দেশের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতিতে অসহায় বন্যার্তদের পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের জন্য পরিবেশক, প্লাজা প্রতিনিধি ও সেলস টিমকে বিশেষ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস এম মাহবুবুল আলম। তার নির্দেশনা অনুযায়ী ‘মানুষের পাশে, মানুষের জন্য’ স্লোগানে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে একদম শুরু থেকেই উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি চলমান রয়েছে। গতকাল রোববার রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে আয়োজিত এক বিশেষ সভায় এই দিকনির্দেশনা দেন তিনি। সভায় ভার্চুয়াল প্ল্যটফর্মের মাধ্যমে সারা দেশ থেকে ওয়ালটন প্লাজার সহস্রাধিক বিক্রয় প্রতিনিধি, ডিস্ট্রিবিউটর ও ডিলাররা অংশ নেন।
সভায় ওয়ালটন হাই-টেকের এমডি এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, হঠাৎ করে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি জেলার হাজার হাজার গ্রামের লাখ লাখ পরিবার আকস্মিক বন্যার কবলে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অতীতে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ওয়ালটন পরিবার যেভাবে অংশ নিয়েছিল, এবারও বন্যার্ত অসহায় মানুষের সেবায় পাশে দাঁড়িয়েছেন আপনারা।
তিনি আরও বলেন, ওয়ালটন পরিবার দেশের মানুষের দুর্দিনে সর্বদা পাশে থেকেছে। করোনা দুর্যোগের সময়ও আপনারা হাজার হাজার পয়েন্ট থেকে দেশের অসহায় মানুষের মাঝে পিপিই, খাদ্যদ্রব্য ইত্যাদি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন। এরই ধারবাহিকতায় এবারও বন্যা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনারা স্ব স্ব অবস্থান থেকে বন্যার্ত অসহায় মানুষদের উদ্ধার ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণে এগিয়ে এসেছেন। দেশের আপামর মানুষের জন্য আপনাদের এই অকৃত্রিম ভালোবাসায় আমরা মুগ্ধ ও গর্বিত। ওয়ালটন ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে আপনাদের আন্তরিকভাবে অভিনন্দন ও সাধুবাদ জানাই। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অসহায় মানুষের সেবায় আপনারা এই কর্মসূচি চলমান রাখবেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তাও আমরা প্রদান করছি।
ওয়ালটন হাই-টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, বন্যার্তদের জন্য সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানে সাধ্যমত আর্থিক অনুদান ও ত্রাণসামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে।
সভায় বন্যার্তদের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার এমডি মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার ও ইভা রিজওয়ানা নিলু, ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অব সেলস ফিরোজ আলম, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের চিফ মার্কেটিং অফিসার গালীব বিন মোহাম্মদ, ওয়ালটন এমডির বিজনেস কোঅর্ডিনেটর তানভীর আঞ্জুম, চিফ ইনফরমেশন অফিসার মফিজুর রহমানসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশে রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেল কেনার ক্ষেত্রে এখন থেকে বিশেষ সুবিধ পাবেন কমিউনিটি ব্যাংক এর ক্রেডিট কার্ডধারীরা। রাজধানীতে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও ইফাদ মোটরস লিমিটেড।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত, কমিউনিটি ব্যাংকের হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং অ্যান্ড হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মো. আরিফুল ইসলাম; হেড অব এডিসি অ্যান্ড হেড অব এমডি’স কোঅর্ডিনেশন টিম জনাব মো. মামুন-উর রহমান।
চুক্তিতে ব্যাংকের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন হেড অব কার্ডস জাহির আহমেদ এবং ইফাদ মোটরসের পক্ষ থেকে হেড অব বিজনেস মুইদুর রহমান তানভীর।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ইফাদ মোটরসের হেড অব কমার্শিয়াল অ্যান্ড ব্যাংকিং এম. এ. আজিজ, অ্যাকাউন্টস ও ফাইন্যান্স বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মো. মাসুদ হোসেন মিজিসহ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ইফাদ মোটরস লিমিটেড বাংলাদেশে রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেলের অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটর ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত।
এক্সিম ব্যাংকের ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আজ (২৮ আগস্ট, ২০২৫, বৃহস্পতিবার) এক্সিম ব্যাংক প্রধান কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম স্বপন।
২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত অর্থ বছরের আর্থিক বিবরণী, নিরীক্ষিত স্থিতিপত্র ও লাভ লোকসান হিসাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে তা গ্রহণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মোঃ নূরুল আমিন ফারুক, অঞ্জন কুমার সাহা, স্বতন্ত্র পরিচালক খন্দকার মামুন এফসিএ, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আব্দুল আজিজ (জুম্মা), উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাঃ জসিম উদ্দিন ভূঞা, মাকসুদা খানম, মোঃ মইদুল ইসলাম এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মোঃ মনিরুল ইসলাম।
