সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ও নিম্ন আয়ের মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের দাঁতের চিকিৎসা সুনিশ্চিত করতে গত শুক্রবার রাজধানীর লালবাগে আয়োজন করা হয় ‘ফ্রি ডেন্টাল ক্যাম্প: স্মাইল এইড-ওরাল কেয়ার ইনিশিয়েটিভ’।
জেসিআই বাংলাদেশের তিনটি লোকাল সংগঠন জেসিআই ঢাকা এইস, জেসিআই ঢাকা ইম্প্যাক্ট, জেসিআই ঢাকা প্রিমিয়ার ও হিউম্যানিটি সার্ভিসেস বাংলাদেশের উদ্যোগে এক হাজার জনের জন্য এই ফ্রি ক্যাম্পটির আয়োজন করা হয়।
সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এ সেবাকার্যক্রম চলে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। ৭০ জন ডেন্টিস্টদের সহযোগিতায় সকাল থেকেই শিশু-বৃদ্ধসহ অসংখ্য নারী-পুরুষকে দাঁতের চিকিৎসা দেওয়া হয়। ডেন্টাল চেক আপ থেকে শুরু করে, দাঁত এক্সট্রাকশন, ফিলিং, স্কেলিং, মেডিসিন সবই প্রদান করা হয় বিনামূল্যে।
ক্যাম্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেসিআই বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমরান কাদির।
দেশের কৃষি-প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইফারমারের নিবন্ধিত এগ্রি-রিটেইলারদের ডিজিটাল অর্থায়ন সুবিধা ‘সাফল্য’ দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির সাথে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
এই সহযোগিতার ফলে আইফারমার সেন্টারের রিটেইলাররা সরাসরি ব্র্যাক ব্যাংকের ‘সাফল্য’ প্ল্যাটফর্ম থেকে নিজেদের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল নিতে পারবেন। এটিই দেশের প্রথম এসএমই ডিজিটাল লেন্ডিং উদ্যোগ। ব্র্যাক ব্যাংকের ‘সুবিধা’ অ্যাপ এবং আইফারমারের ‘কৃশপ’ অ্যাপ ব্যবহার করে রিটেইলাররা এই ডিজিটাল লোন নিতে পারবেন, যা অত্যন্ত সহজ, দ্রুত ও ঝামেলাহীন।
এই উদ্যোগটি এগ্রি-ইনপুট রিটেইলারদের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সংকট মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি ইনপুট সংগ্রহে রিটেইলারদের তাৎক্ষণিক পেমেন্ট নিশ্চিত করবে। এটি অনানুষ্ঠানিক ঋণ নির্ভরতা কমাবে এবং ফসল রোপণ ও কাটার মৌসুমে তাঁদের কার্যক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে।
৪ নভেম্বর ২০২৫ ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন এবং আইফারমরারে কো-ফাউন্ডার অ্যান্ড সিইও ফাহাদ ইফাজ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই চুক্তির বিষয়ে সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, “বাংলাদেশের এসএমই ফাইন্যান্সিংয়ের রূপ বদলে দিচ্ছে ‘সাফল্য’। আইফারমারের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব ইনপুট রিটেইলারদের আনুষ্ঠানিক অর্থায়ন সুবিধার আওতায় এনে তাঁদের জন্য ইনস্ট্যান্ট ও সম্পূর্ণ ডিজিটাল ঋণসুবিধা নিশ্চিত করবে। আমাদের এই উদ্যোগ গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন করবে এবং দেশের কৃষিভিত্তিক সাপ্লাই চেইনকে আরও শক্তিশালী করবে।”
ফাহাদ ইফাজ বলেন, “আমাদের এগ্রি-ইনপুট রিটেইলাররা দেশের কৃষি ইকোসিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ব্র্যাক ব্যাংকের সঙ্গে এই সহযোগিতা তাঁদের ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের প্রয়োজনীয়তা পূরণের পাশাপাশি দেশের কৃষিব্যবস্থাকে আরও গতিশীল করবে।”
এই উদ্যোগটি ডিজিটাল উদ্ভাবনের মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও গ্রামীণ উদ্যোক্তারা যাতে দ্রুত ও সহজে নিরাপদ অর্থায়ন সুবিধা উপভোগ করতে পারে, সে লক্ষ্যে ব্যাংকটির উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ৩০২টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১১৯টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
নারীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, সঞ্চয় অভ্যাসের বিকাশ এবং দীর্ঘমেয়াদী ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে সীমান্ত ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে ”নারী সঞ্চয় একাউন্ট” উদ্বোধন করেছে। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যাংকের নারী কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সীমান্ত ব্যাংকের নতুন এই বিশেষায়িত সঞ্চয়ী একাউন্ট নারীদের নিরাপদ, সুবিধাজনক এবং অধিক লাভজনক উপায়ে আর্থিক লেনদেন পরিচালনায় সহায়তা করবে। এই একাউন্টের গ্রাহকদের প্রচলিত সঞ্চয়ী হিসাবের তুলনায় ১% অতিরিক্ত ইন্টারেস্ট, বিনামূল্যে প্রথম চেকবই, দুই বছরের ডেবিট কার্ড ফি মওকুফ, পার্সোনাল লোন ও নারী উদ্যোক্তা ঋণের প্রসেসিং ফি-তে ৫০% ছাড় এবং ১ লাখ টাকার একাউন্টে ১ হাজার টাকার ক্যাশব্যাক সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
