ঈদ উপলক্ষ্যে আইওটি, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ বিশ্বের সর্বাধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ও ফিচার সমৃদ্ধ ৭টি নতুন মডেলের ফ্রিজ উন্মোচন করলো বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ড ওয়ালটন। নতুন মডেলের এসব ফ্রিজের মধ্যে রয়েছে ৮রহ১ কনভার্টিবল মোডের ডলবি সাউন্ডযুক্ত এন্ড্রয়েড অপারেটিং ২১.৫ ইঞ্চি ডিসপ্লের স্মার্ট রেফ্রিজারেটর, আইওটি ও এআই ডক্টরসহ সর্বাধুনিক ফিচারের থ্রি-ডোরের সাইড বাই সাইড মডেলের স্মার্ট রেফ্রিজারেটর, ইনভার্টার টেকনোলজির কনভার্টিবল মোড সমৃদ্ধ রিভার্সিবল ডোর মডেল, ওয়াটার ডিস্পেনসারের বটম ও মাউন্টেড মডেল, ডিজিটাল কন্ট্রোল ডিসপ্লের সেমি নো-ফ্রস্ট মডেলের রেফ্রিজারেটরসহ স্লিম ডিজাইনের ফ্রিজার।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত ‘মেগা লঞ্চ ২০২৫’ শীর্ষক এক জমকালো অনুষ্ঠানে ওই সব নতুন মডেলের
ফ্রিজ উন্মোচন করেন ওয়ালটন ফ্রিজের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মীম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) ও চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মো. জিয়াউল আলম, এফসিএ, আইসিএইডব্লিউ, এএমডি নজরুল ইসলাম সরকার ও ইভা রিজওয়ানা, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মফিজুর রহমান, ওয়ালটন হাই-টেকের বিজনেস কো-অর্ডিনেটর (রেফ্রিজারেটর) মো. শাহজালাল হোসেন লিমন, চিফ মার্কেটিং অফিসার জোহেব আহমেদ, ফ্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) মো. তাহসিনুল হক, ডেপুটি সিবিও মো. জহির হাসান, ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান, ওয়ালটন ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম, ব্র্যান্ড ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান, ওয়ালটন ফ্রিজের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই) সেন্টারের প্রধান আজমল ফেরদৌস বাপ্পী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জনপ্রিয় উপস্থাপিকা নীল হুরেজাহান।
অনুষ্ঠানে ওয়ালটন ফ্রিজের সিবিও মো. তাহসিনুল হক বলেন, গ্রাহকের হাতে বিশ্বের সর্বাধুনিক ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির পণ্য তুলে দিতে সামর্থ্যরে সবটুকু দিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা চালাচ্ছে ওয়ালটনের গবেষণা ও উদ্ভাবন (আরএন্ডআই) টিমের প্রকৌশলীরা। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমরা বিশ্বের সর্বাধুনিক উদ্ভাবনী ডিজাইন, প্রযুক্তি ও ফিচারের নতুন নতুন মডেলের ফ্রিজ গ্রাহকদের হাতে তুলে দিতে সক্ষম হচ্ছি।
তিনি জানান, ওয়ালটনের নতুন মডেলের ফ্রিজে ব্যবহার করা হয় এআই, আইওটিসহ বিশ্বের সর্বাধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ও ফিচার। যা বিশ্বের সকল আধুনিক ফ্রিজে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে দিয়ে হাই-টেক রেফ্রিজারেটর উৎপাদন ও বিপণনে নতুন যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে নিজস্ব প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ও সক্ষমতায় আরো এক অনন্য নজির সৃষ্টি করলো ওয়ালটন।
ওয়ালটনের নতুন মডেলের ফ্রিজের মধ্যে রয়েছে ৬২০ লিটার ধারণক্ষমতার ‘বিগ ডিসপ্লে’ স্মার্ট রেফ্রিজারেটর। এতে রয়েছে খুবই উন্নত ভিউ অ্যাঙ্গেলের ২১.৫ ইঞ্চি এন্ড্রয়েড ডিসপ্লে এবং স্টেরিও সাউন্ড সিস্টেম। এতে গ্রাহকেরা এন্ড্রয়েড স্মার্ট ফোনের ফিচারসহ ইউটিউব ব্রাউজিং, অনলাইন গ্রোসারি শপিং, অফলাইন ভিডিও ও অডিও, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, সেলফি ক্যামেরা, ওয়েদার আপডেট ইত্যাদি মাল্টিমিডিয়ার সকল ফাংশন পাবেন। ওয়ালটনের নতুন মডেলের এই ফ্রিজে রয়েছে মেটাল ও ডুয়ো কুলিং সেটিংস। এই ফ্রিজে ব্যবহৃত এমএসও (ম্যাট্রিক্স স্পিড অপটিমাইজেশন) প্লাস ইনভার্টার টেকনোলজি বাইরের তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ খরচে ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ সর্বোচ্চ কুলিং পারফরমেন্স নিশ্চিত করবে। ৮রহ১ কনভার্টিবল মোডের এই ফ্রিজের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার কম্পার্টমেন্টের কুলিং পারফরমেন্স গ্রাহক তার পছন্দমত সেট করতে পারবেন। এতে বিদ্যুৎ খরচ হবে অনেক কম। এসব ফ্রিজ নিশ্চিত করবে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত স্বাস্থ্যকর ফ্রেস খাবার।
