মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫
২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ফিনিক্স ইনসিওরেন্সের নগদ ডিভিডেন্ড ঘোষণা

ফিনিক্স ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমটেডের ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) কোম্পানির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শোয়েবের সভাপতিতে সোমবার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : সংগৃহীত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২২ আগস্ট, ২০২৪ ১৬:০৭

ফিনিক্স ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমটেডের ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) কোম্পানির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শোয়েবের সভাপতিতে সোমবার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৩ সালে কোম্পানি মোট ৭২ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যবসা করে এবং ৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা কর-পূর্ব মুনাফা অর্জন করে। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত কোম্পানির সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ২০২৩ সালে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোম্পানি ১২% নগদ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বার্ষিক সাধারণ সভায় সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন এবং নানাবিধ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ব্যবসা উন্নয়নে সাফল্যের জন্য চেয়ারম্যান, পরিচালকরা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান। বিজ্ঞপ্তি

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম সভায় উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল হক, পরিচালকদের মধ্যে মাজহারুল হক, ডা. শারমিন সুলতানা, মোহাম্মদ হায়দার আলী, ফাবিয়ানা আজিজ, জাভেদ হোসেন, ইফতেখারুল ইসলাম, উদ্যোক্তা আজিজ আল মাহমুদ, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুর রহমান (চলতি দায়িত্ব) প্রমুখ।

পরিশেষে, সভাপতি শেয়ারহোল্ডারদের তাদের সহযোগিতা ও যুক্তির্পূণ পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং কোম্পানির উন্নতির জন্য তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।

বিষয়:

চট্টগ্রামে কাস্টমস কর্মকর্তার উপর দুষ্কৃতিকারীদের হামলার ঘটনায় মামলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রতি অবৈধ পণ্য খালাসে বাধা দেয়ায় কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রামের দুই জন কর্মকর্তার ওপর ৪ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুষ্কৃতিকারী কর্তৃক হামলার ঘটনা ঘটে।

ধারণা করা হচ্ছে, গত মে মাসে প্রায় ৩০ (ত্রিশ) কোটি টাকার রাজস্ব সংশ্লিষ্ট নিষিদ্ধ সিগারেটের একটি পণ্যচালান এবং প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের আমদানি নিষিদ্ধ পপি সিড ও ঘন চিনি (Sodium Cyclamate) আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম রাজস্ব ফাঁকি রোধে কার্যক্রম গ্রহণ করায় এই কাস্টমস কর্মকর্তাদের উপর আক্রমণ চালানো হয়।

কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম এর এআইআর শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা, জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান খান এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জনাব মোঃ বদরূল আরেফিন ভূইঁয়া দাপ্তরিক কাজে কাস্টমস গোয়েন্দা আঞ্চলিক অফিস হতে কাস্টমস হাউস চট্টগ্রামের নিজস্ব অফিসে আসার পথে ঘটনার দিন আনুমানিক সকাল ১০টা ২০ মিনিটের সময় ডবলমুরিং থানার সিডিএ আবাসিক এলাকায় তিনজন অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারী মোটর সাইকেলযোগে এসে তাঁদের বহনকারী গাড়ির গতিরোধ করে।

এছাড়া প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে চাপাতি দিয়ে আক্রমণ করে এবং লাথি দিয়ে গাড়ির বাম পাশের গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় তারা গুলি কর, গুলি কর বলে চিৎকার করতে থাকে। জীবন রক্ষার্থে কর্মকর্তাদ্বয় কৌশলে গাড়ি নিয়ে দ্রুত কর্মস্থলের দিকে চলে আসেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন শেড কেন্দ্রীক এক পণ্যের আড়ালে অন্য পণ্য খালাস নেয়ার জালিয়াত চক্র কর্তৃক মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে আনীত বিভিন্ন কসমেটিকস পণ্যের চালান আটক করায় গত ০৫/১০/২০২৫ খ্রি. তারিখ আনুমানিক বিকাল ৪:৩০ ঘটিকার সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি আক্রান্ত রাজস্ব কর্মকর্তার ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কল করে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদান করাসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিলে বন্দর থানা, চট্টগ্রামে একটি সাধারণ ডায়েরি (নং-২৮২, তারিখ: ০৬/১০/২০২৫ খ্রি.) দায়ের করা হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে নিষিদ্ধ পণ্যের চোরাচালান, শুল্ক কর ফাঁকি এবং অসত্য ঘোষণার মাধ্যমে পণ্য আমদানি প্রতিহত করার পবিত্র দায়িত্বে নিয়োজিত রাজস্ব কর্মকর্তার ওপর অতীব ঘৃণ্য এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করে সৎ ও নিষ্ঠাবান রাজস্ব কর্মকর্তাদের সকল প্রকারের নিরাপত্তা বিধানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। অপরাধীরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদেরকে অতি দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার সম্পন্ন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অনুরোধ করছে।

ঘৃণ্য এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় রাজস্ব কর্মকর্তা জনাব মো: আসাদুজ্জামান খান কর্তৃক ডবলমুরিং থানা, চট্টগ্রামে আজ একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।


গ্রাহকের ব্যবহারের ধরন ও পছন্দ অনুযায়ী বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হলো ‘আমার বিকাশ’ আইকন

আপডেটেড ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রত্যেক গ্রাহকের ব্যবহারের ধরণ আর প্রয়োজন অনুযায়ী সম্প্রতি বিকাশ অ্যাপের ইন্টারফেসকে আরও বেশি সহজ ও কার্যকরী করে উপস্থাপন করা হয়েছে। ‘আমার বিকাশ’ আইকনের নতুন উপস্থাপন এখন গ্রাহককে এক ঝলকেই তার দৈনন্দিন আর্থিক লেনদেনের একটা চিত্র দেখাচ্ছে। সমস্ত লেনদেনের তথ্য কাস্টমাইজ করে এক জায়গাতে সন্নিবেশিত করার ফলে গ্রাহকের সার্বিক আর্থিক ব্যবস্থাপনাও আরও সহজ ও কার্যকর হয়েছে।