অ্যাপার্টমেন্ট ক্রেতাদের এক্সক্লুসিভ হোম লোন সুবিধা দিতে সম্প্রতি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার কোম্পানি বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াস লিমিটেড (বিটিআই)-এর সাথে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
এই চুক্তির আওতায় বিটিআই-এর নির্দিষ্ট প্রকল্প থেকে অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়ে ইচ্ছুক গ্রাহকরা ব্র্যাক ব্যাংকের আকর্ষণীয় হোম লোন সুবিধা উপভোগের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ফ্রি ইন্টেরিয়র সাপোর্ট উপভোগ করতে পারবেন।
এই উদ্যোগটি গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নত করার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। গ্রাহকদের জন্য সুবিধাজনক আবাসন অর্থায়ন ও ইন্টেরিয়র সল্যুশনের সুযোগ বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে।
২৫ আগস্ট ২০২৫ ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম এবং বিটিআই-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এফ.আর. খান।
এ সময় ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক শেখ মোহাম্মদ আশফাক, সিনিয়র জোনাল হেড (নর্থ জোন) এ.কে.এম. তারেক, রিজিওনাল হেড (ঢাকা সেন্ট্রাল ও নারায়ণগঞ্জ) সাজিয়া হোসেন এবং হেড অব রিটেইল সেলস মহবুবুল ফারুক খান। অন্যদিকে বিটিআই-এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মাশরুর হাসান মীমসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ২৮৫টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৮ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। আঠারো লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৩ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ২০২৪ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪০০ জন দরিদ্র মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান করেছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি। বৃত্তিপ্রাপ্ত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন কলেজ/মহাবিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ২০০ জন ছাত্র এবং ২০০ জন ছাত্রী রয়েছেন। ২ বছরে বৃত্তিপ্রাপ্ত ৪০০ জন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে তাদের কোর্স সম্পন্ন করতে সর্বমোট ২,২০,০০,০০০.০০ (দুই কোটি বিশ লক্ষ) টাকার বৃত্তি প্রদান করা হবে। ২৭ আগস্ট ২০২৫ইং তারিখে ব্যাংকের করপোরেট প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উক্ত বৃত্তির চেক প্রদান করা হয়। ৫০ (পঞ্চাশ) জন বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রী স্বশরীরে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বৃত্তির অর্থ গ্রহণ করেন। বৃত্তিপ্রাপ্ত অবশিষ্ট ৩৫০ জন ছাত্র-ছাত্রীর বৃত্তির অর্থ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের নিজ নিজ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রদান করা হবে। বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের চেয়ারম্যান জনাব এ. কে. আজাদ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্যাংকের এসইভিপি ও কোম্পানী সচিব জনাব মো: আবুল বাশার।
বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ভাইস-চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ ইউনুছ ও জনাব মহিউদ্দিন আহমেদ, পরিচালকবৃন্দ জনাব মো: সানাউল্লাহ সাহিদ, জনাব মো: আব্দুল বারেক, জনাব আব্দুল হালিম, জনাব আক্কাচ উদ্দিন মোল্লা, জনাব খন্দকার শাকিব আহমেদ, জনাব ফকির আখতারুজ্জামান, স্বতন্ত্র পরিচালক জনাব নাসির উদ্দিন আহমেদ ও জনাব মো: রিয়াজুল করিম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব ইমতিয়াজ ইউ. আহমেদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এম. এম. সাইফুল ইসলাম, ব্যাংকের এসইভিপি ও ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের প্রধান জনাব মোহাম্মদ আশফাকুল হক, এফসিএ, এফসিএস, ব্যাংকের সিএফও জনাব মো: জাফর ছাদেক, এফসিএ, ইনভেস্টমেন্ট মনিটরিং বিভাগের প্রধান জনাবা রুমানা কুতুবুদ্দিন, ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান জনাব মো: আমজাদ হোসেন এবং ব্যাংকের জনসংযোগ ও ব্যাংক ফাউন্ডেশন এর ইনচার্জ জনাব কে. এম. হারুনুর রশীদ-সহ বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের চেয়ারম্যান জনাব এ. কে. আজাদ বলেন, সত্যিকারের মেধাবীরাই দেশকে একদিন সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাবে। এই মেধাবীদের যথাযথভাবে পরিচর্যার দরকার। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক ২০০৬ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের দরিদ্র মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করে আসছে। অদূর ভবিষ্যতেও মেধাবীদের সহযোগিতার ক্ষেত্রে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের সাহায্যের হাত অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ্। তাছাড়া তিনি সবার জন্য ন্যায্য ও মানসম্মত শিক্ষা সুনিশ্চিত করার জন্য সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। মেধাবীদেরকে সৎকর্মের মাধ্যমে তাদের জীবন গড়ে তোলার পাশাপাশি আলোকিত মানুষ হওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান জনাব এ. কে. আজাদ।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ বলেন, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক কর্তৃক এই বৃত্তি প্রদান শুধুমাত্র মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা নয় বরং তাদেরকে অনুপ্রেরণা, সাহস ও উৎসাহ প্রদান। বিগত বছরগুলোতে সমাজের অসচ্ছল জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা যে কঠোর পরিশ্রম করে সফলতা অর্জন করেছে তার স্বীকৃতি হিসেবে ব্যাংকের পক্ষ থেকে মেধাবীদেরকে এই স্বীকৃতি প্রদান। আমরা চাই ভবিষ্যতে তারা দ্বিগুণ উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে পড়াশুনায় গভীর মনোনিবেশ করে নিজের, পরিবারের, সমাজের ও সর্বোপরি দেশের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবে।
ব্র্যাক ব্যাংক ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি–জুন) সমন্বিত কর-পরবর্তী নিট মুনাফায় (এনপিএটি) ৫৩% প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের সমন্বিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসহ ব্যাংকটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৯০৬ কোটি টাকায়, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে অর্জিত ৫৯১ কোটি টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
এ সময়ে এককভাবে (স্ট্যান্ডঅ্যালন) ব্র্যাক ব্যাংকের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৬২০ কোটি টাকা, যা আগের বছরের ৫১৯ কোটি টাকার তুলনায় ২০% বেশি। চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি সত্ত্বেও ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকটি মার্কেট অ্যাভারেজ প্রবৃদ্ধির চেয়ে অনেক বেশি হারে ব্যালেন্স শিট প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বার্ষিক ভিত্তিতে গ্রাহক আমানত বেড়েছে ২৮% এবং গ্রাহক ঋণ বেড়েছে ৭%।
২১ আগস্ট ২০২৫ ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত আর্নিংস ডিসক্লোজার অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের এই আর্থিক তথ্যগুলো প্রকাশ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত এই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন ব্যাংকটির স্থানীয় ও বিদেশি স্টেকহোল্ডার, বিনিয়োগ-বিশ্লেষক, পোর্টফোলিও ম্যানেজার ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞবৃন্দ।
আয়োজনে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যাংকটির আর্থিক ফলাফল, সাফল্য, সক্ষমতা উপস্থাপনের পাশাপাশি ব্যাংকের ভবিষ্যৎ কৌশল তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের শেষে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসের উল্লেখযোগ্য অর্জনসমূহ:
• সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৩.৫৬ টাকায় উন্নীত হয়েছে, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে ছিল ২.৬২ টাকা।
• ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪২.৬০ টাকা, যা ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ৩৯.৩৮ টাকা।
• ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের একক (স্ট্যান্ডঅ্যালন) আমানত ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ১৩% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ব্যাংকটির দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি কৌশল ও গ্রাহক আস্থার প্রতিফলন।
• সমন্বিত রিটার্ন অন ইক্যুইটি (আরওই) এবং রিটার্ন অন অ্যাসেট (আরওএ) যথাক্রমে ১৭.৩৬% এবং ১.২৭%-এ উন্নীত হয়েছে।
• সমন্বিত মোট আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯% বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মধ্যে সুদ আয়ের পাশাপাশি নন-ফান্ডেড আয়ের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য।
• ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৩.৩৭%, যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ছিল ২.৬৩%।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন আর্থিক সাফল্য সম্পর্কে ব্যাংকটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “ব্র্যাক ব্যাংকের এ সাফল্য গ্রাহক, সমাজ ও দেশের প্রতি আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির উদাহরণ। গ্রাহক ও স্টেকহোল্ডারদের আস্থা ও বিশ্বাসকে সাথে নিয়ে আমরা উদ্ভাবন, ক্ষমতায়ন এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে অবদান অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর।”