ওয়ালটনের নতুন মডেলের ৫৬০ লিটার ধারণক্ষমতার থ্রি-ডোর স্মার্ট রেফ্রিজারেটরে ব্যবহার করা হয়েছে এমএসও ইনভার্টার টেকনোলজি, ডুয়েল টেম্পারেচার কন্ট্রোলসহ হলিডে, টারবো ও সুপার মোড কুলিং সেটিংস। এই সব ফ্রিজে সংযোজন করা রয়েছে নিজস্ব উদ্ভাবিত ‘এআই ডক্টর’ ফিচার। বাংলাদেশে ওয়ালটনই প্রথম আইওটি স্মার্ট ফ্রিজ এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ফিচার সংযোজন করেছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট এই ফিচার গ্রাহকের বাসায় ব্যবহৃত ওয়ালটন স্মার্ট ফ্রিজের কুলিং পারফরমেন্স, সেন্সরসহ অন্যান্য কম্পোনেন্টস এ কোনো সমস্যা হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সনাক্ত করে তৎক্ষনাৎ নিজেই সমাধানের চেষ্টা করবে। যদি তা না পারে, সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকের বাসার নিকটস্থ সার্ভিস সেন্টারে নোটিফিকেশন পাঠিয়ে দিবে। নোটিফিকেশন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাস্টমার কেয়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করে বাসায় গিয়ে সমস্যা সমাধান করে দিবে। ফলে গ্রাহক ফ্রিজের কোন অস্বাভাবিকতা বোঝার অনেক আগেই পেয়ে যাবেন প্রয়োজনীয় বিক্রয়োত্তর সেবা। এছাড়াও এআইওটি ফিচার সমৃদ্ধ এই ফ্রিজ গ্রাহকেরা স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে পরিচালনা করতে পারবেন।
এছাড়াও ওয়ালটনের নতুন মডেলের ফ্রিজের মধ্যে রয়েছে ৩৪৩ ও ৩০৮ লিটার ধারণক্ষমতার ইনভার্টার টেকনোলজির কনভার্টিবল মোড সমৃদ্ধ রিভার্সিবল ডোরের রেফ্রিজারেটর, ২৬৮ লিটারের ‘ওয়াটার ডিসপেন্সার’ মডেলের রেফ্রিজারেটর, ৩৪৮ লিটারের ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার টেকনোজির সেমি নো ফ্রস্ট মডেলের রেফ্রিজারেটর এবং স্লিম ডিজাইনের ডিজিটার কন্ট্রোল ডিসপ্লে সমৃদ্ধ ২১০ লিটারের ফ্রিজার।
ওয়ালটন ফ্রিজ আরঅ্যান্ডআই সেন্টারের প্রকৌশলীরা জানান, নতুন মডেলের ফ্রিজগুলোতে ব্যবহৃত নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্যরে আলোকরশ্মি সংরক্ষিত ফলমূল ও শাক-সবজি প্রকৃতির মতো সজীব রাখে। ফলে ওয়ালটন ফ্রিজে সংরক্ষিত ফল ও সবজির ভিটামিন, মিনারেলসহ অন্যান্য খাদ্যগুণ ও পুষ্টি অক্ষুণ্ন থাকে। এসব ফ্রিজের ইউভি-সি টেকনোলজি বায়ুবাহিত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থেকে ফ্রিজে রাখা খাবারকে সুরক্ষিত রাখে। ইন্টেলিজেন্ট জার্ম টার্মিনেটর টেকনোলজি বায়ুবাহিত জীবাণু ধ্বংস করে। থ্রি-লেয়ার ওডোর সেফ গার্ড অনাকাক্ষিত গন্ধ দূর করে খাবারের স্বাদ রাখে অটুট। স্মার্ট কন্ট্রোল ফিচার থাকায় উপরের দরজায় হাতের স্পর্শের মাধ্যমেই ফ্রিজ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এরজন্য ফ্রিজের দরজা খোলার প্রয়োজন পরে না।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গ্রাহকেরা ওয়ালটনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার সমৃদ্ধ নতুন মডেলের ফ্রিজ অন্যান্য ব্র্যান্ডের চেয়ে সাশ্রয়ী দামে কিনতে পারবেন। বাজারে অন্যান্য ব্র্যান্ডের বিগ ডিসপ্লে ফ্রিজের দাম তিন লাখ টাকার থেকে বেশি। এদিকে ওয়ালটনের খুবই উন্নত ভিউ অ্যাঙ্গেলের এন্ড্রয়েড বিগ ডিসপ্লে স্মার্ট রেফ্রিজারেটর দাম পড়বে প্রায় দুই লাখ টাকা।
ওয়ালটনের এসব ফ্রিজে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্টসহ কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি এবং ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবার সুবিধা পাবেন ক্রেতারা। এছাড়া রয়েছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত দেশব্যাপী বিস্তৃত সর্ববৃহৎ সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়ার নিশ্চয়তা।