পাশাপাশি, ‘আমার বিকাশ’, ‘মাই অফারস’ এর বদলে যাওয়া ইন্টারফেস আরও পরিছন্নরূপে উপস্থাপন করা হয়েছে। নতুন থিম যুক্ত করে বহুল ব্যবহৃত এই অ্যাপটির সার্বিক সজ্জাতেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। এছাড়া মাই অফারস-এ বোনাস পয়েন্ট, অ্যাপ থেকে ইনস্যুরেন্স পলিসি কেনা, কুপন, রিওয়ার্ড সহ নানা ধরনের সুবিধা যুক্ত হয়েছে বিকাশ অ্যাপের নতুন এই সংস্করণে।

আমার বিকাশ

বিকাশ অ্যাপের সাথে গ্রাহকের যাত্রা কতো বছরের তা বিকাশ অ্যাপের ‘মাই বিকাশ’ ইন্টারফেসে ঢুকে সবার আগে চোখে পড়ছে গ্রাহকের। প্রতিদিনের জীবনের অংশ হয়ে ওঠা বিকাশ অ্যাপের সাথে গ্রাহকের সম্পর্কের সময়ের হিসাব, তৈরি করছে বাড়তি ভালো লাগা।

হোম স্ক্রিনের নেভিগেশন বারে যুক্ত হয়েছে ‘আমার বিকাশ’ আইকন, যা ট্যাপ করেই গ্রাহক তার বিকাশ লেনদেন জগতে ঢুকে যেতে পারছেন সহজে, স্বাচ্ছন্দ্যে। রিওয়ার্ড পয়েন্ট, প্রিয় নাম্বার, প্রিয় এজেন্ট, সেভ করা বিলার, কার্ড ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, সেভিংস বা লোন নেয়ার তথ্য, অটো-পে, সাবস্ক্রিপশন সহ গ্রাহকের প্রয়োজনীয় সব সেবাই এক স্ক্রিনে দেখতে পাচ্ছেন গ্রাহক। ফলে শুধু দ্রুত সেবা নেয়া ই নয়, গ্রাহকদের আর্থিক ব্যবস্থাপনা হয়েছে আরও স্মার্ট এবং সময় সাশ্রয়ী। বিকাশ অ্যাপ থেকে সাবস্ক্রাইব বা লিংক করা অন্য অ্যাপের তালিকাও একই স্ক্রিনেই পেয়ে যাচ্ছেন গ্রাহক।

মাই অফারস

ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ততা বাড়াতে সারাবছরই সব ধরনের গ্রাহকদের জন্য নানা ধরনের অফার সংযুক্ত থাকে বিকাশ অ্যাপে। কোন লেনদেন করলে কতো ছাড়, কোথায় মিলবে ডিসকাউন্ট, বিশেষ কী অফার রয়েছে তার তালিকা পাওয়া যাবে হোম স্ক্রিনের মাই অফার আইকন থেকেই। চাহিদা ও লেনদেনের ধরন বিবেচনায় রেখে আরও সুযোগ ও স্বাচ্ছন্দ্য দিতে গ্রাহককে কাস্টমাইজড ‘মাই অফারস’ দিয়ে থাকে বিকাশ। ‘মাই অফারস’ -এ ট্যাপ করলে গ্রাহক তার জন্য দেয়া অফারের বিস্তারিত তালিকা (যেমন – ব্যাংক টু বিকাশ, কার্ড টু বিকাশ, পেমেন্ট, রেমিট্যান্স, বিকাশ টু ব্যাংক ইত্যাদি) থেকে নিজের পছন্দমতো অফার উপভোগ করতে পারবেন আর সাথে পাবেন রিওয়ার্ড পয়েন্টও। কোনো অফার না থাকলেও এই সেকশনে একবার ট্যাপ করলেই গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে যুক্ত হতে পারে বোনাস পয়েন্ট। এদিকে, প্রতিটি অফারের পাশে এর বিস্তারিত বিবরণ এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ উল্লেখ থাকে, যা গ্রাহকের বিকাশ লেনদেন করবে আরও সাশ্রয়ী।

হোম স্ক্রিনের ইন্টারফেস পরিবর্তন

বাংলার প্রকৃতির সাথে মিলিয়ে নবযাত্রা, প্রশান্তি আর গোধূলি তিন ধরনের থিম এসেছে বিকাশ অ্যাপের হোম স্ক্রিনের জন্য। অ্যানিমেটেড এই থিমগুলো হোম স্ক্রিনকে আরও প্রাঞ্জল ও সজীব করে তুলেছে। গ্রাহক নিজের পছন্দমতো থিম নির্বাচন করে পরিবর্তনও করে নিতে পারছেন। হোম স্ক্রিনের আইকনগুলোকে আরও পরিচ্ছন্ন ও নিবিড় করে তোলা হয়েছে গ্রাহকের ব্যবহার সুবিধার্থে। এমনকি গ্রাহকরা শুধু আইকন দেখেই আরও সহজে সেবা নির্বাচন করতে পারছেন নতুন এই পরিবর্তনে।

ইনস্যুরেন্স পলিসি কেনা

গ্রাহকরা এখন বিকাশ অ্যাপ থেকেই তাদের পছন্দানুযায়ী হেলথ ও লাইফ ইনস্যুরেন্স পলিসি কিনতে পারছেন। অ্যাপের হোম স্ক্রিনে থাকা ইনস্যুরেন্স আইকনে যেয়ে ‘নতুন পলিসি কিনুন’ অপশনে ট্যাপ করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। এরপর পছন্দানুযায়ী হেলথ বা লাইফ ইনস্যুরেন্স সিলেক্ট করে বয়সের ঘর পূরণ করলে বিভিন্ন ইনস্যুরেন্স কভারেজ অপশন দেখা যাবে। এখান থেকে পছন্দানুযায়ী কভারেজটি সিলেক্ট করে সম্মতি দিলেই ইনস্যুরেন্স পলিসি চালু হয়ে যাবে। এছাড়া, বিকাশ অ্যাপ থেকেই ইনস্যুরেন্সের প্রিমিয়াম জমা দেয়া সহ ডকুমেন্ট ও রিসিপ্ট ডাউনলোড করা যাবে।

