ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার আজ বিকাল ৪ টায় উদ্বোধন করা হয়েছে । ৭ বেডের এই ডায়ালাইসিস সেন্টারের নাম চাকলাদার ডায়ালাইসিস সেন্টার ।
ডায়ালাইসিস সেন্টারের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক এনসিসি ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চাকলাদার।
ডায়ালাইসিস সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খায়রুল আলম বলেন, ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল চিকিৎসা সেবা বিশেষ করে নিম্নবিত্ত সাধারণ মানুষের চিকিৎসার ক্ষেত্রে যে অবদান রেখে আসছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে চিকিৎসা সেবায় ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালের পাশে দাঁড়াতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত ও নিজেকে ধন্য মনে করছি। এবং এই সুযোগ প্রদানের জন্য ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি । জনাব খায়রুল আলম আরো বলেন সেন্টার চালু হলে প্রথম ৫০০ রোগীকে তিনি সহযোগিতা প্রদান করবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান, প্রফেসর মাহমুদর রহমান, কাজী হাবিবুর রহমান, প্রফেসর ডা: ওমর শরীফ ইবনে হাসান, ডা: ফুয়াদুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, ওয়াকার হোসেন ,মো: আরিফুল ইসলাম , সুকুমার চক্রবতী, মোঃমুতাসিম আলী,মোঃআশিকুর রহমান স্বাধীন ,খায়রুল আলমের পরিবারবর্গ এবং ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ।
ট্রাস্ট চেয়ারম্যান প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান খায়রুল আলমকে তাঁর ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
সিটি ব্যাংক এবং ইউনিসেফ সম্প্রতি এক নতুন অংশীদারত্বের ঘোষণা দিয়েছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সুবিধা বঞ্চিত কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী, বিশেষ করে মেয়েদের, কর্মসংস্থান ও উদ্যোগ দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা হবে।
সম্প্রতি সিটি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই অংশীদারিত্বের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অনুষ্ঠানে ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স এবং সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মাহিয়া জুনেদ, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিআইও কাজী আজিজুর রহমান, ব্র্যান্ড ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান শাহরিয়ার জামিল খান এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল, যেমন বাগেরহাট জেলার কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীরা বাজারচাহিদা নির্ভও প্রশিক্ষণ, ক্যারিয়ার কোচিং এবং স্থানীয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ পাবে। প্রকল্পটি বাস্তবভিত্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ফলপ্রসূ শিক্ষার সুযোগের ওপর গুরুত্ব দেবে, যাতে পিছিয়ে পড়া তরুণ প্রজন্ম টেকসই জীবিকা গড়ে তুলতে পারে এবং জলবায়ু সহনশীল সম্প্রদায় গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশ প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, “প্রত্যেক শিশু ও তরুণের স্বপ্ন দেখার, শেখার এবং বিকশিত হওয়ার অধিকার আছে। সিটি ব্যাংকের সঙ্গে এই অংশীদারত্ব কেবল দক্ষতায় বিনিয়োগ নয়, এটি শিশুদের আশায় বিনিয়োগ। জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের বঞ্চিত কিশোরী ও তরুণীদের কর্মসংস্থান, দক্ষতা অর্জনের সুযোগ করে দিয়ে আমরা তাদের জন্য সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছি। বেসরকারি খাতের সঙ্গে একযোগে আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করছি যেখানে প্রতিটি তরুণ অবদান রাখতে পারবে এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির সুফল ভোগ করতে পারবে।”
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, “বাংলাদেশে ইউনিসেফ দীর্ঘদিন ধরে শিশু ও তরুণদের জীবনোন্নয়ন ও নানা সুযোগ সৃষ্টি করে অসাধারণ কাজ করে যাচ্ছে। এই অর্থবহ অংশীদারত্বে ইউনিসেফের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। একসাথে আমরা তরুণদের, বিশেষ করে মেয়েদের এমন দক্ষতা ও সুযোগ তৈরি করতে চাই যা তাদেরকে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।”
এশিয়া কোটিংস প্রাইভেট লিমিটেডকে উন্নত ট্রানজ্যাকশন ব্যাংকিং সেবা দিতে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। এটি প্রতিষ্ঠানটির রিসিভেবল ম্যানেজমেন্টকে আরও কার্যকর ও সহজ করবে।
এই সহযোগিতার লক্ষ্য হলো ডিলার ও পরিবেশকদের কালেকশন প্রক্রিয়ায় গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে অপারেশনাল দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
এই চুক্তির আওতায় এশিয়া কোটিংস ব্র্যাক ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং ও ডিজিটাল ব্যাংকিং সল্যুশন ব্যবহার করবে। এই ডিজিটাল সিস্টেমের আওতায় যুক্ত থাকবে প্রায় ৩০০ ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেইলার, যা রিয়েল-টাইম কালেকশন ও সহজ রিকনসিলিয়েশন নিশ্চিত করবে।
২৮ অক্টোবর ২০২৫ ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ট্রেজারি, ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং মো. শাহীন ইকবাল সিএফএ, হেড অব ট্রানজ্যাকশন ব্যাংকিং এ. কে. এম. ফয়সাল হালিম এবং হেড অব কমার্শিয়াল ব্যাংকিং এ. টি. এম. জামাল উদ্দিন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এশিয়া কোটিংস প্রাইভেট লিমিটেডের কান্ট্রি ডিরেক্টর শামারা ওয়ানিয়ারাচ্চি এবং হেড অব ফাইন্যান্স আহসান কবিরসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এই উদ্যোগটি উদ্ভাবনী ও কার্যকর ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে কর্পোরেট ক্লায়েন্টদের অপারেশনাল দক্ষতা ও ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্টকে আরও উন্নত করার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ২৯৮টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