নারী নেতৃত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ‘স্বপ্নজয়ী নারী সম্মাননা ২০২৫’ অর্জন করেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী (সিআইপি)।
আজ শনিবার এনআরবি ওয়ার্ল্ড ও বিজনেস আমেরিকা ম্যাগাজিনের যৌথ উদ্যোগে সাপ্তাহিক অর্থকন্ঠ-এর ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকার এর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি ফয়েজ আহম্মদ তৈয়ব ।
প্রীতি চক্রবর্তী একজন সুদক্ষ স্বাস্থ্য উদ্যোক্তা, সমাজসেবী এবং নারীর ক্ষমতায়নের এক উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি। ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেতৃত্বে তিনি স্বাস্থ্যসেবার গুণগতমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তাঁর এই অর্জনে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিবার গর্বিত ও আনন্দিত এবং এই সম্মাননা ভবিষ্যতের নারী নেত্রীদের অনুপ্রাণিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার স্বর্গীয় আশুতোষ চক্রবর্তী ও পুষ্প চক্রবর্তীর জ্যেষ্ঠ কন্যা ।
নান্দনিক এই আয়োজনটিতে দেশের বিভিন্ন খাতের প্রভাবশালী নারী উদ্যোক্তা, কর্পোরেট নেতৃবৃন্দ, সংস্কৃতি ও গণমাধ্যম অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল পেমেন্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সিমপাইসা সম্প্রতি বাংলাদেশে এক ইফতার আয়োজন করে, যেখানে বিভিন্ন খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। রমজানের মহিমান্বিত মাসকে উদযাপন করার পাশাপাশি, এই আয়োজনে ডিজিটাল উদ্ভাবনের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও এর মাধ্যমে বাংলাদেশে ডিজিটাল পেমেন্ট, ফ্রিল্যান্স অর্থনীতি ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রসার নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বাংলাদেশে ডিজিটাল পেমেন্ট খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে, যেখানে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, কিউআর কোড এবং অনলাইন ব্যাংকিং ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
ইফতার অনুষ্ঠানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির গুরুত্ব বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়। আর্থিক সেবার সবার জন্য সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীরা আরও নিরাপদ ও কার্যকর উপায়ে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন।
সিমপাইসা সর্বদা ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীদের সহজ ও আধুনিক ডিজিটাল পেমেন্ট সল্যুশন প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিষ্ঠানটি সরকারি সংস্থা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একযোগে কাজ করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে।
রমজান আত্মপর্যালোচনা ও সহমর্মিতার বার্তা বহন করে। এ উপলক্ষে, সিমপাইসা সবাইকে ডিজিটাল সাক্ষরতা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার আহ্বান জানায়, যেন সবাই মিলে একটি আরও সমৃদ্ধ ও সমান সুযোগ-সুবিধাপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারে।
বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো চীন ভিত্তিক স্মার্টডিভাইস ব্র্যান্ড ইউমিডিজি। গতকাল রোববার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার একটি হোটেলে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধনকালে বাজারে ইউমিডিজি জি৯-ফাইভজি, ইউমিডিজি জি৯সি, ইউমিডিজি জি৯টি এবং ইউমিডিজি জি৯এ- এই ৪টি নতুন স্মার্টফোন উদ্বোধন করেছে।
এর মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড১৪ অপারেটিং সিস্টেম সমৃদ্ধ ৫জি সমর্থিত ইমিডিজি জি৯ ডিভাইসটিতে রয়েছে ৬.৭৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ৭.৯ মিলিমিটার স্লিম ডিজাইন, ১২ জিবি র্যাম (৬ জিবি ভার্চুয়াল র্যাম সহ) ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ, ২০ ওয়ার্ট গ্যান ফাস্টচার্জিং সুবিধা সম্পন্ন ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। স্মার্টফোনটিতে আরও রয়েছে ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো ও ২ মেগাপিক্সেল ডেফথ ক্যামেরা সহ ৫০ মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরা এবং ৮ মেগাপিক্সল সেলফি ক্যামেরা। বাংলাদেশের জন্য ডিভাইসটির দাম নির্ধারন করা হয়েছে ১৪ হাজার ৯৯০ টাকা।