আরও আকর্ষণীয় গেস্ট মোড

অ্যাপ লগইন বা রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই বিভিন্ন সেবা ব্রাউজ করার সুযোগ দেয় বিকাশ অ্যাপের গেস্ট মোড। যারা এখনো বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলেননি অথবা অ্যাকাউন্ট খুলতে আগ্রহী, তাঁরা অ্যাপটির সেবা ও অফার সম্বন্ধে বিস্তারিত দেখতে পারবেন বিকাশ অ্যাপের গেস্ট মোড থেকেই।

সর্বশেষ যুক্ত এই সেবা ও ফিচারগুলোর পাশাপাশি এই মুহূর্তে বিকাশ গ্রাহকরা সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, অ্যাড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, ডোনেশন, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রোফাইন্যান্স এর পেমেন্ট, ডিজিটাল লোন ও সেভিংস সহ নানান সেবা ব্যবহার করছেন। গ্রাহক-বান্ধব সেবার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল লাইফস্টাইল অ্যাপে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে নিরন্তর উদ্ভাবন অব্যাহত রেখেছে বিকাশ।


শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির ৭৪তম সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি-এর রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির ৭৪তম সভা সম্প্রতি ব্যাংকের কর্পোরেট প্রধান কার্যালয়ের পর্ষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

৮ ডিসেম্বর (সোমবার) অনুষ্ঠিত এই সভার সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালক ও রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো: তৌহীদুর রহমান। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে ব্যাংকের পরিচালক ও কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ, খন্দকার শাকিব আহমেদ এবং ফকির মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া সভায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ এবং কোম্পানি সচিব মো: আবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।


সিটি আইটি মেগা ফেয়ার-২০২৫ এ থাকছে ‘টেকনো মেগাবুক সিরিজ’

দেশের সবচেয়ে বড় এ প্রযুক্তি মেলায় টেকনো ল্যাপটপের সাথে থাকছে এক্সক্লুসিভ গিফট সম্পূন্ন ফ্রি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিনিধি

উদ্ভাবনী প্রযুক্তির জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত ব্র্যান্ড টেকনো অংশ নিচ্ছে জনপ্রিয় প্রযুক্তি মেলা ‘সিটি আইটি মেগা ফেয়ার ২০২৫’-এ।

রাজধানীর আগারগাঁও আইডিবি ভবনের বিসিএস কম্পিউটার সিটিতে ৮ ডিসেম্বর (সোমবার) থেকে শুরু হয়ে মেলাটি চলবে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

এই মেলায় থাকছে বৈশ্বিক ও দেশীয় ব্র্যান্ডের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্যের সমাহার। এছাড়াও ক্রেতাদের জন্য বিভিন্ন পণ্যে থাকছে বিশেষ অফার, মূল্যছাড় ও আকর্ষণীয় গিফট।

প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত চলবে এই মেলার আনুষ্ঠানিকতা। নতুন ডিভাইস কেনা বা টেক সেটআপ আপগ্রেড গ্রাহকদের জন্য এটি হতে পারে অন্যতম পছন্দের গন্তব্য। প্রযুক্তিপ্রেমীরা স্টার টেক ও রায়ানসের মতো জনপ্রিয় স্টোর থেকে টেকনোর মেগাবুক সিরিজের নতুন মডেল মেগাবুক কে১৫এস এএমডি, মেগাবুক কে১৬এস এএমডি, মেগাবুক টি১ ১৫.৬ ১৩তম জেন এবং মেগাবুক টি১৪ এয়ার সরাসরি দেখে ও যাচাই-বাছাই করে কিনতে পারবে।

স্টার টেক, রায়ানসসহ যেকোনো আউটলেট থেকে টেকনো ল্যাপটপ কিনলেই থাকছে নিশ্চিত ফ্রি গিফট- টেকনো ওয়াচ নিও বা টেকনো বাডস ৪। ইনটেল-ভিত্তিক যেকোনো টেকনো ল্যাপটপ কিনলে ক্রেতা পাবেন টেকনো ওয়াচ নিও সম্পূর্ণ ফ্রি আর রাইজেন-ভিত্তিক ল্যাপটপ কিনলে থাকছে টেকনো বাডস ৪ ফ্রি।

হাই-পারফরম্যান্স ল্যাপটপ ও প্রিমিয়াম এক্সেসরিজ খুঁজছেন এমন দর্শনার্থীদের জন্য টেকনো নিয়ে এসেছে চারটি চমৎকার মেগাবুক মডেল। মেগাবুক কে১৫এস এএমডি মডেলটির দাম ৫৩,৫০০ টাকা, এতে রয়েছে এএমডি রাইজেন™ ৫ ৭৪৩০ইউ প্রসেসর, এএমডি রেডিয়ন™ গ্রাফিক্স, ১৬ জিবি র‍্যাম, ৫১২ জিবি এসএসডি, অল-মেটাল ডিজাইন এবং দীর্ঘস্থায়ী ৭০ ওয়াট পার আওয়ার ব্যাটারি সাথে ফ্রি টেকনো বাডস ৪।

অতি হালকা ল্যাপটপ চাইলে মেগাবুক কে১৬এস এএমডি হতে পারে দারুণ পছন্দ। ৫৮,৫০০ টাকার এই মডেলেও রয়েছে এএমডি রাইজেন™ ৫ ৭৪৩০ইউ প্রসেসর, এএমডি রেডিয়ন™ গ্রাফিক্স, ১৬ জিবি র‍্যাম ও ৫১২ জিবি এসএসডি যা অল-মেটাল, পাতলা ও হালকা ডিজাইনের সাথে ফ্রি টেকনো বাডস ৪।

পাওয়ার ইউজারদের জন্য রয়েছে মেগাবুক টি১ ১৫. ৬ ১৩তম জেন, যা তার সেগমেন্টের সবচেয়ে শক্তিশালী ল্যাপটপ। এতে আছে ১৩তম জেনারেশনের ইনটেল® কোর™ আই৯ প্রসেসর, ৩২ জিবি র‍্যাম, ১ টেরাবাইট এসএসডি এবং মাত্র ১৪.৮ মিমি পাতলা ন্যানো অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয় বডি যার দাম ৮৯,৯০০ টাকা এবং ফ্রি টেকনো ওয়াচ নিও।