নারীদের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রযুক্তি নির্ভর, নির্ভরযোগ্য এবং গ্রাহককেন্দ্রিক সেবা প্রদানে সীমান্ত ব্যাংক ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ”নারী সঞ্চয় একাউন্ট” উদ্বোধন ব্যাংকের সেই অঙ্গীকারকে আরও শক্তিশালী করে, যার উদ্দেশ্য প্রতিটি নারীকে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) দেশের সর্বত্র উচ্চমানের সিএমএ পেশাগত শিক্ষা পৌঁছে দিতে একটি বৃহৎ ডিজিটাল রূপান্তর উদ্যোগের উদ্বোধন করেছে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো দেশের শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য সাশ্রয়ী, সহজলভ্য এবং আধুনিক শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা।
২ ডিসেম্বর ঢাকার নীলক্ষেতস্থ আইসিএমএবি ভবনে ডিজিটাল ক্লাসরুমের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। এই ডিজিটালাইজেশন উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা লাইভ ও রেকর্ডেড ক্লাস, উন্নত একাডেমিক রিসোর্স এবং সমানমানের শিক্ষা পাবেন, দেশের যেকোনো স্থান থেকেই। এ উদ্যোগ দক্ষ পেশাজীবী তৈরি এবং দেশের আর্থিক, শিল্প ও করপোরেট খাতে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী জনাব ফায়েজ আহমাদ তাইয়েব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খাইরুজ্জামান মজুমদার এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর চেয়ারম্যান জনাব মো. আবদুর রহমান খান এফসিএমএ ।
আইসিএমএবি প্রেসিডেন্ট জনাব মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এফসিএমএ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া কাউন্সিল সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক, প্রশিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আইসিএমএবি-এর সভাপতি জনাব মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এফসিএমএ বলেন, “আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার মাধ্যমে আমরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত সমান মানের সিএমএ শিক্ষা পৌঁছে দিতে চাই। সিএমএ ডিগ্রি একটি শক্তিশালী এবং সাশ্রয়ী বিকল্প হতে পারে প্রচলিত এমবিএ ডিগ্রির তুলনায় – যা বাস্তবমুখী, শিল্প-প্রাসঙ্গিক দক্ষতা গড়ে তোলে। আমাদের সাথে যে সকল স্পনসর সবসময় থেকেছেন এবং শিক্ষায় বিনিয়োগ করছেন, তাদের প্রতি আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। তাদের সহযোগিতাই আমাদেরকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ভবিষ্যৎমুখী পেশাজীবী কমিউনিটি গড়ে তুলতে সহায়তা করছে।”
উদ্যোগটিকে সফল করতে ইউনাইটেড গ্রুপ, বিএসআরএম, ইস্পাহানি গ্রুপ এবং টিকে গ্রুপসহ শীর্ষস্থানীয় করপোরেট প্রতিষ্ঠানসমূহ সহযোগিতা করছে।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যকেন্দ্র যশোরে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলো কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি -এর ১৯তম শাখা। বুধবার সকালে যশোর শহরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা আরএন রোডে নতুন শাখাটির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন কমিউনিটি ব্যাংকের সম্মানিত পরিচালক ও বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি (অ্যাডমিন) জনাব এ কে এম আওলাদ হোসেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের সম্মানিত পরিচালক ও বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি জনাব আহম্মদ মুঈদ, বিপিএম (সেবা)। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) জনাব কিমিয়া সাআদত; চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) জনাব সামসুল হক সুফিয়ানী; হেড অব সিআরএম জনাব হাসি রানী বেপারী; চিফ ইনফরমেশন টেকনোলজি অফিসার (সিআইটিও) জনাব মো: তানজীম মোর্শেদ ভূঁইয়া; হেড অব অপারেশন্স জনাব শরফুদ্দিন মোঃ রেদওয়ান পাটওয়ারী; হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং ও হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মো. আরিফুল ইসলাম; হেড অব এডিসি ও হেড অব এমডি’স কোঅর্ডিনেশন টিম জনাব মো. মামুন উর রহমান; হেড অব জিএসডি (চলতি দায়িত্ব) জনাব জাহিদ ইবনে আনোয়ার এবং যশোর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার জনাব মো. রোকনুজ্জামানসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গ্রাহকেরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব এ কে এম আওলাদ হোসেন বলেন, “যশোর বাংলাদেশের প্রাচীনতম ও সমৃদ্ধ জেলা। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মতো এখানকার অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও অসীম। বেনাপোল স্থলবন্দর, নওয়াপাড়া শিল্পাঞ্চল, গদখালী ফুলচাষ, উন্নত কৃষি, মাছের হ্যাচারি -সব মিলিয়ে এই অঞ্চল জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কমিউনিটি ব্যাংকের এই নতুন শাখা যশোরের ব্যবসা-বাণিজ্যকে আরও গতিশীল করবে।”