অন্যদিকে ইমিডিজি জি৯সি ডিভাইসটিতে রয়েছে ৬.৭৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ৭.৯ মিলিমিটার স্লিম ডিজাইন, ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ, ১৮ ওয়ার্ট ফাস্টচার্জিং সুবিধা সম্পন্ন ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। স্মার্টফোনটিতে আরও রয়েছে ২ মেগাপিক্সেল ডেফথ ক্যামেরা সহ ৫০ মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরা এবং ৮ মেগাপিক্সল সেলফি ক্যামেরা। বাংলাদেশের জন্য ডিভাইসটির দাম নির্ধারন করা হয়েছে ১২ হাজার ৯৯০ টাকা।
এছাড়া ২ মেগাপিক্সেল ডেফথ ক্যামেরা, ১৩ মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরা ও ৮ মেগাপিক্সল সেলফি ক্যামেরার ইউমিডিজি জি৯টি ডিভাইসটির দাম ১০ হাজার ৯৯০ টাকা এবং ইউমিডিজি জি৯এ ডিভাইসটির দাম ৯ হাজার ৯৯০টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী রোজার ঈদের আগে ইউমিডিজি’র আরও দুইটি ফোন অবমুক্ত করা হবে। মডেল দুটি হলো ইউমিডিজি ১০০ নোট এবং নোট এআই। শীঘ্রই দেশজুড়ে ব্র্যান্ডটির ১২টি সার্ভিস সেন্টার এবং ১০টি কালেকশন পয়েন্ট চালু করা হবে।
অনুষ্ঠানে ইউমিডিজি বাংলাদেশের কার্যক্রম ও নতুন ডিভাইসগুলো নিয়ে বক্তব্য রাখেন ইউমিডিজি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঝোউ, সেলস অ্যান্ড অপারেশনস হেড মাসুকুর রহমান, মার্কেটিং ম্যানেজের রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
গাজীপুরের কাজী নেচার ক্যাম্পে গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয়েছে ট্রেইনারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের।
দিনব্যাপী লার্নিং গেমসভিত্তিক ট্রেইনার্স ট্রেনিং ও রিট্রিটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৫০ জন প্রশিক্ষক অংশ নেন।
এ আয়োজন প্রশিক্ষণের নতুন নতুন কৌশল শেখার পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বন্ধন সুদৃঢ় করার এক অনন্য সুযোগ তৈরি করেছে।
ট্রেইনারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সহসভাপতি ইউসুফ ইফতি বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষক তৈরি, আয়ের নতুন পথ সৃষ্টিতে সহায়তা, প্রশিক্ষকদের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম তৈরি এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার প্রশিক্ষক তৈরির লক্ষ্যে কাজ করব। এই উদ্যোগ দেশের পেশাগত এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
ট্রেইনারসের নেতৃত্বে রয়েছেন সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কেএম হাসান রিপন, নির্বাহী সহসভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইউসুফ ইফতি, সহসভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোহাম্মদ মোরাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেল এইচ খান, পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য লায়লা নাজনীন এবং পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জিয়া উদ্দিন মাহমুদ।
অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ ও কার্যকর করার জন্য রওনক জাহান নিসাকে সমন্বয়কারী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
ট্রেইনারসের সভাপতি কে এম হাসান রিপন বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানটি শুধু শিক্ষামূলকই নয়, বরং উদ্বুদ্ধ করার মতো একটি মাইলফলক। এটি নেটওয়ার্কিং এবং দক্ষতা উন্নয়নের একটি চমৎকার সুযোগ তৈরি করেছে। আমরা দেশের সকল প্রশিক্ষকদের আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাই।’