২০২৫ সালের হেলি গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউটর কনফারেন্সে ‘হেলি লয়্যালটি অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে বিদ্যুৎ প্রকৌশল খাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক। কোম্পানিটি গত ২০ বছর ধরে পুরো বাংলাদেশ জুড়ে হেলি ফর্ক লিফট ও অন্যান্য ম্যাটেরিয়াল হ্যান্ডলিং পণ্য সরবরাহ করে আসছে। হেলির সঙ্গে এনার্জিপ্যাকের এই ধারাবাহিক অংশীদারিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
চীনের আনহুই প্রদেশের লেবানশান হোটেলে অনুষ্ঠিত আনহুই হেলি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভেহিকল ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোং লি এর বার্ষিক সম্মেলনে পুরস্কারটি এনার্জিপ্যাকের হাতে তুলে দেয়া হয়। সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিবেশকেরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা হেলির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও নতুন প্রজন্মের ম্যাটারিয়াল হ্যান্ডলিং সল্যুশন নিয়ে আলোচনা করেন।
পুরস্কারপ্রাপ্তি প্রসঙ্গে এনার্জিপ্যাকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন রশীদ বলেন, “হেলির কাছ থেকে পাওয়া এই স্বীকৃতি কেবল আমাদের ব্যবসায়িক সম্পর্কের প্রমাণ নয়, বরং এটি আমাদের যৌথ বিশ্বাস— নির্ভরযোগ্য যন্ত্রপাতি অর্থনীতির ভিতকে আরও শক্তিশালী করে— এরই প্রতিফলন। বিগত দুই দশকে বাংলাদেশের শিল্পায়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে হেলির অংশীদারিত্ব রয়েছে। আমরা সেই যাত্রার অংশ হতে পেরে গর্বিত। ভবিষ্যতেও আমরা পরিবেশবান্ধব ও টেকসই সমাধান প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ।”
বাংলাদেশে হেলির একমাত্র পরিবেশক হিসেবে এনার্জিপ্যাক বর্তমানে ১-১০ টন ক্ষমতার ইলেকট্রিক ফর্কলিফট, ১-৪৬ টন ক্ষমতার ইন্টারনাল কম্বাশন ইঞ্জিন ফর্কলিফট, ইলেকট্রিক প্যালেট ট্রাক ও স্ট্যাকার, টো ট্রাক, এম্পটি কনটেইনার হ্যান্ডলার, রিচ স্ট্যাকার, হুইল লোডারসহ নানা ধরণের যন্ত্রপাতি ও খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহ করছে।
প্রায় তিন দশক ধরে আনহুই হেলি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভেহিকল ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোং লিমিটেড চীনের ফর্কলিফট বাজারে শীর্ষস্থানে রয়েছে। এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ফর্কলিফট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।
এই ‘লয়্যালটি অ্যাওয়ার্ড’ এনার্জিপ্যাক ও হেলির দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বের প্রতীক, যা বছরের পর বছর আস্থা ও দক্ষতার মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্পখাতের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রেখে চলেছে।
বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেবা খাতে প্রথমবারের মতো সাইন ল্যাংগুয়েজ কল সেবা চালু করার স্বীকৃতিস্বরূপ ‘ফিনটেক ইনোভেশন অব দ্য ইয়ার-ব্যাংক’ পুরস্কার অর্জন করেছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি।
সম্প্রতি রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত পঞ্চম বাংলাদেশ ফিনটেক সামিট-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে আয়োজিত তৃতীয় বাংলাদেশ ফিনটেক অ্যাওয়ার্ড ২০২৫-এ প্রাইম ব্যাংককে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। সম্মেলন শেষে মোট ১২টি শ্রেণিতে ২৬টি উদ্ভাবনী উদ্যোগ-কে ফিনটেক অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান ও. রশীদ; প্রাইম ব্যাংক ফিনটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শেখ আমিনুর রহমান এবং হেড অব লায়াবিলিটি শায়লা আবেদীন-এর হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
প্রাইম ব্যাংকের এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন গ্রাহকদের জন্য ব্যাংকিং সেবাকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহজলভ্য করা সম্ভব হয়েছে, যা দেশে ফিনটেক খাতে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’র প্রশাসক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার ৯ নভেম্বর ২০২৫, রবিবার ব্যাংকের কর্পোরেট শাখার গ্রাহকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় অ্যাসোসিয়েট এ্যাডমিনিস্ট্রেটর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মুহাম্মদ আনছারুল কবির, অ্যাসোসিয়েট এ্যাডমিনিস্ট্রেটর ও যুগ্ম পরিচালক মোঃ ওমর ফারুক, ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া এবং ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের গ্রাহক ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার গ্রাহকদের বিভিন্ন প্রশ্ন ও চাহিদার কথা আন্তরিকতার সাথে শুনেন এবং তাদেরকে আশ্বস্ত করেন যে, এই ব্যাংকে তাদের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ ও সুরক্ষিত রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের সরাসরি হস্তেক্ষেপের ফলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে লেনদেন ও অন্যান্য কার্যক্রম খুব শীঘ্রই স্বাভাবিক হবে। এ সময় তিনি গ্রাহকদের আস্থার সাথে এই ব্যাংকে সকল ধরণের লেনদেন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
শীত এলেই শহরের মুখশ্রী বদলে যায়। আকাশের নীল ধীরে ধীরে মিশে যায় ধোঁয়া ধূসর কুয়াশায়, বাতাসে মিশে থাকে ধোঁয়া ওঠা চায়ের গন্ধ। রোদটা একটু কুণ্ঠিত হয়ে পড়ে, আর বিকেলগুলো যেন নিজস্ব এক ছন্দে নরম হয়ে আসে। এই ঋতু শুধু ঠান্ডা নয়, এক ধরনের অনুভব, যেখানে মানুষ খোঁজে উষ্ণতা, নিজের মতো স্বাচ্ছন্দ, আর ফ্যাশনে মেলে ব্যক্তিত্বের কোমল প্রকাশ। ঠিক এই সময়টাতেই টুয়েলভ নিয়ে এসেছে তাদের এবারের নতুন আয়োজন Winter 2025 Collection.