অন্যদিকে যারা পোর্টেবল ল্যাপটপ চান, তাদের জন্য রয়েছে মাত্র ৯৯৯ গ্রাম ওজনের মেগাবুক টি১৪ এয়ার। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ইনটেল® কোর™ আই৫ ১৩৩৪ইউ প্রসেসর, ইনটেল® আইরিস® এক্সই গ্রাফিক্স, ১৬ জিবি র‍্যাম ও ৫১২ জিবি এসএসডি। ৬৮,৫০০ টাকায় পাওয়া যাবে এই মডেলটি সাথে ফ্রি টেকনো ওয়াচ নিও।

উদ্ভাবন ও ডিজাইনের জন্য টেকনোর মেগাবুক সিরিজ ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। সম্প্রতি মেগাবুক এস১৪ পেয়েছে আইএফএ ২০২৫–এ মর্যাদাপূর্ণ ‘আইএফএ গ্লোবাল প্রোডাক্ট টেকনোলজি ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’, যা বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স ট্রেড ফেয়ার। এছাড়া মেগাবুক টি১ ২০২৩ সালে জিতেছে ‘রেড ডট প্রোডাক্ট ডিজাইন

অ্যাওয়ার্ড’। এসব অর্জন টেকনোর বৈশ্বিক বাজারে ফাংশনালিটি, গুণগত মান ও নান্দনিক ডিজাইনের সমন্বয়ের প্রতিশ্রুতিকে আরও দৃঢ়ভাবে তুলে ধরে।

টেকনোর পণ্য ও সিটি আইটি মেগা ফেয়ার ২০২৫-এর অফার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন www.tecno-mobile.com/bd টেকনোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অথবা ফলো করুন টেকনো বাংলাদেশ-এর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো।


সীমান্ত ব্যাংক এর BAMLCO ও DAMLCO কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিনিধি

সম্প্রতি সীমান্ত ব্যাংক এর “ব্রাঞ্চ এন্টি মানি লন্ডারিং কমপ্লায়েন্স অফিসার’স (ব্যামেলকো) এবং ডিপার্টমেন্টাল এন্টি মানি লন্ডারিং কমপ্লায়েন্স অফিসার’স (ড্যামেলকো) কনফারেন্স ২০২৫” ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

এই কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এর নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) মো. মফিজুর রহমান খান চৌধুরী।

এছাড়া সীমান্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ আজিজুল হক, হেড অব বিজনেস মোঃ শহিদুল ইসলামসহ সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, সকল শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ, সকল ব্যামেলকো এবং ড্যামেলকোগন উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন।

উল্লেখ্য কনফারেন্সে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউ এর অতিরিক্ত পরিচালক সাদরিল আহমেদ এবং অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ রোকন-উজ-জামান।


বিজেএমসিতে চাকুরীজীবীদের বেতন ভাতা ও অবসরপ্রাপ্তদের আনুতোষিক পরিশোধের দাবিতে ‘গেইট মিটিং’ অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিজেএমসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন-ভাতাদি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনুতোষিক পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ এবং বিজেএমসি’র নিজস্ব অফিস ভবন নির্মাণের নির্ধারিত স্থান “করিম চেম্বার”ভবন অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রদান না করে বিজেএমসি’র ‘অফিস কাম বাণিজ্যিক ভবন নির্মানের অনুমতি প্রদানের লক্ষ্যে বাপাশিকস ও সিবিএ এর পক্ষ হতে ১৮ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিব বরাবর আবেদন প্রেরণ করা হয়।

কিন্তু রোববার (৭ ডিসেম্বর) পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পরিলক্ষিত না হওয়ায় নিম্নোক্ত দাবিসমূহ আদায়ের লক্ষ্যে বিজেএমসি কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের উদ্যেগে রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিজেএমসি’র প্রধান কার্যালয়ের (আদমজী কোর্ট, এনেক্স-১ ভবন) মেইন গেইটে এক ‘গেইট মিটিং’ এর আয়োজন করে।

একইসাথে বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন ২৫টি জুটমিলসমূহের অফিস গেইটে এই ‘গেইট মিটিং’ অনুষ্ঠিত হয়। বিজেএমসি’র প্রধান কার্যালয়ের গেইট মিটিং-এ বিজেএমসি’র সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতে অংশগ্রহণ করে।

বিজেএমসি’র মুখ্য পরিচালন কর্মকর্তা মো. নাসিমুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাঃ ও সা:সেবা) মো. মামুনুর রশিদ, মহাব্যবস্থাপক (হিসাব ও অর্থ) মো. আব্দু মালেক, মহাব্যবস্থাপক (আইন) এ এস এম মামুনুর রহমান, মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা) ও সভাপতি অফিসার্স এসোসিয়েশন জিয়াউল হক ভূঞা, মহাব্যবস্থাপক (মহাসচিব অফিসার্স এসোসিয়েশন মো. রুহুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক (পুর) ও সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারী পরিষদ ইঞ্জি. ইসরাফিল খান, সভাপতি (সিবিএ) মো. আমিনুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি এবং অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এতে বক্তব্য রাখেন।

কর্মকর্তাগণ তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, “গত সরকার ১লা জুলাই ২০২০ সালে বিজেএমসি’র উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে শ্রমিকদেরকে গোল্ডেন হ্যান্ডশ্যাকের মাধ্যমে চাকুরী অবসায়ন করে এবং উদ্বৃত্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে আত্তীকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্যত্র আত্তীকরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার ঘোষণা দেয়।

কিন্তু অদ্যাবধি ৫ বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও আত্তীকরণ কার্যক্রম বিভিন্ন কারনে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি যা এখনো চলমান রয়েছে। মিল বন্ধ পরবর্তী প্রায় ৪ বছর বিজেএমসি’র মজুদ পণ্য বিক্রয়লব্ধ টাকা দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে।

গত জুলাই ২০২৪ হতে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। গত ০৮/০৯ মাস যাবত অর্থ মন্ত্রণালয় হতে কোন রকমের অর্থ বরাদ্দ না করায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছে না।

ফলে অনেকেই আর্থিক সংকটের কারনে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এ অবস্থায় নিয়মিত বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমান অর্থ বরাদ্দের আহবান জানান।