বিশেষ অতিথি জনাব আহম্মদ মুঈদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, “কমিউনিটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যই ছিল জনগণের ব্যাংকিং সেবা সহজ করা। যশোরসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।”
ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) জনাব কিমিয়া সাআদত বলেন, “যশোর অঞ্চলের কৃষি, এসএমই, আমদানি–রপ্তানি, শিল্পখাত ও সেবা খাতকে কেন্দ্র করে আমরা বিশেষায়িত ব্যাংকিং সেবা প্রদান করব। আমাদের সেভিংস অ্যাকাউন্ট, বিজনেস অ্যাকাউন্ট, ডিপিএস-এফডিআর, পার্সোনাল-হোম-কার লোন, ট্রেড ফাইন্যান্স, সিএসএমই প্রোডাক্ট এবং ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে চাই।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, যশোরের বিশাল বাণিজ্যিক সম্ভাবনা কাজে লাগাতে কমিউনিটি ব্যাংক এখানে এসএমই উদ্যোক্তা, কৃষক, ফুলচাষী, শিল্পোদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও সাধারণ গ্রাহকদের জন্য সহজ, দ্রুত এবং নিরাপদ ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করবে।
উদ্বোধন শেষে অতিথিবৃন্দ শাখার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। শাখাটি চালু হওয়ায় যশোরবাসীর ব্যাংকিং প্রয়োজন আরও সহজ হবে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও গ্রাহকেরা আশা প্রকাশ করেন।
প্রাইম ব্যাংক পিএলসি-এর আয়োজনে “বার্ষিক রিস্ক কনফারেন্স ২০২৫” সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীর নিকুঞ্জে প্রাইম টাওয়ারের মেরিনা ইয়াসমিন চৌধুরী কনফারেন্স হলে কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন (DOS)-এর পরিচালক এ.এন.এম. মইনুল কবির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।একই বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক সুরভি ঘোষ বিশেষ অতিথি এবং যুগ্ম পরিচালক নাজমিন নাহার রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত থেকে অংশগ্রহণকারীদের মূল্যবান দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
স্বাগত বক্তব্যে প্রাইম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হাসান ও. রশীদ প্রোঅ্যাকটিভ রিস্ক কালচার গড়ে তুলতে এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্য রেখে টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্রাইম ব্যাংকের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ, এক্সিকিউটিভ রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যগণ এবং রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ফোরামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও প্রাইম ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ বিজনেস অফিসার ফয়সাল রহমান; ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ রিস্ক অফিসার মো. জিয়াউর রহমান; ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজিম এ. চৌধুরী এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইকবাল হোসেন।
সেশনে অভিজ্ঞ কেন্দ্রীয় ব্যাংকাররা রিস্ক ম্যানেজমেন্ট নীতি, রিস্ক-বেসড সুপারভিশন (আরবিএস), এক্সপেক্টেড ক্রেডিট লস (ইসিএল) এবং ব্যাংকিং খাতের চলমান চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তারা প্রাইম ব্যাংকের শক্তিশালী রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কাঠামো এবং দৃঢ় রিস্ক কালচার বজায় রাখার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
প্রাইম ব্যাংকের হেড অব রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কাজী নাঈম মোরশেদ ব্যাংকের অপারেশনাল রিস্ক ম্যানেজমেন্ট চর্চা, ঝুঁকি শনাক্তকরণে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ এবং উদীয়মান ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি জোরদারের চলমান উদ্যোগ সম্পর্কে উপস্থিতদের অবহিত করেন।