এই কালেকশন শুধু পোশাক নয়, বরং আধুনিক জীবনের ছন্দ, রঙ আর অনুভবের এক পরিশীলিত প্রতিফলন। শীতের রঙ সবসময়ই একরকম নয়, কখনও নিস্তব্ধ, কখনও মৃদু, আবার কখনও গভীর। টুয়েলভের এই মৌসুমের কালার প্যালেট যেন প্রকৃতির নিজের রঙধনু থেকেই তুলে আনা। চকলেট ব্রাউন, ক্যামেল, অলিভ, স্যান্ড, নেভি, ডিপ ব্লু, চারকোল। এই সব রঙের মিশেলে রয়েছে উষ্ণতা এবং এমন এক প্রশান্ত নান্দনিকতা, যা চোখে লাগে সৌন্দর্যে আর মনে ছুঁয়ে যায় বিমুগ্ধতায়। সেই নরম রঙগুলোর ভেতরে উজ্জ্বলতার প্রাণবন্ত স্পর্শ হিসেবে এসেছে মাস্টার্ড আর বারগান্ডির সূক্ষ্ম উপস্থিতি। যেন ভোরের সূর্যের নরম আলো কিংবা সন্ধ্যার গোধুলীর রঙের মতো অল্পতেই প্রাণ এনে দেয় পুরো দৃশ্যপটে। আর আছে চিরন্তন সাদা-কালোর সংমিশ্রণ। যা সময়ের কোনো সীমার মধ্যে বাঁধা পড়ে না। ফ্যাশনের ইতিহাসে যত রঙই আসুক, এই যুগল জুটির আবেদন সবসময় অনন্যই থেকে যায়। টুয়েলভের চোখে রঙ মানে শুধু শেড নয়, বরং একটি জীবন্ত আবেগ। উৎসব কিংবা একটি ঋতুর সঙ্গে আপনার মনের চিত্রপটও পাল্টে দেয়ার বৈশিষ্টে ভরপুর একটি ফ্যাশন ব্র্যান্ড।
টুয়েলভের ওয়েস্টার্ন কালেকশন যেন আধুনিক জীবনের গল্পই বলে। যেখানে প্রতিদিনের ব্যস্ততার মাঝেও থাকে নিজেকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার আনন্দ। One Piece, Many Moods এই ভাবনা নিয়েই সাজানো হয়েছে তাদের এবারের উইন্টারের আকর্ষণ। শহরের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত, অফিসের মিটিং থেকে বন্ধুর আড্ডা বা একান্ত ভ্রমণ, প্রতিটি মুহূর্তের জন্য আলাদা কোনো পোশাক নয় বরং এক পোশাকেই যেন মেলে নানা আবহ। সফট–শেল, লাইট–পাফার, বোম্বার, ইউটিলিটি শ্যাকেট, ব্রাশড নিট, সব পোশাকেই রয়েছে ব্যবহারিক ডিজাইন, হালকা উষ্ণতা ও চলাচলের সহজতা। ফ্যাশনকে এখানে দেখা হয়েছে একধরনের কার্যকর শিল্প হিসেবে। যা যেমন দৃষ্টিনন্দন, তেমনি পরিধানেও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ। আধুনিক তরুণ-তরুণীর ব্যস্ত জীবনে এই ভারসাম্যই সবচেয়ে জরুরি। আর টুয়েলভ সেই প্রয়োজনটিকেই সবার মুঠোয় এনে দিয়েছে সাবলীল ও নান্দনিকভাবে।
অন্যদিকে আবার শীত মানেই আমাদের কাছে উৎসব, পুনর্মিলন আর ঐতিহ্যের নতুন পাঠচক্র। এই আবহে টুয়েলভের এথনিক কালেকশন এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। নারীদের জন্য এসেছে শীত উপযোগী এথনিক লাইন, জ্যাকেট, শল আর পার্টি–ওয়্যার, ২/৩ পিস সেট, যেখানে ফ্যাব্রিকের স্বাচ্ছন্দে মিশে আছে রুচিশীল ডিজাইনের সৌন্দর্য। প্রতিটি পোশাকেই আছে হালকা উষ্ণতার আবরণ, পাশাপাশি তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এমন এক কাট ও টেক্সচার যা একদিকে এলিগ্যান্ট, অন্যদিকে ব্যবহারিক। উৎসবের আলোর নিচে, কিংবা নিত্যদিনের কোনো বিশেষ সন্ধ্যায় এই ফ্যাশনগুলো যেন নিজের মধ্যেই বহন করে এক নির্মল আভিজাত্য।
পুরুষদের এথনিক কালেকশনেও এসেছে নতুন নান্দনিকতার স্পর্শ যুক্ত ছোঁয়া। ক্লাসিক পাঞ্জাবি সেটগুলোতে এবার যুক্ত হয়েছে নতুন ডিজাইন টোন, প্রিমিয়াম কাপড় ও নিখুঁত সেলাইয়ের সূক্ষ্মতা। এই কালেকশন ঐতিহ্যের আবহকে আধুনিকতার আলোয় মেলে ধরেছে আর একই সঙ্গে দিয়েছে শিকড়ের টান ও আধুনিক ফ্যাশনেবল রুচির কোমল ছোঁয়া। বিয়েবাড়ির আয়োজন হোক বা পারিবারিক উৎসব কিংবা অফিসের কোনো বিশেষ দিন! টুয়েলভের এথনিক পোশাক সেই প্রতিটি মুহূর্তেই স্মৃতিময় করে তোলে আপনার পছন্দের মতো করে।