এছাড়া বক্তারা আরো উল্লেখ করেন, ২০২১ সালের পর হতে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনুতোষিক বাবদ সরকার কোন অর্থ বরাদ্দ না করায় শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকুরি হতে অবসর গিয়ে আর্থিক সংকটের কারনে বিনা চিকিৎসায় অনাহারে ও অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। অনেকেই সন্তানদের লেখাপড়া এমনকি ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিতে পারছে না। কাজেই মানবিক কারনে অবসরপ্রাপ্তদের ন্যায্য আনুতোষিক পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমান অর্থ বরাদ্দের আহবান জানানো হয়।

সভায় নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বিজেএমসি বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন এবং সর্ববৃহৎ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেও বর্তমানে ঢাকা শহরে বিজেএমসি’র নিজস্ব কোন ‘অফিস ভবন’ নেই। বর্তমানে বিজেএমসি’র ব্যবহৃত আদমজী কোর্ট ভবনটি একসময় বিজেএমসি’র মালিকানাধীন থাকলেও কত কয়েক বছর পূর্বে এ ভবনটি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় তাদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে যায়।

ফলে বিজেএমসি এখন ভাড়াটিয়া হিসেবে এ ভবনে অবস্থান করছে। ঢাকা শহরে বিজেএমসি’র একমাত্র জায়গা ৯৯, মতিঝিল, করিম চেম্বার ভবনটি ভেঙে নতুন একটি ‘অফিস ভবন কাম বাণিজ্যিক ভবন’ দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ও লালিত স্বপ্ন ছিল।

বর্তমানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কর্তৃক করিম চেম্বার ভবনটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে প্রদানের কার্যক্রম শুরু করেছে, যা বিজেএমসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ কোনদিন বাস্তবায়ন হতে দিবে না। বিজেএমসি’র সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের একমাত্র প্রাণের দাবি তাদের নিজস্ব জায়গা করিম চেম্বারে বিজেএমসি’র নিজস্ব অফিস কাম বাণিজ্যিক ভবন নির্মান করার সদয় অনুমতি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

উল্লিখিত দাবিগুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে আরো কঠোর থেকে কঠোরতম আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তারা জানান।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) ‘গেইট মিটিং’ শেষে বিজেএমসি প্রধান কার্যালয় ও মিলগুলোর প্রতিনিধিদের পক্ষ হতে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর প্রেরণের জন্য বিজেএমসি’র চেয়ারম্যানের নিকট হস্তান্তর করা হয়।


ওয়াকাথন আয়োজনের মাধ্যমে বাংলালিংকের ‘সেফটি অ্যান্ড ওয়েলনেস উইক ২০২৫’ উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী অপারেটর বাংলালিংক ৬ ডিসেম্বর (শনিবার) ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় একযোগে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে ওয়াকাথন আয়োজনের মাধ্যমে তাদের বার্ষিক ‘সেফটি অ্যান্ড ওয়েলনেস উইক ২০২৫’ উদ্বোধন করেছে।

এ উদ্যোগে স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও সামগ্রিকভাবে সুস্থতা ও কল্যাণ নিয়ে যৌথ অঙ্গীকারের প্রতিফলন হিসেবে ৫৬০ জনের বেশি কর্মী অংশ নেন।

কর্মী-কেন্দ্রিক কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলায় বাংলালিংকের লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এ বছর এ আয়োজনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘স্ট্রেন্থ ইন অ্যাকশন, কেয়ার ইন এভরি স্টেপ।,’ যেখানে গুরুত্ব পায় সচেতনতার মাধ্যমে প্রাত্যহিক অভ্যাস গড়ে তোলা, কাজের ক্ষেত্রে কর্মীদের প্রতি যত্নশীল আচরণ, সহকর্মীদের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব তৈরি ও ব্যক্তিগত সুস্থতায় নিয়মিত অনুশীলনের অভ্যাস।

সপ্তাহজুড়ে কর্মীদের মধ্যে সুস্থতা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে নানামুখী কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলালিংক। এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ব্যক্তিগত পরামর্শ পর্ব, অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, সরাসরি নিরাপত্তা মহড়া, মননশীলতা চর্চা, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণমূলক কার্যক্রম এবং বিভিন্ন অংশগ্রহণমূলক সুস্থতা আয়োজন। প্রতিটি উদ্যোগই স্বাস্থ্যকর রুটিন গড়ে তোলা, সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় অনুশীলন এবং ভারসাম্যপূর্ণ ও সচেতন জীবনযাপনকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করা হয়েছে।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয় টাইগার’স ডেন থেকে ওয়াকাথন শুরু হয়। অন্যান্য শহরে অংশগ্রহণকারীরা নিজ নিজ কার্যালয় থেকে যাত্রা শুরু করেন। সদিচ্ছা ও সচেতনতার মাধ্যমে ছোট ছোট পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়েই সার্বিকভাবে সুস্থ থাকার দিকে যাত্রা শুরু হয়, এ বার্তায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ওয়াকাথনের নির্ধারিত পথে যাত্রা করেন বাংলালিংকের কর্মীরা।

টাইগার’স ডেনে ‘সেফটি অ্যান্ড ওয়েলনেস উইক ২০২৫’ -এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী ইওহান বুসে সহ প্রতিষ্ঠানটির লিডারশিপ টিমের সদস্যেরা। তাদের উপস্থিতি নিরাপদ, যত্নশীল ও সহায়ক কর্মপরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলালিংকের প্রতিশ্রুতিকে আরও জোরালো করেছে।

অনুষ্ঠানে বাংলালিংকের প্রধান মানবসম্পদ ও প্রশাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রুহুল কাদের বলেন, “ওয়াকাথনের মাধ্যমে এ সপ্তাহ অর্থবহভাবে শুরু হয়েছে। সুরক্ষা ও সুস্থতা সাময়িক কোন বিষয় নিয়, বরং এটা আমাদের প্রতিদিনের গড়ে তোলা অভ্যাসের ব্যাপার – এ আয়োজন আমাদের সে বার্তাই দেয়। আমাদের কর্মীরা যখন নিজেদের সুস্বাস্থ্য ও সুরক্ষায় সহযোগিতা পান, তখন সামগ্রিকভাবে প্রতিষ্ঠানই আরও শক্তিশালী হয়। নিজেদের যত্ন নেওয়া, পরস্পরের খোঁজ রাখা এবং এমন এক কর্মপরিবেশ তৈরি করা যেখানে সুস্থতা স্বাভাবিকভাবে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার অংশ, সেফটি অ্যান্ড ওয়েলনেস উইক আমাদের সেই মানসিকতাকে আরও দৃঢ় করেছে।”