তিনি আরও বলেন, “বছরের পর বছর ধরে ধারাবাহিক সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ সকল স্টেকহোল্ডারদের কাছে ব্র্যাক ব্যাংক এখন এক আস্থার নাম। কর্পোরেট সুশাসন, কমপ্লায়েন্স এবং মূল্যবোধ-নির্ভর ব্যাংকিংয়ে ব্র্যাক ব্যাংক রোল-মডেল হিসেবে স্বীকৃত। এমন অর্জনের জন্য আমি কৃতজ্ঞতা জানাই ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহকদের প্রতি— তাঁদের অবিচল আস্থার জন্য, আমাদের চেয়ারপারসন ও পরিচালনা পর্ষদের প্রতি— তাঁদের ধারাবাহিক দিকনির্দেশনার জন্য এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি— তাঁদের দূরদর্শী রেগুলেটরি দিকনির্দেশনা ও নিরবচ্ছিন্ন সহায়তার জন্য।”
আর্থিক তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত ব্র্যাক ব্যাংকের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে: https://www.bracbank.com/en/investor-relations#financialStatements
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ৯৭টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৮ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। আঠারো লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৩ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
সরকারি মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র ১০ম বিশেষ সাধারণ সভা এবং ৩৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর ৩৪, দিলকুশাস্থ রূপালী ব্যাংকের কনফারেন্স রুম থেকে হাইব্রিড পদ্ধতিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল হুদা।
সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সভায় উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানে শুেেভচ্ছা বক্তব্য দেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম । সভায় ব্যাংকের ২০২৪ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীসহ আলোচ্যসূচি অনুযায়ী সকল প্রস্তাব শেয়ার হোল্ডারগণ কর্তৃক অনুমোদিত হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালক এ বি এম আব্দুস সাত্তার, মো. শাহজাহান, মো. আবু ইউসুফ মিয়া, সোয়ায়েব আহমেদ, মুজিব আহমদ সিদ্দিকী, এ এইচ এম মঈন উদ্দীন ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. রফিকুল আলম। এ ছাড়া ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পারসুমা আলম, হাসান তানভীর ও মো. হারুনুর রশীদ এতে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ শাহেদুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার সরাসরি ও ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি (EU) আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছে Eastern University Research Society (EURS), যা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও উদ্ভাবনের নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী। তিনি EURS-এর লোগো উন্মোচন করেন এবং তার বক্তব্যে উচ্চশিক্ষায় গবেষণার অপরিহার্য ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি EURS-কে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানচর্চা, উদ্ভাবন ও একাডেমিক উৎকর্ষ সাধনের এক “নতুন সূচনা” হিসেবে অভিহিত করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. আবুল বাশার খান, রেজিস্ট্রার; প্রফেসর ড. এম. ছায়েদুর রহমান, ডিন, ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন; এবং প্রফেসর ড. মো. মাহফুজুর রহমান, ডিন, ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি। তারা শিক্ষার্থীদের গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেন।
অনুষ্ঠানে আইন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জহুরুল হক “How to Write a Conference Paper” শীর্ষক একটি সেশন উপস্থাপন করেন, যা তরুণ গবেষকদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবন্ধ রচনার দক্ষতা গড়ে তুলতে বিশেষ সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ড. আবু বিন ইহসান, চেয়ারম্যান, ফার্মেসি বিভাগ এবং প্রধান সমন্বয়ক, EURS। তিনি রিসার্স সোসাইটির লক্ষ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণার এই যাত্রায় সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।
EURS-এর উদ্বোধনের মাধ্যমে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য এক নতুন দিক উন্মোচন হয়েছে -যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চা, সৃজনশীলতা এবং বৈশ্বিক একাডেমিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার সুযোগ তৈরি করবে।
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় কৃষকদের মাঝে প্রকাশ্যে কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রাইম ব্যাংক পিএলসি.। বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার অংশ হিসেবে ব্যাংকটি এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে এই ঋণ বিতরণ করা হয়। এ সময় প্রায় দেড় শতাধিক কৃষক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে সময়মতো ঋণ পরিশোধ করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় আটজন কৃষককে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করে প্রাইম ব্যাংক, যা অন্যান্য কৃষকদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক।
এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগের অতিরিক্তি পরিচালক টি এম ফরহাদ রেজা জুয়েল; উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু রাসেল; কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. মাহবুব ইলাহী; প্রাইম ব্যাংক পিএলসি’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজিম এ. চৌধুরী; এসভিপি ও কৃষি ব্যবসা বিভাগের প্রধান শাহানা পারভীন; ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জোনাল হেড তরিকুল হাসান; মধুখালী ব্রাঞ্চের ম্যানেজার এবং ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে প্রাইম ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজিম এ. চৌধুরী বলেন, “খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনে কৃষি খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। কৃষকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে প্রাইম ব্যাংক সবসময় অঙ্গীকারবদ্ধ। বর্তমানে প্রাইম ব্যাংক খাদ্য শস্য উৎপাদনের জন্য ‘আবাদ’; খামার ব্যবস্থাপনার জন্য ‘খামার’ এবং কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য ‘নবান্ন’ নামে কৃষকদের কৃষি ঋণ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় এ অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে ঋণ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক।”
এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক বাংলাদেশের কৃষি খাতের টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
প্রাইম ব্যাংক পিএলসি. সম্প্রতি ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় (ইডব্লিউইউ) ও ইডব্লিউইউ ক্রিয়েটিভ বিজনেস ক্লাবের যৌথ সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন: এনগেজিং অ্যান্ড এম্পাওয়ারিং ইয়ুথ ইন ব্যাংকিং’ শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানটি ছিল প্রাইম ব্যাংকের ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ ‘প্রাইমএকাডেমিয়া’-এর অংশ—যা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের জন্য কনভেনশনাল ও ইসলামি উভয় ব্যাংকিং সুবিধাসহ একটি সমন্বিত ব্যাংকিং সেবার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।
সেমিনারে বিভিন্ন অনুষদের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর সক্রিয় অংশগ্রহণে এক প্রাণবন্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। উদ্যোগটির লক্ষ্য ছিল শুধু আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি নয়, বরং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থান, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও নেতৃত্বগুণ অর্জনে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতায় সমৃদ্ধ করা। বিশেষ করে আর্থিক সাক্ষরতা, দায়িত্বশীল অর্থব্যবস্থাপনা এবং ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও কনজিউমার এবং এসএমই ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান এম. নাজিম এ. চৌধুরী। তার মূল বক্তব্যে তিনি শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সাফল্যের পাশাপাশি ডিজিটাল জ্ঞান, ভাষার দক্ষতা, যোগাযোগ ও উপস্থাপনা দক্ষতা অর্জনের ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, “এ ধরনের আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া। জনসমক্ষে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং নিজের ভাবনা প্রকাশে দক্ষতা অর্জন তাদের আত্মবিশ্বাসী ও সক্ষম করে তুলবে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এসভিপি ও হেড অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যান্ড স্কুল ব্যাংকিং এম এম মাহবুব হাসান। এ সময় তিনি তরুণদের উন্নয়ন এবং আর্থিক সাক্ষরতার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় (ইডব্লিউইউ)-এর প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিক মোসাদ্দেক; অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ চৌধুরী; স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্ট ও ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেন্টারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ইসমাত শিরিন; সহকারী অধ্যাপক মো. ফারহান ফারুকী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারের প্রধান আকর্ষণ ছিল প্রাইমএকাডেমিয়া’র অংশ হিসেবে ‘প্রাইম ইয়ুথ অ্যাকাউন্ট’—যা বিশেষভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য পরিকল্পিত। শিক্ষার্থীদের প্রাথমিকভাবে আর্থিকভাবে দায়িত্বশীল করে গড়ে তুলতে এই অ্যাকাউন্ট সহজভাবে ব্যাংকিং যাত্রা শুরু করার সুযোগ করে দেয়। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা সরাসরি অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা গ্রহণ করে আধুনিক ব্যাংকিং সেবার অভিজ্ঞতা নেন।