অন্যদিকে, টুয়েলভের ফরমাল কালেকশন হলো কর্মজীবনের বাস্তবতার সঙ্গে নান্দনিকতার মেলবন্ধন। অফিসের সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যার মিট–আপ পর্যন্ত একই পোশাকে বদলে যেতে পারে পরিবেশ, মেজাজ আর আত্মপ্রকাশের ভঙ্গি। ক্লিন টেইলারিং, নিখুঁত কাটিং, কমফোর্ট স্ট্রেচ ফ্যাব্রিক সব মিলিয়ে এই কালেকশন তৈরি করেছে এমন এক লাইন–আপ যা একদিকে প্রফেশনাল, অন্যদিকে পরিশালিত। শীতের শুষ্ক ঠান্ডায়ও এই পোশাকগুলো শরীরে এনে দেয় উষ্ণ আরাম, আর মনে জাগায় আত্মবিশ্বাসের পরিমিত দীপ্তি।
টুয়েলভের প্রতিটি কালেকশনের পেছনে কাজ করে তাদের এক বিশেষ দর্শন। ফ্যাশন মানে শুধু বাহ্যিক সাজ নয়, বরং জীবনযাপনের সহজ সারল্যতা ও আনন্দ। Winter 2025 এর প্রতিটি পোশাকেই তাই দেখা যায় Comfort in Motion-এর ভাবনা। প্রতিটি সেলাইয়ের ভেতরে আছে চলাচলের স্বাধীনতা, প্রতিটি ফ্যাব্রিকে আছে ত্বকের সঙ্গে সাবলীল কোমল পরশ। এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে ব্যস্ত শহুরে জীবনের ছন্দে কোথাও অস্বস্তি না আসে। কাপড় আর রঙ সবকিছুতেই সেই ভারসাম্যের অপূর্ব সংমিশ্রণ, যা টুয়েলভকে আলাদা করে তোলে কেবল ব্র্যান্ড হিসেবে নয়, বরং একধরনের জীবনবোধের প্রতিবিম্ব হিসেবে।
টুয়েলভের উপস্থিতিও আজ দেশের সীমা ছাড়িয়ে নতুন আঙ্গিকে বিস্তৃত। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে তাদের আউটলেট এখন শীতের এই কালেকশনে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও পাওয়া যাচ্ছে Winter 2025 কালেকশন। আপনি চাইলেই ঘরে বসে বেছে নিতে পারেন নিজের পছন্দ, রঙ ও সামাঞ্জস্যের সঙ্গে মানানসই সব ফ্যাশনেবল পোষাক। সহজসাধ্য অর্ডার প্রক্রিয়া, দ্রুত ডেলিভারিসহ সব মিলিয়ে টুয়েলভ আজকের প্রজন্মের কাছে এক নির্ভরযোগ্য ফ্যাশন সঙ্গী।
শীতের বিকেল মানেই যেন একটু ধীর সময়, উষ্ণ কাপড়ের পরশ, হাতে গরম কফির কাপ, আর জানালার বাইরে নরম আলো। এই দৃশ্যেই টুয়েলভের পোশাকগুলো মিশে যায় প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে। ফ্যাশন এখানে আর বাহুল্য নয়, বরং জীবনযাপনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যে কেউ নিজের মতো করে এই কালেকশন থেকে বেছে নিতে পারেন এমন কিছু পোশাক, যা শুধু শরীর নয়, মনকেও দেয় প্রশান্তি। কারণ, টুয়েলভ বিশ্বাস করে উষ্ণতা কেবল তাপমাত্রার পরিবর্তন নয়, শুধু শারিরীক অনুভুতিও এটি একটি মানসিক অনুভবেরও বহিঃপ্রকাশ।
এই শীতের গল্প তাই শুধু পোশাকের নয়! এটি সময়ের, মানসিকতার এবং আত্মপ্রকাশের সহজাত গল্প। শীত যেমন আসে নিজের ছন্দে, তেমনি টুয়েলভও তার সঙ্গে মানানসই করে নিয়ে এসেছে ফ্যাশনের গতিময়তা। সাবলীল এবং স্পষ্ট, সংযত এবং বোল্ড! Winter 2025 কালেকশন যেন এক নিখুঁত সংলাপের পরিশালিত প্রকাশ। যেটি প্রকৃতি ও মানুষের, ঐতিহ্য ও আধুনিকতার, ভালোবাসার ও প্রশান্তির।
শীতের আলো ফুরোতে ফুরোতে যখন শহর আবার আলোয় জ্বলে ওঠে, তখনই এই পোশাকগুলো নতুনভাবে বাঁচিয়ে তোলে প্রতিটি দিনকে। টুয়েলভের এই শীতকালীন আয়োজন সেই বেঁচে থাকার অনুভবকেই আরও সুন্দর করে তোলে, করে তোলে আরও উষ্ণ, আরও জীবন্ত!