কর্মীদের পাশাপাশি গ্রাহকদের সুরক্ষা ও সুস্থতার প্রতিও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলালিংক। গ্রাহকেরা যেন তাদের কাছের মানুষদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, এজন্য কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর বাংলালিংক তাৎক্ষণিকভাবে গ্রাহকদের জন্য দুই ঘণ্টার ফ্রি কলিং সুবিধার ঘোষণা দেয়।


‘আইসিটি উইমেন অব দ্য ইয়ার’ স্বীকৃতি পেলেন আম্বারীন রেজা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের ডিজিটাল খাতের রূপান্তরে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি পেলেন ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আম্বারীন রেজা। ১০ম ব্র্যাক ব্যাংক―দ্য ডেইলি স্টার আইসিটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে তাকে ‘আইসিটি উইমেন অব দ্য ইয়ার’ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) এই সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ফুডপান্ডার বিস্তৃতি ও ইতিবাচক প্রভাবের প্রশংসা করে বলেন, ‘ফুডপান্ডা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে।’ উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, তিনি নিজেও সপ্তাহে অন্তত একবার ফুডপ্যান্ডা ব্যবহার করেন।

২০১৩ সালে জুবায়ের বি এ সিদ্দিকীর সঙ্গে যৌথভাবে ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন আম্বারীন রেজা। রেস্টুরেন্ট, শপ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল বাণিজ্যে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে ফুডপ্যান্ডা এখন দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলায় কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ আয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি ভ্যাট ও কর প্রদানের মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব আয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ফুডপ্যান্ডা।

ফ্রিল্যান্স রাইডারদের জন্য সুবিধামতো সময়ে কাজের সুযোগ বা ‘ফ্লেক্সিবল আর্নিং মডেল’ চালু রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর ফলে রাইডাররা নিজেদের পছন্দ ও সময় অনুযায়ী কাজ করে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ পাচ্ছেন।

পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভূতি জানিয়ে আম্বারীন রেজা বলেন, ‘এই সম্মাননা পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। ফুডপ্যান্ডাকে গড়ে তোলা ও আজকের অবস্থানে নিয়ে আসা কোনো একক ব্যক্তির কাজ নয়, এটি আমাদের পুরো দলের নিরলস প্রচেষ্টা ও নিবেদনের ফল। আমি এই পুরস্কার ফুডপ্যান্ডার কর্মী, গ্রাহক, রেস্টুরেন্ট পার্টনার ও রাইডারদের উৎসর্গ করছি।’ ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘একজন কর্মজীবী মা হিসেবে আমি আমার সন্তানদের প্রতিও বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই। তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সহমর্মিতার ফলে আমি আমার প্যাশনকে এগিয়ে নিতে পেরেছি। পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা জানাই আমার মা, স্বামী ও সহোদরদের প্রতি; তাদের অনুপ্রেরণাতে আমি এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পাই।’

গত ৩০ নভেম্বর ঢাকার শেরাটন হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে আইসিটি উদ্যোক্তা, সাংবাদিক ও করপোরেট খাতের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উৎকর্ষ এবং সামাজিক প্রভাব বিস্তারকারী উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলোকে উৎসাহিত করতে গত এক দশক ধরে এই সম্মাননা দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক ও দ্য ডেইলি স্টার।

ফুডপ্যান্ডা সম্পর্কে:

ফুডপ্যান্ডা এশিয়া প্যাসিফিকের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম। সুবিধামতো ও দ্রুততম সময়ে গ্রাহকদের কাছে খাবার, গ্রোসারি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ অন্যান্য জিনিস পৌঁছে দিতে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে ফুডপ্যান্ডা। অভিনব প্রযুক্তি ও সুদক্ষ পরিচালনার সমন্বয় এবং রিটেইল পার্টনারদের শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এ অঞ্চলের কুইক-কমার্সে (কিউ-কমার্স) নেতৃত্ব দিচ্ছে ফুডপ্যান্ডা। খাবার ডেলিভারি দেয়ার লক্ষাধিক অপশন ছাড়াও অন-ডিমান্ড পণ্য ডেলিভারি সুবিধা প্রদানে রয়েছে প্যান্ডামার্ট ক্লাউড স্টোর। সিঙ্গাপুর, হংকং, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, তাইওয়ান, ফিলিপাইন, বাংলাদেশ, লাওস, কম্বোডিয়া এবং মায়ানমার- এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ১০টি বাজারে ফুডপ্যান্ডার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ফুড ডেলিভারি ইন্ডাস্ট্রিতে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ডেলিভারি হিরো’র একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ফুডপ্যান্ডা।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: www.foodpanda.com


বাংলাদেশে জ্যাক মোটরসের নতুন ডিস্ট্রিবিউটর  র‌্যানকন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে জ্যাক মোটরস-এর অফিশিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে যুক্ত হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ অটোমোটিভ ম্যানুফ্যাকচারার র‌্যানকন এবং এখন থেকে তারা জ্যাক মোটরস-এর সেলস ও আফটার-সেলস সাপোর্ট প্রদান করবে।