কাজী নেচার ক্যাম্পের সুযোগ-সুবিধার প্রশংসা করে ট্রেইনারসের সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করার পর আমরা কাজী নেচার ক্যাম্পকে প্রশিক্ষণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান হিসেবে পেয়েছি। এখানে ট্রি-টপ অ্যাক্টিভিটিস, বোটিং, কায়াকিং, টেন্ট, ফায়ার ক্যাম্প, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী খাবারসহ অসাধারণ সেবা রয়েছে। এটি প্রশিক্ষণের জন্য আদর্শ পরিবেশ।’
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শায়লা আশরাফ, সামিরা হক, আজিজ সেলিম, ইসরাত জাহান, সুমন ও ইকবাল কার্যক্রম নিয়ে তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি ট্রেইনারসের ঐতিহাসিক সূচনা চিহ্নিত করে। ভবিষ্যতে আরও প্রশিক্ষণ ও কার্যক্রমের মাধ্যমে ট্রেইনারস দেশের প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ) এবং দ্যা সাব-কাউন্সিল অব টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি, চায়না কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অফ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড (সিসিপিআইটি টেক্স চায়না) এর যৌথ আয়োজনে ১৫-১৮ জানুয়ারি, চার দিনব্যাপী ২৩তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক শো ২০২৫ - উইনটার এডিশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একইসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় ৭ম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ডেনিম শো।
প্রদর্শনী চলাকালীন ১৬ জানুয়ারি সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাংলাদেশ সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সোসাইটির সহ-আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ‘ড্রাইভিং টেক্সটাইল কমপিটিটিভনেস: সাপ্লাই চেইন্স অ্যাজ দ্যা গেম চেঞ্জার’ শীর্ষক সেমিনার।
সেমিনার পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সোসাইটির প্রেসিডেন্ট নকীব খান। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়াহিদ আনোয়ার, হেড অফ সাপ্লাই চেইন, আর-পেক বাংলাদেশ লিমিটেড। সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন মো. ফেরদৌস খান রোমান, হেড অফ সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, অ্যাপটেক গ্রুপ এবং মো. আফসার হোসেন, সিইও, ট্রান্স ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সোসাইটি। সেমিনারে বিভিন্ন সেক্টরের শতাধিক অংশগ্রহণকারী অংশ নেন।
নকীব খান সেমিনারের শুরুতে আলোচ্য বিষয় উপস্থাপন করেন এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চালিত করতে সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি গেম চেঞ্জার হতে পারে বলে মন্তব্য করেন। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত পোশাক খাতের ওপর নির্ভর, কাজেই এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে কার্যকর সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।
দেশের দ্রুত বর্ধনশীল রিয়েল এস্টেট কোম্পানি প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেডের আয়োজনে চার দিনব্যাপী পিঠা উৎসব ও একক আবাসন মেলা শুরু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে কোম্পানির নিজস্ব কার্যালয়ে এই উৎসব ও মেলার উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে পিঠা উৎসবের উদ্ধোধন ঘোষণা করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুল হুদা এবং কেক কেটে একক আবাসন মেলার শুভ সুচনা করেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রওশন আল মাহমুদ। মেলাটি চলবে আগামী রোববার পর্যন্ত।