এই শীতে তাই নিজের গল্পটা লিখে ফেলুন টুয়েলভের সঙ্গে। রঙের নান্দনিকতায়, ফ্যাব্রিকের সাচ্ছন্দে আর স্টাইলের ফ্যাশন সচেতনতায়। কারণ প্রতিটি মানুষের পোশাকের ভেতরেই লুকিয়ে থাকে তার নিজস্ব গল্প। আর সেই গল্প বলার সঙ্গী যদি হয় টুয়েলভ! তবে শীতও যেন হয়ে ওঠে এক মৃদু কবিতা, যেখানে প্রতিটি সেলাইয়ের ভেতর দিয়ে বয়ে যায় উষ্ণতার সুর।
২০২৫ সালের হেলি গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউটর কনফারেন্সে ‘হেলি লয়্যালটি অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে বিদ্যুৎ প্রকৌশল খাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক। কোম্পানিটি গত ২০ বছর ধরে পুরো বাংলাদেশ জুড়ে হেলি ফর্ক লিফট ও অন্যান্য ম্যাটেরিয়াল হ্যান্ডলিং পণ্য সরবরাহ করে আসছে। হেলির সঙ্গে এনার্জিপ্যাকের এই ধারাবাহিক অংশীদারিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
চীনের আনহুই প্রদেশের লেবানশান হোটেলে অনুষ্ঠিত আনহুই হেলি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভেহিকল ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোং লি এর বার্ষিক সম্মেলনে পুরস্কারটি এনার্জিপ্যাকের হাতে তুলে দেয়া হয়। সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিবেশকেরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা হেলির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও নতুন প্রজন্মের ম্যাটারিয়াল হ্যান্ডলিং সল্যুশন নিয়ে আলোচনা করেন।
পুরস্কারপ্রাপ্তি প্রসঙ্গে এনার্জিপ্যাকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন রশীদ বলেন, “হেলির কাছ থেকে পাওয়া এই স্বীকৃতি কেবল আমাদের ব্যবসায়িক সম্পর্কের প্রমাণ নয়, বরং এটি আমাদের যৌথ বিশ্বাস— নির্ভরযোগ্য যন্ত্রপাতি অর্থনীতির ভিতকে আরও শক্তিশালী করে— এরই প্রতিফলন। বিগত দুই দশকে বাংলাদেশের শিল্পায়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে হেলির অংশীদারিত্ব রয়েছে। আমরা সেই যাত্রার অংশ হতে পেরে গর্বিত। ভবিষ্যতেও আমরা পরিবেশবান্ধব ও টেকসই সমাধান প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ।”
বাংলাদেশে হেলির একমাত্র পরিবেশক হিসেবে এনার্জিপ্যাক বর্তমানে ১-১০ টন ক্ষমতার ইলেকট্রিক ফর্কলিফট, ১-৪৬ টন ক্ষমতার ইন্টারনাল কম্বাশন ইঞ্জিন ফর্কলিফট, ইলেকট্রিক প্যালেট ট্রাক ও স্ট্যাকার, টো ট্রাক, এম্পটি কনটেইনার হ্যান্ডলার, রিচ স্ট্যাকার, হুইল লোডারসহ নানা ধরণের যন্ত্রপাতি ও খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহ করছে।
প্রায় তিন দশক ধরে আনহুই হেলি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভেহিকল ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোং লিমিটেড চীনের ফর্কলিফট বাজারে শীর্ষস্থানে রয়েছে। এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ফর্কলিফট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।
এই ‘লয়্যালটি অ্যাওয়ার্ড’ এনার্জিপ্যাক ও হেলির দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বের প্রতীক, যা বছরের পর বছর আস্থা ও দক্ষতার মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্পখাতের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রেখে চলেছে।
বাংলাদেশে চেরি গাড়ির একমাত্র ডিস্ট্রিবিউটর এশিয়ান মোটরস্পেক্স লিমিটেড সম্প্রতি উদ্বোধন করেছে চেরি টিগো ৯প্রো পিএইচইভি। এর মাধ্যমে দেশের প্রিমিয়াম প্লাগ-ইন হাইব্রিড এসইউভি বাজারে গাড়িটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে।
চেরির এই ফ্ল্যাগশিপ মডেলে আভিজাত্য, শক্তিশালী পারফরমেন্স এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির সমন্বয় করা হয়েছে। তেজগাঁও শিল্প এলাকায় চেরির অফিসিয়াল শোরুমে গাড়ির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান মোটরস্পেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান সাজেদুর রহমান, পরিচালক দেওয়ান সাঈদুর রহমান এবং চেরি বাংলাদেশের হেড অব সেলস আবু মাহমুদ নাসের সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্যে দেওয়ান সাজেদুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশে উন্নত হাইব্রিড প্রযুক্তি আনার মাধ্যমে আমরা পরিবেশ সচেতন গ্রাহকদের জন্য নতুন সমাধান নিয়ে এসেছি। টিগো ৯প্রো পিএইচইভি এমন একটি গাড়ি যার মাধ্যমে বিলাসিতা ও পারফরমেন্স বজায় রেখেও কার্বন নিঃসরণ কমানো সম্ভব। আমরা বিশ্বাস করি, এই গাড়ি বাংলাদেশের প্রিমিয়াম এসইউভি বাজারে নতুন মানদণ্ড তৈরি করবে।”
টিগো ৯প্রো পিএইচইভি-তে রয়েছে ৩৭৫ কিলোওয়াট (৫০২ বিএইচপি) ক্ষমতা ও ৭৫০ এনএম টর্ক। এটি ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিতে পৌঁছায় মাত্র ৫.৭ সেকেন্ডে। গাড়িটির মোট সিস্টেম রেঞ্জ ১,৩৮০ কিলোমিটার।
এটি ১.৫ লিটার টার্বো পেট্রোল ইঞ্জিন, প্লাগ-ইন হাইব্রিড এডব্লিউডি প্রযুক্তি এবং ৮-স্পিড এইসিন ডেডিকেটেড হাইব্রিড ট্রান্সমিশন (৩ডিএইচটি) সমন্বয়ে তৈরি।
গাড়িটির কেবিনে আছে ১৫.৬ ইঞ্চি ২.৫কে এইচডি স্ক্রিন, সনি ১৪-স্পিকার হাই-ফিডেলিটি সারাউন্ড সাউন্ড সিস্টেম এবং নাপা লেদারের ৭টি সিট।
বাড়তি আরামের জন্য এর মধ্যে রয়েছে ম্যাসাজ ফাংশনসহ সিট ঠান্ডা ও গরম করার সুবিধা, ডুয়াল-জোন ক্লাইমেট কন্ট্রোল, স্লাইডিং প্যানোরামিক রুফ এবং হিটেড স্টিয়ারিং হুইল।