৬ ডিসেম্বর (শনিবার) ঢাকার আইসিসিবিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে জ্যাক মোটরসের লেটেস্ট দুইটি ডাবল কেবিন ৪x৪ মডেল ‘টি৯ হান্টার’ ও ‘টি৮’ পিকআপ ভ্যান এবং জ্যাক-এর নতুন এন সিরিজের ১.৫ টন ও ৩ টন এর বাণিজ্যিক ট্রাক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয়। সেসময় দেশের অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষ ব্যক্তিবর্গ, কর্পোরেট প্রতিনিধি, ডিলার পার্টনারদের সদস্য এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নতুন ‘টি৯ হান্টার’ ডাবল কেবিন ৪x৪ মডেলে আছে শক্তিশালী ২ লিটার টার্বো ডিজেল ইঞ্জিন এবং ৮ স্পিড জেডএফ অটোমেটিক ট্রান্সমিশন। এটি সর্বোচ্চ ৪১০ এনএম পর্যন্ত টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। ২১০ মি.মি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্সের সাথে গাড়িতে আরও আছে ফোর-হুইল ড্রাইভ, সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক সানরুফ, লেদার ইন্টেরিয়র, পাওয়ার ফ্রন্ট সিট, প্রিমিয়াম সাউন্ড সিস্টেম, ১০.৪ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন (অ্যাপেল কারপ্লে ও অ্যান্ড্রয়েড সাপোর্টেড), ফ্রন্ট ও রিয়ার ডিস্ক ব্রেক, ১৮ ইঞ্চি অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয় হুইল, এলইডি হেডলাইট ও ফগলাইট ইত্যাদি ফিচারস। সব মিলিয়ে ‘টি৯ হান্টার’ পারফর্ম্যান্স, আধুনিক প্রযুক্তি ও আরামদায়ক অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে ব্যবহারকারীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাজারের সবচেয়ে আকর্ষনীয় অফারে মাত্র ৪৬.৫ লক্ষ টাকায় এই মডেলটি পাওয়া যাবে। সাথে থাকবে ৫ বছর/ ১ লক্ষ কিলোমিটার ওয়ারেন্টি।

‘টি৮’ ডাবল কেবিন ৪x৪ মডেলে আছে ২ লিটার টার্বো ডিজেল ইঞ্জিন এবং ৬ স্পিড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন। এটি সর্বোচ্চ ৩২৯ এনএম পর্যন্ত টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। এর গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ২১০ মি.মি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্সের সাথে গাড়িতে আরও আছে ১৮ ইঞ্চি অ্যালয় হুইল, লেদার কভার্ড ইন্টেরিয়র, মাল্টিফাংশনাল লেদার-বাউন্ড স্টিয়ারিং, এলইডি হেডলাইট/ফগলাইট, এবিএস-এর মতো ফিচারস। মাত্র ৩৪.৫০ লক্ষ টাকায় এই মডেলটি পাওয়া যাবে, সাথে থাকবে ৫ বছর/ ১ লক্ষ কিলোমিটার ওয়ারেন্টি। র‌্যানকন-এর শোরুমে এসে ‘টি৯ হান্টার’ ও ‘টি৮’ দুটি মডেলই বুকিং ও টেস্ট ড্রাইভ দেওয়া যাবে।

এছাড়া, এন সিরিজের ১.৫ টন ও ৩ টন এর বাণিজ্যিক ট্রাক দুটি বাংলাদেশের রোড কন্ডিশন ও পরিবেশ বিবেচনা করে বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। দেশের অন্যতম নির্ভরযোগ্য এই ট্রাকের সঙ্গে আছে র‍্যানকন-এর দেশব্যাপি বিস্তৃত সার্ভিস নেটওয়ার্ক, যা নির্বিঘ্ন সার্ভিসিং এবং স্পেয়ার পার্টসের সহজলভ্যতাও নিশ্চিত করবে।

এ প্রসঙ্গে র‌্যানকন গ্রুপ-এর গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর রোমো রউফ চৌধুরী বলেন, “র‌্যানকন সবসময়ই আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত ব্র্যান্ড ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে এসেছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার জ্যাক মোটরসের অফিশিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর হতে পেরে আমরা আনন্দিত। জ্যাক-এর নতুন গাড়ি ও ট্রাকগুলো বাংলাদেশের বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলে আমি আশাবাদী।”

র‌্যানকন গ্লোবাল ট্রাকস লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর শন হাকিম বলেন, “উন্নত মানের নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী ৪টি মডেল বাজারে আনার মাধ্যমে দেশের অটোমোটিভ সেক্টরে নতুন মাত্রা

যোগ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। গ্রাহকদের সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিতে র‌্যানকনের দেশব্যাপি বিস্তৃত অটোমোটিভ সার্ভিস নেটওয়ার্ক ব্যাপক সহায়ক হবে বলে আমার বিশ্বাস।”


কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানী (বাংলাদেশ) লিমিটেড এর ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের স্বনামধন্য প্রসাধনী প্রস্তুতকারক ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানী (বাংলাদেশ) লিমিটেড-এর ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ (রবিবার) বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন পরিচালক মোঃ এবাদুল করিম, স্বতন্ত্র পরিচালক প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন ও কাজী মামুনুল আশরাফ, কোম্পানী সচিব মোঃ কামরুজ্জামান, এফসিএমএ এবং সিএফও মোহাঃ শামীম কবির, এফসিএমএ।

উক্ত সভায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী ও কোম্পানীর সার্বিক কার্যক্রমের উপর আলোচনা করা হয় এবং আলোচ্যসূচিসমূহ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।

আলোচ্য সভায় ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের জন্য ৬৫ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ এবং ১০ শতাংশ হারে বোনাস শেয়ার প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।


আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ও আকিজ মটরস এর মধ্যে MOU সম্পাদন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
 নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রতি আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ও আকিজ গ্রুপ অব কোম্পানিজ―র সহযোগী প্রতিষ্ঠান আকিজ মটরস এর মধ্যে একটি মেমোরান্ডাম অব আন্ডারস্টান্ডিং MOU স্বাক্ষরিত হলো। এরই আলোকে আকিজ মটরস এর সকল ক্রেতার যাবতীয় ভেহিকল লোন সার্ভিস প্রদান করবে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক। পাশাপাশি উক্ত কোম্পানির সকল আমদানী প্রক্রিয়ায় ইস্যু করা হবে লেটার অব ক্রেডিট।

অন্যদিকে আকিজ মটরস কর্তৃপক্ষ আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকে জমা রাখবেন কয়েক কোটি টাকার আমানত। এছাড়াও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জন্য থাকবে বিশেষ সাশ্রয়ী মূল্যে বিভিন্ন মডেলের বাইক কেনার সুযোগ।

এ সম্পর্কিত সকল প্রচার প্রচারণায় উভয় প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে অংশ নেবে।

এই মেমোরান্ডাম অব আন্ডারস্টান্ডিং এর পুরো প্রক্রিয়ার নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মানিত নির্বাহী পরিচালক ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবুর রহমান।