জানা গেছে, ঢাকায় প্রতি বছর গ্রামীণ ঐতিহ্য ও মিলন মেলার আয়োজন করে থাকে প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেড। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ১৬-১৯ জানুয়ারি এই পিঠা উৎসব ও একক আবাসন মেলার আয়োজন করেছে। এবারের অনুষ্ঠানে প্রিমিয়াম হোল্ডিংসের চারটি প্রকল্প সম্পর্কে অবগত করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক রওশন আল মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির পরিচালক নাজনীন আক্তার, উপদেষ্টা নুরুল ইসলাম, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট প্রধান রেজাউল করিম, সিওও আশরাফুল আলম, টিম লিডার শিমুল সরকার, মাহিন ইসলামসহ সকল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড আল হারমাইন পারফিউমসের নতুন সুগন্ধির উদ্বোধন করেছেন জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। আজ শুক্রবার রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব শোরুমে আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এটি উদ্বোধন করেন তিনি।
নতুন বেশ কয়েকটি সুগন্ধির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের খ্যাতনামা এ প্রতিষ্ঠানটি দেশে আরও একবার পারফিউমের জগতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
অনুষ্ঠানে আরও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মডেল-অভিনেতা নিরবসহ আল হারমাইন পারফিউমসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সাব্বির আহমেদ। এছাড়া ছিলেন একঝাঁক মডেল ও ইনফ্লুয়েন্সারসহ আমন্ত্রিত অতিথি ও প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাগণ।
নতুন এক্সক্লুসিভ সুগন্ধিগুলোর মধ্যে রয়েছে Haramain Farasha Gold Crystal Oud, Haramain Black Oud, Haramain Floral Fair, L’Aventure- এর চারটি সিরিজ- Azlan Oud- এর আরও দুটি সিরিজ এবং Haramain La Lune সিরিজ। এই ১২টি নতুন সুগন্ধি ফুলের মধুর গন্ধ থেকে শুরু করে ফ্রুটি, ফ্লোরাল, ওউদ, ফ্রেশ, স্পাইসি- সব ধরনের গ্রাহকের পছন্দকে বিবেচনা করে তৈরি করা হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের জানানো হয়। প্রত্যেকটি সুগন্ধিই পারফিউমপ্রেমীদের এক অনন্য গল্প বলার পাশাপাশি একজন মানুষের ব্যক্তিত্বকে আরও উজ্জ্বল করে তুলবে বলে বিশ্বাস করে আল হারমাইন পারফিউমস।
বর্তমানে পুরো বাংলাদেশে মোট ১৮টি শোরুমের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করছে প্রতিষ্ঠানটি।
গ্লোবাল ব্র্যান্ড কেএফসির একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘ট্রান্সকম ফুডস লিমিটেড’ ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বর্তমানে দেশের ১২টি শহরে কেএফসি স্টোরের মাধ্যমে ফিঙ্গার লিকিং গুড খাবার পরিবেশন করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি চট্টগ্রামের মোমিন রোড, জামাল খান এবং বালি আর্কেড, চকবাজারে নতুন আউটলেট চালু করেছে।
আউলেট উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে সঙ্গে ছিল কেএফসি স্বপ্নের পাঠশালার পথশিশুরা, যাদের পরিবেশন করা হয়েছিল মজাদার ফিঙ্গার লিকিং গুড মিল। শিশুদের উপস্থিতি মুহূর্তটিকে আনন্দদায়ক ও স্মরণীয় করে তুলেছিল।
কাস্টমারেরা উভয় স্টোরে ডাইন- ইন, টেক এওয়ে, কল ফর ডেলিভারি, kfcbd.com ও KFC APP অর্ডারের মাধ্যমে কেএফসির ফিঙ্গার লিকিং গুড ফুড উপভোগ করতে পারবেন।
ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রাস্ট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সাধারণ সভায় কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালনা পর্ষদসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
সভায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন, পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক সাধারণ শেয়ারহোল্ডাদের জন্য ২৫% নগদ লভ্যাংশ এবং পরিচালক ও স্পন্সর শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সুপারিশকৃত ১৫% নগদ লভ্যাংশসহ সকল এজেন্ডা শেয়ারহোল্ডারগন কর্তৃক অনুমোদিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান মো. মাজহারুল কাদের। তিনি ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের ধারাবাহিক সফলতার জন্য শেয়ারহোল্ডার, কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এতে অংশগ্রহণকারী শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ কোম্পানির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তারা কোম্পানির বর্তমান কার্যক্রম ও সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যৎ অগ্রগতির প্রতি তাদের আস্থা প্রকাশ করেন।