নিরাপত্তার দিক থেকেও গাড়িটি উন্নত। এতে রয়েছে এএনসিএপি অনুমোদিত শক্তিশালী চেসিস ও ৮৫ শতাংশ হাই-স্ট্রেংথ স্টিল, একাধিক এয়ারব্যাগ, অ্যাডাপটিভ ক্রুজ কন্ট্রোল, লেন ডিপারচার ওয়ার্নিং, ব্লাইন্ড স্পট ডিটেকশন, ৫৪০-ডিগ্রি প্যানোরামিক ক্যামেরা ও ট্রান্সপারেন্ট অফ-রোড ভিউ প্রযুক্তি।
গাড়িটির বাহ্যিক নকশায় আছে আপগ্রেড করা টিগো পরিবারের ডিজাইন, যা তৈরি হয়েছে ‘গোল্ডেন রেশিও’ অনুপাতে। এর দৈর্ঘ্য ৪,৮১০ মিমি, প্রস্থ ১,৯২৫ মিমি এবং উচ্চতা ১,৭৪১ মিমি। ২০ ইঞ্চি পলিশড অ্যালয় হুইল ও টাইগার-আই প্যাটার্ন গ্রিল গাড়িটিকে দিয়েছে আলাদা মাত্রা।
প্রতিটি গাড়ির সাথে থাকছে বিনামূল্যে ২২ কিলোওয়াট হোম ফাস্ট চার্জার, যাতে ঘরে সহজেই চার্জ দেওয়া যায়।
উন্নত প্রযুক্তি, বিলাসবহুল ফিচার ও পরিবেশবান্ধব পারফরমেন্সের সমন্বয়ে তৈরি চেরি টিগো ৯ প্রো পিএইচইভি এমন সব পরিবার ও পেশাজীবীদের জন্য, যারা একইসাথে আরাম, স্টাইল ও পরিবেশ-বান্ধব টেকসই চলাচলে প্রাধান্য দেন।
গাড়িটির সাথে থাকছে ৮ বছর বা ১,৬০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ওয়্যারেন্টি (শর্ত প্রযোজ্য) এবং বাই ব্যাক সুবিধা।
বাংলাদেশে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে উন্নতমানের কাঁচামাল ব্যবহার করে নিরাপদ ও উচ্চ গুণগতমানের ক্যাবলস তৈরি করছে দেশের সুপারব্র্যান্ড ও টেক জায়ান্ট ওয়ালটন। স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও ক্যাবলস রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু করেছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। সেজন্য বিভিন্ন দেশের রেগুলেটরি সংস্থার নিকট সংশ্লিষ্ট দেশে আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন ক্যাবলস বাজারজাত করার অনুমতিপত্র প্রদানের আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি মালদ্বীপে মেইন পাওয়ার সাপ্লাই এবং ডিস্ট্রিবিউশনে ব্যবহারের জন্য ওয়ালটন ক্যাবলস বাজারজাত করার অনুমতি পত্র প্রদান করেছে মালে ইউটিলিটি রেগুলেটরি অথরিটি। এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটিতে ক্যাবলস রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করেছে টেক জায়ান্ট ওয়ালটন। সেই সঙ্গে ওয়ালটনের রপ্তানিকৃত পণ্যের তালিকায় নতুন যুক্ত হলো ক্যাবলস প্রোডাক্ট।
ওয়ালটন ক্যাবলসের প্রোডাক্ট ম্যানেজার হাসিবুল হক জানান, মালদ্বীপে ক্যাবলস বাজারজাত পূর্বে দেশটির ইউটিলিটি রেগুলেটরি অথরিটির নিকট থেকে অনুমতি পত্র নিতে হয়। বাজারজাতকৃত ক্যাবলসের গুনগতমান কেবলমাত্র আন্তর্জাতিক মানদন্ড পূরণ করলেই সংস্থাটি অনুমোদন প্রদান করে। এরই প্রেক্ষিতে সংস্থাটির নিকট মালদ্বীপের মেইন পাওয়ার সাপ্লাই এবং ডিস্ট্রিবিউশনে ওয়ালটন ক্যাবলস ব্যবহারের অনুমতিপত্র প্রদানের আবদেন করে দেশটিতে নিযুক্ত ওয়ালটনের পরিবেশক ‘রানফাউন প্রাইভেট লিমিটেড’। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে ওয়ালটন ক্যাবলসের আন্তর্জাতিক মানদন্ড পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মালে ইউটিলিটি রেগুলেটরি অথরিটি। ওয়ালটন ক্যাবলসের গুনগতমান আন্তর্জাতিক মানদন্ড পূরণ করায় সংস্থাটি রানফাউন’কে ওয়ালটন ক্যাবলস বাজারজাতের অনুমতি পত্র প্রদান করেছে। যার প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে ওয়ালটন ক্যাবলসের দুইটি শিপমেন্ট মালে পাঠানো হয়েছে। আরো কয়েকটি শিপমেন্ট পাঠানোর কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ওয়ালটন ক্যাবলসের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) রাজু আহমেদ বলেন, মালদ্বীপ একটি ছোট দেশ হলেও দেশটির মাথাপিছু আয় অনেক বেশি। পর্যটকদের কাছেও অত্যন্ত আকর্ষণীয় গন্তব্য মালদ্বীপ। দেশটিতে ক্যাবলসের প্রায় ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজার রয়েছে। প্রতিবছর চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে এই বাজারও বড় হচ্ছে। ওয়ালটন নিরাপদ ও উন্নতমানের ক্যাবলস সরবরাহের মাধ্যমে দেশটির সম্ভাবনাময় এই বাজারে দ্রুত শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি জানান, ওয়ালটন দেশে হাউজহোল্ড, ইন্ডাস্ট্রিয়াল, কমিউনিকেশন, টেইলরমেইডসহ সকল ধরনের ক্যাবলস উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। নিরাপদ ও উন্নতমানের হওয়ায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ওয়ালটন ক্যাবলসের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় বাজারে চলতি অর্থবছরে ওয়ালটনের উল্লেখযোগ্য অঙ্কের ক্যাবলস বিক্রি হয়েছে। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি ওয়ালটন ক্যাবলসের রপ্তানিও দ্রুত বাড়ছে। যার প্রেক্ষিতে মালদ্বীপের পর শিগগিরই আরও ৪টি নতুন দেশে ওয়ালটন ক্যাবলসের রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা হবে।
উল্লেখ্য, মালদ্বীপে ক্যাবলসের পাশাপাশি এয়ার কন্ডিশনারও রপ্তানি করেছে ওয়ালটন। দেশটিতে পর্যায়ক্রমে রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, ওয়াশিং মেশিনসহ ওয়ালটনের অন্যান্য ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যসামগ্রী রপ্তানি শুরু হবে বলে প্রত্যাশা ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের।
ওয়ালটনের লক্ষ্য হলো- বিশ্বের অন্যতম সেরা গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হয়ে উঠার পাশাপাশি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে উদ্ভাবনী ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পরিবেশবান্ধব হাই-টেক পণ্য উৎপাদন হাবে পরিণত করা। সেই লক্ষ্য পূরণে বিশ্বের ১’শটিরও বেশি দেশে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের টার্গেট নিয়ে বৈশ্বিক বাজারে এগিয়ে যাচ্ছে এই টেক জায়ান্ট। ইতোমধ্যে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকার ৫০টিরও বেশি দেশে পরিচালিত হচ্ছে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস।