অনুষ্ঠানে শীর্ষ প্রোঅ্যাকটিভ রিস্ক আইডেন্টিফায়ারদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। তারা ব্যাংকের রিস্ক কালচারকে আরও শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
সমাপনী বক্তব্যে প্রাইম ব্যাংকের ডিএমডি ও সিআরও মো. জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাবৃন্দসহ কনফারেন্সে অংশগ্রহণকারী প্রাইম ব্যাংকের সকল কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এসময় তিনি ঝুঁকি প্রোঅ্যাকটিভভাবে ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দলগত কাজ ও সমন্বয়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি উদ্ভবের আগেই তা মোকাবিলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো আজ আনুষ্ঠানিকভাবে অপো এ৬ স্মার্টফোন বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে। আজকের দ্রুতগতি-সম্পন্ন ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী নতুন প্রজন্মের লাইফস্টাইলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। ও’ ফ্যানস ফেস্টিভাল ২০২৫-এর পূর্ণ উত্তেজনার মধ্যেই সুবিশাল ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং সারাদিনের স্মুথ পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ অপো এ৬’র যাত্রা শুরু হলো।
অপো এ৬’র দীর্ঘস্থায়ী পাওয়ারের মূল কেন্দ্র হলো এর সুবিশাল ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, যা ব্যবহারকারীদের অবাধ বিচরণ ও সবসময় কানেক্টেড থাকার নিশ্চয়তা দেয়। দীর্ঘ দিন ও দীর্ঘ রাতের জন্য ডিজাইন করা এই ব্যাটারি বাস্তব-বিশ্বে ব্যবহারের উপযোগী; এটি ২৯.৭৩ ঘন্টা পর্যন্ত একটানা ইউটিউব প্লেব্যাক ও ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমো ভয়েস কলের নিশ্চয়তা দেয়। অপো এ৬ দীর্ঘস্থায়িত্বের জন্য বিশেষভাবে তৈরি; ডিভাইসটি পাঁচ বছর স্বাভাবিক ব্যবহারের পরেও এর ব্যাটারি ৮০ শতাংশেরও বেশি সক্ষম থাকবে।
অপো এ৬’র আইপি৬৯ রেটিং এই দীর্ঘস্থায়িত্বের মানকে আরও বাড়িয়ে তোলে, যা এটিকে এই ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে স্থিতিস্থাপক ডিভাইসগুলোর মধ্যে একটি করে তুলেছে। এটি উচ্চচাপের পানির জেট, পানিতে ডোবা, গরম পানি বা প্রতিদিনের পানি থেকে ফোনটিকে সুরক্ষিত রাখে। এর ইউনিবডি মিড-ফ্রেম এবং মাইক্রোফোন ও স্পিকারকে সুরক্ষা-প্রদানকারী পানিরোধী ব্রেথেবল মেমব্রেন সহ প্রিসিশন সিল, অপো এ৬-কে দৈনন্দিন জীবনের ১৮ প্রকারের তরল, যেমন চা, কফি, দুধ, সাবান পানি ও এমনকি গরম ঝর্ণার পানি থেকেও সুরক্ষিত রাখতে পারে।
বাস্তব-বিশ্বের পরিস্থিতিতে স্বাচ্ছন্দ্য ব্যবহার নিশ্চিতে অপো এ৬-এ রয়েছে অপটিমাইজড টাচ চিপ অ্যালগরিদম ও স্প্ল্যাশ টাচ মোড, যা স্ক্রিনে পানি বা হালকা তেল থাকলেও এর স্মুথ অপারেশন নিশ্চিত করে। ডিভাইসটিতে রিভার্স চার্জিং ফিচার রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনে অন্যান্য স্মার্টফোন বা ইয়ারবাডে চার্জ দেয়ার সুযোগ করে দেয়।
অপো এ৬-এ ৫০ মেগাপিক্সেল রেয়ার ক্যামেরা ও ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে, যেখানে এআই ইরেজার ২.০-এর মতো সর্বাধুনিক এআইজিসি (এআই জেনারেটিভ কনটেন্ট) ফিচার ব্যবহার করে ছবির অবাঞ্ছিত বস্তু মুছে ফেলা যায়; এবং এআই ক্ল্যারিটি এনহ্যান্সারের মাধ্যমে ক্রপ করা ছবিগুলোর বিস্তারিত তথ্য পুনরুদ্ধার করা যায়। এর ডুয়েল-ভিউ ভিডিও ফিচার ব্যবহারকারীদের একই সময়ে ফ্রন্ট ও রেয়ার ক্যামেরা, এই দুটি দিয়েই রেকর্ড করতে দেয়, যা কনটেন্ট তৈরিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
অপো এ৬ অরোরা গোল্ড ও স্যাফায়ার ব্লু’র মতো অনন্য দুটি রঙে নিয়ে আসা হয়েছে। ডিভাইসটি দুইটি ভেরিয়েন্টে বাজারে এসেছে, অপো এ৬ (৬ জিবি + ১২৮ জিবি) যার দাম মাত্র ২৪,৯৯০ টাকা এবং অপো এ৬ (৮ জিবি + ১২৮ জিবি) যার দাম মাত্র ২৬,৯৯০ টাকা।
যে সকল ক্রেতা অপো এ৬ প্রি-অর্ডার করছেন, তারা ও’ ফ্যানস ফেস্টিভাল লটারি অফারে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। এছাড়াও, মিলিয়ন টাকা ড্রিম ট্রিপ, বাই ওয়ান গেট ওয়ান, অপো এনকো বাডস৩ প্রো, অপো ওয়াচ এক্স২, রুম হিটার বা প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্য নিশ্চিত উপহার হিসেবে উইন্টার হুডি সহ নানান আকর্ষণীয় পুরস্কার জেতার সুযোগ রয়েছে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশের সকল অফিসিয়াল অপো স্টোর ও অনুমোদিত ডিলারদের কাছে পাওয়া যাবে অপো এ৬। আরও বিস্তারিত জানতে অপো বাংলাদেশের ওয়েবসাইট https://www.oppo.com/bd/smartphones/series-a/a6/ বা অপোর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/OPPOBangladesh ভিজিট করুন।