ডিজি-মার্ক সল্যুশন এবং জেটকেটেকো ‘রোড টু এআই ’এবং পার্টনার মিট-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি ডিজি-মার্ক সল্যুশন এবং জেটকেটেকো- এর যৌথ উদ্যোগে পুরানা পল্টনের একটি হোটেলে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে জেটকেটেকো -এর সর্বাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর অ্যাক্সেস কন্ট্রোল ও টাইম অ্যাটেনডেন্স সল্যুশন প্রদর্শন করা হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিক সকল ফিচারসহ অত্যাধুনিক পণ্যে বাংলাদেশে ডিজি-মার্ক সল্যুশন একমাত্র পরিবেশক হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিজিমার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো. শাহারিয়ার আলম, ডিজি-মার্কের পরিচালক ওমর ফারুক রব, জেটকেটেকো বাংলাদেশ ম্যানেজার ডুরেন্ট প্যান ও ডিজিমার্কের মহাব্যবস্থাপক শেখ মনজুর হোসেন এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও ডিলারগণ।
ডিজি-মার্ক সল্যুশন- এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহারিয়ার আলম তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে জেডকেটেকো- এর সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত। এই পণ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্ড নিরাপত্তা বাবস্থার উম্মচন হল। এই অংশীদারিত্ব আমাদের গ্রাহকদের জন্য আরও আধুনিক, উদ্ভাবনী এবং কার্যকর সমাধান সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
ডিজি-মার্কের পরিচালক ওমর ফারুক রব ২০২৫ সালকে সামনে রেখে কিভাবে আরও ভালো সার্ভিস ও সাপোর্ট দেয়া যায় তা নিয়ে উন্মুক্ত প্রশ্ন উত্তরের আয়োজন করেন।
তরুণদের জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি এবার প্রথমবারের মতো আইপি৬৯ সার্টিফিকেশন পাওয়া সি-সিরিজের স্মার্টফোন বাজারে আনতে যাচ্ছে। চলতি বছর ডিসেম্বরের ১৫ তারিখে উন্মোচন হতে যাওয়া রিয়েলমি সি৭৫ -এ আইপি৬৯ রেটিংয়ের পাশাপাশি আরও রয়েছে আইপি৬৮ ও আইপি৬৬ সার্টিফিকেশন। ফলে পানি ও ধুলাবালি থেকে ফোনটি থাকবে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।
বাজারের অন্যান্য স্মার্টফোন যেখানে কেবল একটি বা দুটি স্তরের পানি প্রতিরোধক সুরক্ষা দেয়, সেখানে রিয়েলমি সি৭৫ দিচ্ছে অল-রাউন্ড প্রটেকশন। আইপি৬৬, আইপি৬৮ ও আইপি৬৯- প্রতিটি রেটিং আলাদাভাবে পরিপূর্ণ সুরক্ষা প্রদান করে আইপি৬৬ পানির শক্তিশালী জেটের বিরুদ্ধে, আইপি৬৮ পানির নিচে এবং আইপি৬৯ হাই-প্রেসার, হাই-টেম্পারেচার পানির জেটের বিরুদ্ধে ফোনকে রক্ষা করে। এই তিনটি সার্টিফিকেশনের সমন্বয়ে রিয়েলমি সি৭৫ ফোনপ্রেমীকে এক অনন্য টেকসইতা প্রদান করে।
রিয়েলমি সি৭৫-এর দুর্দান্ত প্রটেকশন তৈরী হয়েছে অত্যাধুনিক ওয়াটারপ্রুফিং প্রযুক্তির সাহায্যে, যার মধ্যে রয়েছে উন্নত ফোম সিল, একটি সম্পূর্ণ নতুনভাবে ডিজাইনকৃত ওয়াটারপ্রুফ কাঠামো এবং উন্নতমানের উপাদানের সমন্বয়। এছাড়াও, উদ্ভাবনী সনিকওয়েভ ওয়াটার ইজেকশন ফিচার দ্রুত স্পিকার থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে সাহায্য করে, যা ডিভাইসের টেকসইত্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
শক্তিশালী ৬০০০ এমএএইচ ব্যাটারি এবং ৪৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং থাকায়, রিয়েলমি সি৭৫ মাত্র ৩৮ মিনিটে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ করতে পারে। ৮ জিবি+১৬জিবি ডায়নামিক র্যাম থাকায় ব্যবহারকারীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে মাল্টিটাস্কিং এবং দ্রুত অ্যাপ চালানোর দারুণ অভিজ্ঞতা পাবেন ।
রিয়েলমি সি৭৫ এর মাধ্যমে উদ্ভাবন আর গুণগতমানের উৎকর্ষতা ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে দিতে তার প্রতিশ্রুতি বজায় রেখেছে।
সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ও নিম্ন আয়ের মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের দাঁতের চিকিৎসা সুনিশ্চিত করতে গত শুক্রবার রাজধানীর লালবাগে আয়োজন করা হয় ‘ফ্রি ডেন্টাল ক্যাম্প: স্মাইল এইড-ওরাল কেয়ার ইনিশিয়েটিভ’।
জেসিআই বাংলাদেশের তিনটি লোকাল সংগঠন জেসিআই ঢাকা এইস, জেসিআই ঢাকা ইম্প্যাক্ট, জেসিআই ঢাকা প্রিমিয়ার ও হিউম্যানিটি সার্ভিসেস বাংলাদেশের উদ্যোগে এক হাজার জনের জন্য এই ফ্রি ক্যাম্পটির আয়োজন করা হয়।
সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এ সেবাকার্যক্রম চলে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। ৭০ জন ডেন্টিস্টদের সহযোগিতায় সকাল থেকেই শিশু-বৃদ্ধসহ অসংখ্য নারী-পুরুষকে দাঁতের চিকিৎসা দেওয়া হয়। ডেন্টাল চেক আপ থেকে শুরু করে, দাঁত এক্সট্রাকশন, ফিলিং, স্কেলিং, মেডিসিন সবই প্রদান করা হয় বিনামূল্যে।
ক্যাম্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেসিআই বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমরান কাদির।
বৃদ্ধাশ্রমে বসবাস করা সমাজের প্রবীণদের জন্য একটি আনন্দপূর্ণ দিন কাটানোর ব্যবস্থা করেছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব। বরাবরের মতই তারা আয়োজন করেছিল অনুষঙ্গের।
গতকাল শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের মনিপুরে হোতাপাড়া এলাকায় গিভেন্সি গ্রুপের বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রে ক্লাবের প্রায় ১০০ জন সদস্য নিয়ে উপস্থিত ছিলেন সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাবের ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজার মেজবাহ উল হাসান চৌধুরী।
প্রবীণদের মাঝে তরুণদের উদ্দীপনার আলো ছড়িয়ে দিতে একটি দিন তাদের সঙ্গে বসে সময় কাটিয়ে তাদের কথা শুনে ক্লাবের সদস্যরা মেতেছিলেন নানান আয়োজনে। কখনো জনপ্রিয় গেইম ‘পিলো পাসিং’ খেলে কখনো বা পুরোনো দিনের গান গেয়ে। দিনটির বিশেষ মুহূর্তগুলোকে আরও রঙিন করতে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন কার্টুনিস্ট সাঈদ রাশেদ ইমাম তন্ময়। এর পাশাপাশি বৃদ্ধাশ্রমের পরিবেশকে আরও বসবাসবান্ধব করে তোলার জন্য ক্লাবের সদস্যরা বৃক্ষরোপণের কর্মসূচিও পালন করে। উদ্যোগটি সফল করতে পেইন্ট পার্টনার হিসেবে উপস্থিত ছিল এশিয়ান পেইন্টস।
এছাড়াও তারা চেষ্টা করেছিল তাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের ঔষধ ও মেডিকেল সরঞ্জাম এবং হুইলচেয়ার বয়স্কদের মাঝে পৌঁছে দিতে। সারাদিন বিশেষ আয়োজনগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম আয়োজন ছিল বৃদ্ধাশ্রমের দেয়াল ও আঙিনায় রং দিয়ে আলপনা আঁকা।
ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মৌরিন ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা প্রায়ই ব্যস্ত জীবনে আটকে যাই। কিন্তু ‘অনুষঙ্গ’ ইভেন্ট আমাদের ফিরিয়ে দেওয়ার গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়। বয়স্কদের সঙ্গে সময় কাটানো একটি শক্তিশালী অভিজ্ঞতা। যা বোঝায়, আমাদের যত্ন অন্যদের কাছে কতটা অর্থ বহন করতে পারে। আমি আশা করি এটি আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে সমাজে অবদান রাখার উপায়গুলি খুঁজে বের করতে।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাবের ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজার মেজবাউল হাসান চৌধুরী বলেন, আমাদের ছাত্রদের ‘অনুষঙ্গ’-এর মতো অপূর্ব সুন্দর চেতনার একটি উদ্যোগ নিতে দেখে খুবই ভালো লাগছে। বয়স্কদের যত্ন নেওয়া একটি সহানুভূতিশীল সমাজ গঠনে সহায়তা করে। আমি নিশ্চিত এই আয়োজন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সহানুভূতি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা গ্রহণে অনুপ্রাণিত করবে। সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা তরুণ প্রাণে ভবিষ্যতের জন্য আলোড়ন ছড়াতে চায় ও মানসিকতার বিকাশ চায়।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব ১৯৯৪ সালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির একটি ছাত্র সংগঠন হিসেবে যাত্রা শুরু করে।