সময়ের সাথে বিজয়ের পথে এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ৮ -২২ নভেম্বর ২০২৫ মেয়াদে পক্ষকাল ব্যাপী সেবাপক্ষ- ২০২৫ পালন করতে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সারা দেশের সকল শাখা পৃথক পৃথকভাবে আনন্দ র্যালী আয়োজনের মাধ্যমে সেবা পক্ষের সুচনা করেছে। প্রধান কার্যালয়ের আনন্দ র্যালিটি কাওরান বাজারস্থ টি, কে ভবন হতে শুরু করে টিসিবি ভবন চত্বরে শেষ হয়। অতঃপর টিসিবি ভবনের অডিটরিয়ামে এক অনাড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে সেবাপক্ষের উদ্বোধনী ঘোষণা করা হয়। এ অনুষ্ঠানে ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবুর রহমান অশগ্রহণ করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক ডঃ সুমন্ত কুমার সাহা (আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকে প্রেষণে নিয়োজিত)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডক্টরস মাল্টি স্পেশিয়ালিটি হসপিটালের নির্বাহি কর্মকর্তা জনাব সৈয়দ জাহিদ হোসাইন, ক্রাউন ফিশারিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব শাহরিয়ার পান্না, আকিজ মটরস এর ব্রান্ড এডভাইজর জনাব আবু সাইদ, সজন গ্রুপ্যের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির এবং সজন গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ মিজানুর রহমান ,রাহাত খলিল এন্ড এসোসিয়েটস এর হেড অব চেম্বার জনাব রাহাত খলিল, জমাদ্দার রিয়েল স্টেট এর চেয়ারম্যান জনাব মামুন হুসেন বাবলু, ইউনিটি ইনোভেটিব ফ্যাশন লিঃ এর স্বত্বাধিকার জনাব ফরিদ হোসেন, টাক্স বিডির চেয়ারম্যান আফসানা নূর, বুসরা সিকিউরিটি সার্ভিস এর চেয়ারম্যান জনাব লিয়াকত আলী। অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ে অসংখ্য গ্রাহক উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপস্থিত বক্তা এবং গ্রাহকগণ তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন এবং আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের উজ্জল সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়াও আকিজ মটরস, সজন গ্রুপ, ফিউচার এডুকেশন, ডক্টরস মাল্টি স্পেশিয়ালিটি হসপিটালসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান তাদের যাবতীয়/আংশিক লেনদেন কার্যক্রম আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন করার ঘোষণা দেন।
‘ফিনটেক ইনোভেশন অব দ্য ইয়ার- ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন’ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে ব্যাংক এশিয়া পিএলসি। ব্যাংকের উদ্ভাবনী ‘মাইক্রো মার্চেন্ট’ উদ্যোগের মাধ্যমে দেশব্যাপী ডিজিটাল পেমেন্ট সুবিধা সম্প্রসারণ এবং তৃণমূল পর্যায়ে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি জোরদার করার স্বীকৃতি স্বরূপ ‘বাংলাদেশ ফিনটেক অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’-এর তৃতীয় আসরে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
০৮ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুর। ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব সোহেল আর কে হোসেন এবং উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোহাম্মদ জিয়াউল হাসান মোল্লা ব্যাংকের পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
২০২০ সালের জুলাই মাসে চালু হওয়া মাইক্রো মার্চেন্ট সেবাটি মোবাইল অ্যাপ-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে দ্রুত, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ ডিজিটাল লেনদেন নিশ্চিত করছে। বর্তমানে দেশব্যাপী প্রায় ২৮,০০০ মাইক্রো মার্চেন্ট সক্রিয় রয়েছে, যাদের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ২০ মিলিয়নেরও বেশি লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে, যার আর্থিক পরিমাণ প্রায় ৩৬,৬৪৬.৭২ মিলিয়ন টাকা।
২০১৪ সালে চালু হওয়া ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিং মডেল দেশের সর্বস্তরে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। মাইক্রো মার্চেন্ট উদ্যোগটি এই মডেলকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে।
মাঠ পর্যায়ে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এজেন্ট ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর মাধ্যমে মোবাইল আর্থিক সেবা খাতকে নিরাপদ করে তোলার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সম্প্রতি সাতক্ষীরায় বিকাশ এর উদ্যোগে “মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের অপব্যবহার রোধ” শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। প্ল্যাটফর্মের নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নিয়মিত তদারকি এবং এজেন্ট ও সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে এসব বিষয়ে সচেতন করতে বছরজুড়ে নানা রকম সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে বিকাশ।