আজ ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫। দিনাজপুরের সাবেক 'সুরেন্দ্রনাথ কলেজ'-এর স্বনামধন্য অধ্যাপক, বাংলাদেশ স্বাধীনতার সনদ পাঠকারী, মুজিব নগর সরকারের শপথ গ্রহণকারী, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী-এর ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী।
এই উপলক্ষ্যে মরহুমের দিনাজপুরস্থ নিজ গ্রামের বাড়িতে দোয়া মাহফিল ও বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। মরহুমের পরিবারের পক্ষ হতে তাঁর রম্নহের মাগফিরাত কামনা জন্য আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ সবাইকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে ।
মঙ্গলবার রাজধানীতে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন (বিএইচবিএফসি) সদর দফতর মসজিদে বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় এক বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ এ দোয়া অনুষ্ঠানে বিএইচবিএফসি পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জনাব এ এস এম আব্দুল হালিম মোনাজাতপূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় গণতন্ত্র তথা মানুষের মুক্তির সংগ্রামে বেগম জিয়ার আপোষহীন দীর্ঘ সংগ্রাম বিষয়ে আলোকপাত করেন। বিএইচবিএফসি'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মো. আব্দুল মান্নান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মো. নূর আলম সরদারসহ প্রতিষ্ঠানটির সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী এ দোয়া ও মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
সিটি ব্যাংক সম্প্রতি মিজানুর রশীদকে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ব্যাংকটির ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের চিফ বিজনেস অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
মিজানুর রশীদ ফিনটেক এবং কনজিউমার প্যাকেজড গুডস খাতে ৩০ বছরেরও বেশি বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। ব্যবসায়ের আকার বৃদ্ধি ও স্থায়ী প্রবৃদ্ধি অর্জনে তাঁর প্রমাণিত সাফল্য রয়েছে।
তিনি এর আগে বিকাশ লিমিটেডে চিফ কমার্শিয়াল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, যেখানে তিনি বিকাশ লিমিটেড ও এর গ্রাহকদের জন্য একটি শক্তিশালী ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তার আগে তিনি ইউনিলিভারের বাংলাদেশ, ভারত ও উপসাগরীয় অঞ্চলে বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেন এবং বাংলাদেশের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকা-তেও বিভিন্ন পদে কাজ করেন।
সিটি ব্যাংক বিশ্বাস করে, মিজানুর রশীদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও কৌশলগত দক্ষতা ব্যাংকের ডিজিটাল রূপান্তরের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
মিজানুর রশীদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি সম্পন্ন।
বাংলাদেশের মানুষের জন্য নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের সুযোগ আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে ওয়াটার ডট ওআরজির সাথে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। এই উদ্যোগটি ব্র্যাক ব্যাংকের সোশ্যাল বন্ড উদ্যোগকে আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি সারাদেশে ওয়াটার, স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন (ওয়াশ) ফাইন্যান্সিংকে আরও সম্প্রসারিত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
২০২৪ সালের জুন মাসে ওয়াটার ডট ওআরজির সাথে কাজ শুরু করার মাধ্যমে দেশের প্রথম ব্যাংক হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক, পানি ও স্যানিটেশন সুবিধার জন্য বিশেষায়িত অর্থায়ন সুবিধা চালু করে। এই ঋণসুবিধার মাধ্যমে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠান এবং গ্রামীণ পরিবারগুলো কম খরচে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা ও উন্নত স্যানিটেশন সুবিধায় বিনিয়োগ করতে পারবে, যা দেশের অনগ্রসর অঞ্চলে জনস্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
ওয়াশ সুবিধা সম্প্রসারণের পাশাপাশি ব্র্যাক ব্যাংকের সোশ্যাল বন্ড ফ্রেমওয়ার্ক দেশের সার্বিক সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার লক্ষ্যে ডিজাইন করা হয়েছে। এখানে উল্লেখযোগ্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে সিএমএসএমই খাতে অর্থায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা, সাশ্রয়ী আবাসন ও জনস্বাস্থ্যসহ জরুরি সেবায় সহায়তা।