প্রাইম ব্যাংকের প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক সাক্ষরতা এবং তরুণবান্ধব উদ্ভাবন বিষয়ে ব্যাংকের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তারা উল্লেখ করেন, আগামী প্রজন্মকে ব্যাংকিং প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করা প্রাইম ব্যাংকের কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলার দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
এছাড়া, সেমিনারে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়ার পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্ব বিশেষভাবে আলোচিত হয়। ভবিষ্যতে শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক আরও উদ্যোগ, গবেষণা সহযোগিতা ও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণে প্রাইম ব্যাংক ও ইডব্লিউইউ উভয়ই দৃঢ় আগ্রহ প্রকাশ করে।
প্রাইমএকাডেমিয়া উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই সেমিনার প্রমাণ করে যে, প্রাইম ব্যাংক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ আর্থিক সেবা কাঠামো গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ—যার আওতায় রয়েছে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ব্যাংকিং, ডিজিটাল ফি সংগ্রহ, পেরোল সেবা, স্কুল ব্যাংকিং এবং শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক কাস্টমাইজড অ্যাকাউন্ট—সবই একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্মের অধীনে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় দেশের সম্ভাবনাময় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
‘স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম (এসআইসিআইপি)’–এর আওতায় উদ্যোক্তাদের জন্য এই সক্ষমতা বৃদ্ধি কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের ক্ষুদ্র, কুটির, ছোট ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতের নতুন উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়ন করা হবে।
২৫ আগস্ট ২০২৫ ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ‘উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচি’ শীর্ষক এ বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির প্রথম ব্যাচের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা এবং অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও এসআইসিআইপি-এর নির্বাহী প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক নওশাদ মোস্তফা, একই ডিপার্টমেন্টের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ও অতিরিক্ত পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম এবং ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের আয়োজনে এক মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন সিএমএসএমই উদ্যোক্তারা। প্রশিক্ষণে বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করবেন বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকরা। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করা হবে, যা তাঁদের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও টেকসইতা অর্জনে সহায়ক হবে।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)-এর অর্থায়নে পরিচালিত হবে। এটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের এসআইসিআইপি প্রকল্প এবং বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট।
এই উদ্যোগের ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “এসএমই-কেন্দ্রিক ব্যাংক হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক সবসময় নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করে। তাঁদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য নিবিড় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করে থাকি আমরা। এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন দেশের তৃণমূল উদ্যোক্তা উন্নয়নে আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”
তিনি আরও বলেন, “এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করবেন, যা তাঁদের ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ উদ্যোগ দেশের অর্থনীতির গতি আরও বাড়িয়ে দেবে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ইমপ্যাক্টফুল কর্মসূচি আয়োজনের সুযোগ পেয়ে আমরা গর্বিত ও কৃতজ্ঞ।”
