাংকিং সেবা। পাশাপাশি থাকছে ব্যাংকের কর্পোরেট ক্লায়েন্ট ও অন্যান্য এসএমই ব্যবসার সঙ্গে ব্যবসায়িক সংযোগ ও নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ। উদ্যোক্তাদের জন্য থাকবে Dedicated Relationship Manager, Pre-booked Meeting Room, ব্যাংক-নিবন্ধিত ভেন্ডরের মাধ্যমে রিমোট বুককিপিং ও ট্যাক্স-ভ্যাট অ্যাডভাইজরি সেবা, এবং এসএমই-কর্পোরেট লিঙ্কেজের মাধ্যমে নতুন ব্যবসায়িক সম্ভাবনা তৈরির সুযোগ।

কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত বলেন, “আমরা শুধু লেনদেনের ব্যাংক নই—আমরা উদ্যোক্তাদের সহযাত্রী হতে চাই। এসএমইদের জন্য পুঁজির পাশাপাশি গাইডেন্স ও সম্পর্কও জরুরি। এসএমই ৩৬০ সেই পূর্ণাঙ্গ সাপোর্ট সিস্টেম।”

এই উদ্যোগের মাধ্যমে কমিউনিটি ব্যাংক একদিকে উদ্যোক্তা উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছে, অন্যদিকে ব্যাংকিং খাতকেও এসএমই-বান্ধব এক নতুন অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছে।


ট্রাভেল ব্যবসায় প্রতারণা: ট্রাভেল বিজনেস পোর্টালের স্বত্তাধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আমি মোঃ মাসুদুর রশিদ স্বত্তাধিকারী স্বপ্ন ট্যুর, এই মর্মে অভিযোগ প্রদান করছি যে, গত ২৩-০৮-২০২৫ইং তারিখে ট্রাভেল বিজনেস পোর্টাল (TBP) এর স্বত্তাধিকারীঃ মোঃ মঞ্জুরুল আলম (নয়ন), পিতাঃ মোঃ অজিয়ার রহমান, ঠিকানা: গ্রাম/রাস্তা: মির্জাপুর, ডাকঘর: হামিদপুর-৯৪১৩, কলারোয়া, কলারোয়া পৌরসভা, সাতক্ষীরা, জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ৪১৬০৫১৫৫৭৫। অফিস ঠিকানা: বাড়ী- ২৫/৪, ফ্লোর- ৩, ওয়াই বি হাসান উদ্দিন টাওয়ার, প্রগতি সরনী, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা-১২১২, IATA NO: 42342462। বর্তমান ঠিকানা: হোল্ডিং নং- ৮, রোড নং- ৬, ব্লক- সি, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা-১২১৯, মোবাইল নং- ০১৭১২৬০৭৯৭৯ এর সাথে এয়ার টিকেট বিক্রয় সংক্রান্ত (B2B) একটি চুক্তিনামা স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তি মোতাবেক গত ২৩-০৮-২০২৫ইং তারিখ থেকে ২০-১০-২০২৫ তারিখ পর্যন্ত মোঃ মঞ্জুরুল আলম (নয়ন) আমাদের IATA অথরিটির মাধ্যমে বিভিন্ন এয়ার লাইন্স থেকে যাত্রীদের নিকট এয়ার টিকেট বিক্রয় করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় জনাব মোঃ মঞ্জুরুল আলম (নয়ন) বিক্রয়কৃত টিকেটের মূল্য পরিশোধ না করেই গত ২১-১০- ২০২৫ইং তারিখ থেকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে আমাদেরকে পাওনা টাকা না দিয়ে পলাতক আছেন। তার সাথে ফোনে বারংবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যাচ্ছে না। ধারনা করা যাচ্ছে সে আমাদের পাওনা টাকা না দেয়ার উদ্দেশ্যেই পালিয়েছেন। এখন তার নিকট বিক্রয়কৃত টিকেটের মূল্য পরিশোধ না করায় আমরা আর্থিকভাবে ভিশন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি এবং অনেক যাত্রী সাধারনও আমাদের মতো ভূক্তভোগী।

ভূক্তভোগী যাত্রীগণকে যথাযথ প্রমানসহ আমাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করছি।


ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতায় ব্র্যাক ব্যাংক ও গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের উদ্যোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের সাথে যৌথভাবে ‘রাইজ অ্যাবাভ ফিয়ার’ শীর্ষক এক অ্যাওয়ারনেস সেশনের আয়োজন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
ব্র্যাক ব্যাংক ‘তারা’র উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুপ্রেরণামূলক সেশনে অংশ নেন প্রায় ৮০ জন নারী গ্রাহক ও অতিথি। নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সাহস ও সহমর্মিতা যোগানোর অঙ্গীকারের পাশাপাশি তাঁরা নিজেদের মধ্যে মতবিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানটির নলেজ পার্টনার হিসেবে ছিল গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স এবং পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল গেটস ফাউন্ডেশন।
২৪ অক্টোবর ২০২৫ ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক শেখ মোহাম্মদ আশফাক। তিনি বলেন, “ব্র্যাক ব্যাংকে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ক্ষমতায়নের সূচনা হয় সচেতনতা থেকে, আর সাহসের সূচনা হয় আলোচনা থেকে। এই সচেতনতা সেশনটি এমন এক উদ্যোগ, যেখানে ব্রেস্ট ক্যান্সারের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে একত্রিত হয়েছেন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি, ব্রেস্ট ক্যান্সারজয়ী যোদ্ধা, স্বেচ্ছাসেবক ও পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা। ভয় নয়, সচেতনতাই পারে আশার আলো দেখাতে। আর সেটি সম্ভব আলোচনার মাধ্যমে।”
ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব তারা, আগামী অ্যান্ড প্রিমিয়াম ব্যাংকিং মেহরুবা রেজা এবং গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ইউনিট হেড অব ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশন সাদাফ নাসির তাঁদের বক্তব্যে নারীর ক্ষমতায়ন, সুস্বাস্থ্য ও সামগ্রিক কল্যাণে উভয় প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরেন।
আয়োজনে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জিডি অ্যাসিস্ট-এর হেড অব মেডিকেল ভ্যালু ট্রাভেল অ্যান্ড ওয়েলনেস শারমিন তারান্নুম ‘তারা হেলথ ইন্স্যুরেন্স প্যাকেজ’সহ নারীদের জন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবার সল্যুশন নিয়ে একটি তথ্যবহুল সেশন পরিচালনা করেন।
খ্যাতনামা অনকোপ্লাস্টিক ব্রেস্ট সার্জন ও ব্রেস্ট ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. আফরিন সুলতানা ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ, প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্তকরণ ও প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, সময়মতো সচেতনতা ও যত্নই পারে জীবন বাঁচাতে।
এ সময় একটি প্যানেল ডিসকাশনে অংশ নেন গণস্বাস্থ্য কমিউনিটি বেজড ক্যান্সার হাসপাতালের ক্যান্সার এপিডেমিওলজিস্ট অ্যান্ড প্রিভেন্টিভ অনকোলজিস্ট প্রফেসর ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার, ব্যাংকাটের প্রতিষ্ঠাতা নাজমুস আহমেদ (আলবাব) এবং উর্মি গ্রুপের পরিচালক শামারুখ ফখরুদ্দিন। আলোচকরা তাঁদের আলোচনায় বাংলাদেশে ব্রেস্ট ক্যান্সার চিকিৎসা সুবিধা বিস্তারে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মেহতাব খানম ক্যান্সার রোগী ও তাঁদের পরিবারের মানসিক দৃঢ়তা ও সহমর্মিতা বৃদ্ধিতে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব নিয়ে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ক্যান্সার সচেতনতা ও সহায়তায় অসামান্য ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার, ব্যাংকাটের জেনারেল সেক্রেটারি মাহজাবিন ফেরদৌস এবং টিশক্যানের প্রতিষ্ঠাতা নুজহাত তারান্নুমকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
আয়োজনে ব্র্যাক ব্যাংকের ‘তারা’ অ্যান্ড আগামী সেগমেন্টের সিনিয়র ম্যানেজার নাতাশা কাদের ব্র্যাক ব্যাংকের আধুনিক ডিজিটাল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম ‘আস্থা’র বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আস্থা নিরাপদ, সহজ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিংকে আরও সহজ করে দিয়েছে, যাতে নারীরা যেকোনো জায়গা থেকে তাঁদের ব্যাংকিং প্রয়োজন পূরণ করতে পারেন।”
আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে ব্র্যাক ব্যাংক মিউজিক ক্লাবের প্রাণবন্ত সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে, যেখানে উঠে এসেছিল আশার আলো ও জীবনের জয়গান।


banner close