ব্র্যাক ব্যাংক যে সোশ্যাল বন্ড ইস্যু করবে, তার মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দেশের মৌলিক সেবা বিস্তারে সহায়তার পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে। এতে সিএমএসএমই খাত, বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অর্থায়ন করা হবে। পাশাপাশি কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা এবং ওয়াশ–কেন্দ্রিক উদ্যোগগুলোও এই সহায়তার আওতায় আসবে।
পানি ও স্যানিটেশন খাতে ব্র্যাক ব্যাংকের ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ ইতিমধ্যে হাজার হাজার পরিবার ও উদ্যোক্তাকে সহায়তা করেছে, যা তাঁদের জীবনমানে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। ওয়াটার ডট ওআরজির সাথে সাথে নতুন এই উদ্যোগটি আরও অনেক পিছিয়ে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কাছে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা পৌঁছে দেবে।
১৭ নভেম্বর ২০২৫ ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন এবং ওয়াটার ডট ওআরজির সাউথ এশিয়ার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সাজিত অমিত।
এই চুক্তির বিষয়ে সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, “আমাদের সোশ্যাল বন্ড ওয়াশ অর্থায়নকে আরও বড় পরিসরে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য সামাজিক প্রভাব সৃষ্টি করবে। ওয়াটার ডট ওআরজির সাথে ওয়াশ ফ্যাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং মডেল গড়ে তুলছি, যা মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখবে। এই উদ্যোগ আমাদের টেকসইতা, উদ্ভাবন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির ব্যাপারে ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”
উল্লেখ্য, ওয়াটার ডট ওআরজি একটি আন্তর্জাতিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, যারা বাজারভিত্তিক সল্যুশনের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিতে সাশ্রয়ী অর্থায়ন সুবিধা পেতে সহায়তা করে। তাদের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে আফ্রিকা, এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার প্রায় ৬ কোটি মানুষ নিরাপদ পানি ও উন্নত স্যানিটেশন সুবিধার আওতায় এসেছে।
Interior Designers Association of Bangladesh (IDAB) দেশের ইন্টেরিয়র ডিজাইন পেশার উৎকর্ষতাকে সামনে নিয়ে আসার জন্য আয়োজন করেছে মর্যাদাপূর্ণ “IDAB Excellence in Interior Design Award 2024”। যেখানে, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চারটি ক্যাটাগরিতে দেশের সেরা ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানটি আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল-এ অনুষ্ঠিত হয়। বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, স্থাপত্য ও ইন্টেরিয়র সেক্টরের শীর্ষ কন্সালট্যান্টরা, পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, সংশ্লিষ্ট সেক্টরের প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সম্মানিত অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ভাষণে IDAB-এর প্রেসিডেন্ট সৈয়দ কামরুল আহসান বলেন, বাংলাদেশের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের পরিধি দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং এই ক্ষেত্রটি এখন সৃজনশীলতা, আধুনিক নকশা ভাবনা এবং দেশীয় ঐতিহ্যের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক মান অর্জনের পথে অগ্রসর। তিনি আরো জানান, প্রতি বছর এই অ্যাওয়ার্ড আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিভাবান ডিজাইনারদের স্বীকৃতি প্রদান, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইন সেক্টরকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়ে IDAB কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে, অ্যাওয়ার্ড কমিটির চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য, মূল্যায়ন কাঠামো এবং বিচারের মানদন্ডের উপর একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। জুরি বোর্ডের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট ইন্টেরিয়র ডিজাইনার নাসরিন জামির। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (IAB)-এর সভাপতি স্থপতি ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মো: আসিফুর রহমান ভূঁইয়া এবং বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের প্রধান ড. এস এম নাজমুল ইমাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দেশের স্থাপত্য জগতের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব আর্কিটেক্ট শামসুল ওয়ারেস। তিনি তরুণ ডিজাইনারদের সৃজনশীলতাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌঁছে দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং এই শিল্পের উন্নয়ন ও কাঠামোবদ্ধ বিকাশের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এ বছরের প্রতিযোগিতায় চারটি ক্যাটাগরি—রেসিডেন্স, কর্পোরেট, হসপিটালিটি এবং রিটেল—থেকে জমা পড়া অসংখ্য কাজের মধ্য থেকে প্রতিটি ক্যাটাগরিতে তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়।
রেসিডেন্স ক্যাটাগরিতে, তৃতীয় পুরস্কার প্রদান করেন মাসুদ পারভেজ, গ্যাসডাম এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন ইরিনা খান মুমু। দ্বিতীয় পুরস্কার প্রদান করেন শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের রুবানা সাদিয়া আলম এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত হলেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, রাফিদ রিয়াসাদ এবং এম ডি সিবাত আহনাফ। প্রথম পুরস্কার প্রদান করেন প্রধান অতিথি আর্কিটেক্ট শামসুল ওয়ারেস এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন সারোয়াত ইকবাল টিসা, মনন বিন ইউনুস, এবং রাজিব আহমেদ ।
করপোরেট ক্যাটাগরিতে, তৃতীয় পুরস্কার প্রদান করেন এশিয়ান পেইন্টস-এর সিইও কে এস এম মিনহাজ এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত হলেন সারওয়াত ইকবাল টিসা, মনন বিন ইউনুস এবং রাজিব আহমেদ। দ্বিতীয় পুরস্কার প্রদান করেন বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের প্রধান ড. এস এম নাজমুল ইমাম এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত হলেন আর্কিটেক্ট নাজিউর ইসলাম। প্রথম পুরস্কার প্রদান করেন IAB-এর সভাপতি ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন আর্কিটেক্ট ড্যানিয়েল হক।
হসপিটালিটি ক্যাটাগরিতে, তৃতীয় পুরস্কার প্রদান করেন মার্বেল ডি কারারা (প্রা.) লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুর রহমান এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন কাজি জাহিদুল ইসলাম। দ্বিতীয় পুরস্কার প্রদান করেন এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার বিভাগের প্রধান ড. এম ডি নওরোজ ফাতিমি এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত হলেন রাফিয়া মারিয়ম আহমেদ। প্রথম পুরস্কার প্রদান করেন IDAB প্রেসিডেন্ট সৈয়দ কামরুল আহসান এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন আর্কিটেক্ট ফাতিহা পলিন।
রিটেল ক্যাটাগরিতে, তৃতীয় পুরস্কার প্রদান করেন উড টেক সলিউশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়ামুল হোসাইন খান এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন রাফিয়া মারিয়ম আহমেদ। দ্বিতীয় পুরস্কার প্রদান করেন সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির আর্কিটেকচার বিভাগের প্রধান ড. মাসুদুর রহমান এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত হলেন ফারহানা আলিয়া। প্রথম পুরস্কার প্রদান করেন সুইশ গ্লোবাল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসমাইল হোসেন এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন আর্কিটেক্ট মাহমুদুল আনোয়ার রিয়াদ ।
এছাড়াও, জুরি বোর্ডের সদস্যদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। জুরি সদস্যরা, তাঁদের মূল্যায়ন অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশের ইন্টেরিয়র ডিজাইন শিল্পের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে মতামত প্রকাশ করেন। স্পন্সর সম্মাননা প্রদান পর্বে বক্তব্য রাখেন, সুইস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসমাইল হোসেন এবং এশিয়ান পেইন্টস-এর সিইও কে এস এম মিনহাজ।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে, দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘জলের গান’ মনোমুগ্ধকর সংগীত পরিবেশনা এবং পরবর্তীতে, ডিনারের পরিবেশনের মধ্য দিয়ে পুরো আয়োজনের সমাপ্তি টানা হয়। জমকালো এই অনুষ্ঠানটি সফল করতে যেসব প্রতিষ্ঠান সহায়তা করেছে তারা হচ্ছে—Powered By পার্টনার সুইস,