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ২৮৫টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৮ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। আঠারো লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৩ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তরুণ উদ্যোক্তা ও পেশাজীবীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো ‘দ্য ওয়ে’ বা ‘আগামীর পথ’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল অংশগ্রহণমূলক বক্তৃতা, প্যানেল আলোচনা, বিতর্ক, তরুণদের উদ্ভাবিত উদ্যোগের পাশাপাশি ব্র্যাকের বিভিন্ন কর্মসূচির প্রদর্শন, চলচ্চিত্র প্রদর্শন, মিউজিক থেরাপিসহ নানা অনুষ্ঠান। ২৪শে আগস্ট ২০২৫, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে ব্র্যাক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্ব, উদ্ভাবন ও অ্যাডভোকেসির মতো নানা কাজে যুক্ত হতে উৎসাহিত করা এবং তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি ব্র্যাক ইয়ুথ প্রোগ্রামের সদস্য, তরুণ পেশাজীবী, উন্নয়ন সহযোগী, গণমাধ্যম এবং ব্র্যাক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরাও এতে অংশ নেন।
দিনের শুরুতে ‘দ্য সায়েন্স অফ ফাইন্ডিং আ ওয়ে’ শীর্ষক সেশনে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ বলেন, সমাজ যা বলছে সেই গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ না থেকে তরুণরা যে যেই পেশাতেই থাকুক না কেন, তারা পরিবর্তনের পথ দেখাতে পারেন।
তিনি বলেন, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে লক্ষ্য অনুসরণ করতে হবে কারণ পরিবর্তনের উদ্যোগগুলো নিয়ে কাজ শুরু হলে তা স্বাভাবিকভাবেই অংশীদার এবং রিসোর্সকে আকৃষ্ট করে। ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদের যাত্রা এবং ব্র্যাকের ‘সল্যুশন ইকোসিস্টেম’ বা সমাধান কাঠামো, যেখানে উন্নয়ন কর্মসূচি এবং সামাজিক উদ্যোগগুলো একসাথে কাজ করছে, সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আসিফ সালেহ্ বলেন, উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকাটা খুবই জরুরি। সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে হলে তার জন্য দীর্ঘ অধ্যবসায় প্রয়োজন এবং দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হলে একই সাথে অ্যাকটিভিজম, পলিসি, উন্নয়ন এবং এর বাণিজ্যিক দিকগুলোকেও সন্নিবেশিত করতে হবে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার এই অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে বলেন, দানেই প্রকৃত পরিতৃপ্তি। আমরা যখন নিজেদের ঘাটতিগুলো চিহ্নিত করতে পারি এবং সেগুলো পূরণের জন্য সৃজনশীল সমাধান খুঁজে পাই, তখনই এটি সম্ভব হয়। নিজের, সমাজের এবং দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে প্রায়ই হতাশা জন্ম নেয়। তবে অন্যদের সঙ্গে তুলনায় না গিয়ে নিজের ভেতরের স্বকীয়তাকে খুঁজে বের করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ অন্যের মঙ্গলে অবদান রাখার মাধ্যমেই নিজেকে সমৃদ্ধ করা যায়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের পিপল, কালচার অ্যান্ড কমিউনিকেশনস-এর ঊর্ধ্বতন পরিচালক মৌটুসী কবীর এবং শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন ও অভিবাসন কর্মসূচির পরিচালক সাফি রহমান খান। অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার আরিফুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড, লার্নিং অ্যান্ড টিচিং ইনোভেশন সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির, ডিরেক্টর অফ কমিউনিকেশন্স খায়রুল বাশার, অপারেশনস ডিরেক্টর সাজেদুল করিম, স্টুডেন্ট লাইফ-এর জয়েন্ট ডিরেক্টর তাহসিনা রহমান।
‘স্পার্কটক’ পর্বে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়ন থেকে আসা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ঐতি রায় তুলে ধরেন তার জীবন ও সংগ্রামের গল্প। এ ছাড়া ব্র্যাকের নগর উন্নয়ন কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাহিনুর সাইফ এ সময় বক্তব্য রাখেন।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ডিবেট ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় সংসদীয় ব্যবস্থার আদলে বিতর্ক প্রতিযোগিতা। পরে ‘বিয়ন্ড ওয়ান ওয়ে’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দ্য ডেইলি স্টারের চিফ বিজনেস অফিসার তাজদীন হাসান, মাম্মিকিডস এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত আনজুম পলকা এবং ইটস হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বাশিরা হারুন এতে অংশ নেন। ‘দ্য ওয়ে অফ হারমনি’ শীর্ষক সেশনে ছিল আরমিন মুসা ও তাঁর দলের সম্মিলিত মিউজিক থেরাপি পরিবেশনা। এ ছাড়া ‘ডিজাইন কোয়েস্ট: সলভ ফর সোসাইটি’ শীর্ষক সেশন পরিচালনা করে শিশুদের জন্য খেলাভিত্তিক শিক্ষার সোশ্যাল স্টার্ট ‘মেকা টিম’।
এ ছাড়াও ছিল তরুণ উদ্ভাবকদের পাশাপাশি ব্র্যাকের নানা উদ্যোগের প্রদর্শন। ব্র্যাকের পক্ষ থেকে ওয়াটার হ্যাকাথন এবং আমরা নতুন নেটওয়ার্কের অংশগ্রহণকারীরা উপস্থাপন করেন তিনটি প্রকল্প—যত্নের দোকান, ইকো কেয়ার এবং উজ্জীবন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিক্স ক্লাব এবং এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ইনোভেশন ক্লাবের উদ্যোগে প্রদর্শিত হয় প্রযুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে পাঁচটি প্রকল্প।
ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচি (সিসিপি); নগর উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউডিপি), ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অফ এডুকেশনাল ডেভেলপন্ট (বিআইইডি), ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচি (আইডিপি) ও আল্ট্রা পুওর গ্র্যাজুয়েশন (ইউপিজি) কর্মসূচি, সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনগত সুরক্ষা কর্মসূচি (সেলপ) এবং ব্র্যাক লিম্ব অ্যান্ড ব্রেস সেন্টারের (বিএলবিসি) নানা উদ্যোগ ও সেবাগুলো এখানে তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সহায়তার জন্য ‘মনের যত্ন’ এবং ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে তাদের বৈশ্বিক কার্যক্রমের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়।
‘অলওয়েজ অ্যা ওয়ে-দ্য হিউম্যান লাইব্রেরি’ শীর্ষক আয়োজনে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থীরা এবং ব্র্যাক ইয়াং প্রফেশনাল প্রোগ্রাম ও আমরা নতুন নেটওয়ার্কের সদস্যরা তাদের অভিজ্ঞতা ও জীবনের গল্পগুলো তুলে ধরেন। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ফিল্ম ক্লাব দেশি ও আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি আর্ট অ্যান্ড ফটোগ্রাফি ক্লাবের উদ্যোগে স্থাপিত গ্রাফিতি ওয়ালে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ইচ্ছেমতো রং দিয়ে তাদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাগুলো তুলে ধরেন। অন্যদিকে ‘ব্র্যাক-ইউ এক্সপ্রেস’-এর পক্ষ থেকে তরুণদের মতামতগুলো ভিডিও সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে ধারণ করা হয়, যেখানে তরুণরা খোলামেলাভাবে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন।
অনুষ্ঠানস্থলে স্থাপিত ‘দ্য ওয়ে’ বুথগুলো তরুণদের ব্র্যাকের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহনশীল ও সৃজনশীল উদ্ভাবনের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে তরুণদের পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে প্রস্তুত করার জন্য ব্র্যাকের প্রতিশ্রুতিকেই পুনর্ব্যক্ত করে ‘দ্য ওয়ে’।
পদ্মা ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ১২৯ তম সভা ২১ আগস্ট বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোঃ শওকত আলী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পদ্মা ব্যাংকের পর্ষদ সভায় অন্যান্য পরিচালকবৃন্দের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, তামিম মারজান হুদা, স্বতন্ত্র পরিচালক মোঃ রুকুনুজ্জামান, ব্যারিস্টার-এট-‘ল এবং এএইচএম আরিফুল ইসলাম এফসিএ। সভা পরিচালনা করেন পদ্মা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোঃ তালহা (চলতি দায়িত্বে)।
বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সম্প্রতি সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডিলার মিট আয়োজন করেছে। নলেজ শেয়ারিং সেশনের মাধ্যমে বিশ্বের নতুন নতুন টেকনোলজি, ওয়ালটনের নতুন ও আপকামিং প্রযুক্তিপণ্য, ব্যবসায়িক সুবিধা এবং আকর্ষণীয় অফারসহ কিভাবে ক্রেতাদের আরো বেশি সেবা দেয়া যায়, সেসব বিষয় নিয়ে প্রযুক্তিপণ্যের ব্যবসায়ীদের বিশেষভাবে অবহিত করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যেই রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহর চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও কুমিল্লায় এসব অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ডিলাররা ওয়ালটনের কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মনিটর, প্রিন্টারসহ বিভিন্ন আইটি পণ্যের বিস্তারিত তথ্য জানার সুযোগ পাচ্ছেন। পাশাপাশি বিশেষ ছাড়, প্রোমোশনাল সুবিধা ও ডিলারশিপের সুযোগ সম্পর্কেও তাঁদের অবহিত করা হচ্ছে। রিফারব্রিশড পণ্য সম্পর্কে ক্রেতাদের সচেতন করার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, এই আয়োজন ডিলারদের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার পাশাপাশি দেশের আইটি ব্যবসার গতি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানগুলোতে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ছাড়াও আইটি ব্যবসায়ী সমিতির সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকছেন। তাঁরা মনে করেন, ওয়ালটনের এ ধরনের উদ্যোগ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
ওয়ালটন কম্পিউটারের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ বলেন, "গ্রাহকদের সর্বোচ্চমানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিপণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে প্রদানের পাশাপাশি তাদের কাঙিক্ষত সেবা দেয়াই আমাদের লক্ষ্য। ক্রেতাদের সঙ্গে আমাদের সেতুবন্ধন হিসেবে ডিলারগণ কাজ করেন। ক্রেতাদের চাহিদা আরো ভালো করে বুঝতে এবং তাদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করতে এই আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি রিফারব্রিশড পণ্য সম্পর্কে ক্রেতাদের সচেতন করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। সারা বছরব্যাপী আমাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।”