উক্ত কর্মশালায় এমএফএস সেবাকে নিরাপদ রাখতে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের পদ্ধতি কী হবে, নিয়ম মেনে কীভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে - সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ এবং বিকাশ এর উদ্যোগে জেলার শুশীলন, টাইগার পয়েন্ট কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এই কর্মশালায় ৫০ জন বিকাশ এজেন্ট, চ্যানেল পার্টনার এবং স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ মুকিত হাসান খাঁন, বিকাশ-এর ইভিপি ও হেড অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স এ কে এম মনিরুল করিম সহ সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ ও বিকাশ এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা, প্রেক্ষাপট, ভিডিও বার্তার মাধ্যমে দিনব্যাপী এই কর্মশালাতে সহজভাবে এজেন্টদেরকে আবারো নিয়ম মেনে চলার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করা হয়। সচেতন করার পাশাপাশি এমএফএস অপব্যবহার করে সংঘটিত অপরাধ ও তা প্রতিরোধে বিকাশ-এর বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েও দিকনির্দেশনা দেয়া হয়।
অন্য দিকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা অপরাধী চক্র সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্য কাজে লাগিয়ে কীভাবে তাদের শনাক্ত করবেন ও আইনের আওতায় আনতে পারবেন সে সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সকল আইন কঠোরভাবে মেনে চলে বিকাশ তার প্ল্যাটফর্মকে নিরাপদ রাখতে সর্বাত্মক প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে। এরই অংশ হিসেবে বিকাশ স্বপ্রণোদিত হয়ে এএমএল৩৬০ অ্যাপ এর মাধ্যমে এজেন্টদের সকল কর্মকান্ড তদারকি করে থাকে এবং কোনো ব্যত্যয় হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এসব বিষয়েই এজেন্টসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন করতে বছরজুড়ে দেশব্যাপী সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে বিকাশ।
নৈপুণ্যের ধারা অব্যাহত রেখে ২০২৫ সালের প্রথম নয় মাসেও ব্র্যাক ব্যাংক উল্লেখযোগ্য আর্থিক সাফল্য অর্জন করেছে। ব্যাংকটির সম্পদ ২৬% এবং আয় ৪১% বৃদ্ধি পাওয়ায় লক্ষণীয় প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। শক্তিশালী আর্থিক ভিতের ওপর ভর করে ব্র্যাক ব্যাংক চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে সমন্বিত (কনসোলিডেটেড) কর-পরবর্তী নিট মুনাফায় (এনপিএটি) ৫২% প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এই তথ্যগুলো ব্যাংকটির সমন্বিত আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৫ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে ব্যাংকটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১,৫৩৬ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে অর্জিত ১,০১১ কোটি টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
এই সময়ে ব্যাংকটির একক (স্ট্যান্ডঅ্যালন) কর-পরবর্তী নিট মুনাফা ১,০৫৫ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের ৮২৭ কোটি টাকার তুলনায় ২৮% বেশি। অর্থনীতি ও শিল্প খাতের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ব্র্যাক ব্যাংক ২০২৫ সালের প্রথম নয় মাসে ব্যালেন্স শিটে ইন্ডাস্ট্রি গড় প্রবৃদ্ধির চেয়ে লক্ষণীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এই সময় গ্রাহক আমানত ২৯% এবং গ্রাহক ঋণ ১১% বৃদ্ধি পেয়েছে (বার্ষিক ভিত্তিতে)।
৩ নভেম্বর ২০২৫ ভার্চুয়ালি আয়োজিত আর্নিং ডিসক্লোজার অনুষ্ঠানে ব্যাংকটির ২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক ও পরিচালনগত পারফর্মেন্স প্রকাশ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত এই আয়োজনে দেশি-বিদেশি বাজার ও বিনিয়োগ বিশ্লেষক, পোর্টফোলিও ম্যানেজার এবং পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞসহ ব্যাংকের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডাররা অংশ নেন।
এ সময় ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যাংকটির আর্থিক ফলাফল, পরিচালনগত নৈপুণ্য ও শক্তিমত্তা তুলে ধরেন। এ সময় তাঁরা ব্যাংকটির ভবিষ্যৎ কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কেও আলোচনা করেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
২০২৫ সালের প্রথম নয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য অর্জনসমূহ:
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন আর্থিক সাফল্য নিয়ে ব্যাংকটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “আমাদের এই সাফল্য গ্রাহক, সমাজ এবং দেশের প্রতি আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন। গ্রাহক ও স্টেকহোল্ডারদের আস্থা ও বিশ্বাসকে সাথে নিয়ে আমরা উদ্ভাবন, ক্ষমতায়ন এবং বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখতে বদ্ধপরিকর।”
তিনি আরও বলেন, “ধারাবাহিক সাফল্য ও সুশাসনের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্র্যাক ব্যাংক এখন গ্রাহকদের কাছে এক আস্থার নাম। কমপ্লায়েন্স ও মূল্যবোধভিত্তিক ব্যাংকিংয়ে ব্র্যাক ব্যাংক এখন রোল মডেল। এমন অর্জনের জন্য আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের চেয়ারপারসন ও পরিচালনা পর্ষদের প্রতি— তাঁদের কৌশলগত দিকনির্দেশনার জন্য, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি— তাঁদের ধারাবাহিক দিকনির্দেশনার জন্য এবং গ্রাহকদের প্রতি— তাঁদের অবিচল আস্থার জন্য।”
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ২৯৮টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।