ঢাকার সকালের বাতাসে তখনও শীতের হাওয়া মিশে আছে। ঠিক সে সময়টায় ১ ডিসেম্বর সকালে —ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ও বিজ্ঞাপনী সংস্থা এনেক্স কমিউনিকেশনস লিমিটেডের মধ্যে মেট্রোরেলের এর এক্সক্লুসিভ ইনসাইড ব্র্যান্ডিং সার্ভিসেস বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ডিএমটিসিএল কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই তাৎপর্যপূর্ণ আয়োজন দুই প্রতিষ্ঠানের পারস্পরিক সহযোগিতার একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ডিএমটিসিএল-এর যুগ্মসচিব এবং কোম্পানি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) খন্দকার এহতেশামুল কবির এবং এনেক্স কমিউনিকেশনস লিমিটেড-এর পরিচালক শরিফ সাব্বীর। দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বিষয়টি এক যৌথ অঙ্গীকার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার নতুন দিগন্তকে সামনে এনে দিল।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে এনেক্স কমিউনিকেশনস লিমিটেডের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান, উপদেষ্টা সাইদুল আমিন, চিফ একাউন্টস্ এন্ড ফাইন্যান্স অফিসার শাহীন সরকার, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার অপারেশন আবু সাইদ মো: মবিন, কনসালটেন্ট ডিএমটিসিএল ব্র্যান্ডিং প্রজেক্ট সানাউল আহমেদ, ডিএমটিসিএল-এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ, এনডিসি, পি: ইঞ্জি.—প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব): মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এবং পরিচালক (প্রশাসন) এ.কে.এম. খায়রুল আলম সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
মেট্রোরেল যে ঢাকার গতিময়তা বদলে দিয়েছে—এ কথা এখন আর নতুন নয়। বাড়তে থাকা যাত্রীসংখ্যা, বাড়তে থাকা ট্রেন চলাচল, এবং বিস্তৃত হতে থাকা রুট—সব মিলিয়ে মেট্রোরেলের অভ্যন্তরীণ ব্র্যান্ডিং ক্রমেই হয়ে উঠছে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও কার্যকর একটি মাধ্যম। চুক্তির ফলে মেট্রোরেলের ভেতরে, ব্র্যান্ডগুলোর জন্য নতুন ধরনের বিজ্ঞাপনী সম্ভাবনা উন্মোচিত হচ্ছে। প্রতিদিন শহরের নানা বয়স, পেশা ও শ্রেণির মানুষ চলতি পথে মেট্রোরেলের অভ্যন্তরের প্রতিটি বিজ্ঞাপন দেখবে। ফলে ব্র্যান্ডগুলো এখন আরও স্বাভাবিক, আরও প্রাসঙ্গিকভাবে যাত্রীদের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ পাবে।
এনেক্স কমিউনিকেশনস লিমিটেড দীর্ঘদিন ধরে সৃজনশীল ও কৌশলভিত্তিক যোগাযোগ সমাধানের মাধ্যমে ব্র্যান্ডগুলোর বিকাশে অবদান রাখছে। এই সহযোগিতার মাধ্যমে মেট্রোরেলে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের অভিজ্ঞতা আরও সুগঠিত, দর্শনীয় ও সংগঠিত হয়ে উঠবে বলে প্রতিষ্ঠানটি আশাবাদী। একইভাবে ডিএমটিসিএলও মনে করে—মেট্রোরেলের প্রতিটি যাত্রাই শুধু গন্তব্যে পৌঁছানোর অভিজ্ঞতা নয়, বরং এটি শহরের নাগরিক যোগাযোগ ও ব্র্যান্ড–মানব সংযোগের এক নতুন মাত্রা তুলে ধরবে।
জিয়া পরিষদ, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি.’র উদ্যেগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া এবং জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকা ‘অরণাভ’ ও দেয়ালিকার মোড়ক উম্মোচন করা হয় গত ৩০/১১/২০২৫ ইং তারিখে।ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দোয়া এবং স্মরণিকা মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদ এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ আবদুল লতিফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি.’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহিল মাসুদ, যুগ্ম মহাসচিব মনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব সহিদুল হক সহিদ, অগ্রণী ব্যাংক এর উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাহমিনা আখতার ও রুবানা পারভীন, মহাব্যবস্থাপকবৃন্দ, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি.’র বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাহী, কর্মকর্তা,কর্মচারীগণ এবং জিয়া পরিষদ,অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি.’র নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জিয়া পরিষদ, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি.’র সভাপতি মোঃ সুজাউদ্দৌলা। জিয়া পরিষদ, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি.’র সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বেগম জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া করার পাশাপাশি উপস্থিত অতিথিবৃন্দ বক্তব্যের মাধ্যমে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনা তুলে ধরেন।