আকিজ চেম্বারে অনুষ্ঠিত এই MOU সম্পাদন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আকিজ মটরস এর সিইও শেখ আমিন উদ্দীন ও ব্রান্ডিং ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপদেষ্টা মোঃ আবু সাঈদ।

আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এপিডি ও রিকভারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ক্যাপ্টেন সৈয়দ সাখাওয়াৎ হোসেন, পিএসসি, বিএন ( অবঃ) এবং বিজনেস ব্যাংকিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ ইমরুল কায়েস ও শামীম আহমেদ।

এছাড়া আকিজ মটরস এর সিনিয়র ম্যানেজার সাঈদ হাসানসহ গ্রুপের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দও এই MOU সম্পাদন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি―র বার্ষিক রিস্ক কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র বার্ষিক রিস্ক কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৬ ডিসেম্বর (শনিবার) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় বার্ষিক রিস্ক কনফারেন্স ২০২৫―এর এ আয়োজন করা হয়।

রিস্ক কনফারেন্স অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওএস-২) এর পরিচালক আ.ন.ম. মঈনুল কবীর। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের জয়েন্ট ডিরেক্টর মাহমুদা হক এবং এম. এম. অপূর্ব আবরার রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে অতিথিদের স্বাগত জানান কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি―এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত। এ সময় ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট, ডিভিশন হেড এবং শাখা ব্যবস্থাপকসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কনফারেন্সে ব্যাংকের সামগ্রিক রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার বিভিন্ন কৌশল, নীতি এবং বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এসময় বক্তারা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উন্নত মান বজায় রাখা এবং টেকসই ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে আধুনিক প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।


ভূমিকম্পের ব্যাপারে আতঙ্ক না ছড়িয়ে সতর্কতা তৈরির আহ্বান

‘ভূমিকম্প: বাস্তবতা, ধারণা ও সচেতনতার কৌশল’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করেছে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (বাস্থই)
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (বাস্থই) -এ ‘ভূমিকম্প: বাস্তবতা, ধারণা ও সচেতনতার কৌশল’শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা আয়োজন করা হয়। আগারগাঁওয়ে বাস্থই কার্যালয়ের সেমিনার হলে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের সভাপতি স্থপতি অধ্যাপক ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ।
বাস্থই সভাপতি স্থপতি অধ্যাপক ড. আবু সাঈদ এম আহমেদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন প্রখ্যাত পুর প্রকৌশলী ও বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. শামীম জেড বসুনিয়া, বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও লিডিং ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য স্থপতি অধ্যাপক ড. কাজী আজিজুল মাওলা, স্থপতি ইনস্টিটিউটের সাবেক সভাপতি ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির, স্থাপত্য অধিদপ্তরের বর্তমান প্রধান স্থপতি আসিফুর রহমান ভূঁইয়া, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন হায়দার, বাস্থই-এর ফেলো সদস্য স্থপতি ও নগরবিদ ইকবাল হাবিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বদরুদ্দোজা মিয়া, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. রাকিব আহসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব গোলাম মোস্তফা, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন্স) লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাখাওয়াত হোসেন, রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ (চলতি দায়িত্ব) মো. আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্সের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল হোসাইন চৌধুরী, বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক স্থপতি প্যাট্রিক ডি' রোজারিও। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্থপতি ইনস্টিটিউটের সহ সভাপতি (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক) স্থপতি খান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক জগলুল।
গোলটেবিল আলোচনা সঞ্চালনা করেন স্থপতি ইনস্টিটিউটের সহসভাপতি (জাতীয় বিষয়াদি) স্থপতি নওয়াজীশ মাহবুব। স্বাগত বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক স্থপতি ড. মাসুদ উর রশিদ।

আলোচনায় অধ্যাপক ড. শামীম জেড বসুনিয়া বলেন, অভিজ্ঞ স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়াররা ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে এবং ভবন নির্মাণ যথাযথভাবে তদারকি করলে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি তাড়াহুড়ো না করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন।
নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ভূমিকম্প প্রতিরোধ করা না গেলেও ক্ষতি কমানো সম্ভব। ভবন অনুমোদন প্রক্রিয়ায় তদারকি না থাকার বিষয়টি তিনি উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন। অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি, গ্যাস লিকেজ, ভুল নির্মাণ, রেগুলেটরি অথরিটি গঠন, ব্লক ডেভেলপমেন্ট ও টিডিআর বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

অধ্যাপক ড. রাকিব আহসান জানান, সব সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ভূমিকম্প-সহনশীল ডিজাইনে দক্ষ নন। সিপিডি এবং ট্রেনিংয়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি স্থপতি ও প্রকৌশলীর সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
সাবেক আইএবি সভাপতি ও সাবেক প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির অ-বৈজ্ঞানিক ভূমিকম্প পূর্বাভাস ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির বিরুদ্ধে সতর্ক করে বলেন, “ভয় নয়, এখন প্রয়োজন দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া—ঝুঁকিপূর্ণ ভবন শনাক্ত করা, জরুরি সেবা পৌঁছানোর জন্য সরু সড়ক প্রশস্ত করা, হাসপাতাল সচিবালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অবকাঠামো সংস্কার ও শক্তিশালীকরণ, আলগা ফ্রি-স্ট্যান্ডিং আসবাবপত্র দেয়ালে সুরক্ষিতভাবে বেঁধে রাখা, দক্ষ পেশাজীবীদের মাধ্যমে নতুন ভবন নির্মাণের আগে যথাযথ মাটির পরীক্ষা নিশ্চিত করা এবং জরুরি বহির্গমনপথ স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা।”
সভাপতির বক্তব্যে ড.আবু সাঈদ এম আহমেদ বলেন, পোস্ট ডিজাস্টার নিয়ে কাজ করলে আমরা সরকারকে অনেক কিছু রেকমেন্ড করতে পারব, আমরা দেশকে রক্ষা করতে চাই দেশের সবকিছুর রক্ষা করতে চাই একসাথে বাঁচতে চাই।
আলোচনা থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলো নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান সকলে।ভূমিকম্প-সম্পর্কিত ভুল ধারণা দূর করে বাস্তবসম্মত প্রস্তুতি গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয় এ গোল্টেবিল বৈঠকে।


banner close